Monday, December 10, 2018

শিখ ধর্মে মাহদী ও তাগুত কল্কি

ইতোপূর্বে আপনাদেরকে দলিলসহ জানিয়েছি যে দাজ্জালের প্রি-ফলোয়াররা আপনার পাশেই আছে।। বৌদ্ধদের কালচক্রে কল্কি অবতারের ইসলামী শক্তি দমনের জন্য মহাযুদ্ধের বর্ননা আছে, যা উইকিপিডিয়াতেও আছে(চিত্রে দেখছেন)।
যারা আগের লেখাটির লিংকঃ https://m.facebook.com/islamic.cognition/photos/a.291781357945730.1073741828.282165055574027/385768245213707/?type=3&_rdr#392683531188845

.
আজ আরও নতুন কিছু। শিখধর্মের এস্কেটলজি আমাদেরকে বেশ কিছু ভুল শুদ্ধ তথ্য দেয়। শিখধর্মের দশম নানক গুরু গোবিন্দ সিং 'দশম গ্রন্থে' কল্কি ও সত্যযুগ সম্পর্কে যা উল্লেখ করেন তার সারবস্তু এই যে,কল্কি অবতার যখন যুদ্ধ করে সারা পৃথিবীর প্রায় সিংহভাগ দখল করে নেবে, তখন সে নিজেকে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা দাবি করবে,তখনই সৃষ্টিকর্তা অসন্তুষ্ট হয়ে মীর(নেতা) মাহদীকে প্রেরন করবেন। এবং অবশেষে ধর্মচক্রের(হিন্দু,বৌদ্ধ,বৈষ্ণব) শেষ অবতার কল্কিকে হত্যা করবেন!
.
Appearance of Mahdi and Killing of Kalki
ਤੋਮਰ ਛੰਦ ॥
TOMAR STANZA

ਜਗ ਜੀਤਿਓ ਜਬ ਸਰਬ ॥ ਤਬ ਬਾਢਿਓ ਅਤਿ ਗਰਬ ॥ ਦਿਯ ਕਾਲ ਪ੝ਰਖ ਬਿਸਾਰ ॥ ਇਹ ਭਾਂਤ ਕੀਨ ਬਿਚਾਰ ॥੫੮੩॥
When Kalki conquered the whole world, his pride was extremely increased; he also forgot the Kaal Purakh(Hukam) and said this;583.

ਬਿਨ ਮੋਹਿ ਦੂਸ੝ਰ ਨ ਔਰ ॥ ਅਸ ਮਾਨਿਯੋ ਸਭ ਠਉਰ ॥ ਜਗ੝ ਜੀਤ ਕੀਨ ਗ੝ਲਾਮ ॥ ਆਪਨ ਜਪਾਯੋ ਨਾਮ ॥੫੮੪॥
Kalki Said, There is no second except me and the same is accepted at all the place; I have conquered the whole world and made it my slave and have caused everyone to repeat my name.584.

ਜਗ ਝਸ ਰੀਤ ਚਲਾਇ ॥ ਸਿਰ ਅਤ੝ਰ ਪਤ੝ਰ ਫਿਰਾਇ ॥ ਸਭ ਲੋਗ ਆਪਨ ਮਾਨ ॥ ਤਰ ਆਂਖ ਅਉਰ ਨ ਆਨ ॥੫੮੫॥
I have given life again to the traditional and have swung the canopy over my head; all the people consider me as their own and none other comes to their sight.585.

ਨਹਿ ਕਾਲ ਪ੝ਰਖ ਜਪੰਤ ॥ ਨਹਿ ਦੇਵ ਜਾਪ ਭਣੰਤ ॥ ਤਬ ਕਾਲ ਦੇਵ ਰਿਸਾਇ ॥ ਇਕ ਅਉਰ ਪ੝ਰਖ ਬਨਾਇ ॥੫੮੬॥
No one repeats the name of the Lord-God or the name of any other God goddess;" seeing this the Kaal Purakh created another purusha.586.

ਰੱਚਿ ਅਸ ਮਹਿਦੀ ਮੀਰ ॥ ਰਿਸਵੰਤ ਹਾਠ ਹਮੀਰ ॥ ਤਿਹ ਤਉਨ ਕੋ ਬਧ੝ ਕੀਨ ॥ ਪ੝ਨ ਆਪ ਮੋ ਕਿਯ ਲੀਨ ॥੫੮੭॥
Mehdi Mir was created, who was very angry and persistent one; he killed the Kalki incarnation within himself again.587.

ਜਗ ਜੀਤ ਆਪਨ ਕੀਨ ॥ ਸਭ ਅੰਤ ਕਾਲ ਅਧੀਨ ॥ ਇਹ ਭਾਂਤ ਪੂਰ ਸ੝ਧਾਰ ॥ ਭਝ ਚੌਬਿਸੇ ਅਵਤਾਰ ॥੫੮੮॥
Those who conquered, the made it there possession they are all under the control of KAL (death) in the end; in this way, with complete improvement the description of twenty-fourth incarnation is completed.588.

ਇਤਿ ਸ੝ਰੀ ਬਚਿਤ੝ਰ ਨਾਟਕ ਗ੝ਰੰਥੇ ਚਤ੝ਰ ਬੀਸਵਾਂ ਅਵਤਾਰ ਬਰਨਨੰ ਸਮਾਪਤਮ ॥੨੪॥
End of the description of twenty-fourth incarnation in Bachittar natak.
.
কল্কির জবরদখল ও ধ্বংসযজ্ঞের বর্ননাঃ
After killing the king of Sambhal, Kalki Avtaar started to conquer the world. He attacked on Kabul, Babul, Kandhaar, Iraq, Balkh, and Rome etc. and killed those who dared to fight against him: -
"Hanney Kaablee Baablee beer baankey. Kandhaaree Harevee Iraaqi nisaakey. Bali Baalkhee Roh Roomi rajeeley. Bhajey traas kai kai bhaye band dheeley.(462)." {page 601}.

Kalki killed the enemies in Kashmir, Bangas, Russia etc.: -
"Katey Kaashmeeree hanney kashatvaaree. Kupey kaashkaaree badey chhatra-dhaaree. Bali Bangasee gorbandee gadrejee. Mahaa-moorh maajindra raanee majejee.(484)
.
Hanney Roos Toosee kritee chitra jodhee. Hathhey Parasuyyad su khoobaan sakrodhee….(485)." {page 603}.
Kalki Avtaar killed the enemies in Bijapur, Golkunda, Dravid, Tilangaana, Vaidarbh, Bengal, Orissa (all in India) and Nepal: -
"Hanney beer Bijapuri Golkundi…..(504)." {page 604}.
"Drahee Dravarhey tej taa te Tilangi. Hatey Suratee jang bhangee phirangee.(505). Chapey chaand raja chaley chanad baasee. Badey beer Baidarbh sanros raasee……(506)." {page 604}
"Maagadh maheep mandey mahaan. Das chaar chaar vidya nidhaan. Bangee Kuling Angee ajeet. Morang agar Naipal abheet.(508)." {page 605}
He got victory over China, and then he went to North: -
"Cheen Macheen chheen jab leena. Uttar desh payyana keena…..(548)." {page 607}.
Thus, Sri Kalki Avtaar saved the saints and killed anti-saints: -
"Sant ubaar asant khapaayey.(550)." {page 608}
Now, 'Satyug' was just coming near. All people heard about this. It pleased the minds of saints. They sang the glory of God: -
"Satjug aayo. Sabh sun paayo. Mun mann bhaayo. Gun gan gaayo.(553)." {page 608}
But unfortunately, after conquering the world, Kalki became proud. He forgot the God: -
"Jag jeeteyo jab sarab. Tab baadhhiyo at garab. Diya Kaal Purakh beesaar. Eh bhaant keen bichaar.(583).

.

সূত্রঃ http://www.sikhiwiki.org/index.php/Mahdi_Meer
http://www.sikhiwiki.org/index.php/Kalki_Avtaar
এবং উইকিপিডিয়া।
.
উইকিপিডিয়াতে বিষয়টার সংক্ষিপ্ত বর্ননা ছিল। এখন মুছে ফেলা হয়েছে। আমার কাছে স্ক্রীনশট ছিল, এমুহূর্তে সেটা দেওয়া সম্ভব নয়। দাজ্জালের প্রত্যাশীরা এরূপ পরাজয়ের বিবরন প্রকাশ্যে দেখাতে চায় না। এজন্যই হয়ত মুছে ফেলেছে।
.
প্রথমেই বলেছি, গুরুগোবিন্দের ভবিষৎবাণীতে ভুলশুদ্ধের মিশ্রন রয়েছে। যাদের নূন্যতম ইল্ম আছে তারা ইতোমধ্যে টের পেয়েছেন।
সেটা নিম্নোক্ত হাদিসটি স্পষ্ট করে।

حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ الدِّمَشْقِيُّ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ جَابِرٍ الطَّائِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ الْكِلاَبِيِّ، قَالَ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الدَّجَّالَ فَقَالَ ‏"‏ إِنْ يَخْرُجْ وَأَنَا فِيكُمْ فَأَنَا حَجِيجُهُ دُونَكُمْ وَإِنْ يَخْرُجْ وَلَسْتُ فِيكُمْ فَامْرُؤٌ حَجِيجُ نَفْسِهِ وَاللَّهُ خَلِيفَتِي عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ فَمَنْ أَدْرَكَهُ مِنْكُمْ فَلْيَقْرَأْ عَلَيْهِ فَوَاتِحَ سُورَةِ الْكَهْفِ فَإِنَّهَا جِوَارُكُمْ مِنْ فِتْنَتِهِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا وَمَا لُبْثُهُ فِي الأَرْضِ قَالَ ‏"‏ أَرْبَعُونَ يَوْمًا يَوْمٌ كَسَنَةٍ وَيَوْمٌ كَشَهْرٍ وَيَوْمٌ كَجُمُعَةٍ وَسَائِرُ أَيَّامِهِ كَأَيَّامِكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الْيَوْمُ الَّذِي كَسَنَةٍ أَتَكْفِينَا فِيهِ صَلاَةُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ قَالَ ‏"‏ لاَ اقْدُرُوا لَهُ قَدْرَهُ ثُمَّ يَنْزِلُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عِنْدَ الْمَنَارَةِ الْبَيْضَاءِ شَرْقِيَّ دِمَشْقَ فَيُدْرِكُهُ عِنْدَ بَابِ لُدٍّ فَيَقْتُلُهُ ‏"‏ ‏.‏

আন-নাওয়াস ইবনু সাম‘আন আল-কিলাবী (রাঃ)

তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তিনি বলেনঃ আমি তোমাদের মাঝে বিদ্যমান থাকতে যদি সে আবির্ভূত হয় তবে তোমাদের পক্ষ হতে আমিই তার প্রতিপক্ষ হবো। আর আমি তোমাদের মাঝে বিদ্যমান না থাকা অবস্থায় যদি সে আবির্ভূত হয় তবে প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজেই তার প্রতিপক্ষ হতে হবে। আর আল্লাহ হবেন প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আমার পক্ষের দায়িত্বশীল। তোমাদের মাঝে যে কেউ তাকে পাবে, সে যেন সূরাহ আল-কাহ্‌ফের প্রথম কয়েকটি আয়াত পাঠ করে; কেননা এটাই হবে ফিত্বনাহ থেকে তার নিরাপত্তার প্রধান উপায়। আমরা বললাম, সে পৃথিবীতে কতদিন থাকবে? তিনি বললেনঃ চল্লিশ দিন। একদিন হবে এক বছরের সমান, একদিন হবে এক মাসের সমান ও একদিন হবে এক সপ্তাহের সমান, আর বাকি দিনগুলো হবে তোমাদের সাধারণ দিনগুলোর সমান। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! যে দিনটি এক বছরের সমান হবে, সে দিনে এক দিন ও এক রাতের সলাত কি আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে? তিনি বললেনঃ না, তোমরা অনুমান করে দিনের পরিমাণ নির্ধারণ করে (সলাত পড়বে)। অতঃপর ঈসা ইবনু মারইয়াম (আঃ) দামেশকের পূর্ব প্রান্তে একটি সাদা মিনারে অবতরণ করবেন এবং ‘লুদ্দ’ নামক স্থানের দ্বারপ্রান্তে দাজ্জালকে নাগালে পাবেন এবং হত্যা করবেন।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৩২১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
.
অর্থাৎ আল মাহদী নন বরং হত্যা করবেন ঈসা রুহআল্লাহ। এই মহান জঙ্গী সেনাপতি মাহদী(আ) দাজ্জালের শক্তির সাথে পেরে উঠবেন না। তখনই আল্লাহ হযরত ঈসা(আ) কে একটি সাদা মিনার ওয়ালা মসজিদের পাশে আসমান থেকে প্রেরন করবেন।

