Wednesday, March 31, 2021

মোদি বিরোধী আন্দোলন এবং বাস্তবতা

এটা সুপ্রচলিত কথা, মু'মিনরা একই গর্তে দুইবার পা ফেলে দংশিত হয়না, ন্যাড়া বেল তলায় একবারই যায়। ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের গনহত্যার দ্বারাই শিক্ষা নেয়ার প্রয়োজন ছিল। প্রয়োজন ছিল হেফাজতের ছায়াতলে থাকা বাংলাদেশে কওমী আলিম উলামা ত্বলিবুল ইল্মদের কর্মপন্থাকে পুনর্বিবেচনা করে পরিবর্তন করে ইদাদ ও জিহাদের নববী মানহাজের দিকে আসা। কিন্তু তারা সেই আগের অবস্থানে থেকে ছোট শয়তানের কাছে বড় শয়তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল হরতাল করে। ছোট শয়তান জবাবে তাদের স্বভাবসুলভ আচরণই করে ১৭ টি প্রাণকে দুনিয়া থেকে বিদায় দিয়ে। তারা এবার রাবার বুলেট কিংবা টিয়ারশেল না, সরাসরি শটগান, একে৪৭ ব্যবহার করে নিরস্ত্র আলিম উলামাদের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগের ক্যাডাররাও সামরিক বাহিনীর মতই শটগান নিয়ে আলিম উলামাদের উপর বর্বর হামলা চালায়। 


মামুনুল হক সাহেবগনের দ্বীন প্রতিষ্ঠার কর্মপন্থা এরকম যে তারা এক্সিস্টিং শাসকদেরকে মানবরচিত সংবিধান- জুমহুরিয়া দ্বারা শাসনের জন্য তাকফির করে না। এই কারনে তারা তাদের উপর শারঈ একাডেমিক কোন নীতির অনুসরণ করেনা। বরং তারা এই প্রতিষ্ঠিত জাহেলি শাসন ব্যবস্থার উপর সন্তুষ্ট থেকে তাদের থেকে নানান সুযোগ সুবিধার আশা এবং দাবিদাওয়া আদায়ের আশা করে। শাপলাচত্বরে যে মহাসমাবেশ হয়েছিল সেটাও সরকার পতনের বা তাদেরকে তাগুত সাব্যস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ছিল না। বরং উদ্দেশ্য ছিল কুফরি সংবিধানের অধীনে ইসলামবান্ধব কিছু দাবিদাওয়া আদায়ে এত এত দফা।  তাদের দাবিদাওয়া বরাবরেই কুফরি ধর্মনিরপেক্ষতা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা পরিপন্থী তাই এক্সিস্টিং কন্সটিটিউশনে এ্যাপ্লাই করা বেশ প্রব্লেমেটিক। মূল সমস্যা হচ্ছে ঈমান এবং কুফর কখনো একসাথে হয়না। এখানেও তাই। হেফাজতের কর্মপন্থা হচ্ছে কুফরের অধীনে তাগুতকে কুফর না করে ঈমানের নূর প্রোজ্জ্বলনের চেষ্টা। 


কিছুদিন আগে মূর্তি স্থাপন নিয়ে হওয়া প্রতিবাদ আন্দোলনে মামুনুল হক সাহেব একভিডিওতে সরাসরি বলেন, দেশের সংবিধানের সাথে তাদের কোন শত্রুতা বা বিদ্বেষ নেই। আরেক বয়ানে শেখ হাসিনাকে তোষামোদ করে বলেন, 'আল্লাহর রাসূল আমাদেরকে আপনার সাথে আন্তরিকতা রাখতে বলেছেন, এটা আমার ঈমান যে আমি আপনার সাথে আন্তরিকতা রাখব।'

আমরা যেটা শুনছি - তিনি বলছেন, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তাগুতের সাথে আন্তরিকতা রাখতে বলেছেন। এটা তার ঈমানী কাজ!!! 


মোটকথা হচ্ছে তারা তাগুতকে তাগুত বলে স্বীকার করেন না এবং যাবতীয় গণতান্ত্রিক জাহেলি নীতিকে তারা মান্য করেই সব আন্দোলন করে। যেমন, হরতাল,বিক্ষোভ মিছিল ইত্যাদি। তারা শাপলাচত্বরে যে উদ্দেশ্য এবং কর্মপন্থার উপর দাঁড়িয়ে মহাসমাবেশ করে সেটাই বাতিল। সেখানে গিয়ে জীবনকে বিপন্ন করাও নিস্ফল কর্ম বা অরণ্যেরোদন। যদি সবাই তাওহিদ প্রতিষ্ঠার চেতনা থেকে তাগুতের বিরুদ্ধে এক হয়েও মাঠে  নামত, তাতেও গ্রহণযোগ্যতা ছিল যদিও আসলিহাত এবং প্রস্তুতি ছাড়াই ময়দানে নামা সুন্নাহ পরিপন্থী। 


