Wednesday, January 16, 2019

যারা কোয়ান্টাম মিস্টিসিজমকে দ্বীন বানিয়ে নিয়েছেন...

যারা কোয়ান্টাম মিস্টিসিজমকে স্বীয় দ্বীন বানিয়ে নিয়েছেন এবং সজ্ঞানে এর ভেতরকার সমস্ত ডক্ট্রিনের ব্যপারে ওয়াকিবহাল, তাদের উচিত না কোয়ান্টাম ম্যাথডের বিরোধিতা করা(যেহেতু অসংখ্য কোয়ান্টাম গ্রাজুয়েটদের মধ্যে অসন্তোষের রেখা দেখতে পাচ্ছি)। কারন এদেশে লেফটহ্যান্ড পাথের প্রিচারদের মধ্যে একমাত্র কোয়ান্টাম ম্যাথডই সুপ্রতিষ্ঠিত। বিরোধিতা না করে উদ্ভুত সমস্যা গুলো আলোচনার দ্বারা সমাধান করা যেতেই পারে।


আর যারা নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করেন, তাদের অবগতির জন্য জানাই কোয়ান্টাম ম্যাথড ভিন্ন ধর্মের ন্যায় শক্ত গোড়া বিশিষ্ট স্বতন্ত্র ফিলোসফিক্যাল ওয়ার্ল্ডভিউ। পশ্চিমা দেশীয় উইক্কা, থেমেলা,রোজাক্রুশানিজম, অর্দো টেম্পলি ওরিয়েন্টিস, ফ্রিম্যাসন ইত্যাদির নাম জীবনে শুনেছেন?  কোয়ান্টাম ম্যাথডের মহাজাতক এবং উচ্চতর পর্যায়ের ডিসাইপেলদের ফিলোসফিক্যাল টেনেট বা বিশ্বাস ব্যবস্থা এই অচেনা বা চেনা শব্দগুলোর অনুসারীদের মত অভিন্ন। সেল্টিক মিস্ট্রি, মিথ্রাইজম,আর খ্রিষ্টানদের নোসিস,ইবনে আরাবির গ্রীক ফিলসফারদের ধার করা সুফিবাদ একই শিক্ষা বহন করে। এগুলো সবই ম্যাজিক্যাল ওয়ার্ল্ডভিউ এর শিক্ষা দেয়। সবগুলোই প্যান্থেইস্টিক বিশ্বদর্শন ক্যারি করে।হার্মেটিজম, ইহুদীদের কাব্বালা,বৈদিক ট্রেডিশন(ইস্টার্ন মিস্টিসিজম) সবই যাদুবিদ্যার বিভিন্ন মাজহাব। এর ফলোয়াররা সবাই একচক্ষু বিশিষ্ট এক মহানগুরুর প্রতিক্ষায়(এই আশায়), তিনি তার অনুসারী এ্যসেন্ড করবেন উচ্চতর প্লেইন অব এক্সিস্টেন্সে। ওটা তাদের জন্য প্যারাডাইস। ওদের কিতাবাদিতেও ওসব আছে। রকেট সায়েন্টিস্ট জ্যাক পার্সন যিনি কিনা ক্রোলির বন্ধু ছিলেন, তিনি ওই গুরুর নাম বলেছেন, "বেলেরিয়ন আর্মিলাস আল দাজ্জাল"!! 

