Monday, December 10, 2018

Chakra, Third Eye এবং Yoga মেডিটেশন (যোগধ্যান)

সমস্ত মিস্টিক্যাল ট্রেডিশনে চক্র,এনার্জি ভাইব্রেশন এর অভিন্ন শিক্ষা দিয়ে থাকে। হোক সেটা হার্মেটিক বা কাব্বালিস্টিক বা বৈদিক অথবা তান্ত্রিক অথবা চীনা তাও। এমনকি যাদুশিক্ষার প্রথম ধাপেও এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আপনি কোয়ান্টাম ম্যাথডে গেলেও এটা মৌলিক শিক্ষা হিসেবে শেখাবে। এমনকি হলিউডেও দেখায়।
.
ডক্টর স্টিফেন স্ট্রেঞ্জ(Movie: Doctor strange) যখন নেপালে হিমালয়ের কাছে টিল্ডা সুইন্টনের(দ্য এন্সিয়েন্ট ওয়ান) কাছে দুর্ঘটনাজনিত কারনে নিজের হাতের ট্রেমরের(Hand tremor) হলিস্টিক চিকিৎসার জন্য গেলেন,তিনি ওই সর্সারিজকে তার চেয়েও চরম স্পাইনাল কর্ডের ইঞ্জুরিতে ভোগা, চিকিৎসার অযোগ্য এক লোককে সুস্থ কি করে করলেন তা জানতে চাইলেন। সর্সারিজের কথাগুলো স্টিফেনের কাছে সেলুলার রিজেনারেশন এর মত মনে হলো। তাকে জিজ্ঞেসা করলেন, "তো আপনি কি Nerve cell গুলোকে রিপ্রোগ্রাম করে self healing এর একটা উপায় বের করেছেন?" উত্তরে সর্সারিজ বলেন, "না মি. স্ট্রেঞ্জ i know how to reorient spirit to better heal the body" । "তা আমরা এটা কোথা থেকে শুরু করব?"
প্রশ্ন করলে সর্সারিজ(যাদুকারিনী/ডাকিনী) এই ধ্যান ও চক্র গুলোর ছবি দেখালেন।
অর্থাৎ এটাই একদম প্রারম্ভিক মৌলিক শিক্ষা ও চর্চা।
.
এই চক্রগুলো মূলত কি জিনিস! আর এগুলো সক্রিয় বা জাগ্রত করার মানেও বা কি?
__
ধ্যানের মাধ্যমে এসব এ্যাক্টিভেশনের প্রক্রিয়াগুলোকে কোন এক জনপ্রিয় এসোটেরিক শিক্ষার চ্যানেলের টিউটোরিয়ালে দেখছিলাম। এসব চক্রের ছবি গুলোকে ধ্যানরত অবস্থায় কল্পনা করতে বলা হয় এবং এক্টিভেট হওয়াটাও ভিজ্যুয়ালাইজ করতে বলা হয়। অর্থাৎ এগুলো সম্পূর্ণ কাল্পনিক। তবে শ্বাস-প্রশ্বাস বিশেষ নিয়মে করার সময় এ বিষয়টা কল্পনার সময় মেরুদন্ডের শেষ অংশ থেকে শুরু করে উপর পর্যন্ত বিদ্যুৎ ন্যায় কোন এনার্জি ফোর্স ফিল্ডের প্রবাহিত হবার অনুভূতির নিশ্চায়তা দেওয়া হয়। এ গা শিরশিরে অনুভূতিকে হজম করার জন্য একাধারে ১০ মিনিট করতে বলা হয়। টিচার বলছিলেন এই এনার্জির কাছে নিজেকে সম্পূর্নভাবে আত্মসমার্পন করতে। সম্পূর্ণভাবে এর অনুগত হতে হবে। সাবমিট করতে হবে। কোনভাবেই এই এনার্জেটিক এন্টিটির উপরে প্রভাব খাটানোর কথা ভাবাও যাবে না । ধ্যানের পরে 'প্রতিদিন আমি উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছি ' এ জাতীয় কিছু বাক্য বলতে হয়। ওরা প্রথম দিনে একদম জননেন্দ্রিয় বরাবর কাল্পনিক চক্র সক্রিয় করবার কথা বলে। ওরা এর দ্বারা কুণ্ডলীনি সার্পেন্ট জাতীয় এনার্জি সক্রিয় হবার কথা বলে। এটা আস্তে আস্তে উপরের দিকে তুলে সারা শরীরে access দেওয়া হয়। একই প্রসেসে যখন উপরের দিকের ২য়, ৩য়, ৪র্থ চক্র গুলো সক্রিয় করা হয় ধ্যানে ওই বৈদ্যুতিক(বা এরকম কিছু) এনার্জি জাতীয় কিছু প্রবাহের অনুভূতি আরো বাড়বে। সেটা ধাপে ধাপে মাথার দিকে উঠবে। এভাবে একে একে প্রতিটি ধাপ পেরিয়ে ৬ষ্ঠ চক্র বা থার্ড আই(ajana) সক্রিয় করতে হয়। এটা সক্রিয় করলে একরকমের এনলাইটমেন্ট ঘটে। তখন higher dimension এর দরজা সম্পূর্ন খুলে যায়, তখন স্পিরিচুয়াল বিং সরাসরি যেকোন সময় আপনার শরীরে প্রবেশাধিকারের সুযোগ পেয়ে যায়। সারাক্ষন আপনার চিন্তাভাবনা ও কাজ কর্মে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পায়। এমতাবস্থায় ধ্যানে আপনি চাইলে অজস্র স্পিরিট বিং দের দেখতে পাবেন। সে এক অন্য জগৎ। এই থার্ড আই সক্রিয় করনের দ্বারা মানুষ দূরদৃষ্টি(clairvoyance) লাভ করে। সেরকম দূরের কিছু শুনতেও পারে। আপনি চোখ বন্ধ করলেও আশেপাশে বা দূরবর্তী অনেক কিছু দেখতে পাবেন। এই ক্ষমতাকে তখন psychic ability ও এদেরকে সুপারহিউম্যান বলা শুরু হয়। ভারতের এক হিন্দু মেয়ের এরকম ক্ষমতাকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে ভিডিও পর্যন্ত করা হয়েছে। তাকে চোখ বেধে দিলেও দূরে বসে কিছু লিখলে সেটা দেখতে পায় এমনকি সামনের কারো শরীরের ভেতরের সমস্যাগুলোও বলতে পারে। দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=ZtLkzg8bFgA
.
https://m.youtube.com/watch?v=AuVipYyR23E
.
মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ এটা দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে থার্ড আই সক্রিয় করার উদ্দেশ্যে ধ্যান ইয়োগা শুরু হয়ে গিয়েছে। লক্ষ্যঃ এনলাইটমেন্ট চাই।
.
এতক্ষন যা বলেছি তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন। না বুঝলে আফসোস! উপরে বর্নিত চক্র গুলো কল্পনার দ্বারা জাগ্রত করার সময় যে এনার্জি কারেন্টের কথা বলা হচ্ছে সেটা জ্বীন ছাড়া আর কিছু না। ওরা পরবর্তীতে সরাসরি 'স্পিরিট বিং' শব্দ গুলোও ব্যবহার করে। ধ্যানের প্রতিটি চক্র এক্টিভেশনের নামে ধীরে ধীরে আপনার ও ওদের ডাইমেনশনের গেইটওয়ে খুলে দেওয়া হয়। আপনার উপর ওর স্বাধীন এক্সেস পাইয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ পজেশনের রাস্তা খুলে দেওয়া হয়। এটাকে নাম দিয়েছে চেতনা জাগ্রতকরন। কথা সত্য, অর্থাৎ আপনার মধ্যে ক্বারীন শয়তানের চেতনা জাগিয়ে তোলা হয় এবং আপনার মধ্যে ওদের যাতায়াতের পথ খুলে দেওয়া হয়। আর এ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে সফল হয় যখন কাল্পনিক থার্ডআই সক্রিয় করার নামে ধ্যান করা হয়। এখানে একটা বিষয় হচ্ছে এ অবস্থায় যাবার আগেই আপনাকে শয়তানের কাছে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে surrender করতে হবে। এজন্য ধ্যানকালে এই এনার্জির সঞ্চালনের কাছে নিজেকে সঁপে দিতে হবে।।কথিত থার্ড আই বা ষষ্ঠ চক্র যখন খুলে যাবে তখন আপনি একরকমের শয়তানের খাটি গোলামে পরিনত হবেন। সে আপনার মধ্যে আসবে যাবে। আপনার প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে, শয়তান জ্বীনের দৃষ্টি দ্বারা দূরের জিনিস আপনার চোখ বন্ধ থাকলেও পেনিয়াল গ্ল্যান্ডের দ্বারা দেখাবে। অর্থাৎ আপনার হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার প্রায় শয়তান দখলে নিয়ে নেবে। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্ল্যান্ড এবং Penial gland কে কোন এডাপ্টার হিসেবে ধরুন যা শয়তানের প্রবেশপথ তৈরি করে। হূমায়ূন আহমেদ নামের আমাদের দেশের জনপ্রিয় mystic লেখক তার উপন্যাসের বইতেও এসবের ব্যপারে মাঝেমধ্যে টেনে ধোঁয়াশা এবং কৌতূহল তৈরি করতেন। Penial gland আরো কিছু প্রক্রিয়াতেও সক্রিয় করে শয়তানের প্রবেশের দুয়ার(ডাইমেনশনাল গেইটওয়ে) খোলা যায়। যেমন বিভিন্ন সাইকাডেলিক ড্রাগ যেমনঃ আইয়োস্তকা,এলএসডি, ডিএমটি,ফিলিসাইবিন ইত্যাদি আরো কিছু। কিছু মাশরুমেও এ গুন আছে। শ্যামানরা ধ্যান না করে এই উপায়কে সবচেয়ে বেশি অবলম্বন করে।
.
শয়তানের দ্বারা possessed এ ভারতীয় শিশু মেয়েকে এক ইন্টার্ভিউয়ে প্রশ্ন করা হয়, সে কি যে কোন সময়ই চোখ বুঝলে নিজের ইচ্ছামত দূরত্বের জিনিস দেখতে পায়? উত্তরে সে বলে, সে সবসময় দেখতে পায় না। তার মনমেজাজ ভাল না থাকলে চেষ্টা করলেও দেখতে সক্ষম হয় না। এটা সবসময় তার ইচ্ছাধীন নয়।
.
থার্ড আই সক্রিয় করনে এই রূপ অলৌকিক ক্ষমতা লাভের কথা শুনে হাজারো মানুষ ঝটপট এই কাল্পনিক ভিজ্যুয়ালাইজেশন শুরু করেদেয়। তারা এমনকি আগের প্রসেস গুলোও পার করে না। অর্থাৎ শয়তানকে আপনার ইন্টেনশনের বিষয়টা না বুঝতে দিয়ে হুটহাট করতে গেলে যা হয়। আপনি তো অন্তত কয়েকদিন আপনার মধ্যে শয়তান জ্বীনকে ঘোরাফেরার সুযোগ(কাল্পনিক চক্রগুলো ব্যালেন্স করা) করে দিবেন তো। না দিলে তো ভয় দেবেই। লক্ষ লক্ষ মানুষ ধ্যানের সময় শয়তানের ভয়ংকর রূপ দেখে চরমভাবে আতঙ্কিত হয়েছে। কেউ কেউ ধ্যানের মধ্যেই ফিজিক্যাল আক্রমণের স্বীকার হয়েছে। কেউ বা হয়েছে পজেসড। দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=z-iCdeQwNFs
.
অত্যন্ত জনপ্রিয় এসোটেরিক(বাতেনি-ইল্মুল লাদুনি) এ সকল শয়তানি শিক্ষার একটা ইউটিউবের লিংক দিয়ে দিলাম। এরাই এসমস্ত কাজের শিক্ষা দেয়, আবার সরাসরি থার্ড আই ওপেন এর রিস্কের ব্যপারে সতর্ক করেও দিচ্ছে। চমৎকার কিছু তথ্য দিয়েছে। অবশ্যই দেখবেনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=-rLp3Pqj4IY
.
শেষভাগে একদম প্রকাশ্যে বলছে যে, 'এই স্পিরিট বিং রা হচ্ছে ডিমন(শয়তান), যারা এদের ভয় পায় বা আমরা যেন ভয় করি(দূরে রাখার জন্য) এজন্য এরকম নাম দিয়েছে। এরা সবসময়েই আমাদের সাথে থাকে অথচ আমরা এদের দেখতে পাই না(অর্থাৎ ক্বারিন শয়তান)। পাইনিয়াল গ্ল্যান্ডের দ্বারা এদের দুয়ার উন্মুক্তকরনের দ্বারা আমরা এদের থেকে অনেক intuition, তথ্য, জ্ঞান, সিদ্ধান্ত নিতে পারি....প্রত্যেকেরই অবশ্যই থার্ড আই জাগ্রত করা উচিত কিন্তু অবশ্যই এর জন্য প্রস্তুত হয়ে। স্পিরিচুয়াল আর ফিজিক্যাল রেল্মের মধ্যে হার্মোনি তৈরি করে বেচে থাকতে হবে.....' ইত্যাদি আরো অনেক কিছু।
.
আশা করি এবার সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারছেন এরা কি করে! এরা 'যোগ'(yoga) ধ্যান করে শয়তান জ্বীনের সাথে 'যোগ' করার জন্য। এরা চিত্রের ন্যায় আপনাকে আল্লাহর সাথে যোগ হবার জন্য ধ্যানের আহব্বান জানাবে। বস্তুত এই শয়তানের উপাসকরা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয় আপনাকে খাটি মুশরিক ও কাফির বানানোর জন্য। আর আপনিও নির্বোধের মত কোয়ান্টাম ম্যাথডের গুরুজির কাছে যান। আপনি বুজুর্গের বেশধারী সুফিপীর ফকির শয়তানগুলোর কাছে
যান মোরাকাবা শিখতে। বেলেরভীরা(উপমহাদেশীয় ছুন্নি) তো দেওবন্দীদের(কওমি) চেয়েও এসবে এগিয়ে। এজন্যই এরা শয়তানের সান্নিধ্যে গিয়ে আল্লাহর ব্যপারে আজেবাজে কথা বলে। এরা বলে ওয়াহদাতুল উজুদের(সৃষ্টি স্রষ্টার অভিন্ন অস্তিত্বের) কথা, ইত্তেহাদের(সর্বেশ্বরবাদ) কথা, হুলুলের কথা। এদের নাম মুসলিমদের মত অথচ প্যাগান যাদুকরদের মত সর্বেশ্বরবাদ, অদ্বৈতবাদ, পুনঃজন্মবাদের কথা বলে। বস্তুত, এদের অনেকেই পুনরুত্থান দিবসের ব্যপারে সন্দিহান। এরা অবাধ্য শয়তানের কথাকে মেনে নিয়েছে। আল্লাহর অস্তিত্বের ব্যপারে আজেবাজে কথা বানিয়ে প্রচার করছে।
আল্লাহ বলেনঃ
.
وَمِنَ النَّاسِ مَن يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّبِعُ كُلَّ شَيْطَانٍ مَّرِيدٍ كُتِبَ عَلَيْهِ أَنَّهُ مَن تَوَلَّاهُ فَأَنَّهُ يُضِلُّهُ وَيَهْدِيهِ إِلَى عَذَابِ السَّعِيرِ
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِن كُنتُمْ فِي رَيْبٍ مِّنَ الْبَعْثِ فَإِنَّا خَلَقْنَاكُم مِّن تُرَابٍ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ مِن مُّضْغَةٍ مُّخَلَّقَةٍ وَغَيْرِ مُخَلَّقَةٍ لِّنُبَيِّنَ لَكُمْ وَنُقِرُّ فِي الْأَرْحَامِ مَا نَشَاء إِلَى أَجَلٍ مُّسَمًّى ثُمَّ نُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوا أَشُدَّكُمْ وَمِنكُم مَّن يُتَوَفَّى وَمِنكُم مَّن يُرَدُّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْلَا يَعْلَمَ مِن بَعْدِ عِلْمٍ شَيْئًا وَتَرَى الْأَرْضَ هَامِدَةً فَإِذَا أَنزَلْنَا عَلَيْهَا الْمَاء اهْتَزَّتْ وَرَبَتْ وَأَنبَتَتْ مِن كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ
ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَقُّ وَأَنَّهُ يُحْيِي الْمَوْتَى وَأَنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍقَدِيرٌ
وَأَنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ لَّا رَيْبَ فِيهَا وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَن فِي الْقُبُورِ

