নব্য মুরজিয়া মোডারেটরা যে শুধুমাত্র তাওহীদ ও জিহাদ থেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং এসব থেকে মুসলিমদেরকে নিরুৎসাহিত করছে তা নয়, বরং ইসলামের প্রতিটা ক্ষেত্রে এরা কুফরবান্ধব মতাদর্শ প্রচার করে থাকে। Astronomical belief/idea এর ব্যপারেও এর ব্যতিক্রম নয়! তাদের যেন একটাই লক্ষ্য, কিভাবে ইসলামের বলা প্রতিটা কথাকে কুফরের সাথে আপোষ করে প্রচার করা যায়! কিভাবে কুফরভিত্তিক তত্ত্বকে কিঞ্চিৎ হালাল করা যায়..! র্যান্ড কর্পোরেশনও তাদের কুফর ও ঈমানের মধ্যপন্থা অবলম্বনের জন্য ভালবেসে সর্বত্র প্রমোটিং এর ব্যবস্থা করে। মোডারেট মুসলিমদের নিয়ে র্যান্ডের অনেক ক্ল্যাসিফাইড প্ল্যান ও প্রজেক্ট আছে যা আজ বেশ সচল।
ওরা কুফফারদের কল্পনাভিত্তিক মডার্ন বিজ্ঞানের সাথেও আমাদের দ্বীনের বিশ্বাসের সংযুক্তি ও মেলবন্ধনের চিন্তা করে। স্বভাবতই হক্ক ও বাতিল সর্বদা বৈপরীত্যপূর্ন হবে, যার জন্য কুফফারদের বাতিল জ্ঞানও হক্ক দ্বীনের বিপরীতে। যেমন ধরুনঃ সৃষ্টি তত্ত্বের ব্যপারে। কাফেররা সবকিছু শূন্য থেকে সৃষ্টির কথা বলে, বলে এক মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে সৃষ্টির। এর পরে বিবর্তনবাদের বিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্টিচক্রের বিবর্ধন! সেই সাথে ওরা বলে আমরা আউটার স্পেসে অজানার দিকে উদ্দেশ্যহীনভাবে
ছুটে চলছি। আর আমাদের গোলাকৃতি জমিন(!) যা সূর্যের চারপাশে ঘুরছে।। সূর্যও সোলার সিস্টেম নিয়ে ছুটে চলছে।
এ সমস্ত বিষয়ে আল্লাহ ঠিক বিপরীতটাই বলেছেন। আমরা খুব ভাল করেই জানি তারা কোন কোন আয়াত গুলোকে কুফরের সাথে কম্প্রোমাইজেশনে র জন্য ব্যবহার করে এবং জানি সেসবের ব্যপারে সাহাবীদের(রাযি. ) বক্তব্য কি। মোডারেটরা বিজ্ঞানের সবকিছু মানতে গিয়ে Evolution এ গিয়ে আটকে গেছে। অন্যান্য বিষয়গুলো যুক্তির ঝুলির যুক্তি খরচ করে কিছুটা আপোষ করতে পারলেও এ ব্যপারটায় কম্প্রোমাইজ করলে ইরতিদাদ সুস্পষ্টভাবে সাধারন মানুষের কাছে ধরা পড়ে। এজন্য অধিকাংশ মোডারেট এ ব্যপারটায় এসে বিরোধিতা করে। মজার বিষয় আমি এমন কিছু মোডারেটদেরকেও দেখেছি যারা Evolution বা বিবর্তনবাদকেও ইসলামসম্মত বলে যুক্তি দ্বারা দ্বার করাতে চায়!!
এমনকি এসমস্ত বিষয়ে তারা আয়াতও তুলে ধরে এবং তাদের নিজেদের তৈরি যুক্তি দ্বার করিয়ে বুঝিয়ে দেয় যে কুরআনেও ১৪০০ বছর আগেও তাই বলেছে যা 'অপবিজ্ঞান' আজ বলছে। এরা যুক্তি উপস্থাপনে যেটা করে সে কৌশলটা এরূপ যেঃ
১.সাহাবীদের থেকে আসা তাদের মতবিরুদ্ধ হাদিস বা তথ্যকে যে কোনমূল্যে অস্বীকার।
২.আরবি না পড়তে জানুক, কিন্তু নিজে নিজে ট্রোলিং এর দক্ষতাকে ব্যবহার করে রহমানের আয়াতের মনগড়া তাফসীর করে!
