Thursday, March 29, 2018

১.বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?


বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?
The Occult Origins of Mainstream physics and Astronomy [পর্বঃ১]




উপরে আইনস্টাইন সাহেবের উক্তি পড়ছেন। এটা Quantum physics নামের একটা পেজে পাব্লিশ করেছে, যা উপরে দেখছেন।
" Everything is energy and that’s all there is to it. Match the frequency of the reality you want and you cannot help but get that reality. It can be no other way. This is not philosophy. This is physics"
.
তার উক্তিটি মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানপন্থীদের মধ্যে অনেককে সংশয়ে ফেলেছে। একটা দল, যারা কঠিন ম্যাটেরিয়ালিস্টিক কন্সেপ্ট রাখে তারা মেনে নিতে পারে না,
তারা অনেক খুজে ঘেটে বের করেছে এই উক্তিটি জনৈক ব্যক্তির দ্বারা বাশার নামের এক হায়ার স্পিরিট এন্টিটিকে চ্যানেল করে বলানো কথা। এটা কতটা হাস্যকর বুঝতে পারছেন। যাহোক, আরেকটা দল যারা কোয়ান্টাম ফিজিক্স বিশারদ, তারা আইনস্টাইন এর জ্ঞানের তারিফ করে বলে আইনস্টাইন যথার্থই বলেছেন। তারা এই উক্তির সপক্ষে যুক্তিও উপস্থাপন করে। আমি জানি, এই লেখা পাবলিশ করার পরেই অনেক থটলেস ব্রেইনওয়াশড গুগলিং শুরু করে দেবে, যদি এর বিপক্ষে কিছু পায়!
তাই তাদের যেন খুব কষ্ট না করতে হয়, এজন্য বলা।

এবার আসুন জানা যাক কেনইবা এই বিখ্যাত উক্তিকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে! তিনি যে বিষয়টাকে জোর দিয়ে ফিলোসফি নয় বরং ফিজিক্স বলেছেন, সেটা কি আপনি বুঝতে পেরেছেন? আশা করি কিছুই বোঝেন নি। কারন অধিকাংশেরই "Occultism", "mysticism" এর অন্ধকার জগৎ সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই। তার এই উক্তিটি ১০০% Occult mystical Quote! রহস্যবাদ/গুপ্তবাদের ব্যপারে যা অজ্ঞ, তারা এরকম অজস্র Quote বুঝতে পারে না, না বোঝার জন্য অন্ধ ভক্তি চলে আসে, মনে করে যে, এই মহাজ্ঞানী মনীষী না জানি কত গভীর জ্ঞানের কথাই বলছেন! Mysticism(রহস্যবাদ) বা অকাল্টিজম(গুপ্তবাদ) হচ্ছে অপবিদ্যার এক মহাসিন্ধু। আর এই অপবিদ্যা হচ্ছে জাদুবিদ্যা। অবাক হচ্ছেন! Magick, witchcraft, sorcery, astrology, alchemy প্রভৃতি বিষয়গুলোকে অকাল্ট নলেজ(অতিপ্রাকৃত/গুপ্ত/গুহ্যজ্ঞান) বলে। occultism এর ইতিহাস অনেক পুরাতন। কখনো এর শিকড় পাওয়া যায় প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় আবার কখনো বা ব্যবিলন,কখনো প্রাচীন গ্রীস,কখনো বা প্রাচীন ভারত। এর ইতিহাস নিয়ে পর্যালোচনা করলে হযরত সোলাইমান আলাইহিসালাম এর সময়কার জাদুবিদ্যার রিভাইভালের বৃত্তান্তও চলে আসে। আমরা সবসময় প্রাচীন জাদুকর, ভাগ্যগনক, ভবিষ্যতবক্তাদের কথা শুনেছি,শুনেছি ফ্রিম্যাসনিস্টদের কথা; তবে সবসময়েই একটা ব্যপারে আধাঁরেই থাকতে হয়েছে,সেটা এই যে, তাদের বিশ্বাস/দর্শন বা মতাদর্শ কি!

তাদের বিশ্বাস বা দ্বীনটিই হচ্ছে Mysticism অথবা অকাল্টিজম। একজন মিস্টিক্স প্রকৃতির গুপ্ত রহস্য সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করে এবং তা manipulation এর দ্বারা লক্ষ্য হাসিল করবার জন্য গুপ্ত (অকাল্ট) বিষয়ে সাধনা করে যায়।মিস্ট্রি ক্রিডগুলোর মূলবক্তব্য একটিই। সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টি একাকার হয়ে যাওয়া। যখন বিশ্ব খ্রিষ্টানদের ডমিনেশনে ছিল, তখন জাদুকরদের এরকম বক্তব্য চরম শাস্তিযোগ্য ছিল। যাদুকররা বলতো, যেকেউ যেকোন ধর্মে থেকেই অথবা কোন ধর্ম পালন না করলেও সৃষ্টিকর্তার সাথে যোগসূত্র স্থাপন করা যায় আর এই যোগসূত্রের ঘনিষ্ঠতায় তার সাথে একাকার হওয়া যায়। ওই অবস্থায় সৃষ্টির সাথে স্রষ্টার পার্থক্য থাকেনা। খ্রিষ্টানরা এরকম মতবাদ কখনোই সহ্য করতো না, তাই এরূপ কথক সকল উইচ/যাদুকরদের কঠিনশাস্তি দিয়ে হত্যা করত। হাজারো ডাকিনী নারীদেরকে আগুনে জ্বালিয়েছিল। এরূপ নির্মম অত্যাচারের দরুন জাদুবিদ্যা খুবই গোপন বিষয় হয়ে গিয়েছিল। এজন্য এই বিদ্যাকে occult knowledge (গুপ্তজ্ঞান) বা occultism বলে।

 আপনারা অনেকেই জানেন মানসুর হাল্লাজও একই(হুলুলের) কথা(আনাল হক্ক) বলতো। এবং এটাও বলত যে, সে জাদু করে মানুষদেরকে তার পথে ডাকত। তার পরিণতি কি হয়েছিল তা ভাল করেই জানেন। মিস্টিক্সরা প্রকৃতির সকল ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে চায়। অকাল্টিস্টদের আওতাভুক্ত অস্পষ্ট নিষিদ্ধ বিষয়গুলির মধ্যে কালোজাদু/ন্যাক্রোমেসি,Astrology, Divination, Tarot card, Action at distance, physic ability- clairvoyance, Clairaudience, intuition, telepathy, teleportation,'Energy-frequency,vibration' প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত। অকাল্টিস্টদের কাছে এসব নিয়ে চিন্তাগবেষনাই হচ্ছে 'সাইন্স'। এজন্য তাদের মুখে অকাল্ট সাইন্স শব্দ দুটি শুনবেন।

এন্থ্রোপোলোজিস্ট এডওয়ার্ড টেইলর ১৮৭১ সালে তার 'প্রিমিটিভ কালচার' বইতে Occultism এর অপবিজ্ঞানকে 'ম্যাজিক' শব্দ দ্বারা synonym হিসেবে প্রকাশ করে।
(_উইকিপিডিয়া)

শয়তান একটি কাজ সাফল্যের সাথে করেছে। সে প্রত্যেক ধর্মেই, হোক তা হক্ক বা বাতিল, সর্বত্রই জাদুবিদ্যার অভিন্ন মতবাদকে প্রবেশ করিয়েছে। ইহুদীদের মাঝে মিস্টিসিজম হচ্ছে 'কাব্বালা', খ্রিস্টানদের মধ্যে 'Gnosticism', ইসলামে 'সুফিবাদ'। এরপরে প্রত্যেক প্যাগানিজমেও এর শাখাপ্রশাখা রয়েছে।এ সময়ে mysticism কে প্রধান দুইভাগে ভাগ করা হয়;

 ১. Eastern mysticism
 ২.Western mysticism

এই কুফরি মতবাদে সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধ হচ্ছে ইস্টার্ন মিস্টিসিজম বা পূর্বদিকের রহস্যবাদ । অর্থাৎ আমাদের অঞ্চলের কুফর। ওয়েস্টার্ন মিস্টিসিজম ঘাটলে দেখা যাবে, সেখানকার অধিকাংশই পূর্বাঞ্চল থেকে ধার করা। আর বর্তমানে ওয়েস্টার্নরাও ইস্টার্ন Esoteric tradition এর দিকে ঝুকে পড়েছে। এর কারনও আছে, পাশ্চাত্যে এসবের উপরে অনেক খড়গ গিয়েছে। আর প্রতিষ্ঠিত কোন প্যাগান দ্বীনও গড়ে ওঠেনি, কিন্তু পূর্বাঞ্চলে হিন্দুবৌদ্ধবৈষ্ণব শাস্ত্রলিপিসহ হাজারো বছর দাঁড়িয়ে আছে। নবী(সা) এর কথা সত্য, কুফরের জন্ম পূর্বদিকে।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Mysticism

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Occult

এবার আসুন জানি, কি (কুফরি আকিদা) বিশ্বাস করে যাদুকর-জ্যোতিষী-ভবিষ্যৎপ্রবক্তা ও ফ্রিম্যাসনিক নেটওয়ার্ক!

ওদের প্রথম আকিদাই হচ্ছে ওয়াহদাতুল উজুদ! Monism বা সৃষ্টি-স্রষ্টারর এক অস্তিত্বের বিশ্বাস।এরা আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসী নয়।ওরা বলে সৃষ্টি যা স্রষ্টাও তাই। উভয়ের একে অপরের সাথে মিশে আছে। এখান থেকেই হিন্দুত্ববাদ বা ইস্টার্ন অকাল্ট প্যাগানিজমে incarnation(অবতারবাদ) এসেছে। আপনি সুফিবাদ থেকে শুরু করে ইহুদীদের কাব্বালা, খ্রিষ্টানদের নস্টিসিজম, পশ্চিমের পিথাগোরিয়ানিজম, স্টোইসিজম,নিও প্লেটোনিজম,রোজাক্রুশানিজম, হার্মেটিসিজম... যেখানেই যাবেন সর্বত্রই এই একই বিশ্বাস পাবেন! Hermetic belief system এ 'mentalism' নামে এটাই প্রথম প্রিন্সিপ্যাল।দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=Yui-v8ykSk8

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েস্টার্ন অকাল্ট ধর্ম New Age Movement যার সাথে আমাদের দেশের অকাল্টিজম 'কোয়ান্টাম ম্যাথডের সংযোগ আছে, সেটার নেত্রী অপ্রাহ উইনফ্রের সাথে এক সুফি মিস্টিক্স সৃষ্টিকর্তার ব্যপারে কি বলে দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=xVUvEy8BbkU

ভিডিওটিতে Llewellyn Vaughan|Lee নামের লোকটি একজন নকশাবন্দী-মুজাদ্দেদী তরিকার সুফি। অপ্রাহ উইনফ্রের সামনে বলছে, 'Everything is God,এটা একদমই মৌলিক বিষয় শুধু সুফিবাদেই নয়, সকল মিস্টিক্যাল পাথে...'। দুইটাই নিকৃষ্টতম কাফের।

এসম্পর্কে দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=uSv3UfRgcVg

অপ্রাহ উইনফ্রের দলসহ আধুনিক মিস্টিক্সরা তাদের সর্বেশ্বরবাদী চিন্তাকে নতুন কিছু শব্দ দ্বারা প্রকাশ করে। সেটাকে বলে "Universal Consciousness", "collective Consciousness","cosmic intelligence" ইত্যাদি। এর কারন কি? এরমানেও বা কি? কনসাসনেস বলবার কারন এই যে, তারা বলে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সবকিছুতেই (নাউজুবিল্লাহ), সৃষ্টি তার মধ্যেই, তার স্বকীয় অস্তিত্ব নেই! (سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ)। তার কনসাসনেস সর্বত্র ছেয়ে আছে।
 আর আমরা নাকি এই কনসাসনেসের কল্পনা বা ফ্র‍্যাগমেন্টেড ড্রিম! অর্থাৎ ফিলোসফির দিক দিয়ে প্যানেন্ডেইজমকেও ইঞ্জিয়ারিং করে এরকম আকিদা তৈরি করেছে। এর নাম দিয়েছে হলোগ্রাফিক ইউনিভার্স/রিয়েলিটি। এজন্য ওদের বলতে শুনবেন, Reality is just illusion, Are you wake up in your dream(?),We are One ইত্যাদি। এসবের ব্যাখ্যা তারাই বোঝে যারা ওদের কুফরির ব্যপারে জ্ঞান রাখে।

দেখুনঃ What is consciousness?
https://m.youtube.com/watch?v=LmdMp4iLDUc
https://m.youtube.com/watch?v=LARXSPARbZU

এই ভিডিওটিতে এনডিঈ বা নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স এর উপর খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যার উপরে আমার আর্টিকেল পূর্বেই পড়েছেন।যারা কনসাসনেস বা কসমিক ইন্টেলেক্টের ব্যপারটি বুঝতেছেন না, তারা এই গ্রাফিক্যাল ছবি গুলো দেখুনঃ


