أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
إِنَّ الْحَمْدَ لِلّٰهِ
نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ، وَنَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنْ شُرُوْرِ أنْفُسِنَا وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا
مَنْ يَّهْدِهِ اللّٰهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ، وَمَنْ يُّضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَه
اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ
اللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ
رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَىَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الْغَفُوْرُ
رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَىَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الْغَفُوْرُ
رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَىَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الْغَفُوْرُ
اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ وَبَرَكَاتُه
আশা করি রব্বে ক্বারীমের অনুগ্রহে সকলে ভাল আছেন। আজ সৃষ্টিতত্ত্বীয় বিষয়ে বেশ কিছু নীতিমালাকে উল্লেখ করব, যা পাঠ করলে নতুন পুরাতন সকল পাঠক চিন্তার একটা ছক ও সীমারেখা খুঁজে পাবেন।
উসূল ১:
-আমাদের জিওসেন্ট্রিক মডেল টলেমিয়ান জিওসেন্ট্রিক কস্মোলজি নয়-
কিছু কিছু স্বল্পজ্ঞানসম্পন্ন পাঠক হঠাৎ করে দুই চারটা আর্টিকেল পরে দ্রুত আমাদেরকে টলেমিয়ান জিওসেন্ট্রিক মডেলের প্রিচার বলে ক্ল্যাসিফাই করে থাকেন। টলেমিয়ান জিওসেন্ট্রিক মডেলে দুনিয়া স্ফেরিক্যাল এবং অনেক কিছুই হেলিওসেন্ট্রিক ডক্ট্রিনের সাথে কম্প্যাটিবল। আমরা যখন "জিওসেন্ট্রিক" শব্দটাকে আওড়াই, তা দ্বারা কোনভাবেই টলেমির চিন্তাধারার সামান্যভাগও প্রকাশ করিনা। আমরা "জিওসেন্ট্রিক" শব্দটাকে আক্ষরিকভাবে ব্যবহার করি সূর্য ও চাঁদের পৃথিবীকেন্দ্রিক আবর্তনের জন্য। একইভাবে আমরা "জিওস্টেশনারি" শব্দকে ব্যবহার করি পৃথিবীর স্থবিরতার জন্য। মাঝেমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হেলিওসেন্ট্রিক আইডিয়ার বিরোধীতার জন্য একটা একাডেমিক ডোমেইনের প্রিভিলেজ নিতে শব্দগুলোকে ব্যবহার করে থাকি, তাই বলে এর দ্বারা কাফিরদের মডেলগুলোকে বোঝাই না। আমাদের এই সৃষ্টিতত্ত্ব সংক্রান্ত ধারনাগত বিষয়ের দালিলিক কার্নেল হলো কুরআন - সুন্নাহ, সাহাবাদের কথা ও বিশ্বাস, যাদের উপর স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা সন্তুষ্ট। কুরআন সুন্নাহর যাবতীয় দলিল আমাদের এমন এ্যাস্ট্রনমিক্যাল মডেলের বর্ননা দেয় যা পিথাগোরাস, টলেমি কিংবা কোপার্নিকাস কারও কথার সাথেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সাহাবাগন প্রকৃতির প্রায় প্রতিটি ফেনোমেনার ব্যপারে কথা বলেছেন, এসবের বিস্তর বর্ননা দিয়েছেন যার সবটাই কুরআন সুন্নাহভিত্তিক এবং সবকিছুর বর্ননাকে এক করে নিলে গ্র্যান্ড স্কেইলে যে চিত্র পাওয়া যায় সেটা কাফিরদের থেকে আসা কোন এস্ট্রোনোমিক্যাল স্ট্যান্ডার্ডের সাথেই মেলেনা। এজন্য আমি আবারো আলাদাভাবে বলছি যে আমাদের এস্ট্রোনোমিক্যাল মডেল কাফিরদের কারো সাথেই সাদৃশ্যপূর্ণ নয়।
উসূল ২:
-একাধিক এস্ট্রোনোমিক্যাল আইডিয়ার সংমিশ্রিত চিন্তা পরিত্যাগের নীতি-
কুরআন সুন্নাহ যেই সৃষ্টিজগতের বর্ণনা দেয়, সেটা স্ট্যাবলিশড হেলিওসেন্ট্রিক ডক্ট্রিনের সাথে কোন ধরনের মিল নেই। আপনি হেলিওসেন্ট্রিক যে বিলিফ রাখতেন সেটা রিয়ালিটি নয়, ওটা ফ্যান্টাসি[কল্পনা]! বাস্তব আসমান - যমীন, চাঁদ - সূর্য, নক্ষত্রদের কাজ - বিহেভিয়ার কোন কিছুই এই এস্ট্রনমির সাথে সামঞ্জস্য রাখে না। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন জগত। এ জগতে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে পূর্বের সকল শিক্ষাকে বাদ দিয়ে আসতে হবে, পূর্বের শিক্ষা আশ্রিত প্রশ্নও এখানে একেবারে অগ্রহণযোগ্য। উদাহরণস্বরূপ যে faq আমরা সাধারণত পেয়ে থাকিঃ সূর্য তো ২৪ ঘন্টাই আলো দিবে যমীনের উপর, সারা পৃথিবীতে ২৪ ঘন্টাই দিন থাকার কথা।
এর উত্তর হলো- প্রশ্নকারী স্বতঃসিদ্ধ সত্য বলে বিশ্বাস করেন যে সূর্য দুনিয়া থেকে ১৩ লক্ষ গুন বড় এবং ৯৩ মিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থিত। অর্থাৎ পূর্বের ৯০% হেলিওসেন্ট্রিক বিলিফ সত্য হিসেবে ধরে রেখেই জিওস্টেশনারী কস্মোলজির শুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। প্রশ্নকারী আউটার স্পেসও বিশ্বাস করেন, স্ফেরিক্যাল প্ল্যানেটারি নোশন অপরিবর্তিত রেখে যমীন কেন মুসাত্ত্বাহা সেটা নিয়ে হাসছে! অর্থাৎ তিনি বিশ্বাস করেন "সকল গ্রহ বর্তুলাকার এবং তা অবতরণযোগ্য আবাসভূমি বিশেষ", তাহলে যমীন কেন সমতলে বিস্তৃত হতে যাবে!
