Wednesday, December 12, 2018

৬.বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?


বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?
The Occult Origins of Mainstream physics and Astronomy: [পর্বঃ৬]





     
 মনে করুন, এক অমুসলিম ব্যক্তি আপনার নিকট এলো। তার মাথায় লম্বা জটাধরা চুল, হাতে-গলায় বিচিত্র কবচ মাদুলি, হাতে কিসব জ্যামিতিক আঁকিবুঁকি, কানে দুল, ললাটে কিসব চিহ্ন। শরীর থেকে গাজা বা সেরকম কোন অচেনা কিছুর কটু গন্ধ। আপনি জানেন, তিনি একজন সুপরিচিত যাদুকর-গনক ও জ্যোতিষী। তিনি আপনাকে আসমান-যমীন সৃষ্টিতত্ত্ব এবং প্রকৃতির রহস্য নিয়ে এমন কিছু বললেন যা আপনি কখনো শোনেন নি। তিনি এত কনফিডেন্সের সাথে সেসব বলছেন, যেন সেসব গায়েবের জ্ঞান তার কাছে সবিস্তর বিদ্যমান। এমতাবস্থায় আপনি সে যাদুকরের কথা কিরূপ মূল্যায়ন করবেন? আপনার নিকট সে রহস্যবাদী গুপ্তজ্ঞানের দাবিদার যাদুকরের কথা কতটুকু গ্রহণযোগ্য?




বস্তুত, এর উত্তর আপনার স্বীয় মতাদর্শের উপর নির্ভর করে।

তদ্রূপ আরেকটি দৃশ্যকল্পঃ
ঐ যাদুকর তার সকল গুপ্তজ্ঞান(Occult knowledge) গ্রন্থাকারে সংরক্ষন করলেন। তার মৃত্যুর পরে অনেক বছর পরে কিছু অমুসলিম ব্যক্তি ওই গ্রন্থশাস্ত্র হাতে পায় এবং নিবিড় অধ্যয়ন শুরু করে। একপর্যায়ে তারা সমাজে ধীরে ধীরে তাদের ঐ গুপ্তগ্রন্থ লব্ধ জ্ঞান প্রচার করতে শুরু করে। প্রথম দিকে সেসব তথ্য হেরেটিক হবার জন্য সমাজপতি ও মৌলবাদী ধর্মপন্থীদের কাছে অগ্রহণযোগ্য হয়ে ছিল। এজন্য ওই গুপ্তবিদ্যা প্রচারকারীদের অনেকের জীবনও খুয়াতে হয়েছে। কিছু বছর যাবার পরে সেসব শাসকদের বিদায় হলে এবং ধর্মপন্থীদের দৌরাত্ম্য কমলে সেই গুপ্তবিদ্যার প্রসার বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে যাদুকরের সেসব গুপ্তশিক্ষাই হয়ে গেল সমাজের 'জ্ঞান-বিজ্ঞানের' কেন্দ্রবিন্দু। অতঃপর চার-পাঁচ শতাব্দীর পরে এমন একটা সময় আসলো, যখন ওই প্রাচীন গুপ্তজ্ঞানের পরিবর্ধিত অবস্থার ব্যবহার ছাড়া মানুষ ভিন্ন কিছু চিন্তা করতে পারে না। হাজারে একজন যদি ওই জ্ঞানের সামান্য বিরুদ্ধেও কিছু বলে, তবে তাকে নিয়ে শুরু হয় উপহাস-ঠাট্টা ও তামাশা। তাকে বাতুল-মূর্খ- কুসংস্কারাচ্ছন্ন প্রভৃতি শব্দ দ্বারা হেয় করতেও বাকি রাখে না।

আপনার কাছে আবারো একই প্রশ্ন, মৃত যাদুকরের গুপ্তবিদ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত সৃষ্টি রহস্য সংক্রান্ত কথিত জ্ঞান-বিজ্ঞান কতটুকুন গ্রহণযোগ্য আপনার নিকট? বিশেষ করে আপনি যদি ইব্রাহীম(আ:) ধর্মের অনুসারী হন, তবে?

জ্বি, বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও উপরের দৃশ্যকল্পগুলো বস্তুত আজকের সময়েরই রূপক বর্ননা! আমরা ইতোপূর্বে বিগত পর্বগুলোয় Occultist(যেমনঃফ্রিম্যাসনিস্ট,স্যাটানিস্ট,স্পিরিচুয়ালিস্ট ইত্যাদি) দের আকিদা বা বিশ্বাস এবং সেসবের অরিজিন এবং যাদুবিদ্যার কিছু জনপ্রিয় স্কুল বা ট্রেডিশন নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এ বিষয়গুলো জানা এজন্যই প্রয়োজন ছিল, যাতে করে পরবর্তীতে যে বিষয়গুলো আনা হবে সেসবের সাথে সম্পর্কটা বুঝতে পারেন। আমাদের এ সময়টায় আমাদের অবস্থা এরকম যে, রূপকার্থে, আমরা মদ কোনটি আর ফলের রসের কোনটি, তা চিনতে পারছি না,পার্থক্যও করতে পারছিনা। আমরা নির্বোধের মত শেকড় সম্পর্কে কিছু না জেনেই গ্রহন করছি। নিষিদ্ধ সাব্জেক্টের মূল সম্পর্কে অনবহিত রেখেই সেসব গ্রহনের জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এজন্য নিষিদ্ধ বস্তু চেনার জ্ঞান থাকা জরুরী, যাতে করে ফলের রসের থেকে পার্থক্য করা যায় এবং অজ্ঞাতসারে নিষিদ্ধ বস্তু গ্রহনের ফাঁদ থেকে নিরাপদে থাকা যায়।




গতপর্বে আমরা দেখেছি দর্শনশাস্ত্রের ভেতরের চিত্র। আমরা দেখেছি উনবিংশ শতাব্দীপূর্ব ন্যাচারাল ফিলসফিই পরবর্তী সময়ে 'মডার্ন সায়েন্স' এর মর্যাদা লাভ করে। এজন্য আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু এমন এক মহান ব্যক্তিত্বকে ঘিরে, যিনি এই গোটা দর্শনশাস্ত্রের জনক; গনিত ও আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের মহান আলোকবর্তিকা । নিউমেরলজি,সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্র, এস্ট্রলজি,ডিভিনেশন, যাদুবিদ্যার শ্রেষ্ঠসাধক! তিনি আমাদের সকলের সুপরিচিত- পিথাগোরাস!

Pythagoras of Samos (570–495 BC)[Notes 1][4] was an IonianGreekphilosopher and the eponymous founder of the Pythagoreanism movement. His political and religious teachings were extremely influential in Magna Graecia and exerted a profound impact on the philosophies of Plato, Aristotle, and, through them, Western philosophy.
(উইকিপিডিয়া)



পিথাগোরাস ছিলেন প্রথম জ্ঞানের সাধক(লাভার অব উইসডোম-ফিলোসোফিয়া),সকল গ্রীক দার্শনিকদের মহাগুরু,পিথাগোরিয়ানিজমের আধ্যাত্মিক প্রবর্তক। পাশ্চাত্য ও আরব দর্শন পিথাগোরিয়ানিজম দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত।

It was said that he was the first man to call himself a philosopher ("lover of wisdom")
and that he was the first to divide the globe into five climatic zones.(উইকিপিডিয়া)



মহাঋষি পিথাগোরাসের সংক্ষিপ্ত বর্ননা প্রথম দেন হেরোডোটাস। তিনি বলেছেন, যাদুকর পিথাগোরাস তার অনুসারী শিষ্যদেরকে অমরত্ব সিদ্ধির শিক্ষা দিতেন।

The first concise early description of Pythagoras comes from the historian Herodotus of Halicarnassus (c. 484–c. 420 BC),[18] who describes Pythagoras as "not the most insignificant" of Greek sages[19] and states that Pythagoras taught his followers how to attain immortality.[18]
(উইকিপিডিয়া)

অতএব, খুব ভাল করেই দেখছেন, তার দর্শন কিছুটা ইস্টার্ন মিস্টিসিজম(হিন্দু-বৌদ্ধ-বৈষ্ণব) এর সাথে মিলে যায়। কেমন যেন একই ওয়ার্ল্ডভিউ এর প্রচারকারী!
একারনে ঈসা আলাইহিসালাম এর আগমনের ৫০০ বছর আগে আসা পিথাগোরাসের জ্ঞানতত্ত্ব শুরু থেকেই আদি খ্রিষ্ট্র সমাজে গ্রহণযোগ্য হচ্ছিলো না। খ্রিষ্টানরা ৩০০CE এর পরে বিকৃত ও পথভ্রষ্ট কাফেরে পরিনত হবার পরেও ওরা এই বিষয়ে সচেতন ছিল। পিথাগোরিয়ান আকিদা ছিল যে, যেকোন মানুষ যে কোন ধর্ম থেকেই স্রষ্টার সাথে একাত্ম হতে পারে, মৃত্যু বলে কিছু নেই, পুনরুত্থান বিচার দিবস এসবও কিছু নেই(নাউজুবিল্লাহ), আছে রিইনকারনেশন বা পুনর্জন্ম।স্রষ্টার সাথে সিদ্ধিলাভকারীরা মিলে যায় ফলে অমরত্ব পায় এবং পুনর্জন্মচক্র অবসান হয়! স্রষ্টা সৃষ্টির মাঝেই বিদ্যমান বলে নিজেকে আগে জানতে হবে, নতুবা ইম্মরটালিটি সম্ভব নয়। সম্ভবত, এই দর্শন সর্বপ্রথম পিথাগোরাসই গ্রীক দর্শনে নিয়ে আসে।যা অনেক দেরীতে ৭০০ খ্রিষ্টাব্দের পরে ওয়াহদাতুল উজুদ নামে ইসলামে প্রবেশ করে।






পিথাগোরাসের কুফরি দর্শন অথবা অপবিদ্যার উৎসঃ

বলা হয়,পিথাগোরাস মিশরে গিয়ে যাদুবিদ্যা শিখে আসেন। মিশরে তার একজন প্যাগান যাদুকর গুরুও ছিল। পিথাগোরাস সেখানে ব্যবিলনীয় যাদুবিদ্যার জ্ঞানের বাহক ক্যালডীয় ম্যাজাইদের সান্নিধ্যও লাভ করেন।সেখান থেকেই যাবতীয় গুপ্তজ্ঞান নিয়ে গ্রীসে ফেরেন।

According to Diogenes Laërtius, Pythagoras not only visited Egypt and learnt the Egyptian language (as reported by Antiphon in his On Men of Outstanding Merit), but also "journeyed among the Chaldaeans and Magi." Later in Crete, he went to the Cave of Ida with Epimenides, and entered Egyptian sanctuaries for the purpose to learn information concerning the secret lore of the different gods.[69]

The Middle Platonist biographer Plutarch (c. 46–120 AD) writes in his treatise On Isis and Osiris that, during his visit to Egypt, Pythagoras received instruction from the Egyptian priest Oenuphis of Heliopolis (meanwhile Solon received lectures from a Sonchis of Sais).[70] Other ancient writers also mention Pythagoras's visit to Egypt.[71]

According to the Christian theologianClement of Alexandria (c. 150–215 AD), "Pythagoras was a disciple of Soches, an Egyptian archprophet, as well as Plato of Sechnuphis of Heliopolis."

Following a similar logic, the Egyptians are said to have taught him geometry, the Phoenicians arithmetic, the Chaldeans astronomy, and the Magi the principles of religion and practical maxims for the conduct of life.[68]
(উইকিপিডিয়া)

ম্যাজাই শব্দটি দ্বারা ব্যবিলনীয় সভ্যতা পরবর্তী যাদুকরদের বলা হত। ম্যাজাই শব্দটি দ্বারা ম্যাজিক/ম্যাজিয়ান/ম্যাজেশিয়ান বোঝায়।প্রাচীন দার্শনিক, পণ্ডিত, ইতিহাসবিদ কারো মধ্যেই এ ব্যপারে সন্দেহ নেই। হয়ত, ক্যালডিয় ম্যাজাইরা বাবেল শহরের আসা যাদুশিক্ষার প্রথম বাহক ছিলেন, তাদের থেকেই ইহুদীদের মধ্যে যাদুবিদ্যা ছড়িয়ে পড়ে যাকে বর্তমানে কাব্বালা বলা হয়।এই ক্যালডিয় ম্যাজাই তথা যাদুকররা প্রথমদিকে মিশরে অবস্থান করে, পরবর্তীতে গ্রীসসহ নানা দিকে ওদের জ্ঞান ছড়িয়ে পড়ে। তারা ছিলেন, ভাগ্যগনক, জ্যোতিষী, ভবিষ্যদ্বক্তা। ক্যালডিয় ম্যাজিয়ানদের খ্যাতি ছিল যে, তারা শয়তান জ্বীনদের(Demonic Being) সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারতো।।
বিস্তারিত জানুনঃ
https://www.themystica.com/mystica/articles/m/magus.html

http://www.unexplainedstuff.com/Magic-and-Sorcery/Magi.html

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Magi

http://www.wisdomworld.org/additional/ListOfCollatedArticles/TheChaldeanLegend.html

কিছু ইতিহাসবিদ,পন্ডিত এও দাবি করেন যে পিথাগোরাস সরাসরি বাবেল শহর ভ্রমণে যান,অতঃপর সেখানকার ইহুদীদের থেকে গভীর জ্ঞান নিয়ে ফেরেন। যেমনটা Hermippus পিথাগোরাস এর ব্যপারে বলতেন, "imitation of the doctrines of the Jews and the Thracians, which he transferred to his own philosophy."

Josephus বলেন, "For it is truly affirmed of Pythagoras that he took a great many of the laws of the Jews into his own philosophy."
.
এরিস্টটলের শিষ্য এরিস্টোক্সাস বলেন, পিথাগোরাস তার মৌলিক জ্ঞান লাভ করেন 'পূর্বদিক'(ইরাকের বাবেল শহর) থেকে।
ব্যবিলনকে বলা হত ল্যান্ড অব ম্যাজাই। গুপ্তজ্ঞানের সন্ধানে তখনকার মানুষ 'পূর্বদিকে'(বাবেল শহর) সফর করত। হাদিসেও পূর্বাঞ্চলের ব্যাপারে সাবধান করা হয়েছে। ওই অভিশপ্ত অঞ্চলকে কুফরের জন্মস্থানও বলা হয়। ব্যবিলনে জ্যোতিষশাস্ত্রের অপবিজ্ঞান তৈরির সাথে সাথে মনিজমের কুফরি আকিদারও জন্ম হয়।


و حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَرَادَ الْخُرُوجَ إِلَى الْعِرَاقِ فَقَالَ لَهُ كَعْبُ الْأَحْبَارِ لَا تَخْرُجْ إِلَيْهَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فَإِنَّ بِهَا تِسْعَةَ أَعْشَارِ السِّحْرِ وَبِهَا فَسَقَةُ الْجِنِّ وَبِهَا الدَّاءُ الْعُضَالُ

মালিক (রহঃ)

উমার ইব্নু খাত্তাব (রাঃ) ইরাক গমন করতে ইচ্ছা করলেন। আহবার তাঁকে বললেন, ইয়া আমীরুল মু‘মিনীন! আপনি সেই দিকে গমন করবেন না। কারণ সেই দেশে নয়-দশমাংশ যাদু আছে, সেখানে দুষ্ট প্রকৃতির জ্বিন আছে এবং সেখানে এক প্রকারের (মারাত্মক) রোগ আছে যার কোন চিকিৎসা (ঔষধ) নেই। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)


وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، - يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ - أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ، قَالَ سَمِعْتُ سَالِمًا، يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُشِيرُ بِيَدِهِ نَحْوَ الْمَشْرِقِ وَيَقُولُ ‏"‏ هَا إِنَّ الْفِتْنَةَ هَا هُنَا هَا إِنَّ الْفِتْنَةَ هَا هُنَا ‏"‏ ‏.‏ ثَلاَثًا ‏"‏ حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنَا الشَّيْطَانِ ‏"‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাযিঃ)

তিনি বলেন, পূর্বদিকে ইশারা করে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আমি একথা বলতে শুনেছি যে, সাবধান! ফিত্‌নাহ্‌ এদিক থেকে, সাবধান ফিত্‌নাহ্‌ এদিক থেকে-এভাবে তিনবার উল্লেখ করে তিনি বললেন, যেদিক থেকে শাইতানের দুই শিং উদিত হবে। অর্থাৎ পূর্বদিক হতে।(ই.ফা. ৭০৩২, ই. সে. ৭০৮৯)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭১৮৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


সুলায়মান ইবনু দাউদ ................. আবূ সালেহ্ আল-গিফারী (রহঃ) হতে বর্ণিত। একদা . আলী (রাঃ) বাবেল শহরে যান। তিনি সেখানে সফর করার সময় মুআয্যিন এসে আসরের নামাযের আযান দেয়ার অনুমতি চায়। তিনি ঐ শহর ত্যাগ করে বাইরে এসে মুয়াজ্জ্বীনকে- ইকামতের নির্দেশ দিলে সে ইকামত দেয়। অতঃপর নামায শেষে তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে কবরস্থানে নামায আদায় করতে নিষেধ করেছেন। অনুরূপভাবে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাবেল শহরেও নামায আদায় করতে নিষেধ করেছেন। কেননা ঐটা অতিশপ্ত স্হান।



এজন্যই,আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কুফরীর মূল পূর্বদিকে, গর্ব এবং অহংকার ঘোড়া এবং উটের মালিকদের মধ্যে এবং বেদুইনদের মধ্যে যারা তাদের উটের পাল নিয়ে ব্যস্ত থাকে, আর শান্তি বকরির পালের মালিকদের মধ্যে।’ (৩৪৯৯, ৪৩৮৮, ৪৩৮৯, ৪৩৯০) (মুসলিম ১/২১ হাঃ ৫২, আহমাদ ৯৪১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)


......রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ "তামীমদারীর বর্ণনাটি আমাকে বিমোহিত করেছে। যেহেতু তা সামঞ্জস্যপূর্ণ আমার ঐ বর্ণনার, যা আমি তোমাদেরকে দাজ্জাল, মাদীনা ও মক্কা সম্পর্কে ইতিপূর্বে বলেছি। তিনি আরো বললেন, সিরিয়া সাগরে অথবা ইয়ামান সাগরে বরং পূর্বদিকে রয়েছে, পূর্বদিকে রয়েছে, পূর্বদিকে রয়েছে। এসময় তিনি তার হাত দ্বারা পূর্ব দিকে ইশারাও করলেন। বর্ণনাকারী ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) বলেন, এ হাদীস আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুখস্থ করেছি।"(সহীহ মুসলিম)



সুতরাং এটা সুস্পষ্ট যে,জনাব পিথাগোরাস প্রাচীন ব্যবিলন ও মিশর গিয়ে মিশরীয় ও ব্যবিলনীয়ান যাদুকরদের (ম্যাজাইদের) কাছে থেকে এস্ট্রোলজি,স্যাক্রিড জিওমেট্রি, occultism প্রভৃতি বিচিত্র অপবিদ্যা অর্জন করেন।
সেখান থেকেই সিক্রেট টিচিং বহন করে আনেন।
সুতরাং তার অর্জিত জ্ঞান কতটা বৈধ ও গ্রহণযোগ্য?....সেটার বিবেচনা সম্মানিত পাঠকদের উপরেই থাক...!



