
কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান অপবিজ্ঞানীগন পুরোপুরিভাবেই হিন্দুবৌদ্ধ শাস্ত্র থেকে এনেছিলেন।এর মূল অরিজিন ইরাকের বাবেল শহর। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলে এটা সত্য যে ধ্যানও যাদুবিদ্যারই অংশ। HP Blavatsky,Alice
 bailey দের প্রচেষ্টায় প্রাচীন ব্যবিলনিয়ান মনিস্টিক(সর্বেশ
্বরবাদী)  রহস্যবাদকে সারা বিশ্বে দাজ্জাল আগমনের প্রস্তুতি হিসেবে ছড়ানো হয়। সকল  ধর্মগুলোর মৌলবাদীতা বাদ দিয়ে মানবতার ঐক্যের জন্য বাহ্যত 'শান্তিপ্রতিষ্ঠ
া'  এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে কোয়াণ্টাম ফাউন্ডেশন কাজ করছে। তাদের উপরে  আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় বড় এসোটেরিক মুভমেন্ট গুলো আছে। সেসব অধিকাংশই  আমেরিকা, ইজরাইল ও ভারতকেন্দ্রিক। আন্তর্জাতিক অনেক বড় বড় যোগসাধনার  ইন্সটিটিউটগুলোক
ে  জাতিসংঘ আর্থিক সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে। সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতার মূল ভূমিকাতেই  আছে জাতিসংঘ। আধ্যাত্মবাদী সকল দলগুলোর আকিদা দর্শন অভিন্ন। ইবলিসের উপাসক  Alister Crowley'র Thelma ধর্ম, witchcraft এর জন্য wicca ধর্মগুলোর আকিদা  যা, ঠিক তা-ই কোয়ান্টাম স্পিরিচুয়ালিস্ট
িক যোগসাধনার দল-সংগঠন/
ধর্মগুলো লালন করে থাকে। সিক্রেট সোসাইটিঃফ্রিম্য
াসনের আকিদা-দর্শন যা এই কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, সিলভা ম্যাথড, রেইকি, ব্রাহ্মণকুমারী,
আনন্দমর্গ,ইস্কন
,নিউ  থট,নিউএজ প্রভৃতি সংগঠন গুলোর প্রচারিত মৌলিক আকিদাও তাই। সুফিবাদের  আকিদাগত মূল শিক্ষাও সেটাই। যাদুকর পিথাগোরাস এই আকিদারই প্রচার করতেন  হাজার বছর আগে। এটা কাব্বালারই মূল ওয়ার্ল্ডভিউ। ওরা শেখায়,যে কেউই যেকোন  ধর্মে অবস্থান করে স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক করা যায়। সৃষ্টি স্রষ্টার  অস্তিত্বে পার্থক্য নেই। মানুষকে সাধনার দ্বারা এনলাইটমেন্ট(সিদ
্ধি)  archive করতে হবে, তাহলেই মানুষ স্রষ্টার সমমানে পৌছায়। স্রষ্টার সাথে  মিশে যায়। এজন্য অনেকে 'আনাল হক্ক' শব্দদ্বয় উচ্চারণ করে।এমতাবস্থায় মানুষ  সৃষ্টিস্রষ্টার একক অস্তিত্ব অনুভব করতে সমর্থ হয়। এ কারনেই বৈষ্ণব ধর্মের  জয়গানকারী শ্রী চৈতন্যের ভক্ত চণ্ডিদাস বলেন,'সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার  উপর নাই'! একজন এনলাইটেন্ড ব্যক্তি অনেক রকম অলৌকিক ক্ষমতাও লাভ  করেন(বস্তুত, তা জ্বীন শয়তানও যাদুবিদ্যার সাহায্যে)।বাংলা
দেশের কোয়ান্টাম ম্যাথড তো প্রকাশ্যেই যাদুশাস্ত্রের(o
ccult) শিক্ষা দেয় জানিয়ে শুরু করে। পড়ুনঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/occultism_10.htmlকুফরি এই আকিদার(monism) জন্ম ব্যবিলনীয়ান এস্ট্রলজি দিয়ে। অর্থাৎ এসব ঠিক  তা-ই যা সুলাইমান(আ) এর রাজত্বকালে শয়তান আবৃত্তি করত। ওরা মানুষকে যাদু  শিক্ষা দিত। 
.