.
কতক মানুষ অজ্ঞানতাবশতঃ আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে এবং প্রত্যেক অবাধ্য শয়তানের অনুসরণ করে।শয়তান সম্পর্কে লিখে দেয়া হয়েছে যে, যে কেউ তার সাথী হবে, সে তাকে বিভ্রান্ত করবে এবং দোযখের আযাবের দিকে পরিচালিত করবে।হে লোকসকল! যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দিগ্ধ হও, তবে (ভেবে দেখ) আমি তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে, এরপর জমাট রক্ত থেকে, এরপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট ও অপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট মাংসপিন্ড থেকে, তোমাদের কাছে ব্যক্ত করার জন্যে। আর আমি এক নির্দিষ্ট কালের জন্যে মাতৃগর্ভে যা ইচ্ছা রেখে দেই, এরপর আমি তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করি; তারপর যাতে তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুমুখে পতিত হয় এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে নিষ্কর্মা বয়স পর্যন্ত পৌছানো হয়, যাতে সে জানার পর জ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে সজ্ঞান থাকে না। তুমি ভূমিকে পতিত দেখতে পাও, অতঃপর আমি যখন তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন তা সতেজ ও স্ফীত হয়ে যায় এবং সর্বপ্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করে। এগুলো এ কারণে যে, আল্লাহ সত্য এবং তিনি মৃতকে জীবিত করেন এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।এবং এ কারণে যে, কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যে, কবরে যারা আছে, আল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন
(সূরা হাজ্জ্বঃ ৩-৭)

.

يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَلَا يَغُرَّنَّكُم بِاللَّهِ الْغَرُورُ
إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوهُ عَدُوًّا إِنَّمَا يَدْعُو حِزْبَهُ لِيَكُونُوا مِنْ أَصْحَابِ السَّعِيرِ

.
হে মানুষ, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। সুতরাং, পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে প্রতারণা না করে। এবং সেই প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে।শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রু রূপেই গ্রহণ কর। সে তার দলবলকে আহবান করে যেন তারা জাহান্নামী হয়। (সূরা ফাতিরঃ৫-৬)

.........
এই বিষয়গুলো অধিকাংশই জানে এরপরেও কিছু লোক শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহন করবেই।

মনিজম

শেষ যুগের চলমান ভয়াবহ ফিতনার একটি অন্যতম  হচ্ছে আসন্ন দাজ্জালের নেতৃত্ব মান্য করবার জন্য এক অভিন্ন ধর্মীয় মতাদর্শকে কেন্দ্র করে সমগ্র বিশ্ব এক ছাতার তলে চলে আসা। এ নয়া ধর্মের কমন বিষয় হচ্ছে স্পিরিচুয়ালিটি। মুসলিমদের সুফিপীরবাদ, ইহুদীদের মধ্যে কাব্বালিস্ট মিস্টিক্স,খ্রিষ্টানদের মধ্যে মোনাস্টিসিজম ও নস্টিসিজম ইত্যাদি নামে পরিচিত।

   ইব্রাহীম (আ) এর অনুসারীদের বাইরের অধিকাংশ ভণ্ড ধর্মীয় মতবাদগুলোর গভীর অনুধাবনে এই অভিন্ন স্পিরিচুয়ালিজমের এসেন্স রয়েছে। এটাকে অনেকে দর্শনও মনে করে। পাশ্চাত্যে এ বামরাস্তাকে মাঝেমধ্যে থিওসফিও বলা হয়। থিওসফির অনেক অর্গানাইজড সংগঠন পশ্চিমা বিশ্বে কাজ করছে।। এ রাস্তা এতটাই নিকৃষ্ট, যে পৃথিবীর ইতিহাসে ধ্বংসপ্রাপ্ত সভ্যতার কুফরি চর্চা, এবং  (আদম আঃ এর যুগ থেকে)ইসলামের বিরুদ্ধে থাকা কাফের শক্তির বিশ্বাস ও চর্চার এক অনবদ্য কম্পাইলেশন। সব কুফর মিলিয়ে একটি প্রতিষ্ঠিত শয়তানের ধর্মে রূপ নিয়েছে। নিউ এজ(নতুন যুগের বিশ্বদৃষ্টি),ইউনিভার্সালিস্ট,ইউনিটেরিয়ান,ইস্কন, কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম নামের হাজারো রঙ আর বর্নে বিভিন্ন দেশে কাজ করছে।

    ওরা একশ্রেণীর জাদুচর্চা শেখাচ্ছে। এক গুপ্ত বিজ্ঞানকে হজম করাচ্ছে স্পিরিট সাইন্সের নামে। ফেসবুকে মহা জনপ্রিয় পেজও আছে।
https://m.facebook.com/thespiritscience/

আমারই ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টের অনেকের লাইক এতে আছে!দাজ্জালের ফাদে পড়া কত্ত সহজ সেটা অনুমেয়! মনিজম(monism) হচ্ছে ওদের সর্বেশ্বরবাদী গুপ্ত আদর্শ। সুফিবাদের ওয়াহদাতুল উজুদের নাম শুনেছেন? সেটার ইংরেজিই এটা। এটা তাওহীদের বিপরীতের একটা সম্পূর্ণ কুফরি আকিদা। যার মূলবক্তব্য হচ্ছে সর্বেশ্বরবাদ। সালাফি আলেমরা এর ব্যপারে এত ভেতরের খবর জানলে জানি কি করত। এমনিতেই কত কিছু করে।
 বাইদ্যা ওয়ে এই আকিদা দেওবন্দ,বেলেরভীস্টদের অফিশিয়াল।https://www.deoband.org/2010/05/hadith/hadith-commentary/wahdat-al-wujud-wahdat-al-shuhud-and-the-safest-position/

এর ব্যপারে জেনে শুনে, এ পথের অনুসারীরা আছে নজরের নজরবন্দীদের মধ্যে।এ নিয়ে অন্যদিন বলব।

 শুনলে অবাক হবেন যে এ মতবাদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে খোদ জাতিসংঘ, যার বিস্তারিত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। দাজ্জালের শাসন প্রতিষ্ঠায় পুরাতন সব ধর্ম বাদ দিয়ে  ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন এ আসতেই হবে সব স্তরের মানুষদের। মজার বিষয় হচ্ছে থিওসফির ধর্মযাজকরাও সমস্বরে ওদের এক মহান মসীহ আসবার আশা ব্যক্ত করে,যিনি কিনা হবেন পৃথিবীর শিক্ষক। এ ব্যপারে সবচেয়ে বেশি চিল্লাচিল্লি করেছে বেঞ্জামিন ক্রিম।উনি চমৎকার বর্ননাও দিয়েছেন যখন দাজ্জাল আসবে কিরূপ অবস্থা হবে।

  উইকিপিডিয়ায় উল্লিখিত শিখ গুরুগ্রন্থসাহিবের এক লেখক(শয়তান জ্বীনদের সহায়তায়) বলেন, যখন এ দাজ্জাল সাহেব নিজেকে সর্বশক্তিমান রব দাবি করবে তখন মাহদি নামের কারও হাতে খুন হবে(শুদ্ধ হচ্ছে ঈসা(আ) এর হাতে)। একটা অদ্ভুত বর্ননা তিনি দিয়েছেন যে ওই সময় সূর্য আকাশে আটকে যাবে, ১২ ঘন্টায় একবার করে সামান্য নড়বে যা দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা দেবে।
উপরের কোন ব্যপারে তথ্যপ্রমান চাইলে ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব দেওয়ার জন্য।

দেওবন্দ এবং ওয়াহদাতুল উজুদ

দেওবন্দের অফিশিয়াল আকিদা ওয়াহদাতুল উজুদ নিয়ে বলছিলাম। নিঃসন্দেহে শরী'আ এর বাহিরের দিক দিয়ে গবেষনাও প্রমান করে যে তাদের এ monistic দর্শন কে বামরাস্তায় হাটার দুয়ার উন্মোচিত করে।
সালাফি মাদখালি মাদানী স্কলারগন এ নিয়ে বেশি উত্তেজিত হয়ে মাঝেমধ্যে যেন কুফরির ফতওয়াও দিতে চান আম দেওবন্দিদের।
যাহোক,এ ব্যপারটা স্পষ্ট থাকা প্রয়োজন যে এ আকিদা অধিকাংশ দেওবন্দী আলেমগন দ্বারা স্পষ্টভাবে ওয়াকিবহাল নন। এ ব্যপারে তাদের বড় একটি সংখ্যা সচেতনও নন। বিশেষ করে কওমী প্ল্যাটফর্ম এর সার্টিফাইড আলেমসমাজ।কওমী আলেমদের সাথে ওঠাবসা আছে যার জন্য এরজন্য আমিই সাক্ষী। মজার বিষয় হচ্ছে তারা আকিদার ব্যপারেও বিস্তর জ্ঞান রাখেন না।হয়ত কুরআনের হাফেজ, হানাফি ফিকহী মাস'য়ালাতে দক্ষ, কিন্তু কিছু দিকে খুব কাচা। যেন কেউ তাদের শেখায় নি। বস্তুত তাই সীমাহীন অন্ধঅনুকরন তাদের মধ্যে ব্যাপক সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে, যে ওস্তাদের কাছে ইলম শিখেছে উনি যা ভাল মন্দ বলেছে ,ব্যাস তাই! আর কোন দিকে তাকানোর দরকার নাই। এজন্য অনেক কওমী আলেম,তালেবুল ইলমদের মুখে মানসুর আল হাল্লাজ,ইবনে আরাবিদের নামের পরে রহ. উচ্চারিত হতে শুনি।
এক মুফতি সাহেবের সাথে সখ্যতা ছিল, তাকে আল্লাহ অস্তিত্ব সম্পর্কিত আকিদার ব্যপারে আলাপকালে উনি টার্মিনেট করেন এ বলে যে " আমাদের শায়েখগন এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা ঘাটাঘাটি করতে নিষেধ করেন!"
আমার খুব কাছের পছন্দের এক দেওবন্দী মুফতি সাহেবকে একদিন এ ব্যপারটি জানতে পরীক্ষা করি অজ্ঞতার ভান ধরে। তিনি শব্দটার সাথেও দেখলাম তেমন পরিচিত না। বেচারা এখন দেশের একটা স্বনামধন্য মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের অন্যতম শিক্ষক। তাকে এ ব্যপারে কিছু বলিও নি। কারন আমার উদ্দেশ্য ফিতনা তৈরি নয়। অগণিত নিষ্কলুষ তাকওয়াশীল একনিষ্ঠ বান্দা আছে দেওবন্দের। আল্লাহ তাদের চেহারাতেও বক্রতা ও কুফরির ছাপ রাখেন নি। এদেরকে চেহারা দেখেই চিনে নিতে পারি।
তবে যাদের মধ্যে এ আকিদা বিদ্যমান, তাদের হৃদয়টাও বেজায় বক্র! আর আল্লাহ চেহারাতেও সে সিল দিয়ে রেখেছেন যদিও অধিকাংশ মানুষই তা টের পায় না। যাদের মধ্যেই এসব বাতিল জিনিস বিদ্যমান এদেরকে মুভ বা শাহাবাগগুলোতে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে অন্য দিক দিয়েও গোমরাহী পরিলক্ষিত হয়।
আশার কথা যে আল্লাহর রাস্তায় কর্মরত দেওবন্দীদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যাবতীয় সংকীর্নতামুক্ত থাকতে দেখা যায়। এদেরকে সর্বোত্তম মানুষের তালিকাভুক্ত পাওয়া যায়।
ওয়াহাদাতুল উজুদ-হুলুল-ইত্তেহাদ ইত্যাদি সুফিবাদী কুফরি আকিদা নিয়ে ভেঙ্গে নতুন করে কিছু লেখবার ইচ্ছে নাই। পাকি প্রখ্যাত স্কলার ইসরার আহমেদ কহেন ওয়াহদাতুল উজুদ বিদাত স্বীকার করি, কিন্তু কুফরি স্বীকার করি না,আমি অলওয়েজ ওয়াহদাতুল উজুদের বিশ্বাসে ডুবে থাকি।
আহমদ রেজা বেরেলভীর অনুসারী তথা ভন্ড আহলে সুন্নাত জামায়াত(উপমহাদেশীয় ছুন্নি) অর্গানাইজেশন এর বিষয় টি আউট অব কাউন্ট। ওদের মধ্যে এই আকিদা আরো প্রকট।
.
#পরিশিষ্টঃ যেহেতু তাদের অধিকাংশই অজ্ঞ অনুসারী আর একত্ববাদে মৌলিকভাবে স্বাভাবিক বিশ্বাসী, সেজন্য ঢালাওভাবে কুফরি আকিদাগ্রস্ত বলে কাফের বলা বা গনহারে তাকফির করাটা খাওয়ারিজদের লক্ষন ; যেটা অনেক আইএসপন্থী আকিদা আকিদা করে চিল্লাচিল্লি করার সাথে সাথে করছে। মনে রাখা উচিৎ এক ব্যক্তিকে কাফের সাব্যস্ত করলে সে যদি তা না হয় তবে কুফরির ফতওয়া নিজের দিকে ফিরে আসে। আর অত্র পোস্টে দেওবন্দ-কওমী আনুকূল্য কিছু পাওয়াতে বা প্রশংসাতে কওমিদের আমোদিত হবার কিছু নেই।সত্য-ভালমন্দ থাকলে তা প্রকাশে সংকোচ বোধ করিনা।