এজন্য অনেকে তার(পিথাগোরাসের) টিচিং এর সাথে ইজিপশিয়ান প্যাগানিজমের সাদৃশ্যতা পায়।তাছাড়া ওর্ফিক রহস্যবাদ ও গ্রীক পৌত্তলিকতার সাথেও তার শিক্ষার সাদৃশ্যতা বিদ্যমান।

Some say his training was almost entirely Greek, others exclusively Egyptian and Oriental [উইকিপিডিয়া]

Ancient authorities furthermore note the similarities between the religious and ascetic peculiarities of Pythagoras with the Orphic or Cretan mysteries,[66] or the Delphic oracle.
(উইকিপিডিয়া)





পিথাগোরাসের যাদুবিদ্যাঃ

আপনারা জানেন, বিজ্ঞান, দর্শন ও গনিতবিদ মহান পিথাগোরাস মিশর থেকে যাদুশিক্ষা অর্জন করেন, এবং সেই প্যাগান মতাদর্শ প্রচার করতে থাকেন। কুফফার নিয়ন্ত্রিত মেইনস্ট্রিম তথ্যকোষও তার ম্যাজিক্যাল এবিলিটির কথা এটা চেপে রাখে নি। এই দাবি এরিস্টটল থেকেও এসেছেঃ

Magical powers were also attributed to the famous mathematician and philosopher Pythagoras (c. 570 – 495 BCE), as recorded in the days of Aristotle.[20][21]

Some of the magical acts attributed to him include:

Being seen at the same hour in two cities.A white eagle permitting him to stroke it.A river greeting him with the words "Hail, Pythagoras!"Predicting that a dead man would be found on a ship entering a harbor.Predicting the appearance of a white bear and declaring it was dead before the messenger reached him bearing the news.Biting a poisonous snake to death (or in some versions driving a snake out from a village).[notes 2] These stories also hint at Pythagoras being one of these "divine man" figures, theios aner, his ability to control animals and to transcend space and time showing he has been touched by the gods.

Aristotle described Pythagoras as a wonder-worker and somewhat of a supernatural figure.[136] In a fragment, Aristotle writes that Pythagoras had a golden thigh,[136] which he publicly exhibited at the Olympic Games[136][137] and showed to Abaris the Hyperborean as proof of his identity as the "Hyperborean Apollo".

Supposedly, the priest of Apollo gave Pythagoras a magic arrow,[139] which he used to fly over long distances and perform ritual purifications.[139] He was once seen at both Metapontum and Croton at the same time.[140][23][137] When Pythagoras crossed the river Casas, "several witnesses" reported that they heard it greet him by name.[137] In Roman times, a legend claimed that Pythagoras was the son of Apollo.

Pythagoras was said to have had extraordinary success in dealing with animals.[23][145][137] A fragment from Aristotle records that, when a deadly snake bit Pythagoras, he bit it back and it died.[139][137]Both Porphyry and Iamblichus report that Pythagoras once persuaded a bull not to eat beans[23][145] and that he once convinced a notoriously destructive bear to swear that it would never harm a living thing again, and that the bear kept its word.
(সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)

বিস্তারিত: https/en.m.wikipedia.org/wiki/Magic_in_the_Graeco-Roman_world

পিথাগোরাসের জ্ঞানের উৎসই ছিল কিছু ইজিপশিয়ান যাদুকরের মিস্টিক্যাল টিচিং। অতএব, এর ধারক পিথাগোরাস স্বভাবতই যাদুকর হবেন, এটাই স্বাভাবিক। আশ্চর্যান্বিত হবার কিছু নেই!

পিথাগোরাস সারাবিশ্বের অকাল্ট নলেজের সিনথেসিজে 'ফিলোসফি'র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাবেল শহরের নাম্বারিং সিস্টেমকে সেক্রিড সাইন্সে রূপান্তর করেন। আর অনেক পরে, এরিস্টটল তার সকল শিক্ষাকে 'ন্যাচারাল ফিলোসফি' বা সাইন্স হিসেবে স্ট্যাবলিশ করেন। দেখুনঃ.
মূলউৎসঃ'হিস্টরি অব ম্যাজিক- ডকুমেন্টারি'। শুরুতেই পিথাগোরাসঃ Pythagoras scret teaching all age
https://m.youtube.com/watch?v=RwxZ21qRdMg







পিথাগোরাসের বিশ্বাস/জ্ঞানের স্বরূপ ও প্রদত্ত শিক্ষাঃ
এই মহানসাধক ক্রোটনে তার গোপন আস্তানা তৈরি করেন। আর তিনি সেখানে সাধু-স্যন্ন্যাসীদের মত জীবন যাপন করতেন। তার কিছু শিষ্য ছিল যারা তার কাছে গোপনে আসতো গুপ্তজ্ঞান লাভের জন্য।

in around 530 BC, he travelled to Croton, where he founded a school in which initiates were sworn to secrecy and lived a communal, ascetic lifestyle. (উইকিপিডিয়া)



তিনি থাকতেন গুহায়, এবং সেখানেই যাবতীয় সাধনা চালাতেন।

Pythagoras himself dwelled in a secret cave,[31][34] where he studied in private.[31][34]
(উইকিপিডিয়া)



ক্রোটনে তিনি ইজিপশিয়ান ও ব্যবিলনিয়ান অকাল্টিজমের উপরে ভিত্তি করে নিজস্ব যে দার্শনিক স্কুল অব থটের প্রতিষ্ঠা করেন তা আজ পিথাগোরিয়ানিজম নামে পরিচিত।তার সাগরেদদেরকে বলা হত ম্যাথম্যাটিকয়। যেখানে সাগরেদগন অত্যন্ত কঠোর নীতিনিয়ম ভরা জীবন যাপন করতেন।

At Croton, he founded the philosophical school of Pythagoreanism,[26]whose practitioners adhered to a strict, disciplined way of life.
(উইকিপিডিয়া)

The organization Pythagoras founded at Croton was called a "school",[152][153] but, in many ways, resembled a monastery.[154] The adherents were bound by a vow to Pythagoras and each other, for the purpose of pursuing the religious and ascetic observances, and of studying his religious and philosophical theories.[155] The members of the sect shared all their possessions in common[156] and were devoted to each other to the exclusion of outsiders.[157][158] One Pythagorean maxim was "koinà tà phílōn" ("All things in common among friends").[156] Both Iamblichus and Porphyry provide detailed accounts of the organization of the school, although the primary interest of both writers is not historical accuracy, but rather to present Pythagoras as a divine figure, sent by the gods to benefit humankind.[159] Iamblichus, in particular, presents the "Pythagorean Way of Life" as a pagan alternative to the Christian monastic communities of his own time.
(উইকিপিডিয়া)




পিথাগোরাসের সন্ন্যাস আশ্রমে তার শিষ্য-সাগরেদদেরকে কঠিন পণ করতে হত গুরু পিথাগোরাসের নিকট যে, তারা কেউই বাহিরের লোকেদের কাছে যেসকল আর্ট এন্ড সিম্বলিজমের শিক্ষা প্রকাশ করবেনা। কেউ অমান্য করলে তাকে বহিষ্কার করা হতো এবং কাল্পনিকভাবে মৃত হিসেবে ধরে বহিষ্কৃতের সমাধিস্তম্ভ নির্মান করা হতো। গুরু পিথাগোরাসের শিষ্যত্ব লাভের জন্য ৫ বছর নিশ্চুপ থাকতে হতো!!!!
এর পরে আরো পাচ বছর শিক্ষার পরে প্রকৃতির সবচেয়ে গুপ্তরহস্য সংক্রান্ত জ্ঞানলাভের জন্য শিষ্যরা প্রস্তুত হতো।

Pythagorean teachings were known as "symbols" (symbolon)[48] and members took a vow of silence that they would not reveal these symbols to non-members.[160][48][149]Those who did not obey the laws of the community were expelled[161] and the remaining members would erect tombstones for them as though they had died.[161] New initiates were allegedly not permitted to meet Pythagoras until after they had completed a five-year initiation period,[34] during which they were required to remain silent.[34]




পিথাগোরাস পূর্বাঞ্চলের পৌত্তলিক প্যাগানদের মত বিশ্বাস করতেন সঙ্গীত আত্মাকে শুদ্ধ করে। তিনি বিশ্বাস করতেন সঙ্গীতের মধ্যে গাণিতিক ও জ্যামিতিক তাৎপর্য নিহিত আছে।

The Pythagoreans believed that music was a purification for the soul, just as medicine was a purification for the body.[9]




ভারতীয় আধ্যাত্মিক সাধকরা যৌনতাকে দৈহিক ক্ষয় বা দুর্বল হবার পথ বলে মনে করে। পিথাগোরাসও ব্যতিক্রম ছিলেন নাঃ

Diogenes Laërtius states that Pythagoras "did not indulge in the pleasures of love"[50] and that he cautioned others to only have sex "whenever you are willing to be weaker than yourself".[51



মহাগুরু পিথাগোরাস তার দেয়া অন্যান্য সকল শিক্ষার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন 'পুনঃজন্মবাদে'! রিইনকারনেশন(ট্রান্সমাইগ্রেশন অব সোল) বা পুনঃজন্মবাদকে তিনি মেটেমসাইকোসিস বলতেন। জ্বি, কুফরের কেন্দ্রবিন্দু পূর্বাঞ্চলের হিন্দু-বৌদ্ধদের মতই।

The teaching most securely identified with Pythagoras is metempsychosis, or the "transmigration of souls", which holds that every soul is immortal and that, upon death, enters into a new body. He may have also devised the doctrine of musica universalis, which holds that the planets move according to mathematicalequations and thus resonate to produce an inaudible symphony of music. (উইকিপিডিয়া)

One of Pythagoras's main doctrines appears to have been metempsychosis,[78][79][35][80] the belief that all souls are immortal and that, after death, a soul is transferred into a new body.[78] This teaching is referenced by Xenophanes, Ion of Chios, and Herodotus.
(উইকিপিডিয়া)

অর্থাৎ, পিথাগোরাস এর মূল শিক্ষাই ছিল পুনঃজন্মবাদকেন্দ্রিক যা আসমানি কিতাবিধারী সকলের আকিদা-'পুনরুত্থান দিবস' এর সম্পূর্ণ বিপরীত।


পিথাগোরাস Reincarnation নিয়ে এতটাই indulged ছিলেন যে,তিনি তার পূর্বের জীবনের ঘটনাও নাকি স্মরণ করতে পারতেন!

Empedocles alludes in one of his poems that Pythagoras may have claimed to possess the ability to recall his former incarnations.


তিনি নাকি 'পিথাগোরাস' হবার পূর্বে আরো চারবার জন্মেছিলেন। আর সেসব জীবনের ঘটনাও তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে স্মরন করতে পারতেন! প্রথম জীবন ছিল হার্মিসের পুত্ররূপে, পরের জীবনে ছিলেন Euphorbus, এরপরে Hermotimus, এবং Pyrrhus!!

"Diogenes Laërtius reports an account from Heraclides Ponticus that Pythagoras told people that he had lived four previous lives that he could remember in detail.[83][84][85] The first of these lives was as Aethalides the son of Hermes, who granted him the ability to remember all his past incarnations.[86] Next, he was incarnated as Euphorbus, a minor hero from the Trojan War briefly mentioned in the Iliad.[87] He then became the philosopher Hermotimus,[88] who recognized the shield of Euphorbus in the temple of Apollo.[88] His final incarnation was as Pyrrhus, a fisherman from Delos.[88] One of his past lives, as reported by Dicaearchus, was as a beautiful courtesan.[89][79]
"[উইকিপিডিয়া]


তিনি টিপিক্যাল ভারতীয় পৌত্তলিক সাধুদের ন্যায় নিরামিষভোজী ছিলেন।কিন্তু অজ্ঞাত কারনে সিম খেতে বারণ করতেন!

He probably prohibited his followers from eating beans(Wikipedia)

অনেকের ধারনা তিনি মেটেমসাইকোসিস বা পুনর্জন্মবাদের বিশ্বাসের জন্যই নিরামিষভোজী ছিলেন।

Some ancient writers present Pythagoras as enforcing a strict vegetarian diet,[Notes 5][149][168] which may have been motivated due to the doctrine of metempsychosis.[169][149][168]
(উইকিপিডিয়া)



পিথাগোরাসকে নিউমেরোলজি ও মিউজিক্যাল শিক্ষার উন্নয়নের জনক হিসেবে ধরা হয়। তাছাড়া তাকে এখনো পিথাগোরিয়ান থিওরাম,পিথাগোরিয়ান টিউনিং, প্রাচীন ফিজিক্স বা যাদুবিদ্যায় ব্যবহৃত পাচটি সলিড বা ক্লাসিকাল ইলিমেন্ট এবং পৃথিবীর গোলাকৃতি(spherical Earth) তত্ত্বের প্রথম আবিষ্কারকর্তা হিসেবে স্মরণ করা হয়। তাছাড়া তিনি গোটা পৃথিবীকে পাঁচটি ক্লাইমেটিক জোনে বিভক্ত করেছিলেন।

Scholars debate whether Pythagoras himself developed the numerological and musical teachings attributed to him.
In antiquity, Pythagoras was credited with many mathematical and scientific discoveries, including the Pythagorean theorem, Pythagorean tuning, the five regular solids, the Theory of Proportions, the sphericity of the Earth, and the identity of the morning and evening stars as the planet Venus.
(উইকিপিডিয়া)



সঙ্গীত ও সংখ্যাজ্যোতীষ তত্ত্বের সাক্ষ্য আরোপ করেন পিথাগোরিয়ান স্কুল অব থটের দার্শনিক Philolaus। পিথাগোরাস বিশ্বাস করতেন সংগীত বা মিউজিকে অসাধারণ নিউম্যারিক্যাল প্যাটার্ন রয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে তিনি বাদ্যযন্ত্রের প্রভূত উন্নতি সাধন করেন।

The writings attributed to the Pythagorean philosopher Philolaus of Croton, who lived in the late fifth century BC, are the earliest texts to describe the numerological and musical theories that were later ascribed to Pythagoras.



সংখ্যাতত্ত্ব(numerology) বা সংখ্যাজ্যোতিষ হলো মহাঋষি পিথাগোরাসের আরেকটি মতবাদ। তিনি বলতেন মহাবিশ্বের সকল বস্তুই সংখ্যা বা নাম্বারের কম্পোজিশন। প্রত্যেকটি বস্তুই সংখ্যা। অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ বা দর্শনের সাথে পরিচয়পর্বে আমরা পূর্বেই ' নিউমেরিক্যাল সিমুলেটেড ম্যাট্রিক্স রিয়েলিটি' সম্পর্কে উল্লেখ করেছি।

According to Aristotle, the Pythagoreans used mathematics for solely mystical reasons, devoid of practical application.[98] They believed that all things were made of numbers.[99][100]


পিথাগোরাস নিউমেরোলজির সাধক ছিলেন। নিউমেরোলজি কিছুটা জ্যোতিষশাস্ত্র ধরনের। একেক সংখ্যায় একেক significance আরোপ করা হয়।

The number one (the monad) represented the origin of all things[101] and the number two (the dyad) represented matter.[101]
(Wikipedia)

The number three was an "ideal number" because it had a beginning, middle, and end[102] and was the smallest number of points that could be used to define a plane triangle, which they revered as a symbol of the god Apollo.[102]
The number four signified the four seasons and the four elements(পানি,বায়ু,আগুন,পৃথিবী).



পিথাগোরাস সংখ্যা ও ম্যাথমেটিক্যাল ক্যালকুলেশনকে সকল অদেখা বা অপর্যবেক্ষনযোগ্য জিনিসের উপর আরোপ করতেন। বলতেন আকাশস্থিত সকল গ্রহ-নক্ষত্ররাজিদেরকে ম্যাথমেটিক্যাল ইকুয়েশন মেইনন্টেইন করে আবর্তনের কথা বলতেন।

Another belief attributed to Pythagoras was that of the "harmony of the spheres",[90] which maintained that the planets and stars move according to mathematical equations, which correspond to musical notes and thus produce an inaudible symphony.[90] According to Porphyry, Pythagoras taught that the seven Muses were actually the seven planets singing together.[91] In his philosophical dialogue Protrepticus, Aristotle has his literary double say:
'When Pythagoras was asked [why humans exist], he said, "to observe the heavens," and he used to claim that he himself was an observer of nature, and it was for the sake of this that he had passed over into life

“The so-called Pythagoreans, who were the first to take up mathematics, not only advanced this subject, but saturated with it, they fancied that the principles of mathematics were the principles of all things.”— Aristotle, Metaphysics 1–5, c. 350 BC
[উইকিপিডিয়া]





পিথাগোরাস শুধু যাদুকরই ছিলেন না, তিনি ভবিষ্যদ্বক্তাও ছিলেন।
Pythagoras was said to have practised divination and prophecy.[93]

মুসলিম ভাইবোনেরা ভাল করেই জানেন কিভাবে একজন ভবিষ্যদ্বক্তা ভবিষ্যদ্বাণী করে। :)



ইল্যুমিনাতির পিরামিড সিম্বলের তাৎপর্যটাও পিথাগোরিয়ানরা জানে। কারন ওটা গুরু পিথাগোরাস এরই আবিষ্কার। এর সিগ্নিফিকেন্স একদমই গোপন। Iamblichus কি বলেছেন পড়ুনঃ

Pythagoras was credited with devising the tetractys, the triangular figure of four rows which add up to the perfect number, ten.[95]The Pythagoreans regarded the tetractys as a symbol of utmost mystical importance.[95][96]Iamblichus, in his Life of Pythagoras, states that the tetractys was "so admirable, and so divinised by those who understood [it]," that Pythagoras's students would swear oaths by it.[108][73][96]
(উইকিপিডিয়া)

দেখুনঃhttp://illuminati.site/illuminati-pythagorean-tetractys/amp/



পিথাগোরিয়ান থিওরাম যদিও বাবেল শহরে আর কুফরের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে[পূর্বামঞ্চলে] ব্যবহার হত, হয়ত সেটা গ্রীসে সর্বপ্রথম পৌছেছেন এই মহান-গনিত সম্রাট পিথাগোরাস।

Many mathematical and scientific discoveries were attributed to Pythagoras, including his famous theorem,[114] The Pythagorean theorem was known and used by the Babylonians and Indians centuries before Pythagoras,[122][120][123][124]but it is possible that he may have been the first one to introduce it to the Greeks.
(উইকিপিডিয়া)



বলা হয় এই জ্ঞানপ্রেমী সাধুই প্রথম ৫ রেগুলার সলিড/ক্লাসিকাল ইলিমেন্টস এর কথক!