যাদুকরদের মধ্যে ধ্যানকারীরা যাদুবিদ্যায়  অপেক্ষাকৃত অধিক শক্তিশালী হয়ে থাকে। ধ্যানের মাধ্যমে মূলত চর্চাকারীরা  নিজের উপর যাদু করে। এ কথা ওরা নিজেরাই স্বীকার করে। একে ওরা সেল্ফ  হিপনোসিসও বলে। কোন লক্ষ্যবস্তুকে ওরা অবচেতন মনে ছাপ পড়িয়ে দিতে বার বার  নিজের প্রতি সেটার তাগিদ দানের দ্বারা করে থাকে। এ প্রক্রিয়াকে ওরা মনছবি/
অটোসাজেশন ইত্যাদি অনেক শব্দ দ্বারা প্রকাশ করে। অর্থাৎ নিজেকেই সম্মোহিত করে লক্ষ্যে পৌছানোর প্রক্রিয়া। 
https://m.youtube.com/watch?v=R73YdBgn3Aohttps://m.youtube.com/watch?v=EEHYVDRIHTk.
এটা আবু আব্দিল্লাহ রাযি(রঃ) এর যাদুর ৮টি শ্রেনীবিভাগের ২য় এবং ৪র্থ  শ্রেনীতে পড়ে। কাফেররা একে altered state of consciousness শব্দ দ্বারাও  প্রকাশ করে। বার বার ধ্যানের চর্চার দ্বারা চেতনার ওই স্তরে শয়তান জ্বীনদের  সাথেও সম্পর্ক তৈরি হয়, যার ফলে শয়তান জ্বীনদের সাহায্যে দূরের জিনিস  দেখার ক্ষমতা (clairvoyance) এবং দূরের জিনিস শ্রবনের (clairaudience)
 ক্ষমতাও লাভ করে। শ্যামানিস্টরা(s
haman)  বিভিন্ন গাছগাছড়া দিয়ে সাইকাডেলিক ড্রাগ বানিয়ে গ্রহন করে। এ ধরনের ড্রাগ  কিনতেও পাওয়া যায়, যেমনঃ LSD, DMT ইত্যাদি। এসব গ্রহনে ধ্যান না করলেও ঐ  মেন্টাল স্টেটে পৌছতে পারে। অধিকাংশ কথিত বিজ্ঞানীগনই ধ্যানের দ্বারা  altered state of consciousness এ পৌছতেন। এবং অনেক কুফরি থিওরি ইক্যুয়েশন  লাভ করতেন।
উঁচু স্তরের ধ্যানকারীরা ধ্যানে সৃষ্টি-স্রষ্টার
 অস্তিত্ব একাকার(গড রিয়েলাইজেশন) হবার ব্যপারটি কল্পনা করে(নাউজুবিল্লা
হ)। 
.
এদেশে কর্মরত এই প্রাচীন esoteric agenda(কোয়ান্টা
ম  ম্যাথড) খুব বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করছে। তারা বিভিন্ন সামাজিক ভাল কাজ করে  প্রচারনা করছে। সব কথাবার্তায় পজেটিভিটি বজায় রাখে। ইসলামিক বোঝাতে  সারাক্ষন ইসলামিক টার্ম ব্যবহার করতে দেখা যায়, বাহ্যিকভাবে তাওয়াক্কুল  করবার মত কথাও শোনা যায়! সাধারণ সরল,স্বল্পজ্ঞান
ী  মুসলিমদেরকে এভাবে ফাঁদে ফেলছে। ওরা যে প্যাগান থিওলজির প্রচার করছে তা  সেটার উপরেই ইসলামিক মোড়ক, কিন্তু ভেতরে স্বতন্ত্র দ্বীন। এরা  একত্ববাদে(তাওহী
দে) বিশ্বাসী নয়,এরা পুনরুত্থানে বিশ্বাসী নয় বরং পুনঃজন্মবাদে(tr
ansmigration of soul/
metempsychosis/
reincarnation) বিশ্বাসী।
এ এমনই কুফরি আকিদা যা নমরুদ, ফিরআউন, হামানরাও করে নি।
.
