Monday, March 22, 2021

আমরা কি সৃষ্টিতত্ত্বীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্বাসকে আকিদার অংশ দাবি করি?

 জ্বীনা, আমরা কখনোই শারঈ একাডেমিক লেভেলে মুহাক্কিক আলিমদের দ্বারা নির্ধারিত আকিদার পয়েন্টগুলোর মধ্যে সৃষ্টিতত্ত্বীয় বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট আছে বলে দাবি করিনি। বিরুদ্ধবাদী বিশ্বাসের ধারকদের তাকফিরও করিনি। এও বলিনা যে এগুলো ট্রেডিশনাল ইসলামে আকিদার বিষয়। একাডেমিকভাবে এরূপ বলবার জন্য যে কাউকে নুন্যতম মুজতাহিদ হবার জরুরত আছে। সুতরাং যারা বলে যে আমরা একে আকিদার অংশ বলে দাবি করি,তাকফির করি তারা হয় আন্দাজে বলে মিথ্যাচার করছে অথবা স্বপ্ন দেখেছে অথবা আমার কথা ভুল বুঝেছে। আল্লাহই ভাল জানেন। 


আমি সকল লেখনীতে প্রায়শই "আকিদা" শব্দটিকে উল্লেখ করি। এর দ্বারা উলামা স্বীকৃত মৌলিক আকিদাকে বোঝাই না। বরং একে ব্যবহার করি "বিশ্বাসের" এরাবিক প্রতিশব্দ রূপে। যেমন ধরুন, "প্লেটোর আকিদা,ইয়াহুদীদের আকিদা,পিথাগোরাসের আকিদা"। এর দ্বারা কি আপনারা ওই ইমাম ত্বাহাবী, ইমাম ইবনে তাইমিয়া প্রমুখ কর্তৃক লিখিত আকিদার পয়েন্টস গুলো বোঝেন!!??


যদি এটাই বুঝে থাকেন এবং বলেন আমি আকিদা টার্মটি উল্লেখের দ্বারা যাবতীয় বিষয়গুলোকে আকিদার বিষয়ে সাব্যস্ত করেছি,তবে আমার কিছুই বলার নেই। 


আসলে যারা সৃষ্টিতত্ত্ব সংশ্লিষ্ট শারঈ দলিলগুলোকে আকিদা সংশ্লিষ্ট নয় বলে 'এড়াতে চায়' বা এর প্রতি শিথিলতা আরোপ করে এরা মূলত সৃষ্টিতত্ত্বের বিষয়ে হিপোক্রেটিক বিলিফের জন্য এমনটা করে। এরা আন্তরিকভাবে অপবৈজ্ঞানিক তত্ত্বগুলোকে বিশ্বাস করে,যাদুশাস্ত্র উৎসারিত কাফিরদের কথায় ইয়াক্বিন করে। নিজের আইডেন্টিটির সাথে এমন হিপোক্রেটিক অবস্থানকে যথার্থ(জাস্টিফিকেশন) এবং গ্রহনযোগ্য করার জন্য এরা বলেঃ এটা আকিদা সংশ্লিষ্ট নয়,সুতরাং ইহা না মানলে কোন সমস্যা নেই। 


অথচ গভীরভাবে ভাবলে দেখা যায় এই বিষয়গুলো এত সেন্সেটিভ যে কোন মুজতাহিদ আলিম চাইলেই বিষয়গুলোকে আকিদা সংশ্লিষ্ট করতে পারেন। এ সংক্রান্ত এ্যাবান্ডেন্ট শার'ঈ দলিল মওজুদ আছে। এজন্য আমরা দেখতে পাই যে, সৌদি আরবীয় সালাফি আলিমগন কাফিরদের আকিদার এস্ট্রোনোমিকাল মডেলে বিশ্বাসের জন্য তাকফির করেছেন। বিষয়টা গভীরভাবে দেখলে আসলেই সেন্সেটিভ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা কুরআনে আসমানের সংখ্যা  বলেছেন ৭ টি। আপনি কোনভাবে ৮টি বা ৯টি বলে তাবিল করতে পারেন না,যদি করেন তবে সেটা যেরূপ গর্হিত কাজ অনুরূপভাবে আপনি যদি যমীনকে মুসাত্ত্বাহা না বলে বলেন কুরউইইয়্যা যেখানে আল্লাহ সূরাতুল গাশিয়্যাহ তে স্পষ্টভাবে গোটা আর্দকে সুতিহাত  বলেছেন। যমীনকে বর্তুলাকার দাবি সর্বপ্রথম পাওয়া যায় ইহুদীদের যাদুশাস্ত্র কাব্বালাহ তে। আজ উম্মাহ যাদুশাস্ত্রকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে বলছে, সৃষ্টিতত্ত্বীয় বিষয়ে আসা শারঈ দলিল গুলো দেখে বলছে, উহা আকিদার বিষয় না,যার জন্য আমি উহা না মানলে কাফির হব না!!