 এই সর্বনিকৃষ্ট স্তরের কাফেরদের বিশ্বাসব্যবস্থা এরূপভাবে ডিজাইন করা যে তাতে সৃষ্টিকর্তার কোন প্রয়োজনই থাকে না এবং ওরা এরকম আকিদা তৈরি করে বারবার আপডেট করছে। কালেক্টিভ কনসাসনেস এরূপ যে তা এক ইনভিজিবল এনার্জি ফিল্ডের ন্যায় সর্বত্রস্থিত। সবকিছুর অস্তিত্ব সাবএটমিক স্তরে এনার্জি, সেখানে স্পেস টাইম বলে ভিন্ন কিছু নাই। এমনকি খালি ভ্যাকুয়াম স্থানেও সেটা বিরাজমান।
এই ইউনিভারসাল কনসাসনেসের বিভিন্ন ভাইব্রেশন ও ফ্রিকোয়েন্সির দরুন বিভিন্ন ম্যাটার আমাদের ডাইমেনশনে বিভিন্ন শেপে রয়েছে। ম্যাটার যতই ঘন তার সাবএটমিক লেভেলে এনার্জি ফিল্ডের কম্পাংক তত কম, যত সুক্ষ তত ভাইব্রেশন ও ফ্রিকোয়েন্সি বেশি। হার্মেটিক প্রিন্সিপ্যাল সম্পর্কে যারা জানে তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। সেটাকে ল অব ভাইব্রেশন ও ফ্রিকোয়েন্সি বলা হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে বিভিন্ন আকৃতির বস্তুর পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে এবং ধরে রেখেছে, যেহেতু তা অভিন্ন এনার্জি ফিল্ড বা কনসাসনেস দ্বারা তৈরি। কাফেররা এর উত্তরে বলে, আমরা উচ্চতর ডাইমেনশনের higher intelligence দের কল্পনার ফসল। এজন্যই ওরা আমাদের রিয়েলিটিকে বলছে এটা ইল্যুশন, হলোগ্রাম। উই আর ওয়ান। ইত্যাদি।

আরো ক্লিয়ার করি, কনসাসনেসের ব্যপারে যে ছবি গুলো দেখেছেন, তাতে বোঝানো হয়েছে যাবতীয় সৃষ্টির স্রষ্টা মহাবিশ্ব নিজেই। এজন্য ইনফিনিট ইউনিভার্সকে মানুষের শরীরের আকারে পার্সোনিফাই করেছে। একইভাবে 'ম্যাটেরিয়াল ওয়ার্ল্ড' যেরকম কনসাস বুদ্ধিদীপ্ত ইউনিভার্সের কল্পনার ফসল বা ইল্যুশ্যন তেমনি আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যেও এরকম উচ্চতর ডাইমেনশন আছে, অর্থাৎ ইনফিনিট পটেনশিয়ালিটি,সেটা শরীরের সাবএটমিক স্তরেও, আমাদের কল্পনার জগতেও। দেখুনঃ


যেহেতু ইউনিভার্সের ম্যাটার তার ইমাজিমেশনের দ্বারা বিদ্যমান এনার্জির উপর প্রভাব বিস্তার করে তৈরি এজন্য আমাদের illusional Reality কে আমরাই নিজেদের ইমাজিনেটিভ ক্যাপাবিলিটি দ্বারা নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম!! অর্থাৎ এনার্জি ফিল্ড অবজারভারের চিন্তা/কল্পনা দ্বারা প্রভাবিত।আপনি যদি রিয়েলিস্টিক ইল্যুশন বা স্বপ্নে জাগ্রত(কনসাস) হন, তবে আপনিও রিয়েলিটির ম্যাটেরিয়ালাইজড এনার্জির পরিবর্তন ঘটাতে পারবেন।
 এজন্যই How matter behave, determined by the observer. সুতরাং, মিস্টিসিজমে অকাল্ট ওয়ার্ল্ড ভিউ এই যে, ইউনিভার্সের কনসাসনেস বা কল্পনা আমাদের ত্রিমাত্রিক রিয়েলিটি আর আমাদের Thought বা imagination অর্থাৎ কল্পনা রিয়েলিস্টিক ইল্যুশনে পরিবর্তন ঘটাতে পারে। অর্থাৎ একটা ইমাজিনেশন অপর একটি ইমাজিনেশনকে পরিবর্তন করে। এজন্য ইমাজিনেশন অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ন।
 ওরা বলে, আপনি যা কল্পনা করবেন বা চাইবেন সেটার দিকে কনসাস এনার্জি ফিল্ড রেস্পন্ড করবে। একে কাফেররা বলে Law of attraction। বর্তমানে আমাদের দেশীয় লোকাল অকাল্ট শিক্ষাকেন্দ্র- কোয়ান্টাম ম্যাথডে একেই শেখানো হচ্ছে একটু একটু করে।

 আমাদের দেশে এরকম শয়তানি পেজের লিংক- https://m.facebook.com/LawOfAttractionBangla/?__tn__=%2Cg

ল অব এট্রাকশ্যন হার্মেটিসিজমের উপর দাঁড়িয়ে। বিস্তারিত জানুনঃ
https://m.facebook.com/islamic.cognition/photos/a.291781357945730.1073741828.282165055574027/343448226112376/

রন্ডা বাইরনের দ্যা সিক্রেট মুভিটিতে, মিল গিল নামের কাফেরটি বার বার ৭টি হার্মেটিক প্রিন্সিপ্যাল গুলাই বলছে। মুভির লিংকঃ
https://m.youtube.com/watch?v=EC_YmdPy2h0

এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, কল্পনাশক্তি কতটা এবং গুরুত্বপূর্ণ। আরো দেখুনঃ
হৃদয়ের শক্তিঃ https://m.youtube.com/watch?v=7c3AVj66ahg

https://m.youtube.com/watch?v=xmN2RL4VJsE

Mechanics of reality!! how mind creates matter:
https://m.youtube.com/watch?v=IGglrntR-9M

Manifest what you want
https://m.youtube.com/watch?v=SMIgyryyjak
https://m.youtube.com/watch?v=i7d5q31oIXc

যা কল্পনা করবেন তার দিকেই আকর্ষিত হবেনঃ
http://youtube.com/watch?v=rRYP8WGyR6Y

https://m.youtube.com/watch?v=4CJO93Q6DAU

এরূপ রিয়েলিটিকে পরিবর্তনের ফলপ্রসূ কল্পনা করতে সক্ষম তারা,যারা এই ইল্যুশনাল রিয়েলিটিতে কনসাস বা জেগেছে। সচেতন আলোকিত এই ব্যক্তিরা হচ্ছে এনলাইটেন্ড! এনলাইটমেন্টের জন্য আপনাকে মনকে স্থির করে কিছু কাজ করতে হয় যা আমরা ইয়োগা, মেডিটেশন শব্দ দ্বারা চিনি,সাইকাডেলিক ড্রাগ(ডিএমটি/এলএসডি/আইয়োয়াস্তকা) একাজে সাহায্য করে। যারা চিন্তা কল্পনা দ্বারা রিয়েলিটির পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষিম তাদের কে জাগ্রত চেতনার মানুষ বলা হয়।

এজন্য মিস্টিক্সদের বলতে শুনবেন," have you wake up in your dream?","what if this reality is a dream, and we die we wake up"!

ওরা সৃষ্টিজগতের সাবএটমিক লেভেলে এনার্জি ফ্রিকোয়েন্সি ও ভাইব্রেশনের বিভিন্নতার প্রভাবে ম্যাটারের বিভিন্ন Shape ধারনের বিষয়টিকে মৌলিক কিছু কমপ্লেক্স জিওম্যাট্রিক স্ট্রাকচার দ্বারা প্রকাশ করে। এর মধ্যে 'ফ্লাওয়ার অব লাইফ','ফ্রুট অব লাইফ','ট্রি অব লাইফ(কাব্বালা)' রয়েছে, এসবকে বলা হয় Sacred Geometry । ওরা প্রকৃতির সকল অবজেক্টের একটি মৌলিক জিওম্যট্রিক প্যাটার্নকে বেছে নিয়েছে। সেটা মেটাট্রনকে কিউব।এর মধ্যে অন্য জ্যামিতিক পাচটি প্লেটোনিক সলিডও খাপ খায়। ওরা বলে এটাই হচ্ছে মহাবিশ্বের সকল ম্যাটারের বিল্ডিং ব্লক। বলা হয় Sub atomic স্তরে matter, energy রূপে এসকল বেসিক জ্যামিতিক আকৃতির উপর ভিত্তি করে রয়েছে। এজন্য দেখবেন সমস্ত এলিট ম্যাসনিস্টরা কিউবের পূজা করে। সর্বত্র কিউব সিম্বলিজম।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Sacred_geometry

Sacred Geometry: https://m.youtube.com/watch?v=FSmdSw9eEIA

https://m.youtube.com/watch?v=V3A9lKPKayI

Cube symbolism:
https://m.youtube.com/watch?v=O12IBhMUlEM

এমনকি হলিউডও ছাড়ে নি এর প্রচার করতে, কিন্তু খুব কমই বোঝে।দেখুন পিটার কুলেনের ভারী গলায় অপটিমাস প্রাইম ট্রান্সফরমারের শুরুতে কি বলছেঃ
https://m.youtube.com/watch?v=W3gegXFjISM

উপরে প্লেটোনিক সলিড নিয়ে সামান্য বলেছি, সেটা হচ্ছে চারটি(পৃথিবী,পানি,বায়ু,আগুন) জিওমেট্রিক প্যাটার্ন যা দ্বারা থ্রিডি ডাইমেনশন গঠিত বলেছেন প্লেটো। এরিস্টটল পাচ নম্বর যুক্ত করেন। সেটা হচ্ছে ইথার। ইংরেজিতে বলা হয়- cube, octahedron, icosahedron, tetrahedron, Dodecahedron। প্লেটনিক সলিড এস্ট্রলজির সাথে সংযুক্ত। দেখুনঃ https://en.m.wikipedia.org/wiki/Astrology_and_the_classical_elements

সর্বোপরি জাদুচর্চায় প্লেটনিক সলিড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যারা জাদুবিদ্যার ব্যপারে সামান্যও জানেন, তারা জানেন একজন জাদুকর যতই নিরক্ষর মূর্খ হোক না কেন, সে যাদু করার সময় এই প্লেটনিক সলিডের কনসেপ্ট ব্যবহার করে।সে নিজেও হয়ত এর ব্যাখ্যা জানে না কিন্তু ঠিকই এর চর্চা করে! টিভিতেও প্রায়ই কাফেররা এসব দেখায় কিন্তু অধিকাংশই জাদুবিদ্যার গুপ্তবিষয় গুলো ডিকোড করতে পারে না, ওরা সাবকনসাসলি ব্রেইনওয়াশ করে। দেখুনঃ https://en.m.wikipedia.org/wiki/Classical_elements_in_popular_culture
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Platonic_solid

এত বিশাল একটা ব্যপার এতক্ষন লেখবার উদ্দেশ্য এই যাতে করে মহাজ্ঞানী আইনস্টাইনের উপরিউক্ত ছবিতে উল্লিখিত কথার মর্মোদ্ধার করতে পারেন।
 প্রথমেই বলেছিলাম, সেটা Pure Occult magical quote। আশা করি এখন বুঝতে পারছেন তিনি কি বলেছেন। তিনি ইউনিভার্সের গুপ্ততত্ত্ব যা যাদুকর-ম্যাসনিস্টরা জানেন তা ভাল ভাবেই জানেন এবং মানেন। উহাই ফিজিক্স! এজন্যই এনার্জি= এমসি স্কয়ার! যাহা ম্যাটার রূপে আমরা দেখি উহাই বস্তুত এনার্জি। তিনি বলেনঃ

“Concerning matter, we have been all wrong. What we have called matter is energy, whose vibration has been so lowered as to be perceptible to the senses. There is no matter.”

এজন্যই তিনি Hermetic Law of attraction এর সুস্পষ্ট বর্ননা দিয়ে বলেছেনঃ "Everything is energy and that’s all there is to it. Match the frequency of the reality you want and you cannot help but get that reality. It can be no other way. This is not philosophy. This is physics"। সবকিছুই এনার্জি।

আপনাকে শুধুমাত্র ইল্যুশনাল রিয়েলিটির ফ্রিকোয়েন্সি- ভাইব্রেশনের সাথে প্রত্যাশাকে ইমাজিনেশনের দ্বারা মেলাতে হবে,তবেই আপনি আকাঙ্ক্ষিত কল্পনাকে সত্যরূপে পাবেন। এটা কিন্তু কোন মিস্টীক্যাল অচল দর্শন নয়, এটাই ফিজিক্স ;) 😆। আসলেই তার অতল (occult)জ্ঞানের তুলনা হয় না :p । হোক না সে (অপ)বিদ্যাটা প্যাগান সর্সারারদের(যাদুকর), হোক না সেটা ফ্রিম্যাসনিস্ট বা শয়তানের পরোক্ষ পূজারীদের। এটাই ফিজিক্স। এটাকেই চোখ বন্ধ করে মেনে নিতে হবে :)

কিভাবে হার্মেটিক প্রিন্সিপ্যাল গুলো এপ্লাই করবেন সেটা আইনস্টাইন না বললেও আমি গোপন করব না। দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=iEGlZinHfMc

সুতরাং যাদুবিদ্যার ওয়ার্ল্ডভিউতে (Occult worldview) কল্পনা শক্তি যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আইনস্টাইন ভাল মতই জানতেন। এজন্য বলেছিলেনঃ
"Imagination is more important than knowledge".

"Logic will get you from A to Z ; imagination will take you everywhere"

সত্যিই অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ অনুযায়ী ইহা ধ্রুবসত্য। কল্পনাই সবকিছু। এই মহামানবের জ্ঞানের পরিধি আচ করতে পারি যখন তার এই কথা পড়ি যে, "Imagination is everything. It is the preview of the life's coming attractions"

অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউতে ইউনিভার্সের কালেক্টিভ কন্সাসনেসের সমুদ্রে আমাদের ক্ষুদ্র পরিসরের চেতনাই স্পেস টাইমের অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং ম্যানিপুলেট করে, স্পেস টাইম আলাদা কোন অবস্থা নয়। আইনস্টাইন দাদা ভুল বলেননি।
"Space and time are not conditions in which we live, they are modes in which we think”

মডার্ন ফিজিক্সের এই মহান পথিকৃৎ জানতেন
এই রিয়েলিটি নিছক ইল্যুশন। এজন্য তিনি বলতে ভুল করেন নি যে, "Reality is merely an illusion, albeit a very persistent one".

