Thursday, July 25, 2019

অখণ্ড মহাভারতের স্বপ্ন


৪৭ এর দেশ বিভাগকে কট্টর হিন্দুরা মেনে নিতে পারেনি। কারন নিজেদের ভূখণ্ডের এরূপ বিভক্তি কারোই পছন্দের নয়। ঠিক একই কারনে বঙ্গভঙ্গের[৫] পর মহাভারতের চেতনাধারী হিন্দুদের তীব্র আন্দোলনের পরে আবারো ভারতের হাতে ফিরিয়ে দেয়। মুসলিমরা বঙ্গভঙ্গে কিছুটা খুশি হয়েছিল,কারন কারন তাদের মধ্যে আশা সঞ্চারিত হয়েছিল আলাদা ভূখণ্ডে মুসলিমদের কর্মসংস্থান তৈরি হবে,সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বারা পিষ্ট হয়ে থাকতে হবে না।কিন্তু এ আশা রবীন্দ্রনাথদের জন্য বেশিদিন টেকেনি। ভারতের সাথে বাংলাদেশকে জোড়া লাগানোর জন্য গান রচনা করেন, 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি', ফলশ্রুতিতে ১৯১১ তে আবারো বাংলার আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতাকে লুপ্ত করে ভারতের সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়। এরপরে ১৯৪৭ এ আবারো দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগ। ভারতীয় ব্রাহ্মন্যবাদীরা আবারো অসন্তুষ্ট হলো। 
এরপরে অনেক ঘটনার ডিলিউশনের ফলে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী সাব্যস্ত হলো এবং পূর্ব পাকিস্তানকে আলাদা করা হলো ভারতের প্রত্যক্ষ সামরিক সাহায্যে।[আমার ফাসী চাই এবং আমাদের স্বাধীনতা পর্দার এপার ওপার নামের দুটি নিষিদ্ধ বইতে অনেক ঐতিহাসিক তথ্য আছে] কিছুদিন আগে তো বলিউডের একটা ফিল্মের শুরুতে দেখায় ৭১ এর যুদ্ধটা বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের নয় বরং পাক-ভারতের। ৭১ এর যুদ্ধে ভারত বিজয়ী হয়। তখন সেই অখণ্ড ভারতের চেতনার সংগীতকে জাতীয় সংগীতে মর্যাদা দেওয়া হয়। সুতরাং বুঝতেই পারছে পাকিস্তান থেকে বাংলাকে আলাদা করার উদ্দেশ্য। তবে আমরা তাকদীরের লিখনীর প্রতি অসন্তুষ্ট নই। আল্লাহ এর মধ্যেই কল্যান রেখেছেন। প্রথমে পাকিস্তান এবং এরপরে বাংলাদেশ নামের আলাদা নামেমাত্র ভূখন্ড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুসলিমদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বপ্ন কিছুটা হলেও মিটেছে। ভারতে সংখ্যাগুরু পৌত্তলিকদের দ্বারা আর্থসামাজিক দিক দিয়ে নিষ্পেষিত হওয়া থেকে বহুদিন দূরে ছিল। কিন্তু সেই অখণ্ড ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের
দিনকে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীকে আর দীর্ঘ করতে চাইছে না। তাই এদেশে তাদের প্রতিনিধি শাসকদের ক্ষমতায়ন এবং 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী' রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতাহীন এবং বিলুপ্ত করার কাজ শুরু করেছে। গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদকে, যে জাতীয়তাবাদের অনুভূতিতে রচিত হয়েছিল 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি' সঙ্গীতটি।

জাতীয়তাবাদের অনুভূতি আসলে একরকমের ইল্যুশন। ধরুন গোটা এশিয়া মহাদেশকে একটা দেশ করা হলো, এখন আমেরিকা এশিয়ার কোথাও আক্রমণ করলে এশিয়ান জাতীয়তাবাদীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবে। আবার এশিয়া ভেঙ্গে দুইচার ভাগ হলে জাতীয়তাবাদের অনুভূতিও ওইরকম।দুই চার ভাগে ভাগ হবে। বেনেডিক্ট এ্যান্ডারসন তার ইমাজিন্ড কমিউনিটির মধ্যে জাতীয়তাবাদের স্বরূপ নিয়ে কিছুটা আলোচনা করেছেন। বস্তুত, আসল জাতীয়তাবাদ হওয়া উচিত দ্বীনকেন্দ্রিক।।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা ইসলামিক জাতীয়তাবাদেই উদ্বুদ্ধ হবার জন্য বলেছেন, কেননা সেটাই ফিতরাত। এথনিক ও লিঙ্গুইস্টিক ডাইভার্সিটিই চূড়ান্ত নয়।

এইজন্য ভারতীয় জাতীয়তাবাদী হিন্দুদের কাছে বঙ্গ বা পাকিস্তান আলাদা হবার অনুভূতি সুখকর ছিল না। আমাদের দেশের জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিকরাও কখনো চাইবে না পার্বত্যচট্টগ্রাম চাকমা মগরা জুম্মাল্যান্ড নামে আলাদা দেশ বানিয়ে আলাদা হয়ে যাক।

ভারত তাদের ভূখণ্ডের পুনর্মিলনের আশায় সিকিমের মত একটু একটু করে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। শুরুতে তাদের ফুল এ্যাক্সেস থাকলেও 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দলের' ক্ষমতায়নে সে সুযোগ কমে যায়। এজন্য তাদের প্রাইম টার্গেট থাকে এই ন্যাশনালিস্টদের এ্যান্টাগনিস্ট এমন দলকে ক্ষমতার চেয়ারে বসানো যাতে করে বাংলাদেশ তাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকে। তারা আওয়ামীলীগকে পেয়েছে। এরা বাঙালি জাতীয়তাবোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, ধর্মনিরপেক্ষতা ইত্যাদি আদর্শের ব্যপারে বেশ এ্যাফার্মেটিভ। ব্যাস! এবার ওদেরকে স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় রেখে হারানো ভূখন্ডকে পুনরুদ্ধারের সেই পুরোনো মিশনকে পূর্নতাদানে যা কিছু করা যায়...। আওয়ামীলীগকে রেখে জাতীয়তাবাদী দল এবং (ইসলাম)ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগার ফলশ্রুতিতে আজ দলটি বিলুপ্তপ্রায়। এবার ৮% বিধর্মী জনগোষ্ঠীর অধিকারের নামে তাদেরকে প্রশাসন,শিক্ষা,নিরাপত্তা, সামরিকসহ প্রতিটি পর্যায়ে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৩০%+ তাদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। সামরিক বাহিনীগুলোয় ২৪%+ লোকই হিন্দু। বাকি যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এরা অধিকাংশই ইসলাম বিদ্বেষী সেকুলারিস্ট, আওমীলীগপন্থী। এদের নামগুলোই শুধু এরাবিক/ইসলামিক। ভেতরে দ্বীনের কিছুই নেই। সামরিকবাহিনীতে জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থক এবং দেশপ্রেমের চেতনাবাহীদেরকে আইসোলেট করে দেওয়া হয়েছে,অনেককে হত্যা করা হয়েছে,তাদেরকে নিয়োগের ক্ষেত্রেও ফিল্টার করা হয়, অল্প কিছু যারা আছে বছর দশেক পর আর রিটায়ারমেন্টের জন্য ন্যাশনালিস্ট/প্যাট্রিয়টদের খুজে পাওয়া যাবে না। ইসলামি চেতনাওয়ালাদেরকে তো ভুলেও নিয়োগ দেওয়া হয়না। শিক্ষাব্যবস্থা এবং সকল রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারক রূপে আছেন একঝাঁক হিন্দুরা। তারা শিক্ষানীতিকে এমনভাবে ঢেলে সাজিয়েছে যেন শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট আর ভাল রেজাল্ট থাকে, কিন্তু ইন্টেলেকচুয়াল ব্লাইন্ড হয়ে বড় হয়। সামরিক বাহিনীতে অমুসলিম/লেফটিস্ট/ধর্মহীন আওয়ামীলীগের দৌরাত্ম্যে, দাপটে সাধারন মানুষ এখন অতিষ্ঠ। স্বাধীন বাকশক্তি বলেও কিছু নেই। অনলাইনেও পরিচয় গোপন করে কিছু প্রকাশ করতে পারবেন না, সে ব্যবস্থাও করেছে। এখন তারা শেষ মুহুর্তে এসে চরম শোষনের দ্বারা শাসন করছে। এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগরাও ভারতকে সুযোগ দিতে দিতে নিজেরাই বিক্রি হয়ে গেছে। হিন্দুদের দ্বারা কোনরূপ সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কথা উচ্চারিত হলেও তাদের কিছুই বলার ক্ষমতা নেই। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী এবং সেনাবাহিনীও ওদের পূর্ন নিয়ন্ত্রনে চলে গেছে। র'(ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা) দ্বারা ওদের মনমতো সর্বত্র দাবার গুটিগুলো চালা হয়ে গেছে। এবার সরিয়ে দেওয়ার বাকি। ওদের পরিকল্পনার সবচেয়ে হুমকি ছিল ইসলামি জাতীয়তাবাদের আদর্শধারী সামরিক সংগঠনগুলো। যেগুলো একদম শুরু থেকেই ক্ষমতাসীনদের দ্বারা নির্মূল করার জন্য আজ পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছে। ওইসব দল গুলোকে তারা যে সুন্দর টার্ম দ্বারা রিফার করে সেটা হচ্ছে 'জঙ্গী'। আজ পর্যন্ত হাজারো কথিত জঙ্গীদের গুম, হত্যা করেও পুরোপুরি নির্মূল করতে পারেনি, পারবেও না। এই সোকল্ড জঙ্গীদের ক্ষমতা আর সংখ্যা আল্লাহ বাড়িয়েই দিচ্ছেন। সেটা গ্রেটার পারপাজের জন্য। হয়ত ওদের আগ্রাসনে এরা ছাড়া আর কাউকেই দাঁড়াতে দেখা যাবে না। যখন আমেরিকা ইরাক, সিরিয়া,আফগান হামলা করে এরাই দাড়িয়েছে, আর কেউই মাজলুম উম্মাহর পাশে দাঁড়ায়নি, দাঁড়াবেও না। উপমহাদেশ একই ভাগ্যের দিকে হাটছে। অন্য সব স্থানের মত এখানেও এরাই শেষ আশা।

এখন যখন বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ সব আঁটঘাঁট বাধা হয়ে গেছে, এখন বাংলার এই হারানো ভূখন্ড উদ্ধারের জন্য হামলা করা এবং হামলার বৈধতা নেওয়া খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজন হলে মিথ্যা মিথ রচনা করে হলেও। এটাই করেছেন প্রিয়া সেন।কাফিরদের নেতা ট্রাম্পও এদেশে মার্কিন যুদ্ধবিমান প্রেরণের হুমকি নগদে দিয়ে দিলেন। এরপরে, এদেশে অবস্থানকারী ভারতীয় জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হিন্দুরা চেষ্টা করবে এমন কিছু করার যাতে ছোটখাটো দাঙ্গা বা বড় আকারে মিথ্যে আক্রমণের স্বীকার হবার নাটক মঞ্চস্থ করা। যাতে শান্তির বার্তা নিয়ে মার্কিন চপার বা রণতরী ভেড়ায় সাথে ভারতীয় সৈন্যদল ঢুকিয়ে দেয়। অনেক আওয়ামীলীগপন্থী ভেবেছিল হাসিনা প্রিয়াসাহার মিথ্যাচারে এ্যাকশান নিবে সরকার। কিন্তু এখন উলটো সংশ্লিষ্ট সকলের সমর্থন দেখা যাচ্ছে। তার মানে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অবস্থানে স্বয়ং সরকারও আছে। এর কারন আজ স্পষ্ট হবে।

দেশ দখলের ব্যপারে যা বলছি সেটাকে সুপারফিশিয়াল কন্সপিরেসি থিওরি টাইপের কিছু ভাবলে ভুল হবে। অধিকাংশ সাধারন মানুষ আগেও কিছুই হবে না বলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছে, আজও একই অবস্থানে আছে। আপনাদের অনেকেরই জানা আছে মহাত্মা গান্ধীজ্বি দেশ ভাগের পর নোয়াখালী গিয়ে বাংলাদেশীদের মধ্যে বঙ্গ-ভারত পুনর্মিলনের জন্য মোটিভেট/ব্রেইনওয়াশ করতে চেয়েছিল। সেই অখন্ড মহাভারতের স্বপ্নকে আজ জিইয়ে রাখতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র(RAW)। এটা 'র এর অফিসাররাই বলে থাকে। R K YADAV নামে সাবেক র এর এক এজেন্ট দাবী করেছেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা করেছে ‘র’, তারা স্বাধীনতার বহু আগে থেকেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গোয়েন্দা তৎপরতা চালাত[১]। আজ বাংলাদেশ প্রায় পুরোপুরিভাবে RAW দ্বারা নিয়ন্ত্রিত[২]। আমাদের স্বাধীনতা যে ভারতের অখণ্ড মহাভারতের স্বপ্নের অংশ ছিল, তা জানতে আরো পড়ুনঃ
http://www.muldharabd.com/?p=1174

আজ বাংলাদেশে র' এত শক্তিশালী যে তারা এখন সশরীরে মাঝেমধ্যে আবির্ভূত হয় শিকারের জন্য। বিডিআর বিদ্রোহ, শাপলাচত্বরের ট্রাজেডি এমনকি বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেতাদেরকে গুম করার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেছে এই 'র'[৩]। 'র গোপনে যেভাবে কাজ করে ঠিক প্রকাশ্যে কাজ করছে এদেরই হিন্দুত্ববাদী আধাসামরিক সংগঠন। আজ এদের অফিসও বাংলাদেশে প্রকাশ্যে আছে। অধিকাংশ সাধারন জনগন জানে না এদের কর্ম উদ্দেশ্য কি। আরএসএস প্রতিষ্ঠা হয় ১৯২৫ সালে। আরএসএস সম্পর্কে উইকিপিডিয়ায় আছে, "রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ( আরএসএস) [১]
[২] ভারতের একটি দক্ষিণপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী , আধাসামরিক [৩] ও বেসরকারী স্বেচ্ছা-সেবক সংগঠন। আরএসএস সংঘ পরিবার নামে হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীর একটি অংশ। [৩] ১৯২৫ সালে নাগপুর-বাসী ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রূপে আরএসএস প্রতিষ্ঠা করেন। [৪] উদ্দেশ্য ছিল ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা ও মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরোধিতা।"[উইকিপিডিয়া]

অর্থাৎ এদের লক্ষ্যই মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠা করে রামরাজত্ব কায়েম।মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদ বলতে ওই সময়ে পাকিস্তান সৃষ্টিতে বাধাদান এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে আলাদা করার জন্য কাজ করা। আরএসএস ভারতের বাইরেও ৩৫টা দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এরা বাংলাদেশে এখন খুবই শক্তিশালী। আরএসএসের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ‘১৯৪৭ সালের আগে পাকিস্তান ছিল না। লোকে বলে ১৯৪৫ সালের আগে সম্পূর্ণটাই হিন্দুস্থান ছিল। ২০২৫ সালের পরে আবার ওটা হিন্দুস্থানের মধ্যে চলে আসবে।’

মুম্বাই সভায় বলেন তিনি আরো বলেন," “কিছু দিনের মধ্যেই পাকিস্তান হবে ভারতের অংশ। ঢাকায় আমরা আমাদের মনোমত সরকার গঠন করে দিয়েছি”!
অখণ্ড ভারত’-এর আশা প্রকাশ করে ইন্দ্রেশ কুমারের দাবি, ভারত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো ভারতীয় ইউনিয়ন অব অখণ্ড ভারত সৃষ্টির পথে যেতে পারে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারও সহযোগী ভূমিকা পালন করছে বলে দিল্লির তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইন্দ্রেশ কুমারের মন্তব্য, ‘আর মাত্র পাঁচ/সাতটা বছর। এরপরে করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিণ্ডি কিংবা শিয়ালকোটে বাড়ি করতে পারবেন, ব্যবসাও করতে পারবেন আপনারা।’[৪]

সুতরাং আশাকরি বুঝতে পারছেন, বাংলাদেশ অনেক আগে থেকেই তাদের কব্জায় চলে গিয়েছে। এখন দেশপ্রেমিক/দেশীয়জাতীয়তাবাদীদেরকেও বিলুপ্ত করে তাদের মহাপরিকল্পনার শেষ পর্যায়ে অবস্থান করছে। তাদের ইচ্ছানুযায়ীই দেশে সরকার আসছে..যাচ্ছে। এখন পুরোপুরি ওদের নিয়ন্ত্রিত সরকার, এজন্য দেখেছে ভারতের বিজেপিপন্থী ইস্কনের রাষ্ট্রদ্রোহী হিন্দুর বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলেও উইথড্র হয়ে যাচ্ছে।

আরএসএস নেতার কথায় কেমন বোধ করছেন? স্পষ্টভাবে বললো বাংলাদেশ সরকার তাদের অনুকূলে কাজ করছে। তার মানে বাংলাদেশ সরকার অখণ্ড ভারত বিনির্মাণে ভারতের পাশে আছে। অর্থাৎ একদিক দিয়ে ভাবলে এরা স্বাধীন দেশের শত্রু হিসেবেই কাজ করছে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে বিক্রি করে দিয়েছে। অথচ অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বুলি আওড়ে মানুষকে বোকা বানিয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সেচ্ছাসেবক সংঘ ১৯৯২ সালে বাবরী মসজিদে হামলাকারী। আরএসএস আদর্শগতভাগে ফ্যাসিজমে বিশ্বাসী। এরা হিটলারকে আদর্শ হিসেবে মান্য করে। পাশাপাশি ইজরাইলকেও নেতারা পূর্ন সমর্থন করতেন।এটা উইকিপিডিয়াতেও উল্লিখিত আছেঃ
"দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আরএসএসের নেতারা প্রকাশ্যে আডলফ হিটলারের প্রশংসা করতেন। মাধব সদাশিব গোলবলকার যিনি
হেডগেওয়ারের পরে আরএসএসের পরবর্তী সর্বোচ্চ প্রধান হয়েছিলেন, তিনি
হিটলারের বর্ণ-বিশুদ্ধতা মতবাদে অনুপ্রাণীত ছিলেন। কিন্তু কিছু আরএসএস নেতারা ইসরায়েলপন্থীও ছিলেন, বস্তুত সাভারকর ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল গঠনের সময় পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন।"[উইকিপিডিয়া]

আরএসএস বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছিল। কারন তাদের ভেতর সেই অবিভক্ত মহাভারত গড়ার স্বপ্ন। উইকিপিডিয়া অনুযায়ীঃ
"১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় আরএসএস সদস্যরা ভারতের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্বেচ্ছা-সেবী হয়ে কাজ করেছিল এবং যুদ্ধকালীন সময়ে তারাই প্রথম রক্তদান কর্মসূচী পালন করেছিল।"[উইকিপিডিয়া]

শুধু আরএসএস নয়, আরও অনেক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ভারতের হারানো ভূখণ্ড ফিরে পেতে চায়, গড়তে চায় অখণ্ড মহাভারত। এর মধ্যে আছে হিন্দু মহাসভা, কাকভূষুণ্ডী রেভ্যুলুশ্যনারী ফোরাম, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ,হিন্দু জনজাগ্রত পরিষদ এবং ভারতীয় জনতা পার্টি।
The call for creation of the Akhand Bharat or Akhand Hindusthan has on occasions been raised by Indian Hindutvawadi cultural and political organisations such as the Hindu Mahasabha , Kakbhusundi Revolutionary Forum (KRF), Rashtriya Swayamsevak Sangh (RSS), Vishwa Hindu Parishad, Hindu Janajagruti Samiti , and Bharatiya Janata Party.

