Monday, December 10, 2018

কোয়ান্টাম ম্যাথড এবং দাজ্জালের স্বঘোষিত অনুসারীরা

কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান অপবিজ্ঞানীগন পুরোপুরিভাবেই হিন্দুবৌদ্ধ শাস্ত্র থেকে এনেছিলেন।এর মূল অরিজিন ইরাকের বাবেল শহর। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলে এটা সত্য যে ধ্যানও যাদুবিদ্যারই অংশ। HP Blavatsky,Alice bailey দের প্রচেষ্টায় প্রাচীন ব্যবিলনিয়ান মনিস্টিক(সর্বেশ্বরবাদী) রহস্যবাদকে সারা বিশ্বে দাজ্জাল আগমনের প্রস্তুতি হিসেবে ছড়ানো হয়। সকল ধর্মগুলোর মৌলবাদীতা বাদ দিয়ে মানবতার ঐক্যের জন্য বাহ্যত 'শান্তিপ্রতিষ্ঠা' এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে কোয়াণ্টাম ফাউন্ডেশন কাজ করছে। তাদের উপরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় বড় এসোটেরিক মুভমেন্ট গুলো আছে। সেসব অধিকাংশই আমেরিকা, ইজরাইল ও ভারতকেন্দ্রিক। আন্তর্জাতিক অনেক বড় বড় যোগসাধনার ইন্সটিটিউটগুলোকে জাতিসংঘ আর্থিক সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে। সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতার মূল ভূমিকাতেই আছে জাতিসংঘ। আধ্যাত্মবাদী সকল দলগুলোর আকিদা দর্শন অভিন্ন। ইবলিসের উপাসক Alister Crowley'র Thelma ধর্ম, witchcraft এর জন্য wicca ধর্মগুলোর আকিদা যা, ঠিক তা-ই কোয়ান্টাম স্পিরিচুয়ালিস্টিক যোগসাধনার দল-সংগঠন/ধর্মগুলো লালন করে থাকে। সিক্রেট সোসাইটিঃফ্রিম্যাসনের আকিদা-দর্শন যা এই কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, সিলভা ম্যাথড, রেইকি, ব্রাহ্মণকুমারী,আনন্দমর্গ,ইস্কন,নিউ থট,নিউএজ প্রভৃতি সংগঠন গুলোর প্রচারিত মৌলিক আকিদাও তাই। সুফিবাদের আকিদাগত মূল শিক্ষাও সেটাই। যাদুকর পিথাগোরাস এই আকিদারই প্রচার করতেন হাজার বছর আগে। এটা কাব্বালারই মূল ওয়ার্ল্ডভিউ। ওরা শেখায়,যে কেউই যেকোন ধর্মে অবস্থান করে স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক করা যায়। সৃষ্টি স্রষ্টার অস্তিত্বে পার্থক্য নেই। মানুষকে সাধনার দ্বারা এনলাইটমেন্ট(সিদ্ধি) archive করতে হবে, তাহলেই মানুষ স্রষ্টার সমমানে পৌছায়। স্রষ্টার সাথে মিশে যায়। এজন্য অনেকে 'আনাল হক্ক' শব্দদ্বয় উচ্চারণ করে।এমতাবস্থায় মানুষ সৃষ্টিস্রষ্টার একক অস্তিত্ব অনুভব করতে সমর্থ হয়। এ কারনেই বৈষ্ণব ধর্মের জয়গানকারী শ্রী চৈতন্যের ভক্ত চণ্ডিদাস বলেন,'সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই'! একজন এনলাইটেন্ড ব্যক্তি অনেক রকম অলৌকিক ক্ষমতাও লাভ করেন(বস্তুত, তা জ্বীন শয়তানও যাদুবিদ্যার সাহায্যে)।বাংলাদেশের কোয়ান্টাম ম্যাথড তো প্রকাশ্যেই যাদুশাস্ত্রের(occult) শিক্ষা দেয় জানিয়ে শুরু করে। পড়ুনঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/occultism_10.html

কুফরি এই আকিদার(monism) জন্ম ব্যবিলনীয়ান এস্ট্রলজি দিয়ে। অর্থাৎ এসব ঠিক তা-ই যা সুলাইমান(আ) এর রাজত্বকালে শয়তান আবৃত্তি করত। ওরা মানুষকে যাদু শিক্ষা দিত।
.
যাদুকরদের মধ্যে ধ্যানকারীরা যাদুবিদ্যায় অপেক্ষাকৃত অধিক শক্তিশালী হয়ে থাকে। ধ্যানের মাধ্যমে মূলত চর্চাকারীরা নিজের উপর যাদু করে। এ কথা ওরা নিজেরাই স্বীকার করে। একে ওরা সেল্ফ হিপনোসিসও বলে। কোন লক্ষ্যবস্তুকে ওরা অবচেতন মনে ছাপ পড়িয়ে দিতে বার বার নিজের প্রতি সেটার তাগিদ দানের দ্বারা করে থাকে। এ প্রক্রিয়াকে ওরা মনছবি/অটোসাজেশন ইত্যাদি অনেক শব্দ দ্বারা প্রকাশ করে। অর্থাৎ নিজেকেই সম্মোহিত করে লক্ষ্যে পৌছানোর প্রক্রিয়া।
https://m.youtube.com/watch?v=R73YdBgn3Ao
https://m.youtube.com/watch?v=EEHYVDRIHTk
.
এটা আবু আব্দিল্লাহ রাযি(রঃ) এর যাদুর ৮টি শ্রেনীবিভাগের ২য় এবং ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ে। কাফেররা একে altered state of consciousness শব্দ দ্বারাও প্রকাশ করে। বার বার ধ্যানের চর্চার দ্বারা চেতনার ওই স্তরে শয়তান জ্বীনদের সাথেও সম্পর্ক তৈরি হয়, যার ফলে শয়তান জ্বীনদের সাহায্যে দূরের জিনিস দেখার ক্ষমতা (clairvoyance) এবং দূরের জিনিস শ্রবনের (clairaudience) ক্ষমতাও লাভ করে। শ্যামানিস্টরা(shaman) বিভিন্ন গাছগাছড়া দিয়ে সাইকাডেলিক ড্রাগ বানিয়ে গ্রহন করে। এ ধরনের ড্রাগ কিনতেও পাওয়া যায়, যেমনঃ LSD, DMT ইত্যাদি। এসব গ্রহনে ধ্যান না করলেও ঐ মেন্টাল স্টেটে পৌছতে পারে। অধিকাংশ কথিত বিজ্ঞানীগনই ধ্যানের দ্বারা altered state of consciousness এ পৌছতেন। এবং অনেক কুফরি থিওরি ইক্যুয়েশন লাভ করতেন।
উঁচু স্তরের ধ্যানকারীরা ধ্যানে সৃষ্টি-স্রষ্টার অস্তিত্ব একাকার(গড রিয়েলাইজেশন) হবার ব্যপারটি কল্পনা করে(নাউজুবিল্লাহ)।
.
এদেশে কর্মরত এই প্রাচীন esoteric agenda(কোয়ান্টাম ম্যাথড) খুব বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করছে। তারা বিভিন্ন সামাজিক ভাল কাজ করে প্রচারনা করছে। সব কথাবার্তায় পজেটিভিটি বজায় রাখে। ইসলামিক বোঝাতে সারাক্ষন ইসলামিক টার্ম ব্যবহার করতে দেখা যায়, বাহ্যিকভাবে তাওয়াক্কুল করবার মত কথাও শোনা যায়! সাধারণ সরল,স্বল্পজ্ঞানী মুসলিমদেরকে এভাবে ফাঁদে ফেলছে। ওরা যে প্যাগান থিওলজির প্রচার করছে তা সেটার উপরেই ইসলামিক মোড়ক, কিন্তু ভেতরে স্বতন্ত্র দ্বীন। এরা একত্ববাদে(তাওহীদে) বিশ্বাসী নয়,এরা পুনরুত্থানে বিশ্বাসী নয় বরং পুনঃজন্মবাদে(transmigration of soul/metempsychosis/reincarnation) বিশ্বাসী।
এ এমনই কুফরি আকিদা যা নমরুদ, ফিরআউন, হামানরাও করে নি।
.
কোয়ান্টাম ম্যাথডের 'গুরুজী'গন কেউই ইসলামিক মৌলিক আকিদা মান্যকারী মুসলিম নয়,এদের অনেকেই জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাসী। এই অকাল্ট ফিলোসফি প্রচারকারী সংগঠনের উদাহরণ হচ্ছেঃ কিছু ব্যক্তি বৌদ্ধধর্ম হিন্দুধর্মগুলোর শিক্ষা ও শাস্ত্রগুলোকে ইসলামিক বই নামে চালাচ্ছে। বিভিন্ন শব্দগুলোকে এমনভাবে আরবি শব্দের ছায়ায় উপস্থাপন করেছে, যেন সে কিতাব ইসলামেরই গভীর তাৎপর্যপূর্ন কিতাব। জ্ঞানহীন মানুষও গনহারে সেসব কিনছে এবং মানছে। ওই লোকেরা বই পাব্লিশের সাথে সাথে সভা সেমিনার করে একটা অলাভজনক সংগঠনও করেছে,হাজারো মানুষ জোয়ারের ন্যায় আসছে। কেউ চিন্তাও করছে না সেটা স্বতন্ত্র ধর্ম।
সুফিবাদের কুফরি আকিদাগুলোর ক্ষেত্রেও এ উদাহরণ প্রযোজ্য।
.
এ অবস্থাটাই এদেশে বর্তমানে বিরাজ করছে।এখন হাজার হাজার মানুষ একত্রে ধ্যানও করছে, আমেরিকায় রজনীশের প্রচারণা ফলাফলের ন্যায়। দেখুনঃ http://www.m.mzamin.com/article.php?mzamin=122275
.
আমেরিকায় যখন এই pantheistic astro-theological global religion এর বিস্ফোরণ ঘটে, কাফের খ্রিষ্টানদের চরম পাপাচারী একটা অংশ তাতে গনহারে যোগ দিতে থাকে,এখনো অব্যাহত আছে। এটা দেখে মৌলবাদী ক্ষমতাহীন খ্রিষ্টানদের একটা দল অনেক প্রচারণা চালানো শুরু করে। ওরা এই পিউর প্যাগানিজমের বিরুদ্ধে এমনকি হিপহপও তৈরি করে!! এরা নিজেদের শিরকি আকিদা ছাড়া, এই হিন্দুয়ানী সর্বেশ্বরবাদী ধর্মের বিরুদ্ধে যা বলে, তাতে ভুল নেই।
https://m.youtube.com/watch?v=SzzuQX3JUg8
https://m.youtube.com/watch?v=NOCaYEV3jDc
https://m.youtube.com/watch?v=NbbBe9EKyPY
.
এদের বানানো কিছু ডকুমেন্টারিতে অনেক অনেক তথ্য পাবেন। আফসোসের বিষয়, যার নিকৃষ্টতার ব্যপারটি কাফির খ্রিষ্টানরাও সচেতন, তাতেই মুসলিমরা গনহারে যোগ দিচ্ছে। কিছু ভাল আলিম এর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শিরক কুফর পর্যন্ত বলেই শেষ করেন। কিন্তু তথ্যের সীমাবদ্ধতার জন্য বলেন না, এটা ছদ্মবেশী স্বতন্ত্র দ্বীন!
যারা কোয়ান্টাম ফাঊন্ডেশনে যোগ দিচ্ছে,এবং যেসব কুফরি আকিদা ধীরে ধীরে ইঞ্জেক্ট করছে তা সজ্ঞানে বিশ্বাস করছে, তারা ঈমানের চাদর ছেড়ে বেরিয়ে গেছে। এখন এমন অবস্থাও দেখেছি, এই মুসলিমদের কেউ কেউ মুতাযিলা মার্কা যুক্তি
দিয়ে হালাল বানানোর চেষ্টা করছে, লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। একটা ভয়ংকর বিষয় লক্ষ্য করেছি, এই অর্গানাইজেশনে যারাই সজ্ঞানে আন্তরিক আকিদাগত স্বীকৃতি দিয়ে যুক্ত হচ্ছে তারা physiognomically evil traits বহন করে। যারা এর গুরুজী তারা তো একদমই cursed!
নিচে কিছু ডকুমেন্টারি লিংক দিলাম, যাতে কোয়ান্টাম ম্যাথড, এদের পূর্বসূরি এবং সমমনা বিদেশী অর্গানাইজেশন এবং সুবিশাল পরিকল্পনার ব্যপারে সামান্য হলেও জানতে পারবেন। খ্রিষ্টীয় শিরকি ডগমা স্কিপ করুন। এগুলো তাদের জন্য যারা অতিরিক্ত জানতে আগ্রহীঃ
https://m.youtube.com/watch?v=wjmFm8PIz8M
https://m.youtube.com/watch?v=gfRzUI8hkwo
https://m.youtube.com/watch?v=5i6PBui-bN8
https://m.youtube.com/watch?v=UjAlp1AFKv8
.
বাবেল থেকে কুফরি আকিদা বহন করে আনা পিথাগোরিয়ানদের থেকে শুরু করে যারাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই গ্লোবাল ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নে প্রতিষ্ঠার মিশনে গুরুজীর আসনে ছিল(i.e:Alice Bailey,Benjamin creme,Blavatsky etc) এরা সকলে আশা করত মানব জাতিকে এক ধর্মের নিচে এনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একজন মহাশাসক/গুরু/বিশ্ব-শিক্ষক/lord খুব শীঘ্রই আসছেন। বিগত দু তিনশত বছরে এই বাতেনী(esoteric) সম্প্রদায় তাকে মৈত্রেয় বুদ্ধ নামে ডাকা শুরু করে। এটা অপেক্ষমান বৌদ্ধদের অবতার।। আপনারা কি তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মে কালচক্র তন্ত্রের কথা গুলো মনে করতে পারছেন? পড়ুনঃ