Pythagoras's biographers state that he also was the first to identify the five regular solids[97] and that he was the first to discover the Theory of Proportions.[97]
(উইকিপিডিয়া)

সেসব রেগুলার সলিডগুলো হচ্ছেঃ পানি,আগুন, পৃথিবী, বায়ু,প্রান/ইথার/আকাশ। এগুলোর তাৎপর্য যাদুকররা জানে। এটা ছাড়া যাদুবিদ্যার বেশ কিছু শাখা একদম অচল! দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=sG1gtgA7OVQ



যাদুকর পিথাগোরাসের সবচেয়ে ইনফ্লুয়েন্সিয়াল ও যুগান্তকারী মতবাদ হচ্ছে "পৃথিবীর আকার- গোল বা স্ফেরিক্যাল"। পাশ্চাত্ত্যে পিথাগোরাসের এই থিওরি বা বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে সকল বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব দাঁড়িয়ে আছে। এটাই গোটা বিশ্বকে পালটে দেয়। স্ফেরিক্যাল আর্থ মডেল পরবর্তীতে হেলিওসেন্ট্রিক মডেল,বিগ ব্যাঙ,আউটার স্পেস,বাসযোগ্য গ্রহ,এলিয়েন তত্ত্বসহ হাজারো থিওরি,মতবাদের জন্ম দেয়।

In ancient times, Pythagoras and his contemporary Parmenides of Elea were both credited with having been the first to teach that the Earth was spherical,[130] the first to divide the globe into five climactic zones,[130]and the first to identify the morning star and the evening star as the same celestial object.[131](উইকিপিডিয়া)

একজন পৌত্তলিক যাদুকরের(পিথাগোরাসের) অন্যান্য মনগড়া বিশ্বাসগুলোর একটি হচ্ছে 'পৃথিবী গোলাকৃতি' যা আজকের মেইনস্ট্রিম এস্ট্রোনমিতে সুপ্রতিষ্ঠিত একটি মতবাদ। তার শিক্ষাসমূহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ছিল 'পুনর্জন্মবাদ'(!); বস্তুত এটা যতখানি সত্য ততখানি সত্য 'পৃথিবী গোলাকার'!

৩৩ ডিগ্রি মাস্টার ফ্রিম্যাসন এলবার্ট পাঈক বলেনঃ
"Pythagoras refused the title of sage, which means one who knows. He invented, and applied to himself that of philosopher, signifying one who is fond of or studies things secret and occult. The astronomy which he taught, was astrology: his science of numbers was based on Kabbalistic principles. Everything is veiled in numbers."
-Albert pike, (33rd degree Freemason)
-Morals and dogma

একজন শয়তানের পূজারি(ফ্রিম্যাসন) আরেক শয়তানের অনুসারী যাদুকরের(পিথাগোরাস) ব্যপারে উত্তম রূপেই জানে।পিথাগোরাসের শিখানো এস্ট্রোনমি(পৃথিবীর স্ফেরিক্যাল মডেল) আসলে এস্ট্রলজি! আর তার সংখ্যাকেন্দ্রিক বিজ্ঞান, মূলত যাদুবিদ্যা কাব্বালারই নীতি!
অতএব, যারা পিথাগোরাসকে ঘৃনা করবে কিন্তু তার শিক্ষাকে ঘৃনা না করে আগলে রাখবে, তারা কোন বিদ্যাকে আগলে রাখছে?.... প্রশ্ন থাকলো!

পিথাগোরাসের ৫০০ বছর পরে ঈসা(আ) এর আগমন ঘটে, তার অনুসারীরা ট্রেডিশনাললি যাদুকর/গুহ্যবাদী/জ্যোতিষীদের উপর চড়াও ছিল। তখন থেকেই পিথাগোরাসের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া অনুসারীরা গা ঢাকা দিয়ে সেসব চর্চা করতো। ওরাও ট্রেডিশনাল মিস্টিকদের ন্যায় 'পুনরুত্থান দিবসকে' অস্বীকার করে বলতো 'পুনর্জন্মবাদ' সত্য, যেমনি পিথাগোরাসের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা এটা। তেমনিভাবে সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টির এক অস্তিত্বের আকিদা প্রচার করত। ওরা বলতো,যে কেউ যেকোন ধর্মে থেকেই সৃষ্টিকর্তার সাথে একাকার হতে পারে(বি ওয়ান উইথ গড-ফানাফিল্লাহ)।তাছাড়া জ্যোতিষশাস্ত্র ও যাদু চর্চার জন্য এদেরকে প্যাগান হেরেটিক বলা হত। ওদের কোন আকিদাকেই গ্রহন করা হত না। যখন ত্রিনীতি তৈরি করে তাওহীদ থেকে বেরিয়ে নাসারারা কাফের হয়ে গেল,এর অনেক পরেও যাদুকরদের প্রতি কঠোরতা বিদ্যমান ছিল। গ্রীক সাহিত্যিক ও দার্শনিক পরফিরি ও আইয়ামব্লিকাস প্যাগানদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের জন্য খ্রিষ্টান ধর্মের বিরুদ্ধে ব্যাপক লেখালেখি চালান। ইসলামিক শক্তির উত্থানের অনেক পরে ষোড়শ শতকে ক্ষমতাসীন খ্রিষ্টানরা আগের নীতি থেকে একেবারে পরিবর্তিত হয়ে যায় ওরা হঠাৎ প্যাগান স্ফেরিক্যাল আর্থকে প্রচারে নামে এবং অন্যান্য পিথাগোরাসের মতবাদকেও বিজ্ঞানের মর্যাদা দান করে। জ্যোতিষবিদ্যা, যাদুবিদ্যাকেও প্রমোটিং শুরু করে। ওরা ছিল ক্যাথলিক খ্রিষ্টান(জেসুইত)।







আরবে পিথাগোরাসের দর্শন ও কথিত গিথাগোরিয়ান বিজ্ঞানের প্রবেশঃ

ইসলামিক সভ্যতার জাগরণের শুরুর কিছু পরেই (৭০০ খ্রিষ্টাব্দে) পিথাগোরিয়ান গ্রীক জ্ঞান ভান্ডার আরবে পৌছায়। আলকেমিস্ট ও জ্যোতিষী জাবির ইবনে হাইয়্যান সাহেব বিপুল সংখ্যক কিতাবকে আরবি ভাষায় অনুবাদ করেন। তৎকালীন খলিফাও (হয়ত কৌতূহল বশত) এসব কাজে সহনশীল ও সাহায্যপরায়ণ ছিলেন।৭৭০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ভারতীয় এস্ট্রোনমির গ্রন্থ গুলো ফার্সী ভাষা থেকে আরবি ভাষায় অনুবাদ হয়, এটা খুব সাড়া না জাগালেও ৮০০ খ্রিষ্টাব্দে চলে আসে জ্যোতিষী টলেমীর Almagest কিতাব। অনুবাদ হবার পরেই আরব এস্ট্রোনমিক্যাল প্রাক্টিসে বিপ্লব ঘটে। গ্রীক- ভারতীয় দর্শন আরবে প্রবেশের পূর্বে 'পৃথিবীর আকৃতি কিরূপ' সে ব্যপারে কোন প্রশ্ন ওঠে নি। যেহেতু পিথাগোরাসের থেকেই স্ফেরিক্যাল আর্থ মডেলের ধারনা গ্রীক জ্ঞানবিজ্ঞানে প্রবেশ করে, এটা আরবে আবির্ভাবের পরে স্ফেরিক্যাল আর্থ মডেলের ধারনা আরবে চলে আসে। প্রথমদিকে গ্রীক কুফরি জ্ঞান ও দর্শনের বিরুদ্ধে চরম বিরোধীতা করেন আলেমসমাজের কনজারভেটিভ অংশ। মুতাজিলারা গ্রীকদর্শনের ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করেন।শিয়াদের মধ্যেই এর অনুসারীদের বেশি পাওয়া যায়। এর পরে কয়েক শতক অতিবাহিত হলে কিছু প্রজন্ম চলে গেলে পৃথিবীর আকৃতির ব্যপারে দুই ধরনের মতামত তৈরি হয়।তখন আরব থেকে স্ফেরিক্যাল মডেলের আইডিয়ার গ্রীক অরিজিনকে ভুলে যাওয়া হয়। কনফিউশনটা কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে যায়। অধিকাংশ আলেম উলামাগন এ বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে
যান। যখন একদল আলেমরা গোল পৃথিবীর পক্ষে থেকে কুরআন দ্বারা সত্যায়নের যুক্তিকেন্দ্রিক চেষ্টা চালান,হয়ত তারাও এই স্ফেরিক্যাল ধারনা বা বিশ্বাসের অরিজিনকে সজ্ঞানে ভেবে এর পক্ষপাতিত্ব করতেন না। খুব সম্ভবত তারাও আজকের কিছু আলেমদের ন্যায় তাদের কন্টেম্পরারী 'সাইন্সের' দিকে তাকিয়ে এর স্ট্যান্ডার্ডে কুরআন সুন্নাহর বিশুদ্ধতা প্রমানে তেমনটি করেছেন।আর সেই নিরপেক্ষ উলামাগন দ্বিমত করেন নি, হয়ত ফিতনার আশংকায়। কারন, সেসময়ে জ্যোতিষী, আলকেমিস্টদের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায় সাথে তাদের কনফিডেন্স,এদের অনেকে আল্লাহর অস্তিত্বেও সন্দেহ করেও কথা বলত। পরবর্তিতে একদল স্বল্প সংখ্যক আলেম অনেক দেরীতে দুনিয়াতে এসেও প্রিমিটিভ আসমান-জমিনের কন্সেপ্টকে সমর্থন করেন। তারা এ ব্যপারে আনএপোলোজেটিক। এমনকি তারা কুরআন সুন্নাহর দলিল তুলে ভূতাত্ত্বিক/এস্ট্রোনমারদের গোলবাদের চিন্তাকে রিফিউট করতেন। তবে মেজরিটি অশিক্ষিত জনসাধারণ অনেক দেরীতেও ট্রেডিশনাল প্রিমিটিভ কস্মোলজি থেকে বের হতে আসতে পারে নি। যার জন্য গ্লোবিউলার মডেলের সপক্ষে প্রাচীন স্কলারদের মধ্যে সাড়া ফেলানো ইমাম ইবনে হাজম(1063 CE) বলেন, "They say: the evidences are true that the Earth is spherical, but public (normal people) say other than that. Our answer, and by Allah we reach success, is: Indeed, someone among imams of Muslims who deserve the name "imam" by knowledge (may Allah be pleased with them) NEVER denied the sphere-ness of the Earth, and it is not recorded in rejecting that for one of them a single word. Nay, the proofs from the Quran and Sunnah is about its sphere-ness."

অর্থাৎ,তার সময় পর্যন্ত, পূর্ববতী ২০০ বছরের আলেম উলামাদের নিরপেক্ষতার কথা বলেছেন যারা বিরুদ্ধে বলেন নি। কিন্তু তার সময়ের সাধারন মানুষ তখনও উলটো বলত। এজন্য বলেছেন, 'but public (normal people) say other than that.'!

মজার বিষয় হলো, ইমাম ইবনে হাজমের প্রায় চার-পাঁচশো বছর পরে এসেও কিছু আলেম সুস্পষ্টভাবে প্রিমিটিভ জিওস্টেশনারী কস্মোলজির কথা বলেছেন। তাদের অধিকাংশই বাঘা বাঘা মুফাসসীরিন! একটা বিষয় হলো ইসলামের ইতিহাসের শুরুর দিকের এরকম আইডিওলজিক্যাল ডিস্টর্শনের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত সুস্পষ্ট দলিল পাওয়া কঠিন হয়ে গিয়েছে। মধ্যযুগীয় কিছু আলেমদের কল্যানে খানিকটা পাওয়া যায়। সেটাও আজকের বিজ্ঞানপ্রেমী মুসলিম ও উলামাগন কেমন যেন ঢেকে রাখেন। যেমন একটি হাদিস উল্লেখ করিঃ
Ibn Abi Hatim recorded that Ibn ’Abbas said, “The sun is like flowing water, running in its course in the sky during the day. When it sets, it travels in its course beneath the earth until it rises in the east.” He said, “The same is true in the case of the moon.” Its chain of narration is Sahih.
[Tafsir ibn Kathir for 31:29]

দেখুনঃ
http://www.qtafsir.com/index.php?option=com_content&task=view&id=1784

ইবনে কাসীর(রঃ) এই হাদিসের চেইনকে সহীহ বলেছেন,কিন্তু 'বিশেষ কারনে' এটা চেপে রাখা হয়েছে। যেহেতু হাদিসটি মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানের সম্পূর্ন বিপরীতে চলে যায়, তাই এ ব্যপারে জানতে চাওয়া হলে একদল মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানপ্রিয় আলেমগন মানতে না পেরে কি বলেছেন পড়ুন(হাসি চেপে রাখুন) - http://www.islamweb.net/emainpage/index.php?page=showfatwa&Option=FatwaId&Id=336679

এরকম আরো অজস্র দলিল প্রমান আছে, এবং সর্বোপরি রহমানের সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ।
আজও আরবের মধ্যেই মৌলবাদী মুসলিমদের একটা বিরাট অংশ প্রিমিটিভ কস্মোলজিকেই সত্য বলে মানেন। আর মুসলিমদের মধ্যে এই মতাবলম্বীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ আরবই।

সামনে এসব নিয়ে আরো আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।। একটা বিষয় সুস্পষ্টভাবে জানানো প্রয়োজন যে, কোন মুসলিম ভাইবোনকে আমরা কাফেরদের কুফর কেন্দ্রিক এস্ট্রোনমি বা তেমনি বিজ্ঞানের অন্য কোন অস্পষ্ট বা সুস্পষ্ট কুফরকে বিশ্বাসের জন্য গনহারে পথভ্রষ্ট কিংবা তাকফির করি না। যদিও, শতাব্দী শ্রেষ্ঠ উলামাদের একজন শায়খ বিন বাজ(রহঃ) সুস্পষ্টভাবে হেলিওসেন্ট্রিজমকে জেনেবুঝে বিশ্বাসীদেরকে তাকফির করেছেন!
কিছু ফতওয়া অবশ্য শোনা যায় তিনি চাপে পড়ে ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। বিশেষ করে সৌদির রাজপুত্রের কথিত স্পেসে ভ্রমনের পরে!








যাদুকর পিথাগোরাসের আদর্শে যারা বা যে সংগঠন গুলো প্রভাবিত ও পরিচালিত হয়েছেঃ

Philolaus,Alcmaeon,Parmenides,Plato,Archytas,Euclid,Empedocles,Hippasus,Eudorus of Alexandria,Philo, Apollonius of Tyana,Moderatus of Gades,Nicomachus,Numenius of Apamea,Plotinus,Dante Alighieri,Nicolaus Copernicus,Johannes Kepler, Isaac Newton,Robert Fludd, John Dee,Henry, David Thoreau প্রমুখ।

মহান যাদুকর পিথাগোরাসের আদর্শে প্রভাবিত ও পরিচালিত সংগঠনঃ Rosicrucianism, Freemasonry এবং Illuminat! [সূত্রঃউইকিপিডিয়া]




এরিস্টটলের মতে প্লেটো চরমভাবে পিথাগোরাসের মতাদর্শের অনুসারী ছিলেন। তিনি নিজেও ছিলেন।

Aristotle states that the philosophy of Plato was heavily dependent on the teachings of the Pythagoreans.[183][184]
(উইকিপিডিয়া)




প্লেটো, প্রথম ম্যাসনিক গুরু পিথাগোরাসের থেকে গনিত,চিন্তা-দর্শন, নীতি নৈতিকতা গ্রহন করেন। ব্যবিলনিয়ান অপশিক্ষাকে জ্ঞানরূপে প্রতিষ্ঠা করেন। এ কারনে তিনিও ম্যাসনিক কমিউনিটিতে যথেষ্ট সম্মানিত।

Additionally, Plato may have taken from Pythagoras the idea that mathematics and abstract thought are a secure basis for philosophy, as well as "for substantial theses in science and morals".[187]
(উইকিপিডিয়া)


Bertrand Russell বলেন, প্লেটো ও অন্যান্য দার্শনিক- বিজ্ঞানীদের উপর পিথাগোরাসের প্রভাব এত বেশি ছিল যে তাকে সকল সময়ের সবচেয়ে বড় প্রভাবক দার্শনিকরূপে গন্য করা উচিৎ। Bertrand Russell অন্য কাউকে জানেন না যিনি তার মতাদর্শ দ্বারা এত প্রভাব ফেলেছেন।

Bertrand Russell, in his A History of Western Philosophy, contends that the influence of Pythagoras on Plato and others was so great that he should be considered the most influential philosopher of all time.[188] He concludes that "I do not know of any other man who has been as influential as he was in the school of thought."[189]
(উইকিপিডিয়া)




পিথাগোরাস তার উত্তরসূরি সকল দার্শনিক, গবেষকের মনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিলেন।।প্লেটো,এরিস্টটল কেউই তার প্রভাবমুক্ত ছিলো না। তারা যে শিক্ষা ও দর্শন প্রচার করতেন তা ছিল পিথাগোরাসের শিক্ষা থেকে উৎসারিত।
Pythagoras exerted a massive influence on Plato, whose dialogues, especially his Timaeus, exhibit Pythagorean teachings. Pythagorean ideas about mathematical perfection also impacted ancient Greek art. (উইকিপিডিয়া)

Aristotle writes at length about the teachings of the Pythagoreans,[77] but without mentioning Pythagoras directly.
(উইকিপিডিয়া)


অকাল্টিস্ট পিথাগোরাস তার দর্শন,গবেষণা ও মতবাদ শুধু তার অঞ্চলের দার্শনিকদেরই প্রভাবিত করেনি, তার অঞ্চল ছাপিয়ে পশ্চিমের জ্ঞানবিজ্ঞানের ধারক বাহকদের মধ্যেও প্রভাব ফেলেছিল। মডার্ন এস্ট্রোনমির ডিজাইনার নিকোলাস কোপার্নিকাস, জোহানেস কেপলার, আইজ্যাক নিউটন সকলেই মহান যাদুকর পিথাগোরাসের মতাদর্শের অনুসারী ছিল। বিজ্ঞান তার স্ট্যান্ডার্ড মেইনন্টেইন করেই এগিয়েছিল। একই তালে কন্টেম্পরারী স্পিরিচুয়ালিস্টরাও তার শ্রদ্ধায় পিথাগোরিয়ান সিম্বলিজম বহন করত। বস্তুত, কথিত ওইসব বিজ্ঞানীরাও গুপ্তবাদী এবং ম্যাজিক-উইচক্র্যাফটের বিদ্যা বা জ্ঞানের অনুসরণ করত। এ বিষয় গুলো ক্রমান্বয়ে সামনে আসছে। ইনশাআল্লাহ।
"Pythagoras continued to be regarded as a great philosopher throughout the Middle Ages and his philosophy had a major impact on scientists such as Nicolaus Copernicus, Johannes Kepler, and Isaac Newton. Pythagorean symbolism was used throughout early modern European esotericism and his teachings as portrayed in Ovid's Metamorphoses influenced the growth of the vegetarian movement."[উইকিপিডিয়া]