৩.রহমানের সরল আয়াত গুলোকে এরা(নব্য মুর্জিয়ারা) গ্রহন করে মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানের মানদণ্ডে ব্যাখ্যাদানের চেষ্টা করে। যদি বিজ্ঞান ও কুরআনিক আয়াতের অর্থ দূরবর্তী হয় তবে আয়াতের বিশেষ শব্দটির মূল ধাতু, বুৎপত্তিগত শব্দ অথবা উচ্চারনের দিক থেকে আয়াতের শব্দের কাছাকাছি শব্দকে গ্রহন করে যেটা ওদের ডিজায়ার্ড অর্থের কাছাকাছি পর্যন্ত যায়। এরপরে যুক্তি উত্থাপন করে, যেমনটা সূরা আন নাযিয়াতের 'দাহাহা' শব্দ দিয়ে এক এক্স মোডারেট (রাশাদ খলিফা-পরিশেষে নিজেকে নবী ঘোষনা করে মুর্তাদ হয়ে যায়) দুনিয়াকে ডিম্বাকৃতি বানায়।
৪.প্রাচীন মুফাসসীরীনদের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা ও অভক্তি বিদ্যমান যাদেরকে আজও উলামাগন শ্রদ্ধাভরে স্মরন করেন। তাদের এরূপ দৃষ্টিভঙ্গির কারন, কুফফারদের ম্যাজিক্যাল বিজ্ঞান নামের ফিতনার জাল বিস্তারের আগে প্রাচীন তাফসীর বিশারদগন কুরআনের বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা দিতেন, যেটা আজকের বিজ্ঞানের বলা কথার সাথে সরাসরি সংঘাতে যায়।। এ বিষয়টা মোডারেট মুর্জিয়াদের নিকট অপছন্দনীয়।। যেমনি করে মোডারেটদের এক উস্তাদ - ন্যাক সাহেব বিদ্রুপ করেই বললেন যেঃ ইমাম ইবনু জারীর তাবারী(রহ.) কোন মুফাসসিরই নয় বরং তিনি নাকি ইতিহাসবিদ!!!
ন্যাক সাহেবের এরূপ এলার্জির কারন ইমাম আত তাবারির তাফসীরে উল্লিখিত অনেক বিষয়, অনেক আয়াতের ব্যাখ্যাসমূহ অদ্ভুত তথ্য দেয়, যা বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক ,অপর দিকে সংকলিত হাদিসগুলো সবচেয়ে বিশুদ্ধ সনদনির্ভর,যার স্বীকৃতি ইবনু তাইমিয়া(রঃ) নিজেও দিয়েছেন।। তার দলিলভিত্তিক তাফসীর মোডারেট স্টান্ডার্ডকে যুক্তির আশ্রয় দেওয়ারও সময় দেয় না। এজন্য তাকে undermining এর অপচেষ্টা।
দেখুনঃ
https:// m.youtube.com/ watch?v=BYBRo_7Q vwI
অথচ ইমাম ইবনু জারীর তাবারী (রহ.) এর ব্যপারে উলামা- মুহাদ্দিসিনগন কিরূপ ধারনা রাখেন?
Abu Haamid al-Isfaraayini said: If a traveller were to travel to China in order to obtain it, that would not be too much.
Tabaqaat al-Mufassireen by al-Dawoodi, 2/106.
Ibn Khuzaymah said: I have read it from beginning to end and I do not know of anyone on the face of the earth who is more knowledgeable than Ibn Jareer.
Siyar A’laam al-Nubala’, 14/273.
Shaykh al-Islam Ibn Taymiyah said: With regard to the Tafseers that are in circulation among the people, the most sound of them is the Tafseer of Muhammad ibn Jareer al-Tabari, for he mentions the views of the salaf with proven isnaads, and there is no bid’ah (innovation) in it, and he does not transmit reports from dubious sources such as Muqaatil ibn Bukayr and al-Kalbi.
Majmoo’ al-Fataawa , 13/358.