https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_20.html
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_73.html
.
অতএব মৈত্রেয়(ইংঃমাইত্রেয়া) কে তাতে সন্দেহ নেই।। উইকিপিডিয়াতেই উল্লিখিত ছিল ওই প্যাগানদের গুরুদের কেউ কেউ ২০২৫ সালের আগে আবির্ভাবের প্রত্যাশা করেছেন। কেউ বা ২০২৫ সালের দু চার বছর সামান্য পরে। এরা দাবি করে যে, তারা টেলিপ্যাথিক (বস্তুত,শয়তান জ্বীনদের সাথে) যোগাযোগ দ্বারা এই মিসায়াহর আবির্ভাব সংক্রান্ত নানান তথ্য লাভ করত।
.
বেঞ্জামিন ক্রিম বিভিন্ন ইন্টার্ভিউ ও বক্তৃতায় বলেন,' তাকে বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন প্রজন্ম প্রত্যাশা করেছেন, খ্রিষ্টানরা তাকে যিশুখ্রিস্ট বলে, ইহুদীরা তারই অপেক্ষায় আছে মসীহ বলে,হিন্দুরা কৃষ্ণের অপেক্ষা করছে, মুসলিমরা ইমাম মাহদী বা মসীহ; যদিও নামগুলো ভিন্ন ভিন্ন, অনেকে বিশ্বাস করে তারা সকলেই একজনকেই উদ্দেশ্য করে বলেঃ যিনি, বিশ্ব শিক্ষক(ওয়ার্ল্ড টিচার)।
তিনি যেদিন নিজেকে প্রকাশ করবেন সেটা হবে ডে অব ডেকলারেশন। সারা পৃথিবীর সমগ্র টিভি চ্যানেল গুলো এক হয়ে যাবে, সমগ্র মানব জাতি তাকে দেখবে। তিনি মুখ দিয়ে কোন কথা বলবেন না,
সারা মানবজাতি তাদের কানের ভেতর টেলিপ্যাথিক্যালি তার কথা শুনতে পাবে, তার অভিপ্রায় শুনতে পাবে। সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ রোগাক্রান্ত মানুষ সুস্থতা লাভ করবে। তিনি সবচেয়ে বেশি আধ্যাত্মিক শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি হবেন।তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ বিবর্তিত মহা আধ্যাত্মিক শক্তি সম্পন্ন প্রভু। তার আবির্ভাবকালের পূর্বে আকাশে ফুটবল মাঠের সমান কিছু স্পেস ক্রাফট ঘুরতে দেখা যাবে। আমার সাথে স্পিরিচুয়াল মাস্টারদের(শয়তান) সম্পর্ক রয়েছে তাদের দ্বারা মৈত্রেয় বুদ্ধ আমার সাথে যোগাযোগ করে। স্পিরিচুয়াল এই শিক্ষকগন দূরবর্তী পাহাড়,মরুভূমি অঞ্চলে বাস করেন, তারা অত্যন্ত উন্নত। তাদের কেউ হয়ত আমাদের(মানবজাতিকে) কে বিবর্তন এর ধারাবাহিকতায় উলঙ্গ অবস্থায় দেখে থাকবেন। প্রভু মৈত্রেয় বুদ্ধ হচ্ছেন সকল সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্ব-শিক্ষক।
মানুষ সাধারনত যিশু খ্রিষ্টকে আকাশে ঈশ্বরের কাছে আছে মনে করে, বস্তুত সেরকম মোটেই না। এ মহান স্পিরিচুয়াল হায়ার বিংদের গ্রুপ থেকেই যুগে যুগে বিভিন্ন শিক্ষকরা আসতেন; যার প্রধান এবং নেতা হচ্ছেন প্রভু মৈত্রেয়। ক্রাইস্ট কোন স্বতন্ত্র ব্যক্তির নাম নয়, বরং এটা হচ্ছে সেসব মহা শিক্ষকদের যারা শক্তিশালীভাবে বিবর্তিত হয়েছেন। আমি বিবর্তনবাদ অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে বিবর্তিত মাস্টারদের সাথে একবার কথা বলেছিলাম যারা হিমালয়ে ছিল, তারা কিছুদিন পরে বললো, "আমাদের মহান শিক্ষক, সকল শিক্ষকদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের তোমাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবার আছে...."!, তাকে এক সাক্ষাতকার প্রশ্ন করা হয়, মৈত্রেয় বুদ্ধ এমন কোন নাম না যাকে খ্রিষ্টানরা ক্রাইস্ট এর সাথে সংযোগ করবে। তার সাথে জিশুখ্রিস্ট এর সম্পর্ক কি? এটা শুনে ক্রিম বলেন, "মৈত্রেয় মূলত যিশুর মধ্যে দিয়ে কাজ করেছেন, ২০০০ বছর আগে তারই পূর্বাভাস ফিলিস্তিনে দিয়েছিলেন। তারই চেতনা যিশুর মধ্যে প্রবেশ করেছিল,বিভিন্ন অবতারে এভাবেই মৈত্রেয় প্রকাশ পেয়েছিল, গৌতমবুদ্ধাও তারই ম্যানিফ্যাস্টেশন। আর এই বার এই প্রভু মৈত্রেয় বুদ্ধ স্বয়ং নিজেই এই পৃথিবীতে আসছেন। যারা যার জন্য অপেক্ষা করছে তাদের কাছে সেইরূপেই আবির্ভূত হবেন। খ্রিষ্টানরা যিশুর অপেক্ষা করছে, তারা তাকে যিশু হিসেবে দেখবে। হিন্দুরা কৃষ্ণের অপেক্ষা করছে, তারা তাকে কৃষ্ণরূপে পাবে। বৌদ্ধরা তেমনি মৈত্রেয় বুদ্ধের অপেক্ষার করছে, তারা সেই রূপেই দেখবে। এটা শুনে প্রশ্ন কর্তা প্রশ্ন করে, তাহলে তিনি একজন ইউনিভারসাল টিচার, universal God? বেঞ্জামিন ক্রিম বলেন, তিনি ওয়ার্ল্ড টিচার। ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং অধর্মীয় গোষ্ঠী, সকলের। এখনই আমেরিকার টেনেসির ব্যাপ্টিস্ট চার্চে দীর্ঘ অলৌকিক আলোর ক্রুশ দেখা যাচ্ছে।.......
He has been expected for generations by all of the major religions. Christians know him as the Christ, and expect his imminent return. Jews await him as the Messiah; Hindus lookfor the coming of Krishna; Buddhists expect him as Maitreya Buddha; and Muslims anticipate the Imam Mahdi or Messiah.Although the names are different, many believe that they all refer to the same individual: the World Teacher।
If people believe, rightly or wrongly, that Maitreya is the Christ, the Imam Mahdi, Maitreya Buddha, the Messiah orKalkiAvatar, and accept His advice because of that, it does not mean that they are in themselves ready to make the changes which must ensue to preserve the world and humanity with it. We have to recognize Maitreya, not because we think He is Maitreya, or the Christ or the Messiah, or whoever, but because we agree with what He is saying, that we want for the world what He says is necessary for the world: justice and sharing and freedom for all people, rather than because we think He is the World Teacher or some great spiritual being....."
.
http://www.black-banners.com/forum/viewtopic.php?t=7887
.
দেখুন ক্রিমের কিছু বক্তব্যঃ
https://m.youtube.com/watch?v=D3kB0yiX8MA
.
https://m.youtube.com/watch?v=V1WoPahfN4g
.
ক্রিম যে শয়তানের পজেশনে ছিল তাতে সন্দেহ নেই। https://m.youtube.com/watch?v=afKiAVW6mAc
তার কথাগুলো আমেরিকার টেলিভিশনেও প্রচার করা হত। বিভিন্ন দেশে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিল। জাপানে ২০০০ লোক তার ভাষন শুনতে একত্রিত হয়েছিল। হেলেনা ব্লাভাস্তস্কিরও শয়তান জ্বীনদের সাথে সম্পর্ক ছিল। এল মোরিয়া ও খুতুমি নামের দুই পাগড়িধারী শয়তান তার কাছে বিভিন্ন জ্ঞানতত্ত্ব নিয়ে হাজির হত।
তিনিও এসেন্ডেড মাস্টার/ওয়ার্ল্ড টিচারের কথা বলেছিলেন। এই অকাল্ট অর্গানাইজেশন গুলোর বাংলাদেশী ভার্সন হচ্ছে কোয়ান্টাম ম্যাথড। আকিদাদর্শনগত কোন পার্থক্য নেই। যারা সেখানে যাচ্ছে, সেচ্ছায় কার অনুসারী হয়ে যাচ্ছে!??
.
ভারতীয় উপমহদেশে একটা মিথ্যাচার প্রচলিত আছে যে, আল্লাহর রাসূল(সা) নাকি হেরা গুহায় ধ্যান করতেন।এটা উপমহাদেশীয় সুফিদের ছড়ানো মিথ্যা ছাড়া আর কিছু নয়। সত্য হচ্ছে আল্লাহর রাসূল(স) ইবাদত করতেন। তবে তা কিরূপ সেটা স্পষ্ট নয়।
.
Ibn Hajar
বলেনঃ “There was nothing explicitly reported about the nature of his worship but ‘Ubayd ibn ‘Umayr narrated from Ibn Is-haaq that he would feed the poor that came to him, and some scholars reported that he would worship by engaging in thought, and it is probable that ‘Aa’ishah mentioned seclusion by itself being a form of worship because seclusion from people, especially from those following falsehood, is considered worship. ”
.
Ibn Taymiyyah কেও একই রকম প্রশ্ন করা হয়, যে তিনি (সাঃ) কিরূপ ইবাদত করতেন হেরা গুহায়। He was asked: What is the statement of Imaams of Islam about the worship of the Prophet (in Hiraa')? What did it consist of, and how was it before he was sent as a Prophet? He answered: “This issue is something that is not needed in our religion. We have to obey the Prophet in what he commanded us to do and emulate him after he was sent to us as a Prophet. As regards what was before that, such as his seclusion in the Cave of Hiraa' and the like, this is not a Sunnah of the Ummah; it is for this reason that no Companion after Islam went to the Cave of Hiraa' and they did not seek to do so, because after Islam was revealed, it is not prescribed for us to purposefully go to the caves of mountains or to seclude ourselves in them; rather, it is a Sunnah for us to stay in mosques (for I‘tikaaf) as a confirmed Sunnah for us. ” [End of quote]
.
http://www.islamweb.net/emainpage/index.php?page=showfatwa&Option=FatwaId&Id=281164
.
islamweb দলিলই দিয়েছে যে রাসূল(স) এর ইবাদতের ধরন পাওয়া যায় না। অথচ পরক্ষনে ধ্যানকে পজেটিভলি প্রকাশ করছে!!
.
ধ্যান করা বৈধ কিনা জানুন, শায়খ সালিহ আল মুনাজ্জিদ(হাফিঃ) এর ওয়েবে। পড়ুনঃ
https://islamqa.info/en/101591
.
অথচ কথিত হানাফিদের ওয়েব সাইটে গিয়ে দেখুন,কি অবস্থা!! http://islamqa.org/hanafi/askimam/80399
মেডিটেশন হচ্ছে তাদের হালালায়িত মোরাকাবা!! লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। ওয়াহদাতুল উজুদি,হুলুল ইত্তেহাদীদের কাছে থেকে এর চেয়ে উত্তম আর কি বা আশা করা যায়!??জেনে রাখুন, ইবনে আরাবি যা বলত, তা গ্রীক দার্শনিক যাদুকরগন বাবেল শহর ঘুরে নিয়ে আসতেন হাজার বছর আগে। তারা ওই শাস্ত্রকে মহাজ্ঞানের শাস্ত্র হিসেবে নিত যা শয়তানরা আবৃত্তি করত সুলাইমান(আ) এর রাজত্বকালে। আজ এসব সাইন্স নামেও প্রতিষ্ঠিত।
.
ওয়ান ওয়ার্ল্ড অর্ডার তৈরির ডান হাত ইউনাইটেড ন্যাশন অনেক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যাকআপ দিচ্ছে এই প্রাচীন প্যাগান সর্বেশ্বরবাদী প্রকৃতি পূজারী ধর্মটিকে আবারো সর্বত্র প্রমোশনের জন্য। তারা ব্রহ্মকুমারীদের সাথে অনেক আগেই কাজ করত। দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=thnl5pOxa2A
আপনার কি মনে হয়, এডলফ হিটলার কেন নিজেদেরকে সুপেরিয়র রেস দাবি করেছিল? তিনি তো হেলেনার থিওসফি দ্বারা দারুন প্রভাবিত ছিলেন। সেখান থেকেই নিজেদের আর্য মাস্টার রেস ভাবনা শুরু। হিটলার নিজেই আলাদা ধর্মের ন্যায় একটা মতবাদ চালু করেছিল।
.
কাব্বালিস্টরাও মোরাকাবা বা ধ্যান করত। এখন ইয়োগাও করতে দেখা যায়ঃ
https://m.youtube.com/watch?v=O_2fC0a2OkI
.
পৃথিবীর সকল দেশ আজ প্রকৃতিপূজা/দেহপূজা/পৃথিবী পূজার/সর্বেশ্বরবাদী ইউনিভারসাল ধর্ম প্রচার প্রসারের পেছনে কাজ করছে। এটা নাস্তিক্যবাদ ও বস্তুবাদী মুদ্রার অপর পিঠ। আমাদের দেশও ব্যতিক্রম নয়। এদেশে সুফি মারেফতি পীর ফকিরদেরকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়। আর বাউলদের??? এদের প্রোমোটিং এর পেছনে আছে গোটা ভারতীয় উপমহাদেশীয় রাজনৈতিক, হিন্দুয়ানি/ সেকুলার সাংস্কৃতিক ও মিডিয়ার শক্তি। কখনো মনের মানুষ, কখনো কস্মিক/ডিভাইন সেক্স(চলচ্চিত্র)। এদের সকলের ঘুরে ফিরে একই স্লোগান
'সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই'। শায়খ আহমদ উল্লাহর মুখেই শুনুন বাউলদের প্রভাবের কথা। এ বিষয়ে তার আরো কিছু লেকচার আছে। সেগুলোও শুনবেন।
https://m.youtube.com/watch?v=zw5or5y4kUE
.
আজকে তাওহীদের কথকরা জঙ্গী। আর সারাবিশ্বে মুসলিমদের অবস্থা ভাল করেই জানেন। তাদেরকে একে উৎখাত করতেই হবে। কারন 'অধিকাংশ কাফেরদের মাঝে' কমন একটি মতবাদ বা দর্শনকে ইউনিভারসাল ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নে প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে সবাই কাজ করছে। সকলেই অলৌকিক মহাক্ষমতাসম্পন্ন মহান ব্যক্তির অপেক্ষায়। কেউ বলে কল্কি,কেউ বলে বুদ্ধা,কেউ বলে কৃষ্ণ, কেউ বলে দাজ্জাল, কেউ বলে মিথ্যা মসীহ।
.
আল্লাহ সর্বজ্ঞ।

পদার্থবিজ্ঞানীগন আজ এক প্রাচীন ধর্মের দিকে আহব্বান করছেন

পদার্থবিজ্ঞানীগন আজ প্রাচীন এক ধর্মের দিকে স্পষ্টভাবে ডাকছেন। সারাজীবন যাদুশাস্ত্র নিয়ে পড়ে থেকেও নিউটন,কেপলারদের আহব্বানে অস্পষ্টতা ছিল, স্পষ্টতা থাকলেও সে নথি লুকিয়ে ফেলা হয়েছে সবাইকে তাতে প্রবেশ করানোর জন্য। পরবর্তীতে আইনস্টাইন, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক, স্ন্রোডিঞ্জারগন অনেক স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেন।

আর আজকে এরই ধারাবাহিকতায় তাদের উত্তরসূরিদের সবাই গৌতমবুদ্ধের মত বলছে Reality is illusion! Everything is the different emanation of singular consciousness! Oneness is fundamental! Everything you believed as real is not real! You are living in a simulation. We are just a cluster of tetrahedron! Everything is number and geometry! Everything is nonlocal, everything is connected with everything!

এই ধর্মের শুরু হয় ব্যবিলনের শয়তান জ্বীনদের হাতে। ওরাই প্রচার করে বাদশাহ সুলাইমান আলাইহিসালাম নাকি যাদুকর ছিলেন। এরপরে বাবেল শহরের ইহুদীদের থেকে মিশর,গ্রীস ও ভারতে পৌছায়। সাইন্স ও ফিলোসোফিয়ার ফাউন্ডিং ফাদার এবং সেই ধর্মের অনুসারী ও প্রচারক 'পিথাগোরাস' বলতেন, সবকিছুই নাম্বার। ফ্রিম্যাসনদের মহাগুরু এলবার্ট পাঈক তো পিথাগোরিয়ান এস্ট্রোনমিকে সরাসরি এস্ট্রলজি বলেছেন, এভরিথিং ইজ ভেইল্ড ইন নাম্বার। আজকে এই বিশেষ ধর্মটি এমন মহাশক্তিশালী অবস্থানে পৌছে গেছে,যে অধিকাংশই অস্বীকার করলেও তার কিছু না কিছুতে বিশ্বাস ও আস্থা রাখছে। সেই প্রাচীন যুগ থেকে এইসকল পদার্থবিজ্ঞানী তথা ন্যাচারাল ফিলসফারগন ম্যাথম্যাটিকস এবং ইক্যুয়েশন দিয়ে অখণ্ডনীয়, অভ্রান্ত জ্ঞানের আসনে নিয়ে এসেছে। মিচিও কাকু বলেন, 'যা আমাদের ব্ল্যাকবোর্ড(ম্যাথম্যাটিক্যাল লজিক/ইক্যুয়েশন) থেকে আসে তা যেন জোহার(কাব্বালার কিতাব) এবং কাব্বালিস্টিক প্রাচীন শাস্ত্রগুলোরই প্রতিফল।' লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!

পলিটিকাল শক্তিগুলো সেগুলোকে সাধারন মানুষকে গ্রহনের জন্য বাধ্য করছে। বস্তুত,অধিকাংশ মানুষ সেসব ইচ্ছে করেই গ্রহন করে। ওরা সেসব শিক্ষা করে বিশেষ জ্ঞানের দম্ভ প্রদর্শন করে।

বিজ্ঞানীরা আজ ইন্দ্রজালের(net of indra) শিক্ষা দিচ্ছে। ওদের গবেষনাগারের সামনে রয়েছে নটরাজ শিবের মূর্তি। হকিং থিওরি অব এভ্রিথিংয়ের প্রত্যাশা করেছিলেন। ওরা বলছে যখন মানবজাতি এই ফাইনাল থিওরির দেখা পাবে, সেটা তাদেরকে এক স্বপ্নরাজ্যের চাবি হাতে দেবে। মানবজাতি অফুরন্ত এনার্জির(নিউট্রিনো/ভ্রিল/এথেরিক/বা এরকম কিছু) দেখা পাবে যা এমনকি দারিদ্র‍্য থেকেও বের করে আনবে। এটা মহাসমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে Magic/mystery theory(এম থিওরি) চলে এসেছে।ওদের প্রচারকারীরা বলছে, একজন লর্ড হয়ত এই সিমুলেটেড রিয়ালিটি নির্মান করে পর্দার আড়ালে আছেন।কেন তিনি নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন! কেন তিনি নিজেকে reveal করছেন না!

