প্যারাডক্সিক্যা ল সাজিদ নামের অত্যন্ত নিন্মমানের বইটির লেখক আরিফ আজাদ সাহেব তার এ বইটিতে কস্মলজির ব্যপারে কোন সাধারণ ভ্রান্তিকে প্রচার করেন নি। বরং তিনি এমনই কুফরবেজড শয়তানের কথনকে প্রমোট করেছেন যার শুরুই হয় ব্যবিলনে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা কুরআনে কারীমে ওই ভ্রান্ত কস্মোলজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ডের শেকড়ের ব্যপারে ইরশাদ করেছেন। কয়েক শতক পূর্বে এই ব্যবিলনীয়ান অপবিদ্যার নাম দেওয়া হয় কাব্বালা। অর্থাৎ কুফরি যাদুবিদ্যা। আর ফ্রিম্যাসন সম্রাট এলবার্ট পাঈকের ভাষায় এই ব্যবিলনিয়ান পিথাগোরিয়ান এস্ট্রোনোমিকাল আইডিয়াকে এস্ট্রলজি বা জ্যোতিষ শাস্ত্র বলে।
আর জ্যোতিষশাস্ত্রে র ব্যপারে ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنِ اقْتَبَسَ عِلْمًا مِنَ النُّجُومِ اقْتَبَسَ شُعْبَةً مِنَ السِّحْرِ زَادَ مَا زَادَ " .
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জ্যোতিষ বিদ্যার কিছু শিক্ষা করলো, সে যেন যাদু বিদ্যার একটা শাখা আয়ত্ত করলো, এখন তা যত বাড়ায় বাড়াক। [৩০৫৮]
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৭২৬
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
অর্থাৎ আমরা দেখছি নেক সুরতে কিসের বীজ বপন করা হচ্ছে!
তিনি প্রতিষ্ঠিত যে এস্ট্রোনমির কথা বলেন, তার ঠিক বিপরীতটাই বলে কুরআন ও সুন্নাহ। কুফরি যাদুশাস্ত্র কাব্বালিস্টিক এস্ট্রনমিকে কুরআন সুন্নাহ দ্বারা অপব্যাখ্যা আর ভ্রান্ত মনগড়া ট্রোল দিয়ে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। তাকে এসব বিষয় প্যারাডক্সিক্যা ল সাজিদ রচনার সময়েই জানানো হয়েছিল, কিন্তু তিনি ছিলেন এসব ব্যপারে বেপরোয়া! অদ্ভুতভাবে তার বাতিল মতাদর্শটিই সাধারন মানুষের মধ্যে ভাইরাসের আকারে ছড়িয়ে পড়ে এমনকি তাওহীদবাদী সত্যিকারের দ্বীনদার ভাইয়েরাও বোধকরি ওনার খপ্পরে পড়েছিল। তারা আজও হয়ত কনফিউজড। তার শয়তানি কিতাবটির প্রশংসা করেন খোদ চরমনাই পীর ছাহেব। রতনে রতন চেনে প্রবাদটি সত্য ।
তিনি কাফেরদেরই সুডো সাইন্টিফিক বা ন্যাচারাল ফিলসফিক্যাল নোশনকে পরমভক্তির সাথে নিয়ে কুরআন-সুন্নাহর সাথে মিশিয়ে ব্যাখ্যা করেন।। তার চেষ্টাটি এরূপ ছিল যে, কোন ব্যক্তি স্যাটানিক ইনক্যান্টেশন উচ্চারণ করে বলছেন এসবই কুরআনে ১৪০০ বছর আগে বলা হয়েছে। এবং ভাইসভার্সা। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। এ বিষয়গুলোর ব্যপারে প্রথম থেকেই বলে আসছি এবং বরাবরের মত তার ফ্যানবয়দের রোষানলে পড়ছি। আজকে দেখাবো আরিফ আজাদ স্যারজি কাদের কিরূপ আকিদা কোন উপায়ে প্রমোট করেন, তার ছোট্ট প্রমান দেখাবো। আজ দেখবেন কিভাবে কুফফারদের কুফরি আকিদাগুলোকে এই নামজাদা সেলিব্রেটিগন ইসলামিক স্ট্যাণ্ডার্ডে পজিটিভলি প্রকাশ করে সাধারন লোকেদের ওদের মতই ব্যাধিগ্রস্ত মুরজিয়া বানায়।
কদিন আগে দেখলাম তিনি একটি লেখা প্রকাশ করেন। সেখানে থিওরি অব এভ্রিথিং/ স্ট্রিং থিওরি নিয়ে দু'চার কলম লেখার খুব চেষ্টা চালান। এবং তিনি এর ব্যপারে বেশ ইতিবাচক। শয়তানের আনিত কাব্বালিস্টিক শাস্ত্রের অনুসারী ফিজিসিস্ট মিচিও কাকু'কে খুব প্রোমোট করতে চেষ্টা চালান। অন্যান্য নাস্তিক ফিজিসিস্টদের সাথে তুলনা করে তার প্রতি এমন ভক্তি দেখিয়েছেন যে শ্রদ্ধায় "ভদ্রলোক" শব্দটি লিখতে বাধ্য হন। দেখলে মনে হবে এই মুশরিকের বিজ্ঞাপন দিচ্ছিলেন অনেকটা লিখেছেন- "জাপানী বংশোদ্ভূত আমেরিকান এই ভদ্রলোক বিজ্ঞান জগতে উনার বিজ্ঞান ভিত্তিক কাজের জন্য খুব পরিচিত, সম্মানিত।
উনি 'সিটি কলেজ অফ নিউইয়র্ক' এর 'থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সের' একজন প্রফেসর।
থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সের উপরে লেখা উনার ৪ টি বই 'নিউইয়র্ক টাইমস' বেষ্ট সেলার হয়েছিলো।"
এক কথায় হিরো বানিয়ে দিয়েছেন।
তিনি নাস্তিক অপবিজ্ঞানী কমিউনিটির সামনে তাকে অনেকটা হিরো হিসেবে উপস্থাপন করেন। তার বিভিন্ন সময়ে বলা কিছু কথাকে কোট আনকোট করে নিয়ে আসেন যার দ্বারা পাঠকদের বোঝাতে চান উনি এক মহান বিজ্ঞানী যিনি কিনা রহমান আল্লাহর অস্তিত্বের কথা বলছেন, তিনি অন্যান্য নাস্তিকদের মত নন, তিনি বিজ্ঞানবলে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব পেয়ে গেছেন,তিনি একজন আস্তিক বা আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসী।
তার লেখার আরও কিছু অংশ--
"সম্প্রতি ভদ্রলোক বিজ্ঞান জগতকে আরেকটু নড়েচড়ে বসালেন।
মহাজাগতিক কণা নিয়ে থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সে কাজ করতে গিয়ে উনি সবিস্ময়ে লক্ষ্য করলেন যে, আমাদের এই মহাবিশ্ব তৈরিতে একজন স্রষ্টা থাকা অনিবার্য।
তিনি বলেছেন, 'I have concluded that we are in a world made by rules created by an intelligence'
অর্থাৎ, 'আমরা এমন একটা জগতে আছি যেখানকার সকল নিয়ম একজন বুদ্ধিমান সত্ত্বা কর্তৃক সৃষ্ট।'
তিনি আরো বলেন, 'Believe me, everything that we call chance today won't make sense anymore'
অর্থাৎ, যেটাকে সেক্যুলার তথা নাস্তিকরা একসিডেন্টের ফলে 'বাই চান্স' তৈরি হয়ে গেছে বলে থাকে, বিজ্ঞানী Michio Kaku এটাকে বাতুলতা বলছেন। তিনি বলছেন এরকম একটা Fine-Tuned মহাবিশ্ব কখনোই বাই চান্স তৈরি হতে পারে না।
তিনি বলেন, “To me it is clear that we exist in a plan which is governed by rules that were created, shaped by a universal intelligence and not by chance.”
