Friday, January 11, 2019

Hegelian Architect - ম্যাটেরিয়ালিজম নাকি আইডিয়ালিজম?

আমাদের দেশে এই সময়টাতে নাস্তিকদের যেমন প্রভাব আধিপত্য দেখা যাচ্ছে, সেটা খুব বেশিদিন কিন্তু থাকবে না। বিজ্ঞানে বড়
ধরনের পরিবর্তন এসেছে। সেটা আজ নয়, বরং প্রায় তিন চার দশক আগে থেকে। আজ সে পরিবর্তন অনেক দূর গিয়ে গড়িয়েছে।

 আমাদের দেশে, পশ্চিমা দেশগুলোতে কোন জিনিস পুরাতন হবার অনেক পরে নতুনরূপে আবির্ভূত হয়। যেমন ধরুন,৪জি এদেশে চালু হবার বহু আগেই পশ্চিমে পুরানো হয়ে গেছে। এখন ওসব দেশে ৫ জি নিয়ে কাজ চলছে। এরকমভাবে ওদের দেওয়া কোন বিদ্যা, ওদের দেশে রাতারাতি পরিবর্তন সংস্করণ ঘটলেও, এদেশে অনেক দেরীতে হয়। এ কারনে ফিজিক্সে বড় ধরনের পরিবর্তন এলেও এদেশে এখনো ক্লাসিক্যাল ম্যাটেরিয়ালিস্টিক মেকানিক্স নিয়ে পড়ে আছে। সে হিসেবে এদেশীয় প্রগতিশীল এ্যথিস্টগুলো একধরনের "বলদ"! এরা এখনো বস্তুবাদী চেতনা থেকে নিজেদের বের করতে পারেনি। পশ্চিমা ফিজিসিস্টদের ওয়ার্ল্ডভিউ খোজ নিয়ে দেখুন, কি অবস্থা! ন্যাচারাল ফিলোসফি তথা বিজ্ঞানের একটা অধ্যায়ে বস্তুবাদীতা রাখা হয়েছিল প্রবলেম→রিয়্যাকশ্যন→সল্যুশন এর দিকে নেওয়ার জন্য। সল্যুশন=প্রাচীন ব্যবিলনিয়ান এস্ট্রোথিওলজিক্যাল প্যাগান মিস্টিসিজম। এজন্যই রিডাকশনিজমের এজ এর বিদায় এবং আইডিয়ালিজমের উত্থান। এসব হেগেলিয়ান আর্কিটেক্ট, অকাল্ট মিস্ট্রি স্কুল চালুর জন্যই কিছুদিন বস্তুবাদের ফাদ ছিল। বস্তুবাদে উদ্ভুত সমস্যাই অবস্তুবাদি মনের চেতনার দিকে ফিজিক্সকে হাটায়। চমৎকার কৌশল। দুইটাই শয়তানের ফাদ।
জ্বি, নিকট ভবিষ্যতে এদেশে নাস্তিকদের দৌরাত্ম্য হঠাৎ কমে যাবে। টেসলার কথাকে সত্য হতে দেখবেন, সবাইকে কেমন যেন স্পিরিচুয়াল হতে দেখবেন। সব বিজ্ঞানমনষ্কদের দেখবেন বারুচ স্পিনোজার গডের মুরিদ। কেউ দেখবেন লালন হয়ে গেছে, কেউ বা গাজার চেয়েও বড় ক্ষমতার কোন সস্তা সাইকাডেলিক নিয়ে পড়ে থাকবে।কেউ বা কোয়ান্টাম ম্যাথডে ও ইস্কনে। সায়েন্স ও স্পিরিচুয়ালিটির গ্লোবাল রিকগ্নিশনে তাগুত শাসক বেশ খুশি হবে, এখনিতো ক্লাস এইটের বইতে লালনের মানবধর্ম পড়ানো হয়। আজই একদল বিজ্ঞানমনাকে মানবধর্ম, স্পিরিচুয়াল ডেইস্ট,নিহিলিস্ট টাইটেল নিয়ে গর্বের সাথে ঘুরতে দেখবেন। আগে বলত ঈশ্বর বলে কিছু নেই, তখন বলবে