কোয়ান্টাম ম্যাথডের 'গুরুজী'গন কেউই ইসলামিক মৌলিক আকিদা মান্যকারী মুসলিম নয়,এদের অনেকেই জ্যোতিষশাস্ত্রে
 বিশ্বাসী। এই অকাল্ট ফিলোসফি প্রচারকারী সংগঠনের উদাহরণ হচ্ছেঃ কিছু ব্যক্তি বৌদ্ধধর্ম হিন্দুধর্মগুলোর
 শিক্ষা ও শাস্ত্রগুলোকে ইসলামিক বই নামে চালাচ্ছে। বিভিন্ন শব্দগুলোকে  এমনভাবে আরবি শব্দের ছায়ায় উপস্থাপন করেছে, যেন সে কিতাব ইসলামেরই গভীর  তাৎপর্যপূর্ন কিতাব। জ্ঞানহীন মানুষও গনহারে সেসব কিনছে এবং মানছে। ওই  লোকেরা বই পাব্লিশের সাথে সাথে সভা সেমিনার করে একটা অলাভজনক সংগঠনও  করেছে,হাজারো মানুষ জোয়ারের ন্যায় আসছে। কেউ চিন্তাও করছে না সেটা  স্বতন্ত্র ধর্ম।
সুফিবাদের কুফরি আকিদাগুলোর ক্ষেত্রেও এ উদাহরণ প্রযোজ্য। 
.
এ অবস্থাটাই এদেশে বর্তমানে বিরাজ করছে।এখন হাজার হাজার মানুষ একত্রে  ধ্যানও করছে, আমেরিকায় রজনীশের প্রচারণা ফলাফলের ন্যায়। দেখুনঃ 
http://www.m.mzamin.com/article.php?mzamin=122275.
আমেরিকায় যখন এই pantheistic astro-theologic
al  global religion এর বিস্ফোরণ ঘটে, কাফের খ্রিষ্টানদের চরম পাপাচারী একটা  অংশ তাতে গনহারে যোগ দিতে থাকে,এখনো অব্যাহত আছে। এটা দেখে মৌলবাদী  ক্ষমতাহীন খ্রিষ্টানদের একটা দল অনেক প্রচারণা চালানো শুরু করে। ওরা এই  পিউর প্যাগানিজমের বিরুদ্ধে এমনকি হিপহপও তৈরি করে!! এরা নিজেদের শিরকি  আকিদা ছাড়া, এই হিন্দুয়ানী সর্বেশ্বরবাদী ধর্মের বিরুদ্ধে যা বলে, তাতে ভুল  নেই।
https://m.youtube.com/watch?v=SzzuQX3JUg8https://m.youtube.com/watch?v=NOCaYEV3jDchttps://m.youtube.com/watch?v=NbbBe9EKyPY.
এদের বানানো কিছু ডকুমেন্টারিতে অনেক অনেক তথ্য পাবেন। আফসোসের বিষয়, যার  নিকৃষ্টতার ব্যপারটি কাফির খ্রিষ্টানরাও সচেতন, তাতেই মুসলিমরা গনহারে যোগ  দিচ্ছে। কিছু ভাল আলিম এর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শিরক কুফর পর্যন্ত বলেই শেষ  করেন। কিন্তু তথ্যের সীমাবদ্ধতার জন্য বলেন না, এটা ছদ্মবেশী স্বতন্ত্র  দ্বীন!
যারা কোয়ান্টাম ফাঊন্ডেশনে যোগ দিচ্ছে,এবং যেসব কুফরি আকিদা  ধীরে ধীরে ইঞ্জেক্ট করছে তা সজ্ঞানে বিশ্বাস করছে, তারা ঈমানের চাদর ছেড়ে  বেরিয়ে গেছে। এখন এমন অবস্থাও দেখেছি, এই মুসলিমদের কেউ কেউ মুতাযিলা  মার্কা যুক্তি
দিয়ে হালাল বানানোর চেষ্টা করছে, লা হাওলা ওয়ালা  কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। একটা ভয়ংকর বিষয় লক্ষ্য করেছি, এই অর্গানাইজেশনে  যারাই সজ্ঞানে আন্তরিক আকিদাগত স্বীকৃতি দিয়ে যুক্ত হচ্ছে তারা  physiognomicall
y evil traits বহন করে। যারা এর গুরুজী তারা তো একদমই cursed! 