ইতোমধ্যে ইন্ডিয়ান রিইউনিফিকেশন এ্যাসোসিয়েশন গঠন হয়ে গেছে। অখণ্ড ভারতের চেতনাধারীরা সাধারণত উগ্রহিন্দুত্ববাদী আগ্রাসী সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাসীঃ
The creation of an Akhand Bharat is also ideologically linked with the concept of
Hindutva (Hinduness) and the ideas of
sangathan (unity) and shuddhi (purification) that seek to focus modern Indian politics on a legendary ancient civilisation and heritage of the Indian subcontinent .

এরা যে ভূখণ্ডগুলো দখল চায় সেসব প্রধানত হচ্ছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। আরো আছে, আফগানিস্তান, মিয়ানমার এমনকি চীনের সীমান্তবর্তী তিব্বতের কিছু অংশ। তবে সর্বপ্রথম লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে কব্জায় আনা। ভারতে সবচেয়ে সক্রিয় সামরিক সন্ত্রাসী সংগঠন আরএসএস তো অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন দেখেই সাথে তাদের সাথে সংযুক্ত রাজনৈতিক দল বিজেপিও এই স্বপ্ন লালন করে। শুধু আজকের ক্ষমতাসীন বিজেপি দলটিই নয়, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদী অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন লালন করেন এবং এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অর্থাৎ নরেদ্রমোদী ও তার দলের সকল নেতারাও চান বাংলাদেশের ভূখণ্ড দখল করতে। উইকিপিডিয়া থেকেঃ
While the leadership of the right-wing BJP wavers on the issue, the RSS has always been a strong proponent of the idea. [12][13] RSS leader H. V. Seshadri 's book The Tragic Story of Partition stresses the importance of the concept of Akhand Bharat. [14] The RSS affiliated magazine Organiser often publishes editorials by leaders such as the present
Sarsanghachalak , Mohan Bhagwat , espousing the philosophy that only Akhand Bharat and
sampoorna samaj (united society) can bring "real" freedom to the people of India.
The call for Indian reunification has been supported by Indian Prime Minister Narendra Modi [16] , and BJP National General Secretary
Ram Madhav . Mr. K.J.Anand Leader Achchedin taken special lead to explore the possibility.[৬]

অতএব সুস্পষ্টভাবে বুঝতে চাচ্ছে ভারতের গোয়েন্দা,ক্ষমতাসীন শাসক,দল ওদের সন্ত্রাসী সংঠন আরএসএস এবং বাংলাদেশে বসানো পাপেট শাসকবর্গ এক হয়ে কাজ করছে।

অখন্ড ভারত বিনির্মাণে ভারত সরকারের পাশে আছে অনেক আলিম উলামা। এমনকি দেওবন্দের আলিমগনও পিছিয়ে নেই। সাধারণত ভারতে অবস্থানরত মুসলিমরা নিজেদেরকে অসহায় নিষ্পেষিত অবস্থায় সেদেশে দেখতে পায়,হয়ত সে অবস্থায় তারা ভারতের ভেতরে আলাদা মুসলিমদের সার্বভৌম অঞ্চল গুলোকে আলাদা দেখতে পছন্দ করে না, তারা হয়ত প্রত্যাশা করে যে ভূখণ্ড গুলো ভারত কর্তৃক পুনরুদ্ধার হলে মাইনরিটি ক্রাইসিস কিছু হলেও ঘুচবে। আল্লাহই ভাল জানেন তাদের হৃদয়ের খবর।
Khaksar Movement leader Allama Mashriqi opposed the partition of India because he felt that if Muslims and Hindus had largely lived peacefully together in India for centuries, they could also do so in a free and united India. [3] Mashriqi saw the two-nation theory as a plot of the British to maintain control of the region more easily, if India was divided into two countries that were pitted against one another. [3] He reasoned that a division of India along religious lines would breed fundamentalism and extremism on both sides of the border. [3] Mashriqi thought that "Muslim majority areas were already under Muslim rule, so if any Muslims wanted to move to these areas, they were free to do so without having to divide the country." [3] To him, separatist leaders "were power hungry and misleading Muslims in order to bolster their own power by serving the British agenda."

The author of Composite Nationalism and Islam , Maulana Husain Ahmad Madani , a Deobandi Muslim scholar and proponent of a united India, argued that in order to maintain their divide and rule policy, the British were attempting to "scare Muslims into imagining that in a free India Muslims would lose their separate identity, and be absorbed into the Hindu fold", a threat that "aim[ed] at depoliticizing the Muslims, weaning them away from struggle for independence." [4] In the eyes of Madani, support for a two-nation theory resulted in the entrenchment of British imperialism.[উইকিপিডিয়া]

বিজেপির ছত্রছায়ায় থাকা আরএসএসের এক মুখপাত্র রাম মাধব বলেন, "আরএসএস এখনো বিশ্বাস করে যে একদিন ওই ভুখণ্ডগুলো যেগুলো ৬০ বছর আগে ঐতিহাসিক প্রয়োজনে আলাদা হয়েছিল, সেগুলো আবারো একীভূত হবে এবং অখণ্ড মহাভারত সৃষ্টি হবে"।

Ram Madhav, a spokesman for the Rashtriya Swayamsevak Sangh , a Hindutva organisation, stated that “The RSS still believes that one day these parts, which have for historical reasons separated only 60 years ago, will again, through popular goodwill, come together and Akhand Bharat will be created.”[৭]

সুতরাং হঠাৎ করে যে আমাদের দেশে হিন্দুত্ববাদের উত্থান, হিন্দু শিক্ষাকে পাঠ্যপুস্তকে স্থানদান, হিন্দু অপরাধীদের প্রতি প্রশাসনের নির্বিকারভাব, চাকরিতে কোটা দিয়ে হিন্দুদের অগ্রাধিকার দিতে দিতে এখন ৩০%+ সরকারী চাকুরী হিন্দুদের দখলে দিয়ে দেওয়া, সামরিক বাহিনীগুলোর উচ্চ পদে হিন্দুদেরকে গনহারে নিয়োগ, দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে RAW এর হস্তক্ষেপ,উগ্রহিন্দুত্ববাদি দলের রাষ্ট্রদ্রোহিতার সাহসিকতা.. প্রভৃতি বিষয়গুলো আদৌ কো-ইন্সিডেন্টস নয়। হয়ত লক্ষ নরনারীর রক্তসিক্ত স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হবার ক্ষণ খুবই নিকটে। এতগুলো প্রাণের আত্মত্যাগ বৃথা হতে দেখাটা খুবই কষ্টের। হয়ত ভারত তার ঐতিহাসিক প্রয়োজনে তাদেরকে ব্যবহার করেছিল। নামমাত্র স্বাধীনতা লাভ করেও আমরা মূলত দীর্ঘকাল ধরে পরাধীন অবস্থায়ই ছিলাম, সেটাও শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি উপরে যেসকল তথ্য দিয়েছি সেসবই প্রায় উন্মুক্ত তথ্য। যেসব জার্নালিস্ট,সাংবাদিকরা অনেক ভেতরের তথ্য সম্পর্কে ধারনা রাখে তারা খুব ভাল করেই জানেন, আমাদের স্বাধীনতা আজ যে পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে তা থেকে উত্তরণের কোন পথ নেই। ভারত বাংলার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। খুব শীঘ্রই হয়ত লেন্দুপ দর্জি,সিক্কিমের আরেকটি ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে। সিক্কিমের সাথে যা করা হয়েছিল, এর চেয়েও বাংলাদেশে ভারতের পরিকল্পনামাফিক কর্মকাণ্ড আরো সুদৃঢ়। আমরা আজ এদেশে মুসলিম মেজরিটির অনুভূতি নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছি, খুব শীঘ্রই মাইনরিটি হতে যাচ্ছি। এ (প্র)দেশেও নেমে আসবে নির্যাতন আর গনহত্যার নানান চিত্র। রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বাশি বাজাচ্ছিল, আমরাও ওই একই অবস্থানে আছি।দিনগুলো ভাল যাচ্ছে দেখে কপালে চিন্তার রেখা তৈরি হচ্ছে না, সবসময় ভাবতে ভালবাসি এ অবস্থাই থাকবে চিরদিন।

ভারত ঠিক সেই অনুভূতি থেকে পাকবাংলার ভূখণ্ড ফেরত পেতে চায়, যে অনুভূতি থেকে আমরাও পার্বত্য চট্টগ্রাম কিংবা খুলনার কিছু অংশকে ফিরে পেতে চাইতাম, যদি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সফল হতো। আজ অথবা কাল ঠিকই ভারত আদায় করে নেবে। আমাদের যেটা পরিণতির ভবিষ্যদ্বাণী স্বস্তি দেয় সেটা হচ্ছে বিভক্ত ভারত আবারও অবিভক্ত হবে, এবং সেটা থাকবে কালপতাকার ছায়াতলে। হয়ত আজও মুসলিমদের নিদ্রা কাটেনি, কিন্তু বোমার শব্দে ঠিকই কাটবে, আল্লাহ ঠিক এভাবেই তার পথে হাকিয়ে নিয়ে আসবেন দ্বীনবিমুখ(কিত্বাল) জাতিকে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "অচিরেই কাফের মুশরিক জোট ঐক্যবদ্ধ হয়ে তোমাদের উপর আক্রমন করার জন্য তারা একে অপরকে আহবান করতে থাকবে, যেভাবে খাবারের দস্তরখানের দিকে লোকদেরকে ডাকা হয়ে থাকে। একজন সাহাবী দাড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! সেদিন কি আমরা সংখ্যায় কম হব? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, না। বরং সেদিন তোমরা সংখ্যায় অনেক বেশি হবে। তবে তোমাদের অবস্থা হবে বন্যায় ভাসমান খড়কুটার মত। আল্লাহ্ তা'য়ালা তোমাদের শত্রুদের অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দিবেন এবং তোমাদের অন্তরে অহান ঢেলে দিবেন। একজন জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলুল্লাহু অহান কি জিনিস? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, অহান হচ্ছে, দুনিয়ার ভালবাসা এবং মৃত্যকে অপছন্দ করা।"মুসনদে আহমদের অপর হাদীসে বর্নিত হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, "অহান হচ্ছে, দুনিয়ার প্রতি ভালবাসা ও আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধকে অপছন্দ করা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা কে অপছন্দ করা।"[সুনানে আবু দাঊদ]

আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন, "যখন তোমরা ইনা নামক সূদী কারবারে জড়িত হয়ে যাবে, গরুর লেজ ধরবে এবং চাষাবাদ নিয়েই সন্তুষ্ট হয়ে যাবে এবং জিহাদ ছেড়ে দিবে তখন আল্লাহ্ তা'য়ালা তোমাদের উপর লাঞ্ছনাকে চাপিয়ে দিবেন। এই লাঞ্ছনা ততদিন পর্যন্ত তোমাদের থেকে তুলে নেয়া হবে না যতদিন না তোমরা তোমাদের দ্বীনের দিকে ফিরে আসবে।"[মুসানাদে আহমাদ,আবু দাঊদ]

The Islamist group Lashkar-e-Taiba has framed the prophecy of Ghazwa-e-Hind , as one in which India is defeated and united with Pakistan, unifying the Indian subcontinent under Muslim rule.[উইকিপিডিয়া]