একইভাবে মালাউন মোদি দেশে এসেছে। মোদির নিয়ন্ত্রনেই সারাদেশ। এই সরকার মোদিরই সেবাদাস। বাংলাদেশ আজ ভারতের আনঅফিশিয়াল স্টেইট। এই ক্ষমতাসীন সরকারই হিন্দুত্ববাদকে দেশে শক্তিশালী করেছে, এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদেশে ওদের গুরু প্রধানমন্ত্রী মোদির আগমন খুব স্বাভাবিক, যেখানে তাগুত ক্ষমতার আসনে বসা। বড় শয়তান তুল্য মোদির আগমনের বিরোধিতা করে ছোট শয়তান তুল্য সরকারের সামনে বিক্ষোভ করলে স্বভাবতই আপনাকে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে লিকুইডেট করবে। করেছেও। তাগুতের কর্ম এবং প্রতিক্রিয়া বুঝে কর্মপন্থাকে সাজানো হিকমাহ'র পরিচয়। কিন্তু আফসোসের বিষয় হেফাজত ও কওমী আলিম উলামাদের রাহবারগন এই শাসকদেরকে তাগুত বলেই মনে করেন না। এজন্য অজস্র নিরীহ, নিরস্ত্র আলেম, ইয়াতিম অসহায় তালিবুলইলম তাদের বিক্ষেভের ডাকে মাঠে নেমে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভুল মানহাজে উদ্দেশ্যহীনভাবে প্রাণ দেয়। তাগুতবাহিনীগুলো এদের উপর পাখির মত গুলি চালিয়ে শহীদ করেছে, আহত করেছে অগণিত মুসলিমদের। হেফাজতে ইসলাম এবং আলিম উলামাদের রাহবারদের দ্বীন প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে চলমান কর্মপন্থার উদাহরণ অনেকটা এরূপ যে, তারা একটা ট্রাকের উপর উঠে ট্রাকের সামনের অংশকে হাত পা দিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে ঠেলছে,কিন্তু ট্রাক এক ইঞ্চিও আগাচ্ছেনা। একইভাবে তারা এক্সিস্টিং অর্ডারের ভেতরে দাঁড়িয়ে পরিবর্তন কামনা করে। আপনাকে অবশ্যই সিস্টেমকে করাপ্টেড স্বীকৃতি দিয়ে বাহিরে আসতে হবে। প্রতিষ্ঠিত শাসনব্যবস্থাকে কুফরি সাব্যস্ত করে তাগুতকে বর্জন করতে হবে। নতুবা তারা আজীবন ইসলাম বিরোধী ইস্যুকে কেন্দ্র করে কয়দিন পর পর : আন্দোলন > বিক্ষোভ মিছিল > গুলি > আহত নিহত > রাহবারদের সংবাদ সম্মেলনে তীব্র নিন্দা এবং দু চারটাকা ক্ষতিপূরনের দাবি > হরতাল > তাগুতের দমন পীড়নে চুপ......আবারো কয়দিন পর নতুন ইস্যুতে আন্দোলন > বিক্ষোভ মিছিল > গুলি………… এর সাইকেলে/ চক্রে মধ্যে আটকে থাকবে। বার বার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। 


আশার বিষয় যে, ইতোমধ্যে আমরা দেখেছি একটা মাদ্রাসা থেকে সরকারি তাগুত বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন সরকারকে তাকফির করেছে। তবে, আক্রান্ত হবার দরুন রাগ ও আবেগের বশবর্তী হয়ে বলার স্থলে শারঈ একাডেমিক্যালি ইরতিদাদের বিষয়টি স্পষ্টীকরণই ইল্মের পরিচয় বলে গণ্য হবে। 


কিছু ভাই ইতোমধ্যে আবেগ অথবা অন্য কারনে লেখা শুরু করেছেন, এখনই বায়াহ নিয়ে একটা জামায়াত বা তানজিম তৈরি করে দেশকে দারুল হরব ঘোষনা করে সরকারকে তাকফির করে জিহাদের দিকে চলে যেতে। এ মর্মে বেশ কিছু দফার প্রস্তাবনা তারা করেছে দেখেছি। 


