Sunday, March 7, 2021

আত্ব তাক্বদীর




عَنْ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ ( قال: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «إِنَّ أَوَّلَ مَا خَلَقَ اللَّهُ الْقَلَمَ فَقَالَ لَهُ: اكْتُبْ، قَالَ: رَبِّ وَمَاذَا أَكْتُبُ؟ قَالَ: اكْتُبْ مَقَادِيرَ كُلِّ شَيْءٍ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ». ( د, حم ) صحيح لغيره

উবাদাহ ইব্‌ন সামেত (রাঃ)

তিনি বলেনঃ “আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলতে শুনেছিঃ “আল্লাহ তা‘আলা সর্বপ্রথম যা সৃষ্টি করেছেন কলম [১], তিনি বলেনঃ লেখ। সে বললঃ হে আমার রব, কি লিখব? তিনি বলেনঃ কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক জিনিসের তাকদির লিখ”। [আবু দাউদ ও আহমদ] হাদীসটি সহিহ লি গায়রিহি।

আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ১২৩
হাদিসের মান: সহিহ লিগাইরিহি
Source: ihadis.com




মুসলিম ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) কে কুরআনের এই আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল, ‘যখন তোমার প্রভু আদম সন্তানদের পিঠ হতে তাদের সমস্ত সন্তানকে বের করলেন’। ওমর (রাঃ) বলেন, আমি শুনেছি, রাসূল  (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, আল্লাহ্‌ তা’আলা আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করলেন। অতঃপর আপন ডান হাত দ্বারা তাঁর পিঠে বুলালেন এবং সেখান থেকে একদল সন্তান বের করলেন। অতঃপর বললেন, এদেরকে আমি জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেছি, জান্নাতের কাজই তারা করবে। এক সাহাবী প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাহলে আমল কেমন হবে? রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহ তা’আলা যখন কোন বান্দাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন তখন তার দ্বরা জান্নাতের কাজই করিয়ে নেন। অবশেষে জান্নাতীদের কোন কাজ করে মৃত্যুবরণ করে। আর আল্লাহ তা’য়ালা এর দ্বারা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। অনুরূপভাবে আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন, তার দ্বারা জাহান্নামের কাজই করিয়ে নেন। অবশেষে সে জাহান্নামীদের কোন কাজ করেই মৃত্যু বরণ করে এবং আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করান।

তাহক্বীক্ব : যঈফ।

সহিহ হাদিসে কুদসি, হাদিস নং ৯
হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস
Source: ihadis.com




عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ قَتَادَةَ السُّلَمِيِّ -رضي الله عنه- أَنَّهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: « إِنَّ اللَّهَ -عَزَّ وَجَلَّ- خَلَقَ آدَمَ ثُمَّ أَخَذَ الْخَلْقَ مِنْ ظَهْرِهِ وَقَالَ: هَؤُلَاءِ فِي الْجَنَّةِ وَلَا أُبَالِي، وَهَؤُلَاءِ فِي النَّارِ وَلَا أُبَالِي » . فَقَالَ قَائِلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَعَلَى مَاذَا نَعْمَلُ؟ قَالَ: « عَلَى مَوَاقِعِ الْقَدَرِ » . (حم) حسن

আব্দুর রহমান ইব্‌ন কাতাদা আসসুলামি

তিনি বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলতে শুনেছিঃ “নিশ্চয় আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করেন, অতঃপর তার পিঠ থেকে মখলুক বের করেন ও বলেনঃ এরা জান্নাতি আমি কোন পরোয়া করি না, এরা জাহান্নামী আমি কোন পরোয়া করি না। তিনি বলেন এক ব্যক্তি বললঃ হে আল্লাহর রাসূল তাহলে কিসের ওপর আমল করব”? তিনি বললেনঃ “তাকদিরে নির্ধারিত স্থানে” [১]। [আহমদ]

আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ১৫৭
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
Source: ihadis.com




আবু খুযামা

আবু খুযামা তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, আমি একদিন রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে জিজ্ঞেস বরলাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! আমরা যে মন্ত্র পাঠ করে থাকি এবং কোন ঔষধি দ্বারা ঔষধ করে থাকি অথবা কোন উপায় দ্বারা আত্মরক্ষা করার চেষ্টা করি, তা কি তাক্বদীরের কিছু প্রতিরোধ করতে পারে? তিনি বললেন, তোমাদের এ সকল চেষ্টা তাক্বদীরের অন্তর্ভুক্ত।

তাহক্বীক : যঈফ।

মিশকাতে জয়িফ হাদিস, হাদিস নং ১০
হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস
Source: ihadis.com


সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৪৭/ তাকদীর৬৪৮৫। আবূ তাহির আহমাদ ইবনু আমর ইবনু সারহ (রহঃ) আমেরি ইবনু ওয়াসিলা (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) -কে বলতে শুনেছেন যে, তিনি বলেছেন, হতভাগ্য সেই ব্যক্তি, যে তার মাতৃ উদর থেকে হতভাগ্য রুপে জন্ম-গ্রহণ করেছে। আর ভাগ্যবান ব্যক্তি সে, যে অন্যের কাছ থেকে নসীয়ত লাভ করে। এরপর তিনি (আমির ইবনু ওয়াসিলা (রহঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাহাবী হুযায়ফা ইবনু উসায়দ (রাঃ) -এর কাছে এলেন। তখন তিনি তার কাছে আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) -এর উক্তি বর্ণনা করলেন এবং বললেন, আমল ব্যতীত একজন মানুষ কিভাবে গুনাহগার হতে পারে? এরপর তিনি (হুযায়ফা (রাঃ) তাকে বললেন, তুমি কি এতে বিস্ময়বোধ করছ? আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেনঃ যখন শুক্রের উপর বিয়াল্লিশ দিন অতিবাহিত হয়ে যায় তখন আল্লাহ তাআলা একজন ফিরিশতা পাঠানা সে সেটিকে (শুক্রকে) একটি আকৃতি দান করে, তার কান, চোখ, চামড়া, গোশত ও হাড় সৃষ্টি করে দেয়। এরপর সে বলে, হে আমার প্রতিপালক! সে কি পুরুষ, না ন্ত্রীলোক হবে? তখন তোমার রব যা চান নির্দেশ দেন এবং ফিরিশতা নির্দেশ মুতাবিক লিপিবদ্ধ করেন। এরপর সে বলতে থাকে, হে আমার প্রতিপালক! তার বয়স কত হবে? তখন তোমার রব যা চান তাই বলেন এবং সেই মুতাবিক ফিরিশতা লিখেন। এরপর সে বলতে থাকে, হে আমার প্রতিপালক! তার জীবিকা কি হবে, তখন তোমার রব তার মর্জি মাফিক মীমাংসা করেন এবং ফিরিশতা তা লিপিবদ্ধ করেন। এরপর ফিরিশতা তাঁর হাতে একটি লিপি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। সে তাতে বাড়ায়ও না এবং কমায়ও না।






মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর৩৭। আবূদ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা লোক সকল জিজ্ঞেস করলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমরা যে আমল করছি এ সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? এটা কি নিষ্পন্ন হওয়া কোন বিষয়, না কি যা আমরা এখন শুরু থেকে করছি? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বরং তা (আমল) নিষ্পন্ন হওয়া বিষয়ের ভিত্তিতে। তারা বললো, তাহলে কর্মের বিষয়টি কীভাবে (দেখা হবে)? ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেন, প্রত্যেক মানুষ প্রস্তুত (এমন কর্ম করার জন্য) যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। (হাকিম ও তাবরানী। হাদীসটির পাশে সহীহ্ হবার প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে।)




মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর৩৬। আবূল আসওয়াদ আদ্ দুয়ালী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা প্রত্যুষে ‘ইমরান ইবনুু্ হুসাইন (রাঃ) এর কাছে গমন করি। তিনি ‘ইয়া আবাল আসওয়াদ’ বলে আমাকে সম্বোধন করে তারপর (সেই) হাদীস বর্ণনা করেন। (একদা) জুহাইনা অথবা মুযাইনা গোত্রের জনৈক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সমীপে উপস্থিত হন এবং জিজ্ঞেস করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মানুষ আজকের দিনে যে আমল করছে এবং তাকে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে, সে সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? অর্থাৎ এই আমল কি পূর্বে নির্ধারিত তাকদীরের ভিত্তিতে যা তাদের জন্য অতিবাহিত ও সম্পন্ন করা হয়েছে। নাকি তারা ভবিষ্যতে যা করবে তাই হবে এর ভিত্তিতে? (অর্থাৎ) যা তাঁদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জন্য নিয়ে এসেছেন এবং যে বিষয়ের উপর তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্র“তি গ্রহণ করা হয়েছিল (আল্লাহর পক্ষ থেকে ‘আমি কি তোমাদের প্রভু নই’ বিষয়ক) সেই ভিত্তিতে (আমল করবে এবং তদানুসারে ফলাফল ভোগ করবে)? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বরং যা তাদের জন্য বিগত ও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে সেই বিষয়ের উপর (বিশ্বাস রেখে কর্ম করবে)। প্রশ্নকারী বললেন, তা-ই যদি হয় তবে তারা কেন কর্ম বা আমল করবে, ইয়া রাসূলাল্লাহ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দু‘টি ঠিকানার (জান্নাত ও নরক) মধ্যে যাকে যেটির জন্য আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টি করেছেন, তাকে সেটির জন্য কর্ম করার জন্য প্রস্তুত করে দেন। এ বিষয়টির সত্যয়ন রয়েছে আল্লাহ তা‘আলার কিতাবে ( )(বুখারী, মুসলিম ও আবূ দাউদ)।



মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর৩৫। ইমরান ইবনুু্ হুসাইন (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, (একদা) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করা হয় অথবা বলা হয়, জান্নাতবাসীগণের মধ্য থেকে নরকবাসীদের কি চিনা যায়? তিনি বললেন, হ্যাঁ। প্রশ্নকারী বললেন, তাহলে আমলদার লোকগণ কোন আমল করবেন? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, প্রত্যেকে সেই আমলই করে, যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে অথবা যা তার জন্য সহজ করা হয়েছে। (বুখারী, মুসলিম ও আবূ দাউদ।)





মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর৩৩। আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর বিন আল’আস (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হলেন। তাঁর হাতে দুটি কিতাব। বললেন, তোমরা জান কি এ দু‘টো কিতাব কী? আমরা বললাম, জ্বি না, তবে আপনি যদি বলে দেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি তাঁর ডান হাতের কিতাব সম্পর্কে বললেন-এটি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর পক্ষ থেকে, এতে লিপিবদ্ধ আছে জান্নাতবাসীগণের নাম, তাদের পিতার নাম এবং তাদের গোত্রের নাম। জান্নাতবাসী সর্বশেষ ব্যক্তির নামে (এই কিতাব) শেষ করা হয়েছে; এদের সংখ্যা আর কখনও বৃদ্ধি করা হবে না এবং হ্রাসও করা হবে না। এরপর তিনি (রাসূল) তাঁর বাম হাতে রক্ষিত কিতাব সম্পর্কে বললেন, এটি নরকবাসীদের কিতাব। এতে লিপিবদ্ধ আছে তাদের নাম, পিতার নাম ও গোত্রের নাম এমনিভাবে সর্বশেষ ব্যক্তির নাম দিয়ে (এই কিতাব) সমাপ্ত করা হয়েছে। এদের সংখ্যাও আর কখনও বৃদ্ধি করা হবে না এবং হ্রাস করা হবে না। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, বিষয়টি যদি এমনই নিষ্পত্তি (বা সম্পন্ন) হয়ে গিয়ে থাকে, তবে আর আমরা আমল করবো কিসের জন্য? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা দৃঢ় প্রত্যয় ও বাসনা নিয়ে কর্মে (আমল করতে) প্রবৃত্ত হও। (অর্থাৎ সৎকর্ম সম্পাদন করতে থাক)। কারণ, জান্নাতবাসীকে জান্নাতের কর্মের মাধ্যমে মৃত্যু দেওয়া হবে। যদিও সে অন্য কর্মও করে (অর্থাৎ কোন কোন সময় জান্নাতের পরিপন্থী কর্ম করলেও।) আর জাহান্নামবাসীকে নরকবাসীর কর্মের মাধ্যমে তুলে নেয়া হবে যদিও সে অন্য কর্মও করে থাকে। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে বললেন, তোমাদের মহাপ্রভু (আল্লাহ) বান্দাদের সম্পর্কে ফায়সালা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। এরপর তাঁর ডান হাত সম্প্রসারিত করে বললেন, একদল প্রবেশ করবে জান্নাতে এবং বাম হাত সম্প্রসারিত করে বললেন অন্য একদল প্রবেশ করবে ‘সায়ীর’ জাহান্নামে। (বায্যার নাসাঈ, তিরমিযী। তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।)




মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর৩১। আবূ আবদুর রহমান আস-সুলামী, আলী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, একদা আল্লাহর রাসূল বসে আছেন, তাঁর হাতে ছিল একখন্ড কাষ্ঠ, যা দিয়ে মাটি পেটানো যায় (মুগুর ধরনের)। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি মস্তক উত্তোলণ করে ইরশাদ করলেন, তোমাদের প্রত্যেকের আত্মাকে জান্নাত অথবা দোযখে নিজ নিজ ঠিকানা অবগত করানো হয়েছে। হযরত আলী (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাহলে আমরা আমল করবো কেন? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমল করে যাও, যাকে যে কর্মের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তা তার কাছে সহজ করা হয়েছে। (অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র কুরআনের এই আয়াত পাঠ করেন “অতএব, যে দান করে এবং আল্লাহকে ভয় করে এবং উত্তম বিষয়কে সত্য মনে করে; আমি তাকে সুখের বিষয়ের জন্য সহজ পথ দান করবো; আর যে কৃপনতা করে ও বেপরওয়া হয় এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে করে; আমি তাকে কষ্টের বিষয়ের জন্য সহজ পথ দান করবো।” (সূরা আল-লায়ল, ৫-১০) (একই বর্ণনাকারী থেকে অপর বর্ণনায় আছে) আলী (রাঃ) বলেন, আমরা একদা ‘বাকীউল গারকাদ’ নামক একটি জানাযার সাথে ছিলাম। এমন সময় সেখানে আমাদের কাছে আল্লাহর রাসূল আগমন করলেন এবং বসলেন; আমরাও তাঁর চারপাশে বসে গেলাম। তাঁর সাথে ছিল একটি লাঠি যার উপর ভর করা যায়। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দৃষ্টি উত্তোলন করলেন এবং বললেন, তোমাদের প্রত্যেকের আত্মার জন্য জান্নাত অথবা দোযখে তার ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে; আরও লিপিবদ্ধ করা হয়েছে-(প্রতিটি) আত্মার বদকার অথবা নেককার হওয়ার বিষয়। উপস্থিত জনতা বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাহলে আমরা কি আমাদের কিতাবের (তাক্দীর) উপর ভরসা করে আমল বা কর্ম পরিত্যাগ করব না? কারণ যে নেককার হবে, সে নেকীর (কল্যাণ) দিকে ধাবিত হবে এবং যে বদকার হবে, সে বদির (অকল্যান, অশুভ ও ভয়াবহতার) প্রতি ধাবিত হবে? তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না তোমরা আমল করে যাও, প্রত্যেকেই সহজ পন্থা পাবে। সুতরাং যে বদকার হবে, তার জন্য অশুভ ও বদকাজ সহজ করা হবে; আর যে কল্যানকামী ও নেককার হবে, তার জন্য কল্যানময় কর্ম সহজ করা হবে। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র কুরআনের আয়াতসমূহ পাঠ করেন ( ) (বুখারী, মুসলিম, আবূ ইয়ালা।)



মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর৩০। জাবির ইবনুু্ আবদিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি (একদা) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমরা কর্ম বা আমল করবো সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে এমন বিষয়ের ভিত্তিতে, নাকি যা আমরা নতুন করে শুরু করছি এমন বিশ্বাসের? তিনি উত্তরে বললেন-যা সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে (অর্থাৎ তাকদীরের বিশ্বাসের ভিত্তিতে)। সুরাকা বললেন, তাহলে আমলের তাৎপর্য কোথায়? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, প্রত্যেক আমলকারীর জন্য তার আমল (কর্ম) সহজ হয়েছে। (অর্থাৎ যে কর্ম যার কাছে সহজ মনে হবে, ভাল হউক কিংবা মন্দ, তাকে সেই কর্মের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে।) (মুসলিম)




মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর২৮। উমর ইবনুল খাত্তার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, জুহাইনা অথবা মুযাইনা গোত্রের জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমরা কিসের ভিত্তিতে (বা বিশ্বাসে) আমল বা কর্ম করবো যা অতীত বিগত হয়ে গিয়েছে (তাকদীর), অথবা (নাকি) বর্তমান সময়ে শুরু হবে (কার্যকারণ) এর ভিত্তিতে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কর্ম করবে যা অতীত বা বিগত হয়েছে (তাকদীর) তার ভিত্তিতে। অতঃপর জনৈক ব্যক্তি অথবা কয়েকজন প্রশ্ন করল, তাহলে আমাদের আমলের তাৎপর্য বা উদ্দেশ্য কী, ইয়া রাসূলুল্লাহ? বললেন, জান্নাতবাসীগণের জন্য জান্নাতবাসীর (উপযুক্ত) কাজ সহজ করা হবে এবং দোযখবাসীদের জন্য দোযখবাসীর (উপযোগী) কাজ সহজ করা হবে। (এটি পূর্বের পরিচ্ছেদ বর্ণিত আবদুল্লাহ ইবনুু্ উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত সুদীর্ঘ হাদীসের একটি অংশ বিশেষ।)




মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর২৭। আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমল কিসের ভিত্তিতে হবে যা বিগত হয়েছে অর্থাৎ তাকদীর অনুযায়ী, নাকি এখন (বর্তমান সময়ে) যা সৃষ্টি হচ্ছে (কার্যকরণ সম্পর্কের তার ভিত্তিতে?) তিনি বললেন, বরং যা সম্পন্ন হয়ে বিগত হয়েছে তার ভিত্তিতে, আমি বললাম, তাহলে আমল বা কর্মের তাৎপর্য কি, ইয়া রাসূলুল্লাহ? বললেন, যে কর্মের জন্য যাকে সৃষ্টি করা হয়েছে, তা তার জন্য সহজ। (এতটুকু উপলব্দি করেই কর্মে প্রবৃত্ত হতে হবে)। (তিবরানী ও বায্যার)





মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর১৬। আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিনের জন্য আনন্দ সংবাদ হচ্ছে এই যে, আল্লাহ তা’আলা তাঁর জন্য যা কিছুই লিপিবদ্ধ করুন না কেন তাতেই তার কল্যাণ। (সূয়ুতী, আবূ ইয়া’লা আবূ নাঈম, সুয়ূতী হাদীসটির পাশে হাসান হবার প্রতীক ব্যবহার করেছেন।)





মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর৬। আনাস ইবনুু্ মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, শেষ পরিণতি কী হয় তা না দেখে কারো সম্পর্কে তোমাদের পুলকিত কিংবা অবাক হওয়া উচিত নয়। কেননা, (এটা সত্য যে,) কোন আমলকারী তার জীবনের সুদীর্ঘকাল অথবা তার সময়কালের বিরাট অংশ নেক আমল করে কাটিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হলে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারতো। কিন্তু (পরবর্তীতে) সে উল্টে যায় এবং বদ আমল করতে থাকে। (অবশেষে তার পরিণতি হয় দোযখ), অপরদিকে (দেখা যায় যে,) আল্লাহর কোন বান্দা তার সময়কালের বিরাট অংশ বদ আমল করলো, যদি ঐ সময়ে তার মৃত্যু হতো, তবে সে দোযখে প্রবেশ করতো। (কিন্তু না) পরে সে প্রত্যাবর্তন করে এবং নেক আমল করতে থাকে এবং যখন আল্লাহ তা’আলা কোন বান্দার জন্য কল্যান চান তখন সেই বান্দাকে মৃত্যুর পূর্বে কল্যানে নিয়োজিত করবেন? সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! কিভাবে তাকে কল্যাণে নিয়োজিত করবেন? উত্তরে তিনি বললেন, তাকে সৎ কর্মের তওফিক দান করবেন। অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান। (তিরমিযী, এই হাদীসটিকে সহীহ্ বলেছেন। হাদীসটি আবূ ইয়ালা সাঈদ ইবনুু্ মানসূর, আব্দ ইবনুু্ হুমাইদ প্রমুখও বর্ণনা করেছেন।)



মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর৩। তা’উস ইবনুু্ য়ামানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণের মধ্য থেকে বহু লোককে বলতে শুনেছি যে, প্রতিটি বস্তু (অস্তিত্ব লাভ করে) সুনির্দিষ্ট কদর (তাকদীর) নিয়ে। বর্ণনাকারী বলেন, আর আমি হযরত আবদুল্লাহ ইবনুু্ ‘উমর (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, প্রতিটি বস্তু সুনির্দিষ্ট কদর (তাকদীর) এর সাথে যুক্ত। এমনকি অপারগতা ও সক্ষমতা (অর্থাৎ কোন কিছু করার শক্তি-সামর্থ এবং না পারার অপারগতাও তাকদীরের সাথে সংযুক্ত) (মুসলিম, মালিক)







সহীহ বুখারী (ইফাঃ), ৭০/ তাকদির৬১৬৪ মুহাম্মাদ ইবনু মুকাতিল আবূ-ল হাসান (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকাংশ সময় এইরুপ শপথ করতেনঃ শপথ অন্তর সমূহের পরিবর্তনকারী (আল্লাহর)।





সহীহ বুখারী (ইফাঃ), ৭০/ তাকদির৬১৫৯ মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ছোট গুনাহ সম্পর্কে যা বলেছেনঃ তার চেয়ে যথাযথ উপমা আমি দেখি না। (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ) আল্লাহ আদম সন্তানের উপর যিনার কোন না কোন হিসসা লিখে দিয়েছেন; তা সে অবশ্যই পাবে। সুতরাং চোখের যিনা হল (নিষিদ্ধদের প্রতি) নযর করা এবং জিহবার যিনা হল (যিনা সম্পর্কে) বলা। মন তার আকাঙ্ক্ষা ও কামনা করে, লজ্জাস্হান তাকে বাস্তবায়িত করে অথবা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। শাবাবা (রহঃ) ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরুপ বর্ণনা করেছেন।









সহীহ বুখারী (ইফাঃ), ৭০/ তাকদির৬১৫৪ সাঈদ ইবনু আবূ মারিয়াম (রহঃ) সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে থেকে যে সমস্ত মুসলমান যুদ্ধ করেছেন তাদের মাঝে একজন ছিল তীব্র আক্রমণকারী। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে নযর করে বললেনঃ যে ব্যাক্তি কোন জাহান্নামীকে দেখতে ইচ্ছা করে সে যেন এই লোকটির দিকে নযর করে। উপস্থিত লোকদের ভিতর থেকে এক ব্যাক্তি সেই লোকটির অনুসরন করল। আর সে তখন প্রচণ্ডভাবে মুশরিকদের সঙ্গে মুকাবিলা করছিল। এমন কি সে (এক পর্যায়ে) যখম হয়ে তাড়াতাড়ি মৃত্যুবরণ করতে চাইল। সে তার তরবারীর তীক্ষ্ণ দিকটি তার বুকের উপর দাবিয়ে দিল। এমন কি দু-কাঁধের মাঝ দিয়ে তরবারী বক্ষ ভেদ করল। (এতদৃষ্টে) লোকটি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে দৌড়ে এসে বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি সত্যই আপনি আল্লাহর রাসূল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কি হল? লোকটি বলল, আপনি অমুক ব্যাক্তি সম্পর্কে বলেছিলেনঃ “যে ব্যাক্তি কোন জাহান্নামী লোক দেখতে চায় সে যেন এ লোকটিকে দেখে নেয়। ” অথচ লোকটি অন্যান্য মূসলমানের তুলনায় অধিক রুপে আক্রমনকারী ছিল। সূতরাং আমার ধারণা ছিল এ লোকটির মৃত্যু এহেন অবস্হায় হবে না। যখন সে আঘাত প্রাপ্ত হল, তাড়াতাড়ি মৃত্যু কামনা করল এবং আত্নহত্যা করে বসল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একথা শুনে বললেনঃ নিশ্চয়ই কোন বান্দা জাহান্নামীদের আমল করেন মূলত সে জান্নাতী। আর কোন বান্দা জান্নাতী লোকের আমল করেন মুলত সে জাহান্নামী। নিশ্চয়ই আমলের ভাল-মন্দ নির্ভর করে তার পারিণামের উপর।







সহীহ বুখারী (ইফাঃ), ৭০/ তাকদির৬১৪৭ ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন সন্তান যখন জন্মগ্রহণ করে, তবে স্বভাবধর্মের (ইসলাম) ওপরই জন্মগ্রহন করে। কিন্তু তার পিতামাতা (পরবর্তীতে) তাকে ইয়াহুদি বা নাসারা বানিয়ে দেয়। যেমন কোন চতূস্পদ প্রাণী যখন বাচ্চা প্রদান করে তখন কি কানকাটা (ত্রুটিযুক্ত) দেখতে পাও? যতক্ষন তোমরা তার কানকেটে ক্রটিযুক্ত করে দাও। তখন সাহাবাগণ আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! নাবালিগ অবস্থায় যে মৃত্যুবরণ করে তার সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তিনি বললেনঃ তারা যা করত এ সম্পর্কে আল্লাহ তা-আলা সর্বাধিক অবহিত।




সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৪৭/ তাকদীর৬৪৯৮। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম হানযালী (রহঃ) আবূল আসওয়াদ দায়লী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “ ইমরান ইবনু হুসায়ন (রহঃ) আমাকে বললেন, আজকাল লোকেরা যে সব আমল করে এবং যে কষ্ট করে, সে সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তা কি এমন কিছু যা তাদের উপর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এবং ভাগ্যলিপি দ্বারা তাদের উপর পূর্ব নির্ধারিত? নাকি ভবিষ্যতে তারা করবে যা তাদের কাছে তাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়ে এসেছেন এবং যাদের উপর দলীল-প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? তখন আমি বললাম, বরং ব্যাপারটি তো তাদের উপর অতীতে সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। রাবী বলেন, তখন তিনি বললেন, তাহলে তা কি যুলূম হবে না। তিনি বললেন, এতে আমি খুবই ঘাবড়ে গেলাম এবং বললাম, প্রতিটি বস্তুই আল্লাহর সৃষ্টি এবং তাঁর ক্ষমতাধীন। সুতরাং তিনি যা করেন, সে বিষয়ে কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না বরং তাদেরই জবাব দিহি করতে হবে। এরপর তিনি আমাকে বললেন, আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন। আমি আপনাকে প্রশ্ন করে আপনার উপলব্ধি অনুমান করতে চেয়েছিলাম। মূযায়না গোত্রের দুজন লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ! লোকেরা বর্তমানে যে সব আমল করে এবং কষ্ট করে, সেগুলি কি তাদের জন্য ফয়সালা হয়ে গিয়েছে, আগেই তাকদীর দ্বারা নির্ধারিত, নাকি ভবিষ্যতে তারা সে সব আমল করবে, যা তাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে নিয়ে এসেছে এবং তাদের উপর দলীল প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তখন তিনি বললেনঃ না বরং বিষয়টি তাদের জন্য ফয়সালা করা হয়েছে এবং পূর্ব থেকেই তাদের জন্য তা সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে? আল্লাহর কিতাবে তার প্রমাণঃ আর কসম মানুষের এবং তার, তিনি তাকে সূঠাম করেছেন, এরপর তাকে তিনি পাপ-পূণ্যের জ্ঞান দান করেছেন।”





সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৪৭/ তাকদীর৬৪৯৬। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রশ্ন করা না, ইয়া রাসুলুল্লাহ! জাহান্নামীদের থেকে জান্নাতীদের চিহ্নিত করা হয়ে গেছে কি? তিনি বললেন, হ্যা। রাবী বলেন জিজ্ঞাসা করা হল, তাহলে আমলকারী কিসের জন্য আমল করবে? তিনি বললেনঃ প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য সেই কাজই সহজ করে দেওয়া হবে, যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।





সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৪৭/ তাকদীর৬৪৯২। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, যুহায়র ইবনু হারব, আবূ সাঈদ আশাজ্জ ইবনু নুমায়র ও আবূ কুরাইব (রহঃ) আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একখন্ড কাঠ হাতে নিয়ে উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি তা দ্বারা যমীনে টোকা দিচ্ছিলেন। এরপর তিনি তার মাথা উঠালেন। তখন তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার জান্নাত ও জাহান্নামের ঠিকানা তিনি জানেন না। তারা বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তাহলে আমরা কাজ-কর্ম ছেড়ে কি ভরসা করে বসে থাকব না? তিনি বললেন, না, বরং আমল করতে থাক। যাকে যে জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তাই তার জন্য সহজ করা হয়েছে। এরপর তিনি তিলওয়াত করলেনঃ “সুতরাং যারা দান করল, পরহেযগারী ইখতিয়ার করল এবং যা ভাল তা গ্রহণ করল, কঠোর পরিণামের পথ সুগম করে দেব, পর্যন্ত। (সূরা আল লায়লঃ ৫-১০।)






সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৪৭/ তাকদীর৬৪৯০। উসমান ইবনু আবূ শায়বা, যুহায়র ইবনু হারব ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা বাকী গারকাদে একটি জানাযাতে ছিলাম। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে এসে বসলেন এবং আমরাও তাঁর পাশে বসলাম। তার সংগে তাঁর ছড়িটিও ছিল। তিনি মাথা ঝুঁকিয়ে ছিলেন। সে সময় তিনি তার ছড়ি দ্বারা যমীনে টোকা দিচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কোন ব্যক্তি নেই, যার ঠিকানা আল্লাহ তাআলা জান্নাতে ও জাহান্নামে নির্ধারণ করেননি এবং সে বদকার হবে ও পূণ্যবান হবে, তাও লিপিবদ্ধ করেননি। বর্ণনাকারী বলেন, তখন জনৈক ব্যক্তি আরয করল, ইয়া রাসুলুল্লাহ !আমরা কি আমাদের অদৃষ্ট লিপির উপর স্হির থেকে আমল ছেড়ে দেব না? তখন তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি নেককারদের অন্তর্ভুক্ত সে নেক্বকারদের আমলের দিকে পরিচালিত হবে। আর যে ব্যক্তি বদকারদের অন্তভুক্ত সে বদকারদের আমলের দিকে পরিচালিত হবে। এরপর বললেনঃ তোমরা আমল করে যাও। প্রত্যেকের পথ সুগম করে দেওয়া হয়েছে। নেক আমলকারীদের জন্য নেক আমল করা সহজ করে দেওয়া হবে। কিন্তু বদকারদের জন্য বদকারী আমল সহজ করে দেওয়া হবে। এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ “সুতরাং যারা দান করল, পরহিযগারী ইখতিয়ার করল এবং যা উত্তম তা গ্রহন করল, আমি তাদের জন্য সুখকর পরিণামের পথ সুগম করে দেব এবং যারা কৃপণতা করল এবং নিজকে স্বয়ং সম্পূর্ণ মনে করল আর যা উত্তম তা মিথ্যা প্রতিপন্ন করল, আমি তার জন্য কঠোর পরিণামের পথ সুগম করে দেব।” (সূরা আল লায়লঃ ৫-১০।)







সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৪৭/ তাকদীর৬৪৮৫। আবূ তাহির আহমাদ ইবনু আমর ইবনু সারহ (রহঃ) আমেরি ইবনু ওয়াসিলা (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) -কে বলতে শুনেছেন যে, তিনি বলেছেন, হতভাগ্য সেই ব্যক্তি, যে তার মাতৃ উদর থেকে হতভাগ্য রুপে জন্ম-গ্রহণ করেছে। আর ভাগ্যবান ব্যক্তি সে, যে অন্যের কাছ থেকে নসীয়ত লাভ করে। এরপর তিনি (আমির ইবনু ওয়াসিলা (রহঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাহাবী হুযায়ফা ইবনু উসায়দ (রাঃ) -এর কাছে এলেন। তখন তিনি তার কাছে আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) -এর উক্তি বর্ণনা করলেন এবং বললেন, আমল ব্যতীত একজন মানুষ কিভাবে গুনাহগার হতে পারে? এরপর তিনি (হুযায়ফা (রাঃ) তাকে বললেন, তুমি কি এতে বিস্ময়বোধ করছ? আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেনঃ যখন শুক্রের উপর বিয়াল্লিশ দিন অতিবাহিত হয়ে যায় তখন আল্লাহ তাআলা একজন ফিরিশতা পাঠানা সে সেটিকে (শুক্রকে) একটি আকৃতি দান করে, তার কান, চোখ, চামড়া, গোশত ও হাড় সৃষ্টি করে দেয়। এরপর সে বলে, হে আমার প্রতিপালক! সে কি পুরুষ, না ন্ত্রীলোক হবে? তখন তোমার রব যা চান নির্দেশ দেন এবং ফিরিশতা নির্দেশ মুতাবিক লিপিবদ্ধ করেন। এরপর সে বলতে থাকে, হে আমার প্রতিপালক! তার বয়স কত হবে? তখন তোমার রব যা চান তাই বলেন এবং সেই মুতাবিক ফিরিশতা লিখেন। এরপর সে বলতে থাকে, হে আমার প্রতিপালক! তার জীবিকা কি হবে, তখন তোমার রব তার মর্জি মাফিক মীমাংসা করেন এবং ফিরিশতা তা লিপিবদ্ধ করেন। এরপর ফিরিশতা তাঁর হাতে একটি লিপি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। সে তাতে বাড়ায়ও না এবং কমায়ও না।









সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৪৭/ তাকদীর৬৪৮৪। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র ও যুবায়র ইবনু হারব (রহঃ) হুযায়ফ ইবনু উসায়দ (রহঃ) থেকে মারফূ সনদে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জরায়ুতে চল্লিশ কিংবা পঁয়তাল্লিশ দিন শুক্র স্হির থাকার পর সেখানে ফিরিশতা প্রবেশ করে। এরপর সে বলতে থাকে, হে পরওয়ারদিগার! সে কি পানানা পূণ্যবান? তখন লিপিবদ্ধ করা হয়। এরপর সে বলতে থাকে, সে কি পুরুষ না স্ত্রীলোক? তখন নির্দেশ অনুযায়ী লিপিবদ্ধ করা হয়। তার আমল, আচরণ, নিয়তি ও জীবিকা লিপিবদ্ধ করা হয়। এরপর ফলকটিকে ভাজ করে দেওয়া হয়। তাতে কোন সংযোজন করা হবে না এবং বিয়োজনও নয়।









আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ

مَا أَصَابَ مِن مُّصِيبَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ وَمَن يُؤْمِن بِاللَّهِ يَهْدِ قَلْبَهُ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ

[سورة التغابن، الآية:11]

অর্থঃ ((আল্লাহর অনুমতি ব্যতিরেকে কোন প্রকার বিপদ আসে না,এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে, আল্লাহ্ তার অন্তরকে সৎপথ প্রদর্শন করবেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।)) [সূরা আত্-তাগাবুন, আয়াত-১১]






وَلَوْ شَاء اللّهُ لَجَعَلَكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَلكِن يُضِلُّ مَن يَشَاء وَيَهْدِي مَن يَشَاء وَلَتُسْأَلُنَّ عَمَّا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ


আল্লাহ ইচ্ছা করলে তোমাদের সবাইকে এক জাতি করে দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছা বিপথগামী করেন এবং যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। তোমরা যা কর সে বিষয়ে অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে(নাহল৯৩)

[সুরা রাদ, সুরা নং-১৩, আয়াত নং-২৭]








وَمَا تَشَاؤُونَ إِلَّا أَن يَشَاء اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ

29

তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অভিপ্রায়ের বাইরে অন্য কিছুই ইচ্ছা করতে পার না।(তাকভির ২৯)
আয়াতেএ ব্যাখ্যায় ইবনে কাসিরে আবু জাহেলের আকিদার কথাও এসেছে, যে এরা নিজেদের আয়ত্ত্বে সৎ অসৎ পথে থাকার বিষয়টি মনে করে।




ইবনে আব্বাস

একদা এক ব্যক্তি কোন ব্যাপারে তাঁকে বলল, ‘আল্লাহ ও আপনি যা চেয়েছেন (তাই হয়েছে)।’ তা শুনে তিনি বললেন, “তুমি তো আল্লাহর সঙ্গে আমাকে শরীক (বা সমকক্ষ) করে ফেললে! না, বরং আল্লাহ একাই যা চেয়েছেন, তাই হয়েছে।” (আহমদ ১৮৩৯, বুখারীর আদব ৭৮৩, ইবনে মাজাহ ২১১৭, বাইহাক্বী ৫৬০৩, সিঃ সহীহাহ ১৩৯নং)

বুলুগুল মারাম, হাদিস নং ১৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com





যেমন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

إذا ذكر القدر فأمسكوا [رواه مسلم].

অর্থঃ ((যখন ভাগ্যের কথা স্বরণ হবে তখন তোমরা তা নিয়ে তর্ক বির্তকে লিপ্ত না হয়ে চুপ থাকবে।)) [মুসলিম]








Lo! This is an Admonishment, that whosoever will may choose a way unto his Lord. Yet ye will not, unless Allah willeth. Lo! Allah is Knower, Wise.” (দাহর: 29-30)


llah says,“Had Allah willed, He would have brought them all together to the guidance; if thy Lord had willed whoever is in the earth would have believed, all of them, all together.”(Yunus: 99)“Had Allah willed, they were not idolaters; and We have not appointed thee a watcher over them neither art thou their guardian.” (Al-An`am: 107

ief and disbelief. Allah Almighty says, “Say: The truth is from your Lord; so let whosoever will believe, and let whosoever will disbelieve.” (Al-Kahf: 29

says,“If you art ungrateful, Allah is independent of you. Yet He approves not ungratefulness in His servants; but if you are grateful, He will approve it in you.” (Az-Zumar: 7)”

https://archive.islamonline.net/?p=1317








Say, ‘Only what God has decreed will happen to us. He is our Master: let the believers put their trust in God.’” (9:51)






Allâh also says in the Qur’an :

﴿وَلَوْ شِئْنَا لَآتَيْنَا كُلّ نَفْسٍ هُدَاهَا وَلَكِنْ حَقّ الْقَوْلُ مِنِّي لَأَمْلَأَنّ جَهَنّمَ مِنَ الْجِنّةِ وَالنّاسِ أَجْمَعِينَ﴾

Which means: « if God wanted, He would have guided everyone [to Islam], but God wanted there to be humans and jinn entering Hell », [surat As-sajdah ‘Ayah 13]. God does what He wants, He is not questioned about what He does. Allâh says in the Qur’an:

﴿لاَ يُسْأَلُ عَمّا يَفْعَلُ وَهُمْ يُسْأَلُونَ﴾

Which means: « God is not questioned about what He does and the slaves will be questioned », [surat Al-‘Anbiyâ’ ‘Ayah 23].