হিন্দুস্তানের চূড়ান্তযুদ্ধ সংক্রান্ত হাদিসঃ

১ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى الزَّمِنُ، ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ صُرَيْمٍ السَّكُونِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَتُقَاتِلُنَّ الْمُشْرِكِينَ، حَتَّى تُقَاتِلَ بَقِيَّتُكُمُ الدَّجَّالَ، عَلَى نَهْرٍ بِالأُرْدُنِّ، أَنْتُمْ شَرْقِيَّهُ وَهُمْ غَرْبِيَّهُ، وَمَا أَدْرِي، أَيْنَ الأُرْدُنُّ يَوْمَئِذٍ مِنَ الأَرْضِ.
অর্থ : সুরাইম রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিঃসন্দেহে তোমরা মুশরিকদের (মূর্তিপূজারীদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে; এমনকি এ যুদ্ধে তোমাদের অবশিষ্ট মুজাহিদরা জর্ডান নদীর তীরে দাজ্জালের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। এই যুদ্ধে তোমরা পূর্ব দিকে অবস্থান করবে আর দাজ্জালের অবস্থান হবে পশ্চিম দিকে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জানি না, সেদিন জর্ডান কোথায় অবস্থিত হবে?
সূত্র :
১. কাশফুল আসতার আন জাওয়াইদিল বাজ্জার : ৪/১৩৮, হা. নং ৩৩৮৭, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরুত-
২. মাজমাউজ জাওয়ায়িদ : ৭/৩৪৮-৩৪৯, হা. নং ১২৫৪২, প্র. মাকতাবাতুল কুদসি, কায়রো-
মান :
এর সনদ বিশুদ্ধ। হাফিজ হাইসামি রহ. হাদিসটি উল্লেখ করে বলেন, এটি ইমাম তাবারানি রহ. ও ইমাম বাজ্জার রহ. বর্ণনা করেছেন। আর বাজ্জারে বর্ণিত হাদিসটির বর্ণনাকারী সবাই নির্ভরযোগ্য।
(দেখুন, মাজমাউজ জাওয়ায়িদ : ৭/৩৪৮-৩৪৯, হা. নং ১২৫৪২, প্র. মাকতাবাতুল কুদসি, কায়রো)
২ নং হাদিস :
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَيَّارٌ أَبُو الْحَكَمِ، عَنْ جَبْرِ بْنِ عَبِيدَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: وَعَدَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ الْهِنْدِ، فَإِنْ أَدْرَكْتُهَا أُنْفِقْ فِيهَا نَفْسِي وَمَالِي، وَإِنْ قُتِلْتُ كُنْتُ أَفْضَلَ الشُّهَدَاءِ، وَإِنْ رَجَعْتُ فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ.
অর্থ : হজরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে হিন্দুস্তানের জিহাদ সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদি আমি সে জিহাদ পেয়ে যাই তাহলে আমি আমার জান-মাল সব কিছু তাতে ব্যয় করব। এতে যদি আমি শাহাদত বরণ করি তাহলে আমি হব সর্বশ্রেষ্ঠ শহিদ। আর যদি গাজি হয়ে ফিরে আসি তাহলে আমি হব (জাহান্নামের আগুন থেকে) মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা।
সূত্র :
১. সুনানুন নাসায়ি : ৬/৪২, হা. নং ৩১৭৪, প্র. মাকতাবুআতিল ইসলামিয়্যা, হালব-
২. আস-সুনানুল কুবরা, বাইহাকি : ৯/২৯৭, হা. নং ১৮৫৯৯, প্র. দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত-
৩. মুসনাদু আহমাদ : ১২/২৮-২৯, হা. নং ৭১২৮, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত-
৪. মুসতাদরাকুল হাকিম : ৩/৫৮৮, হা. নং ১৭৭৫/৬১৭৭, প্র. দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত-
৫. হিলইয়াতুল আওলিয়া : ৮/৩১৬, প্র. আস-সাআদা, মিসর-
৬. আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪০৯, হা. নং ১২৩৭, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-
মান :
এ বর্ণনাটির সনদ হাসান তথা উত্তম। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের সবাই নির্ভরযোগ্য হলেও জাবর বিন আবিদা নামক একজন বর্ণনাকারীর ব্যাপারে সামান্য একটু বিতর্ক আছে। ইমাম ইবনে হিব্বান রহ. তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। হাফিজ জাহাবি রহ. দুর্বল রাবি বললেও হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানি রহ. তার বিপরীতে তাকে মাকবুল বা গ্রহণীয় রাবি বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। (দেখুন, তাকরিবুত তাহজিব : ১/৩৩৭, জীবনী নং ৮৯২)
এছাড়াও এর সমর্থনে আরও কিছু হাদিস রয়েছে। যেমন 'মুসনাদু আহমাদ'-এর ১৪/৪১৯ পৃষ্ঠার ৮৮২৩ নং হাদিস এবং ইমাম ইবনে আবি আসিম রহ. বিরচিত ‘আল জিহাদ’ গ্রন্থের ২৯১ নং হাদিস।
৩ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَالِمٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنْ لُقْمَانَ بْنِ عَامِرٍ الْوُصَابِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى بْنِ عَدِيٍّ الْبَهْرَانِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: عِصَابَتَانِ مِنْ أُمَّتِي أَحْرَزَهُمُ اللهُ مِنَ النَّارِ: عِصَابَةٌ تَغْزُو الْهِنْدَ، وَعِصَابَةٌ تَكُونُ مَعَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ.
অর্থ : হজরত সাওবান রা. সূত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে হতে দুটি দলকে আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে নিরাপত্তা দিয়েছেন। একটি দল, যারা হিন্দুস্তানের যুদ্ধে শরিক হবে। আর দ্বিতীয় আরেকটি দল, যারা ইসা ইবনে মারইয়াম আ.-এর সঙ্গে মিলে যুদ্ধ করবে।
সূত্র :
১. মুসনাদু আহমাদ : ৩৭/৮১, হা. নং ২২৩৯৬, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত-
২. সুনানুন নাসায়ি : ৬/৪২, হা. নং ৩১৭৫, প্র. মাকতাবুল মাতবুআতিল ইসলামিয়্যা, হালব-
৩. আস-সুনানুল কুবরা, বাইহাকি : ৯/২৯৭, হা. নং ১৮৬০০, প্র. দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত-
৪. আল-মুজামুল আওসাত : ৭/২৩, হা. নং ৬৭৪১ প্র. দারুল হারামাইন, কায়রো-
৫. আত তারিখুল কাবির : ৬/৭২-৭৩, জীবনী নং ১৭৪৭, প্র. দায়িরাতুল মাআরিফিল উসমানিয়্যা, হায়দারাবাদ-
৬. আল কামিল, ইবনে আদি : ২/৪০৮, জীবনী নং ৩৫১, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত-
মান :
এ হাদিসটি হাসান। এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে বাকিয়্যা বিন অলিদ নামক একজন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী আছে। তবে বর্ণনার ক্ষেত্রে তিনি عن এর পরিবর্তে حدثنا ব্যবহার করায় এখানে তাদলিসজনিত কোনো দুর্বলতা সৃষ্টি হয়নি। আর আবু বকর বিন অলিদ মাজহুলুল হাল হলেও নির্ভরযোগ্য রাবি আব্দুল্লাহ বিন সালিম আশআরি রহ.-এর মুতাবাআত (অনুরূপ বর্ণনা) থাকায় হাদিসটি হাসান হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকল না।
৪ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا الْبَرَاءُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي خَلِيلِي الصَّادِقُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: يَكُونُ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ بَعْثٌ إِلَى السِّنْدِ وَالْهِنْدِ، فَإِنْ أَنَا أَدْرَكْتُهُ فَاسْتُشْهِدْتُ فَذَاكَ، وَإِنْ أَنَا فَذَكَرَ كَلِمَةً رَجَعْتُ وَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ قَدْ أَعْتَقَنِي مِنَ النَّارِ.
অর্থ : হজরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার সত্যবাদী বন্ধু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বর্ণনা করত বলেছেন, এ উম্মতের মধ্যে সিন্ধু ও হিন্দুস্তানের দিকে একটি যুদ্ধাভিযান পরিচালিত হবে। (আবু হুরাইরা রা. বলেন,) আমি যদি সে যুদ্ধ পেয়ে যাই, অতঃপর যুদ্ধ করতে করতে শহিদ হয়ে যাই তাহলে তো আমি মহাসৌভাগ্যবান। আর যদি আমি গাজি হযে ফিরে আসি তাহলে আমি হব মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা। আল্লাহ আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তিদান করেছেন।
সূত্র :
মুসনাদু আহমাদ : ১৪/৪১৯, হা. নং ৭১২৮, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত-
মান :
এ বর্ণনাটির সনদ জইফ। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে বারা বিন আব্দুল্লাহ গানাবি নামক একজন দুর্বল বর্ণনাকারী আছে। এছাড়াও এতে হাসান বসরি রহ. এবং আবু হুরাইরা রা.-এর মাঝে সূত্র বিচ্ছিন্নতার অভিযোগ রয়েছে। যেহেতু অধিকাংশ মুহাদ্দিসদের মতানুসারে হাসান বসরি রহ. আবু হুরাইরা রা. থেকে সরাসরি কোনো হাদিস শোনেননি।
৫ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا أَبُو الْجَوْزَاءِ أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ - وَكَانَ مِنْ نُسَّاكِ أَهْلِ الْبَصْرَةِ - قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ قَالَ: حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ كِنَانَةَ بْنِ نُبَيْهٍ مَوْلَى صَفِيَّةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ غَزْوَةَ الْهِنْدِ، فَإِنْ أُدْرِكْهَا أُنْفِقْ فِيهَا نَفْسِي وَمَالِي، فَإِنْ قُتِلْتُ كُنْتُ كَأَفْضَلِ الشُّهَدَاءِ، وَإِنْ رَجَعْتُ فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ.
অর্থ : হজরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে হিন্দুস্তানের জিহাদ সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমি যদি সে জিহাদ পেয়ে যাই তাহলে তাতে আমি আমার জান-মাল সব কিছু ব্যয় করব। এতে যদি আমি শাহাদত বরণ করি তাহলে আমি হব সর্বশ্রেষ্ঠ শহিদের ন্যায়। আর যদি গাজি হয়ে ফিরে আসি তাহলে আমি হব (জাহান্নামের আগুন থেকে) মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা।
সূত্র :
আল-জিহাদ, ইবনু আবি আসিম : ২/৬৬৮, হা. নং ২৯১, প্র. মাকতাবাতুল উলুম ওয়াল হিকাম, মদিনা-
মান :
এ বর্ণনাটি জইফ। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে হাশিম বিন সাইদ নামক একজন দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছে। অবশ্য কিনানা বিন নুবাইহকে ইমাম আজদি রহ. জইফ বললেও হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানি রহ. তা প্রত্যাখ্যান করে তাকে মাকবুল বা গ্রহণীয় রাবি বলে অভিহিত করেছেন।
৬ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ صَفْوَانَ، عَنْ بَعْضِ الْمَشْيَخَةِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَكَرَ الْهِنْدَ، فَقَالَ: لَيَغْزُوَنَّ الْهِنْدَ لَكُمْ جَيْشٌ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ حَتَّى يَأْتُوا بِمُلُوكِهِمْ مُغَلَّلِينَ بِالسَّلَاسِلِ، يَغْفِرُ اللَّهُ ذُنُوبَهُمْ، فَيَنْصَرِفُونَ حِينَ يَنْصَرِفُونَ فَيَجِدُونَ ابْنَ مَرْيَمَ بِالشَّامِ. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: إِنْ أَنَا أَدْرَكْتُ تِلْكَ الْغَزْوَةَ بِعْتُ كُلَّ طَارِفٍ لِي وَتَالِدٍ وَغَزَوْتُهَا، فَإِذَا فَتْحَ اللَّهُ عَلَيْنَا وَانْصَرَفْنَا فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرِّرُ، يَقْدَمُ الشَّامَ فَيَجِدُ فِيهَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، فَلَأَحْرِصَنَّ أَنْ أَدْنُوَ مِنْهُ فَأُخْبِرُهُ أَنِّي قَدْ صَحِبْتُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَحِكَ، ثُمَّ قَالَ: هَيْهَاتَ هَيْهَاتَ.
অর্থ : আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিন্দুস্তানের যুদ্ধের আলোচনার প্রাক্কালে বলেছেন, অবশ্যই তোমাদের একটি দল হিন্দুস্থানের সাথে যুদ্ধ করবে। আল্লাহ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন এবং তারা হিন্দুস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানদের শিকল/বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে। আল্লাহ তাআলা সেই দলের যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন। অতঃপর মুসলিমরা যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ইসা ইবনে মারইয়াম আ.-কে সিরিয়ায় পেয়ে যাবে। হজরত আবু হুরাইরা রাযি. বলেন, আমি যদি গাজওয়াতুল হিন্দে অংশগ্রহণের সু্যোগ পাই তাহলে আমি আমার নতুন পুরাতন সব সম্পদ বিক্রি করে দেবো এবং এতে অংশগ্রহণ করব। এরপর যখন আল্লাহ তাআলা আমাদের বিজয় দান করবেন এবং আমরা যুদ্ধ থেকে ফিরে আসব তখন আমি হব (জাহান্নামের আগুন হতে) মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা, যে সিরিয়ায় গিয়ে ইসা ইবনে মারইয়াম আ.-এর সাথে মিলিত হবে। হে আল্লাহর রাসুল, আমার খুব আকাঙ্ক্ষা যে, আমি ইসা আ.-এর নিকটবর্তী হয়ে তাঁকে বলব যে, আমি আপনার সংশ্রবপ্রাপ্ত একজন সাহাবি। তিনি বলেন, এতে রাসুলুল্লাহ সা. মুচকি মুচকি হাসতে লাগলেন এবং বললেন, সে (যুদ্ধ) তো অনেক দেরি! অনেক দেরি!!
সূত্র :
আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪০৯, হা. নং ১২৩৬, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-
মান :
এ সনদটি জইফ। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে বাকিয়্যা বিন অলিদ নামক একজন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী আছে। এছাড়াও আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণনাকারী এখানে অজ্ঞাত।
৭ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنْ كَعْبٍ، قَالَ: يَبْعَثُ مَلِكٌ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ جَيْشًا إِلَى الْهِنْدِ فَيَفْتَحُهَا، فَيَطَئُوا أَرْضَ الْهِنْدِ، وَيَأْخُذُوا كُنُوزَهَا، فَيُصَيِّرُهُ ذَلِكَ الْمَلِكُ حِلْيَةً لَبَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَيُقْدِمُ عَلَيْهِ ذَلِكَ الْجَيْشُ بِمُلُوكِ الْهِنْدِ مُغَلَّلِينَ، وَيُفْتَحُ لَهُ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، وَيَكُونُ مَقَامُهُمْ فِي الْهِنْدِ إِلَى خُرُوجِ الدَّجَّالِ.
অর্থ : হজরত কাব রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জেরুজালেমের একজন বাদশাহ হিন্দুস্তানের দিকে একটি সৈন্যদল পাঠাবেন। সৈন্যদল হিন্দুস্তানের ভূমি জয় করে তা পদানত করবে। এর অর্থ-ভাণ্ডার দখল করবে। তারপর বাদশাহ এসব ধনদৌলত বাইতুল মুকাদ্দাসে সাজিয়ে রাখবেন। সৈন্যদলটি হিন্দুস্তানের রাজাদের শিকল দিয়ে বেঁধে বন্দি করে তাঁর নিকট উপস্থিত করবে। প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সকল এলাকায় তাঁর বিজয়ার্জন হবে। দাজ্জালের আবির্ভাব পর্যন্ত তাঁরা হিন্দুস্তানেই অবস্থান করবেন।
সূত্র :
আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪০৯, হা. নং ১২৩৫, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-
মান :
এটার সনদ জইফ। কেননা, কাব রহ. থেকে বর্ণনাকারীর নাম এখানে অস্পষ্ট। আর এটা 'মাকতু' তথা তাবিয়ি বর্ণিত একটি হাদিস।
৮ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ جَرَّاحٍ، عَنْ أَرْطَاةَ، قَالَ: عَلَى يَدَيْ ذَلِكَ الْخَلِيفَةِ الْيَمَانِيِّ الَّذِي تُفْتَحُ الْقُسْطَنْطِينِيَّةُ وَرُومِيَّةُ عَلَى يَدَيْهِ، يَخْرُجُ الدَّجَّالُ وَفِي زَمَانِهِ يَنْزِلُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَلَى يَدَيْهِ تَكُونُ غَزْوَةُ الْهِنْدِ، وَهُوَ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ، غَزْوَةُ الْهِنْدِ الَّتِي قَالَ فِيهَا أَبُو هُرَيْرَةَ.
অর্থ : হজরত আরতাত রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ইয়ামানি খলিফার নেতৃত্বে ইসতামবুল ও রোম (ইউরোপ) বিজয় হবে, তাঁর সময়েই দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে, তাঁর যুগেই ইসা ইবনে মারইয়াম আ. অবতরণ করবেন এবং তাঁর নেতৃত্বেই হিন্দুস্তানের যুদ্ধ সংঘটিত হবে। তিনি হবেন হাশিমি বংশের লোক। গাজওয়াতুল হিন্দ বলতে ঐ যুদ্ধ উদ্দেশ্য, যে ব্যাপারে আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেছেন।
সূত্র :
আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪১০, হা. নং ১২৩৮, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-
মান :
এটার সনদ জইফ। কেননা, এতে অলিদ বিন মুসলিম নামক একজন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী আছে, যে হাদিসটি عن দ্বারা বর্ণনা করেছে। আর এটা 'মাকতু' তথা তাবিয়ি বর্ণিত একটি হাদিস।
গাজওয়াতুল হিন্দের হাদিসগুলোর সম্মিলিত মান :
উপরিউক্ত হাদিসগুলোর কিছু সহিহ, কিছু হাসান এবং কিছু জইফ। তবে এ জইফগুলো একটিও মারাত্মক নয়; বরং সবগুলোই সহনীয় পর্যায়ের। সবগুলো সনদ একসাথে করলে সম্মিলিতভাবে গাজওয়াতুল হিন্দের হাদিস সহিহ (বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত) বা কমপক্ষে হাসান (উত্তম সূত্রে বর্ণিত) পর্যায়ের বলে সাব্যস্ত হয়।
এজন্যই শাইখ আলবানি রহ. সুনানে নাসায়িতে বর্ণিত গাজওয়াতুল হিন্দের হাদিসটিকে সহিহ বলে আখ্যায়িত করেছেন। (দেখুন, সুনানুন নাসায়ি : ৬/৪২, হা. নং ৩১৭৫, প্র. মাকতাবুল মাতবুআতিল ইসলামিয়্যা, হালব) আর সিলসিলাতুস সহিহা-তে এর সনদকে জাইয়িদ বা হাসান বলে অভিহিত করেছেন। (দেখুন : সিলসিলাতুল আহাহাদিসিস সহিহা : ৪/৫৭০, হা. নং ১৯৩৪, প্র. মাকতাবাতুল মাআরিফ, রিয়াদ) এছাড়াও শাইখ শুআইব আরনাওত রহ. মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত উক্ত হাদিসকে হাসান বলে অভিহিত করেছেন। (দেখুন, মুসনাদু আহমাদ : ৩৭/৮১, হা. নং ২২৩৯৬, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত)
শাইখ হামুদ তুওয়াইজিরি বলেন :
وما ذكر في حديث أبي هريرة رضي الله عنه الذي رواه نعيم بن حماد من غزو الهند؛ فهو لم يقع إلى الآن، وسيقع عند نزول عيسى ابن مريم عليهما الصلاة والسلام إن صح الحديث بذلك.
অর্থ : নুআইম বিন হাম্মাদ কর্তৃক বর্ণিত আবু হুরাইরা রা.-এর হাদিসে যে গাজওয়াতুল হিন্দের কথা এসেছে তা এখনও সংঘটিত হয়নি। এ হাদিসটি সহিহ হলে সত্বরই তা ইসা আ.-এর অবতরণের সময়কালে সংঘটিত হবে।
সূত্র :
ইতহাফুল জামাআহ : ১/৩৬৬, গাজওয়াতুল হিন্দসংক্রান্ত অধ্যায়, প্র. দারু সামিয়ি, রিয়াদ-
শাইখ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ বলেন :
الذي يبدو من ظاهر حديث ثوبان وحديث أبي هريرة ـ إن صح ـ أن غزوة الهند المقصودة ستكون في آخر الزمان ، في زمن قرب نزول عيسى بن مريم عليهما السلام ، وليس في الزمن القريب الذي وقع في عهد معاوية بن أبي سفيان رضي الله عنه
অর্থ : সাওবান রা. ও আবু হুরাইরা রা. এর হাদিস সহিহ হয়ে থাকলে এর স্পষ্ট ভাষ্য থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, কাঙ্খিত গাজওয়াতুল হিন্দ শেষ জমানায় ইসা আ.-এর অবতরণের নিকটবর্তী সময়ে সংঘটিত হবে। মুআবিয়া রা.-এর যুগের কাছাকাছি সময়ে যে সকল যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, সেগুলো নয়।
সূত্র :
ইসলাম সুওয়াল ও জাওয়াব : প্রশ্নোত্তর নং ১৪৫৬৩৬




রেফঃ

Sunday, July 21, 2019

নির্মাণকার্যে পশু ও নরবলি প্রথা : Pact with Devil



ছোটবেলায় গ্রামে যখন স্লুইচ গেইটের নির্মাণকাজ চলছিল, ওদিকটায় যেতে চাইলে বড়দের মুখে অনেক নিষেধাজ্ঞা শুনতাম। তারা বলত, ওদিকে গেলে গলাকাটারা ধরে নিয়ে যাবে। শুনতাম, মাথা কেটে নাকি ঢালাইয়ের সাথে মেশানো হয়। এখন পদ্মাসেতুর মত অনেক বড় কাজ ধরেছে। স্বাভাবিকভাবেই এরকম কোন রিচুয়ালিস্টিক প্র‍্যাক্টিস থাকলে সেটার ডিম্যান্ড অনেক অনেক বেশি। যখন এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রচারণা, লেখালিখি, ট্রোল শুরু হয়, একেবারে গুজব বলে উড়িয়ে দেই নি। কারন এর বহু আগেই কোন এক দৈনিক পত্রিকায় বিদেশী নির্মানকারীদের মোরগ, ছাগল ইত্যাদি পশুর বলি দেওয়ার খবর ছেপেছিল, পড়েছিলাম। 

