বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?
Occult Origin of Mainstream physics and Astronomy [পর্বঃ৪]
বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষে পৌছেছে ১০০ বছরও পার হয় নি। আর এই বিজ্ঞানের অফিশিয়াল অগ্রযাত্রাও শুরু খুব আগের নয়। রেনেসাঁ পিরিয়ড থেকেই হঠাৎ করে অন্ধকার যুগ থেকে বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত হওয়ার যাত্রা শুরু হয়। যেন কোন এক অদৃশ্য অস্পৃশ্য পরশ পাথরের স্পর্শে রাতারাতি সবকিছুতে আমূল পরিবর্তন আসে। কি সেই জিনিস! সেই পরশপাথর ছিল দীর্ঘদিন ঢেকে রাখা মিশরীয় থোথ/ বা গ্রীক হার্মিস ট্রিসম্যাজিস্টাসের কিছু নিষিদ্ধ গুপ্তজ্ঞানের কিতাব। যা আজ হার্মেটিসিজম বলে পরিচিত। একে কেন্দ্র করেই আজকের আলোচনা।
Hermeticism:Hermeticism সবচেয়ে জনপ্রিয় Western occult Esoteric tradition। এটা Sorcery/magick এর প্যাকেজ। এস্ট্রলজি,আলকেমি, যাদু-উইচক্র্যাফট,দর্শন সব আছে এতে। পাশ্চাত্যের যাদুকররা এই নিষিদ্ধ বিদ্যার চর্চা করেই নিজেদের যাদুবিদ্যাকে শাণিত করেন। হার্মেটিক শব্দের আক্ষরিক অর্থ অকাল্ট /গোপন করা/ বা 'কুফর'! " the term "hermetic" is also equivalent to "occult" or hidden.[21]"[Wikipedia]
হার্মেটিসিজমের জনক হার্মিস ট্রিসম্যাজিস্টাস আজ গ্রীক দেবতা বলে পরিচিত।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Hermes_Trismegistus বলা হয়, হার্মিস হার্মেটিক গুপ্ত জ্ঞান পেয়েছেন মেডিটেটিভ প্র্যাকটিস থেকে। অনেকে এই ব্যপারে একমত যে মিশরীয় প্যাগানিজমে হোরাসের পুত্র যাদুবিদ্যার দেবতা থোথই(Thoth) হচ্ছে হার্মিস।"According to Geza Vermes, Hermeticism was a Hellenistic mysticism contemporaneous with the Fourth Gospel, and Hermes Tresmegistos was "the Hellenized reincarnation of the Egyptian deity Thoth, the source of wisdom, who was believed to deify man through knowledge (gnosis)."[উইকিপিডিয়া]
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে Hermetism বা hermeticisim কে অনেকেই ধর্মের কাতারে ফেলে পালন করে।
Tobias Churton, Professor of Western Esotericism at the University of Exeter, states, "The Hermetic tradition was both moderate and flexible, offering a tolerant philosophical religion, a religion of the (omnipresent) mind, a purified perception of God, the cosmos, and the self, and much positive encouragement for the spiritual seeker, all of which the student could take anywhere."[55] Lutheran Bishop James Heiser recently evaluated the writings of Marsilio Ficino and Giovanni Pico della Mirandola as an attempted "Hermetic Reformation".[56](Wikipedia)