ট্যারট কার্ড রিডিং

পিউর প্যাগান অকাল্ট প্রাকটিস ট্যারট পড়ার ব্যপারটি রিডারগন এভাবে ব্যাখ্যা করেন যে প্রতিটি কার্ডই স্বতন্ত্র জীবন্ত স্বত্তা। তাদেরকে(কার্ডগুলোকে) প্রশ্ন করলে রিডারের মনে টেলিপ্যাথিক কমিউনিকেশনে কার্ড গুলো থেকেই উত্তর পায়। কার্ড রিডিংএ একেক অঞ্চল ভেদে ভিন্ন হতে পারে তবে, এ বিষয়ে প্রায় সবাই এক। পূর্বের একটি পোস্টে ট্যারটের ব্যপারে অল্প বিস্তর আলোচনা করেছি। ট্যারট রিডিং এর বিষয়টা জ্বীনকেন্দ্রিক। অকাল্টিস্টরা মুখে এনার্জি, হায়ার কনসাসনেস ইত্যাদি গার্বেজ আওড়ে একটু কমপ্লিকেটেড করে। আর ট্যারট পাঠককেও স্পিরিচুয়াললি ইভলভব হতে হবে। গড়পড়তা মানুষ হলে চলবে না। এজন্য মেডিটেশন যোগ সাধনার আশ্রয় নিতে হয়। কিছুটা স্পিরিচুয়াললি এনলাইটেন্ড হতে হবে, কথিত থার্ড আই ইনেবল্ড থাকলে সহজ হয়। একেক স্পিরিচুয়ালিস্ট একেক শব্দ দিয়ে আর ব্যাখ্যা তৈরি করে বিষয়টাকে কঠিন আর রহস্যময় করে দেয়। কেউ কেউ বলে এখানে কোন ডিমনিক বিং বা জ্বীনদের হাত নেই , এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত অর্জিত আধ্যাত্মিক শক্তি।সত্য হচ্ছে জ্বীনদের সাথে যোগাযোগ ও তাদের ডেভোটেড হওয়ার ট্রেডিশনাল যে রকম নিয়মের পরিচিতি আছে এসবের বাইরে ভিন্ন প্রক্রিয়ায় জ্বীনদের রেল্মের সাথে আমাদের ত্রিমাত্রিক ডাইমেনশনের গেটওয়ে আনলক করবার মাধ্যমে এধরনের কথিত সাইকিক এবেলিটি অর্জিত হয়। পাশ্চাত্যের বেশিরভাগ চর্চা কারীই জানতেই পারেনা তাদের এ পাওয়ার সোর্স জ্বীনঘটিত। আর সাহায্যকারী জ্বীনরাও সেভাবে প্রকাশ করেনা। যাতে ফিতনার প্রসার ঘটে। প্রচার করা হয় মনের শক্তি। পাওয়ার অব মাইন্ড বা মনের গোপন শক্তি।
.
প্রতিটি মানুষের সাথেই একটি করে ক্বারীন জ্বীন বসবাস করে।এমনকি নবী (সা) এর সাথেও ছিল, তিনি তাকে দাওতাত দিয়েছিলেন যা সে কবুল করে। এর কাজ হচ্ছে মানুষকে সবসময় কুমন্ত্রণাদান আর কুকর্মের জন্য ইনভোক করা। ক্বারিনের ব্যপারে বিস্তারিত জানুনঃ
.
অদৃশ্য সহচর ক্বারীন জ্বীনকেই নিউএজার, থিওসফিস্ট অন্যন্য স্পিরিচুয়ালিস্টরা 'inner energy 'inner spirit' 'goddess' 'highher consciousness' 'inner adviser' 'higher self' 'angelic being' 'chii' সহ আরো বিভিন্ন নাম দিয়েছে।আর ক্বারিন জ্বীনদের মধ্যে শক্ত নেটওয়ার্ক আছে । আমি ওদের পরস্পরের সম্পর্কএর জালকে কোন নেটওয়ার্ক হটস্পটের সাথে তুলনা করি। প্রত্যেকেই একেকটি রাউটার- এক্সেসপয়েন্ট বা এক্সটেন্ডারের মত কাজ করে।এরা পারস্পারিক তথ্য আদান প্রদানে সাহায্য করে। কারীনের ব্যাপারে জানুনঃ
শায়েখ আব্দুল কাইয়্যুম-
https://m.youtube.com/watch?v=64IPPmpPMuM
.
https://m.youtube.com/watch?v=pPuE0OCPfpQ
ধ্যান বা অন্য রিচুয়ালের দ্বারা যখন কোন ব্যক্তি এই কারীনকে শরীরে পজেশনের জন্য ওপেন এক্সেস দিয়ে দেয় সেই সাথে দেহের ড্রাইভিং ফোর্সের আসনে বসায় তখন আমরা বাহ্যিকভাবে কিছু অলৌকিক ক্ষমতা দেখতে পাই ওই ব্যক্তির দ্বারা। যেমন লেভিটেশন(ধ্যানে শূন্যে ভাসা),টেলিকেনেসিস বা টেলিপোর্টেশন(হাতের ইশারায় দূরবর্তী জিনিস নিয়ন্ত্রন), টেলিপ্যাথিক কমিউনিকেশন,টেলিপোর্টিং(হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে দূরে এপেয়ারেন্স বা হাইপার জাম্প),ক্ল্যায়ারভয়েন্স(অন্য কোন ব্যক্তির অতীত, আর বর্তমানের গোপন বিষয় সম্পর্কে জানা),অসম্ভব শক্তি অর্জন, হাতের দ্বারা ইএমপির জাতীয় ভিন্ন মাত্রার স্পিরিচুয়াল এনার্জি বিকিরণ যা টার্গেটেড বস্তুতে শক বা আগুন ধরিয়ে দিতে পারে(যদিও সে শক্তির প্রকৃতি বা মাত্রা কোন যন্ত্র ডিটেক্ট করতে পারেনা)। বিষয়গুলি বাহ্যত দেখতে মনে হবে ঐ ব্যক্তির নিজস্ব সাইকিক এবিলিটি। কিন্তু আসলে সেটা জ্বীনঘটিত। ওই অবস্থায় সহচর জ্বীন চর্চাকারীর একরকমের অঙ্গের ন্যায় কাজ করে।এটাই শয়তানের প্রতি আনুগত্যের ফসল। পাশ্চাত্যের নিউএজার বা অন্য মানহাজের স্পিরিচুয়ালিস্টদের অনেকেই স্পেসিফিকভাবে জ্বীনদের ব্যপারে জানেনা,অথবা ভিন্নভাবে তাদের বিষয়ে ধারনা করে। এদের অনেকেই প্যারানরমাল বিষয়গুলোর বিচিত্র ব্যাখ্যা দেয়। ইতোপূর্বে মাস দুয়েক আগে শয়তান সৃষ্ট ওদের ফলস মেমরি- ম্যান্ডেলা ইফেকক্ট রিফিউট করে লিখেছিলাম। ওদের কাছে প্রকৃতির সমস্ত বিষয়ের ব্যাখ্যা ভিন্ন। শয়তান জ্বীনের দ্বারা অলৌকিক অসাধ্য সাধনকে ওরা মনের শক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করে।তাছাড়া কোয়ান্টাম ফিজিক্সের সাথে নিকোলা টেসলার কিছু চিন্তাকে কম্বাইন করে নিজেদের ন্যাচারালিস্টিক ট্রোলথট মিলিয়ে স্পিরিট সাইন্সের প্রচার করছে। যাহোক এবার ট্যারটে ফিরে আসি।ট্যারট রিডিং এর জন্যও আপনাকে নূন্যতম স্পিরিটিজমে ঢুকতে হবে।। অর্থাৎ কুফরি করতেই হবে।
তাছাড়া আব্রাহামিক ট্রেডিশনে ডিভিনেশন(ভবিষৎ বলা) শয়তানী কাজ। এক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি যদি মিছেমিছি জ্বীনদের সাহায্য ছাড়াও কারো ভবিষ্যৎ বলে গনকদের বেশে, তবে সেও আল্লাহর সাথে গায়েবের জ্ঞানের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করে কুফরি করল। আর ট্যারট কার্ডগুলো একদমই খাটি অকাল্ট এসোটেরিক সিম্বলে ভরা। আর অকাল্ট প্রাকটিস মানেই শয়তানী চর্চা আর কুফরি করা। দেখুনঃ http://www.allabouttheoccult.org/tarot-cards.htm
.
ওয়েবসাইটটির এতটুকুন বেশ স্টানিং
"The use of tarot cards does not seem to be a religion in the sense that it does not involve the worship of deities. However, in another sense, it is very much a religion (or some would say obsession) when it becomes a practice or activity that someone is completely devoted to. At some point, it can take on cultish or occultish aspects. In fact, there are many people who place tarot cards in the same category as other occult fortune-telling techniques such as the ouija board, astrology, crystal balls, palmistry, and tea leaves. Of course, some maintain that tarot cards are just harmless fun. Tarot cards fit in well with the #New_Age_movement that is so prevalent these days. New Agers use certain practices or methods to "get in touch with their inner spirits," and tarot cards can be a perfect way for them to channel their thoughts and connect with the "Oneness of the Universe.""
.
যাদের সন্দেহ হয় এ কাজ স্যাটানিক কিনা তারা দেখুন:
https://m.youtube.com/watch?v=99f-h1MmWKw
.
https://m.youtube.com/watch?v=43_RpvfaaM4
.
https://m.youtube.com/watch?v=knB7pb7aF5I
.
অকাল্ট প্রাকটিসঃ
https://m.youtube.com/watch?v=u9HvJPwUO78
.
https://m.youtube.com/watch?v=bdj83PWWH0M
.
থিওসফিস্টদের এঞ্জেলিক ট্যারট গাইডেন্স(ওদের কাছে শয়তানই হচ্ছে এঞ্জেল):
http://www.angelpaths.com
.
শয়তানের পূজারীদের অফিসিয়াল ট্যারট রিডিং শিক্ষাকেন্দ্র (এঞ্জেলফায়ার ডোমেইনগুলো অফিশিয়ালি ওদের)
http://www.angelfire.com/ct2/CelestialRealm/toth/tarot.html
এখানে শয়তানের পূজারিদের স্যাক্রিড কিতাব তোথের সাথে ট্যারটের সম্পর্ক জানবেন।
.
http://www.angelsfire.net/tarot-readings.html
.
নর্স প্যাগানিজমঃ
https://m.youtube.com/watch?v=QbxNWGy1BCg
.
খ্রিষ্টানরাও এর অরিজিনের ব্যপারে সচেতনঃhttps://m.youtube.com/watch?v=kcl8pa7jTlg
.
https://m.youtube.com/watch?v=PPjanH3U7uo
.
কোথা থেকে কিনবেন ট্যারটকার্ডঃ
https://luciferianapotheca.com/collections/tarot-1?view=all
জ্বি লুসিফেরিয়ান এপোথিকা। কিনবেন নাহ(?)! আরে একটু আধটু কুফরের পথে হাটলে কি প্রব্লেম, ম্যান! চিরকাল জাহান্নামেই না হয় যেতে হবে।যেতেই বা দোষ কি, অনেক মানুষই তো যাবে,মিয়া ডেমোক্রেটিক হন! তাই দুনিয়ার পপুলারিটির জন্য এটুকুন না পারলে কেমনে হল! ওরাই তো আপনাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বলছে জাহান্নামীদের বাহিনীতে যোগদিন। http://web.archive.org/web/20160214142145/http://hailtosatansvictory666.angelfire.com/Hells_Army_666.html
.
অতঃপর তাদেরকে বলব যারা আল্লাহকে ভয় করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর শাস্তি অত্যন্ত কঠোর।
দেখুন ফরচুন টেলার ও ডিভিনেশনের ব্যাপারেঃ
https://islamqa.info/en/40924
.
ট্যারট কার্ডঃ
http://www.ummah.com/forum/showthread.php?158429-Tarot-cards
.
আগের লেখা:
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=778353272334671&id=100004800152023&refid=8&_ft_=top_level_post_id.778353272334671%3Atl_objid.778353272334671%3Athid.100004800152023%3A306061129499414%3A2%3A0%3A1496300399%3A6946252083500112716
.
সামনে ট্যারটের সাথে রিলেভ্যান্ট এস্ট্রোলজির ব্যপারে আলাদা পোস্ট করব, বিইযনিল্লাহ।
(বিঃদ্রঃ আমি আমাদের দেশে চলমান ডর-ট্যারট নামের প্রোগ্রামটির শ্রোতা নই।যার দরুন সে প্রোগ্রামটির মটো সম্পর্কে খুব ভালভাবে অবগত নই।যতদূর শুনেছি তারা সীমালঙ্ঘন করেছে। তাদেরকে সাবধান করলে আমাকে তাদের পেজ থেকে ব্লক করে দেয় যদিও পূর্বে কিবরিয়া সরকার নামের জনৈক আর্জে বলেছিল আমাকে ব্যান্ড করা হবেনা। যাহোক, উপরের তথ্য গুলো একদম নিরপেক্ষ ও সত্য। চাইলে রিসার্চ করতে পারেন। তবে রিফিউটেশন এর চেষ্টা করে বিতর্কে জড়াতে চাইলে অকাল্টিজম ও মিস্টিসিজমের সুবিশাল চ্যাপ্টারের উপর সুবিশাল জ্ঞান ও তাওহীদ তথা গোটা দ্বীনের উপর পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ ইলম নিয়ে আসুন, আমি আছি, ইনশাআল্লাহ।)