অর্থাৎ সেই জগাখিচুড়ি পাকানো প্রশ্ন। হেলিওসেন্ট্রিক ডক্ট্রিন আর জিওস্টেশনারী সিস্টেমের সেটিং ও ফাংশন সম্পূর্ন আলাদা। আপনি ১% হেলিওসেন্ট্রিক ইডিওলজি নিয়েও যদি জিওসেন্ট্রিসিটির কোন বিষয়ে প্রশ্ন করেন তবে সেটা শুনতে খুবই বোকাবোকা লাগে। হেলিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমিতে আসমান মানে ইনফিনিট ভ্যাকুয়াম আউটার স্পেস। পৃথিবী হলো বিলিয়ন ট্রিলিয়ন গ্রহের একটি। আমরা কুরআন হাদিস অনুযায়ী আসমানকে সলিড ফার্মামেন্ট হিসেবে দেখি, আউটার স্পেস বলে কিছু নেই, পৃথিবী বা দুনিয়া হচ্ছে একটা রেল্ম। আসমানও তদ্রুপ রেল্ম/আলাম। সত্যিকারের এস্ট্রনমিক্যাল মডেলে হেলিওসেন্ট্রিক মডেলের সবকিছুই অচেনা। একটার সাথে আরেকটা সংমিশ্রণ করে প্রশ্ন বা চিন্তাভাবনা অগ্রহণযোগ্য।
উসূল- ৩
-প্রচলিত এস্ট্রোনোমিক্যাল অর্ডারের বিরোধিতার ক্ষেত্রে গৃহীত উসূল-
আমরা অসত্য, কুরআন সুন্নাহ বিরোধী এস্ট্রনমিক্যাল মডেলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার জন্য প্রমাণ স্বরূপ এমন কোন অবজারভেবল আকলি প্রমাণ দ্বার করানোর ব্যপারে সবাইকে নিরুৎসাহিত করি যা ফলসিফাইয়েবল।মূলত আপনি যত ধরনের এভিডেন্স দিবেন, হেলিওসেন্ট্রিক মডেলের পেইড এজেন্টদের কাছে সবই ভুল প্রমাণ যোগ্য। সবকিছুর কাউন্টার দেয়া সম্ভব। আপনাকে বুঝতে হবে সবচেয়ে বড় সত্য- আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে যেখানে কাফিররা এ্যান্টাগনিস্টিক লজিক দ্বার করাতে পারে, সেখানে কস্মলজি কিছুই না। এস্ট্রনমিক্যাল কিছুক্ষেত্রে দেখা যায় সত্য পক্ষ দুর্বল দলিল দ্বার করায় সেগুলোর বিরুদ্ধে মিথ্যা এভিডেন্স এমনভাবে দ্বার করানো হয়, যেন তা আনব্রেইকেবল। আবার দেখা যায় মিথ্যাপক্ষ সঠিক দলিল প্রমান ভুল ধরিয়ে দেয়, যেই ভুল এভিডেন্স গুলো সত্য পক্ষ অবলম্বন করত। দেখা যায়, তাদের দেয়া আকলি বিরোধী লজিকের রিফিউট করার কিছুকাল পর তারা আরেকটা কাউন্টার লজিক দ্বার করায়। এভাবে সত্য মিথ্যার রাইভাল অন্তহীনভাবে চলতে থাকে। এগুলো একে তো সময়সাপেক্ষ কাজ। দেখা যায়, সারাজীবন ব্যয় করতে হবে এর পিছনে। একজন মুসলিমের মূলত এই সময় নেই। তাই আমরা আমাদের মতাদর্শের বিরোধী কোন ডকুমেন্টসের ব্যপারে কর্ণপাত করিনা। সেসব পড়েও দেখিনা। এজন্য আমাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন আকলি- অবজারভেবল দলিল পেশ করলেও সেসবের ব্যপারে নির্বিকার থাকি,মোটেও পরোয়া করিনা। প্রতিষ্ঠিত এস্ট্রোনোমিকাল মডেলকে ডিফেন্ড করতে কাফিররা অনেক অর্থ ব্যয় করে। কাউন্টার পয়েন্ট দ্বার করানোর জন্য ওদের আছে বিপুল অর্থ এবং জনবল। গোটা বিশ্বই ওদের হাতে। তাই ওদের পক্ষে ইচ্ছামত দুর্বল অংশ ফিগারআউট করে আক্রমণ করা সহজ, যদিও তারা মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা করতেই এটা করে।
