আমাদের মধ্যে একটা ধারনাকে ঢোকানো হয়েছে যে, যাদুচর্চা বা সর্সারি মানেই হচ্ছে শয়তান জ্বীনের মাধ্যমে কাউকে ক্ষতি করা। এটাকেই যদি যাদুর একমাত্র সংজ্ঞা হিসেবে নেওয়া হয় তাহলে কাব্বালিস্টিক, হার্মেটিক টিচিং গুলো কি? সায়েন্স?! এখান থেকেই নিও মু'তাযিলা চিন্তাধারার সূত্রপাত। যার জন্য অজস্র ম্যাজিক্যাল অকাল্ট ডক্ট্রিনগুলোকে ইসলামাইজ করতে দেখা যায়। এরজন্য আইনস্টাইনিয়ান ঈশ্বরের ব্যাখ্যাকে ইব্রাহীম আলাইহিসালামের রব বানিয়ে দেওয়া হয়, মা'আযাল্লাহ! এসব আমরা ফেসবুকের সেলিব্রেটি পর্যায়ের নামিদামি ইসলামিক চিন্তাবিদকেও করতে দেখি।
এজন্য আজ আমরা বিদ্যা-অপবিদ্যা র সীমারেখা সম্পর্কেও জানি না। কোন একটা জিনিস নিজের মতের সাথে মিললে, সেটাকে গ্লোরিফাই করার জন্য যেখান থেকে হোক তথ্য নিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট লেখা প্রকাশ করছি, যা লিখছি বা সেসব তথ্যগুলোর অরিজিনের ব্যপারে ওয়াকিবহাল হবার প্রয়োজনীয়তা একদমই মনে করছি না।
পশ্চিমা বিশ্বের উইক্কানরা শয়তান জ্বীনদেরকে gods,goddess শব্দ দ্বারা পরিচয় দেয়। প্রত্যেক যাদুকর একজন না একজন gods/goddess এর পূজা করে। অনেক যাদুকর এদেরকে স্পিরিট গাইড, এ্যাঞ্জেলসহ আরো অনেক নামে ডাকে। আমাদের দেশের মূর্খ যাদুকর/কবিরাজ/ জ্যোতিষী বা গনকরা এদেরকে গুরু,অন্তর্গুরু , মুর্শিদ ইত্যাদি নামে ডাকে। অনেক শিষ্য এ শয়তানদেরকে মৃত উস্তাদের সিদ্ধ আত্মা মনে করে। তবে মুসলিম দেশগুলোতে থাকা যাদুকরদের অধিকাংশই এদের ব্যপারে জানে। অর্থাৎ এরা সচেতন যে এরা শয়তান জ্বীনের থেকে সাহায্য নেয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ পীর-ফকির-বাবা এই শয়তান জ্বীনের সাহায্য নিয়ে অলৌকিক কোন কিছু দেখিয়ে ব্যবসা অব্যাহত রাখে। পরিচিত এক গ্রামে এরকম শুনেছি, অমুক পীরবাবার জ্বীন তার অবাধ্য হয়ে বের হয়ে গেছে, যার জন্য গ্রামবাসীদেরকে নির্দেশ দিয়েছে কেউ যেন সন্ধ্যার পর না বের হয়।
এক সেল্টিক উইক্কান কে তার যাদুচর্চায় জ্বীনের(স্পিরিট গাইড) সাহায্যের ব্যপারে প্রশ্ন করলে সে জানায়, যাদুচর্চায় এদের ভূমিকা অনেক। শয়তান জ্বীন না থাকলেও যাদু চর্চায় কোন বিঘ্ন ঘটে না, যেহেতু সেটা শুধুই ইন্টেন্টকেন্দ্র িক। সে জানায়, জ্বীনের সহযোগীতা প্রয়োজন হয় কোন হারানো কিছু খুজে পেতে, স্পেল ক্যাস্ট সফল কিনা