The Prophet MuHammad Sallallâhu `alayhi wa sallam, said:

« اْلإِيمَانُ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الاخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ »

Which means: « Belief is to believe in Allah, His angels, His Books, His messengers, the Day of Judgment, and to believe in the qadar (destiny), both the good and the evil »





The Prophet MuHammad Salla lLâhu `alayhi wa sallam said: «There will be people from my community who will become disbelievers in Allah and in the Qur’an and they do not realize, I said O messenger of God, how do they say ? He said they believe in some of the predestination and they deny part of it, they say the good comes from God and the evil comes from the chaytan » related by Imam Al Bayhaqiyy with a chain of transmission according to Râfi` ibnou Khadîj the companion of the the Prophet







حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ جَاءَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَيِّنْ لَنَا دِينَنَا كَأَنَّا خُلِقْنَا الآنَ فِيمَا الْعَمَلُ الْيَوْمَ أَفِيمَا جَفَّتْ بِهِ الأَقْلاَمُ وَجَرَتْ بِهِ الْمَقَادِيرُ أَمْ فِيمَا نَسْتَقْبِلُ قَالَ ‏"‏ لاَ ‏.‏ بَلْ فِيمَا جَفَّتْ بِهِ الأَقْلاَمُ وَجَرَتْ بِهِ الْمَقَادِيرُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَفِيمَ الْعَمَلُ قَالَ زُهَيْرٌ ثُمَّ تَكَلَّمَ أَبُو الزُّبَيْرِ بِشَىْءٍ لَمْ أَفْهَمْهُ فَسَأَلْتُ مَا قَالَ فَقَالَ ‏"‏ اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ ‏"‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ)

তিনি বলেন, সুরাকাহ্ ইবনু মালিক ইবনু জু‘শুম (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলেন, অতঃপর বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমাদের সামনে আমাদের দ্বীন সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করুন, যেন আমরা এই মাত্র সৃষ্ট হয়েছি। আজকের ‘আমাল কি ঐ বিষয়ের উপর যার সম্পর্কে কলম লিখে শুকিয়ে গেছে এবং তাক্দীর তার উপর চলছে? নাকি আমরা ভবিষ্যতে তার সামনাসামনি হব? তিনি বললেন, না; বরং কলম যা কিছু লিখার লিখে শুকিয়ে গেছে ও সে অনুযায়ী তাকদীর জারী হয়ে গেছে। সুরাকাহ্ বললেন, তাহলে কিসের জন্য ‘আমাল করার প্রয়োজন?
যুহায়র বলেন, অতঃপর আবূ যুবায়র কিছু কথা বললেন, যা আমি বুঝতে পারিনি। অতঃপর আমি (লোকেদের) প্রশ্ন করলাম, তিনি কি বললেন। জবাবে বললেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা ‘আমাল করতে থাকো; প্রত্যেকের জন্য সে পথ সহজ করা হয়েছে।
(ই.ফা. ৬৪৯৪, ই.সে. ৬৫৪৬)

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৬৬২৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com



عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ -رضي الله عنه- عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «لَا يَأْتِ ابْنَ آدَمَ النَّذْرُ بِشَيْءٍ لَمْ يَكُنْ قَدْ قَدَّرْتُهُ, وَلَكِنْ يُلْقِيهِ الْقَدَرُ وَقَدْ قَدَّرْتُهُ لَهُ أَسْتَخْرِجُ بِهِ مِنْ الْبَخِيلِ » . ( خ, م ) صحيح

আবু হুরায়রা (রাঃ)

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “বনি আদমের নিকট মান্নত কোন জিনিস নিয়ে আসে না যা আমি তার জন্য নির্ধারণ করি নি, কিন্তু তাকদির তাকে পেয়ে বসে [১], আমি তার জন্য নির্ধারণ করে রেখেছি এর দ্বারা কৃপণ থেকে সম্পদ বের করব”। [বুখারি ও মুসলিম]

সহিহ হাদিসে কুদসি, হাদিস নং ১৬০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com








حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ لاَ يَزِيدُ فِي الْعُمْرِ إِلاَّ الْبِرُّ وَلاَ يَرُدُّ الْقَدَرَ إِلاَّ الدُّعَاءُ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيُحْرَمُ الرِّزْقَ لِلْخَطِيئَةِ يَعْمَلُهَا ‏"‏ ‏.‏

সাওবান (রাঃ)

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কেবল সৎ কর্মই আয়ু বৃদ্ধি করে এবং দু’আ ব্যতীত অন্য কিছুতে তাকদীর রদ হয় না। মানুষের অসৎ কর্মই তাকে রিয্‌ক বঞ্চিত করে। [৮৮]

তাহকীক আলবানীঃ (আরবী) কথাটি ছাড়া হাসান।

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৯০
হাদিসের মান: অন্যান্য
Source: ihadis.com




حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ: حَدَّثَنِي الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: إِذَا طَلَبَ أَحَدُكُمُ الْحَاجَةَ فَلْيَطْلُبْهَا طَلَبًا يَسِيرًا، فَإِنَّمَا لَهُ مَا قُدِّرَ لَهُ، وَلَا يَأْتِي أَحَدُكُمْ صَاحِبَهُ فَيَمْدَحَهُ، فَيَقْطَعَ ظَهْرَهُ

আবদুল্লাহ (রাঃ)

তোমাদের কেউ প্রয়োজনে কারো কাছে কিছু চাইলে যেন সহজভাবে চায় (বারংবার না চায়)। কেননা তার তাকদীরে যা নির্ধারিত চাছে তা সে পাবেই। তোমাদের কেউ যেন তার কোন সহযোগীর নিকট গিয়ে তার চাটুকারিতা না করে। তা করলে সে যেন তার মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিলো।

আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ৭৮৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com



حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي خِزَامَةَ، عَنْ أَبِي خِزَامَةَ، قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَرَأَيْتَ أَدْوِيَةً نَتَدَاوَى بِهَا وَرُقًى نَسْتَرْقِي بِهَا وَتُقًى نَتَّقِيهَا هَلْ تَرُدُّ مِنْ قَدَرِ اللَّهِ شَيْئًا قَالَ ‏ "‏ هِيَ مِنْ قَدَرِ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏

আবূ খিযামাহ (রাঃ),

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞাসা করা হলো, যে সকল ঔষধ দ্বারা আমরা চিকিৎসা করি, যে ঝাড়ফুঁক করি এবং যে সকল প্রতিরোধমূলক বা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করি, সে সম্পর্কে আপনার মতামত কী? সেগুলো কি আল্লাহ নির্ধারিত তাকদীর কিছুমাত্র রদ করতে পারে? তিনি বলেনঃ সেগুলোও তাকদীরের অন্তর্ভুক্ত। [৩৪৩৭]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৪৩৭
হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস
Source: ihadis.com






حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ مُسْلِمٍ الْخَفَّافُ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ جُعْشُمٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ الْعَمَلُ فِيمَا جَفَّ بِهِ الْقَلَمُ وَجَرَتْ بِهِ الْمَقَادِيرُ أَوْ فِي أَمْرٍ مُسْتَقْبَلٍ قَالَ ‏ "‏ بَلْ فِيمَا جَفَّ بِهِ الْقَلَمُ وَجَرَتْ بِهِ الْمَقَادِيرُ وَكُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ ‏"‏ ‏.‏

সুরাকাহ বিন জু’শুম (রাঃ)

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! কার্যকলাপ কি তাই যা পূর্বেই লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং তদানুযায়ী তাকদীরে নির্ধারিত হয়েছে, না ভবিষ্যতে যা করা হবে তা? তিনি বলেন, বরং তাই যা পূর্বেই লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে এবং তদানুযায়ী তাকদীর নির্দিষ্ট হয়েছে। যাকে যে জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তার জন্য তা সহজসাধ্য করা হয়েছে।

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৯১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com




حَدَّثَنِي أَبُو خَيْثَمَةَ، زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ كَهْمَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، - وَهَذَا حَدِيثُهُ - حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، قَالَ كَانَ أَوَّلَ مَنْ قَالَ فِي الْقَدَرِ بِالْبَصْرَةِ مَعْبَدٌ الْجُهَنِيُّ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيُّ حَاجَّيْنِ أَوْ مُعْتَمِرَيْنِ فَقُلْنَا لَوْ لَقِينَا أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْنَاهُ عَمَّا يَقُولُ هَؤُلاَءِ فِي الْقَدَرِ فَوُفِّقَ لَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ دَاخِلاً الْمَسْجِدَ فَاكْتَنَفْتُهُ أَنَا وَصَاحِبِي أَحَدُنَا عَنْ يَمِينِهِ وَالآخَرُ عَنْ شِمَالِهِ فَظَنَنْتُ أَنَّ صَاحِبِي سَيَكِلُ الْكَلاَمَ إِلَىَّ فَقُلْتُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّهُ قَدْ ظَهَرَ قِبَلَنَا نَاسٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَتَقَفَّرُونَ الْعِلْمَ - وَذَكَرَ مِنْ شَأْنِهِمْ - وَأَنَّهُمْ يَزْعُمُونَ أَنْ لاَ قَدَرَ وَأَنَّ الأَمْرَ أُنُفٌ ‏.‏ قَالَ فَإِذَا لَقِيتَ أُولَئِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنِّي بَرِيءٌ مِنْهُمْ وَأَنَّهُمْ بُرَآءُ مِنِّي وَالَّذِي يَحْلِفُ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَوْ أَنَّ لأَحَدِهِمْ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا فَأَنْفَقَهُ مَا قَبِلَ اللَّهُ مِنْهُ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ ثُمَّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ إِذْ طَلَعَ عَلَيْنَا رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعَرِ لاَ يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلاَ يَعْرِفُهُ مِنَّا أَحَدٌ حَتَّى جَلَسَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَسْنَدَ رُكْبَتَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى فَخِذَيْهِ وَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي عَنِ الإِسْلاَمِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏‏ الإِسْلاَمُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَتُقِيمَ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ وَتَحُجَّ الْبَيْتَ إِنِ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ‏.‏ قَالَ صَدَقْتَ ‏.‏ قَالَ فَعَجِبْنَا لَهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ ‏.‏ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ الإِيمَانِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ صَدَقْتَ ‏.‏ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ الإِحْسَانِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ السَّاعَةِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ أَمَارَتِهَا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَنْ تَلِدَ الأَمَةُ رَبَّتَهَا وَأَنْ تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الْعَالَةَ رِعَاءَ الشَّاءِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ انْطَلَقَ فَلَبِثْتُ مَلِيًّا ثُمَّ قَالَ لِي ‏"‏ يَا عُمَرُ أَتَدْرِي مَنِ السَّائِلُ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّهُ جِبْرِيلُ أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ دِينَكُمْ ‏"‏ ‏.‏"



It is narrated on the authority of Yahya b. Ya'mur that the first man who discussed qadr (Divine Decree) in Basra was Ma'bad al-Juhani. I along with Humaid b. 'Abdur-Rahman Himyari set out for pilgrimage or for 'Umrah and said:

Should it so happen that we come into contact with one of the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) we shall ask him about what is talked about
<i>taqdir</i> (Divine Decree). Accidentally we came across Abdullah ibn Umar ibn al-Khattab, while he was entering the mosque. My companion and I surrounded him. One of us (stood) on his right and the other stood on his left. I expected that my companion would authorize me to speak. I therefore said: Abu Abdur Rahman! There have appeared some people in our land who recite the Qur'an and pursue knowledge. And then after talking about their affairs, added: They (such people) claim that there is no such thing as Divine Decree and events are not predestined. He (Abdullah ibn Umar) said: When you happen to meet such people tell them that I have nothing to do with them and they have nothing to do with me. And verily they are in no way responsible for my (belief). Abdullah ibn Umar swore by Him (the Lord) (and said): If any one of them (who does not believe in the Divine Decree) had with him gold equal to the bulk of (the mountain) Uhud and spent it (in the way of Allah), Allah would not accept it unless he affirmed his faith in Divine Decree. He further said: My father, Umar ibn al-Khattab, told me: One day we were sitting in the company of Allah's Apostle (ﷺ) when there appeared before us a man dressed in pure white clothes, his hair extraordinarily black. There were no signs of travel on him. None amongst us recognized him. At last he sat with the Apostle (ﷺ) He knelt before him placed his palms on his thighs and said: Muhammad, inform me about al-Islam. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Al-Islam implies that you testify that there is no god but Allah and that Muhammad is the messenger of Allah, and you establish prayer, pay Zakat, observe the fast of Ramadan, and perform pilgrimage to the (House) if you are solvent enough (to bear the expense of) the journey. He (the inquirer) said: You have told the truth. He (Umar ibn al-Khattab) said: It amazed us that he would put the question and then he would himself verify the truth. He (the inquirer) said: Inform me about Iman (faith). He (the Holy Prophet) replied: That you affirm your faith in Allah, in His angels, in His Books, in His Apostles, in the Day of Judgment, and you affirm your faith in the Divine Decree about good and evil. He (the inquirer) said: You have told the truth. He (the inquirer) again said: Inform me about al-Ihsan (performance of good deeds). He (the Holy Prophet) said: That you worship Allah as if you are seeing Him, for though you don't see Him, He, verily, sees you. He (the enquirer) again said: Inform me about the hour (of the Doom). He (the Holy Prophet) remarked: One who is asked knows no more than the one who is inquiring (about it). He (the inquirer) said: Tell me some of its indications. He (the Holy Prophet) said: That the slave-girl will give birth to her mistress and master, that you will find barefooted, destitute goat-herds vying with one another in the construction of magnificent buildings. He (the narrator, Umar ibn al-Khattab) said: Then he (the inquirer) went on his way but I stayed with him (the Holy Prophet) for a long while. He then, said to me: Umar, do you know who this inquirer was? I replied: Allah and His Apostle knows best. He (the Holy Prophet) remarked: He was Gabriel (the angel). He came to you in order to instruct you in matters of religion.



Sahih Muslim 8 a
In-book : Book 1, Hadith 1
USC-MSA web (English) : Book 1, Hadith 1  (deprecated)

Get Hadith Collection (All in one) App:https://goo.gl/8j06i9


৬১৪৬। ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মুশরিকদের (মৃত নাবালিগ) সন্তান-সন্ততি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেনঃ তারা যা করত এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা সর্বাধিক অবহিত।


হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

পুনঃনিরীক্ষণঃ

বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)




৬১৪২। আবূল ওয়ালীদ হিশাম ইবনু আবদউল মালিক (রহঃ) ... আবদূলাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ বিশ্বাসী ও বিশ্বস্ত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকেই আপন আপন মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত শুক্র বিন্দুরূপে জমা থাক। তারপর ঐরুপ চল্লিশ দিন রক্তপিণ্ড এবং এরপর ঐরুপ চল্লিশ দিন গোশত পিন্ডাকারে থাকে। তারপর আল্লাহ একজন ফেরেশতা প্রেরন করেন এবং তাকে বিযিক, মউত, দূর্ভাগ্য ও সৌভাগ্য-এ চারটি ব্যাপার লিপিবদ্ধ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। তিনি আরও বলেন, আল্লাহর কসম! তোমাদের মাঝে যে কেউ অথবা বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তি জাহান্নামীদের আমল করতে থাকে।

এমন কি তার মাঝে এবং জাহান্নামের মাঝে তখন কেবলমাত্র একহাত বা এক গজের ব্যবধান থাকে। এমন সময় তাকদীর তার ওপর প্রাধান্য বিস্তার করে আর তখন সে জান্নাতীদের আমল করা শুরু করে দেয়। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে। আর এক ব্যাক্তি বেহেশতীদের আমল করতে থাকে। এমন কি তার মাঝে ও জান্নাতের মাঝে কেবলমাত্র এক গজ বা দু-গজের ব্যবধান থাকে। এমন সময় তাকদীর তার উপর প্রাধান্য বিস্তার করে আর অমনি সে জাহান্নামীদের আমল শুরু করে দেয়। ফলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। আবূ আবদুল্লাহ বুখারী (রহঃ) বলেন যে, আদম তার বর্ননায় শুধুমাত্র ذِرَاعٌ‏ (এক গজ) বলেছেন।


হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

পুনঃনিরীক্ষণঃ

বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)





• Abu Al Aswad Ad-Diyaly said: `Imran ibn Al Husayn said to me: Have you seen the actions which people do? Are they predestined on them or something that shall be written on them in the future and proofs were set against them? I said: It is something which Allah predestined on them in the past. He then said: Would not be oppression to them? I said: I got extremely frightened and said: Everything Allah has created and it belongs to Him, so He is not questioned about what He is doing but they are. He said: May Allah bestow mercy on you, I have not said that but to warn my mind not to question the matter. Two men from the tribe of Mazinah came to the Prophet (peace be upon him) and said: O Messenger of Allah, Have you seen the actions which people do? Are they predestined on them or something that shall be written on them in the future and proofs were set against them? The Prophet (peace be upon him) said: It is something which Allah predestined on them in the past. The confirmation of that is found in the Book of Allah: "And by Nafs (Adam or a person or a soul, etc.), and Him Who perfected him in proportion * Then He showed him what is wrong for him and what is right for him" [Surat Ash-Shams: 7 - 8][19]


 Reported by Imam Muslim in the book of destiny – 2650.



حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، قَالَ حَدَّثَنِي جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَلِيٍّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنَّا فِي جَنَازَةٍ فِي بَقِيعِ الْغَرْقَدِ، فَأَتَانَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَعَدَ وَقَعَدْنَا حَوْلَهُ، وَمَعَهُ مِخْصَرَةٌ فَنَكَّسَ، فَجَعَلَ يَنْكُتُ بِمِخْصَرَتِهِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ، مَا مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ إِلاَّ كُتِبَ مَكَانُهَا مِنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ، وَإِلاَّ قَدْ كُتِبَ شَقِيَّةً أَوْ سَعِيدَةً ‏"‏‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَفَلاَ نَتَّكِلُ عَلَى كِتَابِنَا وَنَدَعُ الْعَمَلَ، فَمَنْ كَانَ مِنَّا مِنْ أَهْلِ السَّعَادَةِ فَسَيَصِيرُ إِلَى عَمَلِ أَهْلِ السَّعَادَةِ، وَأَمَّا مَنْ كَانَ مِنَّا مِنْ أَهْلِ الشَّقَاوَةِ فَسَيَصِيرُ إِلَى عَمَلِ أَهْلِ الشَّقَاوَةِ قَالَ ‏"‏ أَمَّا أَهْلُ السَّعَادَةِ فَيُيَسَّرُونَ لِعَمَلِ السَّعَادَةِ، وَأَمَّا أَهْلُ الشَّقَاوَةِ فَيُيَسَّرُونَ لِعَمَلِ الشَّقَاوَةِ ‏"‏، ثُمَّ قَرَأَ ‏{‏فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى‏}‏ الآيَةَ‏.‏

‘আলী (রাঃ)

তিনি বলেন, আমরা বাকী’উল গারক্বাদ (কবরস্থানে) এক জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। নবী  (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট আগমন করলেন। তিনি উপবেশন করলে আমরাও তাঁর চারদিকে বসে পড়লাম। তাঁর হাতে একটি ছড়ি ছিল। তিনি নীচের দিকে তাকিয়ে তাঁর ছড়িটি দ্বারা মাটি খুঁড়তে লাগলেন। অতঃপর বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, অথবা বললেনঃ এমন কোন সৃষ্ট প্রাণী নেই, যার জন্য জান্নাত ও জাহান্নামে জায়গা নির্ধারিত করে দেয়া হয়নি আর এ কথা লিখে দেয়া হয়নি যে, সে দুর্ভাগা হবে কিংবা ভাগ্যবান। তখন এক ব্যক্তি আরয করল, হে আল্লাহর রসূল! তা হলে কি আমরা আমাদের ভাগ্যলিপির উপর ভরসা করে আমল করা ছেড়ে দিব না? কেননা, আমাদের মধ্যে যারা ভাগ্যবান তারা অচিরেই ভাগ্যবানদের আমলের দিকে ধাবিত হবে। আর যারা দুর্ভাগা তারা অচিরেই দুর্ভাগাদের আমলের দিকে ধাবিত হবে। তিনি বললেনঃ যারা ভাগ্যবান, তাদের জন্য সৌভাগ্যের আমল সহজ করে দেয়া হয় আর ভাগ্যাহতদের জন্য দুর্ভাগ্যের আমল সহজ করে দেয়া হয়। অতঃপর তিনি এ আয়াতে তিলাওয়াত করলেনঃ فَاَمَّا مَنْ اَعْطى – وَاتقى الاية “কাজেই যে দান করে এবং তাক্‌ওয়া অবলম্বন করে আর ভাল কথাকে সত্য বলে বুঝেছে” - (সূরা লাইলঃ ৫)

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৩৬২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com




يَحْيَى حَدَّثَنَا وَكِيْعٌ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ عَنْ أَبِيْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلَام قَالَ كُنَّا جُلُوْسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا وَقَدْ كُتِبَ مَقْعَدُهُ مِنَ الْجَنَّةِ وَمَقْعَدُهُ مِنْ النَّارِ فَقُلْنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ أَفَلَا نَتَّكِلُ قَالَ لَا اعْمَلُوْا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ ثُمَّ قَرَأَ {فَأَمَّا مَنْ أَعْطٰى وَاتَّقٰى لا (5) وَصَدَّقَ بِالْـحُسْنٰى لا (6) فَسَنُيَسِّرُه” لِلْيُسْرٰى} إِلَى قَوْلِهِ {فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرٰى}.