আমি, তুমি যা দেখা যায় সবই ঈশ্বর। উই আর গডস। এ মহাবিশ্ব হচ্ছে ইউনিভারসাল কালেক্টিভ কনসাসনেস, আ ম্যাসিভ মাইন্ড, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের সাথে গলা মিলিয়ে বলবে দিস মাইন্ড ইজ দ্যা মেইট্রিক্স অব অল ম্যাটার। তখন মোডারেট মোজলেমরা কি বলবে খুব জানতে ইচ্ছে করে। হয়ত নতুন ভাবে কম্প্যাটিবিলিটির জন্য দ্বীনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যাখ্যায় আপডেট করা হবে। একদল ভাববে, নাহ রিডাকশনিজমই ভাল ছিল। অনেক কিছুই ইসলামিক চিন্তাধারার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া যেত। ইন্ডিটারমিনিস্টিক ননডুয়ালিটির আকিদা একদমই আল্লাহর সাথে খোলাখুলি বিদ্রোহ, কিভাবে সমন্বয় সাধন করা যায়!?
.
ততদিনে পাশ্চাত্যে ফিজিসিস্টদের দ্বারা কাব্বালার ট্রি অব লাইফ এবং অন্যান্য অকাল্ট এমব্লেমগুলো সমহিমায় চলে আসবে(ইতোমধ্যে এসে গেছে)। সবাই বলবে প্রাচীন বিজ্ঞানী - দার্শনিকরা সত্যটাই জানত। ম্যাজিক্যাল মেকানিক্স গুলোকে এরপরে টেকনোলজিতে ইমপ্লাই করা হবে। তৈরি হবে পার্পিচুয়াল মোশন মেশিন, ভ্রিল ফ্রি এনার্জি মেশিন, জিরো পয়েন্ট এনার্জি, নিউট্রিনো, অর্গন পাওয়ার, পিরামিড এনার্জি জেনারেটর,ইন্দ্রের অলংকারের(ইন্দ্রজাল) অফুরন্ত ডার্ক এনার্জি! এখন এসব নিয়ে পশ্চিমে ডেমো চলছে। ভিঞ্চি বহু আগে এরই একটা অংশ নিয়ে ঘাটাঘাটি করে গেছেন। কোয়ান্টাম কম্পিউটার গুলো একদমই অকাল্ট ফিজিক্সের নীতিতে দিব্যি চলছে। ম্যাজিক্যাল প্রিন্সিপ্যাল এবার টেকনোলোজিতে। সেদিন এক পদার্থবিদকে দরদি কন্ঠে বলতে শুনি, "আজ অনেক মানুষ জীবনে শুধু খাদ্য,শক্তির(জ্বালানি) অন্বেষণে জীবন ব্যয় করছে, আমাদের এই ফিজিক্সের তত্ত্বটি হয়ত জগতের চাবি বাতলে দেবে, তখন নতুন ধরনের প্রযুক্তি ও দর্শনের উন্মেষ ঘটবে এ তত্ত্বকে কেন্দ্র করে"। তার বক্তব্যটা দেখানোর আগেই অফিশিয়াল ডকুমেন্টারিতে ব্যবিলনিয়ান - ইজিপশিয়ান যাদুবিদ্যাকেন্দ্রিক তাৎপর্যপূর্ন প্যাটার্ন এর সাথে কাব্বালার ট্রি অব লাইফকেও দেখাচ্ছিল। মনে মনে বলি, আচ্ছা, এই তো সেই হারানো রাজ্যের চাবি। আদম(আ) হাওয়া(আ) কেও দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেদিন ওদেরকে বলি, তোমরা নোবেল লাভের জন্য রেডি হও...। মাঝেমধ্যে ওদের শয়তানি কাজে প্রগ্রেস জানতে চাই,অমুক বিষয়টা সংযুক্ত করো,ওটার উপর গুরুত্ব দাও ইত্যাদি বিশেষ বলি(সংগত কারনে), ওরা উলটো খুব খুশি হয়ে কৃতজ্ঞতা জানায় বেশ আন্তরিকতার সাথে। ওরা যা করতে চায় এবং বলতে চায় সেসব তো আল্লাহর ইচ্ছায় অল্প হলেও বুঝি....মা'আযাল্লাহ।
