Wednesday, November 29, 2017

তারকারাজি মেইনস্ট্রিম প্যারাডক্সিক্যাল সায়েন্স

তারকারা প্রথম আসমানে আর হাজার বছরে অপরিবর্তিত!

প্রচলিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোপার্নিকান এস্ট্রোনমি অনুযায়ী সারা মহাবিশ্বে সর্বত্র তারকা এবং গ্রহ দ্বারা পরিপূর্ণ। প্রতিটি তারকা হচ্ছে তাদের কেন্দ্রীভূত গ্রহদয়ের দ্বারা ঘূর্ণনশীল এবং অনন্তের দিকে বহমান সৌরজগৎ। এরকম মিলিয়ন বিলিয়ন ট্রিলিয়ন তারকা এবং মিলিয়ন বিলিয়ন ট্রিলিয়ন সৌরজগৎ আর মিলিয়ন বিলিয়ন বছর ধরে অনন্তের দিকে ছুটে চলছে।

এবার প্রশ্ন হচ্ছে, যেহেতু প্রচণ্ড গতিতে অনন্তের দিকে একেকটি তারকা একেকদিকে ছুটে চলছে তদ্রুপ পৃথিবী ও এর সৌরজগৎটাও একদিকে ছুটে চলছে, সেহেতু পৃথিবীর বিগত হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে আকাশের তারকাদের রাশিচক্র, অবস্থান, উজ্জ্বলতা, সংখ্যা,গতিপ্রকৃ
তি সব কিছুই একই রকম অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকছে কেন?

অথচ হাজার বছরের প্রতিষ্ঠিত এস্ট্রলজির কুফরি সাইন্স তারকাদের অপরিবর্তিত আচরন এবং অবস্থানের উপরে ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে আছে!

Zodiac cycle এ কোন পরিবর্তন নেই কেন?

হেলিওসেন্ট্রিক এই মডেল শুদ্ধ হলে যা হতঃ
তারকা আর সৌরজগত গুলোর ছোটাছুটির জন্য কিছু নক্ষত্র দুনিয়ার আকাশ থেকে বিদায় নিত,কিছু উজ্জ্বল নক্ষত্র দুরত্ব বাড়ার কারনে অনুজ্জ্বল নিষ্প্রভ হতে হতে হারিয়ে যেত, নতুন জাতের তারকাদের সমাবেশ ঘটত কিছুবছর পর পরেই! কিছু নিষ্প্রভ ও হারিয়ে যেত। জোডিয়াক সাইকেল বা রাশিচক্র বার বার পরিবর্তিত হত। এস্ট্রলজারদের বার বার এস্ট্রলজির কুফরি বিজ্ঞানকে রিরাইট করতে হত। সুসংবদ্ধ কোন নীতিই থাকত না, কারন তখন আকাশে সবই নিত্যনতুন পরিবর্তনশীল। মাঝেমধ্যে কোন নক্ষত্র এত কাছে চলে আসত যা ২য় বা ৩য় সূর্য্যের কাজ করত। কোন শৃঙ্খলা থাকত না সবই র‍্যান্ডম চলত। নাবিকরা প্রাচীন যুগে তারকা দেখে পথ চিনতে পারত না। কারন বার বার তারকারা স্থান পরিবর্তন করত, হারিয়ে যেত, নতুন নক্ষত্র আগমন করত।

অথচ বাস্তবতাঃ
হাজার বছর ধরে নক্ষত্রদের রাশিচক্র/জোডিয়াক সাইকেল অপরিবর্তিত আছে। সবই একই নিয়মে চলছে। চার পাচ হাজার বছর আগে যে তারকা ছিল তা আজও একই উজ্জ্বলতায় বিদ্যমান। তারকা দেখে পথ/দিক চেনার পদ্ধতি প্রাচীন যুগ থেকে এখনো অপরিবর্তিত। তারকাদের অপরিবর্তিত রীতির উপরে জ্যোতিষশাস্ত্র দাঁড়িয়ে আছে।

অতএব, দেখা যাচ্ছে বাস্তবতা একদম বিপরীত যা শেখানো হচ্ছে তার। বাস্তবতা সাক্ষ্যদান করে জিওস্টেশনারী জিওসেন্ট্রিক সিস্টেমের। যা হেলিওসেন্ট্রিক থিওরির বিপরীত।

এবার আসুন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কি বলেন:
As-Saffat 37:6

إِنَّا زَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِزِينَةٍ ٱلْكَوَاكِبِ

Indeed, We have adorned the nearest heaven with an adornment of stars.

Fussilat 41:12
فَقَضَىٰهُنَّ سَبْعَ سَمَٰوَاتٍ فِى يَوْمَيْنِ وَأَوْحَىٰ فِى كُلِّ سَمَآءٍ أَمْرَهَاۚ وَزَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِمَصَٰبِيحَ وَحِفْظًاۚ ذَٰلِكَ تَقْدِيرُ ٱلْعَزِيزِ ٱلْعَلِيمِ

And He completed them as seven heavens within two days and inspired in each heaven its command. And We adorned the nearest heaven with lamps and as protection. That is the determination of the Exalted in Might, the Knowing.

Al-Mulk 67:5
وَلَقَدْ زَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِمَصَٰبِيحَ وَجَعَلْنَٰهَا رُجُومًا لِّلشَّيَٰطِينِۖ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ ٱلسَّعِيرِ

And We have certainly beautified the nearest heaven with stars and have made [from] them what is thrown at the devils and have prepared for them the punishment of the Blaze.

আল্লাহ #নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করেছেন তারকারাজি দ্বারা যার কিছু শয়তানের জন্য নিক্ষেপক বস্তু এবং মানুষের পথ চেনার জন্য।

নিকটবর্তী আকাশ বলতে প্রথম আসমান যা ইবনে কাসীরও(র) বলেন। সুতরাং স্পেসিফিকভাবে নিকটতম আকাশ তারকাখচিত বলতে শুধু প্রথম আসমানের কথাই বলা হচ্ছে। যেটা স্পষ্ট করছে তারকারাজি শুধুমাত্র প্রথম আসমানেই।।অপর এক হাদিসে সাত আসমানের যে বর্ননা এসেছে তাতে অন্য আকাশ গুলোর বর্ণনানুযায়ী সেখানে তারকাদের উপস্থিতি এবং তা দুনিয়া থেকে অবলোকন সম্ভব নয়। অথচ হেলিওসেন্ট্রিক এস্টোনমিক্যাল সাইন্সে বলা হয় অনন্ত আকাশের সর্বত্র নক্ষত্র বিরাজমান। শুধু তাই নয়, সেসব নক্ষত্র একেকটি সূর্য পৃথিবীর ন্যায় হাজারও গ্রহের। সে গ্রহে জীবজন্তু এলিয়েন থাকতে পারে। কিছু মোজলেমরা এসব বিশ্বাস করে সন্তুষ্ট এবং কুরআনের আয়াতের বিকৃত ব্যাখা করে প্রচার করে আগ্রহী। তাদের ব্যপারে কাতাদা (রহ.) এর এর বিখ্যাত উক্তি স্মরন করি, যা নিচের ছবিতে দেখছেন।

'কুরআনকে বাদ দিয়ে মর্ডান থিওরি সমূহ গ্রহন, এটা কোন মুসলিমের কাজ হতে পারেনা ,একজন মুসলিম অবশ্যই কুরআন অনুসরণ করবে'
_শায়খ সালেহ আল ফওযান হাফিঃ(সৌদিআরব)

লেখকঃ Al Imran

Sunday, November 26, 2017

সূর্য কি পৃথিবীর চার দিকে ঘুরে? ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম ।

সূর্য কি পৃথিবীর চার দিকে ঘুরে?