ব্যবিলনের বাশিওয়ালাদের সুরে মাতাল 'আপনি' হয়ত এ লেখাটির কিছুই বুঝতে পারছেন না, অথচ আইরনি দেখুন, এই মস্তিষ্ক নিয়ে আপনি এস্ট্রথিওলজিতে বিশ্বাস করেন, হয়ত তা আংশিকভাবে। আপনি Cosmic Evolution এ বিশ্বাসী কিন্তু আবার Biological Evolution এ অবিশ্বাসী! How stupid! এই জ্ঞান নিয়েই কিন্তু আপনি বিদ্রুপ করেন যখন আমরা বলি ছয় দিনে সৃষ্ট এই আসমান জমিনের, জমিন শয্যাক্ষেত্রস্বরূপ সমতল এবং আসমান গম্বুজাকৃতি। আমরা যখন সাহাবাদের(রা) রেফারেন্স দেই তখন আপনি অস্বীকার করবার নানা রাস্তা খোজেন। অথচ বাবেলের শয়তানের কথন গুলো আপনার কাছে সত্য এবং পছন্দনীয় ! সেগুলোকে সত্যায়িত করতে কুরআনকেও ব্যবহার করতে ছাড়েন না! লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!
আমরা যেমনি গণতান্ত্রিক ইসলামকে বৈধতা দিতে পারি না, তেমনি এই প্রাচীন ধর্মকে ইসলামের সাথে মেশানো সহ্য কর‍তে পারি না।

ইন্দ্রজালের দিকে প্রত্যাবর্তন

খুব বেশিদিন হয়নি 'বিদ্যুৎ'কে মেইনস্ট্রিমে এনার্জির ভাইটাল ফিল্ড হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এখন একে ছাড়া কল্পনাও করা যায় না। সমস্যা হচ্ছে এটা অফুরন্ত নয়, সেই সাথে ব্যয়বহুলও বটে। সামনে কি আসছে তবে?
∞ ইনফিনিট এনার্জির প্রতিশ্রুতি? ∞
জিরো পয়েন্ট এনার্জি?? ফিজিসিস্টগন এখন সেই 'ইন্দ্রজালের' দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। আপনি কি জানেন Net of indra কি?
.
আজ ওরা বলছে যখন ব্যবিলনের জ্ঞান শাস্ত্র কাব্বালার প্রতিফলন থিওরি অব এভ্রিথিং জনসম্মুখে আসবে, সেটা সারা পৃথিবীকে ∞ অফুরন্ত এনার্জির স্বপ্ন দেখাবে বিশ্ববাসীকে। এক মহা অবতারের ছত্রছায়ায়,তিনিই শেষ অবতার....।
কেউ বলে কল্কি,কেউ বলে মৈত্রেয় বুদ্ধ,কারো কাছে মসীহ , কারো কাছে দাজ্জাল...!

আজকের বিজ্ঞান হচ্ছে রিপ্যাকেজড ব্যবিলনিয়ান অকাল্ট

"We need a thery of everything, which still beyond our grasp. Perhaps the ultimate triumph of science "
______স্টিফেন হকিং
.
"Many basic mystery that we find in string theory or theory of everything seem mirror in the zohar and kabbalah."
________মিচিও কাকু
.
"Kabbalah is science.I don't care what you are, are you a Muslim, Gentile,Jew(?).
Kabbalah will liberate you from any shackle"
___________ফ্রেড এ্যালান ওল্ফ
.
"As a scholar, the most amazing thing of all is the degree of which modern astro-physics sound like a kabbalistic text. "
____________Anonymous Scholar
.
কেমন লাগলো?
ওরা হেগেলিয়ান ডিয়ালেক্ট ব্যবহার করে এগিয়ে যাচ্ছে। এই প্রসেস মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানের শুরুথেকেই শুরু হয়। ছিলই তো ন্যাচারাল ফিলসফি। 'বিজ্ঞান' প্যাকেটে ভরা হয়েছে কয়দিন হয়েছে? হকিং সাহেব যে বললেন, এটা হয়ত বিজ্ঞানের আল্টিমেট ট্রিয়াম্প। বস্তুত তাই। ব্যবিলনিয়ান কাব্বালিস্টিক যাদুবিদ্যাকে পুনরায় সত্যায়িত করে নিয়ে আসা এবং ব্যাপকহারে চর্চার ব্যবস্থা। অবশেষে দাজ্জালের সাথে মার্জিং। আমরা কতটা জাহেল! নির্বোধ! যে ওদের কুফরিকে কুরআন-হাদিস দ্বারা কম্প্যাটিবল করি। বলি- হ্যা বিজ্ঞানী সাহেব যেটা বলেছেন উহা কুরআনের অমুক আয়াতেও আছে। অমুক দাঈও কাফেরদেরকে দাওয়াত দিতে এটাই বলেছেন। তোমরা কাফেররা যা আজ আবিষ্কার করছো সবই ১৪০০ বছর আগে কুরআনে উল্লেখ হয়ে গেছে। এমনই আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত কুরআন।দেখুন- অমুক আয়াতের অমুক শব্দটি অমুক শব্দের কাছাকাছি অর্থ অতএব... "সাইন্স উইথআউট রিলিজিয়ন ইজ..... "(আইনস্টাইন এর উক্তি)
.
আইনস্টাইন সাহেব এখানে কোন রিলিজিয়নের কথা বলে গেছেন? মনোথেইস্টিক?
ওনার কস্মিক রিলিজিয়নটা কি ছিল, যা কি না ন্যাচার আর স্পিরিচুয়ালিটিকে ইউনিফাই করবে?
ওটা কি ওয়ানওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন নয়? ওটা কি ব্যবিলনিয়ান মনিস্টিক মিস্টিসিজম নয়?
.
এসব বিষয়ে কিছুই গভীরভাবে না জেনে কুফফারদের কুফরি প্রমোট করছেন কুরআন সুন্নাহর রেফারেন্স দিয়েই!! যখন এই যুগে বলতে যাচ্ছি, ওরা কস্মোলজি এবং কস্মোজনী নিয়ে যা শেখায় তা ব্যবিলনিয়ান এস্ট্রোলজি। এ কথা ওদের দলের স্যাটানিস্টরাও আনএপোলোজেটিক্যালি বলে। সেসব তো এস্ট্রোথিওলজিরই কুইন্টেসেন্স। যখন ওদের বিপরীতে সত্যিকারের কস্মোলজি/কস্মোজনীর কথা আনছি, বলছি দুনিয়াটা সমতলে বিছানো এবং আসমান গম্বুজাকৃতির জমাট ছাদ, তখন ক্যাথলিকদের সাথে গলা মিলিয়ে স্যাটায়ার এবং বিদ্রুপ শুরু। কগনিটিভ ডিজোনেন্স। গুরাবা দাবিদার ভাই ব্রাদাররাও এই মর্ডান ফিতনা থেকে মুক্ত নন।
.
লেখা পড়ে যারা জ্বলছেন, তারা সামনে আরো জ্বলবেন। কিছু বুঝতেও পারছেন না, কিছু বলতেও পারছেন না, সব মাথার উপ্রে দিয়া যাচ্ছে, সহ্যও করা যাচ্ছে না। তাই না? বাতিলকে সত্যের সাথে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে এবং হচ্ছিল। সেটাকে আলাদা করতেই হবে। বিইযনিল্লাহ।

Physics of Babylon

হাউ ম্যাটার বিহেইভ ইজ ডিটারমিন্ড বাই দ্য অব্জারভার। এন্ড দ্যট রিকোয়্যার কনসাস্নেস। অবশ্য বৈদিক প্যারালাল ইউনিভার্স হলেও ছলে। না দুদ, আমি মর্গান ফ্রিম্যানের দিকে যাচ্ছি না।
ছবিটা দেখে কি মনে হয়,প্যাগান মিস্টিক যাদুকররা কি তবে ফিজিসিস্টদের থেকেও একধাপ এগিয়ে নাকি!?
.
দীর্ঘদিন ধরে অব্জার্ভ করলে দেখবেন যে, ওরাও একধরনের ফিজিসিস্ট(!), বরং আরো এডভান্স স্তরের। পার্থক্য হলো আমভাবে ওদের কাছে এত ম্যাথ/ইক্যুয়েশন/ফর্মুলা নেই। কিন্তু নাসিম হারামাইনদের কাছে গেলে সেটাও শিখিয়ে দেবে।
.
একজন পদার্থবিদের সাথে একজন অকাল্টিস্টের পার্থক্য এখানেই, একজন ফিজিসিস্ট যেই স্ট্রিমে দাঁড়িয়ে রিয়ালিটিকে বিশ্লেষণ করে, তেমনি যাদুকরও। ডক্টর পিলাইয়ের কথাটি মনে পড়ে যায়, " পদার্থবিদরা আজ ওই কনক্লুশনে চলে আসছেন, যেটা মিস্টিকদের কাছে ছিল, যে- এটা শুধুই ভাইব্রেশন যা থেকে সবকিছু অস্তিত্বে এসেছে। "
.
আসলে হেগেলিয়ান আর্কিটেক্ট অনুযায়ী ওরা সবকিছু চালাচ্ছে। এমারেল্ড ট্যাবলেট খেয়ে নিউটন, কেপলাররা থিওরি ইক্যুয়েশন প্রসব করত। তেমনি আইনস্টাইন,বোর,হাইজেনবার্গরা বৈদিক স্যাটানিক স্ক্রিপচার গিলে থিওরি বানাতো।।এজন্য এক জার্মান ফিজিসিস্ট বলেন, "যখন আমি কোয়ান্টাম ফিজিক্সের উপর একটা লেকচার ছাড়ি, আমার তখন অনুভব হয় আমি যেন বেদান্ত শাস্ত্র নিয়ে বলছি।"
.
ইন্না লিল্লাহ! আর কি বলব!
আজকের মোজলেমদের কাছে উহাই স্যাক্রিড সায়েন্স। আপনি আমার এই বাক্যদ্বয়ের নিচের মন্তব্যেও দু একজন দাজ্জালাইত সাইন্স ডিফেন্ডার পেয়ে যাবেন। এরা টেরও পাচ্ছে না যে এরা একেকটা ইবনে সিনা, ফারাবিতে রুপান্তর হয়ে গেছে বা যাচ্ছে। এরা যখন সেসব সর্সারি ডিরাইভড জ্ঞানের সাপোর্টে কথা বলছে, তখন এরা সেসব শাস্ত্রকেই সত্যায়ন করছে, কুফরি ওয়ার্ল্ডভিউ/মেটাফিজিক্সের সত্যায়ন করছে। এদের পিছনে ইল্মের সনদযুক্ত আলিমদেরকেও খুজে পাবেন। আল্লাহর কাছে ব্যধিগ্রস্ত দুরাত্মা হতে পানাহ চাই।
.
[ অত্র ছবির টেক্সটের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করছি না। এ সকল বিষয়ে অকাল্ট ও সায়েন্স কমিউনিটির স্ট্রং সাপোর্ট রয়েছে, আমি সুবিন্যস্ত দলিল ছাড়া কিছুই লিখি না। তর্ক বিতর্ক খুব অপছন্দ করি। প্যারাডক্সিক্যাল আজাদিরা দূরে থাকুন। উদ্ধৃত প্রতিটি বাক্যই বিপুল পরিমান দাললিক তথ্য বহন করে। এমনিতেই আমার সব সেন্টেন্স একাধিক অর্থ বহন করে। এমন কিছু লিখবেন না, যা আপনি জানেন না,এবং উহা আপনাকে লাঞ্ছিত করে। ]
Al Imran

প্রাচীন জিওস্টেশনারী এনক্লোজড কস্মোলজির বিপ্লব কি সাম্প্রদায়িকতা?