কল্কি বিভ্রান্তি

 হিন্দু ধর্মের শেষ অবতার কল্কিকে নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে দু ধরনের স্ট্রিম পাওয়া যায়। একটি হচ্ছে আমাদের নবী(স) এর কথা আরেকটি দাজ্জালের। হিন্দুধর্মীয় স্ক্রিপচার গভীরভাবে পড়লে মনে হতে পারে কল্কি নাম দিয়ে আমাদের মহানবী(স) এর কথা বলা হচ্ছে। শুধু কল্কিই নয়। বৌদ্ধধর্মের মৈত্রেয়বুদ্ধর ব্যপারেও একই ধরনের ফলাফল পাওয়া যায়। তাছাড়া কিছু আলেমশ্রেনীর ব্যক্তিরাও এ ব্যপারে একমত। তবে হিন্দুদের একাধিক গ্রন্থে সরাসরি 'মুহম্মদ' নামটি এসেছে যা পার্থক্য করে দেয়
কিন্তু কথা হচ্ছে বর্তমানসময়ে কল্কি বা মৈত্রেয় মসীহ বলে যার অপেক্ষা করা হচ্ছে সে দাজ্জাল বিনা আর কেউ নয়। বিষয়টা এরূপ যে ঈসা (আ) একজন সত্য নবী। কিন্তু ইহুদীপন্থী খ্রিষ্টানরা 'লর্ড ক্রাইস্ট' নামে দাজ্জালেরই আবির্ভাবেরই অপেক্ষা করছে।তেমনিভাবে হিন্দু আর বৌদ্ধধর্মের বর্নিত নবী(সা) এর বর্ননায় চ্যুতি ঘটেছে, মুশরিকদের দ্বারা। সারাপৃথিবীতে এ মুহূর্তে কল্কি ও মৈত্রেয় মেসায়াহ এর কথা বলে দাজ্জালকেই নির্দেশ করা হচ্ছে। কল্কি বা মৈত্রেয় নামে বর্তমানে যে দাজ্জালের অপেক্ষমানতার কথাই বলা হচ্ছে তার লক্ষন-প্রমানই সবচেয়ে বেশি।এর সপক্ষে কাজ করছে ইল্যুমিনাতি ও ফ্রিম্যাসনের তত্ত্বাবধানে পৃথিবীর সকল আধ্যাত্মবাদী-রহস্যবাদী সংগঠন। আর তাদের অর্থনৈতিক সাহায্যে আছে ইউনাইটেড ন্যাশন, এজেন্ডা ২১ ইত্যাদি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক।
______________________(আল্লাহ সর্বোত্তম জানেন)



শিখ ধর্মে মাহদী ও তাগুত কল্কি

ইতোপূর্বে আপনাদেরকে দলিলসহ জানিয়েছি যে দাজ্জালের প্রি-ফলোয়াররা আপনার পাশেই আছে।। বৌদ্ধদের কালচক্রে কল্কি অবতারের ইসলামী শক্তি দমনের জন্য মহাযুদ্ধের বর্ননা আছে, যা উইকিপিডিয়াতেও আছে(চিত্রে দেখছেন)।
যারা আগের লেখাটির লিংকঃ https://m.facebook.com/islamic.cognition/photos/a.291781357945730.1073741828.282165055574027/385768245213707/?type=3&_rdr#392683531188845

.
আজ আরও নতুন কিছু। শিখধর্মের এস্কেটলজি আমাদেরকে বেশ কিছু ভুল শুদ্ধ তথ্য দেয়। শিখধর্মের দশম নানক গুরু গোবিন্দ সিং 'দশম গ্রন্থে' কল্কি ও সত্যযুগ সম্পর্কে যা উল্লেখ করেন তার সারবস্তু এই যে,কল্কি অবতার যখন যুদ্ধ করে সারা পৃথিবীর প্রায় সিংহভাগ দখল করে নেবে, তখন সে নিজেকে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা দাবি করবে,তখনই সৃষ্টিকর্তা অসন্তুষ্ট হয়ে মীর(নেতা) মাহদীকে প্রেরন করবেন। এবং অবশেষে ধর্মচক্রের(হিন্দু,বৌদ্ধ,বৈষ্ণব) শেষ অবতার কল্কিকে হত্যা করবেন!
.
Appearance of Mahdi and Killing of Kalki
ਤੋਮਰ ਛੰਦ ॥
TOMAR STANZA

ਜਗ ਜੀਤਿਓ ਜਬ ਸਰਬ ॥ ਤਬ ਬਾਢਿਓ ਅਤਿ ਗਰਬ ॥ ਦਿਯ ਕਾਲ ਪ੝ਰਖ ਬਿਸਾਰ ॥ ਇਹ ਭਾਂਤ ਕੀਨ ਬਿਚਾਰ ॥੫੮੩॥
When Kalki conquered the whole world, his pride was extremely increased; he also forgot the Kaal Purakh(Hukam) and said this;583.

ਬਿਨ ਮੋਹਿ ਦੂਸ੝ਰ ਨ ਔਰ ॥ ਅਸ ਮਾਨਿਯੋ ਸਭ ਠਉਰ ॥ ਜਗ੝ ਜੀਤ ਕੀਨ ਗ੝ਲਾਮ ॥ ਆਪਨ ਜਪਾਯੋ ਨਾਮ ॥੫੮੪॥
Kalki Said, There is no second except me and the same is accepted at all the place; I have conquered the whole world and made it my slave and have caused everyone to repeat my name.584.

ਜਗ ਝਸ ਰੀਤ ਚਲਾਇ ॥ ਸਿਰ ਅਤ੝ਰ ਪਤ੝ਰ ਫਿਰਾਇ ॥ ਸਭ ਲੋਗ ਆਪਨ ਮਾਨ ॥ ਤਰ ਆਂਖ ਅਉਰ ਨ ਆਨ ॥੫੮੫॥
I have given life again to the traditional and have swung the canopy over my head; all the people consider me as their own and none other comes to their sight.585.

ਨਹਿ ਕਾਲ ਪ੝ਰਖ ਜਪੰਤ ॥ ਨਹਿ ਦੇਵ ਜਾਪ ਭਣੰਤ ॥ ਤਬ ਕਾਲ ਦੇਵ ਰਿਸਾਇ ॥ ਇਕ ਅਉਰ ਪ੝ਰਖ ਬਨਾਇ ॥੫੮੬॥
No one repeats the name of the Lord-God or the name of any other God goddess;" seeing this the Kaal Purakh created another purusha.586.

ਰੱਚਿ ਅਸ ਮਹਿਦੀ ਮੀਰ ॥ ਰਿਸਵੰਤ ਹਾਠ ਹਮੀਰ ॥ ਤਿਹ ਤਉਨ ਕੋ ਬਧ੝ ਕੀਨ ॥ ਪ੝ਨ ਆਪ ਮੋ ਕਿਯ ਲੀਨ ॥੫੮੭॥
Mehdi Mir was created, who was very angry and persistent one; he killed the Kalki incarnation within himself again.587.

ਜਗ ਜੀਤ ਆਪਨ ਕੀਨ ॥ ਸਭ ਅੰਤ ਕਾਲ ਅਧੀਨ ॥ ਇਹ ਭਾਂਤ ਪੂਰ ਸ੝ਧਾਰ ॥ ਭਝ ਚੌਬਿਸੇ ਅਵਤਾਰ ॥੫੮੮॥
Those who conquered, the made it there possession they are all under the control of KAL (death) in the end; in this way, with complete improvement the description of twenty-fourth incarnation is completed.588.

ਇਤਿ ਸ੝ਰੀ ਬਚਿਤ੝ਰ ਨਾਟਕ ਗ੝ਰੰਥੇ ਚਤ੝ਰ ਬੀਸਵਾਂ ਅਵਤਾਰ ਬਰਨਨੰ ਸਮਾਪਤਮ ॥੨੪॥
End of the description of twenty-fourth incarnation in Bachittar natak.
.
কল্কির জবরদখল ও ধ্বংসযজ্ঞের বর্ননাঃ
After killing the king of Sambhal, Kalki Avtaar started to conquer the world. He attacked on Kabul, Babul, Kandhaar, Iraq, Balkh, and Rome etc. and killed those who dared to fight against him: -
"Hanney Kaablee Baablee beer baankey. Kandhaaree Harevee Iraaqi nisaakey. Bali Baalkhee Roh Roomi rajeeley. Bhajey traas kai kai bhaye band dheeley.(462)." {page 601}.

Kalki killed the enemies in Kashmir, Bangas, Russia etc.: -
"Katey Kaashmeeree hanney kashatvaaree. Kupey kaashkaaree badey chhatra-dhaaree. Bali Bangasee gorbandee gadrejee. Mahaa-moorh maajindra raanee majejee.(484)
.
Hanney Roos Toosee kritee chitra jodhee. Hathhey Parasuyyad su khoobaan sakrodhee….(485)." {page 603}.
Kalki Avtaar killed the enemies in Bijapur, Golkunda, Dravid, Tilangaana, Vaidarbh, Bengal, Orissa (all in India) and Nepal: -
"Hanney beer Bijapuri Golkundi…..(504)." {page 604}.
"Drahee Dravarhey tej taa te Tilangi. Hatey Suratee jang bhangee phirangee.(505). Chapey chaand raja chaley chanad baasee. Badey beer Baidarbh sanros raasee……(506)." {page 604}
"Maagadh maheep mandey mahaan. Das chaar chaar vidya nidhaan. Bangee Kuling Angee ajeet. Morang agar Naipal abheet.(508)." {page 605}
He got victory over China, and then he went to North: -
"Cheen Macheen chheen jab leena. Uttar desh payyana keena…..(548)." {page 607}.
Thus, Sri Kalki Avtaar saved the saints and killed anti-saints: -
"Sant ubaar asant khapaayey.(550)." {page 608}
Now, 'Satyug' was just coming near. All people heard about this. It pleased the minds of saints. They sang the glory of God: -
"Satjug aayo. Sabh sun paayo. Mun mann bhaayo. Gun gan gaayo.(553)." {page 608}
But unfortunately, after conquering the world, Kalki became proud. He forgot the God: -
"Jag jeeteyo jab sarab. Tab baadhhiyo at garab. Diya Kaal Purakh beesaar. Eh bhaant keen bichaar.(583).

.

সূত্রঃ http://www.sikhiwiki.org/index.php/Mahdi_Meer
http://www.sikhiwiki.org/index.php/Kalki_Avtaar
এবং উইকিপিডিয়া।
.
উইকিপিডিয়াতে বিষয়টার সংক্ষিপ্ত বর্ননা ছিল। এখন মুছে ফেলা হয়েছে। আমার কাছে স্ক্রীনশট ছিল, এমুহূর্তে সেটা দেওয়া সম্ভব নয়। দাজ্জালের প্রত্যাশীরা এরূপ পরাজয়ের বিবরন প্রকাশ্যে দেখাতে চায় না। এজন্যই হয়ত মুছে ফেলেছে।
.
প্রথমেই বলেছি, গুরুগোবিন্দের ভবিষৎবাণীতে ভুলশুদ্ধের মিশ্রন রয়েছে। যাদের নূন্যতম ইল্ম আছে তারা ইতোমধ্যে টের পেয়েছেন।
সেটা নিম্নোক্ত হাদিসটি স্পষ্ট করে।

حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ الدِّمَشْقِيُّ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ جَابِرٍ الطَّائِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ الْكِلاَبِيِّ، قَالَ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الدَّجَّالَ فَقَالَ ‏"‏ إِنْ يَخْرُجْ وَأَنَا فِيكُمْ فَأَنَا حَجِيجُهُ دُونَكُمْ وَإِنْ يَخْرُجْ وَلَسْتُ فِيكُمْ فَامْرُؤٌ حَجِيجُ نَفْسِهِ وَاللَّهُ خَلِيفَتِي عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ فَمَنْ أَدْرَكَهُ مِنْكُمْ فَلْيَقْرَأْ عَلَيْهِ فَوَاتِحَ سُورَةِ الْكَهْفِ فَإِنَّهَا جِوَارُكُمْ مِنْ فِتْنَتِهِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا وَمَا لُبْثُهُ فِي الأَرْضِ قَالَ ‏"‏ أَرْبَعُونَ يَوْمًا يَوْمٌ كَسَنَةٍ وَيَوْمٌ كَشَهْرٍ وَيَوْمٌ كَجُمُعَةٍ وَسَائِرُ أَيَّامِهِ كَأَيَّامِكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الْيَوْمُ الَّذِي كَسَنَةٍ أَتَكْفِينَا فِيهِ صَلاَةُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ قَالَ ‏"‏ لاَ اقْدُرُوا لَهُ قَدْرَهُ ثُمَّ يَنْزِلُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عِنْدَ الْمَنَارَةِ الْبَيْضَاءِ شَرْقِيَّ دِمَشْقَ فَيُدْرِكُهُ عِنْدَ بَابِ لُدٍّ فَيَقْتُلُهُ ‏"‏ ‏.‏

আন-নাওয়াস ইবনু সাম‘আন আল-কিলাবী (রাঃ)

তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তিনি বলেনঃ আমি তোমাদের মাঝে বিদ্যমান থাকতে যদি সে আবির্ভূত হয় তবে তোমাদের পক্ষ হতে আমিই তার প্রতিপক্ষ হবো। আর আমি তোমাদের মাঝে বিদ্যমান না থাকা অবস্থায় যদি সে আবির্ভূত হয় তবে প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজেই তার প্রতিপক্ষ হতে হবে। আর আল্লাহ হবেন প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আমার পক্ষের দায়িত্বশীল। তোমাদের মাঝে যে কেউ তাকে পাবে, সে যেন সূরাহ আল-কাহ্‌ফের প্রথম কয়েকটি আয়াত পাঠ করে; কেননা এটাই হবে ফিত্বনাহ থেকে তার নিরাপত্তার প্রধান উপায়। আমরা বললাম, সে পৃথিবীতে কতদিন থাকবে? তিনি বললেনঃ চল্লিশ দিন। একদিন হবে এক বছরের সমান, একদিন হবে এক মাসের সমান ও একদিন হবে এক সপ্তাহের সমান, আর বাকি দিনগুলো হবে তোমাদের সাধারণ দিনগুলোর সমান। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! যে দিনটি এক বছরের সমান হবে, সে দিনে এক দিন ও এক রাতের সলাত কি আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে? তিনি বললেনঃ না, তোমরা অনুমান করে দিনের পরিমাণ নির্ধারণ করে (সলাত পড়বে)। অতঃপর ঈসা ইবনু মারইয়াম (আঃ) দামেশকের পূর্ব প্রান্তে একটি সাদা মিনারে অবতরণ করবেন এবং ‘লুদ্দ’ নামক স্থানের দ্বারপ্রান্তে দাজ্জালকে নাগালে পাবেন এবং হত্যা করবেন।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৩২১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
.
অর্থাৎ আল মাহদী নন বরং হত্যা করবেন ঈসা রুহআল্লাহ। এই মহান জঙ্গী সেনাপতি মাহদী(আ) দাজ্জালের শক্তির সাথে পেরে উঠবেন না। তখনই আল্লাহ হযরত ঈসা(আ) কে একটি সাদা মিনার ওয়ালা মসজিদের পাশে আসমান থেকে প্রেরন করবেন।

গোবিন্দের এরূপ ভ্রান্তির ব্যাখ্যা থাকতে পারে নিন্মোক্ত হাদিসেঃ
It was reported that ‘Aa’ishah (may Allaah be pleased with her) said: “Some people asked the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) about soothsayers. He said, ‘They are nothing.’ They said, ‘O Messenger of Allaah, sometimes they say something and it comes true.’ The Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: ‘That is a word of truth that the jinn snatches and whispers into the ear of his familiar, but they mix a hundred lies with it.’” (Narrated by al-Bukhaari and Muslim).
.
দশমগ্রন্থের এরূপ ন্যারেশনে আরেকটি বড় মিথ্যা রয়েছে। উল্লিখিত আছে যে, আল মাহদী স্রষ্টাদাবিকারী কল্কি অবতারকে হত্যা সারাবিশ্বের নেতৃত্ব লাভ করে এবং গর্ববোধ করে, পরবর্তীতে সে সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক পোকার দ্বারা শাস্তির কবলে পড়ে মারা যায়।(নাউজুবিল্লাহ)
.
আমরা সবাই জানি, পোকার সংক্রমনে মারা যাবে অভিশপ্ত ইয়াজুজ মাজুজরা। দুইএক% সত্যের সাথে মিথ্যা জুড়ালে যা হয়..।
নিচের হাদিসে বিস্তারিত রয়েছেঃ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، سَمِعَ النَّوَّاسَ بْنَ سَمْعَانَ الْكِلاَبِيَّ، يَقُولُ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الدَّجَّالَ الْغَدَاةَ فَخَفَضَ فِيهِ وَرَفَعَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ فِي طَائِفَةِ النَّخْلِ فَلَمَّا رُحْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَرَفَ ذَلِكَ فِينَا فَقَالَ ‏"‏ مَا شَأْنُكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَكَرْتَ الدَّجَّالَ الْغَدَاةَ فَخَفَضْتَ فِيهِ ثُمَّ رَفَعْتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ فِي طَائِفَةِ النَّخْلِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ غَيْرُ الدَّجَّالِ أَخْوَفُنِي عَلَيْكُمْ إِنْ يَخْرُجْ وَأَنَا فِيكُمْ فَأَنَا حَجِيجُهُ دُونَكُمْ وَإِنْ يَخْرُجْ وَلَسْتُ فِيكُمْ فَامْرُؤٌ حَجِيجُ نَفْسِهِ وَاللَّهُ خَلِيفَتِي عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ إِنَّهُ شَابٌّ قَطَطٌ عَيْنُهُ قَائِمَةٌ كَأَنِّي أُشَبِّهُهُ بِعَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قَطَنٍ فَمَنْ رَآهُ مِنْكُمْ فَلْيَقْرَأْ عَلَيْهِ فَوَاتِحَ سُورَةِ الْكَهْفِ إِنَّهُ يَخْرُجُ مِنْ خَلَّةٍ بَيْنَ الشَّامِ وَالْعِرَاقِ فَعَاثَ يَمِينًا وَعَاثَ شِمَالاً يَا عِبَادَ اللَّهِ اثْبُتُوا ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا لُبْثُهُ فِي الأَرْضِ قَالَ ‏"‏ أَرْبَعُونَ يَوْمًا يَوْمٌ كَسَنَةٍ وَيَوْمٌ كَشَهْرٍ وَيَوْمٌ كَجُمُعَةٍ وَسَائِرُ أَيَّامِهِ كَأَيَّامِكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَذَلِكَ الْيَوْمُ الَّذِي كَسَنَةٍ تَكْفِينَا فِيهِ صَلاَةُ يَوْمٍ قَالَ ‏"‏ فَاقْدُرُوا لَهُ قَدْرًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْنَا فَمَا إِسْرَاعُهُ فِي الأَرْضِ قَالَ ‏"‏ كَالْغَيْثِ اشْتَدَّ بِهِ الرِّيحُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَيَأْتِي الْقَوْمَ فَيَدْعُوهُمْ فَيَسْتَجِيبُونَ لَهُ وَيُؤْمِنُونَ بِهِ فَيَأْمُرُ السَّمَاءَ أَنْ تُمْطِرَ فَتُمْطِرَ وَيَأْمُرُ الأَرْضَ أَنْ تُنْبِتَ فَتُنْبِتَ وَتَرُوحُ عَلَيْهِمْ سَارِحَتُهُمْ أَطْوَلَ مَا كَانَتْ ذُرًى وَأَسْبَغَهُ ضُرُوعًا وَأَمَدَّهُ خَوَاصِرَ ثُمَّ يَأْتِي الْقَوْمَ فَيَدْعُوهُمْ فَيَرُدُّونَ عَلَيْهِ قَوْلَهُ فَيَنْصَرِفُ عَنْهُمْ فَيُصْبِحُونَ مُمْحِلِينَ مَا بِأَيْدِيهِمْ شَىْءٌ ثُمَّ يَمُرُّ بِالْخَرِبَةِ فَيَقُولُ لَهَا أَخْرِجِي كُنُوزَكِ فَيَنْطَلِقُ فَتَتْبَعُهُ كُنُوزُهَا كَيَعَاسِيبِ النَّحْلِ ثُمَّ يَدْعُو رَجُلاً مُمْتَلِئًا شَبَابًا فَيَضْرِبُهُ بِالسَّيْفِ ضَرْبَةً فَيَقْطَعُهُ جِزْلَتَيْنِ رَمْيَةَ الْغَرَضِ ثُمَّ يَدْعُوهُ فَيُقْبِلُ يَتَهَلَّلُ وَجْهُهُ يَضْحَكُ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ بَعَثَ اللَّهُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ فَيَنْزِلُ عِنْدَ الْمَنَارَةِ الْبَيْضَاءِ شَرْقِيَّ دِمَشْقَ بَيْنَ مَهْرُودَتَيْنِ وَاضِعًا كَفَّيْهِ عَلَى أَجْنِحَةِ مَلَكَيْنِ إِذَا طَأْطَأَ رَأْسَهُ قَطَرَ وَإِذَا رَفَعَهُ يَنْحَدِرُ مِنْهُ جُمَانٌ كَاللُّؤْلُؤِ وَلاَ يَحِلُّ لِكَافِرٍ أَنْ يَجِدَ رِيِحَ نَفَسِهِ إِلاَّ مَاتَ وَنَفَسُهُ يَنْتَهِي حَيْثُ يَنْتَهِي طَرْفُهُ فَيَنْطَلِقُ حَتَّى يُدْرِكَهُ عِنْدَ بَابِ لُدٍّ فَيَقْتُلُهُ ثُمَّ يَأْتِي نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى قَوْمًا قَدْ عَصَمَهُمُ اللَّهُ فَيَمْسَحُ وُجُوهَهُمْ وَيُحَدِّثُهُمْ بِدَرَجَاتِهِمْ فِي الْجَنَّةِ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ أَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ يَا عِيسَى إِنِّي قَدْ أَخْرَجْتُ عِبَادًا لِي لاَ يَدَانِ لأَحَدٍ بِقِتَالِهِمْ وَأَحْرِزْ عِبَادِي إِلَى الطُّورِ ‏.‏ وَيَبْعَثُ اللَّهُ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ وَهُمْ كَمَا قَالَ اللَّهُ مِنْ كُلِّ حَدَبٍ يَنْسِلُونَ فَيَمُرُّ أَوَائِلُهُمْ عَلَى بُحَيْرَةِ الطَّبَرِيَّةِ فَيَشْرَبُونَ مَا فِيهَا ثُمَّ يَمُرُّ آخِرُهُمْ فَيَقُولُونَ لَقَدْ كَانَ فِي هَذَا مَاءٌ مَرَّةً وَيَحْضُرُ نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ حَتَّى يَكُونَ رَأْسُ الثَّوْرِ لأَحَدِهِمْ خَيْرًا مِنْ مِائَةِ دِينَارٍ لأَحَدِكُمُ الْيَوْمَ فَيَرْغَبُ نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ إِلَى اللَّهِ فَيُرْسِلُ اللَّهُ عَلَيْهِمُ النَّغَفَ فِي رِقَابِهِمْ فَيُصْبِحُونَ فَرْسَى كَمَوْتِ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ ‏.‏ وَيَهْبِطُ نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ فَلاَ يَجِدُونَ مَوْضِعَ شِبْرٍ إِلاَّ قَدْ مَلأَهُ زَهَمُهُمْ وَنَتْنُهُمْ وَدِمَاؤُهُمْ فَيَرْغَبُونَ إِلَى اللَّهِ سُبْحَانَهُ فَيُرْسِلُ عَلَيْهِمْ طَيْرًا كَأَعْنَاقِ الْبُخْتِ فَتَحْمِلُهُمْ فَتَطْرَحُهُمْ حَيْثُ شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ يُرْسِلُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مَطَرًا لاَ يُكِنُّ مِنْهُ بَيْتُ مَدَرٍ وَلاَ وَبَرٍ فَيَغْسِلُهُ حَتَّى يَتْرُكَهُ كَالزَّلَقَةِ ثُمَّ يُقَالُ لِلأَرْضِ أَنْبِتِي ثَمَرَتَكِ وَرُدِّي بَرَكَتَكِ فَيَوْمَئِذٍ تَأْكُلُ الْعِصَابَةُ مِنَ الرُّمَّانَةِ فَتُشْبِعُهُمْ وَيَسْتَظِلُّونَ بِقِحْفِهَا وَيُبَارِكُ اللَّهُ فِي الرِّسْلِ حَتَّى إِنَّ اللِّقْحَةَ مِنَ الإِبِلِ تَكْفِي الْفِئَامَ مِنَ النَّاسِ وَاللِّقْحَةَ مِنَ الْبَقَرِ تَكْفِي الْقَبِيلَةَ وَاللِّقْحَةَ مِنَ الْغَنَمِ تَكْفِي الْفَخِذَ ‏.‏ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ بَعَثَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ رِيحًا طَيِّبَةً فَتَأْخُذُ تَحْتَ آبَاطِهِمْ فَتَقْبِضُ رُوحَ كُلِّ مُسْلِمٍ وَيَبْقَى سَائِرُ النَّاسِ يَتَهَارَجُونَ كَمَا تَتَهَارَجُ الْحُمُرُ فَعَلَيْهِمْ تَقُومُ السَّاعَةُ ‏"‏ ‏.‏

নাওয়াস বিন সামআন অল-কিলাবী (রাঃ)