ইহুদীরা যাদুবিদ্যাকে হালাল করে নিয়েছিল।আজ ওরা অভিশপ্ত।২:১০২ এ আছে, পড়ুন। ওরা আজ তালমুদ/জোহারের অনুসারী, তাওরাতকে শুধু মুখেই মানে। সেটাকে বিকৃত করতেও বাকি রাখেনি। খ্রিষ্টানদের অধিকাংশই ওই কাব্বালিস্ট ইহুদীদের গোলাম। সামান্য কিছু ফান্ডামেন্টালিস্ট যারা ওদের ডমিনিয়ন মানে না। এদের সংখ্যা ধরার মত না। বাকি আছি আমরা। আমাদের একদল সুফিবাদকে গ্রহন করে নিয়ে আজ পীরের মুরিদ,সেই একই এসোটেরিক নলেজের ফাদ। মারেফতের নামে মিথ্যা শয়তানি ইত্তেহাদি ইল্ম।বাকি থাকলো কারা(?) আপনি? আপনাকে আজ কোয়ান্টাম ম্যাথড ডাকছে, সেই কাব্বালিস্টিক নিষিদ্ধ বিদ্যা গ্রহনের জন্য। আপনি হয়ত সাড়াও দিয়েছেন। আল্লাহর দয়ায় দু একজন ফিরে এসেছেন। বাকিরা জ্যোতিষী বোখারী নামের ওই মালউন(অভিশপ্তের) মুরিদ। এই জ্যোতিষী আগেই বলে নিয়েছে সে অকাল্ট নলেজের প্রচারক। আমরা আজ এতটাই মূর্খ জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছি, হায়, চোখ থাকতেও মানুষ রূপি শয়তানের বিছানো সেই চোরাবালিতে পা দিয়েছি। বাবেল শহরে শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রগুলোকে গ্রহন করে নিয়েছি। বাদ থাকলো কে? আমার মত লোকেরা?! আমাদের মত লোকদেরকে জালিম শাসকের ইন্ধনে অত্যাচারী সামরিক বাহিনী মাঝেমধ্যে ক্রসফায়ারে দেয়। সন্ত্রাসী, জংগী অনেক কিছুই টাইটেল দেওয়া হয়, কারন আমরা শুধুই সতর্ক করি যেন শয়তানের অনুসারীদের খাতায় নাম না লেখান। এই এসোটেরিক/এক্সোটেরিক এজেন্ডা ক্ষমতাসীন সরকারের সাথেও রিগড। আমাদেরকেও উচ্ছেদ করা হচ্ছে। দেখেননি অনলাইনেই কিভাবে আইডিতে রিপোর্ট করে ভার্চুয়ালভাবেই হত্যা করা হয়।আমরাও না থাকলে দাজ্জ্বাল মহাশয়ের ইউটোপিয়ান ড্রিম অনেক ইজি হয়ে যাবে। টোটালেটেরিয়ান ওয়ার্ল্ড ডমিনেশনের[১] জন্য প্রয়োজনীয় ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিয়নের পথ সহজ হচ্ছে। তাই না?

যেসব মুসলিম(!) কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম নিজের মাঝে ধরে রাখতে চান, এনার্জি ফ্রিকোয়েন্সি, ভাইব্রেশনের অকাল্ট ফিজিক্স এ ডুবে থাকতে চান, তারা কেন শহিদ বোখারির অল্প শিক্ষা খেয়ে তুষ্ট থাকবেন? আরো তো অনেক শয়তানি বিদ্যা ও আকিদার অতলে ডুব দিতে পারেন। রিয়ালিটিতে ইচ্ছেমত ম্যানিফেস্ট করতে পারেন। মনছবি আকার আরো ভাল রাস্তা আছে তো! এনলাইটমেন্ট চাই না?? আসুন এমারেল্ড ট্যাবলেটও খাইয়ে দেই। ট্রি অব লাইফের বিদ্যা বাতলে দেই। শয়তান(নাকি শয়তানও আপনার কাছে এ্যালিগোরি) আপনার আদি পিতা-মাতাকেও বলেছিল, আমি কি তোমাকে বলব না এক অনন্ত জীবন প্রদায়ী বৃক্ষের(Tree of life) কথা? তোমাকে কি বলব না অনন্ত রাজত্ব(ইউটোপিয়া) পাবার বৃক্ষের কথা? তোমাকে কি বলব না ওই বৃক্ষের কথা যার ফল গ্রহনে এঞ্জেলিক বিংএ রুপান্তরিত হবে?! 
(হয়ত সেই উদ্যানের অস্তিত্বই আপনার কাছে সংশয়পূর্ণ!?)

যদিও সেকুলার থাকা উচিত এরপরেও বলতে হয়, যারা মিস্ট্রি স্কুলের বিদ্যাকে বেছে নিয়েছেন দ্বীন হিসেবে তাদেরকে বলি, যদি এই মহাবিশ্ব,কস্মোজণী, মেটাফিজিক্সের ব্যপারে যে ধারনা রাখেন তা অসত্য হয়?? একদম উলটো কিছু হয়?? ধরুন মৃত্যুর পরে নতুন রিয়ালিটি সামনে উপস্থিত হলো,রিইনকারনেশন ঘটলো না,ইটারনাল রিটার্নের কিছুই হলো না, কোথায় গেলো রেট্রোকজুয়ালিটি..... হঠাৎ ঘুম ভাঙলো আর নিজেকে রেজারেক্টেড অবস্থায় পেলেন কোন এক ইটারনাল মহান স্বত্ত্বার সামনে! তখন!!? খুব আফসোস হবে। আসলেই....।
দুনিয়াতেই আর কিছু দিন বেচে থাকলে অনেকটাই দেখতে পাবেন এর সত্যতা। যে একচোখ ওয়ালা 'লর্ড মেলচিজেদিক'/ওয়ার্ল্ড টিচারের অপেক্ষা করছেন উনিই তো ২০১৯ সাল আগে চলে যাওয়া আরেক শক্তিধর সুপুরুষের বর্শার আঘাতে তেল আবিবের কোথাও মোমের মত গলে মারা যাবে। তখন?? অন্তর্গুরু,স্পিরিট গাইড তো কত কিছুরই তো প্রতিশ্রুতি[১] দেয়, সবই কি সত্য?? 