গোবিন্দের এরূপ ভ্রান্তির ব্যাখ্যা থাকতে পারে নিন্মোক্ত হাদিসেঃ
It was reported that ‘Aa’ishah (may Allaah be pleased with her) said: “Some people asked the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) about soothsayers. He said, ‘They are nothing.’ They said, ‘O Messenger of Allaah, sometimes they say something and it comes true.’ The Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: ‘That is a word of truth that the jinn snatches and whispers into the ear of his familiar, but they mix a hundred lies with it.’” (Narrated by al-Bukhaari and Muslim).
.
দশমগ্রন্থের এরূপ ন্যারেশনে আরেকটি বড় মিথ্যা রয়েছে। উল্লিখিত আছে যে, আল মাহদী স্রষ্টাদাবিকারী কল্কি অবতারকে হত্যা সারাবিশ্বের নেতৃত্ব লাভ করে এবং গর্ববোধ করে, পরবর্তীতে সে সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক পোকার দ্বারা শাস্তির কবলে পড়ে মারা যায়।(নাউজুবিল্লাহ)
.
আমরা সবাই জানি, পোকার সংক্রমনে মারা যাবে অভিশপ্ত ইয়াজুজ মাজুজরা। দুইএক% সত্যের সাথে মিথ্যা জুড়ালে যা হয়..।
নিচের হাদিসে বিস্তারিত রয়েছেঃ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، سَمِعَ النَّوَّاسَ بْنَ سَمْعَانَ الْكِلاَبِيَّ، يَقُولُ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الدَّجَّالَ الْغَدَاةَ فَخَفَضَ فِيهِ وَرَفَعَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ فِي طَائِفَةِ النَّخْلِ فَلَمَّا رُحْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَرَفَ ذَلِكَ فِينَا فَقَالَ ‏"‏ مَا شَأْنُكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَكَرْتَ الدَّجَّالَ الْغَدَاةَ فَخَفَضْتَ فِيهِ ثُمَّ رَفَعْتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ فِي طَائِفَةِ النَّخْلِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ غَيْرُ الدَّجَّالِ أَخْوَفُنِي عَلَيْكُمْ إِنْ يَخْرُجْ وَأَنَا فِيكُمْ فَأَنَا حَجِيجُهُ دُونَكُمْ وَإِنْ يَخْرُجْ وَلَسْتُ فِيكُمْ فَامْرُؤٌ حَجِيجُ نَفْسِهِ وَاللَّهُ خَلِيفَتِي عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ إِنَّهُ شَابٌّ قَطَطٌ عَيْنُهُ قَائِمَةٌ كَأَنِّي أُشَبِّهُهُ بِعَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قَطَنٍ فَمَنْ رَآهُ مِنْكُمْ فَلْيَقْرَأْ عَلَيْهِ فَوَاتِحَ سُورَةِ الْكَهْفِ إِنَّهُ يَخْرُجُ مِنْ خَلَّةٍ بَيْنَ الشَّامِ وَالْعِرَاقِ فَعَاثَ يَمِينًا وَعَاثَ شِمَالاً يَا عِبَادَ اللَّهِ اثْبُتُوا ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا لُبْثُهُ فِي الأَرْضِ قَالَ ‏"‏ أَرْبَعُونَ يَوْمًا يَوْمٌ كَسَنَةٍ وَيَوْمٌ كَشَهْرٍ وَيَوْمٌ كَجُمُعَةٍ وَسَائِرُ أَيَّامِهِ كَأَيَّامِكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَذَلِكَ الْيَوْمُ الَّذِي كَسَنَةٍ تَكْفِينَا فِيهِ صَلاَةُ يَوْمٍ قَالَ ‏"‏ فَاقْدُرُوا لَهُ قَدْرًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْنَا فَمَا إِسْرَاعُهُ فِي الأَرْضِ قَالَ ‏"‏ كَالْغَيْثِ اشْتَدَّ بِهِ الرِّيحُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَيَأْتِي الْقَوْمَ فَيَدْعُوهُمْ فَيَسْتَجِيبُونَ لَهُ وَيُؤْمِنُونَ بِهِ فَيَأْمُرُ السَّمَاءَ أَنْ تُمْطِرَ فَتُمْطِرَ وَيَأْمُرُ الأَرْضَ أَنْ تُنْبِتَ فَتُنْبِتَ وَتَرُوحُ عَلَيْهِمْ سَارِحَتُهُمْ أَطْوَلَ مَا كَانَتْ ذُرًى وَأَسْبَغَهُ ضُرُوعًا وَأَمَدَّهُ خَوَاصِرَ ثُمَّ يَأْتِي الْقَوْمَ فَيَدْعُوهُمْ فَيَرُدُّونَ عَلَيْهِ قَوْلَهُ فَيَنْصَرِفُ عَنْهُمْ فَيُصْبِحُونَ مُمْحِلِينَ مَا بِأَيْدِيهِمْ شَىْءٌ ثُمَّ يَمُرُّ بِالْخَرِبَةِ فَيَقُولُ لَهَا أَخْرِجِي كُنُوزَكِ فَيَنْطَلِقُ فَتَتْبَعُهُ كُنُوزُهَا كَيَعَاسِيبِ النَّحْلِ ثُمَّ يَدْعُو رَجُلاً مُمْتَلِئًا شَبَابًا فَيَضْرِبُهُ بِالسَّيْفِ ضَرْبَةً فَيَقْطَعُهُ جِزْلَتَيْنِ رَمْيَةَ الْغَرَضِ ثُمَّ يَدْعُوهُ فَيُقْبِلُ يَتَهَلَّلُ وَجْهُهُ يَضْحَكُ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ بَعَثَ اللَّهُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ فَيَنْزِلُ عِنْدَ الْمَنَارَةِ الْبَيْضَاءِ شَرْقِيَّ دِمَشْقَ بَيْنَ مَهْرُودَتَيْنِ وَاضِعًا كَفَّيْهِ عَلَى أَجْنِحَةِ مَلَكَيْنِ إِذَا طَأْطَأَ رَأْسَهُ قَطَرَ وَإِذَا رَفَعَهُ يَنْحَدِرُ مِنْهُ جُمَانٌ كَاللُّؤْلُؤِ وَلاَ يَحِلُّ لِكَافِرٍ أَنْ يَجِدَ رِيِحَ نَفَسِهِ إِلاَّ مَاتَ وَنَفَسُهُ يَنْتَهِي حَيْثُ يَنْتَهِي طَرْفُهُ فَيَنْطَلِقُ حَتَّى يُدْرِكَهُ عِنْدَ بَابِ لُدٍّ فَيَقْتُلُهُ ثُمَّ يَأْتِي نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى قَوْمًا قَدْ عَصَمَهُمُ اللَّهُ فَيَمْسَحُ وُجُوهَهُمْ وَيُحَدِّثُهُمْ بِدَرَجَاتِهِمْ فِي الْجَنَّةِ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ أَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ يَا عِيسَى إِنِّي قَدْ أَخْرَجْتُ عِبَادًا لِي لاَ يَدَانِ لأَحَدٍ بِقِتَالِهِمْ وَأَحْرِزْ عِبَادِي إِلَى الطُّورِ ‏.‏ وَيَبْعَثُ اللَّهُ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ وَهُمْ كَمَا قَالَ اللَّهُ مِنْ كُلِّ حَدَبٍ يَنْسِلُونَ فَيَمُرُّ أَوَائِلُهُمْ عَلَى بُحَيْرَةِ الطَّبَرِيَّةِ فَيَشْرَبُونَ مَا فِيهَا ثُمَّ يَمُرُّ آخِرُهُمْ فَيَقُولُونَ لَقَدْ كَانَ فِي هَذَا مَاءٌ مَرَّةً وَيَحْضُرُ نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ حَتَّى يَكُونَ رَأْسُ الثَّوْرِ لأَحَدِهِمْ خَيْرًا مِنْ مِائَةِ دِينَارٍ لأَحَدِكُمُ الْيَوْمَ فَيَرْغَبُ نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ إِلَى اللَّهِ فَيُرْسِلُ اللَّهُ عَلَيْهِمُ النَّغَفَ فِي رِقَابِهِمْ فَيُصْبِحُونَ فَرْسَى كَمَوْتِ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ ‏.‏ وَيَهْبِطُ نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ فَلاَ يَجِدُونَ مَوْضِعَ شِبْرٍ إِلاَّ قَدْ مَلأَهُ زَهَمُهُمْ وَنَتْنُهُمْ وَدِمَاؤُهُمْ فَيَرْغَبُونَ إِلَى اللَّهِ سُبْحَانَهُ فَيُرْسِلُ عَلَيْهِمْ طَيْرًا كَأَعْنَاقِ الْبُخْتِ فَتَحْمِلُهُمْ فَتَطْرَحُهُمْ حَيْثُ شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ يُرْسِلُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مَطَرًا لاَ يُكِنُّ مِنْهُ بَيْتُ مَدَرٍ وَلاَ وَبَرٍ فَيَغْسِلُهُ حَتَّى يَتْرُكَهُ كَالزَّلَقَةِ ثُمَّ يُقَالُ لِلأَرْضِ أَنْبِتِي ثَمَرَتَكِ وَرُدِّي بَرَكَتَكِ فَيَوْمَئِذٍ تَأْكُلُ الْعِصَابَةُ مِنَ الرُّمَّانَةِ فَتُشْبِعُهُمْ وَيَسْتَظِلُّونَ بِقِحْفِهَا وَيُبَارِكُ اللَّهُ فِي الرِّسْلِ حَتَّى إِنَّ اللِّقْحَةَ مِنَ الإِبِلِ تَكْفِي الْفِئَامَ مِنَ النَّاسِ وَاللِّقْحَةَ مِنَ الْبَقَرِ تَكْفِي الْقَبِيلَةَ وَاللِّقْحَةَ مِنَ الْغَنَمِ تَكْفِي الْفَخِذَ ‏.‏ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ بَعَثَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ رِيحًا طَيِّبَةً فَتَأْخُذُ تَحْتَ آبَاطِهِمْ فَتَقْبِضُ رُوحَ كُلِّ مُسْلِمٍ وَيَبْقَى سَائِرُ النَّاسِ يَتَهَارَجُونَ كَمَا تَتَهَارَجُ الْحُمُرُ فَعَلَيْهِمْ تَقُومُ السَّاعَةُ ‏"‏ ‏.‏

নাওয়াস বিন সামআন অল-কিলাবী (রাঃ)

তিনি বলেন একদা, সকাল বেলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি তার ভয়াবহতা ও নিকৃষ্টতার কথা তুলে ধরেন। এমনকি আমরা ধারণা করলাম যে, সে হয়তো খেজুর বাগানের ওপাশেই অবস্থান করছে। আমরা বিকেল বেলা পুনরায় তাঁর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তিনি আমাদের মাঝে দাজ্জাল-ভীতির আলামত লক্ষ্য করে বলেনঃ তোমাদের কী হয়েছে? আমরা বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! ভোরবেলা আপনি আমাদের সামনে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করেছেন এবং তার ভয়াবহতা ও নিকৃষ্টতার কথা এমন ভাষায় তুলে ধরেছেন যে, আমাদের মনে হলো যে, সে বোধহয় খেজুর বাগানের পাশেই উপস্থিত আছে। তিনি বলেনঃ আমার কাছে দাজ্জালই তোমাদের জন্য অধিক ভয়ংকর বিপদ। সে যদি আমার জীবদ্দশায় তোমাদের মাঝে আত্মপ্রকাশ করে তবে আমিই তোমাদের পক্ষে তার প্রতিপক্ষ হবো। আর আমার অবর্তমানে যদি সে আত্মপ্রকাশ করে তাহলে তোমরাই হবে তার প্রতিপক্ষ। আর প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আল্লাহই আমার পরিবর্তে সহায় হবে। সে (দাজ্জাল) হবে কুঞ্চিত চুলবিশিষ্ট, স্থির দৃষ্টিসম্পন্ন যুবক এবং আবদুল উযযা বিন কাতান সদৃশ। তোমাদের কেউ তাকে দেখলে সে যেন তার বিরুদ্ধে সূরা কাহফের প্রাথমিক আয়াতগুলো পাঠ করে। সে সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যবর্তী খাল্লা নামক স্থান থেকে আত্মপ্রকাশ করবে। অতঃপর সে ডানে-বামে ফেতনা-ফাসাদ ও বিপর্যয় ছড়িয়ে বেড়াবে। হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা দৃঢ়তার সাথে স্থির থাকবে।
আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! সে পৃথিবীতে কতো দিন অবস্থান করবে? তিনি বলেনঃ চল্লিশ দিন। তবে এর এক দিন হবে এক বছরের সমান, এক দিন হবে এক মাসের সমান, এক দিন হবে এক সপ্তাহের সমান এবং অবশিষ্ট দিনগুলো হবে তোমাদের বর্তমান দিনগুলোর সমান। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! যে দিনটি এক বছরের সমান হবে তাতে একদিনের নামায পড়লেই কি তা আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে? তিনি বলেনঃ তোমরা সে দিনের সঠিক অনুমান করে নিবে এবং তদনুযায়ী নামায পড়বে। রাবী বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, সে পৃথিবীতে কতো দ্রুত গতিতে বিচরণ করবে? তিনি বলেনঃ বায়ু চালিত মেঘমালার গতিতে।
অতঃপর সে কোন এক সম্প্রদায়ের নিকট এসে তাদেরকে নিজের দলে ডাকবে। তারা তার ডাকে সাড়া দিবে এবং তার উপর ঈমান আনবে। অতঃপর সে আসমানকে বৃষ্টি বর্ষণের আদেশ দিবে এবং তদনুযায়ী বৃষ্টি বর্ষিত হবে। অতঃপর সে যমীনকে শস্য উৎপাদনের নির্দেশ দিবে এবং তদনুযায়ী ফসল উৎপাদিত হবে। অতঃপর বিকেল বেলা তাদের পশুপাল পূর্বের চেয়ে উচুঁ কুঁজবিশিষ্ট, মাংসল নিতম্ববিশিষ্ট ও দুগ্ধপুষ্ট স্তনবিশিষ্ট হয়ে (খোঁয়াড়ে) ফিরে আসবে। কিন্তু তারা তার আহবান প্রত্যাখ্যান করবে। ফলে সে তাদের কাছ থেকে ফিরে যাবে। পরদিন ভোরবেলা তারা নিজেদেরকে নিঃস্ব অবস্থায় পাবে এবং তাদের হাতে কিছুই থাকবে না। অতঃপর সে এক নির্জন পতিত ভূমিতে গিয়ে বলবে, তোর ভেতরের ভাণ্ডার বের করে দে। অতঃপর সে সেখান থেকে প্রস্থান করবে এবং তথাকার ধনভান্ডার তার অনুসরণ করবে, যেভাবে মৌমাছিরা রাণী মৌমাছির অনুসরণ করে।
অতঃপর সে এক পূর্ণ যৌবন তরুণ যুবককে তার দিকে আহবান করবে। তাকে সে তরবারির আঘাতে দ্বিখন্ডিত করে ফেলবে। তার দেহের প্রতিটি টুকরা দু’ ধনুকের ব্যবধানে গিয়ে পড়বে। অতঃপর সে তাকে ডাক দিবে, অমনি সে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় তার কাছে এসে দাঁড়াবে। এমতাবস্থায় আল্লাহ তাআলা ঈসা বিন মরিয়ম (আঃ) কে পাঠাবেন। তিনি হলুদ রং –এর দু, টি কাপড় পরিহিত অবস্থায় দু’ জন ফেরেশতার পাখায় ভর করে দামিশকের পূর্ব প্রান্তের এক মসজিদের সাদা মিনারে অবতরণ করবেন। তিনি তাঁর মাথা উত্তোলন করলে বা নোয়ালে ফোঁটায় ফোঁটায় মণি– মুক্তার ন্যায় (ঘাম) পড়তে থাকবে। তার নিঃশ্বাস যে কাফেরকেই স্পর্শ করবে সে তৎক্ষণাৎ মারা যাবে। আর তিনি “লুদ্দ’’ নামক স্থানের দ্বারদেশে দাজ্জালকে হত্যা করবেন।
অতঃপর আল্লাহর নবী ঈসা (আঃ) এমন এক সম্প্রদায়ে আসবেন যাদেরকে আল্লাহ তাআলা (দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে) রক্ষা করেছেন। তিনি তাদের মুখমণ্ডলে হাত বুলাবেন এবং জান্নাতে তাদের মর্যাদা সম্পর্কে বর্ণনা করবেন। তাদের এমতাবস্থায় আল্লাহ তাআলা তাঁর নিকট ওহী পাঠাবেন, হে ঈসা! আমি আমার এমন বান্দাদের পাঠাবো যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষমতা কারো নাই। অতএব তুমি আমার বান্দাদের তূর পাহাড়ে সরিয়ে নাও।
অতঃপর আল্লাহ তাআলা ইয়াজূজ-মাজূজের দল পাঠাবেন। আল্লাহ তাআলার বাণী অনুযায়ী তাদের অবস্থা হলোঃ “তারা প্রতিটি উচ্চভূমি থেকে ছুতটে আসবে” ( সূরা আম্বিয়াঃ ৯৬)। এদের প্রথম দলটি (সিরিয়ার) তাবারিয়া হ্রদ অতিক্রমকালে এর সমস্ত পানি পান করে শেষ করে ফেলবে। অতঃপর তাদের পরবর্তী দল এখান দিয়ে অতিক্রমকালে বলবে, নিশ্চয় কোন কালে এতে পানি ছিলো।
আল্লাহর নবী ঈসা (আঃ) তাঁর সঙ্গীগণসহ অবরুদ্ধ হয়ে পড়বেন। তারা (খাদ্যাভাবে) এমন এক কঠিন অবস্থায় পতিত হবেন যে, তখন একটি গরুর মাথা তাদের একজনের জন্য তোমাদের আজকের দিনের একশত স্বর্ণ মুদ্রার চেয়েও মূল্যবান (উত্তম) মনে হবে। তারপর আল্লাহর নবী ঈসা (আঃ) এবং তাঁর সাথীগণ আল্লাহর দিকে রুজু হয়ে দুআ’ করবেন। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের (ইয়াজূজ-মাজূজ বাহিনীর) ঘাড়ে মহামারীরূপে নাগাফ নামক কীটের সৃষ্টি করবেন। ভোরবেলা তারা এমনভাবে ধ্বংস হবে যেন একটি প্রাণের মৃত্যু হয়েছে।
তখন আল্লাহর নবী ঈসা (আঃ) এবং তাঁর সাথীগণ (পাহাড় থেকে) নেমে আসবেন। তারা সেখানে এমন এক বিঘত জায়গাও পাবেন না, যেখানে সেগুলোর পচা দুর্গন্ধময় রক্ত-মাংস ছড়িয়ে নাই। তারা মহান আল্লাহর নিকট দুআ’ করবেন। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের নিকট উটের ঘাড়ের ন্যায় লম্বা ঘাড়বিশিষ্ট এক প্রকার পাখি পাঠাবেন। সেই পাখিগুলো তাদের মৃতদেহগুলো তুলে নিয়ে আল্লাহর ইচ্ছামত স্থানে নিক্ষেপ করবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাদের উপর এমন বৃষ্টি বর্ষণ করবেন যা সমস্ত ঘরবাড়ি ,স্থলভাগ ও কঠিন মাটির স্তরে গিয়ে পৌঁছবে এবং সমস্ত পৃথিবী ধুয়ে মুছে আয়নার মতো ঝকঝকে হয়ে উঠবে।
অতঃপর যমীনকে বলা হবে, তোর ফল উৎপন্ন কর এবং তোর বরকত ফিরিয়ে দে। তখন অবস্থা এমন হবে যে, একদল লোকের আহারের জন্য একটি ডালিম যথেষ্ট হবে এবং একদল লোক এর খোসার ছায়াতলে আশ্রয় নিতে পারবে। আল্লাহ তাআলা দুধেও এতো বরকত দিবেন যে, একটি দুধেল উষ্ট্রীর দুধ একটি বৃহৎ দলের জন্য যথেষ্ট হবে। একটি গাভীর দুধ একটি গোত্রের লোকেদের জন্য যথেষ্ট হবে। একটি বকরীর দুধ একটি ক্ষুদ্র দলের জন্য যথেষ্ট হবে।
তাদের এ অবস্থায় আচানক আল্লাহ তাআলা তাদের উপর দিয়ে মৃদুমন্দ বিশুদ্ধ বায়ু প্রবাহিত করবেন। এ বায়ু তাদের বগলের অভ্যন্তরভাগ স্পর্শ করে প্রত্যেক মুসলমানের জান কবয করবে। তখন অবশিষ্ট নর-নারী গাধার ন্যায় প্রকাশ্যে যেনায় লিপ্ত হবে। তাদের উপর কিয়ামত সংঘটিত হবে। [৩৪০৭]