‘আলী (রাঃ)

তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। এ সময় তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার স্থান জান্নাতে বা জাহান্নামে নির্দিষ্ট হয়নি। এ কথা শুনে আমরা বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তাহলে কি আমরা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে বসে থাকব? তিনি বললেন, না তোমরা ‘আমাল করতে থাক। কারণ, যাকে যে ‘আমালের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তার জন্য সে ‘আমালকে সহজ করে দেয়া হবে। এরপর তিনি পাঠ করলেন, কাজেই কেউ দান করলে, মুত্তাকী হলে এবং যা উত্তম তা গ্রহণ করলে আমি তার জন্য সুগম করে দেব সহজ পথ এবং কেউ কার্পণ্য করলে, নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করলে, আর যা উত্তম তা ত্যাগ করলে, তার জন্য আমি সুগম করে দেব কঠোর পরিণামের পথ। [১৩৬২] (আ.প্র. ৪৫৭৯, ই.ফা. ৪৫৮৪)

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৯৪৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com



آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنِ الْأَعْمَشِ قَالَ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ عُبَيْدَةَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيْ جَنَازَةٍ فَأَخَذَ شَيْئًا فَجَعَلَ يَنْكُتُ بِهِ الْأَرْضَ فَقَالَ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا وَقَدْ كُتِبَ مَقْعَدُهُ مِنْ النَّارِ وَمَقْعَدُهُ مِنَ الْجَنَّةِ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ أَفَلَا نَتَّكِلُ عَلَى كِتَابِنَا وَنَدَعُ الْعَمَلَ قَالَ اعْمَلُوْا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ أَمَّا مَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ السَّعَادَةِ فَيُيَسَّرُ لِعَمَلِ أَهْلِ السَّعَادَةِ وَأَمَّا مَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الشَّقَاءِ فَيُيَسَّرُ لِعَمَلِ أَهْلِ الشَّقَاوَةِ ثُمَّ قَرَأَ {فَأَمَّا مَنْ أَعْطٰى وَاتَّقٰى لا (5) وَصَدَّقَ بِالْـحُسْنٰى} الْآيَةَ.

‘আলী (রাঃ)

তিনি বলেন, এক জানাযাহ্য় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি কিছু একটা হাতে নিয়ে তা দিয়ে মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন কোন ব্যক্তি নেই, যার স্থান হয় জান্নাতে বা জাহান্নামে নির্দিষ্ট করে রাখা হয়নি। এ কথা শুনে সবাই বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমরা তাহলে ‘আমাল বাদ দিয়ে আমাদের লিখিত ভাগ্যের উপর কি ভরসা করব? উত্তরে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমরা ‘আমাল করতে থাক, কারণ, যাকে যে ‘আমালের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তার জন্য সে ‘আমালকে সহজ করে দেয়া হবে। যে ব্যক্তি সৌভাগ্যের অধিকারী হবে, তার জন্য সৌভাগ্যের অধিকারী লোকদের ‘আমালকে সহজ করে দেয়া হবে। আর যে দুর্ভাগ্যের অধিকারী হবে, তার জন্য দুর্ভাগা লোকদের ‘আমালকে সহজ করে দেয়া হবে। এরপর তিনি পাঠ করলেন, সুতরাং কেউ দান করলে, মুত্তাকী হলে এবং যা উত্তম তা গ্রহণ করলে, আমি তার জন্য সুগম করে দেব সহজ পথ। এবং কেউ কার্পণ্য করলে, নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করলে, আর যা উত্তম তা ত্যাগ করলে, তার জন্য আমি সুগম করে  দেব কঠোর পরিণামের পথ)। (আ.প্র. ৪৫৮১, ই.ফা. ৪৫৮৬)

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৯৪৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com




حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، أَنَّ عَبْدَ الْحَمِيدِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، أَخْبَرَهُ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، سُئِلَ عَنْ هَذِهِ الآيَةِ، ‏{‏ وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ ‏}‏ قَالَ قَرَأَ الْقَعْنَبِيُّ الآيَةَ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ خَلَقَ آدَمَ ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ بِيَمِينِهِ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً فَقَالَ خَلَقْتُ هَؤُلاَءِ لِلْجَنَّةِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ يَعْمَلُونَ ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً فَقَالَ خَلَقْتُ هَؤُلاَءِ لِلنَّارِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ يَعْمَلُونَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَفِيمَ الْعَمَلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلْجَنَّةِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيُدْخِلَهُ بِهِ الْجَنَّةَ وَإِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلنَّارِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ النَّارِ فَيُدْخِلَهُ بِهِ النَّارَ ‏"‏ ‏.

মুসলিম ইবনু ইয়াসার আল্‌-জুহানী (রহঃ)

একদা ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) -কে এ আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলোঃ “যখন তোমার রব আদম সন্তানের পিঠ হতে তাদের সমস্ত সন্তানদেরকে বের করলেন...” (সূরাহ আল-আ’রাফঃ ১৭২)। বর্ণনাকারী বলেন, আল্‌-কা’নাবী এ আয়াত পড়েছিলেন। ‘উমার (রাঃ) বলেন, আমি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রশ্ন করতে শুনেছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করার পর স্বীয় ডান হাতে তাঁর পিঠ বুলিয়ে তা থেকে তাঁর একদল সন্তান বের করে বললেন, আমি এদেরকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেছি এবং এরা জান্নাতবাসীর উপযোগী কাজই করবে। অতঃপর আবার তাঁর পিঠে হাত বুলিয়ে একদল সন্তান বের করিয়ে বললেন, এদেরকে আমি জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি এবং এরা জাহান্নামীদের উপযোগী কাজই করবে। একথা শুনে এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে আমলের কি মূল্য রইলো? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, মহান আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন তখন তার দ্বারা জান্নাতীদের কাজই করিয়ে নেন। শেষে সে জান্নাতীদের কাজ করেই মারা যায়। আর আল্লাহ এর বিনিময়ে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর যখন তিনি কোন বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তার দ্বারা জাহান্নামীদের কাজ করিয়ে নেন। অবশেষে সে জাহান্নামীদের কাজ করে মারা যায়। অতঃপর এজন্য তিনি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করান।

সহীহ, পিঠ বুলানো কথাটি বাদে।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৭০৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com






حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، سُئِلَ عَنْ هَذِهِ الآيَةِِ ‏(‏ وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَأَشْهَدَهُمْ عَلَى أَنْفُسِهِمْ أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوا بَلَى شَهِدْنَا أَنْ تَقُولُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّا كُنَّا عَنْ هَذَا غَافِلِينَ ‏)‏ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلُ عَنْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ بِيَمِينِهِ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً فَقَالَ خَلَقْتُ هَؤُلاَءِ لِلْجَنَّةِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ يَعْمَلُونَ ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً فَقَالَ خَلَقْتُ هَؤُلاَءِ لِلنَّارِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ يَعْمَلُونَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَفِيمَ الْعَمَلُ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ إِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلْجَنَّةِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيُدْخِلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ وَإِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلنَّارِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ النَّارِ فَيُدْخِلَهُ اللَّهُ النَّارَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَمُسْلِمُ بْنُ يَسَارٍ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ عُمَرَ وَقَدْ ذَكَرَ بَعْضُهُمْ فِي هَذَا الإِسْنَادِ بَيْنَ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ وَبَيْنَ عُمَرَ رَجُلاً مَجْهُولاً ‏.‏

মুসলিম ইবনু ইয়াসার আল-জুহানী (রহঃ)

তিনি বলেনঃ উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে এ আয়াত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ “যখন তোমার রব আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তাদের বংশধরদের বের করলেন এবং তাদের নিজেদের সম্পর্কে স্বীকারোক্তি করে প্রশ্ন করেনঃ ‘আমি কি তোমাদের রব নই!’ তারা বললঃ হ্যাঁ নিশ্চয়ই, আমরা সাক্ষী রইলাম। তা এজন্য যে, তোমরা কিয়ামাতের দিন যেন না বল, আমরা তো এ ব্যাপারে বেখবর ছিলাম” (সূরাঃ আল- আ’রাফ- ১৭২)। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটও আমি এ আয়াত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতে শুনেছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করলেন, তারপর আপন ডান হাত তাঁর পিঠে বুলালেন এবং তা থেকে তাঁর একদল (ভাবী) সন্তান বের করলেন। তিনি বললেন, এদের আমি জান্নাতের জন্য এবং জান্নাতীদের কাজ করতে সৃষ্টি করেছি। সুতরাং এরা জান্নাতীদের আমলই করবে। তিনি পুনরায় আদমের পিঠে হাত বুলালেন এবং সেখান থেকে তাঁর (অপর) একদল সন্তান বের করলেন। তিনি বললেন, এদের আমি জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি। জাহান্নামীদের মত কাজই তারা করবে। একজন বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! তাহলে তদবির আর কিসের জন্য? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা যখন কোন বান্দাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তার দ্বারা জান্নাতীদের কাজই করিয়ে নেন। সে জান্নাতীদের যোগ্য কাজ করে ইন্তেকাল করে এবং আল্লাহ্ তা’আলা তাকে জান্নাতে পেশ করেন। অপরদিকে যখন আল্লাহ্ তা’আলা কোন বান্দাকে জাহান্নামের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেন, তার দ্বারা জাহান্নামীদের কাজ করিয়ে নেন। সে জাহান্নামীদের কাজ করেই মৃত্যুবরণ করে। শেষে আল্লাহ্ তা’আলা তাকে জাহান্নামে পেশ করেন।

দুর্বল, আয্ যিলাল (১৯৬), যঈফা (৩০৭১)

জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩০৭৫
হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস
Source: ihadis.com



وَعَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ إِنَّ رَجُلَيْنِ مِنْ مُزَيْنَةَ قَالَا يَا رَسُولَ اللهِ أَرَأَيْتَ مَا يَعْمَلُ النَّاسُ الْيَوْمَ وَيَكْدَحُونَ فِيهِ أَشَيْءٌ قُضِيَ عَلَيْهِمْ وَمَضى فِيهِمْ مِنْ قَدَرٍ قَدْ سَبَقَ أَوْ فِيمَا يُسْتَقْبَلُونَ بِه مِمَّا أَتَاهُمْ بِه نَبِيُّهُمْ وَثَبَتَتْ الْحُجَّةُ عَلَيْهِمْ؟ فَقَالَ : لَا، بَلْ شَيْءٌ قُضِيَ عَلَيْهِمْ وَمَضى فِيهِمْ وَتَصْدِيقُ ذلِكَ فِي كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ : (وَنَفْسٍ وَمَا سَوَّاهَا فَأَلْهَمَهَا فُجُورَهَا وَتَقْوَاهَا)

ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

মুযায়নাহ গোত্রের দুই লোক রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি মনে করেন, মানুষ এখন (দুনিয়াতে) যা ‘আমাল (ভাল-মন্দ) করছে এবং ‘আমাল করার চেষ্টায় রত আছে, তা আগেই তাদের জন্য তাকদীরে লিখে রাখা হয়েছিল ? নাকি পরে যখন তাদের নিকট তাদের নাবী শারী'আহ (দলীল-প্রমাণ) নিয়ে এসেছেন এবং তাদের নিকট তার দলীল-প্রমাণ প্রকটিত হয়েছে, তখন তারা তা করছে ? উত্তরে রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: না, বরং পূর্বেই তাদের জন্য তাক্বদীরে এসব নির্দিষ্ট করা হয়েছে ও ঠিক হয়ে রয়েছে। এ কথার সমর্থনে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরআনের এ আয়াত পাঠ করলেন (অনুবাদ): “প্রাণের কসম (মানুষের)! এবং যিনি তাকে সুন্দরভাবে গঠন করেছেন এবং তাকে (পূর্বেই) ভাল ও মন্দের জ্ঞান দিয়েছেন"- (সূরাহ আল লায়ল ৯২ঃ ৭-৮)।” [১]

ফুটনোটঃ
[১] সহীহ : মুসলিম ২৬৫০, আহমাদ ১৯৯৩৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬১৮২।

মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ৮৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD





৬৬৩২-(১০/২৬৫০) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম আল হানযালী (রহঃ) ..... আবুল আসওয়াদ আদ দিয়ালী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইমরান ইবনু হুসায়ন (রহঃ) আমাকে বললেন, আজকাল মানুষেরা যা আমাল করে এবং তাতে যা কষ্ট করে, সে ব্যাপারে আপনার মতামত কি? তা-কি এমন বিষয় যা তাদের উপর সিদ্ধান্ত গৃহীত ও অতীতে সাব্যস্ত হয়ে গেছে যা তাদের উপর পূর্ব নির্ধারিত? নাকি ভবিষ্যতে করা হবে যা তাদের নিকট তাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়ে আসছেন এবং যাদের উপর দলীল-প্রমাণ সাব্যস্ত হয়েছে? আমি বললাম, বরং বিষয়টি তো তাদের উপর সিদ্ধান্ত গৃহীত ও অতীত সাব্যস্ত হয়ে গেছে। তিনি (রাবী) বলেন, অতঃপর তিনি বললেন, তা কি যুলম হবে না? তিনি বললেন, এতে আমি অত্যন্ত ঘাবড়ে গেলাম এবং বললাম, প্রতিটি বিষয় আল্লাহর মাখলুক এবং তার আওতাধীন। সুতরাং তিনি যা করেন, সে বিষয়ে জবাবদিহিতা নেই অথবা তাদেরকে কৈফিয়ত দিতে হবে না। কিন্তু তারা যা করে সে বিষয়ে তাদের নিকট কৈফিয়ত তলব করা হবে।

অতঃপর তিনি আমাকে বললেন, আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া করুন। আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করে আপনার অনুভূতি অনুমান করতে চেয়েছিলাম। মুযাইনাহ্ গোত্রের দু' ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! লোকেরা আজকাল যেসব আমাল করে এবং পরিশ্রম করে, সেগুলো কি তাদের উপর সিদ্ধান্ত গৃহীত ও অতীত সাব্যস্ত হয়ে গেছে, আগে নির্দিষ্টতা থেকে? নাকি ভবিষ্যতে যে আমাল করা হবে, যা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকট নিয়ে আসছেন এবং তাদের উপর দলীল প্রমাণ সাব্যস্ত আছে? জবাবে তিনি বললেন, না; বরং বিষয়টি তাদের উপর সিদ্ধান্ত করা হয়েছে এবং অতীতে সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে? আল্লাহর কিতাবে তার সত্যায়নঃ

"আর শপথ মানুষের এবং তার যিনি তাকে সম্পূর্ণ করেছেন, এরপর তার উপর তিনি পাপ-পুণ্যের জ্ঞান ঢেলে দিয়েছেন"- (সূরা আশ শামস ৯১ঃ ৭-৮)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৪৯৮, ইসলামিক সেন্টার ৬৫৪৯)
সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ৪৭। তাকদীর (كتاب القدر)
হাদিস নম্বরঃ ৬৬৩২










حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سِنَانٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ خَالِدٍ الْحِمْصِيِّ، عَنِ ابْنِ الدَّيْلَمِيِّ، قَالَ وَقَعَ فِي نَفْسِي شَىْءٌ مِنْ هَذَا الْقَدَرِ خَشِيتُ أَنْ يُفْسِدَ عَلَىَّ دِينِي وَأَمْرِي فَأَتَيْتُ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ فَقَلْتُ أَبَا الْمُنْذِرِ إِنَّهُ قَدْ وَقَعَ فِي قَلْبِي شَىْءٌ مِنْ هَذَا الْقَدَرِ فَخَشِيتُ عَلَى دِينِي وَأَمْرِي فَحَدِّثْنِي مِنْ ذَلِكَ بِشَىْءٍ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَنْفَعَنِي بِهِ ‏.‏ فَقَالَ لَوْ أَنَّ اللَّهَ عَذَّبَ أَهْلَ سَمَوَاتِهِ وَأَهْلَ أَرْضِهِ لَعَذَّبَهُمْ وَهُوَ غَيْرُ ظَالِمٍ لَهُمْ وَلَوْ رَحِمَهُمْ لَكَانَتْ رَحْمَتُهُ خَيْرًا لَهُمْ مِنْ أَعْمَالِهِمْ ‏.‏ وَلَوْ كَانَ لَكَ مِثْلُ جَبَلِ أُحُدٍ ذَهَبًا أَوْ مِثْلُ جَبَلِ أُحُدٍ تُنْفِقُهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا قُبِلَ مِنْكَ حَتَّى تُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ ‏.‏ فَتَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ وَأَنَّ مَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ ‏.‏ وَأَنَّكَ إِنْ مُتَّ عَلَى غَيْرِ هَذَا دَخَلْتَ النَّارَ وَلاَ عَلَيْكَ أَنْ تَأْتِيَ أَخِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ فَتَسْأَلَهُ ‏.‏ فَأَتَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ فَسَأَلْتُهُ فَذَكَرَ مِثْلَ مَا قَالَ أُبَىٌّ وَقَالَ لِي وَلاَ عَلَيْكَ أَنْ تَأْتِيَ حُذَيْفَةَ ‏.‏ فَأَتَيْتُ حُذَيْفَةَ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ مِثْلَ مَا قَالاَ وَقَالَ ائْتِ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَاسْأَلْهُ ‏.‏ فَأَتَيْتُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ لَوْ أَنَّ اللَّهَ عَذَّبَ أَهْلَ سَمَوَاتِهِ وَأَهْلَ أَرْضِهِ لَعَذَّبَهُمْ وَهُوَ غَيْرُ ظَالِمٍ لَهُمْ وَلَوْ رَحِمَهُمْ لَكَانَتْ رَحْمَتُهُ خَيْرًا لَهُمْ مِنْ أَعْمَالِهِمْ وَلَوْ كَانَ لَكَ مِثْلُ أُحُدٍ ذَهَبًا أَوْ مِثْلُ جَبَلِ أُحُدٍ ذَهَبًا تُنْفِقُهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا قَبِلَهُ مِنْكَ حَتَّى تُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ كُلِّهِ فَتَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ وَمَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ وَأَنَّكَ إِنْ مُتَّ عَلَى غَيْرِ هَذَا دَخَلْتَ النَّارَ ‏"‏ ‏.‏

উবাই বিন কা’ব, আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ, হুযায়ফাহ ও যায়দ বিন সাবিত (রাঃ)