পক্ষান্তরে ওরা যেভাবে সব তথ্যের নির্ভুলতা আর যাচাই করতে পারে, বিদেশী কাফির জিওসেন্ট্রিক প্রিচারগন তা পারেনা। কাফির হেলিওসেন্ট্রিক প্রিচারগন চাইলেই যখন তখন হেলিকপ্টারে চেপে হিসাবকিতাব করে জিওসেন্ট্রিক প্রিচারদের অবজারভেবল এভিডেন্সের ভুল ধরে ফলাও কে প্রচার করতে পারে। সে ফিনান্সিয়াল ও জিওপলিটিক্যাল ব্যাকাপ কাফির জিওসেন্ট্রিকপন্থীদের তো নেই-ই, আমাদেরও নেই। এজন্য মুসলিম হিসবে আমাদের হাতে দলিল হিসবে প্রথমে থাকবে নস[কুরআন সুন্নাহ]। মূলত এর জন্যই লিখেছিলাম "ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্ব" নামের সুবিশাল আর্টিকেল সিরিজ। পর্যবেক্ষনযোগ্য আকলি তথ্যপ্রমানগুলোও আমরা সত্যমিথ্যা প্রমানের মানদন্ড বানাব না। তবে কেউ যদি আকলি দলিল প্রমাণগুলো নিয়ে লেখালিখি করে তাদের বিরোধিতা করিনা। আমি নিজেও "জিওসেন্ট্রিক কস্মোলজি" এন্টাইটেল্ড একটা আর্টিকেল সিরিজ লিখেছিলাম, সেটাকে কখনোই প্রোমোট করতে দেখবেন না। তখন বিশেষ পরিস্থিতিতে সাধারন মানুষের চিন্তার খোরাকি হিসেবে লিখেছিলাম। আমি প্রায়ই ভাবি এটাকে আনপাবলিশ বা মুছে ফেলতে কিন্তু অনেকেই নিষেধ করেন তাই করিনা।
২য় দলিল হিসেবে আছে, এই বিজ্ঞান এর অকাল্ট অরিজিনের ইতিহাসভিত্তিক আলোচনা,যা মুসলিমদের কাছে প্রতিষ্ঠিত অকাল্ট নির্ভর এস্ট্রোনোমিক্যাল মডেলের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে এবং পরবর্তীতে অগ্রহণযোগ্য বাতিল সাব্যস্ত করবে। আমাদের হাতিয়ার এই দুইটিঃ
১.কুরআন সুন্নাহ/সাহাবাদের কথা/বিশ্বাস/প্রাচীন মুফাসসিরীনদের কুরআন সুন্নাহ নির্ভর ব্যাখ্যা, বিভিন্ন কওল, এমনকি ঐসব ঈসরাইলীয় বর্ননা যেগুলো সাহাবীগন[রাযি.] গ্রহন করেছিলেন।
২.আধুনিক ফিজিক্স ও এস্ট্রনমির অকাল্ট অরিজিন্সের ইতিহাসভিত্তিক পর্যালোচনা।
আমাদের স্ট্যান্স এমন না হয় যে, কাতার থেকে লস এঞ্জেলসের ফ্লাইট অমুক অমুক টাইম রুট তাই যমীনের আকৃতি বা মডেল এইরূপ এইরূপ, বরং তাগুতি শিক্ষার বর্জনের জন্য আমরা ধরি পিথাগোরাসদের, ওদের বিশ্বাসের যাদুশাস্ত্রীয় অরিজিনকে। এবং বর্তমান পর্যন্ত অকাল্ট অরিজিন্সকে দেখিয়ে দেয় এমন সব ডকুমেন্টস যার উপর "বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান" নামের আরেকটা আর্টিকেল সিরিজ লিখেছি। [এটা একরকমের কুফর বিত তাগুত বলা যেতে পারে। মূলত তা-ই, কারন যাদুশাস্ত্রীয় আকিদা নির্ভর মডার্ন কস্মোজেনেসিস প্রত্যেক ব্যক্তিকে ইলাহ ভাবতে শেখায় অর্থাৎ তাগুত হবারই পথ দেখায়। আর কুরআন সুন্নাহর দলিল গুলো হচ্ছে আল ঈমান বিল্লাহ। সহজ করে বললে মহাকাশ তত্ত্বের যাদুশাস্ত্র নির্ভর উৎসের বিষয়ে ধারনা লাভ আপনাকে তাগুতি শিক্ষাকে বর্জন করতে শেখাবে এবং কুরআন সুন্নাহর সৃষ্টিতত্ত্বীয় দলিল আপনাকে সত্যিকারের কস্মোলজিক্যাল-এ্যাস্ট্রনমিক্যাল নোশনকে পরিপূর্নভাবে বিশ্বাসের দলিল দেবে।]
আমরা নিন্মবর্নিত নীতি গুলোর যেকোন একটি অবলম্বন করেই মেইনস্ট্রিম ভুয়া এস্ট্রোনোমিকাল আইডিয়াকে বাতিল সাব্যস্ত করনের জন্য ব্যবহার করতে পারিঃ
১.প্রতিষ্ঠিত কস্মলজিক্যাল আইডিয়া কুরআন সুন্নাহ পরিপন্থী এবং এর দলিল বিপরীত ধরনের এস্ট্রনমির বর্ননা দেয়, তাই মেইনস্ট্রিম এস্ট্রোনোমিকাল স্ট্যান্ডার্ড বাতিল।
২.এগুলোর অরিজিন্স বা উৎস কুফরি যাদুশাস্ত্র। এসব সুস্পষ্ট কুফরি আকিদার উপর গড়ে উঠেছে, তাই বাতিল।
৩.এগুলোর(হেলিওসেন্ট্রিক থিওরির) সাথে বাস্তবতার মিল নেই, বা বাস্তবে এরকমটা দেখা যায়, তাই বাতিল।
৩য়পয়েন্টে আমরা অবজারভেবল তথ্য প্রমান গুলো এনে থাকি আমরা যার মধ্যে দুর্বলতা আছে। এগুলো যে ভুল প্রমাণ যোগ্য সেটা প্রথমেই আলোচনা করেছি কিন্তু প্রথম দুইটার মধ্যে দুর্বলতা নাই। এজন্য আমরা ওদের বিরোধিতায় প্রথম দুই নীতির উপরে চলব।