ঈসা আলাইহিসালাম এর জন্মের একশত বছর আগেই দার্শনিকদের মধ্যে পিথাগোরিয়ান শিক্ষার ব্যাপক ছড়াছড়ি ছিল। আজ পর্যন্ত গ্রীসের প্রায় প্রত্যেক দার্শনিকই তার আদর্শের সাথে সম্পর্কযুক্ত।

A revival of Pythagorean teachings occurred in the first century BC[190] when Middle Platonist philosophers such as Eudorus and Philo of Alexandria hailed the rise of a "new" Pythagoreanism in Alexandria.[191] At around the same time, Neopythagoreanism became prominent.[192]
(উইকিপিডিয়া)

রেনেসাঁ(14th -17th century) যুগে যখন কুফরি অপবিদ্যার এক্সপ্লোশন হয়,তখন কন্টেম্পরারী সকল দার্শনিক(বিজ্ঞানী),জ্যোতিষী, যাদুকরদের নিকট পিথাগোরাস সমাদৃত ও সম্মানিত ছিল। তাকে দেখা হত গনিত ও সঙ্গীতবিজ্ঞানের জনক।

During the Middle Ages, Pythagoras was revered as the founder of mathematics and music, two of the Seven Liberal Arts.[215][Wikipedia ]

মধ্যযুগীয় কথিত বিজ্ঞানীদের যারা বর্তমান কুফফারদের প্রিফার্ড কস্মোলজির প্রায় পুরোটার গোড়াপত্তন ঘটায়, তারা সকলেই ছিল পিথাগোরিয়ানিজমে বিশ্বাসী।

In his preface to his book On the Revolution of the Heavenly Spheres (1543), Nicolaus Copernicus cites various Pythagoreans as the most important influences on the development of his heliocentric model of the universe,[215][217](উইকিপিডিয়া)
জ্বি হেলিওসেন্ট্রিক কস্মোলজির কথক নিকোলাস কোপার্নিকাসও এর স্বীকৃতি দিয়েছেন। বস্তুত হেলিওসেন্ট্রিক আউটার স্পেসযুক্ত ইউনিভার্সের মূল হচ্ছে স্ফেরিক্যাল আর্থ। যেসব প্যাগানরা স্ফেরিক্যাল বা গোলাকার পৃথিবীকে বিশ্বাস করত তারা পিথাগোরাসের শিক্ষার উপরেই ছিল। আর ওরা শুধুমাত্র হেলিওসেন্ট্রিক থিওরি দ্বারা সে মূল গোল পৃথিবীর মতবাদের ডালপালা তৈরি করেছে মাত্র।

জোহানেস কেপলার আরেকজন। :) ইনি তো সরাসরি নিজেকে পিথাগোরিয়ান বলে দাবিই করেছে। ওর কাল্পনিক প্ল্যানেটারী মোশনের আবিষ্কারও যাদুকর পিথাগোরাসের কথার উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে।

Johannes Kepler considered himself to be a Pythagorean.[218][215][219] He believed in the Pythagorean doctrine of musica universalis[220] and it was his search for the mathematical equations behind this doctrine that led to his discovery of the laws of planetary motion.[220]
[Wikipedia]

পিথাগোরাসের মতবাদকে কেন্দ্র করে টাইটেল বানিয়ে বইও প্রকাশ করেছিল Kepler । শুনলে অবাক হবেন কেপলার হার্মেটিসিজমেও নিমগ্ন ছিল।

Kepler titled his book on the subject Harmonices Mundi (Harmonics of the World), after the Pythagorean teaching that had inspired him.[215][221] Near the conclusion of the book, Kepler describes himself falling asleep to the sound of the heavenly music, "warmed by having drunk a generous draught... from the cup of Pythagoras."[222]
(Wikipedia)

আপনাদের স্যর আইজ্যাক নিউটনও পিথাগোরিয়ান অকাল্টিজমে বিশ্বাস করত।

Isaac Newton firmly believed in the Pythagorean teaching of the mathematical harmony and order of the universe.[223]
[Wikipedia ]

নিউটন সহজে কাউকে ক্রেডিট দিত না, সে গুরুজি পিথাগোরাসের সাথে বেয়াদবি করেননি। পিথাগোরিয়ান স্ফেরিক্যাল আর্থ বা গ্লোব আর্থে গ্রাভিটি না থাকলে, সেটা একদমই অগ্রহণযোগ্য।

Though Newton was notorious for rarely giving others credit for their discoveries,[224]he attributed the discovery of the Law of Universal Gravitation to Pythagoras.[224]
(Wikipedia)

দার্শনিক আল্ফ্রেড নর্থ হোয়াইটহেড মতে প্লেটো পিথাগোরাস, এরিস্টটলরা মডার্ন (সুডো)বিজ্ঞানের খুব নিকটবর্তী। আর পদার্থবিদ এলবার্ট আইনস্টাইনসহ অন্যান্য বিজ্ঞানীরা বিশুদ্ধ পিথাগোরাসের মতবাদকেই অনুসরণ করছে! আসলে অবাক হবার কিছু নেই।। উনি ঠিকই বলেছেন। প্রথম পর্বেই আমরা দেখেছি এলবার্টআইনস্টাইন সাহেবের আসল চেহারা। আর বাবেল শহরের শয়তানদের প্রচারিত মতাদর্শের কথাগুলো মডার্ন ফিজিক্স/এস্ট্রোনোমিকাল সাইন্স প্যাকেটে আসায় পিথাগোরাস আর প্লেটোর উচিৎ নয় এ থেকে দূরে থাকা।

 The English philosopher Alfred North Whitehead argued that "In a sense, Plato and Pythagoras stand nearer to modern physical science than does Aristotle. The two former were mathematicians, whereas Aristotle was the son of a doctor".[226] By this measure, Whitehead declared that Einstein and other modern scientists like him are "following the pure Pythagorean tradition."[225][227]
[উইকিপিডিয়া ]


পাশ্চাত্যে প্যাগানিজম, যাদুবিদ্যা ও এসোটেরিক নলেজের (ইল্মুল লাদুনী) বৃদ্ধিতে প্রথম ম্যাসনিক টিচার হিসেবে পিথাগোরাসের বিশাল ভূমিকা ছিল। জোহানেস রুচলিন মতানুযায়ী পিথাগোরাস কাব্বালিস্টও বটে। কাব্বালা ও পিথাগোরিয়াসের আকিদাগত শিক্ষা অভিন্ন। দর্শন-বিজ্ঞানও এক। উভয় বিদ্যার উৎসও একঃ ইজিপশিয়ান ম্যাজাই→ব্যাবিলন। কাব্বালা নিয়ে আলোচনা গত হয়েছে।

Early modern European esotericism drew heavily on the teachings of Pythagoras.[215]The German humanist scholar Johannes Reuchlin (1455-1522) synthesized Pythagoreanism with Christian theology and Jewish Kabbalah,[234] arguing that Kabbalah and Pythagoreanism were both inspired by Mosaic tradition[235] and that Pythagoras was therefore a kabbalist.[235]
[উইকিপিডিয়া ]



তিন খন্ড বিশিষ্ট অকাল্ট ফিলসফি কিতাবে Heinrich পিথাগোরাসকে রিলিজিয়াস ম্যাজাই বলেন। বাহ।

Heinrich Cornelius Agrippa's popular and influential three-volume treatise De Occulta Philosophia cites Pythagoras as a "religious magi"[236] and indicates that Pythagoras's mystical numerology operates on a supercelestial level.[236]
[উইকিপিডিয়া ]



আর ফ্রিম্যাসন? ওরা তো নিজেদের অকাল্ট সোসাইটির মডেলের প্রাচীন রেফারেন্স হিসেবে ক্রোটনে পিথাগোরাসের সংগঠনকে দেখায়!!
The freemasons deliberately modeled their society on the community founded by Pythagoras at Croton.[237]
[উইকিপিডিয়া ]

পিথাগোরাসকে ফ্রিম্যাসনিস্টরা ম্যাসনিক বিদ্যার জনক হিসেবে দেখে। পিথাগোরিয়ান অকাল্টিজম ঠিক তাই যা ফ্রিম্যাসনিস্টরা অর্জন করে ৩৩ডিগ্রি(complete enlightenment) লাভ করে।
পিথাগোরিয়ান ফ্রিম্যাসনারির ব্যপারে বিস্তারিত দেখুনঃ http://www.freemasons-freemasonry.com/freemasonry_pythagoras.html

http://www.masonicworld.com/education/articles/pythagorean_tradition_in_fre.htm

http://www.midnightfreemasons.org/2013/06/pythagorean-views-of-divinity_6541.html?m=1

http://universalfreemasonry.org/en/history/pythagoras

http://freemasoninformation.com/masonic-education/books/the-beginning-of-masonry/pythagoras-and-freemasonry/amp/

http://www.masonicdictionary.com/pythagoras.html





ফ্রিম্যাসন এর ন্যায় আরেকটি শয়তানের আরাধনা,যাদুবিদ্যা অর্থাৎ অকাল্ট সোসাইটির নাম- রোজিক্রুশিয়ানিজম, যারা পিথাগোরাসের সিম্বলিজমকে গ্রহন করেছে।
Rosicrucianism used Pythagorean symbolism,[215] as did Robert Fludd (1574-1637),[215] who believed his own musical writings to have been inspired by Pythagoras.[215]

Wolfgang Amadeus Mozart incorporated Masonic and Pythagorean symbolism into his opera The Magic Flute.[241]
(সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)


বিখ্যাত জ্যোতিষী/যাদুকর জন ডি'ও পিথাগোরাসের ফ্যান ছিলেন। তিনি ম্যাট্রিক্স মুভির ন্যায় পিথাগোরাসের নিউমেরিক্যাল রিয়েলিটির মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন।

John Dee was heavily influenced by Pythagorean ideology,[238][236]particularly the teaching that all things are made of numbers.
[উইকিপিডিয়া]



ইল্যুমিনাতির প্রতিষ্ঠাতা Adam weishaupt পিথাগোরাসের ভূয়সী প্রশংসাকারী। তিনি তার 'পিথাগোরাস' নামের বইতে পিথাগোরাসের সাধুসন্ন্যাসের কমিউনিটির ন্যায় বর্তমান সমাজকে বিনির্মাণের ঔচিত্যবোধ প্রকাশ করেন।
Adam Weishaupt, the founder of the Illuminati, was a strong admirer of Pythagoras[239] and, in his book Pythagoras (1787), he advocated that society should be reformed to be more like Pythagoras's commune at Croton.[240]
(উইকিপিডিয়া)

Pythagoras origin of illuminati
https://m.youtube.com/watch?v=6zMStfhy2Qg

cult of Pythagoras
https://m.youtube.com/watch?v=9AdtSF-TpB0



Sylvain Maréchal এর মতানুযায়ী সকল সময়ের সকল বিপ্লব গুলো পিথাগোরাসের জন্যই হয়েছে। আসলেই, ঋষিজ্বির কাছে বড্ড ঋণী মডার্ন সমাজব্যবস্থা।

Sylvain Maréchal, in his six-volume 1799 biography The Voyages of Pythagoras, declared that all revolutionaries in all time periods are the "heirs of Pythagoras".
[উইকিপিডিয়া ]



সাধারন মানুষ পেন্টাগন বা পঞ্চভুজকে স্যাটানিক সিম্বলিজমের কাতারে ফেলে। বস্তুত,যাদু-উইচক্রাফটে এই এই প্রতীকের ব্যবহার হয়। এর পাচ কোণে সাধারণত পাঁচটি রেগুলার সলিড ও মোমবাতি রাখা হয়। এই প্রতীকের যাদুকরী তাৎপর্য পিথাগোরাসের কাছে বিদ্যমান। গণিত ও সঙ্গীতেরবাদ্যযন্ত্র এবং মিউজিকের গুপ্ত তাৎপর্যপূর্ন যোগসূত্র এতে আছে।
পিথাগোরাসের কাছে ঋণী কুফফারদের মিডিয়া আজ শিশুদেরকে পিথাগোরাসের গণিত ও সঙ্গীতকেন্দ্রিক গুপ্তজ্ঞানকে(অকাল্ট নলেজ) কে 'যাদু' টাইটেলেই প্রকাশ্যে শিশুদেরকে কার্টুনে দেখাচ্ছে,যাতে নিষিদ্ধ
বিদ্যাকে সেরূপে গ্রহন করে যেভাবে পৃথিবীর আকৃতির ব্যপারে করেছে!

ভিডিওঃ Pythagorean mathmagick
https://m.youtube.com/watch?v=2eC_4L89EIw

sacred geometry Pythagoras mathmagick full :
https://m.youtube.com/watch?v=kVTPwPh7ioU

উইকিপিডিয়াতেও উল্লিখিত, ইহা নাকি 'Educational'!
Donald in Mathmagic Land is a 27-minute Donald Duck educational featurette released on June 26, 1959.
সূত্রঃ
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Donald_in_Mathmagic_Land


এ আর্টিকেলটিতে বর্নিত সকল তথ্যের রেফারেন্স পাবেনঃ
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Pythagoras







মুসলিম ভাইবোনদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা ও প্রশ্নঃ

আজ আপনারা জানলেন মডার্ন এস্ট্রোনমি ও দর্শনশাস্ত্রের জন্মদাতার ব্যপারে। তিনি কাফের ছিলেন বটে, তবে সাধারণ কাফের নন। বরং তিনি ছিলেন যাদুবিদ্যার অনুসারী যাদুকর। আপনারা দেখেছেন, তার মতবাদ, আকিদা ও দর্শন ছিল বাবেল শহরের শয়তানী যাদুবিদ্যা,ও সেখানকার কাফেরদের মতবাদ, যা তিনি মিশরের যাদুকরদের(ম্যাজাই) শিষ্যত্ব বরণ করে অর্জন করেন।
তিনি ছিলেন Occult worldview এর বিপ্লবের পথিকৃৎ। আপনারা দেখেছেন অপর এক বিখ্যাত ফ্রিম্যাসন তার এস্ট্রোনমিক্যাল টিচিং এর ব্যপারে কি বলেছেন।বস্তুত, তিনি ছিলেন যাবতীয় নিকৃষ্টতম কুফরের প্যাকেজের ধারক ও বাহক।কেমন যেন All in one! আফসোসের বিষয়, সেই ইসলামের শুরুর দিকে গ্রীক শাস্ত্রের অনুপ্রবেশের পরে থেকে অজ্ঞাত কারনে আলেমসমাজের একটা অংশ অবচেতনেই গায়েবের কিছু ক্ষেত্রে সেটার(গ্রীক হেলেনিস্টিক এস্ট্রোনমির) কিছু কিছু বিষয়কে আদর্শগত মানদণ্ড হিসেবে নিয়ে নেয়। অথচ ওইসকল গায়েবের বিষয়ে কুরআন, হাদিস, সাহাবী(রাযি.) এর বর্ননার বাহিরে গিয়ে ব্যক্তিগত অব্জারভেশন ও খেয়াল কেন্দ্রিক মতামত চাপানোটাও অনুচিত। এজন্যই ইমাম ইবনে হাজম(রঃ) থেকে এরকম মতামত পাওয়া যায়ঃ the proof of the Earth's sphericity is that the Sun is always vertical to a particular spot on Earth.

ইমাম আবুল হুসাইন আহমদ ইবনে জাফর ইবনে আল মুনাদী(র)[855 CE] ইন্ডিয়ান ও গ্রীক হেলেনিস্টিক এস্ট্রোনমির রিভাইভ্যালের অনেক পরে বলেন,
"Similarly they were unanimously agreed that the Earth, with all that is contains of land and sea is like a ball. He said: That is indicated by the fact that the sun, moon and stars do not rise and set over those who are in different parts of the earth at the same time; rather that occurs in the east before it occurs in the west."




শায়খ সালিহ আল মুনাজ্জিদ(হাফিঃ) তার islamqa.info ওয়েবে ৭১:৭৯ নং আয়াতকে আগের যুগের একই চিন্তার আলেমদের কথা দ্বারা পিথাগোরিয়ান গ্লোবিউলার মডেলকে 'Reconcile' করেন। দেখুনঃ https://islamqa.info/en/211655
এখানে আছে যে, জনৈক ব্যক্তি জালালউদ্দীন সূয়ূতী(রহঃ) এর তাফসীর জালালাঈন পাঠ করে আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে কন্ট্রাডিকশ্যন দেখতে পান। তার প্রশ্নটিঃ 'Could you please explain these Quranic verse. Actually one Non Muslim asked me to explain these verses.
Quran 71:19 And Allah has made the earth for you as a carpet (spread out).
Quran 78:6 Have We not made the earth as a wide expanse, What does it mean ?
Quran 15:19 And the earth We have spread out (like a carpet); set thereon mountains firm and immovable; and produced therein all kinds of things in due balance.
Does it mean that Earth is flat? Tafsir Jalalayn says that EARTH is flat. But it is against Established Science.'

'Tafsir Jalalayn says that EARTH is flat. But it is against Established Science' এই বাক্যটি লক্ষ্য করুন। কেমন যেন মনে হয় কিছু মুসলিম ভাইদের কাছে কুরআন সুন্নাহকে কাফেরদের হাতে স্ট্যাবলিশড সাইন্সের মানদন্ডে উত্তীর্ণ হতে হবে! মা'আযাল্লাহ।
চলুন তাফসির জালালাইনে গিয়ে দেখি কি ছিলো সেখানেঃ
As for His words sutihat ‘laid out flat’ this on a literal reading suggests that the earth is flat which is the opinion of most of the scholars of the revealed Law and not a sphere as astronomers (ahl al-hay’a) have it
Tafsir al-Jalalayn for Qur'an 88:20

এবার আসুন দেখি উত্তরে শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ(হাফিঃ) কি বলেছেন-
পিথাগোরিয়ান এস্ট্রোনমির পক্ষে ইবনে হাজম(র) এর কিছু ambiguous মনগড়া logical স্টেটমেন্ট আনলেন। আয়াতের অদ্ভুত ব্যাখা দিলেন। অতঃপর অবাক করে ইমাম ইবনু কাসির (রহঃ) এর তাফসীরের বর্ননা আনলেন!! এটা আমাকে সবচেয়ে অবাক করেছে! ইমাম ইবনে কাসির(রঃ) প্রিমিটিভ জিওস্টেশনারী এনক্লোজড কস্মোলজির বর্ননা দিয়েছেন এস্ট্রোনোমিকাল প্রত্যেক আয়াতের ব্যাখ্যায়। আর তিনি যেরূপ তাফসীর করেছেন আলহামদুলিল্লাহ সেসব কুরআন সুন্নাহর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এমনকি তিনি অনেক দুর্লভ হাদিসও আনেন প্রিমিটিভ জিওসেন্ট্রিসিটির সপক্ষে যা সুস্পষ্ট মেইনস্ট্রিম এস্ট্রোনোমিকাল সাইন্সের(ন্যাচারাল ফিলসফির) উল্টো।
সালেহ আল মুনাজ্জিদ যে তাফসীর গুলো আনেনঃ
"Secondly:
The verse (interpretation of the meaning)
“And Allah has made for you the earth wide spread (an expanse)” [Nooh 71:19] indicates that it is spread out and shaped so that people can feel settled in it and be able to live and prosper in it. Ibn Katheer said:
That is, He spread it out, prepared it, made it stable and made it firm by means of the mountains.
Tafseer Ibn Katheer , 8/247
Similarly, the verse (interpretation of the meaning) “ Have We not made the earth as a bed” [an-Naba’ 78:6] means that it is spread out and prepared for you and for your benefit, so that you can cultivate it, build dwellings in it and travel through it.
Ibn Katheer said:
That is, it is prepared for people in such a way that they can live in it, and it is firm, stable and steady.
Tafseer Ibn Katheer , 8/307
And the verse (interpretation of the meaning) “And the earth We spread out, and placed therein firm mountains, and caused to grow therein all kinds of things in due proportion” [al-Hijr 15:19] means We spread it out and placed firm mountains therein. This is like the verse in which Allah says (interpretation of the meaning): “And it is He Who spread out the earth, and placed therein firm mountains and rivers” [ar-Ra‘d 13:3] .
There is no contradiction between saying that it is round and saying that it was spread out, because in fact in its totality it is round, but to the one who stands on it and looks at it, it appears flat, as it appears to everyone."
ইমাম ইবনে কাসির(র) যেখানে প্রাচীন জিওস্টেশনারী সমতল পৃথিবী কেন্দ্রিক এস্ট্রোনোমিকাল অর্ডারের বর্ননা দিয়েছেন, সেগুলোকেই পুঁজি করে সালেহ আল মুনাজ্জিদ(হাফি) পিথাগোরিয়ান স্ফেরিক্যাল আর্থের প্রমান করছেন!অত্যন্ত সূক্ষ্ম করাপশন,সম্পূর্ন ভিন্নমাত্রার তথ্যকে ব্যবহার করে নিজের মতের দিকে টেনেছেন! বলছেনঃ "There is no contradiction between saying that it is round and saying that it was spread out, because in fact in its totality it is round, but to the one who stands on it and looks at it, it appears flat, as it appears to everyone."