(ইবনুল দায়লামী) বলেন, আমার মনে এই তাকদীর সম্পর্কে কিছুটা সন্দেহ দানা বাঁধে। তাই আমি এই ভেবে শংকিত হই যে, তা আমার দ্বীন ও অন্যান্য কার্যক্রম নষ্ট করে দেয় কিনা। তাই আমি উবাই বিন কা’ব (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, হে আবুল মুনযির! আমার মনে এই তাকদীর সম্পর্কে কিছুটা সন্দেহ দানা বেঁধেছে, তাই আমি এই ভেবে শংকিত হই যে, তা আমার দ্বীন ও অন্যান্য কার্যক্রমকে নষ্ট করে দেয় কিনা। অতএব এ সম্পর্কে আমাকে কিছু বলুন। আশা করি আল্লাহ্‌ তা দ্বারা আমার উপকার করবেন। তিনি বলেন, আল্লাহ্‌ তা’আলা ঊর্ধলোকের ও ইহলোকের সকলকে শাস্তি দিতে চাইলে তিনি অবশ্যই তাদের শাস্তি দিতে পারেন। তথাপি তিনি তাদের প্রতি যুলমকারী নন। আর তিনি তাদেরকে দয়া করতে চাইলে তাঁর দয়া তাদের জন্য তাদের কাজকর্মের চেয়ে কল্যাণময়। যদি তোমাদের নিকট উহূদ পাহাড় পরিমাণ বা উহূদ পাহাড়ের মত সোনা থাকতো এবং তুমি তা আল্লাহ্‌র রাস্তায় খরচ করতে থাকো, তবে তোমার সেই দান কবুল হবে না, যাবত না তুমি তাকদীরের উপর ঈমান আনো। অতএব তুমি জেনে রাখো! যা কিছু তোমার উপর আপতিত হয়েছে তা তোমার উপর আপতিত হতে কখনো ভুল হতো না এবং যা তোমার উপর আপতিত হওয়ার ছিল না তা ভুলেও কখনো তোমার উপর আপতিত হবে না। তুমি যদি এর বিপরীত বিশ্বাস নিয়ে মারা যাও তবে তুমি জাহান্নামে যাবে। আমি মনে করি তুমি আমার ভাই আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে তোমার কোন ক্ষতি হবেনা। (ইবনুদ দাইলামী বলেন), অতঃপর আমি আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ)-এর নিকট এসে তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনিও উবাই (রাঃ)-এর অনুরূপ বললেন। তিনি আরো বললেন, তুমি হুযাইফাহ (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করলে তোমার ক্ষতি নেই। অতঃপর আমি হুযাইফাহ (রাঃ)-এর কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনিও তাদের দু’জনের অনুরূপ বলেন। তিনি আরও বলেন, তুমি যায়দ বিন সাবিত (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে তাকেও জিজ্ঞেস করো। অতএব আমি যায়দ বিন সাবিত (রাঃ)-এর নিকট এসে তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ্‌ তা’আলা ঊর্ধলোক ও ইহলোকের সকল অধিবাসীকে শাস্তি দিতে চাইলে অবশ্যই তাদের শাস্তি দিতে পারবেন এবং তিনি তাদের প্রতি যুলমকারী নন। আর তিনি তাদের প্রতি দয়া করতে চাইলে তাঁর দয়া তাদের সমস্ত সৎ কাজের চাইতেও তাদের জন্য অধিক কল্যাণকর। তোমার নিকট উহূদ পাহাড় পরিমাণ সোনা থাকলেও এবং তুমি তা আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করলেও তিনি তা কবূল করবেন না, যাবত না তুমি সম্পূর্ণরূপে তাকদীরের উপর ঈমান আনো। অতএব তুমি জেনে রাখো! তোমার উপর যা কিছু আপতিত হওয়ার আছে তা তোমার উপর আপতিত হয়েছে, তা কখনো ভুলেও এড়িয়ে যেত না এবং যা তোমার উপর আপতিত হওয়ার ছিল না, তা তোমার উপর ভুলেও কখনো আপতিত হত না। তুমি যদি এর বিপরীত বিশ্বাস নিয়ে মারা যাও তাহলে তুমি জাহান্নামে যাবে। [৭৫]

জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৭৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com





হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ তাআলা বলেন :
“আমার ব্যাপারে আমার বান্দার ধারণা অনুযায়ী, আমি ব্যবহার করি।” বুখারী : ৬৭৫৬ মুসলিম : ৪৮২২




ইবনে দায়লামী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি উবাই ইবনে কাব রাদিআল্লাহু আনহুর নিকট আসেন এবং বলেন, আমার অন্তরে তাকদির সম্পর্কে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। আমাকে কিছু বর্ণনা করে শোনান। হতে পারে আল্লাহ আমার অন্তর থেকে তা দূর করে দিবেন।

তিনি বলেন, আল্লাহ আসমান এবং জমিনবাসীদের শাস্তি দিলে, জালেম হিসেবে গণ্য হবেন না। আর তিনি তাদের সকলের উপর রহম করলে, তার রহম-ই তাদের আমলের তুলনায় বেশী হবে। তাকদিরের প্রতি ঈমান ব্যতীত ওহুদ পরিমান স্বর্ণ দান করলেও কবুল হবে না। স্মরণ রেখ, যা তোমার হস্তগত হওয়ার তা কোনভাবেই হস্তচ্যুত হওয়ার সাধ্য রাখে না। এতদ্ভিন্ন অন্য আকিদা নিয়ে মৃত্যুবরণ করলে জাহান্নাম অবধারিত। তিনি বলেন, অতঃপর আমি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ এর কাছে আসি। তিনিও তদ্রূপ শোনালেন। হুযাইফাতুল য়ামান এর কাছে আসি, তিনিও তদ্রুপ বললেন। যায়েদ বিন ছাবেত এর কাছে আসি, তিনিও রসূলুল্লাহ সা. থেকে অনুরূপ বর্ণনা করে শোনালেন।”আবু দাউদ: ৪০৭৭, আহমাদ: ২০৬০৭





‘আলী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন

তিনি বলেন, আমরা বাকী‘ গারকাদে [৪] একটি জানাযা সলাতে উপস্থিত ছিলাম। তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট এসে বসলেন এবং আমরাও তাঁর পাশাপাশি বসলাম। তাঁর সাথে ছিল একটি ছড়ি। তিনি মাথা নিচু করেছিলেন। সে সময় তিনি তাঁর ছড়ি দ্বারা জমিনে টোকা দিচ্ছিলেন। তারপর তিনি বললেন, তোমাদের মাঝে এমন কোন লোক নেই, যার পরিণাম আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে বা জাহান্নামে নির্ধারণ করেননি এবং সে দুর্ভাগ্যবান হবে বা সৌভাগ্যবান হবে, তা লিপিবদ্ধ করেননি। বর্ণনাকারী বলেন, তখন জনৈক লোক আবেদন করল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমরা কি আমাদের ভাগ্যলিপির উপর অটুট থেকে ‘আমাল ত্যাগ করব না? তখন তিনি বললেন, যে লোক সৌভাগ্যবান সে সৌভাগ্যবানদের ‘আমালের দিকে ধাবিত হবে। যে হতভাগাদের অন্তর্ভূক্ত সে হতভাগার ‘আমালের প্রতি ধাবিত হবে। তারপর তিনি বললেন, তোমরা ‘আমাল করো। প্রত্যেকের পথ সহজ করে দেয়া হয়েছে। অবশ্যই সৌভাগ্যবান লোকদেরকে সৌভাগ্যের ‘আমাল করা সহজ করে দেয়া হচ্ছে। হতভাগ্যদেরকে হতভাগ্যের ‘আমাল সহজ করে দেয়া হচ্ছে। তাপর তিনি তিলাওয়াত করলেন, “সুতরাং যে দান করল, তাক্ওয়া অর্জন করল এবং যা উত্তম তা সত্যায়ন করল, আমি তাদের জন্যে সফলতার পথ সুগম করে দিব এবং যারা বখিলী করল এবং নিজকে স্বয়ংসম্পূর্ণ অমুখাপেক্ষী মনে করল আর যা উত্তম তা মিথ্যা সাব্যস্ত করল, আমি তার জন্যে কঠোর বিফল পথ সহজ করে দিব”- (সূরাহ্ আল লায়ল ৯২ : ৫-১০)। (ই.ফা. ৬৪৭৮, ই.সে. ৬৫৩০)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৬২৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com



‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন

তিনি বলেন, সাদিকুল মাসদূক (ন্যায়পরায়ণ ও ন্যায়নিষ্ঠরূপে প্রত্যায়িত) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)  আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, তোমাদের প্রত্যেকের শুক্রকীট তার মায়ের গর্ভে চল্লিশ দিন একত্রিত করা হয়। তারপর হুবহু চল্লিশ দিনে তা একটি গোশত টুকরায় পরিণত হয়। তারপর আল্লাহ্‌ তা ‘আলার পক্ষ থেকে একজন ফেরেশ্তাকে প্রেরণ করা হয়। সে তাতে রূহ্ ফুঁকে দেয়। আর তাঁকে চারটি কালিমা (বিষয়) লিপিবদ্ধ করার আদেশ করা হয়। রিয্ক, মৃত্যুক্ষণ, কর্ম, বদ্কার ও নেক্কার। সে সত্তার শপথ যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই! নিশ্চয়ই তোমাদের মাঝ হতে কেউ জান্নাতীদের ‘আমালের (আমলের)ন্যায় ‘আমাল (আমল) করতে থাকে। অবশেষে তার ও জান্নাতের মধ্যে মাত্র একহাত দূরত্ব থাকে। অতঃপর ভাগ্যের লিখন তার উপর জয়ী হয়ে যায়। ফলে সে জাহান্নামীদের কর্ম শুরু করে। এরপর সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হয়। আর তোমাদের মধ্যে কোন কোন ব্যক্তি জাহান্নামের কাজ-কর্ম করতে থাকে। ফলে জাহান্নামের মাঝে ও তার মাঝে মাত্র একহাত দূরত্ব থাকে। তারপর ভাগ্যলিপি তার উপর জয়ী হয়। ফলে সে জান্নাতীদের ন্যায় ‘আমাল করে। অবশেষে জান্নাতে প্রবিষ্ট হয়। (ই.ফা. ৬৪৮২, ই.সে. ৬৫৩৪)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৬১৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com







حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ إِنَّ مَجُوسَ هَذِهِ الأُمَّةِ الْمُكَذِّبُونَ بِأَقْدَارِ اللَّهِ إِنْ مَرِضُوا فَلاَ تَعُودُوهُمْ وَإِنْ مَاتُوا فَلاَ تَشْهَدُوهُمْ وَإِنْ لَقِيتُمُوهُمْ فَلاَ تُسَلِّمُوا عَلَيْهِمْ ‏"‏ ‏.‏

জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ)

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এ উম্মাতের তারা মাজুসী (অগ্নিপূজক) যারা আল্লাহ্‌র নির্ধারিত তাকদীরকে অস্বীকার করে। এরা রোগাক্রান্ত হলে তোমরা তাদের দেখতে যেও না। তারা মারা গেলে তোমরা তাদের জানাযাহয় হাজির হয়ো না। এদের সাথে তোমাদের সাক্ষাত হলে তোমরা এদের সালাম দিওনা।

তাহকীকঃ সালাম অংশ কথাটি ছাড়া হাসান।

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৯২
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
Source: ihadis.com





মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর৪৫। মুহাম্মদ বিন-উবাইদ আল-মাক্কী আবদুল্লাহ ইবনুু্ আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। (একদা) ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে বলা হলো যে, আমাদের মাঝে জনৈক ব্যক্তির আগমন ঘটেছে, সে তাকদীরকে অস্বীকার করে থাকে। ইবনুু্ আব্বাস (রাঃ) বলেন, তোমরা আমাকে তার কাছে নিয়ে চলো, (তিনি একথা বলার কারণ) ঐ সময় তিনি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। লোকেরা বলল, ইয়া আবূ আব্বাস (রাঃ) আপনি তাকে পেয়ে কী করবেন? তিনি বললেন, সেই সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আমার প্রাণ, যদি তাকে বাগে পাই, তবে আমি অবশ্যই তার নাক কামড়ে কেটে ফেলবো। আর যদি তার গর্দান আমার হস্তগত হয়, তবে আমি অবশ্যই তা মটকে দেব। কারণ, আমি আল্লাহর রাসূল কে বলতে শুনেছি, আমি যেন বনী ফিহ্রের নারীদের দেখতে পাচ্ছি তারা তাদের পশ্চাৎ দেশ দুলিয়ে পরস্পরে সংযুক্ত হয়ে খাযরাজে (স্থান) তাওয়াফ করছে (বা নাচানাচি করছে)। এরা মুশরিক। এটই হচ্ছে এই উম্মতের প্রথম শিরক্। আমার প্রাণ যে সত্তার হাতে, তাঁর শপথ! এদের এই ভ্রান্ত অভিমত (তাকদীরকে অস্বীকার করা) চূড়ান্তরূপ লাভ করবে তখনই, যখন তারা (সক্ষম হবে) আল্লাহ কল্যানের নির্ধারক এই বিশ্বাস থেকে আল্লাহকে সরিয়ে দেবে। যেমন তারা (ইতিমধ্যে) নিজেকে আল্লাহ অকল্যাণের নির্ধারক-এই বিশ্বাস থেকে সরিয়ে (বের করে) নিয়েছে। (এই কিতাব ভিন্ন অন্য কোথাও এ হাদীসটির সন্ধান পাওয়া যায়নি এবং এই হাদীস সম্পর্কে কিছু কথাবার্তা আছে।)





মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর৪৩। উমর (রাঃ) নাবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তোমরা ‘আহলে কদর’ বা তাকদীর অস্বীকারকারীদের সাথে মেলামেশা করো না, এবং তাদের সাথে প্রথমে কথাবার্তায় লিপ্ত হয়ো না। আবূ আবদূর রহমান (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল এর কাছে আমিও একবার এরূপ শ্রবণ করেছি। (আবূ দাউদ, হাকিম। হাদীসটি সহীহ।)




মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর৪২। ‘আমর ইবনু শু’আইব তাঁর পিতা থেকে, এবং তাঁর পিতা তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন। একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনসম্মুখে উপস্থিত হন। ঐ সময় লোকজন তাকদীর বিষয়ে কথাবার্তা (বা তর্ক-বিতর্ক) করছিল। বর্ণনাকারী বলেন, (লোকজনের কথাবার্তা শুনে) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারা মুবারকে ক্রোধের চিহ্ন ফুটে ওঠে। যেন তাঁর চেহারায় আনারের দানার ন্যায় বিন্দু বিন্দু ঘাম দেখা যাচ্ছে। (এমতাবস্থায়) তিনি ইরশাদ করলেন, তোমাকে কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর কিতাবের এক অংশকে অন্য অংশের দ্বারা ঘায়েল করার চেষ্টা করছো! তোমাদের পূর্ববর্তীগণ এই (কাজ) করেই ধ্বংস হয়েছিল। বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর রাসূল কোন মজলিসে উপস্থিত আছেন, অথচ আমি সেখানে উপস্থিত হতে পারি নি এমন মজলিসের জন্য সর্বদা আমার আক্ষেপ হত, কিন্তু এই মজলিসের জন্য আক্ষেপ হয় নি। ইবনুু্ মাজাহ্ ও তিরমিযী। বুসরী বলেন, ইবনুু্ মাজাহর সনদ সহীহ।)





মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর৪০। হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় প্রত্যেক উম্মতের মাজূস (বা অগ্নি উপাসক) বিদ্যমান। আর আমার উম্মতের মধ্যে মাজূস হচ্ছে যারা বলে, ‘তাকদীর নেই’। তাদের মধ্যে কেউ পীড়িত হলে তোমরা তার পরিচর্যা করবে না এবং তাদের কেউ মৃত্যুবরণ করলে তার জানাযায়ও শরীক হবে না। এরা হচ্ছে দাজ্জালের অনুসারী। আল্লাহর দায়িত্ব হচ্ছে এদেরকে দাজ্জালের সাথে মিলিয়ে দেয়া (অর্থাৎ রোজ হাশরে এরা দাজ্জালের দলভুক্ত হিসেবে চিহ্নিত হবে।) (আবূ দাউদ, এ হাদীসের সনদে অপরিচিত এক রাবী আছে)





মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর৩৯। আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে আরও বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল কে বলতে শুনেছি যে, এই উম্মতের মধ্যে অচিরেই মাস্খ (বা আকৃতিগত বিকৃতি) দেখা দিবে। সাবধান, জেনে রাখ, ওরা হচ্ছে তাকদীর অস্বীকারকারীর দল ও যিন্দীকের দল (যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না, অথবা বাহ্যত ঈমানদার বলে দাবী করলেও অন্তরে কুফর লালন করে।) (আবূ দাউদ ও তিরমিযী, তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান ও সহীহ্, গরীব।)



মুসনাদে আহমেদ, ৩/ তাকদীর৩৮। আবদূল্লাহ ইবনুু্ উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে একদল ‘মাজূস’ বা (অগ্নি উপাসক) রয়েছে আমার উম্মতের মধ্যে ‘মাজূস’- হচ্ছে ঐসব লোক যারা বলে তাকে ‘তাকদীর নেই’। ঐ সব লোক পীড়িত হলে তোমরা দেখতে যাবে না। মৃত্যু হলে জানাযায় হাযির হবে না। (একই বর্ণনাকারী থেকে অন্যভাবে) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রত্যেক উম্মতে অগ্নিপূজকদল রয়েছে, আমার উম্মতের অগ্নিপূজক হচ্ছে তাকদীরের অস্বীকারকারীর দল। এরা মৃত্যুমুখে পতিত হলে, তোমরা জানাযায় শরীক হবে না এবং পীড়িত হলে তাদের দেখতে যাবে না। অর্থাৎ অগ্নিপূজা বা সূর্য উপাসনা যেমন শিরকের মধ্যে অন্যতম নিকৃষ্ট বা গর্হিত কাজ, তাকদীর অস্বীকার করাও মূলত যারপর নাই গর্হিত কাজ ও বেঈমানীর প্রধান লক্ষণ।) (আবূ দাউদ, হাকিম, হাদীসটি সহীহ্)

Hereafter Series

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাইবোনেরা।

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যারা দ্বীনের পথে চলতে ইচ্ছা পোষন করছি সেই সাথে বিশুদ্ধ দ্বীনি ইলম অর্জনেরও চেষ্টা করছি। নিচে সকলের উপকারার্থে কিংবদন্তি শাইখ, ইমাম আনওয়ার আল আওলাকী (রহিমাহুল্লাহু তা'য়ালা) এর  অসাধারণ ধারাবাহিক অডিও লেকচার সিরিজ "পরকালের পথে যাত্রা" বা দ্যা হেয়ারআফটার সিরিজের রেইনড্রপ্স মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় ভাষান্তরিত অডিও লেকচার গুলোর ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলো। 

এটি আমরা নিজেরা শুনব ও চেষ্টা করব আশেপাশে পৌছে দিতে। এ অনুবাদিত বাংলা লেকচার সিরিজে তওবা,মৃত্যু,কিয়ামতের আলামত, দাজ্জাল,ইমাম মাহদী,দাজ্জাল,ইয়াজুজ মাজুজ,কিয়ামত, হাশর,কবর,জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি বিষয়ে এরূপ সুন্দরভাবে ধারাবাহিক বিশুদ্ধ দলিলনির্ভর বক্তব্য রয়েছে যেন তা শুনলে একটির পর একটি শুনে দ্রুত শেষ করবার অভিপ্রায় তৈরি করবে। বর্ননাগুলো যথেষ্ট বাস্তবিক যেন তা চোখের সামনে ঘটছে। বস্তুত, এর দ্বারা দ্বীনি ইলমবিহীন ব্যক্তিও খুব অল্প সময়ে ইসলামের ব্যাপারে জ্ঞানের দিক থেকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যাবে। 

ইউটিউব লিংকঃ

https://youtube.com/playlist?list=PLrEnZj_8pclupkLZaHSrkfK3Py2r6xFe2


ডিরেক্ট ডাউনলোড লিংক:

https://archive.org/compress/2121BnSocializationInParadise/formats=VBR%20MP3&file=/2121BnSocializationInParadise.zip


বিকল্প:

স্টোরেজ ওয়েবপেজ :

https://archive.org/details/2121BnSocializationInParadise



বিকল্প:

নিজের ইচ্ছামত ফাইল লিস্ট থেকে এক একটি করে আলাদাভাবে ডাউনলোড করতে পারেন__

https://archive.org/download/2121BnSocializationInParadise


[শেয়ার বা কপি পেস্ট করে প্রচার করে সাদাকায়ে যারিয়া অর্জন করুন]



