Monday, December 10, 2018

গনতন্ত্র- স্বতন্ত্র শিরকী দ্বীন

Democracy:A Polytheistic Creed 

Manly p. Hall
স্বীয় দ্বীন থেকে বিচ্যুত মুসলিম জাতি ডেমোক্রেসি বা জুমহুরিয়াকে উত্তমরূপে গ্রহন করে নিয়েছে। এতে তারা এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে যার জন্য তারা এর বিকল্পে অন্য কিছুকে ভাবেনা। এমনটিও দেখা যায় যে অনেক মুসলিম নামধারী বান্দা নিজেকে ডেমোক্রেটিক মোজলেম পরিচয় দিয়েও গর্ববোধ করছে। ফেসবুকের পলিটিকাল ভিউতে তারা ডেমোক্রেসিকে সদর্পে লিখে রেখেছে। এমনকি আলেমসমাজের বড় একটা সংখ্যা গনতন্ত্রকে হালাল ও গ্রহন-অনুসরনযোগ্য বলে প্রচার করছে। এদেশের কথিত 'সহীহ আকিদাওয়ালা' আহলে হাদিসের আলেমগনকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিতেও দেখা গেছে।
এবার আসুন ইসলামের আলোকে গনতন্ত্রকেএকটু সুক্ষভাবে বিচার করা যাক।
চমৎকার এক অভ্রান্ত দলিলের দ্বারা গনতন্ত্রের স্বরূপকে স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাবে।
.
একদিন রাসূল(সাঃ) আদী ইবনে হাতিম (রাঃ) এর কাছে দেখা করতে যান। আদী ইবনে হাতিম(রাঃ) খ্রিষ্টান ছিলেন। সাক্ষাৎকালে তার গলায় রৌপ্য নির্মিত ক্রুশ ঝুলছিল। রাসূল(সা) তার সামনে তিলাওয়াত করছিলেন-
اتَّخَذُواْ أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِّن دُونِ اللّهِ وَالْمَسِيحَ ابْنَ مَرْيَمَ وَمَا أُمِرُواْ إِلاَّ لِيَعْبُدُواْ إِلَـهًا وَاحِدًا لاَّ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ سُبْحَانَهُ عَمَّا يُشْرِكُونَ
আয়াতটি। যার অর্থঃ
'তারা তাদের পন্ডিত ও সংসার-বিরাগীদিগকে তাদের পালনকর্তারূপে গ্রহণ করেছে আল্লাহ ব্যতীত এবং মরিয়মের পুত্রকেও। অথচ তারা আদিষ্ট ছিল একমাত্র মাবুদের এবাদতের জন্য। তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তারা তাঁর শরীক সাব্যস্ত করে, তার থেকে তিনি পবিত্র'[৯:৩১]।
.
এটা শুনে ইবনে হাতিম (রা) তখন বলেন 'ইহুদী-খ্রিষ্টানরা তো তাদের দরবেশ-আলেমদের উপাসনা করেনি'। তখন নবী(সা) বলেন, "তাহলে শোনো, তারা তাদের দরবেশ ও আলেমদের হারামকৃত বস্তুকে হারাম বলে মেনে নেয় এবং হালালকৃত বিষয়কে হালাল বলে স্বীকার করে নেয়।এটাই তাদেরকে তাদের উপাসনা করার শামিল।" এরপরে আল্লাহর রাসূল(সাঃ) আদী (রাঃ) কে কিছু হৃদয়স্পর্শী বাক্য দ্বারা তাওহীদের দাওয়াত দেন। সাহাবী আদী ইবনে হাতিম(রাঃ) তখনই ইসলাম গ্রহন করেন। এ ঘটনা নবী(সা) এর পবিত্র চেহারা মোবারক খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
.
হুযাইফা ইবনে ইয়ামান(রাঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রাঃ) থেকে ৯:৩১ এর তাফসীরে এরূপই বর্নিত আছে যে, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে এই যে হালাল হারামের মাস'য়ালায় আলেম ও ইমামদের কথার অন্ধ অনুকরণ। সুদ্দি(রঃ) বলেন, তারা তাদের বুযুর্গদের কথা মানতে শুরু করে এবং আল্লাহর কিতাবকে একদিকে সরিয়ে দেয়।
.
অতএব, এটা সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, যারা আল্লাহর বিধান বাদ দেয় এবং নিজ হাতে বিধান রচনা করে তারা নিজেদেরকে রবের আসনে বসায়। সুতরাং সেসব ব্যক্তিদের আনুগত্য = তাদের উপাসনা করার শামিল। এটাই ৯:৩১ এর মূল বক্তব্য যার দলিল সরাসরি হাদিস ও সাহাবীদের তাফসির থেকে পাওয়া যায়। সেসব উপরেই উল্লেখ করেছি।
এবার ভাবুন..যে পার্লামেন্ট-আইন প্রণয়নকারী পরিষদ নিজেদের হাতে আইন তৈরি করে এবং যারা(ভোটদানকারী জনগন) তাদেরকে রবের আসনে বসানোর কাজে প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত করে, এরা সবাই আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে নব্য বিধান তৈরির মাধ্যমে কি নিজেদেরকে সৃষ্টিকর্তার আসনে বসায় নি??
এবং আপামর মূর্খ জনগোষ্ঠী কি ওই সকল ব্যক্তিদের(যারা নিজেদেরকে স্রষ্টার আসনে বসিয়েছে তাদের) বিধিবিধানের আনুগত্য করার মাধ্যমে তাদের ইবাদত করছে না??
.
একটু সুক্ষ্মদর্শী হঊন। মনে করুন আপনি একটি গণতান্ত্রিক দলকে ভোট দিয়ে এসেছেন যে দলটি নির্বাচিত হয়ে নিজেদের তৈরি বিধান প্রনয়ন করবে। এর অর্থ আপনি নিজেকে পরোক্ষভাবে ইলাহ বানিয়েছেন। আর পরবর্তীতে ইলেক্টেড গণতান্ত্রিক দলটির বিধিবিধান ও গণতান্ত্রিক চেতনা আপনি আন্তরিকভাবে পালন করবেন। অর্থাৎ যারা প্রত্যক্ষভাবে নিজেদেরকে আইনদাতা হিসেবে মিথ্যা মা'বুদ রূপে প্রতিষ্ঠিত করেছে, আপনি তাদেরকেই মান্য করে তাদের উপাসনাই করছেন যেমনটি আল্লাহ আহলে কিতাবের আইনরক্ষাকারী আলেম ও পন্ডিতগনের ব্যপারে ৯:৩১ আয়াতে বর্ননা করেছেন। এর অর্থ আপনি স্পষ্টভাবে শিরক করে মুশরিক হয়ে গেলেন।
.
আশা করি বুঝতে পারছেন, ডেমোক্রেসি কিরূপ massive polytheistic trap! অনেক মানুষ জেনেও শিরকের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। আহলে কিতাবিরা ওদের পন্ডিত/আলেমদের কথার অন্ধ অনুসরন করত। ওরা ছিল রিলিজিয়াস ফিগার যার জন্য তারা যদি দ্বীনি লেবাসে ধোকা দিত সেটা বোঝাটা তাদের মান্যকারীদের(উপাসনাকারী) পক্ষে আজকের অপেক্ষা দুরূহ ছিল। অথচ আজকে বিষয়টা অপেক্ষাকৃত অনেক অনেক স্পষ্ট। যারা মানবরচিত আইনপ্রনেতা তাদের সাথে ইসলামের কোন নূন্যতম সম্পর্কও নেই। অথচ এরাই দিবালোকে জনগনকে শিরকে ডুবিয়ে রেখেছে।।কতটা নিকৃষ্ট অবস্থা আজ আমাদের! আমরা সুস্পষ্ট বিষয়েও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ঘুরছি।
আর আলেমসমাজ?? তারা ওই বাতিল বিধানের দাতা শাসক তথা বাতিল মা'বুদদের আনুগত্যের নির্দেশ দেয়! লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!
.
এ ব্যপারে সকল হক্কপন্থী শ্রেষ্ঠ আলেমগন একমত যে শয়তান,মূর্তি, আল্লাহর আইন(হালাল হারাম) বদলকারী, নিজ হাতে বিধান রচনাকারীরা হচ্ছে তাগুত। আর তাওহীদের দুই রোকনের প্রথমটিই হচ্ছে কুফর বিত তাগুত। অর্থাৎ তাগুতকে অস্বীকার করা। অতএব ডেমোক্রেটিক বা ম্যানমেড ল ইউজারদের মান্য করা না করা সরাসরি তাওহীদের সাক্ষ্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত। আমাদের দায়িত্ব শুধু পৌছানো, মানা না মানা পাঠকদের নিজের উপর নির্ভর করে।
আমি এখানে গণতান্ত্রিক আইনব্যবস্থায় সাংবিধানিক আইনি ধারার সাথে ইসলামের কন্ট্রাডিকশন গুলো পয়েন্ট আকারে উপস্থাপন করিনি বরং গোটা মানবরচিত গণতান্ত্রিক সিস্টেমের ভিত্তিমূলে আঘাত করেছি।
.
শয়তান চায় মানুষ মূর্তিপূজা ও যেকোনো পলিথেইস্টিক ক্রীডের দিকে স্থায়ীভাবে ধাবিত হোক। ম্যাস ইন্ডকট্রিনেশনের উদ্দেশ্য নিয়ে ওরা সর্বপ্রথম বিশ্বব্যাপী কট্টর সমাজতন্ত্র/কমিউনিজম এর উত্থান ঘটায়। শয়তানের এজেন্ডা আগেই জানত যে ওদের চরমপন্থার এথিস্টিক ফিলসফির গ্রহণযোগ্যতা পাবেনা। এজন্য গনতন্ত্রকে দেখিয়ে দিল। এজন্য সেটা ছিল একটা প্রকারের নাটক।এটা বুঝতে কল্পনা করুন, কোন ব্যক্তি অপর একজনকে ধারালো ছুরি দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল, পরক্ষনে সে ছুরি বাদ দিয়ে লাঠি দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছে, এমতাবস্থায় ভিক্টিম ছুরির স্থানে লাঠি দেখে খানিকটা স্বস্তিবোধ করবে। সমাজতন্ত্র ও গনতন্ত্র এর ক্ষেত্রেও এই খেল খেলেছে তাগুতের প্রতিনিধিরা। ওরা কট্টর কমিউনিজম এর পতন ঘটিয়ে স্বাধীন অধিকারের(বাই দ্যা পিপল, ফর দ্য পিপল, অফ দ্য পিপলের) গনতন্ত্রের প্রশস্ততা দেখিয়ে সেটাকে গ্রহন করিয়েছে। যার ফলে মানুষ স্বেচ্ছায় গনহারে গণতান্ত্রিক আদর্শকে নিজ করে নিয়েছে এমনকি এটা রক্ষায় জীবনও উৎসর্গ করছে! অর্থাৎ শয়তান সুশীল সভ্যতার চাকচিক্যের পিছনে জনগনকে গনহারে মুশরিক বানাচ্ছে।
এই গনতন্ত্রই সকল দেশব্যপী আজ কথিত 'শান্তি' প্রতিষ্ঠার চালিকাশক্তি রূপে দণ্ডায়মান। তারা 'কাফেরজাতিসংঘের' ছায়াতলে একচোখ যুক্ত মসীহের নেতৃত্বে ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভার্মেন্ট গঠনের আশা রাখে।
.
স্যাটানিস্ট/ফ্রিম্যাসনিস্ট/অকাল্টিস্টদের দৃষ্টিতে গণতন্ত্রঃ
_________________________________________________
৩৩ ডিগ্রি ফ্রিম্যাসনিস্ট ম্যানলি পি হল তার সিক্রেট ডেস্টিনি অব আমেরিকা নামের প্রকাশনায় বলেনঃ 'World democracy was the secret dream of the great classical philosophers.."
"The brilliant plan of the ancients has survived to our time.."
"..and it will continue to function until the great work is accomplished.. "
.
রিসার্চারদের অভিমত এই যে, তাদের ওই এন্সিয়েন্ট প্ল্যান হচ্ছে সারাপৃথিবীতে গত শতকে আম্রিকা কর্তৃক বিগ্রহ ঘটিয়ে বিশ্বব্যাপী ডেমোক্রেসি প্রতিষ্ঠা,যার জন্য এখনো যুদ্ধে লিপ্ত আছে। ২০০৫ এ প্রেসিডেন্ট বুশ এক ভাষনে বলেনঃ ' what our founder declare the new order of ages(নোভাস অর্দো সেকলোরামের অন্যতম অনুবাদ), they are acting on an ancient hope, that meant to be fulfilled'
.
ডঃ স্ট্যানলি মন্টেত্থ এক সাক্ষাতকারে বলেনঃ "অকাল্ট এজেন্ডা ইউএসএর মিলিটারি ও ফিনান্সিয়াল শক্তি ব্যবহার করে সমাজের সর্বোচ্চ স্তরে কাজ করে যাচ্ছে শুধু মাত্র ওয়ানওয়ার্ল্ড স্টেট গঠনের জন্য, এ ব্যপারে প্রেসিডেন্ট বুশ খুব খোলামেলাভাবেই বলেছেন, আমেরিকার কিরূপ উদ্দেশ্য রয়েছে সারাপৃথিবীর জাতিগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার মধ্যে.. এটা বুঝতে আপনাকে ম্যানলি পি হলের লেখনী গুলো পড়তে হবে, সেখানে ডিটেইলস বলা হয়েছে গুপ্তসংগঠনগুলো ৩০০০ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী গনতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করেছে। আপনারা জর্জ বুশের স্পীচ পড়েছেন যেটা ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেসির পূর্বে দিয়েছেন সেখানে তিনি বলেন ২৫০০ বছর ধরে মানুষ বিশ্বব্যাপী গনতন্ত্র আনয়নের লক্ষে কাজ করেছে। "
.
ডঃ ওবাইদা হ্যারিস বলেনঃ গনতন্ত্র পার্ফেক্টেড জনগনদের দ্বারা মান্য করা সম্ভব যারা মানুষের আনুগত্য করবে, এটা সম্ভব হবে প্লেটোর দর্শন অনুযায়ী পার্ফেক্ট লিডারশীপের দ্বারা যার জ্ঞান ও ক্ষমতা উভয়ই থাকবে। গনতন্ত্রের অকাল্ট প্রমিস হচ্ছে একটি ফেয়ার ওয়ার্ল্ড প্রতিষ্ঠা, আর এই প্রমিস হচ্ছে গুপ্ত ও অপ্রকাশিত।
.
পূর্বেই উল্লেখ করেছি ইবলিস ভাল করেই জানে কোন পন্থায় মানুষকে সহজেভাবে শিরক করিয়ে গনহারে মুশরিক বানানো যাবে। সে লক্ষ্যেই হাজার হাজার বছর সময় ধরে এই পলিথেইস্টিক দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছে।
তো, এরপরও গনতন্ত্রকে মান্য করবেন....?