অর্থাৎ, 'আমার কাছে এটা পরিষ্কার যে, আমরা একটা পরিকল্পনার অংশ যেটা কিছু সুনির্দিষ্ট রুলসের আওতাধীন, যে রুলসগুলো তৈরি করেছেন এবং সাজিয়েছেন একজন বুদ্ধিমান সত্ত্বা।'
আমাদের মহাবিশ্ব এতোই ফাইন টিউনড, এতোই সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো যে, পদার্থবিজ্ঞানী Michio Kaku স্রষ্টাকে একজন 'ম্যাথমেটিশিয়ান ' বলে উল্লেখ করতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি বলেছেন, 'The final solution resolution could be that God is a mathematician'- "
আরিফ আজাদদের মত অপবিজ্ঞানপন্থী এবং ইরজা আক্রান্ত ইসলামিক লেখকের এই লেখা পড়ে সরল সোজা পাঠক সত্য সত্যই তাই ভাবছে যা ভাবিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন আসল ব্যপারটি বুঝলে, ধরতে পারবেন এ সকল ঠান্ডা মাথার ফিতনা সৃষ্টিকারী ইরজাগ্রস্ত 'ইসলামিক লেখকরা' কতটা ভয়ংকর।
আপনারা কেউ কি আন্দাজও করতে পারেন পদার্থবিদ মিচিও কাকু সাহেব তার উক্তিতে "mathematician God/ universal intelligence" বলতে কি বুঝিয়েছেন??! বস্তুত, তিনি বুঝিয়েছেন গড অব স্পিনৌজা কে। এটা তিনি তার অন্য যেকোন এ সম্পর্কিত লেকচারে আইনস্টাইনের রেফারেন্স দিয়ে বলেন। তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় জীবন ও সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব থাকার প্রশ্ন সম্পর্কিত, তখন তিনি স্পষ্ট করে বলেন, "আমাকে বলতে দিন আমরা ফিজিসিস্টরা কিভাবে বিষয়টা দেখি, উদাহরনস্বরূপ, আইনস্টাইন বড় একটা প্রশ্ন করতেন, যে কোন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব আছে কিনা,সব(সৃষ্টিজগতের) কিছুর মানে আছে কিনা,আর এভাবেই আইন্সটাইন এ প্রশ্নের জবাব দিতেন যে, দুই ধরনের ঈশ্বর(গড) আছে। আমাদেরকে অনেক বৈজ্ঞানিক চিন্তার হতে হবে, আমাদেরকে ডিফাইন করতে হবে আপনি গড দ্বারা বোঝেন। যদি গড বলতে হস্তক্ষেপ করার ঈশ্বরকে বোঝানো হয়, ব্যক্তিক সত্ত্বাগত ঈশ্বরকে বোঝায়,প্রার্থনা শোনার God কে বোঝায়, তাহলে আপনাকে সেটাকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে যে সৃষ্টিকর্তা কি সত্যিই আমাদের সকল প্রার্থনা শোনেন(?) যেমন ক্রিসমাসে বাই-সাইকেল চাওয়া, তিনি(আইনস্টাইন) ঈশ্বরের ব্যপারে ধারনায় এরকমটা মানতেন না,তিনি(আইনস্টা ইন) বিশ্বাস করতেন নিয়ম-নীতির গড,হার্মোনি, সৌন্দর্যের, সিমপ্লিসিটি এবং আভিজাত্যতার গড, দ্য গড অব স্পিনৌজা(প্যান্ থেইস্টিক)। এই ধরনের গডে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন, কারন তিনি দেখতেন মহাবিশ্ব অত্যন্ত গর্জিয়াস, এসব ঐরকম থাকবার কথা নয়, এটা বরং হতে পারতো বিশৃঙ্খল, কদর্য, নোংরা।.."
অনেক পাঠক 'গড অব স্পিনোজা' এর অর্থ বুঝতে পারছেন না। বারুচ স্পিনোজা নামের এক নিকৃষ্ট শ্রেণীর কাফের সর্বেশ্বরবাদকে( ওয়াহদাতুল উজুদ/মনিজম) ফিলসফিতে ইংরেজিতে অফিশিয়াল নাম দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করেন। একে এরপরে থেকে প্যান্থেইজম নামে ইংরেজিতে সহজে বোঝানো হয়। যদিও এই আকিদা ব্যবিলনীয়ান এস্ট্রলজি থেকে এসেছে, ইতোপূর্বে এর অর্গানাইজড ফর্ম ছিল না।এই বিশ্বাস অনুযায়ী প্রকৃতিকেই গডে পার্সোনিফাই করে ডাকা হয়। একেই স্পিনোজা'স গড, স্পিনোজিজম বলে।
দেখুনঃ https/ en.m.wikipedia.o rg/wiki/ Spinozism
কাকু দাবি করেন তার জীবনের লক্ষ্যই আইনস্টাইনের অসম্পূর্ন স্বপ্নকে সম্পূর্ন করা। একটি থিওরি অব এভ্রিথিং প্রতিষ্ঠা করা। তাকে যখনই সৃষ্টিকর্তার কথা জিজ্ঞেসা করা হয় তিনি সব সময়েই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আইনস্টাইনের রেফারেন্স দিয়ে বলতেন, "ইসহাক(আ), ইউসুফ(আ), মূসা(আ) ইত্যাদি নবীদের 'পালনকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করা কঠিন"। কিন্তু বারুচ স্পিনোজার সর্বেশ্বরবাদের কুফরি অর্থে 'ঈশ্বর' বা গড শব্দটিতে বিশ্বাস করতেন আইনস্টাইন সাহেব এবং এটাই গ্রহণযোগ্য। তাকে অপর এক সাক্ষাতকারে এ ব্যপারে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, তিনি দুইটি ধর্মকে কাছে থেকে দেখেছেন। পরিবারকে বৌদ্ধধর্মে পেয়েছেন কিন্তু আমেরিকায় পেয়েছেন খ্রিষ্টান। এজন্য তিনি তার থিওরিতে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে ব্যাখ্যা করতে দুই ধর্মের তথ্যকে একাকার করে একটা কুফরি দর্শন বানিয়ে নিয়েছেন। পৃথিবীর মহাবিশ্বটা সৃষ্টির বিগব্যাং হবার আগে Nirvana পার হয়ে আসছে। এরপরে নাকি বিবলিক্যাল মহাবিশ্ব সৃষ্টি করছেন! ১১ ডাইমেনশনের হাইপার স্পেসের কস্মিক মিউজিকই নাকি "ঐশ্বরিক মন"(mind of God) । এটা ঠিক তাই-ই যা গড অব Spinoza। এই মন রিড করতেই থিওরি অব এভ্রিথিং এর প্রয়োজন ছিল, যা নিয়ে আজ কাকু কাজ করছেন।