ধারনা করা হয় হার্মিস সত্যিই মিশর অথবা ব্যবিলনিয়ান প্রাচীন যাদুকর ছিলেন। তাকে "Thrice Great" বা ট্রিসম্যাজিস্টাস নামেও ডাকা হয়। তিনি যাদুবিদ্যা,জ্যোতির্বিদ্যা ও আলকেমিশাস্ত্র তিনটি বিষয়ে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন।
"An account of how Hermes Trismegistus received the name "Thrice Great" is derived from the Emerald Tablet of Hermes Trismegistus, wherein it is stated that he knew the three parts of the wisdom of the whole universe.[13] The three parts of the wisdom are alchemy, astrology, and theurgy."[Wikipedia]
হার্মেটিক নলেজের প্রচলনের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় অনেক প্রাচীন লেখক-দার্শনিকরা হার্মেটিক বিদ্যার সাথে পরিচিত ছিল। আইয়ামব্লিকাস,প্লুটার্ক,পরফিরি প্রভৃতি গ্রীক দার্শনিক-সাহিত্যিকরা তাদের যুগেই হার্মেটিসিজমের সাথে পরিচিত ছিলেন।বর্তমানে টিকে থাকা প্রাচীন হার্মেটিক যাদুশাস্ত্রের কিতাবের মধ্যে Corpus Hermeticum,এমারেল্ড ট্যাব্লেট অন্যতম। তবে এর শেকড় প্রাচীন মিশরে।
"In 1945, Hermetic texts were found near the Egyptian town Nag Hammadi. One of these texts had the form of a conversation between Hermes and Asclepius. A second text (titled On the Ogdoad and Ennead) told of the Hermetic mystery schools. It was written in the Coptic language, the latest and final form in which the Egyptian language was written.[31]
"[উইকিপিডিয়া]
http://tvtropes.org/pmwiki/pmwiki.php/Main/HermeticMagichttp://www.hermeticfellowship.org/HFHermeticism.html
Hermetic Belief & knowledge:
……………………………………………………হার্মেটিক বিশ্বাস ব্যবস্থার সাথে অন্যান্য এসোটেরিক মিস্টিক্যাল ট্রেডিশনের(কাব্বালা,ইস্টার্ন মিস্টিসিজম ইত্যাদি) থেকে খুব বেশি পার্থক্য নেই। ওরাও সর্বেশ্বরবাদ, পুনঃজন্মবাদ এবং অন্যান্য প্রায় সকল আধ্যাত্মিক সাধনায় সাদৃশ্য রয়েছে।
1908 সালে এক অজ্ঞাত লেখক দ্য কিবালিয়ন নামে একটি বই পাবলিশ করা হয় যাতে দাবি করা হয় হার্মিসের শিক্ষার এসেন্স বর্নিত হয়েছে। বইটিতে হার্মিসের প্রাচীন বইগুলো অবলম্বনে সাতটি হার্মেটিক প্রিন্সিপ্যাল উল্লেখ করা হয়।
১. Principle of Mentalism
২. Principle of Correspondence
৩. Principle of Vibration
৪. Principle of Polarity
৫. Principle of Rhythm
৬. Principle of Cause and Effect
৭. Principle of Gender
প্রিন্সিপ্যাল অব মেন্টালিজম হচ্ছে সৃষ্টি স্রষ্টার অভিন্ন অস্তিত্বের বিশ্বাস। অর্থাৎ আরবিতে যাকে ওয়াহদাতুল উজুদ বলে,যা সুফি পীরপন্থীদের অফিশিয়াল আকিদা। এটা বলে, রিয়েলিটি হচ্ছে একটি ম্যাসিভ মাইন্ডের কল্পনা অথবা রিয়েলিটি হচ্ছে কালেক্টিভ কনসাসনেস,জাইগ্যান্টিক মাইন্ড