আরো এই ইল্যুসিভ রিয়েলিটির ব্যপারে আরো বলেনঃ
"people like us, who understand physics know that the distinction between past present and future is only a stubbornly persistent illusion."

আমি কি একাই তার অগাথ জ্ঞানের তারিফ করব? আপনারা অংশ নেবেন নাহ? ওফ!!!
তিনি তার অপরিমেয় ধীশক্তি এবং অন্তর্নিহিত অগাথ জ্ঞানের দ্বারা বুঝতে পেরেছিলেন ইউনিভারসাল কনসাসনেসকে। এজন্য তিনি একথা বলতে ভুল করেননি যে, " A human being is part of a whole, called by us the ‘Universe’ —a part limited in time and space. He experiences himself, his thoughts, and feelings, as something separated from the rest—a kind of optical delusion of his consciousness. This delusion is a kind of prison for us, restricting us to our personal desires and to affection for a few persons nearest us. Our task must be to free ourselves from this prison by widening our circles of compassion to embrace all living creatures and the whole of nature in its beauty.”

আরো সুস্পষ্টভাবে বলেনঃ
“Our separation of each other is an optical illusion of consciousness.”

আসেন আমরা বলা শুরু করি "উই আর ওয়ান"। কি বলবেন না! আরে ভাই, ফিজিক্স মানতে হপে তো। দেখেন ওরা কতসুন্দর করে বলেঃ
https://m.youtube.com/watch?v=kNIbkVf_Lko

https://m.youtube.com/watch?v=pIJHJzDQcRM

সকল অকাল্ট(গুপ্তবিদ্যার/যাদুবিদ্যার) ট্রেডিশন একমত যে সাবএটমিক লেভেলে রিয়েলিটি একটাই। সব কিছুই এনার্জি। একক এনার্জেটিক ফিল্ড অব রিয়ালিটি!! স্ট্রিং থিওরি তো তা এখন ব্যাখ্যা সহ বলছে। এত জ্ঞান আইনস্টাইন কোথায় পেলেন! অবাক করে!! তিনি বলেনঃ "“Concerning matter, we have been all wrong. What we have called matter is energy, whose vibration has been so lowered as to be perceptible to the senses. There is no matter.”

"There is no place in this new kind of physics for the field and matter, for the field is the only reality"

যে কারনে মিস্টিক্স - ফ্রিম্যাসনিস্ট- যাদুকররা বলে, এই ইল্যুশনাল কস্মিক কনসাস্নেসে আমাদের অবস্থা কিছু এনার্জির ভাইব্রেশন ফ্রিকোয়েন্সির আলাদা স্বত্ত্বা যদিও এটা আসল 'এক' স্বত্ত্বার অংশ মাত্র। এই আলাদা স্বত্ত্বার জেলখানার ন্যায় সীমাবদ্ধ অনুভূতি থেকে কস্মিক কনসাস্নেসে নিজেদেরকে আবিষ্কার করতে হবে। এটাই আসল ধর্ম, এজন্যই 'উই আর একচুয়াললি ওয়ান'! (নাউজুবিল্লাহ)। কত সুন্দরভাবে আইনস্টাইন সাহেব এর বর্ননা দিলেন! অপরিমেয় (কুফরি)জ্ঞান।

মিস্টিক্স-জাদুকরদের কাছে যে বিদ্যা। সেটা তাদের কাছে নয় শুধু, আইনস্টাইনের কাছেও! পার্থক্য শুধু এই যে, আইনস্টাইনরা ম্যাথ-ইকোয়েশন ব্যবহার করে,আর যাদুকররা তেমনটা করেনা।এজন্য তিনি বলেনঃ
"That which is impenetrable to us really exists. Behind the secrets of nature remains something subtle, intangible, and inexplicable. Veneration for this force beyond anything that we can comprehend is my religion.”

"True religion is real living; living with all one's soul, with all one's goodness and righteousness. - Albert Einstein

তিনি বলেনঃ
"No problem can be solved from the same level of consciousness that created it"
এজন্যই কস্মিক কনসাসনেসই সব।

মিস্টিক্সরা কখনোই হতাশ হয় না। আপনি কি রন্ডা বাইরনের দ্য সিক্রেট মুভিতে দেখেননি কিভাবে ল অব এট্রাকশনের টিচাররা বিগ ড্রিমিং এর জন্য ইন্সপায়ার করেছেন। যা চান সেটার মনছবি আকুন, কল্পনা করুন। এটা কোয়ান্টাম ম্যাথডে গিয়েও শুনবেন।আপনার যা আছে তার চেয়েও কল্পনাশক্তি শক্তিশালী। কেন তা জানেন। কারন আপনার কনসাস থট এনার্জি কস্মিক এনার্জি ফিল্ডের ভাইব্রেশন পরিবর্তন করে আর আপনার প্রজেক্টেড ফ্রিকোয়েন্সির দিকে আকৃষ্ট হয় এবং স্বপ্ন রিয়েলিটি তে রূপ নেয়। হার্মেটিক কোটেশনটা সুন্দর আইনস্টাইন ছাহেবের। 😆

"Never give up on what you
really want to do. The
person with big dreams is
more powerful than one
with all the facts."
-Albert Einstein

এখন হয়ত হালকা বুঝতে পারছেন, যে মিস্টিক্স বা যাদুকরদের কাছে ইউনিভার্স একটা কনসাস ব্রেইন। আর আমাদের রিয়েলিটি হচ্ছে এর কল্পনা। এজন্য এটা ইল্যুশন। আর এই রিয়েলিটিতে আমাদের খাচার ন্যায় এনার্জি-ফ্রিকোন্সি-ভাইব্রেশনের সমন্বয়ে গঠিত তনুমনটা হচ্ছে ইউনিভার্স নামের বিশাল তথ্যভাণ্ডার স্বরূপ ব্রেইনের তথ্যের রিসিভার। এজন্য intuition(স্বজ্ঞা) অত্যন্ত স্যাক্রিড, শক্তিশালী এবং বিশুদ্ধ জ্ঞানের উৎস। intuitive mind শুধু অজানা অচেনা রহস্যবাদীদের কাছেই না, সুফি-বাতেনিয়্যাহদের কাছেও অত্যন্ত পবিত্র জ্ঞানের উৎস। ইমাম শানকিতী রহিমাহুল্লাহ তার কিতাব আদওয়াউল বায়ানে বলেনঃ"
Al-Qurtubi (may Allaah have mercy on him) said:
Our Shaykh, Abu’l-‘Abbaas, said: some heretics who followed batiniyyah (esoteric teachings) wanted to follow a path that did not enjoin these shar’i rulings. They said: these general shar’i rulings are obligatory upon the Prophets and the masses only. As for the awliyaa’ and the elite, they do not need those texts. Rather what is required of them is what they receive in their hearts through intuition and the thoughts that dominate their minds.

 They said: this is because their hearts are free of anything that may cause distraction and of thoughts of anything other than Allaah. In this manner divine knowledge becomes manifest to them, and they discover the secrets of creation and learn the rulings concerning minor issues, thus they are no longer subjected to the holistic shar’i rulings. This is what happened in the case of al-Khidr who, by means of the knowledge that was made manifest to him was rendered independent of the knowledge that Moosa had. One of the things that they narrated was the words: “Consult your heart, no matter how many people give you fatwas and advice.”

Our shaykh (may Allaah be pleased with him) said: These are the words of heresy and kufr; the one who says them should be executed without being asked to repent, because he has denied that which is known from the sharee’ah. For Allaah has set up the system by His wisdom in such a way that His rulings can only be known through His Messengers who are ambassadors between Him and His creation. They are the only ones who convey His Message and His words from Him, explaining His laws and rulings, and He has chosen them for that purpose."

বিস্তারিতঃ https://islamqa.info/en/22245

অতএব উলামাগনদের থেকে স্বীকৃতি পাওয়া যায়, যারা এরূপ ইনটুইশনের কথা বলে তাদেরকে কোনরকম রিপেন্টেন্সের সুযোগ দেওয়া ছাড়াই হত্যা করতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ।

অতএব intuitive mind যে কতটা পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ন(নিকৃষ্টতম কাফেরদের কাছে) তাহা বলার অপেক্ষা রাখে না। মহাগুরু আইনস্টাইন বলেনঃ
"The intuitive mind is a sacred gift and the rational mind is a faithful servant. We have created a society that honors the servant and has forgotten the gift"

একা একাই কারন বিনা জ্ঞান অর্জন হচ্ছে অকাল্টিস্টদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাইকিক এবিলিটি। আরো জানুনঃ
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Intuition .

'রিলিজিয়াস মিস্টিক্স আইনস্টাইন Isaac Newton এর মত অলটার স্টেট অব কনসাস্নেসে যেতেন। আইনস্টাইন এর নাম দেয়, 'মাইন্ড এক্সারসাইজ '। এর পরেই তিনি থিওরি ও ইকুয়েশন নিয়ে হাজির হতেন। দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=2BiTWFdnd7Q

mystic দের সাধনায় সিদ্ধিলাভের জন্য altered state of consciousness এর প্রয়োজনীয়তার বিকল্প নেই। এজন্য তারা যোগ-মেডিটেশন করে, সাইকাডেলিক ড্রাগ নেয় । অনেকসময় বিশেষ যন্ত্রে এমনি শব্দেরও সাহায্য নেয়।দেখুন ওরা কি করছে ও বলছেঃ https://m.youtube.com/watch?v=eLSXYagAzUI

https://m.youtube.com/watch?v=SCJYK8x4cK4

https://m.youtube.com/watch?v=-3Q9oXd8m04

আইনস্টাইনের ফ্যানবয়রা যে কেন গুরুকে ভালভাবে অনুসরণ করে না, বুঝিনা।

অকাল্টিস্টরা নাস্তিক হয় না, তারা কোন ধর্ম পালন করেন না।এদের অল্প কিছু স্পিরিচুয়ালিস্ট বলেও দাবী করে। কনসাস ইউনিভার্সকেই এরা মা'বুদ বলে (নাউজুবিল্লাহ)। আগের যুগের বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের খুব অল্প সংখ্যক নাস্তিক পাবেন। মিস্টিক্স বা এসোটেরিস্টরা আস্তিক বললেও প্রচলিত ধর্মের প্রতি চরম বিতৃষ্ণা থাকে। এজন্য কোন ধর্ম পালনকে জরুরী মনে করেন না।আগেই বলেছিলাম মিস্টিক্সরা খ্রিষ্টান হাতে নিপীড়িত হয়েছিল এটা বলে যে সৃষ্টিকর্তার(ওদের বিশ্বাস অনুযায়ী -ইউনিভার্সাল কালেক্টিভ কনসাসনেস) সাথে যোগসূত্র স্থাপন করতে কোন ধর্মপালন করা লাগে না। (বস্তুত,এরা আস্তিক দাবি করলেও বৃহত্তর ক্ষেত্রে বিশ্লেষণ করলে এদের বিশ্বাসগত অবস্থান নাস্তিক্যবাদী মুদ্রার অপর পিঠে। এরা নাস্তিকদের চেয়েও বড় শ্রেনীর কাফের এবং তাগুতের পর্যায়ভুক্ত। কারন-Monism/pantheism! এদের কিছু কিছু স্কুল অব থট শয়তানেরই পরোক্ষভাবে উপাসনা করে, কেউ বা ধর্মদ্রোহী তাগুত)। বিপরীতে নন মহাগুরু আইনস্টাইন। তিনি বলেনঃ

"Hence it is absurd for religion to proscribe Galileo or Darwin or other scientists. And it is equally absurd when scientists say that there is no God. The real scientist has faith, which does not mean that he must subscribe to a creed."

সাধারন প্যাগান মিস্টিক্সরা চায় প্রচলিত ধর্মগুলো ইলিমিনেট করে ওয়ানওয়ার্ল্ড কস্মিক রিলিজিয়ন থাকুক। ওরা সবচেয়ে বেশী ঘৃনা করে ইব্রাহীমের(আ) দ্বীনকে। সাথে পূর্বের আসমানী কিতাবগুলোর আদর্শকেও, সেসব তাদের চোখের বালি । মিস্টিক্যাল ডক্ট্রিন বিল্টিন যেসব প্যাগান ধর্মে আছে সেটাই তাদের পছন্দ, এজন্য পূর্বাঞ্চলীয় রহস্যবাদ(হিন্দু/বৌদ্ধমত), জাদুবিদ্যার্থীদের জ্ঞান সবচেয়ে বেশি তাদের কাছে সমৃদ্ধ। তাই হিন্দুবৌদ্ধ ধর্মের জয়জয়কার। এরও অনেক কারন আছে। সেদিকে না যাই। শুনলে অবাক হবেন ইউএন বা ইউনাইটেড ন্যাশনও ইউনিভারসাল পিসের জন্য ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন গঠনের লক্ষ্যে কিছু ইস্টার্ন মিস্টিক্যাল স্কুলের সাথে কাজ করছে। ভারতের আনন্দমর্গ,ব্রহ্মকুমারী এরকম কিছু হিন্দুবৌদ্ধ(ইস্টার্ন মিস্টিসিজম) ধর্মাদর্শের এসোটেরিক(বাতেনি) ট্রেডিশন,যাদের সাথে ইউএন কাজ করছে। ইস্টার্ন মিস্টিসিজম বা অকাল্ট ডক্ট্রিনে সবচেয়ে এডভান্স হচ্ছে বৌদ্ধধর্ম। আমি ভেবে পাই না জ্ঞানের মহাভান্ডার আইনস্টাইন দাদা এত কিছু বলে কি করে।

 তিনি বলেনঃ
"The religion of the future will be a cosmic religion. It should transcend personal God and avoid dogma and theology. Covering both the natural and the spiritual, it should be based on a religious sense arising from the experience of all things natural and spiritual as a meaningful unity. Buddhism answers this description…. If there is any religion that could cope with modern scientific needs it would be Buddhism."
—ALBERT EINSTEIN

"The religious geniuses of all ages have been distinguished by this kind of religious feeling, which knows no dogma and no God conceived in man's image; so that there can be no church whose central teachings are based on it."