মান্যবর শায়খ উত্তরে বলেন যে, শরীয়তের প্রকাশ্য দলীলগুলো প্রমাণ করে যে, সূর্যই পৃথিবীর চতুর্দিকে ঘুরে। এই ঘুরার কারণেই পৃথিবীতে দিবা-রাত্রির আগমণ ঘটে। আমাদের হাতে এই দলীলগুলোর চেয়ে বেশী শক্তিশালী এমন কোন দলীল নাই, যার মাধ্যমে আমরা সূর্য ঘূরার দলীলগুলোকে ব্যাখ্যা করতে পারি। সূর্য ঘুরার দলীলগুলো হলঃ
  আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿فَإِنَّ ٱللَّهَ يَأۡتِي بِٱلشَّمۡسِ مِنَ ٱلۡمَشۡرِقِ فَأۡتِ بِهَا مِنَ ٱلۡمَغۡرِبِ﴾ [البقرة: ٢٥٨]
“আল্লাহ তা‘আলা সূর্যকে পূর্ব দিক থেকে উদিত করেন। তুমি পারলে পশ্চিম দিক থেকে উদিত কর।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৫৮] সূর্য পূর্ব দিক থেকে উঠার মাধ্যমে প্রকাশ্য দলীল পাওয়া যায় যে, সূর্য পৃথিবীর উপর পরিভ্রমণ করে।
২) আল্লাহ বলেন,
﴿فَلَمَّا رَءَا ٱلشَّمۡسَ بَازِغَةٗ قَالَ هَٰذَا رَبِّي هَٰذَآ أَكۡبَرُۖ فَلَمَّآ أَفَلَتۡ قَالَ يَٰقَوۡمِ إِنِّي بَرِيٓءٞ مِّمَّا تُشۡرِكُونَ ٧٨﴾ [الانعام: ٧٨]
“অতঃপর যখন সূর্যকে চকচকে অবস্থায় উঠতে দেখলেন তখন বললেন, এটি আমার রব, এটি বৃহত্তর। অতপর যখন তা ডুবে গেল, তখন বলল হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা যেসব বিষয়ে শরীক কর আমি ওসব থেকে মুক্ত।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৭৮]
এখানে নির্ধারণ হয়ে গেল যে, সূর্য অদৃশ্য হয়ে যায়। একথা বলা হয় নি যে, সূর্য থেকে পৃথিবী ডুবে গেল। পৃথিবী যদি ঘূরত তাহলে অবশ্যই তা বলা হত।
৩) আল্লাহ বলেন,
﴿وَتَرَى ٱلشَّمۡسَ إِذَا طَلَعَت تَّزَٰوَرُ عَن كَهۡفِهِمۡ ذَاتَ ٱلۡيَمِينِ وَإِذَا غَرَبَت تَّقۡرِضُهُمۡ ذَاتَ ٱلشِّمَالِ﴾ [الكهف: ١٧]
“তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায়।” [সূরা কাহাফ, আয়াত: ১৭] পাশ কেটে ডান দিকে বা বাম দিকে চলে যাওয়া প্রমাণ করে যে, নড়াচড়া সূর্য থেকেই হয়ে থাকে। পৃথিবী যদিনড়াচড়া করত তাহলে অবশ্যই বলতেন সূর্য থেকে গুহা পাশ কেটে যায়। উদয় হওয়া এবং অস্ত যাওয়াকে সূর্যের দিকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এটা থেকে বুঝা যায় যে, সূর্যই ঘুরে। পৃথিবী নয়।
৪) আল্লাহ বলেন,
﴿وَهُوَ ٱلَّذِي خَلَقَ ٱلَّيۡلَ وَٱلنَّهَارَ وَٱلشَّمۡسَ وَٱلۡقَمَرَۖ كُلّٞ فِي فَلَكٖ يَسۡبَحُونَ ٣٣﴾ [الانبياء: ٣٣]
“এবং তিনিই দিবা-নিশি এবং চন্দ্র-সূর্য সৃষ্টি করেছেন। সবাই আপন আপন কক্ষ পথে বিচরণ করে।” [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ৩৩]
ইবন আব্বাস বলেন, লাটিম যেমন তার কেন্দ্র বিন্দুর চার দিকে ঘুরতে থাকে, সূর্যও তেমনিভাবে ঘুরে।
৫) আল্লাহ বলেন,
﴿يُغۡشِي ٱلَّيۡلَ ٱلنَّهَارَ يَطۡلُبُهُۥ حَثِيثٗا﴾ [الاعراف: ٥٤]
“তিনি রাতকে আচ্ছাদিত করেন দিনের মাধ্যমে, দিন দৌড়ে দৌড়ে রাতের পিছনে আসে।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৫৪]
আয়াতে রাতকে দিনের অনুসন্ধানকারী বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অনুসন্ধানকারী পিছনে পিছনে দ্রুত অনুসন্ধান করে থাকে। এটা জানা কথা যে, দিবা-রাত্রি সূর্যের অনুসারী।
৬) আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ بِٱلۡحَقِّۖ يُكَوِّرُ ٱلَّيۡلَ عَلَى ٱلنَّهَارِ وَيُكَوِّرُ ٱلنَّهَارَ عَلَى ٱلَّيۡلِۖ وَسَخَّرَ ٱلشَّمۡسَ وَٱلۡقَمَرَۖ كُلّٞ يَجۡرِي لِأَجَلٖ مُّسَمًّىۗ أَلَا هُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡغَفَّٰرُ ٥﴾ [الزمر: ٥]
“তিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন। প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।” [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৫]
আয়াতের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে, পৃথিবীর উপরে দিবা-রাত্রি চলমান রয়েছে। পৃথিবী যদি ঘুরতো তাহলে তিনি বলতেন, দিবা-রাত্রির উপর পৃথিবীকে ঘূরান। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “সূর্য এবং চন্দ্রের প্রত্যেকেই চলমান”। এ সমস্ত দলীলের মাধ্যমে জানা গেল যে, সুস্পষ্টভাবেই সূর্য ও চন্দ্র এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করছে। এ কথা সুস্পষ্ট যে, চলমান বস্তুকে বশীভুত করা এবং কাজে লাগানো একস্থানে অবস্থানকারী বস্তুকে কাজে লাগানোর চেয়ে অধিক যুক্তিসঙ্গত।
৭) আল্লাহ বলেন,
﴿وَٱلشَّمۡسِ وَضُحَىٰهَا ١ وَٱلۡقَمَرِ إِذَا تَلَىٰهَا ٢﴾ [الشمس: ١، ٢]
“শপথ সূর্যের ও তার কিরণের, শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে।” [সূরা আশ-শামস, আয়াত: ১-২]
এখানে বলা হয়েছে যে, চন্দ্র সূর্যের পরে আসে। এতে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, সূর্য এবং চন্দ্র চলাচল করে এবং পৃথিবীর উপর ঘুরে। পৃথিবী যদি চন্দ্র বা সূর্যের চার দিকে ঘুরত, তাহলে চন্দ্র সূর্যকে অনুসরণ করতনা। বরং চন্দ্র একবার সূর্যকে, আর একবার সূর্য চন্দ্রকে অনুসরণ করত। কেননা সূর্য চন্দ্রের অনেক উপরে। এ আয়াত দিয়ে পৃথিবী স্থীর থাকার ব্যাপারে দলীল গ্রহণ করার ভিতরে চিন্তা-ভাবনার বিষয় রয়েছে।
৮) মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَٱلشَّمۡسُ تَجۡرِي لِمُسۡتَقَرّٖ لَّهَاۚ ذَٰلِكَ تَقۡدِيرُ ٱلۡعَزِيزِ ٱلۡعَلِيمِ ٣٨ وَٱلۡقَمَرَ قَدَّرۡنَٰهُ مَنَازِلَ حَتَّىٰ عَادَ كَٱلۡعُرۡجُونِ ٱلۡقَدِيمِ ٣٩ لَا ٱلشَّمۡسُ يَنۢبَغِي لَهَآ أَن تُدۡرِكَ ٱلۡقَمَرَ وَلَا ٱلَّيۡلُ سَابِقُ ٱلنَّهَارِۚ وَكُلّٞ فِي فَلَكٖ يَسۡبَحُونَ ٤٠﴾ [يس: ٣٨، ٤٠]
“সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ আল্লাহর নির্ধারণ। চন্দ্রের জন্যে আমি বিভিন্ন মঞ্জিল নির্ধারিত করেছি। অবশেষে সে পুরাতন খর্জুর শাখার অনুরূপ হয়ে যায়। সূর্যের পক্ষে চন্দ্রকে নাগাল পাওয়া সম্ভব নয়। রাতের পক্ষেও দিনের অগ্রবতী হওয়া সম্ভব নয়। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে।” [সূরা ইয়াসীন, আয়াত: ৩৮-৪০]
সূর্যের চলা এবং এ চলাকে মহা পরাক্রমশালী আল্লাহর নির্ধারণ বলে ব্যাখ্যা করা এটাই প্রমাণ করে যে, সূর্য প্রকৃতভাবেই চলমান। আর এ চলাচলের কারণেই দিবা-রাত্রি এবং ঋতুর পরিবর্তন হয়। চন্দ্রের জন্য মঞ্জিল নির্ধারণ করার অর্থ এ যে, সে তার মঞ্জিলসমূহে স্থানান্তরিত হয়। যদি পৃথিবী ঘুরত, তাহলে পৃথিবীর জন্য মঞ্জিল নির্ধারণ করা হত। চন্দ্রের জন্য নয়। সূর্য কর্তৃক চন্দ্রকে ধরতে না পারা এবং দিনের অগ্রে রাত থাকা সূর্য, চন্দ্র, দিন এবং রাতের চলাচলের প্রমাণ বহন করে।
৯) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আবু যরকে বলেছেন,
«أَتَدْرِي أَيْنَ تَذْهَبُ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ فَإِنَّهَا تَذْهَبُ حَتَّى تَسْجُدَ تَحْتَ الْعَرْشِ فَتَسْتَأْذِنَ فَيُؤْذَنُ لَهَا وَيُوشِكُ أَنْ تَسْجُدَ فَلَا يُقْبَلَ مِنْهَا وَتَسْتَأْذِنَ فَلَا يُؤْذَنَ لَهَا يُقَالُ لَهَا ارْجِعِي مِنْ حَيْثُ جِئْتِ فَتَطْلُعُ مِنْ مَغْرِبِهَا»
“হে আবু যর! তুমি কি জান সূর্য যখন অস্ত যায় তখন কোথায় যায়? আবু যার বললেন, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় ‘আরশের নিচে গিয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং পুনরায় উদিত হওয়ার অনুমতি চায়। অতঃপর তাকে অনুমতি দেওয়া হয়। সে দিন বেশি দূরে নয়, যে দিন অনুমতি চাবে কিন্তু তাকে অনুমতি দেওয়া হবে না। তাকে বলা হবে যেখান থেকে এসেছ, সেখানে ফেরত যাও। অতঃপর সূর্য পশ্চিম দিক থেকেই উদিত হবে।”[1]
এটি হবে কিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে। আল্লাহ সূর্যকে বলবেন, যেখান থেকে এসেছ সেখানে ফেরত যাও, অতঃপর সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হওয়ার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, সূর্য পৃথিবীর উপরে ঘুরছে এবং তার এ ঘুরার মাধ্যমেই উদয়-অস্ত সংঘটিত হচ্ছে।
১০) অসংখ্য হাদীসের মাধ্যমে জানা যায় যে, উদয় হওয়া, অস্ত যাওয়া এবং ঢলে যাওয়া এ কাজগুলো সূর্যের সাথে সম্পৃক্ত। এগুলো সূর্য থেকে প্রকাশিত হওয়া খুবই সুস্পষ্ট। পৃথিবী হতে নয়। হয়তো এ ব্যাপারে আরো দলীল-প্রমাণ রয়েছে। সেগুলো আমার এ মুহূর্তে মনে আসছেনা। তবে আমি যা উল্লেখ করলাম, এ বিষয়টির দ্বার উম্মুক্ত করবে এবং আমি যা উদ্দেশ্য করেছি, তা পূরণে যথেষ্ট হবে। আল্লাহর তাওফীক চাচ্ছি!

শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)


https://salafibd.wordpress.com/2010/11/22/সূর্য-ঘুরে-না-পৃথিবী/
.
https://www.hadithbd.com/showqa.php?d=548

Wednesday, November 22, 2017

চাঁদে অভিযানের সত্যতা নিয়ে আবারও বিতর্ক

১৯৬৯ সালে নীল আর্মস্ট্রং সর্বপ্রথম পা রেখেছিলেন চাঁদের বুকে। মানুষের মহাবিশ্ব জয় করার এক প্রথম অধ্যায় ছিলো এটি। কিন্তু এই অভিযানের সত্যতা নিয়ে আজও অনেক বিতর্ক রয়েছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও সেটি আরও উস্কে দিলো।
আমেরিকার অ্যাপোলো ১৭ মিশনের একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন মানুষ কোন ধরনের স্পেস স্যুট ছাড়াই চাঁদের বুকে হেটে বেড়াচ্ছে। এই ছবিই আমেরিকার চাঁদে যাওয়ার মিশন যে ভুয়া সেই দাবিটা আবারও উস্কে দিলো। Streetcap1 নামের একজন ইউটিবার একটি ভিডিও আপ করে এ দাবি করার পর বিষয়টি আবার আলোচনায় এসেছে। এর আগে হলিউড সিনেমার পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিক দাবি করেছিলেন, তিনিই অ্যাপোলো-২ মিশনের চিত্রধারন করেছিলেন।
আমেরিকা সবসময় দাবি করে আসছিলো তারাই প্রথম চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছে। স্নায়ুযুদ্ধের সেই উত্তেজনাপূর্ণ সময় আমেরিকা একে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে বিজয় হিসেবে দাবি করে। কিন্তু পরবর্তিতে বিষয়টি ভুয়া প্রতিপন্ন করে একের পর এক তত্ত্ব হাজির হলে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে চন্দ্র অভিযানের সত্যতা।
এদিকে নাসার দাবি হিগুয়েন চারমানের নেতৃত্বে চাঁদের বুকে হেটে বেড়িয়েছিলো তিন ক্রু। কিন্তু সেই ছবি খুব কাছ থেকে বিশ্লেষন করে সমালোচকরা বলেছেন, এগুলো হলিউডে কোন সেটে ধারণ করা হয়েছে। তারা নাসার একটি ভিডিও জুম করে দেখিয়ে বলছেন, একজন মহাকাশচারীর মাস্কের কাচে যে প্রতিচ্ছবি রয়েছে, তাতে দেখা যায় একজন কোন স্পেস স্যুট ছাড়াই দাড়িয়ে রয়েছেন। এমনকি এই ব্যক্তির লম্বা চুল দেখা যাচ্ছে। যা সত্তর দশকের আমেরিকার চুলের ফ্যাশনের সাথে মিলে যায়। এছাড়াও ছবিতে এই ব্যক্তির ছায়া থেকেও এটা প্রমাণিত হয় যে তিনি বিশেষ কিছু পরিধান করেন নাই।
এদিকে ইউটিউবে এই ভিডিও বিশ্লেষণ ছড়িয়ে পড়ার পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। আবারও শুরু হয়েছে এর পক্ষে বিপক্ষে জোর সমালোচনা।

সূত্র: Jamuna TV.
নিউজের লিংক: https://jamuna.tv/news/8602

Tuesday, November 21, 2017

এভার এক্সপ্যান্ডিং ইউনিভার্স, ইসলাম ও বাস্তবতা

আমরা সবাই জানি যে প্রচলিত বিজ্ঞান আমাদের শেখায় যে বিগব্যাঙের পরে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ শুরু হয় ও চলতে থাকে অসীমতার দিকে। এই এক্সপ্যানশন চলছে আর চলতে থাকবে। শুধু তাই নয়, সূর্য্যও পৃথিবীসমেত অনন্ত ঘূর্নিপাকের সেই অসীমের দিকে ধাবমান।
দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=qVwjWKOaRWY

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Metric_expansion_of_space

প্রথমত এটা সম্পূর্ন আনঅব্জারভেভল হাইপোথেসিস অথচ প্রতিষ্ঠিত।বিগব্যাঙের কন্সেপ্টটির একটি সাপোর্ট। আর সৃষ্টিকর্তাহীন বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ব্যবস্থার বিলিফ সিস্টেমের শক্ত ভিত্তি।বস্তুত এর সত্যতা বা কপটতা সরাসরি বুঝতে একটু রুট লেভেলে চলে আসতে হবে, এছাড়া এর গ্রহণযোগ্যতা প্রমান কষ্টসাধ্য।

প্রথমে দেখতে হবে কোপার্নিকান এস্ট্রোনমির ভিত্তি বা পৃথিবীর আকারগত বিষয়টা কতটুকুন বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন। বাস্তবতার সাথে কোন থিওরি বা হাইপোথেসিসে কনফ্লিক্ট করে কিনা। যদি গোড়াতেই গন্ডগোল থাকে তবে গোটা কোপার্নিকান এস্ট্রোনমি,হেলিওসেন্ট্রিক মডেল বা সৌরজগতের থিওরি হুমকির মুখে পড়বে। যদি প্রশ্ন করা হয় রিয়েলিটির সাথে মহাবিজ্ঞানীদের থিওরিগুলো সংঘর্ষ করে কিনা,তার সরল উত্তর হবে, হেলিওসেন্ট্রিজম এস্ট্রোনমি বাস্তবজগতের অবজারভেভল প্রকৃতিব্যবস্থা সম্পূর্ন ভিন্ন এবং সাংঘর্ষিক তথ্য দেয়।২০০ এরও বেশি প্রমান আছে যে পৃথিবীর আকার আর যাই হোক গ্লোব হতে পারেনা।আর যদি গ্লোবিউলার থিওরির পতন ঘটে তবে,সমস্ত সাপোর্টিভ থিওরি-হাইপোথেসিস একসাথে কলাপ্স করবে।যেমন বিগব্যাঙ, এভার এক্সপ্যান্ডিং ইউনিভার্স, এভ্যুলুশ্যনিজম, স্পেসের ধারনা,গ্রহনক্ষত্রের ধারনা ইত্যাদি সৃষ্টিকর্তাহীন সকল তত্ত্ব।

নিচে লিংকের পিডিএফ(ইংরেজি) ডকুমেন্টেশনে ২০০টির মত প্রমান আছে,এর যেকোন একটিই গোটা প্রচলিত কন্সেপ্টে ফাটল ঘটায়।

লিংক-
https://ia801008.us.archive.org/13/items/200ProofsEarthIsNotASpinningBall/200%20Proofs%20Earth%20is%20Not%20a%20Spinning%20Ball!.pdf

এবার আসুন ইসলামী পার্স্পেক্টিভে।
 
এযুগে নতুন কিছু মোডারেট ইসলামী ফিগার তাদের ফলোয়াররা কুফফারদের ডিজাইন করা আধুনিক বিজ্ঞানকে কেন্দ্র কুরআনের আয়াতের উলটা ব্যাখ্যা করে। যেহেতু এই আর্টিকেলের প্রধান বিষয় আকাশের সম্প্রসারনশীল কিনা সেহেতু এই একটি বিষয় কেন্দ্রিক আলোচনা করা হবে। তো মোডারেটদের বর্তমান বিজ্ঞানের বর্নিত আকাশের ভ্যালিডেশনের যে আয়াতকে দলিল হিসেবে নিয়েছে সেটা ৫১:৪৭। এমনকি জাকির নায়েক সাহেবও স্বয়ং এটাকেই দলিল হিসেবে উপস্থাপন করেন।উপরে তাফসীর ইবনে কাসীরের স্ক্রিনশটে দেখছেন, উল্লেখ আছে যে তাফসীরকারকদের মাঝে ইবনে আব্বাস(রা)ও আছেন যিনি একই তাফসীর করেছেন যে, এই সম্প্রসারণ দ্বারা আল্লাহ আকাশকে প্রশস্তকরনার্থে সম্প্রসারনকে বুঝিয়েছেন। এটা দ্বারা আদৌ চলমান সীমাহীন সম্প্রসারণশীলতাকে বোঝায় না। এর দ্বারা অসীম আকাশ বোঝায়না।।

নিচের হাদিসটি দেখুন...

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالُوا حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَيْنَمَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ وَأَصْحَابُهُ إِذْ أَتَى عَلَيْهِمْ سَحَابٌ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا هَذَا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ هَذَا الْعَنَانُ هَذِهِ رَوَايَا الأَرْضِ يَسُوقُهُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِلَى قَوْمٍ لاَ يَشْكُرُونَهُ وَلاَ يَدْعُونَهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا فَوْقَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّهَا الرَّقِيعُ سَقْفٌ مَحْفُوظٌ وَمَوْجٌ مَكْفُوفٌ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ كَمْ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهَا مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا فَوْقَ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّ فَوْقَ ذَلِكَ سَمَاءَيْنِ وَمَا بَيْنَهُمَا مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ عَامٍ ‏"‏ ‏.‏ حَتَّى عَدَّ سَبْعَ سَمَوَاتٍ مَا بَيْنَ كُلِّ سَمَاءَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا فَوْقَ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّ فَوْقَ ذَلِكَ الْعَرْشَ وَبَيْنَهُ وَبَيْنَ السَّمَاءِ بُعْدُ مَا بَيْنَ السَّمَاءَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا الَّذِي تَحْتَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّهَا الأَرْضُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا الَّذِي تَحْتَ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّ تَحْتَهَا الأَرْضَ الأُخْرَى بَيْنَهُمَا مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ ‏"‏ ‏.‏ حَتَّى عَدَّ سَبْعَ أَرَضِينَ بَيْنَ كُلِّ أَرْضَيْنِ مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ أَنَّكُمْ دَلَّيْتُمْ رَجُلاً بِحَبْلٍ إِلَى الأَرْضِ السُّفْلَى لَهَبَطَ عَلَى اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأََ ‏(‏ هو الأَوَّلُ وَالآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ قَالَ وَيُرْوَى عَنْ أَيُّوبَ وَيُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ وَعَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ قَالُوا لَمْ يَسْمَعِ الْحَسَنُ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَفَسَّرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالُوا إِنَّمَا هَبَطَ عَلَى عِلْمِ اللَّهِ وَقُدْرَتِهِ وَسُلْطَانِهِ ‏.‏ عِلْمُ اللَّهِ وَقُدْرَتُهُ وَسُلْطَانُهُ فِي كُلِّ مَكَانٍ وَهُوَ عَلَى الْعَرْشِ كَمَا وَصَفَ فِي كِتَابِهِ ‏.‏

৩২৯৮। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ কোন এক সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীগণ এক সাথে বসা ছিলেন। হঠাৎ তাদের উপর মেঘরাশি প্রকাশিত হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের প্রশ্ন করেনঃ তোমরা জান এটা কি? তারা বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা ও তার রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ এটা হল যমিনের পানিবাহী উট। আল্লাহ তা'আলা একে এমন জাতির দিকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন যারা তার কৃতজ্ঞতাও আদায় করে না এবং তার কাছে মুনাজাতও করে না। তিনি আবার প্রশ্ন করলেনঃ তোমাদের উপরে কি আছে তা জান? তারা বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা ও তার রাসূলই বেশি ভালো জানেন।তিনি বলেনঃ এটা হল সুউচ্চ আকাশ,সুরক্ষিত ছাদ এবং  আটকানো তরঙ্গ (ঢেউ)।