https://m.youtube.com/watch?v=Yui-v8ykSk8 এসব নিয়ে গত পর্বগুলোয় বিশদ আলোচনা হয়েছিল। প্রিন্সিপ্যাল অব ভাইব্রেশন দ্বারা বোঝায় সকল এনার্জি পার্টিকেলই ভাইব্রেশনরত। এনার্জির এই ভাইব্রেশনের তারতম্যই একেক ম্যাটারের একেক শেপে রূপ দেয়।
https://m.youtube.com/watch?v=c0YDaXjppr8এই মিস্টিক্যাল কন্সেপ্টটিও আগে আলোচনা করেছি ব্যাপকভাবে। হার্মেটিসিস্টরা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করে ওয়াহদাতুল উজুদের আকিদাকে। ওরা বলে, যাদুবিদ্যায় অধিকতর সাফল্য পেতে মেন্টালিজমের প্রিন্সিপ্যাল অবশ্যই মানতে হবে।
এটা সুস্পষ্ট হচ্ছে যে, বর্তমান 'নিউথট' এর অনুসারী গ্লোবাল Mystics দের এনার্জি-ভাইব্রেশনের তত্ত্বের শেকড় গ্রেসীয়-ইজিপশিয়ান যাদুবিদ্যার শাস্ত্রে ছিলো। আজ তারই প্রচারণা চলছে।
বিস্তারিত দেখুনঃ
https://en.m.wikipedia.org/wiki/The_Kybalionভাইব্রেশন ও ফ্রিকোয়েন্সি
https://m.youtube.com/watch?v=_aeeNMk04l0https://m.youtube.com/watch?v=vqM3TE5TDw8everything is vibrating:
https://m.youtube.com/watch?v=0XZG2dWxsT87 hermetic principlesঃ
https://m.youtube.com/watch?v=c0YDaXjppr8how apply hermetic principle
https://m.youtube.com/watch?v=iEGlZinHfMchttps://m.youtube.com/watch?v=A2sukRtdwGEmanifest what you want
https://m.youtube.com/watch?v=SMIgyryyjakhttps://m.youtube.com/watch?v=i7d5q31oIXclaw of polarity
https://m.youtube.com/watch?v=bbJlNtI_GH0becoming magician kabbalah hermeticim
https://m.youtube.com/watch?v=713Cvql35Sshttps://m.youtube.com/watch?v=uSv3UfRgcVgHermetic & alchemical teaching :
https://m.youtube.com/watch?v=ZJZFeIPoswYhermetic ট্রেডিশনের অনুসারীরা কস্মিক কনসাসনেস অর্জনের কথা বলে, যে লক্ষ্যে তারা সকল সাধনা চালায়। হ্যা, এটা ঠিক সেটাই যার উপর ভারতীয় আধ্যাত্মিক সাধনা ও যাদুবিদ্যা গড়ে উঠেছে। এটা ঠিক সেই 'কস্মিক রিলিজিয়াস ফিলিং' যেটা এলবার্ট আইনস্টাইন সাহেব অনুভব করতেন। ঐ একই জিনিস যাকে নেইল ডিগ্র্যাস টাইসন 'কস্মিক পার্স্পেক্টিভ' শব্দ দ্বারা কথায় কথায় প্রকাশ করে থাকেন।একই ধ্যানকেন্দ্রিক সাধনা যা সকল এসোটেরিক পথে রয়েছে।
দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=f9qfcCQBEK8https://m.youtube.com/watch?v=8ny_XCBIffIহার্মেটিসিজম অনুযায়ী মহাবিশ্বের সমস্ত জ্ঞানকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। জ্ঞান এই তিনের মাঝেই সীমাবদ্ধ।
১.আলকেমি
২.এস্ট্রলজি(জ্যোতিষবিদ্যা)
৩.যাদুবিদ্যা(ম্যাজিক/সর্সারি)
আলকেমি শুধু লোহাকে সোনায় রুপান্তরের প্রসেসই না বরং 'এতে রুহানি একটা ব্যপার আছে'! কোটেড কথাটা এক সুফিপন্থী ভাইয়ের। উনি মিথ্যা বলেন নি। আসলেই আছে। আর এই আলকেমিক্যাল রুহানি ব্যপারের সর্বশেষ লক্ষ্য হচ্ছে Become one with God বা ফানাফিল্লাহ(বস্তুত ফানাফিশাইত্বন)!