আরেকবার তাকে প্রশ্ন করা হয় তিনি(মিচিও কাকু) সাইন্স ও (প্যাগান)ধর্মতত ্ত্বের সংযোগকে কিভাবে দেখেন, তিনি বলেন, "আমার মাথায় দুইটি অংশ সবসময় যুদ্ধে লিপ্ত থাকে, বৌদ্ধধর্মে আমরা বিশ্বাস করি সময়হীন নির্বাণে যেথায় কোন শুরু শেষ বলে কিছু নেই, যখন আমি সানডে স্কুলে পড়ি তখন আমি জেনেসিস পাঠ করি, সেখানে আমি পাই সৃষ্টিজগতের একটি শুরুর(প্রক্রিয়া )কে এমনকি ধবংসেরও দিবসকে(কিয়ামত) যেটা বৌদ্ধমতের নির্বাণ বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক,আমি আজ একজন পদার্থবিদ এবং আমাদের হাতে আছে মাল্টিভার্স এর ধারনা, আমরা সেটাকে দুইরকমের সৃষ্টিতত্ত্বের সাথে মিশিয়ে নিতে পারি, মাল্টিভার্সের হায়ার ডাইমেনশনে একটা নির্বাণ অবস্থা রয়েছে যেখানে বাবল(bubble) মহাবিশ্ব গুলোর সংঘর্ষের মাধ্যমে অস্তিত্বে আসে, আর অজস্র বিগ ব্যাং হতে থাকে এবং অজস্র জেনেসিস ঘটতে থাকে যা বাবল ইউনিভার্সসমূহের সংঘর্ষে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতে থাকে।... রিডাকশনিজম অনুযায়ী অটম গুলো ভাঙলে অজস্র পার্টিকেলের দেখা মেলে যার কোন মানে নেই। কিন্তু আমাদের এখন আরো বেশি হলিস্টিক দৃষ্টিভঙ্গি আছে স্ট্রিং থিওরিতে। যা আমাদের বলে আমাদের দেখতে হবে গোটা মহাবিশ্ব কম্পনশীল স্ট্রিং এর ন্যায় এটা আমাদের বলে কেন পার্টিকেলগুলো মিউজিক্যাল নোটস এর ন্যায়। আমার মনে হয় অধিকাংশ ধর্মেরই কমন একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে idea of harmony, synthesis । যখন আপনি বিজ্ঞানের দিকে তাকাবেন সেখানেও পাবেন যে বিজ্ঞান প্রাচীন কিছু সমাজের মৌলিক দার্শনিক দিকনির্দেশনা মেনে চলে। হার্মোনির অনুসন্ধান, ঐক্যের(সৃষ্টি স্রষ্টার অস্তিত্বের ঐক্য-ওয়াহদাতুল উজুদ/ মনিজম) অনুসন্ধান। এজন্য আইনস্টাইন বলেন তিনি স্পিনোজার(সর্বেশ্বরবা দী) গডে বিশ্বাসী। যেটা গড অব হার্মোনি।নয়ত মহাবিশ্ব এতটা হার্মোনিয়াস(গুছ ানো/নীতিবদ্ধ/ সুশৃঙ্খল) হত না এখন যতটা। তিনি পার্সোনাল (ইব্রাহীম /ইসহাক/ইয়াকুব নবীদের) গডে বিশ্বাস করতেন না। যেটা প্রার্থনার ঈশ্বর। তিনি বিশ্বাস করতেন একজন নিয়মদাতা আছেন এটাই হচ্ছে হার্মোনির নীতি।"
অর্থাৎ মিচিও কাকু চমৎকারভাবে অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে তার নিজ আকিদাকে প্রকাশ করেছেন। তিনি বৌদ্ধদের কুফরি সৃষ্টিতত্ত্বের দর্শনকে ইউনিভার্সের একদম ফান্ডামেন্টাল অরিজিন হিসেবে রেখেছেন। (তার কথানুযায়ী)খ্রিষ ্টান থিওলজিকে যদি ক্যাথলিকদের মত কুফরি বিগব্যাং তত্ত্ব দ্বারাও খাপ খাইয়ে নেন এরপরেও নির্বানই সবকিছুর শুরু। অর্থাৎ তার মতে বিবলিক্যাল ঈশ্বর যদি থেকেও থাকে তবে তার উপরে আরো পূর্বে আছে বৌদ্ধমত অনুযায়ী নির্বান!!(নাউজু বিল্লাহ)
এখানেই কাব্বালিস্টিক এস্ট্রোফিজিক্সে র অনুসারী মিচিও কাকু জানিয়ে দিলেন স্রষ্টার ব্যপারে কিরূপ আকিদা। এর পরে আরো সুচারুরূপে ক্ল্যারিফাই করে দিলেন- " আমাদের এখন আরো বেশি হলিস্টিক দৃষ্টিভঙ্গি আছে স্ট্রিং থিওরিতে। যা আমাদের বলে আমাদের দেখতে হবে গোটা মহাবিশ্ব কম্পনশীল স্ট্রিং এর ন্যায় এটা আমাদের বলে কেন পার্টিকেলগুলো মিউজিক্যাল নোটস এর ন্যায়। আমার মনে হয় অধিকাংশ ধর্মেরই কমন একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে idea of harmony, synthesis । যখন আপনি বিজ্ঞানের দিকে তাকাবেন সেখানেও পাবেন যে বিজ্ঞান প্রাচীন কিছু সমাজের মৌলিক দার্শনিক দিকনির্দেশনা মেনে চলে। হার্মোনির অনুসন্ধান, ঐক্যের(সৃষ্টি স্রষ্টার অস্তিত্বের ঐক্য-ওয়াহদাতুল উজুদ/ মনিজম) অনুসন্ধান। এজন্য আইনস্টাইন বলেন তিনি স্পিনোজার(সর্বেশ্বরবা দী) গডে বিশ্বাসী। যেটা গড অব হার্মোনি।নয়ত মহাবিশ্ব এতটা হার্মোনিয়াস(গুছ ানো/নীতিবদ্ধ/ সুশৃঙ্খল) হত না এখন যতটা। তিনি পার্সোনাল (ইব্রাহীম /ইসহাক/ইয়াকুব নবীদের) গডে বিশ্বাস করতেন না। যেটা প্রার্থনার ঈশ্বর। তিনি বিশ্বাস করতেন একজন নিয়মদাতা আছেন এটাই হচ্ছে হার্মোনির নীতি।"
হ্যা অধিকাংশ (প্যাগান) ধর্মেরই কমন একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে "আইডিয়া অব হার্মোনি, সিন্থেসিজ",এটাই প্রাচীন ব্যবিলনীয়ান সমাজে গড়ে ওঠে এবং এই কুফরি দর্শনের দিকনির্দেশনাই প্রতিষ্ঠিত অপবিজ্ঞান মৌলিকভাবে মেনে চলে। এজন্য আইনস্টাইনও এই সর্বেশ্বরবাদেই বিশ্বাস করতেন 'গড' এর নামে। এই স্ট্রিং থিওরিও হার্মোনির বার্তা দেয়। এটা হাইপার স্পেসের কস্মিক মিউজিকের বার্তা দেয়, আর কস্মিক বাবল অবস্থার মাল্টিভার্স Nirvana'র বার্তা দেয়। অর্থাৎ আরিফ আজাদের দৃষ্টিতে 'ভদ্রলোক' মিচিও কাকু আইনস্টাইনিয়ান প্যান্থেইস্টিক বিশ্বাসের কথা বলেন। একেই তার স্ট্রিং থিওরির সহায়তায় বেশি লজ্যিক্যাল এবং গ্রহণযোগ্য বলে দাঁড় করাচ্ছেন। এই প্যান্থেইস্টিক Mind of God'ই ইউনিভারসাল ইন্টেলিজেন্স যার কারনে ইউনিভার্স এতটা হার্মোনিয়াস/ পরিপাটি/ সুশৃঙ্খল! লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!