"But there is a third stage of religious experience which belongs to all of them, even though it is rarely found in a pure form: I shall call it cosmic religious feeling."

"The beginnings of cosmic religious feeling already appear at an early stage of development, e.g., in many of the Psalms of David and in some of the Prophets. Buddhism, as we have learned especially from the wonderful writings of Schopenhauer, contains a much stronger element of this."
(science and religion, New York times, 1930)

যাহোক, আইনস্টাইন সাহেবের ন্যায় আসুন আমরাও বৌদ্ধধর্ম(ইস্টার্ন মিস্টিসিজম) ভিত্তিক একটা কস্মিক ধর্মের প্রত্যাশা করি যেথায় কোন ধর্মীয় অনুশাসন নেই, নেই কোন সৃষ্টিকর্তা। করবেন না?? 😱 কেন বলুন তো! আপনি প্রত্যাশা না করলেও এসে গেছে। দুদিন পর কল্কিই আসছে স্বয়ং। জানেন তো বৌদ্ধধর্মের কালচক্রে ইসলামের ব্যপারে কি বর্ননা আছে? না জানলে পড়ুনঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=385768245213707

বৌদ্ধ প্রিয় আইনস্টাইন একাই নন। এই প্রীতি দ্বিপাক্ষিক। দেখুন একবৌদ্ধ আইনস্টাইনএর কথার উপর ভিত্তি করে বৌদ্ধধর্মের 'বৈজ্ঞানিকতা' জাহির করছে । https://www.wildmind.org/blogs/quote-of-the-month/quote-einstein-connectedness

সকল প্যাগানদের কাছে সর্বেশ্বরবাদী মতাদর্শ হচ্ছে শান্তিপ্রিয় এবং বৈজ্ঞানিক। আপনি অবশ্যই দেখবেন ওয়েস্টার্ন মিস্টিকের ইস্টার্ন প্যান্থেইস্টিক ধর্ম গুলো কত প্রিয়! এর কারন, হচ্ছে ওদের দ্বীন হচ্ছে তাওহীদের বিপরীতের দ্বীন। আল ইত্তেহাদ। এটাই কমন গ্রাউন্ড।কেন ওরা স্বজাতীয় জিনিসকে ভালবাসবে না বলুন! এজন্য 'রিলিজিয়াস মিস্টিক' আইনস্টাইনের পাওয়ারফুল ইস্টার্ন মিস্টিক্যাল রিলিজিয়াস ট্রেডিশন বৌদ্ধধর্মের প্রতি ভক্তি টি শতভাগ যুক্তিযুক্ত। তিনি মূলত আব্রাহামিক ফেইথের বিরোধী ছিলেন। সেটা সামনের আলোচনায় বুঝবেন।

কি করে আইনস্টাইন জানলেন ই=এমসিস্কয়ার? জনপ্রিয় প্যাগান মিস্ট্রি স্কুল "থিওসফির" অনুসারীরা একটি ঘটনা তুলে ধরেন। আইনস্টাইনের টেবিলে নাকি থিওসফির কিতাব "সিক্রেট ডক্ট্রিন" থাকতে দেখা যেত।সিক্রেট ডক্ট্রিন হেলেনা পেত্রোভনা ব্লাভাস্তকির লেখা কুফরের ভান্ডার। থিওলজিকাল নলেজ তিনি লাভ করেন একাধিকবার দুইজন শয়তান জ্বীনের কাছে থেকে। সেসব নিয়ে সামনে আলোচনা হবে।আপাতত এই বিষয়টা বিস্তারিত পড়ুনঃ

How Did Albert Einstein Intuit (Grok ) E = mc2 ?
Answer:
That ' s easy . . . He looked it up in The Secret Doctrine. ( 1 )
Here' s the Background:
On the 20th Anniversary of Einstein ' s death ( 1975 ) , physicist Richard Feynman was quoted in Time magazine as saying , " I cannot understand how he arrived at the intuition ( 2 ) leading to E - mc ^ 2 , considering the level of scientific knowledge at the time . "(1905 )
A niece of Einstein reported that a copy of the Secret Doctrine was always on his desk .
( 3 ) Another witness , Jack Brown , reports similarly in an article , " I
visited Professor Einstein . " ( 4 )

Here' s the story as I got it :
Sometime , around the mid 1970 s , I was attending a lecture by a foreign visitor at the United Lodge of Theosophists in New York City . . . After the talk, a group of ULT associates and I met the speaker , Mrs . Wadia , the elderly British born widow of a well known Indian theosophical writer and lecturer . She was accompanied by several other Indian women dressed in Saris .

Mrs . Wadia , or one of the other women with her ( I do not remember their names ) told us that when she was at the Theosophical Publishing Company in Adyar during the mid 1960 s , she met Einstein ' s niece , who said she had come to the TPC headquarters to offer their library the book that was at the bedside of her uncle when he died. Mrs . Wadia ( or the speaker ) said that she and several others at the Adyar Lodge gratefully accepted the worn out and dog - eared copy of the first edition of The Secret Doctrine - The Synthesis of Science , Religion and Philosophy by H . P . Blavatsky .
I asked whether she actually handled and opened the book . She answered that she had. When I specifically asked if there were any margin notes, she said that the book was heavily notated and underlined , and that the margins were covered with scribbles and other markings that none of them could make heads nor tails of . ( What would we give to get a look at them?) When
someone else asked what happened to the book, she said, it was still in the library of the Lodge in Adyar .
Whether it could still be found there today , is anybody' s guess . . ( If anyone gets to read its " scribbles " as a result of this lead , please let me know . )
This information, however , led me to re -evaluate the " Secret Doctrine " which I had been studying for the past many years ( and which was already heavily underlined and margin notated - - but mostly of philosophical, occult , symbolical, and comparative religion significance) .
I immediately Purchased a new facsimile edition of The Secret Doctrine ( The Theosophy Company , Los Angeles) with the intention of starting all over . . . But, this time , specifically to study its deeper scientific teachings with reference to the linkages between consciousness, mind and their associated biological organs and organisms ( since most of its teachings in cosmology
and physics had already been culled and expanded by Einstein , Planck , Millikan , Heisenberg , Bohr , Gell - Mann , Feynman , Hawkings and many others ) .
My continuing study since that time ( and the margin notes it engendered ) led me ultimately to the present holographic consciousness theory of Astro Biological Coenergetics and the beginnings of a new scientific paradigm and technology derived from it - - that I am still working on. . . Hopefully, " next year ( or the year after : - ) , Jerusalem. " ; - )>

Leon H . Maurer
New York , October 29 , 1997

P . S . I ' m not sure if my letter to Feynman in 1975 , ( telling him where Einstein got his insight ) pointed him to the SD . ( He never responded. ) But it wasn' t really necessary for his own work . . . Since , Einstein ( and Millikan , for another - - but that ' s another story ) had already been there. : - )
"You can tell the seriousness of a scientific theory by how much fun the discoverer had in writing about it . " - A . N . Onymous ( or Al . Einstein : )
———————————————————————————
Notes :
( 1 ) The Secret Doctrine - The Synthesis of Science Religion and Theosophy , H . P . Blavatsky , The Theosophy Company , London, Madras , 1888

( 2 ) " . . . mass or substance is equivalent to energy and that time and space are integral parts of the substance - energy continuum . . . , " Cranston , S. L. , HPB ; : the
extraordinary life and influence of Helena Blavatsky , founder of the modern theosophical movement , G . P . Putnam ' s Sons , 1993 , 434 ; ibid, Ref : Notes , Part 7 , Note 21 , 606 " A. March and I . M Freeman , The New World of Physics, 1963 ; quoted in Sunrise , November 1975 , 81"

( 3 ) " Iverson Harris , The Journal of San Diego History , San Diego ( California ) Historical Society, Summer , 1974 , 16. In checking this information it was learned that a niece of Einstein ' s , in India during the 1960 s , paid a visit to the headquarters of the Theosophical Society at Adyar . She explained that she knew nothing of theosophy or the society , but had to see the place because her uncle always had a copy of Madame Blavatsky ' s
Secret Doctrine on his desk . The individual to whom the niece spoke was Eunice Layton , a world renowned theosophical lecturer who happened to be at the reception desk when she arrived . While in Ojai , California , in 1982 , Sylvia Cranston met Mrs . Eunice Layton , who confirmed the story. " ( Cranston , S. L. , HPB ; :
the extraordinary life and influence of Helena Blavatsky , founder of the modern theosophical movement , G . P . Putnam ' s Sons 1993 , Notes , Preface, Note 11, 557 )

( 4 ) " Ohai Valley News , Ohai , California , September 28, 1983 . " ( ibid, Notes , Preface, Note 12 . , 558 . )
Related Secret Doctrine references
Some references pertaining to Einstein ' s theory of relativity ( E = MC 2) , Heisenberg ' s theory of indeterminacy, holographic universe , etc. From The Secret Doctrine by H . P . Blavatsky , 1888 , The Theosophical Press , Adyar , India ( facsimile reprint, 1964, The Theosophy Company)
Book- Page Text

1 - 29 " Everything that exists has only a relative , not an absolute reality, since the appearance which the hidden noumenon assumes for any observer depends on his power of cognition ( Ref : Indeterminacy theorem) but all things are relatively real , for the cogniser is also a reflection, and the things cognised are therefore as real to him as himself . "

1 - 45 " Metaphysical abstractions are the only conceivable cause of physical concretions a process of conversion of metaphysics into physics, analogous to that by which steam can be condensed into water , and the water into ice. " ( Ref : General laws of Phase Change Also Chaos, Complexity, Universal Inflation , Symmetry , etc . )

1 - 75 " . . . there is but one universal element which is infinite , unborn , undying all the rest -as in the world of phenomena - are but so many various differentiated aspects and transformations ( correlations as they are now called )" ( Ref : Conservation of Matter / Energy , Special Relativity , General Relativity , etc . )

1 - 77 " It ( occult philosophy ) indicates existence of things imperceptible to our physical senses" ( Ref : all sub - molecular physics and chemistry)

1 - 83 " Brahmâ ( Sanscrit name of precursor of Universe) " expands " and becomes the Universe, woven out of its own substance . " ( Ref : Big Bang theory , Inflationary theory , String Theory, etc . )

1 - 120 " The radical unity of the ultimate essence of each constituent part of compounds in nature is the one fundamental Law" ( Ref : Unified Field theories , GUTs , High Energy physics, Quark theories, General Relativity , etc .

1 - 143 ( footnote ) * * " consider all the forces of nature as veritable , though super sensuous , states of matter " ( Ref : General Relativity , E =MC2 , Quantum Chromodynamics , etc . )

1 - 146 " Electricity , Light , Heat , etc . ( i . e. energy ) i . e. supersensuous states of matter light is - a supersensuous state of matter in motion, a Nature Force " ( Ref : General Relativity , E =MC2 , Special Relativity , Photoelectricity, Quantum Thermodynamics , etc . )`

1 - 147 " all the so called Forces of Nature , Electricity , Magnetism , Light , Heat are in esse i . e. in their ultimate constitution , the differentiated aspect of that universal motion discussed ( earlier ) ( see Proem )" ( Ref : General Relativity , E =MC2 , Special Relativity , Photoelectricity, Quantum Thermodynamics , etc . )

http://theosophy.net/m/blogpost?id=3055387%3ABlogPost%3A29405

সূত্রঃ http://theosophy.wiki/w-en/index.php?title=Albert_Einstein

http://www.jasoncolavito.com/…/gary-lachman-albert-einstein…


মিস্টিক্স বা যাদুকরদের জ্ঞানের একটা সোর্স হচ্ছে তাদের সাথে থাকা 'হায়ার সেল্ফ'বা 'এক্সট্রা ডাইমেনশনাল হাইলি ইন্টেলেকচুয়াল বিং'/'ইনভিসিবল স্পিরিচুয়াল বিং'(শয়তান জ্বীন/ক্বারিন)। ওরা এসব নামেই সম্বোধন করে। একাকিত্ব,নীরবে চিন্তা, এবং মেডিটেশনের দ্বারা তাদের সাথে তাদের আত্মকে যুক্ত করে। জ্ঞান আহরন করে, জীবনের দিকনির্দেশনা নেয়। বুঝলাম না আইনস্টাইন কি বললেন এখানে!! ইয়ে মানে.... থাক.. অনেক বলেছি...😆

"Although I am a typical loner in my daily life, my awareness of belonging to the invisible community of those who strive for truth, beauty, and justice has prevented me from feelings of isolation."