[১]. 
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_25.html


Tuesday, January 15, 2019

যাদুবিদ্যায় শয়তান জ্বীনের ভূমিকা ২

তখন হয়ত ২য় শ্রেণীতে পড়ি, ইসলাম শিক্ষার ক্লাসটা হবেনা, ক্লাস ছুটিও দেয়নি। সবাইকে হিন্দুধর্মের ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে বলা হলো। বিভা ম্যাডাম হিন্দুধর্মের ক্লাস নিচ্ছিলেন। ওদের কারও মাঝে বর্তমান সময়টার মত উগ্র হিন্দুত্ববাদী চেতনা ছিল না। কিছুটা অসাম্প্রদায়িক।  ম্যাডাম সবাইকে উদ্দেশ্য করে বইয়ে উল্লিখিত কোন একটা মন্ত্র শেখাচ্ছিলেন, "ঔঁ ক্রিং গ্রিং.... স্বাহা" এরকম কিছু। এর দ্বারা কি কি হয় সেসবও কিছু বলছিলেন।


দুচারদিন আগে একটা ব্লগে প্রবেশ করলাম, সেখানে কোন যাদুকর কালো যাদু, স্পেল-ইনক্যান্টেশন প্রভৃতি জিনিস শেখায়। অবাক হলাম সেই হিন্দুধর্মের স্পেলটা এই ব্ল্যাকম্যাজিয়ানও ব্যবহার করা শেখাচ্ছে দেখে। এর জন্যই বলি, হিন্দু-বৌদ্ধ-বৈষ্ণব-নাথ-বিশেষিকা ইত্যাদি সবই পূর্বাঞ্চলীয় যাদুবিদ্যাকেন্দ্রিক স্যাটানিক দর্শন ছাড়া কিছু না। এজন্যই sect of horned god এর স্যাটানিস্ট Thomas LeRoy হিন্দুধর্মকে বামপথের আদর্শ রাস্তা বলে ভূয়সী প্রশংসা করেন। হিন্দু ধর্মের প্রতিটা বিষয়ই এস্ট্রলজিকে ঘিরে। ওদের মুনী ঋষিদের কাছে প্রতিমাগুলোর ব্যাখ্যা ভিন্ন। সেসব ন্যাচারাল ফোর্স ও 'ল এবং কুফরি মেটাফিজিক্সেরই(Origin of existence) পার্সোনিফিকেশন। একদমই প্যান্থেইস্টিক। এজন্য মূর্খ নমঃশুদ্ররা ম্যাটেরিয়াল মূর্তি পূজা করলেও জ্ঞানীরা কাল্পনিক রিবার্থ এড়িয়ে মুক্তির জন্য ধ্যান তপস্ব্যায় শয়তানের সাথে নিজেদের যোগ করে। এসব আকিদা হলিউড ফাউন্টেইন, আই অরিজিন ইত্যাদি ফিল্ম দিয়ে বহুবার প্রমোট করেছে।

তো ওই ব্লগের কালোযাদুর উস্তাদের অন্যান্য মন্ত্রগুলোর কন্টেন্ট শুনলে অবাক হবেন। সরাসরি ইবলিসের পুরাতন নাম 'আযাযিলের' দোহাই দিয়ে এটা ওটা করে দেওয়ার জন্য আকুল আর্তি। সেই সাথে পাশাপাশি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালাকে অকথ্য ভাষায় গালি,অসম্মানজনক কিছু বলে বিদ্রোহ। অর্থাৎ সুস্পষ্ট কুফর। আবার কিছু স্পেলে শয়তানি কন্ডিশনাল বাক্য। যেমন কবিতার ছন্দে লেখা, যদি এই স্পেল না কাজ করে,তাহলে আল্লাহ অমুকের তুল্য [নাউজুবিল্লাহ]। অর্থাৎ যাদুকররা খুব ভাল করেই জানে, সব ক্ষমতার মালিক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা। ওরা ভাল করেই জানে আল্লাহর আদেশ ছাড়া কারওই অনিষ্ট করতে পারে না। আল্লাহ বলেনঃ"..তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তদ্দ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না..।[২:১০২]"
 ওরা শুধুই দুনিয়ার তুচ্ছ কিছু লাভের জন্য পরকালকে বিক্রি করে দেয়। কুফরি কথা বলে, বা এমন কন্ডিশনাল বাক্য বলে যাতে আল্লাহ ওদেরকে পরকালের(ইচ্ছাকৃতভাবে কুফরি করে ঈমান ত্যাগের জন্য) বিনিময়ে নগদে ফলাফল দিয়ে দেন। কিন্তু ওরা এর বিনিময়ে পরকালের সব হারায়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেন,
" তারা ভালরূপে জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোন অংশ নেই। যার বিনিময়ে তারা আত্নবিক্রয় করেছে, তা খুবই মন্দ যদি তারা জানত।"