বিষয়টা ছোটখাটো ফিতনায় রূপ নিতে চলেছে। বিতর্ক থেকে ঝগড়ার দিকে যাচ্ছে। এরূপ প্রত্যাশিত ছিল না, এজন্য গ্রুপটাকে ক্লোজ করে রাখা। আমরা কারও উপরে কোন বিষয়কে চাপিয়ে দিতে চাই না। আর অত্র গ্রুপে আলোচিত কোন বিষয় একদম দলিলবিহীন ট্রোল এর অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং কিছু ভাইদেরকে দেখা যাচ্ছে অহেতুক গায়ে পড়ে কটুক্তির সাথে তর্কে লিপ্ত হচ্ছেন। অতঃপর তাদেরকে সমুচিত জবাব দিতে দীর্ঘ তর্কবিতর্ক এর সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা এজন্যই উত্তম জবাব দিতে চাইব- কেননা আমরা মিথ্যাকে সত্যের উপর জয়যুক্ত হতে দিতে পারি না।
.
আমরা এ সম্পর্কে সচেতন যে, বাংলাদেশের বড়বড় নাস্তিক-আস্তিক বিতর্ক গ্রুপ গুলোর এডমিনপ্যানেলের মেম্বারগন এখানে উপস্থিত আছেন। ইহা অনুধাবনীয় যে, তারা আমাদের প্রতি বিব্রত। কারন তারা যে বিষয়টিকে এড়িয়ে যাবার জন্য কুফফারদের সামনে এপোলোজেটিক দুর্বল মু'মিনদের ন্যায় আমতাআমতা করে থাকেন, আমরা সে বিষয়টিকেই দলিলভিত্তিক স্বীকৃতি দিয়ে থাকি। এতে করে তারা ধীরেধীরে একপেশে হয়ে যাচ্ছেন। আর নাস্তিক-মুরতাদদের সামনে আরো দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন। আর আমাদের দ্বারা প্রকাশিত বিগত যুগ যুগান্তরে লুক্কায়িত দলিলভিত্তিক ইসলামী তথ্য প্রমানগুলো সত্যমিথ্যাকে স্পষ্ট করতঃ নাস্তিকদের কুফর বা অস্বীকৃতি বৃদ্ধিপূর্বক এপোলোজেটিক মডারেট ইসলামিস্টদের উপরে চড়াও হবার মাত্রা বাড়াচ্ছে । এটা তাদের যুক্তিবাদীতার অসারতাকেও তুলে ধরছে। বস্তুত, একটা পর্যায়ে তারা একটা বিব্রতকর পর্যায়ে চলে যাবেন। অতঃপর দুই নৌকার মাঝে পড়বে। Allegorical এই নৌকার একটি ঈমানের, অপরটি কুফরের(Occult magical scientism)। হৃদয়ে বক্রতাহীন মুসলিমরা সত্যের দিকে সহজেই গ্র‍্যাভিটেট হয়। এজন্য মোডারেট ভাইরা একরকমের আইসোলেশনের ভয় করেন। এজন্য একভাইকে ইতোমধ্যে নসীহত করতে দেখেছি যেন আমরা শুধুমাত্র ইভ্যলুশ্যনিজম নিয়ে (মিথ্যাপ্রমানে)মাথা ঘামাই, সাইন্টিজমের অন্যান্য বিষয়ের গ্রহনযোগ্যতায় প্রশ্ন না তুলি।
.
সমতল পৃথিবীতে বিশ্বাসী মুসলিমরা উম্মাহর মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি বা বিভেদ সৃষ্টি করার ধারনাটি ভুল। কস্মোলজির মডেল গুলোর যেকোনটিতে না জেনে বুঝে বিশ্বাস (মাত্রা অনুযায়ী) আপনাকে ইসলাম থেকে বের করে দেয় না। তবে কুফফারদের সাংঘর্ষিক তথ্যকে দ্বীনের চেয়ে অগ্রাধিকার অন্তর্স্থিত নিফাক অথবা রিদ্দাকে স্পষ্ট করবে। এজন্য এরূপ একটি বিষয়ের ক্ষেত্রে বিন বাজ(রঃ) তাকফির করেছেন।। এজন্য সতর্কতা আবশ্যক।
.
অপোজিট কস্মোলজিক্যাল বিলিফের কোন ভাইকে তার এরূপ বিশ্বাসের জন্য ঘৃনা বা বিভক্তির কথা আমরা চিন্তা করি না। আমি আমার বাস্তব জীবনেও বহু দ্বীনদার ভাইদের সাথে এসব নিয়ে আলোচনায় বসি, যারা প্রচলিত এস্ট্রোনোমিকাল অর্ডারকে সমর্থন করেন। তাদের সাথে চা পানকালে তুমুল বিতর্কেও লিপ্ত হই, পরক্ষনে এসব নিয়ে আলোচনা শেষে বোঝারই উপায় থাকে না, যে আমাদের মধ্যে চিন্তাগত মতপার্থক্য রয়েছে। কাফেররা চায় আমরা যেন বিষয় নিয়ে আরো বিভক্ত হই, তাই এরূপ ট্রিফ্লিং সাব্জেক্ট নিয়ে উম্মাহর মধ্যে কোনরূপ বিভক্তি ওদের জন্য আনন্দের, যা আদৌ কাম্য নয়। এজন্য সচেতনতার প্রয়োজন। তবে আমরা সত্যকে প্রচার করেই যাব, যার কুরআন সুন্নাহভিত্তিক দলিল আমাদেরকে শক্তি দেয়।
.
আমরা কোন নাস্তিকদের উপরেও এরূপ বিষয় চাপিয়ে দিতে চাই না অথবা নাস্তিকদেরকে এসব তথ্য বিবেচনা পূর্বক ইসলামে পুনঃপ্রবেশের জন্যই হাতজোর করে অনুনয় বিনয় করি না। বস্তুত, অন্তরে আলোদানকারী আল্লাহ, তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, কে তাকে পথ দেখাবে! হয়ত পাঠক মনে এরকমই আয়াত মনে পড়ে যাচ্ছে। আল্লাহ বলেনঃ
.
"আপনি অন্ধদেরকে তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে ফিরিয়ে সৎপথে আনতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরকে শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। অতএব, তারাই আজ্ঞাবহ(নামাল-৮১)
.
"আপনি অন্ধদেরও তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে পথ দেখাতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরই শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। কারন তারা মুসলমান(আর রুমঃ৫৩)
.
"কাফেররা বলেঃ তাঁর প্রতি তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন কেন অবতীর্ণ হলো না? বলে দিন, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যে, মনোনিবেশ করে, তাকে নিজের দিকে পথপ্রদর্শন করেন"(রাদ-২৭)
.
"তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বামদিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম। আল্লাহ যাকে সৎপথে চালান, সেই সৎপথ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, আপনি কখনও তার জন্যে পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী পাবেন না"(কাহাফ-১৭)
.
আর নিশ্চয়ই 'ইসলাম' কোন সস্তা দ্বীন নয় যা আপনি যাকে তাকে গ্রহন করতে কাকুতিমিনতি করবেন,যেমনটা মোডারেট ইসলামিস্টরা করে। আমাদের দাওয়াতের ক্ষেত্রেও ভ্রান্তি রয়েছে। ইমাম আনোয়ার আল আওলাকী(রহঃ) এর চমৎকার একটি বক্তব্য রয়েছে দাওয়াতের ব্যপারে।
.
আপনি নাস্তিক মুর্তাদদেরকে আমাদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হতে দেখবেন না। কারন ওরা যার কুফর করে আমরা সেটাকেই কঠোর বিশ্বাস করি। আর এটা স্রেফ অন্ধ বিশ্বাসও নয়, বরং পর্যবেক্ষণযোগ্য দলিল প্রমানও রয়েছে , এজন্য নাজেহাল হবার ভয়ে সচরাচর আমাদের কাছে ওরা আসে না।
.
কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক প্রিকোপার্নিকান জিওস্টেশনারী প্রাচীন কস্মোলজি আমাদের বলে আল্লাহর নিপুণ অনুপম সৃষ্টির কথা। আমাদেরকে শিক্ষা দেয় তার সৃষ্ট জগতে তার প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রনের কথা। অথচ বিজ্ঞান আমাদের সৃষ্টিকর্তার নিয়ন্ত্রন থেকে স্বাধীনতা বা নির্ভরহীনতাকে শেখাতো, যেমনটি স্টিফেন হকিংএর কথায় পাওয়া যায়ঃ "What I have done is to show that it is possible for the way the universe began to be determined by the laws of science. In that case, it would not be necessary to appeal to God to decide how the universe began. This doesn't prove that there is no God, only that God is not necessary."
Der Spiegel (17 October 1988)
.
অথচ সত্য হচ্ছে বৃষ্টিসহ যাবতীয় প্রাকৃতিক ঘটনা এবং সবকিছুই আল্লাহরই Direct intervention এ হয়ে থাকে। কেউই আল্লাহর নিয়ন্ত্রন এবং নির্ভরতা থেকে স্বাধীন নয়।Geostationary Geocentric astronomical order আমাদেরকে এটাই স্বতঃস্বিদ্ধ সত্য ও পর্যবেক্ষণযোগ্য ফেনোমেনা হিসেবে তুলে ধরে। এটা আমাদেরকে বলে প্রতিটি সৃষ্টির তাৎপর্য সম্পর্কে। বস্তুত আল্লাহ কোন কিছুকেই অনর্থক সৃষ্টি করেন নি।
.
এক ভাইকে দেখছি, বিভিন্ন স্থানে মন্তব্য করছেন, প্রশ্ন তুলছেন, কোথাও কি আল্লাহ এসব নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করতে বলেছেন! তার কাছে মনে হয় এসব নিয়া ভাবনা চিন্তা করাটা নিছক সময় নষ্ট। অথচ আল্লাহ বলেনঃ
.
إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَاخْتِلاَفِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لآيَاتٍ لِّأُوْلِي الألْبَابِ
الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىَ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
"নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন লোকদের জন্যে।যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।" (আল ইমরানঃ১৯০-১৯১)
.
অন্যত্র আল্লাহ বলেনঃ
إِنَّ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَآيَاتٍ لِّلْمُؤْمِنِينَ
নিশ্চয় নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে মুমিনদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে (45:3)
.
وَالْأَرْضَ مَدَدْنَاهَا وَأَلْقَيْنَا فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ
تَبْصِرَةً وَذِكْرَى لِكُلِّ عَبْدٍ مُّنِيبٍ
আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি, তাতে পর্বতমালার ভার স্থাপন করেছি এবং তাতে সর্বপ্রকার নয়নাভিরাম উদ্ভিদ উদগত করেছি। এটা জ্ঞান আহরণ ও স্মরণ করার মত ব্যাপার প্রত্যেক অনুরাগী বান্দার জন্যে" (50:7-8)
.
وَهُوَ الَّذِي مَدَّ الأَرْضَ وَجَعَلَ فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنْهَارًا وَمِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ جَعَلَ فِيهَا زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
তিনিই ভুমন্ডলকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পাহাড় পর্বত ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফলের মধ্যে দু’দু প্রকার সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন। এতে তাদের জন্যে নিদর্শণ রয়েছে, যারা চিন্তা করে(13:3)
.
يُنبِتُ لَكُم بِهِ الزَّرْعَ وَالزَّيْتُونَ وَالنَّخِيلَ وَالأَعْنَابَ وَمِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لآيَةً لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
এ পানি দ্বারা তোমাদের জন্যে উৎপাদন করেন ফসল, যয়তুন, খেজুর, আঙ্গুর ও সর্বপ্রকার ফল। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে(১৬:১১)
.
وَسَخَّرَ لَكُمُ اللَّيْلَ وَالْنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالْنُّجُومُ مُسَخَّرَاتٌ بِأَمْرِهِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ
তিনিই তোমাদের কাজে নিয়োজিত করেছেন রাত্রি, দিন, সূর্য এবং চন্দ্রকে। তারকাসমূহ তাঁরই বিধানের কর্মে নিয়োজিত রয়েছে। নিশ্চয়ই এতে বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।(১৬:১২)
.
خَلَقَ اللَّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لِّلْمُؤْمِنِينَ
আল্লাহ যথার্থরূপে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। এতে নিদর্শন রয়েছে ঈমানদার সম্প্রদায়ের জন্যে।(আনকাবুতঃ৪৪)
.
هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاء وَالْقَمَرَ نُورًا وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُواْ عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ مَا خَلَقَ اللّهُ ذَلِكَ إِلاَّ بِالْحَقِّ يُفَصِّلُ الآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারিত করেছেন এর জন্য মনযিল সমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ এই সমস্ত কিছু এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণসমূহ সে সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে(ইউনুসঃ০৫)
.
অতএব
নিঃসন্দেহে আসমান ও জমিনের সৃষ্টি, চিন্তাশীলদের জন্য মহানিদর্শন।আল্লাহ বলেনঃ "চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে"। আলহামদুলিল্লাহ! আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত যাদের কথা মহান প্রতিপালক বলেছেন।
নিশ্চয়ই তিনি এসব অনর্থক সৃষ্টি করেন নি।
কুরআনিক কস্মোজনি আমাদেরকে আল্লাহর শক্তি ক্ষমতা,নিপুনতা পার্থিব জীবনের গুরুত্ব, তাৎপর্য এবং উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করে। স্রষ্টার অস্তিত্বের উপলব্ধি তৈরি করে। নিশ্চয়ই চাঁদ সূর্য ও দিবারাত্রির আবর্তনে "বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে"। সমস্ত সৃষ্টিতে "চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে"। ভূমন্ডলকে বিস্তৃতকরন, দিবারাত্রির আবর্তন পাহাড়পর্বত ও নদনদীতে "তাদের জন্যে নিদর্শণ রয়েছে, যারা চিন্তা করে"। "এটা জ্ঞান আহরণ ও স্মরণ করার মত ব্যাপার #প্রত্যেক অনুরাগী বান্দার জন্যে।"
নিশ্চয়ই এটা প্রত্যেক আল্লাহ অভিমুখী বান্দাদের জন্য। আর আমরা আল্লাহর সৃষ্টিকে একমাত্র কুরআন সুন্নাহর দ্বারা উত্তমভাবে বুঝতে পারি এবং তা থেকে সঠিক ও সুনিশ্চিত জ্ঞান পাই। আমরা কুরআনে উল্লিখিত বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এর গঠনপ্রকৃতি ও আসমানজমিনের বর্ননাগুলোর ব্যাখ্যা গ্রহন করি সাহাবীগনদের (রাযি.) থেকে। নিশ্চয়ই তারা সর্বাধিক নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাদানকারী।। এ কারনে আল্লাহ অনুরাগী যেকোন বান্দারা কুরআন সুন্নাহভিত্তিক আল্লাহর সৃষ্টিসংক্রান্ত চিন্তা গবেষণায় আগ্রহ প্রকাশ করে। হোক সে ময়দানের মুজাহিদ! এজন্যই সেদিন এক আল্লাহ অভিমুখী 'আগন্তুক' বললেন, যদি এসকল বিষয়ে দলিলভিত্তিক তথ্যসমৃদ্ধ লেখা গুলোকে হার্ডকপিতে রূপান্তর করে সংরক্ষন ও প্রচার সম্ভব হত!
.
পশ্চিমা কাফেরদের একদল বলে,'নতুন করে প্রাচীন cosmological revolution এ আমাদের কোন যায় আসে না। এটা আমাদের চাকুরী-জীবিকায় কোন পরিবর্তন আনে না। যা আগেও ছিল তাই থাকবে, সুতরাং এসব নিয়ে মাথা ঘামানো বৃথা'। যাদের মধ্যে এরকম চিন্তা আসে তারা পৃথিবীতে অনুভূতিহীন জীবন্ত লাশের ন্যায়। এরা কুফফারদের ডিজাইন্ড সিস্টেমে একরকম মানিয়ে নিয়েছে আর এক্ষেত্রে কোনরূপ পরিবর্তন আশা করেনা বা চায় না।
প্রচলিত সমাজব্যবস্থা এবং প্রচলিত ইসলামিক চিন্তাবিদরা যা আমাদেরকে বলত তাতে আমরা ইনফিনিট আউটার স্পেসে কোটি গ্রহের একটিতে ইউজলেস এইমলেস ডার্ট ছাড়া কিছুই নই। যখন এনক্লোজড এ্যাস্ট্রনমি নিয়ে কেউ বিবেচনা করতঃ চিন্তা করে তখন সে অনুধাবন করতে পারে তার জীবনের মূল্য এবং তার জীবনের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য। তার অস্তিত্বসহ কোন কিছুই নিরর্থক নয়। সমুন্নত ছাদ ও জমীনের মাঝে সামান্য পানি দ্বারা সৃষ্ট মানুষ নিজেকে ও তার প্রতিপালককে চিনতে পারে।
এটা তাকে তার পালনকর্তার প্রতি অবনত করে এবং তার প্রতি অভিমুখি করে। কুফফাররা সেকুলার-ধর্মবিমুখ সমাজ ব্যবস্থা গড়তে সর্বপ্রথম কস্মোলজিকে রিরাইট করেছে। আর এটা করেছে ধীরগতিতে। জিওসেন্ট্রিক বদলে হেলিওসেন্ট্রিক,জিওস্টেশনারী থেকে রিভলভিং এবং আউটার স্পেস। ইতিহাস ঘাটুন! এরপরে আরো পিছনে গিয়ে সৃষ্টির শুরুর তথ্যে ডিসইনফরমেশনের প্রবেশ ঘটানো। চলে আসলো বিগব্যাং এবং এভ্যুলুশ্যনালিজম। একটার পরে একটা ট্রোল কন্টেন্টগুলো মানুষ গর্দভের মত চিন্তাবিনা গলাধঃকরণ শুরু করে। এন্টি রিলিজিয়াস অর্ডারগুলো আর বামপথের সংগঠন যেমন জেসুইটরা এসব গেলাতে উঠে পড়ে লেগেছিল। অবশেষে বিজ্ঞানী সাইনবোর্ডযুক্ত কিছু অকাল্ট মিস্টিসিস্টদের সফল প্রচারনায় পুরাতন জাদুবিদ্যার কিতাবগুলোয় উল্লিখিত সৃষ্টিকর্তার জানানো সৃষ্টিব্যবস্থার ব্যপারে অমোঘ সত্যবানীর বিপরীত তত্ত্বগুলো একে একে প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে। ইহুদীদের কাব্বালা এবং হার্মেটিক কাব্বালা আর প্যাগান পলিথেইস্ট মালুদের বেদ এর কথা গুলো হয়ে যায় বিজ্ঞান। কখনো কি প্রশ্ন আসে না মনে, কেন CERN এর সামনে তাগুত শিবের মূর্তি! আর শতাব্দীকাল জুড়ে বাড়তে থাকা এই কুফরের পিলার আজ প্রতিষ্ঠিত করতে শুরু করেছে প্যানসাইকিজম, প্যানেন্থেইজমসহ সকল নন ডুয়ালিস্টিক ফেইথ। অবতার মুভির পরের সিকুয়্যাল কি থিম নিয়ে তা জানা আছে!! হলিউড সবসময়ই প্রতিটা ক্ষেত্রে ভূমিকায় থাকে। আউটার স্পেস,প্ল্যানেটারি সিস্টেমের প্রোপাগান্ডায় যেমনি ছিল, সামনের ইভেন্ট গুলোতেও আছে ও থাকবে।আমাদের দেশে কোয়ান্টাম ফিজিক্স বেজড কোয়ান্টাম ম্যাথড তো বসে নেই। আর এরা সকলেই কনসাসলি অপেক্ষা করছে তাদের এক মহান সেভিয়রের জন্য, একজন মহান বিশ্বশিক্ষকের, যিনি কিনা ফিজিক্যাল ও স্পিরিচুয়াল বিবর্তনের এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাবেন হিউম্যানিটিকে। যিনি সারাবিশ্বে আসবেন এলিয়েনেটিক ইনভ্যাশন প্রতিরোধে অথবা জাতিসংঘের হাত ধরে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। স্বাগতম জানাই(!) এখনি তাদেরকে, যারা ইতোমধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ভূমিকাস্বরূপ আসন্ন একচক্ষুবিশিষ্ট বিশ্বশিক্ষকের কোন না কোন প্রজেক্টের সাথে একমত হয়ে কাজ করছেন।
.
আমাদের কাজ হচ্ছে বিকৃতি এবং সত্যমিথ্যাকে স্পষ্টরূপে উপস্থাপন করা। আমরা বৈধ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সপক্ষে। অপবিজ্ঞানের বিপক্ষে। কিছু ভাই বলেন উম্মাহর দুর্দশার সময়ে এসব নিয়ে লেখালেখি অথবা চিন্তার সময় নেই।তারা আংশিক সত্য বলেছেন। কিন্তু সত্য মিথ্যা জেনেও গোপন রাখলে, দুর্দশা কিছুমাত্র ঘুচবে না বরং উহা প্রজন্মান্তরে চলতে থাকবে।কারন কুফফারদের ধবংসের বীজ আমরা লালন করেই আছি। আমাদের উচিৎ কুফফারদের অপর্যবেক্ষনযোগ্য তত্ত্ব ও তথ্যকে যাচাই করতঃ বর্জন করা এবং সম্পূর্ন তাওহীদের দিকে প্রত্যাবর্তন। যেকোন বিষয়ে আমাদের দ্বীন অল্পবিস্তর যে তথ্যই দেয় না কেন, উহা দুনিয়ার জন্য যথেষ্ট। উহার বাইরে গিয়ে কুফফারদের কথা গ্রহন এমনকি তাদের কথাকে পরিমাপক হিসেবে নিয়ে ইসলামের তথ্যকে যাচাইকরা কস্মিনকালেও মুসলিমদের কাজ নয়। সবশেষে শায়খ সালিহ আল ফওজানের বিখ্যাত ভিডিওবার্তা দেখবার দাওয়াত দিয়ে শেষ করব। লিংক- https://m.youtube.com/watch?v=K1QxVGr4ulw
.
জাযাকআল্লাহ

