Sunday, March 10, 2019

আল ইল্ম ওয়াল জিহাদ

কয়েক দিন পূর্বে এক ভাই (গণহত্যা) শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি কয়েকটা আয়াত ও হাদিস এনে দেখাতে চেষ্টা করেছেন- আরাকান, কাশ্মির সহ অন্যান্য মুসলিম ভূখণ্ডে চলমান গণহত্যার মূল কারণ- জিহাদ ছেড়ে দেয়া। আমরাও যদি জিহাদ ছেড়ে বসে থাকি, তাহলে আমাদের উপরও এই গণহত্যা আপতিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। 

আরেক ভাই এ লেখাটাকে একটু তাহকীক ও পরিমার্জন করে দেয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। এর ভিত্তিতেই আমার এ লেখা। মূল কথা ভাইয়ের লেখায় এসে গেছে। আমি আরেকটু তাহকীকের সাথে বিষয়টা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আল্লাহ তাআলা সবাইকে কবুল করুন। 
কুরআন ও হাদিসে সুস্পষ্ট বিধৃত হয়েছে যে, জিহাদ ছেড়ে দিলে মুসলমানদের উপর আযাব-গজব, শাস্তি-অপমান আর লাঞ্চনা নেমে আসবে। আখেরাতের আযাব তো আছেই, দুনিয়াতেই তাদের উপর এগুলো আপতিত হবে। তাদের শত্রুরা তাদের উপর বিজয়ী হয়ে যাবে। আর কাফেররা যদি কখনো মুসলমানদের বাগে পায়, তাহলে তাদের উপর নির্মম অত্যাচার চালাবে। তাদেরকে অপদস্ত, অপমানিত ও লাঞ্চিত করবে। 
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
{كَيْفَ وَإِنْ يَظْهَرُوا عَلَيْكُمْ لَا يَرْقُبُوا فِيكُمْ إِلًّا وَلَا ذِمَّةً يُرْضُونَكُمْ بِأَفْوَاهِهِمْ وَتَأْبَى قُلُوبُهُمْ وَأَكْثَرُهُمْ فَاسِقُونَ (8) اشْتَرَوْا بِآيَاتِ اللَّهِ ثَمَنًا قَلِيلًا فَصَدُّوا عَنْ سَبِيلِهِ إِنَّهُمْ سَاءَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ (9) لَا يَرْقُبُونَ فِي مُؤْمِنٍ إِلًّا وَلَا ذِمَّةً وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُعْتَدُونَ (10)}
“কিভাবে (তোমরা তাদের বিশ্বাস করবে)? এরা যদি কখনো তোমাদের উপর জয় লাভ করতে পারে, তাহলে তারা (যেমনি) আত্মীয়তার বন্ধনের তোয়াক্কা করবে না, (তেমনি) চুক্তির মর্যাদাও তারা দেবে না। তারা (শুধু) মুখ দিয়ে তোমাদের খুশি রাখার চেষ্টা করে, কিন্তু তাদের অন্তরগুলো সেসব কথা (কিছুতেই) মেনে নেয় না। মূলত এদের অধিকাংশ ব্যক্তিই অবাধ্য। এরা আল্লাহ তাআলার আয়াতসমূহ সামান্য (বৈষয়িক) মূল্যের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে এবং মানুষকে তাঁর পথ থেকে দূরে রেখেছে। তারা যা করছে, নিশ্চয়ই তা বড় জঘন্য কাজ। (কোনো) ঈমানদার লোকের ব্যাপারে এরা (যেমন) আত্মীয়তার ধার ধারে না, (তেমনি) কোন অঙ্গীকারের মর্যাদাও এরা রক্ষা করে না। মূলত এরাই সীমালঙ্গনকারী।” (তাওবা: ৮-১০)


অন্যত্র ইরশাদ করেন-
{إِنْ يَثْقَفُوكُمْ يَكُونُوا لَكُمْ أَعْدَاءً وَيَبْسُطُوا إِلَيْكُمْ أَيْدِيَهُمْ وَأَلْسِنَتَهُمْ بِالسُّوءِ وَوَدُّوا لَوْ تَكْفُرُونَ}
“(তাদের চরিত্র হচ্ছে এই যে) যদি এরা তোমাদের কাবু করতে পারে, তাহলে এরা তোমাদের মারাত্মক শত্রুতে পরিণত হবে। (শুধু তাই নয়) নিজেদের হাত ও কথা দিয়ে তোমাদের তোমাদের অনিষ্ট সাধন করবে। (আসলে) এরা এটাই চায় যে, তোমরাও তাদের মতো কাফের হয়ে যাও।” (মুমতাহিনা: ২) 


এ ছাড়াও আরো অনেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা কাফেরদের এ হীন চরিত্রের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। 



এই সীমালঙ্গনকারী, অবাধ্য, পাপাচারি ও হীন চরিত্রের কাফেরদের দমানোর জন্য আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের উপর জিহাদ ফরয করেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- 
{وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّه لِلّهِ}
“আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কিতাল কর, যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দ্বীন-আনুগত্য পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়।” (আনফাল: ৩৯)


{فَإِذَا انْسَلَخَ الْأَشْهُرُ الْحُرُمُ فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدْتُمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ فَإِنْ تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوا سَبِيلَهُمْ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ}

“অত:পর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা করা এবং তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে থাক। তবে তারা যদি তাওবা করে – মুসলমান হয়ে যায় – এবং সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয়: তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (তাওবা: ৫)

{قَاتِلُوا الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ}
“তোমরা কিতাল কর আহলে কিতাবের সেসব লোকের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের উপর ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তার রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম করে না এবং সত্য দ্বীন গ্রহণ করে না, যতক্ষণ না তারা নত হয়ে স্বহস্তে জিযিয়া প্রদান করে।” (তাওবা: ২৯)



এখন যদি মুসলমানরা আল্লাহর আদেশের মূল্য না দিয়ে জিহাদ ছেড়ে দুনিয়ার সুখ-শান্তি আর আরাম-আয়েশে লিপ্ত হয়, তাহলেই দেখা দেবে বিপত্তি। তাদের দুশমনরা তাদের উপর চেপে বসবে। তাদের উপর নির্মম নির্যাতন চালাবে। তাদেরকে অপদস্থ ও লাঞ্চিত করবে। তাদেরকে ব্যাপকভাবে হত্যা করবে। এ ব্যাপারে অনেক আয়াত ও হাদিসে সতর্কবাণী এসেছে। এখানে আমি কয়েকটা আয়াত ও হাদিস উল্লেখ করছি:




আয়াত
আয়াত-১:
{يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمُ انْفِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ اثَّاقَلْتُمْ إِلَى الْأَرْضِ أَرَضِيتُمْ بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الْآخِرَةِ فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الْآخِرَةِ إِلَّا قَلِيلٌ. إِلَّا تَنْفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلَا تَضُرُّوهُ شَيْئًا وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ} 
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কী হল, যখন তোমাদের বলা হয়, আল্লাহর রাস্তায় (যুদ্ধে) বের হও, তখন তোমরা যমীনের প্রতি প্রবলভাবে ঝুঁকে পড়? তবে কি তোমরা আখিরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে সন্তুষ্ট হলে? অথচ দুনিয়ার জীবনের ভোগ-সামগ্রী আখিরাতের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। যদি তোমরা (যুদ্ধে) বের না হও, তাহলে তিনি তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক আযাব দেবেন এবং তোমাদের পরিবর্তে অন্য এক কওম আনয়ন করবেন। তোমরা তাঁর কিছুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। আর আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।” (তাওবা: ৩৮-৩৯)

এ আয়াতে হুঁশিয়ার করা হয়েছে, যদি তোমরা প্রয়োজনের সময় জিহাদে বের না হও, তাহলে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে মর্মন্তুদ শাস্তি তোমাদের উপর আপতিত হবে। এ শাস্তি আখেরাতে যেমন আসবে, দুনিয়াতেও আসবে। 
আল্লামা সা’দী রহ. (মৃত্যু: ১৩৭৬হি.) বলেন, 
{إلا تنفروا يعذبكم عذابا أليما} في الدنيا والآخرة. اهـ 
“যদি তোমরা (যুদ্ধে) বের না হও, তাহলে তিনি দুনিয়া ও আখেরাতে তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক আযাব দেবেন।” (তাফসীরে সা’দী: ৩৩৭

আল্লামা নাসাফী রহ. (মৃত্যু: ৭১০হি.) বলেন, 
أوعدهم بعذاب أليم مطلق يتناول عذاب الدراين وأنه يهلكهم ويستبدل بهم قوما آخرين خير منهم وأطوع. اهـ
“আল্লাহ তাআলা (দুনিয়া বা আখেরাত- এর কোন একটার মাঝে সীমাবদ্ধ করণ ব্যতীত) নিঃশর্ত আযাবের ধমকি দিয়েছেন, যার মাঝে দুনিয়া-আখেরাত উভয় আযাবই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি (এও জানিয়েছেন যে, তিনি) তাদেরকে ধ্বংস করে দেবেন। তাদের স্থলে অন্য জাতি আনয়ন করবেন, যারা তাদের চেয়ে উত্তম এবং তাদের চেয়ে আল্লাহ তাআলার অধিক আনুগত্যশীল হবে।” (তাফসীরে নাসাফী: ১/৬৮০)

ইবনে আশূর রহ. (মৃত্যু: ১৩৯৩হি.) মত ব্যক্ত করেছেন, এ আয়াতে বিশেষভাবে দুনিয়াবি শাস্তির কথাই বলা হয়েছে। কারণ, এ আয়াতে জিহাদ ছেড়ে দেয়ার দুটি পরিণতির কথা বলেছেন-
১. আল্লাহর আযাব আপতিত হবে। 
২. তাদের স্থলে অন্য জাতি সৃষ্টি করবেন। 
এ দুটি পরিণতির কথা একই আয়াতে একই সাথে উল্লেখ করা হয়েছে। আর অন্য জাতি সৃষ্টি যেহেতু দুনিয়াতেই হবে, তাই তার সাথে উল্লেখিত আযাবও দুনিয়াতেই আসবে। আর এ আযাব হবে- কাফেরদের বিজয় এবং মুসলমানদের গণহত্যা। 
ইবনে আশূর রহ. (মৃত্যু: ১৩৯৩হি.) বলেন, 
وقيل: المراد بالعذاب الأليم عذاب الدنيا كقوله: أن يصيبكم الله بعذاب من عنده أو بأيدينا [التوبة: 52] ... وقد يرجح هذا الوجه بأنه قرن بعواقب دنيوية في قوله: ويستبدل قوما غيركم ... فالمقصود تهديدهم بأنهم إن تقاعدوا عن النفير هاجمهم العدو في ديارهم فاستأصلوهم وأتى الله بقوم غيرهم. اهـ 
“বলা হয়, আয়াতে ‘যন্ত্রণাদায়ক আযাব’ দ্বারা উদ্দেশ্য- দুনিয়াতেই শাস্তি আপতিত হবে, যেমন- আল্লাহ তাআলার এ বাণীতে দুনিয়াবি শাস্তি উদ্দেশ্য: 
{أن يصيبكم الله بعذاب من عنده أو بأيدينا}
‘তোমাদের ব্যাপারে আমরা প্রতিক্ষায় আছি: আল্লাহ তাআলা হয়তো নিজ হাতে তোমাদের শাস্তি দেবেন, নতুবা আমাদের হাত দিয়ে (তোমাদের উপর শাস্তি পৌঁছাবেন)। (তাওবা: ৫২) 
এ ব্যাখ্যাটি এ দিক থেকে অগ্রাধিকার পায় যে, আল্লাহ তাআলার বাণী- ‘তোমাদের পরিবর্তে অন্য এক কওম আনয়ন করবেন’ এর মাধ্যমে দুনিয়াবি যে শাস্তির কথা বিধৃত করেছেন, এরই সাথে একে উল্লেখ করেছেন। … উদ্দেশ্য- যদি তারা জিহাদে বের না হয়ে বসে থাকে, তাহলে তাদের শত্রুরা তাদের দেশে আক্রমণ করে তাদেরকে সমূলে হত্যা করবে। তখন আল্লাহ তাআলা (দ্বীনের নুসরত ও কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য) অন্য এক জাতি আনয়ন করেবেন।” (আত-তাহরিরু ওয়াত-তানভীর: ১০/১৯৯)


আয়াত-২:
{قُلْ إِنْ كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُمْ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّى يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ}
“বলুন (হে নবী!) তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের গোত্র, তোমাদের সে সম্পদ যা তোমরা অর্জন করেছ, আর সে ব্যবসা যার মন্দা হওয়ার আশঙ্কা তোমরা করছ এবং সে বাসস্থান যা তোমরা পছন্দ করছ- যদি (এগুলো) তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে, তবে তোমরা অপেক্ষা কর আল্লাহ তাআলার (পক্ষ থেকে তাঁর আযাবের) ঘোষণা আসা পর্যন্ত। আর আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।” (তাওবা: ২৪)