পাশ্চাত্যেও উইক্কানরা বিচিত্র দেবতা,দেবীর(শয়তান) নামে মন্ত্র পড়ে রিচুয়াল গুলো করে। এগুলো যাদুর একটা বিশেষ শাখা যেখানে, শয়তানকে ইনভোক করা হয়, আর আল্লাহর নামে কুফরি কিছু বলা হয়, কার্যসিদ্ধির জন্য। শয়তানের নিজের ঐ ক্ষমতা নেই যে তার হুকুমে বস্তুর পরিবর্তন ঘটবে। আল্লাহই সব পরিবর্তন ঘটান।

ওই তান্ত্রিকের ব্লগের কতক স্পেলে আল্লাহর কাছেই আকুল ভাবে এটা সেটা চাওয়া, কোন শিরকি শব্দ নেই।
কিছু স্পেল  আবার সরাসরি ম্যাটারকে অমুক তমুক হয়ে যাবার জন্য  কমান্ড করা। কিছু স্পেল একদমই অর্থহীন ননসেন্স রাইম। এগুলো সবই যাদুর ভিন্ন ভিন্ন মাজহাব। পাশ্চাত্যে Sigil,Sympathetic,Chaos, Elemental,Knot,ভুডো ইত্যাদি সবই বিচিত্র পথ ও প্রক্রিয়া। এক কব্বালিস্ট র‍্যাবাই বলেন, কাব্বালা ন্যাচারের নীতি গুলোকে ডিফাইন করে, সেগুলোকে কিভাবে মানুষের কাজে লাগানো যায় সেসব সেখায়। তাদের কাছে এটা একটা বিশেষ জ্ঞান বা বিজ্ঞান। এলিস্টার ক্রোওলির কাছেও এটা আর্ট এ্যণ্ড সায়েন্স। রকেট উদ্ভাবক- যাদুকর জ্যাক পার্সন সবসময় কোয়ান্টাম মেকানিকস দিয়ে যাদুবিদ্যাকে ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করতেন। যাদুকর নিউটন এ্যাকশ্যন এ্যাট ডিস্ট্যান্স এর কারন খুজতে গিয়ে এর ব্যাখ্যায় ইথারের রিপ্লেসে গ্রাভিটি বসিয়ে অনেক দিন চুপচাপ থাকেন, এই ভয়ে লোকে আরেকটা যাদুর দিক বের করায় নিন্দা করবে। ক্রোওলি এ্যকশন এ্যট ডিস্টেন্স ডেমোন্সট্রেট করতে গিয়ে বন্ধুকে নিয়ে বাহিরে হাটার সময় দূরের লোককে নযর ও ইচ্ছার(ইন্টেন্ট) দ্বারা মাটিতে পর্যন্ত ফেলে দিয়েছিলেন।

আজকের আইডিয়ালিস্টিক ফিজিক্সে ব্যবিলনিয়ান মিস্ট্রি স্কুলের আকিদাগুলো ১০০% প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শয়তানি সমস্ত বিদ্যাকে গ্রীন সিগ্নাল দেওয়া হয়েছে। এসব বিদ্যাকে নতুন মোড়কে প্রকাশ করা হয়েছে। এজন্যই যাদুবিদ্যাভিত্তিক হিন্দু ধর্মের বেদ ফিজিসিস্টদের কাছে অগাধ জ্ঞানের সিন্ধু। বৌদ্ধ ধর্মই সবচেয়ে সায়েন্টিফিক দ্বীন আইনস্টাইনের চোখে।

শয়তান একটা বিরাট কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। সেটা হচ্ছে ওদের যাদুবিদ্যাকেন্দ্রিক দর্শনগুলো থেকে সৃষ্টিকর্তার নিষ্প্রোয়জনীয়তা প্রতিষ্ঠা করেছে। এটা বৈজ্ঞানিক রিডাকশনিজম থেকেই শুরু। অথচ মধ্যযুগীয় যাদুকররাও আল্লাহর হুকুমকে তাদের কারসাজির অনুমতিদাতা হিসেবে বিশ্বাস করত।আজ এরাই নিজেদেরকে রব মনে করে। প্রথমত এরা কোন কিছুর ফলাফলের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করে সবর করে না, সরাসরি ফলাফল চায় এর উপর নিজেদেরকেই রব হিসেবে কল্পনা করে। আজকের কথিত (ব্যবিলনিয়ান) ফিজিক্স এই ইতিহাসের সর্বোনিকৃষ্টতম আকিদা ও কুফরের দিকেই উৎসাহিত করে। ওই দর্শন কেন্দ্রিক জীবনব্যবস্থাকেই সায়েন্টিফিক বলে। এজন্যই আজকে কোয়ান্টাম মিস্টিসিজমের বিপ্লব চলছে। মানুষ দলে দলে কোয়ান্টাম ম্যাথডে যোগ দিচ্ছে। কারন এটাই আজকে সায়েন্স অব লিভিং! এখনো বিষয় গুলো বোঝেন না?! প্রাচীন অকেজো বস্তুবাদী বিজ্ঞান থেকে বের হয়ে আসতে হবে, আপনাকে জানতে হবে কেন সার্নের ফিজিসিস্টরা নিজেদের এথিস্ট না বলে মহাঋষি মহাযোগী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটে যান। কেন, সার্ন ল্যাবের সামনেই নটরাজ শিবের মূর্তি! এগুলোই তো ছাইন্স!