"Alchemy is not merely the changing of lead into gold.[40] It is an investigation into the spiritual constitution, or life, of matter and material existence through an application of the mysteries of birth, death, and resurrection. Furthermore, alchemy is seen as the "key" to theurgy,[46] the ultimate goal of which is to become united with higher counterparts, leading to the attainment of Divine Consciousness."[Wikipedia]।
যাদুবিদ্যা আর যাদুবিদ্যার শাখা জ্যোতির্বিদ্যার ব্যপারে কিছুই বলবার নেই।সেসব একদমই স্পষ্ট কুফর। সুতরাং সুস্পষ্টভাবে দেখতে পারছেন, হার্মেটিক নলেজের তিনটি বেসিক বিষয়বস্তু।
হার্মেটিক আকিদানুযায়ী সমস্ত জিনিস চারটি ক্লাসিকাল ইলিমেন্ট(পানি,বায়ু,পৃথিবী এবং আগুন) দ্বারা গঠিত।
যাদুবিদ্যার ইলিমেন্ট অনুযায়ী এ আকিদা স্বভাবতই থাকবার কথা।
ঈসা (আ) আসমানে গমনের পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন
খ্রিস্টানরা হার্মেটিক নলেজকে 'ফরবিডেন নলেজের' কাতারে ফেলে এর বিরুদ্ধে চড়াও হয়। তখন অনেক যাদুকর, ডাকিনীরা ওদের নির্মম নিধনের স্বীকার হয়। তাদেরকে পুড়িয়ে হত্যা করা হত। ওই সময়ে এই মিস্টিক্যাল ট্রেডিশন গুপ্ত বিষয়ে পরিনত হয়। অকাল্ট নলেজ বলে সম্বোধন করা শুরু হয় তখন থেকে। খ্রিস্টানদের নিপীড়নের জন্য হার্মেটিক সাহিত্যিকঃ পরফিরি, আইয়ামব্লিকাসরা খ্রিষ্টধর্মের বিরুদ্ধে অনেক লেখালিখি করে। প্রত্যেক গ্রীক দার্শনিক হার্মেটিক জ্ঞান দ্বারা প্রভাবিত ছিল।
Great library Alexandria তে হার্মেটিক কিতাব গুলোর কিছু সংরক্ষণ করা হয়েছিল। এই লাইব্রেরী ধ্বংস হবার জন্য অধিকাংশ শাস্ত্রই বিলুপ্ত হয়ে যায়। টিকে থাকা কিছু কিতাবের মধ্যে আছে কর্পাস হার্মেটিকাম,এমারেল্ট ট্যাবলেট আরো দু একটি। খ্রিষ্টান সভ্যতা আনুমানিক ৩১২ সাল থেকে ৬০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত হার্মেটিক অকাল্টিজমের উপর অত্যাচার চালিয়ে যায়। এর পরে ইসলামিক পরাশক্তির জাগরণে, ৬০০ খ্রিষ্টাব্দের পরে গ্রীকদের থেকে হার্মেটিক শাস্ত্রগুলো মুসলিমরা হাতে চলে আসে। আরব এসবের ব্যপারে একদমই অন্ধকারে ছিল। তারা কৌতূহলপ্রবণ হয়ে সেসব কিতাব আরবি ভাষায় অনুবাদ করে।
সর্বপ্রথম এমারেল্ড ট্যাবলেটের অনুবাদ করে জাবির ইবনে হাইয়্যান। এরপরে যা শুরু হয় আপনারা ভাল করেই জানেন। গ্রীক এস্ট্রোনমি মুসলিমদের উপরে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। তৈরি হয় ওয়াহদাতুল উজুদ(সৃষ্টি স্রষ্টার এক অস্তিত্বের আকিদা),সুফিবাদ। আলকেমির চর্চা করে ও ইতিহাসে নাম লেখায় নামধারী মুসলিমরা।জ্ঞান-বিজ্ঞানে তৎকালীন সময় চরম উৎকর্ষে পৌছায়। "During the Middle Ages and the Renaissance the Hermetica enjoyed great prestige and were popular among alchemists"(Wikipedia)
পড়ুনঃ
http://henrybayman.com/hermeticism-and-sufism/জাবির ইবনে হাইয়ান, ইবনে সিনা, ইবনে আরাবি, আল কিন্দিরা এখনো ইতিহাসে লেজেন্ড। তারা আলেমসমাজের একটা দল সবসময়ই গ্রেসিয়ান চিন্তার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছেন। আরব এস্ট্রোনমিতেও কঠিন প্রভাব ফেলে গ্রীক এস্ট্রনমি(বস্তুত-এস্ট্রলজি)। সেটা ভালভাবে বোঝা যায় ইমাম ইবনে কাসির(রঃ) এর কিতাবগুলো পড়লে। এমনকি গ্রীক সেলেস্টিয়াল অবজেক্টগুলোর ভাস্কর্যও নির্মিত হয়।