এরপরে শুনলাম পদ্মা সেতুতেও নাকি গরু বলি দেওয়া হয়েছে। রক্ত নদীর পানিতে দেওয়া হয়েছে। যদি নরবলিদানের চাহিদা থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা প্রকাশ্যে প্রচার করা সরকারের জন্য ভাল হবেনা।তবে সরকার একাজে বেশ সফল যে বিরাট জনগোষ্ঠীর মুখে পুরো বিষয়টাকে একেবারে গুজব বলাতে পেরেছে। কায়সার হক এরশাদের দুঃশাসন নিয়ে কবিতায় লিখেছে, যখন সরকার কোন বড় কোন দুঃশাসন বা এরকম কিছুর মধ্যে দিয়ে যায়, তখন মিডিয়া গুলোতে সারাক্ষন বাজানো হয়,দেশের সব কিছু ঠিকঠাক আছে, আতঙ্কিত হবেন না, গুজবে কান দেবেন না(আজকের শাসন এরশাদের ডিক্টেটরশীপের চেয়েও জঘন্য)। 
.
শয়তান জ্বীনদের একটা সম্প্রদায় পানিতে থাকে। কুরআনেও আল্লাহ এদের ব্যপারে বলেছেন। আল্লাহ বলেনঃ
এবং শাইতানদেরকে, যারা সবাই ছিল প্রাসাদ নির্মাণকারী ও ডুবুরী।[ছোয়াদঃ৩৭]
.
নির্মাণকাজে এরকম ব্লাড সেক্রিফাইসের রিচুয়ালের ব্যপারে জানা যায়, এটা না করলে নাকি নির্মাণ টেকে না। বার বার নষ্ট হয়। কাজের সময় অনেকরকমের প্রতিকূলতা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এরকম হতে পারে যে শয়তান নির্মাণের সময় সমস্যা তৈরি করে, স্রোতের দ্বারা প্রতিকূলতা তৈরি করে। এমতাবস্থায় ওদের সাথে আপোষ না করলে কাজ করা যায় না। 
.
সুতরাং, এই প্রাণী বলিদানের মাধ্যমে শয়তানের সাথে প্যাক্ট হয়। যদি শয়তানের দাবি নরবলি বা হিউমান সেক্রিফাইস হয় তবে সেটার ব্যবস্থাই করা হয় যেকোন মূল্যে। এ কাজ তখন স্বাভাবিকভাবে কিছুটা সরকারী নিয়ন্ত্রন ও সহায়তায়ই করা হয়। এখানে প্রশাসনও উলটো কিছু বলতে চাইবে না নিজেদের চাকুরীতে সমস্যা হবার ভয়ে। কারন যে যাই বলবেন সেটাই এন্টি স্টেইট এ্যাক্টিভিটিজ(রাষ্ট্রদ্রোহ)। একদিকে এসব কর্মকাণ্ড যখন জনগন টের পাবে তখন একটু হইচই করবে, সেটাকে সামাল দিতে মিডিয়ায় বলবে 'গুজব প্রচারকারীদের ধরিয়ে দিন'। আমাদের দেশের ইয়াং জেনারেশনের চিন্তাধারা অনেক আগে থেকেই বিকৃত হয়ে গেছে, তারা এখন এসব নিয়ে অনেক ট্রোল করছে নিজেদের ছবি এডিট করে। 
.
মালদ্বীপে ইসলাম পৌছানোর অসাধারণ এক ঘটনা প্রচলিত আছে। সেখানে প্রতি বছর একটি করে মেয়েকে সুন্দর করে সাজিয়ে শয়তানের প্রতি উৎসর্গ করা হতো। এটা ছিল একটা আতংকের মত। কোন এক বছর এটা না করলে রাজ্যে কোন একটা ক্ষতি হতো। সে দেশে এক আরব মুসলিম উদ্বাস্তু যুবক কোনভাবে আশ্রয় নেয়। এক পরিবারের কন্যাবিসর্জনের পালা আসলে ঐ যুবক নারী সেজে অপেক্ষা করে, পরবর্তীতে কোনভাবে শয়তানকে পরাস্ত করে এই হিউমান সেক্রিফাইস প্রথা বিলুপ্ত হয়। ওই যুবক রাজ্যে অনেক সম্মানিত হয়। এভাবেই সেখানে ইসলাম প্রবেশ করে বলে শোনা যায়[৪]। মালদ্বীপের নিজস্ব ইতিহাসেও এ ঘটনা বর্নিত আছে।
.
আরেকটি প্রসিদ্ধ ঘটনা। অনেকেই হয়ত জানেন। 
'নীল নদ' হল পৃথিবীর দীর্ঘতম নদ। দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৬৬৯ কিলোমিটার। এটি পৃথিবীর একমাত্র নদ, যা দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে প্রবাহিত।মিসরের নীল নদ সে দেশের কৃষিকার্যের প্রধানতম উৎস, কিন্তু উক্ত নদ প্রতি বছর শুকিয়ে যেত।তখন সে দেশের অধিবাসীরা প্রাচীন প্রথানুযায়ী একটি সুন্দরী কুমারীকে নীল নদের বুকে বলি দান করতো। ফলে নীল নদ পূর্বের ন্যায় প্রবাহিত হত। এ প্রসঙ্গে বলা যায়- কালের বিবর্তনে নীল নদের পানি ব্যবস্থাপনা জ্বীনদের নিয়ন্ত্রনে চলে যায়। তারা ফি বছর বা প্রতি বছর নীল নদের পানি আটকিয়ে কৃষককুলকে জিম্মি করে রাখতো। প্রতি বছর একটি সুন্দরী নারীকে নীল নদে বলি দানের বিনিময়ে তারা পানি ছেড়ে দিত।
পরবর্তীকালে হযরত ওমর (রাঃ) এর আমলে মিসরে ইসলামের পতাকা উড্ডীন হয়। সেখানকার প্রাদেশিক শাসনকর্তা হযরত আমর ইবনুল আস (রাঃ) এ অবৈধ কার্যের প্রতি হস্তক্ষেপ করে তা বন্ধ করে দেন। ফলে প্রতি বছরের মত নীল নদের পানি শুকিয়ে যায়।এদিকে নও মুসলিম কৃষকরা সুন্দরী নারী বলি দানের রেওয়াজ চালু রাখবে কিনা, এ ব্যাপারে হযরত আমর ইবনুল আস (রাঃ) এর অভিমত জানতে চাইলে তিনি খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) এর নিকট এক নাতিদীর্ঘ পত্র লেখেন।
পত্র পেয়ে হযরত ওমর (রাঃ) বিস্তারিত অবগত হলেন।নীল নদকে সম্বোধন করে চিঠির অপর পৃষ্ঠায় হযরত ওমর (রাঃ) উত্তর লিখলেনঃ ''ইন কুনতি তাজরী বিনাফসিকি, লা তাজরী। ওয়া ইন কুনতি তাজরী বি আমরিল্লাহ।'' অর্থাৎ '' (হে মিসরের নীল দরিয়া!) যদি তুমি নিজের ইচ্ছায় প্রবাহিত হও, তাহলে তোমার পানি আমাদের প্রয়োজন নেই। তুমি তোমার পানি বুকে ধরে রাখ। আর যদি মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম মোতাবেক প্রবাহিত হও, তবে পানি ধরে রাখার কোন অধিকার তোমার নেই।''
হযরত আমর ইবনুল আস (রাঃ) এ চিঠি নীল নদের বুকে নিক্ষেপ করা মাত্রই নীল নদ জোয়ারের পানিতে সয়লাব হয়ে গেল। আর সেই থেকে আজ পর্যন্ত নীল নদের পানি প্রবাহিত অবস্থায় বিদ্যমান'।
.
দুই ঘটনায় দেখা যাচ্ছে শয়তানের সাথে আপোষে গিয়ে সমাধান করা হত, কিন্তু ইসলাম শয়তানের সুযোগকে বন্ধ করে দেয়। যদি সত্যিই এরকম নরবলি দেশের কোন নির্মাণকাজে করা হয় তবে সেটা সুস্পষ্ট শয়তানের আনুগত্য করা। অবশ্য মানবরচিত সংবিধানের অধীনে থাকা দেশের ক্ষেত্রে এসব কোন ব্যপার না। শয়তানেরও অধিকার আছে! শাসকই তো তাগুত। 
.
বিদেশী নির্মাণের প্রজেক্ট নেওয়া সংস্থাগুলো এত ডিভাউট না যে তারা পরদেশে কোন কাজে হাত দেওয়ার জন্য দেবতার কাছে উৎসর্গ করবে খুশি হয়ে বা আশির্বাদ লাভের জন্য। তাছাড়া অহিন্দু প্যাগান ধর্মগুলো অধিকাংশই প্যান্থেইস্টিক,ফিলসফিক্যাল এবং শয়তানের সান্নিধ্য অর্জনকেন্দ্রিক। এদের মধ্যে হাতে তৈরি মূর্তির প্রতি এত ডেভোশন নেই যে, বিদেশী প্রজেক্টে সেক্রিফাইস করবে।যাহোক, যে উদ্দেশ্যেই করুক না কেন সেটা শয়তানের সাথে আপোষে যাবার জন্য, শয়তানের সন্তুষ্টির জন্য। ওয়াআল্লাহু আ'লাম।
.
আজ হঠাৎ খবর পেলাম নেত্রকোনায় এক ৬/৭ বছরের শিশুবালকের মস্তক ছিন্ন করে সাথে নিয়ে পালাবার সময় হাতেনাতে নরপিশাচকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়[১]। এতে প্রমাণ হয় যা রটে তার কিছু হলেও বটে। এতদিন যারা এ বিষয়টিকে গুজব বলতো তারাও অবাক। কিন্তু তারা বলতে চায় বিষয়টি ভিন্ন কিছু। 
.
আমার এখানে কিছু লোক মাইকিং করে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে বলছে। বিষয়টাকে সিরিয়াসভাবে নিয়ে সতর্ক থাকা উচিৎ। যারা এসব বিষয় পুরোপুরি গুজব/মিথ্যা ভাবেন তারা খুবই সংকীর্ণ এক জগতে বাস করেন। তারা জানেনা জাপানে এই শয়তানি রিচুয়াল চালু ছিল[২]। তারা জানেনা পাশের দেশ ভারতেও নির্মাণ কাজের সময় এরকম আতঙ্ক বিরাজ করে [৩]। ইন্দোনেশিয়াতে নির্মাণ কাজে সেক্রিফাইস খুব সাধারন ব্যপার। শয়তানের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় উৎসর্গ হচ্ছে ইনফ্যান্ট পুত্রসন্তান। এটা তার কাছে most precious blood! আপনারা জানেন, নবজাতক দুধেরশিশুপুত্র সন্তানের প্রস্রাব লঘু নাপাক। সামান্য পানির ছিটাই সেটা থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট। সুতরাং, শয়তান ভাল করেই পবিত্রতম শিকারকে চেনে। নবজাতককে হেডহান্টাররা সহজে নাগালে পায় না, তাই একটু বড় বাচ্চাদের টার্গেট করে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পদ্মার জন্য মাথা কালেক্ট করেই নেবে যে করেই হোক, এখন পোস্ট মর্ডানিস্টদের মত এই অবস্থাকে মেনে নিয়ে যতটা পারা যায়, আপন আত্মীয় স্বজন প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধবদের পরিবার পরিজনদের যতটা সতর্ক করা যায়। 
*বাচ্চা ছেলেমেয়েদের একা দূরে পাঠাবেন না।
*স্কুলে বাবা মা বা বড় কারো সাথে করে সন্তানদের নিয়ে যাওয়া উচিত। নারায়নগঞ্জের এক ভাই দেখলাম তার সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করেছেন সাময়িকভাবে, তার অঞ্চলেও কয়দিন আগে ক'জন ছেলেধরাদের আটক হয়েছে।
*বাচ্চারা যেন খেলতে গিয়ে দূরে কোথাও না যায়।
*বাড়ির মেইনগেইট আটকে রাখুন।
*এলাকায় প্রভাব থাকলে সন্দেহজনক নতুন মুখের আনাগোনা হলে ভদ্রতার সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করুন। প্রথমেই প্রমাণ ছাড়া মারধর করা অনুচিত। ক'দিন আগে এক নিরীহ ডাব বিক্রেতার হাতে কাচিঁ আর বস্তা দেখে মানুষ ছেলেধরা ভেবে গণধোলাই দিয়ে মেরে ফেলে। এমনটা যেন না হয়। অপরাধী নিশ্চিত হয়েও তথ্য নেওয়ার জন্য কিছুক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। 
*শিশুসন্তানরা যাতে কোন প্রলোভনে না পটে অচেনা লোকের কাছে না যায়, সেটা শেখানো উচিত। 
.
আমার এলাকাতেও বেশ কিছু শিশু মিসিং। নেত্রকোনায় ঘটা বিহেড শিশুর নিষ্পাপ চেহারা দেখে এত গুলো কথা লিখলাম। এ বিষয়টাতে সরকারী আন্ডারকভার ইন্টারভেনশান থাকলে থানা পুলিশের উপর নির্ভর করে লাভ নেই। 
prevention is better than cure
.
এবার গত কয়েক মাসের কিছু নিউজ লিংক:
- বাগেরহাটে শিশু উদ্ধার, পাচারকারী আটক [tinyurl.com/y63zzu86]
- বস্তায় ভরার সময় চিৎকার, পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেল দুই শিশু [tinyurl.com/yyhgmsx5]
- কমলাপুর রেলস্টেশনে হঠাৎই শিশু পাচারকারী চক্র সক্রিয় [tinyurl.com/y3wowlnz]
- নেত্রকোনায় আজ ছেলেধরাকে পিটিয়ে হত্যা; ব্যাগ থেকে শিশুর মাথা উদ্ধার [tinyurl.com/y2kzjcc6]
- নেত্রকোনার ঘটনার ভিডিও লিংক: tinyurl.com/y3842w62
.
রেফাঃ
_____
১] https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2318947155042496&id=100007817025283
[পোস্টের কমেন্টে ভিডিও]
.
২]https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=810172736051058&id=249163178818686
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=3078595472180469&id=1172272826146086
.
https://en.wikipedia.org/wiki/Hitobashira
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Human_sacrifice
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Headhunting.
.
৩] https://www.quora.com/Is-there-any-scientific-reason-why-highways-and-bridges-are-constructed-with-human-oblation-Bali-in-Hindi
.
http://www.pitlanemagazine.com/cultures/traditions-of-human-sacrifice-associated-with-the-building-of-bridges.html
.
৪] http://imam.gov.bd/node/5988
https://www.bd-pratidin.com/editorial/2015/08/07/98296

Thursday, July 11, 2019

চেতনার ওপারে - Altered State of consciousness

সারা পৃথিবীতে প্যাগান বিলিফ সিস্টেমের পুনর্জাগরন আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই অবস্থা মূলত এ মুহূর্তে প্রয়োজন সাধারন মানুষকে কুফরে আকবরের দিকে নেওয়ার জন্য, শয়তানের আনুগত্য এমনকি পূজার জন্য। এজন্য আজকে প্যাগান স্পিরিচুয়ালিটির দিকে সারা পৃথিবীকে ঝুকে পড়তে দেখা যাচ্ছে। আমেরিকায় ওয়াননেসের(ওয়াহদাতুল উজুদ) আহব্বান/ইনফিনিট লাভ রিলিজিয়নের ছড়াছড়ি। এমনকি নায়ক-নায়িকা গায়ক-গায়িকারা থেকে শুরু করে ফিজিসিস্ট সকলেই এ পথে আহব্বান করে। তাদের বিশ্বাস ব্যবস্থার সত্যতার সবচেয়ে বড় দলিল হচ্ছে 'চেতনার ওপারের' অভিজ্ঞতা অথবা অল্টার্ড স্টেইট অব কনসাসনেস[১৮]। এটা সেই মিস্টিক্যাল অনুভূতি যার জন্য অনেক সংগঠন ধ্যান-যোগসাধনা এবং প্যাগান স্পিরিচুয়ালিটির দিকে আহব্বান করে।


চেতনার অপরদিকের অভিজ্ঞতা লাভের পর অজস্র হার্ডকোর নাস্তিকও থেইজমে ফিরে আসার নজির আছে। এটা এমন এক অভিজ্ঞতা যেটা অর্জনের পর প্যাগান স্পিরিচুয়ালিটির সত্যতাকে অস্বীকার করা কষ্টকর হয়ে যায়। এ অভিজ্ঞতা লাভের পথ অনেক। গভীর ধ্যান সবচেয়ে সস্তা পথ। একটু খরচার পথও খোলা আছে। বিভিন্ন সাইকাডেলিক ড্রাগ(এলএসডি/ফিলোসাইবিন/ডিএমটি/সাইকাডেলিক ম্যাজিক মাশরুম/আয়োহুয়াস্তকা ইত্যাদি) খুব সহজেই এই অভিজ্ঞতার দ্বারে নিয়ে যাবে। আরো ব্যায়বহুল পথও আছে। সেন্সরি ডিপ্রাইভেশন চেম্বার[১১] বা আইসোলেশন চেম্বার। ১২ ইঞ্চি লবন পানির স্তরের অন্ধকার চেম্বারে শুয়ে থাকলেই হবে। সাব্জেক্ট কয়েক মিনিটের মধ্যেই সমস্ত সচেতন অনুভূতিগুলো অচেতন হয়ে যাবে এবং অজানা জগতে প্রবেশ করবে। অনেকে বিষাক্ত প্রানীর বিষের(যেমন জেলিফিশ) প্রভাবেও ওই অনুভূতি লাভ করেছে শোনা যায়। এটা কাউকে NDE[১৯] এর অভিজ্ঞতা দান করে। পশ্চিমাদের মুখে Astral Projection,Outer body experience, clairvoyance ইত্যাদি যত শব্দই শোনেন না কেন, প্রায় তার সবই 'চেতনার ওপারের' ভিন্ন ভিন্নমাত্রার অভিজ্ঞতা। অল্টার্ড স্টেইট অব কনসাসনেসে সবাই যে একই রকম অভিজ্ঞতা লাভ করবে,তেমনি নয়। সবচেয়ে সাধারন(কমন) অভিজ্ঞতা হচ্ছে একটা স্বপ্নিল ঘোরে পৌঁছানো, যেটা আলো দ্বারা পরিপূর্ন। সমস্ত বস্তুর রঙ খুব উজ্জ্বল এবং মনে হয় সেসব থেকে আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছে। সমস্ত বস্তুকে যেন ভেদ করে যাওয়া যায়। অর্থাৎ সমস্ত বস্তুই যেন ননসলিড পেনেট্রেবল এনার্জি।
অসংখ্য স্পাইরাল,ফ্র‍্যাক্টাল ইনফিনিট প্যাটার্ন,বিভিন্ন জিওমেট্রিক স্ট্রাকচার ইত্যাদি। এই অভিজ্ঞতা লাভকারী সমস্ত বস্তু এবং নিজের ব্যক্তি স্বত্ত্বার মধ্যে একটা বন্ধন অনুভব করে, যেটা মহাবিশ্বের সর্বত্র বিস্তৃত। একধরনের অকৃত্রিম ভালবাসার যেন সমস্ত বস্তুকে ছেয়ে আছে। এরকম অবস্থায় গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সমস্তকিছুকে সচেতন বলে মনে হয়। অর্থাৎ যেন সব কিছুর জীবন আছে। নিজেকে মহাবিশ্বের একপ্রাণ বা একস্বত্ত্বার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে হয়। এক পিউর ওয়াননেসের(ওয়াহদাতুল উজুদ) অনুভূতি। এ অনুভূতি ওই অভিজ্ঞতালাভকারী ব্যক্তি স্বত্ত্বাকে এই সৃষ্টিজগতের Co-Creator(সহযোগী স্রষ্টা) বা নিজেকে ডিভাইন বা সরাসরি সৃষ্টিকর্তা ভাবতে বাধ্যকরে। এজন্য এদের মুখে I Am অনুভূতির কথা শুনবেন।এমনও হয়েছে যে কোন সাইকাডেলিক ড্রাগ গ্রহণকারী এমন দেখেছে যে গাছপালা যেন তার সাথে কথা বলছে[১৭]। অকৃত্রিম ভালবাসা দিয়ে আশির্বাদ করছে। মিস্টিক/অকাল্টিস্টদের ভাষায় এই অভিজ্ঞতার জগত হচ্ছে ইনার স্পেস বা স্পিরিচুয়াল রেল্ম। অনেকে এটাকে হায়ার ডাইমেনশনাল জার্নি, সাইক্যাডেলিট ট্রিপ বলে।