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪০৭৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


ভুল ও মিথ্যার পাশে শিখধর্মের এস্কেটলজিতে কিছু মৌলিক সত্য নিহিত রয়েছে।
আমরা জানি,
*দাজ্জাল ইসলামিক মিলিটারির বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করবে। তাতে আল মাহদী নেতৃত্ব দেবেন। যার জন্য 'মীর' শব্দটি যুক্ত করেছেন।
*দাজ্জাল নিজেকে সৃষ্টিকর্তা দাবি করবে।
*অবশেষে ইসলামি শক্তির হাতেই নিহত হবে।
*আল মাহদীর সমকালীন সময়ে পরাশক্তিরুপে দাজ্জালের জোটই ইসলামের বিরুদ্ধে লড়বে।
.
উপরের বিষয়গুলি শিখইজমের এস্কেটলজিতেও রয়েছে। তাছাড়া কালচক্রে কল্কির ব্যপারে এস্কেটলজিক্যাল ভার্সগুলো দারুণভাবে স্পষ্ট করে এটাই দাজ্জাল।
.
মনে রাখবেন কুফরের জন্ম পূর্বদিকে, এবং দাজ্জালের পূর্বদিকে থাকার সম্ভাবনাও প্রবল। নিচের হাদিসগুলোও তারই ইঙ্গিত দেয় । আল্লাহ উত্তম জানেন।
.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘কুফরীর মূল পূর্বদিকে, গর্ব এবং অহংকার ঘোড়া এবং উটের মালিকদের মধ্যে এবং বেদুইনদের মধ্যে যারা তাদের উটের পাল নিয়ে ব্যস্ত থাকে, আর শান্তি বকরির পালের মালিকদের মধ্যে।’ সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৩০১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
.
‘Behold [Dajjal] is in the Syrian sea, or the Yemeni sea. Nay, on the contrary he is in the
East , he is in the East , he is in the East ,’ and he pointed with his hand towards the East .
(Sahih Muslim , Book #041, Hadith #7028)
.
হিন্দু-বৌদ্ধদের গ্রন্থে সাম্বালা,আগার্থি শব্দ গুলো দ্বারা কল্কির গুপ্তরাজ্যকে বোঝানো হয় যা ভারত অথবা তিব্বতের পার্বত্য অঞ্চল অথবা মরুভূমি অথবা মাটির তলে অথবা ভিন্ন ডাইমেনশনে আছে বলে কাফেররা মনে করে। মুশরিকরা এখন তার অপেক্ষা করছে। দেখুন 'লজ্যিক্যাল হিন্দু' চ্যানেলের একটি ভিডিও। আমরা এ সময় সবাই অবগত যে UFO,USO,crop circle ইত্যাদি বিষয় গুলো দাজ্জালের সাথে সংশ্লিষ্ট শয়তানজ্বীন ও মানুষের কীর্তি। ভিডিওটিতে দাজ্জালের অপেক্ষমান মালু বলছে, তিব্বতীয় ও ভারতীয় অঞ্চলে যে সকল আনআইডেন্টিফাইড ফ্ল্যাইং অবজেক্ট দেখা যায় তা কল্কির আবির্ভাবের প্রস্তুতির সাথে সম্পৃক্ত এডভ্যান্স সিভিলাইজেশন বা higher being, যাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে লোকাল তিব্বতিয়রা জ্ঞাত আছে।😆। এমনকি এক্ষেত্রে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপও কামনা করে ওই শয়তানের পূজারী। দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=OfhxEYb2XQk

এবং আল্লাহ সর্বোত্তম জানেন।

দাজ্জালের অনুসারীরা আপনার পাশেই অপেক্ষা করছেঃ

আমরা দাজ্জাল শব্দটিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করে হালকা করে ফেলেছি।সেই সাথে প্রকৃত মিথ্যামসীহের অনুসারীদের ভাবলেই আমাদের মনে প্রথমে আসছে ইহুদীদের কথা। যেন আর কেউ ইহুদীদের মত খাটি অনুসারী নেই। অথচ শুনলে অবাক হবেন তারা আপনার পাশেই আছে। ধর্মচক্রের(হিন্দু-বৈষ্ণব-জৈন-বৌদ্ধধর্ম) অনুসারীরা। ইহুদীরা বিশ্বাসগত দিক থেকে বৌদ্ধধর্মমতের থেকে খুব বেশি দূরে নয়। এটা সকলে জানে না। ওরা জিউইশ মিস্টিসিজম তথা কাব্বালায় বিশ্বাস করে। তাওরাতকে বিকৃত করেছে।এখন আর সেটার অনুসরনও করেনা বরং নিজেদের র‍্যাব্বাইরা নিজেরাই হাতে তালমুদ নামের গ্রন্থ বানিয়ে নিয়েছে। আর কাব্বালা একদমই তা যা বৌদ্ধধর্মে আছে। সুতরাং ইস্টার্ন মিস্টিক্যাল বিলিফ থেকে তারা খুব দূরের নয়। তাই এখন ওরা শুধু নামেই আহলে কিতাবি।
.
আপনি ইহুদীদের কোথাও স্পষ্টভাবে দাজ্জালের অনুসরন এবং ইব্রাহীম আলাইহিসালাম এর দ্বীনের প্রতি শত্রুতার কিছুই পাবেন না। কিন্তু আপনার খুব পাশেই আছে তারা, যাদের ধর্মগ্রন্থ এ ব্যপারে স্পষ্ট তথ্য দেয়। বৌদ্ধধর্মের কালচক্রতন্ত্রে স্পষ্টভাবেই আছে ২৫ তম কল্কি রুদ্রচক্রির কথা। ১২০০ বাক্যের পুরো ভবিষ্যদ্বাণীমূলক অনুচ্ছেদের খুব অল্পই টিকে আছে। তাতে যা বর্ননা আছে তা জানলে বুঝতে পারবেন, কেন আরাকানে বৌদ্ধরা কেন মুসলিমদের উপর এরূপ চড়াও। কেন তাদের হত্যার দৃশ্য হলিউডের হরর ফিল্মকেও হার মানায়!
.
রুদ্রচক্রি বা ২৫তম শেষ কল্কি বা শেষ অবতার হচ্ছেন যোদ্ধাবাহিনীর রাজা। তিনি কলিযুগ শেষে আসবেন এবং ম্লেচ্ছদেশীয় অধর্মের অনুসারীদের দমন করবেন। We learn of the barbarians that they are called Mleccha,which means the “inhabitants of Mecca” (Petri, 1966, p. 107) ম্লেচ্ছ বর্বর জাতিদের বিরুদ্ধে মহাযুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন কল্কি অবতার তথা রুদ্রচক্রী। কল্কির মূল লক্ষ্য হচ্ছে ধর্মচক্রের শিক্ষা(ইত্তেহাদ-সর্বেশ্বরবাদ) বিরোধী 'অধর্মকে'(একত্ববাদ-তাওহীদ) ধবংস করা। অধর্ম হচ্ছে আদম,ইব্রাহীম,ইদ্রিস, মূসা,ঈসা, মুহাম্মদ(স) দের শিক্ষা। কালচক্রে নবীগনের নাম তিব্বতীয় ভাষায় রয়েছে।
In the Kalachakra text we read: "Adam, Noah, Abraham, and five others - Moses, Jesus, the
White-Clad One, Muhammad, and Mahdi - with
tamas , are in the asura - naga caste .
The eighth will be the blinded one.
The seventh will manifestly come to the city of
Baghdad in the land of Mecca , (the place) in this world where a portion of the asura ( caste ) will have the form of the powerful, merciless
mlecchas ." -( Verse I.154 from The Abridged
Kalachakra)

The “lalo” being referred to in these prophecies are described in Tibetan Buddhist texts as a group of “barbarians ” that Rudra Chakrin will destroy, along with their “false doctrines ”. “Lalo” is a Tibetan equivalent of the Sanskrit term “mleccha ”, and is used to refer to all
people of non- Dharmic faiths . It is used, more specifically, in the Kalachakra Tantra to refer to the followers of “Adam, Noah, Abraham, and five others – Moses, Jesus , the White-Clad One, Muhammad, and Mahdi [...]” (Verse I.154, The Abridged Kalachakra Tantra). They are said to have been the propagators of the false
dharma ( path , religion ) of the mlecchas . The message they brought is referred to as “tamas ” (literally “darkness”, but it is used more specifically in Buddhism to refer to teachings which are utter falsehood).
.
দাজ্জাল অথবা কল্কি তার অনুসারিদের মতে এখন সাম্বালা অথবা আগার্থা নামের সাবটেরানিয়ান জগতে আছেন। সেটা তাদের স্বর্গস্বরূপ। এক লামার বলেন তিনি সাম্বালা থেকে যখন এডভান্স টেকনোলজি এবং জাদু ও মিস্টিক্যাল জ্ঞান নিয়ে যখন জমিনে আসবেন তখন তার আদেশে সবকিছুই হবে, মানুষকে আরোগ্যদান করবেন, ফলফসল ফলবে এমনকি মৃতকেও জীবিত করতে পারবেন! তিনি তার অনুসারীদেরকে তার সাম্বালা বা আগার্থায় নিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখান।।যেখানে দীর্ঘ জীবন ও যৌবন! সেখানেও তিনি শেষ রাজা।
.
তিনি দুনিয়া থেকে আদম-মুহম্মদ(স) এর অনুসারীদের উৎপাটন করে যে যুগের সূচনা করবেন সেটা সত্যযুগ বা স্বর্ণযুগ। বৌদ্ধদের গণনানুসারে ২৩২৭ সালে মাহদী এবং রুদ্রচক্রির মহাযুদ্ধ সংঘটিত হবে। তাদের।গননায় ভুল থাকাটাই স্বাভাবিক। এরূপ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয় যে ২৩২৭ নয় ২০২৭ ই অধিকতর শুদ্ধ!! অথবা এরও পূর্বে...? আল্লাহ ভাল জানেন।
.
হিন্দু ধর্ম এবং বৌদ্ধ ধর্মে খুব বেশি তফাৎ নেই, বরং উভয়ই একই জিনিসের ভিন্ন ফ্লেভার। বৌদ্ধধর্মতে আধ্যাত্মিকতা চর্চা একটু বেশি। হিন্দুরা মূর্তি পূজিয়েই কূল পায়না, তাই সাধনায় সবাই আত্মনিয়োগ করতে পারে না। এই গোটা ধর্মচক্র মূলত কোন ধর্ম নয় বরং প্যাগানিজম-পৌত্তলিকতা এবং জাদুসাধনার উৎকৃষ্টতম বাম পথ। ওয়েস্টার্ন মিস্টিসিজমও ইস্টার্নের সামনে মাথানত করে, এতটাই সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলীয় রহস্যাবাদ/গুপ্তবাদ। এরকম কোন হাদিস কি মনে পড়ে যেখানে বলা হয়েছে কুফরের জন্ম পূর্বদিকে? জ্বি, এজন্য দাজ্জালের খাটি গোলামরাও এদিকেই।
.
নিচের লিংকগুলোতে বিস্তারিত দেখুনঃ
.
http://www.trimondi.de/SDLE/Part-1-10.htm
.
http://www.chinabuddhismencyclopedia.com/en/index.php/Rudra_Chakrin:_King_of_the_World,_Tantric_Apocolyptic_Redeemer,_and_Dajjal