Friday, February 26, 2021

সিরাতুল মুস্তাকীমের দিকে আহ্বান

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় ভাই ও বোনেরা।

আমাদের মধ্যে এরকম অনেকেই আছি যারা দ্বীনের পথে চলতে ইচ্ছুক। এবং চলতে শুরু করলে খুব বেশিদিন কন্টিনিউ করতে পারি না।অল্প ক'দিন পরেই আগের পুরোনো জাহেলিয়াতে ফিরে যাওয়া হয়। বাংলাদেশের তাবলীগ জামায়াতের ভাইয়েদেরও এমন হয়,তারা মাসে তিন দিন না সময় দিলে ধীরে ধীরে দ্বীন থেকে দূরে সরে যেতে থাকে, এমনিভাবে দেখা যায় চিল্লাদেনেওয়ালা ভাইয়েরা অনেকেও নামাজ কালাম ছেড়ে দেয়!!শিবিরের সাথী পদের ভাইয়েদেরও এ অবস্থায় যেতে দেখেছি! নিজের চোখেই এগুলো দেখেছি। কিন্তু এর রহস্য কি!? এমনটা হয় কেন?? আমরা কি কখনো ভাবি,কেন এমনটা হচ্ছে!?  এর অনেকগুলো কারনের অন্যতম প্রধান কারন হচ্ছে আমাদের ইলমের অসম্পূর্ণতা ও ত্রুটি। আমরা জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে অজ্ঞাত। দেখে দেখে শুনে শুনে নামাজ রোযা করি। সবাই কুরআন মানে তাই আমিও মানি, কুরআনে কি আছে জীবনেও আমরা উল্টিয়ে দেখিনা। অবিশ্বাস্য সত্য হচ্ছে আমরা অধিকাংশই কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' এর অর্থই পূর্নরূপে জানি না। আক্ষরিক অর্থটাকে নিয়েই বসে আছি আর দূরে থাকছি ওই অর্থ থেকে, যেটা সলফে সালেহীনগন জানতেন, রাসূল(স) শিখিয়েছেন আর যেজন্য তৎকালীন মক্কার পৌত্তলিকরা অস্বীকার করত। নিচে তিনটি অডিও বয়ানের ডাইরেক্ট লিংক দেওয়া হল,যা শুনলে গোটা থিংকিং প্যাটার্ন ঘুরে যাবে আর দ্বীনদারিত্ব অন্তরে স্থিরভাবে বসে যাবে(বিঈদনিল্লাহ)।

লিংক___

https://ia600807.us.archive.org/17/items/BanglaIslamicBestLecturesbooks/LaIlahaIllallah-ItsMeaning_ExplanationAndImplementation.Part-01.mp3

https://ia600807.us.archive.org/17/items/BanglaIslamicBestLecturesbooks/LaIlahaIllallah-ItsMeaning_ExplanationAndImplementation.Part-02.mp3

https://ia600807.us.archive.org/17/items/BanglaIslamicBestLecturesbooks/LaIlahaIllallah-ItsMeaning_ExplanationAndImplementation.Part-03.mp3


দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে পক্ষপাতহীন ইলম অন্বেষণে অন্তত  একবার বিনম্রচিত্তে পূর্নাঙ্গ কুরআন এর অনুবাদ পাঠ করা যেতে পারে যেহেতু আমরা আজমী। আর পাশাপাশি দুর্বোধ্য আয়াত বুঝতে কোন প্রসিদ্ধ তাফসীর কিতাব(যেমনঃতাফসীর ইবনে কাসীর) পাঠ করা যেতে পারে। 

সেই সাথে একবার নবী (স) এর জীবনী সম্বলিত কিতাব পাঠ করা যেতে পারে। 

আর রহিকুল মাখতুম:

http://download1326.mediafire.com/986djh2a0iyg/12d6iovh4locgnb/%E0%A6%86%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%82%E0%A6%B2+%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AE+%28www.muslimmedia.info%29.pdf 


পাঠ করা যেতে পারে আসহাবে রাসূলের জীবনী। শোনা যেতে পারে রেইনড্রপ্স মিডিয়া পরিবেশিত সিরাহ...

উপরে প্রদত্ত তিনটি অডিও বয়ানসমূহ শাইখুল হাদিস মুফতি জসীমউদ্দিন রহমানী (হাফিঃ) এর। ইসলামের অন্যান্য বিষয় গুলো জানতেও তার অন্যান্য লেকচার শোনা যেতে পারে। ইনশাআল্লাহ তার লেকচারগুলোর মাধ্যমে আমাদের দ্বীন সম্পর্কে শিরক,বিদাত,গুলু, ইরজামুক্ত বিশুদ্ধ ধারনা অর্জন সহজ হবে। 

অন্যান্য অডিও লেকচার : https://archive.org/details/BanglaIslamicBestLecturesbooks


দাওয়াতের সাফল্য নিয়ে বলতে গিয়ে শায়েখ এর বয়ান বাংলাদেশ,পশ্চিম বঙ্গ,আসাম উড়িষ্যা পর্যন্ত বিস্তৃত বলে মন্তব্য করেছিলেন আহলে হাদিসের শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ সাহেব।


শাইখ রহমানির কথা ভাবলে ইমাম ইবনে তাইমিয়া(রহ.) এর উক্তি স্মরনে আসে, তিনি বলেছিলেন হক্কপন্থী আলেমদের দু স্থানে খুজতে,  কবরে অথবা কারাগারের প্রকোষ্ঠে।

ওয়ামা তাওফিক ইল্লাবিল্লাহ।



[আনুমানিক ৩-৪ বছর আগের লেখা]

Monday, February 22, 2021

বর্তমান সময়ে দ্বীনের নিষিদ্ধ অধ্যায়

 


মানবরচিত সংবিধানের শাসক কস্মিনকালেও চাইবেনা যে আপনি তাওহীদ পরিপূর্নভাবে আকড়ে ধরুন, অথবা সে সম্পর্কে আপনার বোধোদয় হোক। ওরা ইনিশিয়্যাল স্টেজে চাইবে আপনি শুধু তাওহীদে রুবুবিয়্যাহ অর্থাৎ আল্লাহকে রব হিসেবে মানুন এবং তাওহীদে উলুহিয়্যাতের 'অর্ধেকটা' জানুন এবং পালন করুন,এজন্য নামাজ যত ইচ্ছা পড়ার পড়ুন কিচ্ছু বলবেনা,রোযাও যত ইচ্ছা রাখুন, যাকাত হজ্জ্ব যত ইচ্ছা করুন। যত ইচ্ছা তাবলীগে সময় দিন,যত ইচ্ছা ওয়াজ মাহফিল করুন, যত ইচ্ছা পীরের দর্গায় বাশে ঝুলুন । কোন সমস্যা নাই, উলটা নিরাপত্তা লাগলে তাতেও ফ্রি সহযোগীতা করবে। দেখেননি ইজতেমায় তাগুতের গোলামরা হেলিকপ্টার দিয়ে নিরাপত্তা দেয়!! রুবুবিয়্যাত আর উলুহিয়্যাতের অর্ধেকটা নিয়ে থাকুন,  মাগার খবরদার!  তাওহীদে উলুহিয়্যাতের পুরোটা নিজে বোঝা যাবে না প্রচারও করা যাবেনা।  ওয়াজ মাহফিল করুন ভাল কথা, কিন্তু তাওহীদে পূর্নাঙ্গ আলোচনা করা যাবেনা। সেটা ফরবিডেন।এছাড়া যত কিচ্ছা কাহিনী আছে বলুন বা শ্রবন করে ইমোশিত হোন। যত সুর আছে দিয়ে ওয়াজ করে ওয়ায়েজিন তার স্কিল প্রদর্শন করুক। যত বার পারেন চিল্লা দিয়ে আসুন, সেটাকেই বুজুর্গির মাপকাঠি। । আর তাওহীদে উলুহিয়্যাতের পুরোটা অথবা হাকিমিয়্যাহ কোথাও বলতেও পারবেন না শুনতেও পারবেন না। কারন আপনি জেনে গেলেই আপনিই মৌলবাদী জঙ্গী। হাতে অস্ত্র না থাকলেও আপনি র‍্যাডিক্যাল ফ্যানাটিক জেলট! ইসলামের জ্ঞানের এই পার্টটা নিষিদ্ধ।  কোন পাঠ্যপুস্তকেও আনা যাবে না, হোক না সেটা মাদ্রাসা। যদি পড়তেও সুযোগ আসে, তবে তা বোঝা লাগবেনা,পালন করা তো দূরে থাক।।এর কারন কি????


কারন, এই শাসকগোষ্ঠী কক্ষনো চায় না আপনি কুফর বিত তাগুত এবং পরে ঈমান বিল্লাহ করুন(২:২৫৬)।অথচ এটাই তাওহীদের রুকন(শর্ত)। ওরা চায় না আপনি কুফর বিত তাগুতের দ্বারা কালেমার ' লা ইলাহা' এর স্বীকৃতি দিন এবং 'ইল্লাল্লাহু' দ্বারা ঈমান বিল্লাহ(মানে আল্লাহর উপর ঈমানের পরিপূর্ণতা দেন) সম্পন্ন করুন। তো প্রশ্ন হচ্ছে তাওহীদের রোকন 'কুফর বিত তাগুত' করলে শাসকগোষ্ঠীর ভয় কোথায়?


ভয় হচ্ছে, শাসকগোষ্ঠী নিজেদের আদর্শগত অবস্থান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। যখন কোন মুসলিম আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে অন্য কোন বিধান দ্বারা বিচার করে তখন সে কাফের হয়ে যায় (৫:৪৪)। আর যখন কেউ আল্লাহ যা হারাম করেছেন তাকে হালাল করে আর হালাল কে হারাম করে এবং সেটাকে মানতে বাধ্য করে তখন সে 'তাগুতে' উন্নীত হয়। আর সবাই যদি তাওহীদের দুই রোকনের একটি তথা 'কুফর বিত তাগুত' করে, তবে মানব রচিত সংবিধানের শাসকদের কি দশা হবে? সুবহানআল্লাহ!  এই হচ্ছে কারন। অধিকন্তু কাফেরদেরই সাথে বন্ধুত্বের বৈধতা নেই, আনুগত্য তো দূরের কথা। এজন্য অইসলামিক বিচার ব্যবস্থার জন্যেই তারা কাফের হয়ে যায় এবং মুসলিমদের আনুগত্যের বৈধতা হারায়।এখানে ইজতেহাদ করে বৈধতা আরোপের সুযোগ নেই। আল্লাহই স্বয়ং ক্ল্যারিফাই করেছেন। আর এমতাবস্থায় ঐ মুরতাদ সারাদিন নামাজ-রোজা করলেও লাভ নেই যেমনটি একটি কাফের নামাজ রোজা পড়লে লাভ নেই,যদিও তারা প্রতিবছর হজ্জ্বে যান।


যাহোক,ঠিক এই কারনেই মানবরচিত কন্সটিটিউশনের শাসকগোষ্ঠীরা কোনদিনও চায় না তাওহীদ পূর্নাঙ্গভাবে বুঝুন বা পালন করুন। আর পূর্নাঙ্গ তাওহীদের রোকন বা শর্ত (কুফর বিত তাগুত, ইমান বিল্লাহ) পালন করলে বা মানলে তাওহীদে রুবুবিয়্যাহ ও উলুহিয়্যাহর স্বীকৃতি আর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। এই কারনে  লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর স্বীকৃতি দিয়েও দেওয়া হয়না যদি না তাওহীদই ঠিক না থাকে। 


এইজন্য তাগুত শাসকগোষ্ঠী চাইবে আপনি সারাদিন তাবলীগ, চিল্লা,পীরের দর্গা আর মাজারে পড়ে থাকুন, সেটাকেই সেক্রিড আর পূর্ন দ্বীন হিসেবে ভাবুন। দ্বীনের খণ্ডিত আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর গন্ডির ভেতরে আটকে থাকুন।আর যদি বিদাত শিরক বোঝার ইচ্ছে জাগে, তাহলেও 'সহীহ' আকিদায় ঢোকার সুযোগ তারা দিয়েছে । আর সেটা আহলে হাদিস-মাদখালিরা।এই কথিত সহীহ আকিদার কাণ্ডারিরা কিন্তু আমল আর মাস'য়ালার কিছু বিশুদ্ধ জ্ঞানই প্রচার করবেন কিন্তু গোড়ায় ঐ একই জিনিস। অপূর্ণাঙ্গ খণ্ডিত তাওহীদ। তারা কাফের ও মুরতাদদের আনুগত্য করতে বলবে।সেটা নাকি ফরজও!! কাফেরদের সাথে কম্প্রোমাইজ করে চলতে বলবে, সেটাই নাকি মধ্যমপন্থা!  তাওহীদে প্যাচ খাওয়ার জন্য জিহাদ তাদেরকাছে সন্ত্রাস আর জঙ্গীবাদ।এ কারনে শাসকও তাদের প্রতি তুষ্ট। শাসক চায় আপনি পুরো শিরক বিদাতে মশগুল থাকুন, পিসটিভিকে বন্ধ করা হয়েছিল কেন?? শাসকগোষ্ঠী যখন দেখল অপূর্ণাঙ্গ  বিশুদ্ধ ঈমান আমলের প্রচার করছে তারা আর সেটা শ্রোতাদেরকে দিয়াশলাইয়ের কাঠিতে রূপান্তর করছে। পূর্নাঙ্গ তাওহীদের ঘষা লাগলে জ্বলে উঠার সম্ভাবনা থাকে, সেজন্য আধা দ্বীন শেখারও রাস্তা বন্ধ করে দিল। যেন অধিকাংশই বিদাত আর শিরককে হাতের নাগালে পায় ও তা পালনেই সন্তুষ্ট থাকে। যখন আসাদুল্লাহ গালিব সাহেবকে জঙ্গীবাদের সম্পৃক্ততার জন্য রিমান্ডে নিল, এর পরে রিমান্ড ফিরে তিনিও জঙ্গী তথা জিহাদ বিরোধীতায় চলে গেলেন। কি জানি! কি ঘোল ওরা তাকে খাইয়ে মগজধোলাই করেছিল আল্লাহ ভাল জানেন। এমনকি এর পরে তাদের ইসলামী জঙ্গীবাদ তথা জিহাদ সমর্থনে দেওয়া ফতওয়াও চেঞ্জ হয়ে জঙ্গীবিরোধী ফতওয়া হয়ে যায়!এজন্য আহলে হাদিস নিয়ে সবসময়ই শাসকদের টেনশন থাকেই। এজন্য মতে অমিল হলে মাঝে মধ্যে আহলে হাদিসের কয়েকজন সামান্য সময়ের জন্য জেলও খাটেন। ।। অবশ্য এখন বর্তমানে আহলে হাদিস শায়খগন তাদের মুরজিয়া আকিদা প্রচারে বেশ স্পষ্ট, এটা শাসকদের জন্য নিঃসন্দেহে স্বস্তির।

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর সত্যিকারের অর্থ জানুনঃ

https://ia600807.us.archive.org/17/items/BanglaIslamicBestLecturesbooks/LaIlahaIllallah-ItsMeaning_ExplanationAndImplementation.Part-01.mp3


https://ia600807.us.archive.org/17/items/BanglaIslamicBestLecturesbooks/LaIlahaIllallah-ItsMeaning_ExplanationAndImplementation.Part-02.mp3


https://ia600807.us.archive.org/17/items/BanglaIslamicBestLecturesbooks/LaIlahaIllallah-ItsMeaning_ExplanationAndImplementation.Part-03.mp3


মাথায় চিন্তা আসতে পারে,বিষয়টা এত কঠিন বা জটিল লাগে কেন! আর এই বুঝ কি নবী (সা) এর জামানায় ছিল! 

এর উত্তর, তাওহীদের এই আন্ডারস্ট্যান্ডিং নবী(সা) নয় শুধু, সকল নবী গনেরই ছিল এবং এরই প্রচার করতেন। আল্লাহ বলেনঃ 

"আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং তাগুত থেকে নিরাপদ থাক..।"[১৬:৩৬]


নবী (সা) যখন প্রথমেই মক্কাবাসীদের লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর দাওয়াত দিলেন তখন কাফেরদের অফার করলেন, তারা যদি কালেমার সাক্ষ্য দেয় তবে আরব, অনারব সবাই তোমাদের দ্বীন গ্রহন করবে আর কাফেররা জিজিয়া দিয়ে থাকতে বাধ্য হবে। আবু লাহাবদের মাথায়ই একথা শুনে বাজ পড়ে। সব যুগে শাসকদের মাথাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যখনই নবীগন(আলাহিসালাম) তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছিলেন। এর কারন কাফেররা ভাল করেই বুঝত, এটা মানার অর্থ সব ক্ষমতা আল্লাহকে দিয়ে আত্মসমার্পন করা। মানে বুঝেশুনে কালেমার সাক্ষ্যদান মানেই তাওহীদ উলুহিয়্যাহ, রুবুবিয়্যাহ ও আসমাওয়াস সিফাত স্বীকৃতি ও পালন করা,পূর্নরূপে তাগুতকে বর্জন এবং আল্লাহর ইবাদতকরন। এটা তারা কক্ষনো চাইত না বলেই সংঘাত হত। আর নবী (সা) এর বলা আরব আজমদের দ্বীন গ্রহন এবং কাফেরদের জিজিয়া দিতে থাকার বিষয়টি সত্যায়ন করে এই ইউনিভারসাল আয়াতটি যেথায় আল্লাহ বলেনঃ

"আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়.."[২:১৯৩] 


অর্থাৎ দ্বীন বিজয়ী করতে সর্বক্ষন যুদ্ধে লিপ্ত থাকা। আল্লাহ নবী(সা)কে এ উদ্দেশ্যেই প্রেরন করেছিলেন।আল্লাহ বলেনঃ

"তিনিই প্রেরণ করেছেন আপন রসূলকে হেদায়েত ও সত্য দ্বীন সহকারে, যেন এ দ্বীনকে অপরাপর দ্বীনের উপর জয়যুক্ত করেন, যদিও মুশরিকরা তা অপ্রীতিকর মনে করে"[৯:৩৩]


এখনো কাফের আর ঈমানের মধ্যে ওইরূপ শত্রুতা বিদ্যমান। আর এর কারন উপরেই উল্লেখ করেছি। অথচ আমরা এগুলো বুঝিই না, শুনলেও জটিল মনে হয়,যেহেতু কাফেররা তাওহীদের শিক্ষাকে নানা প্রতিবন্ধতা দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করছে।এজন্যই কিছু আলেম যারা তাওহীদের পূর্ন দাওয়াত ও প্রতিষ্ঠার কথা বলে তাদের কে ওরা হয় দড়িতে ঝুলায় অথবা গুম করে অথবা কারাগারে বন্দী করে রাখে। কারো অবস্থা করা হয় মুফতি হান্নান(রঃ) অথবা শায়খ আব্দুর রহমান(রঃ)দের মত, কারও অবস্থা হয় শাইখুল হাদিস মুফতি জসীমউদ্দিন রহমানীর(হাফিঃ) মত। উপরে উল্লেখ করেছি কাফের শাসকরা আপনাকে অর্ধেক তাওহীদের উপরে আমল করা শেখাবে। কিন্তু যখন তারা পুরোপুরী মৌলবাদী অথবা ঠ্যাড়োড়িস্টদের দমন করতে সক্ষম হবে তখন শুরু হবে আইসোলেশন প্রসেস। আস্তে আস্তে যা আগে অনুমিত ছিল তা সংকীর্ন করা হবে।আর শেষ হবে সম্পূর্নভাবে দ্বীন ইসলামকে উৎপাটন এর মাধ্যমে।  ইতোমধ্যে আমরা দেখেছি হিন্দুয়ানী সভ্যতা তৈরির জন্য জোড় চেস্টা চলতে দেখা যাচ্ছে। মূর্তি, আর হিন্দুদের সংস্কৃতি চাপানো হচ্ছে, স্বাভাবিকিকরনের কাজ চলছে। ইসলাম শিক্ষা বইয়ের নাম পাল্টে ধর্ম আর এথিকস দেওয়া হয়েছে সেই সাথে আল্লাহর পাশে দেবতার তুলনাও হয়েছে জেনারেলের পাঠ্যক্রমে,বিবর্তনবাদকে মাধ্যমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলযাত্রাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, আপনি কি শুনেন নি মাদ্রাসাকে ব্যাঙের ছাতা বলা হয়েছে, এবং শিক্ষাক্রম বদলানোর কথা, আপনি কি শোনেননি মসজিদ গুলোতে তালা ঝুলানোর হুমকি!! জ্বি।  শুনেছেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না কি হচ্ছে। স্পেনের ইতিহাসে শিক্ষনীয় বিষয় আছে। স্পেনে আগে কি অবস্থা ছিল!  আর আজ?? আমরা স্পেনের চেয়েও দ্রুত গতিতে সেদিকে হাটছি। কাফেরদের কে যত প্রশ্রয় দেবেন সে কখনোই সন্তুষ্ট হবেনা যতক্ষন না তার মত সম্পূর্ণ কাফের হয়ে যান। আমার- আপনার প্রতিপালক সত্য বলেছেনঃ


"ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা কখনোই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন.."[২:১২০]


 আমরা দ্বীনের ভেতরে করাপশনের দুষ্টচক্রে আটকে হক্ক বাতিল আইডেন্টিফাই করার এর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি। এজন্য হক্ককে বাতিল আর বাতিলকে হক্ক মনে হয়।এজন্য যে যার মত দ্বীন গবেষনা করছে প্রচার আর পালন করছে। যা সত্য থেকে বহু বহু দূরে। আজ জায়গায় জায়গায় ভাঙ্গা হচ্ছে মসজিদ। ওয়াজ নসিহতে সরাসরি তাগুতের এজেন্টগুলো এসে বাধা দেয়। নিরীহ হুজুরদের নন ভায়োলেন্ট ওয়াজ নসীহাকে বন্ধ করে হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। ওয়াজের স্টেজে উঠে ওয়াজ শুনতে আসা সাধারন ধর্মপ্রাণ আল্লাহর বান্দাদেরকে এবং তাদের পরিবারের সন্তানদেরকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়া হয়। আমরা জানিও না কেন এমনটা হচ্ছে। অথচ এটা খুব সাধারণ বিষয় যে-  জবাইয়ের আগে মুরগীকে দানাপানি খাওয়ানো প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায়। এজন্য এতদিন যেহেতু কাফিররা বঙ্গদেশীয় মুসলিমদেরকে শতবছর দানাপানি খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে সত্যিকারের দ্বীনের বুঝ অর্জন থেকে দূরে রাখার মাধ্যমে, এখন তাদের খুঁটি শক্ত হয়ে গেছে। এখন শিক্ষাদীক্ষাসহ সবক্ষেত্রে পুরোপুরি কুফরি বিলিফকে প্রোমোটিং এর সময় এসে গেছে সুতরাং দানাপানি বন্ধ। ফলশ্রুতিতে হেফাজতের উপর শাপলাচত্বরে গনহত্যা।মসজিদ মাদ্রাসায় তাগুতের শতভাগ নিয়ন্ত্রন, নাস্তিক মুর্তাদদের কতলকারীদের হত্যাসহ মসজিদ ভাংচুরও করছে সরকারী মদদে। এখন আর ট্রেডিশনাল শান্তিপ্রিয় ইসলামকেও টলারেট করা হবেনা। আপনারা কি শোনেন নি র‍্যাবের প্রধান ইউনিভার্সিটির দ্বীন প্রচারকারী বড় ভাইদের হত্যার সরাসরি হুমকি দিয়েছিল? অতএব এখন শান্তিপ্রিয় ননভায়োলেন্ট ইসলামও টেররিজমের ডোমেইনে ফেলা হবে। যার ফলে র‍্যাবকে দেখা যায় ফাজায়েলে আমল,নামাজ শিক্ষার কিতাবকেও জঙ্গীবাদী কিতাব হিসেবে উপস্থাপন করে। এটাই সেই লাঞ্ছনা!  এজন্য আল্লাহ রাসূলের (স) এর বানী সত্য। তিনি বলেছিলেনঃ 


 ﺑَﺎﺏٌ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻬْﻲِ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻌِﻴﻨَﺔِ

ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥُ ﺑْﻦُ ﺩَﺍﻭُﺩَ ﺍﻟْﻤَﻬْﺮِﻱُّ، ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧَﺎ ﺍﺑْﻦُ ﻭَﻫْﺐٍ، ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧِﻲ ﺣَﻴْﻮَﺓُ ﺑْﻦُ ﺷُﺮَﻳْﺢٍ، ﺡ ﻭﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺟَﻌْﻔَﺮُ ﺑْﻦُ ﻣُﺴَﺎﻓِﺮٍ ﺍﻟﺘِّﻨِّﻴﺴِﻲُّ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻳَﺤْﻴَﻰ ﺍﻟْﺒُﺮُﻟُّﺴِﻲُّ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺣَﻴْﻮَﺓُ ﺑْﻦُ ﺷُﺮَﻳْﺢٍ، ﻋَﻦْ ﺇِﺳْﺤَﺎﻕَ ﺃَﺑِﻲ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ، ﻗَﺎﻝَ ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥُ : ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺍﻟْﺨُﺮَﺍﺳَﺎﻧِﻲِّ، ﺃَﻥَّ ﻋَﻄَﺎﺀً ﺍﻟْﺨُﺮَﺍﺳَﺎﻧِﻲَّ، ﺣَﺪَّﺛَﻪُ ﺃَﻥَّ ﻧَﺎﻓِﻌًﺎ ﺣَﺪَّﺛَﻪُ، ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ، ﻗَﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳَﻘُﻮﻝُ : ﺇِﺫَﺍ ﺗَﺒَﺎﻳَﻌْﺘُﻢْ ﺑِﺎﻟْﻌِﻴﻨَﺔِ، ﻭَﺃَﺧَﺬْﺗُﻢْ ﺃَﺫْﻧَﺎﺏَ ﺍﻟْﺒَﻘَﺮِ، ﻭَﺭَﺿِﻴﺘُﻢْ ﺑِﺎﻟﺰَّﺭْﻉِ، ﻭَﺗَﺮَﻛْﺘُﻢُ ﺍﻟْﺠِﻬَﺎﺩَ، ﺳَﻠَّﻂَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺫُﻟًّﺎ ﻟَﺎ ﻳَﻨْﺰِﻋُﻪُ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﺮْﺟِﻌُﻮﺍ ﺇِﻟَﻰ ﺩِﻳﻨِﻜُﻢْ، ﻗَﺎﻝَ ﺃَﺑُﻮ ﺩَﺍﻭُﺩَ : ﺍﻟْﺈِﺧْﺒَﺎﺭُ ﻟِﺠَﻌْﻔَﺮٍ ﻭَﻫَﺬَﺍ ﻟَﻔْﻈُﻪُ ﺻﺤﻴﺢ

 পরিচ্ছেদঃ ৫৬. আল-ঈনাহ পদ্ধতির লেনদেন

৩৪৬২। ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যখন তোমরা ঈনা পদ্ধতিতে ব্যবসা করবে, গরুর লেজ আঁকড়ে ধরবে, কৃষিকাজেই সন্তুষ্ট থাকবে এবং জিহাদ ছেড়ে দিবে তখন আল্লাহ তোমাদের উপর লাঞ্ছনা ও অপমান চাপিয়ে দিবেন। তোমরা তোমাদের দ্বীনে ফিরে না আসা পর্যন্ত আল্লাহ তোমাদেরকে এই অপমান থেকে মুক্তি দিবেন না।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

 বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ)

 পুনঃনিরীক্ষণঃ 

 সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)



[২/৩ বছর আগের পুরোনো পোস্ট…]

Tuesday, February 16, 2021

ভাসমান ফেনা...


সন্ত্রাসী সাব্যস্তকরনের একটা সহজ উপায় কুফফারদের নিকট রয়েছে৷ প্রথমে কোন মুসলিম ভুখন্ডে মানব সভ্যতার জন্য হুমকি স্বরূপ চরমপন্থী সন্ত্রাসী আছে ঘোষণা দিয়ে হামলা চালাবে(যদি কিছু নাও থাকে)। যখন সে অঞ্চলের মানুষ বারবার অযথা হামলার স্বীকার হবে, এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করবে। সেটা সামরিক প্রচেষ্টা হলে অবশ্যই ছবি তুলে সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়ে বলা হবে,' এই দেখো, সন্ত্রাসীরা... এদেরকেই আমরা দমন করার চেষ্টা করছি গ্রেটার হিউম্যানিটেরিয়ান স্বার্থে। মানব সভ্যতার কল্যানের জন্য আমরা যে ঐক্যবদ্ধ দমনের চেষ্টা করছি, এতে শিশুদের নিহত হবার যে দৃশ্য দেখছেন, সেসব কোলাটেরাল ড্যামেজ, টেইক ইট ইজি!...... '
.
এভাবেই আজকে আরবভূমি গুলোর কেন্দ্রস্থল গুলোকে আজ রণাঙ্গনে পরিনত করা হয়েছে। কাফিররা ভাল করে বোঝে যে, আরবদের ধ্বংস করা হলে আযমরা কোন ব্যপারই নাহ। বিষয় গুলো আমরা আজ চোখের সামনেই দেখছি। আমরা যেরকম বাসাবাড়িতে থাকছি, আক্রান্ত দেশগুলোতেও আমাদের ন্যায় একসময় থাকত। এখন অধিকাংশই ধ্বংসস্তুপ৷ যাও আছে তার উপর কিছুক্ষন পর পর বিমান থেকে এক্সপ্লোসিভ ফেলা হয়। প্রতিদিনই কিছু না বাচ্চা শিশু, মহিলারা লাশ হচ্ছে। ওরাও কারো না কারো মা বোন বা সন্তান। অসহায়ত্বের এই পার্স্পেক্টিভ সহজে বোঝা সম্ভব না, যদি না কেউ ওই অবস্থা সচক্ষে দেখে বা হৃদয় দিয়ে অনুভবের চেষ্টা করে। কাফিররা কেমন যেন বিস্ফোরক গুলোকে ফেলবার বৈধ স্থান পেয়েছে। তাগুত সংঘই এদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। আফসোস এর বিষয় যে এই করুন অবস্থাগুলো চোখে দেখেও যাদের কাধে দিকনির্দেশনার দায়িত্ব ন্যস্ত, তারা আরো কালো আধারে জাতিকে ডুবানোর জন্য গাইড করে। এদের দিন যায় দ্বীন বেচে।জাতিকে কালেক্টিভভাবে ভুল পথে পরিচালনার দায়ভার সিংহভাগ তাদের উপরেই পরে। আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন, যারা হক্কের উপর থাকে, সত্যের দিকে আহব্বান করে আল্লাহ তাদের প্রতি সাধারন মানুষের মধ্যে গ্রহনযোগ্যতা এবং ভালবাসা সৃষ্টি করে দেন। হয়ত ফিতরাতগত কারনে অধিকাংশ মানুষই সেটাকে সমর্থন করে। যে ব্যক্তি হাত দিয়ে পারে না, সে ব্যক্তি মন দিয়েও সমর্থন করে। এর জ্বলন্ত প্রমান আজকের সময়ের শাইখ তামিম আল আদনানি। একটা সময় ছিল তাকে খুব কম মানুষ চিনতো৷ অল্প লোকের গন্ডীর বাইরে তার চেনা জানা ছিল না। যখন তার কথাগুলো ভাইরাল হতে লাগলো, তার বিরোধিদের চেয়ে অনুসারীদের সংখ্যাই বাড়তে লাগলো৷ এখনো বাড়ছে। ওনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় সাত লাখ স্পর্শ করতে যাচ্ছে। যারাই তার বিরুদ্ধে বলছে, তাদেরকে সমর্থনের বদলে কথা দিয়ে উত্তমমধ্যম দিয়ে দিচ্ছে। এরূপ হবার কারন সত্যের পথে অবিচল থাকা। যখন অটোম্যান খিলাফার পতন হয়ে যাচ্ছিলো, সেসময় এবং পরবর্তী সময়ে আলিমদের মধ্যে মুসলিম ভূখন্ড গুলোয় ঊস্তায নূর উদ্দিন জঙ্গি এবং তার শিষ্যের মতের ও পথের পর্যাপ্ত আলিমদের পাওয়া যায় নি যারা গাইড করবে। সমুদ্রের ফেনায় ট্রান্সফর্ম হওয়া তখন থেকেই শুরু। ওই অবস্থা আজ পর্যন্ত বলবৎ আছে। এর মধ্যে কাফিররা জুমহুরিয়া,আসহাবিয়্যাহ সহ অনেক ইডিওলজি উম্মাহর মধ্যে ইঞ্জেক্ট করে একদম বিকলাঙ্গ করে দিয়েছে, এমন করেছে যে এখন শাইখ উসামা, মোল্লা ওমরদেরকে সন্ত্রাসী মনে করানো হয়। আমরাও পাশ্চাত্যের শিক্ষা সহ সব কিছুই গ্রহন করেছি, ওরা যেভাবেই নাচাচ্ছে সেভাবেই নাচছি। সব স্থানে কাফিরবান্ধব মোডারেট ইসলামের প্রচার করা হয়। এটাই আজকের সহীহ দ্বীন এবং স্বহীহ আকিদা!

২য় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শুয়োর



 জনৈক ভাই খুব হাতাশা আর দুঃখ প্রকাশ করে বলছেন, তিনি আজ কিছু মুসলিম নামযুক্ত মুর্তাদরা নবী(স) কে নিয়ে অশ্লীলভাবে কটুক্তি করতে দেখেছেন।  তিনি জানতে চাইছেন তাদের বিরুদ্ধে কি কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায় না?

বললাম, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে জঙ্গী সাব্যস্ত হবেন এবং আপনাকেই উলটো আইনের আওতায় নেওয়া হবে। কারন এ দেশে নাস্তিক গুরু রাজিব হায়দার বা থাবা বাবা যখন নবী(স) কে নিয়ে অশ্লীল কাব্য, গল্প লিখলো এবং অশ্লীলভাবে কটূক্তি করলো এবং এতে যখন তাকে হত্যা করা হলো তখন খোদ প্রধানমন্ত্রীই তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে গেল এবং সংবাদমাধ্যমে তাকে ২য় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ খেতাব দিলো।

বিশ্বাস না হলে দেখুনঃ

https://m.youtube.com/watch?v=zODpDVfbdys


শুধু প্রধানমন্ত্রীই নয়, তার সাথে নাস্তিকদের কর্মের সাথে একমত আব্দুল্লাহ আল মাসুদদের ন্যায় আলেমদের এক একদল।তারাও একে শহীদ খেতাব দিল। দেখুনঃ   https://m.youtube.com/watch?v=MCiCs88_pI0 


নাস্তিক ব্লগার রাজিব হায়দারের অপকর্মের কিছু নমুনা দেখুনঃ

https://m.youtube.com/watch?v=omMgA-OqUwM

https://m.youtube.com/watch?v=GBRJ_qbToic 

https://m.youtube.com/watch?v=J2h1AOGElGs


তিনি জানতে চাইলেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে কিনা..

বললাম-"পুলিশের কাছে যেতে পারেন। কিন্তু নাস্তিকদের অসাম্প্রদায়িক মুক্ত চেতনার অসহিষ্ণুতার জন্য আপনাকেই জঙ্গী সাব্যস্ত হয়ে শাস্তি পেতে হতে পারে।"


তিনি বললেন- "এ কেমন পরীক্ষায় ফেললো আল্লাহ্‌ আমাদের 😞

সহ্যও করতে পারি না, কিছু করতেও পারি না"

কিছু করতে পারিনা বললে ভুল হবে। করনীয় কি সেটা নবী (স) এর সুন্নাহ তে ভালভাবেই  বর্ণিত আছে। এর দলিলভিত্তিক করনীয় বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=GBRJ_qbToic

(একই)

অতঃপর দেখুন যারা নবী(স) এর নির্দেশ মোতাবেক কটুক্তিকারী মুর্তাদকে ঘায়েল করেছে তাদের কি পরিনতি হয়েছে।

https://m.youtube.com/watch?v=mTa5thx5oBw

এর পরে ওয়াশিকুর বাবু নামের মুরতাদ আর জঘন্য ভাষায় আল্লাহর ও তার রাসূল(সা) কে নিয়ে কটুক্তি করে। তাকে হত্যার পরেও সরকার একই আচরন করে।

সুতরাং চলমান সময়ে যারা এভাবে আল্লাহ ও তার নবী(স) কে গালিগালাজ ও কটূক্তি করে যাচ্ছে, তাদের বিপক্ষে মামলা করতে চাওয়া, আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের চিন্তা কতটুকু বুদ্ধিমানের কাজ?

প্রশ্ন আসতে পারে, কেন এই শাসকগোষ্ঠী নাস্তিকদের সপক্ষেই থাকছে! এত উত্তর খুব সোজা। তাদের নাম গুলো মুসলিম হলেও তারা অন্তরের দিক দিয়ে আদৌ মুসলিম নয়। এরা নিজেরা আইন তৈরি করে বিচার করে, এজন্য তারা ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকেই কাফের। আল্লাহ সূরা মায়েদার ৪৪ নং আয়াতেই তা পরিষ্কারভাবে বলেছেন। এজন্য তাদের বিচার, রায় সবকিছুই নাস্তিকদের পক্ষে যাবে এটাই স্বাভাবিক।। মানবরচিত বিধানের এই শাসকরা আইন হাতে তৈরি করে নিজেদেরকে ইলাহর আসনে বসায় বলে শার'ঈ পরিভাষায় এদের তাগুত বলে। এতএব  কাদের কাছে বিচার চাইবেন? সূরা নিসার ৬০ নং আয়াতে শিক্ষণীয় বিষয় আছে। আল্লাহ বলেনঃ

"আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা দাবী করে যে, যা আপনার প্রতি অবর্তীর্ণ হয়েছে আমরা সে বিষয়ের উপর ঈমান এনেছি এবং আপনার পূর্বে যা অবর্তীণ হয়েছে। তারা নিজেদের মোক্কাদমা তাগুতের কাছে নিয়ে যেতে চায়, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা ওকে মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদেরকে প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়।"


শাসক গোষ্ঠী যে তাগুত সেটার সুস্পষ্ট প্রমান তারা দিয়েছে মুরতাদ ব্লগারদের সমর্থন দিয়ে ও তাদের হত্যাকারীদের বিপক্ষে বিচার করে। কিন্তু এর পরেও কিছু মূর্খরা কখনোই বুঝবেনা। এরা তাগুতকেই বিচার ফয়সালাকারী হিসেবে মান্য করে যাবে।আহলে হাদিস সংগঠনটি এই তাগুতকেই মান্য করতে নির্দেশ দেয়, তাগুতের গুরুদের নামের সাথে 'রহিমাহুল্লাহ' উচ্চারণও করে, আর তাদের ৯৯% ই নাস্তিকদের প্রতি নিরবতা পালন করে। তেমনি অন্যান্য সকল হক্কানী-সহীহ আকিদার ঝান্ডাধারীরাও। মোডারেট আরিফআজাদরা রাসূল (স) কে কটূক্তিকারীদের কতলের 'বিরুদ্ধে'ও মনগড়া আর্টিকেল প্রকাশ করে।

এ আর্টিকেলটি এ জন্যই লেখা যে এখনো অধিকাংশই জানেনা নাস্তিকদের কুকর্ম ও তাগুতের সমর্থনসূচক অবস্থান। এখনো ৯০% মানুষই সত্যের ব্যপারে বেখবর। এদের অনেকে না জেনেই কাফেরদের পক্ষে থেকে তাদের সমর্থন আর হত্যার নিন্দা করে।  এর কারন কাফেরদের সপক্ষীয় শক্তিশালী মিডিয়া কভারেজ। আজ মালাউন অভিজিৎ কে কতলকারী ভাইদেরকে মৃত্যুদণ্ডের রায় হলো। মুর্তাদ সরকার ঠিকই মদিনা সনদে দেশ চালানোর প্রহসন করে। মাথামোটা জনগণ এগুলো শুনে মনে করে তাগুতলীগ কত্ত ভালা! কিন্তু তাদের মুসলমানত্বের পরিচয় হচ্ছে- শাতীমে রাসূল(সাঃ) দেরকে নিরাপত্তা দেয়া এবং এদেরকে কতল করা হলে সত্যিকারের আশিকে রাসূলদের(স) মৃত্যুদণ্ড দেয়া। যতদিন জাতি এই তাগুতকে চিনবে না, প্রকৃত লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর দিকে আসবে, লাঞ্ছনা কিছু মাত্রায়ও কমবে না। আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।


.