এ অভিজ্ঞতা গভীর প্রকৃতিবাদ এবং সর্বেশ্বরবাদের দিকে নিয়ে যায়। এ বিশ্বাস বা আকিদা হৃদয়ে গভীরভাবে প্রোথিত হয়। আব্রাহামিক ধর্মের কোন টিতে থাকলে সেটার উপর আর বিশ্বাস থাকে না। কারন তারা নিজেদের অভিজ্ঞতায় বিপরীত মতাদর্শের সত্যতাকে চোখে দেখে। এ অভিজ্ঞতা যাদুশাস্ত্রকেন্দ্রিক মিথ্যা কুফরি আকিদাকে অনেক শক্ত করে। যাদুকররা এ অভিজ্ঞতা লাভের দরুন বলত, স্রষ্টার সাথে এক(সংযোগ/সান্নিধ্য) হতে কোন ধর্ম লাগে না। খ্রিষ্টান ইহুদী কিংবা মুসলিম হবার কোন প্রয়োজন নেই।
খ্রিষ্টান ডমিনেটেড শতকে খ্রিষ্টানরা যখন এরূপ ধর্মদ্রোহীতামূলক কথা যাদুকরদের থেকে শুনলো, তাদেরকে ধরে ধরে কচুকাটা করতে লাগলো। হাজারো ডাকিনী বিদ্যা চর্চাকারীদেরকে পুড়িয়ে মারারও ঘটনা বিগত হয়েছে।

এই মিস্টিক্যাল অভিজ্ঞতাকে গ্রীক সর্বেশ্বরবাদী দর্শন থেকে আসা সুফিবাদে ফানাফিল্লাহ বলা হয়। সুফিদের ভাষায় ওই মেডিটেটিভ স্তরে গিয়ে সুফিসাধক আল্লাহর সাথে একাকার(ফানা) হয়ে যায়। সালাফি অনেক আলিম বলেন ওটা ফানাফিল্লাহ নয় বরং ফানাফিশাইত্বন(অর্থাৎ শয়তানের সাথে একাকার হওয়া।) এ ব্যপারে সালাফি আলিমগনের অবস্থান শুদ্ধ। এই মিস্টিক্যাল অভিজ্ঞতা আরবি শব্দানুসারে   আল আকিদাতুল ওয়াহদাতুল উজুদ-হুলুল ওয়াল ইত্তেহাদের বিশ্বাস হৃদয়ে সৃষ্টি করে। আহমাদ রেজা বেরেলভী সাহেবের অনুসারী সকল বুজুর্গগন এজন্য মেডিটেইশনে গুরুত্বারোপ করেন। তাদের অভিধানে সমস্ত প্যাগান কার্যক্রমের আরবি ভার্শণ আছে। আছে ষড়চক্র বা লাতাইফের যিকির, প্রনয়ানম, দমের সাধনা,মোরাকাবা ইত্যাদি। এগুলো তারা মারেফাত এর ইল্মের স্তরে রেখেছে। অর্থাৎ ইল্মে মারেফাতুল্লাহর(আল্লাহর পরিচয়) নামে শয়তানের পরিচয়/দীদার লাভের শিক্ষা দিচ্ছে। বেরেলভী কারা যারা বোঝেন না তাদের বুঝতে সুবিধা হবে, যদি বলি মেইনস্ট্রিম পীর-মুরিদগনের নেটওয়ার্ক।

যাহোক, অর্ল্টার্ড স্টেইট অব কনসাস্নেস শুধু সুডোসায়েন্টেফিক পরিমণ্ডলেই ছেয়ে আছে এমনটি নয়। আইজ্যাক নিউটন থেকে আইনস্টাইন প্রত্যেকেই চেতনার এই স্তরে পৌছতেন, যাতে নতুন থিওরি প্রসব কর‍তে পারেন। আইনস্টাইন চেতনার ওপারে যাবার প্রক্রিয়াকে নাম দিয়েছেন মাইন্ড এক্সারসাইজ! যখনই ওই স্তরে পৌছতেন, ফিরে আসতেন নতুন কোন থিওরি বা ইক্যুয়েশন নিয়ে। ম্যাটারকে ভাইব্রেটরি এনার্জেটিক ফিল্ডের তত্ত্বটিও এই হ্যালুসিনোজেনিক এক্সপেরিয়েন্স থেকেই এসেছে। এর প্রেক্ষাপটে আজ পদার্থবিজ্ঞানীগন বলছেন,Everything physical is really non physical!

এবার আসি,চেতনার ওপারে এমন কি হয় যার দরুন এরূপ মিস্টিক্যাল অভিজ্ঞতা সৃষ্টি হয়!?

ব্যপারটা বোঝা খুবই সহজ। এসকল ড্রাগের প্রভাবে অথবা মেডিটেটিভ স্তরের (অল্টার্ড)মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা শয়তান জ্বীনদের একটা দরজা তৈরি করে দেয় Enlightenment seeker'দের মস্তিষ্কের উপর[২০]। শয়তান চাইলে ওদের জগতের সাথে মানব চেতনার সংযোগ ঘটাতে পারে। নিজের উপর নিয়ন্ত্রনহীনতার সময়ে শয়তান পুরোপুরি মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়।
তখন শয়তানের ইচ্ছেমত স্বপ্নীল ঘোর সৃষ্টি করে যা ইচ্ছা দেখায়, অকৃত্রিম অনুভূতি সৃষ্টি করে। শয়তান জ্বীনদের ফিজিক্যাল ডাইমেনশন যেরূপ দেখতে সেইরূপ প্রজেকশন তৈরি করে মাথায়, অথবা সরাসরি জ্বীনদের চোখে ওদের জগত যেরূপ, সেটাই মানব মস্তিষ্কে দেখায়। মেডিটেশনের মাধ্যমে একবারেই ওই পর্যায়ে পৌছানো একটু কষ্টসাধ্য। মেডিটেশন বা যোগ ধ্যানে এজন্য ধীরে ধীরে ওই অবস্থায় যাওয়া হয়। ইয়োগা প্র‍্যাক্টিশনাররা ধ্যানের এক এক ধাপকে চক্র বা এনার্জি এক্সেস পয়েন্ট সক্রিয় করা বলে।
তারা কুণ্ডলিনী এনার্জিও বলে যা কিনা মানুষের গোপনাঙ্গের দিকে সুপ্তাবস্থায় থাকে, সেই এনার্জিকে ধীরে ধীরে জাগ্রত করে পেট,এরপরে বুক এরপরে গলা এবং সবশেষে মাথা পর্যন্ত উঠিয়ে নেওয়া হয়। মস্তিষ্কে সে এনার্জি পৌছানো তথা তাদের ভাষায় ক্রাউন চক্রকে সক্রিয়করনের দ্বারা যোগী আত্মউপলব্ধি লাভ করে বা সিদ্ধিলাভ করে। অর্থাৎ সে 'চেতনার ওপারে' পৌছে ইনফিনিট ওয়াননেস অনুভব করে। ওয়াহদাতুল উজুদ বা Monism এর আকিদা হৃদয়ে প্রোথিত হয়। ইতোপূর্বে থার্ড আই, ধ্যান নিয়ে আলোচনা করেছিলাম তাই আবারো একই কথায় ফিরতে চাই না[১]। যাইহোক,পরিষ্কার দেখছেন ধ্যানযোগে চেতনার ওপারে পৌছানো একটু কষ্টসাধ্য বিষয় কিন্তু hallucinogenic drugs/সাউন্ড ওয়েভ বা বাইনিউরাল বিটস[১৫] দিয়ে খুব সহজেই পৌছানো যায়। ধ্যানের মাধ্যমে যে ব্যক্তি নিজের আসল অস্তিত্বের প্যান্থেইস্টিক স্বরূপ অনুভব করতে সক্ষম হয়, সেই লোক Know Thyself এর আসল হাকিকত বুঝতে পারলো। ঐ লোককে তখন এনলাইটেন্ড বলা হয়। আত্মসিদ্ধি লাভ করেছে।
সুফিদের এক গুরু ওই অনুভূতি লাভ করেই আনাল হাক্ক(আমিই সত্য/আল্লাহ্) বলত। একইভাবে হিন্দু যোগীরা নিজেকেই পরমাত্মা বলে। আমার কাছে একজন বাবা লোকনাথের ব্যপারে কিছু তথ্য দিয়ে তার কথার ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। তিনি খুব সম্ভবত ঈমানি ব্যপারে সন্দেহে নিপতিত হয়েছিলেন। লোকনাথ নিজেকে পরমাত্মা দাবি করত, তাছাড়া অনন্ত অসীম,সর্বত্রব্যাপী সৃষ্টিকর্তাও বলত এমনকি রনে বনে জঙ্গলে বিপদে পড়লে তাকে স্মরণ করার কথাও বলতেন(উইকিপিডিয়া)। তার এরূপ কথার ব্যাখ্যা আশা করি বুঝতে পারছেন। ওই চেতনার ওই স্তরে পৌছে তার মধ্যে প্যান্থেইস্টিক ধারনার সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য নিজেকে পরমাত্মা, সর্বত্রবিরাজমান ঈশ্বর দাবি করে। তার এরূপ দাবি শুনে খুব বেশি অবাক হবার কিছু নেই।

আমাদের দেশের কোয়ান্টাম ম্যাথড চেতনার ওই স্তরে নিয়ে "গড রিয়েলাইজেশন" এর কোর্স করায় বলে জানিয়েছিল Law of attraction[২] এর প্রচার কারী এক শয়তান। যারা কোয়ান্টাম ম্যাথডের সাথে সম্পৃক্ত তারা "কমান্ড সেন্টার" টার্মের সাথে খুব পরিচিত। তিনি প্রথমে ভিজ্যুয়ালাইজ করতে বলেন এক ব্যক্তিকে, পরবর্তীতে আপনাআপনিই ধ্যানের মধ্যে এক লোক হাজির হয় যাবতীয় দিক নির্দেশনার জন্য। হয়ত এটাই সক্রেটিসের বলা Daemon! এসব ব্যপারে ওদের অফিশিয়াল কিতাবেই বিস্তারিত আছে।

প্রাচীন জংলি শামানরা গাছগাছড়া এবং মাশরুম দিয়ে চেতনার ওপারে যেত ওদের পূর্বপুরুষদের কথিত আত্মাদের সাথে যোগাযোগ এর জন্য। এই বিষয়টিকেই সুন্দরভাবে দেখিয়েছে ব্ল্যাক প্যান্থার মুভিতে। ফিল্মের নায়ককে একরকমের লতানো উদ্ভিদ পিষে খাওয়ানো হয় ঐতিহ্যগত কারনে মৃত পূর্বপুরুষের সাথে দেখা করার জন্য। ম্যাট্রিক্স ফিল্মেও শামানদের চিন্তাধারার প্রতিফলন রয়েছে। থাকাটাই স্বাভাবিক, কারন নির্মাতার পিতা একজন শামানিস্ট।

আম্রিকান হিপ্পিদের মধ্যে প্যাগান আধ্যাত্মিকতার বিশ্বাস সবচেয়ে বেশি কারন ওদের কাছে ড্রাগ ডালভাত। অনেক হতাশাগ্রস্ত বিষন্ন মাদকাসক্ত সাইকাডেলিক পান করে জীবনকে নতুন আঙ্গিকে দেখতে শুরু করে। এদের মধ্যেই এখন আধ্যাত্মিকতা বেশি। ওরা যে মেডিটেশনে যে থার্ড আই এ্যাক্টিভেশনের কথা বলে সে অবস্থায় পৌছবার আগেই 'চেতনার ওপারে' যেতে হয়। এ গোটা ব্যপারটি যে স্যাটানিক এতে কোন সন্দেহ নেই কারন বহু নিউএজার মেডিটেশন প্র‍্যাক্টিশনার ধ্যানের ঘোড়ে শয়তান জ্বীনদের ভয়ংকর চেহারাতেই দেখেছে। কেউ বা শয়তানের আক্রমনের স্বীকারও হয়েছে!

অসাধারন একটি টেস্টিমোনি দেখুন, যেখানে এক স্পিরিচুয়ালিস্ট চেতনার ওপার ভ্রমনের অভিজ্ঞতা বলছে সাইকাডেলিক ব্যবহারের পর,তিনি সেখানে অসংখ্য এলিয়েনদেরকে দেখে[৪]।তারা নাকি মানুষের উপকারী বন্ধু। এলিয়েন নিয়েও ইতোপূর্বে আলোচনা করেছি[৩]।

DMT[৫] কে স্পিরিচুয়াল কমিউনিটিতে Spirit Molecule বলেও ডাকা হয়। ওরাই বলে এটা নাকি সহজে স্পিরিটদের জগতে যাবার দরজার মত[২০]। ডিএমটিকে বলা হয় Dimethyltryptamine। এটা সবচেয়ে শক্তিশালী ড্রাগ যেটা গভীরভাবে চেতনাকে আচ্ছন্ন করে। মানুষ,কিছু প্রানী এবং কিছু গাছপালায় এই উপাদান পাওয়া যায়। ডিএমটি অন্য যেকোন হ্যালুসিনোজেনিক ড্রাগের চেয়ে শক্তিশালী। এক ম্যাথম্যাটিশিয়ান তার ডিএমটি ট্রিপ নিয়ে বলেন, ডিএমটি পান করে তিনি মাতাল অবস্থায় এমন এক জগতে পৌছান যেখানে শুধুই ফ্র‍্যাক্টাল কম্পিউটার গ্র‍্যাফিক্সের মত কিছু দেখতে পান। সেগুলো খুবই দ্রুতগতির ছিল। অর্থাৎ তার অস্তিত্বগত চেতনা ওইরকম জগতে যায়। তার মনে হয়েছে কোন ইন্টেলিজেন্স এন্টিটির ধারাবাহিক স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী সব হয়। অর্থাৎ হলোগ্রাফিক ভিজুয়ালাইজেশনের মত যা দেখেন তা যেন কারও দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আশপাশটা জীবন্ত প্রানী জাতীয় কিছু দ্বারা পরিপূর্ন। এরপরে বললেন, ম্যাজিক মাশ্রুম খুব গভীর কিছু দেখায় না, সেগুলো আমাদের অর্ডিনারি রিয়ালিটিকেই স্বাভাবিকভাবে দেখায়, পার্থক্য হচ্ছে সমস্ত বস্তুকে ভাইব্রেটরি এনার্জি মনে হয়। এলএসডি ব্যবহারে তিনি অনেক জিওমেট্রিক প্যাটার্ন দেখেন, যেগুলো দেখে মনে হয়েছে এগুলো কিছুটা ইউক্লিডীয়ান জিওমেট্রি[৬]।
সুতরাং আজ আমরা যে ফ্রাক্টাল ম্যান্ডেলব্রটের ইনফিনিট এ্যানিমেশন/ম্যাথম্যাটিকস দেখতে পাই সেটা অরিজিন কি সেটা খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে। সেদিন কম্পিউটারে লিনাক্স মিন্ট ইন্সটল করে অবাক হই, ওরা প্রোগ্রাম তালিকায় এটাকে ডিফল্টভাবে দিয়েছে।

ডাকোটা নামের জনৈক স্পিরিচুয়ালিস্ট(সাবেক নাস্তিক) সরাসরি ওই জগতে দেখা প্রানী বা ইন্টেলিজেন্ট বিংদেরকে সরাসরি Demon(শয়তান) বলেন। তার পরামর্শ হচ্ছে চেতনার ওই পর্যায়ে পৌছে তাদের কাছে নিজেকে সমার্পন করতে হবে, কমপ্লিট সাবমিশন অর্থাৎ পুরোপুরি আত্মসমার্পণ। ইগো বলে কোন কিছুই রাখা যাবেনা। তিনি বলেন, যারাই সাইকাডেলিক ট্রিপে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা লাভ করে তারা নিজেদেরকে সমার্পন করেনি ওই spirit being দের কাছে। তার এক বন্ধু আত্মসমার্পন না করায় মনে হয়েছে জাহান্নামের মধ্যে আটকে গেছে, পাজল্ড লুপের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। ডিএমটি পান করে ডাকোটা অজস্র এলিয়েন বিংদের দেখেছে, তিনি বলেন এই ডিএমটি বিংদের সাক্ষাৎ লাভ খুবই একটা সাধারন ব্যপার।
অনেকে এদেরকে স্পিরিট গাইড, এলিয়েন,elf, elves ইত্যাদি অনেক নামেই ডাকে। তিনি ওই অবস্থায় কিছু সর্পিল প্রানীদেরকে দেখেন যারা নাকি তার পেটেও প্রবেশ করে! তার মতে এই স্বত্ত্বারাই আমাদের ত্রিমাত্রিক জগতে ভূত বা শয়তান হিসেবে ম্যানিফেস্ট করে, শুধু মাত্র আমাদের ইগোর জন্য। এই বিং বা সত্ত্বা গুলো আমাদের অস্তিত্বের মতই সত্য। আমরা তাদের ভয় পাই বলে আমাদের নেগেটিভ ইন্টেনশন ওরা গ্রহন করে শক্তি পায় এবং পজেস করে। এদেরকে ভয় করা যাবে না, বরং গোটা রিয়ালিটি কিরূপ তা জানতে হবে নিজের অস্তিত্বের ব্যপারে আসলটা জানতে হবে, যখন নিজেদের ইগো থেকে সম্পূর্ন মুক্ত হওয়া যাবে তখন অশুভ বলে কোন কিছুই থাকবে না। তখন এই এলিয়েন বা স্পিরিট বিংদের কাছেও নিজেদের সমার্পনের মাধ্যমে তাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবার ধারনা থেকে বের হওয়া যাবে। আমরা যে ত্রিমাত্রিক সলিড রিয়ালিটি এবং বস্তু দেখি, সেসব আসলে মিথ্যা।
এগুলো শুধুই মেন্টাল প্রজেকশন। রিয়ালিটির এই স্ট্যান্ডার্ড শুধুই মানব মস্তিস্কের ট্রান্সলেশনের ফল।গাছপালা, পশুপাখি, জড়বস্তু সমস্তকিছুর থেকে নিজের সত্ত্বাকে আলাদা মনে হয় বাহির থেকে, কিন্তু আসলে সবকিছু এক। এক অস্তিত্ব(ওয়াহদাতুল উজুদ)। এই ডিএমটি বিংরাই হচ্ছে বাইবেলে উল্লিখিত ডিমন(শয়তান)। আমরাই এই পার্থক্য এবং ভাল মন্দের,ঘৃনা ভালবাসার পার্থক্য তৈরি করছি ইগোর কারনে। আসলে ওই এলিয়েন বা স্পিরিট বিং আমার আপনারই অংশ। তাদেরকে মন্দভাবে ধরলে তারা আপনার কাছে মন্দভাবেই ধরা দেবে। খ্রিষ্টান ধর্ম এই ইগোই জাগ্রত করে। এই ইগোর মৃত্যু সম্ভব আত্মসমার্পনের মাধ্যমে [৭]। রিয়ালিটি আমাদের চোখের দেখা দৃশ্যের মত সলিড না বরং সব কিছু নন ফিজিক্যাল এনার্জেটিক। এই ত্রিমাত্রিক ম্যাটেরিয়াল জগতে যেরূপ সবকিছু আলাদা,আসল জগতে সব কিছু ইন্টারকানেক্টেড, এর থেকে অদ্ভুত এক ওয়াননেসের অনুভূতি জাগ্রত হয়। আমরা আছি একরকমের সিমুলেশনের মধ্যে[১৪]। তার মতে এই অভিজ্ঞতা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত কারন এটা সমস্ত ধর্মীয় মতবাদগত পার্থক্যকে ধবংস করে মানবতাকে এক করে। সবাইকে একক সত্যের(ওয়াহদাতুল উজুদের আকিদার) দিকে নিয়ে যায়।[৮]