একটা সময় ছিল, যখন শয়তানের পূজারী এবং বামপন্থী অন্যতম শক্তিশালী মিস্টিক্স তথা থিওসফিস্টদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হতাম। বিশেষ করে শয়তানের পূজারীরাদের(থেইস্টিক স্যাটানিস্ট) যখন বলতাম, কেন তোমরা তোমাদের সত্যিকারের সৃষ্টিকর্তাকে মান্য করো না(?)। ওরা উত্তর দিত যে, করুনাশীল সৃষ্টিকর্তা কি করে নিজেই সৃষ্টি করে নিজেই আবার শাস্তি দেন! সৃষ্টির কি দোষ! এরূপ পালনকর্তাকে আমরা মানি না। এজন্যই বিদ্রোহ করে শয়তানের উপাসনা করি। একই রকম একদল রহস্যবাদী/আধ্যাত্মবাদী বা অকাল্টিস্টরাও বলে। আমাদের দেশের এসোটেরিস্ট/মিস্টিক্স বাউলধর্মমতের অনুসারীদের গান নিশ্চয়ই শুনেছেন, "যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ(?)"।
একই প্রশ্ন আইনস্টাইনেরও। এজন্যই তিনি তাওহীদের দ্বীনকে প্রত্যাখ্যান করেছেন! তিনি বলেনঃ

“I cannot imagine a God who rewards and punishes the objects of his creation, …Neither can I believe that the individual survives the death of his body, although feeble souls harbor such thoughts through fear or ridiculous egotism.
~ Albert Einstein, as quoted in his New York Times Obituary, April 19, 1955)

কিছুদিন আগে হাইকোর্টের সামনে গ্রীক দেবীর মূর্তি নিয়ে কদিন তুলকালাম চলছিল। তখন টিভিতে এক মুর্তাদের ভিডিও কনফারেন্স সাক্ষাতকার নিতে দেখি। ও মূর্তির রাখবার পক্ষে বলছিল, সবার আগে বলে নেয়, 'আমি একজম ধর্মপ্রাণ মুসলিম, পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি...'। আরেক মুর্তাদ নারী পর্দাপ্রথা বিরুদ্ধে বলার শুরুতে বলে নেয়, 'আমি একজন মুসলিম নারী!

তেমনিভাবে,একজন বিচারক হিসাবে এক সৃষ্টিকর্তাকে এবং পরকালের অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে গিয়ে আইনস্টাইন সাহেব প্রথমেই বলে নেয়, "আমি একজন গভীর ধার্মিক মানুষ "! তিনি বলেনঃ
I am a deeply religious man. I cannot conceive of a God who rewards and punishes his creatures, or has a will of the type of which we are conscious in ourselves. An individual who should survive his physical death is also beyond my comprehension, nor do I wish it otherwise; such notions are for the fears or absurd egoism of feeble souls. Enough for me the mystery of the eternity of life, and the inkling of the marvelous structure of reality, together with the single-hearted endeavor to comprehend a portion, be it ever so tiny, of the reason that manifests itself in nature. [The World As I See It]

এজন্যই উপরে তার Abrahamic religion এর প্রতি চুলকানীর কথা বলেছিলাম। আইনস্টাইনের কাছে শেষ দিবসে আল্লাহর বিচার,জান্নাত,জাহান্নাম,পরকাল,এমন এক পালনকর্তা যিনি বিচার করে সৃষ্টজীবকে শাস্তি দেয় ইত্যাদি বিশ্বাস হচ্ছে ভীতু, অযৌক্তিক অহমিকাপূর্ন বিকলাঙ্গ আত্নার ভ্রান্ত চিন্তা। অর্থাৎ টিপিক্যাল কাফের। রিয়েলিটির মার্ভেলাস স্ট্রাকচারের রহস্য উদঘাটন করবে কিন্তু এর স্রষ্টার বিধিবিধান মানতে নারাজ। আপনারা দেখেছেন তাওহীদের বিপরীত শিক্ষার ধর্ম তার কত প্রিয়, আর তাওহীদ ভিত্তিক বিশ্বাসে কতটা এলার্জি।

সিলিসূত্র.কমে আইনস্টাইন ও স্বামী বিবেকানন্দের মিস্টিক্যাল আইডিওলজির কম্পারিজনটা সুন্দর।পড়ুনঃ https://sillysutras.com/einsteins-mystical-ideas-about-god-death-afterlife-and-reincarnation/

ঠাকুর ঘরে কে রে(?), আমি কলা খাই না! আসলেও আমরাও স্পষ্টভাবে দেখেছি আইনস্টাইনও কলা খান না। নিজেও বলছেনঃ
"mysticism is in face the only criticism that people can not level against my theory."
😆😆

গোটা মতাদর্শ এবং চিন্তা অকাল্টিস্ট, মিস্টিকদের। কিন্তু ঘোষনা দিচ্ছেন তিনি কলা সেবন করেন না। হাহা। হ্যা, আমিও তার সাথে একমত তার থিওরি মিস্টিসিজম নয়, বরং অকাল্টিজম। ;)

নিউইয়র্ক টাইমসে আসা কিছু বাক্যাংশ অসত্য নয়।
Albert Einstein was not only a great scientist but a wise philosopher and a pragmatic “true mystic” … “of a deeply religious nature.” (New York Times Obituary, April 19, 1955)

এবার বলুন, আইনস্টাইনিয়ান রেলেটিভ ফিজিক্স কতটা গ্রহনযোগ্য!/? তিনি যেটাকে ফিজিক্স বলে জোর দিয়েছেন, সেটা মূলত প্রাচীন Occult belief system ছাড়া কিছুই নয়। এই এসোটেরিক নলেজ যুগে যুগে শয়তান মানুষের কাছে বিভিন্নভাবে দিয়েছে। নিকৃষ্টতম কাফেররা যা বিশ্বাস করে এবং বলে, এটা তাই! তিনি 'মাইন্ড এক্সারসাইজে'র দ্বারা কি তবে.... (?), ইনভিজিবল কমিউনিটিও আছে যা তাকে একাকিত্বের অনুভূতি থেকে দূরে রাখে! যদি তার কথা গুলোর অরিজিন গুপ্তবিদ্যা/অধিবিদ্যার না হত তবে সেটা যাচাই পূর্বক গ্রহণযোগ্যতার দাবি রাখত। আফসোস হয়, আমাদের Fellow Brainless brainwashed, মূর্খ ভাইবোনদের দেখে, যারা এই insects of Hell গুলোর কথায় রোমাঞ্চিত হয়,প্রলুব্ধ হয় এবং অন্ধভাবে অনুসরণ করে। এদের দ্বারা বলা প্রকৃতির নীতি গুলো নিয়ে বুদ হয়ে থাকে, সাররিয়েল ফ্যান্টাসির মধ্যে থাকে এবং একে কেন্দ্র করেই সকল চিন্তাভাবনা করে। অবাক হই যখন দেখি, এদেরকেই প্রিয় ব্যক্তিত্বের তালিকার প্রথমে রাখে! How Stupid is that!

বিঃদ্রঃ আইনস্টাইনের কথা গুলোর দলিলের বিশুদ্ধতার ব্যপারে, আমি জ্ঞাত আছি। এমনকয়েকটি উক্তিও আছে যার দলিল পাওয়া যায় না। সেসব বাদ দিলেও সামগ্রিকভাবে তার আকিদা অপরিবর্তিত অবস্থাতেই পাওয়া যায়, তাই, আশা করব তার মোডারেট অনুসারীরা যেন এরকম বলা শুরু না করে যে, অমুক উক্তিটি জঈফ, অমুক উক্তিটা জাল

যাহোক...Moving forward.

* আরেকটি মৌলিক কুফরি আকিদা হচ্ছে রিইনকারনেশন বা পুনঃজন্মবাদ
বা Transmigration of soul! আপনারা জানেন আমাদের পাশের শয়তানের পূজারীরা অর্থাৎ হিন্দুবৌদ্ধরা অনেক আগে থেকেই এরকম আকিদা লালন করে। শুধু তারাই নয়, সকল মিস্টিক্যাল অকাল্ট পাথ এই বিষয়টিকে স্বীকৃতি ও বিশ্বাস করে। এটা শুধু বিশ্বাস করেই বসে থাকে না, এর যৌক্তিকতাও বিভিন্নভাবে বের করার চেষ্টা করে। দেখুনঃ https://m.facebook.com/groups/385459651564845?view=permalink&id=822875554489917&refid=18&_ft_=qid.6508153160136656076%3Amf_story_key.822875554489917%3Atop_level_post_id.822875554489917%3Atl_objid.822875554489917&__tn__=%2AW-R



https://m.facebook.com/photo.php?fbid=10207752940654417&id=1620624003&set=gm.822877347823071&refid=18&_ft_=qid.6508152412818129575%3Amf_story_key.907099316067540%3Atop_level_post_id.907099316067540%3Atl_objid.907099316067540&__tn__=C-R

একে অস্বীকার করে এরকম প্যাগান যাদুকর বা আধ্যাত্ববাদীরা দুর্লভ।
______________________________________________________________চলবে
[সতর্কবার্তাঃ উপরে যা যা পড়লেন তা একটা অন্ধকার অপবিদ্যার জগতের গুপ্তকথার ক্ষুদ্রতম ফ্র‍্যাকশ্যন। সংগত অনেক কিছুই গোপন রাখছি, Occultism/সর্সারির কোন একটা বিষয়ে যদি কেউ বিশ্বাস করেন তবে, আল্লাহ ও তার রাসূলগন যা আনয়ন করেছেন তাতে সে মিথ্যারোপ করল এবং কাফের হয়ে গেল। একসিন্ধু আলোচনা ছোট নদীর উপরে প্রবাহিত করলে যা হয় হয়ত এখানেও তাই হয়েছে। অনেকেই কিছুই বোঝেন নি। না বোঝাই উত্তম, ইগ্নোরেন্স ইজ ব্লিশ। যারা বোঝেন না তাদের বুঝতে যাবার দরকার নেই । শুধু পড়ে যান। এতটুকুন জানুন, আল্লাহর ওয়াদা সত্য। এই পোস্টের কন্টেন্টে বহু রেফারেন্স আর লিংক দ্বারা পূর্ন, যাতে সাধারনের প্রবেশ একপর্যায়ে পথভ্রষ্টতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। যাদের মধ্যে তাওহীদের ইল্ম অপূর্ণাঙ্গ তাদের মধ্যে হক্ক বাতিল চেনার মাপকাঠিও অপূর্ণাঙ্গ। তাই সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করি, সেসব নিয়া ঘাটাঘাটি করা থেকে। মূর্খ জ্ঞানহীন ব্রেইনলেস ব্রেইনওয়াশরা যাকে জ্ঞান বিজ্ঞানের আধার মনে করে, তাদের কাছে অপবিদ্যা তথা অপবিজ্ঞানকে সমূলে দলিলসহ উপস্থাপনের জন্যই এই পর্বভিত্তিক লেখনী। আজ একজনকে দেখেছেন। কাল আরো অনেককে পাবেন। ঐতিহাসিক দলিলসহ আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ। যারা নিজেদের অন্তরের কুফরের ব্যপারে স্পষ্ট , যাদের অন্তর ব্যধি দ্বারা পরিপূর্ণ তারা এর দ্বারা উন্নততর কুফরের পথ পাবে। তারাই এসব বিষয় ঘাটতে ও বুঝতে চেষ্টা চালাবে। জাদুবিদ্যা থেকে সাবধান।। বস্তুত যারা সেসব চর্চা করে, এবং আল্লাহকে অস্বীকার করে,পরকালে তাদের কোন অংশ নেই। ওরা থাকবে অনন্ত প্রজ্জ্বলিত শিখার গভীরতম তলে।]

লেখকঃ Al Imran

Wednesday, March 21, 2018

বায়ো এনার্জি কার্ড ।। BIO ENERGY CARD

এক ভাই ইনবক্সে কিছু ছবি প্রেরন করে(যেগুলো হাতে তোলা) জানতে চান এসবের বিষয়ে। কার্ডের বিবরন আর উপরে প্রতীক দেখেই বুঝে নিই কাদের চিন্তা-বিশ্বাসের ফসল এসব। ছবিতে সাপের প্যাঁচানো যে প্রতিক দেখছেন সেটাকে বলা হয় কাডুসিয়াস বা স্ট্যাফ অব হার্মিস।এটা একটা hermetic pagan symbol যেটা শয়তানের পুজারীদের কাছে পরম পূজনীয়। caduceus symbol অফিশিয়ালি পৃথিবীর সকল মেডিকেল বিভাগের প্রতীক। কমার্স সেক্টরেও ব্যবহার করা হয়।(বিস্তারিত উইকিপিডিয়ায় দেখুন)
এ সিম্বল ব্যাফোমেটের কোমরের নিচে রয়েছে। তাছাড়া থেইস্টিক স্যাটানিস্টদের(যারা শয়তানকে সৃষ্টিকর্তার উপরে নিয়ে পূজা করে,বা খাটি স্যাটানিস্ট) নিকটও এ সিম্বল অত্যন্ত সেক্রিড!