এসোটেরিক এজেন্ডা বাংলাদেশেও -২

ইতোপূর্বে লেফটহ্যান্ড পাথ আধ্যাত্মবাদের বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করেছি। এবার আধ্যাত্মবাদীদের একটা প্রাকটিস এর ব্যপারে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। যাকে ট্যারট কার্ড রিডিং বলে। কিছু মিস্টিক জাদুবিদ্যার ছবি সংবলিত তাসের ন্যায় কার্ড যা দিয়ে (শয়তান জ্বীনদের সহায়তায়) আধ্যাত্মবাদীরা ভাগ্যগণনা ও ভূত ভবিষ্যতের কথা বলে। ট্যারটের ব্যপারে উইকিপিডিয়া ঘাটলে স্পষ্ট বুঝতে পারবেন যে এটা গুপ্তসাধনের(শয়তানী জাদুবিদ্যাভিত্তিক কাজে) পারপাজে ডিজাইনড।দেখুন - https://en.m.wikipedia.org/wiki/Tarot
___
তাছাড়া আলকেমি,এস্ট্রোলজি-হরোস্কোপ,হেরমেটিসিজম,ইহুদী মিস্টিসিজম কাব্বালা,খ্রিষ্টানদের জিনোসিস ইত্যাদি মিস্টিক্সের সাথে স্পষ্টভাবে যুক্ত।
ইহুদীদের মিস্টিসিজম কাব্বালার গোড়া খুজতে থাকলে হযরত সুলাইমান আলাইহিসালাম এর শাসনের সময় শয়তানের জাদুবিদ্যার প্রচলনকে পাওয়া যায়। এখনো সেসময়কার জ্ঞানে জাদুশাস্ত্র চলছে।
____
"তারা ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত। তারা উভয়ই একথা না বলে কাউকে শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষার জন্য; কাজেই তুমি কাফের হয়ো না। অতঃপর তারা তাদের কাছ থেকে এমন জাদু শিখত, যদ্দ্বারা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তদ্দ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না। যা তাদের ক্ষতি করে এবং উপকার না করে, তারা তাই শিখে। তারা ভালরূপে জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোন অংশ নেই। যার বিনিময়ে তারা আত্নবিক্রয় করেছে, তা খুবই মন্দ যদি তারা জানত।" (সূরা বাকারা ১০২)
জাদুবিদ্যার মূল ইতিহাস খুব পুরাতন, এমনকি হযরত নূহ আলাইহিসালাম এর সময়েও এর অস্তিত্ব ছিল।
___
https://m.tarot.com , ওয়েবে গেলে ট্যারটের সাথে ওতপ্রোত অস্ট্রোলজির সংশ্লিষ্টতা বুঝতে পারবেন।এর চর্চাকারীরা ভাগ্যগণনা,ভবিষৎবলার ক্ষমতার দাবি করে। যদিও ১৫ শতকে অফিশিয়ালি ব্যবহার শুরু হয়,তবে এর শিকড় বেশ প্রাচীন। কিছু অকাল্ট বই রাইটার বলেন ট্যারট সম্পর্কযুক্ত প্রাচীন মিশরীয় জাদুবিদ্যার কিতাব তোথ! ট্যারট কার্ডকে মেজর আর মাইনর আরকেনায় ভাগ করা হয়। এই বিষয়বস্তু সম্পূর্ণভাবে উচ্চশ্রেণীর স্পিরিচুয়ালিস্ট মিস্টিক্সের(থেইস্টিক স্যাটানিজম) সম্পর্কযুক্ত। আপনি হয়ত বুঝতে পারছেন না, তবে শয়তানের পূজারীরা এর সিগনিক্যান্স বোঝে। খ্রিষ্টান কাফের আহলে কিতাবধারীরা এসকল চর্চাকে বলে ফর্বিডেন নলেজ সিকিং আর এর পাপকে বলে অরিজিনাল সিন। ইসলামি পার্সপেক্টিভে এসব জাদুবিদ্যা আর শয়তানের আরাধনার ব্যপারে অত্যন্ত কঠোর। যেখানে পথভ্রষ্ট কিতাব প্রাপ্তরাই এটার জঘন্যতা সম্পর্কে কঠোর, সেখানে এক্ষেত্রে আমাদের কিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি হতে পারে (?)! soothsayer, clairvoyance, astrology, fortuneteller দের ব্যপারে রাসূল (স) অত্যন্ত কঠোর কথা উচ্চারণ করেছেন। এমনকি যে ভাগ্যগণনাকারীদের কাছে যায় তার ইবাদতও ৪০ দিন কবুল হয়না, আর সে এসব সাধনা বা চর্চা করে!! ইন্নালিল্লাহ । এটা শক্ত কুফর।
__
বিস্তারিত দেখুন-
http://www.ummah.com/forum/showthread.php?158429-Tarot-cards
https://islamqa.info/en/2538
https://islamqa.info/en/114820
__
(উপরের/নিচের ছবি গুলো এ উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়ে যেন ট্যারট বিষয়টি কিসের সাথে জড়িত, আধ্যাত্মবাদী কুফরি দর্শনের সাথে কতটা নিবিড় সম্পর্কযুক্ত সেটা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন, চাইলে ভিডিওগুলোর নাম ধরে সার্চ করে বিস্তারিত দেখুন)
_
শঙ্কার বিষয় যে, এদেশে কোয়ান্টাম ম্যাথড তাদের স্পিরিচুয়ালিস্টিক কুফরি দর্শন প্রচারে সফল হয়েছিল ইসলামকে ব্যবহার করেই, এবার এই স্পিরিচুয়ালিস্ট এজেন্ডাদের কাল্ট প্রাক্টিস প্রচারের দায়িত্বে কাজ করছে এদেশের স্বনামধন্য রেডিও স্টেশন -#এবিসি_রেডিও এর নিয়মিত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান "ডর ট্যারট", আর এতে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন রাদবি রেজা নামের একজন আরেকজন জনপ্রিয় রেডিও জকি ও টেলিভিশন উপস্থাপক কিবরিয়া সাহেব। তাদের অনুষ্ঠান অল্প দিনে খুব জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং লক্ষাধিক ফ্যান এ বাম রাস্তায় বিশ্বাস ও হাটা শুরু করেছে!
_
পেজ লিংক-
https://m.facebook.com/daartarot/?refid=52&__tn__=C
_
রাদবি রেজা সাহেবের ফেসবুক আইডি-
https://m.facebook.com/radbi?refid=46&sld=eyJzZWFyY2hfc2lkIjoiNTM5ZmQyM2ZhYjJkMGI5MDNiOTM0ZGYzZjZlYTVkZDQiLCJxdWVyeSI6InJhZGJpIHJlemEiLCJzZWFyY2hfdHlwZSI6IlNlYXJjaCIsInNlcXVlbmNlX2lkIjo1NTgwODk0MDAsInBhZ2VfbnVtYmVyIjoxLCJmaWx0ZXJfdHlwZSI6IlNlYXJjaCIsImVudF9pZCI6NjY5MTkyMjY4LCJwb3NpdGlvbiI6MCwicmVzdWx0X3R5cGUiOjIwNDh9&fref=search
__
এ পথের কালোদিক কোন ইসলামি জ্ঞানহীনরাও অনুধাবন করতে পারে যদি অকাল্টিজমের ব্যপারে কিছু তথ্য জানা থাকে। তাছাড়া বহু দুর্বল জ্ঞানের মুসলিমরা ইতোমধ্যে এই অনুষ্ঠানের ব্যপারে বিরূপ মন্তব্য করা শুরু করেছে। তাদের পেজের কন্টেন্ট গুলো ইসলামি পার্সপেক্টিভে চরম ডেভিয়েটেড। গতকাল পেজটি তাদের গ্লোবাল আধ্যাত্মবাদী চেতনার জানান দিয়েছেন এ পোস্টের আর্টিকেল এর মাধ্যমে । লিংক -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1905893159626055&id=1818259065056132#comment_form_1818259065056132_1905893159626055
_
এই পোস্ট যে বিশ্বাসগত আদর্শ বহন করে তার অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত বর্ননা দিয়েছি -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=777888975714434&id=100004800152023&refid=17&_ft_=top_level_post_id.777888975714434%3Atl_objid.777888975714434%3Athid.100004800152023%3A306061129499414%3A2%3A0%3A1496300399%3A3634114067770331984
___
সংক্ষিপ্ত তথ্যের জন্য রাদবি রেজা সাহেবের স্পিরিচুয়ালিস্টিক বিলিফ সিস্টেমটি কোন স্কুল অব টিচিং এর সেটা স্পষ্ট নয়। অল্প তথ্য বলতে বলতে পারে না তিনি ধর্মচক্রের কোন আধ্যাত্মিকতা নাকি তাও নাকি হেলেনা পেত্রোভনা ব্লাভাস্তস্কির নাকি এলিস বেইলি নাকি বেঞ্জামিন ক্রিমের সেক্টরের, নাকি কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম বা নিউএজের....। তারা যে আদর্শ পাবলিকে প্রচার করছে তা যদি জ্ঞানগত সীমাবদ্ধতায় জাহেলিয়াতের জন্য হয়, তবে বৃহত্তর কল্যানে তাদেরকেই সেটা থেকে বেরিয়ে আসাটা সমীচীন, অন্যথায় তারা যদি ডলার বিলের উপরে লিখিত নোভাস অর্দো সেকলোরাম বা নতুন ধর্মনিরপেক্ষ আইনের অনুসারীদের ছত্রছায়ায় সচেতনভাবে কাজ করে থাকেন তবে সংশোধনের অনুরোধ কেবলই বৃথা অনুনয়। (ওয়া আল্লাহু 'আলাম)
__________
____
বইঃ রিয়াযুস স্বা-লিহীন, অধ্যায়ঃ ১৮/ নিষিদ্ধ বিষয়াবলী, হাদিস নম্বরঃ ১৬৮০
_
৩০৩ : গণক, জ্যোতিষী ইত্যাদি ভবিষ্যদ্বক্তার নিকট গমন নিষিদ্ধ
_
৪/১৬৮০। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি জ্যোতিষ বিদ্যার কিছু অংশ শিক্ষা করল, সে আসলে যাদু বিদ্যার একটি অংশ শিক্ষা করল। বিধায় জ্যোতিষ বিদ্যা যত বেশী পরিমাণে শিক্ষা করবে, অত বেশী পরিমাণে তার যাদু বিদ্যা বেড়ে যাবে।’’ [আবূ দাঊদ বিশুদ্ধ সূত্রে] [1]
___
[1] আবূ দাউদ ৩৯০৫, ইবনু মাজাহ ৩৭২৬, আহমাদ ২০০১, ২৮৩৬ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
___________________________________________
উপরিউক্ত কন্টেন্ট যেকেউ কপি পেস্ট করে প্রচার করতে পারেন, নিজের নামেও প্রচার করতে পারেন, কোন সমস্যা নেই। ক্রেডিট হাকানোর দরকার নেই। কপিরাইটঃউন্মুক্ত। ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ।

এসোটেরিক এজেন্ডা বাংলাদেশে -১

রুদ্রচক্রীর (দাজ্জাল) অনুসারীরা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। এর আগে ব্যাপকভাবে লেখালেখি চালিয়েছিলাম আধ্যাত্মবাদীদের ওয়ার্ল্ডওয়াইড নেটওয়ার্কের ব্যাপারে ইংরেজি ও বাংলা ভাষায়।  ওদের এদেশীয় শাখা হিসেবে কোয়ান্টাম ম্যাথড,সিলভা,ব্রোঞ্জ ম্যাথড কাজ করছে। এদের জাল যে কতটা সুদূরপ্রসারী সেটা এখন ঠাহর করতে পারছি।

কিছুক্ষন আগে অবাক হয়ে যাই এটা দেখে যে, এবিসি রেডিওর জ্বীনভূতের ঘটনা শোনায় এরূপ একটা রেডিও অনুষ্ঠান "ডর ট্যারট" তাদের জনপ্রিয় পেইজ দ্বারা কৌশলে এই নিষিদ্ধ গুপ্তবাদীদের(Esoterist) কুফরি আকিদা বা দর্শনের চর্চা ও প্রচার করছে। এর নেপথ্যে RJ কিব্রিয়া এবং রাদবি রেজা নামের দুজন 'বিখ্যাত' ব্যক্তিত্ব একত্রে প্রকাশ্যে কাজ করছে। পেছনে কোন অর্গানাইজেশন আছে সেটা অজানা। তবে আকিদা বা বিলিভ সিস্টেম কিসের সেটা সূর্য্যের ন্যায় স্পষ্ট। এটা কোন বিলিফ সিস্টেম বললে ভুল হবে বরং এটা একটা রিফর্মড ধর্ম। একে ইংরেজিতে বলা যায় স্পিরিচুয়ালিজম বা মিস্টিসিজম বা এসোটেরিসিজম। এ পথের অনুসারীরা প্রাচীনযুগেও ছিল, এখনো আছে।

 ইব্রাহীম (আ) এর নামধারী অনুসারীদের ধর্মে কাব্বালা,নস্টিক,নোসিস আর সুফিবাদ হিসেবে আছে। আর প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন দর্শনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। আর প্যাগান অগণিত ধর্মে ছিল। কিন্তু এ ধর্মের আজকের ধর্মগুরুরা প্রচার করে,' বর্তমান যুগ হচ্ছে এইজ অব একুরিয়াস। আধ্যাত্মিকতার রিভাইভ্যালের যুগ, এ যুগেই মসীহ(এসেন্ডেড মাস্টার/ওয়ার্ল্ড টিচার) আসবে বিপুল আধ্যাত্মিক ক্ষমতা আর জ্ঞান নিয়ে। এজন্য তার নৈকট্যপ্রাপ্ত তারাই হবে, যারা আধ্যাত্মিক সাধনায় সুউচ্চে। এজন্য সাধনায় আলোকদ্রষ্টা হয়ে নিজেকে এনলাইটেন্ড হতে হবে।
 রেনেসার পরে থেকে অন্ধকার‍যুগের(ধর্মভিত্তিক চিন্তার) পতন ঘটে। মডার্ন এজের রিবার্থ ঘটে। এর ফলে ম্যাটেরিয়ালিজম এর জয়যাত্রা শুরু হয় যা আমাদেরকে ঈশ্বরের থেকে আলাদা করে দেয়। আত্মা আর শরীর আলাদা হয়ে যায়। তাই আত্মার উৎকর্ষ সাধনে ঈশ্বরকে খুজতে আমাদেরকে ধ্যানের মাধ্যমে। ঈশ্বর তো আমাদের মধ্যেই আছেন। এজন্য নিজের মধ্যে সুপ্ত ঈশ্বরের ঐশ্বরিক ক্ষমতা জাগরনে ধ্যান ও মনোসংযোগের দ্বারা সাধনা করতে হবে!'

এটাই হচ্ছে monism বা ওয়াহদাতুল উজুদ(সৃষ্টি-স্রষ্টার এক অস্তিত্ব) এর কোর বিলিফের একটি। যেহেতু ধ্যানচর্চার দ্বারা নিজেকে চিনতে হবে তাই এ ধর্মের গুরুরা রিফর্মেশনের চিন্তা শুরু করে। লক্ষ্য হচ্ছে কিভাবে এর চর্চা সবার মাঝে প্রবেশ করানো যায়।কারন পুরাতন সুফিবাদী,কাব্বালিস্ট বা মরমিবাদে আধুনিক যুগের মানুষরা ঢুকবে না, তাই আধুনিকভাবে রিফর্ম করতে হবে। এভাবেই ধীরে ধীরে গঠিত হয় থিওসফি,নিউএজ, ইস্কন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, রেইকি তুম্মু ইত্যাদি একআমব্রেলা থেকে উদ্ভূত হাজার নামের হাজার সংগঠন। গ্লোবাল এলিটদের ছত্রছায়ায় সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এডভার্টাইজ থেকে শুরু করে মুভিসহ সব কিছু বানানো হচ্ছে। ওদের ফাদে পা না দিয়ে আপনি কোথায় যাবেন!?

ওদের আধ্যাত্মবাদী এ প্যাগান মতবাদের সংগঠনের মধ্যে মৌলিক বিশ্বাসগত পার্থক্য নাই। ওদের ধর্মের মতবাদের মিত্রবিশ্বাস গুলো হচ্ছে, ইহুদিদের কাব্বালা,সুফিবাদ,বাতেনিয়্যাহ(এসটেরিসিজম),মরমিবাদ, বাউলধর্মমত,আনন্দমর্গ, ব্রাহ্মকুমারী(ইত্যাদি অনেক রিফর্মড হিন্দু সেকটর),হিন্দু, বৌদ্ধধর্ম, শিখ,জৈন, বৈষ্ণব(ধর্মচক্রে সব),প্যান্থেইস্টিক সবগুলো(যেমনঃপ্যানেন্থেইজম, প্যান্ডেইজম, প্যানেণ্ডেইজম,ন্যাচারালিজম,এনিমিজম,কনফুসিয়াস, তাওবাদ ইত্যাদি আরো অনেক...)আর সরাসরি শয়তানের পূজাদেওয়ার পথ গুলোর মধ্যে থেলেমা, থিওসফি, আলকেমি চর্চা ইত্যাদির ভাই। যারা এ রিফর্মড ধর্মে 'সচেতনভাবে জেনেবুঝে' বিশ্বাস করে, তাদের জঘন্যতার দিক দিয়ে হিসাব করলে যেকোন সাধারন কাফেরদের চেয়ে উপরে। এরা শয়তান(ইবলিসের) পূজারীদের সমকক্ষ। যে পোস্টটা দেখে এসব লেখা সেটার লিংক -
https://m.faceboo k.com/story.php?story_fbid=1905893159626055&id=1818259065056132&_rdr#1905895996292438
স্পেস রিমুভ করে প্রসিড করুন।

এর পূর্বে এই পেজের এডমিনসহ এদের হিতাকাক্ষীদের সাথে সামান্য বাক্য বিনিময় হয়, সেদিনই তাদেরকে সতর্ক করেছিলাম।এক গুরাবাও সেদিন প্রত্যক্ষ করে। তবে আজ একেবারে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করল!!