তিনি বলেন একদা, সকাল বেলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি তার ভয়াবহতা ও নিকৃষ্টতার কথা তুলে ধরেন। এমনকি আমরা ধারণা করলাম যে, সে হয়তো খেজুর বাগানের ওপাশেই অবস্থান করছে। আমরা বিকেল বেলা পুনরায় তাঁর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তিনি আমাদের মাঝে দাজ্জাল-ভীতির আলামত লক্ষ্য করে বলেনঃ তোমাদের কী হয়েছে? আমরা বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! ভোরবেলা আপনি আমাদের সামনে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করেছেন এবং তার ভয়াবহতা ও নিকৃষ্টতার কথা এমন ভাষায় তুলে ধরেছেন যে, আমাদের মনে হলো যে, সে বোধহয় খেজুর বাগানের পাশেই উপস্থিত আছে। তিনি বলেনঃ আমার কাছে দাজ্জালই তোমাদের জন্য অধিক ভয়ংকর বিপদ। সে যদি আমার জীবদ্দশায় তোমাদের মাঝে আত্মপ্রকাশ করে তবে আমিই তোমাদের পক্ষে তার প্রতিপক্ষ হবো। আর আমার অবর্তমানে যদি সে আত্মপ্রকাশ করে তাহলে তোমরাই হবে তার প্রতিপক্ষ। আর প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আল্লাহই আমার পরিবর্তে সহায় হবে। সে (দাজ্জাল) হবে কুঞ্চিত চুলবিশিষ্ট, স্থির দৃষ্টিসম্পন্ন যুবক এবং আবদুল উযযা বিন কাতান সদৃশ। তোমাদের কেউ তাকে দেখলে সে যেন তার বিরুদ্ধে সূরা কাহফের প্রাথমিক আয়াতগুলো পাঠ করে। সে সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যবর্তী খাল্লা নামক স্থান থেকে আত্মপ্রকাশ করবে। অতঃপর সে ডানে-বামে ফেতনা-ফাসাদ ও বিপর্যয় ছড়িয়ে বেড়াবে। হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা দৃঢ়তার সাথে স্থির থাকবে।
আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! সে পৃথিবীতে কতো দিন অবস্থান করবে? তিনি বলেনঃ চল্লিশ দিন। তবে এর এক দিন হবে এক বছরের সমান, এক দিন হবে এক মাসের সমান, এক দিন হবে এক সপ্তাহের সমান এবং অবশিষ্ট দিনগুলো হবে তোমাদের বর্তমান দিনগুলোর সমান। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! যে দিনটি এক বছরের সমান হবে তাতে একদিনের নামায পড়লেই কি তা আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে? তিনি বলেনঃ তোমরা সে দিনের সঠিক অনুমান করে নিবে এবং তদনুযায়ী নামায পড়বে। রাবী বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, সে পৃথিবীতে কতো দ্রুত গতিতে বিচরণ করবে? তিনি বলেনঃ বায়ু চালিত মেঘমালার গতিতে।
অতঃপর সে কোন এক সম্প্রদায়ের নিকট এসে তাদেরকে নিজের দলে ডাকবে। তারা তার ডাকে সাড়া দিবে এবং তার উপর ঈমান আনবে। অতঃপর সে আসমানকে বৃষ্টি বর্ষণের আদেশ দিবে এবং তদনুযায়ী বৃষ্টি বর্ষিত হবে। অতঃপর সে যমীনকে শস্য উৎপাদনের নির্দেশ দিবে এবং তদনুযায়ী ফসল উৎপাদিত হবে। অতঃপর বিকেল বেলা তাদের পশুপাল পূর্বের চেয়ে উচুঁ কুঁজবিশিষ্ট, মাংসল নিতম্ববিশিষ্ট ও দুগ্ধপুষ্ট স্তনবিশিষ্ট হয়ে (খোঁয়াড়ে) ফিরে আসবে। কিন্তু তারা তার আহবান প্রত্যাখ্যান করবে। ফলে সে তাদের কাছ থেকে ফিরে যাবে। পরদিন ভোরবেলা তারা নিজেদেরকে নিঃস্ব অবস্থায় পাবে এবং তাদের হাতে কিছুই থাকবে না। অতঃপর সে এক নির্জন পতিত ভূমিতে গিয়ে বলবে, তোর ভেতরের ভাণ্ডার বের করে দে। অতঃপর সে সেখান থেকে প্রস্থান করবে এবং তথাকার ধনভান্ডার তার অনুসরণ করবে, যেভাবে মৌমাছিরা রাণী মৌমাছির অনুসরণ করে।
অতঃপর সে এক পূর্ণ যৌবন তরুণ যুবককে তার দিকে আহবান করবে। তাকে সে তরবারির আঘাতে দ্বিখন্ডিত করে ফেলবে। তার দেহের প্রতিটি টুকরা দু’ ধনুকের ব্যবধানে গিয়ে পড়বে। অতঃপর সে তাকে ডাক দিবে, অমনি সে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় তার কাছে এসে দাঁড়াবে। এমতাবস্থায় আল্লাহ তাআলা ঈসা বিন মরিয়ম (আঃ) কে পাঠাবেন। তিনি হলুদ রং –এর দু, টি কাপড় পরিহিত অবস্থায় দু’ জন ফেরেশতার পাখায় ভর করে দামিশকের পূর্ব প্রান্তের এক মসজিদের সাদা মিনারে অবতরণ করবেন। তিনি তাঁর মাথা উত্তোলন করলে বা নোয়ালে ফোঁটায় ফোঁটায় মণি– মুক্তার ন্যায় (ঘাম) পড়তে থাকবে। তার নিঃশ্বাস যে কাফেরকেই স্পর্শ করবে সে তৎক্ষণাৎ মারা যাবে। আর তিনি “লুদ্দ’’ নামক স্থানের দ্বারদেশে দাজ্জালকে হত্যা করবেন।
অতঃপর আল্লাহর নবী ঈসা (আঃ) এমন এক সম্প্রদায়ে আসবেন যাদেরকে আল্লাহ তাআলা (দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে) রক্ষা করেছেন। তিনি তাদের মুখমণ্ডলে হাত বুলাবেন এবং জান্নাতে তাদের মর্যাদা সম্পর্কে বর্ণনা করবেন। তাদের এমতাবস্থায় আল্লাহ তাআলা তাঁর নিকট ওহী পাঠাবেন, হে ঈসা! আমি আমার এমন বান্দাদের পাঠাবো যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষমতা কারো নাই। অতএব তুমি আমার বান্দাদের তূর পাহাড়ে সরিয়ে নাও।
অতঃপর আল্লাহ তাআলা ইয়াজূজ-মাজূজের দল পাঠাবেন। আল্লাহ তাআলার বাণী অনুযায়ী তাদের অবস্থা হলোঃ “তারা প্রতিটি উচ্চভূমি থেকে ছুতটে আসবে” ( সূরা আম্বিয়াঃ ৯৬)। এদের প্রথম দলটি (সিরিয়ার) তাবারিয়া হ্রদ অতিক্রমকালে এর সমস্ত পানি পান করে শেষ করে ফেলবে। অতঃপর তাদের পরবর্তী দল এখান দিয়ে অতিক্রমকালে বলবে, নিশ্চয় কোন কালে এতে পানি ছিলো।
আল্লাহর নবী ঈসা (আঃ) তাঁর সঙ্গীগণসহ অবরুদ্ধ হয়ে পড়বেন। তারা (খাদ্যাভাবে) এমন এক কঠিন অবস্থায় পতিত হবেন যে, তখন একটি গরুর মাথা তাদের একজনের জন্য তোমাদের আজকের দিনের একশত স্বর্ণ মুদ্রার চেয়েও মূল্যবান (উত্তম) মনে হবে। তারপর আল্লাহর নবী ঈসা (আঃ) এবং তাঁর সাথীগণ আল্লাহর দিকে রুজু হয়ে দুআ’ করবেন। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের (ইয়াজূজ-মাজূজ বাহিনীর) ঘাড়ে মহামারীরূপে নাগাফ নামক কীটের সৃষ্টি করবেন। ভোরবেলা তারা এমনভাবে ধ্বংস হবে যেন একটি প্রাণের মৃত্যু হয়েছে।
তখন আল্লাহর নবী ঈসা (আঃ) এবং তাঁর সাথীগণ (পাহাড় থেকে) নেমে আসবেন। তারা সেখানে এমন এক বিঘত জায়গাও পাবেন না, যেখানে সেগুলোর পচা দুর্গন্ধময় রক্ত-মাংস ছড়িয়ে নাই। তারা মহান আল্লাহর নিকট দুআ’ করবেন। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের নিকট উটের ঘাড়ের ন্যায় লম্বা ঘাড়বিশিষ্ট এক প্রকার পাখি পাঠাবেন। সেই পাখিগুলো তাদের মৃতদেহগুলো তুলে নিয়ে আল্লাহর ইচ্ছামত স্থানে নিক্ষেপ করবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাদের উপর এমন বৃষ্টি বর্ষণ করবেন যা সমস্ত ঘরবাড়ি ,স্থলভাগ ও কঠিন মাটির স্তরে গিয়ে পৌঁছবে এবং সমস্ত পৃথিবী ধুয়ে মুছে আয়নার মতো ঝকঝকে হয়ে উঠবে।
অতঃপর যমীনকে বলা হবে, তোর ফল উৎপন্ন কর এবং তোর বরকত ফিরিয়ে দে। তখন অবস্থা এমন হবে যে, একদল লোকের আহারের জন্য একটি ডালিম যথেষ্ট হবে এবং একদল লোক এর খোসার ছায়াতলে আশ্রয় নিতে পারবে। আল্লাহ তাআলা দুধেও এতো বরকত দিবেন যে, একটি দুধেল উষ্ট্রীর দুধ একটি বৃহৎ দলের জন্য যথেষ্ট হবে। একটি গাভীর দুধ একটি গোত্রের লোকেদের জন্য যথেষ্ট হবে। একটি বকরীর দুধ একটি ক্ষুদ্র দলের জন্য যথেষ্ট হবে।
তাদের এ অবস্থায় আচানক আল্লাহ তাআলা তাদের উপর দিয়ে মৃদুমন্দ বিশুদ্ধ বায়ু প্রবাহিত করবেন। এ বায়ু তাদের বগলের অভ্যন্তরভাগ স্পর্শ করে প্রত্যেক মুসলমানের জান কবয করবে। তখন অবশিষ্ট নর-নারী গাধার ন্যায় প্রকাশ্যে যেনায় লিপ্ত হবে। তাদের উপর কিয়ামত সংঘটিত হবে। [৩৪০৭]

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪০৭৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


ভুল ও মিথ্যার পাশে শিখধর্মের এস্কেটলজিতে কিছু মৌলিক সত্য নিহিত রয়েছে।
আমরা জানি,
*দাজ্জাল ইসলামিক মিলিটারির বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করবে। তাতে আল মাহদী নেতৃত্ব দেবেন। যার জন্য 'মীর' শব্দটি যুক্ত করেছেন।
*দাজ্জাল নিজেকে সৃষ্টিকর্তা দাবি করবে।
*অবশেষে ইসলামি শক্তির হাতেই নিহত হবে।
*আল মাহদীর সমকালীন সময়ে পরাশক্তিরুপে দাজ্জালের জোটই ইসলামের বিরুদ্ধে লড়বে।
.
উপরের বিষয়গুলি শিখইজমের এস্কেটলজিতেও রয়েছে। তাছাড়া কালচক্রে কল্কির ব্যপারে এস্কেটলজিক্যাল ভার্সগুলো দারুণভাবে স্পষ্ট করে এটাই দাজ্জাল।
.
মনে রাখবেন কুফরের জন্ম পূর্বদিকে, এবং দাজ্জালের পূর্বদিকে থাকার সম্ভাবনাও প্রবল। নিচের হাদিসগুলোও তারই ইঙ্গিত দেয় । আল্লাহ উত্তম জানেন।
.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘কুফরীর মূল পূর্বদিকে, গর্ব এবং অহংকার ঘোড়া এবং উটের মালিকদের মধ্যে এবং বেদুইনদের মধ্যে যারা তাদের উটের পাল নিয়ে ব্যস্ত থাকে, আর শান্তি বকরির পালের মালিকদের মধ্যে।’ সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৩০১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
.
‘Behold [Dajjal] is in the Syrian sea, or the Yemeni sea. Nay, on the contrary he is in the
East , he is in the East , he is in the East ,’ and he pointed with his hand towards the East .
(Sahih Muslim , Book #041, Hadith #7028)
.
হিন্দু-বৌদ্ধদের গ্রন্থে সাম্বালা,আগার্থি শব্দ গুলো দ্বারা কল্কির গুপ্তরাজ্যকে বোঝানো হয় যা ভারত অথবা তিব্বতের পার্বত্য অঞ্চল অথবা মরুভূমি অথবা মাটির তলে অথবা ভিন্ন ডাইমেনশনে আছে বলে কাফেররা মনে করে। মুশরিকরা এখন তার অপেক্ষা করছে। দেখুন 'লজ্যিক্যাল হিন্দু' চ্যানেলের একটি ভিডিও। আমরা এ সময় সবাই অবগত যে UFO,USO,crop circle ইত্যাদি বিষয় গুলো দাজ্জালের সাথে সংশ্লিষ্ট শয়তানজ্বীন ও মানুষের কীর্তি। ভিডিওটিতে দাজ্জালের অপেক্ষমান মালু বলছে, তিব্বতীয় ও ভারতীয় অঞ্চলে যে সকল আনআইডেন্টিফাইড ফ্ল্যাইং অবজেক্ট দেখা যায় তা কল্কির আবির্ভাবের প্রস্তুতির সাথে সম্পৃক্ত এডভ্যান্স সিভিলাইজেশন বা higher being, যাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে লোকাল তিব্বতিয়রা জ্ঞাত আছে।😆। এমনকি এক্ষেত্রে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপও কামনা করে ওই শয়তানের পূজারী। দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=OfhxEYb2XQk

এবং আল্লাহ সর্বোত্তম জানেন।

দাজ্জালের অনুসারীরা আপনার পাশেই অপেক্ষা করছেঃ

আমরা দাজ্জাল শব্দটিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করে হালকা করে ফেলেছি।সেই সাথে প্রকৃত মিথ্যামসীহের অনুসারীদের ভাবলেই আমাদের মনে প্রথমে আসছে ইহুদীদের কথা। যেন আর কেউ ইহুদীদের মত খাটি অনুসারী নেই। অথচ শুনলে অবাক হবেন তারা আপনার পাশেই আছে। ধর্মচক্রের(হিন্দু-বৈষ্ণব-জৈন-বৌদ্ধধর্ম) অনুসারীরা। ইহুদীরা বিশ্বাসগত দিক থেকে বৌদ্ধধর্মমতের থেকে খুব বেশি দূরে নয়। এটা সকলে জানে না। ওরা জিউইশ মিস্টিসিজম তথা কাব্বালায় বিশ্বাস করে। তাওরাতকে বিকৃত করেছে।এখন আর সেটার অনুসরনও করেনা বরং নিজেদের র‍্যাব্বাইরা নিজেরাই হাতে তালমুদ নামের গ্রন্থ বানিয়ে নিয়েছে। আর কাব্বালা একদমই তা যা বৌদ্ধধর্মে আছে। সুতরাং ইস্টার্ন মিস্টিক্যাল বিলিফ থেকে তারা খুব দূরের নয়। তাই এখন ওরা শুধু নামেই আহলে কিতাবি।
.
আপনি ইহুদীদের কোথাও স্পষ্টভাবে দাজ্জালের অনুসরন এবং ইব্রাহীম আলাইহিসালাম এর দ্বীনের প্রতি শত্রুতার কিছুই পাবেন না। কিন্তু আপনার খুব পাশেই আছে তারা, যাদের ধর্মগ্রন্থ এ ব্যপারে স্পষ্ট তথ্য দেয়। বৌদ্ধধর্মের কালচক্রতন্ত্রে স্পষ্টভাবেই আছে ২৫ তম কল্কি রুদ্রচক্রির কথা। ১২০০ বাক্যের পুরো ভবিষ্যদ্বাণীমূলক অনুচ্ছেদের খুব অল্পই টিকে আছে। তাতে যা বর্ননা আছে তা জানলে বুঝতে পারবেন, কেন আরাকানে বৌদ্ধরা কেন মুসলিমদের উপর এরূপ চড়াও। কেন তাদের হত্যার দৃশ্য হলিউডের হরর ফিল্মকেও হার মানায়!
.
রুদ্রচক্রি বা ২৫তম শেষ কল্কি বা শেষ অবতার হচ্ছেন যোদ্ধাবাহিনীর রাজা। তিনি কলিযুগ শেষে আসবেন এবং ম্লেচ্ছদেশীয় অধর্মের অনুসারীদের দমন করবেন। We learn of the barbarians that they are called Mleccha,which means the “inhabitants of Mecca” (Petri, 1966, p. 107) ম্লেচ্ছ বর্বর জাতিদের বিরুদ্ধে মহাযুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন কল্কি অবতার তথা রুদ্রচক্রী। কল্কির মূল লক্ষ্য হচ্ছে ধর্মচক্রের শিক্ষা(ইত্তেহাদ-সর্বেশ্বরবাদ) বিরোধী 'অধর্মকে'(একত্ববাদ-তাওহীদ) ধবংস করা। অধর্ম হচ্ছে আদম,ইব্রাহীম,ইদ্রিস, মূসা,ঈসা, মুহাম্মদ(স) দের শিক্ষা। কালচক্রে নবীগনের নাম তিব্বতীয় ভাষায় রয়েছে।
In the Kalachakra text we read: "Adam, Noah, Abraham, and five others - Moses, Jesus, the
White-Clad One, Muhammad, and Mahdi - with
tamas , are in the asura - naga caste .
The eighth will be the blinded one.
The seventh will manifestly come to the city of
Baghdad in the land of Mecca , (the place) in this world where a portion of the asura ( caste ) will have the form of the powerful, merciless
mlecchas ." -( Verse I.154 from The Abridged
Kalachakra)