বিশ্বাস অবিশ্বাস

আজ এক ভাই বললেন, "পৃথিবী যে কারণে ভেসে থাকে , সেটাই তো বিশ্বাস করেন না আপনারা"। তিনি হেলিওসেন্ট্রিক প্যান্থিয়নের আউটার স্পেস এবং ইনফিনিট এভার এক্সপ্যান্ডিং স্পেসের কথা বলছেন। তিনি চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন, 'বিশ্বাস' শব্দটি টেনে। বস্তুত, বিষয়টি আলটিমেটলি 'বিশ্বাসে' গিয়ে ঠেকে। মডার্ন কস্মোলজির প্রায় পুরোটাই বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষনযোগ্যতার প্রক্রিয়ার বাইরে। অর্থাৎ আল্টিমেটলি ইহা শুধুই "বিশ্বাস"।
তো সেই ভাই Precopernican geocentric model এর বাহ্যত ভ্রান্তি ধরে বললেন, "আপনারা যেই 'বিশ্বাস' টা করছেন.."।
.
নিশ্চয়ই আমাদের 'বিশ্বাস' ঠিক তাই যা লিখিত আছে আসমানি কিতাব সমূহে। আর শেষ নবী(স) ও তার সাহাবা কর্তৃক প্রদর্শিত। আর তা-ই, যা প্রখ্যাত কুরআনের তাফসীরবিদ(মুফাসসিরগন) কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত।
.
আর অপরদিকে হেলিওসেন্ট্রিস্ট পাঠকের 'বিশ্বাস' টি ঠিক তাই, যা শয়তানের গোলামদের দ্বারা বলা কিছু 'কুফরি' জ্ঞান। যা লিখিত আছে কাব্বালার জোহারে, যা আছে তোথে , যা hermetism এর উপরে দাঁড়িয়ে আছে। এ বিশ্বাস তো তাদের হাত ধরেই এসেছে যারা সর্সারির আলোকবর্তিকা ছিলেন। ছিলেন গুপ্ত গুহ্যজ্ঞানের মহাসাধক । জ্বি আমি পিথাগোরাস, নিউটন, গ্যালিলিও, কেপলার , কোপার্নিকাসদের এসোটেরিক বিশ্বাস ও জ্ঞানের কথা বলছি, যা সম্মানিত হেলিওসেন্ট্রিস্ট (তাওহীদের জ্ঞানবিহীন) মুসলিম(!) ভাইদের নিকট অধিকতর গ্রহন যোগ্য মনে হয় এবং সেদিকেই হৃদয় আকর্ষিত হয়। মা'আযাল্লাহ!
.
একথা ভালভাবে জেনে রাখুন মেইনস্ট্রিম সাইন্টিফিক নলেজ একটি সুবিশাল প্রবঞ্চনার উপরে দাঁড়িয়ে আছে যা জেসুইট অর্ডারের আওতায় সারা বিশ্ব গ্রহন করেছে। আর তা হয়েছে রেনেসাঁ বিপ্লবের পর দিয়ে। রেনেসাঁ বিপ্লবের দ্বারা নিষিদ্ধ বিষয় যেমন উইচক্রাফট, সর্সারির রিভাইভ্যাল ঘটে। মানুষ নতুন করে ব্ল্যাক আর্ট অব ন্যাক্রোমেসির দিকে ঝুকে পড়ে। বিজ্ঞানের মোড়কে mysticism মানুষের কাছে হাজির হয়। চলে আসে বৈদিক Atomic knowledge. মানুষ গ্রহন করে Atomism. এক শ্রেনীর লোকেরা নির্বুদ্ধিতার জন্য থেইস্টিক পাথ ছেড়ে ম্যাটেরিয়ালিজমে ঝুকে পড়ে এবং এথিজম গ্রহন করে। 'এথিজম' শব্দে ডিজবিলিফকে ক্ল্যারিফাই করার ব্যাপারটি এখনো ৫০০ বছর ক্রস করেনি। যাহোক, সর্বপ্রথম ফ্রান্সের এক পরিবার এথিস্ট বলে নিজেদের ঘোষনা দেয়। আর বৈজ্ঞানিক মিস্টিক্যাল নলেজের গুরু মহাশয়রা theist ই থেকে যায়। কিন্তু এই Theism আদৌ তাওহীদ বা নিকটবর্তী monotheism নয়। গোড়া হাতালে তাদের বিলিফ দিয়ে অন্য মাত্রার মনোথেইজমে গিয়ে শেষ হবে, সেটাকে আব্রাহামিক ফেইথগুলো 'স্যাটানিজম' বলে।
আজ যারা এই মডার্ন সাইন্টিজমকে তাদের জন্মসূত্রে পাওয়া দ্বীন ইসলামের চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়, সে সকল Apologetic mozlem রা ইতিহাসই জানে না। এদের জ্ঞান হাটুর নিচে, সারাদিন হয়ত কক খেলে, আর হলিউড দেখে রোমাঞ্চিত হয়,আর available ভ্রান্ত বিদ্যা অর্জন করে নিজেকে বিরাট জ্ঞ্যানী-শিক্ষিত মনে করে। অবশ্য এদের অধিকাংশই বিতর্কপ্রিয়। এবং নিরেশ্বরবাদীদের কাছেই বিতর্কে লাঞ্ছিতই। এর কারন এরা এমন বিজ্ঞান তত্ত্ব মেইন্টেইন করতে চায় যা তাদের জন্মলব্ধ বিশ্বাস থেকে একদম অপজিশনে। । এদের রূপক অবস্থা হচ্ছে এরূপ যে, কোন ব্যক্তি মূত্রকে পবিত্রতা অর্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে প্রামান করতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ উদাহরন এজন্যই দিয়েছি যে, তারা এই অবিশ্বাসের জ্ঞান(knowledge of disbelief) দ্বারা ইসলামকে জাস্টিফাই করতে ধৃষ্টতা দেখায়। ইসলামিক সোর্সে অদেখা জগতের বর্ননাকে ওই ভ্রান্ত অপবিত্র জ্ঞান দ্বারা ব্যাখ্যা করতে বৃথা চেষ্টা করে। Allegorical ওই মূত্রের(মেইনস্ট্রিম সাইন্স) মধ্যে বাস করা অবাঞ্ছিত কীটরা(নাস্তিক মুর্তাদরা) পবিত্র পানিকে আলাদাভাবে ভাল করেই চিনতে পারে, এজন্য কীটদের দ্বারাই লাঞ্ছিত হয় নির্বোধ মোডারেট ইসলামিস্ট।
.
বস্তুত ওদের হৃদয়টাই রোগগ্রস্ত। এজন্য প্রকাশিত ঐশীজ্ঞানকে অগ্রাহ্য করে কাফেরদের কুফর বেজড ইল্মকে অগ্রাধিকার দেয়। এজন্যই শায়খ বিন বাজ(র)দ্বীনের থেকে বিজ্ঞানভিত্তিক সাংঘর্ষিক তথ্যকে অগ্রাধিকারদানকারী লিবারেল ইস্লামিস্টকে তাকফির(কাফের সাব্যস্ত) করেছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা তো সতর্কতাকারী ছাড়া আর কিছুই নই।
ইনশাআল্লাহ, শীঘ্রই Occult scientism এর origin নিয়ে একটা লেখা আসবে। ওয়ামা তাওফিক ইল্লাবিল্লাহ।

সমতল জমিনের ম্যাপ এবং 'গোলাকার জমিনের'(!!) ম্যাপের মধ্যে পার্থক্য কি?

প্রতিষ্ঠিত স্ফেরয়েড বলটির নিন্মদেশ(এন্টার্কটিকা) চিরে যদি চাপ দিয়ে সমতলে রূপান্তর করা হয়, তবেই এ্যাযিমুথাল একুইডিস্ট্যান্ট প্রজেকশন তথা মেইনস্ট্রিম সমতল জমিনের ম্যাপ পাওয়া যায়। এতে কোন ভূখন্ডের স্থান পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। কিন্তু ব্রেইনওয়াশডদের কাছে এটাকে অনেক কিছু মনে হয়। তারা মনে করে এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু।


মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইন্টারনেটভিত্তিক  জনপ্রিয় কোন এক ম্যাপ সুবিধা প্রদানকারী ওয়েবসাইটের ম্যাপে, সমতল জমিনের ম্যাপটিকে গোলাকার বানানো হয়েছে। সেটাতে এন্টার্কটিকার ম্যাপে গিয়ে জুম করলে চারকোণা কাগজ জাতীয় কিছুর চার প্রান্তগুলোকে একসাথে জুড়ে দিলে যে অবস্থা দেখা যায়, সেরকম কৃত্রিমভাবে সমতলকে গোলাকার বানানোর প্রমান রয়েছে। সুতরাং এযিমুথাল প্রজেকশনকেই গোল বানিয়ে চালাচ্ছে।
.
ইসলামিক পার্স্পেক্টিভে, গোল মডেলের ম্যাপ ডিজাইন বা প্রচলিত সমতল জমিনের ম্যাপের কোনটিকেই ১০০% শুদ্ধ বলে নিশ্চিত করা যায় না। কিছু আয়াত এবং হাদিস উভয়ের কোনটিতেই খাটে না।
.
যারা প্রচলিত সাইন্সের অন্ধ বিশ্বাসী, তারা তাদের অন্ধ বিশ্বাসে সন্তুষ্ট। যারা সমস্ত প্রবঞ্চনার বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করছে, তারা কিন্তু জাতিসংঘের পতাকায় সমতল জমিনকেই দেখাচ্ছে, আবার জনপ্রিয় স্পেস এজেন্সির দ্বারা গোল পৃথিবীর ছবি বের করছে। তাতে আবার একবছর আম্রিকার ম্যাপ ৩-৪গুন বড় হয়ে যায়, আবার কখনো ছোট, আবার জমিনের রঙও বছর বছর বদলায়!! টিভিতেও কম mock করে না। The West Wing(2001) এর Season 02, Episode 16 দেখেছেন? কত্ত সুন্দরভাবে চেয়ারে বসিয়ে স্লাইডে দেখিয়ে দিচ্ছে গোল পৃথিবীর ম্যাপের ভুল গুলো! অথচ ওরাই কিন্তু সেই টিভিতেই একই ভ্রান্ত ম্যাপ/মডেল গুলোকে সত্য আকারে প্রচার করে। উচু স্তরের কাফেররা ব্রেইনওয়াশড বানানোর পরে ওদের থেকেই এভাবে বিনোদন গ্রহন করে। 😆
.
যাহোক,হলিউড-মিডিয়া-বইপুস্তক দিয়ে জেসুইট ক্যাথলিকরা কাব্বালিস্টিক ব্যবিলনিয়ান জ্যোতিষবিদ্যা খাইয়ে বুদ করে রেখেছে। সেসব গ্রহন করে আজকের মুসলিমরাও তৃপ্তিবোধ করে। আমরা এসবের বিরুদ্ধে বললে যেহেতু দোষ, সুতরাং তর্কেবিতর্কে গিয়ে বোঝানোর কোন প্রয়োজন নেই, কুফফারদেরকে ওদের অনুগতদের থেকেই এভাবে বিনোদন গ্রহন করতে দিন।

ওরা কি ক্যাথলিক খ্রিষ্টান মিশনারিদের দ্বারা প্রভাবিত?