Psychic Ability

এবিসি রেডিও তারকা রাদবি রেজা যা বোঝাতে চাইছেন তা সংক্ষেপে বলি, তিনি নতুন এক মাজহাবের সাইন্টিফিক মুভমেন্ট এর অনুসারী। কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম এর সাথে স্ট্রিং থিওরি,নিকোলা টেসলা সাহেবের তিনতত্ত্ব (ফ্রিকোয়েন্সি ভাইব্রেশন ও এনার্জি) আর ইথার এর সম্মেলনে স্পিরিট সাইন্স তৈরি করা হয়েছে। এটা মেইনস্ট্রিম ফিজিক্সের ন্যাচারাল 'ল এর কিছু সীমাবদ্ধতা দূর করে সুপারন্যাচারাল ফোর্সের ব্যাখ্যা দেয়। সাইকিক এবিলিটি অর্জনের সম্ভাবনার নতুন মাত্রা যোগ করে এ 'অপ'বিজ্ঞান। এ অপবিজ্ঞানের অনুসারীদের কাছে সৃষ্টি স্রষ্টা আর অস্তিত্বের ব্যাখ্যা ভিন্ন। কিছুটা ফিলোসফিক্যাল।

 ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি রহিমাহুল্লাহ জাদুবিদ্যাকে ৯ ভাগে ভাগ করেন, এর মধ্যে ২য় শ্রেনী হচ্ছে জ্বীনদের প্রত্যক্ষ সহায়তা ছাড়া অলৌকিক ক্ষমতা লাভ। জাদুবিদ্যা মাত্রই কুফর। উইচক্র্যাফট বা সর্সারির অনেক মাজহাব আছে। একেকটা এক এক নীতিতে কাজ করে। এটা তন্মধ্যে একটা। এটা কুফরির দিক দিয়ে আমার দৃষ্টিতে সেরা, এ সক্ষমতা অর্জন করতে হলে চর্চাকারীদের প্রকৃতির নীতির গভীর রহস্যের ব্যপারে জানতে হয়। আর এ নতুন রিফর্মড বিজ্ঞান এখন পৃথিবীর সর্বত্র প্রমোটিং চলছে বিভিন্ন সংগঠনের নামে, আমাদের দেশে কোয়ান্টাম ম্যাথড,সিলভা, ব্রোঞ্জ ইত্যাদি, ইন্দোনেশিয়ায় রেইকি তুম্মু,ভারতে আনন্দমর্গ,ব্রহ্মকুমারী ইত্যাদি, আমেরিকায় নিউএজ ইত্যাদি। এরা যেসকল স্পনটেনিয়াস অতিমানবীয় এবং অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা অর্জনের কথা বলে,সেটা সর্বপ্রথমে জ্বীনদের সহায়তা নিয়ে অর্জন করতে হয়, ধ্যানের মাধ্যমে। ইভিল আই বা বদনজর হয়ত এ গুপ্তবিজ্ঞানের(এনার্জি ফ্রিকোয়েন্সি ভাইব্রেশন আর ইথার ম্যানিপুলেশন) নীতিতে কাজ করে(আল্লাহ ভাল জানেন)।অথবা আরও একস্তর উচু অজানা বিজ্ঞানের নীতিতে। কারন এরূপ অতীন্দ্রিয়  ক্ষমতাধর মানুষরাও বদনজর থেকে বাচতে বিভিন্ন নীল পাথরের চার্ম-এমুলেট ব্যবহার।

বিশ্বব্যাপী আধ্যাত্মিক যে গণজাগরণ চলছে, তারজন্য বিভিন্ন রেডিও থেকেও এর সপক্ষে প্রচার চলছে, এতে অবাক হবার কিছু নেই। কারন, তাদের স্পিরিচুয়াল গ্রেট লিডার তথা ওয়ার্ল্ড টিচার বা 'লর্ড মাইত্রেয়া' বা ফাইনাল অবতার কল্কি বা ইহুদী মসীহ বা খ্রিষ্টীয় এন্টি ক্রাইস্ট বা ইসলামের দাজ্জালের আগমন খুব নিকটে। তারই অনুসারীরা এই অকাল্টিজমের পুনঃজাগরনে কাজ করছে। তাই বাংলাদেশের মত জাহেলদের দেশে এরূপ হাল্কা শোডাউন চলাটাই স্বাভাবিক।

এজন্যই এভেঞ্জারস,এক্সম্যানের মত সাইকিক এবিলিটির মুভি গুলো হঠাৎ এত প্রমোশন পেয়েছিল। যাতে ইয়ং জেনারেশন এর প্রতি আকৃষ্ট হয়। এরপরেই ওয়েন ফ্রিম্যান লুসির মাধ্যমে জানিয়েছেন মানুষের সীমাহীন ক্ষমতার মস্তিষ্ক ৯৯% ই তালাবন্ধ অবস্থায়(লকড) অবস্থায় আছে। অর্থাৎ আনইউজড,এটাকে আনলক করা সম্ভব। আর হাতে কলমে ডেমনস্ট্রেশনে আছে সকল আধ্যাত্মবাদী সংগঠনগুলো। আর এডভার্টাইজিং এ আছে ট্যারটের রাদবি রেজার মত দাদাবাবুরা।

যারা যাদুচর্চা করে তাদের পরকালে কোন অংশ নাই(২:১০২ অবলম্বনে)

কোয়ান্টাম ম্যাথড--ধ্যান এবং কিছু না বলা কথা

উপরের ছবিটি কোয়ান্টাম মিস্টিকদের একটি গ্রুপে আমার এবং এক Quantum mystic বা sorceress এর মধ্যকার সামান্য কথোপকথন। তার সমশ্রেণীক বিশ্বাসের লোকেরা বাংলাদেশে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বা কোয়ান্টাম ম্যাথড খুলে হিন্দুয়ানি ধ্যান শিক্ষা দেয়।

যাহোক, যা প্রশ্ন করা হয়েছিল তার চমৎকার স্ট্রেইট জবাব দিয়েছেন। খারাপ কিছু বললে যেন কাফের খ্রিষ্টানদের উপর দিয়ে যায়, সেজন্য শুধুমাত্র খ্রিষ্টানদের উল্লেখ করলাম। কিন্তু উনি ইসলামকেও ইঙ্গিত করেছেন। যদিও শয়তানদেরকে শরীরে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয় এরপরেও it is ours to open the energy to another way of knowing 😆 ..

আপনি হয়ত কিছুই বুঝছেন না 'হায়ার সেল্ফ' মানে কিন্তু বাংলাদেশের মহাজাতক সাহেবরা ভাল করেই জানেন। সাধারন মানুষ সেখানে যায় এবং ধ্যানচর্চার দ্বারা অজান্তেই শয়তানের(জ্বীনের) উপাসনা করে এবং শয়তান বা ক্বারীন জ্বীনকে তার উপর এ্যাক্সেস দিয়ে দেয়।
মেডিটেশনের মূল লক্ষ্য মূলত সেটাই। অল্টার্ড স্টেট অব কনসাস্নেসে নিয়ে কথিত 'হায়ার বিং বা হায়ার সেল্ফের' সাথে যুক্ত করা বা সান্নিধ্য পাওয়া। এর দ্বারা লাভ হচ্ছে 'স্পিরিট গাইড' অর্জন। মানে চেতনায় অথবা অবচেতনে জীবনের সকল চিন্তামনন ও কর্মে ওই 'Higher spirit being' এর গাইড(পথপ্রদর্শক রূপে/উপদেষ্টা রূপে) লাভ। সোজাসাপ্টা ভাবে বললে শয়তানকে সহচর,উপদেষ্টা এবং পপথপ্রদর্শকরূপে গ্রহন।

আচ্ছা, ধ্যান বা মেডিটেশনে যে 'Higher self' এর সান্নিধ্য লাভ হয়, এর প্রমান কি? বিগিনার ধ্যানকারীদেরকে প্রথম থেকেই একদম সবকিছু খাওয়ানো হয় না। ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে। । ওদের যাদুকরী চিন্তাপ্রসূত ষড়চক্রের কুণ্ডলীনি চক্রকে প্রথমে সক্রিয় করনের মাধ্যমে শয়তান জ্বীন বা হায়ার সেল্ফকে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে থার্ড আই এক্টিভেশনের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধি অর্জনের দিকে যাওয়া হয়। এসব ডিটেইলস আশা করি কোয়ান্টাম গ্রাজুয়েটদেরকেও শেখানো হয় কিনা সন্দেহ।

আসুন হায়ার সেল্ফের ব্যপারে আরেকটু দেখি-
"The Higher Self is generally regarded as a form of being only to be recognized in a union with a divine source. In recent years the New Age faith has encouraged the idea of the Higher Self in contemporary culture, though the notion of the Higher Self has been interpreted throughout numerous historical spiritual faiths".
"[উইকিপিডিয়া]

অর্থাৎ নিউএজ বা কোয়ান্টাম ম্যাথডের আম্রিকান দপ্তরে এই টার্মে বেশি ব্যবহার করা হয়।


"In numerous reports concerning the Higher Self, the practice of meditation or channeling to contact the Higher Self is highly encouraged."(উইকিপিডিয়া)

জ্বি হায়ার সেল্ফ প্রানীদের সাথে যোগাযোগ করতেই মেডিটেশন/চ্যানেলিং উৎসাহ করা হয়।


New Age: Most New Age literature defines the Higher self as an extension of the self to a godlike state. This Higher Self is essentially an extension of the worldly self. With this perspective, New Age text teaches that in exercising your relationship with the higher self, you will gain the ability to manifest your desired future before you. In other words, the self creates its own reality when in union with the Higher Self.[4]"(উইকিপিডিয়া)
প্রতিটি মানুষের সাথে থাকে তারই অতিরিক্ত দেব-দেবতাতুল্য এই হায়ার সেল্ফ, তাই মন যাহা চায় তাহা পেতে মহাজাতকগন হায়ার সেল্ফের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করার কথা বলেন।


Evidence of this insight is found within the book, Open to Channel: How To Connect With Your Guide, where dual authors Sanaya Roman and Duane Packer report a collective and educational account of the practice and benefits of existing in alignment with the Higher Self. This piece cites views from numerous practitioners of meditation and channeling who claim a consistent result of newly acquired peace and intuition. Essentially, the idea behind this practice is that through spiritual exposure, a person can make a conscious connection with their higher self or other higher beings. In this state, the meditator is free to tap into this higher intelligence in order to develop a more enlightened perspective on world matters.

হায়ার বিং বা হায়ার সেল্ফের সাথে যুক্ত হতে ধ্যানের বিকল্প নেই।

পড়ুন: https/en.m.wikipedia.org/wiki/Higher_self

Wiki তে সুস্পষ্টভাবেই আছে ধ্যানের দ্বারা হায়ার ইন্টেলিজেন্সের বা স্পিরিট গাইডদের সাথে সখ্যতা বাড়ানোর গুরুত্ব।
A spirit guide, in western spiritualism, is an entity that remains as a disincarnate spirit to act as a guide or protector to a living incarnated human being.

চার বছর বয়স থেকেই স্পিরিট গাইড প্রাপ্ত অর্থাৎ শয়তানের দ্বারা possessed.

Theresa Caputo, The Long Island Medium, simply calls her guide "Spirit", describing it as an entity that she has been able to sense since she was four years old.

সূত্রঃ https/en.m.wikipedia.org/wiki/Spirit_guide

ধ্যান না করে এলএসডি, ডিএমটি,আইয়োয়াস্তকা,পাইয়োটি, এক প্রজাতির মাশরুম ইত্যাদি সাইকাডেলিক ড্রাগ গ্রহন করলেও ধ্যানে যেরকম অনুভূতিতে পৌঁছানো যায়, সে অবস্থায় পৌঁছানো যায়, যেমনটা শ্যামান'রা করে। তো আপনি কোয়ান্টাম ম্যাথডের জয়েন করে অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ অর্জন করে শয়তানকে উপদেষ্টা এবং পথপ্রদর্শক করবেন তো?
আসুন, বিটিভির ' একক ধর্মকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থাপনার' লক্ষ্যে নতুন যোগসাধনার অনুষ্ঠানকে অনুসরণ করি! করবেন নাহ?


এখন আবার বলবেন না যে আল্লাহর রাসূল(সা) হেরা গুহায় ধ্যানরত ছিল।।এটা সম্পূর্ণ দলিলবিহীন মিথ্যা কথা। তিনি সেখানে নির্জনে ইবাদত করতেন সেটা কিরূপ সেটার ব্যপারে বিস্তারিত ডকুমেন্ট কোথাও নেই।

কোয়ান্টাম ম্যাথড এবং ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন

ন্যাচারাল ফিলসফির একটি শাখাঃফিজিক্সের এডভান্স
ভার্সন- কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর উত্থান ঘটে যেসকল পদার্থবিদদের হাতে করে এরা প্রত্যেকেই Vedic Occult Worldview দ্বারা প্রভাবিত। তারা বৈদিক কুফরি শাস্ত্র থেকেই যাবতীয় অপবিদ্যাগুলোকে কিছু পরীক্ষন এবং ম্যাথম্যাটিকস দ্বারা সত্যায়িত এবং প্রতিষ্ঠিত করে। এমতাবস্থায় কেউ যদি কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর রেফারেন্সে কিছু বলে বা সমর্থন করে কিছু বলে, সে বস্তুত প্রাচীন ভারতীয় কুফরি শাস্ত্রেরই সত্যায়ন করছে। আর বৈদিক টেক্সট গুলোর সিনথেসিজে আছে হার্মেটিক এবং কাব্বালিস্টিক যাদুশাস্ত্র। এই শাখাপ্রশাখাগুলোর উৎপত্তিস্থল খুজলে পাওয়া যায় প্রাচীন বাবেল শহর। যাইহোক, এই কোয়ান্টাম মেকানিক্সের থেকে সাইন্টিফিক স্পিরিচুয়ালিজমের যে শাখাটি বের হয় তাকে বলা হয়ঃ কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম(Quantum mysticism)।
 https/en.m.wikipedia.org/wiki/Quantum_mysticism

বর্তমান শেষ যামানার সমস্ত শিক্ষিত-স্মার্ট যাদুকররা reality অথবা তাদের সর্সারি নিয়ে কোন ব্যাখ্যা দিতে গেলেই কোয়ান্টাম ফিজিক্সের রেফারেন্স দিয়ে বলে। কারন তাদের চিন্তা-দর্শন শতভাগ সমর্থন করে এই ফিজিক্সের এডভান্স মেকানিক্স। এটা মূলত হবারই, যেহেতু সরাসরি বৈদিক দর্শন থেকেই এর উৎপত্তি।

শয়তানের স্বপ্ন যাদুবিদ্যা এবং কুফরি ওয়ার্ল্ডভিউকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে তাওহীদের ধর্মকে ইলিমিনেট করা। এজন্য United One World Religion এর উত্থান। H.P Blavatsky এর theosophical society থেকে New Age Movement গজায়। একই সাথে ভারতেও 'আনন্দমর্গ','ব্রক্ষ্মকুমারী','ইস্কন' সহ বিভিন্ন আধ্যাত্মবাদী রিফর্মেশন সেক্ট গড়ে ওঠে।এরকমভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ইয়োগা বেজড আধ্যাত্মিকা শিক্ষার প্রতিষ্ঠান/সংগঠন গড়ে ওঠে। পাশ্চাত্যের খ্রিষ্টানগন সাদরে নতুন ধর্মটিকে গ্রহন করলেও সমস্যা হয় মুসলিমদের ভূমিতে। বাংলাদেশের মাটিতেই সমস্যা... যেহেতু বাউলবাদ এবং 'সুফিবাদ' একই আকিদা বহন করে, কিন্তু এর দ্বারা মুসলিমদের সকল স্তরে পৌছানো যায় না। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন গড়ে ওঠে। তারা যে Occultism(যাদুবিদ্যা) শেখাবে,সেটা প্রকাশ্যেই জানিয়েই অগ্রযাত্রা শুরু করে। উপরে আপনারা ওদের অফিশিয়াল পেজেই দেখছেন, যাতে কিনা সরাসরি Occult শব্দ উল্লেখ করে প্রচারণা চালাচ্ছে। বাহ! আজও সাফল্যের সাথে চলছে। এদেশের মুসলিমরা এতটা নির্বোধ এবং অন্ধ হয়ে পড়েছে যে, সাইনবোর্ডে কুফরি যাদুশাস্ত্রের শিক্ষা দেওয়া হবে জেনেও কোর্স করতে যাচ্ছে। আমি জানি, অধিকাংশ লোকই এসব গভীরভাবে না জেনেই কুফরের পথে হাটছে। কিন্তু আমি এরূপ দেখেছি, অকাল্টিজমের ব্যপারে সুস্পষ্টভাবে জানানো হলেও সেদিকেই অটল থাকছে। এদেরকে যে কোন ক্যাটাগরিতে যে ফেলব...। যারা ফিরে আসছেন তারা মূলত সরাসরি শয়তানের উপাসনার একটি গ্লোবাল ধর্ম থেকেই ফিরে আসছেন আল্লাহর করুনায়,কোন সাধারণ প্রতারকদের থেকে নয়। বিভিন্ন ওয়াজে, লেকচারে আলেমগন কোয়ান্টাম ম্যাথডের বিরুদ্ধে যা বলেন সেসব যথেষ্ট নয়। তাদের উচিৎ এ ব্যপারে আলোচনাগুলো আরো এমপ্লিফাই করা, সংগঠনের পেছনে ঐতিহাসিক তথ্যাদি আনা, খুলে খুলে দেখানো যে লোকেরা যার দিকে যাচ্ছে সেটা স্বতন্ত্র দ্বীন বা ধর্ম। শুধুমাত্র বাহ্যিক আকিদাগত কনফ্লিক্ট পেয়ে বাহ্যত শারঈ দলিল দেখিয়ে এবান্ডন করা যথেষ্ট নয়। যারা সেখান থেকে ফেরত আসছে তাদের অনেককে বলতে শুনি, 'কোয়ান্টাম ম্যাথড সাইন্সের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসায় করছে'। এটা একটা False allegation! কোয়ান্টাম ম্যাথড আদৌ বিজ্ঞানের নামে মিথ্যাচার করছে না বরং যা শেখাচ্ছে সেটাই মেইনষ্ট্রিম সাইন্টিজমের quintessence! এরকম অভিযোগকারীরা কোয়ান্টাম ফিজিক্সের ডেভেলপমেন্ট এমনকি সর্বোপরি গোটা মেইনস্ট্রিম সাইন্সের ইতিহাসভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট এর ব্যপারে একদম অজ্ঞ। যদি এরকম মোডারেট পাওয়া যায়, যিনি কোয়ান্টাম ফিজিক্সকে ডিফেন্ড করে কোয়ান্টাম স্পিরিচুয়ালিটিকে রিফিউট করবেন এবং ইসলামের সাথে মেইনষ্ট্রিম কোয়ান্টাম ফিজিক্স নামের অকাল্টিজমকে কম্প্যাটিবল করবেন, উনি কি নিলস বোর, ইউজিন উইগ্নার, ইরউইন শ্রোডিঞ্জার, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক, ওয়ার্নার হাইজেন বার্গদের কথার বিপরীতে গিয়ে মত প্রকাশ করবার জ্ঞান রাখেন যাদের হাতে বৈদিক রহস্যবাদ ফিজিক্সে কনভার্ট হয়েছে?!
অতএব, কোনভাবেই যুক্তি খরচের রাস্তা নেই হালালাইজড করার।