এর পরে ইমাম আর রাযি(রহঃ) এর কনফিউজড ব্যাখ্যা আনলেনঃAr-Raazi (may Allah have mercy on him) said:
If it is said: Do the words “And the earth We spread out” indicate that it is flat?
We would respond: Yes, because the earth, even though it is round, is an enormous sphere, and each little part of this enormous sphere, when it is looked at, appears to be flat. As that is the case, this will dispel what they mentioned of confusion. The evidence for that is the verse in which Allah, may He be exalted, says (interpretation of the meaning): “And the mountains as pegs” [an-Naba’ 78:7] . He called them awtaad (pegs) even though these mountains may have large flat surfaces. And the same is true in this case.
End quote from Tafseer ar-Raazi , 19/13
দেখলেন ওইসময়ে হেলেনিস্টিক(গ্রীক) এস্ট্রোনমি কি করেছিলো! যার জন্য বলতেন-"even though it is round"!

এরপরে শায়খ মুনাজ্জিদ(হাফিঃ) ইমাম শানকিতী(রহঃ) এর কথা আনলেন। ইমাম আস শানকিতী স্ফেরিকাল আর্থের সপক্ষের আগেরকার আলেমদের সাথে একমত হলেনই, কিন্তু মেইনস্ট্রিম স্ফেরিক্যাল মডেলকে কোন এক কুরআনিক আয়াতের বর্ননার সাথে যুক্ত করতে গেলে অন্যান্য অনেক আয়াতে কনফ্লিক্ট করে, ইমাম শানকিতী পিথাগোরাসের স্ফেরিক্যাল বিশ্বাসকে কুরআনের সাথে আরো ভালভাবে খাপ খাওয়ানোর জন্য যুক্তিকেন্দ্রিক বর্ননা /ব্যাখ্যা দিলেনঃ Shaykh ash-Shanqeeti (may Allah have mercy on him) said:
If the scholars of Islam affirm that the earth is round, then what would they say about the verse in which Allah, may He be exalted, says (interpretation of the meaning):
“Do they not look at the camels, how they are created?
And at the heaven, how it is raised?
And at the mountains, how they are rooted and fixed firm?
And at the earth, how it is spread out?”
[al-Ghaashiyah 88:17-20] .

Their response will be the same as their response concerning the verse in which Allah, may He be exalted, says (interpretation of the meaning): “Until, when he reached the setting place of the sun, he found it setting in a spring of black muddy (or hot) water” [al-Kahf 18:86] – that is, as it appears to be in the eye of the beholder, because the sun sets on one country, but remains up in the sky for another, until it rises from the east on the following morning. So the earth looks flat in every region or part of it, because of its immense size.

এখানে একটা মজার বিষয় আছে। শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ (হাফিঃ) ইমাম শানকিতির(রঃ) যে ব্যাখ্যাটি আনলেন সেখানে তিনি ১৮:৮৬ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।এর আগে শায়েখ মুনাজ্জিদ(হাফিঃ) ইবনে কাসীরেরও (রঃ) তাফসীর এনেছেন স্ফেরিক্যাল আর্থের সপক্ষে। যা উপরে দেখেছেন।এবার আপনাকে সামান্য একটু কষ্ট করে তাফসীর ইবনে কাসীরের ১৮:৮৬ এর ব্যাখ্যায় যেতে বলবো। আপনার সুবিধার্থেঃ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=334896810300851&id=282165055574027

কি দেখলেন!/? জ্বি একাধিক সাহাবীদের কনভারসেশন। একদমই এ আয়াতের আক্ষরিক অর্থটাই সত্য এবং শুদ্ধ। মহান আল্লাহ এই আয়াতের পরবর্তীতে বলেনঃ
كَذَلِكَ وَقَدْ أَحَطْنَا بِمَا لَدَيْهِ خُبْرًا

প্রকৃত ঘটনা এমনিই। তার বৃত্তান্ত আমি সম্যক অবগত আছি।(১৮:৯১)

প্রসংগের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি হাদিস পড়ুনঃ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ كُنْتُ رَدِيفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى حِمَارٍ وَالشَّمْسُ عِنْدَ غُرُوبِهَا فَقَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرِي أَيْنَ تَغْرُبُ هَذِهِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّهَا تَغْرُبُ فِي عَيْنِ حَامِيَةٍ ‏"‏ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ)

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে একই গাধার পিঠে বসা ছিলাম, তখন সূর্য অস্ত যাচ্ছিল। তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি কি জানো, এটা কোথায় অস্তমিত হয়? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বলেনঃ “এটা উষ্ণ পানির এক ঝর্ণায় অস্তমিত হয়” (সূরাহ কাহ্‌ফঃ ৮৬)। [৪০০২]

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০০২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com

বিজ্ঞানের অনুসারী মুসলিমগন বিব্রতকর অবস্থায় না পড়বার জন্য চমৎকার একটা ফিল্টারিং ব্যবস্থাকে নিয়েছে,তারা 'সহীহ' হাদিস ছাড়া আর কোন হাদিসকে গ্রহন করবেন না। অধিকাংশ প্রিমিটিভ সমতল পৃথিবীকে সমর্থনকারী দলিলগুলো দুর্বল। কিন্তু এখানে এটা সহীহ হাদিস।এখন কিভাবে এটাকে বাতিল /অগ্রহণযোগ্য বা ভুল প্রমান করা যায়??!!আসুন দেখে আসি, এ হাদিসের ন্যায় একাধিক স্থানে আসা এরূপ বর্ননা মানতে না পেরে,একে অগ্রহণযোগ্য বা বাতিল প্রমানের জন্য, ওদের প্রচেষ্টাঃ http://www.letmeturnthetables.com/2012/09/weak-hadith-sun-spring-warm-water.html?m=1


বস্তুত, ইমাম ইবনে কাসীর(র) সেটাই মানতেন যা সাহাবী(রাযি.) বিশ্বাস করতেন।আমরাও করি। তো এবার বুঝতে পারছেন সালেহ আল মুনাজ্জিদের(হাফিঃ) কেমন পক্ষপাতপূর্ন ফতওয়া! আলেমসমাজ ও সাধারন জনগনের একটা দল এরূপ যে, যেভাবেই হোক কুরআনের মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানবিরুদ্ধ আয়াতগুলোকে এই পিথাগোরিয়ান এস্ট্রোনমির সাথে মেলাতেই হবে।সেটা যেভাবেই হোক, যেকোন যুক্তিতে। অথচ ঔচিত্য এই যে কুরআন সুন্নাহর এর দলিল দ্বারা মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানকে জাস্টিফাই করা। প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত আহলুল হায়াগন(এস্ট্রনমার) সকলেই পিথাগোরাসের অনুসারী। এই আর্টিকেলের মাঝামাঝিতে তো দেখেছেন, এলবার্ট আইনস্টাইন,নিকোলাস কোপার্নিকাস, কেপলার,নিউটন প্রভৃতি বিজ্ঞানের ঝান্ডাধারীরা সকলেই পিথাগোরাসের মতবাদের অনুসারী। অথচ আজ উম্মাহর সিংহভাগ এদের বক্তব্যের খাপে খাপে ইসলামকে মেলানোর জন্য ব্যতিব্যস্ত।
মোডারেট এবং অন্যান্য জ্ঞানহীন অথবা বিজ্ঞান দ্বারা ব্রেইনওয়াশড ভাইবোনদের আরেকটি ঢাল,কোথাও এরূপ তর্ক পেলেই এই দুই লিংক ধরিয়ে দেয়ঃ https://islamqa.info/en/118698

এই লিংকের ফতওয়াতেও একই অবস্থা। ধরে ধরে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা এই পর্বের আর্টিকেলকে আরো দীর্ঘ করবে,শেষে ফেসবুকে বেধে দেওয়া সর্বোচ্চ শব্দসীমাকে অতিক্রম করবে।। তারা সূরা আয যূমারের ৫ নং আয়াতের দূরবর্তী অস্পষ্ট যুক্তিকেন্দ্রিক ব্যাখ্যা করে পৃথিবীকে গোল বানিয়েছে। বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা দেখুন, তাফসীর তাবারী,তাফসীর ইবনে কাসীর এবং তাফসীর জালালাঈনে...। ইবনে উসাইমীন(র) এর বক্তব্যও এনেছেন। And at the earth, how it is spread out?”
[al-Ghaashiyah 88:17-20]
Because the Earth is huge and its curvature cannot be seen from a short distance, it appears to be spread out and one cannot see anything that would make one fear living on it, but this does not contradict the fact that it is round, because it is very big. However they say that it is not evenly round; rather it is indented or pushed in at the north and south poles. Hence they say that it is egg-shaped.
End quote from Fataawa Noor ‘ala ad-Darb

তিনি ৮৮:২০ এর সুতিহাতের যুক্তিভিত্তিক আধুনিক বিজ্ঞানকেন্দ্রিক ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, গোলাকার পৃথিবী এত বৃহৎ যে কার্ভাচার চোখে ধরা পড়ে না, তাই পার্স্পেক্টিভ অনুযায়ী মানুষ সমতল দেখে।এর পরে মুর্তাদ-নব্যুয়তের দাবিদার খলিফা রাশাদের কথা মোতাবেক ডিম্বাকার বানিয়েছেন। অন্ধ অনুসরণ না করলে বলব, এ আয়াতের তাফসীরে সর্বাধিক বিশুদ্ধ মত দিয়েছেন ইবনে কাসীর(র) , সুয়ূতি(র), ইমাম তাবারী (র)। সুয়ূতি(র) সুস্পষ্টভাবে গোটা পৃথিবীকে সমতল বলেছেন। বস্তুত, এটা এজন্যই শুদ্ধ যে,এ আয়াতের الْأَرْضِ শব্দটির অর্থ 'পৃথিবী'। পৃথিবীর খন্ডাংশ নয়,জমিনের অংশ বিশেষ বা মানুষের চোখের পার্স্পেক্টিভে আসা পৃথিবীর হোরাইজনও নয়। কিন্তু যারা পিথাগোরাসের এস্ট্রোনমির সপক্ষে কথা বলছেন তারা যা নয় তাই যুক্তি দ্বারা প্রমানের চেষ্টা করেছেন।

সবশেষে মুনাজ্জিদ (হাফি) সাহেব বলেন,Thus it is known that the Earth is round, and that is not contradicted by the fact that it is like an egg. Rather the false view is that which claims that it is flat, as the Church used to believe and for that reason used to curse and burn those scientists who said that it was round.

কুরআনকে সমস্ত কাফেররা আজ 'ফ্ল্যাট আর্থ বুক' বলছে। একই ভাবে কাফেররা, কুরআনে জিহাদের আহব্বানকারী আয়াতের জন্য বলছে 'কুরআন টেররিজমের কিতাব'। আমরা এপোলোজেটিক স্টাইলে বলছি, না না, এটা প্রাচীন খ্রিষ্টান মতবাদ ছিল, আমাদের নয়, আর জিহাদের ব্যপারে বলি -কুরআন শান্তির কথা বলে, ওসব আয়াত সে যুগের জন্য আজকের নয়।। বর্তমান ক্ষমতাসীন খ্রিষ্টান কাফেররাও আমাদের দিকে বিদ্রুপ করে একই কথা বলছে(এন্সারিং ইসলাম ওয়েবসাইট এ দেখুন)। শায়খ সালিহ আল মুনাজ্জিদ(হাফিঃ) সাহেবও ওইভাবে অস্বীকার করে এটা ওদের উপর চাপিয়েছেন। 'ফ্ল্যাট আর্থ মডেল' বিষয়টা কেমন যেন একটা লজ্জাজনক ব্যাপার হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর কারন পিথাগোরিয়ান সাইন্টিজমের সাফল্য। আপনারা দেখলেন শায়খ মুনাজ্জিদ (হাফিঃ) সাহেব কাদেরকে সাইন্টিস্ট বলে সম্মান করছেন! ওরা যে যাদুকর,ডাকিনী ছিল সেটা সবাই জানত! অদ্ভুতভাবে শাইখ প্রাচীন ন্যাচারাল ফিলসফার(তখনকার 'সাইন্টিস্ট'), এস্ট্রোলজার ও গুহ্যবাদীদের হত্যাকে নিন্দাজনক দৃষ্টিতে দেখেন। (ইসলামে গুপ্তবাদ্যি যাদুকরদের শাস্তির হুকুম সংক্রান্ত দলিল আনছি না) এ আর্টিকেলের মধ্যভাগে বর্ননা করেছি কেন স্ফেরিক্যাল আর্থের কথকদেরকে ইসলাম পূর্ব খ্রিষ্টানরা শাস্তি দিত। আবারো বলছি - প্রাচীন স্ফেরিক্যাল মডেলের জনক পিথাগোরাসের অনুসারীরাও তার মত দর্শন লালন করত। ওরাও ট্রেডিশনাল মিস্টিকদের ন্যায় 'পুনরুত্থান দিবসকে' অস্বীকার করে বলতো 'পুনর্জন্মবাদ' সত্য, যেমনি পিথাগোরাসের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা এটা। তেমনিভাবে সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টির এক অস্তিত্বের আকিদা প্রচার করত। ওরা বলতো,যে কেউ যেকোন ধর্মে থেকেই সৃষ্টিকর্তার সাথে একাকার হতে পারে(বি ওয়ান উইথ গড-ফানাফিল্লাহ)। তাছাড়া জ্যোতিষশাস্ত্র ও যাদু চর্চার জন্য এদেরকে প্যাগান হেরেটিক বলা হত। ওদের কোন আকিদাকেই গ্রহন করা হত না। তখন ওরা লুকিয়ে রাখতো, কিন্তু ধরা পড়লে মৃত্যুদণ্ড হতো। আজকের পিথাগোরিয়ান ফ্রিম্যাসনিক লিনিয়েজও একই বিষয় প্রকাশ্যে চর্চা করে, এবং তাদের মতবাদই প্রতিষ্ঠিত। আর আমাদের উম্মাহর একটা বড় অংশ সেসবকে কুরআন দ্বারা জাস্টিফাই করতে লেগে আছে। মা'আযাল্লাহ।

আমাদের(আমার) হাতে প্রচুর ইসলামিক দলিল প্রমান আছে যা সুস্পষ্টভাবে পিথাগোরিয়ান ন্যাচারাল ফিলোসফিকে গুড়িয়ে দেয়, সেসব নিয়ে পরবর্তীতে অনেকগুলো আর্টিকেল আনবার ইচ্ছা আছে..... ইনশাআল্লাহ।


আশাকরি বিবেকসম্পন্ন ভাইবোনদের কাছে একটা বিষয় সুস্পষ্ট হচ্ছে। তারা অবশ্যই দুটি Stream দেখতে পাচ্ছেন। একটি Acceptable ও Unacceptable। একটির অরিজিন কুফর ও নিষিদ্ধ অপবিদ্যা। সেটাই আজ 'সাইন্টিফিক' এবং প্রতিষ্ঠিত।

সাধারণত হেলিওসেন্ট্রিজম ও স্ফেরিক্যাল আর্থ + এভারএক্সপ্যান্ডিং ইউনিভার্স তত্ত্বে বিশ্বাসকারীগন স্বল্পজ্ঞান,অন্ধ অনুসরণ,মেইনস্ট্রিম সাইন্স দ্বারা ব্রেইনওয়াশড, আত্মসম্মানবোধ অথবা ইগোর জন্য করে থাকে যা আজ পাঠকরা অনুধাবন করছেন। আমরা কাউকেই জোর করে স্ফেরিক্যাল মডেলকে বর্জন করে বলব না। আমরা হক্ক-বাতিলকে সুস্পষ্ট করব, অতঃপর যার ইচ্ছা,সে সেটা বিবেচনাপূর্বক বর্জন করল, অথবা কাফেরদের মতাদর্শকে পছন্দ করে আকড়ে রাখলো। 'এ মুহুর্তে', যেসব মুসলিম দাবিকারী ভাইয়েরা এ পর্বটি পাঠের পড়েও হেলিওসেন্ট্রিক স্ফেরিক্যাল পৃথিবীযুক্ত কস্মোলজির সপক্ষে দাঁড়িয়ে ইসলামিক স্ট্যান্ডার্ডে তা জাস্টিফাই করে বিতর্কে লিপ্ত হচ্ছেন, তারা কতটা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে করছেন, তার ব্যপারে রহমান ওয়াকিবহাল আছেন। তাদের উচিৎ আল্লাহকে ভয় করা। কারন তারা যা করছে সেটা যেকোন প্রহসনকেও হার মানায়। নাপাক কিছুকে কুরআন সুন্নাহ দ্বারা legitimate করার চেষ্টার শামিল।

যে সকল সম্মানিত উলামাগন হেলেনিস্টিক পিথাগোরিয়ান এস্ট্রোনমি দ্বারা অবচেতনে অথবা পারিপার্শ্বিক অবস্থার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এর সপক্ষে কথা বলেছেন অথবা ফিতনার আশংকায় নিরব থেকেছেন, তাদের প্রতি আমাদের কোন বিদ্বেষ নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে একারনেই তাদের এরূপ অবস্থানের জন্য প্রশংসা করি যে, অকাল্টিজমের জাগরণে তাদের প্রাচীন মতবাদে আঁকড়ে থাকাটা হয়ত কোন ফিতনার কারন হতে পারতো। যেমনটা আজ দেখা যাচ্ছে। আজ কাফেরদের প্রতিষ্ঠিত occult based science দ্বারা সিংহভাগ মুসলিম প্রভাবিত এবং এটাকেই 'ফ্যাক্ট' বলে জানে। এর বিরুদ্ধে শারঈ ডগমা সহজে বিশ্বাসের আসনে আনা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় ভ্রান্ত বিষয়ের চরম বিরুদ্ধাচরণ সুদূরপ্রসারী ফিতনার কারন হতে পারে। এজন্য আল মুনাদি(র) থেকে শুরু করে সালিহ আল মুনাজ্জিদ(হাফি), জাকির নায়েকসহ (হাফি) সকল আলিম ও দাঈদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা প্রকাশ করি।আল্লাহ সকলকে রহমত ও হেফাজতে রাখুন। আমিন।তবে যেসব উলামায় সু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসলামে হেলেনিস্টিক এস্ট্রোনমি ঢুকিয়েছে বা ইচ্ছা করে সজ্ঞানে এর অরিজিনকে যেনে বুঝে সে অনুযায়ী ব্যাখ্যা করেছেন,সে যেই হোক, আল্লাহ যেন তাদের উত্তম বিচার করেন। আমিন। এত কিছু জানবার পরেও যারা বিপক্ষে থেকে বিতর্ক করতে উৎসাহী, তাদের নিকট প্রশ্ন থাকবে, কোন বিষয়টি তাদেরকে পিথাগোরাসের মতাদর্শকে সত্য মানতে বাধ্য করে!/?