Friday, January 11, 2019

Hegelian Architect - ম্যাটেরিয়ালিজম নাকি আইডিয়ালিজম?

আমাদের দেশে এই সময়টাতে নাস্তিকদের যেমন প্রভাব আধিপত্য দেখা যাচ্ছে, সেটা খুব বেশিদিন কিন্তু থাকবে না। বিজ্ঞানে বড়
ধরনের পরিবর্তন এসেছে। সেটা আজ নয়, বরং প্রায় তিন চার দশক আগে থেকে। আজ সে পরিবর্তন অনেক দূর গিয়ে গড়িয়েছে।

 আমাদের দেশে, পশ্চিমা দেশগুলোতে কোন জিনিস পুরাতন হবার অনেক পরে নতুনরূপে আবির্ভূত হয়। যেমন ধরুন,৪জি এদেশে চালু হবার বহু আগেই পশ্চিমে পুরানো হয়ে গেছে। এখন ওসব দেশে ৫ জি নিয়ে কাজ চলছে। এরকমভাবে ওদের দেওয়া কোন বিদ্যা, ওদের দেশে রাতারাতি পরিবর্তন সংস্করণ ঘটলেও, এদেশে অনেক দেরীতে হয়। এ কারনে ফিজিক্সে বড় ধরনের পরিবর্তন এলেও এদেশে এখনো ক্লাসিক্যাল ম্যাটেরিয়ালিস্টিক মেকানিক্স নিয়ে পড়ে আছে। সে হিসেবে এদেশীয় প্রগতিশীল এ্যথিস্টগুলো একধরনের "বলদ"! এরা এখনো বস্তুবাদী চেতনা থেকে নিজেদের বের করতে পারেনি। পশ্চিমা ফিজিসিস্টদের ওয়ার্ল্ডভিউ খোজ নিয়ে দেখুন, কি অবস্থা! ন্যাচারাল ফিলোসফি তথা বিজ্ঞানের একটা অধ্যায়ে বস্তুবাদীতা রাখা হয়েছিল প্রবলেম→রিয়্যাকশ্যন→সল্যুশন এর দিকে নেওয়ার জন্য। সল্যুশন=প্রাচীন ব্যবিলনিয়ান এস্ট্রোথিওলজিক্যাল প্যাগান মিস্টিসিজম। এজন্যই রিডাকশনিজমের এজ এর বিদায় এবং আইডিয়ালিজমের উত্থান। এসব হেগেলিয়ান আর্কিটেক্ট, অকাল্ট মিস্ট্রি স্কুল চালুর জন্যই কিছুদিন বস্তুবাদের ফাদ ছিল। বস্তুবাদে উদ্ভুত সমস্যাই অবস্তুবাদি মনের চেতনার দিকে ফিজিক্সকে হাটায়। চমৎকার কৌশল। দুইটাই শয়তানের ফাদ।
জ্বি, নিকট ভবিষ্যতে এদেশে নাস্তিকদের দৌরাত্ম্য হঠাৎ কমে যাবে। টেসলার কথাকে সত্য হতে দেখবেন, সবাইকে কেমন যেন স্পিরিচুয়াল হতে দেখবেন। সব বিজ্ঞানমনষ্কদের দেখবেন বারুচ স্পিনোজার গডের মুরিদ। কেউ দেখবেন লালন হয়ে গেছে, কেউ বা গাজার চেয়েও বড় ক্ষমতার কোন সস্তা সাইকাডেলিক নিয়ে পড়ে থাকবে।কেউ বা কোয়ান্টাম ম্যাথডে ও ইস্কনে। সায়েন্স ও স্পিরিচুয়ালিটির গ্লোবাল রিকগ্নিশনে তাগুত শাসক বেশ খুশি হবে, এখনিতো ক্লাস এইটের বইতে লালনের মানবধর্ম পড়ানো হয়। আজই একদল বিজ্ঞানমনাকে মানবধর্ম, স্পিরিচুয়াল ডেইস্ট,নিহিলিস্ট টাইটেল নিয়ে গর্বের সাথে ঘুরতে দেখবেন। আগে বলত ঈশ্বর বলে কিছু নেই, তখন বলবে আমি, তুমি যা দেখা যায় সবই ঈশ্বর। উই আর গডস। এ মহাবিশ্ব হচ্ছে ইউনিভারসাল কালেক্টিভ কনসাসনেস, আ ম্যাসিভ মাইন্ড, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের সাথে গলা মিলিয়ে বলবে দিস মাইন্ড ইজ দ্যা মেইট্রিক্স অব অল ম্যাটার। তখন মোডারেট মোজলেমরা কি বলবে খুব জানতে ইচ্ছে করে। হয়ত নতুন ভাবে কম্প্যাটিবিলিটির জন্য দ্বীনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যাখ্যায় আপডেট করা হবে। একদল ভাববে, নাহ রিডাকশনিজমই ভাল ছিল। অনেক কিছুই ইসলামিক চিন্তাধারার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া যেত। ইন্ডিটারমিনিস্টিক ননডুয়ালিটির আকিদা একদমই আল্লাহর সাথে খোলাখুলি বিদ্রোহ, কিভাবে সমন্বয় সাধন করা যায়!?
.