“ট্রায়াল অ্যান্ড এররের মাধ্যমে শতাব্দীর পর শতাব্দী চেষ্টার পর যে রাষ্ট্রব্যবস্থার [উদারনৈতিক গণতন্ত্র] একটি কার্যকরী রূপ আমরা পশ্চিমে তৈরি করেছি, আমরা চাচ্ছি মুসলিম বিশ্বে রাতারাতি সেটা বাস্তবায়ন করে ফেলতে। এটা তো এমন না যে আপনি একটা পিসি থেকে পেনড্রাইভে কিছু ফাইল নিলেন, আর আরেকটা পিসিতে পেনড্রাইভটা লাগিয়ে ফাইলগুলো কপি-পেস্ট করে দিলেন।
পশ্চিমে যে গনতান্ত্রিক ধারা গড়ে উঠেছে, তা একদিনে হয় নি। পশ্চিমা মানুষের মনস্তত্ত্ব, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মনোভাব সবকিছু বিবেচনা করে, সব কিছুর সাথে তাল মিলিয়েই ধীরে ধীরে এ ব্যবস্থা আমাদের এখানে সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এমনতো না যে আমাদের এখানেও কেউ গণতন্ত্র কিংবা সেক্যুলারিযমের বিরোধিতা করেনি। সেক্যুলারিযম আর গণতন্ত্রের বিরোধিতা তো খোদ পশ্চিমেই হয়েছে। আর আমরা ভাবছি মুসলিমরা এটা চুপচাপ মেনে নেবে?
অথচ তাদের ধর্ম তাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের আছে এক হাজার বছরের বেশি ইসলামি রাষ্ট্রের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। কোন গণতন্ত্র, কোন সেক্যুলারিযম ছাড়াই এক হাজার বছরের বেশি সময় মুসলিমরা পৃথিবী শাসন করেছে। যে সিস্টেম আমরা তাদের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছি, সেটা সরাসরি তাদের ধর্ম, তাদের নৈতিকতার কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক। তারা এটা কেন মেনে নেবে? পশ্চিমা নীতি নির্ধারকদের এটা বোঝা উচিৎ যে মুসলিমরা কখনই গণতন্ত্রকে, যেভাবে আমরা গণতন্ত্রকে বুঝি - তা মেনে নেবে না। মুসলিমরা ইসলাম চায়।“
.
ওপরের কথাগুলো সাবেক CIA- কর্মকর্তা মইকেল শ’ইয়ারের। একজন কাফির হয়ে এ সত্য যতোটা পরিষ্কারভাবে সে বুঝেছে, দুঃখজনকভাবে মুসলিম রাজনীতিবিদ আর উঠতি মুজাদ্দিদরা সেটা বুঝতে পারছেন না।

أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللّهِ حُكْمًا لِّقَوْمٍ يُوقِنُونَ
50
তারা কি জাহেলিয়াত আমলের ফয়সালা কামনা করে? আল্লাহ অপেক্ষা বিশ্বাসীদের জন্যে উত্তম ফয়সালাকারী কে?

কুরআনিয়্যাহ/আহলে কুরআন/কুরানিস্ট/ কুরআন অনলি/সাবমিটার্স/কালো কাতো

 আব্বাসিয়া খিলাফতের সময় ইব্রাহীম আন নাজ্জাম নামের একজন মুতাজিলা কবি প্রথম এরূপ চিন্তার অবতারণা করেন।মানে নবী (সা) এর কোন কথা মানবেন না। অর্থাৎ হাদিস অস্বীকার। শুধুমাত্র কুরআন! একটি মাজহাবও গড়েন নাজ্জামিয়্যাহ নামে। কন্টেম্পোরারী ইমাম শাফীঈ(রহ.) তার মতবাদকে রিফিউট করে একদম পর্যুদস্ত করেন। একটি কিতাবও লেখেন ডিবাঙ্ক করে।আরো কিছু স্কলার ইব্রাহীম নাজ্জামের বিরুদ্ধে কথা বলেন। যেহেতু সাহাবী তাবে তাবেইনের যুগের একদম কাছে ছিল তাই এ ফের্কা সুবিধা করতে পারেনি। এরপরে নতুন করে ১৯ শতকে আহলে কুরআন নামে পাকিস্তানে আব্দুল্লাহ চক্রলভীর দ্বারা অর্গানাইজড হয়। এর মাঝে রাশাদ খলিফা আমেরিকায় পড়াশুনা করবার মধ্যে কুরআন নিয়ে গবেষনা করতে করতে তিনিও একই মতবাদ চালু করেন সাবমিটার্স নামে।তিনিই সর্বপ্রথম ৭৯:৩০ এর অনুবাদে উটপাখির ডিমের মত পৃথিবীর আকারের তত্ত্ব চালু করেন।আজ যেটা মডারেটদের ভোতা অস্ত্র।এরপরে তিনি, একটি সূরা থেকে কিছু আয়াত বাদ দিয়ে নিজের মত কুরআনকে মডিফাই করেন ১৯ সংখ্যার মাঝে মিরাকুলাস কিছু আছে বলে দ্বার জন্য। কুরআনকে ঘিরে একধরনের নিউমেরলজি শুরু করেন।এক পর্যায়ে নিজেকে নবী দাবি করেন। ফলে ১৯৯০ সালে অনিবার্যভাবে পটল তুলতে হয় জামাত আল ফুকরার কিছু সদস্যের ছুরিকাঘাতে। কথিত এই টেররিস্ট অর্গানাইজেশনের সদস্যদের দ্বারা কাদিয়ানী ধর্মের এক লিডারও অক্কা পায়।
.
কিন্তু তার অনুসারীরা নিরবে নিভৃতে তার মতবাদ প্রচার করতে থাকে। নাইজেরিয়ায় কুরানিস্ট দল কালো কাতোর জন্ম হয়।এভাবে দাওয়াতি কাজের দ্বারা আস্তে আস্তে নতুন এই দ্বীনটিতে গোমরাহদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পাশ্চাত্যে নও মুসলিমদেরও অনেকে কুরানিজমের ফাদে পড়ছে বা কুরানিজম ধর্ম প্রচারের জন্য অনেকেই অনলাইনে কাজ করছে। এরা তাদের ওয়েবসাইটে কিছু ডোমেইনে Real, True islam, pure islam ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে।এতে করে নিয়মিত ট্রুথ ছিকার ইউটিউবার, একটু পণ্ডিত গোছের ছেলেপেলে নিজেই নিজের ব্রেইনওয়াস করে নিজের পায়ে কুড়াল মারছে। এ নয়া ধর্মটিতে যেহেতু হাদিসকে মান্য করা হয় না, তাই অনেক জিনিসের ন্যায় নামাজ নিয়েও চিন্তায় পড়ে সবাই। তাই এরা নিজেরা কুরআন নিয়ে নিউমেরিক্যাল -বাতেনি-জাহেরি অনেকরকম যুক্তি নির্ভর গবেষনা করে তিন ওয়াক্ত 'প্রার্থনা' উদ্ভাবন করেছে।আর সেটা সাধারন মুসলিমদের থেকেও একদম ভিন্ন। দেখুন- https://m.youtube.com/watch?v=KQYPY-zNPlk
.
হাসবেন্না কিন্তু!�
যাহোক এদেশেও চিপাচাপায় এ দ্বীনের প্রচারকার্য চলছে।এটা সিম্পলি বাহাউল্লাহর বাহাই,বাবিজম,কাদিয়ানীর আহমাদিয়ার মত স্বতন্ত্র ধর্ম।
.
তারা তাদের মতবাদ দাড় করাতে আয়াতের কিছু শব্দের ভ্রান্ত অনুবাদ করে আবার সুবিধামত অনুবাদ করে, যাতে করে হাদিসকে কোন ভাবে বাদ দেওয়া যায়। যতটুকুন ওদের আদর্শে সংঘর্ষ করে সেটুকুন যুক্তি দিয়ে মানে না বা চোখ বুজেই মানেনা। ওদের আদর্শে সমস্যা হতে পারে যেসব প্রমান তা নিয়ে ওরা আলাদা গবেষনা করে উত্তর তৈরি করে রেখেছে।যদিও কুরআনের অনেক আয়াত আছে যা তাদের দ্বীনিকে ভ্রান্ত প্রমান করে দেয়।ওদের বেশির ভাগই কাফেরদের সাথে ফ্রেন্ডলি আচরন করে। আর ওদের মধ্যে উগ্রতা আর ঔদ্ধত্য লক্ষণীয়। আফ্রিকানদের মধ্যে কুরআনিস্টদের দেখেছি এরা নবী(সা) কে শ্রদ্ধা বা মান্য করাকেও শিরক বলে। ওদের ভাষ্য আল্লাহ আর কুরআন ছাড়া সব বাতিল।এমনকি যার উপর তা নাযিল হয়েছে সেও। ইদানীং এদেশে দিনে দিনে কুরানিজম ধর্ম জনপ্রিয় হচ্ছে। ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।https://m.youtube.com/watch?v=6Fzh6nlrOHw ভিডিওটায় একটা টাকলু কে দেখবেন। অনলাইনে ভালই এ দ্বীনের দাওয়াতি কাজ চালাচ্ছে স্লোলি।
.
চমৎকার বিষয় হচ্ছে যার উপর কুরআন এসেছে এদের কেউ তাকে অস্বীকার করে, যারা হাদিসের বর্ননা কারী তাদের কথা গুলোকে অস্বীকার করে, অথচ তারাই কুরআনের সংকলক ও লিপিবদ্ধকারী।এরকম হাজারো paradox আছে এ নয়া ধর্মে। আর ওরা যতই লজিক দেখাক না কেন। হিস্টোরিক্যাললি ওদের হাদিস রিজেকশ্যনের আদর্শ ধোপে টেকেনা। একেক যামানার হক্কপন্থী শ্রেষ্ঠ আলেমদের হাদিসের ব্যপারে দৃষ্টিভঙ্গি চেইনের ন্যায় একজনের সাথে আরেকজন যুক্ত,যা তাদের লিখে যাওয়া কিতাবেও স্পষ্ট। একজনের পূর্বে আরেকজনের হায়ারার্কির একদম উপরে সাহাবীগন ও সবশেষে নবী(সা) কে পর্যন্ত স্পর্শ করবে। তাই হাদিসের ব্যপারে গ্রহণযোগ্যর প্রশ্ন উঠেছে অথবা কোন ধরনের বিকৃতি কস্মিনকালেও কেউই প্রমান করতে পারবে না। এমতাবস্থায় এই আকিদাগত চ্যুতির অভিযোগ একদম নবী(সা) পর্যন্ত পৌছে যাবে। ফলে কুরানিস্টদের মধ্যেই নবী(সা) এর নবুয়্যতের গ্রহণযোগ্যতায় সংশয় সৃষ্টি হবে।যা কুরআনকেও তাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। তাই অবশেষে হয় সে এথিস্ট/এগনস্টিক হবে না হলে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহন করবে। এজন্য হাদিস অস্বীকার করার ফল একদমই ভাল নয়। তবে স্টুপিডদের কথা আলাদা, যাদের প্রুডেনশিয়াল সেন্স নাই, তাই বাতিল চিন্তায় অটল থাকে। এ ফিতনার ব্যপারে সতর্কতা আবশ্যক।

যাদুবিদ্যা সংক্রান্ত সুবিশাল ভ্রান্তি এবং নিওমু'তাযিলা চিন্তাধারা

IndraJala
যাদুবিদ্যা সম্পর্কে একটা সুবিশাল ভ্রান্তি মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে প্রচলিত আছে। আমি মনে করি এই ভুল ধারনা একদিক থেকে অনেক ভাল যা মানুষ এ অপবিদ্যার থেকে দূরে রাখে।কিন্তু খারাপ দিকটিও অত্যন্ত ব্যাপক। দুঃখের বিষয় যে এই জ্ঞানগত সীমাবদ্ধতা আলিমগনের মধ্যেও বিরাজমান। এটা এই যে, যাদু শয়তান এর দ্বারা হয়ে থাকে বা শয়তান সংঘটিত করে বা শয়তান জ্বীন এ কাজের জন্য দায়ী। যাদুবিদ্যার সমস্ত দায়ভার এভাবে শয়তানের উপর দেওয়ার পরে অন্য সবকিছুকে আর নিষিদ্ধ আর্টের আওতায় ফেলা হয় না। এজন্য আগের যুগের আলিমগনকে আলকেমিক্যাল প্রাকটিসকে যাদুবিদ্যায় অন্তর্ভুক্ত করতে দেখলেও কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে কিছুতেই যাদুশাস্ত্রের আওতায় ফেলতে দেখবেন না। সেটা পবিত্র বিজ্ঞান!