এসব জিনিস জিহাদের চেয়ে প্রিয় হওয়ার অর্থ- এগুলোর কারণে জিহাদ ছেড়ে দেয়া। আর যখন জিহাদ ছেড়ে দেবে, তখনই আল্লাহ তাআলার আযাব আপতিত হবে। আযাব বিভিন্নভাবে আসতে পারে: আসমানী মুসিবতও হতে পারে, আবার কাফেরদের হাতে নিষ্পেষিত হওয়ার মাধ্যমেও হতে পারে, যেমনটা ১ নং আয়াতে আলোচিত হয়েছে। 
আল্লামা আলূসি রহ. (মৃত্যু: ১২৭০হি.) বলেন, 
فَتَرَبَّصُوا أي انتظروا حَتَّى يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ أي بعقوبته سبحانه لكم عاجلا أو آجلا على ما روي عن الحسن. اهـ آ:2\409
“হাসান বসরী রহ. থেকে বর্ণিত (আয়াতের অর্থ): তোমরা অপেক্ষা কর আল্লাহ তাআলার শাস্তির, দুনিয়াতে কিংবা আখিরাতে।” (রুহুল মাআনী: ২/৪০৯) 

হাফেয ইবনে কাসীর রহ. (মৃত্যু: ৭৭৪হি.) বলেন, 
أمر تعالى رسوله أن يتوعد من آثر أهله وقرابته وعشيرته على الله وعلى رسوله وجهاد في سبيله ... أي: إن كانت هذه الأشياء (أحب إليكم من الله ورسوله وجهاد في سبيله فتربصوا) أي: فانتظروا ماذا يحل بكم من عقابه ونكاله بكم؛ ...
وروى الإمام أحمد، وأبو داود –واللفظ له –من حديث أبي عبد الرحمن الخراساني، عن عطاء الخراساني، عن نافع، عن ابن عمر قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: "إذا تبايعتم بالعينة، وأخذتم بأذناب البقر، ورضيتم بالزرع، وتركتم الجهاد، سلط الله عليكم ذلا لا ينزعه حتى ترجعوا إلى دينكم" . اهـ 
“যারা নিজেদের পরিবার পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও জ্ঞাতি-গোষ্ঠীকে আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর রাস্তায় জিহাদের উপর অগ্রাধিকার দেবে, তাদেরকে শাস্তির হুঁশিয়ারি শুনাতে আল্লাহ তাঁর রাসূলকে আদেশ দিয়েছেন। … অর্থাৎ যদি এ সকল বিষয় তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে, তাহলে তোমরা অপেক্ষা কর ঐ মর্মন্তুদ আযাব ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির, যা তোমাদের উপর আপতিত হবে। ...
ইমাম আহমদ রহ. এবং আবু দাউদ রহ. হযরত ইবনে উমার রাদি. থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি- ‘যখন তোমরা সুদি কারবারে লিপ্ত হবে, গরুর লেজ ধরে পড়ে থাকবে, কৃষি কাজেই সন্তুষ্ট থাকবে এবং জিহাদ ছেড়ে দেবে- তখন আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর চাপিয়ে দেবেন লাঞ্চনা। যতক্ষণ তোমরা তোমাদের দ্বীনে ফিরে না আসবে, ততক্ষণ তোমাদের থেকে তা দূর করবেন না।” (তাফসীরে ইবনে কাসীর: ৪/১২৪)


আয়াত-৩: 
{وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ} 
“তোমরা (অকাতরে) আল্লাহর রাস্তায় (অর্থ-সম্পদ) ব্যয় কর। (অর্থ-সম্পদ আঁকড়ে ধরে) নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের অতলে নিক্ষেপ করো না। আর ইহসান (সুকর্ম) কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ মুহসিন(সুকর্মশীল)দেরকে ভালোবাসেন।” (বাক্বারা: ১৯৫) 

অর্থাৎ তোমরা যদি অর্থ-সম্পদ অর্জনের দিকে মনোনিবেশ কর, সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখ, কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদে তা ব্যয় না কর, তাহলে কাফেররা তোমাদের উপর বিজয়ী হয়ে তোমাদের ধ্বংস করে দেবে। কাজেই জিহাদ ছেড়ে অর্থ-সম্পদের দিকে মনোনিবেশ করে নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না। হযরত আবু আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এই ব্যাখ্যাই বর্ণিত আছে। 
ইমাম তিরমিযি রহ. বর্ণনা করেন- 
عن أبي عمران التجيبي قال: "غزونا من المدينة نريد القسطنطينية , وعلى أهل مصر عقبة بن عامر - رضي الله عنه - وعلى الجماعة عبد الرحمن بن خالد بن الوليد فأخرج الروم إلينا صفا عظيما منهم وألصقوا ظهورهم بحائط المدينة فخرج إليهم من المسلمين مثلهم أو أكثر , فحمل رجل من المسلمين على صف الروم حتى دخل فيهم , فصاح الناس وقالوا: مه , مه؟ , لا إله إلا الله , يلقي بيديه إلى التهلكة فقام أبو أيوب الأنصاري - رضي الله عنه - فقال: يا أيها الناس , إنكم تتأولون هذه الآية هذا التأويل , وإنما أنزلت هذه الآية فينا معشر الأنصار , لما أعز الله الإسلام وكثر ناصروه , قال بعضنا لبعض - سرا دون رسول الله - صلى الله عليه وسلم -: إن أموالنا قد ضاعت , وإن الله قد أعز الإسلام , وكثر ناصروه , فلو أقمنا في أموالنا , فأصلحنا ما ضاع منها , فأنزل الله على نبيه - صلى الله عليه وسلم - يرد علينا ما قلنا: {وأنفقوا في سبيل الله ولا تلقوا بأيديكم إلى التهلكة} فكانت التهلكة أن نقيم في أموالنا ونصلحها , وندع الجهاد. قال أبو عمران: فلم يزل أبو أيوب شاخصا يجاهد في سبيل الله حتى دفن بالقسطنطينية" [جامع الترمذي: 2972]
“আবু ইমরান আত-তুজিবি রহ. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কুসতুনতুনিয়ার জিহাদের উদ্দেশ্যে মদীনা থেকে বের হলাম। তখন মিশরের গভর্নর ছিলেন হযরত উকবা ইবনে আমের রাদি.। আমাদের জামাতের আমির ছিলেন আব্দুর রহমান ইবনে খালেদ ইবনে ওয়ালিদ রহ.। রোমবাসী আমাদের বিরুদ্ধে তাদের বিশাল এক বাহিনী পাঠাল। তারা তাদের শহরের দেয়ালের দিকে পশ্চাত করে তাদের সারি সাজালো। তাদের মোকাবেলায় মুসলমানদের থেকে তেমনই কিংবা তার চেয়েও বড় এক বাহিনী বের হল। তখন মুসলমানদের এক ব্যক্তি রোমানদের বিশাল সারিতে একাই হামলা করে বসল এবং তাদের সারির একেবারে ভেতরে প্রবেশ করে গেল (যার ফলে তার মৃত্যু নিশ্চিত ছিল)। তখন লোকজন চিৎকার করে বলতে লাগলো- ‘(কি কর?) থাম! থাম! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ! এ ব্যক্তি নিজ হাতে নিজেকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করছে।’ তখন আবু আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে গেলেন। বললেন, ‘ওহে লোক সকল! তোমরা এ আয়াতের এই ব্যাখ্যা করছো। (তোমাদের ব্যাখ্যা সঠিক নয়।) এ আয়াত তো আমরা আনসারদের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে। আল্লাহ তাআলা যখন ইসলামকে শক্তিশালী করলেন, তার সাহায্যকারীও অনেক হয়ে গেল, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অগোচরে আমাদের একে অপরকে বললো- আমাদের ধন-সম্পদ তো নষ্ট হয়ে গেল। এদিকে আল্লাহ তাআলা ইসলামকে শক্তিশালী করেছেন। তার সাহায্যকারীও তৈয়ার হয়েছে অনেক। কাজেই আমরা যদি (কিছু দিন জিহাদ বন্ধ রেখে) আমাদের ধন-সম্পদের কাছে অবস্থান করে সেগুলোর পরিচর্যা করতাম! তখন আমাদের এই মতামতকে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ তাআলা তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এ আয়াত নাযিল করলেন- 
{وأنفقوا في سبيل الله ولا تلقوا بأيديكم إلى التهلكة}
“তোমরা (অকাতরে) আল্লাহর রাস্তায় (অর্থ-সম্পদ) ব্যয় কর। (অর্থ-সম্পদ আঁকড়ে ধরে) নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের অতলে নিক্ষেপ করো না।”
অতএব, ধ্বংসে নিক্ষেপ করার অর্থ- জিহাদ ছেড়ে আমাদের ধন-সম্পদের পরিচর্যায় লিপ্ত হওয়া।’ 
আবু ইমরান রহ. বলেন, এরপর থেকে আবু আইয়ূব আনসারি রাদি. সর্বদা জিহাদেই লিপ্ত থাকেন। অবশেষে যখন শহীদ হলেন, তখন কুসতুনতুনিয়াতে তাকে দাফন করা হয়।” (জামে তিরমিযি: হাদিস নং ২৯৭২) 




হাদিস

হাদিস-১: 
عن أبي بكر الصديق - رضي الله عنه - قال: قال رسول الله - صلى الله عليه وسلم -: "ما ترك قوم الجهاد , إلا عمهم الله بالعذاب" [المعجم الأوسط للطبراني: 3839؛ الترغيب والترهيب: 2158، قال المنذري: رواه الطبراني بإسناد حسن]
“হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যে জাতিই জিহাদ ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা ব্যাপকভাবে তাদের উপর আযাব নাযিল করবেন।” (মু’জামে ত্ববরানী: ৩৮৩৯)

এই ব্যাপক আযাব গণহত্যার সূরতেও হতে পারে।


হাদিস-২: 
عن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عيه وسلم قال: "إذا تبايعتم بالعينة، وأخذتم أذناب البقر، ورضيتم بالزرع، وتركتم الجهاد؛ سلط الله عليكم ذلاً لا ينزعه حتى ترجعوا إلى دينكم" [ابو داوود: 3464]
“হযরত ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমার সূত্রে বর্ণিত যে, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘যখন তোমরা সুদি কারবারে লিপ্ত হবে, গরুর লেজ ধরে পড়ে থাকবে, কৃষি কাজেই সন্তুষ্ট থাকবে এবং জিহাদ ছেড়ে দেবে- তখন আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর চাপিয়ে দেবেন লাঞ্চনা। যতক্ষণ তোমরা তোমাদের দ্বীনে ফিরে না আসবে, ততক্ষণ তোমাদের থেকে তা দূর করবেন না।” (সুনানে আবু দাউদ: ৩৪৬৪)

কৃষি কাজে সন্তুষ্ট থাকার অর্থ- কৃষি কাজসহ অন্যান্য দুনিয়াবি কাজ-কর্মে লিপ্ত হয়ে জিহাদ ছেড়ে দেয়া। তখনই তা লাঞ্চনার কারণ হবে। যেমন, বুখারী শরীফের হাদিসে এসেছে- 


হাদিস-৩:
عن أبي أمامة الباهلي – رضي الله عنه – قال – ورأى سكة وشيئا من آلة الحرث – فقال: سمعت النبي – صلى الله عليه وسلم – يقول: " لا يدخل هذا بيت قوم إلا أدخله الله الذل " [صحيح البخاري: 2321]
“হযরত আবু উমামা বাহিলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি একদা একটা লাঙ্গলের ফলা এবং আরো কয়েকটা কৃষি-যন্ত্র দেখে বললেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, এগুলো যে ঘরেই প্রবেশ করবে, আল্লাহ তাআলা সেখানেই লাঞ্চনা ঢুকিয়ে দেবেন।” (সহীহ বুখারী: ২৩২১) 

২ নং হাদিসে দ্বীনে ফিরে আসার দ্বারা উদ্দেশ্য- সুদি কারবার বর্জন করা এবং জিহাদের পথে বাধা এমন সব দুনিয়াবি পেশা-কর্ম বাদ দিয়ে আবার জিহাদে ফিরে আসা। যেমন, মুসনাদে আহমদের এক হাদিসে এসেছে- 


হাদিস-৪: 
عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: "لئن تركتم الجهاد وأخذتم بأذناب البقر وتبايعتم بالعينة ليلزمنكم الله مذلة في رقابكم لا تنفك عنكم حتى تتوبوا إلى الله وترجعوا على ما كنتم عليه" [المسند للإمام أحمد: 5007]
“যদি তোমরা জিহাদ ছেড়ে দিয়ে গরুর লেজ ধরে পড়ে থাক এবং সুদি কারবারে লিপ্ত হও, তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমাদের ঘাড়ে এমন এক লাঞ্চনা চাপিয়ে দেবেন, যা তোমাদের থেকে দূর হবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের পূর্বের অবস্থায় ফিরে আস।” (মুসনাদে আহমদ: ৫০০৭)