ততদিনে পাশ্চাত্যে ফিজিসিস্টদের দ্বারা কাব্বালার ট্রি অব লাইফ এবং অন্যান্য অকাল্ট এমব্লেমগুলো সমহিমায় চলে আসবে(ইতোমধ্যে এসে গেছে)। সবাই বলবে প্রাচীন বিজ্ঞানী - দার্শনিকরা সত্যটাই জানত। ম্যাজিক্যাল মেকানিক্স গুলোকে এরপরে টেকনোলজিতে ইমপ্লাই করা হবে। তৈরি হবে পার্পিচুয়াল মোশন মেশিন, ভ্রিল ফ্রি এনার্জি মেশিন, জিরো পয়েন্ট এনার্জি, নিউট্রিনো, অর্গন পাওয়ার, পিরামিড এনার্জি জেনারেটর,ইন্দ্রের অলংকারের(ইন্দ্রজাল) অফুরন্ত ডার্ক এনার্জি! এখন এসব নিয়ে পশ্চিমে ডেমো চলছে। ভিঞ্চি বহু আগে এরই একটা অংশ নিয়ে ঘাটাঘাটি করে গেছেন। কোয়ান্টাম কম্পিউটার গুলো একদমই অকাল্ট ফিজিক্সের নীতিতে দিব্যি চলছে। ম্যাজিক্যাল প্রিন্সিপ্যাল এবার টেকনোলোজিতে। সেদিন এক পদার্থবিদকে দরদি কন্ঠে বলতে শুনি, "আজ অনেক মানুষ জীবনে শুধু খাদ্য,শক্তির(জ্বালানি) অন্বেষণে জীবন ব্যয় করছে, আমাদের এই ফিজিক্সের তত্ত্বটি হয়ত জগতের চাবি বাতলে দেবে, তখন নতুন ধরনের প্রযুক্তি ও দর্শনের উন্মেষ ঘটবে এ তত্ত্বকে কেন্দ্র করে"। তার বক্তব্যটা দেখানোর আগেই অফিশিয়াল ডকুমেন্টারিতে ব্যবিলনিয়ান - ইজিপশিয়ান যাদুবিদ্যাকেন্দ্রিক তাৎপর্যপূর্ন প্যাটার্ন এর সাথে কাব্বালার ট্রি অব লাইফকেও দেখাচ্ছিল। মনে মনে বলি, আচ্ছা, এই তো সেই হারানো রাজ্যের চাবি। আদম(আ) হাওয়া(আ) কেও দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেদিন ওদেরকে বলি, তোমরা নোবেল লাভের জন্য রেডি হও...। মাঝেমধ্যে ওদের শয়তানি কাজে প্রগ্রেস জানতে চাই,অমুক বিষয়টা সংযুক্ত করো,ওটার উপর গুরুত্ব দাও ইত্যাদি বিশেষ বলি(সংগত কারনে), ওরা উলটো খুব খুশি হয়ে কৃতজ্ঞতা জানায় বেশ আন্তরিকতার সাথে। ওরা যা করতে চায় এবং বলতে চায় সেসব তো আল্লাহর ইচ্ছায় অল্প হলেও বুঝি....মা'আযাল্লাহ।
.
এগুলো তো সায়েন্স তাই না??? 
হ্যা, কাব্বালা সায়েন্স। র্যাবাইয়ের ভাষায়, এগুলা যাদু না, এটা ভুল ধারনা। জ্বি অনেক ম্যাথ আছে হোয়াইট বোর্ড ভর্তি। অনেক থিওরি...। ওয়েভ মেকানিক্সের মাধ্যমে হার্মেটিক ফিলসফি আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এবার এটাও। হোক সেগুলোর জন্ম বাবেলে। আমাদের উচিৎ হিউম্যানিটির প্রগ্রেসের কথা ভেবে, সবসময় ভালটা গ্রহন করা। শয়তান থেকে আসুক তাতে কি, জন্ম হোক যথা তথা, কর্ম হোক ভাল। ওদেরকে শয়তান শব্দ বলে অবজ্ঞা করা ঠিক না, তারা হচ্ছেন এ্যসেন্ডেড মাস্টার। আওয়ার হায়ার সেল্ফ। আর একচোখ বিশিষ্ট গুরুজিও আসছেন দুনিয়ার প্রগতি আর মানব উৎকর্ষকে সমুচ্চে নেওয়ার জন্য। কুরআনেও কোথাও তার বিরোধী হবার কথা নেই। এসবে যারাই বিরোধিতা করবে তারা, উগ্রবাদী, বর্বর,অশিক্ষিত,মুর্খ,কুসংস্কারাচ্ছন্ন, উন্নয়ন ও প্রগতিবিরোধী সন্ত্রাসী জঙ্গী। কে বলেছে, কাব্বালার বিশেষ (বি)জ্ঞান হারাম। আপনি কুরআন কি বোঝেন, অমুক অমুক আয়াতে দেখেন সাজারাতুল খুলদের ব্যপারে আছে। এর জাহেরি অর্থ নিলে ভুল হবে বাতেনি অর্থ বুঝতে হবে। অমুক আয়াতের অমুক শব্দের বুৎপত্তিগত ধাতু এসেছে অমুক থেকে, অমুক থেকে অমুক..
অতএব কিছু মূর্খ খারেজি ছাগল যদি বলে এসব হারাম, মানা যাপে না। ওদের কে ধরিয়ে দিন।
__________________
এজন্যই আমি একদম গোড়া থেকে শুরু করেছিলাম- The occult origins of mainstream physics and astronomy। নব্য মু'তাযিলা চিন্তাধারা চলে আসায় আমরা সব কিছুকেই বিজ্ঞান বানিয়ে নিয়েছি। এজন্য দার্শনিক সায়েন্টিস্টদের শয়তানি কথাগুলোকে আমরা কুরআন হাদিস দ্বারা যাস্টিফাই করতে পিছপা হচ্ছিনা। ওদেরকে যে কি বানিয়ে নিয়েছি...! ইসলামিক লেকচারে পর্যন্ত আইনস্টাইনের শয়তানি কথাকে যোগ করা হচ্ছে বক্তব্যকে খুব গ্রহণযোগ্য, স্মার্ট করার জন্য, ইন্না লিল্লাহ! কিছু ব্যস্ততায় আটকে যাওয়ায় লেখা হচ্ছেনা। আল্লাহ চাইলে সমস্ত বিষয়গুলোকে সন্নিবেশিত অবস্থায় পাবেন। 