He also said in Muqaddimah fi Usool al-Tafseer (p. 35), concerning the Tafseer of Ibn Jareer:
It is one of the best and greatest of Tafseers.
He relied on the views of three generations of mufassireen among the salaf, namely the Sahaabah, the Taabi’een, and the followers of the Taabi’een, and he quotes their opinions with isnaads going back to them. This is an important feature of his book which is not present in many of the books of Tafseer that are in circulation among us. But this feature does not matter to many ordinary Muslims who are not able to research isnaads and distinguish sound isnaads from weak ones; all they want is to know whether an isnaad is sound or weak by means of a clear and brief statement to that effect.
When he has finished quoting their opinions, he states which he thinks is most likely to be correct, then he describes how he reached that conclusion.
Imam Ath-Thahabî (d. 748 H.) said: "He was reliable, truthful, a Hâfith, a leader in Tafsîr..." "Mîzân al-I'tidâl", Vol. 6/90
Abul-Wafâ' at-Tarâbulsî (d. 841 H.) said: "Muhammad Ibn Jarîr at-Tabarî: The Imâm, the Mufassir; Abû Ja'far..." "Al-Kashf al-Hathîth", Vol. 1/221
Ibn Hajar al-'Asqalânî (d. 852 H.) said: "Muhammad Ibn Jarîr Ibn Yazîd at-Tabarî; The great Imâm, the Mufassir..." "Lisân al-Mîzân", Vol. 5/100
Jalâl ad-Dîn as-Suyûtî (d. 911 H) said: "The Imâm Abû Ja'far; the absolute head of the Mufassirîn..." "Al-Itqân Fî 'Ulûm al-Qur'ân", Vol. 2/190
সুতরাং নব্য মুরজিয়ারা কতটা সত্যবাদী হতে পারে সেটা সহজেই আশা করি বুঝতে পারছেন।
মোডারেটরা যতই মনগড়া যুক্তি দ্বারা বিজ্ঞানের অপবিদ্যার কথাকে 'ইসলামাইজড' করতে চায় না কেন তেমন কোন লাভ হবে না। এর দ্বারা তারা নিজেদেরকে এবং তাদের সমশ্রেণীর কিছু পাপাচারীদের নফসের খোরাকই হয়ে থাকবে, আর কিছু মানুষকে বিভ্রান্তির মধ্যেই নিতে পারবে। তারা শুধুমাত্র হক্ক ও বাতিলের সাথে মেশানোর কল্পনাই করতে পারবে কিন্তু সেটা ফলতঃ করতে পারবেনা।। মোডারেটরা কখনোই সত্যকে মিথ্যার সাথে একীভূত করতে পারবে না। কুফরভিত্তিক ম্যাজিক্যাল অপবিজ্ঞান মাঝেমধ্যে তাদের মূল কুফরির পরিচয় স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে যেমনটা স্পষ্টরূপে পাওয়া যায় বিবর্তনবাদে। অধিকাংশ বিজ্ঞানমনষ্ক মোডারেটরা এর বিরুদ্ধে বাকযুদ্ধ শুরু করে। এটা কুফফাররাও জানে। ওরা মোডারেটদের প্রয়াস দেখে বিদ্রুপাত্মক হাসি হাসে।।
বস্তুত এ ব্যপারটার রূপক উদাহরণ হচ্ছে একটি দৃশ্যকল্পঃ