অতিমাত্রায় mainstream Science এর প্রতি Devotion এর প্রভাবে তারা সাইন্সকে ডিফেন্ড করেন কিন্তু এর 'থিওলজিকাল' সারমর্মকে করেন না। নিশ্চয়ই কুফরের প্রতি ভক্তি প্রদর্শন অবশ্যই ঈমানি পরিচয় নয়(কাউকে তাকফির করছি না)।
কোয়ান্টাম ফিজিক্সকে ডিজাইনই করা হয়েছে 'স্পিরিট সাইন্সকে'(শয়তান জ্বীনদের বিদ্যাঃ occult) মেইনস্ট্রিমে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য। যাতে মানুষ সাইন্টিফিক্যালি অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ এবং অকাল্ট প্র‍্যাক্টিসে খুব স্বাভাবিকতার সাথেই বৈধ বিদ্যা হিসেবে গ্রহন করে। আপনাকে যদি কাব্বালিস্টদের কাছে জোড় করে পাঠানো হয় এবং শেখানে কিছু শেখানো হয় আপনি কি তা মানবেন? বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিরা স্বাভাবিকভাবেই মানবেন না। যেহেতু সে জানে সেটা যাদুশাস্ত্র। কিন্তু একই টিচিং যখন 'সাইন্স' মোড়কে আপনার সামনে আনা হবে, তখন? যখন শয়তান হযরত সুলাইমান(আলাইহিসালাম) এর ব্যপারে সার্কুলেট করলো যে তার অতিপ্রাকৃত শক্তির উৎস সেসব কুফরি যাদুবিদ্যার কিতাব যা সিংহাসনের নিচে পুঁতে রাখা আছে, তখন মানুষ কৌতূহলবলে খুবই বৈধ মনে করে সেসব শিক্ষা শুরু করলো। এভাবেই নিষিদ্ধ বিষয় মানব শয়তান ও জ্বীন শয়তানদের দ্বারা লেজিটিমেট করা হয়। দাজ্জালকে যমীনের স্টেজে নিয়ে আসতে চূড়ান্ত কাজ চলছে। আমি একে সেটারই অংশবিশেষরূপে দেখছি।

অনেকে এটা মানতে চান না কোয়ান্টাম ম্যাথড One World Paganism এরই সক্রিয় শাখা। বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং মেইনস্ট্রিম মুসলিম কমিউনিটির গ্রহনযোগ্যতা পেতে তারা তাদের মূল প্যাগান থিওলজিকে প্রকাশ করেন না। উচ্চপর্যায়ে যারা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে আছে, তাদের নাম ইসলামিক হলেও আকিদাগত দিক দিয়ে তারা ব্যবিলনিয়ান মিস্ট্রি স্কুলের অনুসারী।। এদের আকিদার কুফরি দিক গুলো ফেরাউন নমরুদের কুফরির চেয়েও ভয়াবহ। অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ সকল ট্রেডিশনে একইরকম। হোক সেটা ফ্রিম্যাসন, হোক সেটা পিথাগোরিয়ান, হোক না তা বৈদিক অথবা রোজাক্রুশানিজম / কাব্বালিস্টিক অথবা কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম ....। সবার আকিদার মৌলিক বিষয়গুলো অভিন্ন। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু তারা ঢেকে রেখেছে। কিছু কিছু প্রাক্টিস, যা আম্রিকার নিউ এজ মুভমেন্টে প্রচলিত, সেসব কোয়ান্টাম ম্যাথডেও শেখানো হয় কিন্তু ইসলামিক টার্ম ভরে। এর একটি হচ্ছে "অটোসাজেশন"। ওরা এটা বলতে শেখায় 'সুস্থ দেহ, প্রশান্ত মন,কর্মব্যস্ত সুখী জীবন, আলহামদুলিল্লাহ'। ওদের ট্রিক গুলো চমৎকার। মুসলিমদের স্থায়ীভাবে বোকা বানাতে এরকম অনেক ইসলামিক এবং আল্লাহর প্রশংসামূলক শব্দ ব্যবহার করে। অথচ ওদের অকাল্ট দর্শন অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা বলে আলাদা কোন স্বত্ত্বা নেই। সবকিছুই সৃষ্টিকর্তা (নাউজুবিল্লাহ)। একদিন ওদের কোন এক পেজে প্রশ্ন করেছিলাম 'কখন আমি নিজের মধ্যে সৃষ্টিকর্তাকে আবিষ্কার করব/অনুভব করব আমিই ক্রিয়েটর'? ওরা উত্তর দিয়েছিল উহা জানতে আমাকে 'গড রিয়েলাইজেশন' কোর্সটি করতে হবে কোয়ান্টাম ম্যাথড থেকে, লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ! ওদের এজেন্টরা আমার প্রশ্নগুলোতে খুব বিব্রত এবং বিভ্রান্ত হয়, কারন এমন সব প্রশ্ন করি যা অন্যরা করে না, এজন্য উত্তর দিতে বিব্রতবোধ করে।

যাহোক, অটোসাজেশনের চর্চাটি পাশ্চাত্যের নিউ এজ মুভমেন্টে একই নামে প্রচলিত। দেখে নিন, গুরু ওয়েন ডায়ার অটোসাজেশনের শিক্ষা দিচ্ছেন, প্রথমে বিবলিক্যাল মাম্বোজাম্বো বিকৃত টেক্সট আনলেন হযরত আইয়ূব আলাইহিসালাম এর নামে,এজন্য যাতে খ্রিষ্টানরা এদেশের মুসলিমদের মত আকর্ষিত হয়। এরপরে ২:২৫ সেকেন্ডে অটোসাজেশনে মনকে প্রোগ্রামড করতে বলছেন- 'আই এ্যাম গড'!! এর পরে আবার সর্বেশ্বরবাদের ব্যখ্যাও দিচ্ছেন। লিংকঃ http://youtube.com/watch?v=Kvs-_22lwjA
.
স্পিরিচুয়ালিস্ট/অকাল্টিস্ট প্যাগানদের দ্বারা বানানো কিছু ভিডিওস দেখুন এবং কোয়ান্টাম ম্যাথডের প্রোপাগান্ডা ভিডিওগুলোও দেখুনঃ
Activate higher mind sub conscious program
https://m.youtube.com/watch?v=p5K0umZ5xBw
.
কোয়ান্টাম ম্যাথডের আফ্রিন ফেরদাউস অরিন নামের একজনের তৈরি ভিডিওঃ auto suggestion
https://m.youtube.com/watch?v=_uu2Z8HsiTE
https://m.youtube.com/watch?v=52H4ZZbOx1Q
.
sleep hypnosis
https://m.youtube.com/watch?v=--V2GuvBHOU
Mohammad omar channel (কোয়ান্টাম ম্যাথড) :autosuggestion
https://m.youtube.com/watch?v=R-4VZB3OCxg
.
abundance flow auto suggestion : self affirmation
(নিউ এজ/থিওসফি)
https://m.youtube.com/watch?v=fxY8b-NAm0g
.
'তুমিই সৃষ্টিকর্তা' চ্যানেলের 'অটোসাজেশন' এর প্রোপাগান্ডা ভিডিওঃ
https://m.youtube.com/watch?v=VYQ5itk_Z2c
.
একই রকমের নিউ এজ মুভমেন্ট এর চ্যানেল 'পাওয়ার উইথইন' এর প্রচারণাঃ
auto suggestion repetition
https://m.youtube.com/watch?v=GIm1SG9PHrg
.
positive affirmation power of mind
https://m.youtube.com/watch?v=OjRNQlpX5qU
.
use subconscious for anything Else
https://m.youtube.com/watch?v=9J-1KPzKMjA
.
auto suggestion : you are creators 2
https://m.youtube.com/watch?v=LeHR34JBGys
ল' অব এট্রাকশনঃ repitition
https://m.youtube.com/watch?v=jMmwqxrHEoU
.
অটোসাজেশন
http://www.mindsetsuccesscoaching.com/autosuggestion-success-from-within/
.
ল অব এট্রাকশ্যন এবং অটোসাজেশন
http://yourlawofattractioncoach.blogspot.com/2013/02/auto-suggestion.html?m=1
.
https://livesensical.com/podcast/think-grow-rich/auto-suggestion-influencing-subconscious-mind/
.
বাংলাদেশে ওয়ান ওয়ার্ল্ড প্যাগান রিলিজিয়নের শাখা কোয়ান্টাম ম্যাথডের প্রোপাগান্ডা নাটকও বেড়িয়েছিল 'অটোসাজেশন' নামেঃ http://youtube.com/watch?v=9-83jPgrHmg
.
অটোসাজেশন একধরনের সেল্ফ হিপনোটিক প্রসেস। পাশ্চাত্যের কাফেররা অনেকে এটাকে নিজের উপর ম্যাজিক, ব্রেইনকে /সাবকনসাস মনকে প্রগ্রামিং, রিপিটেশন ইত্যাদি টার্ম ব্যবহার করে প্রকাশ করে। এই প্রক্রিয়া ল' অব এট্রাকশনের সাথে যুক্ত। ল' অব এট্রাকশনের ব্যপারেঃ
https://m.facebook.com/islamic.cognition/photos/a.291781357945730.1073741828.282165055574027/343448226112376/
.
গত একটি পোস্টে ওদের মৌলিক রিচুয়াল/কাল্টঃ ধ্যানে কার অর্চনা করা হয় তা লিখেছিলামঃ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=438519516605246&substory_index=0&id=282165055574027
.
মেডিটেশন বা অল্টার্ড স্টেট অব কনসাসনেসে পৌছলে কি কারনে আইনস্টাইনের মত অনেক বিজ্ঞানীগন নয়া থিওরি ইক্যুয়েশন নিয়ে ফিরতেন সেটা আশা করি সুস্পষ্ট। অনেক ইনটুইশন পাওয়া যায় বটে।
.
কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম / কোয়ান্টাম ম্যাথডের অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ বা কুফরি আকিদাসমূহ বিস্তারিত আছে[অনুগ্রহপূর্বক তারা সেসব কন্টেন্টে যাবেন না যাদের তাওহীদের বুনিয়াদ দুর্বলভাবে প্রোথিত]:
http://truth-bn.blogspot.com/2018/12/blog-post_18.html

এভাবেই জাতিসংঘ এবং লোকাল প্রক্সি গভার্মেন্টের ছত্রছায়ায় কাফেররা সারাবিশ্বে বিভিন্ন নামে ব্যাঙের ছাতার মত ছড়িয়ে সাইন্স ও মিস্টিসিজম এর হার্মোনিতে নতুন কুফরি দ্বীনের দিকে সকলকে আহব্বান করছে। পাশ্চাত্যের এই মতাদর্শ প্রধান প্রচারকারীগন সরাসরি বলছেন যে তারা এক মহান মসীহের আগমনের অপেক্ষা করছে, যার অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ ইহুদী,হিন্দুরা। যার আগমনে দুনিয়ার সকল দেশ-জাত একাকার হয়ে যাবে এবং সমৃদ্ধির সাথে তিনি সারা পৃথিবী শাসন করবেন। ওই আধ্যাত্মবাদী গুরুজন সরাসরি সেই অবতার/মসীহকে 'প্রভু' বলে সম্বোধন করেন। তার আসবার সময় ঘনিয়ে আসছে....।
আমরা ওদের এদেশীয় শাখা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অফিশিয়াল ডেটায়(ওয়েবসাইট) 'অকাল্টিজম'(যাদুবিদ্যা) শেখানোর কথা দেখছি, এরপরেও স্রোতের মত সেদিকেই যাচ্ছি। মা'আযাল্লাহ!

(উপরিউক্ত কিছু ফেসবুক লিংক কাজ করবে না যেহেতু আগের পেইজটি আর নেই। দয়া করে পোস্ট গুলো ব্লগে খুজুন।)

কোয়ান্টাম ম্যাথড এবং 'ল অব এট্র‍্যাকশ্যনঃ

ব্যবিলন থেকে ভারতে কিছু 'বিশেষ জ্ঞান' পৌছে বিকশিত হয়ে বর্তমান সাইন্সের মোড়কে প্রকাশ্যে আনা হয় যে ন্যাচারাল ফিলসফির অংশটি সেটা কোয়ান্টাম মেকানিক্স বা কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান। কাব্বালিস্টিক এই বিশেষ তত্ত্ব থেকে উৎসারিত কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম/স্পিরিচুয়ালিটি থেকে চলে আসে 'কোয়ান্টাম ম্যাথড'।

শুনলাম , কোয়ান্টাম মেথডের কোর্সে ভর্তির পর সর্বপ্রথম একটি প্রত্যয়ন পাঠ করা হয়, এই প্রত্যয়নই তাদের মূল চালিকা শক্তি। প্রত্যয়নটি এই, ‘অসীম শক্তির অধিকারী আমার মন, যা চাই তাই পাবো যা খুশি তাই নেব’!!