The “lalo” being referred to in these prophecies are described in Tibetan Buddhist texts as a group of “barbarians ” that Rudra Chakrin will destroy, along with their “false doctrines ”. “Lalo” is a Tibetan equivalent of the Sanskrit term “mleccha ”, and is used to refer to all
people of non- Dharmic faiths . It is used, more specifically, in the Kalachakra Tantra to refer to the followers of “Adam, Noah, Abraham, and five others – Moses, Jesus , the White-Clad One, Muhammad, and Mahdi [...]” (Verse I.154, The Abridged Kalachakra Tantra). They are said to have been the propagators of the false
dharma ( path , religion ) of the mlecchas . The message they brought is referred to as “tamas ” (literally “darkness”, but it is used more specifically in Buddhism to refer to teachings which are utter falsehood).
.
দাজ্জাল অথবা কল্কি তার অনুসারিদের মতে এখন সাম্বালা অথবা আগার্থা নামের সাবটেরানিয়ান জগতে আছেন। সেটা তাদের স্বর্গস্বরূপ। এক লামার বলেন তিনি সাম্বালা থেকে যখন এডভান্স টেকনোলজি এবং জাদু ও মিস্টিক্যাল জ্ঞান নিয়ে যখন জমিনে আসবেন তখন তার আদেশে সবকিছুই হবে, মানুষকে আরোগ্যদান করবেন, ফলফসল ফলবে এমনকি মৃতকেও জীবিত করতে পারবেন! তিনি তার অনুসারীদেরকে তার সাম্বালা বা আগার্থায় নিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখান।।যেখানে দীর্ঘ জীবন ও যৌবন! সেখানেও তিনি শেষ রাজা।
.
তিনি দুনিয়া থেকে আদম-মুহম্মদ(স) এর অনুসারীদের উৎপাটন করে যে যুগের সূচনা করবেন সেটা সত্যযুগ বা স্বর্ণযুগ। বৌদ্ধদের গণনানুসারে ২৩২৭ সালে মাহদী এবং রুদ্রচক্রির মহাযুদ্ধ সংঘটিত হবে। তাদের।গননায় ভুল থাকাটাই স্বাভাবিক। এরূপ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয় যে ২৩২৭ নয় ২০২৭ ই অধিকতর শুদ্ধ!! অথবা এরও পূর্বে...? আল্লাহ ভাল জানেন।
.
হিন্দু ধর্ম এবং বৌদ্ধ ধর্মে খুব বেশি তফাৎ নেই, বরং উভয়ই একই জিনিসের ভিন্ন ফ্লেভার। বৌদ্ধধর্মতে আধ্যাত্মিকতা চর্চা একটু বেশি। হিন্দুরা মূর্তি পূজিয়েই কূল পায়না, তাই সাধনায় সবাই আত্মনিয়োগ করতে পারে না। এই গোটা ধর্মচক্র মূলত কোন ধর্ম নয় বরং প্যাগানিজম-পৌত্তলিকতা এবং জাদুসাধনার উৎকৃষ্টতম বাম পথ। ওয়েস্টার্ন মিস্টিসিজমও ইস্টার্নের সামনে মাথানত করে, এতটাই সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলীয় রহস্যাবাদ/গুপ্তবাদ। এরকম কোন হাদিস কি মনে পড়ে যেখানে বলা হয়েছে কুফরের জন্ম পূর্বদিকে? জ্বি, এজন্য দাজ্জালের খাটি গোলামরাও এদিকেই।
.
নিচের লিংকগুলোতে বিস্তারিত দেখুনঃ
.
http://www.trimondi.de/SDLE/Part-1-10.htm
.
http://www.chinabuddhismencyclopedia.com/en/index.php/Rudra_Chakrin:_King_of_the_World,_Tantric_Apocolyptic_Redeemer,_and_Dajjal

এসোটেরিক এজেন্ডা বাংলাদেশেও -২

ইতোপূর্বে লেফটহ্যান্ড পাথ আধ্যাত্মবাদের বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করেছি। এবার আধ্যাত্মবাদীদের একটা প্রাকটিস এর ব্যপারে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। যাকে ট্যারট কার্ড রিডিং বলে। কিছু মিস্টিক জাদুবিদ্যার ছবি সংবলিত তাসের ন্যায় কার্ড যা দিয়ে (শয়তান জ্বীনদের সহায়তায়) আধ্যাত্মবাদীরা ভাগ্যগণনা ও ভূত ভবিষ্যতের কথা বলে। ট্যারটের ব্যপারে উইকিপিডিয়া ঘাটলে স্পষ্ট বুঝতে পারবেন যে এটা গুপ্তসাধনের(শয়তানী জাদুবিদ্যাভিত্তিক কাজে) পারপাজে ডিজাইনড।দেখুন - https://en.m.wikipedia.org/wiki/Tarot
___
তাছাড়া আলকেমি,এস্ট্রোলজি-হরোস্কোপ,হেরমেটিসিজম,ইহুদী মিস্টিসিজম কাব্বালা,খ্রিষ্টানদের জিনোসিস ইত্যাদি মিস্টিক্সের সাথে স্পষ্টভাবে যুক্ত।
ইহুদীদের মিস্টিসিজম কাব্বালার গোড়া খুজতে থাকলে হযরত সুলাইমান আলাইহিসালাম এর শাসনের সময় শয়তানের জাদুবিদ্যার প্রচলনকে পাওয়া যায়। এখনো সেসময়কার জ্ঞানে জাদুশাস্ত্র চলছে।
____
"তারা ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত। তারা উভয়ই একথা না বলে কাউকে শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষার জন্য; কাজেই তুমি কাফের হয়ো না। অতঃপর তারা তাদের কাছ থেকে এমন জাদু শিখত, যদ্দ্বারা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তদ্দ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না। যা তাদের ক্ষতি করে এবং উপকার না করে, তারা তাই শিখে। তারা ভালরূপে জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোন অংশ নেই। যার বিনিময়ে তারা আত্নবিক্রয় করেছে, তা খুবই মন্দ যদি তারা জানত।" (সূরা বাকারা ১০২)
জাদুবিদ্যার মূল ইতিহাস খুব পুরাতন, এমনকি হযরত নূহ আলাইহিসালাম এর সময়েও এর অস্তিত্ব ছিল।
___
https://m.tarot.com , ওয়েবে গেলে ট্যারটের সাথে ওতপ্রোত অস্ট্রোলজির সংশ্লিষ্টতা বুঝতে পারবেন।এর চর্চাকারীরা ভাগ্যগণনা,ভবিষৎবলার ক্ষমতার দাবি করে। যদিও ১৫ শতকে অফিশিয়ালি ব্যবহার শুরু হয়,তবে এর শিকড় বেশ প্রাচীন। কিছু অকাল্ট বই রাইটার বলেন ট্যারট সম্পর্কযুক্ত প্রাচীন মিশরীয় জাদুবিদ্যার কিতাব তোথ! ট্যারট কার্ডকে মেজর আর মাইনর আরকেনায় ভাগ করা হয়। এই বিষয়বস্তু সম্পূর্ণভাবে উচ্চশ্রেণীর স্পিরিচুয়ালিস্ট মিস্টিক্সের(থেইস্টিক স্যাটানিজম) সম্পর্কযুক্ত। আপনি হয়ত বুঝতে পারছেন না, তবে শয়তানের পূজারীরা এর সিগনিক্যান্স বোঝে। খ্রিষ্টান কাফের আহলে কিতাবধারীরা এসকল চর্চাকে বলে ফর্বিডেন নলেজ সিকিং আর এর পাপকে বলে অরিজিনাল সিন। ইসলামি পার্সপেক্টিভে এসব জাদুবিদ্যা আর শয়তানের আরাধনার ব্যপারে অত্যন্ত কঠোর। যেখানে পথভ্রষ্ট কিতাব প্রাপ্তরাই এটার জঘন্যতা সম্পর্কে কঠোর, সেখানে এক্ষেত্রে আমাদের কিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি হতে পারে (?)! soothsayer, clairvoyance, astrology, fortuneteller দের ব্যপারে রাসূল (স) অত্যন্ত কঠোর কথা উচ্চারণ করেছেন। এমনকি যে ভাগ্যগণনাকারীদের কাছে যায় তার ইবাদতও ৪০ দিন কবুল হয়না, আর সে এসব সাধনা বা চর্চা করে!! ইন্নালিল্লাহ । এটা শক্ত কুফর।
__
বিস্তারিত দেখুন-
http://www.ummah.com/forum/showthread.php?158429-Tarot-cards
https://islamqa.info/en/2538
https://islamqa.info/en/114820
__
(উপরের/নিচের ছবি গুলো এ উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়ে যেন ট্যারট বিষয়টি কিসের সাথে জড়িত, আধ্যাত্মবাদী কুফরি দর্শনের সাথে কতটা নিবিড় সম্পর্কযুক্ত সেটা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন, চাইলে ভিডিওগুলোর নাম ধরে সার্চ করে বিস্তারিত দেখুন)
_
শঙ্কার বিষয় যে, এদেশে কোয়ান্টাম ম্যাথড তাদের স্পিরিচুয়ালিস্টিক কুফরি দর্শন প্রচারে সফল হয়েছিল ইসলামকে ব্যবহার করেই, এবার এই স্পিরিচুয়ালিস্ট এজেন্ডাদের কাল্ট প্রাক্টিস প্রচারের দায়িত্বে কাজ করছে এদেশের স্বনামধন্য রেডিও স্টেশন -#এবিসি_রেডিও এর নিয়মিত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান "ডর ট্যারট", আর এতে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন রাদবি রেজা নামের একজন আরেকজন জনপ্রিয় রেডিও জকি ও টেলিভিশন উপস্থাপক কিবরিয়া সাহেব। তাদের অনুষ্ঠান অল্প দিনে খুব জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং লক্ষাধিক ফ্যান এ বাম রাস্তায় বিশ্বাস ও হাটা শুরু করেছে!
_
পেজ লিংক-
https://m.facebook.com/daartarot/?refid=52&__tn__=C
_
রাদবি রেজা সাহেবের ফেসবুক আইডি-
https://m.facebook.com/radbi?refid=46&sld=eyJzZWFyY2hfc2lkIjoiNTM5ZmQyM2ZhYjJkMGI5MDNiOTM0ZGYzZjZlYTVkZDQiLCJxdWVyeSI6InJhZGJpIHJlemEiLCJzZWFyY2hfdHlwZSI6IlNlYXJjaCIsInNlcXVlbmNlX2lkIjo1NTgwODk0MDAsInBhZ2VfbnVtYmVyIjoxLCJmaWx0ZXJfdHlwZSI6IlNlYXJjaCIsImVudF9pZCI6NjY5MTkyMjY4LCJwb3NpdGlvbiI6MCwicmVzdWx0X3R5cGUiOjIwNDh9&fref=search
__
এ পথের কালোদিক কোন ইসলামি জ্ঞানহীনরাও অনুধাবন করতে পারে যদি অকাল্টিজমের ব্যপারে কিছু তথ্য জানা থাকে। তাছাড়া বহু দুর্বল জ্ঞানের মুসলিমরা ইতোমধ্যে এই অনুষ্ঠানের ব্যপারে বিরূপ মন্তব্য করা শুরু করেছে। তাদের পেজের কন্টেন্ট গুলো ইসলামি পার্সপেক্টিভে চরম ডেভিয়েটেড। গতকাল পেজটি তাদের গ্লোবাল আধ্যাত্মবাদী চেতনার জানান দিয়েছেন এ পোস্টের আর্টিকেল এর মাধ্যমে । লিংক -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1905893159626055&id=1818259065056132#comment_form_1818259065056132_1905893159626055
_
এই পোস্ট যে বিশ্বাসগত আদর্শ বহন করে তার অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত বর্ননা দিয়েছি -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=777888975714434&id=100004800152023&refid=17&_ft_=top_level_post_id.777888975714434%3Atl_objid.777888975714434%3Athid.100004800152023%3A306061129499414%3A2%3A0%3A1496300399%3A3634114067770331984
___
সংক্ষিপ্ত তথ্যের জন্য রাদবি রেজা সাহেবের স্পিরিচুয়ালিস্টিক বিলিফ সিস্টেমটি কোন স্কুল অব টিচিং এর সেটা স্পষ্ট নয়। অল্প তথ্য বলতে বলতে পারে না তিনি ধর্মচক্রের কোন আধ্যাত্মিকতা নাকি তাও নাকি হেলেনা পেত্রোভনা ব্লাভাস্তস্কির নাকি এলিস বেইলি নাকি বেঞ্জামিন ক্রিমের সেক্টরের, নাকি কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম বা নিউএজের....। তারা যে আদর্শ পাবলিকে প্রচার করছে তা যদি জ্ঞানগত সীমাবদ্ধতায় জাহেলিয়াতের জন্য হয়, তবে বৃহত্তর কল্যানে তাদেরকেই সেটা থেকে বেরিয়ে আসাটা সমীচীন, অন্যথায় তারা যদি ডলার বিলের উপরে লিখিত নোভাস অর্দো সেকলোরাম বা নতুন ধর্মনিরপেক্ষ আইনের অনুসারীদের ছত্রছায়ায় সচেতনভাবে কাজ করে থাকেন তবে সংশোধনের অনুরোধ কেবলই বৃথা অনুনয়। (ওয়া আল্লাহু 'আলাম)
__________
____
বইঃ রিয়াযুস স্বা-লিহীন, অধ্যায়ঃ ১৮/ নিষিদ্ধ বিষয়াবলী, হাদিস নম্বরঃ ১৬৮০
_
৩০৩ : গণক, জ্যোতিষী ইত্যাদি ভবিষ্যদ্বক্তার নিকট গমন নিষিদ্ধ
_
৪/১৬৮০। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি জ্যোতিষ বিদ্যার কিছু অংশ শিক্ষা করল, সে আসলে যাদু বিদ্যার একটি অংশ শিক্ষা করল। বিধায় জ্যোতিষ বিদ্যা যত বেশী পরিমাণে শিক্ষা করবে, অত বেশী পরিমাণে তার যাদু বিদ্যা বেড়ে যাবে।’’ [আবূ দাঊদ বিশুদ্ধ সূত্রে] [1]
___
[1] আবূ দাউদ ৩৯০৫, ইবনু মাজাহ ৩৭২৬, আহমাদ ২০০১, ২৮৩৬ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
___________________________________________
উপরিউক্ত কন্টেন্ট যেকেউ কপি পেস্ট করে প্রচার করতে পারেন, নিজের নামেও প্রচার করতে পারেন, কোন সমস্যা নেই। ক্রেডিট হাকানোর দরকার নেই। কপিরাইটঃউন্মুক্ত। ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ।