একইভাবে যদি বলেন আসমান বলতে সলিড স্ট্রাকচার বোঝায় না বরং অন্তহীন আউটার স্পেস বুঝায় অথবা কাফিরদের আকিদার সাথে আপোষ করে বলেন আসমান মানে আউটার স্পেস বটে, তবে তার সীমানা কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে সলিড অবস্থায় থাকতেও পারে, এমনটা গর্হিত বিশ্বাস হবে। কারন যেখানে উমার(রাঃ),ইবনে মাসউদ(রাঃ) সহ আরো কয়েকজন সাহাবিগন একে যমীনের উপর গম্বুজাকৃতির ছাদ বলেছেন, হাদিসে এর সীমাকে বলা হয়েছে এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা সূরাতুল মুলকের ৩ নং আয়াতে দৃষ্টিসীমানার মধ্যেই আছে বলেছেন। 


আনঅব্জারভেবল অদেখা জগতের ব্যপারে সাহাবী আজমাঈনগন যেভাবে যা বিশ্বাস করতেন সেটাই আপনার আমার বিশ্বাস হওয়া উচিত। অথচ আমরা দেখতে পাই আজকের মুসলিমরা এই বিষয়গুলোতে নফসের গোলামি করে, হিপোক্রেটিক বিশ্বাস রাখে। যেখানে আল্লাহ সূরা ফাতিরে আসমান যমীনকে স্থির বলেছেন,উমার ইবনুল খাত্তাব(রাযি.) আল্লাহর শপথ করে যমীনকে স্থির নিশ্চল বলতেন, সেখানে আজকের উম্মাহ বলে যে বর্তুলাকার যমীন লাটিমের মত করে প্রচণ্ড গতিতে ঘুরছে!! এগুলো কি হিপোক্রেটিক বিলিফ নয়??


কাফিরদের মনগড়া ও যাদুশাস্ত্রীয় বিশ্বাস/তত্ত্বের চেয়ে কি সাহাবীদের কথা(কওল) বেশি গ্রহণযোগ্যতা রাখে না?

আমরা আল্লাহর রাসূলের সিরাত সংক্রান্ত যাবতীয় ইতিহাস/ঘটনাবলি যা চোখ বুজে বিশ্বাস করি তা মূলত অথেনটিসিটির দিক দিয়ে হাদিসের চেয়ে এক ডিগ্রি নিচের মানের। আমরা এগুলো বিশ্বাসে কোনরূপ দ্বিধা করিনা কিন্তু তার সাহাবীদের কথা(কওল) মানতে আমাদের অনেক সমস্যা। অথচ কওল কুরআন সুন্নাহ বহির্ভূত শিক্ষাদেয় না। 


সাহাবিয়্যাতের সৃষ্টিতত্ত্বীয় বিশ্বাসকে অস্বীকারকারী মুসলিমরা এও বলে যে তাদের যুগে আধুনিক প্রযুক্তি ছিল না। তারা যেটা আসমান যমীনের প্রকৃতির ব্যপারে অজ্ঞ ছিল,আল্লাহর রাসূল(স) এগুলো জানতেন না! 