Babylonian magical worldview এবং Astrology ধার করে আনা গ্রীক দার্শনিকদের(যাদুকর/মিস্টিক) কুফরি দর্শন এবং ন্যাচারাল ফিলসফি যখন আরবে পৌছায়, তখন পিথাগোরাসের ব্যবিলনীয়ান (এলবার্ট পাঈকের কথানুযায়ী) 'এস্ট্রলজিক্যাল' বিশ্বাস- 'গোলাকার পৃথিবী' তৎকালীন শিয়া-মুতাযিলাদের সাথে সাথে কিছু ভাল আলেমদের মধ্যেও চলে আসে। এদের একজন ছিলেন ইবনে হাজম(র.) তারা সুস্পষ্ট কোন ইসলামি দলিলের উপরে দাঁড়িয়ে স্ফেরয়েড তত্ত্বকে মানেননি বরং তারা মনগড়া ভুল পর্যবেক্ষণিক লজিক দাড় করিয়ে স্ফেরিক্যাল আর্থকে গ্রহন করেন। এর অনেক পরে সেসবের সাপোর্টে কুরআনের কতিপয় আয়াতের দুরবর্তী অস্পষ্ট যুক্তি দিয়ে কুরআনের সাথে কম্প্যাটিবল করা হয়। উল্লেখ্যঃ তাদের এই ব্যাখ্যা যদি গ্রহন করা হয় তবে অজস্র স্পষ্ট হাদিস এবং কুরআনেরই আয়াতগুলোকে isolate করে দেওয়া হয়। সেসব ব্যাখ্যার অযোগ্য/সাংঘর্ষিকতা তৈরি হবে।
.
তখন হয়, পাঠককে হয় সাহাবীদের বর্ননা/ব্যাখ্যাগুলোকে(হাদিসসমূহ) গ্রহন করতে হবে এবং ওই কন্টেম্পরারী আলেমদের মনগড়া যুক্তিকেন্দ্রিক গ্রীক-বাবেল প্রভাবিত ব্যাখ্যাকে বর্জন করতে হবে, অথবা কুরআনের সুস্পষ্ট আয়াত এবং সমস্ত হাদিসের হার্মোনিয়াস দলিলগুলোকে বর্জন করে তৎকালীন আলেমদের মনগড়া যুক্তিভিত্তিক ব্যাখ্যাকে গ্রহন করতে হবে।
.
কস্মোলজিক্যাল ডেস্ক্রিপশনে রাসূলুল্লাহ ﷺ এবং সাহাবীদের(রাযি.) কথা/ব্যাখ্যা(হাদিস) তথা সমস্ত জঈফ,সহীহ বর্ননা এবং কুরআনের আয়াতসমূহের মধ্যে চমৎকার হার্মোনি বিদ্যমান। এদের মধ্যে কোন সাংঘর্ষিকতা নেই। কারন কুরআনের পরে সহীহ-জঈফ সমস্ত হাদিসে সমতল জমিন, আসমানি ছাদের প্রাচীন কস্মোলজির সিন্থেসিজে বিশদ বর্ননা আছে। সাহাবীগন(রাঃ) গম্বুজাকৃতি আসমানসমূহ এবং সমতল স্তরবিন্যস্ত সপ্তজমিনের বর্ননাই দিয়েছিলেন।
.
কিন্তু মর্ডান কাব্বালিস্টিক-ব্যবিলনিয়ান কস্মোলজির ফেভারে আলেমদের কথা গুলোকে গ্রহন করলে, দলিলগুলোয় অজস্র সাংঘর্ষিকতা তৈরি হয়, ক্ষেত্র বিশেষে এমন কনফ্লিক্টও আছে যেখানে কোন চাতুর্যময় লজিকও কাজ করবে না। ওই সময়ে যারা গ্রীক এস্ট্রোনমিকে গ্রহন করেছিল তাদের অনেকে আবার গ্রীক দর্শনের বিরুদ্ধেও কলম ধারন করেছিলেন!! সঙ্গত কারনে কস্মোলজিক্যাল চিন্তাধারার চ্যুতিকে আমি তাদের কাউকে দোষারোপ করি না। সেসময়কার প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ সর্বোত্তম অবগত আছেন।
.
যাহোক, স্ফেরিক্যাল(গোল্লা) পৃথিবী ১৫০০ সালের পূর্বে কখনোই মেইনস্ট্রিমে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ১% এরও কম সংখ্যক মানুষের সমর্থন ছিল। এই ব্যবিলনিয়ান এস্ট্রোনমির বিশ্বাস ছিল যাদুকর, জ্যোতিষী, ন্যাচারাল ফিলসফার বা দার্শনিকদের মধ্যে, আর ইসলামের মাঝে- আরবে গ্রীক দর্শন প্রবেশের পরে 'অজ্ঞাতকারনে' এর সপক্ষে অসাড় যুক্তিদানকারী (কুরআন সুন্নাহর)দালিলিক সমর্থনহীন সামান্যকিছু সংখ্যক আলেমগন ছিলেন।এমনকি ইবনে হাজম(র:) যখন স্ফেরিক্যাল পৃথিবীর সাপোর্ট শুরু করেন তার বিপক্ষে ছিলেন সাধারণ মুসলিম জনগন। তিনি এ ব্যপারে কিছু বলেছিলেনও।
.
১৫০০ সালের পরে ক্যাথলিক খ্রিষ্টান মিশনারীরা সমস্ত ব্যবিলনিয়ান অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ প্রোমোটিং এর পাশাপাশি গোল পৃথিবীর মতবাদকে সারাবিশ্বে গায়ের জোড় খাটিয়ে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করে। সমতল পৃথিবীর নোশন বইপুস্তক থেকে বিদায় নিতে শুরু করে। চীন সরকার প্রথম দিকে 'ঘাড়ত্যাড়ামি' শুরু করলেও অবশেষে ক্যাথলিকদের চাপে বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়। ওরা ২০০ বছর পরে অর্থাৎ ১৭০০ সালে পাঠ্যপুস্তক থেকে ফ্ল্যাট আর্থ কস্মোলজি হটিয়ে গোলপৃথিবীকে প্রতিষ্ঠা করে।[উইকিপিডিয়াতেই সমুদয় ঘটনা বিধৃত আছে,দেখে আসুন]
সুতরাং এই গ্রেট কস্মোলজিক্যাল কন্সেপচুয়াল শিফটিং এর পেছনে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে রোমান ক্যাথলিকরা।
.
তো ভাইয়েরা, আজ যারা কুরআন সুন্নাহর দলিল দিয়ে দুনিয়াকে কাফেরদের সাথে তাল মিলিয়ে গোল বানানোতে ব্যস্ত, তারা কাদের 'মিশন' দ্বারা প্রভাবিত? কাদের মিশনকে সহজ করে দিয়েছে?? কাদের বিষ বহন করছে?? ক্যাথলিক খ্রিষ্টান মিশনারি???!!!! । তাদের দুর্বল অবস্থান অথবা সুস্পষ্ট বাতিলপন্থার ব্যপারে আমরা জানলেও এভাবে কখনোই লিখতাম না যদি ইদানীংকালে কিছু নির্বোধ-মূর্খ/মডারেট/মুরজিয়াদের থেকে দলিলবিহীন অপবাদ না দেখতাম। সেগুলো নিচের কমেন্টের স্ক্রিনশটেই দেখুন।
.
আমাদেরকে অনেক কিছু বলা হচ্ছে। আমরা নাকি খ্রিষ্টান মিশনারীর প্রভাবিত, দালাল, এমনকি কাফেরও!! ওরা বলছে বাইবেলে নাকি আছে 'পৃথিবী সমতল'!! অথচ খোজ নিয়ে দেখুন এরকম একটাও ভার্স নেই।করাপ্টেট গস্পেলে তো নাই-ই খ্রিষ্টানদের বানোয়াট এক্সটেনশন গুলাতেও নাহ। বিকৃত তাওরাত খুজে আসুন, একটা দলিল দেখান যেখানে স্পষ্টভাবে আছে 'দুনিয়া সমতল'!! তো ওরা কিসের উপর ভিত্তি করে কথা বলছে(??)। উলটো সমস্ত বাস্তব তথ্যপ্রমাণ বলে যে, ওরা নিজেরাই মেইনস্ট্রিম খ্রিষ্টীয় মিশনারি দ্বারাই প্রভাবিত! নাস্তিক-আস্তিক ডিবেটের বিরাট গ্রুপ খুলে খ্রিষ্টান কুফফারদের ফেভারে কথিত দ্বীনি তৎপরতা চালিয়েছে এত দিন। তাই না??
.
আসল ব্যাপার হচ্ছে অল্পবিদ্যা এবং জ্ঞানস্বল্পতা। আর যদি হৃদয়ে ব্যধি থাকে তাহলে জ্ঞান থাকলেও লাভ নেই।
.
কট্টর বিজ্ঞান পন্থী এক মেরিনের ছাগল(ইঞ্জিনিয়ার) ক'দিন আগে বেশ লাফিয়েছিলো। ওই মূর্খটা বলত, সাহাবীগন উন্নত শিক্ষা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি হাতে পাননি, তাই তারা নাকি বলেছে 'পৃথিবী সমতল'। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!! এই হচ্ছে কাফেরদের বিছানো জালে আটকা পড়া মুসলিমভাইদের জ্ঞানের অবস্থা।
.
আরেক 'বাহ্যত' গুরাবাপন্থী লেখক বলেছিলেন আমরা নাকি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের মতাদর্শ প্রচার করছি। আজ তো তার এবং আমাদের স্ট্যান্ড পয়েন্ট দেখলেন...! এ সময়টাতে কিছু লোকদেরকে দেখছি,যারা কিছু না জানলেও সে বিষয়ে জ্ঞানের জাহির করতে মন্তব্য করে।
.
আরেক সাইন্সবিশারদ অনেক ভারিক্কি বৈজ্ঞানিক শব্দ ব্যবহার করে বললেন, পিথাগোরাসরা সমতল পৃথিবীর প্রবক্তা ছিলেন 😆। তাকে কোন রেফারেন্স দেখালে কাজ হবে না, মানবেন না, ভুল স্বীকারও করবেন না। তিনি যা বলেছিলেন উহাই ঠিক। অথচ আশাকরি আপনারা সবাই জানেন ব্যবিলনিয়ান এস্ট্রনমি ধার করে গোল দুনিয়ার প্রচার করে পিথাগোরাসই হন ইতিহাস স্বীকৃত প্রথম গোল্লাবাদী।
.
এই হচ্ছে তর্কবিতর্কে আগ্রহী ভাইবেরাদারদের জ্ঞানের হালত। এরা জিওস্টেশনারী কস্মোলজির খুত ধরতে হেলিওসেণ্ট্রিক-জিওসেন্ট্রিক উভয়টা মিলিয়ে খিচুড়ি মার্কা প্রশ্ন করে। জিজ্ঞেসা করে জমিন যদি সমতলই হয় তাহলে আম্রিকায় এখন রাত কেন, সর্বত্র তো একই সাথে রাত ও দিন হবার কথা। ওরা আগের ইনপুট গুলো থেকেও বের হতে পারে না। বিনোদন নিতে আসে...। এরা অনেকে বিরাট রাইটার, অনেক ফলোয়ার ফ্যানবয় আছে, গ্রুপও আছে যেখানে নাস্তিক,মুর্তাদদের সাথে বিতর্ক করে। কিন্তু এখানে এসে ট্রোল করে। আজেবাজে লিখে তর্ক বিতর্ক করতে চায়, কেউ আবার বিনোদন গ্রহন করতে আসে। ওদের বিনোদন লাভের উদাহরণ হলো এই- 'পাগলের সুখ মনে মনে, পাতা কুড়ায় টাকা গোনে'! আমরা জানি, শূন্য কলসি বাজে বেশি, তেমনি ছোট মাছ লাফায় বেশি। এরা ছোট্ট একটা কুয়োয় বাস করে, কুয়োর বাহিরে যে কিছু থাকতে পারে, সেটা ভাবতেই পারে না। কগনিটিভ ডিজোনেন্সে তো ভোগেই। উপরন্তু দলিলবিহীন ফালতু আজেবাজে লিখে আমাদেরকে নিয়ে ঠাট্টাবিদ্রুপ করতে গিয়ে ওরা আসলে নিজেকেই ছোট করে,কিন্তু সেটা তারা বোঝে না। এরা ক'দিন পর পর এসে পরিবেশকে নষ্ট করে বটে, এদেরকে দেখে সাধারণ গ্রুপ সদস্যভাইদের বিচলিত হবার কিছুই নেই। একটা বিষয় আবারো উল্লেখ করব, এই গ্রুপে মেম্বারদের সংখ্যা বাড়ছে। ১৭০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাব্লিক রেস্পন্স, পপুলারিটি প্রভৃতি আমাদের লক্ষ্য নয়, আবর্জনা মার্কা মেম্বার দিয়ে গ্রুপ ভড়বার চেয়ে ১৭০ জন সুস্থ বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন সদস্য থাকুক,সেটাই আমরা চাই। আমরা যা বলি তা সবাইকে গ্রহন করতেই হবে, এমন টা নয়। সকলের পেটে সবকিছু হজম হবে না এটাই স্বাভাবিক। এলার্জিগ্রস্তরা যেকোন সময়েই লিভ নিতে পারে। যাকে যার জন্য সৃষ্টিকরা হয়েছে, সেটা তার জন্য সহজ করা হয়েছে। সাহাবী আজমাঈন যার উপর ছিলেন সেই বিষয়বস্তুরই কথাই বলি। আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে সামনে এগিয়েই যাব ইনশাআল্লাহ। আশাকরি খুব শীঘ্রই মেইনস্ট্রিম সাইন্স তথা 'ন্যাচারাল ফিলসফির' ভ্যালিডিটি শূন্যে কাছে পৌছবে। বিশেষ করে ফিজিক্স এবং এস্ট্রোনমি। ইনশাআল্লাহ, সামনে সেই সময় আসছে যখন বিচক্ষন ও বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য কাফেরদের কথা প্রত্যাখ্যান এবং আসমানি কিতাবে বর্নিত সৃষ্টিতত্ত্বে বিশ্বাস এবং আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন ছাড়া কোন গত্যন্তর থাকবে না।
.
জেনে রাখুন, আজ যারা 'সাইন্সের' রেফারেন্স দিয়ে কথা বলে গর্ববোধ করে, 'বিশাল কিছু জানি' অনুভূতিতে ভোগে, তারা এমন কিছুর অনুসরণ করে যা প্রাচীন বাবেল শহরের হারুত ও মারুতের কাছে অবতীর্ণ কিছু বিদ্যা এবং শয়তানদের আবৃত্ত কিছু কুফরি কথার অংশবিশেষ। শয়তান মানুষকে যাদুশিক্ষা দিত,যাকে আজ ইহুদীরা নাম দিয়েছে 'কাব্বালা'। বস্তুত, এসব অপবিদ্যা এবং অপবিজ্ঞান বৈ আর কিছু নয়।

Wandering Stars


Wandering Stars

যদি সেদিন শুক্রগ্রহকে নিজস্ব ফ্রেমে না দেখতাম হয়ত সংশয়টা থেকে যেত গ্রহ(বস্তুত সবই নক্ষত্রঃকাওকাব/নজম/বুরুজ) সমূহের ব্যপারে। যেহেতু ইউটিউবে বা অন্যান্য অপেশাদার ক্ষেত্রসমূহ কাফেরদেরই।
মহান রবের প্রশংসা যিনি অপাত্রে অসম্ভব দৃশ্য অবলোকন করিয়েছেন। সেগুলো কম্পনশীল আলোক তরঙ্গ। আমরা যেরূপ খালিচোখে মিটিমিটি তারাদের জ্বলতে দেখি, সেগুলো তেমনিই মিটমিট করে কম্পমান। আর সেগুলো গোলাকৃতি নয়,ইলিপ্টিক্যালও নয় বরং ফ্ল্যাট সার্কুলার বা র্যানডম র্শেইপের। কা'বা ঘরের মতও আছে(কিউবশেপড)। চলমান একটি হাইপোথেসিস ব্যাখ্যা করে যে, তারা সমূহ আকাশ বা ফার্মামেন্ট সিলিং এর উপরস্থ বিশাল পানির সমুদ্রের উপরে অজানা কোন উপায়ে রয়েছে, আসমানের পানির surge তারকারাজির মিটমিট করার ভিজুয়াল ইফেক্ট তৈরি করে।উদাহরণস্বরূপ, পানির নিচে দিয়ে সূর্য্যের দিকে তাকালে সূর্য্যকে কম্পমান দেখা যাবে ঢেউএর জন্য। এই ফেনোমেনা একটি বিষয়কে স্পষ্ট করে যে গ্রহ বলতে মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞান যা বলে সেটার অস্তিত্বই নেই।সেটা বরং বিরাট মিথ্যা বৈকিছু নয়। কথিত গ্রহগুলো(মঙ্গল, বুধ,বৃহস্পতি ইত্যাদি) সাধারণ কম্পমান তারকার মতই চলমান নক্ষত্র। সেগুলো আদৌ কোন লিভ্যাবল টেররা ফার্মা(বাস করার উপযোগী জমিন বা ভূমিবিশেষ) নয়। সলিড কিছু নয়। আপনি আলোর মধ্যে বসবাস করবেন কি করে, যেখানে ভূমিরই অস্তিত্ব নেই বা দাড়ানোরই স্থান নাই!!??
এই সুবিশাল বৈপরীত্যপূর্ন বাস্তবতা প্রচলিত সৌরজগত বেজড ভন্ড মহাকাশবিজ্ঞানকে আবর্জনায় ছুড়ে ফেলে দেয় সেই সাথে হাজার
বছরের পুরোনো কসমোলজি অর্থাৎ জিওসেন্ট্রিক জিওস্টেশনারী ইউনিভার্স এর বিজ্ঞানকে পুনরায় সুপ্রতিষ্ঠিত করে যেটা মাত্র ৫০০ বছর আগেও বলবৎ ছিল।
চীনে ১৭০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এটা অফিসিয়ালি স্বীকার করা হত যে পৃথিবী সমতল ও স্থির। পরবর্তীতে জেসুইত অর্ডারের তোপে পড়ে জোড় করেই বদলে প্রতারনাপূর্ন কোপার্নিকান হেলিওসেন্ট্রিক মডেলে নিয়ে আসে। অর্থাৎ আমরা আছি ফ্ল্যাট প্লেইন সার্ফেসে কিন্তু খাতা কলমে কল্পনায় মানছি যে পৃথিবী বনিবনিয়ে ঘুরছে আর অনন্তের পথে ছুটে চলছে আর উহার আকৃতি গোলক বল বিশেষ।
আর জিওস্টেশনারী ফ্লাট প্লেইন আল্লাহ রাসূল (সঃ) ও সর্বোপরি কুরআনের 'প্রত্যেকটি' আয়াতকে দৃঢ়ভাবে সত্যায়ন করে। মজার বিষয় হচ্ছে বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন এই কসমোলজিক্যাল প্যাটার্ন এক মহান সৃষ্টিকর্তার অনিবার্য ও অপরিহার্য অস্তিত্বের বিদ্যমানতাকে ধর্মতাত্ত্বিক দর্শনের নির্ভরতা ছাড়াই নিশ্চায়ন করে। বস্তুত, একারনেই অতীতে নাস্তিকদের আনাগোনা খুব কম ছিল এবং সকল সমাজ ধর্মভীরু ও আধ্যাত্মবাদের দিকে ঝুকে ছিল। যেটা বর্তমান নয়া সভ্যতা কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধকার যুগ বলে আখ্যা দেয়। অপরদিকে নব উদ্ভাবিত হেলিওসেন্ট্রিক বিজ্ঞান নাস্তিকতাবাদকে অফিশিয়ালি প্রমোট করে। অনেক বিগগ্যানী নিযুক্ত আছে যারা স্পষ্টভাবে বলছে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই। অনেক মহাকাশ গো এষণা সংস্থা নিযুক্ত আছে শুধুমাত্র থিওরাইজড মিথ্যাচারকে হলিউড থেরাপি ব্যবহার করে ভিডিও ও ভুয়া দালিলিক পন্থায় প্রচার করে। এরকমই লিডিং এজেন্ট হচ্ছে নাসা। আপনি ওদের পেইজে গিয়ে ওদের প্রচারবিরোধী কিছু লিখে কমেন্ট করেই দেখুন ,আট দশ জন নিযুক্ত আছে যারা গোঁজামিল দিয়ে এটা সেটা বলে আপনার মুখে হাড্ডি গুজে দিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য(ওরা অবশ্য আমার সাথে সেটা করতে সমর্থ হয়নি। একাধিকবার ওরাই উলটো দীর্ঘ তার্কিক সংলাপের পরে পশ্চাৎদেশে বাশ পেনেট্রেটেড হয়ে ভেগেছে) প্রস্তুত আছে । সেখানে কিছু পেইড এজেন্ট এডমিন প্যানেলে আছে।
 ওরা বেশি উদ্বিগ্ন হয় যখন কোন মুসলিম ওদের মতাদর্শ বিরোধী কমেন্ট হাকায়। কারন, আরবরা সর্বক্ষেত্রে প্রথম টার্গেট। এত বছরের দীর্ঘ সাধনায় ওরা যে ব্রেইনওয়াসিং এর কার্যে সফল হয়েছে, সেটা থেকে বিফল হওয়া বস্তুত সীমাহীন ব্যর্থতা। এটা ওরা হতে চায়না। আর কাফেররা সবসময়ই চায় ইব্রাহীমের(আ) দ্বীনের অনুসারীরা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের বিষয়ে সন্দেহে নিপতিত হোক। এবং মৌলবাদ থেকে বের হয়ে সর্বধর্মপালনকারী/
ধর্মনিরপেক্ষ(সেকুলার) হোক। জিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনোমিকাল মডেল নাস্তিকতার নোশনকেই মাটি চাপা দেয়।ওদের এলার্জিটা এখানেই। আর ঐ হাদিসটা মনে আছে যে দাজ্জাল বের হবার কিছু বছর পূর্বে সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্য বলে প্রচার চলবে? এজন্য মিথ্যার প্রচারনায় সর্বকালের তুলনায় এখন তুঙ্গে আছে। ফিতনা এতটাই মাথা চাড়া দিয়েছে যে কিছু মুসলিমরা আজ কুরআনের আয়াতের উলটো ব্যাখ্যা দিয়ে মেইন্সট্রিম কুফরি বিজ্ঞানের সাথে প্যাচাচ্ছে। ওরা শয়তানি এই বিজ্ঞানকেই কুরআনের আয়াতকে ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠা করছে।এটাও বলে প্রচার করছে যে 'দেখ আমাদের কুরআন কতটা আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত','১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর নবী (স) কি করে এই মহাকাশ বিজ্ঞানের ব্যপারে বলেছেন যা এখন কাফেররা নব নব প্রযুক্তি দিয়ে আবিষ্কার করছে(!)' হক্ককে বাতিল দ্বারা মোড়ানোর দরুন বর্তমান সময়ের মডারেট মোজলেমদের সকল 'জ্ঞানগম্ভীর' লেখনীকে বিনা বাক্যে রিজেক্ট করি।সেগুলো কিছু অচল গার্বেজ বৈকিছু নয়। বস্তুত তারা কুরআনকে ব্যবহার করেই মিথ্যাচার করছে, অথচ নিজেরাই বুঝতে পারছেনা।
বর্তমান সময়ে এরূপ ইল্মবিহীন ডিজুস, মোডারেট, তালিবুলইলমদের বিজ্ঞানকেন্দ্রিক বিবিধ দূষনে দুষ্ট যেসব লেখনীগুলো পড়েন তা কোন নামজাদা প্রখ্যাত আলিম উলামাদের দ‌্বারাও স্বীকৃত নয়। আর কোপার্নিকাসের জন্ম পূর্বের মুহাদ্দিস মুফাসসির স্বীকৃত তো নয়ই। আর বিগত যুগের সৌদি আরবের অধিকাংশ আলেমসমাজও হেলিওসেন্ট্রিক বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়েছেন। কুরআনের আল্লাহর সৃষ্টিতত্ত্ব সংক্রান্ত আয়াত গুলোর একটাও হেলিওসেন্ট্রিক এভারেক্সপ্যান্ডিং ইউনিভার্সের পক্ষে বলেনা বরং এমন কন্ট্রাডিক্টরি তথ্য দেয় যা কট্টর বিজ্ঞান মনা মোজলেমরা সচেতনভাবে পড়লে বিব্রত হবে ও সন্দেহে আপতিত হবে।
প্যাগান মিথিক্যাল দেবতা হেলিওর ব্যপারে শুনেছেন!
প্যাগান সানগড হোরাসের ব্যপারে জানেন!
হিন্দুদের সূর্যপূজার ব্যপারে নিশ্চয়ই জানেন!
উইকিপিডিয়া তে সার্চ দিন, সাইন্টিজম লিখে।
তারা যে সাইন্সের উপর আস্থাশীল, সেটা তো একটি নিউ রিলিজিয়াস মুভমেন্ট ছাড়া কিছু না।একটি স্বতন্ত্র দ্বীন।