হাদিস-৫:
عن أبي أمامة الباهلي – رضي الله عنه – قال: قال رسول الله – صلى الله عليه وسلم -: " من لم يغز , أو يجهز غازيا , أو يخلف غازيا في أهله بخير , أصابه الله بقارعة قبل يوم القيامة " [ابو داود: 2505، ابن ماجه: 2762]
“হযরত আবু উমামা বাহিলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নিজেও যুদ্ধ করেনি, কোন যুদ্ধাকে জিহাদের সরঞ্জাম প্রস্তুত করেও দেয়নি এবং উত্তমভাবে কোন মুজাহিদের পরিবারের দেখাশুনাও করেনি, আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের পূর্বেই তাকে কোন ধ্বংসাত্মক বিপদে নিপতিত করবেন। (আবু দাউদ: ২৫০৫)


হাদিস-৬: 
عن أبي عمران التجيبي قال: "غزونا من المدينة نريد القسطنطينية , وعلى أهل مصر عقبة بن عامر - رضي الله عنه - وعلى الجماعة عبد الرحمن بن خالد بن الوليد فأخرج الروم إلينا صفا عظيما منهم وألصقوا ظهورهم بحائط المدينة فخرج إليهم من المسلمين مثلهم أو أكثر , فحمل رجل من المسلمين على صف الروم حتى دخل فيهم , فصاح الناس وقالوا: مه , مه؟ , لا إله إلا الله , يلقي بيديه إلى التهلكة فقام أبو أيوب الأنصاري - رضي الله عنه - فقال: يا أيها الناس , إنكم تتأولون هذه الآية هذا التأويل , وإنما أنزلت هذه الآية فينا معشر الأنصار , لما أعز الله الإسلام وكثر ناصروه , قال بعضنا لبعض - سرا دون رسول الله - صلى الله عليه وسلم -: إن أموالنا قد ضاعت , وإن الله قد أعز الإسلام , وكثر ناصروه , فلو أقمنا في أموالنا , فأصلحنا ما ضاع منها , فأنزل الله على نبيه - صلى الله عليه وسلم - يرد علينا ما قلنا: {وأنفقوا في سبيل الله ولا تلقوا بأيديكم إلى التهلكة} فكانت التهلكة أن نقيم في أموالنا ونصلحها , وندع الجهاد. قال أبو عمران: فلم يزل أبو أيوب شاخصا يجاهد في سبيل الله حتى دفن بالقسطنطينية" [جامع الترمذي: 2972]
“আবু ইমরান আত-তুজিবি রহ. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কুসতুনতুনিয়ার জিহাদের উদ্দেশ্যে মদীনা থেকে বের হলাম। তখন মিশরের গভর্নর ছিলেন হযরত উকবা ইবনে আমের রাদি.। আমাদের জামাতের আমির ছিলেন আব্দুর রহমান ইবনে খালেদ ইবনে ওয়ালিদ রহ.। রোমবাসী আমাদের বিরুদ্ধে তাদের বিশাল এক বাহিনী পাঠাল। তারা তাদের শহরের দেয়ালের দিকে পশ্চাত করে তাদের সারি সাজালো। তাদের মোকাবেলায় মুসলমানদের থেকে তেমনই কিংবা তার চেয়েও বড় এক বাহিনী বের হল। তখন মুসলমানদের এক ব্যক্তি রোমানদের বিশাল সারিতে একাই হামলা করে বসল এবং তাদের সারির একেবারে ভেতরে প্রবেশ করে গেল (যার ফলে তার মৃত্যু নিশ্চিত ছিল)। তখন লোকজন চিৎকার করে বলতে লাগলো- ‘(কি কর?) থাম! থাম! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ! এ ব্যক্তি নিজ হাতে নিজেকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করছে।’ তখন আবু আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে গেলেন। বললেন, ‘ওহে লোক সকল! তোমরা এ আয়াতের এই ব্যাখ্যা করছো। (তোমাদের ব্যাখ্যা সঠিক নয়।) এ আয়াত তো আমরা আনসারদের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে। আল্লাহ তাআলা যখন ইসলামকে শক্তিশালী করলেন, তার সাহায্যকারীও অনেক হয়ে গেল, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অগোচরে আমাদের একে অপরকে বললো- আমাদের ধন-সম্পদ তো নষ্ট হয়ে গেল। এদিকে আল্লাহ তাআলা ইসলামকে শক্তিশালী করেছেন। তার সাহায্যকারীও তৈয়ার হয়েছে অনেক। কাজেই আমরা যদি (কিছু দিন জিহাদ বন্ধ রেখে) আমাদের ধন-সম্পদের কাছে অবস্থান করে সেগুলোর পরিচর্যা করতাম! তখন আমাদের এই মতামতকে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ তাআলা তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এ আয়াত নাযিল করলেন- 
{وأنفقوا في سبيل الله ولا تلقوا بأيديكم إلى التهلكة}
“তোমরা (অকাতরে) আল্লাহর রাস্তায় (অর্থ-সম্পদ) ব্যয় কর। (অর্থ-সম্পদ আঁকড়ে ধরে) নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের অতলে নিক্ষেপ করো না।”
অতএব, ধ্বংসে নিক্ষেপ করার অর্থ- জিহাদ ছেড়ে আমাদের ধন-সম্পদের পরিচর্যায় লিপ্ত হওয়া।’ 
আবু ইমরান রহ. বলেন, এরপর থেকে আবু আইয়ূব আনসারি রাদি. সর্বদা জিহাদেই লিপ্ত থাকেন। অবশেষে যখন শহীদ হলেন, তখন কুসতুনতুনিয়াতে তাকে দাফন করা হয়।” (জামে তিরমিযি: হাদিস নং ২৯৭২) 



হাদিস-৭: 

عن ثوبان قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم- : "يوشك الأمم أن تداعى عليكم كما تداعى الأكلة إلى قصعتها. فقال قائل: ومن قلة نحن يومئذ؟ قال: بل أنتم يومئذ كثير ولكنكم غثاء كغثاء السيل ولينزعن الله من صدور عدوكم المهابة منكم وليقذفن الله فى قلوبكم الوهن. فقال قائل: يا رسول الله! وما الوهن؟ قال: حب الدنيا وكراهية الموت" [ابو داود: 4299]
“হযরত সাওবান রাদি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- অচিরেই এমন সময় আসবে, যখন অন্য জাতি-গোষ্ঠীগুলো তোমাদের বিরুদ্ধে একে অপরকে আহ্বান করবে, যেমন খাবার পাত্র সামনে নিয়ে একে অপরকে ডাকাডাকি করতে থাকে। এক জন জিজ্ঞেস করল, তখন আমাদের সংখ্যার স্বল্পতার কারণে কি এমনটা হবে? তিনি উত্তর দিলেন, (না) বরং তোমরা তখন সংখ্যায় থাকবে অনেক। কিন্তু তোমরা তখন স্রোতে ভাসমান খর-কুটার মতো হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা তোমাদের শত্রুর অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দেবেন। আর তোমাদের অন্তরে আল্লাহ ঢেলে দেবেন ‘ওয়াহান’। এক জন জিজ্ঞেস করল, ‘ওয়াহান’ কি ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি *উত্তর দিলেন, দুনিয়ার মহব্বত এবং মরণের ভয়।” (আবু দাউদ: ৪২৯৯) 
অন্য বর্ণনায় এসেছে- 
"يوشك أن تداعى عليكم الأمم من كل أفق" [المسند للامام أحمد: 22397]
“অচিরেই এমন সময় আসবে, যখন পৃথিবীর সকল প্রান্ত থেকে অন্য জাতি-গোষ্ঠীগুলো তোমাদের বিরুদ্ধে একে অপরকে আহ্বান করবে।” (মুসনাদে আহমদ: ২২৩৯৭)


মরণের ভয় দ্বারা যুদ্ধ-জিহাদে অনিহা এবং শহীদি মরণের ভীতি উদ্দেশ্য। যেমন, মুসনাদে আহমদের এক বর্ণনায় এসেছে- 
"قالوا: وما الوهن يا رسول الله؟ قال: حبكم الدنيا وكراهيتكم القتال" [المسند للامام أحمد: 8713]
“সাহাবগণ জিজ্ঞেস করলেন, ‘ওয়াহান’ কি ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি *উত্তর দিলেন, দুনিয়ার মহব্বত এবং যুদ্ধের প্রতি অনিহা।” (মুসনাদে আহমদ: ৮৭১৩)


اللهم احفظنا من كلّ بلاء في الدنيا وعذاب في الآخرة، وجنِّبنا مكائد الشيطان والظلم والخيانة والكيد والحسد وغيرها من الآفات برحمتك يا أرحم الراحمين.


ডক: 
https://mega.nz/#!ciYGULLb!JR-lCgGPncTOoo-EUPkDzk7ss73uPAwBou3U2YUSLwY

পিডিএফ:
https://mega.nz/#!Z6oQHTSI!G7Zunk_TTWPaOExNENUOFHrcW36z52JiL66gCXU কচভী




[দাওয়া-ইলাল্লাহ ওয়েব থেকে কপিকৃত]



কিছুদিন আগে জনৈক বন্ধু ম্যাসেজ করে। একটি ফেসবুক লিংক দেয়।  আর অভিযোগের সুরে বলে, যেন  গিয়ে দেখি সেখানে কিভাবে নবী(স) কে অপমান করছে।
তো সেখানে গিয়ে দেখতে পাই ওটা মুসলিম নামধারী আইডি। পোস্টটিতে বলা এরূপ বলা হচ্ছে "জঙ্গি নবী মুহাম্মদ"। কমেন্টে ইসলামী অনুভূতিযুক্ত ফাসেকরা আইডিটিকে অকথ্য গালি দিয়ে তার গোষ্ঠী উদ্ধার করছে। শীতল চোখে দেখছিলাম আর মনে মনে বলছিলাম, কাফেররা মাঝেমধ্যে ওদের কাছে অপছন্দনীয় সত্যটা বুঝতে পেরে সেটার বিরুদ্ধে বিদ্রুপাত্বক লেখনী লেখে।

'জঙ্গি' শব্দটি এমন একটি নেতিবাচক শব্দে রুপান্তর করা  হয়েছে যার ব্যবহারগত ভাবার্থ এখন আক্ষরিক শাব্দিক অর্থের চেয়েও বেশি কিছু বোঝানো হয়। কাফেরগোষ্ঠী শব্দটা একটি বিশেষ আদর্শের মানুষদেরকে এমনভাবে 'জঙ্গী' শব্দদিয়ে  ট্যাগ দিয়েছে যেন তারা সাধারন মানুষের পর্যায়ভুক্ত নয়। এমনভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রচারনা চালায় যেন (জঙ্গীরা)তারা হিউম্যানয়েড জন্তুজানোয়ার সদৃশ কিছু অথবা ক্যানিব্যালিস্টিক হিলবিলি জংলি(মানুষখেকো জংলি বা জম্বি ঘরানার কিছু), যাদেরকে দেখা মাত্র হত্যা করতে হয়। আর একাজে সহায়তা করাও পূন্যের কাজ! ভাবগত অর্থে জঙ্গি বলতে ওদের মিডিয়া তাদেরকে দেশদ্রোহী, অরাজকতা-অশান্তি সৃষ্টিকারী, দুধর্ষ সন্ত্রাসী বলে প্রচার করে। এছাড়া তাদের আদর্শ ও লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নিয়েও বিদ্রুপ তাচ্ছিল্য এবং অচল বলে হেয় করে প্রচার করে। এসব মিডিয়া কখনোই তাদের ব্যপারে নিরপেক্ষ তথ্য দেবে না।  সামরিক ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাহীন দুটি ভিন্ন আদর্শবাদীপক্ষের মধ্যে একটি আদর্শগত দ্বন্দ্ব সবসময়ই চলমান আছে। 

♦ ফার্সী শব্দ 'জঙ্গি' এর অর্থ 'যোদ্ধা'। আর 'জঙ্গ' অর্থ যুদ্ধ।'জঙ্গিবিমান' বোধকরি সুপরিচিত শব্দ। ইসলামি আদর্শের উপরে থাকা যুদ্ধকে শার'য়ী পরিভাষায় জিহাদ বলা হয়, তেমনি জিহাদকারী 'যোদ্ধা'দের কে ইসলামী পরিভাষায় মুজাহিদ বলে। সে অনুযায়ী নবী(সাঃ) সাহাবা এবং সালাফগন সকলেই সুপার পাওয়ার জঙ্গিবাহিনীর অন্তর্গত। এর প্রধান নেতা হিসেবে আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) সর্বযুগে শ্রেষ্ঠ হয়ে আছেন। আর সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন জঙ্গের মূল নির্দেশদাতা। তাছাড়া তিনিই সবচেয়ে বড় উৎসাহদানকারী। তিনি পবিত্র কুরআনে মূল লক্ষ্য হিসেবে তার বিধান বাস্তবায়নে আমরণ জঙ্গিবাদে তথা কিত্বালে(যুদ্ধে) লিপ্ত থাকার জন্য উৎসাহিত করেছেন। সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল কুরআন মূলত একটি শ্রেষ্ঠ সাম্প্রদায়িক চেতনাধারী কিত্বালপন্থী(জঙ্গিবাদী) কিতাব (আমি বুঝতে পারছি 'জঙ্গি' শব্দগুলোর এরূপ ব্যবহার আপনাকে বিব্রত করছে আপনার ব্রেইনওয়াসড হবার এর মাত্রা অনুযায়ী।
কিন্তু বিষয়টি নর্মালাইজেশনে নিয়ে আসবার সময় এসেছে, নতুবা কুফর আর হক্ক এর মধ্যে ধোয়াশা কাটবেনা)।যাকে ঘিরে সমস্ত দ্বীনি কিতাব রচিত। এজন্যই সালমান রুশদীর মত ইসলামবিদ্বেষী কাফেরদের যারা কুরআন পড়ে তারা বলে কুরআন শ্রেষ্ঠ জঙ্গিবাদী গ্রন্থ।
এই কাফেরগুলো কুরআনের সারবস্তু হালকা হলেও ধরতে পারে বলেই, ইসলাম ধবংসের জন্য ঐক্যবদ্ধ।
তারা ভাল করেই জানে, হক্ক ও বাতিলের সহাবস্থান বেশিক্ষণ চলেনা। সত্য অসত্যকে দূরীভূত করে।