অনেক মানুষ এরকম যে সবকিছুর অবজারভেবল আকলি ব্যাখ্যা না পেলে তাতে বিশ্বাস করতে পারেন না। তাদের জন্য আবারো একই কথাই বলব,আমাদের হাতে সে সময় ও সুযোগ নেই যে সারাদিন এস্ট্রোনমির মধ্যে ডুবে থাকব। সাহাবি আজমাঈনরা কেউ কি বলেছেন, যমীনের প্রান্তসীমানায় কি আছে ,সূর্য যমীনের উপর কত কিলোমিটার উপরে....এগুলোর উত্তর না দিলে আমি মানব না!? এসব প্রশ্নের উত্তর কি খুব গুরুত্বপূর্ণ? আমার তো কখনো এই সব প্রশ্ন মনে জাগেওনা, সংশয়ো হয়না। সাহাবিদের কওলে প্রতিটি বিষয়ের যে ব্যাখ্যা তা কি যথেষ্ট নয়! যাদের এরপরেও কৌতূহল কাজ করে, তারা বিদেশি বহু এসংক্রান্ত সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে যুক্ত হতে পারেন। তারা নিজেরাও এসব নিয়ে গবেষণা করতে পারেন, একাজে আমরা বাধা দেইনা।
উসূল-৪
-বিশ্বের অন্যান্য জিওসেন্ট্রিক মতাবলম্বী এবং আমাদের অবস্থানগত নীতি-
বর্তমানে কাফিরদের মধ্যেও অনেক ধরনের জিওস্টেশনারী কস্মলজির মডেল এবং ম্যাপ দেখা যায়। এদের পরস্পরের মধ্যে মতানৈক্য সূর্য-চন্দ্রের কক্ষপথ এবং আসমানের আকৃতি,ম্যাপের প্রকৃতি। চাঁদ সূর্যের ব্যপারে স্পিরিচুয়ালিস্ট ট্রেডিশনের জিওসেন্ট্রিক মতাবলম্বীদের কনসেনসাস হচ্ছে চাঁদ সূর্য ঘড়ির কাটার মত যমীনের উপর চক্রাকারে ঘুরছে। অর্থাৎ সূর্যোদয়-চন্দ্রোদয় পুরোটাই ইল্যুশন, বাস্তবে ঘটে না। স্পিরিচুয়ালিস্ট কারা এ নিয়ে বিশদ লেখালিখি করেছি ব্লগে। সহজ ভাষায় জ্বীন শয়তানের পূজারী। এটা অর্থোডক্স খ্রিষ্টানরা অনুসরণ করেনা। ইউটিউবে যাদের ভিডিও দেখেন বিশেষ করে এ বিষয়ে সেলিব্রেটি পর্যায়ের অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের সাথে একটা সময় আমার যোগাযোগ ছিল। আমি খুব ভালভাবে অবগত যে ঘড়ির কাটার মত চক্রশীল মডেলের অরিজিন খ্রিষ্টানরা নয় বরং আধ্যাত্মবাদী মালাউনরা। সুতরাং ওটাকে খ্রিষ্টান মডেল বলা সঠিক না। আমাদের কুরআন সুন্নাহ চাঁদ সূর্যের কক্ষপথের ব্যপারে একদম স্পষ্ট বর্ননা দেয়।আল্লাহ আযযা ওয়াযাল কুরআনেই কর্দমাক্ত জলাশয়ে ফিজিক্যালি সেট হবার কথা সূরা কাহাফে বর্ননা দেন। এর ব্যাখ্যায় সাহাবীরা স্পষ্টভাবে এটাই বলেন। অনেক গুলো বর্ননা আছে। প্রাচীন মুফাসসিরীনগন এটাকে গ্রহন করেছেন। একাধিক সহীহ হাদিসও এই বিষয়ে আছে। যেমনঃআবু যর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি একটি গাধার ওপর নবীর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে ছিলাম। তখন তার উপর একটি পাড়যুক্ত চাদর ছিল। তিনি বলেনঃ এটা ছিল সূর্যাস্তের সময়, তিনি আমাকে বলেনঃ “হে আবু যর তুমি জান এটা কোথায় অস্ত যায়?” তিনি বলেনঃ আমি বললামঃ আল্লাহ এবং তার রাসূল ভাল জানেন। তিনি বলেনঃ সূর্যাস্ত যায় একটি কর্দমাক্ত ঝর্ণায়, সে চলতে থাকে অবশেষে আরশের নিচে তার রবের জন্য সেজদায় লুটিয়ে পড়ে, যখন বের হওয়ার সময় আল্লাহ তাকে অনুমতি দেন, ফলে সে বের হয় ও উদিত হয়। তিনি যখন তাকে যেখানে অস্ত গিয়েছে সেখান থেকে উদিত করার ইচ্ছা করবেন আটকে দিবেন, সে বলবেঃ হে আমার রব আমার পথ তো দীর্ঘ, আল্লাহ বলবেনঃ যেখান থেকে ডুবেছে সেখান থেকেই উদিত হও, এটাই সে সময় যখন ব্যক্তিকে তার ঈমান উপকার করবে না” । [আহমদ]