তিনি আবার প্রশ্ন করলেনঃ তোমাদের এবং এর মাঝে কতটুকু ব্যবধান তা তোমাদের জানা আছে কি? তারা বললেন, আল্লাহ তা'আলা ও তার রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ তোমাদের ও এর মাঝে পাঁচ শত বছরের পথের ব্যবধান। তিনি আবার প্রশ্ন করলেনঃ এর উপরে কি আছে তা তোমরা জান কি ? তারা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ এর উপরে দুইটি আকাশ আছে যার মাঝে পাঁচ শত বছরের দূরত্ব, এমনকি তিনি সাতটি আকাশ গণনা করেন এবং বলেনঃ প্রতি দুটি আকাশের মাঝে পার্থক্য আকাশ ও যমিনের ব্যবধানের সমপরিমাণ।

তিনি আবার প্রশ্ন করলেনঃ এর উপরে কি আছে তা কি তোমরা জান ? তারা বললেন আল্লাহ তা'আলা ও তার রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ এগুলোর উপরে আছে (আল্লাহর) আরশ। আরশ ও আকাশের মাঝের পার্থক্য দুই আকাশের মধ্যকার দূরত্বের সমান।

তিনি আবার বললেনঃ তোমরা কি জান তোমাদের নিচে কি আছে ? তারা বললেনঃ আল্লাহ ও তার রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ উহা হল যমিন, তারপর আবার বললেন, তোমরা কি জান এর নিচে কি আছে? তারা বলল আল্লাহ ও তার রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ এর নিচে আরো এক ধাপ যমিন আছে এবং এতদুভয়ের মধ্যে পাঁচ শত বছরের দূরত্ব। তারপর সাত স্তর যমিন গুণে বলেনঃ প্রতি দুই স্তরের মাঝে পাঁচ শত বছরের দূরত্ব বর্তমান।

তিনি আবার বললেনঃ সেই সত্তার শপথ যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন! তোমরা যদি একটি রশি নিম্নতম যমিনের দিকে ছেড়ে দাও তাহলে তা আল্লাহ তা'আলা পর্যন্ত গিয়ে পৌছবে। তারপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ “তিনিই প্রথম, তিনিই সর্বশেষ তিনিই প্রকাশ্য এবং তিনিই গুপ্ত। তিনিই সর্ববিষয়ে সর্বশেষ পরিজ্ঞাত" (সূরাঃ আল-হাদীদ- ৩)
যঈফ, যিলালুল জুন্নাহ, (৫৭৮)

আবূ ঈসা বলেনঃ উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীসটি গারীব। আইউব, ইউনুস ইবনু উবাইদ ও আলী ইবনু যাইদ হতে বর্ণিত আছে যে, তারা বলেছেন, আল-হাসান আল-বাসরী (রহঃ) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে সরাসরি কিছু শুনেননি। কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম উক্ত হাদীসের (আল্লাহ পর্যন্ত পৌছে) ব্যাখ্যায় বলেনঃ উক্ত রশি আল্লাহ তা'আলার জ্ঞান, তার নিদর্শনাবলী ও তার সার্বভৌম ক্ষমতা সর্বত্র বিস্তৃত। তিনি তার আরশে উপবিষ্ট, যেমন তিনি তার পাক কালামে বলেছেন।

বইঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত], অধ্যায়ঃ ৪৪/ তাফসীরুল কুরআন, হাদিস নম্বরঃ ৩২৯৮

স্পষ্টভাবেই দেখছেন নবী(সা) সসীম সাতটি আকাশের নিখুঁত বর্ননা দিয়েছেন।যাদের এক্সপ্যান্সন ৫০০ বছরের দূরত্ব। অন্য বর্ননায় ৭১,৭২,৭৩ বছরের দূরত্বের প্রশস্ততার বর্ননা পাওয়া যায়। এই হাদিসগুলো আশা করি খুবই পরিচিত যারা ইসলামী বিষয়ে ইলমঅন্বেষী।তাছাড়া হাদিসগুলোকে ৫/৬ বা ১০ বারের বেশি বর্নিত দেখেছি। অতএব কিছু বর্ননা দূর্বল হলেও গ্রহণযোগ্য। ইবনে কাসীর(র) এর আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থটি নিয়ে বসতে পারেন। সুতরাং, আল্লাহ রাসূল(সা) স্পষ্টভাবে সসীম (অলরেডি)সম্প্রসারিত সুপ্রশস্ত আকাশের বর্ননা দিয়েছেন। অতএব, এটা প্রচলিত কুফফারদের বানানো আনঅব্জারভেভল আকাশ বিজ্ঞানের ধারনা কে ডিফাই করছে ও সম্পূর্ন বিপরীত প্রমান করছে।।

অনেকে ভাবছেন আমরা তো চন্দ্র বিজয় করে বসে আছি সুতরাং আকাশ কিরকম তা তো ভাল করেই জানার কথা।।

সত্য হচ্ছে চন্দ্রাভিযান মিথ্যা অভিনয় পলিটিক্যাল ডমিনেশনের জন্য। আমরা এখন পর্যন্ত লো আর্থ অর্বিটকেই(১২০০-১৬০০ মাইল উপরে) অতিক্রম করতে সক্ষম হয়নি, সেটা নাসাও বারাক ওবামারাও স্বীকার করেছেন।। চলুন দেখে আসি -
https://m.youtube.com/watch?v=FmoiwjXepHM

স্যাটেলাইট গুলোও কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজ। এগুলোর বাস্তব প্রমান নেই। স্যাটেলাইট যে এলিভেশনে আছে সেটা সোনা অথবা টিটানিয়ামের গলনাংককে ছাড়িয়ে যায়। স্যাটেলাইট কিভাবে সেখানে থাকতে পারে!

দেখুন শায়েখ সালেহ আল ফওযান (হাফিঃ) কি বলছেন - https://m.youtube.com/watch?v=K1QxVGr4ulw

দেখুন ফতওয়া আরকানুল ইসলামে শাইখ সালেহ আল উসাঈমীন(রহঃ) কি বলেছেন -
https://www.hadithbd.com/showqa.php?d=548

দেখুন ইরাকী মহাআকাশ গবেষক কি বলছেন -
https://m.youtube.com/watch?v=wppjYDj9JUc

খুব বেশি আগ্রহবোধ করছেন তারা দেখুন https://m.youtube.com/watch?v=nMY1e22SHxg

যারা আরো বেশি ঘাটাঘাটি করতে চান, এ গ্রুপটিতে ঘুরে আসতে পারেনঃ https://facebook.com/groups/315165405515447

নিশ্চয়ই কুরআন নিজেই সোল ট্রুথ। এর বৈধতা যাচাই বা এর ব্যাখ্যা অন্য কোন আদর্শকে কেন্দ্র করে করবার কোন সুযোগ নেই।

সত্য প্রচার করুন।
মনে রাখবেন এথিজম=স্টুপিডিটি।

আকাশের প্রশস্ততা সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করতে গিয়ে অন্য সাপোর্টিভ বিষয়গুলো এসে গিয়েছে বলে দুঃখিত।


লেখকঃ Al Imran

আমাদের ফেসবুক গ্রুপ

Friday, November 17, 2017

আমাদের অস্তিত্ব ও উদ্দেশ্য


একদিন ভোরে, পূর্বদিগন্তে উদিত শুক্র'গ্রহ'কে দেখছিলাম। ফোনের দুর্বল ক্যামেরা দিয়ে ৪এক্স জুম+ইনফিনিটি ফোকাস মোডে ধারন করলাম।খালি চোখেও স্পষ্ট দেখা যায় 'গ্রহের কম্পন'! "মিটিমিটি তারা" এ দেশীয় কমন শব্দ।
খালি চোখেও আমরা মিটমিট করে জ্বলতেই দেখি। কিন্তু কোপার্নিকান এস্ট্রোনমিতে এই তারকা গুলোরই কিছু তারকা হচ্ছে সলিড শক্ত গ্রহ।আর কিছু হচ্ছে সূর্য্যের ন্যায় বস্তু যা অন্যগ্রহ জগতের সূর্য। তাদের দেখানো টিভিমুভির ছবিতে আমরা গোলাকৃতি সলিড বস্তুকে দেখি।মহাকাশ বিজ্ঞানীগন সেসব সলিড শক্ত ভূমির গোলাকৃতি তারকা(!) গুলোর বিচিত্র আয়তন ব্যাসার্ধও তারা আমাদের শেখান। মঙ্গল,শুক্র,বুধ সব গুলোর বিচিত্র পরিধি ব্যাসার্ধ আমাদেরকে দেখানো হয়। এখানেই ক্ষান্ত নয়, মঙ্গলে প্রানের অস্তিত্ব খুজতেও অভিযান পরিচালনা করছেন। তারা রোবটও পাঠাচ্ছেন মঙ্গলে। আমাদেরকে বলেন যে কোটি বিলিয়ন মিলিয়ন গ্রহ আছে এরকম। সেসবে অবশ্যই কোথাও না কোথাও বুদ্ধিমান প্রানী আছে। ওরা এলিয়েন রূপে যেকোন সময়ে আমাদের 'গ্রহে' হানাও দিতে পারে।এজন্য তারা বিষয়টা বোঝাতে শতশত এলিয়েনেটিক মুভিও দেখাচ্ছে। আমরাও তেমনি পেপারে পৃথিবী সদৃশ গ্রহ আবিষ্কারের খবর পড়ে রোমাঞ্চিত হই।

অথচ বাস্তবতা উল্টো।একদম ভিন্ন। আমরা খালি চোখেই সব গ্রহনক্ষত্রকে মিটিমিটি জ্বলতে দেখি। সেসব গ্রহনক্ষত্র আগুনের মত নন সলিড কম্পনশীল এণ্টীটী।কেউ কি বিশ্বাস করবে আগুনের শিখার মত নন সলিড কিছু বসবাসযোগ্য? আপনি বিশ্বাস করেন মোমবাতির যে প্রজ্বলিত শিখা সলিড ভূমিরূপ বসবাসের উপযোগী কোন স্থান হতে পারে?!