আসমানি সমুদ্রে সন্তরণরত তারকারা

আসমানি সমুদ্রে সন্তরণরত তারকারা

একদমই সাধারণ ফোন ক্যামেরা দিয়েই ভাসমান তারকারাজিদের দৃশ্য ধারন করা যায়। এটা কথিত শুক্রগ্রহ!
তারকাদের দেখলে মনে হয় যেন সেসব পানিতে ভাসছে, অথবা পানির স্তরের ভেতর দিয়ে আমরা দেখি। শক্তিশালী ক্যামেরা এবং টেলিস্কোপিক ফুটেজে সেটা আরো পরিষ্কার বোঝা যায়। খালি চোখেও অনুধাবনযোগ্য। একইরকম দৃশ্য চন্দ্রের ক্ষেত্রেও। যাকে লুনারওয়েভ বলা হয়। চাদের উপরে ও আশেপাশে থেকে সুস্পষ্টভাবে জলরাশির প্রশান্ত তরঙ্গ প্রবাহিত হতে দেখা যায়। চাঁদ সূর্য, নক্ষত্র সকলেই আসমানের সমুদ্রে সন্তরনশীল।
তারকারাজির অবস্থান আমাদের নিকটতম প্রথম আসমানে।
.
যেমনটি আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেনঃ
.
إِنَّا زَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِزِينَةٍ ٱلْكَوَاكِبِ
Indeed, We have adorned the nearest heaven with an adornment of stars(37:6)
.
এক্ষেত্রে আমরা কুরআন পড়লেও সেটা মুখে মানি, ইয়ে মানে আন্তরিকভাবে না। যার জন্য বিশ্বাস করি, তারকারা সূর্যস্বরূপ বস্তু যা মহাকাশের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে, কাব্বালা যাদের থেকে এসেছে তাদের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভক্তির ফলে।
.
আল্লাহ বলেনঃ
"সূর্যের পক্ষে সম্ভব না চন্দ্রের নাগাল পাওয়া এবং রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে সাঁতার কাটে"(৩৬:৪০)
.
ইমাম ইবনে জারীর(রঃ) এর ইতিহাস গ্রন্থের প্রথম খন্ডে উল্লিখিত অত্যন্ত দুর্বল একটি হাদিসে এ আয়াতের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাওয়া যায়ঃ
.
At-Tabari who cites traditions from Muhammad(SAW) and his companions:
The other report, referring to a different concept, is what I was told by Muhammad(SAW) b. Abi Mansur- Khalaf b. Wasil- Abu Nu'aym- Muqatil b. Hayyan- Ikrimah: One day when Ibn `Abbas was sitting (at home or in the mosque), a man came to him and said: Ibn `Abbas, I heard Ka'b, the Rabbi, tell a marvelous story about the sun and the moon. He continued. Ibn `Abbas who had been reclining sat up and asked what it was. The man said: He suggested that on the Day of Resurrection, the sun and the moon will be brought as if they were two hamstrung oxen, and flung into Hell. `Ikrimah continued. Ibn `Abbas became contorted with anger and exclaimed three times: Ka'b is lying! Ka'b is lying! Ka'b is lying! This is something Jewish he wants to inject into Islam. Allah is too majestic and noble to mete out punishment where there is obedience to Him. ...................He continued.
Every day and night, the sun has a new place where it rises and a new place where it sets . The interval between them from beginning to end is longest for the day in summer and shortest in winter. This is (meant by) Allah's word: "The Lord of the two easts and the Lord of the two wests," meaning the last (position) of the sun here and the last there. He omitted the positions in the east and the west (for the rising and setting of the sun) in between them. Then He referred to east and west in the plural, saying; "(By) the Lord of the easts and wests." He mentioned the number of all those springs (as above).
He continued. Allah created an ocean three
farsakhs (18 kilometers) removed from heaven. Waves contained, it stands in the air by the command of Allah. No drop of it is spilled. All the oceans are motionless, but that ocean flows at the rate of the speed of an arrow. It is set free to move in the air evenly, as if it were a rope stretched out in the area between east and west. The sun, the moon, and the retrograde stars RUN IN ITS DEEP SWELL .
THIS IS (MEANT BY) Allah'S WORD: " Each swims in a sphere ." "The sphere" is the circulation of the chariot IN THE DEEP SWELL OF THAT OCEAN . By Him Who holds the soul of Muhammad in His hand! If the sun WERE TO EMERGE FROM THAT OCEAN, it would burn everything on earth, including even rocks and stones, and if the moon were to emerge from it, it would afflict (by its heat) the inhabitants of the earth to such and extent that they would worship gods other than Allah . The exception would be those of Allah's friends whom He would want to keep free from sin.
Ibn `Abbas said that `Ali b. Abi Talib said to the Messenger of Allah : You are like my father and my mother! You have mentioned the course of the retrograde stars ( al-khunnas ) by which Allah swears in the Qur'an, together with the sun and the moon, and the rest. Now, what are al-khunnas? The Prophet replied: `Ali, they are five stars: Jupiter ( al-birjis ), Saturn ( zuhal ), Mercury ( `utarid ), Mars ( bahram ), and Venus ( al-zuhrah ). These five stars rise and run like the sun and the moon and race with them together . All the other stars are suspended from heaven as lamps are from mosques, and circulate together with heaven praising and sanctifying Allah with prayer. The Prophet then said: If you wish to have this made clear, look to the circulation of the sphere alternately here and there. It is the circulation of heaven and the circulation of all the stars together with it except those five . Their circulation today is what you see, and that is their prayer. Their circulation to the Day of Resurrection is as quick as the circulation of a mill because of the dangers and tremors of the Day of resurrection. This is (meant by) Allah's word: "On a day when the heaven sways to and fro and the mountains move. Woe on that day unto those who declare false (the Prophet's divine message)."
......
"
.
হযরত ইবনু আব্বাস(রাঃ) থেকে বর্নিত আছে যে একটি লোক জিজ্ঞেস যে, "হে আল্লাহর রাসূল(সঃ)! এই আকাশ কি?" তিনি উত্তরে বলেন,"এটা হচ্ছে তরঙ্গ, যা তোমাদের হতে বন্ধ রাখা হয়েছে।"
হাদিসটি মুসানাদে ইবনে আবি হাতিমে বর্নিত হয়েছে।
(তাফসীর ইবনে কাসীর-পারা ১৭-সূরা আম্বিয়া এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)
.
আসমান যমীনকে পানি বা সমুদ্র বেষ্টন করে আছে। যমীনের উপর গম্বুজাকৃতি ছাদের উপরে এবং বিস্তৃত শয্যাস্বরূপ যমীনের নিচে।
.
আসমান ও যমীন স্থির। এটা সাহাবীদের খুবই কমন বিশ্বাস। হযরত উমার(রাঃ) প্রায়ই আল্লাহর শপথ করে বলতেন "আল্লাহ্‌র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে"
যেমন নিম্নোক্ত হাদিসেঃ
.
হাসান ইবন আলী ও মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্‌ইয়া ইবন ফারিয মা'না (রহঃ) ......... মালিক ইবন হাদাসান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা উমার (রাঃ) দিনের কিছু অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর আমাকে ডেকে পাঠান। আমি তখন তাঁর কাছে উপস্থিত হই এবং তাকে চাদর শূন্য একটা বিছানার উপর উপবিষ্ট দেখতে পাই। যখন আমি তাঁর কাছে পৌছাই, তখন তিনি আমাকে বলেনঃ হে মালিক ! তোমার সম্প্রদায়ের কিছু লোক আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের কিছু মাল দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এখন তুমি তা তাদের মাঝে বণ্টন করে দাও। আমি বললামঃ আমাকে বাদ দিয়ে যদি অন্য কাউকে একাজের নির্দেশ দিতেন, (তবে ভাল হতো)। তখন তিনি বললেনঃ তুমি-ই এ দায়িত্ব গ্রহণ কর। এ সময় ইয়ারফা (রাঃ) সেখানে হাযির হয়ে বলেনঃ হে আমীরুল মু'মিনীন ! আপনার নিকট উপস্থিত হওয়ার জন্য উছমান ইবন আফফান (রাঃ), আবদুর রহমান ইবন আওফ (রাঃ), যুবায়র ইবন আওয়াম (রাঃ) এবং সা'দ ইবন আবী ওয়াককাস (রাঃ) অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তাদেরকে আমার কাছে আসতে দাও।...........……………….…………………………………………………………………………………
মালিক ইবন আওস (রাঃ) বলেনঃ আমার ধারণা আব্বাস (রাঃ) এবং আলী (রাঃ) এ ব্যাপারের জন্য পূর্বোক্ত ব্যক্তিদের আগেই প্রেরণ করেন। তখন উমার (রাঃ) বলেনঃ ব্যস্ত হবেন না, ধৈর্য ধরুন, শান্ত হন। অতঃপর তিনি ,উছমান (রাঃ) ও অন্যদের সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের সেই আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যাঁর হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে। আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা (নবীরা) কোন মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদকা। তখন তাঁরা বলেনঃ হ্যাঁ।……………………………………………………………
………… অতঃপর তিনি উমার (রাঃ) তাঁদের সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের সেই আল্লাহ্‌র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন কায়েম আছে, আপনারা কি এটা অবগত আছেন ? তখন তাঁরা বলেনঃ হাঁ। তখন তিনি আব্বাস (রাঃ) ও আলী (রাঃ) কে সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের উভয়কে সেই আল্লাহ্‌র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে, আপনারা কি এটা অবগত আছেন ? তখন তাঁরা (দু'জনে) বলেনঃ হ্যাঁ।…………………
………………………………
.
বইঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ১৪/ কর, খাজনা, অনুদান ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সম্পর্কে, হাদিস নম্বরঃ ২৯৫৩
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
.
আসমান জমিনের স্থবিরতার কথা মহান আল্লাহ নিজেই জ্যোতির্ময় কুরআনে ইরশাদ করেছেনঃ
إِنَّ اللَّهَ يُمْسِكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ أَن تَزُولَا وَلَئِن زَالَتَا إِنْ أَمْسَكَهُمَا مِنْ أَحَدٍ مِّن بَعْدِهِ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا
.
নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? তিনি সহনশীল, ক্ষমাশীল(সূরাঃ ফাতিরঃ৪১)
.
এটা সেই আয়াত যা দিয়ে সাহাবীগন(রাঃ) তৎকালীন সময়ে 'আসমান ঘুরছে' এরূপ ভ্রান্ত বিশ্বাসকে রিফিউট করতে দলিল হিসেবে ব্যবহার করতেন। প্রমান করতেন আসমান স্থির আছে। একইভাবে আজ ১৪০০ বছর পরে আজ যখন কাফেররা যমীনকে ঘূর্ননরত এবং চলমান বলছে আমরা সেটাকে গ্রহন করেই ক্ষান্ত হইনি। কুরআন দিয়েও জাস্টিফাই করছি। দলিল বানাচ্ছি ৩৬:৪০ নং আয়াতকে। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!