মনসপটে একটি দৃশ্যের কল্পনা করুন, একটি সুবিশাল কুমির সমুদ্রের বুকে সাঁতরে চলছে যার পিঠে অসংখ্য শিশু কুমির এবং একদল মানুষ । ওই লোকেরা জানেও না তারা বৃহদাকার কুমিরের পিঠে দাঁড়িয়ে আছে। তারা ভাবছে উহা কোন নিরাপদ ভাসমান কিছু। ওই লোকেরা প্রাণান্ত যুদ্ধ করছে শিশু কুমিরগুলোর বিরুদ্ধে। শিশু কুমির গুলো মারা গেলেও কিছুক্ষন পরেও কোথা থেকে যেন আরো কিছু কুমির চলে আসে। আর এভাবেই তারা ডিফেন্ড করে চলছে নিজেদের। ওরা চাইতো এই ভাসমান অঞ্চলটি তাদের কর্তৃত্বে থাকুক। একপর্যায়ে তারা শিশু কুমিরের সাথে আপোষ করতে শুরু করে। এসব খবর অতিকায় কুমির শুনে বিদ্রুপাত্মক শয়তানি হাসি হাসে।
এখানে ওই অতিকায় কুমির হচ্ছে শয়তানের পূজারীদের অপবিজ্ঞান।মানুষ গুলো হচ্ছে মোডারেট মুসলিম।আর শিশু কুমিরগুলো হচ্ছে এই বিজ্ঞানের উপর বিভিন্ন সময় গজানো থিওরি, যা সুস্পষ্ট কুফর বহন করে এবং যেসবের বিরুদ্ধে অধিকাংশ মোডারেটরা প্রতিবাদ করে।ওই মোডারেটরা চায় মেইনস্ট্রিম hermetic science ইসলামিক বলে প্রচার করতে। এটা বোঝাতে চায় যে কুরআনেও সে ফিলসফির কথা বলা হয়েছে। আর সবশেষে যে কুমিরগুলোর সাথে লোকগুলোর আপোষ হলো, সেটা দ্বারা বোঝানো হচ্ছে ওইসব স্বল্পসংখ্যক মডারেট, যারা বিবর্তনবাদকেও ইসলামসম্মত বলে এবং যারা সবশেষে কুফরের কাছে পরাজিত হয়ে তা গ্রহন করতঃ অপবিদ্যাকে যুক্তির ঘোল খাইয়ে ইসলামিক বলে প্রচার করে!! এর দ্বারা একটা বিষয় পরিষ্কার হয়। কুফফারদের প্ল্যাটফর্মে দাড়িয়ে কুফফারদের দু-চারটা কথার বিরুদ্ধে কথা বলাটা বোকামি। এরূপ করাটা শয়তানের কাছে হাসির খোরাক। ব্যাপক অর্থে নিজেকে নিয়েই ridicule করা। অপবিত্র তরল দ্বারা ওযূ বা পবিত্রতা অর্জনের কথা ভাবার সামিল। এইকারনে অরিজিনাল কাফের বা মুর্তাদদের কাছে এরা বাকযুদ্ধেই লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হয়। কারন ওদের তত্ত্বকে ব্যবহার করে কুরআনকে জাস্টিফাই করতে গিয়ে কয় জায়গার ছিদ্র বন্ধ করবে(?),যেথায় উভয়ই পরস্পরবিরোধী মতাদর্শ বহন করে।
আমার এই লেখা কোন মোডারেটকে তার অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনবার উদ্দেশ্যে নয়। বা কোন একটা আইডিওলজিকে কারও উপরে চাপিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেও নয়। শুধু তাদের নাজেহাল দশাকে ম্যাগনিফাই করার জন্যই লেখা। আমার খুব ভাল করেই জানা ইহা তাদের গাত্রদাহের সৃষ্টি করবে এবং ভাল করেই জানা ইহা তাদের অন্তরের বক্রতাকে শাণিত করবে এবং সে ব্যপারে আরো বেশি একগুঁয়ে করে তুলবে। উদ্দেশ্য, যারা সাহাবিয়্যাতের পথে চলে তাদের কাছে অপবিদ্যার প্রায় অদৃশ্য এক বেষ্টনীকে কিছুটা দৃশ্যমান হবে। আমি এ ব্যপারে অবগত যে, প্রচলিত বিজ্ঞানকে শিকড়সমেত আঘাত করে কথা বলাটা একরকমের বাড়াবাড়ি ঠেকছে আমার অনেক ভাইদেরই কাছে, যারা আমার সাথে অনেক বিষয়ে একমত। আলহামদুলিল্লাহ, আমার কাছে এমনকিছু দলিল/প্রমান অথবা জ্ঞান রয়েছে যা এরূপ বলবার শক্তি বা সাহস সঞ্চয় করে। সামনে এসব নিয়ে বিস্তারিত তথ্য ও দলিলভিত্তিক পর্ব আকারে লেখনী প্রকাশের ইচ্ছা আছে। দু'আর মুহতাজ।