অতএব, কথিত গ্রহ(আসলে সবই নক্ষত্র) বসবাসযোগ্য কিছু নয়।সেসব ঠিক তেমমি যেমনি আমরা খালি চোখে মিটিমিটি জ্বলতে দেখি। হয়ত বিশ্বাস হচ্ছে না। দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=AJJ_z6pwUrE

জ্বী বাস্তবতা একদম বিপরীত যা দ্বারা এত দিন টিভি মুভি দিয়ে ব্রেইনওয়াশিং করা হয়েছে।
আরো শকিং সত্য হচ্ছে পৃথিবীর কোন কার্ভ নেই। এখন পর্যন্ত কোন কোন প্রমান নেই পৃথিবীর গোলক বাকের। ৩ লক্ষ ফুট উপরে গিয়েও কোন কার্ভ দেখা যায় নি। হোরাইজন সব সময় আই লেভেলে। একদম ফ্ল্যাট। অর্থাৎ এজ ফ্ল্যাট এজ প্যানকেইক। কিন্তু খাতা কলমে হিসাব আছে প্রতি মাইলে ৮ বর্গইঞ্চি কার্ভ। টিভি মুভির পৃথিবী চিত্র কম্পিউটার এনিমেশন আর গ্রাফিক্সের কারসাজি। ক্যামেরার ফিস আইলেন্স আর গো প্রো ক্যামেরাও ভুয়া কার্ভ তৈরি করে। ফিস আই লেন্স ব্যবহার করলে পাচ তলা বিল্ডিং এর ছাদে গেলেই ক্যামেরায় পৃথিবী গোলক বৃত্তের ভুয়া কার্ভ দেখাবে। ক্যামেরা ঘোরালে অবশ্য কনকেভ কনভেক্সও হয়ে যাবে। হাহা।

বাস্তবিক আকাশ বিজ্ঞান নিয়ে ভাবলে পুঙ্খানুপুঙ্খ মিলে যায় কুরআন আর হাদিসের সাথে। মোডারেটদের দ্বারা এযুগে যেসব লেখা দেখেন এযুগের এস্ট্রোনমি কুরআনকে মিলিয়ে, সেসব একদমই যুক্তি নির্ভর দূরবর্তী ভুল ব্যাখ্যা।আর মাত্র ৫০০ বছর আগের‍ যেকোন আলেম মুহাদ্দিস মুফাসসিরের লেখা মহাবিশ্বের বর্ননা এযুগের উলটো। মনে রাখতে হবে সেযুগের আলেমদের চিন্তা এক এক করে সর্বশেষে নবী(সা) পর্যন্ত পৌছেছে। তখনকার জামানার এস্ট্রোনমির ধারনায় খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। গ্রীক এস্ট্রনমির প্রভাব পড়েছিল বটে। তবে সেটার ধারনা কুরআন সুন্নাহ থেকে খুব বেশি দূরে ছিল না। শুধু মাত্র ৫০০ বছর আগেই বিরাটকার পরিবর্তন আসে।একদম পুরো ধারনা পালটে দেয়।আমি লক্ষ্য করেছি, হয়ত এরূপ পরিবর্তন ধর্মকেন্দ্রিক চিন্তা থেকে বের করে আনবার জন্য হয়েছিল।তখনই চলছিল রেস্টোরেশন এজ। রেনেসাঁ বা রেস্টোরেশনের মূল প্রতিপাদ্য থিমই ছিল ধর্মভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে ধর্মবিরোধী সমাজের রিবার্থ ঘটানো। ইংরেজি সাহিত্যের সাথে যুক্ত যারা তারা বিষয়টা বুঝবেন।পৃথিবী গোল বানানো মানে আসমানি কিতাবগুলোর কাউন্টারে চলে যাওয়া। কারন শুধু কুরআন নাহ, তাওরাত, আর খ্রিষ্টানদের দেওয়া গ্রন্থেও একই ধরনের বর্ননা।
এরই ধারাবাহিকতায় এখন গ্লোবিউলার আর্থের থিওরি সুপ্রতিষ্ঠা লাভের পরে বিজ্ঞানপন্থি ধর্মহীন(নাস্তিক)রা কুরআনিক ভার্স নিয়ে অনেক হাসি তামাশা করছে।

চমৎকার বিষয় হচ্ছে কতটা নিম্নমানের আর সস্তা হলে একজন মুসলিম দাবীকারি ওই কাফেরদের তত্ত্বকে গ্রহন করে বুকে আঁকড়ে ধরে, আর সেই তত্ত্বকে কেন্দ্র করে রহমানের কথার উল্টো ব্যাখ্যা করে!! ওরা জিল্লতীকেই মেনে নিয়েছে, এখন কাফেরদের বাধানো ঘাটে, ওদের পানি খেয়েই, পানির গুণকীর্তন করে।আর বলে রহমান ঠিক এই পানির পান করবার কথাই বলেছেন!! সুতরাং আশা করি বুঝতে পারছেন, তারা কতটা জ্ঞানী। তাদের সাহসের তারিফ করতে হয় যারা এ যুগে এসে একদম কাফেরদের তত্ত্ববিরোধী কথা বলেন। মানে সৌদিআরবের অধিকাংশ আলেমদের কথা বলছি। আমরা কতই না এস্মার্ট মোজলেম, তাদের কথা নিয়েও হাসিতামাশা করি!

গ্রহ বলে কিছু নেই সবই তারকা।কিছু চলমান কিছু স্থির, আর তারকাগুলো সূর্যের ন্যায় কিছু নয়। সূর্য চাঁদ নক্ষত্রের প্রকার থেকে একদম ভিন্ন। পৃথিবী সমতল আর আবদ্ধ(গাশিয়াহ ২০,আর রহমান ৩৩)।আকাশটা শুন্য নয় বরং সলিড। আকাশটা পানির বিরাট আধার। এর উপরে সাত স্তরের আকাশ।

আমাদের চেনা পৃথিবী একটি সমতল জমিন। এর নিচে স্তরে স্তরে মোট সাতটি।আমরা মানুষরা মোট ১৪ স্তরের একদম মাঝে। বৃষ্টির পানিটা একদম ফ্রেশ ও intact। ধারনা করি নিচের জমিনের পানি গুলো আমাদের ইউজড,তবে পিউরিফাইড।
পৃথিবীর প্রান্তের ব্যপারে কেউ এখনো কিছু জানেনা।অনেক হাইপোথেসিস আছে এ নিয়ে।যাহোক, সমুদয় বিষয় একটা বিষয়কে স্পষ্ট করে, যে আপনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি অনেক মানুষের মধ্যে। আল্লাহ এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা। এই কসমোজনিতে আল্লাহকে অস্বীকারকারীরা চরম স্টুপিড অথবা পাগল।আর আল্লাহ আমাকে-আপনাকে বিশেষ উদ্দেশ্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। অকারনে বা উদ্দেশ্য বিনা নয়।আপনি ইউজলেস নন। কিন্তু নাস্তিকতার বিজ্ঞান আপনাকে নিজেকে তুচ্ছ, উদ্দেশ্যহীন ইউজলেস ক্রিয়েচার ভাবতে শেখাবে। উপরে ছবিগুলো দেখুন। ওরা আপনাকে শেখাবে ইউ আর ইনরমাসলি ইন্সিগনিফিক্যাণ্ট! জ্বী, স্রষ্টাহীন মহাবিশ্বের কোটি কোটি গ্রহের একটির কোন প্রান্তে আগাছার মত আপনি একা একাই গজিয়ে উঠেছেন। কোন দাম নেই আপনার! তাই সফল সে-ই, যে বেচে থাকা অবস্থায় প্রতিযোগিতায় সম্পত্তি আর খ্যাতি কামিয়ে যত বেশি উপভোগ করতে পেরেছে। সে-ই সিগনিফিক্যান্ট। অতএব, ওরা শেখাচ্ছে সাফল্যের মানদণ্ড ভোগেই!
তাই বুঝতে পারছেন এই সমাজ সত্য থেকে কত দূরে।

অথচ মহান রব এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছেন। অবশ্যই ক্রিড়াচ্ছলে নয়। আপনি আমিও একদমই উদ্দেশ্যহীন নই। আমাদের উদ্দেশ্যটাকে শুধু মাত্র ব্রেইনওয়াশিং ব্যবহার করে ঘুরিয়ে ম্যাটেরিয়ালিজমের দিকে নিতে সক্ষম হয়েছে।মহান সৃষ্টিকর্তা আপনাকে দুনিয়াতে তার প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন(২:৩০)। তিনি আপনাকে প্রথম জমিনে রেখেছেন সম্মান দিয়ে। সম্মান দিয়েছেন আশরাফুল মাখলুকাতের। কাজ হচ্ছে ইবাদত করা। তার প্রতিনিধিত্ব বাস্তবায়নে আমরন কাজ করা যদি তা প্রতিষ্ঠিত না থাকে। এ উদ্দেশ্য দিয়েই প্রায় দেড় লাখ নবী,রাসূল পাঠিয়েছেন(৯:৩৩)। প্রতিনিধির আরবি হচ্ছে খলিফা। আর প্রতিনিধিত্ব=খিলাফত। মহান রব সেটা প্রতিষ্ঠিত করনে প্র‍য়োজনে যুদ্ধ করতে বলেছেন (২:১৯৩),এটা ইউনিভারসাল ওয়ার,যতক্ষন না দ্বীন(আইডিওলজি/মতবাদ/আদর্শ/ধর্ম) এক আল্লাহর প্রতিষ্ঠিত হয়।আর যারা একাজে মৃত্যু বরন করে তারা আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা পূরন করল(৩৩:২৩)। ওরাই চীরসাফল্য অর্জন করল(৯:১১১)। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি।

এসমাজ ব্যবস্থা এমন করেই ডিজাইনড যে আজ মুসলিম তাওহীদের পূর্ন স্বীকৃতি দিতে জানেনা।কালেমার অর্থটাও পূর্নভাবে জানেনা। শুনুন- https://ia600807.us.archive.org/17/items/BanglaIslamicBestLecturesbooks/LaIlahaIllallah-ItsMeaning_ExplanationAndImplementation.Part-01.mp3

আজ আল্লাহর পছন্দকৃত শেষ জাতি মুসলিমরা নিজেকে চেনেনা, সৃষ্টিজগতকে চেনে না, তার উদ্দেশ্যকেও জানে না। যার জন্য হয়ত দ্বীন পালন করতে শুরু করলেও তার স্থায়িত্ব অল্প দিনের।কিছুদিন পরে আবারো জাহেলিয়াতের জীবনে ফিরে যায়। হে প্রিয় ভাই, দুনিয়ার ফায়দা সীমিত।আখিরাত অসীম। তাই কুফফারদের বাধানো স্রোতে নিজেকে এলিয়ে দেবেন না। যদি সে স্রোতের বিপরীতে চলার মধ্যে সত্য থাকে, তবে সেটাই উত্তম।দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন। আসুন মহাসাফল্যের পথে। যে পথ সরল পথ। স্বয়ং আল্লাহই বলে দিয়েছেন যে পথে চলার মাধ্যমে তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হয়।

