Tuesday, March 20, 2018

প্ল্যানেট এক্স/নিবিরু/সেকেন্ড সান/কমেট আইওসন


প্ল্যানেট এক্স/নিবিরু/সেকেন্ড সান/কমেট আইওসন/polar shifting/পশ্চিমে সূর্যোদয়/
_____________________________________________
বিগত বছরগুলোতে বেশ আলোচিত বাস্তব বা কাল্পনিক সেলেস্টিয়াল অবজেক্ট এর নাম নিবিরু বা প্ল্যানেট এক্স অথবা সেকেন্ড সান।পশ্চিমাদের মধ্যে নিবিরু নামের এই নক্ষত্রটি বেশ উদ্বেগের। তাদের নানান চিন্তাবিদ নানান থিওরি তৈরি করছে এর পক্ষে বিপক্ষে। কিছু এসোটেরিস্ট বা বাতেনিয়্যাহরা(স্পিরিচুয়ালিস্ট)রা প্রথমে এ বিষয়টা আলোচনায় আনে। তারা থিওরি দাড় করায়, এটি হেলিওসেন্ট্রিক সিস্টেমের একটি গ্রহ যেটি প্রতি ৩৬০০ বছরে একবার প্রদক্ষিন করে সূর্যকে এবং পৃথিবীর খুব পাশে ঘেষে যায়।  তখন বিভিন্ন প্রলয় সংঘটিত হয় গ্রাভিটিজনিত কারনে। এরূপ বলা হয়, এই গ্রহ বা অবজেক্ট সামনে যেদিন প্রদক্ষিন করবে সেসময়ে মাধ্যাকর্ষণজনিত প্রভাবে পৃথিবীর মেরুগুলো উলটে যাবে, অর্থাৎ উত্তরমেরু হবে দক্ষিনমেরু আর দক্ষিন হবে উত্তর। এ অবস্থায় মানুষ পশ্চিমে সূর্যোদয় প্রত্যক্ষ করবে! এটাই হবে ডোমসডের শুরু!
.
বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে  অপেশাদার ক্যামেরা ফুটেজে চাদ-সূর্যের পাশে স্ফেরিক্যাল ইল্যুমিনাস অব্জেক্ট দেখতে পাওয়া যায়, যা পরে এই আলোচনায় ঘি ঢালে। অনেকে মনে করে এটা সূর্যের ন্যায় আরেকটি নক্ষত্র বা সেকেন্ড সান,  সেকেন্ড সানের বিভিন্ন ফুটেজ ইউটিউবে আছে যা এ তত্ত্বের পক্ষে এভিডেন্স হয়ে দাঁড়ায়।
https://m.youtube.com/watch?v=Dtj4rBTWAAk
বিভিন্ন সময়ে মহাকাশসংস্থার প্রকাশ করা টেলিস্কোপে আকাশের ছবির কিছু অংশকে স্কয়ার করে ঢেকে রাখতেও দেখা গেছে।
https://m.youtube.com/watch?v=1e4OlwXNCeg
.
মেইনস্ট্রিম এস্ট্রোনমিতে নিবিরু বা প্লানেট এক্স এর থিওরি সুডো সাইন্সের আওতাভুক্ত। ২০০৩ সালে এই প্লানেট ১০ এর সাথে সংঘর্ষের ধারনা করা হয়েছিল যার জন্য ২০০৩ এর মে মাসে পৃথিবী ধবংসের একটি গুজব উঠেছিল। ২য় প্রেডিকশন হয় ২০১২ সালে। প্ল্যানেট এক্স এর ধারনা দেয় এসোটেরিস্ট ন্যন্সি লাইডার ১৯৯৫ সালে। পড়ে জ্যাকারিয়া সিটচিন কর্তৃক নিবিরু শব্দটাই স্ট্যাবলিস্ট হয়। নিবিরু শব্দ দিয়ে সিটচিন ১২ তম প্ল্যানেটকে বোঝায়। তার মতে খ্রিস্ট পূর্ব ৫৫৬ সালে সর্বশেষ পৃথিবীকে ওটা অতিক্রম করে। একদল রিসার্চার রা মনে করেন এই নিবিরু বা প্ল্যানেট এক্স হচ্ছে বাইনারী স্টার,নেমেসিস। উদ্বিগ্ন কিছু পাবলিক ধারনা করে, আমাদের সূর্য আলো দেয় কিন্তু ওই নক্ষত্র দুনিয়ার সকল এনার্জি উলটো সাক করবে!!
অধিকাংশই কুফফারদের অতিরঞ্জিত hypothetical উদ্ভট theory। তবে এটা সত্য যে , যাহা রটে তার কিছু হলেও বটে।
কিছু প্রমান আছে যে কিছু একটা আসছে।
.
এর আগেও বেশ কিছু ফুটেজ দেখেছি,মাত্র ক'দিন আগেরকার এটি- https://www.youtube.com/watch?v=ceigwnoY2wA
.
এবার আসুন দেখা যাক ইসলামিক স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী এসব তথ্যের ভ্যালিডিটি...
.