সুতরাং আশাকরি পাঠকরা বুঝতে পারছেন সায়েন্টিফিক, ফিলোসফিক্যাল ফাউন্ডেশন কোথা থেকে এসেছে, কোথা থেকে ওয়াহদাতুল উজুদের আকিদা এসেছে, যেটায় আজ দেওবন্দি/কওমী আলিমরা পর্যন্ত বিশ্বাস করে। একদম খাটি স্যাটানিক এক্সপেরিয়েন্স থেকে এসব আকিদা ও বিশ্বাসব্যবস্থার উন্মেষ।

ট্যারেন্স ম্যাকানার ডিএমটি ট্রিপে সার্পেন্ট/রেপ্টিলিয়ান এবং টিকটিকি সদৃশ কিছু প্রানীদেরও দেখা হয়, এদের কেউ কেউ অসমম্ভব উন্নত সভ্যতা/প্রযুক্তির ধারক।ভিডিওতে সরাসরি শয়তান জ্বীনদেরকেই দেখানো হয়েছে[৯]। ম্যাকান্না খুব হতাশ এ ব্যপারে যে মানুষ কোটিটাকা খরচ করে এলিয়েনদের দেখা পেতে বর্হিজগতে খুজছে, অথচ এই জগতে দাড়িয়েই এলিয়েনদের দেখা পাওয়া যায়। আউটার স্পেস বাদ দিয়ে ইনার হায়ার ডিমেনশনাল স্পেস নিয়ে গবেষনা করা উচিত।

একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই আউটার স্পেস ও এলিয়েন কন্সেপ্ট হয়ত এই ইনার ডিমেনশনাল স্পেস থেকেই এসেছে। সাতটি ইউনিভারসাল হার্মেটিক প্রিন্সিপ্যাল এর একটি হচ্ছে As Above so below। অর্থাৎ ভেতর যা বাহির তাই, বাহির যা ভেতরও তাই। সে অনুযায়ী প্রাচীন প্যাগান ফিলসফাররা যখন এই স্পিরিচুয়াল রেল্ম ভ্রমন করে তখন তাদের মনে ম্যাক্রো পর্যায়েও একই কল্পনার অবতারণা ঘটায়। একইভাবে আউটার স্পেসে এলিয়েন ফ্যাণ্টাসিও একইভাবে আছে। ট্রান্সেনশন হাইপোথেসিস[১০] অনুযায়ী, এখন আর এলিয়েনদের খুজে না পাওয়ার কারন, তারা উন্নত হতে হতে এখন আউটার স্পেসে এক্সিস্ট করা বাদ দিয়ে ইনার স্পেসে চলে গেছে। সুতরাং সাইকাডেলিক[১২] জার্নিতে দেখা শয়তানদেরকে এলিয়েন বললেও সমস্যা নেই।

শয়তান এর থেকে আসা অভিজ্ঞতাই আজকের জ্ঞান-বিজ্ঞান-দর্শনের কেন্দ্রবিন্দু এবং উৎস। হিন্দু বৌদ্ধ বৈষ্ণব(ধর্মচক্র) এবং সিক্রেট সোসাইটিগুলোর নিগূঢ় তত্ত্বের মূলভিত্তি[১৩]। সমগ্র বাতেনিয়্যাহ সম্প্রদায়গুলোর মূল ভিত্তি। আপনার কি মনে হয়, আজকে যে সিমুলেশন হাইপোথেসিস জেগে উঠেছে, হাশেম আল ঘাইলির মত সেলিব্রেটি বিজ্ঞানবোদ্ধারা ভিডিও ফিল্ম বানাচ্ছে, এসবের ভিত্তি কি[১৬]?

যাদুবিদ্যা,যাদুকরদের সাথে সাইকাডেলিক এক্সপেরিয়েন্সের গভীর সখ্যতা আছে। তাদের কুফরি দর্শন,বিশ্বাস এবং কর্মের ব্যপারে আত্মবিশ্বাসী এবং যাদুবিদ্যার কার্যনীতি বোঝার জন্য এই অভিজ্ঞতা লাভের বিকল্প নেই। শামান,উইক্কানরা স্পিরিট মলিকিউল বিভিন্ন গাছগাছড়া থেকে নিয়ে এরূপ হ্যালুসিনোজেনিক ড্রাগ তৈরি করে। এক হলিউড ফিল্মে চমৎকারভাবে দেখিয়েছিল এক লোকের মৃত স্ত্রীকে ফিরে পাবার জন্য এক ডাইনীর কাছে গিয়ে এরকম হ্যালুসিনোজেণীক ড্রাগ সেবন করে। একইভাবে "এ ডার্ক সং" ফিল্মে কাব্বালার চেয়েও ইন্টেন্স ম্যাজিক্যাল আর্ট ওয়ার্কের শরণাপন্ন হয় এক এক সন্তানহারা মা, সন্তানকে ফিরে পেতে। অবশেষে চেতনার ওপারে গিয়ে শয়তানের কাছে নিজেকে সমার্পন করে। চেতনার ওপারে গিয়ে উইচক্র‍্যাফট প্র‍্যাক্টিশনার রিয়ালিটিকে জ্বীন শায়াত্বীনের চোখে দেখতে পায়। শয়তান জ্বীনজাতির কাছে ম্যাটারের সলিডিটি বলে কিছু নেই। এদের কাছে সবকিছুই এনার্জি। একজন উইচ বা সর্সারার চেতনার ওই ঘোরে গিয়ে বস্তু/মানুষ এবং প্রকৃতির সমস্তকিছুর মধ্যে ইন্টারকানেকশন দেখতে পায়, বায়ুমণ্ডলের যে ভ্যাকুয়াম আমরা আশপাশে দেখি, ওই অবস্থায় সেটার অনুপস্থিতি নিজেকে সৃষ্টিজগতের মধ্যে সচেতন একক অভিন্ন স্বত্ত্বা ভাবায়। যেহেতু ইগো আমিত্বের বিশ্বাসকে ভেঙ্গে ফেলতে হয় এবং নিজের চেতনাকে সমগ্র এনার্জেটিক প্যাটার্নে দেখা সৃষ্টির চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ ভাবতে বাধ্য করে, তখন নিজের ইন্টেনশান বা অভিপ্রায় ব্যবহার করে প্রকৃতিতে পরিবর্তন ঘটানোর বিশ্বাস জন্মায়, তারা ন্যাচারকে হাইলি প্রোগ্রামেবল মনে করে। নিজেকে তখন ন্যাচারের পার্টিসিপেন্ট না রেখে নিজেই প্রকৃতিকে চালনা বা ম্যানিফেস্ট করবার সম্ভাবনা এবং বিশ্বাস তৈরি হয়। অর্থাৎ প্রকৃতিতে প্রোগ্রাম হয়ে না থেকে নিজেই প্রোগ্রামার হয়ে প্রকৃতির নীতিতে হস্তক্ষেপ করে নিজের স্বার্থানুযায়ী কাজ করার বিশ্বাস তৈরি করে। তবে এসব অভিজ্ঞতা/অনুভূতির সবার আগে নিজেকে প্রকৃতি এবং শয়তান জ্বীনদের(DMT plasma being) কাছে আত্মসমার্পন করতে হবে। আমিত্ব বলে কিছু রাখা যাবে না, কোন ধর্ম বিশ্বাসে আবদ্ধ থাকা যাবে না। অর্থাৎ কাফির হতেই হবে। মারভেলের ডক্টর স্ট্রেঞ্জ মুভিতে সর্সারার সুপ্রীম ডক্টর স্টিভেন স্ট্রেঞ্জকে যাদুবিদ্যার প্রথমেই বলে, "আপনি নদীর স্রোতকে কিছুতেই পরাস্ত করতে পারবেন না। আপনাকে অবশ্যই ওর স্রোতকে ব্যবহার করতে হবে নিজের জন্য। এজন্য অবশ্যই আত্মসমার্পন করতে হবে", "Silence your ego, and your power will rise"। এজন্য সাধারন কেউ কাফির না হয়ে হাজার ইন্টেনশান আর রিচুয়াল করলেই যাদু সফল হতে হবে না। কুফরি করতে হবে। আল্লাহকে অস্বীকার করতে হবে। হয়ত যাদুবিদ্যা কুফরি হবার পিছনে এটা অন্যতম একটা কারন।অধিকাংশ যাদুকররা নির্বোধ হয়, এরা বিশ্বাস করে না যে "আন্নাল কুয়্যাতা লিল্লাহি জামিয়্যা"। ওরা তো সবার আগেই আল্লাহকে অবিশ্বাস করে কেননা ওয়াহদাতুল উজুদ,হুলুল, ইত্তেহাদ এদের কোর টেনেট। এরা নিজেরাই তো নিজেদের এবং প্রকৃতির ইলাহ মনে করে, মা'বুদ মনে করে। এদের আকিদাই হচ্ছে 'আনা আল হাক্ক', নাউজুবিল্লাহ্। এজন্য এক কাব্বালিস্ট র‍্যাবাইকে বলতে দেখি কাব্বালার অন্যতম শিক্ষা হচ্ছে নিজেকে জায়ান্ট বা তার চেয়েও ক্ষমতাশালী ভাবা, আমরা নাকি ফুল পটেনশিয়ালিটির ব্যপারে অজ্ঞ, যাদুকররা এ ব্যপারে অজ্ঞ না। আমরা আসলে সুফি মরমীদের কথা ও বিশ্বাসের আন্ডারলেইং তাৎপর্য বুঝিনা তাই অনেকে এদের কথায় বিভ্রান্ত হয়, কেউবা বিশ্বাস করে, কেউবা এদেরকে অন্ধভাবে সম্মান করে।

যাদুর ব্যপারে সত্য হচ্ছে কাফিররা যতকিছুই করুক না কেন, সব কিছুর পরিবর্তনকারী এবং সবকিছুর ক্ষমতা এক আল্লাহরই। যাদুও তারই নির্দেশ ব্যতিত কার্যকরী হয় না।

আজ মুসলিম উম্মাহর মধ্যেও প্যাগানিজমের প্রতি বেশ আকর্ষন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে জ্ঞানী ভাব নেওয়ার জন্য কিংবা স্রেফ তাওহীদের অবিশ্বাসের দরুন ওয়াহদাতুল উজুদকে বেছে নিয়েছে। সুফিবাদের কথা না-ই বা বললাম। ওরা তো খাটি শয়তানি শিক্ষাকে আরবি শব্দে মুড়িয়ে শতশত বছর মুসলিমদের মধ্যে প্রচার করে চলছে। শয়তানের দেওয়া অনুভূতি অভিজ্ঞতাকে বানিয়েছে ফানাফিল্লাহ বাকাফিল্লাহ। শয়তানের সাথে সম্পর্ক, শয়তানের পরিচয়লাভের তরিকাকে বানিয়েছে ইল্মে মারিফাতুল্লাহ(মারেফাতের ইল্ম)। শয়তানের কাছে আত্মসমার্পনের জন্য এখন এসে গেছে কোয়ান্টাম ম্যাথড, যারা সরাসরি জানিয়ে শুনিয়েই অকাল্ট প্যাগান ফিলসফির প্রচার চালাচ্ছে। 'মুসলিম' শব্দের অর্থ আল্লাহর নিকট আত্মসমার্পনকারী। আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ধ্যান/সাইকাডেলিক ড্রাগ প্রভৃতির দ্বারা সরাসরি শয়তানের নিকট আত্মসমার্পনের জন্য আহব্বান করা হয়। শয়তানের কাছে এবং সমস্ত প্রকৃতির কাছে আত্মসমার্পনের মাধ্যমে নিজেকে সৃষ্টিকর্তার অংশ মনে করাকে শেখানো হয়। অর্থাৎ এরা শুধু কাফিরই বানায় না, বরং সবচেয়ে নিকৃষ্টতম তাগুতে পরিনত করে। তাগুত হচ্ছে সে যে নিজেকে ইলাহ মনে করে, নিজেকে রবের আসনে বসায়।

وَعَنْ اَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ : «إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الْإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : মানুষের মধ্যে শয়তান (তার) শিরা-উপশিরায় রক্তের মধ্যে বিচরণ করে থাকে। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ২০৩৮, মুসলিম ২১৭৪, আবূ দাঊদ ৪৭১৯, আহমাদ ১২১৮২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস





Ref:
১.
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/chakra-third-eye-yoga_10.html
২.
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/law-of-attraction_29.html

https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/law-of-attraction_10.html

https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_8.html
৩.
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_30.html
৪.
https://m.youtube.com/watch?v=qb-PgFwPwhc
https://m.youtube.com/watch?v=jgxu3GBhnSk
https://m.youtube.com/watch?v=wrfOo7m6wlo
৫.
https://m.youtube.com/watch?v=LtT6Xkk-kzk
৬.
https://m.youtube.com/watch?v=AYDgmpiE-U0
৭.
https://m.youtube.com/watch?v=Gqij_2kjJcg
https://m.youtube.com/watch?v=wDJIsscCoGE
৮.
https://m.youtube.com/watch?v=Xy9-AM6QE70

https://m.youtube.com/watch?v=3FqmVITeiwQ
১০.
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_41.html
১১.
https://steemit.com/life/@ericvancewalton/altered-states-of-conscious-my-fifth-float-in-the-sensory-deprivation-tank

https://journals.sagepub.com/doi/pdf/10.2190/IC.29.2.d

https://bigthink.com/21st-century-spirituality/the-altered-states-of-sensory-deprivation
১২.
https://m.youtube.com/watch?v=kRF9n7U1G3w
১৩.
https://m.youtube.com/watch?v=SQjd535lLx0
https://m.youtube.com/watch?v=kiAc408Yk78
১৪.
https://m.youtube.com/watch?v=Z1HJVA7BjDU
১৫.
https://m.youtube.com/watch?v=VCeNUH4RY0M
https://m.youtube.com/watch?v=np_to6OghXE
https://m.youtube.com/watch?v=WYQwYrUMnrI
https://m.youtube.com/watch?v=pgj_b_pW3Zw
https://m.youtube.com/watch?v=22vOkSWiNwQ
১৬.
https://aadiaat.blogspot.com/2019/05/hashem-al-ghaili-occult-worldview_28.html
১৭.
https://m.youtube.com/watch?v=jgxu3GBhnSk
https://m.youtube.com/watch?v=5uGtTamBNUA
১৮.
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Altered_state_of_consciousness
১৯.
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/near-death-experiencende_10.html
২০.
https://smokeymirror.com/magic-mushrooms-or-ancient-aliens/

https://www.evolveandascend.com/2017/02/21/are-magic-mushrooms-a-gateway-to-a-different-world-elves-spirits-and-extraterrestrials/

https://patch.com/california/santacruz/can-psychedelic-drugs-help-us-speak-to-aliens

https://www.huckmag.com/perspectives/activism-2/psychonauts-drugs-aliens/

https://grahamhancock.com/51560-2/

https://qz.com/1196408/scientists-studying-psilocybin-accidentally-proved-the-self-is-an-illusion/

https://www.mcgilldaily.com/2017/10/as-above-so-below/


Friday, July 5, 2019

যাদুশাস্ত্রভিত্তিক বিজ্ঞান এবং দাজ্জালের অপেক্ষা

আমরা যে ভন্ড মসীহের আত্মপ্রকাশের কত নিকটে অবস্থান করছি, তা সম্ভবত অনুধাবন করতে পারিনা।

এ র‍্যবাঈ বললেন, "সমস্ত কাব্বালিস্ট র‍্যবাঈ এবং হেসিডিক মুভমেন্টের র‍্যাবাইগন এ ব্যপারে একমত যে, যখন সারাবিশ্ববাসী কাব্বালার দিকে ঝুকে পড়বে, কাব্বালার প্রতি তৃষ্ণা তৈরি হবে, কাব্বালিস্টিক ইনিসিয়েশনের প্রতি সবার ঝোক বাড়বে, তখনই মসীহ বের হবেন। আর আমরা এটাই আজ দেখছি, সমগ্র বিশ্ব এই জ্ঞানের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এ সময়টা ইহুদী ইতিহাসের সবচেয়ে ওয়াইল্ড পার্ট এবং সর্বশেষ মুহুর্ত ইহুদী ইতিহাসের।এটা মেসিয়ানিক যুগ। আর এটা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ যে আমাদের চোখের সামনে ইতিহাসের এ মহা অধ্যায় আনফোল্ড হতে যাচ্ছে। এটা সব কাব্বালিস্টের কথা যে মসিহের বের হবার সময় সর্বত্র কাব্বালার প্রতি প্রচন্ড তৃষ্ণা কাজ করবে। এবং সত্যিই আমরা আজ এটাকে সচক্ষে দেখছি...।"
[র‍্যাবাই ছাহেবের পিছনে হেক্সাগ্রামের মধ্যে এক চোখ খুব সুন্দরভাবে ফুটানো হয়েছে] 

সত্যিই কাব্বালিস্টিক অলটারনেটিভ নলেজ এখন সর্বত্র ছেয়ে আছে। বিজ্ঞান থেকে শুরু করে সকল স্প্রিচুয়াল প্যাগান ট্রেডিশনগুলো সর্বত্র। এমন কি টেকনোলজি এবং নতুন কিছু রৌবাস্ট টেকনোলজিক্যাল রিভাইভ্যালের প্রতীক্ষায় আছে এসোটেরিক মুভমেন্ট এবং ফিজিসিস্টরা যেটা টেকনোক্রেটিক ওয়ান ওয়ার্ল্ড ইউটোপিয়ার স্বপ্ন দেখায়, সব কিছুই কাব্বালিস্টিক কন্সেপ্টের উপর প্রতিষ্ঠিত। বছর খানেক আগে তো এর নমুনায় একটা ভিডিও কম্পাইল করে রেখেছিলাম, দেখেন নি? https://m.youtube.com/watch?v=rw17zNZIve0

আইরনিক্যাল ফ্যাক্ট হচ্ছে যে মালাউন বিজ্ঞানী কাব্বালার প্রশংসা করছিল তাকেই গ্লোরিফাই করেছিল আরিফ আজাদ সাহেব। কোথাকার জল কোথায় গিয়ে মিশেছে! এই লোকগুলোই দাজ্জালি ইল্মের ডিফেন্ড করে বুজুর্গের বেশে। [তাকে নিয়ে কড়া ভাষায় লেখা আর্টিকেলটা ডিলিট করে দেন,ওটা কয়েকটা কারনে নিজেই আনপাবলিশ করেছিলাম] 

আজকের গোটা মেইনস্ট্রিম সৃষ্টিতত্ত্ব এই কাব্বালিস্টিক কন্সেপ্টের উপরই প্রতিষ্ঠিত। ইজরাইলের ওয়ার্ল্ড কাব্বালা একাডেমির চেয়ারম্যানের ভাষায় পৃথিবীর সর্বত্র বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কাব্বালিস্টিক এ্যাসেন্সই শেখানো হয়। 

আজ তো সায়েন্টিফিক ডকুমেন্টারি প্রেজেন্টেশনগুলোয় সরাসরি কাব্বালাকে ডিকোড করা দেখায়। এসব অবস্থা খুব শীঘ্রই ওদের ত্রাণকর্তা মসীহের এ্যারাইভালের ইঙ্গিত দেয়। আল্লাহর কাছে ওই মুহুর্ত থেকে পানাহ চাই। কিন্তু এ অবস্থাতেও অনেক লোক নিজেদেরকে অনেক নিরাপদ মনে করে, ভাবে এখনো অনেক হাজার বছর বাকি,অথবা ওসব কিছুই হবেনা। অনেক আলিম তো এসব নিয়ে কথা বলার ব্যপারেও ডিস্কারেজ করে। এই তো উপরে যার নাম নিলাম তারই স্কুল অব থট এরকম। তাদের এই এ্যাপ্রোচ সত্যিই ভাবিয়ে তোলে...