সাধারণ মুসলিম অথবা স্কলারগন এই বাক্যে বাহ্যত ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিকতার প্রমান স্বরূপ দলিল সমূহ দেখিয়েই শিরক কুফর প্রমান করে এ থেকে আমজনতাকে দূরে থাকতে বলতে দেখবেন। বস্তুত, তাদের কাছে এদের ব্যপারে গভীর কোন তথ্য নেই। এ কারনে অধিকাংশ লোকই নফসের অনুগামী হয়ে কৌতূহলপ্রবন হয়ে নিষিদ্ধ বিষয়ের দিকেই পা বাড়ায়। তাছাড়া মুরজিয়া শ্রেনীর লোকেরা শারঈ বিধিনিষেধের ব্যপারে যত্নশীল নয়। তারা এ সকল প্রতিষ্ঠানের ব্যপারে অবজারভেবল ডাটা না পেলে শুধু শারঈ বিধিবিধানে সাংঘর্ষিকতা দেখে তা থেকে বিরত থাকতে আগ্রহী নন। এজন্য এদের কুফরের ব্যপারে স্পষ্টতা এবং ষড়যন্ত্রের জাল এর বিষয় সমূলে প্রকাশ করা জরুরী।

তো, কোয়ান্টাম ম্যাথডের এই প্রত্যয়নটি দ্বারা তারা তাদের কিছু মৌলিক আকিদার বিষয় প্রকাশ করেন। একটি হচ্ছে Self Divinity দিয়ে দেওয়া। আরেকটি, Law of attraction যা monistic/pantheistic বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত। ল অব এট্রাকশন নিয়ে নতুন কিছু লিখতে চাই না। এটা সুনিশ্চিতভাবে প্যাগান-পলিথেইস্ট-সর্সারারদের আকিদা।
বিস্তারিতঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/law-of-attraction_29.html

কোয়ান্টাম ম্যাথড থেকে জ্ঞান নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের এ প্যাগান ডক্ট্রিন ইসলামাইজড করে প্রচার করছে বাংলাদেশের এই পেজটিঃ https://m.facebook.com/LawOfAttractionBangla

আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ব্যাপক প্রচারনার নমুনা দেখুন পেজটাতেঃ https://m.facebook.com/lovethelawofattraction/

কোয়ান্টাম ম্যাথড সাইন্টিফিক নোশনের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি 'সাইন্টিফিক ধর্ম'! Quantum mechanics এর Double slit experiment এবং observer effect এর পরীক্ষণ এবং ফলাফল গুলো এই নয়া ধর্মের মূল অস্ত্র। মনে রাখবেন, ওই এক্সপেরিমেন্ট থিওরি গুলোও অকাল্টিজমকে জাস্টিফাই করার জন্যই করা হয়েছে হেগেলিয়ান ডিয়ালেক্টিক প্রসেসে। এর দ্বারাই ব্যবিলনিয়ান সাইন্স তার মূলধারায় ফিরে এসেছে। তাই এই সাইন্স এবং স্পিরিচুয়ালিস্টিক স্যাটানিজম একে অপরের ভাইসভার্সা।

এটা শুধু একক ধর্ম নয় বরং গ্লোবাল নিউ রিলিজিয়াস মুভমেন্ট এরই একটি শাখা। অরিজিনঃ প্রাচীন অকাল্ট মিস্ট্রি স্কুল। শুরুটা বাবেল শহরে।

বাংলাদেশে law of attraction এর প্রচারকারীরা

আপনাদেরকে অনেক আগেই Theosophical society(pagan mystery school) এর থেকে গজিয়ে ওঠা নিওপ্লেটনিক প্যাগান মুভমেন্টঃনিউএজ এর বাংলাদেশি শাখা কোয়ান্টাম ম্যাথডের[৬] ভেতরটা দেখিয়েছি। আপনাদেরকে দেখিয়েছি এই ব্যবিলনিয়ান মিস্টিসিজমের একটা কুফরি শিক্ষা তথা law of attraction[১] এর বিষয়টি। আগেই জানিয়েছি যে, Law of attraction(LoA) সম্পূর্নভাবে মেইনস্ট্রিম 'সাইন্স' উৎসারিত কন্সেপ্ট।
আধুনিক ফিজিক্সেরই গভীর শিক্ষা এটা। পিথাগোরাস থেকে শুরু করে আজকের আর.সি হেনসি পর্যন্ত সকল ফিজিসিস্ট/ন্যাচারাল ফিলসফারগন এই স্যাক্রিড সাইন্সকে প্রচার করেছেন।সামান্য কিছু রিয়েলিস্ট ফিজিসিস্টরা গর্দভের মত এর বিরোধিতা করে থাকে, এদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। যাহোক, আপনাদেরকে কোয়ান্টাম ম্যাথডের সাথে সম্পর্কযুক্ত বাংলাদেশি একটা পেজের[২] সাথে পরিচয় করিয়েছিলাম যারা এই LOA এর কুফরি আকিদা প্রচার করে যাচ্ছে। পেজটি এমনকি ছোট নাটকও তৈরি করছে(ইউটিউবে), কুফরি আকিদা ইঞ্জেক্ট করার জন্য।পেজ এডমিনের নাম রেজওয়াদুদ মাহিন[৩]। আগে কোয়ান্টাম ম্যাথডের সাথে যে সংশ্লিষ্ট ছিল সেটা গোপন করতে চায়। এদের কার্যনীতিই এরূপ। নিত্যনতুন নাম দিয়ে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। আপনারা জানেন কিনা, কোয়ান্টাম ম্যাথডেরই একটি সংগঠন "প্রজ্ঞা ফাউন্ডেশন" তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যাহোক, রেজওয়াদুদ মাহিন নামের অল্প বয়স্ক ছেলেটার প্রোফাইলে গেলেই ওর সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা পাবেন। বিভিন্ন বিখ্যাত সাময়িকীতে আগে লেখালিখি করত। এরপরে ফিল্ম প্রডিউসারদের সাথে কাজ করা শুরু। এখন মাবরুর রশিদ বান্না[৪] নামের এক ফিল্ম মেকারের সাথে এসিস্টেন্ট ডিরেক্টররূপে(আন্ডারগ্রাউন্ড ক্রিয়েটিভ ফ্যাক্টরি) কাজ করেন।
.
নিউমেরলজি, এস্ট্রলজিতে সহ বিভিন্ন কুফরি আকিদা তিনি রাখেন। সাধারন মুসলিমদের সাথে মিশে তার কুফরি আকিদা ইঞ্জেক্ট করার জন্য 'সালাম','আলহামদুলিল্লাহ','সুবহানআল্লাহ' ইত্যাদি ব্যবহার করেন, যাতে নির্ভেজাল মনে করানো যায়।এতে সাধারন আলাপচারীতায় কোন সমস্যা খুজে পাওয়া যাবেনা। তার প্রিয় উক্তিঃ "Know thyself!
"Everyday in every way I'm getting better better & better"
দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে
রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন"। সুতরাং বুঝতেই পারছেন কোয়ান্টাম ম্যাথডের সাথেই সংশ্লিষ্ট। তার সাথে বেশ কিছু কথাও হয় আমার। তাকে সাধারন লোকদের শিরক ও কুফরের দিকে ডাকার ব্যপারটি জিজ্ঞেসা করলে বেশ রাগান্বিত হন। যেন এটা তার অধিকার। তিনি বলেন, "apnar esob bosta pocha gyan nijer kase rakhen,..."। পরবর্তীতে আমাকে মুনাফিক বানিয়ে দেয় কারন ফেসবুকে আমার ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া নেই!!! বর্তমানে প্রীতি ফাউন্ডেশন[৫] নামে একটা সংগঠন বানিয়ে নিয়েছে।
.
এরকম আরেকটি পেজ ছিল, যাদের এডমিনদের কাউকে পাওয়া যায় নি। দেশের বাইরে হাজারো পেজ/চ্যানেল রয়েছে এ প্যাগান ম্যাজিক্যাল ওয়ার্ল্ডভিউ প্রচারের জন্য। এরাও এক গুরুর মহান অপেক্ষায়। যাকে আমরা দাজ্জাল বলে জানি।
_____________________________________
[১] https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/law-of-attraction_29.html
.
[২] https://m.facebook.com/LawOfAttractionBangla/
.
[৩] https://m.facebook.com/rezwadud.mahin
.
https://m.facebook.com/LawOfAttractionBangla/photos/a.1661996364032784.1073741826.1661338147431939/2018868708345546/
.
[৪] https://m.facebook.com/Bannah69
.
https://m.facebook.com/UCF-749351008528057/
.
[৫] https://m.facebook.com/PrityFoundation

Occultism(গুপ্তবাদ)

অকাল্ট শব্দের অর্থ গুপ্ত/গোপন। যাদু বিদ্যা এবং ম্যাজিক্যাল ওয়ার্ল্ডভিউকেও অকাল্টিজম বলে। প্রাচীন যুগের যাদুকর/বামপন্থীরা খ্রিষ্টান শাসকদের অত্যাচারে নিজেদেরকে এবং তাদের অপবিদ্যাগুলোকে লুকিয়ে রাখত। তখন থেকে সেসব বিদ্যাকে অকাল্ট নলেজ(গুপ্তজ্ঞান) বলে ক্যাটাগরাইজড হয়। spiritism,spiritualism(আধ্যাত্মবাদ) , mysticism(রহস্যবাদ), Mormonism(মরমিবাদ), সুফি(ইসলামে আক্রান্ত),কাব্বালাহ(ইহুদিদের),নস্টিসিজম(খ্রিষ্টানদের),ইস্টার্ন মেটাফিজিক্যাল স্পিরিচুয়ালিটি(হিন্দু,বৌদ্ধ,জৈন,বৈষ্ণব ইত্যাদি),হেলেনিজম,থিওসফি ইত্যাদি সবই অঞ্চলভিত্তিক যাদুবিদ্যাকেন্দ্রিক দর্শনের নাম। সবই একই গাছের বিভিন্ন শাখার মত। এদের সবাই গুপ্তজ্ঞানের দ্বারা নিজেদেরকে আলোকিত করতে চায়।আর জ্ঞান চর্চার পন্থা একই।
এসব গুপ্তজ্ঞান বলতে শয়তানের কাছে মজুদ কুফরি বিদ্যা বা যাদু বিদ্যা, নবী সুলাইমান (আ) এর সময়কার শয়তানদের জাদুবিদ্যা যা নবীর সিংহাসনের নিচে পুতে রাখা হয়েছিল এবং বাবেল শহরে হারুত মারুতের থেকে আসা নিষিদ্ধ বিদ্যা।
ইমাম রাযী(র) এর বর্নিত ৮ প্রকারের জাদুর ২য় প্রকারের শিক্ষা বা চর্চা এ গুপ্তসাধনার সবচেয়ে বেশি করা হয়। আর ইসলামে সুফিবাদ এর পীররা মারেফাত এর নামে এসব চর্চা ধারন করে আছে। ওরা একে বাতেনি ইলম বলে যা বিভিন্ন তরিক্কায় অর্জন করতে হয়।

এই পথের সকলের মৌলিক আকিদা প্রায় একই, যার কুফরির(অবাধ্যতার) মাত্রা ফেরাউন, নমরুদদেরকেও হার মানায়! প্রায় সকল প্রকার নিষিদ্ধ কাল্ট/রিচুয়াল এ পথে বৈধ। পৌত্তলিকতা, জাদুচর্চা, জ্যোতিষশাস্ত্র খুবই সাধারন পালনীয় বিষয়, এদের কিছু কিছু গ্রুপ শয়তানকে সরাসরি নাম ধরে গ্লোরিফাই করে অন্যদিকে আল্লাহকে অভিশাপ দেয় ও হেয় করে বা স্বকীয় অস্তিত্বের স্বীকৃতিই দেয় না। তাদের মধ্যে সৃষ্টি শুরুর রহস্যটা স্পষ্ট নয়, একেক জনের একেক রকমের মনগড়া বিশ্বাস। এই ফিলোসফিক্যাল অকাল্ট ট্রেডিশনগুলোর মৌলিক বিশ্বাস সকলেরই অভিন্ন। আর সেটা হচ্ছে, সর্বেশ্বরবাদ(প্যান্থেইজম/মনিজম)।

আমাদের দেশে এরূপ কুফরের পথে সবচেয়ে আগুয়ান যারা, তারা বাউল সম্প্রদায়, মারেফাত এর ফকিররা। এরা সকলেই ওয়াহদাতুল উজুদে(সর্বেশ্বরবাদ) বিশ্বাসী। এরূপ কুফরি আকিদা তাদেরকে তাকদীরের ব্যপারে বাড়াবাড়ি মাত্রায় চিন্তা করায়, ওদের মতে যেহেতু সৃষ্টি ও স্রষ্টার অস্তিত্ব একই(নন ডুয়ালিজম) সেহেতু সব কিছুই আল্লাহই করছেন। এজন্য যেকোন অপরাধ বা পাপ মানুষের দ্বারা হয় না, সেটা স্রষ্টাই প্রত্যক্ষভাবে করছেন। তারা সেজন্য কোন মাখলুখের দোষ বা শাস্তিকে স্বীকার করে না। এজন্য তাদের গানও আছে 'যেমন খুশি তেমন নাচাও পুতুলের কি দোষ' নিশ্চয়ই শুনেছেন। এজন্য তারা আল্লাহর নির্দেশ নিঃশর্তে মানতে নারাজ। আর এদের অধিকাংশই আল্লাহর অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে থাকে। এরা সরাসরি ইত্তেহাদে(সর্বেশ্বরবাদে) বিশ্বাসী। এজন্য তারা জ্বীনদের অর্চনা করে গুরু,মুর্শিদ, সাই,ফকিরের প্রভৃতি নামে। এবং তাদের(বিশ্বাস অনুযায়ী) দুনিয়াতে বিরাজমান গুরুজির আত্নাকে।
এ কুফরির ছোয়া বর্তমানে আহমদ রেজা বেলেরভির অনুসারীদের মাঝেও আছে (মাইজভাণ্ডারী, চিশতিয়া, কাদেরিয়া, নকশাবন্দী,মুজাদ্দেদিয়া....রা)। দেওবন্দের(কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক) কিছু গোমরাহ আলেমদের মধ্যে এ বিশ্বাস চাপা আছে। ওরা আবার এ বিশ্বাসগুলোকে শরী'য়াতে স্বীকৃত প্রমানের অপচেষ্টাও চালায়! আমরা এরূপ কুফরিকে সত্যায়নের চেষ্টা দেখি আহলে হক্ক মিডিয়াগুলোর মাঝে।

বর্তমান পৃথিবীতে এই প্যাগানিজমের ছড়াছড়ি। এর দিকে ধাবিতকরনের জন্য লক্ষ লক্ষ সংস্থা কাজ করছে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায়, রিলিজিয়াস কনফ্লিক্ট বন্ধ করতে একটা 'ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নের স্বপ্ন দেখে 'ইউনাইটেড ন্যাশন' বা জাতিসংঘ। এ লক্ষ্যে তারা পেছনে থেকে কাজ করছে।

শিক্ষিতসমাজের মুসলমানদের সুফিবাদে বা একদম নগ্ন প্যাগানিজমে ভেড়ানো কঠিন যেহেতু তাদের কাছে এ পথ 'ক্ষ্যাত' মনে হয় তাই কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, সাইন্স অব লিভিং,প্রজ্ঞা, রেইকি, ল অব এট্রাকশনের নামে বেশ আধুনিকতার আড়ালে এ প্যাগান কাল্টে আহব্বানের কাজ চলছে। তারা Esoteric wisdom প্রচার করছে আধুনিকতার চাকচিক্য দেখিয়ে। ওরা চাচ্ছে মানুষ এসবের চর্চার দ্বারা গদবাধা ধার্মিকতা ও ধর্মের বিশ্বাস থেকে মানুষদের দূরে নিয়ে সবাইকে একই আধ্যাত্মিকার আদর্শে দীক্ষিত করা। এই আধ্যাত্মবাদ নাস্তিকতারই রিলিজিয়াস ফ্লেভারযুক্ত ভার্সন। লক্ষ্য- একটি শক্তিশালী ধর্মহীন প্যাগান সেকুলার সমাজ গঠন যার শীর্ষে থাকবে আসন্ন আধ্যাত্মিক মহাশিক্ষক দাজ্জাল! বর্তমানের মেইনস্ট্রিম সাইন্স এসব প্যাগানিজমের সাথে ১০০% কম্প্যাটিবল, কারন এই সুডো সাইন্স এবং মিস্টিসিজমের শিকড় একই। কোয়ান্টাম ম্যাথড এসেছেই কোয়ান্টাম থিওরি(quantum mysticism) থেকে। কোয়ান্টাম ফিজিসিস্টগনও এক একজন মিস্টিক ছিলেন।

আমেরিকাতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হিন্দু গুরুদের প্রোমোটিং এর কারনে এখন 'নিউ এজ' নামের একটি স্পিরিচুয়ালিস্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়ে গেছে, সেখানে আমাদের দেশের মুসলিমরা যেভাবে কোয়ান্টাম ম্যাথডে যোগ দিচ্ছে সেভাবে খ্রিষ্টান ও সেকুলার খ্রিষ্টানরাও জয়েন করছে মহামারী আকারে। এজন্য ওদের মধ্যে স্বল্প সংখ্যক ফান্ডামেন্টালিস্ট খ্রিষ্টান এর বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে প্রচারনা চালাচ্ছে। ইংরেজিতে লিসেনিং স্কিল উচ্চমাত্রার না হলে দেখবেন না,মিউজিকের জন্য দুঃখিতঃ https://m.youtube.com/watch?v=NOCaYEV3jDc
.
https://m.youtube.com/watch?v=NbbBe9EKyPY
.
https://m.youtube.com/watch?v=SzzuQX3JUg8


একইভাবে আমাদের দেশে কোয়ান্টাম ম্যাথড নামে এই অভিন্ন চক্রই সাফল্যের সাথেই মহামারী ছড়াচ্ছে, আর আক্রান্ত হচ্ছে মুসলমান নাম ধারীসেকুলার-যিন্দিক। কিছু অবশ্য জাহেল মুসলিমও সেখানে পা ফেলছে।
কোয়ান্টাম ম্যাথড সরাসরি অকাল্টিজমের প্রচার করছে বলেই যাত্রা শুরু করে(উপরের ছবিতে দেখুন), এরপরেও আমাদের দেশের মূর্খ লোকগুলো এটা দেখেও তাতে দলে দলে যোগ দেয়! আর কোয়ান্টাম ম্যাথডের জ্যোতিষী মালাউনগুলোও অনেক চালাক। এরা ওদের কুফরি দর্শনগুলো ইসলামাইজড করে আহব্বান করছে কুফরে আকবরের দিকে। ওরা ইসলামিক শব্দ ব্যবহার করে শুধুই ফাঁদ হিসেবে। আর এই ফাদে পা দিচ্ছে জ্ঞানহীন নামধারী  মুসলিমগুলো। কোয়ান্টাম ম্যাথড জানে, ফেসবুকে ওদের অপকর্মের বিরুদ্ধে অনেক রকমের প্রচারণা চলে, এজন্য এখন ওদের ফলোয়ারদের ফেসবুক থেকে দূরে থাকার জন্য নির্দেশ দেয়।