Wednesday, January 9, 2019

যাদুবিদ্যা চর্চায় শয়তান জ্বীনের ভূমিকা

আমাদের মধ্যে একটা ধারনাকে ঢোকানো হয়েছে যে, যাদুচর্চা বা সর্সারি মানেই হচ্ছে শয়তান জ্বীনের মাধ্যমে কাউকে ক্ষতি করা। এটাকেই যদি যাদুর একমাত্র সংজ্ঞা হিসেবে নেওয়া হয় তাহলে কাব্বালিস্টিক, হার্মেটিক টিচিং গুলো কি? সায়েন্স?! এখান থেকেই নিও মু'তাযিলা চিন্তাধারার সূত্রপাত। যার জন্য অজস্র ম্যাজিক্যাল অকাল্ট ডক্ট্রিনগুলোকে ইসলামাইজ করতে দেখা যায়। এরজন্য আইনস্টাইনিয়ান ঈশ্বরের ব্যাখ্যাকে ইব্রাহীম আলাইহিসালামের রব বানিয়ে দেওয়া হয়, মা'আযাল্লাহ! এসব আমরা ফেসবুকের সেলিব্রেটি পর্যায়ের নামিদামি ইসলামিক চিন্তাবিদকেও করতে দেখি।

এজন্য আজ আমরা বিদ্যা-অপবিদ্যার সীমারেখা সম্পর্কেও জানি না। কোন একটা জিনিস নিজের মতের সাথে মিললে, সেটাকে গ্লোরিফাই করার জন্য যেখান থেকে হোক তথ্য নিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট লেখা প্রকাশ করছি, যা লিখছি বা সেসব তথ্যগুলোর অরিজিনের ব্যপারে ওয়াকিবহাল হবার প্রয়োজনীয়তা একদমই মনে করছি না।