পথের দিশা || সত্য সন্ধানীদের উদ্দেশ্যে উস্তায আহমাদ নাবীল হাফিজাহুল্লাহর দরস

আল আদিয়াত মিডিয়া পরিবেশিত,

সত্য সন্ধানীদের উদ্দেশ্যে উস্তায আহমাদ নাবীল হাফিজাহুল্লাহর দরস  “পথের দিশা”।






অনলাইনে শুনুন
https://soundcloud.com/user-190134135/sm-1

ডাউনলোড করুন
http://bit.ly/2kvNs1v

Wednesday, July 3, 2019

প্যারাডক্সিক্যাল আজাদ

 প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ নামের অত্যন্ত নিন্মমানের বইটির লেখক আরিফ আজাদ সাহেব তার এ বইটিতে কস্মলজির ব্যপারে কোন সাধারণ ভ্রান্তিকে প্রচার করেন নি। বরং তিনি এমনই কুফরবেজড শয়তানের কথনকে প্রমোট করেছেন যার শুরুই হয় ব্যবিলনে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা কুরআনে কারীমে ওই ভ্রান্ত কস্মোলজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ডের শেকড়ের ব্যপারে ইরশাদ করেছেন। কয়েক শতক পূর্বে এই ব্যবিলনীয়ান অপবিদ্যার নাম দেওয়া হয় কাব্বালা। অর্থাৎ কুফরি যাদুবিদ্যা। আর ফ্রিম্যাসন সম্রাট এলবার্ট পাঈকের ভাষায় এই ব্যবিলনিয়ান পিথাগোরিয়ান এস্ট্রোনোমিকাল আইডিয়াকে এস্ট্রলজি বা জ্যোতিষ শাস্ত্র বলে।
আর জ্যোতিষশাস্ত্রের ব্যপারে ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَنِ اقْتَبَسَ عِلْمًا مِنَ النُّجُومِ اقْتَبَسَ شُعْبَةً مِنَ السِّحْرِ زَادَ مَا زَادَ ‏"‏ ‏.‏

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জ্যোতিষ বিদ্যার কিছু শিক্ষা করলো, সে যেন যাদু বিদ্যার একটা শাখা আয়ত্ত করলো, এখন তা যত বাড়ায় বাড়াক। [৩০৫৮]

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৭২৬
হাদিসের মান: হাসান হাদিস

অর্থাৎ আমরা দেখছি নেক সুরতে কিসের বীজ বপন করা হচ্ছে!

তিনি প্রতিষ্ঠিত যে এস্ট্রোনমির কথা বলেন, তার ঠিক বিপরীতটাই বলে কুরআন ও সুন্নাহ। কুফরি যাদুশাস্ত্র কাব্বালিস্টিক এস্ট্রনমিকে কুরআন সুন্নাহ দ্বারা অপব্যাখ্যা আর ভ্রান্ত মনগড়া ট্রোল দিয়ে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। তাকে এসব বিষয় প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ রচনার সময়েই জানানো হয়েছিল, কিন্তু তিনি ছিলেন এসব ব্যপারে বেপরোয়া! অদ্ভুতভাবে তার বাতিল মতাদর্শটিই সাধারন মানুষের মধ্যে ভাইরাসের আকারে ছড়িয়ে পড়ে এমনকি তাওহীদবাদী সত্যিকারের দ্বীনদার ভাইয়েরাও বোধকরি ওনার খপ্পরে পড়েছিল। তারা আজও হয়ত কনফিউজড। তার শয়তানি কিতাবটির প্রশংসা করেন খোদ চরমনাই পীর ছাহেব। রতনে রতন চেনে প্রবাদটি সত্য ।

তিনি কাফেরদেরই সুডো সাইন্টিফিক বা ন্যাচারাল ফিলসফিক্যাল নোশনকে পরমভক্তির সাথে নিয়ে কুরআন-সুন্নাহর সাথে মিশিয়ে ব্যাখ্যা করেন।। তার চেষ্টাটি এরূপ ছিল যে, কোন ব্যক্তি স্যাটানিক ইনক্যান্টেশন উচ্চারণ করে বলছেন এসবই কুরআনে ১৪০০ বছর আগে বলা হয়েছে। এবং ভাইসভার্সা। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। এ বিষয়গুলোর ব্যপারে প্রথম থেকেই বলে আসছি এবং বরাবরের মত তার ফ্যানবয়দের রোষানলে পড়ছি। আজকে দেখাবো আরিফ আজাদ স্যারজি কাদের কিরূপ আকিদা কোন উপায়ে প্রমোট করেন, তার ছোট্ট প্রমান দেখাবো। আজ দেখবেন কিভাবে কুফফারদের কুফরি আকিদাগুলোকে এই নামজাদা সেলিব্রেটিগন ইসলামিক স্ট্যাণ্ডার্ডে পজিটিভলি প্রকাশ করে সাধারন লোকেদের ওদের মতই ব্যাধিগ্রস্ত মুরজিয়া বানায়।

কদিন আগে দেখলাম তিনি একটি লেখা প্রকাশ করেন। সেখানে থিওরি অব এভ্রিথিং/স্ট্রিং থিওরি নিয়ে দু'চার কলম লেখার খুব চেষ্টা চালান। এবং তিনি এর ব্যপারে বেশ ইতিবাচক। শয়তানের আনিত কাব্বালিস্টিক শাস্ত্রের অনুসারী ফিজিসিস্ট মিচিও কাকু'কে খুব প্রোমোট করতে চেষ্টা চালান। অন্যান্য নাস্তিক ফিজিসিস্টদের সাথে তুলনা করে তার প্রতি এমন ভক্তি দেখিয়েছেন যে শ্রদ্ধায় "ভদ্রলোক" শব্দটি লিখতে বাধ্য হন। দেখলে মনে হবে এই মুশরিকের বিজ্ঞাপন দিচ্ছিলেন অনেকটা লিখেছেন- "জাপানী বংশোদ্ভূত আমেরিকান এই ভদ্রলোক বিজ্ঞান জগতে উনার বিজ্ঞান ভিত্তিক কাজের জন্য খুব পরিচিত, সম্মানিত।
উনি 'সিটি কলেজ অফ নিউইয়র্ক' এর 'থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সের' একজন প্রফেসর।
থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সের উপরে লেখা উনার ৪ টি বই 'নিউইয়র্ক টাইমস' বেষ্ট সেলার হয়েছিলো।"
এক কথায় হিরো বানিয়ে দিয়েছেন।

তিনি নাস্তিক অপবিজ্ঞানী কমিউনিটির সামনে তাকে অনেকটা হিরো হিসেবে উপস্থাপন করেন। তার বিভিন্ন সময়ে বলা কিছু কথাকে কোট আনকোট করে নিয়ে আসেন যার দ্বারা পাঠকদের বোঝাতে চান উনি এক মহান বিজ্ঞানী যিনি কিনা রহমান আল্লাহর অস্তিত্বের কথা বলছেন, তিনি অন্যান্য নাস্তিকদের মত নন, তিনি বিজ্ঞানবলে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব পেয়ে গেছেন,তিনি একজন আস্তিক বা আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসী।

তার লেখার আরও কিছু অংশ--
"সম্প্রতি ভদ্রলোক বিজ্ঞান জগতকে আরেকটু নড়েচড়ে বসালেন।
মহাজাগতিক কণা নিয়ে থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সে কাজ করতে গিয়ে উনি সবিস্ময়ে লক্ষ্য করলেন যে, আমাদের এই মহাবিশ্ব তৈরিতে একজন স্রষ্টা থাকা অনিবার্য।
তিনি বলেছেন, 'I have concluded that we are in a world made by rules created by an intelligence'
অর্থাৎ, 'আমরা এমন একটা জগতে আছি যেখানকার সকল নিয়ম একজন বুদ্ধিমান সত্ত্বা কর্তৃক সৃষ্ট।'
তিনি আরো বলেন, 'Believe me, everything that we call chance today won't make sense anymore'
অর্থাৎ, যেটাকে সেক্যুলার তথা নাস্তিকরা একসিডেন্টের ফলে 'বাই চান্স' তৈরি হয়ে গেছে বলে থাকে, বিজ্ঞানী Michio Kaku এটাকে বাতুলতা বলছেন। তিনি বলছেন এরকম একটা Fine-Tuned মহাবিশ্ব কখনোই বাই চান্স তৈরি হতে পারে না।
তিনি বলেন, “To me it is clear that we exist in a plan which is governed by rules that were created, shaped by a universal intelligence and not by chance.”
অর্থাৎ, 'আমার কাছে এটা পরিষ্কার যে, আমরা একটা পরিকল্পনার অংশ যেটা কিছু সুনির্দিষ্ট রুলসের আওতাধীন, যে রুলসগুলো তৈরি করেছেন এবং সাজিয়েছেন একজন বুদ্ধিমান সত্ত্বা।'
আমাদের মহাবিশ্ব এতোই ফাইন টিউনড, এতোই সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো যে, পদার্থবিজ্ঞানী Michio Kaku স্রষ্টাকে একজন 'ম্যাথমেটিশিয়ান' বলে উল্লেখ করতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি বলেছেন, 'The final solution resolution could be that God is a mathematician'-"

আরিফ আজাদদের মত অপবিজ্ঞানপন্থী এবং ইরজা আক্রান্ত ইসলামিক লেখকের এই লেখা পড়ে সরল সোজা পাঠক সত্য সত্যই তাই ভাবছে যা ভাবিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন আসল ব্যপারটি বুঝলে, ধরতে পারবেন এ সকল ঠান্ডা মাথার ফিতনা সৃষ্টিকারী ইরজাগ্রস্ত 'ইসলামিক লেখকরা' কতটা ভয়ংকর।

আপনারা কেউ কি আন্দাজও করতে পারেন পদার্থবিদ মিচিও কাকু সাহেব তার উক্তিতে "mathematician God/ universal intelligence" বলতে কি বুঝিয়েছেন??! বস্তুত, তিনি বুঝিয়েছেন গড অব স্পিনৌজা কে। এটা তিনি তার অন্য যেকোন এ সম্পর্কিত লেকচারে আইনস্টাইনের রেফারেন্স দিয়ে বলেন। তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় জীবন ও সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব থাকার প্রশ্ন সম্পর্কিত, তখন তিনি স্পষ্ট করে বলেন, "আমাকে বলতে দিন আমরা ফিজিসিস্টরা কিভাবে বিষয়টা দেখি, উদাহরনস্বরূপ, আইনস্টাইন বড় একটা প্রশ্ন করতেন, যে কোন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব আছে কিনা,সব(সৃষ্টিজগতের) কিছুর মানে আছে কিনা,আর এভাবেই আইন্সটাইন এ প্রশ্নের জবাব দিতেন যে, দুই ধরনের ঈশ্বর(গড) আছে। আমাদেরকে অনেক বৈজ্ঞানিক চিন্তার হতে হবে, আমাদেরকে ডিফাইন করতে হবে আপনি গড দ্বারা বোঝেন। যদি গড বলতে হস্তক্ষেপ করার ঈশ্বরকে বোঝানো হয়, ব্যক্তিক সত্ত্বাগত ঈশ্বরকে বোঝায়,প্রার্থনা শোনার God কে বোঝায়, তাহলে আপনাকে সেটাকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে যে সৃষ্টিকর্তা কি সত্যিই আমাদের সকল প্রার্থনা শোনেন(?) যেমন ক্রিসমাসে বাই-সাইকেল চাওয়া, তিনি(আইনস্টাইন) ঈশ্বরের ব্যপারে ধারনায় এরকমটা মানতেন না,তিনি(আইনস্টাইন) বিশ্বাস করতেন নিয়ম-নীতির গড,হার্মোনি, সৌন্দর্যের, সিমপ্লিসিটি এবং আভিজাত্যতার গড, দ্য গড অব স্পিনৌজা(প্যান্থেইস্টিক)। এই ধরনের গডে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন, কারন তিনি দেখতেন মহাবিশ্ব অত্যন্ত গর্জিয়াস, এসব ঐরকম থাকবার কথা নয়, এটা বরং হতে পারতো বিশৃঙ্খল, কদর্য, নোংরা।.."

অনেক পাঠক 'গড অব স্পিনোজা' এর অর্থ বুঝতে পারছেন না। বারুচ স্পিনোজা নামের এক নিকৃষ্ট শ্রেণীর কাফের সর্বেশ্বরবাদকে(ওয়াহদাতুল উজুদ/মনিজম) ফিলসফিতে ইংরেজিতে অফিশিয়াল নাম দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করেন। একে এরপরে থেকে প্যান্থেইজম নামে ইংরেজিতে সহজে বোঝানো হয়। যদিও এই আকিদা ব্যবিলনীয়ান এস্ট্রলজি থেকে এসেছে, ইতোপূর্বে এর অর্গানাইজড ফর্ম ছিল না।এই বিশ্বাস অনুযায়ী প্রকৃতিকেই গডে পার্সোনিফাই করে ডাকা হয়। একেই স্পিনোজা'স গড, স্পিনোজিজম বলে।
দেখুনঃ https/en.m.wikipedia.org/wiki/Spinozism


কাকু দাবি করেন তার জীবনের লক্ষ্যই আইনস্টাইনের অসম্পূর্ন স্বপ্নকে সম্পূর্ন করা। একটি থিওরি অব এভ্রিথিং প্রতিষ্ঠা করা। তাকে যখনই সৃষ্টিকর্তার কথা জিজ্ঞেসা করা হয় তিনি সব সময়েই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আইনস্টাইনের রেফারেন্স দিয়ে বলতেন, "ইসহাক(আ), ইউসুফ(আ), মূসা(আ) ইত্যাদি নবীদের 'পালনকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করা কঠিন"। কিন্তু বারুচ স্পিনোজার সর্বেশ্বরবাদের কুফরি অর্থে 'ঈশ্বর' বা গড শব্দটিতে বিশ্বাস করতেন আইনস্টাইন সাহেব এবং এটাই গ্রহণযোগ্য। তাকে অপর এক সাক্ষাতকারে এ ব্যপারে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, তিনি দুইটি ধর্মকে কাছে থেকে দেখেছেন। পরিবারকে বৌদ্ধধর্মে পেয়েছেন কিন্তু আমেরিকায় পেয়েছেন খ্রিষ্টান। এজন্য তিনি তার থিওরিতে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে ব্যাখ্যা করতে দুই ধর্মের তথ্যকে একাকার করে একটা কুফরি দর্শন বানিয়ে নিয়েছেন। পৃথিবীর মহাবিশ্বটা সৃষ্টির বিগব্যাং হবার আগে Nirvana পার হয়ে আসছে। এরপরে নাকি বিবলিক্যাল মহাবিশ্ব সৃষ্টি করছেন! ১১ ডাইমেনশনের হাইপার স্পেসের কস্মিক মিউজিকই নাকি "ঐশ্বরিক মন"(mind of God) । এটা ঠিক তাই-ই যা গড অব Spinoza। এই মন রিড করতেই থিওরি অব এভ্রিথিং এর প্রয়োজন ছিল, যা নিয়ে আজ কাকু কাজ করছেন।