অকাল্টিজমের হচ্ছে কিছু নিষিদ্ধ যাদুবিদ্যা কেন্দ্রিক শয়তানী দর্শন ও অপবিদ্যার সাগর, যা অল্প কথায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। আপনি যদি নিউএজ/কোয়ান্টাম ম্যাথড/থিওসফিক্যাল সোসাইটির ব্যপারে কিছু হিস্টোরিক্যাল ডেটা পেতে চান, তবে দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=mnNs3NJv_mM
.
February 28, 2017 at 2:32 AM

বিশ্বব্যাপী অকাল্টিজমের পুন:জাগরন

Spirit science, positive energy, law of attraction ইত্যাদি নামযুক্ত বিখ্যাত পেইজ ফেসবুকে পাবেন। এরা সকলেই অভিন্ন আদর্শ প্রচার করে। (i.e:Spiritism/non dualism/monism/pantheism/esoteric initiations ইত্যাদি )।
ওদের বিশ্বাসের ভিত্তিটা সংক্ষেপে, আমি আপনিই স্রষ্টা,সব কিছুই সৃষ্টিকর্তার অংশ। ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার আলাদা অস্তিত্ব নেই। তিনি সৃষ্টির মধ্যে বিলীন হয়ে আছেন। একাকার হয়ে আছেন। তার কনশাসনেস হচ্ছে আমাদের আত্না। এরূপ সব সৃষ্টির আত্মা আছে। এমনকি শূন্য বায়ুর মধ্যেও একটা এনার্জি আছে যাকে ওরা ইথার বলে দাবী করছে। এভাবে সৃষ্টিকর্তার কনসাসনেস সব কিছুকে মুড়িয়ে রেখেছে। আর আমরা মানুষরা জন্ম মৃত্যুর চক্রে(পুনঃজন্মবাদ) আটকে আছি।যেটা কর্মফলকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। যতদিন না একজন ব্যক্তি সম্পূর্ন সিদ্ধ মহামানবে রূপান্তরিত হচ্ছে ততদিন এই চক্র থেকে বের হতে পারেনা।যখনই মানুষ এনলাইটেন্ড হয় তখন সে পুনঃজন্মের চক্র থেকে মুক্তি পায় আর তখন আত্না সেই ইথারিক ফিল্ড বা ইউনিভারসাল স্পিরিট এনার্জির সাথে যুক্ত হয় এবং যারা আত্মার উন্নয়নের সাধনায় লিপ্ত তাদেরকে এনলাইটেনমেন্টে সহযোগীতা করা, মেডিটেশন এ যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান ও বিচিত্র দিকনির্দেশনা দান করে। ওরা বলে, যান্ত্রিক পুঁজিবাদী ব্যস্ত জীবন ব্যবস্থা আমাদেরকে এই প্রকৃতিমাতা(!) থেকে দূরে রেখেছে, তাই নিজেকে চিনতে ও নিজের মাঝে সৃষ্টিকর্তার দেখা পেতেই সাধনা চালাতে হবে গভীর ধ্যানে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
আর ওই সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে গিয়ে নিজেকে আত্মিকভাবে উন্নত করতে হবে। এতে করে রিয়েলিটিকে নিয়ন্ত্রনের সম্ভাবনাও বিজ্ঞানের বরাত দিয়ে বলে থাকে।
তাছাড়া আত্মনিয়ন্ত্রণ, স্থিরতা বৃদ্ধি পায়, রাগ নিয়ন্ত্রন করা যায়। রক্তচাপ সহ যেকোন সমস্যা বা রোগ নিজেই নিজের চিকিৎসা(সাইকিক/হোলিস্টিক হিলিং), নিজের ক্ষমতার উন্নয়ন অতিপ্রাকৃতিক শক্তি অর্জন, টেলিপ্যাথিক কমিউনিকেশন, টেলিকেনেসিস,লেভিটেশন, চি, অস্বাভাবিক রতিক্ষমতা অর্জন, নিজের ইচ্ছামত যেকোন ঘটনা(চাকরি,বিয়ে ইত্যাদি) ঘটানো, ইত্যাদি উদ্দেশ্যে ও সর্বোপরি পুনঃজন্মের যাঁতাকল থেকে মুক্তির জন্য সাধনা করা হয়। আপনি তাদের সংস্থার বিজ্ঞাপনগুলোতেও এসব লেখার অংশবিশেষ পাবেন। অর্থাৎ সেল্ফ ডিপেন্ডেন্সি তৈরি(যেটা ইব্রাহীম(আঃ) অনুসারীরা আল্লাহর উপর করার কথা বলে)। এসবকে একত্রে অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ বলতে পারেন। প্রাচীন প্যাগান যাদুকরদের থেকে এর জন্ম। এসব তাদের যাদুবিদ্যারই বিশ্বাস(ম্যাজিক্যাল বিলিফ)।
রিইনকারনেশন(পুনঃজন্মবাদ) সব গুলো প্যাগান পূর্বাঞ্চলীয় ধর্মে পাবেন। বৌদ্ধ ও হিন্দুধর্মকে বিশেষ করে ওরা আইডিয়াল হিসেবে গ্রহন করেছে। দক্ষিন ও উত্তর আমেরিকাতে এ বিশ্বাস এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। খ্রিষ্টধর্ম অধ্যুষিত দেশে নোসিস,নস্টিক এর ছত্রছায়ায় এরা অনেক আগে কাজ করত এখন প্রকাশ্যেই আলাদা নাম দিয়েছে 'নিউএজ'। প্রকল্পিত ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভার্মেন্টে 'ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন' দরকার। নতুবা বিশ্বকে এক করা সম্ভব না। এজন্য যেটাকে প্রমোট করা হচ্ছে সেটাই এই 'আধ্যাত্নবাদ'। এটা আসলে ভিন্ন নাম আর মোড়কের নিওপ্লেটনিজম। সেখান থেকেই জন্ম।
এই নিউএজ মুভমেন্ট সারা দুনিয়ার সব ধর্মগুলোকে একত্রিত করে একটা ধর্মে রূপ দিতে চাচ্ছে।এজন্য সব জায়গায় ছড়িয়ে গিয়েছে। টিভি বিজ্ঞাপন, নাটকেও মেডিটেসন আধুনিকতার ট্রেন্ড হিসেবে প্রোমোট করা হচ্ছে। আগেই দেখিয়েছি নিউএজকে সবচেয়ে বেশি প্রমোট করে জাতিসংঘ! জাতিসংঘের কার্যালয়ে মেডিটেশন এর রূম এর বিশাল ব্যবস্থস করা হয়েছে এবং অনেক কর্মকর্তারা এ আধ্যাত্নবাদে বিশ্বাসী(এ নিয়ে একটি বড় ডকুমেন্টারি ভিডিওর শেষ অংশে প্রমানসহ রয়েছে)। বিভিন্ন ইয়োগা,মেডিটেশন এর ইন্সটিটিউশন গুলোর আর্থিক সাহায্য জাতিসংঘ প্রদান করে!
এ অকাল্ট ফিলসফি পদার্থবিজ্ঞানকে বেশি ব্যবহার করে। আর কোয়ান্টাম ফিজিসিস্ট,অনেক রিয়েলিস্ট ফিজিসিস্ট-বিজ্ঞানীরা এই ধর্মের আদর্শকে লালন করে।
গ্রেগ ব্র‍্যাডেনকে দেখতে পারেন। তাছাড়া "উই আর গড" টাইটেলের ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে বিভিন্ন বড় বড় ইউনিভার্সিটি প্রফেসরদেরকেও দেখবেন বিজ্ঞানের সাথে স্পিরিচুয়ালিজমকে কম্বাইনিং এর সেকি চেষ্টা!
আন্তর্জাতিক মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিগুলোও একই আদর্শ লালন করে। ম্যাডোনাকে এক টিভি ইন্টার্ভিউ তে প্রশ্ন করা হয়েছিল তার ধর্ম কি তা জানতে চেয়ে, সে বলেছিল,'আমি ইহুদী নই বা অর্গানাইজড কোন রিলিজিয়ন বিলং করি না, বরং আমি প্রিডেট স্পিরিচুয়ালিজম বিশ্বাসী।কাব্বালা আমাকে অনেক প্রশ্নের উত্তর দেয়'। সরকারের ছত্রছায়ায় কেন আমাদের দেশে বাউল ও লালনদেরকে বাঙ্গালি সাহিত্য সংগীতের ধারক বাহক হিসেবে সর্বত্র প্রমোটিং চলছে? শায়েখ আহমাদ উল্লাহ এর বাউলদের নিয়ে ৪ পর্বের আলোচনা শুনতে পারেন।ইউটিউব এ পাবেন।
.
এখন প্রশ্ন হতে পারে ওরা যেসব অতিপ্রাকৃতিক শক্তির কথা বলে তা বাস্তব কিনা!
উত্তর হচ্ছে- বাস্তবিকভাবেই সেসব ওরা করে দেখায় এবং পারে।
কিন্তু কিভাবে!!?
এর অব্যর্থ উত্তর হলো-
আমাদের প্রত্যেকের সাথে একজন অদৃশ্য সহচর বা ক্বারীন জ্বিন শয়তান থাকে,যে কুমন্ত্রণা দেয় ও খারাপ কাজ করায়। এই জ্বীনগুলো ইবলিস এর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে। ওদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ এর বিশাল নেটওয়ার্ক আছে।
.
“তোমাদের প্রত্যেককে জিনদের মধ্য হতে একজন সঙ্গী দেয়া হয়েছে।” সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, “এমনকি আপনাকেও ইয়া আল্লাহর রাসুল (সঃ)? তিনি বলেনঃ এখন সে আমাকে শুধু ভাল করতে বলে।” [মুসলিম কর্তৃক সংগৃহীত Sahih MusliM, enlgishtrans, vol. 4 p. 1540 , no. 7134]
.
মেডিটেশন মানুষের মস্তিষ্ককে চিন্তাশূন্যতার অবস্থায় নিয়ে যায়, একদম শূন্যে নিয়ে যায়। অল্টার্ড স্টেট অব কনসাসনেস। এ অবস্থায় উভয় মাত্রার(শয়তান ও মানুষের) মাঝের দুয়ার নাজুক হয়ে পড়ে ও শয়তান বা ঐ জ্বীন ভর করে এবং অনেকরকমের আলোর খেল(মিস্টিক্যাল ভিজ্যুয়ালাইজেশন/ফ্র‍্যাকটাল রিয়ালিটি) দেখায় (চোখ বন্ধ থাকতেই), অনেক রকমের জিওমেট্রিক প্যাটার্ন ইত্যাদি। তখন প্র‍্যাক্টিশনারের মন মনে করে তার আত্মোন্নয়ন ঘটছে। এ যোগাযোগ বাড়তে বাড়তে জ্বীন শরীরের উপর নিয়ন্ত্রন নেয়(কুন্ডলিনী চক্র) এবং ওদের জগতের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে, সেটাকেই নিউ এজাররা বলে স্পিরিচুয়াল কানেকশন। ওদেরকেই হায়ার বিং শব্দ দ্বারা বোঝায়।
এ সাধনা সামনে আগালে শয়তান ধ্যানরত অবস্থায় শেখায় বিভিন্ন মুভমেন্ট দিয়ে অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা ঘটিয়ে ফেলা সম্ভব। যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ওই সাধনাকারী ওই শেখানো মুভমেন্ট অনুসরণ করে, তখনই শয়তান ওই ব্যাক্তির ভেতরে থেকেই অবাস্তব কার্য সাধন করে দেখায়। মানে কাজ টা ফলত করছে জ্বীন কিন্তু বাহ্যত দেখছি সে সাধনাকারী করছে। এভাবেই টেলিকেনেসিস,লেভিটেশন, টেলিপোর্টেশনের মত অদ্ভুত ঘটনা ঘটায়। বিদেশী যাদুর টিভি শো গুলোর যাদুকররা এ পদ্ধতিতেই কাজ করে। জ্বীনদের ব্যবহার করেই টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ করা দেখায়।
পুরো বিষয়টা হচ্ছে, শয়তান জ্বীনদের আনুগত্যতার জন্য বা ওদের পূজার কারনে। এদের সাহায্যেই কোন রোগের চিকিৎসা করা হয়(এ ব্যপারে দীর্ঘ আলোচনার প্র‍য়োজন),কোন দুনিয়াবি সাফল্য অর্জন হয়।যেমন মনে করুন আপনি চাকরি খুজছেন, হচ্ছে না। সাধনাকালে কল্পনা করলেন যেখানে চাকরির আবেদন করেছেন সেখানের কর্তৃপক্ষ আপনাকে সিলেক্ট করেছে(কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, এটাই শেখায়)। এ অবস্থাতে ক্বারীন জ্বীন ওই কর্তৃপক্ষের ক্বারীন জ্বীনদের নিকট খবর পৌছায় যেন ওরা তাদের অন্তরে প্ররোচনা দেয় যেন তাকে নির্বাচন করে। ফলশ্রুতিতে তাই হয়।এভাবেই quantum mysticism আপনাকে বলবে যে আপনি নিজেই নিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন(বস্তুত এসব তাকদীরের অন্তর্ভুক্ত বিষয়), এবং কোয়ান্টাম ম্যাথডগুলো এভাবেই আল্লাহর উপর নির্ভরতা ধীরে ধীরে কমানোর কাজ করছে।
আমেরিকায় যারা এ নিউএজ মুভমেন্ট(কোয়ান্টাম ম্যাথডের প্রধান সংগঠন বলতে পারেন) এর ফাদ থেকে নিজেদের বাচিয়েছে,তারা প্রত্যেকেই নিশ্চিত হয়েই সেখান থেকে গুটিয়েছে যে ওরা যা করে সবই Demonic entity (শয়তান জ্বীন) এর সহায়তায়ই করে। অনেকেই স্পষ্টভাবে শয়তানদেরকে দেখেছে। কেউবা আক্রমনের স্বীকার হয়ে ফিরে এসেছে।(নিউএজ এর ব্যপারে অসংখ্য ডকুমেন্টারিতে ভিক্টিমদের ফুটেজ আছে)।
বিশেষ করে থার্ড আই(শয়তান জ্বীনদের নিকট আরো অধিক পরিমানে সমার্পন) খুলবার সময়েই এরূপ বিপত্তির সম্মুখীন হয়। এদের অনেকের সাথে কথাও বলেছিলাম।এজন্য থার্ড আই খুলবার পূর্বে ইয়োগা-মেডিটেশনের গুরুরাই সাবধান এমনকি নিষেধও করে।
.
ওরা শয়তান নির্ভর এবং যাদুবিদ্যা নির্ভর অতিপ্রাকৃত অভিজ্ঞতা ও ঘটনার দলিল প্রমানকে নির্ভর করে যে ইস্টার্ন ও কাব্বালিস্টিক অকাল্ট বিলিফ(i.e: নন ডুয়ালিজম/মনিজম,পুনঃজন্মবাদ,আত্মার বিকাশ) সিস্টেমকে কন্সট্রাক্ট করে তা সম্পূর্ন মিথ্যা। এগুলোর শুরু বাবেল শহর এবং প্রাচীন মিশর। সেখান থেকেই নিও পিথাগোরিয়ানিজমের উন্মেষ এবং পরে একই জিনিসের কম্পোজিশন তথা নিও-প্লেটনিজমে আরো সুসংহত হয়ে আজ পর্যন্ত এস্ট্রোফিজিক্স এবং স্পিরিচুয়াল/রিলিজিয়াস পর্যায়ে পৌছে সর্বত্র বিরাজ করছে। ওরা অপেক্ষায় আছে কবে গুরু দাজ্জাল আসবে।
_________
Feb 2017