আপনি যদি কোন আলিমকে প্রশ্ন করেন কেন যাদুবিদ্যা নিষিদ্ধ ও কুফরি(?), তারা একরকমের মুখস্ত বলে দিবেন, যাদুকররা শয়তানের পূজা করে,শিরক করতে বাধ্য করে, আল্লাহ ও তার কালামকে অবমাননা করতে বলে যেন তারা তাদের বিভিন্ন দুঃসাধ্য কাজ গুলো তারা করে দেয়। এর বেশি তারা বলেন না। দেখে আসতে পারেনঃ https://islamqa.info/en/4010
তারা এমনকি স্পেলকেও 'শুধুমাত্র' শয়তান জ্বীনদের ইনভোকেশনের উপায় বলছে।
এরকম demoniac হস্তক্ষেপের সাথে যাদুকে প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট করার জন্য যখন অধিকাংশ ভিন্ন মাজহাবের যাদুকে দেখা যায় তখন সাধারন মানুষ একে magick বলেই শনাক্ত করতে পারেনা।
অনেকে দেখি যাদুবিদ্যার দিকেই পা বাড়ায়, অথচ জানেই না যে এই আর্ট সর্সারি বৈ আর কিছু নয়।
.
তারা আরেকটা কথা বলেন যে, যাদু হচ্ছে শুধুই ধারনাগত পরিবর্তন ঘটায়, চোখকে সম্মোহিত করে,যেমনটা মূসা(আ) এর সামনে যাদুকররা করেছিল। তারা বাহ্যিক পরিবর্তন ঘটানোকে অস্বীকার করতে চান। মনে রাখবেন মুতাযিলা সম্প্রদায় যাদুর অস্তিত্বেই বিশ্বাস করে না। বস্তুত,যাদু বাহ্যিকভাবেও পরিবর্তন ঘটায়। একারনেই ইহুদীরা আল্লাহর রাসূলকে(স) যাদু করে অসুস্থ করে ফেলেছিল। আজকের এক শ্রেনীর আলিমদের যাদুর সজ্ঞায়ন অনুযায়ী ইহুদীরা আল্লাহর রাসূল(সাঃ) কে শয়তান জ্বীন ব্যবহার করে বিরক্ত করে বা শারীরিকভাবে কষ্ট দিয়ে অসুস্থ করবার কথা। কিছু দুর্বল হাদিসে যাদুর দ্বারা বস্তুর আকৃতির ফিজিক্যাল পরিবর্তন/ট্রান্সফর্মেশনও সম্ভব বলে পাওয়া যায়। বাবেল শহরে হারুত ও মারুত বিশেষ গুপ্ত নিষিদ্ধ বিদ্যা শেখাতো। তারা তো শয়তান জ্বীন ছিল না।
.
যাদুবিদ্যার অনেক শাখা বিদ্যমান এর মধ্যে একটা মাইনর ব্রাঞ্চ হচ্ছে জ্বীনের সাহায্যে অতিপ্রাকৃত বিষয় করে দেখানো(ডায়নামো)। একে বাহ্যিকভাবে যাদুর শাখায় অন্তর্ভুক্ত করা হলেও মূল যাদু নয় যেমনটা হাতের চালাকি দ্বারাও ম্যাজিশিয়ানরা যাদুর খেলা দেখিয়ে থাকে। মূল যাদুবিদ্যা স্বতন্ত্র বিষয়। আর এতে শয়তানের তুলনায় মানুষের প্রত্যক্ষ ভূমিকা থাকে। কিছু যাদু(i.e:chaos magick) আছে যাতে জ্বীনদেরও সাহায্য লাগে না। যাদু সংঘটন কাজটি করে যাদুকরের ইন্টেনশন,অভিপ্রায়। শয়তান জ্বীনরা যাদুকরদের বাহ্যিক নিরাপত্তা, দিকনির্দেশনার কাজটি সামান্যভাবে করে থাকে। এজন্য পাশ্চাত্যে যাদুকররা শয়তান জ্বীনদেরকে বলে স্পিরিট গাইড, দেবী,দেবতা, হায়ার বিং প্রভৃতি। যাদুবিদ্যায় দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিচিত্র শিরকি কাজের হুকুম উইজার্ডদের পালন করতে হয়। এমনকি বিকৃত যৌনাচার পর্যন্ত। এ সকল রিচুয়াল কোন ম্যাজিক্যাল শক্তি জেনারেট করে না, শুধুই শয়তানের সাথে সখ্যতার জন্য করা হয়। কিন্তু আজকে আমাদেরকে শেখানো হয় যাদুর উৎস ওটাই!! আজকের প্যাগানিজমের নবজাগরনে উইচ/মিস্টিকরা সবচেয়ে বেশি যে ধরনের হেক্স/যাদু করে থাকে তার অধিকাংশই curse ভিত্তিক। সেখানে শয়তানের ভূমিকা গৌন। এক্ষেত্রে এসকল সম্মানিত আলিমগন কি বলবেন জানতে আগ্রহী। ইন্টেনশন এর শক্তিকে যাদুবিদ্যায় ব্যবহারের বিষয়টি ঠিক ওইরকম যেমনটা মানুষের ঈর্ষান্বিত চোখের নজর(evil eye) লাগে। মানুষের কথার(স্পেল/ইনক্যান্টেশনের) যে প্রভাব রয়েছে সেটা নজর ও অভিশাপের বিষয়টি দ্বারা বোঝা যায়। হয়ত জানেন যে, সলোমন দ্বীপপুঞ্জের আদিবাসীরা সুবিশাল গাছ কর্তন এর বিকল্প হিসেবে কার্স ব্যবহার করে।
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ فَقَالَ ‏ "‏ اعْرِضُوا عَلَىَّ رُقَاكُمْ لاَ بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ ‏"‏ ‏.‏

‘আওফ ইবনু মালিক আশজা’ঈ (রাঃ)

তিনি বলেন, আমরা জাহিলী (মূর্খতার) যুগে (বিভিন্ন) মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতাম। এজন্যে আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আবেদন করলাম-হে আল্লাহর রসূল! এক্ষেত্রে আপনার মতামত কি? তিনি বললেন, তোমাদের মন্ত্রগুলো আমার নিকট উপস্থাপন করো, ঝাড়ফুঁকে কোন দোষ নেই-যদি তাতে কোন শিরক (জাতীয় কথা) না থাকে।
(ই.ফা. ৫৫৪৪, ই.সে. ৫৫৬৯)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৬২৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
.
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عُمَيْرٍ، مَوْلَى آبِي اللَّحْمِ قَالَ شَهِدْتُ خَيْبَرَ مَعَ سَادَتِي فَكَلَّمُوا فِيَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَعْلَمُوهُ أَنِّي مَمْلُوكٌ ‏.‏ قَالَ فَأَمَرَ بِي فَقُلِّدْتُ السَّيْفَ فَإِذَا أَنَا أَجُرُّهُ فَأَمَرَ لِي بِشَيْءٍ مِنْ خُرْثِيِّ الْمَتَاعِ وَعَرَضْتُ عَلَيْهِ رُقْيَةً كُنْتُ أَرْقِي بِهَا الْمَجَانِينَ فَأَمَرَنِي بِطَرْحِ بَعْضِهَا وَحَبْسِ بَعْضِهَا ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ لاَ يُسْهَمَ لِلْمَمْلُوكِ وَلَكِنْ يُرْضَخُ لَهُ بِشَيْءٍ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏

আবুল লাহমের মুক্তদাস উমাইর (রাঃ)

তিনি বলেন, আমি খাইবারের যুদ্ধে আমার মনিবদের সাথে অংশগ্রহন করি। তারা আমার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে কথা বললেন। তারা তাঁকে আরো জানান যে, আমি ক্রীতদাস। বর্ণনাকারী উমাইর (রাঃ) বলেন, আমার ব্যপারে তাঁর হুকুম মোতাবিক আমার গলায় তরবারি ঝুলিয়ে দেয়া হল। তরবারিটিকে আমি মাটিতে হেঁচড়িয়ে হেঁচড়িয়ে হাটছিলাম। তিনি গনিমতের মধ্য হতে কিছু তৈজসপত্র আমাকে দিতে বললেন। আমি তাঁকে কয়েকটি মন্ত্র শুনালাম, যেগুলো দিয়ে আমি পাগলদের ঝাড়ফুঁক করতাম। তিনি এর কিছু বাদ দেয়ার এবং কিছু রাখার জন্য আমাকে নির্দেশ দেন।

সহীহ্‌, সহীহ আবূ দাঊদ (২৪৪০)

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৫৫৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
.
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، أَنَّ خَالِدَةَ بِنْتَ أَنَسٍ أُمَّ بَنِي حَزْمٍ السَّاعِدِيَّةَ، جَاءَتْ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَعَرَضَتْ عَلَيْهِ الرُّقَى فَأَمَرَهَا بِهَا ‏.‏

আনাস এর কন্যা উম্মু বানী হাযম খালিদাহ আস-সাইদিয়্যাহ (রাঃ)

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসেন এবং ঝাড়ফুঁক করার মন্ত্র পেশ করেন। তিনি তাকে তা দ্বারা ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি দেন। [৩৫১৪]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৫১৪
হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস
Source: ihadis.com
.
.
যাদুকরদের ইন্টেন্ট(অভিপ্রায়) কার্যক্ষম করাও সহজ বিষয় নয়। এর জন্য তাদের অনেক চর্চা করতে হয়। সৃষ্টিকর্তার থেকে সম্পূর্ন বিমুখ হয়ে সৃষ্টির কাছে নিজেকে বিলীন করতে হয়। অর্থাৎ কুফর করতেই হয়। সর্সারারদের আরেকটি হাতিয়ার হচ্ছে স্পেল বা মন্ত্র। মন্ত্রে শিরকি কথা থাকতেও পারে আবার শিরক বিহীনও হতে পারে। শিরক বিহীন স্পেল হলেও উহা নিষিদ্ধ। কথা কিভাবে বাহ্যিক পরিবেশে প্রভাব ফেলে সেটা বুঝাতে হলে 'occult physics' এর দিকে যেতে হবে, যেদিকে নিকোলা টেসলা হেটেছেন। এ জন্য প্রাচীন কাল থেকে প্রত্যেক যাদুকরই ছিল উচ্চস্তরের ন্যাচারাল ফিলসফার। আর এই ন্যাচারাল ফিলসফি থেকেই ফিজিক্স/ফিজিসিস্টদের উত্থান। কোয়ান্টাম ফিজিক্স সবচেয়ে এডভান্স থিওরেটিকাল মেকানিক্স।এজন্য আজকের শেষ যুগে পাশ্চাত্যের সর্সারারগন সবাই সর্বপ্রথম কোয়ান্টাম ফিজিক্স স্টাডি করেন।এবং অন্যদেরকেও সেদিকে আহব্বান করে। যারা বলতে চায় 'কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম' দুঃখিত পার্টিকেল ফিজিক্স একদম পবিত্র নিষ্কলুষ তাদেরকে প্রশ্ন করি কেন আল্লাহর রাসূল(সা) এস্ট্রলজিক্যাল সাইন্সকে যাদুর শাখাভুক্ত বলেছেন?
.
শায়খ বিন বাজ বলেন, যাদুর বিপরীতে রয়েছে তাওয়াক্কুল। অর্থাৎ যাদুকররা কখনো আল্লাহর উপর ভরসা করে না, তেমনটা চিন্তাও করে না। বরং তারা গুপ্ত Natural law গুলোকে নিজেদের হাতে তুলে নিতে চায়। যখন তারা অন্তর দ্বারা এবং মন্ত্র দ্বারা ক্ষতিসাধন/লাভবান হবার অভিপ্রায় করে তখন সংশ্লিষ্ট বস্তু তার স্রষ্টার কাছে ঘটবার অনুমতি প্রার্থনা করে। এজন্যই সমস্ত যাদু-ই নিস্ফল যদি আল্লাহর অনুমতি না প্রদান করেন। এজন্য আল্লাহ বলেন, " وَمَا هُم بِضَآرِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ بِإِذْنِ اللّهِ " [২:১০২]
.
মধ্যযুগে মিস্টিকরা এটা বিশ্বাস করত যে সমস্ত যাদুর ফলাফল আল্লাহর ইচ্ছাধীন, কিন্তু আজকে একেও অস্বীকার করে সর্সারাররা। কাফির যাদুকররা যেমনি নিজে থেকে স্বার্থ হাসিলের প্রচেষ্টা করে, তেমনি আমাদের জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা দু'আ/প্রার্থনা/সাহায্য চাওয়াকে(ডিপেন্ডেন্সি) পছন্দ করেন। ব্যপারটি এরূপ যে দুই ব্যক্তির একজন অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে খায়, অপরজন বৈধ পন্থায় উপার্জন করে খায়। আর আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করলে সেটা না দিলেও তার মাঝে কল্যাণ নিহিত থাকে,যদিও আমরা তা বুঝি না।
.
আল্লাহ পছন্দ করেন তার উপর তাওয়াক্কুলকারীদেরকে এজন্য দেখা যায়ঃ ইমরান (রাঃ) বর্ননা করেছেন,
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، - يَعْنِي ابْنَ سِيرِينَ - قَالَ حَدَّثَنِي عِمْرَانُ، قَالَ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعُونَ أَلْفًا بِغَيْرِ حِسَابٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا وَمَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ هُمُ الَّذِينَ لاَ يَكْتَوُونَ وَلاَ يَسْتَرْقُونَ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَامَ عُكَّاشَةُ فَقَالَ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَنْتَ مِنْهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ ‏"‏ ‏.‏
.
আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের সত্তর হাজার লোক বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, তারা কারা, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)? তিনি বললেনঃ যারা ক্ষতস্থানে লোহা পুড়ে লাগায় না এবং (জাহিলী যুগের ন্যায়) ঝাড়ফুঁক বা মন্ত্রের দ্বারা চিকিৎসা কামনা করে না বরং তারা আল্লাহর উপর পূর্ণ তাওয়াক্কুল করে। এ সময় ‘উক্কাশাহ্‌ (রাঃ) উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করুন, তিনি যেন আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর নাবী! আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন, তিনি আমাকেও যেন তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। উত্তরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ‘উক্কাশাহ্ তোমার আগেই সে দলভুক্ত হয়ে গেছে। (ই.ফা. ৪১৭; ই.সে. ৪৩১)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪১২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
.
সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী সেসমস্ত কথামালা, যা আল্লাহর রাসূল(সা) শিখিয়েছেন এবং যে সমস্ত বানী দুনিয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা অবতীর্ণ করেছেন। জগতের নীতিগুলো ম্যানিপুলেট করার জন্য মানুষ ও শয়তানের বানানো বুলি বা মন্ত্রের তুলনায় জগৎসমূহের মালিকের শেখানো কথাগুলো অধিকতর এবং সর্বাধিক শক্তিশালী। এবং বিজয়ী।
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي السَّفَرِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ الصَّلْتِ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّهُ مَرَّ بِقَوْمٍ فَأَتَوْهُ فَقَالُوا إِنَّكَ جِئْتَ مِنْ عِنْدِ هَذَا الرَّجُلِ بِخَيْرٍ فَارْقِ لَنَا هَذَا الرَّجُلَ ‏.‏ فَأَتَوْهُ بِرَجُلٍ مَعْتُوهٍ فِي الْقُيُودِ فَرَقَاهُ بِأُمِّ الْقُرْآنِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ غُدْوَةً وَعَشِيَّةً كُلَّمَا خَتَمَهَا جَمَعَ بُزَاقَهُ ثُمَّ تَفَلَ فَكَأَنَّمَا أُنْشِطَ مِنْ عِقَالٍ فَأَعْطُوهُ شَيْئًا فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَهُ لَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ كُلْ فَلَعَمْرِي لَمَنْ أَكَلَ بِرُقْيَةٍ بَاطِلٍ لَقَدْ أَكَلْتَ بِرُقْيَةٍ حَقٍّ ‏"‏ ‏.