শুধু নবী(স) একাই জঙ্গি ছিলেন না বরং অন্যান্য পূর্বসূরি নবীগনও এ জঙ্গিবাদের নির্দেশ পেয়েছিলেন। জাতির পিতা ইব্রাহীম আলাইহিসালাম একাই মালাউনদের মূর্তিগুলোতে একাই দুধর্ষ জঙ্গিহামলা পরিচালনা করেন।এবং মূর্তিগুলোকে লাঞ্ছিত অবস্থায় ফেলে আসেন যা মূর্তিপূজকদের অপদস্থ করে। এটাই মিল্লাতে ইব্রাহীম এর আদর্শ। আর মহান রব ইসমাঈল(আ) এর সন্তানদেরকে ঐ মহান উদ্দেশ্য পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য প্রেরন করেছেন, যেটা থেকে আজ উম্মাহর অধিকাংশই অনেক অনেক দূরে। 


মূসা কালিমুল্লাহ (আ) বনী ইসরাইলদের নিয়ে জঙ্গিতৎপরতা চালিয়ে গিয়েছেন কুফফারদের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে তারা জঙ্গিবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তাদের কথাও কুরআনে বর্ননা দিয়েছেন,যেটা আমাদেরকে জিহাদে আল্লাহর আদেশ পালনে অটলতার শিক্ষা দেয়।
এভাবে ঈসা(আ),দাঊদ(আ),সুলাইমান(আ),তালূত(আ) প্রত্যেকেই কাফেরদের বিরুদ্ধে উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গিতৎপরতা অব্যাহত রেখেছিলেন।যার বর্ননা কুরআনেও উল্লেখ এসেছে যেন আমরা তা থেকে শিক্ষা গ্রহন করতে পারি।অথচ সেগুলো এখন মজার কিচ্ছাকাহিনীতে রূপান্তর করা হয়েছে।আমরাই নবীগনের সুন্নাহ থেকে ফিরে এসেছি।
পুরো কুরআনের সূরাগুলোতে শুধু মাত্র আল্লাহর দ্বীনের শ্রেষ্ঠত্ব ও একে বিজয় করবার নির্দেশের ছত্রছায়ায় অন্যান্য ইসলামী আদর্শ বজায়ের নির্দেশ, আদেশ ও উপদেশ ও পূর্ববতী কওম ও নবীগনের ঘটনা এসেছে। তবে মুখ্য লক্ষ্য মহান প্রতিপালকের দ্বীনের শ্রেষ্ঠত্বকে বাস্তবায়ন এর নির্দেশ এসেছে,যে লক্ষ্যে দুনিয়াতে তিনি মানুষকে তার প্রতিনিধিরূপে পাঠিয়েছিলেন।এজন্য সাধারণ বর্ননার মাঝে মাঝেই হঠাৎ করেই জিহাদের নির্দেশ,অথচ আমরা সেসব নিয়ে চিন্তা করিনা। এমনকি আল্লাহ বনী ইসরাইলের অবাধ্যতার ঘটনা ও পরিণাম উল্লেখ করেও জিহাদে উদ্দীপিত করেছেন।আমরা আজমী হওয়ায় আরবি না বোঝায় কুরআনের নির্দেশ অন্তঃকরণে পৌছায় না,আর অনুবাদের জানবার প্রতিও আগ্রহ কম, এজন্য উপমহাদেশীয় অধিকাংশ মুসলিমই কুরআনের অনুবাদে কি আছে বা আল্লাহ কি নির্দেশ দিয়েছেন সে ব্যাপারে ইচ্ছাকৃত গাফেল হয়ে আছে। আরবি দেখে তিলাওয়াত আর বিদাতী সুবিধাবাদী পেটপূজারী আলেমদের ওয়াজের এর বাইরে আমাদের অঞ্চলের মানুষ বেশি দূর যায় না। মোডারেটগনের অধিকাংশই আয়াত বাছাই করে অনুবাদটা কোথাও দেখে। ধারাবাহিকভাবে যদি অর্থটা পড়েও তবে সেটা তাদের মতে 'রাসূল (স) এর জীবদ্দশায় শুধু প্রযোজ্য ছিল'! কেউ বলে এযুগে কোন কিত্বাল নেই,কেউ বানিয়ে নিয়েছে নফসের জিহাদ,কেউ বা বানিয়েছে গণতান্ত্রিক জিহাদ। বস্তুত আল্লাহই সত্য বলেছেন-

"তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।২:২১৬)"

 আমরা যদি তলোয়ার হাতে নেওয়াটা পাপের মনে করি, তবে সুনিশ্চিতভাবে আমরা নবী(স) এর সুন্নাহ এর উপরে নেই।তিনি কি বলেননি যে "আমাকে কিয়ামত পর্যন্ত সময়ের জন্য তরবারি দিয়ে প্রেরন করা হয়েছে"!!

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু দাওয়াত ওয়ালা নবী নন, তিনি তো "নবীউস সাইফ তথা তরবারি ওয়ালা নবী।"
[দলিল- আস শিফা, পৃষ্ঠা ১৪৮; ইবনে আবী শাইবা ৬/৪৭৪, আহমদ ২/১৪৭]

তিনি শুধু তরবারিওয়ালা নবীই নন, জঙ্গি(যোদ্ধা) নবীও।
তিনি তো "নবীউল মালাহিম তথা যুদ্ধসমূহের নবী।"
[দলিল- শরহুশ সুন্নাহ, ১৩/২১৩; শামায়েলে তিরমিযী, পৃষ্ঠা ২৫]

বর্তমানে ইসলামি আদর্শের উপরে থাকা কথিত সন্ত্রাসীদের তথা মুজাহিদকেই বাংলাভাষায় 'জঙ্গি' ট্যাগ দিয়ে সর্বত্র প্রচার প্রচারনা চলছে। ইংরেজিতে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড 'টেররিস্ট' হিসেবে পরিচিত। এটা একটি দল বা মতবাদ কে সমাজ থেকে আইসোলেট করবার বুদ্ধিদীপ্ত প্রসেস।শাসকগোষ্ঠীরা সাধারনত জনগণের উপর বিভিন্নভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং করে তাদের ইচ্ছামত পরিচালনার জন্য,এর সপক্ষে অসংখ্য থিঙ্ক ট্যাংক তাদের জন্য কাজ করে। এটিও সেরূপ প্রোপাগান্ডার অন্তর্গত বিষয়।
কিছু দরবারী নামধারী ইরজাগ্রস্ত ফন্দিবাজ ব্যাধিগ্রস্ত আলেমগন সাফল্যের সাথে ইসলামে যুদ্ধটাকে সন্ত্রাসবাদ তথা জঙ্গিবাদ ও জিহাদ শব্দগুলোকে ভাবগত ও আক্ষরিক অর্থেই আলাদা করে দিয়েছে, যার দরুন এই কাদিয়ানীপন্থী নামে মাত্র মহানবী (স) এর কথিত অনুসারী আলেমগন জিহাদের নতুন ভ্রান্ত ব্যাখ্যা দিয়ে হক্ক ও বাতিলের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকরে জনগনকে বানাচ্ছে জাহেলে মোরাক্কাব! 

যদিও ইসলামপন্থীদের নিন্দার্থে 'জঙ্গি' খেতাব দেওয়া হয়েছে,এটা নিয়ে হীনমন্যতার কিছু নেই। বরং এটা সম্মান সূচক শব্দও যেটা ব্যক্তিবিশেষের স্বীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও তার ব্যক্তিক গ্রহণযোগ্যতার উপর নির্ভর করে।জঙ্গিশব্দটিই সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ূবী রহিমাহুল্লাহর শিক্ষক সুলতান 'নুরুদ্দীন জঙ্গি' রহিমাহুল্লাহর নামেরই অংশ। যাকে মহান প্রতিপালক পছন্দ করেছিলেন নবী (স) এর দেহ মোবারককে কুফফারদের দ্বারা চুরি থেকে হেফাজতের জন্য। তিনিই সেই জঙ্গি যাকে আল্লাহ এজন্য স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অতঃপর তিনি নবী (স) রওজামোবারক এর চারপাশে খনন করে সিসা গালা সুদৃঢ় বেষ্টনী নির্মান করে দেন। অতঃপর দুষ্কৃতকারীদের পাকড়াও করেন। অতএব নন্দিত জাতি নিন্দুক কর্তৃক নিন্দিত হলেও সেটা পরওয়া করা একেবারেই উচিৎ নয়।
আল্লাহ বলেছেন___   "হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী"
(৫:৫৪)

তাদের দ্বারা প্রদত্ত এ সন্ত্রাসী লেবেলটির ব্যবহার মূলত আপেক্ষিক। কোন দেশের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা কিন্তু রাষ্ট্রের কাছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী, আবার স্বাধীনতাকামীদের কাছে 'ভ্যালিয়েন্ট ফ্রিডম ফাইটার'।বীর যোদ্ধা। যারা এদেশ পাকিস্তান থেকে আলাদা করেছে তারা এখন বীরশ্রেষ্ঠ বীর উত্তম খেতাব পায়। কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তানী সরকার তাদের সন্ত্রাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী অপশক্তি হিসেবেই দেখত। মুজিব নিজেও এক ধরনের সশস্ত্র গুপ্ত রেবেল ফোর্সের ফান্ডিং এ যুক্ত ছিল। আগরতলা মামলা খেয়েছিল কেন! কিন্তু এখন ওটা হিরোইক চেষ্টা হিসেবেই দেখানো হয়। পাকিস্তানি বাহিনীদের কাছে ছিল দেশদ্রোহী  ষঢ়যন্ত্রকারী,দেশ ও জাতির শত্রু। বর্তমানের মত মিডিয়া ব্যবস্থা এতটা শক্তিশালী ছিল না তাই, পাকিস্তানের স্বাধীনতা বিরোধী প্রচারনা জনমনে তেমন দাগ কাটে নি। এখন তো হলুদ মিডিয়াই বড় সন্ত্রাসীর কাজ করে দেয়। এরূপ ইন্টেলেকচুয়াল মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ দুটি পরস্পরবিরোধী আদর্শ ও চেতনার মাঝে সব ক্ষেত্রেই থাকবে। কিন্তু বর্তমান টেররিস্ট-সন্ত্রাসী খ্যাত জঙ্গি বা মুজাহিদদের ব্যপারটা কাফেরদের কাছে একটু ভারী এবং চিন্তনীয় বিষয়।এজন্যই তারা এখন গ্লোবাল টেররিস্ট। সমস্ত কাফেরশক্তি ইসলামিক টেররিস্টদের বিরুদ্ধে নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে এক হয়ে সকল মিডিয়ায় কুফরের পক্ষাবলম্বনের 'দাওয়াত' চালায়। এবং এখন পর্যন্ত খুবই সফল! রাসূল (স) সত্যই বলেছিলেন - "আল কুফরূ মিল্লাতুন ওয়াহেদা"!  এই সংঘাত ১৪০০ বছর ধরেই চলছে। এখন কাফেরদের শেকড় সর্বত্র সর্বক্ষেত্রে গত ১৪০০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পোক্ত এজন্য এত জোড়ে শোড়ে জঙ্গিবিরোধি প্রচারনা প্রকাশ্যে সফলতার সাথে চলছে। আর সেসব আমাদের কানে আসছে,টিভিতেও ভাসছে ,পত্রিকাতেও আসছে!  এখানে যে আদর্শিক সংঘর্ষ চলছে
সেটা সৃষ্টিকর্তারপক্ষাবলম্বী ও শয়তানেরপক্ষাবলম্বীদের মধ্যে  অর্থাৎ হিজবুল্লাহ ও হিজবুশ শায়াত্বীন এর মধ্যে।যুগে যুগে সবসময়ই সংখ্যালঘিষ্ঠরা আল্লাহর পক্ষাবলম্বী ছিল। আর অধিকাংশই শয়তানের পক্ষাবলম্বী। 
আল্লাহ তা'য়ালা তার পক্ষের স্বল্প দুর্বলদেরকে সবল কুফফারদের উপরে বিজয়ী করেছেন।এটা ভাবনার অবকাশ নেই যে আপনি নিরপেক্ষ। যারা নিরবে কুফরের বিরুদ্ধে চুপ করে আছে ও মেনে নিয়েছে তারাও শয়তানের পক্ষাবলম্বী,যেহেতু তারা অপকর্ম ও অসৎকর্মে বাধা দেয় নি। এ অবস্থান সামূদ গোত্রের ও বনী ইসরাইলের আয়লাবাসীদের নীরব দর্শকদের সাথে মিলিয়ে দেয় যারা আযাবে নিপতিত হয়েছিল, যেটা থেকে শিক্ষার নেওয়ার বিষয় বিদ্যমান। সাদা ও কালোর মধ্যে মাঝামাঝি গ্রে এরিয়া বলে কিছু নেই। হয় আপনি কাফেরদের পক্ষে নতুবা মুজাহিদদের পক্ষে। এ বিষয়টি জর্জ বুশ নিজেও পরিষ্কার করে দিয়েছিল। আমেরিকান হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ মেম্বার স্টিভ কিং একদম সমূলে স্পষ্ট করেই বলেছে কিসের সাথে তাদের শত্রুটা ব্যপারে দেখুন ___
https://youtu.be/E0Wrzld9oJ4