এই দফাগুলো কার্যকর করা অনেক প্রয়োজনীয় হলেও এমুহুর্তে একদম আনওয়াইজ থিংকিং হবে, যেহেতু প্রথম দফা(মুজাহিদ জামায়াত গঠন ও বায়াহ) কার্যকরের সাথে সাথেই মাদ্রাসার ছাত্রদের এক্টিভ জঙ্গীগোষ্ঠী সাব্যাস্ত করা হবে এবং যৌথ অভিযানে হত্যা - আক্রমণ করা হবে গনহারে।এদিকে প্রতিরোধের জন্য আসলিহাতের কোন কিছুই নেই। আমাদের বাংলাদেশের ল্যান্ডম্যাসের বিচারে ভাল আনসারের অভাব আছে। এবং মাদ্রাসাগুলো শহরের ভেতরে মানে তাগুতের নিয়ন্ত্রিত এলাকাতেই আছে। সুতরাং একদমই অনুপযোগী স্থান। যদি এমন হত মাদ্রাসাগুলো সুন্দরবন ঘেষা অঞ্চলে অথবা পাহাড়িয়া অঞ্চলে কিংবা নিঝুম ,মহেশখালী ,সেন্টমার্টিনের মত বিচ্ছিন্ন স্থানে হত তবে এমন প্রস্তাবনা কার্যকর করার চিন্তা করা যেত।তারা যে পরিকল্পনার কথা বলছে সেটা অব্জেক্টিভবিহীন গনশাহাদাত হাসিলের জন্য ভাল। এবং সেটা হবে অল্প সময়ের কর্মপন্থা। হুজিদের মত কিছুদিন পরেই তাদের পাওয়া যাবেনা। এটা মাদ্রাসা শিক্ষাকেই হুমকিতে ফেলবে। বিদেশী প্রভুদের চোখে আনার মাধ্যমে এদেশে ইসলামই বিপন্ন অবস্থায় পড়বে। বর্তমান অবস্থা বিচারে কওমী তোলাবাদের পুলিশদের মোকাবেলারই শক্তি নেই। শাইখুল হাদিস আবু ইমরান হাফিজাহুল্লাহ  বলেন, "দুনিয়াটা দারুল আসবাব"। অর্থাৎ আপনাকে দুনিয়াতে উপকরণ গ্রহন করতে হবে। সব কিছু গায়েবী মদদে হবে এমন আশা করে কর্মবিমুখ হওয়া সুন্নাহ না। এখানে পুলিশের পর র‍্যাব, বিজিবি,সেনাবাহিনীসহ অনেক জুন্দুশশাইত্বন আছেন। বিদেশী প্রভুদের ডাক দিকে দৌড়ে চলে আসবে। জাতিসংঘ নামের তাগুত সংঘ যদি ভারতকে নিয়ন্ত্রনের হুকুম দেয় তখন মালাউনদের সেনায় দেশ ভরে যাবে। ওদের অস্ত্রসস্ত্রের সামনে স্টিক্স ফ্লেশ এন্ড ব্লাড দিয়ে সামনে যাওয়া অনুর্বর মস্তিষ্কের আত্মঘাতী কল্পনা। তাই হিকমাহপূর্ন চিন্তা হবে, পাব্লিকলি এসব না করে ইন্টারনালভাবে দাওয়াহ ইদাদ চালানো। অনেকে সরকারকে প্রকাশ্যে তাকফির করে ইজমার দাবি করছে,এটাও মাদ্রাসার আলিম তোলাবাদের বিপদে ফেলবে। আপনারা জানেন তারা কতটা ডিপেন্ডেন্ট সরকারী সিস্টেমের উপর। বি.বাড়িয়াতে কয়েকদিন বিদ্যুৎ গ্যাস বন্ধ করে রেখেছিল তাগুত, এতেই অবস্থা সংকটাপন্ন হয়। এজন্য আপাতত বাহ্যিকভাবে কোন কিছু প্রকাশ না করা উত্তম,যেটা তাদেরকে সংকটে ফেলে। উচিত হবে উলামাদের রাহবারদের মধ্যে গুপ্ত আলোচনায় ভেতরে ভেতরে অবকাঠামোগত পরিবর্তন আনা। তাগুতকে বর্জন করে নববী মানহাজের দিকে আসার পথে তাদের ইনফ্রাশস্ট্রাকচার কে ভেতর থেকে ঢেলে সাজানো। আফগানি দেওবন্দী মুজাহিদ উলামা এবং আফগানী ইমারার সাথে অফিশিয়াল গুপ্ত সম্পর্ক তৈরি করা এবং তাদের এদেশীয় উমারাহ এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। সেই সাথে উচিত মানহাজগত পরিবর্তন আনার পর, এই ধরনের সুপারফিশিয়াল বিক্ষোভ হরতাল না করা। দুএক মাস ধুপধাপ "কিছু একটা করার নাম " জিহাদ না। এভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। তবে আলহামদুলিল্লাহ চলমান ইস্যুতে সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে সরকারে প্রতি যারা নিউট্রাল ছিল তারাও একটা অবস্থানে পৌছেছে। আমি মাদ্রাসার ত্বালিবুল ইলমদের কখনো প্রকাশ্যে সরকারকে তাগুত বলতে শুনিনি। এবার বলেছে। এটা বিশাল অর্জন। এই অর্জনটাকে আবেগ ছাড়া কাজে লাগাতে হবে। যদি তাদের রাহবারগন এই ইস্যুতেও শিক্ষা গ্রহন না করে পূর্বের ভুল পথে অটল থাকেন, তবে সমজদার আলিম এবং তালিবুলইলম ভাইদের উচিত হবে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে আফগানী ইমারাহ এর বঙ্গভারতীয় শাখার উমারাহর সাথে নিজেদেরকে গোপনে গনহারে যোগ করা। এবং ইমারাহ নির্দেশিত কর্মপন্থার ইত্তেবা করা। সেখানকার উলামা-মাশায়েখের নির্দেশনা মান্য করা। 