এসোটেরিক এজেন্ডা বাংলাদেশে -১

রুদ্রচক্রীর (দাজ্জাল) অনুসারীরা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। এর আগে ব্যাপকভাবে লেখালেখি চালিয়েছিলাম আধ্যাত্মবাদীদের ওয়ার্ল্ডওয়াইড নেটওয়ার্কের ব্যাপারে ইংরেজি ও বাংলা ভাষায়।  ওদের এদেশীয় শাখা হিসেবে কোয়ান্টাম ম্যাথড,সিলভা,ব্রোঞ্জ ম্যাথড কাজ করছে। এদের জাল যে কতটা সুদূরপ্রসারী সেটা এখন ঠাহর করতে পারছি।

কিছুক্ষন আগে অবাক হয়ে যাই এটা দেখে যে, এবিসি রেডিওর জ্বীনভূতের ঘটনা শোনায় এরূপ একটা রেডিও অনুষ্ঠান "ডর ট্যারট" তাদের জনপ্রিয় পেইজ দ্বারা কৌশলে এই নিষিদ্ধ গুপ্তবাদীদের(Esoterist) কুফরি আকিদা বা দর্শনের চর্চা ও প্রচার করছে। এর নেপথ্যে RJ কিব্রিয়া এবং রাদবি রেজা নামের দুজন 'বিখ্যাত' ব্যক্তিত্ব একত্রে প্রকাশ্যে কাজ করছে। পেছনে কোন অর্গানাইজেশন আছে সেটা অজানা। তবে আকিদা বা বিলিভ সিস্টেম কিসের সেটা সূর্য্যের ন্যায় স্পষ্ট। এটা কোন বিলিফ সিস্টেম বললে ভুল হবে বরং এটা একটা রিফর্মড ধর্ম। একে ইংরেজিতে বলা যায় স্পিরিচুয়ালিজম বা মিস্টিসিজম বা এসোটেরিসিজম। এ পথের অনুসারীরা প্রাচীনযুগেও ছিল, এখনো আছে।

 ইব্রাহীম (আ) এর নামধারী অনুসারীদের ধর্মে কাব্বালা,নস্টিক,নোসিস আর সুফিবাদ হিসেবে আছে। আর প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন দর্শনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। আর প্যাগান অগণিত ধর্মে ছিল। কিন্তু এ ধর্মের আজকের ধর্মগুরুরা প্রচার করে,' বর্তমান যুগ হচ্ছে এইজ অব একুরিয়াস। আধ্যাত্মিকতার রিভাইভ্যালের যুগ, এ যুগেই মসীহ(এসেন্ডেড মাস্টার/ওয়ার্ল্ড টিচার) আসবে বিপুল আধ্যাত্মিক ক্ষমতা আর জ্ঞান নিয়ে। এজন্য তার নৈকট্যপ্রাপ্ত তারাই হবে, যারা আধ্যাত্মিক সাধনায় সুউচ্চে। এজন্য সাধনায় আলোকদ্রষ্টা হয়ে নিজেকে এনলাইটেন্ড হতে হবে।
 রেনেসার পরে থেকে অন্ধকার‍যুগের(ধর্মভিত্তিক চিন্তার) পতন ঘটে। মডার্ন এজের রিবার্থ ঘটে। এর ফলে ম্যাটেরিয়ালিজম এর জয়যাত্রা শুরু হয় যা আমাদেরকে ঈশ্বরের থেকে আলাদা করে দেয়। আত্মা আর শরীর আলাদা হয়ে যায়। তাই আত্মার উৎকর্ষ সাধনে ঈশ্বরকে খুজতে আমাদেরকে ধ্যানের মাধ্যমে। ঈশ্বর তো আমাদের মধ্যেই আছেন। এজন্য নিজের মধ্যে সুপ্ত ঈশ্বরের ঐশ্বরিক ক্ষমতা জাগরনে ধ্যান ও মনোসংযোগের দ্বারা সাধনা করতে হবে!'

এটাই হচ্ছে monism বা ওয়াহদাতুল উজুদ(সৃষ্টি-স্রষ্টার এক অস্তিত্ব) এর কোর বিলিফের একটি। যেহেতু ধ্যানচর্চার দ্বারা নিজেকে চিনতে হবে তাই এ ধর্মের গুরুরা রিফর্মেশনের চিন্তা শুরু করে। লক্ষ্য হচ্ছে কিভাবে এর চর্চা সবার মাঝে প্রবেশ করানো যায়।কারন পুরাতন সুফিবাদী,কাব্বালিস্ট বা মরমিবাদে আধুনিক যুগের মানুষরা ঢুকবে না, তাই আধুনিকভাবে রিফর্ম করতে হবে। এভাবেই ধীরে ধীরে গঠিত হয় থিওসফি,নিউএজ, ইস্কন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, রেইকি তুম্মু ইত্যাদি একআমব্রেলা থেকে উদ্ভূত হাজার নামের হাজার সংগঠন। গ্লোবাল এলিটদের ছত্রছায়ায় সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এডভার্টাইজ থেকে শুরু করে মুভিসহ সব কিছু বানানো হচ্ছে। ওদের ফাদে পা না দিয়ে আপনি কোথায় যাবেন!?

ওদের আধ্যাত্মবাদী এ প্যাগান মতবাদের সংগঠনের মধ্যে মৌলিক বিশ্বাসগত পার্থক্য নাই। ওদের ধর্মের মতবাদের মিত্রবিশ্বাস গুলো হচ্ছে, ইহুদিদের কাব্বালা,সুফিবাদ,বাতেনিয়্যাহ(এসটেরিসিজম),মরমিবাদ, বাউলধর্মমত,আনন্দমর্গ, ব্রাহ্মকুমারী(ইত্যাদি অনেক রিফর্মড হিন্দু সেকটর),হিন্দু, বৌদ্ধধর্ম, শিখ,জৈন, বৈষ্ণব(ধর্মচক্রে সব),প্যান্থেইস্টিক সবগুলো(যেমনঃপ্যানেন্থেইজম, প্যান্ডেইজম, প্যানেণ্ডেইজম,ন্যাচারালিজম,এনিমিজম,কনফুসিয়াস, তাওবাদ ইত্যাদি আরো অনেক...)আর সরাসরি শয়তানের পূজাদেওয়ার পথ গুলোর মধ্যে থেলেমা, থিওসফি, আলকেমি চর্চা ইত্যাদির ভাই। যারা এ রিফর্মড ধর্মে 'সচেতনভাবে জেনেবুঝে' বিশ্বাস করে, তাদের জঘন্যতার দিক দিয়ে হিসাব করলে যেকোন সাধারন কাফেরদের চেয়ে উপরে। এরা শয়তান(ইবলিসের) পূজারীদের সমকক্ষ। যে পোস্টটা দেখে এসব লেখা সেটার লিংক -
https://m.faceboo k.com/story.php?story_fbid=1905893159626055&id=1818259065056132&_rdr#1905895996292438
স্পেস রিমুভ করে প্রসিড করুন।

এর পূর্বে এই পেজের এডমিনসহ এদের হিতাকাক্ষীদের সাথে সামান্য বাক্য বিনিময় হয়, সেদিনই তাদেরকে সতর্ক করেছিলাম।এক গুরাবাও সেদিন প্রত্যক্ষ করে। তবে আজ একেবারে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করল!!

Psychic Ability

এবিসি রেডিও তারকা রাদবি রেজা যা বোঝাতে চাইছেন তা সংক্ষেপে বলি, তিনি নতুন এক মাজহাবের সাইন্টিফিক মুভমেন্ট এর অনুসারী। কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম এর সাথে স্ট্রিং থিওরি,নিকোলা টেসলা সাহেবের তিনতত্ত্ব (ফ্রিকোয়েন্সি ভাইব্রেশন ও এনার্জি) আর ইথার এর সম্মেলনে স্পিরিট সাইন্স তৈরি করা হয়েছে। এটা মেইনস্ট্রিম ফিজিক্সের ন্যাচারাল 'ল এর কিছু সীমাবদ্ধতা দূর করে সুপারন্যাচারাল ফোর্সের ব্যাখ্যা দেয়। সাইকিক এবিলিটি অর্জনের সম্ভাবনার নতুন মাত্রা যোগ করে এ 'অপ'বিজ্ঞান। এ অপবিজ্ঞানের অনুসারীদের কাছে সৃষ্টি স্রষ্টা আর অস্তিত্বের ব্যাখ্যা ভিন্ন। কিছুটা ফিলোসফিক্যাল।

 ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি রহিমাহুল্লাহ জাদুবিদ্যাকে ৯ ভাগে ভাগ করেন, এর মধ্যে ২য় শ্রেনী হচ্ছে জ্বীনদের প্রত্যক্ষ সহায়তা ছাড়া অলৌকিক ক্ষমতা লাভ। জাদুবিদ্যা মাত্রই কুফর। উইচক্র্যাফট বা সর্সারির অনেক মাজহাব আছে। একেকটা এক এক নীতিতে কাজ করে। এটা তন্মধ্যে একটা। এটা কুফরির দিক দিয়ে আমার দৃষ্টিতে সেরা, এ সক্ষমতা অর্জন করতে হলে চর্চাকারীদের প্রকৃতির নীতির গভীর রহস্যের ব্যপারে জানতে হয়। আর এ নতুন রিফর্মড বিজ্ঞান এখন পৃথিবীর সর্বত্র প্রমোটিং চলছে বিভিন্ন সংগঠনের নামে, আমাদের দেশে কোয়ান্টাম ম্যাথড,সিলভা, ব্রোঞ্জ ইত্যাদি, ইন্দোনেশিয়ায় রেইকি তুম্মু,ভারতে আনন্দমর্গ,ব্রহ্মকুমারী ইত্যাদি, আমেরিকায় নিউএজ ইত্যাদি। এরা যেসকল স্পনটেনিয়াস অতিমানবীয় এবং অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা অর্জনের কথা বলে,সেটা সর্বপ্রথমে জ্বীনদের সহায়তা নিয়ে অর্জন করতে হয়, ধ্যানের মাধ্যমে। ইভিল আই বা বদনজর হয়ত এ গুপ্তবিজ্ঞানের(এনার্জি ফ্রিকোয়েন্সি ভাইব্রেশন আর ইথার ম্যানিপুলেশন) নীতিতে কাজ করে(আল্লাহ ভাল জানেন)।অথবা আরও একস্তর উচু অজানা বিজ্ঞানের নীতিতে। কারন এরূপ অতীন্দ্রিয়  ক্ষমতাধর মানুষরাও বদনজর থেকে বাচতে বিভিন্ন নীল পাথরের চার্ম-এমুলেট ব্যবহার।

বিশ্বব্যাপী আধ্যাত্মিক যে গণজাগরণ চলছে, তারজন্য বিভিন্ন রেডিও থেকেও এর সপক্ষে প্রচার চলছে, এতে অবাক হবার কিছু নেই। কারন, তাদের স্পিরিচুয়াল গ্রেট লিডার তথা ওয়ার্ল্ড টিচার বা 'লর্ড মাইত্রেয়া' বা ফাইনাল অবতার কল্কি বা ইহুদী মসীহ বা খ্রিষ্টীয় এন্টি ক্রাইস্ট বা ইসলামের দাজ্জালের আগমন খুব নিকটে। তারই অনুসারীরা এই অকাল্টিজমের পুনঃজাগরনে কাজ করছে। তাই বাংলাদেশের মত জাহেলদের দেশে এরূপ হাল্কা শোডাউন চলাটাই স্বাভাবিক।

এজন্যই এভেঞ্জারস,এক্সম্যানের মত সাইকিক এবিলিটির মুভি গুলো হঠাৎ এত প্রমোশন পেয়েছিল। যাতে ইয়ং জেনারেশন এর প্রতি আকৃষ্ট হয়। এরপরেই ওয়েন ফ্রিম্যান লুসির মাধ্যমে জানিয়েছেন মানুষের সীমাহীন ক্ষমতার মস্তিষ্ক ৯৯% ই তালাবন্ধ অবস্থায়(লকড) অবস্থায় আছে। অর্থাৎ আনইউজড,এটাকে আনলক করা সম্ভব। আর হাতে কলমে ডেমনস্ট্রেশনে আছে সকল আধ্যাত্মবাদী সংগঠনগুলো। আর এডভার্টাইজিং এ আছে ট্যারটের রাদবি রেজার মত দাদাবাবুরা।

যারা যাদুচর্চা করে তাদের পরকালে কোন অংশ নাই(২:১০২ অবলম্বনে)