রিয়েলিটির সাথে কন্ট্রাডিক্টরি এমন অনেক এভিডেন্স আমাদের হাতে আছে যার একেকটি আলাদাভাবে পিথাগোরিয়ান নোশনকে ভ্রান্ত ও মিথ্যা প্রমান করে। এবং সত্য প্রমান করে সাহাবীদের ব্যাখ্যা- হাদিস ও আল কুরআন। সেসব factual concrete evidence প্রাচীন জিওস্টেশনারী সমতল পৃথিবীকে সত্যায়ন করে; যে বিশ্বাসের উপরে, 'গ্রীক ও ইন্ডিয়ান এস্ট্রোনমিক্যাল কিতাবাদি' আসার পূর্বে সমগ্র আরব বিশ্বাস করত,সাহাবীগন(রাযি.) বিশ্বাস করতেন, আল্লাহর রাসূল(সাঃ) বর্ননা করেছেন এবং যার বর্ননা কুরআনেই সুস্পষ্টভাবে এসেছে।

যারা জ্ঞানগত সীমাবদ্ধতার দরুন 'সমতল পৃথিবীর' মডেলটি খ্রিষ্টীয় মতবাদ বলে উল্লেখ করে, আর বলে আমরা খ্রিষ্টানদের মতবাদ প্রচার করি,তাদের অবগতির জন্য বলি, মাত্র ৫০০ বছর আগে বিশ্বব্যাপী পিথাগোরিয়ান স্ফেরিক্যাল(গোল) পৃথিবীর মডেলের প্রতিষ্ঠাতা কারা? জ্বি, ক্যাথলিক খ্রিষ্টান কুফফাররা। আপনি জেসুইট(Society of Jesus) মিশনারির ব্যপারে কোন জ্ঞান রাখেন? এরা গোটা বিশ্বে মাত্র ৫০০ বছর পূর্বে অফিশিয়ালি স্ফেরিক্যাল মডেলকে প্রতিষ্ঠিত করে। এরা ছিল কথিত প্রগতিবাদী বিজ্ঞানবাদী কাফের,যারা সারা পৃথিবীব্যাপী প্রাচীন (esoteric) গুপ্তজ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসেবে মেইনষ্ট্রিমে এনে প্রতিষ্ঠিত করে। এমনকি চীন প্রথম দিকে সেটা গ্রহন না করলেও জেসুইটের চাপের মুখে সর্বশেষে অফিশিয়াল প্রিমিটিভ কস্মোলজিকে বাদ দিয়ে ১৭০০ সালে পিথাগোরিয়ান স্ফেরিক্যাল আর্থের এস্ট্রোনমিকে মেনে নিতে বাধ্য হয়।

As late as 1595, an early Jesuit missionary to China, Matteo Ricci, recorded that the Ming-dynasty Chinese say: "The earth is flat and square, and the sky is a round canopy; they did not succeed in conceiving the possibility of the antipodes."[55] The universal belief in a flat Earth is confirmed by a contemporary Chinese encyclopedia from 1609 illustrating a flat Earth extending over the horizontal diametral plane of a spherical heaven.[55]

In the 17th century, the idea of a spherical Earth spread in China due to the influence of the Jesuits, who held high positions as astronomers at the imperial court.[132]

Although mainstream Chinese science until the 17th century held the view that the earth was flat, square, and enveloped by the celestial sphere,


In the 17th century, the idea of a spherical Earth, now considerably advanced by Western astronomy, ultimately spread to Ming China, when Jesuit missionaries, who held high positions as astronomers at the imperial court, successfully challenged the Chinese belief that the Earth was flat and square.[79][80][81][সূত্রঃউইকিপিডিয়া]


https/en.m.wikipedia.org/wiki/Society_of_Jesus

ক্যাথলিকরা খ্রিষ্টানদের মধ্যে নিকৃষ্টতম অংশ, ওরা ইসলামের সাথে শত্রুতা পোষন করে এবং আজও ইহুদীদের চূড়ান্ত লক্ষ্য বাস্তনায়নে এক হয়ে কাজ করছে।
এরা সকল কুফরের পৃষ্ঠপোষক। অর্থোডক্স খ্রিষ্টানরা এদেরকে নকল খ্রিষ্টান বলে আখ্যায়িত করে। এবার কি আমরা গোলবাদীদের বলবো, 'আপনারা ক্যাথলিক খ্রিষ্টান মিশনারিদের মতবাদ প্রচার করে থাকেন, ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের মতাদর্শ ইসলামের সাথে মিশিয়ে অপব্যাখ্যা করছেন'??

নাহ। খুব সম্ভবত, আমরা মূর্খদের ন্যায় আচরণ অপছন্দ করি, যেমনটা অল্পবিদ্যা নিয়ে পিথাগোরানিজমকে একদল প্রমোট করে! বস্তুত, পিথাগোরিয়ানিজম এমন এক বিশ্বাস ব্যবস্থা, যা তাওহীদের দ্বীনের সম্পূর্ন বিপরীত। ওরা 'ইত্তেহাদে'(মনিজম/প্যান্থেইজম) বিশ্বাসী আর আমরা তাওহীদে(একত্ববাদ),ওদের শিক্ষা হচ্ছে যেকেউ গুপ্তজ্ঞানের সাধনা করে স্রষ্টার সাথে এক হতে পারে,সান্নিধ্যলাভ করতে পারে, আর আমরা জানি ইসলামই একমাত্র মনোনীত দ্বীন(৩:১৯), বাকাফিল্লাহ ও ফানাফিল্লাহ গ্রীস থেকে আগত কুফরি আকিদা। ওরা পুনর্জন্মবাদকে সত্য বলে ও পুনরুত্থান দিবসের অস্বীকার করে, আর আমরা উল্টোটা। কুরআনের আয়াত ও সাহাবীগনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী পৃথিবী সমতল কিন্তু পিথাগোরাসের কাছে গোলকার। ইসলামে নিউমেরলজি/জ্যোতিষবিদ্যা হারাম ও কুফরি কাজ। ওদের কাছে এটা পবিত্র জ্ঞান ও শিক্ষা(Sacred knowledge)। অতএব, বলুন, কার পক্ষপাতিত্ব করেছেন, করছেন এবং ভবিষ্যতে করবেন? আকিদা-মতাদর্শগত দিক দিয়ে এটা তো সুস্পষ্ট যে পিথাগোরাস সকল শয়তানের পূজকদের গুরু এবং এক মানব শয়তান! কুরআন ও সাহাবীদের এর ব্যাখ্যা(হাদিস) এর নিকটবর্তী যে উলামাগন কথা বলেন, এ বিষয়ে আমরা তাদের পক্ষপাতিত্ব করবো এবং প্রচার করে যাবো.... ইনশাআল্লাহ।



এবং আল্লাহ সর্বোত্তম জানেন।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………[চলবে ইনশাআল্লাহ]

আজ পরিচিত করা হয়েছে, ফিলোসফি তথা সমগ্র মেইনষ্ট্রিম বিজ্ঞানের এক মহান পথিকৃৎ এর জীবন-আকিদা ও শিক্ষা। এর মাধ্যমে আমরা ইতিহাসভিত্তিক সাইন্টিফিক ডেভেলপমেন্টের মূল আলোচনায় প্রবেশ করলাম। সামনে কথিত প্রমিনেন্ট বিজ্ঞানীদের আকিদা ও শিক্ষা এবং সে শিক্ষার উৎস সম্পর্কে ধারাবাহিক আলোচনা আসবে। ধীরে ধীরে আমরা মোস্ট এডভ্যান্স পদার্থবিজ্ঞান তথা কোয়ান্টাম ফিজিক্সের দিকে যাব। অবশেষে কথিত বিজ্ঞানের বর্তমান অগ্রগতির চিত্র। বিইযনিল্লাহ।।

Tuesday, December 11, 2018

৫.বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?

বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?
Occult Origin of Mainstream physics and Astronomy: [পর্বঃ৫] 




   
 আজকের দুনিয়ায় Science এর নামে যেটা চলছে সেটা pseudoscience বা অপবিজ্ঞান। আমরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিপক্ষে নই,তবে সুডোবিজ্ঞানের বিরোধিতা করি। এ যুগে এরকম বক্তব্য বাড়াবাড়ি শোনাতে পারে কিন্তু মাঝেমধ্যে সত্য ফিকশনকেও হার মানায়। পূর্ববতী সংখ্যাগুলোয় যাদুকর,জ্যোতিষী প্রভৃতি বামপথের আকিদা-বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি জানি, সেসব দর্শনশাস্ত্রের ন্যায় শোনায়।
বস্তুত, প্রাচীন কালের যাদুকর, জ্যোতিষী, ভাগ্যগনক প্রভৃতি অকাল্টিস্টদের আকিদা, দর্শনই বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞান! বিশ্বাস করতে কষ্টকর হলেও ইহাই সত্য! ফিলোসফি বা দর্শনের গোড়াপত্তনকারী ছিলেন যাদুকর ও মাস্টারম্যাসন পিথাগোরাস। তিনিই সর্বপ্রথম Love of wisdom বা ফিলোসফিয়ার(গ্রীক) সর্বপ্রথম প্রবক্তা।


'Philosophy (from Greekφιλοσοφία, philosophia, literally "love of wisdom"[1][2][3][4]) is the study of general and fundamental problems concerning matters such as existence, knowledge, values, reason, mind, and language.[5][6] The term was probably coined by Pythagoras (c. 570–495 BCE).' [wikipedia]
.
ফিলসফি শব্দটা গ্রীক শব্দ ফিলো+সফিয়া থেকে উদ্ভুত যার গোড়াপত্তনকারী মহান যাদুকর পিথাগোরাস।
.
al-Mawsoo’ah al-Muyassarah fi’l-Adyaan wa’l-Madhaahib al-Mu’aasirah এর ২/১১১৮-১১২১ তে বর্নিত, "Philosophy is a Greek word composed of two words. Philo originally meant selflessness, but Pythagoras turned it to mean love; and sophia which means wisdom. The word philosopher is derived from philosophy and means the lover of wisdom. But the meaning changed and came to mean wisdom."[islamqa.info]
.
অতএব, উৎপত্তিগত দিক থেকে জ্ঞানের সাধকদেরকে দার্শনিক বা ফিলোসফার বলা হতো। পাশ্চাত্যের দর্শন দাঁড়িয়ে আছে গ্রীক দর্শনের উপর যার শুরু হয় পিথাগোরাস থেকে।

Western philosophy is the philosophical tradition of the Western world and dates to Pre-Socratic thinkers who were active in Ancient Greece in the 6th century BCE such as Thales (c. 624–546 BCE) and Pythagoras (c. 570–495 BCE) who practiced a "love of wisdom" (philosophia)[33] and were also termed physiologoi (students of physis, or nature).
[উইকিপিডিয়া]
.
সুতরাং পিথাগোরাস পরবর্তী সকলে ছিলেন স্টুডেন্ট অব 'ফিজিস' বা ন্যাচার বা ফিলসফার। মহাঋষি পিথাগোরাসের ব্যপারে পরবর্তী পর্বে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।
.
আজ যদি ফিলোসফির বা দর্শনশাস্ত্রের বিষয়বস্তু কি তা প্রশ্ন করা হয়। সাধারন যেকেউ বলবে, দর্শনশাস্ত্রের বিষয়বস্তু হচ্ছে-এথিকস, মোরালিটি, থিওলজিকাল আকিদা-বিশ্বাস, আধ্যাত্মিকতা,আইন,রাজনৈতিক আদর্শ বড়জোর কস্মোজোনী... প্রভৃতি। কিন্তু আসলে কি এটাই দর্শনের সমুদয় বিষয়বস্তু?
ইতিহাস ঘাটলে ভিন্ন কিছু দেখা যায়, উনিশ শতক এর পরে থেকে ফিলোসফি বলতে এসবই বোঝানো হয়। কিন্তু এর আগে আরো অনেক কিছু দর্শনের আওতাভুক্ত ছিল, যা আজকে অধিকাংশের অজানা। তখন 'বিজ্ঞান' গজিয়ে ওঠে নি।
.
প্রাচীন যুগ থেকে আসা
ফিলসফিকে তিন অথবা মতান্তরে চার অংশে ভাগ করা যায়।
১.ন্যাচারাল ফিলসফি,
২.মোরাল ফিলসফি,
৩.মেটাফিজিক্যাল ফিলসফি।
.
'In Classical antiquity, Philosophy was traditionally divided into three major branches:

1.Natural philosophy ("physics") was the study of the physical world (physis, lit: nature);
2.Moral philosophy ("ethics") was the study of goodness, right and wrong, beauty, justice and virtue (ethos, lit: custom);
3.Metaphysical philosophy ("logic") was the study of existence, causation, God, logic, forms and other abstract objects ("meta-physika" lit: "what comes after physics").[28]
'[Wikipedia]
.
ইমাম গাজ্জালী তার al-Ihya’ (1/22) তে বলেন: Philosophy is not one branch of knowledge, it is actually four:
1 – Geometry and mathematics: these are permissible as stated above, and there is no reason why they should not be studied unless there is the fear that one may overstep the mark and indulge in forbidden branches of knowledge, because most of those who study them overstep the mark and go on to innovations, thus the weak should be protected from them.
2 – Logic, which deals with the way in which evidence is to be used, the conditions of evidence being valid, the definition of what constitutes evidence and guidelines on the use of evidence. These come under the heading of ‘ilm al-kalaam .
3 – Theology, which is discussion of the essence and attributes of Allaah, which also comes under the heading of ‘ilm al-kalaam . The philosophers did not have any other kind of knowledge that was unique to them, rather they had some views and ideas which were unique to them, some of which constitute kufr and some bid’ah (innovation).
4 – Natural sciences, some of which go against sharee’ah, Islam and truth, so it is ignorance, not knowledge that may be mentioned alongside the other branches of knowledge. Some of it involves the discussion of the attributes of different elements and how one can be changed to another. This is similar to the way in which doctors examine the human body in particular, from the point of view of what makes it sick and what makes it healthy. They look at all the elements to see how they change and move. But medicine has an edge over the physical body in that it is needed, but there is no need for the study of nature. End quote.[Islamqa.info]
.
সুতরাং আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পারছি, ন্যারাচাল ফিলোসফিতে ইমাম গাজ্জালী(রঃ) এর যথেষ্ট আপত্তি আছে। তিনি একে ignorance বলেছেন, জ্ঞান নয়।। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়বস্তুর চুম্বকাংশ এখানেই।
আমরা দেখছি দর্শনের একটা শাখায় মনগড়া নীতি নৈতিকতা,আদর্শ,মূল্যবোধের মতবাদের ছড়াছড়ি। অন্য একটি শাখায় সৃষ্টিতত্ত্ব,আধ্যাত্মিকতা, স্রষ্টা ও সৃষ্টি নিয়ে আকিদাগত শাখা, অন্যটি পৃথিবী-প্রকৃতির রহস্য বা মেকানিক্স নিয়ে চিন্তা ও গবেষনাগত শাখা যা ফিজিক্স/কেমিস্ট্রি/বায়োলজি/কস্মোলজির ইকুইভ্যালেন্ট, এতে জিওমেট্রি, ম্যাথম্যাটিকস,লজিক প্রভৃতিও থাকতে পারে।
.
ইসলামে দর্শনের গ্রহণযোগ্যতাঃ
…………………………………………………
আসুন, আগে জেনে নিই, উলামাগন দর্শনশাস্ত্রের ব্যপারে কি বলেন। বস্তুত অতীতের উলামাকেরামগন ফিলসফি কি জিনিস বুঝতে পেরেছিলেন।
এজন্য তারা যাদুবিদ্যা,জ্যোতিষবিদ্যার পাশাপাশি এটাকেও ফরবিডেন সেক্টরে ফেলেছেনঃ
The majority of fuqaha’ have stated that it is haraam to study philosophy. Among their comments on that are the following:
1 – Ibn Nujaym (Hanafi) said in al-Ashbaah wa’l-Nazaa’im : Acquiring knowledge may be an individual obligation, which is as much as one needs for religious commitment to be sound; or it may be a communal obligation, which is in addition to the previous and is done for the benefit of others; or it may be recommended, which is studying fiqh and ‘ilm al-qalb (purification of the heart) in depth; or it may be haraam, which is learning philosophy, magic (sleight of hand), astrology, geomancy, natural science and witchcraft. End quote from al-Ashbaah wa’l-Nazaa’ir ma’a Sharhiha: Ghamaz ‘Ayoon al-Basaa’ir by al-Hamawi (4/125).
.
2 – al-Dardeer (Maaliki) said in al-Sharh al-Kabeer , discussing the kind of knowledge which is a communal obligation: Such as studying sharee’ah, which is not an individual obligation, and which includes fiqh, tafseer, hadeeth and ‘aqeedah, and things that help with that such as (Arabic) grammar and literature, tafseer, mathematics and usool al-fiqh – not philosophy, astrology or ‘ilm al-kalaam, according to the most sound opinion.
.
Al-Dasooqi said in Haashiyah (2/174): His phrase “according to the most sound opinion” means that it is forbidden to read the books of al-Baaji, Ibn al-‘Arabi and ‘Iyaad, unlike the one who says that it is essential to learn it in order to understand ‘aqeedah and basic religious issues. But al-Ghazaali said that the one who has knowledge of ‘ilm al-kalaam knows nothing of religious beliefs except the beliefs that the common people share, but they are distinguished by their ability to argue and debate.
.
3 – Zakariya al-Ansaari (Shaafa’i) said in
Asna al-Mataalib (4/182): As for learning philosophy, magic (sleight of hand), astrology, geomancy, natural science and witchcraft, it is haraam. End quote.
[islamqa.info]
.
আলহামদুলিল্লাহ যাকারিয়্যা আল আনসারি(রঃ) স্পষ্টভাবে 'ন্যাচারাল ফিলোসফি'কে আলাদাভাবে হারাম করেছেন।
.
4 – al-Bahooti (Hanbali) said in Kashshaaf al-Qinaa’ (3/34): The opposite of shar’i knowledge is knowledge that is haraam or makrooh. Haraam knowledge is like ‘ilm al-kalaam in which they argue on the basis of pure reason or speak in a manner that contradicts sound, unambiguous reports. If they speak on the basis of reports only or on the basis of texts and rational thought that is in accordance with them, then this is the basis of religion and the way of ahl al-sunnah. This is what is meant by the words of Shaykh Taqiy al-Deen. In his commentary he explains that even better. [Haraam knowledge also includes] philosophy, magic (sleight of hand), astrology and geomancy, as well as alchemy and natural sciences. End quote.
[islamqa.info]
.
ইমাম শাফে'ঈ বলেন : The people did not become ignorant and begin to differ until they abandoned Arabic terminology and adopted the terminology of Aristotle.[islamqa.info]
.
এরিস্টটল বলতেন ফিলোসফারগন নবীগনের চেয়েও উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন(নাউজুবিল্লাহ),আর এর সাথে আল ফারাবিও একমত ছিলেন!
In Aristotle’s view, the philosopher is of a higher status than a prophet, because the prophet understands things by means of imagination whereas the philosopher understands things by means of reason and contemplation. In their view, imagination is of a lower status than contemplation. Al-Faraabi agreed with Aristotle in viewing the philosopher as being of higher status than a prophet.
[islamqa.info]
অতএব,
In this sense philosophy is opposed to wisdom, which in Islamic terminology refers to the Sunnah as defined by the majority of muhadditheen and fuqaha’, and in the sense of judgement, knowledge and proficiency, alongside moral guidelines which control the whims and desires of the self and keep it from doing haraam things. The wise man is the one who has these characteristics, hence philosophy, as defined by the philosophers, is one of the most dangerous falsehoods and most vicious in fighting faith and religion on the basis of logic, which it is very easy to use to confuse people in the name of reason, interpretation and metaphor that distort the religious texts.
[islamqa.info]
.
বিস্তারিতঃ
https://islamqa.info/en/88184
.
অতএব,স্পষ্টরূপে দেখছেন ফিলসফির ব্যপারে উলামা-ফক্কীহদের অবস্থান।
অত্যাশ্চর্য এবং চরম মজার বিষয় হচ্ছে সময়ের পরিক্রমায় কুফরের ডেভেলপমেন্টের এক পর্যায়ে হঠাৎ এই তিন বা চার অংশবিশিষ্ট 'দর্শন'এর কিছু অংশ আলাদা হয়ে সাইন্স হয়ে যায়। দর্শনের যে অংশটি আলাদা হয়ে আজকের 'সাইন্স' শব্দের আওতায় এসেছে, সেটা হচ্ছে 'ন্যাচারাল ফিলসফি'।এমনকি মেটাফিজিক্সের কিছু অংশও(Atomism) প্রকাশ্যে সাইন্স হয়ে যায়।
.
This (three)division is not obsolete but has changed. Natural philosophy has split into the various natural sciences, especially astronomy, physics, chemistry, biology, and cosmology. Moral philosophy has birthed the social sciences, but still includes value theory (including aesthetics, ethics, political philosophy, etc.). Metaphysical philosophy has birthed formal sciences such as logic, mathematics and philosophy of science, but still includes epistemology, cosmology and others.
[উইকিপিডিয়া]
.
অতএব,বুঝতেই পারছেন কি ঘটেছে। Natural Philosophy ভেঙ্গে আজকের Astronomy, physics, chemistry, biology এবং cosmology বানানো হয়েছে। অর্থাৎ প্রাচীন যাদুকর, জ্যোতিষী,গনক (অকাল্টিস্ট) বা সোকল্ড দার্শনিকদের জ্ঞানের একটা অংশকেই আলাদাভাবে 'সাইন্স' মোড়কে নিয়ে আসা হয়েছে! আমার কথা নয়। উইকিপিডিয়াতেই উল্লিখিত, যা পড়ছেন।
.
পিথাগোরিয়ান দার্শনিক এরিস্টটলের সময় থেকে ১৯ শতক পর্যন্ত 'ন্যাচারাল ফিলসফি' বলবৎ ছিল। ওই সময় পর্যন্ত astronomy, medicine ও physics ছিল ন্যাচারাল ফিলোসফির বিষয়বস্তু। যেমনটা উইকিপিডিয়ায় উল্লিখিত:
From the time of Ancient Greek philosopher Aristotle to the 19th century, "natural philosophy" encompassed astronomy, medicine, and physics.[15] For example, Newton's 1687 Mathematical Principles of Natural Philosophy later became classified as a book of physics. In the 19th century, the growth of modern research universities led academic philosophy and other disciplines to professionalize and specialize.[16][17]Other investigations closely related to art, science, politics, or other pursuits remained part of philosophy.
[উইকিপিডিয়া]
.
চমৎকার একটি উদাহরণও দেওয়া হয়েছে যে,ফ্রিম্যাসনিস্ট (কথিত বিজ্ঞানী)নিউটনের 'ম্যাথম্যাটিক্যাল প্রিন্সিপ্যাল অব ন্যাচারাল ফিলসফি' গ্রন্থটি পরবর্তীতে ফিজিক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়। এজন্য আমরা প্রাচীন যুগ থেকেই দার্শনিকদের বিভিন্ন তত্ত্ব,গবেষণা দেখতে পাই যা আজ সাইন্সের আওতাভুক্ত। অতএব সাইন্টিফিক ডেভেলপমেন্ট পিথাগোরাসেরও আগে মিশর-ভারত-বাবেল শহরথেকে শুরু হয় যাকে ন্যাচারাল ফিলোসফি বলা হত। ১৯ শতকের পর থেকেই মূলত যাদুকরদের কুফরি আকিদা/ওয়ার্ল্ডভিউকে আলাদাকরে বিজ্ঞানে রূপান্তরিত হয়। আর দর্শনের অন্যান্য শাখা বা অংশগুলো অপরিবর্তিত থাকে।
.
.
বিংশ শতাব্দীতে এসে দর্শন এর অংশ থেকে বাইরে আনা ফিজিক্স,বায়োলজি,কেমিস্ট্রি, এস্ট্রোনমি নিয়ে সিরিয়াসলি চিন্তা করে আলাদা একটা টার্মের মধ্যে ঢোকানো হয়। সেটা -'ফিলসফি অব সাইন্স'! তখন থেকেই সাইন্টিফিক মেথডের যাত্রা শুরু। সব কিছু লজিক্যাল এবং অবজারভেবল মেথডলজিতে নিয়ে আসা হয়।While philosophical thought pertaining to science dates back at least to the time of Aristotle, philosophy of science emerged as a distinct discipline only in the middle of the 20th century in the wake of the logical positivism movement, which aimed to formulate criteria for ensuring all philosophical statements' meaningfulness and objectively assessing them. Thomas Kuhn's landmark 1962 book The Structure of Scientific Revolutions was also formative, challenging the view of scientific progress as steady, cumulative acquisition of knowledge based on a fixed method of systematic experimentation and instead arguing that any progress is relative to a "paradigm," the set of questions, concepts, and practices that define a scientific discipline in a particular historical period.[1] Karl Popper and Charles Sanders Peirce moved on from positivism to establish a modern set of standards for scientific methodology.(উইকিপিডিয়া)
.
This branch explores the foundations, methods, history, implications and purpose of science. Many of its sub-divisions correspond to a specific branch of science. For example, philosophy of biology deals specifically with the metaphysical, epistemological and ethical issues in the biomedical and life sciences. The philosophy of mathematics studies the philosophical assumptions, foundations and implications of mathematics.
[উইকিপিডিয়া]
.
বিংশ শতাব্দীতে দার্শনিকগন প্রাথমিকভাবে সর্বত্র শিক্ষক বা পণ্ডিতরূপে ভূমিকা রাখেন।আর দর্শনশাস্ত্রে অধ্যয়নকারী সকলে আইনশাস্ত্র,জার্নালিজম,রাজনীতি,ধর্মতত্ত্ব, বিজ্ঞান,ব্যবসায়,শিল্পকর্মে ভূমিকা রাখে।
Since the 20th century, professional philosophers contribute to society primarily as professors. However, many of those who study philosophy in undergraduate or graduate programs contribute in the fields of law, journalism, politics, religion, science, business and various art and entertainment activities.[26][উইকিপিডিয়া]
.

আপনাদের আগেই বলেছিলাম মেটাফিজিক্সেরও কিছু অংশ আজ 'সাইন্স' হয়ে গেছে।

Important topics covered by the Greeks included metaphysics (with competing theories such as atomism and monism), cosmology, the nature of the well-lived life (eudaimonia), the possibility of knowledge and the nature of reason (logos). [উইকিপিডিয়া]
.
এটোমিক থিওরি ভারতীয় যাদুকরদের পাশাপাশি গ্রীক জ্ঞানবাদী occultist'দের মধ্যে অনেক আগেই ছিল। "In the West, atomism emerged in the 5th century BCE with Leucippus and Democritus."[উইকিপিডিয়া]

আর monism বা ওয়াহদাতুল উজুদের আকিদাটি অতীতের প্রত্যেক দার্শনিকদের অভিন্ন আকিদা যা আজকের মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানের আল্টিমেট essence, যা সম্পর্কে সামনে বিস্তারিত আলোচনা আসছে।
.
৪র্থ পর্বে বলেছিলাম, গ্রীক হার্মেটিক ফিলোসফির revival ঘটে রেনেসাঁ পিরিয়ডে। ওইসময় হার্মেটিক ওয়ার্ল্ডভিউ সেকুলারিস্টিক হিউম্যানিজমের উত্থান ঘটায়। স্পিরিচুয়াল দর্শন র্যাশোনাল দৃষ্টিভঙ্গিতে ডাইভার্ট হয়ে যায়, যা পরবর্তীতে ন্যাচারাল ফিলসফিকে ১৯ শতকের পরবর্তীতে 'সাইন্স' এ রুপান্তরিত করে।
The Renaissance (1355–1650) period saw increasing focus on classic Greco-Roman thought and on a robust Humanism.
[Wikipedia]
.
Following the rise of natural science, Modern philosophy was concerned with developing a secular and rational foundation for knowledge and moved away from traditional structures of authority such as religion, scholastic thought and the Church. Major modern philosophers include Spinoza, Leibniz, Locke, Berkeley, Hume, and Kant.
[Wikipedia]
.
আপনি কি Baruch Spinoza এর নাম শুনেছেন? তিনিই অতি প্রাচীন আধ্যাত্মিক ওয়াহদাতুল উজুদের আকিদাকে র্যাশোনাল প্যান্থেইজমে কনভার্ট করে সর্বপ্রথম সংজ্ঞায়িত করেন।
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Baruch_Spinoza
.
19th-century philosophy is influenced by the wider movement termed the Enlightenment, and includes figures such as Hegel a key figure in German idealism, Kierkegaard who developed the foundations for existentialism, Nietzsche a famed anti-Christian, J.S. Mill who promoted Utilitarianism, Karl Marx who developed the foundations for Communism and the American William James.[Wikipedia]
অর্থাৎ ওই সময় থেকেই অনেক সেকুলার-কমিউনিস্টিক ডক্ট্রিন গজিয়ে ওঠে। যার অগ্রযাত্রা আজও চলছে। আজ তা 'গনতন্ত্রে' রূপ নিয়ে 'নোভাস অর্দো সেকলোরামের' দিকে যাচ্ছে।
.
বিংশ শতাব্দীতে দর্শনের আরো বিভক্তি ঘটেঃ
The 20th century saw the split between Analytic philosophy and Continental philosophy, as well as philosophical trends such as Phenomenology, Existentialism, Logical Positivism, Pragmatism and the Linguistic turn.[উইকিপিডিয়া]
.
ওদিকে, ইসলামিক শক্তির উত্থানের পরে তাদের মধ্যেও গ্রীক কুফরি আকিদা চলে এসেছিল।।আগের পর্বে উল্লেখ করেছিলাম হার্মেটিক টেক্সট গুলো ইবনে হাইয়্যান কর্তৃক অনুবাদিত হয়। এর পরে থেকে বিভিন্ন গ্রীক ফিলোসফিক্যাল স্কুলের প্রচলন শুরু হয়। নামে এরিস্টটলিয়ান বা নিওপ্লেটনিক আসলে সবই ছিল পিথাগোরাসের অনুসারী। কেননা প্লেটো, এরিস্টটল পিথাগোরাসেরই আধ্যাত্মিক শিষ্য ছিল।
After the Muslim conquests, Early Islamic philosophy developed the Greek philosophical traditions in new innovative directions. This Islamic Golden Age influenced European intellectual developments. The two main currents of early Islamic thought are Kalam which focuses on Islamic theology and Falsafa which was based on Aristotelianism and Neoplatonism. The work of Aristotle was very influential among the falsafa such as al-Kindi (9th century), Avicenna (980 – June 1037) and Averroes (12th century). Others such as Al-Ghazali were highly critical of the methods of the Aristotelian falsafa. Islamic thinkers also developed a scientific method, experimental medicine, a theory of optics and a legal philosophy. Ibn Khaldun was an influential thinker in philosophy of history.

.
সুতরাং মেইনস্ট্রিম সাইন্টিজমকে বলা যায়, 'নতুন বোতলে পুরাতন পানি'।
আজ 'সাইন্সের' চরম উৎকর্ষে পৌঁছানোর পরে 'বিজ্ঞানের' নিয়ন্ত্রক এজেন্ডারা মাঝেমধ্যে সায়েন্সফিকশনের নামে চলচ্চিত্র তৈরি করে তাদের অরিজিন বা শেকড়ে থাকা আগের ওয়ার্ল্ডভিউটাকে দেখিয়ে দিচ্ছেঃ
The Matrix(movie) makes numerous references to philosophy including Buddhism, Vedanta, AdvaitaHinduism, Christianity, Messianism, Judaism, Gnosticism, existentialism and nihilism.(উইকিপিডিয়া)
.

বিস্তারিতঃ
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Philosophy
.
উপরিউক্ত দলিলভিত্তিক আলোচনার প্রেক্ষিতে এ কথা বললে ভুল হবে না, এই মডার্ন বিজ্ঞান একটি স্বতন্ত্র মতাদর্শ, স্বতন্ত্র ওয়ার্ল্ডভিউ বা দর্শন। স্বতন্ত্র ধর্মবিশেষ। একটি সম্পূর্ন ভিন্ন ট্র্যাকের বিষয়বস্তু, যা দীর্ঘদিন খ্রিষ্টীয় এবং পরবর্তীতে ইসলামিক সভ্যতার ডমিনেশনে লুক্কায়িত ছিল। সিস্টেমেটিক্যাললি একে আলোয় নিয়ে আসা হয়েছে।সমাজকে গ্রহন করানোর জন্য অন্য মোড়কে প্রবেশ করানো হয়েছে। অতঃপর এই গুহ্যজ্ঞানকে বিকশিত করা হয়েছে। আজ এমন পর্যায়ে একে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাকে ডিনাই করলে সমাজে মূর্খ-নির্বোধ প্রতিপন্ন হয়ে হয়। আজ এই ন্যাচারাল ফিলসফিক্যাল নিষিদ্ধশাস্ত্রের থিওরেটিকাল ও র্যাশনাল প্রভূত উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে। আজ 'ওরা' পূর্বাঞ্চলীয় দর্শনের শিবমূর্তির সামনে অনু-পরমানুর গবেষণা অথবা এই নামে কি যেন করছে! সেটাই নাকি পৃথিবীর সর্ববৃহত্তম পার্টিকেল ফিজিক্স রিসার্চ ল্যাব!
.
শিবমূর্তি রেখে তো ভুল করেনি, ইস্টার্ন অকাল্ট ফিলোসফিতে ভগবত পুরানায় পরমানুর বিষয়টি সুন্দরভাবেই সংজ্ঞায়িত আছে,তা আগের পর্বে আলোচনা করেছি। সুতরাং,পূর্বাঞ্চলীয় দর্শনের প্রতি মেইনস্ট্রিম সাইন্টিফিক কমিউনিটির সে-কি অপার আনুগত্য! বাহ!!
………………………………………………………………………………………
………………………………………………………[চলবে ইনশাআল্লাহ]

Monday, December 10, 2018

৮.বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?

বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?