লেখকঃ Al Imran
ওরা কুফফারদের কল্পনাভিত্তিক মডার্ন বিজ্ঞানের সাথেও আমাদের দ্বীনের বিশ্বাসের সংযুক্তি ও মেলবন্ধনের চিন্তা করে। স্বভাবতই হক্ক ও বাতিল সর্বদা বৈপরীত্যপূর্ন হবে, যার জন্য কুফফারদের বাতিল জ্ঞানও হক্ক দ্বীনের বিপরীতে। যেমন ধরুনঃ সৃষ্টি তত্ত্বের ব্যপারে। কাফেররা সবকিছু শূন্য থেকে সৃষ্টির কথা বলে, বলে এক মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে সৃষ্টির। এর পরে বিবর্তনবাদের বিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্টিচক্রের বিবর্ধন! সেই সাথে ওরা বলে আমরা আউটার স্পেসে অজানার দিকে উদ্দেশ্যহীনভাবে
এ সমস্ত বিষয়ে আল্লাহ ঠিক বিপরীতটাই বলেছেন। আমরা খুব ভাল করেই জানি তারা কোন কোন আয়াত গুলোকে কুফরের সাথে কম্প্রোমাইজেশনে
এমনকি এসমস্ত বিষয়ে তারা আয়াতও তুলে ধরে এবং তাদের নিজেদের তৈরি যুক্তি দ্বার করিয়ে বুঝিয়ে দেয় যে কুরআনেও ১৪০০ বছর আগেও তাই বলেছে যা 'অপবিজ্ঞান' আজ বলছে। এরা যুক্তি উপস্থাপনে যেটা করে সে কৌশলটা এরূপ যেঃ
১.সাহাবীদের থেকে আসা তাদের মতবিরুদ্ধ হাদিস বা তথ্যকে যে কোনমূল্যে অস্বীকার।
২.আরবি না পড়তে জানুক, কিন্তু নিজে নিজে ট্রোলিং এর দক্ষতাকে ব্যবহার করে রহমানের আয়াতের মনগড়া তাফসীর করে!
৩.রহমানের সরল আয়াত গুলোকে এরা(নব্য মুর্জিয়ারা) গ্রহন করে মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানের মানদণ্ডে ব্যাখ্যাদানের চেষ্টা করে। যদি বিজ্ঞান ও কুরআনিক আয়াতের অর্থ দূরবর্তী হয় তবে আয়াতের বিশেষ শব্দটির মূল ধাতু, বুৎপত্তিগত শব্দ অথবা উচ্চারনের দিক থেকে আয়াতের শব্দের কাছাকাছি শব্দকে গ্রহন করে যেটা ওদের ডিজায়ার্ড অর্থের কাছাকাছি পর্যন্ত যায়। এরপরে যুক্তি উত্থাপন করে, যেমনটা সূরা আন নাযিয়াতের 'দাহাহা' শব্দ দিয়ে এক এক্স মোডারেট (রাশাদ খলিফা-পরিশেষে নিজেকে নবী ঘোষনা করে মুর্তাদ হয়ে যায়) দুনিয়াকে ডিম্বাকৃতি বানায়।
৪.প্রাচীন মুফাসসীরীনদের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা ও অভক্তি বিদ্যমান যাদেরকে আজও উলামাগন শ্রদ্ধাভরে স্মরন করেন। তাদের এরূপ দৃষ্টিভঙ্গির কারন, কুফফারদের ম্যাজিক্যাল বিজ্ঞান নামের ফিতনার জাল বিস্তারের আগে প্রাচীন তাফসীর বিশারদগন কুরআনের বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা দিতেন, যেটা আজকের বিজ্ঞানের বলা কথার সাথে সরাসরি সংঘাতে যায়।। এ বিষয়টা মোডারেট মুর্জিয়াদের নিকট অপছন্দনীয়।। যেমনি করে মোডারেটদের এক উস্তাদ - ন্যাক সাহেব বিদ্রুপ করেই বললেন যেঃ ইমাম ইবনু জারীর তাবারী(রহ.) কোন মুফাসসিরই নয় বরং তিনি নাকি ইতিহাসবিদ!!!