নিচে কিছু ডকুমেন্টারি লিংক দিলাম, যাতে কোয়ান্টাম ম্যাথড, এদের পূর্বসূরি  এবং সমমনা বিদেশী অর্গানাইজেশন এবং সুবিশাল পরিকল্পনার ব্যপারে সামান্য  হলেও জানতে পারবেন। খ্রিষ্টীয় শিরকি ডগমা স্কিপ করুন। এগুলো তাদের জন্য  যারা অতিরিক্ত জানতে আগ্রহীঃ
https://m.youtube.com/watch?v=wjmFm8PIz8Mhttps://m.youtube.com/watch?v=gfRzUI8hkwohttps://m.youtube.com/watch?v=5i6PBui-bN8https://m.youtube.com/watch?v=UjAlp1AFKv8.
বাবেল থেকে কুফরি আকিদা বহন করে আনা পিথাগোরিয়ানদের থেকে শুরু করে যারাই  আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই গ্লোবাল ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নে প্রতিষ্ঠার মিশনে  গুরুজীর আসনে ছিল(i.e:Alice Bailey,Benjamin
 creme,Blavatsky
 etc) এরা সকলে আশা করত মানব জাতিকে এক ধর্মের নিচে এনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একজন মহাশাসক/গুরু/
বিশ্ব-শিক্ষক/
lord খুব শীঘ্রই আসছেন। বিগত দু তিনশত বছরে এই বাতেনী(esoteric
)  সম্প্রদায় তাকে মৈত্রেয় বুদ্ধ নামে ডাকা শুরু করে। এটা অপেক্ষমান বৌদ্ধদের  অবতার।। আপনারা কি তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মে কালচক্র তন্ত্রের কথা গুলো মনে  করতে পারছেন? পড়ুনঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_20.htmlhttps://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_73.html.
অতএব মৈত্রেয়(ইংঃমাইত
্রেয়া)  কে তাতে সন্দেহ নেই।। উইকিপিডিয়াতেই উল্লিখিত ছিল ওই প্যাগানদের গুরুদের  কেউ কেউ ২০২৫ সালের আগে আবির্ভাবের প্রত্যাশা করেছেন। কেউ বা ২০২৫ সালের দু  চার বছর সামান্য পরে। এরা দাবি করে যে, তারা টেলিপ্যাথিক (বস্তুত,শয়তান  জ্বীনদের সাথে) যোগাযোগ দ্বারা এই মিসায়াহর আবির্ভাব সংক্রান্ত নানান তথ্য  লাভ করত।
.
বেঞ্জামিন ক্রিম বিভিন্ন ইন্টার্ভিউ ও বক্তৃতায়  বলেন,' তাকে বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন প্রজন্ম প্রত্যাশা করেছেন, খ্রিষ্টানরা  তাকে যিশুখ্রিস্ট বলে, ইহুদীরা তারই অপেক্ষায় আছে মসীহ বলে,হিন্দুরা  কৃষ্ণের অপেক্ষা করছে, মুসলিমরা ইমাম মাহদী বা মসীহ; যদিও নামগুলো ভিন্ন  ভিন্ন, অনেকে বিশ্বাস করে তারা সকলেই একজনকেই উদ্দেশ্য করে বলেঃ যিনি,  বিশ্ব শিক্ষক(ওয়ার্ল্ড
 টিচার)।
তিনি যেদিন নিজেকে প্রকাশ করবেন সেটা হবে ডে অব ডেকলারেশন। সারা পৃথিবীর  সমগ্র টিভি চ্যানেল গুলো এক হয়ে যাবে, সমগ্র মানব জাতি তাকে দেখবে। তিনি  মুখ দিয়ে কোন কথা বলবেন না, 
সারা মানবজাতি তাদের কানের ভেতর টেলিপ্যাথিক্যাল
ি  তার কথা শুনতে পাবে, তার অভিপ্রায় শুনতে পাবে। সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার  লক্ষ লক্ষ রোগাক্রান্ত মানুষ সুস্থতা লাভ করবে। তিনি সবচেয়ে বেশি  আধ্যাত্মিক শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি হবেন।তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ বিবর্তিত মহা  আধ্যাত্মিক শক্তি সম্পন্ন প্রভু। তার আবির্ভাবকালের পূর্বে আকাশে ফুটবল  মাঠের সমান কিছু স্পেস ক্রাফট ঘুরতে দেখা যাবে। আমার সাথে স্পিরিচুয়াল  মাস্টারদের(শয়তা
ন)  সম্পর্ক রয়েছে তাদের দ্বারা মৈত্রেয় বুদ্ধ আমার সাথে যোগাযোগ করে।  স্পিরিচুয়াল এই শিক্ষকগন দূরবর্তী পাহাড়,মরুভূমি অঞ্চলে বাস করেন, তারা  অত্যন্ত উন্নত। তাদের কেউ হয়ত আমাদের(মানবজাতি