দেখুনঃ https://m.facebook.com/1705167179758575/photos/a.1710670349208258.1073741826.1705167179758575/1714272982181328/?type=3&source=45&refid=17

বলা হয়, এ কার্ড গুলো নাকি শরীরের অনেক রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে সুস্থতা দান করে! এমনকি ব্রাড ফ্লো নরমাল রাখে,ইন্সোম্নিয়া দূর করে,মন প্রফুল্ল রাখে, ব্যাথা জাতীয় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে! সাউন্ড লাইক চার্ম-এমুলেট(তাবিজ-কবচ)?
জ্বি অনেকটাই।

এসব কার্ডের যে লক্ষ্যে ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে প্রধানতম হচ্ছে নেগেটিভ এনার্জি দূরকরন[১]। বলা হয় এ কার্ড গুলো -আয়ন বহন করে। এ নেগেটিভ আয়ন সেল/ইউভি রেডিয়েশন প্রতিরোধ করে।

এ কার্ড গুলো যাদের বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে বানানো তারা ন্যাচারালিস্ট বা প্রকৃতিপূজারী/সর্বেশ্বরবাদী। এদের চিন্তার একদম গোড়ায় এস্ট্রলজি(জ্যোতিষবিদ্যা) কে পাওয়া যায়।এস্ট্রলজিতেই মানুষকে কস্মিক ডিভিনিটি দেওয়া হয়।অর্থাৎ আকাশের নক্ষত্রের ন্যায় আমরাও প্রাকৃতিক বস্তু এবং নক্ষত্রদের চলাচল দ্বারা প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত।প্রাচীন এস্ট্রলজিরই নতুন ও সর্বশেষ আধুনিকতম রূপ হচ্ছে এই মিস্টিসিজম যাদের চিন্তার উপর ভিত্তি করে এসব কার্ড তৈরি আর বিতরণ চলছে।এ বাতেনি রহস্যবাদীরা বিভিন্ন মাজহাবের ধর্ম বানিয়ে নিয়েছে। যা আজ নিউএজ,কোয়ান্টাম ম্যাথড,রেইকিসহ হাজার নামে প্রচলিত।এ যুগে সর্বশেষ সংস্করনে তাদের বিশ্বাসের অন্যতম বিষয়বস্তু হচ্ছে এনার্জি-ফ্রিকোয়েন্সি-ভাইব্রেশন। তাদের বিশ্বাস- বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সব কিছুই বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সির কম্পনশীল এনার্জি।জ্বী একদম স্ট্রিং থিওরি।একেক ফ্রিকোয়েন্সির এনার্জির ভাইব্রেশনের বিভিন্নতার উপর নির্ভর করে একেক বস্তুর দৃশ্যমানতা আর সলিডনেস।এজন্য কাল্পনীক নেগেটিভ আয়নাইজড কার্ড সাথে থাকলে পজেটিভ আয়ন দূরীভূত হবে।তাই এভাবে নেগেটিভ এনার্জি দূর করতে পারলেই সুস্থ জীবন!


এই সুডো সাইন্সের বিজ্ঞানীও আছে! দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=PolyPIGRc4I

https://m.youtube.com/watch?v=XvLmwgZWTdM

দেখুন এক উপকার প্রাপ্ত ব্যক্তির বক্তব্যঃ https://m.youtube.com/watch?v=zEiqGW6K4D8

স্বভাবত প্রশ্ন তৈরি হয় যে এসব কি আদৌ কোন উপকারে আসে?
এর উত্তর হ্যা ও না। তখনই উপকারে আসবে যখন আপনি ওই জিনিসের শক্তির ব্যপারে বিশ্বাস আনবেন, আর পূর্ন উপকার পেতে আপনাকে ইব্রাহীম আলাইহিসালাম এর তিন বড় অনুসারী দ্বীন গুলোর বেসিক বিশ্বাসকে ছুড়ে ফেলতে হবে,ইসলাম তো দূরের কথা। আর আঁকড়ে ধরতে হবে আধ্যাত্মবাদ-স্পিরিচুয়ালিজম।এ অবস্থায় কষ্ট দানকারী জ্বীন যারা আপনাকে অসুস্থ করে রাখতো তারা আপনার প্রতি পূর্ন সন্তুষ্ট হবে, তারা আর ঘুমে ডিস্টার্ব করবেনা ফলে চমৎকার ঘুম হবে। কর্মে প্রশান্তি থাকবে, মন প্রফুল্ল আর এনারজেটিক করে রাখবে, রক্ত সঞ্চালনে ওরা কোন সমস্যা করে রাখলে সেটা থেকে সরে আসবে, ফলে পূর্ন সুস্থতা লাভ করবেন। আর এসব কার্ড, বায়ো ম্যাগনেটিক রিং বা ব্রেসলেট(কোয়ান্টাম ম্যাথডের), সেল্টিক টর্ক কোন কাজেই আসবেনা যদি আপনি এসবে আরোগ্যদানকারীর শক্তি আছে বলে বিশ্বাস না করে এটা বিশ্বাস করেন যে 'আরোগ্যদাতা আল্লাহ'। অর্থাৎ ইসলামী পার্সপেক্টিভে শিরক বলে যা আছে সেটা করতে হবে প্রথমে। ছোট শিরক করলে ছোট ফলাফল আর বড় করলে বিরাট ফলাফল। এ কার্ড ও ব্রেসলেট ইউজারদের একটি অনুভূতি হচ্ছে, এর ব্যবহারকালে তাদের বিশেষ বিশেষ অঙ্গ প্রতঙ্গে এনার্জি ফিল্ডের উপস্থিতি অনুভূত হয়! উল্লেখ্য নিউএজারদের কাছে ইউনিভার্সাল এনার্জি ফিল্ড তাই যাকে আমরা জ্বীন বলি। ওরা মনে করে জ্বীনদের অদৃশ্য অস্তিত্ব আর কারসাজি অতিপ্রাকৃত ইনভিজেবল ফোর্স। এটা এভারেজ নিউএজারদের বিশ্বাস। তবে একটু জ্ঞানী চর্চাকারী আর গুরুজ্বীরা ভাল করেই জানে এ এনার্জি কিসের!

যে বিষয়টি আমাকে অবাক করে সেটা হচ্ছে, এ আন্তর্জাতিক প্রডাক্ট গুলো আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয়! বেশ! বিরাট ডিলার-প্রডিউসাররা এ উপমহাদেশেরই।

http://www.sonienterprise.in/Anti-Radiation-Bio-Card

বায়ো এনার্জি কার্ড ও এর রিলেটিভ বিষয়ে জানুনঃ
https://m.facebook.com/OriginalReikiBioEnergyCard

বাংলাদেশি কিন্তু...- https://m.youtube.com/watch?v=bnnjX98v7Hc


এদেশীয় ডিলার অথবা প্রডিউসার 'আপনজন' এর ব্যপারে অনেক বড় কৌতূহল। এর পেছনে কারা আছে?

এদেশে যারাই থিওসফিক্যাল ফ্রিম্যাসোনিক নেটওয়ার্কের পেছনে থাকুক না কেন,বিষয়টি স্পষ্ট যে এর রূট লেভেলে শয়তান। আশা করি এর শেষ দাজ্জালের কাছে। ওদের এসমস্ত প্রডাক্টগুলো ৯৫% মানুষ কিনছে, কিছু না জেনেই। ওদের ভাইরাস বিলিফ সিস্টেম এর বিষয়বস্তু বস্তুনিষ্ঠ আর যৌক্তিক লাগতে পারে এপোলোজেটিক মোজলেমদের কাছে। বাস্তবিকভাবে ওদের ডক্ট্রিন আনঅবজার্ভেভল ট্রোল চিন্তা ছাড়া কিছুই নয়।


জ্বীন জাতির মধ্যে শয়তানদের সাথে ইন্টার‍্যাকশনের যৌক্তিক বৈধতা আর এক্সপ্ল্যানেশনের এর জন্য স্ট্রিং,কোয়ান্টাম, টেসলার থিওরি গুলোকে ইউনিফাই করে এসমস্ত শয়তানী ধর্ম আর মতবাদ প্রচার করছে।


আপনি সালাফি কোন আলেমদের কাছে গেলে তারা আপনাকে বলবে এ সকল কার্ড,রিং ব্যবহার শিরক। তারা বস্তুত ঠিকই বলছে যদিও ভেতরের নিগূঢ় রহস্য সম্পর্কে অজ্ঞাত। তাই যারা আলেম তাদেরকে কে সম্মান করুন(বিশেষত তাদেরকে যারা তাওহীদ ওয়াল জিহাদের ব্যপারে সত্যবাদী)।
(বাই দ্য ওয়ে, আমি কিন্তু কোন আলেম নই)।

কপিরাইটঃউন্মুক্ত(যে কেউ কপি পেস্ট করতে পারেন)

মোডারেট ফিতনা

নব্য মুরজিয়া মোডারেটরা যে শুধুমাত্র তাওহীদ ও জিহাদ থেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং এসব থেকে মুসলিমদেরকে নিরুৎসাহিত করছে তা নয়, বরং ইসলামের প্রতিটা ক্ষেত্রে এরা কুফরবান্ধব মতাদর্শ প্রচার করে থাকে। Astronomical belief/idea এর ব্যপারেও এর ব্যতিক্রম নয়! তাদের যেন একটাই লক্ষ্য, কিভাবে ইসলামের বলা প্রতিটা কথাকে কুফরের সাথে আপোষ করে প্রচার করা যায়! কিভাবে কুফরভিত্তিক তত্ত্বকে কিঞ্চিৎ হালাল করা যায়..! র‍্যান্ড কর্পোরেশনও তাদের কুফর ও ঈমানের মধ্যপন্থা অবলম্বনের জন্য ভালবেসে সর্বত্র প্রমোটিং এর ব্যবস্থা করে। মোডারেট মুসলিমদের নিয়ে র‍্যান্ডের অনেক ক্ল্যাসিফাইড প্ল্যান ও প্রজেক্ট আছে যা আজ বেশ সচল।

ওরা কুফফারদের কল্পনাভিত্তিক মডার্ন বিজ্ঞানের সাথেও আমাদের দ্বীনের বিশ্বাসের সংযুক্তি ও মেলবন্ধনের চিন্তা করে। স্বভাবতই হক্ক ও বাতিল সর্বদা বৈপরীত্যপূর্ন হবে, যার জন্য কুফফারদের বাতিল জ্ঞানও হক্ক দ্বীনের বিপরীতে। যেমন ধরুনঃ সৃষ্টি তত্ত্বের ব্যপারে। কাফেররা সবকিছু শূন্য থেকে সৃষ্টির কথা বলে, বলে এক মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে সৃষ্টির। এর পরে বিবর্তনবাদের বিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্টিচক্রের বিবর্ধন! সেই সাথে ওরা বলে আমরা আউটার স্পেসে অজানার দিকে উদ্দেশ্যহীনভাবে
ছুটে চলছি। আর আমাদের গোলাকৃতি জমিন(!) যা সূর্যের চারপাশে ঘুরছে।। সূর্যও সোলার সিস্টেম নিয়ে ছুটে চলছে।

এ সমস্ত বিষয়ে আল্লাহ ঠিক বিপরীতটাই বলেছেন। আমরা খুব ভাল করেই জানি তারা কোন কোন আয়াত গুলোকে কুফরের সাথে কম্প্রোমাইজেশনের জন্য ব্যবহার করে এবং জানি সেসবের ব্যপারে সাহাবীদের(রাযি.) বক্তব্য কি। মোডারেটরা বিজ্ঞানের সবকিছু মানতে গিয়ে Evolution এ গিয়ে আটকে গেছে। অন্যান্য বিষয়গুলো যুক্তির ঝুলির যুক্তি খরচ করে কিছুটা আপোষ করতে পারলেও এ ব্যপারটায় কম্প্রোমাইজ করলে ইরতিদাদ সুস্পষ্টভাবে সাধারন মানুষের কাছে ধরা পড়ে। এজন্য অধিকাংশ মোডারেট এ ব্যপারটায় এসে বিরোধিতা করে। মজার বিষয় আমি এমন কিছু মোডারেটদেরকেও দেখেছি যারা Evolution বা বিবর্তনবাদকেও ইসলামসম্মত বলে যুক্তি দ্বারা দ্বার করাতে চায়!!
এমনকি এসমস্ত বিষয়ে তারা আয়াতও তুলে ধরে এবং তাদের নিজেদের তৈরি যুক্তি দ্বার করিয়ে বুঝিয়ে দেয় যে কুরআনেও ১৪০০ বছর আগেও তাই বলেছে যা 'অপবিজ্ঞান' আজ বলছে। এরা যুক্তি উপস্থাপনে যেটা করে সে কৌশলটা এরূপ যেঃ

১.সাহাবীদের থেকে আসা তাদের মতবিরুদ্ধ হাদিস বা তথ্যকে যে কোনমূল্যে অস্বীকার।
২.আরবি না পড়তে জানুক, কিন্তু নিজে নিজে ট্রোলিং এর দক্ষতাকে ব্যবহার করে রহমানের আয়াতের মনগড়া তাফসীর করে!
৩.রহমানের সরল আয়াত গুলোকে এরা(নব্য মুর্জিয়ারা) গ্রহন করে মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানের মানদণ্ডে ব্যাখ্যাদানের চেষ্টা করে। যদি বিজ্ঞান ও কুরআনিক আয়াতের অর্থ দূরবর্তী হয় তবে আয়াতের বিশেষ শব্দটির মূল ধাতু, বুৎপত্তিগত শব্দ অথবা উচ্চারনের দিক থেকে আয়াতের শব্দের কাছাকাছি শব্দকে গ্রহন করে যেটা ওদের ডিজায়ার্ড অর্থের কাছাকাছি পর্যন্ত যায়। এরপরে যুক্তি উত্থাপন করে, যেমনটা সূরা আন নাযিয়াতের 'দাহাহা' শব্দ দিয়ে এক এক্স মোডারেট (রাশাদ খলিফা-পরিশেষে নিজেকে নবী ঘোষনা করে মুর্তাদ হয়ে যায়) দুনিয়াকে ডিম্বাকৃতি বানায়।
৪.প্রাচীন মুফাসসীরীনদের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা ও অভক্তি বিদ্যমান যাদেরকে আজও উলামাগন শ্রদ্ধাভরে স্মরন করেন। তাদের এরূপ দৃষ্টিভঙ্গির কারন, কুফফারদের ম্যাজিক্যাল বিজ্ঞান নামের ফিতনার জাল বিস্তারের আগে প্রাচীন তাফসীর বিশারদগন কুরআনের বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা দিতেন, যেটা আজকের বিজ্ঞানের বলা কথার সাথে সরাসরি সংঘাতে যায়।। এ বিষয়টা মোডারেট মুর্জিয়াদের নিকট অপছন্দনীয়।। যেমনি করে মোডারেটদের এক উস্তাদ - ন্যাক সাহেব বিদ্রুপ করেই বললেন যেঃ ইমাম ইবনু জারীর তাবারী(রহ.) কোন মুফাসসিরই নয় বরং তিনি নাকি ইতিহাসবিদ!!!
ন্যাক সাহেবের এরূপ এলার্জির কারন ইমাম আত তাবারির তাফসীরে উল্লিখিত অনেক বিষয়, অনেক আয়াতের ব্যাখ্যাসমূহ অদ্ভুত তথ্য দেয়, যা বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক ,অপর দিকে সংকলিত হাদিসগুলো সবচেয়ে বিশুদ্ধ সনদনির্ভর,যার স্বীকৃতি ইবনু তাইমিয়া(রঃ) নিজেও দিয়েছেন।। তার দলিলভিত্তিক তাফসীর মোডারেট স্টান্ডার্ডকে যুক্তির আশ্রয় দেওয়ারও সময় দেয় না। এজন্য তাকে undermining এর অপচেষ্টা।
দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=BYBRo_7QvwI
অথচ ইমাম ইবনু জারীর তাবারী (রহ.) এর ব্যপারে উলামা- মুহাদ্দিসিনগন কিরূপ ধারনা রাখেন?