ন্যাক সাহেবের এরূপ এলার্জির কারন ইমাম আত তাবারির তাফসীরে উল্লিখিত অনেক বিষয়, অনেক আয়াতের ব্যাখ্যাসমূহ অদ্ভুত তথ্য দেয়, যা বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক ,অপর দিকে সংকলিত হাদিসগুলো সবচেয়ে বিশুদ্ধ সনদনির্ভর,যার স্বীকৃতি ইবনু তাইমিয়া(রঃ) নিজেও দিয়েছেন।। তার দলিলভিত্তিক তাফসীর মোডারেট স্টান্ডার্ডকে যুক্তির আশ্রয় দেওয়ারও সময় দেয় না। এজন্য তাকে undermining এর অপচেষ্টা।
দেখুনঃ
https://
অথচ ইমাম ইবনু জারীর তাবারী (রহ.) এর ব্যপারে উলামা- মুহাদ্দিসিনগন কিরূপ ধারনা রাখেন?
Abu Haamid al-Isfaraayini said: If a traveller were to travel to China in order to obtain it, that would not be too much.
Tabaqaat al-Mufassireen by al-Dawoodi, 2/106.
Ibn Khuzaymah said: I have read it from beginning to end and I do not know of anyone on the face of the earth who is more knowledgeable than Ibn Jareer.
Siyar A’laam al-Nubala’, 14/273.
Shaykh al-Islam Ibn Taymiyah said: With regard to the Tafseers that are in circulation among the people, the most sound of them is the Tafseer of Muhammad ibn Jareer al-Tabari, for he mentions the views of the salaf with proven isnaads, and there is no bid’ah (innovation) in it, and he does not transmit reports from dubious sources such as Muqaatil ibn Bukayr and al-Kalbi.
Majmoo’ al-Fataawa , 13/358.
He also said in Muqaddimah fi Usool al-Tafseer (p. 35), concerning the Tafseer of Ibn Jareer:
It is one of the best and greatest of Tafseers.
He relied on the views of three generations of mufassireen among the salaf, namely the Sahaabah, the Taabi’een, and the followers of the Taabi’een, and he quotes their opinions with isnaads going back to them. This is an important feature of his book which is not present in many of the books of Tafseer that are in circulation among us. But this feature does not matter to many ordinary Muslims who are not able to research isnaads and distinguish sound isnaads from weak ones; all they want is to know whether an isnaad is sound or weak by means of a clear and brief statement to that effect.
When he has finished quoting their opinions, he states which he thinks is most likely to be correct, then he describes how he reached that conclusion.
Imam Ath-Thahabî (d. 748 H.) said: "He was reliable, truthful, a Hâfith, a leader in Tafsîr..." "Mîzân al-I'tidâl", Vol. 6/90
Abul-Wafâ' at-Tarâbulsî (d. 841 H.) said: "Muhammad Ibn Jarîr at-Tabarî: The Imâm, the Mufassir; Abû Ja'far..." "Al-Kashf al-Hathîth", Vol. 1/221
Ibn Hajar al-'Asqalânî (d. 852 H.) said: "Muhammad Ibn Jarîr Ibn Yazîd at-Tabarî; The great Imâm, the Mufassir..." "Lisân al-Mîzân", Vol. 5/100
Jalâl ad-Dîn as-Suyûtî (d. 911 H) said: "The Imâm Abû Ja'far; the absolute head of the Mufassirîn..." "Al-Itqân Fî 'Ulûm al-Qur'ân", Vol. 2/190