অপর এক বিতর্কে কাকু বলেন, "আমার এই দিকে যারা আছেন ১০০% নিশ্চিতভাবে তারা বিশ্বাস করে,যে কোন সৃষ্টিকর্তা নেই। জীবনের কোন উদ্দেশ্য নেই। আর এইদিকের গ্রুপ ১০০% বিশ্বাস করে যে জীবনের মানে আছে এবং একজন ঈশ্বর আছেন। একদিকের লোকেরা শুদ্ধ আরেকদিকের লোকেরা ভুল, তাই তো? আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে তারা উভয়েই ভুল।
বিজ্ঞান কি? বিজ্ঞান হচ্ছে ডিসাইডেবল স্টেইটমেন্ট, আমি যদি এখন সেলফোনটি নিচে ফেলে দেই, আমি জানি এটা ডিসাইডেবল, এটা নিচে পড়বে গ্রাভিটির জন্য। সাইন্স এমন সব স্টেটমেন্ট এর উপর প্রতিষ্ঠির যা পরীক্ষার যোগ্য, পুনঃপরীক্ষন যোগ্য, ডিসাইডেবল, ফলসিফাইয়েবল।
সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব আছে কিনা এটা আনডিসাইডেবল(অনি র্ধারনযোগ্য)। এটা বিজ্ঞানের অংশ নয়। এটা অনেকটা একটা (পৌরাণিক অলীক প্রানী)ইউনিকর্ন ের অস্তিত্বকে মিথ্যা প্রমান করার ন্যায়।... এখন, আমি একজন পদার্থবিজ্ঞানী, আমার জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে আইন্সটাইনের একটা ইক্যুয়েশনের স্বপ্নকে সম্পূর্ন করা যা কিনা এক ইঞ্চির বেশি বড় হবেনা,যেটা সকল বস্তুগত জ্ঞানের সারাংশ বের করবে। এবং আমাদেরকে "ঈশ্বরের মনকে পড়তে" অনুমতি দেবে। তো তার(আইন্সটাইনের ) কি দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ঈশ্বরের প্রতি(?)। আইনস্টাইন বলেছেন দুই ধরনের ঈশ্বরের কথা। এটাই সকল কনফিউশন তৈরির কারন। প্রথম ধরনের ঈশ্বর হচ্ছে ব্যক্তিগতজীবন ঈশ্বর।এটা হচ্ছে প্রার্থনার ঈশ্বর, প্রতিশোধপ্রবন ঈশ্বর, ঐ ঈশ্বর যে প্রার্থনায় সাড়া দেয়, মূসা(আ), ইসহাক(আ),ইয়াকুব (আ) এর ঈশ্বর। আইনস্টাইন বলতেন আপনি এই ধরনের ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে পারতেন না।কিন্তু আরেক ধরনের ঈশ্বর আছে। এটা হচ্ছে বারুচ স্পিনোজার ঈশ্বর(সর্বেশ্বর বাদ-প্রকৃতিপূজা ), হার্মোনি বিউটি,simplicit y, elegance এর ঈশ্বর।
এগুলো থাকত না যদি ইউনিভার্স কোন এক্সিডেন্ট এর দ্বারা তৈরি হত।তাই আমি ঈশ্বরের অস্তিত্বের কোন এভিডেন্স(সাক্ষ্ যপ্রমাণ) পাইনা। এর মানে এই নয় তার কোন অস্তিত্বই থাকবে না বা জীবনের কোন মানে বা অস্তিত্বই নেই। আমি শুধুমাত্র ফিজিক্সের ইক্যুয়েশনে এটা খুজে পাচ্ছিনা। তো, আমাদের নিকট 'ঈশ্বরের মনের' একজন ক্যান্ডিডেট আছে। ঐশ্বরিক মনের ক্যান্ডিডেট হচ্ছে এগারো ডাইমেনশনের হাইপার স্পেসের কস্মিক মিউজিক।"
এই হচ্ছে অবস্থা। মিচিও কাকু সুস্পষ্টভাবেই বলে দিলেন যে তিনি সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের কোন এভিডেন্সই পান না। আর তার অস্তিত্বটি ইউনিকর্ন এর অস্তিত্বে বিশ্বাসের ন্যায়। এটা নাকি আনডিসাইডেবল! এজন্য তিনি আইনস্টাইনিয়ান প্যান্থেইস্টিক "মাইন্ড অব গডে" বিশ্বাস করেন, যা কি না পৃথিবীর সুশৃঙ্খলিত অবস্থার কারন, মনিস্টিক ঐশ্বরিক ঐ মনের জন্যই সবকিছু এত হার্মোনিয়াস এতটা ম্যাথম্যাটিক্যা ল, ইউনিভার্স এক্সিডেন্ট এর কারনে তৈরি হলে এমন হত না!!
আশা করি এবার বুঝতে পারছেন আরিফ আজাদ সাহেবের ভন্ডামি। তিনি সুস্পষ্ট কুফরি আকিদাকে ইসলামিক স্ট্যান্ডার্ডে নিয়ে আসলেন। এমনকি মহান প্রতিপালকের উপর এটা আরোপ করলেন। তার ভন্ডামির সাফল্য বোঝা যায় তার ওই পোস্টেরই একটি মন্তব্যেঃ
"
Md Abdul Khalique Tapader
ভাই আযাদ এক বিশেষ সময়ে আপনি যে অসাদারন কাজটি করছেন সতিবলতে গেলে এঅল্প বয়সে আল্লাহ আপনাকে মনে হয় তার খাছ কোন বান্দা হিসাবে কবুল করেনিয়া ছেন। এত যুকতি পুরন আবিষ্কার আপনাকে অনেক উপরে নিয়ে যাবে। আপনার মাতাপিতার জন্ম দাতা হিসাবে তাদের সারতক হোক।
5 · Like · React · Reply · Report · Jan 19, 2017"
যাহোক,অবশেষে এই মুশরিকের প্রতি আরিফ আজাদের শ্রদ্ধা এত বেড়ে যায় যে বলেই ফেলেন-"
"বিজ্ঞানী Michio Kaku নিশ্চই কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন না। তার গবেষণা, তার উপলব্ধি, তার প্রমান তাকে এই কথাগুলো বলতে বাধ্য করেছে।"!!!!!!