কে) কে বিবর্তন এর ধারাবাহিকতায় উলঙ্গ অবস্থায় দেখে থাকবেন। প্রভু মৈত্রেয় বুদ্ধ হচ্ছেন সকল সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্ব-শিক্ষক। 
মানুষ সাধারনত যিশু খ্রিষ্টকে আকাশে ঈশ্বরের কাছে আছে মনে করে, বস্তুত  সেরকম মোটেই না। এ মহান স্পিরিচুয়াল হায়ার বিংদের গ্রুপ থেকেই যুগে যুগে  বিভিন্ন শিক্ষকরা আসতেন; যার প্রধান এবং নেতা হচ্ছেন প্রভু মৈত্রেয়।  ক্রাইস্ট কোন স্বতন্ত্র ব্যক্তির নাম নয়, বরং এটা হচ্ছে সেসব মহা শিক্ষকদের  যারা শক্তিশালীভাবে বিবর্তিত হয়েছেন। আমি বিবর্তনবাদ অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে  বিবর্তিত মাস্টারদের সাথে একবার কথা বলেছিলাম যারা হিমালয়ে ছিল, তারা  কিছুদিন পরে বললো, "আমাদের মহান শিক্ষক, সকল শিক্ষকদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের  তোমাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবার আছে...."!, তাকে এক সাক্ষাতকার প্রশ্ন  করা হয়, মৈত্রেয় বুদ্ধ এমন কোন নাম না যাকে খ্রিষ্টানরা ক্রাইস্ট এর সাথে  সংযোগ করবে। তার সাথে জিশুখ্রিস্ট এর সম্পর্ক কি? এটা শুনে ক্রিম বলেন,  "মৈত্রেয় মূলত যিশুর মধ্যে দিয়ে কাজ করেছেন, ২০০০ বছর আগে তারই পূর্বাভাস  ফিলিস্তিনে দিয়েছিলেন। তারই চেতনা যিশুর মধ্যে প্রবেশ করেছিল,বিভিন্ন  অবতারে এভাবেই মৈত্রেয় প্রকাশ পেয়েছিল, গৌতমবুদ্ধাও তারই ম্যানিফ্যাস্টেশ
ন।  আর এই বার এই প্রভু মৈত্রেয় বুদ্ধ স্বয়ং নিজেই এই পৃথিবীতে আসছেন। যারা  যার জন্য অপেক্ষা করছে তাদের কাছে সেইরূপেই আবির্ভূত হবেন। খ্রিষ্টানরা  যিশুর অপেক্ষা করছে, তারা তাকে যিশু হিসেবে দেখবে। হিন্দুরা কৃষ্ণের  অপেক্ষা করছে, তারা তাকে কৃষ্ণরূপে পাবে। বৌদ্ধরা তেমনি মৈত্রেয় বুদ্ধের  অপেক্ষার করছে, তারা সেই রূপেই দেখবে। এটা শুনে প্রশ্ন কর্তা প্রশ্ন করে,  তাহলে তিনি একজন ইউনিভারসাল টিচার, universal God? বেঞ্জামিন ক্রিম বলেন,  তিনি ওয়ার্ল্ড টিচার। ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং অধর্মীয় গোষ্ঠী, সকলের। এখনই  আমেরিকার টেনেসির ব্যাপ্টিস্ট চার্চে দীর্ঘ অলৌকিক আলোর ক্রুশ দেখা  যাচ্ছে।.......
He has been expected for generations by all of  the major religions. Christians know him as the Christ, and expect his  imminent return. Jews await him as the Messiah; Hindus lookfor the  coming of Krishna; Buddhists expect him as Maitreya Buddha; and Muslims  anticipate the Imam Mahdi or Messiah.Althoug
h the names are different, many believe that they all refer to the same individual: the World Teacher।
If people believe, rightly or wrongly, that Maitreya is the Christ, the  Imam Mahdi, Maitreya Buddha, the Messiah orKalkiAvatar, and accept His  advice because of that, it does not mean that they are in themselves  ready to make the changes which must ensue to preserve the world and  humanity with it. We have to recognize Maitreya, not because we think He  is Maitreya, or the Christ or the Messiah, or whoever, but because we  agree with what He is saying, that we want for the world what He says is  necessary for the world: justice and sharing and freedom for all  people, rather than because we think He is the World Teacher or some  great spiritual being....."