সন্ত্রাসী জঙ্গি খেতাব পেয়ে হীনমন্যতায় ভোগবার কিছুই নেই।  মহাবিশ্বপ্রতিপালক স্বয়ং আপনাকে কাফেরদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টির আদেশ করেছেন। ওদের সাথে যুদ্ধের জন্য সাধ্যমত সরঞ্জাম প্রস্তুত করতে বলেছেন।ত্রাস সৃষ্টিকারীরাই সন্ত্রাসী! 
আল্লাহ বলেছেন __
আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।"(৮:৬০)

       আগেই বলেছিলাম বিষয়টির দৃষ্টিভঙ্গি দিক দিয়ে পক্ষভেদে আপেক্ষিক অবস্থানের, হক্ক ও বাতিলের মধ্যে একজন নিহত কারও কাছে শহীদ, কারো কাছে সন্ত্রাসী ও শত্রু। এর গ্রহণযোগ্যতা ও পক্ষপাতিত্বের মানদণ্ড গ্রহণযোগ্য একমাত্র সেটাই যেটা মহান সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক নির্দিষ্ট। বস্তুত মহান রব সরল পথ ও পথভ্রষ্টতার মানদণ্ড বাতলে দিয়েছেন। এমতাবস্থায় পুরো পৃথিবীর মানুষ একদিকে হলেও সরলপথে একা হলেও চলতে হবে।


"আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। "(২:১৯৩)



"তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জেহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্য্যশীল।"(৩:১৪২)





"যতদিন আকাশ থেকে বৃষ্টির ফোঁটা পড়বে, ততদিন জিহাদ সুমিষ্ট সবুজ থাকবে। শীঘ্র মানুষের ওপর এমন এক কাল আসবে, যখন তাদের একদল আলিম বলবে, এখন তো জিহাদের সময় নয়। তোমাদের মধ্যে যে সেই সময়কাল লাভ করবে, (তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন। কারণ,) জিহাদের জন্য তা বড়ই উত্তম সময়! সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কেউ কি এমনটা বলতে পারে! তিনি বললেন, হাঁ, যার ওপর আল্লাহ, ফেরেশতা এবং সকল মানুষের অভিশাপ রয়েছে, সে বলতে পারে।"
{আস-সুনানুল ওয়ারিদাহ ফিল ফিতান, দানি : ৩৭১। }

Thursday, March 7, 2019

বিগত আর্টিকেলগুলোর সন্নিবেশিত URL লিংক [Click Here]

আল আদিয়াত ব্লগ- ﺍﻟﻌﺎﺩﻳﺎﺕ بلوق






#PSEUDO_SCIENCE(অপবিজ্ঞান)
_______________________________
_______________________________
#বিজ্ঞান_নাকি_অপবিজ্ঞান?
[#Occult_Origin_of_Mainstream_Physics_and_Astronomy]
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/documentary-article-series_10.html


ফিজিক্স অব ব্যবিলনঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/physics-of-babylon_10.html

আজকের বিজ্ঞান হচ্ছে রিপ্যাকেজড ব্যবিলনিয়ান অকাল্টিজম
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_93.html


ইন্দ্রজালের দিকে প্রত্যাবর্তন
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_91.html


বিজ্ঞানীগন আজ এক প্রাচীন ধর্মের দিকে আহব্বান করছেন
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_77.html

Hegelian architect: ম্যাটেরিয়ালিজম নাকি আইডিয়ালিজম?
https://aadiaat.blogspot.com/2019/01/hegelian-architect_11.html


ভারতীয় দর্শনের সাথে বর্তমান বিজ্ঞানের এত সখ্যতা কেন!
https://aadiaat.blogspot.com/2019/05/blog-post_50.html


সারাবিশ্বে Occult worldview প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সেলিব্রেটি মুর্তাদদের অনন্য প্রয়াস
https://aadiaat.blogspot.com/2019/05/hashem-al-ghaili-occult-worldview_28.html


এ্যাডভান্স হাইপারডাইমেনশনাল ফিজিক্সে এ্যাস্ট্রোলজিক্যাল ইমপ্লিকেশন
https://aadiaat.blogspot.com/2019/05/blog-post_18.html


যাদুশাস্ত্রভিত্তিক বিজ্ঞান এবং দাজ্জালের অপেক্ষা
https://aadiaat.blogspot.com/2019/07/blog-post_61.html

প্যারাডক্সিক্যাল আজাদ
https://aadiaat.blogspot.com/2019/07/blog-post.html




#কুরআন-সুন্নাহ এ জিওসেন্ট্রিক_কস্মোলজি,#গম্বুজাকৃতির আসমান,#সমতল-স্থির_পৃথিবীঃ

ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্ব[PDF Link]
https://aadiaat.blogspot.com/2019/08/pdf.html

ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্ব[Article Series]
https://aadiaat.blogspot.com/2019/03/article-series_85.html


ওরা(তারকারা) আসমানি সমুদ্রে সন্তরণরত: আসমান জমিন স্থির:
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_76.html


এভার এক্সপ্যান্ডিং ইউনিভার্স, ইসলাম ও বাস্তবতা(Ever Expanding Universe, Islam And Reality):
https://aadiaat.blogspot.com/2017/11/blog-post_97.html


আপনি কি শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রে বিশ্বাসী?
https://aadiaat.blogspot.com/2018/06/blog-post_28.html


ওরা কি ক্যাথলিক খ্রিষ্টান মিশনারিদের দ্বারা প্রভাবিত?
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_21.html


আমাদের_অস্তিত্ব_ও_উদ্দেশ্য
https://aadiaat.blogspot.com/2017/11/blog-post_36.html

বিশ্বাস-অবিশ্বাস
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_99.html

পৃথিবী স্থির এবং সূর্যই পৃথিবীর চারদিকে ঘূর্ণয়মান
ফতওয়া আরকানুল ইসলাম by Allama uthaymeen(rh):
https://aadiaat.blogspot.com/2017/11/blog-post_5.html

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=334931086964090&id=282165055574027


মোডারেট ফিতনাঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/03/blog-post_76.html


আকাশ, তারকারাজি ও পৃথিবী (বাস্তবতা এবং কুরআনের আলোকে)
https://aadiaat.blogspot.com/2017/11/blog-post_7.html


Wandering Stars
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/wandering-stars_10.html

মেইনস্ট্রিম প্যারাডক্সিক্যাল সায়েন্সঃ
(তারকারা প্রথম আসমানে আর হাজার বছরে অপরিবর্তিত)
https://aadiaat.blogspot.com/2017/11/blog-post_29.html


বায়তুল্লাহর স্যাটেলাইট থেকে ধারন করা ছবি
https://aadiaat.blogspot.com/2017/12/blog-post_1.html


সমতল জমিনের বিপ্লব কি সাম্প্রদায়িকতা?
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_6.html








#সত্যিকারের_সৃষ্টিতত্ত্ব, #মহাকাশতত্ত্ব,  #স্থির_পৃথিবী_কেন্দ্রিক_মহাবিশ্বব্যবস্থা
#Cosmology, #True_Cosmogony, #Astronomical_Distortion, #Flat_Earth_and_Dome_Firmament
_________________________________________
_________________________________________
জিওসেন্ট্রিক কস্মোলজি(Documentary):
https://aadiaat.blogspot.com/2019/01/documentary-article-series_16.html


পিথাগোরিয়ান-কোপার্নিকান হেলিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমি প্রতিষ্ঠিত করেছে যারা, তাদের লাভ কি?
****************************************
****************************************

সমতল জমিন ও গোল জমিনের ম্যাপের মধ্যে তফাৎ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_33.html

Flat earth mysticism এবং নব্য শয়তানের পূজারীরা
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/flat-earth-mysticism_8.html



সমতল পৃথিবীর বিষয়টি অনেকের কাছেই আনএক্সেপ্টেবল...
https://aadiaat.blogspot.com/2017/11/blog-post_48.html



চন্দ্র অভিযান নিয়ে আবারো বিতর্ক
https://aadiaat.blogspot.com/2017/11/blog-post_78.html













#যাদুবিদ্যা,#কোয়ান্টাম_ম্যাথড,#ধ্যান,#Monism,#NonDualism,#স্পিরিচুয়ালিজম,#থিওসফিক্যাল_সোসাইটি:নিউএজ,#প্যাগান_আধ্যাত্মবাদ,#প্যাগানিজম,#বাতেনিয়্যাহ,#সুফিবাদ,#সুফি_মারেফাত,#বাউল_ধর্মমত,#দেহতত্ত্ব,#আল_ইল্ম_আল_লাদুনি(Esotecic knowledge),#Mysticism(রহস্যবাদ),#Occultism(গুহ্যবাদ),#Occult_philosophy,#Spiritual_satanism,#Gnosticism, #ওয়াহদাতুল_উজুদ #কল্কি #মৈত্রেয়_বুদ্ধ, #সর্বেশ্বরবাদ,#Mystery_Schools,#pagan_philosophy  প্রভৃতি:



কাব্বালা শিক্ষার প্রতি তৃষ্ণা দাজ্জাল আসার একটা লক্ষণ
https://aadiaat.blogspot.com/2019/10/thirst-for-kabbalah-sign-of-his-arrival.html

চেতনার ওপারে-Altered State of Consciousness
https://aadiaat.blogspot.com/2019/07/altered-state-of-consciousness.html

কোয়ান্টাম ম্যাথড
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_899.html

কোয়ান্টাম ম্যাথড এবং দাজ্জালের স্বঘোষিত অনুসারীরা
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_86.html

Worldwide occult resurgence:
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_14.html

অকাল্ট প্যাগান থিওলজি এবং সুফিবাদ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_36.html

Occultism:
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/occultism_10.html

law of attraction:
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/law-of-attraction_29.html

law of attraction বাংলাদেশে
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/law-of-attraction_10.html

কোয়ান্টাম ম্যাথড এবং ল অব এট্রাকশন
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_8.html

কোয়ান্টাম ম্যাথড ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_90.html

কোয়ান্টাম ম্যাথড:ধ্যান
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_96.html

কোয়ান্টাম ম্যাথডকে যারা স্বীয় দ্বীন হিসেবে গ্রহন করেছে
https://aadiaat.blogspot.com/2019/01/blog-post_85.html

ডিস্কোভারী চ্যানেলে স্পিরিচুয়ালিজম
******************************
******************************

Psychic Ability :
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/psychic-ability_10.html

এসোটেরিক এজেন্ডা বাংলাদেশে -১:
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_55.html

এসোটেরিক এজেন্ডা বাংলাদেশেও -২ঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_39.html

দাজ্জালের অনুসারীরা আপনার পাশেই অপেক্ষা করছেঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_20.html

শিখ ধর্মে মাহদী ও তাগুত কল্কিঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_73.html

কল্কি বিভ্রান্তিঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_85.html

ইল্যুমিনাতি আপনার আমার পাশেইঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_4.html

সুফিবাদ ও কোয়ান্টাম স্পিরিচুয়ালিটিঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_32.html

Bio energy card:
https://aadiaat.blogspot.com/2018/03/bio-energy-card_21.html

ট্যারট কার্ড রিডিংঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_31.html

দেওবন্দ এবং ওয়াহদাতুল উজুদ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_83.html

মনিজমঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_72.html

Chakra, Third Eye এবং Yoga মেডিটেশন (যোগধ্যান)-
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/chakra-third-eye-yoga_10.html

বাংলাদেশে One World Religion এর প্রসারে যোগসাধনায় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/one-world-religion_10.html


যাদুবিদ্যা ও নব্য মু'তাযিলা চিন্তাধারাঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_24.html

https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_68.html


যাদুবিদ্যায় শয়তান জ্বীনের ভূমিকাঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2019/01/blog-post_50.html

https://aadiaat.blogspot.com/2019/01/blog-post_33.html



একের ভেতর সবঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2019/02/paganism_7.html









ইসলাম:
কুরআনিয়্যাহ/আহলে কুরআন/কুরানিস্ট/ কুরআন অনলি/সাবমিটার্স/কালো কাতোঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_94.html

গনতন্ত্রের একটি পলিথেইস্টিক দ্বীন
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_58.html

Moderate & liberal Apologetics: মুরজিয়াঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/moderate-liberal-apologetics_10.html

Digital Painting(?):
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/digital-painting_10.html