প্রিয় পাঠক অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন যে আমি বারবার আরিফ আজাদ সাহেবের এই কস্মোলজি এবং মিচিওকাকুকে 'কাব্বালিস্টিক কস্মোলজি"র অনুসারী বলেছি। এ কথা আমার মনগড়া বানোয়াট কিছু নয়। স্বয়ং মিচিও কাকু-ই এই কস্মোলজিক্যাল আইডিয়াকে কাব্বালার প্রতিফলন বলেছেন। শুধু তাই নয় তার স্ট্রিং থিওরিটিও কব্বালিস্টিক টেক্সটের প্রতিফলন। ইন্না লিল্লাহ!!
তিনি বলেনঃ
"আমি একজন থিওরেটিকাল ফিজিসিস্ট এবং আমি বলতে পছন্দ করি, আমি এলবার্ট আইনস্টাইন, নিলস বোর এর মত জায়ান্টদের পদচিহ্ন অনুসরণ করি। আমি কোন দার্শনিক নই। যাহোক, আমি একটা বাস্তব বিষয়ের ব্যপারে বিমোহিত; স্ট্রিং থিওরি বা থিওরি অব এভরিথিং এর অনেক মৌলিক রহস্য কেমন যেন জোহার এবং কাব্বালারই প্রতিফলন। "
"এটা বরং বিস্ময়কর যে, বর্তমান যুগের কিছু অত্যাধুনিক মহাকাশবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু যা আমরা পাই স্যাটেলাইট থেকে,যা আমরা পাই এটম স্ম্যাশার থেকে, যা আমরা পাই আমাদের ব্ল্যাকবোর্ড থেকে, সেসব কেমন যেন জোহার এবং প্রাচীন কাব্বালিস্টিক শাস্ত্রের প্রতিফলন।"
কি ব্যপার বিশ্বাস হচ্ছে না? 😆 আচ্ছা তাহলে দেখে আসুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=rw17zNZIve0
এবার আপনিই বলুন, কোন বিষয়টি আরিফ আজাদকে নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে "বিজ্ঞানী Michio Kaku নিশ্চই কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন না""!!?
নাকি তারা উভয়েই অভিন্ন এজেন্ডার কর্মসম্পাদন করছেন!!যার কারনে, অপরিচিতদের থেকে ইল্ম নেওয়া যাবে না, তাওহীদ ও জিহাদের দাঈ'রা খারেজি!! আপনি তো দেখলেনই এই ফিজিসিস্ট সরাসরি শয়তানের শাস্ত্রের অনুসরন করছেন এবং আরিফ আজাদ এটাকেই কত সুন্দর লেখার মোড়কে মুড়িয়ে প্রচার করছেন! আজাদ সাহেব এই (মিচিও কাকুর ভাষায়) কাব্বালিস্টিক কস্মোলজিকেই চমৎকারভাবে ইসলামাইজড করে প্রচারের কাজ করেন। আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।
এই হচ্ছে আরিফ আজাদ সাহেবের "জ্ঞ্যানের" দৌড়। এবং তার প্রকাশ্য ভণ্ডামি দৃষ্টান্ত। এতদিন এসব আবর্জনা লিখে নাম কামিয়েছে। তার ওই পোস্টটির কন্টেন্ট যেরূপ সঠিক, ঠিক ততটাই শুদ্ধ তার অন্যান্য আর্টিকেলে কুফফারদের অপবিজ্ঞানকে ইসলামাইজড করার মনগড়া লজিক গুলো। এরা এমনই শাস্ত্রের অনুসরন করে যা বাবেল শহর থেকে চারদিকে ছড়িয়েছে,যা সুলাইমান(আ) এর শাসনামলে শয়তানরা আবৃত্তি করত।
একটা প্রশ্ন আসে, আরিফ আজাদ সাহেব কি তাহলে মিচিও কাকু/ আইনস্টাইনের গড/'ইউনিভারসাল ইন্টেলিজেন্স' এর দিকে দাওয়াত দেন,তার সকল লেখার দ্বারা (?) যেখানে তামিম আল আদনানি(হাফিঃ), ইমাম আনোয়ার আল আওলাকিরা(র) খাওয়ারিজ তথা জাহান্নামের কুকুর?? তিনি তার লেখনীতে তো এটাই প্রকাশ করেন। এজন্যই কি তাওহীদের ঝাণ্ডাধারীদের প্রতি এতো বিদ্বেষ!!?
একজন লোক কতটা ব্যাধিগ্রস্ত হলে এভাবে সুস্পষ্ট কুফরি আইডিওলজি ও ডক্ট্রিনগুলোকে কুরআন সুন্নাহ দ্বারা কম্প্যাটিবল করে! জ্ঞানের এই দশা নিয়েই আজ এরা ইমাম আনোয়ার আল আওলাকি(রহ.) কে খাওয়ারিজ বলে! এদেরকে কি এমনিতেই মুরজিয়া বলা হয়?!!
আমার দুশ্চিন্তা হয়, কাল আবার ইজরাইলের কাব্বালা ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান র্যাবাঈ মিকাঈল লেইটম্যানের সাথে গলা মিলিয়ে না বলে যে "কাব্বালা হচ্ছে সাইন্স, যার উৎপত্তি প্রাচীন বাবেল শহরে। সাধারন মানুষের দ্বারা একে জাদুবিদ্যা সাব্যস্ত করার মিসকনসেপশন রয়েছে। ", এও না বলা শুরু করে ১৪০০ বছর আগে কুরআনেও.... নাউজুবিল্লাহ।
বস্তুত, সরাসরি না বললেও কিন্তু পরোক্ষভাবে এই কথাটিই বলেন।পড়ুনঃ
https:// m.facebook.com/ islamic.cognitio n/photos/ a.29178135794573 0.1073741828.28 2165055574027/ 472996026490928/
এরা মিচিও কাকুর মতানুযায়ী কাব্বালার প্রতিফলন তথা মেইনস্ট্রিম কস্মোলজি/ কস্মোজেনেসিসকে কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা মিশিয়ে এবং বানোয়াট যুক্তি দিয়ে সামঞ্জস্যশীল করে।
আরিফ আজাদ সাহেবের পোস্টটির লিংকঃ
https:// m.facebook.com/ story.php?story_ fbid=6509789517 39934&id=100004 835040654
তথ্যসূত্রঃ
https:// m.youtube.com/ watch?v=mPmmLRR9 wTI
https:// m.youtube.com/ watch?v=Hi6yPJvC FU0
https:// m.youtube.com/ watch?v=fniKbA2L d88
https:// m.youtube.com/ watch?v=jremlZvN Duk
আর জ্যোতিষশাস্ত্রে
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنِ اقْتَبَسَ عِلْمًا مِنَ النُّجُومِ اقْتَبَسَ شُعْبَةً مِنَ السِّحْرِ زَادَ مَا زَادَ " .