এরকম কথার দ্বারা এরা মূলত আল্লাহর রাসূলকে (স) ছোট করে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা তাকে মিরাজে সাত আসমান ভ্রমণ করিয়েছেন, তিনি অবশ্যই সৃষ্টিজগতের প্রকৃতির ব্যপারে অবগত ছিলেন। তিনি আসমান যমীনের ব্যপারে অনেক বর্ননা করেন সাহাবীদের কাছে,সেসব তার মনগড়া ধারনা ছিল না বরং সরাসরি আল্লাহ তাকে শিক্ষা দিয়েছেন। এজন্য এরকম কথা যে কত জঘন্য হিপোক্রেটিক তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আল্লাহ সাহাবাদের জীবনের প্রতিটি ঘটনা ও কথাকে গুরুত্ব - তাৎপর্য ছাড়াই এমনি এমনি ঘটাননি বরং তাদের প্রতিটা কাজ ও কথা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আল্লাহ একে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আদর্শ ও শিক্ষণীয় অবস্থায় রেখেছেন। আল্লাহ এসময় সাহাবীদের দ্বারা ঘটা ভুল গুলো দ্বারাও শিক্ষা দিয়েছেন। উদাহরণ স্বরূপ উহুদ যুদ্ধের ঘটনা। তারা কোন কিছুতে ভুল করলে সরাসরি তৎক্ষণাৎ শুদ্ধ করা হত। সুতরাং সাহাবাদের সৃষ্টিতত্ত্বীয় বিষয়ের কথাগুলোকে "ভুল" বলা অনেক বড় রকমের ধৃষ্টতা। 


সাহাবীগন এস্ট্রোনোমিকাল সাব্জেক্টে কতটা সিরিয়াস ছিলেন সেটা স্পষ্ট বোঝা যায়, যখন এক সাহাবি অপর একজনকে আসমান ঘূর্ণনশীল বলতে শোনেন,তখন জিজ্ঞেসা করেন তিনি এই আকিদা(বিশ্বাস) রাখেন কিনা। উত্তরে নিরপেক্ষ জবাব পেলে তিনি তাকে আসমানকে স্থির বলে দলিল হিসেবে সূরা ফাতিরের ঐ আয়াত পাঠ করে শোনান, যেখানে আল্লাহ আসমান ও যমীন উভয়কেই স্থির বলেছেন। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে এস্ট্রোনমিক্যাল বিষয়ে সামান্য বিচ্যুতির ব্যপারেও কতটা সিরিয়াস ছিলেন। সুতরাং এই সাব্জেক্ট এমন না যে মনে চাইলো আর কিছু একটা বিশ্বাস করলাম। 


একদল মানছে যে কুরআন সুন্নাহ এক্সট্র‍্যাক্টেড এস্ট্রোনোমিকাল ডেপিকশান একদম ঠিক তাই যা আমরা বলি, কিন্তু তাদের নফস সেটাকে মানতে চায় না, যার ফলে অজুহাত হিসেবে দেখায় এটা আকিদার কিতাবে নেই, এটা আকিদার অংশ না, সুতরাং না মানলেও সমস্যা নেই। আখ্যি গনতন্ত্র সমাজতন্ত্র মানলে কুফরি হবে সেটা কোথাও উল্লেখ নেই। তাহলে এটাকে কুফরি বলেন কেন আখ্যি। এরকম লেইম এক্সকিউজ দিয়ে লাভ কি! 


হাদিসে অনেক স্পেসিফিক ভাবে বলা হলেও অনেকে অস্বীকার করে কারন ইসনাদ বিশুদ্ধ না।  আখ্যি কওলসহ সর্বত্র সর্বত্রই অসাংঘর্ষিক অভিন্ন কস্মোলজির শিক্ষাদেয়। তাবে তাবেঈনদের কেউ এসব নিয়ে ইন্ডালজ ছিলেন না কেন? এটা তো খুব সাধারন আন্ডারস্ট্যান্ডিং। ধরুন করোনা ভাইরাস ৫০ বছর আগে ছিল না। তখন করোনা ভ্যাকসিন কি তৈরি করে বসে ছিল? করোনা ভ্যাকসিন কবে বের হবে, এ নিয়ে কেউ জিজ্ঞেসা করত? করোনার নামই তো কেউ নিত না। অর্থাৎ একটা সমস্যা তৈরি না হলে সেটা সমাধান বা প্রতিষেধক নিয়ে কথা বলার আশা করা অর্থহীন।  যতদিন  গ্রেসিয়ান টলেমিয়ান-পিথাগোরিয়ান ভাইরাস আরবে আসে নি ততদিন এসব নিয়ে কোন প্রশ্ন ওঠেনি। জিওস্টেশনারী এনক্লোজড কস্মোলজি ছিল আরবে টোটালেটেরিয়ান বিলিফ। যখন দুই ধরনের বিশ্বাস আসতে শুরু হলো তখনই ফিতনাহ শুরু হলো। 