.
http://www.black-banners.com/forum/viewtopic.php?t=7887.
দেখুন ক্রিমের কিছু বক্তব্যঃ
https://m.youtube.com/watch?v=D3kB0yiX8MA.
https://m.youtube.com/watch?v=V1WoPahfN4g.
ক্রিম যে শয়তানের পজেশনে ছিল তাতে সন্দেহ নেই। 
https://m.youtube.com/watch?v=afKiAVW6mAcতার কথাগুলো আমেরিকার টেলিভিশনেও প্রচার করা হত। বিভিন্ন দেশে ব্যাপক সাড়া  পেয়েছিল। জাপানে ২০০০ লোক তার ভাষন শুনতে একত্রিত হয়েছিল। হেলেনা  ব্লাভাস্তস্কিরও
 শয়তান জ্বীনদের সাথে সম্পর্ক ছিল। এল মোরিয়া ও খুতুমি নামের দুই পাগড়িধারী শয়তান তার কাছে বিভিন্ন জ্ঞানতত্ত্ব নিয়ে হাজির হত।
তিনিও এসেন্ডেড মাস্টার/
ওয়ার্ল্ড  টিচারের কথা বলেছিলেন। এই অকাল্ট অর্গানাইজেশন গুলোর বাংলাদেশী ভার্সন  হচ্ছে কোয়ান্টাম ম্যাথড। আকিদাদর্শনগত কোন পার্থক্য নেই। যারা সেখানে  যাচ্ছে, সেচ্ছায় কার অনুসারী হয়ে যাচ্ছে!??
.
ভারতীয় উপমহদেশে একটা  মিথ্যাচার প্রচলিত আছে যে, আল্লাহর রাসূল(সা) নাকি হেরা গুহায় ধ্যান  করতেন।এটা উপমহাদেশীয় সুফিদের ছড়ানো মিথ্যা ছাড়া আর কিছু নয়। সত্য হচ্ছে  আল্লাহর রাসূল(স) ইবাদত করতেন। তবে তা কিরূপ সেটা স্পষ্ট নয়।
.
Ibn Hajar
বলেনঃ “There was nothing explicitly reported about the nature of his  worship but ‘Ubayd ibn ‘Umayr narrated from Ibn Is-haaq that he would  feed the poor that came to him, and some scholars reported that he would  worship by engaging in thought, and it is probable that ‘Aa’ishah  mentioned seclusion by itself being a form of worship because seclusion  from people, especially from those following falsehood, is considered  worship. ”
.
Ibn Taymiyyah কেও একই রকম প্রশ্ন করা হয়, যে তিনি  (সাঃ) কিরূপ ইবাদত করতেন হেরা গুহায়। He was asked: What is the statement  of Imaams of Islam about the worship of the Prophet (in Hiraa')? What  did it consist of, and how was it before he was sent as a Prophet? He  answered: “This issue is something that is not needed in our religion.  We have to obey the Prophet in what he commanded us to do and emulate  him after he was sent to us as a Prophet. As regards what was before  that, such as his seclusion in the Cave of Hiraa' and the like, this is  not a Sunnah of the Ummah; it is for this reason that no Companion after  Islam went to the Cave of Hiraa' and they did not seek to do so,  because after Islam was revealed, it is not prescribed for us to  purposefully go to the caves of mountains or to seclude ourselves in  them; rather, it is a Sunnah for us to stay in mosques (for I‘tikaaf) as  a confirmed Sunnah for us. ” [End of quote]
.
http://www.islamweb.net/emainpage/index.php?page=showfatwa&Option=FatwaId&Id=281164.
islamweb দলিলই দিয়েছে যে রাসূল(স) এর ইবাদতের ধরন পাওয়া যায় না। অথচ পরক্ষনে ধ্যানকে পজেটিভলি প্রকাশ করছে!!
.
ধ্যান করা বৈধ কিনা জানুন, শায়খ সালিহ আল মুনাজ্জিদ(হাফিঃ
) এর ওয়েবে। পড়ুনঃ
https://islamqa.info/en/101591.