সহিহ হাদিসে কুদসি, হাদিস নং ১৬১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আকল ও নফসের গোলাম কাফিররা তাদের আকলি অবজারভেশন অনুযায়ী সূর্যাস্তের বিষয়টি মানতে পারেনা তারা এজন্য বিশ্বাস করে এটা চক্রাকারে ঘোরে। ওদের কাছে কোন অমোঘ সত্য দলিলও নেই যেমনটা আমাদের হাতে আছে। আমাদের অবস্থান হচ্ছে সাহাবীয়্যাতের বিশ্বাসের অনুরূপ। আর তা হলো, কুরআনের বর্নিত উদয়াচল ও অস্তাচলের অস্তিত্ব সত্য। সূরা কাহাফের আল্লাহর কথা সত্য। হাদিসের কথা সত্য। সাহাবীদের এই সংক্রান্ত বিষয়ে হওয়া কথোপকথনটি সত্য। প্রত্যেক বর্ননাই একে অন্যের সাথে শতভাগ সঙ্গতিপূর্ণ এবং তা অভিন্ন সত্যের বর্ননা দেয়, আর তা এই যে সূর্য ফিজিক্যালি অস্তমিত হয়।
আমরা আকলের অনুসারী নই। বরং সাহাবাদের আকিদা বিশ্বাসের অন্ধ অনুসারী। আকল ও নাকলের ব্যপারে আমাদের উসূল হচ্ছে-
★ যদি কোন বিষয়ের ব্যাখ্যায় শারঈ দলিল এক্সিস্ট করে, তখন আকল নির্ভর কনক্লুশন যতই সুন্দর হোক না কেন, যতই "লজিক্যাল" হোক না কেন আমরা সজ্ঞানে তা বাতিল সাব্যস্ত করি। দলিলের কঠোর অনুসরণের উদাহরণে আমরা বলতে পারি, যদি আমরা চোখে কোন জিনিসকে বামদিকে যেতে দেখি, কিন্তু শারঈ দলিল সে জিনিসকে ডানদিকে যাবার কথা বলা হয় তবে আমরা চোখ বুজে বলব, আমরা ভুল দেখছি কিংবা আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভুল, কুরআন সুন্নাহর দলিলে যেটা আছে সেটাই হক্ক। কিভাবে হচ্ছে সে ব্যপারে লা মালুম, কিন্তু দলিলে যেটা বলা আছে সেটাই হক্ক।
****************************************************************************
★যদি কোন বিষয়ে কাফিরদের বলা তত্ত্বের বিপরীতে কুরআন হাদিস,হতে পারে একদম জঈফ হাদিস-আসার, হতে পারে কওল কিংবা এমন কোন ইজরাঈলি বর্ননা যা সাহাবিগন গ্রহন করেছিলেন,যা কুরআন সুন্নাহ অন্যকোন দলিলকে রদ করে না বা সাংঘর্ষিকতা তৈরি করে না। বরং অতিরিক্ত জ্ঞান দান করে। আমরা আকলি সিদ্ধান্তের বদলে সেসবকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের একমাত্র গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা বা দলিল হিসেবে শ্রদ্ধার সাথে গ্রহন করব। আমরা কাফিরদের কথার বিপরীতে এইসব দলিলগুলোকে সত্য হিসেবে উপস্থাপন করি, এইসমস্ত বর্ননাগুলো কাফিরদের কথা কিংবা নিজেদের মনগড়া আকলি ব্যাখ্যার চেয়ে আমাদের কাছে অধিকতর বেশি গ্রহণযোগ্য। একজন সত্যিকারের সালাফের অনুসারী কখনোই আকলি বুঝকে এক্সিস্টিং সুস্পষ্ট শারঈ দলিলের উপরে প্রাধান্য দেয়না। আল্লাহ আমাদের এরকম বিভ্রান্তি থেকে হেফাজত করুন। আমিন। সেসমস্ত শারঈ দলিল অনুসরনে আমাদের নীতি হচ্ছে আমরা আসমান যমীনের অদেখা জগতের ব্যপারে কুরআন সুন্নাহ বা সালাফের থেকে শুনলাম এবং মানলাম।
★আমরা সৃষ্টিতত্ত্বীয় বিষয়ে দুর্বল হাদিস/আসার/কওল সমূহকেও এজন্যই গুরুত্ব দিচ্ছি যে,অদেখা জগত সমূহের ব্যপারে কাফিরদের মনগড়া তত্ত্ব এবং যাদুশাস্ত্র আশ্রিত বিশ্বাসভিত্তিক যে অসত্য তথ্য বা জ্ঞানগত ব্যাপকতা রয়েছে এর বিপরীতে আকলি চিন্তার বদলে দলিলের অনুসরনকে অধিকতর কল্যাণকর মনে করি। অদেখা জগতের বিষয়ে যথাসম্ভব বেশি পরিমাণে দলিলভিত্তিক বর্ণনার অন্বেষণ করি। যদি শুধুমাত্র সহিহ ইসনাদকে গ্রহন করা হয়,এবং সহিহ ব্যতিত সবকিছুকে বর্জন করা হয়, তবে যৎসামান্য জ্ঞান ছাড়া অধিকাংশ বিষয়ই অমিমাংসিত থাকবে। তখন সাধারন মানুষ আকলনির্ভর ত্রুটিপূর্ণ চিন্তা শুরু করবে যেটা দলিলের অনুসরণের চেয়ে নিকৃষ্ট। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে আলিমগন আজকে মনগড়া, যাদু ও দর্শনভিত্তিক বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্ত্বীয় জ্ঞানকে গ্রহনকে মোটেও অপরাধ মনে করেন না,আমরা মনে করি দুর্বল দলিলসমূহকে গুরুত্ব দেয়া ও গ্রহন করা কাফিরদের কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কথা গ্রহনের তুলনায় শত সহস্রগুন উত্তম। হাদিস দুর্বলতা রাবী বা বর্ননাকারী এবং এর তাহকিককারীর উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। দেখা যায় একাধিক অভিন্ন বক্তব্যের হাদিসের মধ্যে একটি জঈফ আরেকটি সহিহ! এও দেখা যায়, একজন আলিম একটি হাদিসকে দুর্বল বলে বাদ দিচ্ছেন, অন্য আরেক আলিম সেটাকে গ্রহণযোগ্য বলছেন। এজন্য সৃষ্টিতত্ত্বীয় বিষয়ে যুক্তি-বিবেক বুদ্ধি ব্যবহারের চেয়ে দুর্বল বর্ননা কিংবা কওল সমূহকে পছন্দ করি।
★এই বিষয়ে আমাদের কাছে প্রাচীন মুফাসসীরীন, মুহাদ্দীসীন ইমামদের কুরআন হাদিসের বক্তব্য, মন্তব্য ও ব্যাখ্যার বিশেষ গ্রহনযোগ্যতা ও গুরুত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের নীতি হলো, একাধিক আলিমের মধ্যে কুরআন হাদিস ও সাহাবীদের বিশ্বাস/কথোপকথনের দলিলের অপেক্ষাকৃত অধিকতর নিকটবর্তী মতকে গ্রহন। উদাহরণস্বরূপ ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ রহঃ বলতেন চাঁদের নিজস্ব আলো আছে, অন্যদিকে ইমাম ইবনু কাসির বলতেন চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। এক্ষেত্রে ইবনে তাইমিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহ দলিলের অধিকতর নিকটবর্তী, তাই তার এ বক্তব্যকে আলিমদের পক্ষ থেকে আমাদের স্বপক্ষীয় মতামত হিসেবে তুলে ধরব। তাকে এক্ষেত্রে গ্রহন করবার কারন তিনি কুরআন হাদিস/আসারের অধিকতর নিকটবর্তী। একইভাবে ইমাম কুরতুবি (রহঃ),সুয়ুতী(রহঃ) প্রমুখ যমীনকে মুসাত্ত্বাহা বলতেন অন্য দিকে ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহঃ), ইবনে হাযম (রহঃ) বলতেন কুরউইয়্যাহ। দলিলের অধিকতর নিকটবর্তী ইমাম কুরতুবি (রহঃ), সুয়ূতী (রহঃ)। সুতরাং আমরা আমাদের যাবতীয় লেখনীতে কুরতুবি, সুয়ুতি,ইবনে জারির প্রমুখ আলিমদের রেফারেন্স গ্রহন করব। এখানে সালাফের থেকে আসা যাবতীয় দলিলের প্রক্সিমিটিই বা নৈকট্যের ভিত্তিতেই নেয়া হচ্ছে। যেসব আলিম কাফিরদের সোকল্ড বিজ্ঞান ও গ্রীক কালামি হেলেনিস্টিক এ্যাস্ট্রনমি ঘেষা বক্তব্য দেন তাদেরকে আমরা অসম্মান করিনা বা বিদ্বেষ পোষণ করিনা।
★আমরা যদি কখনো আকলি ব্যাখ্যা দেইও সেটা অবশ্যই নসের ভায়োলেশনে হবেনা। বরং কুরআন সুন্নাহর বক্তব্যের অনুকূলে সেটাকে আরো শক্তিশালী করার জন্য করা হবে।
★আমরা কাফিরদের বলা ও তৈরিকৃত বিভিন্ন ডকুমেন্ট,অইসলামিক ননরিলিজিয়াস সেকুলার সোর্সকে একমাত্র তখনই গ্রহন করি যখন তা পুরোপুরি ইসলামের দলিলের অনুকূলে থাকে এবং শারঈ ঐ দলিল গুলোর ব্যপারে আওয়ামের মধ্যে আকলি বুঝ তৈরিতে এবং ইয়াক্বিন তৈরিতে সাহায্য করে। অর্থাৎ আমাদের মাকসাদ হচ্ছে আল্লাহ ও তার রাসূল(সা) ও তার সাথীদের থেকে আসা যাবতীয় চিন্তাধারা ও বিশ্বাসকে ডিফেন্ড করা, পুনরুজ্জীবিত করা, শক্তিশালী করা। এক্ষেত্রে আমরা নসের সাথে সংগতিপূর্ন তথ্যকে গ্রহন এবং যতটুকু অসংগতিপূর্ন ততটুকুন বাতিল সাব্যস্ত করি। তবে এই সোর্স থেকে গ্রহন শুধুমাত্র আওয়াম সাধারনের মনের সংশয় প্রশমনের জন্য।