সেই প্রাচীনকাল থেকেই কাফির যাদুকর মালাউনরা চাইত ডিভাইন ডমিনিয়নকে অগ্রাহ্য করা যায় এমন একটা ফিলসফিক্যাল-মেটাফিজিক্যাল বিলিফ প্রতিষ্ঠা করতে, যেখানে মহাবিশ্ব অমুখাপেক্ষী স্বাধীন সেল্ফ ডিপেন্ডেন্ট কনসাস স্বত্ত্বা(ব্রহ্মা), এর দ্বারা সফলভাবে তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহর আকিদাকে যৌক্তিকভাবে অস্বীকার(কুফর) করা যায়। বিগব্যাং -বিগবাউন্স থেকে নির্ভর হেলিওসেণ্ট্রিক কস্মোলজিকে সারাবিশ্বে প্রতিষ্ঠা হচ্ছে সেই লং চেরিস্ট প্রিস্টিন ড্রিমের ফসল। আজকে মুসলিমরা তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহ বিধ্বংসী এই সৃষ্টিতত্ত্বকেই নির্দোষ বিশ্বাস হিসেবে গ্রহন করছে এবং সাহাবাদের চিন্তাধারাকে অস্বীকার করার জন্য বলছে, ইহা আকিদার বিষয় নয়। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!


হে আমার ভাই আমরা কি অদেখা জগতের ব্যপারে কুরআন সুন্নাহর উপর নির্ভর করছি নাকি কাফিরদের বিচিত্র কুফরি তত্ত্বের উপর?


আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা তার সৃষ্টি জগত নিয়ে ফিকির করতে বলেছেন[আত্ব তাফাক্কুর ফি খলকিল্লাহ]। তিনি কি এসবের ব্যপারে কাফির ও যাদুশাস্ত্রীয় কুফরি ব্যাখ্যার অনুসরণ করতে বলেছেন নাকি আল্লাহ ও তার রাসূল এবং সাহাবীদের? 



আমি আগেও কখনো দাবি করিনি যে এগুলো আকিদার অংশ,এখনো দাবি করছিনা। তবে বলছি সৃষ্টিতত্ত্বীয় বিষয়টি আকিদার কিতাবে এনলিস্টেড হোক বা না হোক, সাহাবিয়্যাতের বিশ্বাস হিসেবে একে গ্রহন করা ঈমানের দাবি। "হিপোক্রেসি" শব্দটাকে পড়ে কাল প্রচার কইরেন না যে আমি সবাইকে মুনাফিক বলছি। হিপোক্রেসি দ্বারা দ্বিমুখী নীতিকে বুঝিয়েছি। কে ঈমানদার, কে মুনাফিক সেটা যার নিকট হিসাব দিতে হবে তার সাথে সতর্কতার সাথে সৎ হবার মাঝে কল্যাণ আছে। 

এই আর্টিকেলটাকে পড়ে উলটা বুঝবেন না, সারাংশটা আবারো বলছি, আমরা সৃষ্টিতত্ত্ব সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশ্বাসকে একাডেমিকভাবে আকিদার অংশ দাবি করিনা। তবে যারা একে "আকিদার অংশ নয়" অজুহাত দিয়ে অস্বীকার করে অপবৈজ্ঞানিক যাদুশাস্ত্রে ইয়াক্বীন করে তাদেরকে তিরস্কার করি, যেহেতু এতে বিশ্বাস আমার আপনার ঈমানের দাবি। 

মা'আসসালাম। 


7 Comments:

  1. ভাই হাদীসে এসেছে গ্রীস্মকালে গরমের জন্য জাহান্নামের নিঃশ্বাস দায়ী। তার মানে এখানে গরমের জন্য সূর্যের প্রভাব নাই তাহলে আপনি যদি এই সময় রাস্তায় বা খোলা জায়গায় যেখানে সূর্যের আলো পডে সেখানে হাঁটাহাঁটি করলে সূর্যের তাপে শরীর গরম হয় যাবে। যেহেতু এই সময় গরমের জন্য জাহান্নামের নিঃশ্বাস দায়ী এবং এই সময় গরমের জন্য সূর্য দায়ী নয় তাহলে আপনি সূর্যের আলোর নিচে থাকেন অথবা ছায়ার মধ্যে থাকেন শরীরে সমান তাপ লাগার কথা কিন্তু এরকম হয়না কেন?