হাদিস আমাদেরকে নিরাশ করে না। এমন কিছু দুর্বল হাদিস আছে যা সত্যিই বিষয়টাকে ভাবিয়ে তোলে।
.
A Star with a tail appears from the East
-"A star with a tail that illuminates all places will originate from the East , at three or seven- day intervals . " (Muhammad Al- Barzanji' s book Al-Isha' ah li Ashrat AsSaa ' h )
.
ﺇﺫﺍ ﺑﻠﻎ ﺍﻟﻌﺒﺎﺱ ﺧﺮﺍﺳﺎﻥ ﻃﻠﻊ ﺑﺎﻟﻤﺸﺮﻕ ﺍﻟﻘﺮﻥ ﺫﻭ ﺍﻟﺸﻔﺎ ﻭﻛﺎﻥ ﺃﻭﻝ ﻣﺎ ﻃﻠﻊ ﺑﻬﻼﻙ ﻗﻮﻡ ﻧﻮﺡ ﺣﻴﻦ ﻏﺮﻗﻬﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻃﻠﻊ ﻓﻲ ﺯﻣﺎﻥ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﺣﻴﺚ ﺃﻟﻘﻮﻩ ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﻭﺣﻴﻦ ﺃﻫﻠﻚ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﺮﻋﻮﻥ ﻭﻣﻦ ﻣﻌﻪ ﻭﺣﻴﻦ ﻗﺘﻞ ﻳﺤﻴﻰ ﺑﻦ ﺯﻛﺮﻳﺎ ﻓﺈﺫﺍ ﺭﺃﻳﺘﻢ ﺫﻟﻚ ﻓﺎﺳﺘﻌﻴﺬﻭﺍ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺷﺮ ﺍﻟﻔﺘﻦ ﻭﻳﻜﻮﻥ ﻃﻠﻮﻋﻪ ﺑﻌﺪ ﺍﻧﻜﺴﺎﻑ ﺍﻟﺸﻤﺲ ﻭﺍﻟﻘﻤﺮ ﺛﻢ ﻻ ﻳﻠﺒﺜﻮﻥ ﺣﺘﻰ ﻳﻈﻬﺮ ﺍﻷﺑﻘﻊ ﺑﻤﺼﺮ
.
Abi Ja ' far said : "If the Abbas reaches Khorasan,
( a star known as) Horn Zu -Shifa rises in the East. The first time it appeared was at the perishing of the people of ( Prophet) Noah when Allah drowned them . And it rose at the time of ( Prophet) Abraham , peace be upon him , when they cast him into fire , and when Allah caused Pharaoh ( at the time of Moses ) and those with him to perish, and when ( Prophet) John ( the Baptist ) son of Zakariah was killed. If you see this, seek refuge in Allah against the evilness of Fitan ( strifes and tribulations ) . It will rise after the eclipse of the sun and the moon . Then, soon the Abqa ( a man seeking to rule ) in Egypt will appear . " ( Nuaim bin Hammad ' s book Kitab Al-Fitan, Al -Muttaqi al-Hindi' s book Al -Burhan fi ` Alamat al- Mahdi Akhir az- Zaman , p . 32 )
Ibn Mas ' ud said : "There will be a sign in ( the month of) Safar and the star with a tail will begin. " ( Nuaim bin Hammad ' s book Kitab Al-Fitan)
.
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻮﻟﻴﺪ
ﻭﺍﻟﺤﻤﺮﺓ ﻭﺍﻟﻨﺠﻮﻡ ﺍﻟﺘﻲ ﺭﺃﻳﻨﺎﻫﺎ ﻟﻴﺴﺖ ﺑﺎﻵﻳﺎﺕ ﺇﻧﻤﺎ ﻧﺠﻢ ﺍﻵﻳﺎﺕ ﻧﺠﻢ ﻳﻨﻘﻠﺐ ﻓﻲ ﺍﻵﻓﺎﻕ ﻓﻲ ﺻﻔﺮ ﺃﻭ ﻓﻲ ﺭﺑﻴﻌﻴﻦ ﺃﻭ ﻓﻲ ﺭﺟﺐ ﻭﻋﻨﺪ ﺫﻟﻚ ﻳﺴﻴﺮ ﺧﺎﻗﺎﻥ ﺑﺎﻷﺗﺮﺍﻙ ﺗﺘﺒﻌﻪ ﺭﻭﻡ ﺍﻟﻈﻮﺍﻫﺮ ﺑﺎﻟﺮﺍﻳﺎﺕ ﻭﺍﻟﺼﻠﺐ
.
Al-Walid said : "The redness and stars we have seen are not the Ayat ( signs ) . The star of the Ayat ( signs ) is a star that flips ( or turns ) in the horizons in ( the month of ) Safar or in ( the 2 months of) Rabi ( the first and second Rabi ) , or in ( the month of ) Rajab . Once this happens, Khankan marshes the Turks ( Russians ); the Romans ( Europeans ) of Zawahir will follow with the banners ( battalions ) and Crosses ." (Nuaim bin Hammad ' s book Kitab Al-Fitan )
.

ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻮﻟﻴﺪ ﻭﻗﺎﻝ ﻛﻌﺐ
ﻫﻮ ﻧﺠﻢ ﻳﻄﻠﻊ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺸﺮﻕ ﻭﻳﻀﻲﺀ ﻷﻫﻞ ﺍﻷﺭﺽ ﻛﺈﺿﺎﺀﺓ ﺍﻟﻘﻤﺮ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺒﺪﺭ
.
Ka' b said : " It is a star that rises from the East and illuminates for the people of the Earth like the illumination of a moon in a full - moon night." ( Nuaim bin Hammad ' s book Kitab Al -Fitan)
.

ﻋﻦ ﺍﻟﻮﻟﻴﺪ ﻗﺎﻝ ﺑﻠﻐﻨﻲ ﻋﻦ ﻛﻌﺐ ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝ

ﻳﻄﻠﻊ ﻧﺠﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺸﺮﻕ ﻗﺒﻞ ﺧﺮﻭﺝ ﺍﻟﻤﻬﺪﻱ ﻟﻪ ﺫﻧﺎﺏ
ﻗﺎﻝ ﻭﺣﺪﺛﺖ ﻋﻦ ﺷﺮﻳﻚ ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝ ﺑﻠﻐﻨﻲ ﺃﻧﻪ ﻗﺒﻞ ﺧﺮﻭﺝ ﺍﻟﻤﻬﺪﻱ ﺗﻨﻜﺴﻒ ﺍﻟﺸﻤﺲ ﻓﻲ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻣﺮﺗﻴﻦ
.
Ka' b said : “ ' A star will rise from the East before the appearance of the Mahdi and it has a tail. ' And Sharik said :' Before the appearance of the Mahdi, the sun will have an eclipse in the month of Ramadan twice . ' ” ( Nuaim bin Hammad ' s book Kitab Al -Fitan)
.
.
অর্থাৎ নিবিরু/সেকেন্ড সান/নেমেসিস জাতীয় নক্ষত্র হয়ত আসছে ।যেহেতু লেজযুক্ত তারার কথা এসেছে, হতে পারে সেটা হেলিওসেন্ট্রিকজম অনুযায়ী ধুমকেতু!
জিওসেন্ট্রিক মডেলে সবই নক্ষত্র। এজন্য সেটাকে হয়ত লেজযুক্ত তারকা বলা হয়েছে।
.
হেলিওসেন্ট্রিক মডেল অনুযায়ী প্ল্যানেট এক্স/নিবিরু/নেমেসিসের ভয়াবহতার একটি হচ্ছে পোলার সিফটিং এবং পশ্চিমে সূর্যোদয়। কাফেরদের এই থিওরি সম্পূর্ন হেলিওসেন্ট্রিক কসমোলজি ভিত্তিক। এই গ্রহ/নক্ষত্রের মাধ্যাকর্ষণের জন্য পৃথিবীর মেরু উলটে যাবে ফলে জনগন পূর্বের বদলে পশ্চিমে সূর্যোদয় দেখবে। অধিকন্তু হেলিওসেন্ট্রিক মডেল অনুযায়ী পশ্চিমে সূর্যোদয় ঘটানোর জন্য এছাড়া অন্য কোন উপায় নেই,আল্লাহ ভাল জানেন। জিওসেন্ট্রিক কসমোলজি বেজড ইসলামিক এস্ট্রোনমির বর্ননা দেয় এরকম একটি জনপ্রিয় হাদিস ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আবু যরকে বলেছেনঃ