★যেহেতু কাফিরদের মনগড়া ব্যাখ্যার বিপরীতে ব্যাখ্যার দরকার হয়। আমরা সর্বোচ্চ চেস্টা করব ব্যাখ্যা গুলো নস থেকে নেয়ার। আকলি যুক্তিকেন্দ্রিক ব্যাখ্যা ঠিক তখন প্রয়োগ করব, যখন কুরআন হাদিস/আসার/কওল বা সালাফের সব ধরনের সোর্সের কোন স্থানেই কোন উত্তর না পাওয়া যাবে। তবে এটাকে আমরা পছন্দ করিনা। আমরা বলতে পছন্দ করিঃ "ওয়া আল্লাহু তা'য়ালা আ'লাম"।
★এই নীতি শুধুমাত্র কস্মোলজি/এস্ট্রনমিক্যাল সাবজেক্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
এবার আপনারা মিলিয়ে দেখুন, "ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্ব" এবং "বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান" এই উসূল গুলোকে মেনেই লিখিত হয়েছে। আমার মনে পড়ে ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্বের ভূমিকাতেই এই বিষয়টি অন্যভাবে সংক্ষেপে লিখেছিলাম।
****************************************************************************
এবার আসুন উসূল অনুযায়ী সূর্যাস্তের ব্যপারে শারঈ দলিল গুলোকে আকলি বুঝে শক্তিশালীকরন এবং আওয়াম সাধারনের ইয়াক্বিন তৈরিতে ভূমিকার জন্য অইসলামিক সেকুলার,কাফিরদের সোর্স গুলোর দিকে যাওয়া যাক। যমীনকে একদল লোক স্কয়ার বিশ্বাস করে। তারা রেফারেন্স হিসেবে ইদ্রিস(আ) সূর্যকে যমীনের প্রান্তসীমায় একাধিক পোর্টাল থেকে উদিত ও অস্ত যেতে দেখেছেন বলে কিছু দলিল পেশ করে।কাফিরদের একদল এযিমুথাল ম্যাপ প্রজেকশনে কিছু ত্রুটি দেখতে পায় যেগুলোর একমাত্র সল্যুশন হয় স্কয়ার ম্যাপে। যমীনকে স্কয়ার বা চারকোনা করলে সূর্যকে বাধ্যতামূলকভাবে উদিত এবং অস্তমিত করতে হবে। তারাও অস্তাচল ও উদয়াচলে পোর্টাল জাতীয় কিছুর অস্তিত্বের কথা বিশ্বাস করে। পোর্টালের কাজ হলো সূর্যকে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে চোখের পলকে নিয়ে গিয়ে উদিত করা। তাদের এই ব্যাখ্যা সাহাবীদের সূর্যাস্ত ও উদিত হবার বিশ্বাসকে সত্যায়ন করে এবং আকলি আন্ডারস্ট্যান্ডিং তৈরিতে সাহায্য করে। সুতরাং আমরা আকলি ব্যাখ্যা হিসেবে একে নসের সাথে সাংঘর্ষিকতা না করার শর্তে গ্রহন করতে পারি। আমাদের উদ্দেশ্য সাহাবিয়্যাতের আকিদা বিশ্বাসকে একমাত্র গ্রহণযোগ্য হক্ক আকিদা(বিশ্বাস) হিসেবে প্রতিষ্ঠা। আকলি বুঝকে প্রচার করা আমাদের মাকসাদ নাহ্। শুনেছি আকলকে দলিল হিসেবে মু'তাযিলা সম্প্রদায়রা গ্রহন করে। সুতরাং আকলকে সবার উপরে ধরে সুস্পষ্ট সহিহ হাদিসে কুদসির দলিলকে অস্বীকার অনেক বড় রকমের আত্মপ্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছু নয়। এই বিষয়গুলী আমি সংক্ষেপে ইসলামের দৃস্টিতে সৃষ্টিতত্ত্বেও আলোচনা করেছি। জানিনা ২/৩ বছর পর নতুন করে ফিতনাহ শুরুর কারন কি।
ওয়াল্লাহু আ'লাম।
যা কিছু লিখলাম তার মধ্যে যা কিছু কল্যাণকর তা আল্লাহর পক্ষ থেকে, যা কিছু অকল্যাণকর তা আমার ও শয়তানের পক্ষ থেকে।
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لآ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনীদের শয়তানী নিয়ে আর্্টিকেল বানাবেন?