গ্রীকরা যাদুকর(কথিত বিজ্ঞানী) পিথাগোরাসের কল্যাণে বহু আগেই বিশ্বাস করত যে পৃথিবী গোলাকার। সেই প্রভাব আরবে রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে। যেখানে 'পৃথিবী গোলাকার নাকি সমতল' এরূপ কোন প্রশ্নই কখনো ওঠে নি, যেখানকার মানুষ অনাদিকাল থেকে কোনরূপ প্রশ্ন ছাড়াই সমতল জিওসেন্ট্রিক কস্মোলজিতে বিশ্বাস করত,সেই ভূমিতে স্ফেরিক্যাল মডেল ও ফ্ল্যাট মডেলের প্রশ্ন তৈরি হয়। ভূতত্ত্ববিদগন তখন স্ফেরিক্যাল আর্থের কথা বলতেন। এমনকি আলেমরাই গোল/সমতলের প্রশ্নে সচেতনভাবে চিন্তা করার অবকাশ পান, এতে করে একদল আলেম কুরআন সুন্নাহ এর আক্ষরিক সরল অর্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন এবং দলিলের মধ্যে অসাংঘর্ষিকতা বজায় থাকে এবং প্রাচীন ঐতিহ্যগত বিশ্বাসের উপর থেকে সমতল মডেলকে কামড় দিয়ে ধরে রাখলেন।
অন্য দিকে আলেমদের অপর একটি পক্ষ অজান্তেই পীথাগোরিয়ান চিন্তায় প্রভাবিত হয়ে সেটার ফেভারে থেকে সেই পিথাগোরিয়ান ম্যাজিক্যাল বিলিফ কে কেন্দ্র করে সবকিছু চিন্তা করতে থাকেন, তখন কুরআন-সুন্নাহর দলিলগুলোতে যুক্তি এবং নিজস্ব আকল দ্বারা বিবেচনা করে স্ফেরিক্যাল মডেলের পক্ষে চলে গেলেন। তবে মজার বিষয় হলো, যারা যাদুকর পিথাগোরিয়ান স্ফেরিকাল মডেলকে পছন্দ করলেন,তাদের বলা অন্যান্য এস্ট্রোনোমিকাল ডেস্ক্রিপশনগুলো পরবর্তীতে স্ট্যাবলিশড এস্ট্রোনোমিকাল সিস্টেমের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থানে চলে যায়। আমার ব্যক্তিগত মত যে, তাদের আগমন আরও পরে হলে সেসময়কার স্ট্যাবলিশড এস্ট্রোনোমিকাল স্ট্যান্ডার্ড এর পাশেই থাকতেন। ওয়াল্লাহু আলাম। সুতরাং বলতেই হয় যে, হার্মেটিক গুপ্ত বিদ্যা কেমন যেন পরশ পাথর! সেটা যাদের কাছে যায় তারাই জ্ঞান-বিজ্ঞানে চরম শিখরে পৌছে যায়।
সে সময় আরবে হার্মিসের বিদ্যানুরাগী আলকেমি, জ্যোতিষবিদ্যার চর্চাকারীরা বলতে শুরু করে, এই হার্মিসই (থ্রাইস গ্রেট) নাকি ইদ্রিস আলাইহিসালাম! (নাউজুবিল্লাহ)। এই দাবিকারীরা অধিকাংশই মূলত শিয়া,সুফি ফের্কাভুক্ত ছিল। ইদ্রিস আলাইহিসালাম এর নাম ভাঙ্গিয়ে যাদুবিদ্যাকে হালাল হিসেবে প্রচার করত তারা, ইহুদীরা যেমনি সুলাইমান(আ) এর নাম ভাঙ্গিয়ে কাব্বালা যাদুবিদ্যার অনুসরণ করত,এরাও তেমনি করত।
পাশ্চাত্যে এই গুপ্তবিদ্যা ১৪৬০ সালের আগপর্যন্ত অপ্রকাশিত থাকে।
ততদিন পর্যন্ত ওরা অন্ধকার যুগেই ছিল।তখন পর্যন্ত রসায়ন,আকাশবিদ্যায় মুসলিম নামধারীদের নাম জ্বলজ্বল করত।
"After centuries of falling out of favor, Hermeticism was reintroduced to the West when, in 1460, a man named Leonardo de Candia Pistoia[25] brought the Corpus Hermeticum to Pistoia"[উইকিপিডিয়া]
এরপরে রেনেসাঁ যুগে আবারো পাশ্চাত্যে সেসব বিদ্যার চর্চা শুরু হয়।