দুনিয়াটা শুধুমাত্র পরীক্ষা ক্ষেত্র। এই পরীক্ষার ভূমিতে পিছিয়ে থাকবেন নাহ।
"আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব যে পর্যন্ত না ফুটিয়ে তুলি তোমাদের জেহাদকারীদেরকে এবং সবরকারীদেরকে এবং যতক্ষণ না আমি তোমাদের অবস্থান সমূহ যাচাই করি।"
_________________________সূরা মুহম্মদ-৩১
https://video-sjc2-1.xx.fbcdn.net/v/t42.3356-2/18911211_790955977741067_2690605502647238656_n.mp4/video-1496444016.mp4?vabr=60204&oh=f405be9d81999d61e9bf05d274d71d76&oe=5934D1DB&dl=1

লেখকঃ Al Imran

Thursday, November 16, 2017

সমতল পৃথিবীর বিষয়টি অনেকের কাছেই আনএক্সেপ্টেবল।


সমতল পৃথিবীর বিষয়টি অনেকের কাছেই আনএক্সেপ্টেবল। এর প্রধান কারন 'ব্রেইনওয়াশ'। যারা যত বেশি টিভি-মুভির সাথে সম্পর্ক যুক্ত তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরো বেশি অগ্রহণযোগ্য। আর সাইন্টিফিক ফ্যান্টাসি থাকলে তো আর কথাই নাই। তাদের ক্ষেত্রেও এটা শকিং যারা সারাজীবন বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে ছিলেন, আর সকল পড়াশুনা ছিল সৌরজগৎ কেন্দ্রিক তাই পৃথিবী কেন্দ্রিক সমতল-বদ্ধ ও জিওস্টেশনারী কসমোজনি বিরাট এক ধাক্কা। এজন্য এ সকল শ্রেনীর লোকদের থেকে সবচেয়ে বেশি বিদ্রুপ ও বিরুদ্ধাচরণ দেখা যায়। এদের কিছুর বিজ্ঞানান্ধতা এত বেশি যে সকল তথ্য প্রমান পাবার পরেও মহাকাশ ও জাগতিক ভ্রান্ত শিক্ষাকেই চোখ বন্ধ করে আঁকড়ে ধরে থেকে নির্বোধের মত বিদ্রুপ করে। এর কোন মানে হয় না!

ফ্ল্যাট আর্থ এখন সুবিশাল একটি বিপ্লবে রূপ নিয়েছে। এই এস্ট্রোনমির গ্রহণকারীর সংখ্যা মিলিয়ন ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। আমেরিকায় (যুক্তরাষ্ট্র) সবচেয়ে প্রকট। অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেনেও অনেক সমতল পৃথিবীর সমর্থক-গবেষক রয়েছে। তাছাড়া পাশ্চাত্যের অন্যান্য দেশ গুলোতেও এর অগণিত সমর্থক রয়েছে।কিছু লোককে দেখি ফ্ল্যাট আর্থ দেখলেই খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস বলে নির্বোধের মত আঙ্গুল তোলে এর দিকে। জানতে ইচ্ছে করে, তারা কি এ ব্যপারে অজ্ঞ যে ৫০০ আগে জিওসেন্ট্রিক-জিওস্টেশনারী এস্ট্রোনমিই প্রতিষ্ঠিত সত্য অথবা বিজ্ঞান রূপে ছিল।আর বর্তমানে পৃথিবীর আকার সম্পর্কে খ্রিস্টানদের অফসিয়াল বিশ্বাস হচ্ছে গ্লোবিউলার হেলিওসেন্ট্রিক মডেল। Answering-islam নামের খ্রিষ্টানদের বড় ওয়েবসাইট আছে যেখানে ওরা কুরআনের এরর ধরার প্রাণান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে। ওরা ইতোমধ্যে কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী যে মহাজগতের বর্ননা এসেছে সেটাই দেখিয়েছে Error হিসেবে। সেটা আবার এপোলোজেটিক মোডারেট স্টাইলে খন্ডন করার চেষ্টায় আছে এন্সারিং-খ্রিষ্টিয়ানিটি নামের ওয়েবসাইট। ক্যাথলিক বিদ্বেষী অল্প কিছু খ্রিষ্টানরা এ শতাব্দীতেও বিশ্বাস করে জিওসেন্ট্রিক মডেলে, যদিও ওদের বিকৃত কিতাবে এ ব্যপারে অতটা স্পষ্ট নয়, যেমনটা আমাদের কুরআনে এ বিষয়ে স্পষ্ট। এজন্য কাফেরদের মধ্যে নাস্তিকরা কুরআনকে ফ্ল্যাট আর্থ বুক টাইটেল দিয়ে ভিডিও বানিয়েছিল।আসলে ওরা নিজেদেরকেই বিদ্রুপ করেছে। সেসমস্ত নাস্তিকদের উদাহরণ হচ্ছে এরূপ যে একজন মূর্খ ঘোড়ার পিঠে চেপে আছে অথচ বলছে 'আমি এমূহূর্তে হাতির পিঠে বসে আছি'। যারা জিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমিকে খ্রিষ্টানদের প্রডাক্ট মনে করে ওরা আসলে অপদার্থ কাফের খ্রিষ্টানদের বিষয়েই ভাল জ্ঞান রাখেনা।

দেখা যায় সামান্য সংখ্যক সমতল পৃথিবীতে বিশ্বাসকারী খ্রিষ্টানরা মুসলিমদের সাথে সেধে বন্ধুত্ব করতে চায়। ওরা ইসলামের সত্যতার ব্যপারে ভালই জানে কিন্তু মুসলিম হবেনা বাপদাদাদের জন্য। এজন্য এদের কতক দাওয়াত পেলে নিশ্চুপ থাকে। তাই বলে এদের সাথে আপোষ করা বা ফ্রেন্ডশিপ করার বৈধতা নেই। যদি কেউ বলে থাকে তবে আশংকা করি সে নযরের বদনযর প্রাপ্ত।

এ যুগে যে সমতল পৃথিবীর ব্যপারে বিশ্বাসগত বিপ্লব চলছে সেটাতে যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আছে স্পিরিচুয়ালিস্ট,এর পরে আছে ডেইস্ট -এগনস্টিক, অল্প কিছু খ্রিষ্টান, সামান্য কিছু ধর্মহীন(ফর্মার এথিস্ট)। এদিকে মুসলিমদের মধ্যে আরব মুসলিমদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর কারন ওরা সরাসরি বোঝে আল্লাহ তার আয়াতে কি বলেছেন। আর আজমীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইন্দোনেশিয়ায়!

পাইলটরা পৃথিবীর সমতলতার ব্যপারে সবচেয়ে বেশি নিশ্চিত জ্ঞান রাখে। অল্প কিছু পাইলট এর ব্যাপারে মুখ খুললেও অধিকাংশই চুপ থাকে ও গোপন রাখে চাকরি হারানোর ভয়ে আর মানুষ বোকা বলবে বা তিরস্কার শোনার ভয়ে। দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=VaUBrui9L1I

https://m.youtube.com/watch?v=I8ar7vDm-WA

তাছাড়া অনেক অখ্যাত বিজ্ঞানী, গবেষকরা,ইঞ্জিনিয়াররা জিওসেন্ট্রিক কসমোলজির ব্যপারে সুনিশ্চিত। এক ইঞ্জিনিয়ারকে দেখলাম চমৎকারভাবে গ্লোবিউলার মডেলকে ডিস্প্রুভ করলেন। এমনভিডিও সত্যিই রেয়ার। দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=vbHI8ezKgjE

সমতল পৃথিবীর এই ফেনোমেনা নতুন কিছু নয় আবার খুব বেশি প্রিমিটিভও নয়। মাত্র ৫০০ বছরের আগের প্রতিষ্ঠিত জ্ঞান ও বিজ্ঞান। ১৭০০ সাল পর্যন্ত চীনের অফিশিয়াল বিজ্ঞান ফ্ল্যাট আর্থ ভিত্তিক। উইকিপিডিয়াতে উল্লেখ এসেছে স্পষ্টভাবে যে ওরা জেসুইট অর্ডারের চাপে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয় গ্লোব মডেলে সুইঁচ করতে। যাদের কাছে এটা খ্রিষ্টীয় ডগমা মনে হয়, তাদের উচিৎ ইতিহাস জানা। আর একদম ব্রেইনওয়াশডরা গ্লোবালিস্টরা জানেও না Copernican আর Ptolemy'র এস্ট্রোনমির ইতিহাস। ওরা জানেনা গ্রাভিটির ইতিহাস। ওদের সাইকোলজিক্যাল ন্যারোনেসের কারন স্বল্প জ্ঞান।
 এটা সত্য যে কুয়োর ব্যাঙের কাছে ছোট্ট কুয়োই বিশাল জগৎ। আর ছোট্ট পুঁটিমাছের জন্য ছোট্ট ডোবা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে টাইসন,বিল নিই রা সবচেয়ে বেশি সমতল পৃথিবীর বিরুদ্ধে বিদ্রুপ করে যাচ্ছেন। জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে কেউ যখন ফ্ল্যাট আর্থের পক্ষে কথা বলে সে বিজ্ঞানীগন তাদেরকেও অপমান করতে ছাড়েনা।কন্সপাইরেসি থিওরিস্টদের চ্যানেল গুলোর বড় একটা অংশও ফ্ল্যাট আর্থকে সমর্থন করে। ওরা তারা যারা ইল্যুমিনাতি-ম্যাসনিক অকাল্টিজমকে এক্সপোজ করত।
তবে একটা বিষয় উদ্বেগজনক। ফ্ল্যাট আর্থ সমস্ত প্যাগানদের পুনর্জাগরন ঘটাচ্ছে এবং ঘটিয়েছে। বিশেষ করে এস্ট্রলজি। zodiac cycle গুলো খুবভাল ভাবে কাজ করে পুরাতন জিওসেন্ট্রিক মডেলে।যখন এস্ট্রলজি খুব ফ্লারিশড ছিল তখনকার এস্ট্রনমি ছিল জিওসেন্ট্রিক ফ্ল্যাট প্লেইন। যার ফলে ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়েছে আধ্যাত্মবাদ। বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলা Geocentric cosmology এর পক্ষেই উক্তি করেছিলেন, তাছাড়া তার কর্ম আর চিন্তা গুলোও ফ্ল্যাট আর্থ কেন্দ্রিক, তাই তাকে আধ্যাত্মবাদীরাও আদর্শ হিসেবে গ্রহন করেছে।