কুরআন হাদিসে উল্লিখিত কোন একটা দলিলও কাব্বালিস্টিক কস্মোলজি বা কস্মোজনীর সাথে কম্প্যাটিবল নয়। সাহাবীগনের বক্তব্য এক্ষেত্রে সুস্পষ্ট সাক্ষ্য দেয়। তবে এ যুগের মানুষের যুক্তি দিয়ে অনেক কিছুই সম্ভব। যখন গ্রেসীয়-ব্যবিলনিয়ান অপবিদ্যা আরবে প্রবেশ ঘটে তখন থেকেই সব কস্মোলজি বিকৃত হতে শুরু করে। এমনকি আলেমদের মধ্যে যারা গ্রীক বিদ্যার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়েছেন তারাও নবাগত পিথাগোরিয়ান কস্মোলজির সাথে মিল রেখে সমতল শয্যারূপ জমিনকে গোলাকৃতি বানিয়ে দিলেন। আজকের যুগে তাদের সেই বানীগুলো বড় বড় ঢাল বনে গেছে ক্লোজড মাইন্ডেড মুসলিম বা মোডারেট মুরজিয়াদের কাছে। নবী(সাঃ) এর সাহাবীদের কথা গুলোর চেয়েও সেসব বড় দলিল তাদের কাছে। আমরা যদি এরকম কোন কিছুর ব্যাখ্যার সম্মুখীন হই যার সাথে নবী(সঃ) এবং সাহাবীদের কোন মিল নেই বা তা ভিন্ন কোন চিন্তা ধারা প্রকাশ করে, তবে আমরা অবশ্যই আল্লাহ ও তার রাসূল(স) এর দিকে প্রত্যাবর্তন করব। তাদের কথার বিপরীতে যাই আসুক, তা কস্মিনকালেও গ্রহনযোগ্য নয়। আল্লাহ বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَطِيعُواْ اللّهَ وَأَطِيعُواْ الرَّسُولَ وَأُوْلِي الأَمْرِ مِنكُمْ فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللّهِ وَالرَّسُولِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلاً
.
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম(আন নিসাঃ৫৯)
.
একজন ব্যক্তি যে কিনা খালি চোখেই নিকটতম আসমানে লুমিনারি ও চন্দ্র সূর্যদের ভাসতে দেখে, স্বীয় দৃষ্টি দিয়েই তাবুর ন্যায় সুবিশাল ছাদস্বরূপ আসমানকে দেখতে পায়, স্থির বিস্তৃত শয্যাস্বরূপ জমিনের উপরে বিচরণ করে এবং সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে প্রেরিত কিতাবের বানী পাঠ করে, তার ব্যাখ্যায় হাদিসও অধ্যয়ন করে, যার মাঝে সেসবের সুস্পষ্ট সরল ব্যাখ্যা এবং বর্ননা রয়েছে, সে কি করে যাদুশাস্ত্র এবং শয়তানের আনিত কুফরি বিদ্যার অনুসরন করে! /?
.
অধিকাংশই নিজ খেয়ালের অনুগামী। যারা এ বিষয়ে লেখালেখির ব্যপারে অসন্তোষবোধ করে, তারা মুখে যতই অস্বীকার করুক না কেন, কুফফারদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কুফরি দর্শনকেই মেনে চলতে ভালবাসে।
আমরা কারো উপর যা প্রকাশ করছি তা জোড় করে চাপিয়ে দিতে চাই না। যাকে যে উদ্দেশ্যে এবং গুন দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে, সে সেদিকেই ধাবিত হবে।

অকাল্ট প্যাগান থিওলজি এবং সুফিজম





অকাল্ট মিস্টিক্যাল ডক্ট্রিনগুলো হঠাৎ করে এত জনপ্রিয়তার পেছনে কাজ করছে ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন এজেন্ডা।এই গ্লোবাল এসোটেরিক এজেন্ডা মিথ্যা মসীহের ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভার্মেন্ট প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিশ্বাসগত মতপার্থক্যরোধে ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন তৈরির লক্ষ্যে নিবিড়ভাবে সারাবিশ্বে নানা নামে আম্ব্রেলা সংগঠনরূপে কাজ করে যাচ্ছে। আমি পূর্বেও আলোচনা করেছি,এরা প্রাচীন প্যাগানিজমকে পুনরুজ্জীবিত করছে যা খ্রিষ্টানদের তোপে কিছু শতাব্দী লুকায়িত ছিল। ওই বিশেষ শ্রেণীর কাফেররা প্রাচীন গ্রীক-ইজিপশিয়ান ও ব্যবিলনিয়ান যাদুকর-জ্যোতিষীদের যাদুবিদ্যাকেন্দ্রিক প্যাগান অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ বা দর্শনকে পছন্দ করে।

 যেমন প্লেটোনিক মতবাদ, এখন নিওপ্লেটোনিজম চালু হয়েছে, পিথাগোরিয়ান অকাল্টিজম, ওই সময়কার হারম্যাটিসিজম,হেলেনিজম,স্টয়িসিজম ইত্যাদি। জুডিও ব্যবিলনিয়ান অশ্লীল কিতাব জোহার বেজড কাব্বালাও সিমিলার মতাদর্শ ক্যারি করে, যার জন্য সকল মিস্টিক্সরা একে অন্যের প্রতি অত্যন্ত সহনশীল ও শ্রদ্ধাশীল এবং পরিবারস্বরূপ। বর্তমান প্রতিষ্ঠিত এস্ট্রোনোমিকাল মডেল, এমনকি পৃথিবীর স্ফেরিক্যাল মডেল প্রাচীন প্যাগান বিখ্যাত গ্রীক মিস্টিক মনীষীদের চিন্তা থেকেই আসে।তখনকার মেইনস্ট্রিম কসমো ছিল জিওসেন্ট্রিক জিওস্টেশনারী ফ্ল্যাট আর্থবেজড,সারা পৃথিবীতে যাদুকরদের আনিত ওই তত্ত্ব ছিল হেরেটিক। কিন্তু পিথাগোরাস, প্লেটোর অনুসরনে ও প্রভাবে অন্যান্য এস্ট্রোনমাররা এর ব্যপারে ভাবতে শুরু করে।

 খ্রিষ্টান শক্তি তাদের এই স্ফেরিক্যাল থিওরিকে প্যাগান থিওরি বলে রিজেক্ট করে,যেহেতু গ্রীক মনীষীরা আগে থেকেই কুফরি মতবাদ আর জাদুবিদ্যার ধারক-বাহক ছিল। প্রত্যেক গ্রীক মিস্টিক-মনীষীরাই ছিলেন জাদুবিদ্যার কারিগর। তারা ইউনিভার্সের সিক্রেট জানার ব্যপারে অবসেসড ছিলেন, যা তাদেরকে জাদুবিজ্ঞানের দিকে হাটায়। তাদের মতবাদভিত্তিক অপবিজ্ঞান ছিল  যাদুর গুহ্য মেকানিজম। এস্ট্রলজি-আলকেমিতে ছিল সিদ্ধহস্ত।ওটাই ছিল সমুচ্চ জ্ঞান এবং বিজ্ঞান।

গ্রীক মিস্টিসিজম গুলোর কমন গ্রাউন্ড ছিল মনিজম অথবা নন ডুয়ালিজম আরবিতে ওয়াহদাতুল উজুদ, বাংলায় 'স্রষ্টা সৃষ্টির এক অস্তিত্ব' । এটা হচ্ছে ওদের বিলিফ সিস্টেমের কার্নেল। আপনি নন ডুয়ালিস্ট না হয়ে হয়ত সর্সারিকর্মে সফল হবেন না।এসকল মতবাদে বিশ্বাসী উইচদের হাতে পেলেই খ্রিষ্টান ক্ষমতাসীন সমাজে রাজারা কঠিন শাস্তি দিত, সেই সাথে ওদের এসোটেরিক ডগমাও উৎপাটিত হত। আরবরা অনেক দেরীতে গ্রীক ফিলসফি হাতে পায় এবং নিছক কৌতূহলপ্রবন হয়ে সেসবকে আরবিভাষায় অনুবাদ করে, ফলে আরবরা তথা মুসলিম বিশ্বে আলকেমির ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ওয়াহদাতুল উজুদের জন্ম হয়, জন্ম হয় সুফি অকাল্টিজম বা ইসলামিক মিস্টিসিজম!

 যারাই কৌতূহল নিয়ে এতে একবার ঢোকে, নিকৃষ্ট কাফের হয়ে বের হয়, ওই মানের কুফরি ও শিরকি আকিদা, যা ফেরাউনও করেনি। মুসলিম এস্ট্রোনমারগন গ্রীক কস্মোলজিকে জ্ঞানের উৎস মনে করে গ্রহন করতে শুরু করে, ইসলামে সর্বপ্রথম স্ফেরিক্যাল আর্থ ঢুকে পড়ে। তখনও সেটা প্রতিষ্ঠিত নয়। ততদিনে রিফর্মেশন এজ চলে আসে, এই রেনেসাঁর যুগে খ্রিষ্টান মৌলবাদীদের এক অংশ দুর্বল হয়ে পড়ে, যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশ ঘটে চার্চ আর শাসনব্যবস্থা বিকেন্দ্রীভূত হয় এবং সেকুলারিজমের উন্মেষ ঘটে। সেইসাথে পশ্চিমে নেতিয়ে পড়া প্রাচীন প্যাগানিজম আবারো জাগ্রত হয়। উইচক্রাফট, সর্সারি, স্যাটানিজম বাড়তে থাকে, জেসুইট অর্ডার কস্মোলজিকে পাল্টে দেয়। জাদুবিদ্যার ধর্ম অর্থাৎ প্যাগান আধ্যাত্মবাদ আস্তে আস্তে আবারো শক্তি ফিরে পায়, এস্ট্রলজির প্রসার সমাজে বাড়তে থাকে।শয়তানের পূজারীরা বিভিন্ন নামে বিভিন্ন দেশে সেসব অকাল্ট মিস্টিসিজম এর প্রসার শুরু করে। পশ্চিমারা  ইস্টার্ন মিস্টিসিজমকে সমৃদ্ধ আর প্রাচীন হিসেবে দেখে সেটাকেই গ্রীকের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় যার প্রভাবে ম্যাডাম হেলেনার থিওসফি গঠিত হয়, পরবর্তীতে ফ্রিম্যাসন, গোল্ডেন ডন, অর্দো টেম্পলি ওরিয়েন্টিস চলে আসে। এই প্যাগান শাখা প্রশাখা বেড়ে আজ নিউএজ মুভমেন্ট-কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম(কোয়ান্টাম ম্যাথড বাংলাদেশে) পর্যন্ত এসেছে। ইস্কনরাও সাথে আছে। এদের কমন কাল্ট রিচুয়ালের একটি হচ্ছে যোগধ্যান যা ওই গ্রীক প্যাগানিজমসহ সকল প্যাগান ডক্ট্রিনে ছিল।

এখন মোটামুটি ধর্মগুলোকে একীভূতকরনের সময় এসেছে, তাই কমনগ্রাউন্ড মেডিটেশনে সব মানুষকে ডাইভার্টের চেষ্টায় আছে এলিটরা। বাংলাদেশে এরই প্রেক্ষাপটে একবার যোগধ্যানের উপর ট্যাক্স আরোপ করেছিল সরকার,যাতে কুফরের জাহাজ কোয়ান্টাম ম্যাথড,ইস্কনরা আন্দোলনে নামে এবং জনগনের দৃষ্টি মেডিটেশন এর উপর পড়ে এবং এর ব্যপারে ভাবে। তখনই আমি প্রেডিক্ট করেছিলাম সরকারীভাবে খুব শীঘ্রই মেডিটেশন প্রচারের জন্য কোন উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেটাই সত্য হলো।তাগুত সরকারের বিটিভি যোগধ্যানের প্রোগ্রাম চালু করেছে।
দেখুনঃ http://banglamail71.info/archives/5320

আশা করি সামনে ক্যাম্পেইন শুরু করবে অফলাইনে..।
এই আধ্যাত্মবাদের অনেক প্রাচীন গোড়াযুক্ত। সেটা সারাপৃথিবীতে প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছিল শয়তানের। এ স্বপ্ন পূরন করছে দাজ্জালের মাধ্যমে। এখন এস্ট্রলজিক্যাল ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এ্যাকুরিয়াস এজ চালু হয়েছে। এই গোল্ডেন এজই ইবলিসের মতাদর্শকে পূর্নতাদানের শতাব্দি। এই মতাদর্শের পূর্নতাদানের জন্য একজন মাস্টারের বা ওয়ার্ল্ড টিচারের অপেক্ষা করছে এসোটেরিক এজেন্ডা, যাকে আমরা বলি দাজ্জাল।
ইসলাম শুরু থেকেই এই মতবাদের ভাইরাসকে কঠোর হাতে দমন করত, অতীতে এক কাব্বালিস্ট যাজকও জোড়পূর্বক শাস্তির ভয়ে মুসলিম হতে বাধ্য হয়। মানসুর হাল্লাজের কি হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি, ইবনে আরাবির ব্যপারে হক্কপন্থী উলামাগন ওই যুগেই কি বলতেন সেটা আমরা জানি। আজও ইসলামিক মিস্টিকদের(সুফিবাদিরা) কে, এর অনুসারীরা ছাড়া কেউই ভাল বলেনা। খ্রিষ্টান থেকে নস্টিসিস্টদের জন্ম। আর ক্যাথলিকরা এদের প্রতি সহনশীল, পশ্চিমে আজ খ্রিষ্টান ধর্মকেই বিভিন্নভাবে মডিফাই করে স্পিরিটিজমে ধাবিত করা হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ খ্রিষ্টানরা ইস্টার্ন মিস্টিসিজম গ্রহন করেছে। অনেক হাইব্রীড রিলিজিয়াস মুভমেন্ট গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ কাফের খ্রিষ্টানরা বড় কুফরিকে বেছে নিয়েছে এবং অপেক্ষা করছে ওদের শেষ বুদ্ধের!
.
আজ পৃথিবীর সর্বাধিক সমৃদ্ধ গুহ্যবাদ হচ্ছে ইস্টার্ন অকাল্টিজম বা ধর্মচক্রের রহস্যবাদ(যোগ-তন্ত্র), আমরা যারা এর ব্যাকগ্রাউন্ড খুব বেশি জানিনা তারা একে আপাতদৃষ্টিতে হিন্দুত্ববাদ বলে মনে করি। আসলটা সরাসরি শয়তান থেকে আসা। শুনলে অবাক হবেন, এল মোরিয়া আর খুতুমি নামের দুই শয়তান জ্বীন ম্যাডাম হেলেনার কাছে সর্বপ্রথম থিওসফিক্যাল(theo+Sophia= Divine/gods wisdom) ডক্ট্রিন নিয়ে আসে।

এখন বিশ্বব্যাপী রেজারেকশ্যনকে বাতিল করে রিইনকারনেশনকে প্রমোট করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে এটাই সবচেয়ে সাইন্টিফিক ভাবে ভ্যালিড। ডেভিয়েন্ট স্কলার ইমরান নযরও জানেন দাজ্জাল রিইনকারনেশনকে সত্যরূপে প্রতিষ্ঠিত করবে( তার এক লেকচারে শুনেছিলাম)। এ মুহূর্তে পিউর মনোথেইজম বা তাওহীদের ধর্ম 'ইসলাম' হচ্ছে কুফফার তাগুতদের মিশন বাস্তবায়নে কাটা। বিভিন্নভাবে মোডারেট ইসলামিস্ট ব্যবহারের দ্বারা জিহাদিদেরকে জঙ্গি সন্ত্রাসী সাব্যস্ত করতে সক্ষম হয়েছে, এবার সুফি/বেলেরভী/শিয়াদের সহায়তায় রিইনকারনেশন বা পুনঃজন্মবাদকে এস্ট্যাবলিশের কাজ চলছে। এক বেলেরভীদের  সাক্ষাৎকারে দেখেছি তারা রিইনকারনেশনকে ইতোমধ্যে ইসলামের আঙ্গিকে দ্বারা ভ্যালিড করেছে!! আশা রাখব, সামনে বিটিভি সহ তাদের এল্যাইরা মাঠপর্যায়ে রিইনকারনেশনের ভ্যালিডিটি আনয়নের জন্য সুফি বেরেলভীস্টদের থেকে সাহায্য আসবে। সমস্যা নেই, অনেক আগে থেকেই ওয়াহদাতুল উজুদ, হুলুল, ইত্তেহাদের আকিদা অনেকের মাঝে বিদ্যমান, সেটা আকড়ে ধরতে কষ্ট হবেনা।
নয়ন চ্যাটার্জি কিছু লিখেছিলেনঃ
https://m.facebook.com/story.php…

একটা দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এখন পর্যন্ত আমি বাংলা ভাষায় কাউকেই মিস্টিসিজম/অকাল্টিজম নিয়ে এক্সপোজ করতে দেখিনি। গুহ্যজ্ঞানবাদ নিয়ে কেন জানি কাউকেই চিন্তিত দেখি না, অথচ এই বাতেনিয়্যাহরাই দাজ্জাল এর দ্বীনের প্রতিনিধিত্ব করছে। শয়তানের মতাদর্শকে প্রকাশ্যে প্রচার করছে যা তাওহীদের বিপরীত!

লেখকঃ Al Imran