খারিজাহ ইবনুস সাল্‌ত (রহঃ) হতে তার চাচার সূত্র

তিনি একটি জনপদ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় সেখানকার কিছু লোক তার কাছে এসে বললো, আপনি এই ব্যক্তির [রাসূলুল্লাহ্‌র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] কাছ থেকে কল্যাণ নিয়ে এসেছেন। কাজেই আমাদের এই ব্যক্তিকে একটু ঝাড়ফুঁক করে দিন। এ বলে তারা একটি পাগলকে বাঁধা অবস্থায় তার কাছে আনলো। তিনি তিন দিন সকাল-বিকাল সূরাহ ফাতিহা পড়ে তাকে ঝাড়ফুঁক করলেন। তিনি যখনই পাঠ শেষ করতেন তখন থুথু জমা করে তার শরীরে নিক্ষেপ করতেন। অতঃপর লোকটি যেন বন্ধনমুক্ত হয়ে গেলো। তারা তাকে কিছু বিনিময় দিলো। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে ঘটনাটি জানালেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যা পেয়েছো তা খাও। আমার জীবনের শপথ! কিছু লোক তো বাতিল মন্ত্র দ্বারা উপার্জন করে খায়। আর তুমি উপার্জন করেছো সত্য মন্ত্র দ্বারা।

সহীহঃ সহীহাহ্ (২০২৭)

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৪২০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
.
وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه أَنَّهُ قَالَ لِثَابِتٍ رَحِمَهُ اللهُ: أَلاَ أَرْقِيكَ بِرُقْيَةِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ؟ قَالَ: بَلَى، قَالَ: اَللهم رَبَّ النَّاسِ، مُذْهِبَ البَأسِ، اِشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لاَ شَافِيَ إِلاَّ أنْتَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَماً . رواه البخاري

আনাস (রাঃ)

তিনি সাবেত (রাহিমাহুল্লাহ)কে বললেন, ‘আমি কি তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মন্ত্র দ্বারা ঝাড়ফুঁক করব না?’ সাবেত বললেন, ‘অবশ্যই।’ আনাস (রাঃ) এই দো‘আ পড়লেন, ‘‘আল্লাহুম্মা রাব্বান্না-স, মুযহিবাল বা’স, ইশফি আন্তাশ শা-ফী, লা শা-ফিয়া ইল্লা আন্ত্, শিফা-আল লা য়্যুগা-দিরু সাক্বামা।’’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক! তুমি কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর। (যেহেতু) তুমি রোগ আরোগ্যকারী। তুমি ছাড়া আরোগ্যকারী আর কেউ নেই। তুমি এমনভাবে রোগ নিরাময় কর, যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।

রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ৯০৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
.
কাফির যাদুকরদের মধ্যে সাইকিক হিলাররা(physic healers) যেসব স্পেল ব্যবহার করে তার অধিকাংশই অথর্ব এবং শয়তানের আনুগত্যের একটা মাধ্যম মাত্র।

حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا مُعَمَّرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بِشْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْجَزَّارِ، عَنِ ابْنِ أُخْتِ، زَيْنَبَ امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ زَيْنَبَ، قَالَتْ كَانَتْ عَجُوزٌ تَدْخُلُ عَلَيْنَا تَرْقِي مِنَ الْحُمْرَةِ وَكَانَ لَنَا سَرِيرٌ طَوِيلُ الْقَوَائِمِ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ إِذَا دَخَلَ تَنَحْنَحَ وَصَوَّتَ فَدَخَلَ يَوْمًا فَلَمَّا سَمِعَتْ صَوْتَهُ احْتَجَبَتْ مِنْهُ فَجَاءَ فَجَلَسَ إِلَى جَانِبِي فَمَسَّنِي فَوَجَدَ مَسَّ خَيْطٍ فَقَالَ مَا هَذَا فَقُلْتُ رُقًى لِي فِيهِ مِنَ الْحُمْرَةِ فَجَذَبَهُ وَقَطَعَهُ فَرَمَى بِهِ وَقَالَ لَقَدْ أَصْبَحَ آلُ عَبْدِ اللَّهِ أَغْنِيَاءَ عَنِ الشِّرْكِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏"‏ إِنَّ الرُّقَى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ فَإِنِّي خَرَجْتُ يَوْمًا فَأَبْصَرَنِي فُلاَنٌ فَدَمَعَتْ عَيْنِي الَّتِي تَلِيهِ فَإِذَا رَقَيْتُهَا سَكَنَتْ دَمْعَتُهَا وَإِذَا تَرَكْتُهَا دَمَعَتْ ‏.‏ قَالَ ذَاكِ الشَّيْطَانُ إِذَا أَطَعْتِيهِ تَرَكَكِ وَإِذَا عَصَيْتِيهِ طَعَنَ بِإِصْبَعِهِ فِي عَيْنِكِ وَلَكِنْ لَوْ فَعَلْتِ كَمَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ خَيْرًا لَكِ وَأَجْدَرَ أَنْ تَشْفِينَ تَنْضَحِينَ فِي عَيْنِكِ الْمَاءَ وَتَقُولِينَ ‏"‏ أَذْهِبِ الْبَاسْ رَبَّ النَّاسْ اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا ‏"‏ ‏.‏

যায়নাব (রাঃ) বর্ননা করেন,

এক বৃদ্ধা আমাদের এখানে আসতো এবং সে চর্মপ্রদাহের ঝাড়ফুঁক করতো। আমাদের একটি লম্বা পা-বিশিষ্ট খাট ছিল। আব্দুল্লাহ (রাঃ) ঘরে প্রবেশের সময় সশব্দে কাশি দিতেন। একদিন তিনি আমার নিকট প্রবেশ করলেন। সে তার গলার আওয়াজ শুনতে পেয়ে একটু আড়াল হলো। তিনি এসে আমার পাশে বসলেন এবং আমাকে স্পর্শ করলে এক গাছি সুতার স্পর্শ পেলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এটা কি? আমি বললাম, চর্মপ্রদাহের জন্য সূতা পড়া বেঁধেছি। তিনি সেটা আমার গলা থেকে টেনে ছিঁড়ে ফেললেন এবং তা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বললেন, আবদুল্লাহর পরিবার শিরকমুক্ত হলো। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ “মন্ত্র, রক্ষাকবচ, গিটযুক্ত মন্ত্রপূত সূতা হলো শিরকের অন্তর্ভুক্ত”। আমি বললাম, আমি একদিন বাইরে যাচ্ছিলাম, তখন অমুক লোক আমাকে দেখে ফেললো। আমার যে চোখের দৃষ্টি তার উপর পড়লো তা দিয়ে পানি ঝরতে লাগলো। আমি তার মন্ত্র পড়ে ফুঁ দিলে তা থেকে পানি ঝরা বন্ধ হল এবং মন্ত্র পড়া বন্ধ করলেই আবার পানি পড়তে লাগলো। তিনি বলেন, এটা শয়তানের কাজ। তুমি শয়তানের আনুগত্য করলে সে তোমাকে রেহাই দেয় এবং তার আনুগত্য না করলে সে তোমার চোখে তার আঙ্গুলের খোঁচা মারে। কিন্তু তুমি যদি তাই করতে, যা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) করেছিলেন, তবে তা তোমার জন্য উপকারী হতো এবং আরোগ্য লাভেও অধিক সহায়ক হতো। তুমি নিম্নোক্ত দুআ’ পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে তা তোমার চোখে ছিটিয়ে দাওঃ “আযহিবিল বা’স রব্বান নাস, ইশফি আনতাশ শাফী, লা শিফাআ ইল্লা শিফাউকা শিফাআন লা ইউগাদিরু সাকামান” (হে মানুষের প্রভু! কষ্ট দুর করে দাও, আরোগ্য দান করো, তুমিই আরোগ্য দানকারী, তোমার আরোগ্যদান ছাড়া আরোগ্য লাভ করা যায় না, এমনভাবে আরোগ্য দান করো যা কোন রোগকে ছাড়ে না)।

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৫৩০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
.
যাদুবিদ্যাকে ইমাম রাযি(রঃ) এর আটভাগ অনেকটাই শুদ্ধ। তবে তার অনেক কথা বিতর্কিত। এসকল বিষয় ইমাম ইবনে কাসির(র) এবং ইমাম আবু জাফর ইবনে জারির তাবারি(রহ.) এর তাফসীর দেখতে পারেন।
.
পরবর্তী পোস্টে 'অকাল্ট ফিজিক্স এবং ননডুয়ালিজমের' উপর কিছু লিখবার ইচ্ছা আছে।ইনশাআল্লাহ

বাংলাদেশে One World Religion এর প্রসারে যোগসাধনায় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা

অকাল্ট মিস্টিক্যাল ডক্ট্রিনগুলো হঠাৎ করে এত জনপ্রিয়তার পেছনে কাজ করছে ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন এজেন্ডা।এই গ্লোবাল এসোটেরিক এজেন্ডা মিথ্যা মসীহের ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভার্মেন্ট প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিশ্বাসগত মতপার্থক্যরোধে ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন তৈরির লক্ষ্যে নিবিড়ভাবে সারাবিশ্বে নানা নামে আম্ব্রেলা সংগঠনরূপে কাজ করে যাচ্ছে। আমি পূর্বেও আলোচনা করেছি,এরা প্রাচীন প্যাগানিজমকে পুনরুজ্জীবিত করছে যা খ্রিষ্টান ও মুসলিমদের দীর্ঘকাল শাসনের তোপে কিছু শতাব্দী লুকায়িত ছিল। ওই বিশেষ কাফেররা প্রাচীন গ্রীক অকাল্ট ফিলসফারদের প্যাগান মতাদর্শকে পছন্দ করে, যেমন প্লেটোনিক মতবাদ, এখন নিওপ্লেটোনিজম চালু হয়েছে, পিথাগোরিয়ান অকাল্টিজম, ওই সময়কার হারম্যাটিসিজম,আলকেমিক্যাল প্র‍্যাক্টিস ,স্টয়িসিজম ইত্যাদি। জুডিও অশ্লীল কিতাব জোহার বেজড কাব্বালাও সিমিলার মতাদর্শ ক্যারি করে, যার জন্য সকল মিস্টিক্সরা একে অন্যের প্রতি অত্যন্ত সহনশীল ও শ্রদ্ধাশীল এবং পরিবারস্বরূপ। পৃথিবীর স্ফেরিক্যাল মডেল প্রাচীন প্যাগান বিখ্যাত গ্রীকান্ড অব ম্যাজাই) ম্যাজাইদের(যাদুকর) থেকে। তখনকার মেইনস্ট্রিম কসমোলজি ছিল জিওসেন্ট্রিক জিওস্টেশনারী ফ্ল্যাট আর্থবেজড,সারা পৃথিবীতে ওই তত্ত্ব ছিল হেরেটিক। কিন্তু পিথাগোরাস, প্লেটোর জ্ঞানের তারিফে এস্ট্রোনমাররা এর ব্যপারে ভাবতে শুরু করে। খ্রিষ্টান শক্তি তাদের এই স্ফেরিক্যাল থিওরিকে প্যাগান থিওরি বলে কিছু কাল রিজেক্ট করে,যেহেতু গ্রীক মনীষীরা আগে থেকেই কুফরি মতবাদ আর জাদুবিদ্যার জ্ঞানবাহক ছিল। প্রত্যেক গ্রীক মিস্টিক্স মনীষীরাই ছিলেন জাদুবিদ্যার কারিগর। তারা ইউনিভার্সের গুপ্ত রহস্য জানার ব্যপারে অবসেসড ছিলেন, যা তাদেরকে জাদুবিজ্ঞানের(অকাল্ট ফিজিক্স) দিকে হাটায়। তাদের মতবাদভিত্তিক বিজ্ঞান ছিল জাদুর গুহ্য মেকানিজম। হয়ত গ্রীক জাদুবিদ্যাগুলো স্যাটানিক বিংদের ইন্টারভেনশন ছাড়াই কাজ করত। এস্ট্রলজি-আলকেমিতে ছিল সিদ্ধহস্ত।ওটাই ছিল সমুচ্চ জ্ঞান এবং বিজ্ঞান।
.
গ্রীক মিস্টিসিজম গুলোর কমন গ্রাউন্ড ছিল মনিজম অথবা নন ডুয়ালিজম আরবিতে ওয়াহদাতুল উজুদ, বাংলায় 'স্রষ্টা সৃষ্টির এক অস্তিত্ব' । এটা হচ্ছে ওদের বিলিফ সিস্টেমের কার্নেল। আপনি নন ডুয়ালিস্ট না হয়ে হয়ত সর্সারিকর্মে সফল হবেন না। এ সকল মতবাদে বিশ্বাসী উইচদের হাতে পেলেই খ্রিষ্টান ক্ষমতাসীন সমাজে কঠিন শাস্তি দিত, সেই সাথে ওদের এসোটেরিক ডগমাও উৎপাটিত হত। আরবরা অনেক দেরীতে গ্রীক ফিলসফি হাতে পায় এবং নিছক কৌতূহলপ্রবন হয়ে সেসবকে আরবিভাষায় অনুবাদ করে, ফলে আরবরা তথা মুসলিম বিশ্বে আলকেমির ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ওয়াহদাতুল উজুদের জন্ম হয়, জন্ম হয় সুফিবাদ বা ইসলামিক মিস্টিসিজম! যারাই কৌতূহল নিয়ে এতে একবার ঢোকে, নিকৃষ্ট কাফের হয়ে বের হয়, ওই মানের কুফরি যা ফেরাউনও করেনি। মুসলিম এস্ট্রোনমারগন গ্রীক কস্মোলজিকে জ্ঞানের উৎস মনে করে গ্রহন করতে শুরু করে, ইসলামে সর্বপ্রথম স্ফেরিক্যাল আর্থ ঢুকে পড়ে। তখনও সেটা প্রতিষ্ঠিত নয়। ততদিনে রিফর্মেশন এজ চলে আসে, এই রেনেসাঁর যুগে খ্রিষ্টান মৌলবাদীরা দুর্বল হয়ে পড়ে, যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশ ঘটে চার্চ আর শাসনব্যবস্থা বিকেন্দ্রীভূত হয় এবং সেকুলারিজমের উন্মেষ
ঘটে। পশ্চিমে নেতিয়ে পড়া প্রাচীন প্যাগানিজম আবারো জাগ্রত হয়। উইচক্রাফট, সর্সারি, স্যাটানিজম বাড়তে থাকে, জেসুইট অর্ডার কস্মোলজিকে পাল্টে দেয়। জাদুবিদ্যার ধর্ম অর্থাৎ আধ্যাত্মবাদ আস্তে আস্তে আবারো শক্তি ফিরে পায়, এস্ট্রলজির প্রসার সমাজে বাড়তে থাকে। হঠাৎ করে যাদুকর/জ্যোতিষী এবং দার্শনিকগনদের যাদুশাস্ত্রগুলোকে বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মর্যাদা দেওয়া হয়। এরপরে ফ্রিম্যাসনিক রয়্যাল সোসাইটি থেকে ফিলসফি অব সাইন্স এবং অবশেষে ন্যাচারাল ফিলসফিকে সাইন্স নামে ভূষিত হয়। শয়তানের পূজারীরা বিভিন্ন নামে বিভিন্ন দেশে ব্যবিলনিয়ান মিস্টিসিজম এর প্রসার শুরু করে। ইস্টার্ন মিস্টিসিজমকে সমৃদ্ধ আর প্রাচীন হিসেবে দেখে সেটাকেই গ্রীকের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় যার প্রভাবে ম্যাডাম হেলেনার থিওসফি গঠিত হয়, পরবর্তীতে হারমেটিক অর্ডার অব গোল্ডেন ডন, অর্দো টেম্পলি ওরিয়েন্টিস চলে আসে। এই প্যাগান শাখা প্রশাখা বেড়ে আজ নিউএজ মুভমেন্ট-কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম(কোয়ান্টাম ম্যাথড বাংলাদেশে) পর্যন্ত এসেছে। ইস্কনরাও সাথে আছে। এদের কমন কাল্ট রিচুয়ালের একটি হচ্ছে যোগধ্যান যা ওই গ্রীক প্যাগানিজমসহ সকল প্যাগান ডক্ট্রিনে ছিল। এখন মোটামুটি ধর্মগুলোকে একীভূতকরনের সময় এসেছে, তাই কমনগ্রাউন্ড মেডিটেশনে সব মানুষকে ডাইভার্টের চেষ্টায় আছে এলিটরা। বাংলাদেশে এরই প্রেক্ষাপটে একবার যোগধ্যানের উপর ট্যাক্স আরোপ করেছিল সরকার,যাতে কুফরের জাহাজ কোয়ান্টাম ম্যাথড,ইস্কনরা আন্দোলনে নামে এবং জনগনের দৃষ্টি মেডিটেশন এর উপর পড়ে এবং ভাবে। তখনই আমি প্রেডিক্ট করেছিলাম সরকারীভাবে খুব শীঘ্রই মেডিটেশন প্রচারের জন্য কোন উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেটাই সত্য হলো।তাগুত সরকারের বিটিভি যোগধ্যানের প্রোগ্রাম চালু করেছে। দেখুনঃ http://banglamail71.info/archives/5320