প্যারাডক্সিক্যাল আজাদ
**********************
**********************

আল্লাহ ও তার রাসূলকে(সাঃ) সাহায্যের ব্যপারে অন্তরের পবিত্রতা
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_29.html

নাস্তিকতা ও চিন্তার বিকৃতিঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_38.html

নাস্তিকতা - বিজ্ঞান এবং এদের সাথে বিতর্ককারীদের চিন্তার বিকৃতিঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_54.html

দাজ্জ্বালের আত্মপ্রকাশের পর '৪০ দিন' এর অপব্যাখ্যা
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_7.html

আল ইল্ম ওয়াল জিহাদ
https://aadiaat.blogspot.com/2019/03/blog-post_21.html

এক হক্কপন্থী আলিমের পরিচয়
https://aadiaat.blogspot.com/2019/05/blog-post_53.html

সঠিক আকিদা ও মানহাজের প্রকাশনার লিংকঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2019/05/blog-post_4.html

মাজহাবি ইখতেলাফ- শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ
https://aadiaat.blogspot.com/2019/05/blog-post_90.html

অমূল্য কিছু কিতাবের ঠিকানা
https://aadiaat.blogspot.com/2019/05/blog-post_96.html

সঙ্গত কারনে বিভিন্ন বিষয়ে লেখা অসংখ্য ইসলামিক আর্টিকেল ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।












অন্যান‌্য:
_______
_______
এলিয়েন(শয়তানজ্বীন) এবং ফেইক আউটার স্পেস
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_30.html


Crop circle :
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/crop-circle_10.html

NDE(Near death experience):
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/near-death-experiencende_10.html

মেডিকেল ও বানিজ্যে কাডুসিয়াসঃ
missing link

United for peace কিছু কথা
missing link

প্ল্যানেট এক্স/নিবিরু/সেকেন্ড সান/কমেট আইওসন/polar shifting/পশ্চিমে সূর্যোদয়/
https://aadiaat.blogspot.com/2018/03/blog-post_93.html


ট্র‍্যান্সেনশন হাইপোথেসিসঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_41.html

বিনোদনের বিষয়গুলি যখন ব্রেইনওয়াশের হাতিয়ার
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_65.html


লিনাক্স
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_35.html
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/linux-os-installation-process_10.html
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_67.html
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/mx-linux_10.html


প্রভাত দিয়ে লেখার টিউটোরিয়াল
https://aadiaat.blogspot.com/2019/05/blog-post_80.html

ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_27.html


শয়তানের প্রতিশ্রুতি কি সত্য?
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_25.html


অখন্ড মহাভারতের স্বপ্নঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2019/07/blog-post_24.html


নির্মাণকাজে পশু ও নরবলি প্রথা-Pact with Devils
https://aadiaat.blogspot.com/2019/07/pact-with-devil.html





Sunday, February 17, 2019

NWO

     নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার



দাজ্জালের আবির্ভাবের জন্য কুফফার দ্বারা নেওয়া সকল প্রস্তুতি এখন প্রায় শেষ। মানবরচিত সংবিধানের তথা গনতন্ত্র,সমাজতন্ত্র সহ সকল তন্ত্র মন্ত্র দাজ্জালের আসার সকল প্রস্তুতি । আজ গোটা বিশ্ব গণতন্ত্রের সংবিধানে ওঠা বসা করে যার নিয়ন্ত্রক আমেরিকা। দেখবেন কোন দেশে গণতন্ত্র এর ক্ষনিক বিপর্যয়ে আমেরিকায় বেশি চিন্তিত হয় ও তা সমাধানের জন্য অনেক তাগাদা দিতে থাকে, ক্ষেত্রবিশেষে সরাসরি পদক্ষেপ নিতেও পিছপা হয় না। মজার ব্যপার হলো পুরো পৃথিবীর প্রায় সকলের মস্তিষ্কে গনতান্ত্রিক মতাদর্শের বীজ বেশ ভালভাবেই ঢুকিয়ে দিয়েছে! ওবামা সাহেব নিজেই এক বিবৃতিতে সিরিয়ায় বিতর্কিত খিলাফত প্রতিষ্ঠায় যুদ্ধরত যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন ''একবিংশ শতাব্দীতে তারা যে আদর্শ(ইসলাম প্রতিষ্ঠা) নিয়ে যুদ্ধ করছে,এ যুগে তার কোন ঠাই নেই!!''

পাঠকসকল ভালোভাবেই অবগত আছেন সকল কুফফার শক্তি এখন খিলাফত বা শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠার জন্য যারা যুদ্ধ করছেন তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য সংঘবদ্ধ হচ্ছে,রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধ এখন সময়ের ব্যপার।হতে পারে এ যুদ্ধের মাধ্যমেই ইমাম মাহাদির আবির্ভাব ঘটতে পারে! তবে এতে কোন সন্দেহ নেই যে দাজ্জালি মিডিয়া তাকেও জংগী হিসেবে উপস্থাপন করবে,তবে মুসলিম দেশগুলোতে তাকে ভন্ড মাহাদি হিসেবে উপস্থাপন করবে।
নিচে কিছু দাজ্জালের আত্মপ্রকাশের প্রস্তুতি সম্পর্কিত কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উপস্থাপন করার চেস্টা করছি।বিষয় গুলো বাংলায় কোথাও পাইনি। এসব তথ্য গুলো সবই কিছু বিদেশী(অমুসলিম)ব্লগার ও ইউটিউব ভিডিও ডকুমেন্ট থেকে সংগৃহীত। কিছু তথ্য খ্রিস্টান ফান্ডামেন্টালিস্টদের দ্বারা সংকলিত। সুতারাং এসব জিহাদিদের তৈরি প্রোপ্যাগান্ডা ভাবার কোন কারন নেই।

##**নিউ ওয়ার্ল্ড অরডার(novus ordo seclorum):
এটা এমনই একটা শব্দ যেটা এমনকি আমেরিকার বিভিন্ন প্রেসিডেন্ট এর মুখে একাধিক বার শোনা গিয়েছে!!এ ব্যপারটি বিশ্লেষন করতে গেলে গত শতাব্দির গোড়ার দিকেও দৃষ্টি দিতে হয়।কারন এই মিশন আরো আগের!
১৯১০ সালে আমেরিকার উচ্চ পর্যায়ের গোপন বৈঠকের পর গঠন করা হয় ফেডারেল রিজার্ভ এক্ট যা পরবর্তীতে federal reserve system হিসেবে পরিচিত হয়। প্রাথমিক ব্যাংক সংগঠনটি ভেঙ্গে ১৯১৩ সালে cost of gorgia এর jekyell island এ গোপন মিটিংয়ে ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম গঠিত হয়,যার মালিকানা ও পরিচালক বিল্ডারবারগ ফ্যামিলির হেনরি রকফেলার ও রুথচিল্ড ।মজার বিষয় হচ্ছে এখন পর্যন্ত builderburg family গোপন মালিকানা হিসেবে অধিষ্ঠিত আছে!
তাদের মুদ্রা ব্যবস্থা ছাপানো ও তাতে তাদের ব্যক্তিগত আইডীওলজি প্রকাশের ক্ষমতা রয়েছে। ডলারের উপড় ছাপানো পিরামিড ও পিরামিড শীর্ষে একটি চোখের প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে যে লোগো পূর্বে একজন বিখ্যাত সাট্যানিস্ট(শয়তানের পূজারী)এলিস্টার ক্রোউলির ব্যবহৃত লোগো। অনেক খ্রিস্টান ফান্ডামেন্টালিস্ট এই লোগোকে 'এন্টী ক্রাইস্ট'(দাজ্জালের) প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন।
ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম গঠনের অনেক পরে ইইউ(ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন),আমেরিকান ইউনিয়ন,এশিয়ান ইউনিয়ন,আফ্রিকান ইউনিয়ন,ইউনাইটেড ন্যাশন(core of global goverment)ইত্যাদি গঠন করে সারা বিশ্বের উপর কর্তিত্ব অর্জন করে।

আমেরিকার রাজনীতিতে নেতাদের উদ্ভট নানা আচরন জনগনের চোখে ও কানে আসতে থাকে যা ধীরে ধীরে নানা কনসপাইরেছি থিওরি উন্মেষ ঘটায়।বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা সামরিক প্রধান,এমনকি কয়েকজন প্রেসিডেন্ট নিঊ ওয়ার্ল্ড অর্ডার সম্পর্কে মুখ খুলে আরো রহস্যের ধুম্রজাল তৈরি করে,একপর্যায়ে yeli university libraryর একটি বইয়ে 'স্কাল এন্ড বোন ১৯৪৬' (শয়তানের অর্চনাকারি সংঘ)নামের সংগঠনের সাথে প্রেসিডেন্ট জর্জ হারবার ওয়াকার বুশের সংযুক্ততার তথ্য পাওয়া যায়।স্কাল এন্ড বোন কমিউনিটিতে কিছু স্যাটানিস্ট ও ওই দেশের CIA,FBI এর উচ্চ পদস্থ ব্যক্তি,generalford,henry kisinger,william frank smith,gorge shault এর মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ,hollywood elite,german chancellor,britith priminister,chairman of federal reserve system,প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়র,প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়র প্রমুখ ব্যক্তি অংশ নিতে দেখা যায়।

১৯৮১ সালের ওই সংগঠনের এক মিলনায়তনে estern airline,bank of ameria সহ আরো নামিদামি কোম্পানী পার্টনার হিসেবে থাকে। প্রত্যেক বছরের জুলাইএর শেষ দুই সপ্তাহে সকলে নর্থ ক্যরোলাইনার বন এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে সকলে একত্রিত হয়। এটা বোহেমিয়ান গ্রোভ বলেও সুপরিচিত। সাধারণত সেখানে শয়তানি কিছু রিচুয়াল পালন করা হয়, কোন কোন সময়ে মানুষ ও ছাগল উৎসর্গ করার দৃশ্যও ধরা পড়ে! গোপন ক্যমেরার সহায়তায় ২০০০ সালে মাত্র একবারের জন্য এলেক্স জোন্স নামের এক রিপোর্টারের দ্বারা পাবলিকের নজরে আসে!সেখানে দেখা যায় আগুন সজ্জিত একটা স্টেজে পাশে কিছু মানুষ দাড়িয়ে আছে এবং একজনের সুতীব্র কর্কশ গলায় কিছু আঞ্চলিক ইংরেজিতে কথা বলতে শোনা যায়। কর্কশ কণ্ঠস্বর জীনে পোজেজড(আছর) করা ব্যক্তির গলার সাথে একদম মিল !!!
রজার মরনিও নামের এক যুবক ঐ গোপন সোসাইটিতে যোগ দিয়েছিল যিনি ঐ সোসাইটীর ব্যপারে মুখ খুলেছিলেন।তিনি বলেছিলেন ওই দলের প্রধান হিসেবে যিনি আবির্ভূত হয় সে মানুষের তুলনায় উচ্চ শ্রেনীর কিছু এটা যে কোন কিছুর আকার ধারন ,বাতাসে মিলিয়ে যাওয়া ও দেয়াল ভেদ করে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।
ওখানে যারা আসে সকলে রজারের ভাষ্যমতে ডেভিলএর(শয়তানের) পূজারী!

বর্তমান প্রেসিডেন্ট ওবামার সাথে আগের প্রেসিডেণ্ট বুশের সাথে একাধিকবার হোয়াইটহাউজে গোপন সাক্ষাত হয়।
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের নিশ্চয়ই বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না যে এরা সকলেই একই সুতায় গড়া এবং প্রত্যেকেরই অভিন্ন লক্ষ্য।অপরদিকে এরা প্রত্যেকেই ইবলিসের উপাসক!এদের লক্ষ্য দেশে দেশে গনতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা,এরপর ধর্মনিরপেক্ষতা পরবর্তীতে মানবতাবাদ,ধর্মহীনতাবাদ ও শেষে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার ইউটোপিয়া।যদিও এখনই তাদের কথায়ই গোটা পৃথিবীর সকল দেশ ওঠা নামা করছে তদুপরি তাদের স্বপ্ন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ।এ আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির চেষ্টা করা হবে চূড়ান্তভাবে দাজ্জালের বহিঃপ্রকাশের মাধ্যমে।
আপনারা এই ক্ষুদ্র দেশ বাংলাদেশেই ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ কি সুচারুভাবে চলছে তা প্রতক্ষ করছেন।সব কিছুই ওই দূরের দেশ আমেরিকার কলকাঠিতে চলছে এবং আমেরিকার পরোক্ষ(গোপন) প্রেসিডেন্ট ইবলিস সয়তান বা তার শিষ্য !!