.
এগুলো তো সায়েন্স তাই না??? 
হ্যা, কাব্বালা সায়েন্স। র্যাবাইয়ের ভাষায়, এগুলা যাদু না, এটা ভুল ধারনা। জ্বি অনেক ম্যাথ আছে হোয়াইট বোর্ড ভর্তি। অনেক থিওরি...। ওয়েভ মেকানিক্সের মাধ্যমে হার্মেটিক ফিলসফি আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এবার এটাও। হোক সেগুলোর জন্ম বাবেলে। আমাদের উচিৎ হিউম্যানিটির প্রগ্রেসের কথা ভেবে, সবসময় ভালটা গ্রহন করা। শয়তান থেকে আসুক তাতে কি, জন্ম হোক যথা তথা, কর্ম হোক ভাল। ওদেরকে শয়তান শব্দ বলে অবজ্ঞা করা ঠিক না, তারা হচ্ছেন এ্যসেন্ডেড মাস্টার। আওয়ার হায়ার সেল্ফ। আর একচোখ বিশিষ্ট গুরুজিও আসছেন দুনিয়ার প্রগতি আর মানব উৎকর্ষকে সমুচ্চে নেওয়ার জন্য। কুরআনেও কোথাও তার বিরোধী হবার কথা নেই। এসবে যারাই বিরোধিতা করবে তারা, উগ্রবাদী, বর্বর,অশিক্ষিত,মুর্খ,কুসংস্কারাচ্ছন্ন, উন্নয়ন ও প্রগতিবিরোধী সন্ত্রাসী জঙ্গী। কে বলেছে, কাব্বালার বিশেষ (বি)জ্ঞান হারাম। আপনি কুরআন কি বোঝেন, অমুক অমুক আয়াতে দেখেন সাজারাতুল খুলদের ব্যপারে আছে। এর জাহেরি অর্থ নিলে ভুল হবে বাতেনি অর্থ বুঝতে হবে। অমুক আয়াতের অমুক শব্দের বুৎপত্তিগত ধাতু এসেছে অমুক থেকে, অমুক থেকে অমুক..
অতএব কিছু মূর্খ খারেজি ছাগল যদি বলে এসব হারাম, মানা যাপে না। ওদের কে ধরিয়ে দিন।
__________________
এজন্যই আমি একদম গোড়া থেকে শুরু করেছিলাম- The occult origins of mainstream physics and astronomy। নব্য মু'তাযিলা চিন্তাধারা চলে আসায় আমরা সব কিছুকেই বিজ্ঞান বানিয়ে নিয়েছি। এজন্য দার্শনিক সায়েন্টিস্টদের শয়তানি কথাগুলোকে আমরা কুরআন হাদিস দ্বারা যাস্টিফাই করতে পিছপা হচ্ছিনা। ওদেরকে যে কি বানিয়ে নিয়েছি...! ইসলামিক লেকচারে পর্যন্ত আইনস্টাইনের শয়তানি কথাকে যোগ করা হচ্ছে বক্তব্যকে খুব গ্রহণযোগ্য, স্মার্ট করার জন্য, ইন্না লিল্লাহ! কিছু ব্যস্ততায় আটকে যাওয়ায় লেখা হচ্ছেনা। আল্লাহ চাইলে সমস্ত বিষয়গুলোকে সন্নিবেশিত অবস্থায় পাবেন। 

0 Comments:

Post a Comment