স্টেডিয়ামেও বিশ্ব যোগ দিবসে একসাথে ৮০০০ যোগীরা আত্মপূজা ও শয়তানের(কারিন শয়তানের) পূজার আয়োজন করে।সেখানে বিনামূল্যে অংশগ্রহণ এবং ফ্রি উপহার সামগ্রীরও টোপ দেওয়া হয়েছে। এগুলোকে নেতৃত্ব দিচ্ছে স্বামী শুভানন্দ, নামক এক ব্যক্তি।
যার সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বার্নিকাটের বিশেষ সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে। (ছবি- ইনসেটে)
যে ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়েও প্যাগান মিস্ট্রি স্কুলের প্রচার শুরু করেছে। (http://bit.ly/2hKovju) এই কুফরি দ্বীনের প্রচারে মার্কিন সরকারের সহযোগিতা আছে, সহযোগিতা আছে ইজরাইলের, ভারতের এবং সর্বোপরি জাতিসংঘ। এদেশের প্রধান বিচারক এসকে সিনহাও ইসকনের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল। নিঃসন্দেহে এই প্যাগ্যান থিওলজি প্রসারে সংশ্লিষ্ট হায়ারার্কির সবার শীর্ষে ইবলিস ও দাজ্জালকে পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন এর স্পন্সর্ড 'সুস্থ দেহ সুখী স্বদেশ' নামের প্রচারিত ইয়োগার অনুষ্ঠানটিতে কাজ করছে "এভারগ্রীন ইয়োগা" নামের একটা সংগঠন।
 একই নামে পেরুসহ বেশ কয়েকটিদেশে একই শিক্ষার যোগসাধনার সংগঠন এর কার্যক্রম দেখলাম।আর এভার গ্রীনেরই শাখা ভারত,আমেরিকা, ইউকে, জার্মানিসহ অনেক দেশে রয়েছে(ছবিতে দেখুন)।এভারগ্রীনে কোর্স শুরু করলে তারা 'সূর্য নমস্কার' নামের সূর্য পূজো করাও শেখায়(ছবিতে দেখুন)। এটা যে শিরক সেটা নিয়ে islamqa.info ওয়েবে সম্ভবত শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ কিছু বলেছিলেন। দেশীয় এ সংগঠনটির শেকড় তালাশ করলে কোয়ান্টাম ম্যাথডের সংশ্লিষ্টতাও অনিবার্যভাবে পাওয়া যাবে। যাহোক, এভারগ্রীন যোগের সাথে যুক্ত "সুপার মডেল বাংলাদেশ" নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। তারা কিছু তরুন তরুণীদের নায়ক নায়িকা বানানোর জন্য নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে তৈরি করছে, যোগসাধনা তাদের শিক্ষা বা ফিটনেসের গুরুত্বপূর্ণ
অংশ। দেখুনঃ https://m.facebook.com/SuperModelBangladesh

https://m.facebook.com/evergreenyogabd


.
সারাবিশ্বব্যাপী প্যাগানিজম/প্রকৃতি পূজা প্রচলনের স্বপ্ন ছিল শয়তানের। এ স্বপ্ন পূরন করছে দাজ্জালের মাধ্যমে। এখন এস্ট্রলজিক্যাল ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এ্যাকুরিয়াস এজ চালু হয়েছে। বলা হয়, এই গোল্ডেন এজই ইবলিসের মতাদর্শকে পূর্নতাদানের শতাব্দি। এই মতাদর্শের পূর্নতাদানের জন্য একজন মাস্টারের বা ওয়ার্ল্ড টিচারের অপেক্ষা করছে এসোটেরিক এজেন্ডা, যাকে আমরা বলি দাজ্জাল। ওরা কল্কি/মৈত্রেয় অবতার প্রভৃতি নামে অপেক্ষা করছে।
ইসলাম শুরু থেকেই এই মতবাদের ভাইরাসকে কঠোর হাতে দমন করত, অতীতে এক কাব্বালিস্ট যাজকও জোড়পূর্বক শাস্তির ভয়ে মুসলিম হতে বাধ্য হয়। মানসুর হাল্লাজের কি হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি, ইবনে আরাবির ব্যপারে হক্কপন্থী উলামাগন ওই যুগেই কি বলতেন সেটা আমরা জানি। আজও ইসলামিক মিস্টিক্স(সুফিপন্থীরা) ছাড়া কেউই এদের ভাল বলেনা। খ্রিষ্টান থেকে নস্টিসিস্টদের জন্ম। আর ক্যাথলিকরা এদের প্রতি সহনশীল, পশ্চিমে আজ খ্রিষ্টান ধর্মকেই বিভিন্নভাবে মডিফাই করে স্পিরিটিজমে ধাবিত করা হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ খ্রিষ্টানরা ইস্টার্ন মিস্টিসিজম গ্রহন করেছে। অনেক হাইব্রীড রিলিজিয়াস মুভমেন্ট গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ কাফের খ্রিষ্টানরা বড় কুফরিকে বেছে নিয়েছে এবং অপেক্ষা করছে ওদের শেষ বুদ্ধের!
.
আজ পৃথিবীর সর্বাধিক সমৃদ্ধ গুহ্যবাদ হচ্ছে ইস্টার্ন অকাল্টিজম বা ধর্মচক্রের রহস্যবাদ(যোগ-তন্ত্র), আমরা সাধারণ মুসলিমরা ব্যাকগ্রাউন্ড খুব বেশি জানিনা তাই আপাতদৃষ্টিতে হিন্দুত্ববাদ মনে হয়। আসলটা সরাসরি শয়তান থেকে আসা। শুনলে অবাক হবেন, এল মোরিয়া আর খুতুমি নামের দুই শয়তান জ্বীন ম্যাডাম হেলেনার কাছে সর্বপ্রথম থিওসফিক্যাল(theo+Sophia= Divine/gods wisdom) ডক্ট্রিন নিয়ে আসে।
এখন বিশ্বব্যাপী রেজারেকশ্যনকে আনসাইন্টিফিক এবং ইল্লজিক্যাল সাব্যস্ত করে রিইনকারনেশনকে প্রমোট করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে এটাই সবচেয়ে সাইন্টিফিক ভাবে ভ্যালিড। চলে এসেছে বায়োসেন্ট্রিজম। ডেভিয়েন্ট স্কলার ইমরান নযরও জানেন দাজ্জাল রিইনকারনেশনকে সত্যরূপে প্রতিষ্ঠিত করবে( তার এক লেকচারে শুনেছিলাম)। এ মুহূর্তে পিউর মনোথেইজম বা তাওহীদের দ্বীন ইসলাম হচ্ছে কুফফার তাগুতদের মিশন বাস্তবায়নের পথের কাটা। বিভিন্নভাবে মোডারেট ইসলামিস্ট ব্যবহারের দ্বারা জিহাদিদেরকে জঙ্গি সন্ত্রাসী সাব্যস্ত করতে সক্ষম হয়েছে, এবার সুফি/বেলেরভী/শিয়াদের সহায়তায় রিইনকারনেশন বা পুনঃজন্মবাদকে এস্ট্যাবলিশের কাজ চলছে। এক বেলেরভী সাক্ষাৎকারে দেখেছি তারা রিইনকারনেশনকে ইতোমধ্যে ইসলামের আঙ্গিকে ট্রোল করে ভ্যালিড করেছে!! আশা রাখব, সামনে বিটিভি সহ তাদের এল্যাইরা মাঠপর্যায়ে রিইনকারনেশনের ভ্যালিডিটি আনয়নের জন্য সুফি বেরেলভীস্টদের থেকে সাহায্য আসবে। লালন,বাউল,ফকিরদেরকে তো সরকার বহু আগে থেকেই প্রোমোট করে আসছে। মনপুরা চলচ্চিত্রও নির্মান করা হয়েছে। কোন সমস্যা নেই, অনেক আগে থেকেই ওয়াহদাতুল উজুদ, হুলুল, ইত্তেহাদের আকিদা অনেকের মাঝে বিদ্যমান, সেটা আকড়ে ধরতে কষ্ট হবেনা। এখন তো পদার্থবিদদের রেফারেন্সে এই প্যাগান থিওলজিকে প্রোমোট করা হয়। বাকি কিই বা আছে!?
.
আপনি কি জানেন ওরা যোগধ্যানে কি করে? ওরা আপনার মধ্যে ঘুমন্ত 'চেতনা' কে জাগানোর কথা বলবে। সেটা নাকি বিশেষ স্পিরিচুয়াল এনার্জি ফোর্স যা কি না, সাপের ন্যায় কুণ্ডলী পাকিয়ে আছে স্পাইনের মূলে। যোগসাধনার দ্বারা সে ঘুমন্ত স্পিরিচুয়াল এনার্জিকে জাগিয়ে আপনার সচেতন মনে প্রবেশাধিকার এবং নিয়ন্ত্রণভার দিয়ে দেওয়া হয়। যখন এই স্পিরিট এন্টিটিকে বা হায়ার সেল্ফকে নিজের মধ্যে জাগিয়ে দেওয়া হয় তখন যোগীরা বলবে 'ইউ আর এনলাইটেন্ড',ওরা বলবে আপনার তৃতীয় নেত্র খুলে গেছে। তখন অনেক অতিপ্রাকৃত ঘটনা আপনার দ্বারা ঘটতে দেখবেন। একটু খুলে বলি, ধ্যানের মাধ্যমে আপনার উপর, আপনার সাথে থাকা কারীন শয়তান জ্বীনকে(স্পিরিচুয়াল এনার্জি ফোর্স) আপনার চেতনায় পূর্ন নিয়ন্ত্রন দেওয়া হয়। তখন শয়তান জ্বীনের আপনার উপর পূর্ন অধিকারে কোন বাধা পায় না। তখন জ্বীনের দ্বারা অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটতে দেখবেন। যেমনঃ ক্ল্যারভয়েন্স,ক্ল্যারঅডিয়েন্স ইত্যাদি। ধীরে ধীরে ম্যাজিক্যাল ওয়ার্ল্ডভিউতে রপ্ত করানো হয় ।এভাবে তারা মেডিটেশন এর দ্বারা মানুষকে মানব শয়তানে রূপান্তর করছে।
.
একটা দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এখন পর্যন্ত আমি বাংলা ভাষায় কাউকেই মিস্টিসিজম/অকাল্টিজম নিয়ে এক্সপোজ করতে দেখিনি।(কোয়ান্টাম ম্যাথডের উপরে লেখা এক ভাইয়ের ব্লগে খুবই সামান্য কিছু পেয়েছিলাম)। গুহ্যজ্ঞানবাদ নিয়ে কেন জানি কাউকেই চিন্তিত দেখি না, অথচ এই বাতেনিয়্যাহরাই দাজ্জাল এর দ্বীনের প্রতিনিধিত্ব করছে। শয়তানের মতাদর্শকে প্রকাশ্যে প্রচার করছে যা তাওহীদের বিপরীত!
.
October 18, 2017 at 10:36 PM

Chakra, Third Eye এবং Yoga মেডিটেশন (যোগধ্যান)