*থিওরি অব এভুলিউশন ও নাস্তিকবাদঃ
একদমই আকস্মিকভাবে ডারউইনের বিবর্তনবাদ জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে। সেই সাথে নাস্তিকদের সংখ্যাও! তাদের যুক্তি মানুষের বর্তমান অবস্থার পূর্বে বানর ছিল অর্থাৎ তারা মানবজাতির পূর্বপুরুষ!! বিবর্তনবাদের আরো উচু শাখা আছে যেখানে বলা হয় সৃষ্টির গোড়ার দিকে কোন একক(এককোষী) ক্ষুদ্র প্রানের থেকে সব কিছুর সৃষ্টি। লক্ষনীয়, এখানে কোন স্রষ্টাকে পাত্তা দেওয়া হয়। এর পরের নাটক আরো সুদূরপ্রসারী! এই বিপথগামী বিজ্ঞানী-চিন্তাবিদগন বের করেন সকল প্রানের ধারক এই মৌলিক ক্ষুদ্র প্রান এসেছে অবশ্যই পৃথিবীর বাহির থেকে, শুরু হলো এলিয়েন এলিয়েন এলিয়েন।
*''এলিয়েন'' নাটকঃ
আধুনিক বিবর্তনবাদের সুউচ্চ শাখা হচ্ছে এলিয়েন থিওরি। বিজ্ঞানী নামধারী বিশেষজ্ঞরা গবেষনা শুরু করে, দানিকেন সহ আরো ইতিহাসবেত্তারা বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতার মানুষদের আকা নানান রহস্যময় চিত্র নিয়ে তোলপার শুরু করে, এমন কিছু চিত্রও পাওয়া যায় যেখানে বিভিন্ন স্পেসশীপ,এয়ারক্রাফট দেখা যায়। এগুলো তাদের এলিয়েন তত্ত্ব আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।মনে রাখবেন এগুলো সবই নাটকের উপাদান।ভাবছেন কি নাটক!?
তাদের সুচিন্তিত নাটক হচ্ছে মানুষের মধ্যে এলিয়েনের অস্তিত্ব শক্তভাবে গেথে দেওয়া। কারন দাজ্জাল আসবে একজন এলিয়েন হিসেবে,পরবর্তীতে নিজেকে খোদা দাবী করবে! এজন্য বর্তমানে যত হলিউড ছবি দেখছেন সাইন্সফিকশন হলে এলিয়েন থাকবেই এবং তা সুচারুভাবে যুক্তিপূর্ণ করে উপস্থাপন করা হচ্ছে!এখন বলিউডেও এটা এসে গেছে । সদ্য রিলিজ পাওয়া পিকে নামের ছবিতে তো সরাসরিই ধর্মকে বাতিল করা হয়েছে।এর পরের পর্ব ধর্মহীনকরনের ব্যপারটি আরো স্পষ্ট হবে বলে মনে করি।

নাটক সিনেমা মানুষের চিত্তমননে ব্যাপক প্রভাব ফেলে তাই এটাকেই শক্ত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মানুষের বিশ্বাস আরো শক্ত করতে তারা ইউএফও এর‍্যোডাইনামিক ডিজাইন দিয়ে এয়ারক্রাফট তৈরি করে ক্ষনে ক্ষনে মানুষের সামনে প্রকাশ করছে যা সাধারনের মনে অল্প অল্প করে শক্তিশালী বিশ্বাস নির্মাণ করে দিচ্ছে যে হ্যা বহিঃজগতের বুদ্ধিমান প্রানীর অস্তিত্ব সত্যিই আছে! তবে হ্যা প্রায় ০.৫% ইউএফও সাইটে মানুষ অদ্ভুদ আকারের যে যান আকাশে ভাসতে দেখছে তা জীণ জাতির যানবাহন ছাড়া আর কিছুই নয়।


**বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র ও মানবতাবাদ প্রতিষ্ঠাঃ
পাঠকরা নিশ্চয়ই সারাবিশ্বে গনতন্ত্রের সফল প্রতিষ্ঠা দেখেছেন,সম্প্রতি একটি দেশে গনতন্ত্রের(প্রতিষ্ঠার)জন্য প্রচুর আন্দোলন ও সংঘর্ষ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ করেছেন।সুতারাং বিষের রিএকশ্যান ধীর গতির হলেও তা যথেষ্ঠ ফলপ্রসূ।

এরপরে আসলো ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্মেষ! সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতা হচ্ছে অনেকটা এরকম, আমি একই সাথে সকল ধর্মের অনুসারী।যেমন আপনি একই সাথে মুসলিমদের দোয়ায় হাত উত্তোলন করবেন আবার হিন্দু বাবুদের সাথেও বলবেন,যদা যদাহি ধর্মসঃ গ্লানি ভগবতি ভারত...... আভ্যুত সিতাংন...... তেমনি বৈদ্ধদের সাথে গলা মিলিয়ে বলবেন বুদ্ধং সারানাং গাচ্ছামি......।অর্থাৎ আপনার নির্দিষ্ট কোন ধর্ম নাই। সকল ধর্মকেই সমানভাবেন। সম্প্রতি একটি বিখ্যাত দৈনিক পত্রিকায় দেখলাম ''তিউনিসিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত সেকুলার দল......।
ঠিক নিচের লাইনে আবার ''ধর্মবিরোধী'' অন্য লাইনে ''ইসলামবিরোধী নেতা'' ,এবার বাংলাদেশে কি অর্থে সেকুলার শব্দ ব্যবহার করা হয় এবং বিভিন্ন নেতাদের ধর্ম নিয়ে মন্তব্য ও তাদের কাজ দেখে বুঝে নিন। আমি এখানে আর এ নিয়ে লিখতে চাচ্ছি না।আর নোভাস অরদো সেকলোরাম এর অর্থই হচ্ছে নতুন ধর্ম নিরপেক্ষ আইন বা নিউ সেকুলার অর্ডার।

secular শব্দটি naturalism ও rationalism সমন্বয়ে গঠিত। আমি সম্প্রতি কিছু নাস্তিকদের ফেসবুকে রিলিজিয়াস ভিউ দেখে আশ্চর্য হয়েছি এরা সকলেই সেকুলারিস্ট অথবা হিউম্যানিজম ব্যবহার করে। অর্থাৎ সেকুলারিজমের সারকথা যে শেষ পর্যন্ত যে মানবতাবাদী ও নাস্তিক্যবাদে গিয়ে ঠেকেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

আবারো নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের ব্যাপারে আলোচনায় ফিরে আসি।এই প্রজেক্টে গোটা বিশ্বকে একটি অভিন্ন জাতি ও অভিন্ন ধর্মতে পরিণত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এখন বিশ্বের যে অবস্থা তার ভবিষ্যৎ পরিপূর্ণতাই নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার।
কিন্তু হুট করেই এটা ঘটানো কঠিন তাই কুফফার শক্তি বিশেষ প্রজেক্টের মাধ্যমে এটা সম্পন্ন করবে যেটা প্রোজেক্ট ব্লু বীম বলে পরিচিত। মনে রাখবেন দাজ্জালের আবির্ভাব কোন গায়েবি শক্তির বলে হবে না যদিও তা দেখে মনে হবে, সবকিছুই অত্যাশ্চর্য প্রযুক্তির সুনিপুন সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটানো হবে। নিচের আর্টিকেলটা মন দিয়ে পড়লে আশা করি সব স্পষ্ট হবে।

**প্রজেক্ট ব্লু বিমঃ
দাজ্জালের আগমনের ঠিক চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবে এই টেকনোলজি ব্যবহার করা হবে। গোটা পৃথিবী মিথ্যা এলিয়েন ইনভেশন দেখবে।সব কিছু আকাশে হলোগ্রাফিক প্রজেকশনের দ্বারা বাস্তব নির্ভর করে উপস্থাপন করা হবে। মহাকাশের স্যাটেলাইট, কিউবস্যাট,কেমট্রেইল এবং H.A.A.R.P সবকিছু চরম সত্য বলে উপস্থাপন করবে।(সবই মানব ঘটিত)

প্রজেক্ট ব্লু বিম নাসা ও united state psy-ops division সংস্থার গোপন প্রজেক্ট এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের মধ্যস্থিত ধর্মীয় মূল্যবোধের উপড় প্রবল প্রভাব বিস্তার যা কম্পিটার নিয়ন্ত্রিত মাইক্রোওয়েভ ইমেজ,শব্দ ও শুন্যে অতিজাগতিক ছবি মানবমনে চরম প্রভাব ফেলা হবে এবং এর মাধ্যমে দাজ্জালের সফল আবির্ভাব ঘটানো হবে।ব্যপারটি এতটাই নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ থাকবে যে কিছু দুর্বল ঈমান বিশিষ্ট মানুষেরা দাজ্জালের অনুসারী হবে, বর্তমান যুগের মানুষেরা পূর্বের যে কোন যুগের মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন তাই সচেতন পাবলিকদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য যতটা সুক্ষ সমন্বয়ের দরকার তার জন্য কুফফার জাতিরা ব্যপক প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা গ্রহন করে আছে যা সাধারনের লোকচক্ষুর অন্তরালে বা জনগন এসকল প্রযুক্তির ব্যপারে প্রশ্ন তুললে তাদেরকে বলা হয় এসব সেনাবাহিনীর উচ্চতর গবেষনা সংক্রান্ত বিষয় । প্রতিবছর শত বিলিয়ন ডলার খরচ করা এসব ব্ল্যাক বাজেটের পেছনে।যা এসব প্রযুক্তি সম্প্রসারন উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। ব্লুবিম সকল প্রযুক্তির সংমিশ্রনে একযোগে শুরু করা হবে । মানুষ তখন চারপাশে যত বিস্ময়কর দৃশ্য দেখবে তার সিংহভাগই প্রযুক্তির অপূর্ব সংমিশ্রনে ঘটানো বা অপটিক্যাল ইল্যুশন। হয়তো দাজ্জাল প্রকাশিত হবার পর সে নিজেই শয়তানের কিছু শক্তি কারসাজি ব্যবহার করবে।
###বর্তমান সময় দাজ্জালের আবির্ভাবের প্রস্তুতির জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিসমূহঃ
সহজ ভাষায় উপস্থাপনের চেস্টা করছি।
optical deception তৈরি করার জন্য আদর্শ উপায় হচ্ছে পুরো আকাশটি একটি বিশাল স্ক্রিন সার্ফেস হিসেবে ব্যবহার করা যাতে হলোগ্রাফিক লেজার প্রজেকশন বাস্তবসম্মত ৩ডি অপটিক্যাল ইলিউশন তৈরি করতে পারে অর্থাৎ যা না তাই(মিথ্যা)ভিডিও আকারে নিখুতভাবে প্রদর্শন করা হবে।
##কেমট্রেইলঃ
মাঝে মধ্যে আকাশে অনেক বেশি altittute দিয়ে বিমান যেতে দেখবেন যার পেছন দিক দিয়ে সাদা ধোয়ার লম্বা রেখা তৈরি হয়।এবং কথিত বিমান বা রকেট চলে গেলেও কিছু সময় ঐ ধোয়া থেকে বায়ুমন্ডলে মিলিয়ে যায়। এটা কেমট্রেইল যা সম্পর্কে প্রশ্ন তুললে মিলিটারি গবেষনার বিষয়বস্তু বলে ধামাচাপা দেয়।এই রাসায়নিক জলীয় পদার্থে আছে strontium barium niobate যা হলোগ্রাফিক প্রজেক্টরে ব্যবহার করা হয়। বানিজ্যিক বিমান গুলো দিয়ে এই উপাদান পৃথিবীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার আকাশে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সুতারাং ভেবে দেখুন দুইবছরে এই ষড়যন্ত্র টের পাওয়া গেলেও ওদের প্রস্তুতি নতুন নয়!!
সহজ কথায় বলতে গেলে এটা আকাশকে ত্রিমাত্রিক প্রেজেকশন সারফেস হিসেবে তৈরি করবে এবং এটা সাধারন প্রজেক্টরে যেমনটা নিখুতভাবে ভিডিও দেখেন তার থেকেও নিখুত হবে , এ প্রযুক্তির নিপুনতা নিয়ে উদাহরন দিলে বলতে হয়, আপনার দিকে যদি হাঙ্গর বা বাঘ তেড়ে আসে আপনি যতটা আতঙ্কিত হবেন এই রিয়েল টাইম প্রজেকশনেও তেমনটাই ভয় পাবেন। যা দেখানো হবে তাই অতি বাস্তব বলে মনে হবে।

হয়ত দাজ্জাল এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এক হাতে জান্নাত ও অন্য হাতে মিথ্যা জাহান্নাম দেখাবে(আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন)।
THE RESULTANT IMAGE IS A HOLOGRAM THAT CAN BE VIEWED IN REAL TIME OVER A AWIDE PERSPECTIVE OR FIELD OF VIEW(FOB).THE HOLOGRAPHIC IMAGE IS FREE FROM SYSTEM-INDUCED ABERATION AND HAS A UNIFORM,HIGH QUALITY OVER THE ENTIRE FOV.