অথচ কথিত হানাফিদের ওয়েব সাইটে গিয়ে দেখুন,কি অবস্থা!! 
http://islamqa.org/hanafi/askimam/80399মেডিটেশন হচ্ছে তাদের হালালায়িত মোরাকাবা!! লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা  বিল্লাহ। ওয়াহদাতুল উজুদি,হুলুল ইত্তেহাদীদের কাছে থেকে এর চেয়ে উত্তম আর  কি বা আশা করা যায়!??জেনে রাখুন, ইবনে আরাবি যা বলত, তা গ্রীক দার্শনিক  যাদুকরগন বাবেল শহর ঘুরে নিয়ে আসতেন হাজার বছর আগে। তারা ওই শাস্ত্রকে  মহাজ্ঞানের শাস্ত্র হিসেবে নিত যা শয়তানরা আবৃত্তি করত সুলাইমান(আ) এর  রাজত্বকালে। আজ এসব সাইন্স নামেও প্রতিষ্ঠিত।
.
ওয়ান  ওয়ার্ল্ড অর্ডার তৈরির ডান হাত ইউনাইটেড ন্যাশন অনেক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক  ব্যাকআপ দিচ্ছে এই প্রাচীন প্যাগান সর্বেশ্বরবাদী প্রকৃতি পূজারী ধর্মটিকে  আবারো সর্বত্র প্রমোশনের জন্য। তারা ব্রহ্মকুমারীদের
 সাথে অনেক আগেই কাজ করত। দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=thnl5pOxa2Aআপনার কি মনে হয়, এডলফ হিটলার কেন নিজেদেরকে সুপেরিয়র রেস দাবি করেছিল?  তিনি তো হেলেনার থিওসফি দ্বারা দারুন প্রভাবিত ছিলেন। সেখান থেকেই নিজেদের  আর্য মাস্টার রেস ভাবনা শুরু। হিটলার নিজেই আলাদা ধর্মের ন্যায় একটা মতবাদ  চালু করেছিল। 
.
কাব্বালিস্টরাও মোরাকাবা বা ধ্যান করত। এখন ইয়োগাও করতে দেখা যায়ঃ
https://m.youtube.com/watch?v=O_2fC0a2OkI.
পৃথিবীর সকল দেশ আজ প্রকৃতিপূজা/
দেহপূজা/পৃথিবী পূজার/
সর্বেশ্বরবাদী  ইউনিভারসাল ধর্ম প্রচার প্রসারের পেছনে কাজ করছে। এটা নাস্তিক্যবাদ ও  বস্তুবাদী মুদ্রার অপর পিঠ। আমাদের দেশও ব্যতিক্রম নয়। এদেশে সুফি মারেফতি  পীর ফকিরদেরকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়। আর বাউলদের??? এদের  প্রোমোটিং এর পেছনে আছে গোটা ভারতীয় উপমহাদেশীয় রাজনৈতিক, হিন্দুয়ানি/  সেকুলার সাংস্কৃতিক ও মিডিয়ার শক্তি। কখনো মনের মানুষ, কখনো কস্মিক/
ডিভাইন সেক্স(চলচ্চিত্র)। এদের সকলের ঘুরে ফিরে একই স্লোগান
'সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই'। শায়খ আহমদ উল্লাহর মুখেই শুনুন  বাউলদের প্রভাবের কথা। এ বিষয়ে তার আরো কিছু লেকচার আছে। সেগুলোও শুনবেন।
https://m.youtube.com/watch?v=zw5or5y4kUE.
আজকে তাওহীদের কথকরা জঙ্গী। আর সারাবিশ্বে মুসলিমদের অবস্থা ভাল করেই  জানেন। তাদেরকে একে উৎখাত করতেই হবে। কারন 'অধিকাংশ কাফেরদের মাঝে' কমন  একটি মতবাদ বা দর্শনকে ইউনিভারসাল ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নে প্রতিষ্ঠিত করার  পেছনে সবাই কাজ করছে। সকলেই অলৌকিক মহাক্ষমতাসম্পন্
ন মহান ব্যক্তির অপেক্ষায়। কেউ বলে কল্কি,কেউ বলে বুদ্ধা,কেউ বলে কৃষ্ণ, কেউ বলে দাজ্জাল, কেউ বলে মিথ্যা মসীহ।
.
আল্লাহ সর্বজ্ঞ।