সমস্ত মিস্টিক্যাল ট্রেডিশনে চক্র,এনার্জি ভাইব্রেশন এর অভিন্ন শিক্ষা দিয়ে থাকে। হোক সেটা হার্মেটিক বা কাব্বালিস্টিক বা বৈদিক অথবা তান্ত্রিক অথবা চীনা তাও। এমনকি যাদুশিক্ষার প্রথম ধাপেও এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আপনি কোয়ান্টাম ম্যাথডে গেলেও এটা মৌলিক শিক্ষা হিসেবে শেখাবে। এমনকি হলিউডেও দেখায়।
.
ডক্টর স্টিফেন স্ট্রেঞ্জ(Movie: Doctor strange) যখন নেপালে হিমালয়ের কাছে টিল্ডা সুইন্টনের(দ্য এন্সিয়েন্ট ওয়ান) কাছে দুর্ঘটনাজনিত কারনে নিজের হাতের ট্রেমরের(Hand tremor) হলিস্টিক চিকিৎসার জন্য গেলেন,তিনি ওই সর্সারিজকে তার চেয়েও চরম স্পাইনাল কর্ডের ইঞ্জুরিতে ভোগা, চিকিৎসার অযোগ্য এক লোককে সুস্থ কি করে করলেন তা জানতে চাইলেন। সর্সারিজের কথাগুলো স্টিফেনের কাছে সেলুলার রিজেনারেশন এর মত মনে হলো। তাকে জিজ্ঞেসা করলেন, "তো আপনি কি Nerve cell গুলোকে রিপ্রোগ্রাম করে self healing এর একটা উপায় বের করেছেন?" উত্তরে সর্সারিজ বলেন, "না মি. স্ট্রেঞ্জ i know how to reorient spirit to better heal the body" । "তা আমরা এটা কোথা থেকে শুরু করব?"
প্রশ্ন করলে সর্সারিজ(যাদুকারিনী/ডাকিনী) এই ধ্যান ও চক্র গুলোর ছবি দেখালেন।
অর্থাৎ এটাই একদম প্রারম্ভিক মৌলিক শিক্ষা ও চর্চা।
.
এই চক্রগুলো মূলত কি জিনিস! আর এগুলো সক্রিয় বা জাগ্রত করার মানেও বা কি?
__
ধ্যানের মাধ্যমে এসব এ্যাক্টিভেশনের প্রক্রিয়াগুলোকে কোন এক জনপ্রিয় এসোটেরিক শিক্ষার চ্যানেলের টিউটোরিয়ালে দেখছিলাম। এসব চক্রের ছবি গুলোকে ধ্যানরত অবস্থায় কল্পনা করতে বলা হয় এবং এক্টিভেট হওয়াটাও ভিজ্যুয়ালাইজ করতে বলা হয়। অর্থাৎ এগুলো সম্পূর্ণ কাল্পনিক। তবে শ্বাস-প্রশ্বাস বিশেষ নিয়মে করার সময় এ বিষয়টা কল্পনার সময় মেরুদন্ডের শেষ অংশ থেকে শুরু করে উপর পর্যন্ত বিদ্যুৎ ন্যায় কোন এনার্জি ফোর্স ফিল্ডের প্রবাহিত হবার অনুভূতির নিশ্চায়তা দেওয়া হয়। এ গা শিরশিরে অনুভূতিকে হজম করার জন্য একাধারে ১০ মিনিট করতে বলা হয়। টিচার বলছিলেন এই এনার্জির কাছে নিজেকে সম্পূর্নভাবে আত্মসমার্পন করতে। সম্পূর্ণভাবে এর অনুগত হতে হবে। সাবমিট করতে হবে। কোনভাবেই এই এনার্জেটিক এন্টিটির উপরে প্রভাব খাটানোর কথা ভাবাও যাবে না । ধ্যানের পরে 'প্রতিদিন আমি উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছি ' এ জাতীয় কিছু বাক্য বলতে হয়। ওরা প্রথম দিনে একদম জননেন্দ্রিয় বরাবর কাল্পনিক চক্র সক্রিয় করবার কথা বলে। ওরা এর দ্বারা কুণ্ডলীনি সার্পেন্ট জাতীয় এনার্জি সক্রিয় হবার কথা বলে। এটা আস্তে আস্তে উপরের দিকে তুলে সারা শরীরে access দেওয়া হয়। একই প্রসেসে যখন উপরের দিকের ২য়, ৩য়, ৪র্থ চক্র গুলো সক্রিয় করা হয় ধ্যানে ওই বৈদ্যুতিক(বা এরকম কিছু) এনার্জি জাতীয় কিছু প্রবাহের অনুভূতি আরো বাড়বে। সেটা ধাপে ধাপে মাথার দিকে উঠবে। এভাবে একে একে প্রতিটি ধাপ পেরিয়ে ৬ষ্ঠ চক্র বা থার্ড আই(ajana) সক্রিয় করতে হয়। এটা সক্রিয় করলে একরকমের এনলাইটমেন্ট ঘটে। তখন higher dimension এর দরজা সম্পূর্ন খুলে যায়, তখন স্পিরিচুয়াল বিং সরাসরি যেকোন সময় আপনার শরীরে প্রবেশাধিকারের সুযোগ পেয়ে যায়। সারাক্ষন আপনার চিন্তাভাবনা ও কাজ কর্মে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পায়। এমতাবস্থায় ধ্যানে আপনি চাইলে অজস্র স্পিরিট বিং দের দেখতে পাবেন। সে এক অন্য জগৎ। এই থার্ড আই সক্রিয় করনের দ্বারা মানুষ দূরদৃষ্টি(clairvoyance) লাভ করে। সেরকম দূরের কিছু শুনতেও পারে। আপনি চোখ বন্ধ করলেও আশেপাশে বা দূরবর্তী অনেক কিছু দেখতে পাবেন। এই ক্ষমতাকে তখন psychic ability ও এদেরকে সুপারহিউম্যান বলা শুরু হয়। ভারতের এক হিন্দু মেয়ের এরকম ক্ষমতাকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে ভিডিও পর্যন্ত করা হয়েছে। তাকে চোখ বেধে দিলেও দূরে বসে কিছু লিখলে সেটা দেখতে পায় এমনকি সামনের কারো শরীরের ভেতরের সমস্যাগুলোও বলতে পারে। দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=ZtLkzg8bFgA
.
https://m.youtube.com/watch?v=AuVipYyR23E
.
মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ এটা দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে থার্ড আই সক্রিয় করার উদ্দেশ্যে ধ্যান ইয়োগা শুরু হয়ে গিয়েছে। লক্ষ্যঃ এনলাইটমেন্ট চাই।
.
এতক্ষন যা বলেছি তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন। না বুঝলে আফসোস! উপরে বর্নিত চক্র গুলো কল্পনার দ্বারা জাগ্রত করার সময় যে এনার্জি কারেন্টের কথা বলা হচ্ছে সেটা জ্বীন ছাড়া আর কিছু না। ওরা পরবর্তীতে সরাসরি 'স্পিরিট বিং' শব্দ গুলোও ব্যবহার করে। ধ্যানের প্রতিটি চক্র এক্টিভেশনের নামে ধীরে ধীরে আপনার ও ওদের ডাইমেনশনের গেইটওয়ে খুলে দেওয়া হয়। আপনার উপর ওর স্বাধীন এক্সেস পাইয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ পজেশনের রাস্তা খুলে দেওয়া হয়। এটাকে নাম দিয়েছে চেতনা জাগ্রতকরন। কথা সত্য, অর্থাৎ আপনার মধ্যে ক্বারীন শয়তানের চেতনা জাগিয়ে তোলা হয় এবং আপনার মধ্যে ওদের যাতায়াতের পথ খুলে দেওয়া হয়। আর এ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে সফল হয় যখন কাল্পনিক থার্ডআই সক্রিয় করার নামে ধ্যান করা হয়। এখানে একটা বিষয় হচ্ছে এ অবস্থায় যাবার আগেই আপনাকে শয়তানের কাছে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে surrender করতে হবে। এজন্য ধ্যানকালে এই এনার্জির সঞ্চালনের কাছে নিজেকে সঁপে দিতে হবে।।কথিত থার্ড আই বা ষষ্ঠ চক্র যখন খুলে যাবে তখন আপনি একরকমের শয়তানের খাটি গোলামে পরিনত হবেন। সে আপনার মধ্যে আসবে যাবে। আপনার প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে, শয়তান জ্বীনের দৃষ্টি দ্বারা দূরের জিনিস আপনার চোখ বন্ধ থাকলেও পেনিয়াল গ্ল্যান্ডের দ্বারা দেখাবে। অর্থাৎ আপনার হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার প্রায় শয়তান দখলে নিয়ে নেবে। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্ল্যান্ড এবং Penial gland কে কোন এডাপ্টার হিসেবে ধরুন যা শয়তানের প্রবেশপথ তৈরি করে। হূমায়ূন আহমেদ নামের আমাদের দেশের জনপ্রিয় mystic লেখক তার উপন্যাসের বইতেও এসবের ব্যপারে মাঝেমধ্যে টেনে ধোঁয়াশা এবং কৌতূহল তৈরি করতেন। Penial gland আরো কিছু প্রক্রিয়াতেও সক্রিয় করে শয়তানের প্রবেশের দুয়ার(ডাইমেনশনাল গেইটওয়ে) খোলা যায়। যেমন বিভিন্ন সাইকাডেলিক ড্রাগ যেমনঃ আইয়োস্তকা,এলএসডি, ডিএমটি,ফিলিসাইবিন ইত্যাদি আরো কিছু। কিছু মাশরুমেও এ গুন আছে। শ্যামানরা ধ্যান না করে এই উপায়কে সবচেয়ে বেশি অবলম্বন করে।
.
শয়তানের দ্বারা possessed এ ভারতীয় শিশু মেয়েকে এক ইন্টার্ভিউয়ে প্রশ্ন করা হয়, সে কি যে কোন সময়ই চোখ বুঝলে নিজের ইচ্ছামত দূরত্বের জিনিস দেখতে পায়? উত্তরে সে বলে, সে সবসময় দেখতে পায় না। তার মনমেজাজ ভাল না থাকলে চেষ্টা করলেও দেখতে সক্ষম হয় না। এটা সবসময় তার ইচ্ছাধীন নয়।
.
থার্ড আই সক্রিয় করনে এই রূপ অলৌকিক ক্ষমতা লাভের কথা শুনে হাজারো মানুষ ঝটপট এই কাল্পনিক ভিজ্যুয়ালাইজেশন শুরু করেদেয়। তারা এমনকি আগের প্রসেস গুলোও পার করে না। অর্থাৎ শয়তানকে আপনার ইন্টেনশনের বিষয়টা না বুঝতে দিয়ে হুটহাট করতে গেলে যা হয়। আপনি তো অন্তত কয়েকদিন আপনার মধ্যে শয়তান জ্বীনকে ঘোরাফেরার সুযোগ(কাল্পনিক চক্রগুলো ব্যালেন্স করা) করে দিবেন তো। না দিলে তো ভয় দেবেই। লক্ষ লক্ষ মানুষ ধ্যানের সময় শয়তানের ভয়ংকর রূপ দেখে চরমভাবে আতঙ্কিত হয়েছে। কেউ কেউ ধ্যানের মধ্যেই ফিজিক্যাল আক্রমণের স্বীকার হয়েছে। কেউ বা হয়েছে পজেসড। দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=z-iCdeQwNFs
.
অত্যন্ত জনপ্রিয় এসোটেরিক(বাতেনি-ইল্মুল লাদুনি) এ সকল শয়তানি শিক্ষার একটা ইউটিউবের লিংক দিয়ে দিলাম। এরাই এসমস্ত কাজের শিক্ষা দেয়, আবার সরাসরি থার্ড আই ওপেন এর রিস্কের ব্যপারে সতর্ক করেও দিচ্ছে। চমৎকার কিছু তথ্য দিয়েছে। অবশ্যই দেখবেনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=-rLp3Pqj4IY
.
শেষভাগে একদম প্রকাশ্যে বলছে যে, 'এই স্পিরিট বিং রা হচ্ছে ডিমন(শয়তান), যারা এদের ভয় পায় বা আমরা যেন ভয় করি(দূরে রাখার জন্য) এজন্য এরকম নাম দিয়েছে। এরা সবসময়েই আমাদের সাথে থাকে অথচ আমরা এদের দেখতে পাই না(অর্থাৎ ক্বারিন শয়তান)। পাইনিয়াল গ্ল্যান্ডের দ্বারা এদের দুয়ার উন্মুক্তকরনের দ্বারা আমরা এদের থেকে অনেক intuition, তথ্য, জ্ঞান, সিদ্ধান্ত নিতে পারি....প্রত্যেকেরই অবশ্যই থার্ড আই জাগ্রত করা উচিত কিন্তু অবশ্যই এর জন্য প্রস্তুত হয়ে। স্পিরিচুয়াল আর ফিজিক্যাল রেল্মের মধ্যে হার্মোনি তৈরি করে বেচে থাকতে হবে.....' ইত্যাদি আরো অনেক কিছু।
.
আশা করি এবার সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারছেন এরা কি করে! এরা 'যোগ'(yoga) ধ্যান করে শয়তান জ্বীনের সাথে 'যোগ' করার জন্য। এরা চিত্রের ন্যায় আপনাকে আল্লাহর সাথে যোগ হবার জন্য ধ্যানের আহব্বান জানাবে। বস্তুত এই শয়তানের উপাসকরা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয় আপনাকে খাটি মুশরিক ও কাফির বানানোর জন্য। আর আপনিও নির্বোধের মত কোয়ান্টাম ম্যাথডের গুরুজির কাছে যান। আপনি বুজুর্গের বেশধারী সুফিপীর ফকির শয়তানগুলোর কাছে
যান মোরাকাবা শিখতে। বেলেরভীরা(উপমহাদেশীয় ছুন্নি) তো দেওবন্দীদের(কওমি) চেয়েও এসবে এগিয়ে। এজন্যই এরা শয়তানের সান্নিধ্যে গিয়ে আল্লাহর ব্যপারে আজেবাজে কথা বলে। এরা বলে ওয়াহদাতুল উজুদের(সৃষ্টি স্রষ্টার অভিন্ন অস্তিত্বের) কথা, ইত্তেহাদের(সর্বেশ্বরবাদ) কথা, হুলুলের কথা। এদের নাম মুসলিমদের মত অথচ প্যাগান যাদুকরদের মত সর্বেশ্বরবাদ, অদ্বৈতবাদ, পুনঃজন্মবাদের কথা বলে। বস্তুত, এদের অনেকেই পুনরুত্থান দিবসের ব্যপারে সন্দিহান। এরা অবাধ্য শয়তানের কথাকে মেনে নিয়েছে। আল্লাহর অস্তিত্বের ব্যপারে আজেবাজে কথা বানিয়ে প্রচার করছে।
আল্লাহ বলেনঃ
.
وَمِنَ النَّاسِ مَن يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّبِعُ كُلَّ شَيْطَانٍ مَّرِيدٍ كُتِبَ عَلَيْهِ أَنَّهُ مَن تَوَلَّاهُ فَأَنَّهُ يُضِلُّهُ وَيَهْدِيهِ إِلَى عَذَابِ السَّعِيرِ
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِن كُنتُمْ فِي رَيْبٍ مِّنَ الْبَعْثِ فَإِنَّا خَلَقْنَاكُم مِّن تُرَابٍ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ مِن مُّضْغَةٍ مُّخَلَّقَةٍ وَغَيْرِ مُخَلَّقَةٍ لِّنُبَيِّنَ لَكُمْ وَنُقِرُّ فِي الْأَرْحَامِ مَا نَشَاء إِلَى أَجَلٍ مُّسَمًّى ثُمَّ نُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوا أَشُدَّكُمْ وَمِنكُم مَّن يُتَوَفَّى وَمِنكُم مَّن يُرَدُّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْلَا يَعْلَمَ مِن بَعْدِ عِلْمٍ شَيْئًا وَتَرَى الْأَرْضَ هَامِدَةً فَإِذَا أَنزَلْنَا عَلَيْهَا الْمَاء اهْتَزَّتْ وَرَبَتْ وَأَنبَتَتْ مِن كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ
ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَقُّ وَأَنَّهُ يُحْيِي الْمَوْتَى وَأَنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍقَدِيرٌ
وَأَنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ لَّا رَيْبَ فِيهَا وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَن فِي الْقُبُورِ

.
কতক মানুষ অজ্ঞানতাবশতঃ আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে এবং প্রত্যেক অবাধ্য শয়তানের অনুসরণ করে।শয়তান সম্পর্কে লিখে দেয়া হয়েছে যে, যে কেউ তার সাথী হবে, সে তাকে বিভ্রান্ত করবে এবং দোযখের আযাবের দিকে পরিচালিত করবে।হে লোকসকল! যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দিগ্ধ হও, তবে (ভেবে দেখ) আমি তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে, এরপর জমাট রক্ত থেকে, এরপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট ও অপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট মাংসপিন্ড থেকে, তোমাদের কাছে ব্যক্ত করার জন্যে। আর আমি এক নির্দিষ্ট কালের জন্যে মাতৃগর্ভে যা ইচ্ছা রেখে দেই, এরপর আমি তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করি; তারপর যাতে তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুমুখে পতিত হয় এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে নিষ্কর্মা বয়স পর্যন্ত পৌছানো হয়, যাতে সে জানার পর জ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে সজ্ঞান থাকে না। তুমি ভূমিকে পতিত দেখতে পাও, অতঃপর আমি যখন তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন তা সতেজ ও স্ফীত হয়ে যায় এবং সর্বপ্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করে। এগুলো এ কারণে যে, আল্লাহ সত্য এবং তিনি মৃতকে জীবিত করেন এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।এবং এ কারণে যে, কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যে, কবরে যারা আছে, আল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন
(সূরা হাজ্জ্বঃ ৩-৭)

.

يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَلَا يَغُرَّنَّكُم بِاللَّهِ الْغَرُورُ
إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوهُ عَدُوًّا إِنَّمَا يَدْعُو حِزْبَهُ لِيَكُونُوا مِنْ أَصْحَابِ السَّعِيرِ

.
হে মানুষ, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। সুতরাং, পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে প্রতারণা না করে। এবং সেই প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে।শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রু রূপেই গ্রহণ কর। সে তার দলবলকে আহবান করে যেন তারা জাহান্নামী হয়। (সূরা ফাতিরঃ৫-৬)

.........
এই বিষয়গুলো অধিকাংশই জানে এরপরেও কিছু লোক শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহন করবেই।

মনিজম

শেষ যুগের চলমান ভয়াবহ ফিতনার একটি অন্যতম  হচ্ছে আসন্ন দাজ্জালের নেতৃত্ব মান্য করবার জন্য এক অভিন্ন ধর্মীয় মতাদর্শকে কেন্দ্র করে সমগ্র বিশ্ব এক ছাতার তলে চলে আসা। এ নয়া ধর্মের কমন বিষয় হচ্ছে স্পিরিচুয়ালিটি। মুসলিমদের সুফিপীরবাদ, ইহুদীদের মধ্যে কাব্বালিস্ট মিস্টিক্স,খ্রিষ্টানদের মধ্যে মোনাস্টিসিজম ও নস্টিসিজম ইত্যাদি নামে পরিচিত।

   ইব্রাহীম (আ) এর অনুসারীদের বাইরের অধিকাংশ ভণ্ড ধর্মীয় মতবাদগুলোর গভীর অনুধাবনে এই অভিন্ন স্পিরিচুয়ালিজমের এসেন্স রয়েছে। এটাকে অনেকে দর্শনও মনে করে। পাশ্চাত্যে এ বামরাস্তাকে মাঝেমধ্যে থিওসফিও বলা হয়। থিওসফির অনেক অর্গানাইজড সংগঠন পশ্চিমা বিশ্বে কাজ করছে।। এ রাস্তা এতটাই নিকৃষ্ট, যে পৃথিবীর ইতিহাসে ধ্বংসপ্রাপ্ত সভ্যতার কুফরি চর্চা, এবং  (আদম আঃ এর যুগ থেকে)ইসলামের বিরুদ্ধে থাকা কাফের শক্তির বিশ্বাস ও চর্চার এক অনবদ্য কম্পাইলেশন। সব কুফর মিলিয়ে একটি প্রতিষ্ঠিত শয়তানের ধর্মে রূপ নিয়েছে। নিউ এজ(নতুন যুগের বিশ্বদৃষ্টি),ইউনিভার্সালিস্ট,ইউনিটেরিয়ান,ইস্কন, কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম নামের হাজারো রঙ আর বর্নে বিভিন্ন দেশে কাজ করছে।

    ওরা একশ্রেণীর জাদুচর্চা শেখাচ্ছে। এক গুপ্ত বিজ্ঞানকে হজম করাচ্ছে স্পিরিট সাইন্সের নামে। ফেসবুকে মহা জনপ্রিয় পেজও আছে।
https://m.facebook.com/thespiritscience/

আমারই ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টের অনেকের লাইক এতে আছে!দাজ্জালের ফাদে পড়া কত্ত সহজ সেটা অনুমেয়! মনিজম(monism) হচ্ছে ওদের সর্বেশ্বরবাদী গুপ্ত আদর্শ। সুফিবাদের ওয়াহদাতুল উজুদের নাম শুনেছেন? সেটার ইংরেজিই এটা। এটা তাওহীদের বিপরীতের একটা সম্পূর্ণ কুফরি আকিদা। যার মূলবক্তব্য হচ্ছে সর্বেশ্বরবাদ। সালাফি আলেমরা এর ব্যপারে এত ভেতরের খবর জানলে জানি কি করত। এমনিতেই কত কিছু করে।
 বাইদ্যা ওয়ে এই আকিদা দেওবন্দ,বেলেরভীস্টদের অফিশিয়াল।https://www.deoband.org/2010/05/hadith/hadith-commentary/wahdat-al-wujud-wahdat-al-shuhud-and-the-safest-position/

এর ব্যপারে জেনে শুনে, এ পথের অনুসারীরা আছে নজরের নজরবন্দীদের মধ্যে।এ নিয়ে অন্যদিন বলব।

 শুনলে অবাক হবেন যে এ মতবাদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে খোদ জাতিসংঘ, যার বিস্তারিত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। দাজ্জালের শাসন প্রতিষ্ঠায় পুরাতন সব ধর্ম বাদ দিয়ে  ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন এ আসতেই হবে সব স্তরের মানুষদের। মজার বিষয় হচ্ছে থিওসফির ধর্মযাজকরাও সমস্বরে ওদের এক মহান মসীহ আসবার আশা ব্যক্ত করে,যিনি কিনা হবেন পৃথিবীর শিক্ষক। এ ব্যপারে সবচেয়ে বেশি চিল্লাচিল্লি করেছে বেঞ্জামিন ক্রিম।উনি চমৎকার বর্ননাও দিয়েছেন যখন দাজ্জাল আসবে কিরূপ অবস্থা হবে।

  উইকিপিডিয়ায় উল্লিখিত শিখ গুরুগ্রন্থসাহিবের এক লেখক(শয়তান জ্বীনদের সহায়তায়) বলেন, যখন এ দাজ্জাল সাহেব নিজেকে সর্বশক্তিমান রব দাবি করবে তখন মাহদি নামের কারও হাতে খুন হবে(শুদ্ধ হচ্ছে ঈসা(আ) এর হাতে)। একটা অদ্ভুত বর্ননা তিনি দিয়েছেন যে ওই সময় সূর্য আকাশে আটকে যাবে, ১২ ঘন্টায় একবার করে সামান্য নড়বে যা দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা দেবে।
উপরের কোন ব্যপারে তথ্যপ্রমান চাইলে ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব দেওয়ার জন্য।

দেওবন্দ এবং ওয়াহদাতুল উজুদ

দেওবন্দের অফিশিয়াল আকিদা ওয়াহদাতুল উজুদ নিয়ে বলছিলাম। নিঃসন্দেহে শরী'আ এর বাহিরের দিক দিয়ে গবেষনাও প্রমান করে যে তাদের এ monistic দর্শন কে বামরাস্তায় হাটার দুয়ার উন্মোচিত করে।
সালাফি মাদখালি মাদানী স্কলারগন এ নিয়ে বেশি উত্তেজিত হয়ে মাঝেমধ্যে যেন কুফরির ফতওয়াও দিতে চান আম দেওবন্দিদের।
যাহোক,এ ব্যপারটা স্পষ্ট থাকা প্রয়োজন যে এ আকিদা অধিকাংশ দেওবন্দী আলেমগন দ্বারা স্পষ্টভাবে ওয়াকিবহাল নন। এ ব্যপারে তাদের বড় একটি সংখ্যা সচেতনও নন। বিশেষ করে কওমী প্ল্যাটফর্ম এর সার্টিফাইড আলেমসমাজ।কওমী আলেমদের সাথে ওঠাবসা আছে যার জন্য এরজন্য আমিই সাক্ষী। মজার বিষয় হচ্ছে তারা আকিদার ব্যপারেও বিস্তর জ্ঞান রাখেন না।হয়ত কুরআনের হাফেজ, হানাফি ফিকহী মাস'য়ালাতে দক্ষ, কিন্তু কিছু দিকে খুব কাচা। যেন কেউ তাদের শেখায় নি। বস্তুত তাই সীমাহীন অন্ধঅনুকরন তাদের মধ্যে ব্যাপক সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে, যে ওস্তাদের কাছে ইলম শিখেছে উনি যা ভাল মন্দ বলেছে ,ব্যাস তাই! আর কোন দিকে তাকানোর দরকার নাই। এজন্য অনেক কওমী আলেম,তালেবুল ইলমদের মুখে মানসুর আল হাল্লাজ,ইবনে আরাবিদের নামের পরে রহ. উচ্চারিত হতে শুনি।
এক মুফতি সাহেবের সাথে সখ্যতা ছিল, তাকে আল্লাহ অস্তিত্ব সম্পর্কিত আকিদার ব্যপারে আলাপকালে উনি টার্মিনেট করেন এ বলে যে " আমাদের শায়েখগন এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা ঘাটাঘাটি করতে নিষেধ করেন!"
আমার খুব কাছের পছন্দের এক দেওবন্দী মুফতি সাহেবকে একদিন এ ব্যপারটি জানতে পরীক্ষা করি অজ্ঞতার ভান ধরে। তিনি শব্দটার সাথেও দেখলাম তেমন পরিচিত না। বেচারা এখন দেশের একটা স্বনামধন্য মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের অন্যতম শিক্ষক। তাকে এ ব্যপারে কিছু বলিও নি। কারন আমার উদ্দেশ্য ফিতনা তৈরি নয়। অগণিত নিষ্কলুষ তাকওয়াশীল একনিষ্ঠ বান্দা আছে দেওবন্দের। আল্লাহ তাদের চেহারাতেও বক্রতা ও কুফরির ছাপ রাখেন নি। এদেরকে চেহারা দেখেই চিনে নিতে পারি।
তবে যাদের মধ্যে এ আকিদা বিদ্যমান, তাদের হৃদয়টাও বেজায় বক্র! আর আল্লাহ চেহারাতেও সে সিল দিয়ে রেখেছেন যদিও অধিকাংশ মানুষই তা টের পায় না। যাদের মধ্যেই এসব বাতিল জিনিস বিদ্যমান এদেরকে মুভ বা শাহাবাগগুলোতে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে অন্য দিক দিয়েও গোমরাহী পরিলক্ষিত হয়।
আশার কথা যে আল্লাহর রাস্তায় কর্মরত দেওবন্দীদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যাবতীয় সংকীর্নতামুক্ত থাকতে দেখা যায়। এদেরকে সর্বোত্তম মানুষের তালিকাভুক্ত পাওয়া যায়।
ওয়াহাদাতুল উজুদ-হুলুল-ইত্তেহাদ ইত্যাদি সুফিবাদী কুফরি আকিদা নিয়ে ভেঙ্গে নতুন করে কিছু লেখবার ইচ্ছে নাই। পাকি প্রখ্যাত স্কলার ইসরার আহমেদ কহেন ওয়াহদাতুল উজুদ বিদাত স্বীকার করি, কিন্তু কুফরি স্বীকার করি না,আমি অলওয়েজ ওয়াহদাতুল উজুদের বিশ্বাসে ডুবে থাকি।
আহমদ রেজা বেরেলভীর অনুসারী তথা ভন্ড আহলে সুন্নাত জামায়াত(উপমহাদেশীয় ছুন্নি) অর্গানাইজেশন এর বিষয় টি আউট অব কাউন্ট। ওদের মধ্যে এই আকিদা আরো প্রকট।
.
#পরিশিষ্টঃ যেহেতু তাদের অধিকাংশই অজ্ঞ অনুসারী আর একত্ববাদে মৌলিকভাবে স্বাভাবিক বিশ্বাসী, সেজন্য ঢালাওভাবে কুফরি আকিদাগ্রস্ত বলে কাফের বলা বা গনহারে তাকফির করাটা খাওয়ারিজদের লক্ষন ; যেটা অনেক আইএসপন্থী আকিদা আকিদা করে চিল্লাচিল্লি করার সাথে সাথে করছে। মনে রাখা উচিৎ এক ব্যক্তিকে কাফের সাব্যস্ত করলে সে যদি তা না হয় তবে কুফরির ফতওয়া নিজের দিকে ফিরে আসে। আর অত্র পোস্টে দেওবন্দ-কওমী আনুকূল্য কিছু পাওয়াতে বা প্রশংসাতে কওমিদের আমোদিত হবার কিছু নেই।সত্য-ভালমন্দ থাকলে তা প্রকাশে সংকোচ বোধ করিনা।