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জ্যোতিষ বিদ্যার কিছু শিক্ষা করলো, সে যেন যাদু বিদ্যার একটা শাখা আয়ত্ত করলো, এখন তা যত বাড়ায় বাড়াক। [৩০৫৮]
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৭২৬
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
অর্থাৎ আমরা দেখছি নেক সুরতে কিসের বীজ বপন করা হচ্ছে!
তিনি প্রতিষ্ঠিত যে এস্ট্রোনমির কথা বলেন, তার ঠিক বিপরীতটাই বলে কুরআন ও সুন্নাহ। কুফরি যাদুশাস্ত্র কাব্বালিস্টিক এস্ট্রনমিকে কুরআন সুন্নাহ দ্বারা অপব্যাখ্যা আর ভ্রান্ত মনগড়া ট্রোল দিয়ে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। তাকে এসব বিষয় প্যারাডক্সিক্যা
তিনি কাফেরদেরই সুডো সাইন্টিফিক বা ন্যাচারাল ফিলসফিক্যাল নোশনকে পরমভক্তির সাথে নিয়ে কুরআন-সুন্নাহর সাথে মিশিয়ে ব্যাখ্যা করেন।। তার চেষ্টাটি এরূপ ছিল যে, কোন ব্যক্তি স্যাটানিক ইনক্যান্টেশন উচ্চারণ করে বলছেন এসবই কুরআনে ১৪০০ বছর আগে বলা হয়েছে। এবং ভাইসভার্সা। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। এ বিষয়গুলোর ব্যপারে প্রথম থেকেই বলে আসছি এবং বরাবরের মত তার ফ্যানবয়দের রোষানলে পড়ছি। আজকে দেখাবো আরিফ আজাদ স্যারজি কাদের কিরূপ আকিদা কোন উপায়ে প্রমোট করেন, তার ছোট্ট প্রমান দেখাবো। আজ দেখবেন কিভাবে কুফফারদের কুফরি আকিদাগুলোকে এই নামজাদা সেলিব্রেটিগন ইসলামিক স্ট্যাণ্ডার্ডে পজিটিভলি প্রকাশ করে সাধারন লোকেদের ওদের মতই ব্যাধিগ্রস্ত মুরজিয়া বানায়।
কদিন আগে দেখলাম তিনি একটি লেখা প্রকাশ করেন। সেখানে থিওরি অব এভ্রিথিং/
উনি 'সিটি কলেজ অফ নিউইয়র্ক' এর 'থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সের' একজন প্রফেসর।
থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সের উপরে লেখা উনার ৪ টি বই 'নিউইয়র্ক টাইমস' বেষ্ট সেলার হয়েছিলো।"
এক কথায় হিরো বানিয়ে দিয়েছেন।
তিনি নাস্তিক অপবিজ্ঞানী কমিউনিটির সামনে তাকে অনেকটা হিরো হিসেবে উপস্থাপন করেন। তার বিভিন্ন সময়ে বলা কিছু কথাকে কোট আনকোট করে নিয়ে আসেন যার দ্বারা পাঠকদের বোঝাতে চান উনি এক মহান বিজ্ঞানী যিনি কিনা রহমান আল্লাহর অস্তিত্বের কথা বলছেন, তিনি অন্যান্য নাস্তিকদের মত নন, তিনি বিজ্ঞানবলে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব পেয়ে গেছেন,তিনি একজন আস্তিক বা আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসী।
তার লেখার আরও কিছু অংশ--
"সম্প্রতি ভদ্রলোক বিজ্ঞান জগতকে আরেকটু নড়েচড়ে বসালেন।
মহাজাগতিক কণা নিয়ে থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সে কাজ করতে গিয়ে উনি সবিস্ময়ে লক্ষ্য করলেন যে, আমাদের এই মহাবিশ্ব তৈরিতে একজন স্রষ্টা থাকা অনিবার্য।
তিনি বলেছেন, 'I have concluded that we are in a world made by rules created by an intelligence'
অর্থাৎ, 'আমরা এমন একটা জগতে আছি যেখানকার সকল নিয়ম একজন বুদ্ধিমান সত্ত্বা কর্তৃক সৃষ্ট।'
তিনি আরো বলেন, 'Believe me, everything that we call chance today won't make sense anymore'
অর্থাৎ, যেটাকে সেক্যুলার তথা নাস্তিকরা একসিডেন্টের ফলে 'বাই চান্স' তৈরি হয়ে গেছে বলে থাকে, বিজ্ঞানী Michio Kaku এটাকে বাতুলতা বলছেন। তিনি বলছেন এরকম একটা Fine-Tuned মহাবিশ্ব কখনোই বাই চান্স তৈরি হতে পারে না।
তিনি বলেন, “To me it is clear that we exist in a plan which is governed by rules that were created, shaped by a universal intelligence and not by chance.”
অর্থাৎ, 'আমার কাছে এটা পরিষ্কার যে, আমরা একটা পরিকল্পনার অংশ যেটা কিছু সুনির্দিষ্ট রুলসের আওতাধীন, যে রুলসগুলো তৈরি করেছেন এবং সাজিয়েছেন একজন বুদ্ধিমান সত্ত্বা।'
আমাদের মহাবিশ্ব এতোই ফাইন টিউনড, এতোই সুপরিকল্পিতভাবে
তিনি বলেছেন, 'The final solution resolution could be that God is a mathematician'-
আরিফ আজাদদের মত অপবিজ্ঞানপন্থী এবং ইরজা আক্রান্ত ইসলামিক লেখকের এই লেখা পড়ে সরল সোজা পাঠক সত্য সত্যই তাই ভাবছে যা ভাবিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন আসল ব্যপারটি বুঝলে, ধরতে পারবেন এ সকল ঠান্ডা মাথার ফিতনা সৃষ্টিকারী ইরজাগ্রস্ত 'ইসলামিক লেখকরা' কতটা ভয়ংকর।
আপনারা কেউ কি আন্দাজও করতে পারেন পদার্থবিদ মিচিও কাকু সাহেব তার উক্তিতে "mathematician God/
অনেক পাঠক 'গড অব স্পিনোজা' এর অর্থ বুঝতে পারছেন না। বারুচ স্পিনোজা নামের এক নিকৃষ্ট শ্রেণীর কাফের সর্বেশ্বরবাদকে(
দেখুনঃ https/