পশ্চিমা বিশ্বের উইক্কানরা শয়তান জ্বীনদেরকে gods,goddess শব্দ দ্বারা পরিচয় দেয়। প্রত্যেক যাদুকর একজন না একজন gods/goddess এর পূজা করে। অনেক যাদুকর এদেরকে স্পিরিট গাইড, এ্যাঞ্জেলসহ আরো অনেক নামে ডাকে। আমাদের দেশের মূর্খ যাদুকর/কবিরাজ/জ্যোতিষী বা গনকরা এদেরকে গুরু,অন্তর্গুরু, মুর্শিদ ইত্যাদি নামে ডাকে। অনেক শিষ্য এ শয়তানদেরকে মৃত উস্তাদের সিদ্ধ আত্মা মনে করে। তবে মুসলিম দেশগুলোতে থাকা যাদুকরদের অধিকাংশই এদের ব্যপারে জানে। অর্থাৎ এরা সচেতন যে এরা শয়তান জ্বীনের থেকে সাহায্য নেয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ পীর-ফকির-বাবা এই শয়তান জ্বীনের সাহায্য নিয়ে অলৌকিক কোন কিছু দেখিয়ে ব্যবসা অব্যাহত রাখে। পরিচিত এক গ্রামে এরকম শুনেছি, অমুক পীরবাবার জ্বীন তার অবাধ্য হয়ে বের হয়ে গেছে, যার জন্য গ্রামবাসীদেরকে নির্দেশ দিয়েছে কেউ যেন সন্ধ্যার পর না বের হয়। 

এক সেল্টিক উইক্কান কে তার যাদুচর্চায় জ্বীনের(স্পিরিট গাইড) সাহায্যের ব্যপারে প্রশ্ন করলে সে জানায়, যাদুচর্চায় এদের ভূমিকা অনেক। শয়তান জ্বীন না থাকলেও যাদু চর্চায় কোন বিঘ্ন ঘটে না, যেহেতু সেটা শুধুই ইন্টেন্টকেন্দ্রিক। সে জানায়, জ্বীনের সহযোগীতা প্রয়োজন হয় কোন হারানো কিছু খুজে পেতে, স্পেল ক্যাস্ট সফল কিনা জানাতে, আরো নিখুঁতভাবে করার প্রক্রিয়া/পদ্ধতি এবং স্পেল শেখাতে প্রয়োজন হয়। তাছাড়া সর্সারারদের চিকিৎসায়, গাছগাছড়ার গুনাগুন সংক্রান্ত তথ্য এবং বিচিত্র মেটাফিজিক্যাল দর্শন কেন্দ্রিক তথ্য দেওয়ার কাজ করে। জ্বীন যাদুকরদের প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ এবং কবচ মাদুলি অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছে দেওয়ার কাজটিও করে। এজন্য শয়তান জ্বীনের ভূমিকা যাদুকরদের কাছে অপরিহার্য। কিন্তু তাই বলে জ্বীনের possession কেই যাদু বলা ভুল। আমাদের দেশে এটাই একমাত্র যাদুগ্রস্ততা। এজন্য মূল ম্যাজিক্যাল টেক্সট উৎসারিত ন্যাচারাল ফিলসফিকে সায়েন্স বলতে কষ্ট হয় না। আপনি কি জানেন, আজকের এই ফিজিক্স আমাদেরকে বলছে, ইন্টেন্ট রিয়ালিটিকে ম্যানিপুলেট করে! হয়ত, একারনে স্বপ্নের মনগড়া ব্যাখ্যাদান নিষিদ্ধ। সেটা ঝুলন্ত পায়ের মত। যে ইন্টেন্টকেন্দ্রিক ব্যাখ্যা হবে, সেটাই ঘটবে। একই কারনেই ঈর্ষান্বিত লোকের নেতিবাচক অভিপ্রায়(ইন্টেন্ট) অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে,যাকে আমরা বদনযর বলি। এ বিষয়টিকে ধরেই এদেশের মর্ডান অকাল্ট প্রিচার কোয়ান্টাম ম্যাথড প্রত্যাশিত কিছু পেতে 'মনছবি' নামের কিছুর চর্চার পরামর্শ দেয় নিয়মিত, সেই সাথে মনোবাসনাকে শানিত করতে যোগসাধনা শেখায়। 

যাদুকররা কজ এ্যান্ড ইফেক্টের ক্ষেত্রে নিজেদেরকে ইলাহ বানিয়ে নেয়। সেই সাথে প্রকৃতির উপর প্রভাব বিস্তারের অনধিকার চর্চা করে। এবং শয়তানের শেখানো সিঙ্গুলারিটির মেটাফিজিক্সে বিশ্বাস করতে শেখায়, এজন্য ওরা নিকৃষ্ট কাফির।
ওয়া আল্লাহু আ'লাম।