উদার নামধারী খ্রিষ্টান শাসকগোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় আবারো গুপ্তজ্ঞান প্রকাশ্যে জেগে ওঠে। রসায়ন, মহাকাশবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞানে সমৃদ্ধি শুরু হয়। হার্মেটিক প্রিন্সিপ্যাল গুলোর একটিঃ "As above so below" থেকে মহাকাশ গবেষকরা আউটার স্পেসের(মহাশূন্যের) ধারনা পায়। অর্থাৎ, উপরে যেমনি আকাশ নিচেও আকাশ। সেই সাথে ম্যাক্রোকোজম, মাইক্রোকোজমের বিদ্যাও উন্নত হতে শুরু হয়।
আধুনিক আকাশবিজ্ঞান,রসায়নশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা যার কল্যানে এত উৎকর্ষে পৌছেছে সেটা হার্মিস ট্রিসম্যাগিস্টাসেরই অবদান। রেনেসাঁ- রিফর্মেশন পিরিয়ডে পাশ্চাত্যে দর্শন, বিজ্ঞান,সাহিত্যেও হার্মেটিক বিপ্লব ঘটে। মানুষের মধ্যে এই নিষিদ্ধ বিদ্যা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
কবি সাহিত্যিকরাও মিস্টিক্যাল কাব্য-সাহিত্য রচনা শুরু করে। W.B Yeats,ফ্রান্সিস বেকন'রা হার্মেটিসিজম দ্বারা প্রভাবিত হয়।
"Many writers, including Lactantius, Cyprian of Carthage,[8]Augustine,[9]Marsilio Ficino, Giovanni Pico della Mirandola, Giordano Bruno, Campanella, Sir Thomas Browne, and Ralph Waldo Emerson, considered Hermes Trismegistus to be a wise pagan prophet who foresaw the coming of Christianity."[Wikipedia]
যাদের হাতে বিজ্ঞানের ইমারত বিনির্মিত তাদের সিংহভাগই ছিলেন হার্মেটিক যাদুবিদ্যার নিষিদ্ধ জ্ঞান দ্বারা প্রভাবিত।
"Much of the importance of Hermeticism arises from its connection with the development of science during the time from 1300 to 1600 AD. The prominence that it gave to the idea of influencing or controlling nature led many scientists to look to magic and its allied arts (e.g., alchemy, astrology) which, it was thought, could put Nature to the test by means of experiments. Consequently, it was the practical aspects of Hermetic writings that attracted the attention of scientists."[Wikipedia]
এমনকি যার কথা মোতাবেক মেইনস্ট্রিম ক্লাসিক্যাল ফিজিক্স(নিউটোনিয়ান মেকানিক্স) চলছে, তিনিও হার্মেটিক যাদুবিদ্যায় ডুবে ছিলেন। জ্বি আমি আইজ্যাক নিউটন সাহেবের কথা বলছি। "Many of Newton's manuscripts—most of which are still unpublished[17]—detail his thorough study of the Corpus Hermeticum, writings said to have been transmitted from ancient times, in which the secrets and techniques of influencing the stars and the forces of nature were revealed, i.e. As Above, So Below."[Wikipedia]
সুতরাং প্রচলিত বিজ্ঞানের অরিজিন সম্পর্কে আশা করি আঁচ করতে পারছেন। সেসব আলোচনা পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে আসছে ইনশাআল্লাহ।