    ReplyDelete
    Replies
    1. আখ্যি রাতের বেলা সূর্যালোক নেই কিন্তু গরমে দরদর করে ঘামছেন। মানে টেম্পারেচার বেশি। আবার শীতকালে দিনের বেলা সূর্যের নিচেও কাঁপতে হয়। সূর্য যেটা করে তাপকে ইন্টেন্সিফাই করে। সূর্যের নিজেরও উষ্ণতা আছে।

      সূর্য না থাকলেও যে গরম থাকবে সেটার প্রমান রাতের বেলার গরম। সুতরাং মূল তাপমাত্রা সূর্য বাড়ায় না বরং অন্যকিছু সার্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী। সূর্য শুধুই তাপকে বৃদ্ধিকরে যার উপর তার কীরণ পড়ে। আপনি শীতকালেও সূর্যের কীরনে বেশিক্ষন দাড়াতে পারবেন না। প্রথম ১০-১৫ মিনিট ভালই লাগবে এরপরে বার্নিং স্যান্সেশন শুরু হবে। কিন্তু সূর্যের অস্তিত্ব শীতকালের শীত দূর করে না।

      Delete
    2. এটা কেমন কথা হলো ভাই ? রাতে গরম লাগে কারণ ঐসময় সারাদিনের গরম স্যাচুরেট হয় এবং প্রায় মাঝরাতের পর তাপমাত্রা আবার কমতে থাকে এবং দিন হতে হতে আমরা আশপাশে সবথেকে ঠান্ডা দেখি। যার কথা আপনি নিজেও বললেন। শীতের দিনে ঠিক একই ঘটনা ঘটে। সবকিছুকে এই সুডোসায়েন্স এর রুহানি পর্দা দিয়ে ঢাকা বন্দ করেন।আপনার লেখা বিজ্ঞান নিকি অপবিজ্ঞান বইটা আমি পড়েছি আর মর্ডার্ন সাইন্স এর প্রতি আপনার ক্রিটিক কে আমি সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আপনার বলা অনেক কিছুর ই কোনো ফ্যাক্যুয়াল বেসিস নেই। আপনি বলেন যে " পানিতে বক্রতা আসেনা " কিন্তু তাহলে প্রশ্ন করবো আপনাকে আপনি " পানির ভাস্কোসিটি " তা ব্যাখ্যা করবেন। সোজা বাংলায় কিভাবে একটা পাতার শীর্ষে প্রায় গোলাকার পানির ফোটা জমে। সেখানে তো পানি পারফেক্টলি বেন্ড হচ্ছে , তবে পৃথিবীর ক্ষেত্রে কি সমস্যা ??

      Delete
  2. ভাই শুনেন একটা কথা জিজ্ঞেস করার ইচ্ছা অনেক দিন ধরে ছিল , তো কথাটা হলো স্যাটেলাইট নিয়ে । তো ভাই আপনি বললেন যে আমরা সূর্য , তাঁরা নক্ষত্র ও চন্দ্র দেখতে পারি কিন্তু স্যাটেলাইট দেখতে পারি না আকাশে টেলিস্কোপ দিয়ে নাকি স্যাটেলাইট দেখা যায় না , এর মানে স্যাটেলাইট নেই। আমি এ সম্পর্কে যাদেরকেই বলেছি তারা বলে যে স্যাটেলাইট অনেক দূরে সূর্য চন্দ্র থেকে কম দূরত্বে তার অবস্থান ,এটা সাধারণত সূর্য চন্দ্রের তূলনায় অনেক ছোট একটা কামরা বা রুমের সম্মানও নয় । তা ছাড়া স্যাটেলাইট আলো ফেলুক বা না ফেলুক এটা যদি আলো ফেলে তবে তা খুব স্বল্প আকারে ফেলে । একারনে নাকি আকাশে
    স্যাটেলাইট দেখা যায় না ? তো এ সম্পর্কে আপনার উওর কি ? প্লিজ ভাই উওর দিন । ‌

    ReplyDelete
    Replies
    1. https://aadiaat.blogspot.com/2021/03/blog-post_26.html

      Delete
    2. স্যাটেলাইট নিয়ে পোস্ট দিয়েছি। ওটা দেখুন।

      Delete
  3. মাসউদ আহমাদMay 13, 2022 at 4:02 PM

    প্রিয় ভাই, আপনার লেখা ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্ব এবং বিজ্ঞান ও অপবিজ্ঞান বই হয়ে আসা কি অপছন্দ করেন?

    ReplyDelete