ট্যারট কার্ড রিডিং

পিউর প্যাগান অকাল্ট প্রাকটিস ট্যারট পড়ার ব্যপারটি রিডারগন এভাবে ব্যাখ্যা করেন যে প্রতিটি কার্ডই স্বতন্ত্র জীবন্ত স্বত্তা। তাদেরকে(কার্ডগুলোকে) প্রশ্ন করলে রিডারের মনে টেলিপ্যাথিক কমিউনিকেশনে কার্ড গুলো থেকেই উত্তর পায়। কার্ড রিডিংএ একেক অঞ্চল ভেদে ভিন্ন হতে পারে তবে, এ বিষয়ে প্রায় সবাই এক। পূর্বের একটি পোস্টে ট্যারটের ব্যপারে অল্প বিস্তর আলোচনা করেছি। ট্যারট রিডিং এর বিষয়টা জ্বীনকেন্দ্রিক। অকাল্টিস্টরা মুখে এনার্জি, হায়ার কনসাসনেস ইত্যাদি গার্বেজ আওড়ে একটু কমপ্লিকেটেড করে। আর ট্যারট পাঠককেও স্পিরিচুয়াললি ইভলভব হতে হবে। গড়পড়তা মানুষ হলে চলবে না। এজন্য মেডিটেশন যোগ সাধনার আশ্রয় নিতে হয়। কিছুটা স্পিরিচুয়াললি এনলাইটেন্ড হতে হবে, কথিত থার্ড আই ইনেবল্ড থাকলে সহজ হয়। একেক স্পিরিচুয়ালিস্ট একেক শব্দ দিয়ে আর ব্যাখ্যা তৈরি করে বিষয়টাকে কঠিন আর রহস্যময় করে দেয়। কেউ কেউ বলে এখানে কোন ডিমনিক বিং বা জ্বীনদের হাত নেই , এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত অর্জিত আধ্যাত্মিক শক্তি।সত্য হচ্ছে জ্বীনদের সাথে যোগাযোগ ও তাদের ডেভোটেড হওয়ার ট্রেডিশনাল যে রকম নিয়মের পরিচিতি আছে এসবের বাইরে ভিন্ন প্রক্রিয়ায় জ্বীনদের রেল্মের সাথে আমাদের ত্রিমাত্রিক ডাইমেনশনের গেটওয়ে আনলক করবার মাধ্যমে এধরনের কথিত সাইকিক এবেলিটি অর্জিত হয়। পাশ্চাত্যের বেশিরভাগ চর্চা কারীই জানতেই পারেনা তাদের এ পাওয়ার সোর্স জ্বীনঘটিত। আর সাহায্যকারী জ্বীনরাও সেভাবে প্রকাশ করেনা। যাতে ফিতনার প্রসার ঘটে। প্রচার করা হয় মনের শক্তি। পাওয়ার অব মাইন্ড বা মনের গোপন শক্তি।
.
প্রতিটি মানুষের সাথেই একটি করে ক্বারীন জ্বীন বসবাস করে।এমনকি নবী (সা) এর সাথেও ছিল, তিনি তাকে দাওতাত দিয়েছিলেন যা সে কবুল করে। এর কাজ হচ্ছে মানুষকে সবসময় কুমন্ত্রণাদান আর কুকর্মের জন্য ইনভোক করা। ক্বারিনের ব্যপারে বিস্তারিত জানুনঃ
.
অদৃশ্য সহচর ক্বারীন জ্বীনকেই নিউএজার, থিওসফিস্ট অন্যন্য স্পিরিচুয়ালিস্টরা 'inner energy 'inner spirit' 'goddess' 'highher consciousness' 'inner adviser' 'higher self' 'angelic being' 'chii' সহ আরো বিভিন্ন নাম দিয়েছে।আর ক্বারিন জ্বীনদের মধ্যে শক্ত নেটওয়ার্ক আছে । আমি ওদের পরস্পরের সম্পর্কএর জালকে কোন নেটওয়ার্ক হটস্পটের সাথে তুলনা করি। প্রত্যেকেই একেকটি রাউটার- এক্সেসপয়েন্ট বা এক্সটেন্ডারের মত কাজ করে।এরা পারস্পারিক তথ্য আদান প্রদানে সাহায্য করে। কারীনের ব্যাপারে জানুনঃ
শায়েখ আব্দুল কাইয়্যুম-
https://m.youtube.com/watch?v=64IPPmpPMuM
.
https://m.youtube.com/watch?v=pPuE0OCPfpQ
ধ্যান বা অন্য রিচুয়ালের দ্বারা যখন কোন ব্যক্তি এই কারীনকে শরীরে পজেশনের জন্য ওপেন এক্সেস দিয়ে দেয় সেই সাথে দেহের ড্রাইভিং ফোর্সের আসনে বসায় তখন আমরা বাহ্যিকভাবে কিছু অলৌকিক ক্ষমতা দেখতে পাই ওই ব্যক্তির দ্বারা। যেমন লেভিটেশন(ধ্যানে শূন্যে ভাসা),টেলিকেনেসিস বা টেলিপোর্টেশন(হাতের ইশারায় দূরবর্তী জিনিস নিয়ন্ত্রন), টেলিপ্যাথিক কমিউনিকেশন,টেলিপোর্টিং(হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে দূরে এপেয়ারেন্স বা হাইপার জাম্প),ক্ল্যায়ারভয়েন্স(অন্য কোন ব্যক্তির অতীত, আর বর্তমানের গোপন বিষয় সম্পর্কে জানা),অসম্ভব শক্তি অর্জন, হাতের দ্বারা ইএমপির জাতীয় ভিন্ন মাত্রার স্পিরিচুয়াল এনার্জি বিকিরণ যা টার্গেটেড বস্তুতে শক বা আগুন ধরিয়ে দিতে পারে(যদিও সে শক্তির প্রকৃতি বা মাত্রা কোন যন্ত্র ডিটেক্ট করতে পারেনা)। বিষয়গুলি বাহ্যত দেখতে মনে হবে ঐ ব্যক্তির নিজস্ব সাইকিক এবিলিটি। কিন্তু আসলে সেটা জ্বীনঘটিত। ওই অবস্থায় সহচর জ্বীন চর্চাকারীর একরকমের অঙ্গের ন্যায় কাজ করে।এটাই শয়তানের প্রতি আনুগত্যের ফসল। পাশ্চাত্যের নিউএজার বা অন্য মানহাজের স্পিরিচুয়ালিস্টদের অনেকেই স্পেসিফিকভাবে জ্বীনদের ব্যপারে জানেনা,অথবা ভিন্নভাবে তাদের বিষয়ে ধারনা করে। এদের অনেকেই প্যারানরমাল বিষয়গুলোর বিচিত্র ব্যাখ্যা দেয়। ইতোপূর্বে মাস দুয়েক আগে শয়তান সৃষ্ট ওদের ফলস মেমরি- ম্যান্ডেলা ইফেকক্ট রিফিউট করে লিখেছিলাম। ওদের কাছে প্রকৃতির সমস্ত বিষয়ের ব্যাখ্যা ভিন্ন। শয়তান জ্বীনের দ্বারা অলৌকিক অসাধ্য সাধনকে ওরা মনের শক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করে।তাছাড়া কোয়ান্টাম ফিজিক্সের সাথে নিকোলা টেসলার কিছু চিন্তাকে কম্বাইন করে নিজেদের ন্যাচারালিস্টিক ট্রোলথট মিলিয়ে স্পিরিট সাইন্সের প্রচার করছে। যাহোক এবার ট্যারটে ফিরে আসি।ট্যারট রিডিং এর জন্যও আপনাকে নূন্যতম স্পিরিটিজমে ঢুকতে হবে।। অর্থাৎ কুফরি করতেই হবে।
তাছাড়া আব্রাহামিক ট্রেডিশনে ডিভিনেশন(ভবিষৎ বলা) শয়তানী কাজ। এক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি যদি মিছেমিছি জ্বীনদের সাহায্য ছাড়াও কারো ভবিষ্যৎ বলে গনকদের বেশে, তবে সেও আল্লাহর সাথে গায়েবের জ্ঞানের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করে কুফরি করল। আর ট্যারট কার্ডগুলো একদমই খাটি অকাল্ট এসোটেরিক সিম্বলে ভরা। আর অকাল্ট প্রাকটিস মানেই শয়তানী চর্চা আর কুফরি করা। দেখুনঃ http://www.allabouttheoccult.org/tarot-cards.htm
.
ওয়েবসাইটটির এতটুকুন বেশ স্টানিং
"The use of tarot cards does not seem to be a religion in the sense that it does not involve the worship of deities. However, in another sense, it is very much a religion (or some would say obsession) when it becomes a practice or activity that someone is completely devoted to. At some point, it can take on cultish or occultish aspects. In fact, there are many people who place tarot cards in the same category as other occult fortune-telling techniques such as the ouija board, astrology, crystal balls, palmistry, and tea leaves. Of course, some maintain that tarot cards are just harmless fun. Tarot cards fit in well with the #New_Age_movement that is so prevalent these days. New Agers use certain practices or methods to "get in touch with their inner spirits," and tarot cards can be a perfect way for them to channel their thoughts and connect with the "Oneness of the Universe.""
.
যাদের সন্দেহ হয় এ কাজ স্যাটানিক কিনা তারা দেখুন:
https://m.youtube.com/watch?v=99f-h1MmWKw
.
https://m.youtube.com/watch?v=43_RpvfaaM4
.
https://m.youtube.com/watch?v=knB7pb7aF5I
.
অকাল্ট প্রাকটিসঃ
https://m.youtube.com/watch?v=u9HvJPwUO78
.
https://m.youtube.com/watch?v=bdj83PWWH0M
.
থিওসফিস্টদের এঞ্জেলিক ট্যারট গাইডেন্স(ওদের কাছে শয়তানই হচ্ছে এঞ্জেল):
http://www.angelpaths.com
.
শয়তানের পূজারীদের অফিসিয়াল ট্যারট রিডিং শিক্ষাকেন্দ্র (এঞ্জেলফায়ার ডোমেইনগুলো অফিশিয়ালি ওদের)
http://www.angelfire.com/ct2/CelestialRealm/toth/tarot.html
এখানে শয়তানের পূজারিদের স্যাক্রিড কিতাব তোথের সাথে ট্যারটের সম্পর্ক জানবেন।
.
http://www.angelsfire.net/tarot-readings.html
.
নর্স প্যাগানিজমঃ
https://m.youtube.com/watch?v=QbxNWGy1BCg
.
খ্রিষ্টানরাও এর অরিজিনের ব্যপারে সচেতনঃhttps://m.youtube.com/watch?v=kcl8pa7jTlg
.
https://m.youtube.com/watch?v=PPjanH3U7uo
.
কোথা থেকে কিনবেন ট্যারটকার্ডঃ
https://luciferianapotheca.com/collections/tarot-1?view=all
জ্বি লুসিফেরিয়ান এপোথিকা। কিনবেন নাহ(?)! আরে একটু আধটু কুফরের পথে হাটলে কি প্রব্লেম, ম্যান! চিরকাল জাহান্নামেই না হয় যেতে হবে।যেতেই বা দোষ কি, অনেক মানুষই তো যাবে,মিয়া ডেমোক্রেটিক হন! তাই দুনিয়ার পপুলারিটির জন্য এটুকুন না পারলে কেমনে হল! ওরাই তো আপনাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বলছে জাহান্নামীদের বাহিনীতে যোগদিন। http://web.archive.org/web/20160214142145/http://hailtosatansvictory666.angelfire.com/Hells_Army_666.html
.
অতঃপর তাদেরকে বলব যারা আল্লাহকে ভয় করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর শাস্তি অত্যন্ত কঠোর।
দেখুন ফরচুন টেলার ও ডিভিনেশনের ব্যাপারেঃ
https://islamqa.info/en/40924
.
ট্যারট কার্ডঃ
http://www.ummah.com/forum/showthread.php?158429-Tarot-cards
.
আগের লেখা:
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=778353272334671&id=100004800152023&refid=8&_ft_=top_level_post_id.778353272334671%3Atl_objid.778353272334671%3Athid.100004800152023%3A306061129499414%3A2%3A0%3A1496300399%3A6946252083500112716
.
সামনে ট্যারটের সাথে রিলেভ্যান্ট এস্ট্রোলজির ব্যপারে আলাদা পোস্ট করব, বিইযনিল্লাহ।
(বিঃদ্রঃ আমি আমাদের দেশে চলমান ডর-ট্যারট নামের প্রোগ্রামটির শ্রোতা নই।যার দরুন সে প্রোগ্রামটির মটো সম্পর্কে খুব ভালভাবে অবগত নই।যতদূর শুনেছি তারা সীমালঙ্ঘন করেছে। তাদেরকে সাবধান করলে আমাকে তাদের পেজ থেকে ব্লক করে দেয় যদিও পূর্বে কিবরিয়া সরকার নামের জনৈক আর্জে বলেছিল আমাকে ব্যান্ড করা হবেনা। যাহোক, উপরের তথ্য গুলো একদম নিরপেক্ষ ও সত্য। চাইলে রিসার্চ করতে পারেন। তবে রিফিউটেশন এর চেষ্টা করে বিতর্কে জড়াতে চাইলে অকাল্টিজম ও মিস্টিসিজমের সুবিশাল চ্যাপ্টারের উপর সুবিশাল জ্ঞান ও তাওহীদ তথা গোটা দ্বীনের উপর পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ ইলম নিয়ে আসুন, আমি আছি, ইনশাআল্লাহ।)

কল্কি বিভ্রান্তি

 হিন্দু ধর্মের শেষ অবতার কল্কিকে নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে দু ধরনের স্ট্রিম পাওয়া যায়। একটি হচ্ছে আমাদের নবী(স) এর কথা আরেকটি দাজ্জালের। হিন্দুধর্মীয় স্ক্রিপচার গভীরভাবে পড়লে মনে হতে পারে কল্কি নাম দিয়ে আমাদের মহানবী(স) এর কথা বলা হচ্ছে। শুধু কল্কিই নয়। বৌদ্ধধর্মের মৈত্রেয়বুদ্ধর ব্যপারেও একই ধরনের ফলাফল পাওয়া যায়। তাছাড়া কিছু আলেমশ্রেনীর ব্যক্তিরাও এ ব্যপারে একমত। তবে হিন্দুদের একাধিক গ্রন্থে সরাসরি 'মুহম্মদ' নামটি এসেছে যা পার্থক্য করে দেয়
কিন্তু কথা হচ্ছে বর্তমানসময়ে কল্কি বা মৈত্রেয় মসীহ বলে যার অপেক্ষা করা হচ্ছে সে দাজ্জাল বিনা আর কেউ নয়। বিষয়টা এরূপ যে ঈসা (আ) একজন সত্য নবী। কিন্তু ইহুদীপন্থী খ্রিষ্টানরা 'লর্ড ক্রাইস্ট' নামে দাজ্জালেরই আবির্ভাবেরই অপেক্ষা করছে।তেমনিভাবে হিন্দু আর বৌদ্ধধর্মের বর্নিত নবী(সা) এর বর্ননায় চ্যুতি ঘটেছে, মুশরিকদের দ্বারা। সারাপৃথিবীতে এ মুহূর্তে কল্কি ও মৈত্রেয় মেসায়াহ এর কথা বলে দাজ্জালকেই নির্দেশ করা হচ্ছে। কল্কি বা মৈত্রেয় নামে বর্তমানে যে দাজ্জালের অপেক্ষমানতার কথাই বলা হচ্ছে তার লক্ষন-প্রমানই সবচেয়ে বেশি।এর সপক্ষে কাজ করছে ইল্যুমিনাতি ও ফ্রিম্যাসনের তত্ত্বাবধানে পৃথিবীর সকল আধ্যাত্মবাদী-রহস্যবাদী সংগঠন। আর তাদের অর্থনৈতিক সাহায্যে আছে ইউনাইটেড ন্যাশন, এজেন্ডা ২১ ইত্যাদি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক।
______________________(আল্লাহ সর্বোত্তম জানেন)