বর্তমান সাইন্টিফিক নোশন হার্মেটিক অকাল্টিজমের উপরে জন্ম গ্রহন করলেও হঠাৎ করে অকাল্টিজম এবং সুপারন্যাচারাল বিষয়গুলোকে এভোয়েড করতে শুরু করে। অর্থাৎ, দুইটি চ্যানেল তৈরি হয়। একদিকে র্যাশোনাল সাইন্টিফিক মোড়কে 'মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞান' যদিও যাদুশাস্ত্রের উপর দাঁড়ানো। আরেকদিকে হার্মেটিক ফাউন্ডেশন এর উপর গড়ে ওঠে Freemasons, Rosicrucians, Hermetic Order of the Golden Dawn, Thelema, neo paganism, and Wicca,Ordo templi orientis(oto),Hermetic Qabala,New thought, New age ইত্যাদি নামের গুপ্তসংগঠন, যারা নিজেদের অকাল্ট বিলিফ ও প্রাকটিসের ব্যপারে এপোলোজেটিক না। এলিস্টার ক্রোওলিরা থেলেমা, ওটিওর ফান্ডামেন্টাল নলেজ এই হার্মেটিক মিস্ট্রি থেকেই নিয়েছিলেন। এইচপি ব্লাভাস্তকি ইস্টার্ন যাদুবিদ্যার পাশাপাশি এই হার্মেটিক কিতাবাদি দ্বারাও প্রভাবিত ছিলেন।
পড়ুনঃ
https://spacedoutscientist.com/2015/06/01/hermeticism-the-nexus-between-science-philosophy-and-spirit/http://www.newdawnmagazine.com/Reviews/occultism-magick/the-forbidden-universe-the-occult-origins-of-science-and-the-search-for-the-mind-of-god/http://www.academia.edu/7072076/The_Influence_of_Renaissance_Hermeticism_on_the_Scientific_Revolutionhttps://medium.com/hermetic-satanism/on-occultism-58a78b43f5e6https://www.newdawnmagazine.com/articles/from-ancient-egypt-to-modern-science-the-forgotten-linkhttps://spacedoutscientist.com/2015/05/16/alchemy-how-a-tradition-spanning-millennia-became-modern-chemistry/https://ultraculture.org/blog/2016/04/19/hermetic-initiates-magick-study-reality/http://thespiritscience.net/2016/09/07/amazing-discovery-hermeticism-explained-by-cutting-edge-physics-breakthrough/https://spiritsciencecentral.com/hermeticism-history-science/আমরা অনেকেই 'ফ্রিম্যাসন,ইল্যুমিনাতি ইত্যাদি শব্দের সাথে পরিচিত। এদের ব্যপারে নেতিবাচক প্রচারণাও দেখে থাকি। কিন্তু এসব গুপ্তসংগঠন গুলোর বিলিফ সিস্টেম বা আকিদা কি তা সম্পর্কে অজ্ঞাত। এরা সবাই হার্মেটিক এসোটেরিক ট্রেডিশনের দ্বারা প্রভাবিত এবং নির্মিত । সকল ফ্রিম্যাসনরা হার্মেটিক প্রিন্সিপ্যালগুলো মেনে চলেন।
"Many Hermetic, or Hermetically influenced, groups exist today. Most of them are derived from Rosicrucianism, Freemasonry, or the Golden Dawn"[Wikipedia]
'Hermetic Order of Golden Dawn' সংগঠনটি তৈরি করে তিন ফ্রিম্যাসন। "The three founders, William Robert Woodman, William Wynn Westcott, and Samuel Liddell Mathers, were Freemasons."[Wikipedia]
Golden Dawn একদমই ফ্রিম্যাসনিক স্টাইলের সংগঠন যার মূল শিক্ষাই হলো যাদুবিদ্যা।
"Hermetic Order of Golden Dawn Known as a magical order, the Hermetic Order of the Golden Dawn was active in Great Britain and focused its practices on theurgy and spiritual development. Many present-day concepts of ritual and magic that are at the centre of contemporary traditions, such as Wicca[1][2]and Thelema, were inspired by the Golden Dawn, which became one of the largest single influences on 20th-century Western occultism.["
.