সুতরাং নব্য মুরজিয়ারা কতটা সত্যবাদী হতে পারে সেটা সহজেই আশা করি বুঝতে পারছেন।
মোডারেটরা যতই মনগড়া যুক্তি দ্বারা বিজ্ঞানের অপবিদ্যার কথাকে 'ইসলামাইজড' করতে চায় না কেন তেমন কোন লাভ হবে না। এর দ্বারা তারা নিজেদেরকে এবং তাদের সমশ্রেণীর কিছু পাপাচারীদের নফসের খোরাকই হয়ে থাকবে, আর কিছু মানুষকে বিভ্রান্তির মধ্যেই নিতে পারবে। তারা শুধুমাত্র হক্ক ও বাতিলের সাথে মেশানোর কল্পনাই করতে পারবে কিন্তু সেটা ফলতঃ করতে পারবেনা।। মোডারেটরা কখনোই সত্যকে মিথ্যার সাথে একীভূত করতে পারবে না। কুফরভিত্তিক ম্যাজিক্যাল অপবিজ্ঞান মাঝেমধ্যে তাদের মূল কুফরির পরিচয় স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে যেমনটা স্পষ্টরূপে পাওয়া যায় বিবর্তনবাদে। অধিকাংশ বিজ্ঞানমনষ্ক মোডারেটরা এর বিরুদ্ধে বাকযুদ্ধ শুরু করে। এটা কুফফাররাও জানে। ওরা মোডারেটদের প্রয়াস দেখে বিদ্রুপাত্মক হাসি হাসে।।
বস্তুত এ ব্যপারটার রূপক উদাহরণ হচ্ছে একটি দৃশ্যকল্পঃ
মনসপটে একটি দৃশ্যের কল্পনা করুন, একটি সুবিশাল কুমির সমুদ্রের বুকে সাঁতরে চলছে যার পিঠে অসংখ্য শিশু কুমির এবং একদল মানুষ । ওই লোকেরা জানেও না তারা বৃহদাকার কুমিরের পিঠে দাঁড়িয়ে আছে। তারা ভাবছে উহা কোন নিরাপদ ভাসমান কিছু। ওই লোকেরা প্রাণান্ত যুদ্ধ করছে শিশু কুমিরগুলোর বিরুদ্ধে। শিশু কুমির গুলো মারা গেলেও কিছুক্ষন পরেও কোথা থেকে যেন আরো কিছু কুমির চলে আসে। আর এভাবেই তারা ডিফেন্ড করে চলছে নিজেদের। ওরা চাইতো এই ভাসমান অঞ্চলটি তাদের কর্তৃত্বে থাকুক। একপর্যায়ে তারা শিশু কুমিরের সাথে আপোষ করতে শুরু করে। এসব খবর অতিকায় কুমির শুনে বিদ্রুপাত্মক শয়তানি হাসি হাসে।
এখানে ওই অতিকায় কুমির হচ্ছে শয়তানের পূজারীদের অপবিজ্ঞান।মানুষ
আমার এই লেখা কোন মোডারেটকে তার অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনবার উদ্দেশ্যে নয়। বা কোন একটা আইডিওলজিকে কারও উপরে চাপিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেও নয়। শুধু তাদের নাজেহাল দশাকে ম্যাগনিফাই করার জন্যই লেখা। আমার খুব ভাল করেই জানা ইহা তাদের গাত্রদাহের সৃষ্টি করবে এবং ভাল করেই জানা ইহা তাদের অন্তরের বক্রতাকে শাণিত করবে এবং সে ব্যপারে আরো বেশি একগুঁয়ে করে তুলবে। উদ্দেশ্য, যারা সাহাবিয়্যাতের পথে চলে তাদের কাছে অপবিদ্যার প্রায় অদৃশ্য এক বেষ্টনীকে কিছুটা দৃশ্যমান হবে। আমি এ ব্যপারে অবগত যে, প্রচলিত বিজ্ঞানকে শিকড়সমেত আঘাত করে কথা বলাটা একরকমের বাড়াবাড়ি ঠেকছে আমার অনেক ভাইদেরই কাছে, যারা আমার সাথে অনেক বিষয়ে একমত। আলহামদুলিল্লাহ,
লেখকঃ Al Imran
Bhai buzlam na.Imam att tabari tafsir ki grohonjuggo.naki grohonjuggo na.
ReplyDelete১০০% গ্রহনযোগ্য। ইমাম আবু জাফর ইবনে জারির তাবারী রহিমাহুল্লাহ মুফাসসীরীনদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবীন এবং সর্বশ্রেষ্ঠ । তার তাফসির শ্রেষ্ঠত্বে দুনিয়াতে প্রথম। ২য় অবস্থানে হাফিজ ইবনে কাসির আদ দামেশকী রহিমাহুল্লাহ এর তাফসীর। তাদের তাফসীরের প্রশংসা শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদের ওয়েবসাইটেও আছে।
Delete