আরেকবার তাকে প্রশ্ন করা হয় তিনি(মিচিও কাকু) সাইন্স ও (প্যাগান)ধর্মতত্ত্বের সংযোগকে কিভাবে দেখেন, তিনি বলেন, "আমার মাথায় দুইটি অংশ সবসময় যুদ্ধে লিপ্ত থাকে, বৌদ্ধধর্মে আমরা বিশ্বাস করি সময়হীন নির্বাণে যেথায় কোন শুরু শেষ বলে কিছু নেই, যখন আমি সানডে স্কুলে পড়ি তখন আমি জেনেসিস পাঠ করি, সেখানে আমি পাই সৃষ্টিজগতের একটি শুরুর(প্রক্রিয়া)কে এমনকি ধবংসেরও দিবসকে(কিয়ামত) যেটা বৌদ্ধমতের নির্বাণ বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক,আমি আজ একজন পদার্থবিদ এবং আমাদের হাতে আছে মাল্টিভার্স এর ধারনা, আমরা সেটাকে দুইরকমের সৃষ্টিতত্ত্বের সাথে মিশিয়ে নিতে পারি, মাল্টিভার্সের হায়ার ডাইমেনশনে একটা নির্বাণ অবস্থা রয়েছে যেখানে বাবল(bubble) মহাবিশ্ব গুলোর সংঘর্ষের মাধ্যমে অস্তিত্বে আসে, আর অজস্র বিগ ব্যাং হতে থাকে এবং অজস্র জেনেসিস ঘটতে থাকে যা বাবল ইউনিভার্সসমূহের সংঘর্ষে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতে থাকে।... রিডাকশনিজম অনুযায়ী অটম গুলো ভাঙলে অজস্র পার্টিকেলের দেখা মেলে যার কোন মানে নেই। কিন্তু আমাদের এখন আরো বেশি হলিস্টিক দৃষ্টিভঙ্গি আছে স্ট্রিং থিওরিতে। যা আমাদের বলে আমাদের দেখতে হবে গোটা মহাবিশ্ব কম্পনশীল স্ট্রিং এর ন্যায় এটা আমাদের বলে কেন পার্টিকেলগুলো মিউজিক্যাল নোটস এর ন্যায়। আমার মনে হয় অধিকাংশ ধর্মেরই কমন একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে idea of harmony, synthesis । যখন আপনি বিজ্ঞানের দিকে তাকাবেন সেখানেও পাবেন যে বিজ্ঞান প্রাচীন কিছু সমাজের মৌলিক দার্শনিক দিকনির্দেশনা মেনে চলে। হার্মোনির অনুসন্ধান, ঐক্যের(সৃষ্টি স্রষ্টার অস্তিত্বের ঐক্য-ওয়াহদাতুল উজুদ/মনিজম) অনুসন্ধান। এজন্য আইনস্টাইন বলেন তিনি স্পিনোজার(সর্বেশ্বরবাদী) গডে বিশ্বাসী। যেটা গড অব হার্মোনি।নয়ত মহাবিশ্ব এতটা হার্মোনিয়াস(গুছানো/নীতিবদ্ধ/সুশৃঙ্খল) হত না এখন যতটা। তিনি পার্সোনাল (ইব্রাহীম /ইসহাক/ইয়াকুব নবীদের) গডে বিশ্বাস করতেন না। যেটা প্রার্থনার ঈশ্বর। তিনি বিশ্বাস করতেন একজন নিয়মদাতা আছেন এটাই হচ্ছে হার্মোনির নীতি।"

অর্থাৎ মিচিও কাকু চমৎকারভাবে অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে তার নিজ আকিদাকে প্রকাশ করেছেন। তিনি বৌদ্ধদের কুফরি সৃষ্টিতত্ত্বের দর্শনকে ইউনিভার্সের একদম ফান্ডামেন্টাল অরিজিন হিসেবে রেখেছেন। (তার কথানুযায়ী)খ্রিষ্টান থিওলজিকে যদি ক্যাথলিকদের মত কুফরি বিগব্যাং তত্ত্ব দ্বারাও খাপ খাইয়ে নেন এরপরেও নির্বানই সবকিছুর শুরু। অর্থাৎ তার মতে বিবলিক্যাল ঈশ্বর যদি থেকেও থাকে তবে তার উপরে আরো পূর্বে আছে বৌদ্ধমত অনুযায়ী নির্বান!!(নাউজুবিল্লাহ)


এখানেই কাব্বালিস্টিক এস্ট্রোফিজিক্সের অনুসারী মিচিও কাকু জানিয়ে দিলেন স্রষ্টার ব্যপারে কিরূপ আকিদা। এর পরে আরো সুচারুরূপে ক্ল্যারিফাই করে দিলেন- " আমাদের এখন আরো বেশি হলিস্টিক দৃষ্টিভঙ্গি আছে স্ট্রিং থিওরিতে। যা আমাদের বলে আমাদের দেখতে হবে গোটা মহাবিশ্ব কম্পনশীল স্ট্রিং এর ন্যায় এটা আমাদের বলে কেন পার্টিকেলগুলো মিউজিক্যাল নোটস এর ন্যায়। আমার মনে হয় অধিকাংশ ধর্মেরই কমন একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে idea of harmony, synthesis । যখন আপনি বিজ্ঞানের দিকে তাকাবেন সেখানেও পাবেন যে বিজ্ঞান প্রাচীন কিছু সমাজের মৌলিক দার্শনিক দিকনির্দেশনা মেনে চলে। হার্মোনির অনুসন্ধান, ঐক্যের(সৃষ্টি স্রষ্টার অস্তিত্বের ঐক্য-ওয়াহদাতুল উজুদ/মনিজম) অনুসন্ধান। এজন্য আইনস্টাইন বলেন তিনি স্পিনোজার(সর্বেশ্বরবাদী) গডে বিশ্বাসী। যেটা গড অব হার্মোনি।নয়ত মহাবিশ্ব এতটা হার্মোনিয়াস(গুছানো/নীতিবদ্ধ/সুশৃঙ্খল) হত না এখন যতটা। তিনি পার্সোনাল (ইব্রাহীম /ইসহাক/ইয়াকুব নবীদের) গডে বিশ্বাস করতেন না। যেটা প্রার্থনার ঈশ্বর। তিনি বিশ্বাস করতেন একজন নিয়মদাতা আছেন এটাই হচ্ছে হার্মোনির নীতি।"

হ্যা অধিকাংশ (প্যাগান) ধর্মেরই কমন একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে "আইডিয়া অব হার্মোনি, সিন্থেসিজ",এটাই প্রাচীন ব্যবিলনীয়ান সমাজে গড়ে ওঠে এবং এই কুফরি দর্শনের দিকনির্দেশনাই প্রতিষ্ঠিত অপবিজ্ঞান মৌলিকভাবে মেনে চলে। এজন্য আইনস্টাইনও এই সর্বেশ্বরবাদেই বিশ্বাস করতেন 'গড' এর নামে। এই স্ট্রিং থিওরিও হার্মোনির বার্তা দেয়। এটা হাইপার স্পেসের কস্মিক মিউজিকের বার্তা দেয়, আর কস্মিক বাবল অবস্থার মাল্টিভার্স Nirvana'র বার্তা দেয়। অর্থাৎ আরিফ আজাদের দৃষ্টিতে 'ভদ্রলোক' মিচিও কাকু আইনস্টাইনিয়ান প্যান্থেইস্টিক বিশ্বাসের কথা বলেন। একেই তার স্ট্রিং থিওরির সহায়তায় বেশি লজ্যিক্যাল এবং গ্রহণযোগ্য বলে দাঁড় করাচ্ছেন। এই প্যান্থেইস্টিক Mind of God'ই ইউনিভারসাল ইন্টেলিজেন্স যার কারনে ইউনিভার্স এতটা হার্মোনিয়াস/পরিপাটি/সুশৃঙ্খল! লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!

অপর এক বিতর্কে কাকু বলেন, "আমার এই দিকে যারা আছেন ১০০% নিশ্চিতভাবে তারা বিশ্বাস করে,যে কোন সৃষ্টিকর্তা নেই। জীবনের কোন উদ্দেশ্য নেই। আর এইদিকের গ্রুপ ১০০% বিশ্বাস করে যে জীবনের মানে আছে এবং একজন ঈশ্বর আছেন। একদিকের লোকেরা শুদ্ধ আরেকদিকের লোকেরা ভুল, তাই তো? আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে তারা উভয়েই ভুল।
বিজ্ঞান কি? বিজ্ঞান হচ্ছে ডিসাইডেবল স্টেইটমেন্ট, আমি যদি এখন সেলফোনটি নিচে ফেলে দেই, আমি জানি এটা ডিসাইডেবল, এটা নিচে পড়বে গ্রাভিটির জন্য। সাইন্স এমন সব স্টেটমেন্ট এর উপর প্রতিষ্ঠির যা পরীক্ষার যোগ্য, পুনঃপরীক্ষন যোগ্য, ডিসাইডেবল, ফলসিফাইয়েবল।
সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব আছে কিনা এটা আনডিসাইডেবল(অনির্ধারনযোগ্য)। এটা বিজ্ঞানের অংশ নয়। এটা অনেকটা একটা (পৌরাণিক অলীক প্রানী)ইউনিকর্নের অস্তিত্বকে মিথ্যা প্রমান করার ন্যায়।... এখন, আমি একজন পদার্থবিজ্ঞানী, আমার জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে আইন্সটাইনের একটা ইক্যুয়েশনের স্বপ্নকে সম্পূর্ন করা যা কিনা এক ইঞ্চির বেশি বড় হবেনা,যেটা সকল বস্তুগত জ্ঞানের সারাংশ বের করবে। এবং আমাদেরকে "ঈশ্বরের মনকে পড়তে" অনুমতি দেবে। তো তার(আইন্সটাইনের) কি দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ঈশ্বরের প্রতি(?)। আইনস্টাইন বলেছেন দুই ধরনের ঈশ্বরের কথা। এটাই সকল কনফিউশন তৈরির কারন। প্রথম ধরনের ঈশ্বর হচ্ছে ব্যক্তিগতজীবন ঈশ্বর।এটা হচ্ছে প্রার্থনার ঈশ্বর, প্রতিশোধপ্রবন ঈশ্বর, ঐ ঈশ্বর যে প্রার্থনায় সাড়া দেয়, মূসা(আ), ইসহাক(আ),ইয়াকুব(আ) এর ঈশ্বর। আইনস্টাইন বলতেন আপনি এই ধরনের ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে পারতেন না।কিন্তু আরেক ধরনের ঈশ্বর আছে। এটা হচ্ছে বারুচ স্পিনোজার ঈশ্বর(সর্বেশ্বরবাদ-প্রকৃতিপূজা), হার্মোনি বিউটি,simplicity, elegance এর ঈশ্বর।
এগুলো থাকত না যদি ইউনিভার্স কোন এক্সিডেন্ট এর দ্বারা তৈরি হত।তাই আমি ঈশ্বরের অস্তিত্বের কোন এভিডেন্স(সাক্ষ্যপ্রমাণ) পাইনা। এর মানে এই নয় তার কোন অস্তিত্বই থাকবে না বা জীবনের কোন মানে বা অস্তিত্বই নেই। আমি শুধুমাত্র ফিজিক্সের ইক্যুয়েশনে এটা খুজে পাচ্ছিনা। তো, আমাদের নিকট 'ঈশ্বরের মনের' একজন ক্যান্ডিডেট আছে। ঐশ্বরিক মনের ক্যান্ডিডেট হচ্ছে এগারো ডাইমেনশনের হাইপার স্পেসের কস্মিক মিউজিক।"

এই হচ্ছে অবস্থা। মিচিও কাকু সুস্পষ্টভাবেই বলে দিলেন যে তিনি সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের কোন এভিডেন্সই পান না। আর তার অস্তিত্বটি ইউনিকর্ন এর অস্তিত্বে বিশ্বাসের ন্যায়। এটা নাকি আনডিসাইডেবল! এজন্য তিনি আইনস্টাইনিয়ান প্যান্থেইস্টিক "মাইন্ড অব গডে" বিশ্বাস করেন, যা কি না পৃথিবীর সুশৃঙ্খলিত অবস্থার কারন, মনিস্টিক ঐশ্বরিক ঐ মনের জন্যই সবকিছু এত হার্মোনিয়াস এতটা ম্যাথম্যাটিক্যাল, ইউনিভার্স এক্সিডেন্ট এর কারনে তৈরি হলে এমন হত না!!


আশা করি এবার বুঝতে পারছেন আরিফ আজাদ সাহেবের ভন্ডামি। তিনি সুস্পষ্ট কুফরি আকিদাকে ইসলামিক স্ট্যান্ডার্ডে নিয়ে আসলেন। এমনকি মহান প্রতিপালকের উপর এটা আরোপ করলেন। তার ভন্ডামির সাফল্য বোঝা যায় তার ওই পোস্টেরই একটি মন্তব্যেঃ
"
Md Abdul Khalique Tapader
ভাই আযাদ এক বিশেষ সময়ে আপনি যে অসাদারন কাজটি করছেন সতিবলতে গেলে এঅল্প বয়সে আল্লাহ আপনাকে মনে হয় তার খাছ কোন বান্দা হিসাবে কবুল করেনিয়া ছেন। এত যুকতি পুরন আবিষ্কার আপনাকে অনেক উপরে নিয়ে যাবে। আপনার মাতাপিতার জন্ম দাতা হিসাবে তাদের সারতক হোক।

5 · Like · React · Reply · Report · Jan 19, 2017"


যাহোক,অবশেষে এই মুশরিকের প্রতি আরিফ আজাদের শ্রদ্ধা এত বেড়ে যায় যে বলেই ফেলেন-"
"বিজ্ঞানী Michio Kaku নিশ্চই কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন না। তার গবেষণা, তার উপলব্ধি, তার প্রমান তাকে এই কথাগুলো বলতে বাধ্য করেছে।"!!!!!!

প্রিয় পাঠক অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন যে আমি বারবার আরিফ আজাদ সাহেবের এই কস্মোলজি এবং মিচিওকাকুকে 'কাব্বালিস্টিক কস্মোলজি"র অনুসারী বলেছি। এ কথা আমার মনগড়া বানোয়াট কিছু নয়। স্বয়ং মিচিও কাকু-ই এই কস্মোলজিক্যাল আইডিয়াকে কাব্বালার প্রতিফলন বলেছেন। শুধু তাই নয় তার স্ট্রিং থিওরিটিও কব্বালিস্টিক টেক্সটের প্রতিফলন। ইন্না লিল্লাহ!!
তিনি বলেনঃ
"আমি একজন থিওরেটিকাল ফিজিসিস্ট এবং আমি বলতে পছন্দ করি, আমি এলবার্ট আইনস্টাইন, নিলস বোর এর মত জায়ান্টদের পদচিহ্ন অনুসরণ করি। আমি কোন দার্শনিক নই। যাহোক, আমি একটা বাস্তব বিষয়ের ব্যপারে বিমোহিত; স্ট্রিং থিওরি বা থিওরি অব এভরিথিং এর অনেক মৌলিক রহস্য কেমন যেন জোহার এবং কাব্বালারই প্রতিফলন। "


"এটা বরং বিস্ময়কর যে, বর্তমান যুগের কিছু অত্যাধুনিক মহাকাশবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু যা আমরা পাই স্যাটেলাইট থেকে,যা আমরা পাই এটম স্ম্যাশার থেকে, যা আমরা পাই আমাদের ব্ল্যাকবোর্ড থেকে, সেসব কেমন যেন জোহার এবং প্রাচীন কাব্বালিস্টিক শাস্ত্রের প্রতিফলন।"
কি ব্যপার বিশ্বাস হচ্ছে না? 😆 আচ্ছা তাহলে দেখে আসুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=rw17zNZIve0

এবার আপনিই বলুন, কোন বিষয়টি আরিফ আজাদকে নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে "বিজ্ঞানী Michio Kaku নিশ্চই কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন না""!!?
নাকি তারা উভয়েই অভিন্ন এজেন্ডার কর্মসম্পাদন করছেন!!যার কারনে, অপরিচিতদের থেকে ইল্ম নেওয়া যাবে না, তাওহীদ ও জিহাদের দাঈ'রা খারেজি!! আপনি তো দেখলেনই এই ফিজিসিস্ট সরাসরি শয়তানের শাস্ত্রের অনুসরন করছেন এবং আরিফ আজাদ এটাকেই কত সুন্দর লেখার মোড়কে মুড়িয়ে প্রচার করছেন! আজাদ সাহেব এই (মিচিও কাকুর ভাষায়) কাব্বালিস্টিক কস্মোলজিকেই চমৎকারভাবে ইসলামাইজড করে প্রচারের কাজ করেন। আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।

এই হচ্ছে আরিফ আজাদ সাহেবের "জ্ঞ্যানের" দৌড়। এবং তার প্রকাশ্য ভণ্ডামি দৃষ্টান্ত। এতদিন এসব আবর্জনা লিখে নাম কামিয়েছে। তার ওই পোস্টটির কন্টেন্ট যেরূপ সঠিক, ঠিক ততটাই শুদ্ধ তার অন্যান্য আর্টিকেলে কুফফারদের অপবিজ্ঞানকে ইসলামাইজড করার মনগড়া লজিক গুলো। এরা এমনই শাস্ত্রের অনুসরন করে যা বাবেল শহর থেকে চারদিকে ছড়িয়েছে,যা সুলাইমান(আ) এর শাসনামলে শয়তানরা আবৃত্তি করত।

একটা প্রশ্ন আসে, আরিফ আজাদ সাহেব কি তাহলে মিচিও কাকু/আইনস্টাইনের গড/'ইউনিভারসাল ইন্টেলিজেন্স' এর দিকে দাওয়াত দেন,তার সকল লেখার দ্বারা (?) যেখানে তামিম আল আদনানি(হাফিঃ), ইমাম আনোয়ার আল আওলাকিরা(র) খাওয়ারিজ তথা জাহান্নামের কুকুর?? তিনি তার লেখনীতে তো এটাই প্রকাশ করেন। এজন্যই কি তাওহীদের ঝাণ্ডাধারীদের প্রতি এতো বিদ্বেষ!!?

একজন লোক কতটা ব্যাধিগ্রস্ত হলে এভাবে সুস্পষ্ট কুফরি আইডিওলজি ও ডক্ট্রিনগুলোকে কুরআন সুন্নাহ দ্বারা কম্প্যাটিবল করে! জ্ঞানের এই দশা নিয়েই আজ এরা ইমাম আনোয়ার আল আওলাকি(রহ.) কে খাওয়ারিজ বলে! এদেরকে কি এমনিতেই মুরজিয়া বলা হয়?!!

আমার দুশ্চিন্তা হয়, কাল আবার ইজরাইলের কাব্বালা ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান র্যাবাঈ মিকাঈল লেইটম্যানের সাথে গলা মিলিয়ে না বলে যে "কাব্বালা হচ্ছে সাইন্স, যার উৎপত্তি প্রাচীন বাবেল শহরে। সাধারন মানুষের দ্বারা একে জাদুবিদ্যা সাব্যস্ত করার মিসকনসেপশন রয়েছে। ", এও না বলা শুরু করে ১৪০০ বছর আগে কুরআনেও.... নাউজুবিল্লাহ।
বস্তুত, সরাসরি না বললেও কিন্তু পরোক্ষভাবে এই কথাটিই বলেন।পড়ুনঃ
https://m.facebook.com/islamic.cognition/photos/a.291781357945730.1073741828.282165055574027/472996026490928/
এরা মিচিও কাকুর মতানুযায়ী কাব্বালার প্রতিফলন তথা মেইনস্ট্রিম কস্মোলজি/কস্মোজেনেসিসকে কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা মিশিয়ে এবং বানোয়াট যুক্তি দিয়ে সামঞ্জস্যশীল করে।

আরিফ আজাদ সাহেবের পোস্টটির লিংকঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=650978951739934&id=100004835040654


তথ্যসূত্রঃ
https://m.youtube.com/watch?v=mPmmLRR9wTI

https://m.youtube.com/watch?v=Hi6yPJvCFU0

https://m.youtube.com/watch?v=fniKbA2Ld88

https://m.youtube.com/watch?v=jremlZvNDuk