##HAARP(HIGH FREQUENCY ACTIVE AURORAL RESEARCH PROGRAMME):
HAARP মূলত নিকোলা টেসলার গবেষনা। tesla ভাল উদ্দেশ্য নিয়েই এটা নিয়ে গবেষনা করেন তার উদ্দেশ্য ছিল সারা বিশ্বে ফ্রি এনার্জি(ইলেক্ট্রিসিটি ও বেতার যোগাযোগ) বন্টন।তবে সম্ভাবনা থাকলেও আর্থিক অনারথিক কারনে শেষটা করে যেতে পারে নি।তারই অসমাপ্ত গবেষনা ভুল হাতে পরে আজ ধোঁকা ,প্রবঞ্চনা ও বিপর্যয় ঘটানোর যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
হারপের বেজ স্টেশন পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে এর মধ্যে এটা রেডিও ট্রান্সমিটারের ন্যায় হারপের ক্ষমতার জুড়ি নেই, এটা প্রায় একযোগে ৩.৬ মিলিয়ন ওয়াট মাইক্রোওয়েভ আয়নস্ফিয়ারের দিকে পাঠায় যা আয়নস্ফিয়ারের ব্যপক পরিবর্তনের মাধ্যমে আবহাওয়া জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এএম(এমপ্লিটিউড মডুলেশন) রেডিও স্টেশনটি মাত্র ৫০কিলো ওয়াটের,কিন্তু হারপের স্টেশন নিম্নে ৩৬০০কিলোওয়াট!যখন প্রযুক্তিটি মানুষের সামনে প্রকাশিত হয় তখন এ ব্যপারে মানুষ কৌতুহল দেখালে আমেরিকার সরকার বলে তারা এর মাধ্যমে আবহাওয়া নিয়ন্ত্রনের চেস্টা করছে ,তবে তাদের প্রচেস্টা শুধু যে এর মাঝেই সীমাবদ্ধ তা কিন্তু নয়।gakona,alaska.anchorage,alaska.arecobo,puertorico(usa).vasilsursk,russia.tromso,norway(european union) সহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্ছলে HAARP এর বেজ স্টেশন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। নিচে haarp এর ক্ষমতা তুলে ধরা হলোঃ
*আবহাওয়া জলবায়ুর পরিবর্তন/মডিফিকেশন
*ইএলেফ(এক্সট্রা লো ফ্রিকোয়েন্সি),এলএফ(লো ফ্রিকোয়েন্সি) উৎপন্ন করা যা মানব মনেও প্রভাব ফেলতে সক্ষম।
*আয়নস্ফিয়ারের পরিবর্তন ঘটিয়ে ভূমিকম্পের সৃষ্টি করতে সক্ষম।
*ভীতিপ্রদ শব্দ তৈরি করে আতংক সৃষ্টি।
*মানবমস্তিষ্ক যে ফ্রিকোয়েন্সিতে স্বাভাবিক কাজ করে যে ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে মানব চিন্তন মননে ভয়াবহ প্রভাব বিস্তার।

২০১০ এর পর থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে আকাশ থেকে অনেকটা গায়েবি প্রকৃতির আওয়াজ মানুষ শুনতে শুরু করে। শব্দ গুলো অনেকটা গগনবিদারী আতংক তৈরি করে থাকে।আমেরিকা,কানাডা,মরক্কো ইত্যাদি আরো বেশ কিছু দেশের মানুষ এটা শুনেছিল। এ সম্পর্কে ইউটিউবে বেশ কিছু ভিডিও আছে ,পাঠকরা আমার লেখায় সন্দেহ করলে শুনে নিতে পারেন। শব্দ গুলো অনেকটা শোফার এর ন্যায়! বাইবেল অনুযায়ী শব্দটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ,সেখানে বলা আছে কেয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে মানুষদের তওবা করার জন্য গায়েবি আওয়াজ আসবে।বিভিন্ন টিভি চ্যানেল গুলোতে যখন শব্দ গুলো নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় তখন বিজ্ঞানীদের কাছে ব্যখ্যা জানতে চাইলে তারা বলেন এটা ইলেক্ট্রম্যগনেটিক শোর হতে পারে। এর বেশি তথ্য দিতে রাজি নয়।

তবে এ জাতীয় শব্দ উৎপন্ন করা HAARP এর পক্ষেই সম্ভব। এই রেডীও স্টেশনটি প্রচুর মাত্রার রেডিও তরঙ্গ আয়নস্ফিয়ারে পাঠায় যা আয়ন মন্ডলে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে ও অদ্ভুত শব্দের জন্ম দেয়। হাদিস অনুযায়ী কোন এক রমজানের পনেরতম দিন শুক্রবারের রাতে জিব্রাইল (আঃ)এর দ্বারা প্রচন্ড শব্দ আসবে এবং এর জবাবে শয়তান এর পক্ষে থেকেও আওয়াজ আসবে, এখানে শয়তানের পক্ষ থেকে মানে শয়তানের পক্ষে অবস্থানকারী দেশগুলোর দ্বারা প্রযুক্তিগত শক্তি দ্বারা উদ্গত শব্দকে বুঝানো হয়েছে।

ইলেক্ট্রনিক-টেলিপ্যাথিক টু ওয়ে কমিউনিকেশনঃ
HAARP ELF(Extra Low Frequency),LF(low Frequency) উৎপন্ন করতে সক্ষম যা মানুষের মনে দারুনভাবে প্রভাব ফেলতে সক্ষম, এই বেতার তরঙ্গের রিসিভার হিসেবে আমাদের মস্তিষ্কই বেশ ভাল ভাবে কাজ করে। এই তরঙ্গ মানুষের ব্রেইন যে ফ্রিকোয়েন্সিতে স্বাভাবিকভাবে কাজ করে সে ফ্রিকোন্সিতে কাজ করে বিধায় ইন্টারফারেন্স খুব সম্ভব। তাছাড়া মোবাইল নেটওয়ার্ক ,ওয়াইফাই, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি তখন এক একটা একটিভ রাউটার এর ন্যায় কাজ করবে। এখন ফ্রিকোয়েন্সি ম্যনিপুলেশনের কাজ চলছে এবং আশি ভাগের বেশি সমাপ্ত। আমার মনে হয় পাঠক এ ব্যপারটি ভাল করে বুঝছেন না, আরো সহজ করে বলি, এটা বেতার তরঙ্গ আমাদের মাথায় বার বার তথ্য দিবে যে "দাজ্জাল মসীহই তোমার স্রষ্টা" অথবা শয়তানের পক্ষে অন্য কোন কিছু যেটা ফিতনায় পড়তে সাহায্য করবে।অর্থাৎ একজন সাধারন মানুষ ভাববে এটা তার মন বলছে বা সত্যিই স্রস্টাই বলছে যার ফলে আরও দ্রুত দাজ্জালি ফিতনায় পা দেবে। হয়ত এইজন্যই রাসূল(সঃ) দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাচতে বলেছিলেন,
''তোমাদের মধ্যে যে দাজ্জালকে দেখতে পাবে তার উচিত হবে দাজ্জালের উপর সূরা কাহাফের প্রারম্ভিক আয়াতগুলির তিলাওয়াত করা"
(সহীহ মুসলিম)

উপড়ের পরিস্থিতি দেখুন কতটা ভয়াবহ হবে তাই হয়ত যারা আল কাহাফের প্রথম ১০ বা শেষ ১০ আয়াত পাঠ করবে তাদের কে আল্লাহ তেমনভাবেই হেফাজত করবেন যেমনটা করেছিলেন উক্ত যুবকদের ,যারা শতাধিক বছর ঘুমিয়ে ছিলেন।
অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহারঃ
কুফফার শক্তি তাদের সকল প্রযুক্তিই যে প্রকাশ করছে এমনটা নয়। অধিকাংশই সাধারনের লোকচক্ষুর অন্তরালে। দাজ্জালের অবস্থানের সময় তার শক্তি ও ক্ষমতা দেখাতে সে ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক-মাইক্রোওয়েভ প্রভৃতি নন লিথ্যাল ওয়েপন ব্যবহার করবে। শব্দ শক্তি ব্যবহার করেও চরম একটি অস্ত্র তৈরি করেছে যার নাম LRAD(LONG RANGE AQUISTIC DEVICE). এর দ্বারা এমন শব্দ উৎপন্ন করা যায় যা দিয়ে মানুষের মধ্যে আতংক ও যুদ্ধে পরাজিত করাও সম্ভব।এটা নিয়ে বিস্তারিত নাই বা লিখলাম।

যেভাবে ব্যপারগুলো ঘটতে পারেঃ
কুফফার দেশগুলো মিলে আকাশে একটি মিথ্যা এলিয়েন ইনভেশন দেখাবে।প্রথমে নাটক সাজাবে আমেরিকা,রাশিয়া ইত্যাদি কাফেররা এলিয়েন নামের নিজেদের বানানো ছবির বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে তারাই দেখাবে এই এলিয়েন গুলো আসলে মানুষের সাথে যুদ্ধের জন্য আসে নি তারা মানবতা আর শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে এসেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এক এক ভাষা ও ধর্মজাতি গোষ্ঠী অনুযায়ী স্যাটেলাইট কোঅরডিনেশনের সাহায্যে অত্র দেশের ভাষা ও সংস্কৃতি অনুযায়ী ভাষা ও ধর্মীয় ব্যপারে ওই অঞ্চলের আকাশে ব্যপারগুলো দেখানো হবে।সবই করা হবে প্রযুক্তির সম্মেলনে, মানুষের(খাটি মুমিন বাদে)মনকেও বশীভূত করা হবে।

মানুষ দেখবে এই এলিয়েনরা আসলে স্রষ্টা প্রদত্ত। এরা দুনিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে এসেছে। তারা(এলিয়েন নামের বানোয়াট আগন্তুক) বলবে পূর্বে স্রষ্টা প্রদত্ত প্রেরিত সকল ধর্ম গুলোর ব্যখ্যা মানুষ ভুলভাবে নিয়েছে যা বর্তমানে ভাইয়ে ভাইয়ে(মানুষের সাথে মানুষের)যুদ্ধ করাচ্ছে।বর্তমানে যারা বোমাবাজি করছে ও যুদ্ধে লিপ্ত আছে(মুসলিম জিহাদিদের কে উদ্দেশ্য করে)তারা শয়তানের পক্ষে যুদ্ধ করছে। তাদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। আরও দেখানো হবে বড় বড় ধর্মকে নির্দেশ করতে ব্যবহ্রত প্রতিক যেমন মুসলিমদের চাঁদ-তারা, খ্রিষ্টানদের ক্রুশ, ইয়াহুদিদের পেনটাগ্রাম ইত্যাদি ,আর বলা হবে এই ধর্মের বিভাজনই সবাইকে আলাদা করে রেখেছে ও দুনিয়ায় অশান্তি এনেছে, এর পর দেখানো হবে প্রতীকগুলো সবগুলো একসাথে মিলে নতুন একটি ধর্ম তৈরি হয়েছে। এরপরপরই দাজ্জাল মসীহের আগমন হবে প্রথম দিকে নিজেকে স্রষ্টা প্রেরিত দূত হিসেবে প্রকাশ করবে এর পর নিজেকেই খোদা দাবি করবে, এবং প্রযুক্তি ও ইবলিসি(জ্বীন ঘটিত) শক্তির প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজেকে রব দাবি করবে। দাজ্জাল যে বাহন ব্যবহার করবে যার গবেষনা হয়তো এরিয়া ৫১ তে চলছে,কেননা অনেক গবেষক এই অঞ্চলে ইউএফও নিয়ে গবেষনা ও এধরনের যান তৈরির চেস্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।ধারনা করা হয় জ্বীনদের(খ্রিস্টান-কাফেররা জ্বীনদেরকে এলিয়েন মনে করে) উড়োজাহাজ যে প্রযুক্তিতে তৈরি তার সাথে মানুষের প্রযুক্তি মিশিয়ে অসামান্য গতি ও ক্ষমতার উড়োজাহাজ নির্মাণ এর কাজ চলছে । (ইন্টারনেটের বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী এই ভাবেই ব্যপারটি ঘটানোর চেস্টা করা হবে। তবে এর চেয়েও আরও নিখুতভাবে করার চেস্টা চলছে, সর্বোপরি আল্লাহই ভাল জানেন)
এই বিষয় গুলোতে যে শুধু কাফের জাতিরাই যুক্ত এমনটা নয় এ কাজের পক্ষে মুনাফিকরাও জড়িত আছে।
নিচের ইংরেজি ডকুমেন্টগুলোতে পড়েই দেখুন .....
On august 28th 2000,the united nations gathered all faiths together for an event known as the ''Millennium World Peace Summit''
The event required a forum where leaders of each major religion could get together and have discussions regarding the troubles of the world,along with solution.
The World Council of religious leaders,an independent body,works so bring religious resources to support the work of the United Nations in our common quest for peace.

''Human being are under the control of a strange force that bends them in absurd ways,forcing them to play a role in a bizarre game of deception.''
-Dr.Jacques vallee,Messengers of Deception,p.20

''The UFO phenomenon represents a manifestration of reality that transcend our understanding of physics.... the UFO are physical manifestrations that cannot be understood apart for their physic and symbolic reality .What we see in effect here is not an alien invasion,it is control system which acts on humans and uses of humans.''
-Dr.Jacques vallee,Messengers of Deception,p.209-2010.

''Very soon the nation will look to aliens for their salvation.''
Br.Guy consolmagno

''Very soon we will not have to deny our christian faith....but there is information coming from another world,and once it is confirmed it is going to require a re-reading of Gospel as we know now.''
Fr.Giuseppe Tanzella-NittiProfessor,vatican university.


২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে লেখা কন্সপাইরেসি থিওরি নির্ভর অমাপ্ত ত্রুটিপূর্ন আর্টিকেল।