"The Golden Dawn system was based on hierarchy and initiation like the Masonic Lodges; however women were admitted on an equal basis with men. The "Golden Dawn" was the first of three Orders, although all three are often collectively referred to as the "Golden Dawn". The First Order taught esoteric philosophy based on the Hermetic Qabalah and personal development through study and awareness of the four Classical Elements as well as the basics of astrology, tarot divination, and geomancy. The Second or "Inner" Order, the Rosae Rubeae et Aureae Crucis (the Ruby Rose and Cross of Gold), taught magic, including scrying, astral travel, and alchemy. The Third Order was that of the "Secret Chiefs", who were said to be highly skilled; they supposedly directed the activities of the lower two orders by spirit communication with the Chiefs of the Second Order."
বিস্তারিতঃ
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Hermetic_Order_of_the_Golden_Dawnপ্রাচীন হার্মেটিক স্কুল গুলোর সাথে ফ্রিম্যাসনের খুব বেশি পার্থক্য নেই। Pre-common Era তে ফ্রিম্যাসনের মত হার্মেটিক সিক্রেট সোসাইটি ছিল। Gilles Quispel বলেন, "It is now completely certain that there existed before and after the beginning of the Christian era in Alexandria a secret society, akin to a Masonic lodge.[উইকিপিডিয়া]
সুতরাং বলা যেতে পারে যে প্রাচীন হার্মেটিক স্কুল/শ্রিন আজকের ফ্রিম্যাসন ও ম্যাসনিক লজ। যারা এখনো সারাবিশ্বে হার্মেটিক প্যাগান নিষিদ্ধ অপবিদ্যার দৌরাত্ম কি বিশ্বাস করতে পারছেন না, তারা জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর পতাকার দিকে তাকিয়ে দেখুন(Staff of Asclepius)। মেডিকেল ও বিজনেসের অফিশিয়াল সিম্বলের দিকে তাকিয়ে দেখুন। কি দেখছেন? ডিএনএ এর ন্যায় প্যাঁচানো সাপ! জ্বি এটাকে বলা হয় কাডুসিয়াস বা স্ট্যাফ অব হার্মিস।
না বুঝলে পড়ুনঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=324937487963450&id=282165055574027https://en.m.wikipedia.org/wiki/Caduceushttps://m.youtube.com/watch?v=KjZvzDaDqvohttps://m.wikipedia.org/wiki/Hermeticism________________________________[চলবে ইনশাআল্লাহ]
চেষ্টা করেছি যথাসম্ভব সংক্ষেপে আর্টিকেলটি শেষ করতে। ইচ্ছা ছিল আরো দুটি বিষয় এখানে টানবো। কিন্ত ফেসবুুকের বেধে দেওয়া সর্বোচ্চ শব্দসীমা অতিক্রম করায় সম্ভব হচ্ছে না। ইনশাআল্লাহ সামনে আরো অনেক কিছুই আসছে যা আজকের কট্টর বিজ্ঞানপন্থী মুসলিম দাবিদার ভাইবোনদেরকে বিব্রত অথবা লজ্জিত করবে। জ্ঞান ও অপবিজ্ঞান(pseudo science) এর মধ্যে পার্থক্য আরো স্পষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ। উপরে যেসব দলিল প্রমান এবং ইতিহাসকেন্দ্রিক তথ্য প্রমান আনা হয়েছে, সেসব দ্ব্যর্থহীন এবং অখণ্ডনীয়। আমি আগের পর্বগুলোতে তর্ককারীদের যেমন কোন রেস্পন্স পাইনি তেমনি এবারো পাব বলে আশা করি না। আগেরবারের ন্যায় বলবো উপরে আনিত কিছু রেফারেন্স, লিংকের কন্টেন্ট অনেক সেন্সেটিভ যা বিদ্যমান দুর্বল আকিদা চিন্তাকে পাল্টে কুফরের দিকে চালিত করতে পারে। তাই এসব ভালকরে বুঝতে চাওয়া থেকে সাবধান করছি, মনে রাখবেন আরবের প্রথমে যাদের হাতে এই নিষিদ্ধ শাস্ত্র পৌছায়, তারা সেসব স্রেফ কৌতূহলে পড়ে পথভ্রষ্ট হয়ে যায়।