অনলাইনে যেসব সেলিব্রেটি দাঈ ভাইয়েরা আবেগের ফলে ময়দানের হেফাজতি কওমি আলিম উলামাদেরকে তাগুতের বিরুদ্ধে আরো ভয়াবহ ক্ল্যাশের দিকে যাবার জন্য একরকমের উস্কে দিচ্ছেন, তাদের কথা পড়ে একটা জিনিস মনে হয়; জিহাদ সংক্রান্ত কোন কিছুই অনলাইন সেলিব্রেটিদের থেকে শোনা উচিত না। কারন এরা নিজেরা মূলের সাথে সম্পর্কহীন। এদের যাবতীয় কথা,বার্তা, প্রস্তাবনা সবই নিজেদের অর্জিত দ্বীনি জ্ঞান এবং বিবেক বুদ্ধির উপরে। তারা কোন আমিরের নির্দেশনার আনুগত্য করে লেখে না, যারা বাস্তব ময়দানের অবস্থার সমুদয় অবস্থাকে অফলাইনে প্র‍্যাক্টিক্যালি ডিল করে হিকমাহপূর্ন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করেন। এরা নিজেরা যা বোঝে,সেটাই অনলাইনে ঘরে বসে বসে লেখে, কনটেক্সট - কন্সিকোয়েন্সের ব্যপারে ভাবেনা। এরা নিজেরাই কোন তানজিমের সাথে অফিশিয়ালি যুক্ত না,অথচ আলিম এবং মাদ্রাসা ছাত্র ভাইদের তানজিম বানিয়ে বাইয়্যাত করে ধুমধাড়াক্কা কিত্বাল শুরু করবার তাগাদা দেয়(যেটার লংটার্ম ফলাফল নেগেটিভ)। অনলাইন দ্বীনি সেলিব্রেটিজম নিয়ে আরেকটা আলাদা আর্টিকেলই লিখতে হবে। 



সর্বোপরি আমরা এদেশের ইসলামের দুর্গ কওমি মাদ্রাসার আলিম ও ত্বালিবুলইল্মদের কল্যাণ কামনা করি। আমরা চাই তাদেরকে যদি আল্লাহর পথে নামতেই হয় সেটা যেন সঠিক মানহাজেই হয়। আমরা চাইনা তারা এমন কোন ফুলিশ এ্যাটেম্প নিক বা ফুলিশ কর্মপন্থার চক্রে আটকে থাকুক যেটা তাদেরকে অব্জেক্টিভবিহীন ব্লাডশেডিং ছাড়া কিছুই দেয় না। 

3 Comments:

  1. খুব সুন্দর ও তথ্যবহুল লেখা।জাযাকাল্লাহু খইরন।হযরত,এই ব্লগের সব লেখা কুরআন হাদিস অনুযায়ী লেখা। আমি লেখাগুলো কপি করে দাওয়াতের নিয়তে পোষ্ট করতে চাই। কিন্তুু কপি করতে পারছি না। করনীয় কি অনুগ্রহ করে জানাবেন। এই ব্লগের লেখা পড়ে আলহামদুলিল্লাহ্‌ অনেক কিছু জানতে পারলাম।

    ReplyDelete
    Replies
    1. জি আখ্যি কপি করা যায়না। আপনার জন্য সহজতর কাজ হলো শুধু লিংক কপি করে শেয়ার করা।

      Delete