জানাতে, আরো নিখুঁতভাবে করার প্রক্রিয়া/ পদ্ধতি এবং স্পেল শেখাতে প্রয়োজন হয়। তাছাড়া সর্সারারদের চিকিৎসায়, গাছগাছড়ার গুনাগুন সংক্রান্ত তথ্য এবং বিচিত্র মেটাফিজিক্যাল দর্শন কেন্দ্রিক তথ্য দেওয়ার কাজ করে। জ্বীন যাদুকরদের প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ এবং কবচ মাদুলি অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছে দেওয়ার কাজটিও করে। এজন্য শয়তান জ্বীনের ভূমিকা যাদুকরদের কাছে অপরিহার্য। কিন্তু তাই বলে জ্বীনের possession কেই যাদু বলা ভুল। আমাদের দেশে এটাই একমাত্র যাদুগ্রস্ততা। এজন্য মূল ম্যাজিক্যাল টেক্সট উৎসারিত ন্যাচারাল ফিলসফিকে সায়েন্স বলতে কষ্ট হয় না। আপনি কি জানেন, আজকের এই ফিজিক্স আমাদেরকে বলছে, ইন্টেন্ট রিয়ালিটিকে ম্যানিপুলেট করে! হয়ত, একারনে স্বপ্নের মনগড়া ব্যাখ্যাদান নিষিদ্ধ। সেটা ঝুলন্ত পায়ের মত। যে ইন্টেন্টকেন্দ্র িক ব্যাখ্যা হবে, সেটাই ঘটবে। একই কারনেই ঈর্ষান্বিত লোকের নেতিবাচক অভিপ্রায়(ইন্টেন্ট) অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে,যাকে আমরা বদনযর বলি। এ বিষয়টিকে ধরেই এদেশের মর্ডান অকাল্ট প্রিচার কোয়ান্টাম ম্যাথড প্রত্যাশিত কিছু পেতে 'মনছবি' নামের কিছুর চর্চার পরামর্শ দেয় নিয়মিত, সেই সাথে মনোবাসনাকে শানিত করতে যোগসাধনা শেখায়।
যাদুকররা কজ এ্যান্ড ইফেক্টের ক্ষেত্রে নিজেদেরকে ইলাহ বানিয়ে নেয়। সেই সাথে প্রকৃতির উপর প্রভাব বিস্তারের অনধিকার চর্চা করে। এবং শয়তানের শেখানো সিঙ্গুলারিটির মেটাফিজিক্সে বিশ্বাস করতে শেখায়, এজন্য ওরা নিকৃষ্ট কাফির।
ওয়া আল্লাহু আ'লাম।
এজন্য আজ আমরা বিদ্যা-অপবিদ্যা
পশ্চিমা বিশ্বের উইক্কানরা শয়তান জ্বীনদেরকে gods,goddess শব্দ দ্বারা পরিচয় দেয়। প্রত্যেক যাদুকর একজন না একজন gods/goddess এর পূজা করে। অনেক যাদুকর এদেরকে স্পিরিট গাইড, এ্যাঞ্জেলসহ আরো অনেক নামে ডাকে। আমাদের দেশের মূর্খ যাদুকর/কবিরাজ/
এক সেল্টিক উইক্কান কে তার যাদুচর্চায় জ্বীনের(স্পিরিট
যাদুকররা কজ এ্যান্ড ইফেক্টের ক্ষেত্রে নিজেদেরকে ইলাহ বানিয়ে নেয়। সেই সাথে প্রকৃতির উপর প্রভাব বিস্তারের অনধিকার চর্চা করে। এবং শয়তানের শেখানো সিঙ্গুলারিটির মেটাফিজিক্সে বিশ্বাস করতে শেখায়, এজন্য ওরা নিকৃষ্ট কাফির।
ওয়া আল্লাহু আ'লাম।
0 Comments:
Post a Comment