কাকু দাবি করেন তার জীবনের লক্ষ্যই আইনস্টাইনের অসম্পূর্ন স্বপ্নকে সম্পূর্ন করা। একটি থিওরি অব এভ্রিথিং প্রতিষ্ঠা করা। তাকে যখনই সৃষ্টিকর্তার কথা জিজ্ঞেসা করা হয় তিনি সব সময়েই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আইনস্টাইনের রেফারেন্স দিয়ে বলতেন, "ইসহাক(আ), ইউসুফ(আ), মূসা(আ) ইত্যাদি নবীদের 'পালনকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করা কঠিন"। কিন্তু বারুচ স্পিনোজার সর্বেশ্বরবাদের কুফরি অর্থে 'ঈশ্বর' বা গড শব্দটিতে বিশ্বাস করতেন আইনস্টাইন সাহেব এবং এটাই গ্রহণযোগ্য। তাকে অপর এক সাক্ষাতকারে এ ব্যপারে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, তিনি দুইটি ধর্মকে কাছে থেকে দেখেছেন। পরিবারকে বৌদ্ধধর্মে পেয়েছেন কিন্তু আমেরিকায় পেয়েছেন খ্রিষ্টান। এজন্য তিনি তার থিওরিতে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে ব্যাখ্যা করতে দুই ধর্মের তথ্যকে একাকার করে একটা কুফরি দর্শন বানিয়ে নিয়েছেন। পৃথিবীর মহাবিশ্বটা সৃষ্টির বিগব্যাং হবার আগে Nirvana পার হয়ে আসছে। এরপরে নাকি বিবলিক্যাল মহাবিশ্ব সৃষ্টি করছেন! ১১ ডাইমেনশনের হাইপার স্পেসের কস্মিক মিউজিকই নাকি "ঐশ্বরিক মন"(mind of God) । এটা ঠিক তাই-ই যা গড অব Spinoza। এই মন রিড করতেই থিওরি অব এভ্রিথিং এর প্রয়োজন ছিল, যা নিয়ে আজ কাকু কাজ করছেন।
আরেকবার তাকে প্রশ্ন করা হয় তিনি(মিচিও কাকু) সাইন্স ও (প্যাগান)ধর্মতত
অর্থাৎ মিচিও কাকু চমৎকারভাবে অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে তার নিজ আকিদাকে প্রকাশ করেছেন। তিনি বৌদ্ধদের কুফরি সৃষ্টিতত্ত্বের দর্শনকে ইউনিভার্সের একদম ফান্ডামেন্টাল অরিজিন হিসেবে রেখেছেন। (তার কথানুযায়ী)খ্রিষ
এখানেই কাব্বালিস্টিক এস্ট্রোফিজিক্সে
হ্যা অধিকাংশ (প্যাগান) ধর্মেরই কমন একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে "আইডিয়া অব হার্মোনি, সিন্থেসিজ",এটাই
অপর এক বিতর্কে কাকু বলেন, "আমার এই দিকে যারা আছেন ১০০% নিশ্চিতভাবে তারা বিশ্বাস করে,যে কোন সৃষ্টিকর্তা নেই। জীবনের কোন উদ্দেশ্য নেই। আর এইদিকের গ্রুপ ১০০% বিশ্বাস করে যে জীবনের মানে আছে এবং একজন ঈশ্বর আছেন। একদিকের লোকেরা শুদ্ধ আরেকদিকের লোকেরা ভুল, তাই তো? আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে তারা উভয়েই ভুল।
বিজ্ঞান কি? বিজ্ঞান হচ্ছে ডিসাইডেবল স্টেইটমেন্ট, আমি যদি এখন সেলফোনটি নিচে ফেলে দেই, আমি জানি এটা ডিসাইডেবল, এটা নিচে পড়বে গ্রাভিটির জন্য। সাইন্স এমন সব স্টেটমেন্ট এর উপর প্রতিষ্ঠির যা পরীক্ষার যোগ্য, পুনঃপরীক্ষন যোগ্য, ডিসাইডেবল, ফলসিফাইয়েবল।
সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব আছে কিনা এটা আনডিসাইডেবল(অনি
এগুলো থাকত না যদি ইউনিভার্স কোন এক্সিডেন্ট এর দ্বারা তৈরি হত।তাই আমি ঈশ্বরের অস্তিত্বের কোন এভিডেন্স(সাক্ষ্
এই হচ্ছে অবস্থা। মিচিও কাকু সুস্পষ্টভাবেই বলে দিলেন যে তিনি সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের কোন এভিডেন্সই পান না। আর তার অস্তিত্বটি ইউনিকর্ন এর অস্তিত্বে বিশ্বাসের ন্যায়। এটা নাকি আনডিসাইডেবল! এজন্য তিনি আইনস্টাইনিয়ান প্যান্থেইস্টিক "মাইন্ড অব গডে" বিশ্বাস করেন, যা কি না পৃথিবীর সুশৃঙ্খলিত অবস্থার কারন, মনিস্টিক ঐশ্বরিক ঐ মনের জন্যই সবকিছু এত হার্মোনিয়াস এতটা ম্যাথম্যাটিক্যা
আশা করি এবার বুঝতে পারছেন আরিফ আজাদ সাহেবের ভন্ডামি। তিনি সুস্পষ্ট কুফরি আকিদাকে ইসলামিক স্ট্যান্ডার্ডে নিয়ে আসলেন। এমনকি মহান প্রতিপালকের উপর এটা আরোপ করলেন। তার ভন্ডামির সাফল্য বোঝা যায় তার ওই পোস্টেরই একটি মন্তব্যেঃ
"
Md Abdul Khalique Tapader
ভাই আযাদ এক বিশেষ সময়ে আপনি যে অসাদারন কাজটি করছেন সতিবলতে গেলে এঅল্প বয়সে আল্লাহ আপনাকে মনে হয় তার খাছ কোন বান্দা হিসাবে কবুল করেনিয়া ছেন। এত যুকতি পুরন আবিষ্কার আপনাকে অনেক উপরে নিয়ে যাবে। আপনার মাতাপিতার জন্ম দাতা হিসাবে তাদের সারতক হোক।
5 · Like · React · Reply · Report · Jan 19, 2017"
যাহোক,অবশেষে এই মুশরিকের প্রতি আরিফ আজাদের শ্রদ্ধা এত বেড়ে যায় যে বলেই ফেলেন-"
"বিজ্ঞানী Michio Kaku নিশ্চই কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন না। তার গবেষণা, তার উপলব্ধি, তার প্রমান তাকে এই কথাগুলো বলতে বাধ্য করেছে।"!!!!!!
প্রিয় পাঠক অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন যে আমি বারবার আরিফ আজাদ সাহেবের এই কস্মোলজি এবং মিচিওকাকুকে 'কাব্বালিস্টিক কস্মোলজি"র অনুসারী বলেছি। এ কথা আমার মনগড়া বানোয়াট কিছু নয়। স্বয়ং মিচিও কাকু-ই এই কস্মোলজিক্যাল আইডিয়াকে কাব্বালার প্রতিফলন বলেছেন। শুধু তাই নয় তার স্ট্রিং থিওরিটিও কব্বালিস্টিক টেক্সটের প্রতিফলন। ইন্না লিল্লাহ!!
তিনি বলেনঃ
"আমি একজন থিওরেটিকাল ফিজিসিস্ট এবং আমি বলতে পছন্দ করি, আমি এলবার্ট আইনস্টাইন, নিলস বোর এর মত জায়ান্টদের পদচিহ্ন অনুসরণ করি। আমি কোন দার্শনিক নই। যাহোক, আমি একটা বাস্তব বিষয়ের ব্যপারে বিমোহিত; স্ট্রিং থিওরি বা থিওরি অব এভরিথিং এর অনেক মৌলিক রহস্য কেমন যেন জোহার এবং কাব্বালারই প্রতিফলন। "
"এটা বরং বিস্ময়কর যে, বর্তমান যুগের কিছু অত্যাধুনিক মহাকাশবিজ্ঞানের
কি ব্যপার বিশ্বাস হচ্ছে না? 😆 আচ্ছা তাহলে দেখে আসুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=rw17zNZIve0
এবার আপনিই বলুন, কোন বিষয়টি আরিফ আজাদকে নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে "বিজ্ঞানী Michio Kaku নিশ্চই কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন না""!!?