ReplyDeleteআপাতত না আখ্যি। অনেক টাইম কনজিউমিং টাস্ক। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ চাহেন তো ভবিষ্যতে...।
Deleteআমাকেও ব্যান করেছে। এখনো এডমিনে বহাল তবিয়তে আছেন।
ReplyDeleteহয়ত তিনি এখনো আর্টিকেলটি পাঠ করেন নি বা তার কাছে এখনও পৌছায় নি। আশাকরি তিনি তার আত্মমর্যাদা রক্ষা করবেন। বিইযনিল্লাহ।
Deleteআপনি আসুন গ্রুপ বুঝে নিন। আর তা নাহলে গ্রুপ ডিলিট করে দেই। কারন পরিচানা করার মত লোক নেই। ৩য় পক্ষের কারো কাছেই দিব না। হয় আপনি বুঝে নিবেন না হয় ডিলিট দিব। আপনার রিপ্লের আশায় রইলাম।
Deleteআখ্যি, গ্রুপ ডিলিট করার প্রশ্নই আসেনা যতক্ষণ শাহেদ আলম ভাইয়ের আইডি এডমিন প্যানেলে থাকেন। উপরেই বলেছি যে, শাহেদ ভাই একাই থাকুক।
Deleteএটা কোনো সমাধান না। তাকে একটিভ হতে বলুন। তার সাথেও কথা বলতে চাইছি।
Deleteধন্যবাদ। আমাকে নক করলেও পারতেন। আমি এখন দায় মুক্ত।
Deleteজাযাকআল্লাহ আখ্যি। আপনাকে ম্যাসেজ করেছিলাম আপনার পার্সোনাল আইডিতে। ম্যাসেজ রিকোয়েস্ট হয়ত চেক করেন নি। :)
Deleteভাই একটা কথা জানতে চাই প্লিজ রিপ্লাই দিয়েন
ReplyDeleteআপনি এইসব বিষয় নিয়ে কখন থেকে (কত বছর বয়সে বা কোন ক্লাস থেকে ) গবেষণা আর সত্য জানা শুরু করেছেন ?
৭ বছর বয়স থেকেই এসব বিষয়ে চিন্তা আসতে শুরু হয়। ২০ বছর বয়স থেকে সত্য মিথ্যার ব্যপারে (আল্লাহর ইচ্ছায়)নিজেই নিজের মত করে উত্তর বা কনক্লুশনে আসতে শুরু করি। শিশুকাল থেকেই কৌতূহল প্রবণ এবং বেশি প্রশ্ন করি। আসলে আমি দেখেছি যে আমার প্রশ্ন গুলো জবাব দেয়ার মত দুনিয়াতে কাউকেই খুজে পাইনা যেটা আমাকে সন্তুষ্ট করে। ফলে নিজেই নিজের উস্তাদ হতে হয়। :(
Deleteআপনার সাথে আমি যোগাযোগ করতে চাই
Deletehttps://facebook.com/groups/315165405515447/
Deleteএই ঠিকানার গ্রুপে আমাদের পাবেন
Vai, geocentric cosmolgy upor pdf banaban ki?
ReplyDeleteপিডিএফ একটা আছে। ফরম্যাটিং ভাল না। ফরম্যাটিং এর উপর কাজ করতে হবে। এতে সময় দিতে এখন আমি অপারগ তবে ইনশাআল্লাহ করব। আমাদের উসূল অনুযায়ী অবজারভেবল এভিডেন্স তালাশে নিরুৎসাহ করা হয়।
Deleteভাই জিপিএস এর কাজ কিভাবে করা হয় ? এবং গুগল ম্যাপে ও গুগল আর্থ সম্পর্কে কিছু বলেন , দুনিয়ার প্রত্যেক জায়গার ছবি এগুলো তে পাওয়া যায় । স্যাটেলাইট সম্পর্কে কিছু বলেন ভাই ? আমি বলি কি ভাই এই বিষয়গুলো নিয়ে একটা আর্টিকেল সিরিজ লেখেন । তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয় ।
ReplyDeleteলিখব আখ্যি ইনশাআল্লাহ।সবর করুন। তবে আমাদের উসূল অনুযায়ী এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর খোজা জরুরী না।
Deleteভাই, একটা প্রশ্ন ছিল। প্রতিরক্ষা, ডিফেন্স যেমন বিমান, সেনা, নৌ বাহিনীতে বেসামরিকক পোষ্ট যেমন ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, কম্পিউটার অপারেটর, এগুলাতে কি জব করা যাবে? এসব কি আকবারে কুফর ভিতর অন্তভুক্ত হবে? এসব জব করা কি জায়েজ হবে আরেকটি প্রশ্ন গ্রাম্য পর্যায়ে মেম্বার, চেয়ারম্যান রা কি তাগুতের অন্তভুক্ত, তাদের কি ভোট দেওয়া যাবে? জাযাকাল্লাহ খায়রান ভাই
ReplyDeleteআখ্যি প্রশ্নগুলো কোন মুহাক্কিক আলিমকে জিজ্ঞেসা করলে উত্তম হয়। আমি যেটা বুঝি সেই এই যে কালামুল্লাহ এইসব সামরিক জোটকে শয়তানের বাহিনী বলে,তাগুতের গোলাম। আর এদের ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া মানে ওদের কাজকে সহজ করা,ওদের কুফরকে বলবৎ রাখার সহায়ক ভূমিকায় থাকা। এমন স্থানগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া উত্তম। তবে নিরুপায় হয়ে গেলে আমরা জানি হারাম বস্তু ভক্ষণ করলেও আল্লাহ ক্ষমাশীল। গ্রাম্য চেয়ারম্যান মেম্বার এগুলো মূলত তাগুতের শাসনকে তৃণমূল পর্যায়ে ধরে রাখে। ভোটাভুটিতে অংশগ্রহন করাই তো দ্বীনবিরোধী কাজে তাগুতকে সাপোর্ট করা। এটা থেকে দূরে থাকা উত্তম। চাপে পড়লে বা প্রাননাশের আশংকায় পড়ে করলে ভিন্ন কথা। যা বললাম এগুলো আমার ব্যক্তিগত আন্ডারস্ট্যান্ডিং। এটাকে আপনার উপর এ্যাপ্লাই করবেন না যেহেতু আমি আলিম নই। আমি আপনাকে বলব এ নিয়ে মুহাক্কিক তাওহিদপন্থী আলিমকে জিজ্ঞাসা করতে।
Delete