Abu Haamid al-Isfaraayini said: If a traveller were to travel to China in order to obtain it, that would not be too much.
Tabaqaat al-Mufassireen by al-Dawoodi, 2/106.

Ibn Khuzaymah said: I have read it from beginning to end and I do not know of anyone on the face of the earth who is more knowledgeable than Ibn Jareer.
Siyar A’laam al-Nubala’, 14/273.

Shaykh al-Islam Ibn Taymiyah said: With regard to the Tafseers that are in circulation among the people, the most sound of them is the Tafseer of Muhammad ibn Jareer al-Tabari, for he mentions the views of the salaf with proven isnaads, and there is no bid’ah (innovation) in it, and he does not transmit reports from dubious sources such as Muqaatil ibn Bukayr and al-Kalbi.
Majmoo’ al-Fataawa , 13/358.

He also said in Muqaddimah fi Usool al-Tafseer (p. 35), concerning the Tafseer of Ibn Jareer:
It is one of the best and greatest of Tafseers.
He relied on the views of three generations of mufassireen among the salaf, namely the Sahaabah, the Taabi’een, and the followers of the Taabi’een, and he quotes their opinions with isnaads going back to them. This is an important feature of his book which is not present in many of the books of Tafseer that are in circulation among us. But this feature does not matter to many ordinary Muslims who are not able to research isnaads and distinguish sound isnaads from weak ones; all they want is to know whether an isnaad is sound or weak by means of a clear and brief statement to that effect.
When he has finished quoting their opinions, he states which he thinks is most likely to be correct, then he describes how he reached that conclusion.

Imam Ath-Thahabî (d. 748 H.) said: "He was reliable, truthful, a Hâfith, a leader in Tafsîr..." "Mîzân al-I'tidâl", Vol. 6/90

Abul-Wafâ' at-Tarâbulsî (d. 841 H.) said: "Muhammad Ibn Jarîr at-Tabarî: The Imâm, the Mufassir; Abû Ja'far..." "Al-Kashf al-Hathîth", Vol. 1/221

Ibn Hajar al-'Asqalânî (d. 852 H.) said: "Muhammad Ibn Jarîr Ibn Yazîd at-Tabarî; The great Imâm, the Mufassir..." "Lisân al-Mîzân", Vol. 5/100

Jalâl ad-Dîn as-Suyûtî (d. 911 H) said: "The Imâm Abû Ja'far; the absolute head of the Mufassirîn..." "Al-Itqân Fî 'Ulûm al-Qur'ân", Vol. 2/190

সুতরাং নব্য মুরজিয়ারা কতটা সত্যবাদী হতে পারে সেটা সহজেই আশা করি বুঝতে পারছেন।

মোডারেটরা যতই মনগড়া যুক্তি দ্বারা বিজ্ঞানের অপবিদ্যার কথাকে 'ইসলামাইজড' করতে চায় না কেন তেমন কোন লাভ হবে না। এর দ্বারা তারা নিজেদেরকে এবং তাদের সমশ্রেণীর কিছু পাপাচারীদের নফসের খোরাকই হয়ে থাকবে, আর কিছু মানুষকে বিভ্রান্তির মধ্যেই নিতে পারবে। তারা শুধুমাত্র হক্ক ও বাতিলের সাথে মেশানোর কল্পনাই করতে পারবে কিন্তু সেটা ফলতঃ করতে পারবেনা।। মোডারেটরা কখনোই সত্যকে মিথ্যার সাথে একীভূত করতে পারবে না। কুফরভিত্তিক ম্যাজিক্যাল অপবিজ্ঞান মাঝেমধ্যে তাদের মূল কুফরির পরিচয় স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে যেমনটা স্পষ্টরূপে পাওয়া যায় বিবর্তনবাদে। অধিকাংশ বিজ্ঞানমনষ্ক মোডারেটরা এর বিরুদ্ধে বাকযুদ্ধ শুরু করে। এটা কুফফাররাও জানে। ওরা মোডারেটদের প্রয়াস দেখে বিদ্রুপাত্মক হাসি হাসে।।
বস্তুত এ ব্যপারটার রূপক উদাহরণ হচ্ছে একটি দৃশ্যকল্পঃ

মনসপটে একটি দৃশ্যের কল্পনা করুন, একটি সুবিশাল কুমির সমুদ্রের বুকে সাঁতরে চলছে যার পিঠে অসংখ্য শিশু কুমির এবং একদল মানুষ । ওই লোকেরা জানেও না তারা বৃহদাকার কুমিরের পিঠে দাঁড়িয়ে আছে। তারা ভাবছে উহা কোন নিরাপদ ভাসমান কিছু। ওই লোকেরা প্রাণান্ত যুদ্ধ করছে শিশু কুমিরগুলোর বিরুদ্ধে। শিশু কুমির গুলো মারা গেলেও কিছুক্ষন পরেও কোথা থেকে যেন আরো কিছু কুমির চলে আসে। আর এভাবেই তারা ডিফেন্ড করে চলছে নিজেদের। ওরা চাইতো এই ভাসমান অঞ্চলটি তাদের কর্তৃত্বে থাকুক। একপর্যায়ে তারা শিশু কুমিরের সাথে আপোষ করতে শুরু করে। এসব খবর অতিকায় কুমির শুনে বিদ্রুপাত্মক শয়তানি হাসি হাসে।

এখানে ওই অতিকায় কুমির হচ্ছে শয়তানের পূজারীদের অপবিজ্ঞান।মানুষ গুলো হচ্ছে মোডারেট মুসলিম।আর শিশু কুমিরগুলো হচ্ছে এই বিজ্ঞানের উপর বিভিন্ন সময় গজানো থিওরি, যা সুস্পষ্ট কুফর বহন করে এবং যেসবের বিরুদ্ধে অধিকাংশ মোডারেটরা প্রতিবাদ করে।ওই মোডারেটরা চায় মেইনস্ট্রিম hermetic science ইসলামিক বলে প্রচার করতে। এটা বোঝাতে চায় যে কুরআনেও সে ফিলসফির কথা বলা হয়েছে। আর সবশেষে যে কুমিরগুলোর সাথে লোকগুলোর আপোষ হলো, সেটা দ্বারা বোঝানো হচ্ছে ওইসব স্বল্পসংখ্যক মডারেট, যারা বিবর্তনবাদকেও ইসলামসম্মত বলে এবং যারা সবশেষে কুফরের কাছে পরাজিত হয়ে তা গ্রহন করতঃ অপবিদ্যাকে যুক্তির ঘোল খাইয়ে ইসলামিক বলে প্রচার করে!! এর দ্বারা একটা বিষয় পরিষ্কার হয়। কুফফারদের প্ল্যাটফর্মে দাড়িয়ে কুফফারদের দু-চারটা কথার বিরুদ্ধে কথা বলাটা বোকামি। এরূপ করাটা শয়তানের কাছে হাসির খোরাক। ব্যাপক অর্থে নিজেকে নিয়েই ridicule করা। অপবিত্র তরল দ্বারা ওযূ বা পবিত্রতা অর্জনের কথা ভাবার সামিল। এইকারনে অরিজিনাল কাফের বা মুর্তাদদের কাছে এরা বাকযুদ্ধেই লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হয়। কারন ওদের তত্ত্বকে ব্যবহার করে কুরআনকে জাস্টিফাই করতে গিয়ে কয় জায়গার ছিদ্র বন্ধ করবে(?),যেথায় উভয়ই পরস্পরবিরোধী মতাদর্শ বহন করে।

আমার এই লেখা কোন মোডারেটকে তার অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনবার উদ্দেশ্যে নয়। বা কোন একটা আইডিওলজিকে কারও উপরে চাপিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেও নয়। শুধু তাদের নাজেহাল দশাকে ম্যাগনিফাই করার জন্যই লেখা। আমার খুব ভাল করেই জানা ইহা তাদের গাত্রদাহের সৃষ্টি করবে এবং ভাল করেই জানা ইহা তাদের অন্তরের বক্রতাকে শাণিত করবে এবং সে ব্যপারে আরো বেশি একগুঁয়ে করে তুলবে। উদ্দেশ্য, যারা সাহাবিয়্যাতের পথে চলে তাদের কাছে অপবিদ্যার প্রায় অদৃশ্য এক বেষ্টনীকে কিছুটা দৃশ্যমান হবে। আমি এ ব্যপারে অবগত যে, প্রচলিত বিজ্ঞানকে শিকড়সমেত আঘাত করে কথা বলাটা একরকমের বাড়াবাড়ি ঠেকছে আমার অনেক ভাইদেরই কাছে, যারা আমার সাথে অনেক বিষয়ে একমত। আলহামদুলিল্লাহ, আমার কাছে এমনকিছু দলিল/প্রমান অথবা জ্ঞান রয়েছে যা এরূপ বলবার শক্তি বা সাহস সঞ্চয় করে। সামনে এসব নিয়ে বিস্তারিত তথ্য ও দলিলভিত্তিক পর্ব আকারে লেখনী প্রকাশের ইচ্ছা আছে। দু'আর মুহতাজ।