পড়ুনঃ

https://medium.com/@abuyunus/শাতিমে-রাসুল-সাঃ-ও-ইদ্রিস-কান্ধলভি-রহঃ-2194b3ab6888

Sunday, February 14, 2021

সিহর এবং অকাল্ট - টেকনোলজিক্যাল এ্যাম্বিগুইটি

সিহর কি? সিহর বা যাদু হচ্ছে সেই ব্যাখ্যাতীত অদ্ভুত ঘটনা যার কার্যকরণ গুপ্ত বা অজ্ঞাত। এটা বলে সাধারণ মানুষ যারা সিহরের অস্তিত্ব এবং প্রভাবকে অনুভব করে। কিন্তু একজন যাদুকরের নিকট সিহরের সংজ্ঞা একদমই ভিন্ন। তার কাছে যাদু বা সিহর হচ্ছে এমন এক ক্র‍্যাফট যার দ্বারা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নীতিকে পালটে ফেলা হয়, বিকৃত করা হয়,ভেঙ্গে ফেলা হয়, পরিবর্তন করা হয়। অর্থাৎ তাদের নিকট witchcraft/magick/sorcery মানেই manipulating, perverting,distorting, twisting, changing the law of nature/creation।  বৈদিক এবং কাব্বালিস্টিক অর্থাৎ যাদুর ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন উভয় ট্রেডিশনের কার্যপদ্ধতি ভিন্ন তবে লক্ষ্য তাদের অভিন্ন। আল্লাহর সৃষ্টির সোর্সকোড সম্পর্কে জানার চেষ্টা এবং যতটুকু জানা যায় কিংবা যতটুকু ক্ষমতা আছে সেই জ্ঞান/বিদ্যা দ্বারা পরিবর্তন ঘটিয়ে উদ্দেশ্যসাধন/লক্ষ্য অর্জন। বৈদিক মতানুযায়ী you cannot beat a river into submission,you have to surrender to its current and use its power as your own, therefore silence your ego and your power will rise!  অন্যদিকে কাব্বালিস্ট র‍্যাবাঈদের মত হচ্ছে you can beat a river into submission, therefore you need to raise your ego at highest level and your power will rise! এখানে নদীর স্রোত হচ্ছে ন্যাচারাল ল' & অর্ডারের ফ্লো এর এ্যালিগোরি। যারা বোঝেন নি, বোঝার প্রয়োজন নেই। এই কথাগুলো বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান আর্টিকেল সিরিজেও পাবেন। 

যাইহোক, বৈদিক কিংবা কাব্বালিস্টিক শাস্ত্রে যে শিক্ষা দেয়া হয় তা মূলত আল্লাহর স্বাভাবিক সৃষ্টিকে করাপ্ট করার শিক্ষা। যখন কোন ন্যাচারাল অর্ডার বা নীতিকে করাপ্ট করার চেষ্টা করা হয়, সেটা ততক্ষণ পর্যন্ত বিকৃত হয় না যতক্ষণ না এর সৃষ্টিকর্তার থেকে পারমিশন/অনুমোদন আসে। এজন্য আমরা সূরা বাকারার ১০২ নং এ দেখি وَمَا هُمْ بِضَارِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ । উদাহরণ স্বরুপ ধরুন, একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের এমডির কাছে থেকে যেকোন নীতি কিংবা দুর্নীতির জন্য সাক্ষর গ্রহণ করে অনুমতিগ্রহন করে করতে হয়। কোন প্রোডাক্ট ঢুকলে বা বের হলেও তার সাক্ষর গ্রহন লাগে। উনি যদি কাগজে অবৈধভাবে দুর্নীতি ঘটবার জন্য সাক্ষর বা অনুমতি না দেন তাহলে হাজার কিছু করলেও অবৈধভাবে অর্থলাভ হবেনা। ধরুন অফিসের একদল লোক দুর্নীতি করে অর্থলাভের উপায় বের করলো, তারা পাবলিকভাবে এমন এমন মিথ্যা বিশ্বাস প্রচার করলো যার ফলে মনে হয়, এই লোকগুলো সত্য বলছে, ভাল কাজই করতেছে। কিন্তু সুক্ষ্ম দুর্নীতি এমডি ঠিকই বুঝে গেছেন। এখন অনুমতি চাইতে সাক্ষর নিতে গেলে তিনি সাক্ষর করলেন ঠিকই কিন্তু মনে মনে বলেন, এদের ইনক্রিমেন্ট বন্ধ,এ বছর  আরো করো,বছর শেষে ছাটাই করা হবে। যখন অবৈধভাবে কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো বের করা হবে তখনও এমডির কাছে পারমিশন রিকোয়েস্ট গিয়েছে যার এ্যাপ্রোভাল পেয়েই কাজটি ঘটেছে। 


দৃশ্যকল্পটি বুঝে থাকলে উপরোল্লিখিত কথার তাৎপর্য বোঝা সহজ হবে। যাদুকররা যে ট্রেডিশনেরই হোক না কেন এরা যা প্র‍্যাক্টিস করে যেটা ঘটে এটা আল্লাহর অনুমোদনের বাহিরে হয়না, কিন্তু এরা তাদের কাজকে ঘিরে অনেক মনগড়া কুফরি আকিদা বিশ্বাস তৈরি করে যা মাঝেমধ্যে সত্যিকারের কস্মোজেনেসিসকে রিরাইট করে। কিন্তু আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তনের অনুমোদন আল্লাহর থেকে পায় কিন্তু বিনিময়ে অর্থাৎ যাদুর বিনিময়ে পরপারে এদের আর কোন অংশই অবশিষ্ট থাকেনা।  

সুতরাং বৈদিক কিংবা কাব্বালিস্টিক ট্রেডিশনে যে বিদ্যা শেখানো হয় তা সৃষ্টির নীতিকে পরিবর্তন করার অপবিদ্যা ছাড়া আর কিছুই না যা আল্লাহর অনুমতিতেই কাজ করে। এমতাবস্থায়, সেই বেদান্তবাদ বা কাব্বালাহ এর বিদ্যা দ্বারার মেক্যানাইজেশন অর্থাৎ এর বিদ্যার উপর যদি কোন প্রযুক্তি নির্মাণ করা হয় তবে তা কখনোই আল্লাহর দ্বীন অনুযায়ী হালাল হিসেবে গন্য করা সমীচীন হবেনা। উদাহরণস্বরূপ বেদান্তশাস্ত্রে বিশ্বাসী শ্রোডিঞ্জার,হাইজেনবার্গদের বানানো বেদান্ত মেকানিক্স  দুঃখিত ;কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর উপর বানানো কোয়ান্টাম প্রসেসর। এর রহস্যময় কার্যনীতি এর উদ্ভাবকরাও বোঝেনা। সিহরের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর কার্যনীতি বা মেকানিকস কখনোই মানুষের কাছে পুরোপুরি বোধগম্য হবেনা। সাধারন মানুষের কাছে যেমন মিস্টিক্যাল, যাদুকরদের কাছেও তেমন মিস্টিক্যাল। পার্থক্য হচ্ছে যাদুকররা মনগড়া কিছু বলে ইন্টারপ্রেট করার চেষ্টা করে। এর মেকানিক্স নূহের [আঃ] যুগেও মানুষ যেমন বুঝতো না এখনো বোঝেনা। প্রথমেই বলেছিলাম, সিহর বা যাদু হচ্ছে সেই ব্যাখ্যাতীত অদ্ভুত ঘটনা যার কার্যকরণ গুপ্ত বা অজ্ঞাত। এখন যদি কোন ব্যক্তি এমন কোন উসূলের ডেভেলপ করে যাতে বলা হয় প্রযুক্তিগত সবকিছু, নো ম্যাটার এটার ডেভেলপমেন্ট এর সূত্র যাদুশাস্ত্র থেকে নেয়া বা না নেয়া, সেটার কার্যনীতি আজ না বোঝা গেলেও সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে ঠিকই বোঝা যাবে, প্রযুক্তির কার্যনীতির বোধগম্যতা সময়ের সাথে সংশ্লিষ্ট। অর্থাৎ যাদুকরদের মৌলিক কার্য তথা ন্যাচারাল 'ল বিকৃতকারী বিদ্যার মেক্যানাইজেশনকে হালাল ভাবে নিয়ে সভ্যতার এ্যাডভান্সমেন্টের সাথে কিংবা সময়ের এর আন্ডারস্ট্যান্ডিং জুড়ে দেয়ার উসূল ত্রুটিযুক্ত এবং সমর্থনযোগ্য নয়। এর দ্বারা একরকম মু'তাযিলাদের উসূলকে ধারন করা হয়, মু'তাযিলারা যাদুবলে কিছুকে স্বীকার করেনা, তারা সিহরকে বিদ্যা বিজ্ঞান প্রযুক্তির ডোমেইনে ফেলে। যাইহোক, এমন উসূল তৈরির একটি কারন হতে পারে গোটা বিষয়ে পুওর আন্ডারস্ট্যান্ডিং অথবা সার্বিকভাবে এমন উসূলে চলা যেটায় শারঈ সমস্ত বিধানগুলোর ব্যপারে বুঝ গলার নিচে যেতে দেয় না। 


★এমন কখনো হয়না যে আপনি এমন কোন কিছু গনহারে বানাতে পারেন যার কার্যনীতি সম্পর্কে অজ্ঞাত। আপনি যদি কোন ম্যাথম্যাটিক্যাল প্রবলেম সলভের ব্যপারে পুরোপুরি জ্ঞান না রাখেন, তাহলে ম্যাথ কখনোই সলভ করতে পারবেন না। যদি গোঁজামিল দিতে দিতে করেও ফেলেন,সেটা কিভাবে হলো সে ব্যপারে রিফ্লেক্ট করলে অবশ্যই বুঝতে সমর্থ হবেন। সে ম্যাথের ব্যপারে যদি ভাল করে জানেন অবশ্যই একটু চেঞ্জ করে দিলেও সলভ করতে পারবেন। প্রযুক্তিগত জিনিসগুলো এমনই, এসবের কার্যনীতির রহস্য উদ্ভাবকের কাছে দুর্বোধ্য অবস্থায় থাকেনা। অপর দিকে সিহর সবসময়ই দুর্বোধ্য। এটাকে মেকানাইজড করা হলে,একে ব্যাখ্যা করতে চাইলে আনঅবজারভেবল ফিলসফিক্যাল বিলিফের দিকে যেতে হবে। প্রযুক্তিগত ডিভাইস খুব কমই পাবেন যা সরাসরি সিহরের ইল্মের উপর তৈরি। যা আজ সিহর তা হাজার বছর আগেও সিহর হিসেবেই ছিল। 


★সাধারন প্রযুক্তিগত জিনিস আল্লাহর সৃষ্টিজগতের স্বাভাবিক নীতিরই অনুসরণ করে। এরা 'ল ভায়োলেট করে না। কিন্তু প্রত্যেক যাদুকর জানে he is twisting things out of its proper shape, সে জানে সে ন্যাচারাল 'ল বিকৃত করতে চাচ্ছে। কিভাবে হয় তা কেউ(মনুষ্যজাতি) জানে না। সেটা হতে দেয়া বা না দেয়াটা আল্লাহর হাতে। এমতাবস্থায় বৈদিক কিংবা কাব্বালিস্টিক শাস্ত্র উদ্ভূত প্রযুক্তি আল্লাহর সৃষ্ট জগতের স্বাভাবিক নীতিতে কাজ করবেনা বরং সেটা ল' ভায়োলেট করেই অনবরত আল্লাহর অনুমতিতেই কাজ করবে। সুতরাং কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে বৈধ স্বাভাবিক প্রযুক্তির তালিকাভুক্তির উসূলটির গ্রহণযোগ্যতা - শূন্য। 


হয়ত কিছুকাল পর জিরো পয়েন্ট এনার্জির ডিভাইস চলে আসবে। এটা যদি যাদুকরদের বিশ্বাস অনুযায়ী প্রকৃতির ফান্ডামেন্টাল এনার্জি রিসোর্স ব্যবহার করে, যাকে তারা ইথার কিংবা কোন্টায়াম ফিল্ড/কোয়ান্টাম ফোম/পাইলট ওয়েভ প্রভৃতি শব্দ দ্বারা বোঝায়, এটা কি আল্লাহর সৃষ্টিজগতের নীতিকে ডিফেন্ড করবে নাকি বিকৃত করেই এনার্জি আউটপুট দেবে! আমি অনুভব করি এমন কিছু যদি সফল বাস্তবায়ন ঘটে এবং তা যদি ম্যাসিভ স্কেলে ব্যবহার করে তবে তা প্রকৃতি এবং আশপাশের বস্তু জগতে চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটা প্রকৃতির ফান্ডামেন্টাল বিল্ডিং ব্লক বিকৃত করে ফেলবে। ইন্টুইটিভ -সাইকোম্যাট্রিক এম্প্যাথরা সহজে বুঝবে যে, এটা বস্তু / প্রানীর ফিজিক্যাল এনার্জি রিসোর্স এক্সস্ট করতে থাকবে,দেখা যাবে বিল্ডিং, বৃক্ষ সমস্ত সলিড অব্জেক্টের রিজিডিটি কমে গেছে ,  সুতরাং সিহর স্বল্পমেয়াদী লাভ তৈরি করলেও তা দীর্ঘমেয়াদে কখনোই কল্যাণকর না। কিছুদিন আগে জিম্বাবুয়ের ম্যাক্সওয়েল চিকম্বুৎসুর ফ্রি এনার্জি ডিভাইস তৈরি নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। পরবর্তীতে তার সাথে অনেক বার্তা বিনিময়ের পর বুঝতে পারি তার জিপিএম মেশিনগুলো রেডিও সিগ্নালকে ইলেক্ট্রিসিটিতে কনভার্ট করে। অর্থাৎ এটা বেতার তরঙ্গকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর কৌশল। এটা আদৌ যাদুকরদের প্রকৃতির ল' অল্টারিং বা পার্ভাশনের চিন্তার ডোমেইনে পরে না। উদাহরণস্বরূপ, আপনি খাদ্য গ্রহন করছেন,আর আপনার শরীর সেই খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করছে।এজন্য দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া ম্যাক্সওয়েলকে বলেছি সে যেন গরীব আফ্রিকানদেরকে এর দ্বারা উন্নয়ন ঘটায়। 


★অতএব এটা বোঝা সহজ যে ম্যাজিক্যাল অকাল্ট স্ক্রিপচার আশ্রিত বিদ্যার উপর সরাসরি ভিত্তি করে প্রযুক্তি নির্মান করা হলে তা শুধুমাত্র এজন্যই পরিত্যাজ্য নয় যে, সেটাকে আশ্রয় করে কাফিররা বিভিন্ন তাওহীদ বিদ্বেষী আকিদা বানিয়ে প্রচার করে, বা তা দ্বারা তারা তাদের কুফরি আকিদার সত্যায়ন করে বরং মূল সমস্যা হচ্ছে এই বিদ্যার মূল শিক্ষাই হচ্ছে সৃষ্টিকে বিকৃত করার জন্য আনঅথোরাইজড ইন্টারভেনশান। এবং এটাই করে থাকে। এটা সফলভাবে কাজ করছে এটা দেখার মানে এই নয় যে আল্লাহ আযযা ওয়াযাল এর উপর সন্তুষ্ট,এও না যে তা আল্লাহর বেধে দেয়া স্বাভাবিক নিজামের অধীনে কাজ করছে। বরং আউটপুট আসছে আল্লাহর অনুমতিতে তার সৃষ্টিকে বিকৃত করার মাধ্যমে। এই যাদু করা মূলত শয়তানেরই কাজ। এর শিক্ষক মূলত শয়তান। শয়তান আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তনের আদেশ দেয়। আল্লাহ শয়তানের এ শিক্ষার ব্যপারে বলেনঃ 

....فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللَّهِ.... 

....তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেব.....।

(সূরাঃ আন নিসা, আয়াতঃ ১১৯)



অর্থাৎ এদিক থেকে দেখা যায় যাদু বা সিহর শয়তানের শিক্ষা। ইহুদিরা যে কাব্বালাহকে ধরে বসে আছে সেটা শয়তানেরই শিক্ষা। আল্লাহ বলেনঃ....وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَٰكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ وَمَا أُنْزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوتَ وَمَارُوتَ....

অর্থঃ... সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত....।

(সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ১০২)



এজন্য সরাসরি কাব্বালিস্টিক কিংবা বেদান্তবাদের উসূল ব্যবহার করে প্রযুক্তিতে রূপ দিলে তা কস্মিনকালেও বৈধ ব্যবহার্য বস্তু হিসেবে স্বীকৃতি পাবেনা। এই বৈধ অবৈধতা সাব্যস্ত করনের উসূল কোন নির্দিষ্ট সময়কেন্দ্রিক নয় বরং সকল যুগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যদি কেউ একে বৈধতা দিতে চেষ্টা করে তবে হয় তার সিহরের সংজ্ঞায়নের প্রকৃতি মু'তাযিলা অনুরূপ অথবা তাদের শারঈ অন্যসব উসূল ও আন্ডারস্ট্যান্ডিং এমন যেরূপ হলে ইল্ম গলার নিচে প্রবিষ্ট হয়না বলে হাদিসে এসেছে। বৈধতাদান কারীদের উসূলকে গ্রহন করলে কাব্বালাহ কিংবা বেদান্তশাস্ত্রে এমন কোন সিহর শিক্ষার কিছু নেই যা ন্যাচারাল 'ল করাপ্ট করতে শেখায়, যা কিছু আছে সবই আল্লাহর নির্ধারিত বিধান অনুযায়ী হয়। সেই বিধান মোতাবেক কোয়ান্টাম প্রসেসর বানানো হচ্ছে। অর্থাৎ তাহলে আর রাযি.র মতানুযায়ী রিয়ালিটি পার্ভার্শনের কিছু নেই। যাদুকররা যা করে একটা লোককে অসুস্থ করে দেয়, সেটাও প্রকৃতির 'স্বাভাবিক' নীতি!!! আচ্ছা, তাহলে আল্লাহর অনুমতিতে হবার প্রয়োজন কি!? ডিজেল দিয়ে যেভাবে ইঞ্জিন চালানো যায় এটাও এরকমই ব্যাপার। সবই হালাল ইল্ম। সবই টেকনোলজি, সবই সায়েন্টিফিক নলেজ। কিয়ামত পর্যন্ত টেকনলজিক্যাল সব হালাল নো ম্যাটার সেটা যাদুবিদ্যার নীতিতে চলছে অথবা সেটা ছাড়া সাধারন নীতিতে!!! 


ইখতেলাফ কিংবা ভিন্ন উসূল প্রতিষ্ঠা নিষিদ্ধ কিছু নয়। বরং মাঝেমধ্যে তা কল্যাণকর। তাই বলে আমাদের এমন কিছু বলার ব্যপারে সাবধান থাকতে হবে যা পেছনের জ্ঞান কিংবা মৌলিক চিন্তার সাথে সাংঘর্ষিকতা তৈরি করে। আমি এ যাবৎকাল পর্যন্ত যা লিখেছি,যার পেছনে আমার কোন ইল্মী ব্যাকআপ নেই,সেসমস্ত উসূলী(নীতিগত) বিষয়ে এমনটা দাবি করিনা যে তার সবটাই ১০০ ভাগ শুদ্ধ। এমনও হতে পারে এমন কোন উসূল প্রতিষ্ঠিত হল যা আমার চেয়ে বিশুদ্ধ এবং শারঈ দিক দিয়ে বিশুদ্ধ। এমতাবস্থায় সেটাকে অনুসরণই কল্যাণকর হবে। 




ওয়া আল্লাহু তা'আলা আ'লাম।

যা কিছু লিখেছি এর মধ্যে যা কল্যাণকর তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। যা কিছু অকল্যাণকর তা আমার এবং শয়তানের পক্ষ থেকে। 


سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