একটা বিষয় স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে সরাসরি দাজ্জালের অনুসারীরাই ফ্ল্যাট আর্থের প্রোমোটিং এ কাজ করছে পাশ্চাত্যে।এদিকে ইউটিউবও খুব সহযোগীতা করছে, ফ্ল্যাট আর্থ প্রুফ গুলোকে প্রোমোট করে। ইউটিউব এ ঢুকলেই মাঝেমধ্যে ফ্ল্যাট আর্থের ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে নাটক করছে মাইক জ্যাকের চ্যানেল(ওডিডি টিভি) সহ অনেক ভিডিও রিমুভ করে। কোন কিছু গোপন করার খেলা খেললে সেটারই পাবলিসিটি এমনিতেই বাড়ে। প্রথমেই দেখি এরিক দুবেই কিছু গ্রাফিক্যাল সিমুলেশনে দিয়ে গ্লোব আর্থকে ডিস্প্রুভ করতে। ধীরে ধীরে পপুলারিটি পেতে থাকলে একপর্যায়ে সেলিব্রেটির পর্যায়ে যায়। পরে দেখা যায় স্পিরিচুয়ালিজমকে (নিউএজ) প্রমোট করছে আর মানুষকে সেদিকে আহব্বান করছে।

হাজারো জিনস্টিস্ট,মিস্টিক রা ফ্ল্যাট আর্থে মাথা চাড়া দিয়ে কাজ করা শুরু করে। Yoda টিভিরা প্রচার করে You have to unlearn,what you have learned। অর্থাৎ মতলব হচ্ছে আগের সব শেখানো শিক্ষাকে ইরেজ করুন, হোক সেটা ধর্মতাত্ত্বিক বিষয়। দাজ্জাল যে তার অনুসারীদের দ্বারা এখন এই ফ্ল্যাট আর্থ প্লটটাকে বেছে নিয়েছে,কুফরি আর এস্ট্রলজি বেজড ব্ল্যাক আর্ট প্রচার করার জন্য, সেটা স্পষ্ট।।জিওসেন্ট্রিক কসমোলজিক্যাল মডেলে সৃষ্টিজগৎ এর গুহ্যজ্ঞান লাভের জন্য টেসলার তিনটি তত্ত্ব একমাত্র কাজ করে এজন্য টেসলাও গ্লোরিফাইড হয়েছে ওদের দ্বারা। আধ্যাত্মিক সাধনার পথে চালনার একটা বিশাল লাভ হচ্ছে ঐ ব্যক্তির আল্লাহর রাস্তায় ফেরত আসবার পথকে বন্ধ করে দেওয়া। সে আগে থেকে কাফের হলেও দ্বীনে প্রত্যাবর্তন এর দ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারন ওদের বিলিভ সিস্টেম একদমই মনোথেইজমের বিপরীত মেরুর।। এমনকি এক মুসলিম নামওয়ালা একজনের আইডি দেখেছিলাম, ওদের পাতানো ফাদে পা দিয়ে কাব্বালা(আর্ট অব ন্যাক্রোমেসির ইহুদিদের একটা স্কুল অব টিচিং) চর্চা শুরু করেছে। ইন্না লিল্লাহ!! এজন্যই ইউটিউবের ৮৫% ভিডিও গুলো ওদের। আর সেসব ওদের ডিসিপ্টিভ চিন্তা-দর্শন বহন করে।আর কাফেরদের ইউটিউব দিয়ে সেসব ভাইরালকরন চলছে। যেকেউ ওদের ফাদে পা দেবেই,যার মাঝে তাওহীদের জ্ঞান নেই। এজন্য এ ফাদের বিষয়ে সাবধান থাকবেন।

উম্মাহর চলমান দুর্দশার সময়ে এসব নিয়ে আলোচনার সময় সত্যিই নেই। কিন্তু বাধ্য হয়ে লিখতে হচ্ছে যখন দেখি কিছু ভাই সত্যের প্রচারক অথচ আকাশবিজ্ঞান আর সৃষ্টি জগৎ এর ব্যপারে ভুল/ মিথ্যা তথ্য প্রচার করছেন,আর মানুষ সেটা গ্রহন করছে। এটা মনে রাখা জরুরী যে আমাদের কাফেরদের তথ্যের ব্যপারে সাবধান হওয়া উচিৎ। এ আর্টিকেলটি লেখার উদ্দেশ্য এটা বোঝানো যে সমতল পৃথিবীর নোশন খ্রিষ্টীয় নয় যে ফেইক অ্যালিগেশন অনেক নির্বোধ করে থাকে এবং বর্তমান সময়ে এর গ্রহণযোগ্যতা বিশেষ সম্প্রদায়ের মাঝেও কেন্দ্রিভূত নয়। আর এরূপ বিশ্বাসে অপমানবোধ অথবা নঞর্থকতার কিছু নেই। কিন্তু যারা কুয়োর ব্যাঙ তাদের জন্য বড়ব্যাঙ থিওরি নিয়ে বসে থাকাই সমীচীন।

Wednesday, November 15, 2017

আকাশ, তারকারাজি ও পৃথিবী (বাস্তবতা এবং কুরআনের আলোকে)

এখনো আসমানে মিটিমিটি করে জ্বলছে। আপনি তো খালি চোখেই তারকারাজিদেরকে কেঁপে কেঁপে জ্বলতে দেখছেন। সন্ধ্যার সময়েও শুকতারাকে(কথিত-শুক্রগ্রহ) দিগন্তে উজ্জ্বল হয়ে মিটিমিটি করেই জ্বলতে দেখেন। যখন শক্তিশালী ক্যামেরা দিয়ে জুম করা হয় ভেনাস বা শুক্রগ্রহ/শুকতারাকে প্রথম ছবির ন্যায়ই দেখা যায়। নয়বার ভিন্ন ভাবে দেখাবার কারন হচ্ছে, এই গ্রহ(!) কাঁপতে থাকে প্রচন্ড গতিতে,সেই কম্পনের মোশনে গ্রহটির বিভিন্ন রূপ ধারনকে বোঝাতে প্রথম ছবিতে ৯ বার পাশাপাশি দেখানো হয়েছে। আর ঠিক নিচেই শুক্রগ্রহর অফিসিয়াল ইমেজ দেওয়া হয়েছে যা স্পেসসংস্থা গুলো আমাদের দেখিয়ে বোকা বানিয়ে রেখেছে।লক্ষ্য করুন, এটা কমনসেন্স! আপনি সন্ধায় আসমানে শুক্রগ্রহর কম্পনকে প্রত্যক্ষ করছেন যা আমরা 'মিটিমিটি করে জ্বলে' শব্দগুচ্ছ দ্বারা বোঝাই। কিন্তু বিশ্বাস করছেন শুকতারাটি একটি গ্রহ। যাকে ইংলিশে ভেনাস বলেন। আপনি বিশ্বাস করেন যে এই ভেনাস সলিড সার্ফেসযুক্ত পৃথিবীর ন্যায় গ্রহ যেখানে অবতরণ করা যেতে পারে বা প্রানী থাকলেও থাকতে পারে! অর্থাৎ নিজ চোখে দেখছেন একটা আর বিশ্বাস করছেন আরেকটা। 😆 কিন্তু ব্রেইনওয়াশড বললে আবার অপমানজনক লাগে!!

২য় ছবিতে মঙ্গল'গ্রহ'কে দেখছেন। ইহাও তো মঙ্গল তারকা হবার কথা! কারন এর ক্ষেত্রেও একই কেইস। মার্সও মিটিমিটি করে জ্বলে, আর এই কম্পন চেহারাকে ডিস্টোর্ট করে বারবার যার জন্য নিচে ছয়টি ইমেজ দেওয়া হয়েছে যা নিকন পি৯০০ ক্যামেরা থেকে ধারন করা। এটাও তো গ্রহ বলতে যা বোঝায় তার পর্যায়ভুক্ত না। কিন্তু নাসা,রাসা সংস্থা গুলো আমাদের ২য় ছবির উপরের বলটিকে দেখায়। আমাদেরকে বলে, সেখানে মানববসতি গড়বে, প্রান থাকতেও পারে, মুভিও অজস্র বানিয়েছে। অথচ দেখুন এটা কি বসবাসের উপযোগী কিছু(লিভ্যাবল টেরাফার্মা) 😆😆 ?? তারকার মধ্যে বাস করবেন কি করে, অবতরণ করবেন কোথায়??

৩য় ছবিতে দেখছেন অন্যান্য সাধারন তারকাদের বাস্তব ছবি। এই তারকাদের গঠন আর মঙ্গল,শুক্রের গঠনগত কোন পার্থক্য আছে কি?/!
এরা দেখতে ভিন্ন কিন্তু জিনিস একই। সবই তারকা।

এজন্যই আমরা বলি গ্রহের অস্তিত্ব নেই। গ্রহ বা প্ল্যানেটারি নোশন পুরাই ভুয়া। এলিয়েনবাদ, বিবর্তনবাদ, সৃষ্টিকর্তাহীন জগৎ এবং সবকিছু কস্মিক এক্সিডেন্টের কারনে হয়েছে বোঝাতেই কাফেররা গ্রহ এবং Extra terrestrial life এর থিওরি দাড় করিয়েছে। গ্রহের যে ছবি দেখেন, সেসব কম্পিউটার গ্রাফিক্স,রঙ তুলির কারসাজিতে নির্মিত, আর বিভিন্ন ভিডিও সিজিআই ও থিয়েটার-হলিউড তো আছেই।
একারনেই আউটার স্পেস বলে কিছু নেই বলে পোস্ট করেছিলাম। পাঠকদের মধ্যে যারা ক্লোজড মাইন্ডেড অথবা জ্ঞানহীন ও ব্রেইনওয়াশড , তারা এই বাস্তব সত্যতাকে গ্রহন করতে পারে না।

কিছুদিন আগে আমি নিজেই হাতের নর্মাল এন্ড্রয়েড ফোনটা দিয়ে শুক্রগ্রহকে ফ্রেমবন্দি করতে জুম করে ছবি তুলতে সক্ষম হই। একই ইমেজ পাই যা প্রথম ছবিতে নিকন দ্বারা ধারনকৃত ইমেজগুলো দেখছেন।। সেটা গ্রুপেও পোস্ট করেছিলাম। নূন্যতম নিজের চোখকে বিশ্বাস করুন। আপনি খালি চোখেই ওই সেলেস্টিয়াল অব্জেক্ট গুলোকে মিটমিট করে কেপেকেপে জ্বলতে দেখছেন। সেসব স্রেফ আলো। আরেকটা সত্য হচ্ছে, এই তারকাগুলো সূর্য্যের ন্যায় কিছু নয়।আমাদের সূর্য একদমই ভিন্ন বস্তু। চাঁদ সূর্য এবং তারকা আলাদা আলাদা জিনিস। আমাদেরকে শেখানো হয়েছে তারকারা অন্য গ্রহের সূর্য। অথচ সত্যটা আজ চোখের সামনেই দেখছেন। গ্রহ বলে কিছু নেই, সবই নক্ষত্র। এরা কম্পমান আলোকবিশেষ। আর সূর্য পৃথিবীর জন্য উত্তপ্ত প্রদীপ বিশেষ। আর চাঁদ হচ্ছে শীতল আলো বা নূর।
এই infallible description Quran sunnah আমাদের দেয়। অথচ আমরা উলটো ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করি।