লেখকঃ Al Imran

Tuesday, March 20, 2018

প্ল্যানেট এক্স/নিবিরু/সেকেন্ড সান/কমেট আইওসন


প্ল্যানেট এক্স/নিবিরু/সেকেন্ড সান/কমেট আইওসন/polar shifting/পশ্চিমে সূর্যোদয়/
_____________________________________________
বিগত বছরগুলোতে বেশ আলোচিত বাস্তব বা কাল্পনিক সেলেস্টিয়াল অবজেক্ট এর নাম নিবিরু বা প্ল্যানেট এক্স অথবা সেকেন্ড সান।পশ্চিমাদের মধ্যে নিবিরু নামের এই নক্ষত্রটি বেশ উদ্বেগের। তাদের নানান চিন্তাবিদ নানান থিওরি তৈরি করছে এর পক্ষে বিপক্ষে। কিছু এসোটেরিস্ট বা বাতেনিয়্যাহরা(স্পিরিচুয়ালিস্ট)রা প্রথমে এ বিষয়টা আলোচনায় আনে। তারা থিওরি দাড় করায়, এটি হেলিওসেন্ট্রিক সিস্টেমের একটি গ্রহ যেটি প্রতি ৩৬০০ বছরে একবার প্রদক্ষিন করে সূর্যকে এবং পৃথিবীর খুব পাশে ঘেষে যায়।  তখন বিভিন্ন প্রলয় সংঘটিত হয় গ্রাভিটিজনিত কারনে। এরূপ বলা হয়, এই গ্রহ বা অবজেক্ট সামনে যেদিন প্রদক্ষিন করবে সেসময়ে মাধ্যাকর্ষণজনিত প্রভাবে পৃথিবীর মেরুগুলো উলটে যাবে, অর্থাৎ উত্তরমেরু হবে দক্ষিনমেরু আর দক্ষিন হবে উত্তর। এ অবস্থায় মানুষ পশ্চিমে সূর্যোদয় প্রত্যক্ষ করবে! এটাই হবে ডোমসডের শুরু!
.
বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে  অপেশাদার ক্যামেরা ফুটেজে চাদ-সূর্যের পাশে স্ফেরিক্যাল ইল্যুমিনাস অব্জেক্ট দেখতে পাওয়া যায়, যা পরে এই আলোচনায় ঘি ঢালে। অনেকে মনে করে এটা সূর্যের ন্যায় আরেকটি নক্ষত্র বা সেকেন্ড সান,  সেকেন্ড সানের বিভিন্ন ফুটেজ ইউটিউবে আছে যা এ তত্ত্বের পক্ষে এভিডেন্স হয়ে দাঁড়ায়।
https://m.youtube.com/watch?v=Dtj4rBTWAAk
বিভিন্ন সময়ে মহাকাশসংস্থার প্রকাশ করা টেলিস্কোপে আকাশের ছবির কিছু অংশকে স্কয়ার করে ঢেকে রাখতেও দেখা গেছে।
https://m.youtube.com/watch?v=1e4OlwXNCeg
.
মেইনস্ট্রিম এস্ট্রোনমিতে নিবিরু বা প্লানেট এক্স এর থিওরি সুডো সাইন্সের আওতাভুক্ত। ২০০৩ সালে এই প্লানেট ১০ এর সাথে সংঘর্ষের ধারনা করা হয়েছিল যার জন্য ২০০৩ এর মে মাসে পৃথিবী ধবংসের একটি গুজব উঠেছিল। ২য় প্রেডিকশন হয় ২০১২ সালে। প্ল্যানেট এক্স এর ধারনা দেয় এসোটেরিস্ট ন্যন্সি লাইডার ১৯৯৫ সালে। পড়ে জ্যাকারিয়া সিটচিন কর্তৃক নিবিরু শব্দটাই স্ট্যাবলিস্ট হয়। নিবিরু শব্দ দিয়ে সিটচিন ১২ তম প্ল্যানেটকে বোঝায়। তার মতে খ্রিস্ট পূর্ব ৫৫৬ সালে সর্বশেষ পৃথিবীকে ওটা অতিক্রম করে। একদল রিসার্চার রা মনে করেন এই নিবিরু বা প্ল্যানেট এক্স হচ্ছে বাইনারী স্টার,নেমেসিস। উদ্বিগ্ন কিছু পাবলিক ধারনা করে, আমাদের সূর্য আলো দেয় কিন্তু ওই নক্ষত্র দুনিয়ার সকল এনার্জি উলটো সাক করবে!!
অধিকাংশই কুফফারদের অতিরঞ্জিত hypothetical উদ্ভট theory। তবে এটা সত্য যে , যাহা রটে তার কিছু হলেও বটে।
কিছু প্রমান আছে যে কিছু একটা আসছে।
.
এর আগেও বেশ কিছু ফুটেজ দেখেছি,মাত্র ক'দিন আগেরকার এটি- https://www.youtube.com/watch?v=ceigwnoY2wA
.
এবার আসুন দেখা যাক ইসলামিক স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী এসব তথ্যের ভ্যালিডিটি...
.
হাদিস আমাদেরকে নিরাশ করে না। এমন কিছু দুর্বল হাদিস আছে যা সত্যিই বিষয়টাকে ভাবিয়ে তোলে।
.
A Star with a tail appears from the East
-"A star with a tail that illuminates all places will originate from the East , at three or seven- day intervals . " (Muhammad Al- Barzanji' s book Al-Isha' ah li Ashrat AsSaa ' h )
.
ﺇﺫﺍ ﺑﻠﻎ ﺍﻟﻌﺒﺎﺱ ﺧﺮﺍﺳﺎﻥ ﻃﻠﻊ ﺑﺎﻟﻤﺸﺮﻕ ﺍﻟﻘﺮﻥ ﺫﻭ ﺍﻟﺸﻔﺎ ﻭﻛﺎﻥ ﺃﻭﻝ ﻣﺎ ﻃﻠﻊ ﺑﻬﻼﻙ ﻗﻮﻡ ﻧﻮﺡ ﺣﻴﻦ ﻏﺮﻗﻬﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻃﻠﻊ ﻓﻲ ﺯﻣﺎﻥ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﺣﻴﺚ ﺃﻟﻘﻮﻩ ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﻭﺣﻴﻦ ﺃﻫﻠﻚ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﺮﻋﻮﻥ ﻭﻣﻦ ﻣﻌﻪ ﻭﺣﻴﻦ ﻗﺘﻞ ﻳﺤﻴﻰ ﺑﻦ ﺯﻛﺮﻳﺎ ﻓﺈﺫﺍ ﺭﺃﻳﺘﻢ ﺫﻟﻚ ﻓﺎﺳﺘﻌﻴﺬﻭﺍ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺷﺮ ﺍﻟﻔﺘﻦ ﻭﻳﻜﻮﻥ ﻃﻠﻮﻋﻪ ﺑﻌﺪ ﺍﻧﻜﺴﺎﻑ ﺍﻟﺸﻤﺲ ﻭﺍﻟﻘﻤﺮ ﺛﻢ ﻻ ﻳﻠﺒﺜﻮﻥ ﺣﺘﻰ ﻳﻈﻬﺮ ﺍﻷﺑﻘﻊ ﺑﻤﺼﺮ
.
Abi Ja ' far said : "If the Abbas reaches Khorasan,
( a star known as) Horn Zu -Shifa rises in the East. The first time it appeared was at the perishing of the people of ( Prophet) Noah when Allah drowned them . And it rose at the time of ( Prophet) Abraham , peace be upon him , when they cast him into fire , and when Allah caused Pharaoh ( at the time of Moses ) and those with him to perish, and when ( Prophet) John ( the Baptist ) son of Zakariah was killed. If you see this, seek refuge in Allah against the evilness of Fitan ( strifes and tribulations ) . It will rise after the eclipse of the sun and the moon . Then, soon the Abqa ( a man seeking to rule ) in Egypt will appear . " ( Nuaim bin Hammad ' s book Kitab Al-Fitan, Al -Muttaqi al-Hindi' s book Al -Burhan fi ` Alamat al- Mahdi Akhir az- Zaman , p . 32 )
Ibn Mas ' ud said : "There will be a sign in ( the month of) Safar and the star with a tail will begin. " ( Nuaim bin Hammad ' s book Kitab Al-Fitan)
.
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻮﻟﻴﺪ
ﻭﺍﻟﺤﻤﺮﺓ ﻭﺍﻟﻨﺠﻮﻡ ﺍﻟﺘﻲ ﺭﺃﻳﻨﺎﻫﺎ ﻟﻴﺴﺖ ﺑﺎﻵﻳﺎﺕ ﺇﻧﻤﺎ ﻧﺠﻢ ﺍﻵﻳﺎﺕ ﻧﺠﻢ ﻳﻨﻘﻠﺐ ﻓﻲ ﺍﻵﻓﺎﻕ ﻓﻲ ﺻﻔﺮ ﺃﻭ ﻓﻲ ﺭﺑﻴﻌﻴﻦ ﺃﻭ ﻓﻲ ﺭﺟﺐ ﻭﻋﻨﺪ ﺫﻟﻚ ﻳﺴﻴﺮ ﺧﺎﻗﺎﻥ ﺑﺎﻷﺗﺮﺍﻙ ﺗﺘﺒﻌﻪ ﺭﻭﻡ ﺍﻟﻈﻮﺍﻫﺮ ﺑﺎﻟﺮﺍﻳﺎﺕ ﻭﺍﻟﺼﻠﺐ
.
Al-Walid said : "The redness and stars we have seen are not the Ayat ( signs ) . The star of the Ayat ( signs ) is a star that flips ( or turns ) in the horizons in ( the month of ) Safar or in ( the 2 months of) Rabi ( the first and second Rabi ) , or in ( the month of ) Rajab . Once this happens, Khankan marshes the Turks ( Russians ); the Romans ( Europeans ) of Zawahir will follow with the banners ( battalions ) and Crosses ." (Nuaim bin Hammad ' s book Kitab Al-Fitan )
.

ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻮﻟﻴﺪ ﻭﻗﺎﻝ ﻛﻌﺐ
ﻫﻮ ﻧﺠﻢ ﻳﻄﻠﻊ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺸﺮﻕ ﻭﻳﻀﻲﺀ ﻷﻫﻞ ﺍﻷﺭﺽ ﻛﺈﺿﺎﺀﺓ ﺍﻟﻘﻤﺮ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺒﺪﺭ
.
Ka' b said : " It is a star that rises from the East and illuminates for the people of the Earth like the illumination of a moon in a full - moon night." ( Nuaim bin Hammad ' s book Kitab Al -Fitan)
.

ﻋﻦ ﺍﻟﻮﻟﻴﺪ ﻗﺎﻝ ﺑﻠﻐﻨﻲ ﻋﻦ ﻛﻌﺐ ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝ

ﻳﻄﻠﻊ ﻧﺠﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺸﺮﻕ ﻗﺒﻞ ﺧﺮﻭﺝ ﺍﻟﻤﻬﺪﻱ ﻟﻪ ﺫﻧﺎﺏ
ﻗﺎﻝ ﻭﺣﺪﺛﺖ ﻋﻦ ﺷﺮﻳﻚ ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝ ﺑﻠﻐﻨﻲ ﺃﻧﻪ ﻗﺒﻞ ﺧﺮﻭﺝ ﺍﻟﻤﻬﺪﻱ ﺗﻨﻜﺴﻒ ﺍﻟﺸﻤﺲ ﻓﻲ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻣﺮﺗﻴﻦ
.
Ka' b said : “ ' A star will rise from the East before the appearance of the Mahdi and it has a tail. ' And Sharik said :' Before the appearance of the Mahdi, the sun will have an eclipse in the month of Ramadan twice . ' ” ( Nuaim bin Hammad ' s book Kitab Al -Fitan)
.
.
অর্থাৎ নিবিরু/সেকেন্ড সান/নেমেসিস জাতীয় নক্ষত্র হয়ত আসছে ।যেহেতু লেজযুক্ত তারার কথা এসেছে, হতে পারে সেটা হেলিওসেন্ট্রিকজম অনুযায়ী ধুমকেতু!
জিওসেন্ট্রিক মডেলে সবই নক্ষত্র। এজন্য সেটাকে হয়ত লেজযুক্ত তারকা বলা হয়েছে।
.
হেলিওসেন্ট্রিক মডেল অনুযায়ী প্ল্যানেট এক্স/নিবিরু/নেমেসিসের ভয়াবহতার একটি হচ্ছে পোলার সিফটিং এবং পশ্চিমে সূর্যোদয়। কাফেরদের এই থিওরি সম্পূর্ন হেলিওসেন্ট্রিক কসমোলজি ভিত্তিক। এই গ্রহ/নক্ষত্রের মাধ্যাকর্ষণের জন্য পৃথিবীর মেরু উলটে যাবে ফলে জনগন পূর্বের বদলে পশ্চিমে সূর্যোদয় দেখবে। অধিকন্তু হেলিওসেন্ট্রিক মডেল অনুযায়ী পশ্চিমে সূর্যোদয় ঘটানোর জন্য এছাড়া অন্য কোন উপায় নেই,আল্লাহ ভাল জানেন। জিওসেন্ট্রিক কসমোলজি বেজড ইসলামিক এস্ট্রোনমির বর্ননা দেয় এরকম একটি জনপ্রিয় হাদিস ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আবু যরকে বলেছেনঃ
ﺃَﺗَﺪْﺭِﻱ ﺃَﻳْﻦَ ﺗَﺬْﻫَﺐُ ﻗُﻠْﺖُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟُﻪُ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﻗَﺎﻝَ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﺗَﺬْﻫَﺐُ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﺴْﺠُﺪَ ﺗَﺤْﺖَ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﻓَﺘَﺴْﺘَﺄْﺫِﻥَ ﻓَﻴُﺆْﺫَﻥُ ﻟَﻬَﺎ ﻭَﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﺗَﺴْﺠُﺪَ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﻘْﺒَﻞَ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﻭَﺗَﺴْﺘَﺄْﺫِﻥَ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﺆْﺫَﻥَ ﻟَﻬَﺎ ﻳُﻘَﺎﻝُ ﻟَﻬَﺎ ﺍﺭْﺟِﻌِﻲ ﻣِﻦْ ﺣَﻴْﺚُ ﺟِﺌْﺖِ ﻓَﺘَﻄْﻠُﻊُ ﻣِﻦْ ﻣَﻐْﺮِﺑِﻬَﺎ
“হে আবু যর! তুমি কি জান সূর্য যখন অস্ত যায় তখন কোথায় যায়? আবু যার বললেন, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আরশের নীচে গিয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং পুনরায় উদিত হওয়ার অনুমতি চায়। অতঃপর তাকে অনুমতি দেয়া হয়। সে দিন বেশী দূরে নয়, যে দিন অনুমতি চাবে কিন্তু তাকে অনুমতি দেয়া হবে না। তাকে বলা হবে যেখান থেকে এসেছ, সেখানে ফেরত যাও। অতঃপর সূর্য পশ্চিম দিক থেকেই উদিত হবে।”
.
হাদিস অনুযায়ী পশ্চিমে সূর্যোদয় ঘটানোর জন্য আল্লাহ  সূর্যকেই আদেশ দেবেন,যেন সে পূর্বাবস্থানে ফিরে যায় ও পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে, পৃথিবী এই ফেনোমেনা ঘটবার ক্ষেত্রে কোন ভূমিকাই দেখা যায় না।। কাফেররা ভ্রান্ত হেলিওসেন্ট্রিজম অনুযায়ী বলে পৃথিবীই উলটে যাবে। অর্থাৎ কাফেরদের তত্ত্বটা সম্পূ্র্ন বিপরীত।  আর বর্নিত হাদিসটি কুরআন সুন্নাহর জিওসেন্ট্রিক এস্ট্রনমির পক্ষে শক্ত দলিল।
.
অতএব হাদিস অনুযায়ী এ ব্যপারে নিশ্চিত হওয়া যায় পশ্চিমে সূর্যোদয়ের ক্ষেত্রে প্ল্যানেট এক্স/নেমেসিস/নিবিরুর ভূমিকা নেই।  সূর্যই আদিষ্ট হয়ে ফিরে গিয়ে পশ্চিম দিকে উঠবে(জিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমি)। আর সেই সাথে এটা বোঝা যায় এ আসন্ন নক্ষত্র মহাপ্রলয় সৃষ্টিকারী কিছু নয়।
ওই নক্ষত্রই বাস্তবিকভাবে সূর্যকে পশ্চিম দিকে উদয় করবেনা। বরং সেটা আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী আদেশে হবে। জিওসেন্ট্রিক ইউনিভার্সে পৃথিবীর পোলার শিফটিং এর কথা ভাবাই যায়না।  হয়ত ওই নক্ষত্র আর সূর্যকে আকাশে সহাবস্থানে দেখা যাবে ২য় সূর্যের ভূমিকায়। উপরিউক্ত তথ্য গুলো এটাও প্রকাশ করে যে,  ইমাম মাহদির প্রকাশ  সন্নিকটে।
হয়ত শীঘ্রই আকাশে দুটি সূর্য কিরণ দেবে!
ওয়া আল্লাহু 'আলাম।