নাকি তারা উভয়েই অভিন্ন এজেন্ডার কর্মসম্পাদন করছেন!!যার কারনে, অপরিচিতদের থেকে ইল্ম নেওয়া যাবে না, তাওহীদ ও জিহাদের দাঈ'রা খারেজি!! আপনি তো দেখলেনই এই ফিজিসিস্ট সরাসরি শয়তানের শাস্ত্রের অনুসরন করছেন এবং আরিফ আজাদ এটাকেই কত সুন্দর লেখার মোড়কে মুড়িয়ে প্রচার করছেন! আজাদ সাহেব এই (মিচিও কাকুর ভাষায়) কাব্বালিস্টিক কস্মোলজিকেই চমৎকারভাবে ইসলামাইজড করে প্রচারের কাজ করেন। আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।
এই হচ্ছে আরিফ আজাদ সাহেবের "জ্ঞ্যানের" দৌড়। এবং তার প্রকাশ্য ভণ্ডামি দৃষ্টান্ত। এতদিন এসব আবর্জনা লিখে নাম কামিয়েছে। তার ওই পোস্টটির কন্টেন্ট যেরূপ সঠিক, ঠিক ততটাই শুদ্ধ তার অন্যান্য আর্টিকেলে কুফফারদের অপবিজ্ঞানকে ইসলামাইজড করার মনগড়া লজিক গুলো। এরা এমনই শাস্ত্রের অনুসরন করে যা বাবেল শহর থেকে চারদিকে ছড়িয়েছে,যা সুলাইমান(আ) এর শাসনামলে শয়তানরা আবৃত্তি করত।
একটা প্রশ্ন আসে, আরিফ আজাদ সাহেব কি তাহলে মিচিও কাকু/
একজন লোক কতটা ব্যাধিগ্রস্ত হলে এভাবে সুস্পষ্ট কুফরি আইডিওলজি ও ডক্ট্রিনগুলোকে কুরআন সুন্নাহ দ্বারা কম্প্যাটিবল করে! জ্ঞানের এই দশা নিয়েই আজ এরা ইমাম আনোয়ার আল আওলাকি(রহ.) কে খাওয়ারিজ বলে! এদেরকে কি এমনিতেই মুরজিয়া বলা হয়?!!
আমার দুশ্চিন্তা হয়, কাল আবার ইজরাইলের কাব্বালা ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান র্যাবাঈ মিকাঈল লেইটম্যানের সাথে গলা মিলিয়ে না বলে যে "কাব্বালা হচ্ছে সাইন্স, যার উৎপত্তি প্রাচীন বাবেল শহরে। সাধারন মানুষের দ্বারা একে জাদুবিদ্যা সাব্যস্ত করার মিসকনসেপশন রয়েছে। ", এও না বলা শুরু করে ১৪০০ বছর আগে কুরআনেও.... নাউজুবিল্লাহ।
বস্তুত, সরাসরি না বললেও কিন্তু পরোক্ষভাবে এই কথাটিই বলেন।পড়ুনঃ
https://
এরা মিচিও কাকুর মতানুযায়ী কাব্বালার প্রতিফলন তথা মেইনস্ট্রিম কস্মোলজি/
আরিফ আজাদ সাহেবের পোস্টটির লিংকঃ
https://
তথ্যসূত্রঃ
https://
https://
https://
https://
জ
ReplyDeleteএকটি প্রশ্ন ছিল। আজকাল অনলাইনের অনেক জায়গায় নাস্তিকরা একটি হাদীস দ্বারা মুসলিমদের ইমান দুর্বল করছে। হাদিসটি হলঃ পরিচ্ছেদঃ ৪. আত্মাভিমান
ReplyDelete৩৯৬১. ইবরাহীম ইবন ইউনুস ইবন মুহাম্মাদ হারামী (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একটি বাদি ছিল যার সাথে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহবাস করতেন। এতে আয়েশা (রাঃ) এবং হাফসা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে লেগে থাকলেন। পরিশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই বদিটিকে নিজের জন্য হারাম করে নিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ্ পাক নাযিল করেনঃ
(يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ)
“হে নবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা হালাল করেছেন তা আপনি নিজের জন্য কেন হারাম করে নিয়েছেন (সূরা তাহরীমঃ ১) ।
তাহক্বীকঃ সহীহ
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সূনান নাসাঈ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৭/ স্ত্রীর সাথে ব্যবহার (كتاب عشرة النساء)
https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=77992
আমার একটি বাংলা অনুবাদ কোরআন ছিল। আমি যখন আল কুরআনে উল্লেখিত আয়াতটি খুঁজে দেখি তখন দেখতে পাই যে এটি নাস্তিকদের সুস্পস্ট মিথ্যাচার। আয়াতটি মধু খাওয়ার ব্যাপারে নাজিল হয়েছে। কিন্তু যখন তাদের দেওয়া লিঙ্ক এ ডুকি তখন দেখি তারা সত্যি কথা বলছে কারন এটি বাংলাদেশের ইসলামি ফাউন্ডেশনের দেওয়া এবং এটি সহিহ হাদীস। এব্যাপারে কিছু বুজিয়ে বলবেন??
আখ্যি বিষয়গুলো সত্য এবং এগুলো নিয়ে ঈমান দুর্বল হবে তাদেরই যাদের দ্বীনি আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ্যাপোলোজেটিক এবং সংশয়ে ভরা। জিনিসগুলো নিয়ে খোলাখুলি লিখতে চাইলেও পারিনা কারন আমাকে বাস্তবে চেনে এমন অনেক লোক ব্লগে প্রবেশ করে। সেন্সুয়াল বিষয়গুলো খুবই লজ্জা পাই। এজন্য এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিজের বাহিরে আনতে পারিনা। এরকম অনেক বর্ননা পাবেন যেগুলা সাধারন আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ নবী (স) এর চরিত্র নিয়ে নেগেটিভিটি তৈরি করে অথচ এগুলো পজেটিভ বিষয়ের মধ্যেই পড়ে।
Deleteআচ্ছা দাসী টি কি হজরত মারিয়া (র) যাকে মিশরের শাসক উপহার হিসেবে পাঠিয়ে ছিল??
Deleteআখ্যি এই নিয়ে লিখতে চাচ্ছিলাম না। অনুরোধ করব এসব নিয়ে কোন রূপ সন্দেহ সংশয় করবেন না। নিশ্চয়ই আমাদের রাসূল(স) এর চরিত্র সর্বাপেক্ষা পবিত্র এবং শ্রেষ্ঠ। এসব নিয়ে সংশয়ের অবকাশ নেই। কাফিররা সাধারনত স্ট্রম্যান যুক্তি উপস্থাপন করে। মাঝেমধ্যে তার মধ্যে দুইএকটা সত্য থাকলেও সেটাকে কুৎসিতভাবে উপস্থাপন করে। এজন্য কান দিবেন না আখ্যি।
Delete