ﺃَﺗَﺪْﺭِﻱ ﺃَﻳْﻦَ ﺗَﺬْﻫَﺐُ ﻗُﻠْﺖُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟُﻪُ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﻗَﺎﻝَ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﺗَﺬْﻫَﺐُ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﺴْﺠُﺪَ ﺗَﺤْﺖَ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﻓَﺘَﺴْﺘَﺄْﺫِﻥَ ﻓَﻴُﺆْﺫَﻥُ ﻟَﻬَﺎ ﻭَﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﺗَﺴْﺠُﺪَ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﻘْﺒَﻞَ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﻭَﺗَﺴْﺘَﺄْﺫِﻥَ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﺆْﺫَﻥَ ﻟَﻬَﺎ ﻳُﻘَﺎﻝُ ﻟَﻬَﺎ ﺍﺭْﺟِﻌِﻲ ﻣِﻦْ ﺣَﻴْﺚُ ﺟِﺌْﺖِ ﻓَﺘَﻄْﻠُﻊُ ﻣِﻦْ ﻣَﻐْﺮِﺑِﻬَﺎ
“হে আবু যর! তুমি কি জান সূর্য যখন অস্ত যায় তখন কোথায় যায়? আবু যার বললেন, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আরশের নীচে গিয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং পুনরায় উদিত হওয়ার অনুমতি চায়। অতঃপর তাকে অনুমতি দেয়া হয়। সে দিন বেশী দূরে নয়, যে দিন অনুমতি চাবে কিন্তু তাকে অনুমতি দেয়া হবে না। তাকে বলা হবে যেখান থেকে এসেছ, সেখানে ফেরত যাও। অতঃপর সূর্য পশ্চিম দিক থেকেই উদিত হবে।”
.
হাদিস অনুযায়ী পশ্চিমে সূর্যোদয় ঘটানোর জন্য আল্লাহ  সূর্যকেই আদেশ দেবেন,যেন সে পূর্বাবস্থানে ফিরে যায় ও পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে, পৃথিবী এই ফেনোমেনা ঘটবার ক্ষেত্রে কোন ভূমিকাই দেখা যায় না।। কাফেররা ভ্রান্ত হেলিওসেন্ট্রিজম অনুযায়ী বলে পৃথিবীই উলটে যাবে। অর্থাৎ কাফেরদের তত্ত্বটা সম্পূ্র্ন বিপরীত।  আর বর্নিত হাদিসটি কুরআন সুন্নাহর জিওসেন্ট্রিক এস্ট্রনমির পক্ষে শক্ত দলিল।
.
অতএব হাদিস অনুযায়ী এ ব্যপারে নিশ্চিত হওয়া যায় পশ্চিমে সূর্যোদয়ের ক্ষেত্রে প্ল্যানেট এক্স/নেমেসিস/নিবিরুর ভূমিকা নেই।  সূর্যই আদিষ্ট হয়ে ফিরে গিয়ে পশ্চিম দিকে উঠবে(জিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমি)। আর সেই সাথে এটা বোঝা যায় এ আসন্ন নক্ষত্র মহাপ্রলয় সৃষ্টিকারী কিছু নয়।
ওই নক্ষত্রই বাস্তবিকভাবে সূর্যকে পশ্চিম দিকে উদয় করবেনা। বরং সেটা আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী আদেশে হবে। জিওসেন্ট্রিক ইউনিভার্সে পৃথিবীর পোলার শিফটিং এর কথা ভাবাই যায়না।  হয়ত ওই নক্ষত্র আর সূর্যকে আকাশে সহাবস্থানে দেখা যাবে ২য় সূর্যের ভূমিকায়। উপরিউক্ত তথ্য গুলো এটাও প্রকাশ করে যে,  ইমাম মাহদির প্রকাশ  সন্নিকটে।
হয়ত শীঘ্রই আকাশে দুটি সূর্য কিরণ দেবে!
ওয়া আল্লাহু 'আলাম।

0 Comments:

Post a Comment