আল্লাহ বলছেন পৃথিবী সমতল বিস্তৃত বিছানাস্বরূপ, আমরা বলি নাহ, পৃথিবী ফ্ল্যাট হতে পারেনা কারন কাফেররা আমাদের বলে ও দেখায় উহা গোলাকার,তাই সমতল বিছানো অসম্ভব। কাফেরদের কাঠগড়ায় ভাল সাজতে মুর্তাদের বানানো উটপাখির ডিম থিওরিকে বানিয়ে নিয়েছি।
অথচ আল্লাহ বলেনঃ "আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে করেছেন বিছানা"(নূহঃ১৯)

"এবং পৃথিবীর দিকে যে, তা কিভাবে সমতল বিছানো হয়েছে?"(গাশিয়্যাহ ২০)

আল্লাহ বলেন তিনি আসমানকে করেছেন ছাদ। কিন্তু আমরা বলি, নাহ মানি না, আকাশ ছাদ হতেই পারেনা, এটা তো অশিক্ষা ও অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগের ধারনা। বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানী কাফেররা আমাদের দেখায় ও বলে যে মাথার উপর আকাশ মানে মহাশূন্য, কোন লিমিট নেই। অনন্ত, অসীম,সীমাহীন শূন্যতা। আমরাও কুরআনের ব্যখ্যা দেই এই আকাশ মানে বায়ুমণ্ডলের স্তর....।

অথচ আল্লাহ বলেনঃ "যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন,...." (বাকারাঃ২২)

"আমি আকাশকে সুরক্ষিত ছাদ করেছি; অথচ তারা আমার আকাশস্থ নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে"(আম্বিয়া ৩২)

"আল্লাহ, পৃথিবীকে করেছেন তোমাদের জন্যে বাসস্থান, আকাশকে করেছেন ছাদ "(মু'মিন ৬৪)

"এবং সমুন্নত ছাদের"(তূরঃ৫)

"এবং তিনি আকাশ স্থির রাখেন, যাতে তাঁর আদেশ ব্যতীত ভূপৃষ্টে পতিত না হয়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি করুণাশীল, দয়াবান।"(22:65)

"হয় তো এর কারণেই এখনই আসমানসমূহ ভেঙ্গে পড়বে, পৃথিবী খন্ড-বিখন্ড হবে এবং পর্বতমালা চূর্ণ-বিচুর্ণ হবে"(মারিয়াম ৯০)

"আকাশ উপর থেকে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয় আর তখন ফেরেশতাগণ তাদের পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করে এবং পৃথিবীবাসীদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে। শুনে রাখ, আল্লাহই ক্ষমাশীল, পরম করুনাময়(৪২:৫)"

আল্লাহ বলেন তিনি আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষন করেন, আমরা বলি বিজ্ঞানী কাফেররা আমাদের বুঝিয়েছে পানিচক্রের এক পর্যায়ে প্রাকৃতিভাবে বৃষ্টি হয়। আকাশ একটা ছাদ আর সেটা থেকে বারিধারা আসে এটা তো অন্ধকার যুগের জ্ঞানহীন কথা।

আল্লাহ বলেনঃ
"যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে.." (বাকারা ২২)

"তখন আমি খুলে দিলাম আকাশের দ্বার প্রবল বারিবর্ষণের মাধ্যমে"(ক্কামার ১১)

আল্লাহ বলেন, তিনি নক্ষত্রদের সৃষ্টি করেছেন আলোরূপে আসমানের সজ্জ্বারূপে, শয়তানের প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে এবং পথ খুজে পেতে। কিন্তু আমরা বলি তারকারা হচ্ছে অন্য গ্রহজগতের বিরাট বিরাট সূর্যস্বরূপ। শয়তানের ক্ষেপণাস্ত্র বলতে আসলে এসব ধর্মীয় উপকথা, কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান ও কাফের বিজ্ঞানী( :* ) রা বলে সেসব ভিন্ন ভিন্ন সোলার সিস্টেমের সূর্য। আমরা টিভিতে দেখি এবং অনেক ম্যাথ করি তারকাদের ভর, আকার নির্নয় করতে।

আল্লাহ বলেনঃ
"আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুসজ্জত করেছি; সেগুলোকে শয়তানদের জন্যে ক্ষেপণাস্ত্রবৎ করেছি এবং প্রস্তুত করে রেখেছি তাদের জন্যে জলন্ত অগ্নির শাস্তি"(67:5)

হযরত কাতাদাহ (রঃ) এর সাথে একমত পোষন করি। তিনি বলেনঃ "তারকারাজি তিনটি উপকারের জন্য সৃষ্টি হয়েছে। এক.আকাশের সৌন্দর্য, দুই.শয়তানের মার, তিন.পথপ্রাপ্তির নিদর্শন। যে ব্যক্তি এ তিনটি ছাড়া অন্য বিষয়ের অনুসন্ধান করে সে তার নিজের মতের অনুসরণ করে এবং নিজের বিশুদ্ধ ও সঠিক অংশ হারিয়ে ফেলে,এবং অধিক জ্ঞান ও বিদ্যা না থাকা স্বত্ত্বেও নিজেকে বড় জ্ঞানী বলে প্রমানিত করার কৃত্রিমতা প্রকাশ করে।"(আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া)

আল্লাহ বলেন সূর্য হচ্ছে উজ্জ্বল আলোকময়, যা পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে, অথচ আমরা বলছি বিজ্ঞান আমাদের বলে, পৃথিবী সূর্য্যের চারিদিকে ঘুরছে আর এটা সৌরজগতের আলোদাতা।কুরআনের সূরা ইয়াসিনে বলা হচ্ছে সবাই ঘুরছে(মিথ্যাচার ও ভুল ব্যাখ্যা)।

অথচ আল্লাহ বলেন পৃথিবী স্থির, আর সূর্যই চলমান।

An-Naml 27:61
أَمَّن جَعَلَ ٱلْأَرْضَ قَرَارًا وَجَعَلَ خِلَٰلَهَآ أَنْهَٰرًا وَجَعَلَ لَهَا رَوَٰسِىَ وَجَعَلَ بَيْنَ ٱلْبَحْرَيْنِ حَاجِزًاۗ أَءِلَٰهٌ مَّعَ ٱللَّهِۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ
Is He [not best] who made the earth a stable ground and placed within it rivers and made for it firmly set mountains and placed between the two seas a barrier? Is there a deity with Allah ? [No], but most of them do not know.
Ghafir 40:64
ٱللَّهُ ٱلَّذِى جَعَلَ لَكُمُ ٱلْأَرْضَ قَرَارًا وَٱلسَّمَآءَ بِنَآءً وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْ وَرَزَقَكُم مِّنَ ٱلطَّيِّبَٰتِۚ ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبُّكُمْۖ فَتَبَارَكَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلْعَٰلَمِينَ
It is Allah who made for you the earth a place of settlement and the sky a ceiling and formed you and perfected your forms and provided you with good things. That is Allah, your Lord; then blessed is Allah, Lord of the worlds.
قَرَارًا= fixed, stable,firmness, steadiness, tranquility

"নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? তিনি সহনশীল, ক্ষমাশীল"(35:41)

পৃথিবীর স্থবিরতা আর সূর্যের গতির ব্যপারে শাইখ সালিহ আল ফওজান, আব্দুল্লাহ আল জিব্রিন, সালিহ আল উসাইমিন, আব্দুল্লাহ আব্দুল আজিজ বিন বাজ প্রমুখ যা বলেছেন সেটা যথেষ্ট। মোশনের ব্যপারে বিজ্ঞানপন্থীদেরকে তাকফিরও করেছেন শাইখ বিন বাজ(রহঃ)(বিস্তারিতঃউইকিপিডিয়া)।

আল্লাহ চাদকে স্নিগ্ধ আলোবিতরনকারী বলেছেন।আমরা বলি বিজ্ঞান আমাদের বলে চাদের আলো হচ্ছে ধার করা আলো।।

আল্লাহ বলেনঃ "তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারিত করেছেন এর জন্য মনযিল সমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ এই সমস্ত কিছু এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণসমূহ সে সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে"।(ইউনুসঃ৫)

মোডারেট বা কাফেরদের প্রিয় মুসলিমরা আমাদের বলতে চায় উক্ত আয়াতে نُورًا মানে ধার করা আলো!!
ইবনে তাইমিয়া(র) শুদ্ধ বলেছিলেন। কুরআনে চাদের নিজস্ব আলোকে বোঝানো হয়েছে। সম্প্রতি পরীক্ষায় দেখা গেছে চাদের আলো স্নিগ্ধ ও শীতল। ছায়া ও চাদের আলোয় তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র দিয়ে একাধিক পরীক্ষায়, এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=9muc2mT9pBU

চাদের আলোঃ
https://m.youtube.com/watch?v=prDcgT64CSw

https://m.youtube.com/watch?v=ZIpAHKzdSB4

সুতরাং, এবার ভেবে দেখুন কত ভ্রান্তির মধ্যে ডুবে আছি। আর আল্লাহ যা বলেছেন তার বিপরীতটা বিশ্বাস করছি! অথচ বাস্তবতা ঠিক তাই যা যা আল্লাহ বলেছেন,সেটা নিজের চোখেই দেখছেন। আর কমন সেন্স থাকলে অস্বীকার করবেন না। কমন সেন্স থাকা না থাকার কথা এজন্যই বলছি, কারন- কমন সেন্স ইজ ভের‍্যি আনকমন ইন দ্য কমন পিপল।

তারকাদের স্থির ছবি উপরে দেখলেন, এবার সচল অবস্থায় দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=AJJ_z6pwUrE

যারা ভিডিওর ফুটেজগুলো ক্যামেরা হাতে ধারন করেছে, তাদের অনেককেই আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, কথাও বলেছি, এখানে মিথ্যার বা সন্দেহের কিছু নেই,ভিডিও নির্মাতাকেও চিনি।

সত্য ও মিথ্যাকে স্পষ্টভাবে জানুন। জাযাকআল্লাহ।

লেখকঃ Al Imran