The Occult Origins of Mainstream physics and Astronomy [পর্বঃ ৮]


গ্রীক ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত যাদুকরদের তালিকায় প্রথমেই ছিলেন Orpheus। এরপরে ছিলেন পিথাগোরাস ও এমপিডোক্লিস। অরফিয়াসের থেকেই Orphic mystery চলে আসে। পিথাগোরাস ছিলেন অরফিয়াসের অনুসারী। তার চিন্তাধারা অর্ফিক ম্যাজিক্যাল ট্রেডিশন দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিল। ষষ্ঠ ও সপ্তম পর্বে সেসব নিয়ে আলোচনা গত হয়েছে। পিথাগোরাসের ন্যায় এমপিডোক্লিসও ছিলেন অর্ফিজমের অনুসারী। তিনি ছিলেন একজন natural philosopher ও যাদুকর এবং একজন Pythagorean । তিনি যাদুশাস্ত্র দ্বারা অনেক অতিমানবীয় ক্রিয়া করে দেখাতেন বলে অনেক গল্প প্রচলিত আছে।

.
His brilliant oratory, [7] his penetrating knowledge of nature, and the reputation of his marvellous powers, including the curing of diseases, and averting epidemics, [8] produced many myths and stories surrounding his name. In his poem Purifications he claimed miraculous powers, including the destruction of evil, the curing of old age, and the controlling of wind and rain.(উইকিপিডিয়া)
Empedocles (c. 490 – c. 430 BCE) too has ascribed to him marvelous powers associated with later magicians: that is, he is able to heal the sick, rejuvenate the old, influence the weather and summon the dead. (উইকিপিডিয়া)
.
E.R. Dodds তার বইয়েও এমপিডোক্লিসের যাদুবিদ্যার ব্যপার উল্লেখ করেন।তার মতে তিনি ছিলেন যাদুকর, কবি এবং বিজ্ঞানীঃ
[23] :XXXVI:27 E.R. Dodds in his 1951 book, The Greeks and the Irrational , argued that Empedocles was a combination of poet, magus, teacher, and scientist. [9] :42 Dodds argued that since much of the acquired knowledge of individuals like Pythagoras or Empedocles was somewhat mysterious even to those with a rudimentary education, it might be associated with magic or at least with the learning of a Magus. [24]
:145–46[ not in citation given]
.
বিস্তারিত দেখুনঃ
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Magic_in_the_Graeco-Roman_world
.
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Empedocles
এম্পিডোক্লিস ছিলেন একজন পিথাগোরাগিয়ান ন্যাচারাল ফিলোসফার। পিথাগোরাসের মতাদর্শ দ্বারা তিনি ব্যাপক প্রভাবিত ছিলেন। তিনিও পিথাগোরাসের ন্যায় নিরামিষভোজী ছিলেন এবং গভীরভাবে পুনঃজন্মবাদে বিশ্বাস করতেন। তার মতে দুরাচার মানবাত্মা শাস্তিস্বরূপ পশুপাখির আত্মারূপে অবস্থান করে,অর্থাৎ মৃত্যুর পরে পশুপাখি রূপে পুনর্জন্মলাভ করে আর যে জ্ঞানীলোকেরা সাধনার দ্বারা সৃষ্টিজগতের গুপ্তরহস্য জানতে পারে,তারা জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে বের হয়ে আত্মার অমরত্ব লাভ করে। সুতরাং বুঝতে পারছেন, এটা যেন একদমই হিন্দুবৌদ্ধদের দর্শন।
Influenced by the Pythagoreans, Empedocles was a vegetarian who supported the doctrine of reincarnation .
since the bodies of animals are the dwelling places of punished souls. [50] Wise people, who have learned the secret of life, are next to the divine , [51] and their souls, free from the cycle of reincarnations, are able to rest in happiness for eternity.
.
Like Pythagoras , Empedocles believed in the
transmigration of the soul , that souls can be reincarnated between humans, animals and even plants. [47
.
এখানে হিন্দুবৌদ্ধদের দর্শনের সাথে সাদৃশ্যতা দেখে অবাক হবার কিছু নেই। এম্পিডোক্লিস ব্যবিলন সফর করে যাবতীয় জ্ঞান-দর্শন আহরন করে আসেন[there are also fanciful reports of him travelling far to the east to the lands of the Magi.16(উইকিপিডিয়া)]। ইতোপূর্বে বর্ননা করেছি যে ব্যবিলনীয়ান শাসকদের একদল উত্তর ভারতে খ্রিষ্টপূর্ব ১৭০০ সালে আসা শুরু করে। এদেরকে আর্য বলা হত, যাদের ধর্মশাস্ত্র ছিল বেদ। তাছাড়া এমন দলিল প্রমানও রয়েছে যে, গৌতম বুদ্ধ ব্যবিলন সফর করে ম্যাজাইদের থেকে গুপ্তজ্ঞান নিয়ে ভারত আসেন। এ ঘটনা উপরে বিস্তারিত বইও প্রকাশ হয়েছে "Buddha from Babylon" নামে।
.
দেখুনঃ
http://www.buddhafrombabylon.com/…/who-was-the-buddha-from-…
.
এম্পিডোক্লিস, পিথাগোরাসের ন্যায় যাদুকর অর্ফিয়াসের অর্ফিক রহস্যবাদে বিশ্বাসী ছিলেন,পাশাপাশি তিনি ছিলেন আদি বৈজ্ঞানিক চিন্তাবিদ এবং পদার্থবিদ্যার আদিজনকদের একজন। তার সাথে ডেমোক্রিটাস কর্তৃক বাবেলের ইয়াহুদীদের থেকে আনা পরমাণুবাদের গভীর সম্পর্ক ছিল।
He was a firm believer in Orphic mysteries , as well as a scientific thinker and a precursor of physics. Aristotle mentions Empedocles among the Ionic philosophers, and he places him in very close relation to the atomist philosophers and to Anaxagoras . [28]
.
এম্পিডোক্লিস সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিলেন, বস্তু সৃষ্টির মৌলিক চার উপাদান বা যাদুশাস্ত্রের চার উপাদানের আদি প্রবক্তা হিসেবে।
Empedocles' philosophy is best known for originating the cosmogenic theory of the four classical elements .
.
তার মতে এই চার উপাদানই বাস্তবজগতের সৃষ্টির মূল উপাদান(fundamental building blocks of nature)। সেগুলো ছিলঃআগুন, পানি,বায়ু এবং পৃথিবী। সেগুলোকে আজ একটু ঘুরিয়ে পদার্থবিজ্ঞান 4 state of matter বলে থাকে।
"Empedocles established four ultimate elements which make all the structures in the world—
fire , air , water , earth[31] — in other words, the several states of matter are represented, being energies, gasses, liquids, and solids."(উইকিপিডিয়া)
.
witchcraft/sorcery তে যাদুবিদ্যার চার উপাদানের তাৎপর্য এবং ব্যবহার সম্পর্কে দেখুনঃ
.
http://wiccaliving.com/classical-elements-wicca/
.
https://lynetteecreswell.wordpress.com/…/the-four-classica…/
.
http://www.witchipedia.com/element:earth
.
http://www.wicca.in/the-wiccan-elements/
.
https://www.thoughtco.com/four-classical-elements-2562825
.
ব্যবিলনীয়ান এই জ্ঞান এর পরবর্তী ২০০০ বছরের (অপ)বিজ্ঞানরূপে(ন্যাচারাল ফিলসফি) প্রতিষ্ঠিত থাকে।
This theory of the four elements became the standard dogma for the next two thousand years.(উইকিপিডিয়া)
.
এম্পিডোক্লিস শুধুমাত্র ক্লাসিক্যাল ইলিমেন্ট(৪ উপাদান) মানুষের কাছে প্রকাশ করেন নি, তিনি ডরউইনিয়ান বিবর্তনবাদের 'ন্যাচারাল সিলেকশন' এর ব্যপারেও জানিয়ে গেছেন।
It is possible to see this theory as an anticipation of Charles Darwin 's theory of
natural selection , although Empedocles was not trying to explain evolution . [39]
[উইকিপিডিয়া]
.
আরেকজন pre-socretic গ্রীক প্রকৃতির দার্শনিক তথা বিজ্ঞানী ছিলেন যিনি গোটা বিবর্তনবাদকেই বর্ননা করে গেছেন ডারউইনের জন্মেরও হাজার বছর আগে। তিনি Anaximander! এন্যাক্সিমেন্ডার শুধু বিবর্তনবাদীই ছিলেন না, তিনি বৃহৎ পরিসরের কস্মোলজিক্যাল ইভল্যুশন তথা বিগব্যাং এর মহাবিস্ফারণপূর্ব space,time,matter এর মহাঘনবিন্দুতে কেন্দ্রিভূত অবস্থার(initial singularity) বিস্তারিত বর্ননা করেন।
এছাড়া ওই ঘনবিন্দু থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি এবং পৃথিবী- সূর্যের মত অজস্র গ্রহ-নক্ষত্রের(cosmological pluralism) অস্তিত্বের বর্ননা দেন।
তিনি তার তত্ত্ব-মতাদর্শ বাবেল শহরের জ্যোতিষীদের থেকে নিয়ে প্রচার করতেন। তাছাড়া Thales এর মতাদর্শ দ্বারাও প্রভাবিত ছিলেন, যিনি কিনা সেই ব্যবিলন থেকেই শিক্ষা গ্রহন করে আসেন।
Anaximander's theories were influenced by the
Greek mythical tradition, and by some ideas of
Thales – the father of philosophy – as well as by observations made by older civilizations in the East [ dubious ] (especially by the Babylonian astrologers). [14] All these were elaborated rationally.
(উইকিপিডিয়া)
.
.
সক্রেটিস-পূর্ব দার্শনিকগন প্রকৃতির সৃষ্টির উপাদান গুলোর ব্যপারে আগ্রহশীল ছিলেন। তারা প্রকৃতির মেকানিক্স জানতে চাইতেন। এটা এরিস্টটলই বলেন। আর এজন্য এম্পিডোক্লিস-এন্যাক্সিম্যান্ডারকে আমরা দেখেছি যাদুশাস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তথা চার উপাদানকে প্রকাশ করতে।
Aristotle writes ( Metaphysics , I III 3–4) that the
Pre-Socratics were searching for the element that constitutes all things.
.
এন্যাক্সিম্যান্ডার ছিলেন বিজ্ঞানের আদি প্রবক্তা। মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যপারে তার আগ্রহ ছিল।
He was an early proponent of science and tried to observe and explain different aspects of the universe, with a particular interest in its origins , claiming that nature is ruled by laws, just like human societies, and anything that disturbs the balance of nature does not last long. [7](উইকিপিডিয়া)
.
তার সৃষ্টিতত্ত্বের চিন্তাধারা ছিল Monism এর আকিদা ভিত্তিক। অর্থাৎ তিনি সৃষ্টি-স্রষ্টার এক অস্তিত্বের কথা বলতেন।। এই দর্শনই বাবেল শহরের যাদুবিদ্যার বর্তমান সংস্করণ কাব্বালার ওয়ার্ল্ডভিউ।
One thing that is not debatable is that even the ancient Greeks considered Anaximander to be from the Monist school which began in Miletus, with Thales followed by Anaximander and finished with Anaximenes . [11] (উইকিপিডিয়া)
.
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Anaximander
যাদুকর এম্পিডোক্লিসের পরে এন্যাক্সিমেন্ডারও প্রাচীন ফিজিক্সের চার উপাদানের কথা বলেন।।তিনি এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। কিভাবে চার উপাদান মহাবিশ্বের সকল বস্তুকে গঠন করে এর ব্যাখ্যা দেন তিনি। এন্যাক্সিমেন্ডার শেখাতেন যে, মহাবিশ্বের সকল বস্তু একক primordial substance থেকে উৎপন্ন। তিনি একে aperion শব্দ দ্বারা প্রকাশ করতেন। এন্যাক্সিমেন্ডার এ aperion এর বর্ননায় বলেন, এর ভেতরে সকল বস্তু শুষ্ক,আর্দ্র,বায়বীয় এবং উষ্ণ অবস্থায় ছিল। এর থেকেই মহাবিশ্ব এবং অসংখ্য গ্রহ নক্ষত্রের সৃষ্টি ঘটে।
.
Anaximander explains how the four elements of ancient physics ( air , earth, water and fire ) are formed, and how Earth and terrestrial beings are formed through their interactions. Unlike other Pre-Socratics, he never defines this principle precisely, and it has generally been understood (e.g., by Aristotle and by
Saint Augustine ) as a sort of primal chaos . According to him, the Universe originates in the separation of opposites in the primordial matter. It embraces the opposites of hot and cold, wet and dry, and directs the movement of things; an entire host of shapes and differences then grow that are found in "all the worlds" (for he believed there were many). [12]
.
এন্যাক্সিম্যান্ডারের এপেইরনকে একদিক থেকে মেইনস্ট্রিম কাব্বালিস্টিক এস্ট্রোফিজিক্সের শুরু তথা বিগব্যাং এর ইনিশিয়াল সিঙ্গুলারিটির সাথেও তুলনা করা যায়, অর্থাৎ যে ঘনবিন্দু বিস্ফোরণের দ্বারা মহাবিশ্ব একা একাই সৃষ্টি হয়! এই বিগব্যাং তত্ত্বটিই ম্যাটেরিয়ালিস্টিক মনিজম। এন্যাক্সিম্যান্ডারের মতে সমস্ত সৃষ্টি এপেইরন থেকে হয়েছে যা বস্তুত সকল গ্রীক দার্শনিকদের 'এক অস্তিত্বের'(Monism) বিশ্বাস।
তিনি এই এপেইরন এর দ্বারা মনিজম(ওয়াহদাতুল উজুদঃUnity of existence) ভিত্তিক সৃষ্টিতত্ত্বকে প্রকাশ করেন।
Anaximander posited a monism which he described as "apeiron", meaning boundless, unlimited, or indefinite.
(উইকিপিডিয়া)
.
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Indefinite_monism
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Material_monism
.
এপেইরন থেকেই অসীম মহাবিশ্বজগতের সৃষ্টি এবং ধবংসের হলেও এপেইরনে ফিরে যাবে। অর্থাৎ এটা শুনতে অনেকটা এরূপ যে, মহাবিশ্ব বিগব্যাং এর আগে যে ঘনবিন্দুতে(ইনিশিয়াল সিঙ্গুলারিটি) কেন্দ্রীভূত ছিল তাতে ধবংসের পরে আবারো তাতে ফিরে যাবে।
Everything is generated from
apeiron and then it is destroyed by going back to apeiron , according to necessity. [5] He believed that infinite worlds are generated from
apeiron and then they are destroyed there again. [6]
(উইকিপিডিয়া)
.
প্রাচীন
যাদুশাস্ত্র অনুযায়ী সমস্ত সৃষ্টির মৌলিক চার উপাদানের(পানি,বায়ু,পৃথিবী,আগুন) কোনটিকেই এন্যাক্সিম্যান্ডার সৃষ্টির মূল হিসেবে নেন নি যেমনটা Thales পানিকে গ্রহন করেছিলেন। বরং তিনি(এন্যাক্সিম্যান্ডার) সম্পূর্ন ভিন্ন জিনিসকে(এপেইরন) গ্রহন করেন।
Simplicius comments that Anaximander noticed the mutual changes between the four elements (earth, air, water, fire), therefore he did not choose one of them as an origin, but something else which generates the opposites without experiencing any decay.
(উইকিপিডিয়া)
.
রোমান যোদ্ধা Aetius এন্যাক্সিম্যান্ডারের এপেইরনের ব্যপারে ভিন্নধর্মী উদ্ধৃতি প্রদান করেনঃ
Aetius (1st century BC) transmits a different quotation:
"Everything is generated from
apeiron and there its destruction happens. Infinite worlds are generated and they are destructed there again. And he says (Anaximander) why this is apeiron . Because only then genesis and decay will never stop."
— Aetius I 3,3<Ps.Plutarch; DK 12 A14.>
(উইকিপিডিয়া)
.

infinity সকল অকাল্টিস্ট/যাদুকরদের মৌলিক বিশ্বাসগুলোর একটি। তারা যেহেতু সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করে, সেজন্য একটি ব্যালেন্সড বিশ্বাসব্যবস্থা তৈরি করতে চেষ্টা করে। এপেইরনের ব্যপারটি এরকমই। এপেইরন শব্দের অর্থই অনন্ত,অসীম ইত্যাদি।
যাদুকরদের নিকট এপেইরনঃ
.
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Infinity
.
এপেইরনের আরেকটি ব্যাখ্যা হচ্ছে, উহা প্রত্যেক বস্তুতে থাকা ইলিমেন্টারি পার্টিকেল।অনেক যাদুকর এরকমও বলে যে, এটাই সেই শক্তি যা পরমানুদের একে অন্যের সাথে সংযুক্ত রাখে।
https://msu.edu/~harri283/eternity/apeiron.htm
.
কোয়ান্টাম ফিজিসিস্ট ওয়ার্নার হাইজেনবার্গের ধারনা অনুযায়ী ইলিমেন্টারি পার্টিকেল কে দেখা হয়,বিভিন্ন রূপে,বিভিন্ন অবস্থায়,যা কিনা একই আদিম মৌলিক উপাদান। পদার্থবিদ ম্যাক্স বর্ন বলেন এই আদি মৌলিক উপাদানই এপেইরন!
Physicist Max Born , in commenting upon
Werner Heisenberg 's arriving at the idea that the elementary particles of quantum mechanics are to be seen as different manifestations, different quantum states, of one and the same “primordial substance,”' proposed that this primordial substance be called apeiron . [31]
(উইকিপিডিয়া)
.
তার মানে এই প্রাচীন যাদুকর বা প্রাচীন ফিজিসিস্টের একটি মৌলিক মেটাফিজিক্যাল কন্সেপ্ট হচ্ছে আজকের এডভ্যান্স কোয়ান্টাম ফিজিক্সের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়!চমৎকার!!
.
শুধু এন্যাক্সিম্যান্ডারই নন পিথাগোরিয়ান(পিথাগোরাসের অনুসারী) দার্শনিকগনও একই cosmogenesis এর আকিদা(বিশ্বাস) রাখতেন। এই প্রাচীন চিন্তাধারাকেই bigbang:cosmological evolution এ redefine করা হয়।
For the Pythagoreans (in particular, Philolaus ), the universe had begun as an apeiron , but at some point it inhaled the void from outside, filling the cosmos with vacuous bubbles that split the world into many different parts.
.
যাহোক, এন্যাক্সিমেন্ডার অন্যান্য এটোমিস্ট ন্যাচারাল ফিলসফার(১৯শতক পূর্ব বিজ্ঞানী)যেমনঃ ডেমোক্রিটাস, লিউকিপাস,ইপিকিউরাসের মত Cosmological pluralism এ বিশ্বাস করতেন। এই pluralism মানে, পৃথিবীর মত হাজারো গ্রহ/দুনিয়ার অস্তিত্বে বিশ্বাসকে বোঝায়।
According to Simplicius, Anaximander already speculated on the plurality of worlds , similar to
atomists Leucippus and Democritus, and later philosopher Epicurus . (উইকিপিডিয়া)
.
তৎকালীন সময় সাধারন মানুষ জিওসেন্ট্রিক সমতল জমিনে বিশ্বাস করত। আকাশ গম্বুজাকৃতির ছাদ এবং তারকারা আকাশে গাথা। মূর্তির উপাসনা করলেও সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অস্তিত্বে সাধারন কেউ অস্বীকার করত না। তখনকার যুগে নক্ষত্রদের সূর্যের সমতূল্য ভাবা, পৃথিবীর গোলাকৃতি এবং এর মত হাজারো গ্রহজগত, সমান্তরাল মহাবিশ্বের ধারনা সাধারন মানুষের কল্পনারও অতীত ছিল। প্যান্থেইস্টিক, বিবর্তনবাদী,হেলিওসেন্ট্রিক কস্মোলজিক্যাল প্লুরালিজমের আকিদাগুলো একমাত্র যাদুশাস্ত্রে বিশ্বাসীদের মধ্যে কেন্দ্রীভূত ছিল।
Cosmic pluralism , the plurality of worlds , or simply pluralism, describes the philosophical belief in numerous " worlds " ( planets , dwarf planets or natural satellites) in addition to Earth (possibly an infinite number), which may harbour extraterrestrial life .
The debate over pluralism began as early as the time of Anaximander (c. 610 – c. 546 BC) as a metaphysical argument , [1] long predating the scientific Copernican conception that the Earth is one of numerous planets. It has continued, in a variety of forms, until the modern era.
(উইকিপিডিয়া)
.
অর্থাৎ, অগনিত জগত(গ্রহ),মহাজগতের দর্শন বা বিশ্বাস সর্বপ্রথম এই প্রাচীন বাবেল শহর ভ্রমণকারী গ্রীক দার্শনিক এনাক্সিম্যান্ডারের থেকে প্রকাশ পায় যা কিনা (অপ)বৈজ্ঞানিক অগনিত গ্রহ নক্ষত্রের বিশ্বাসে বিপ্লব সৃষ্টিকারী নিকোলাস কোপার্নিকাসেরও বহু কাল পূর্বে। এবং এটা এই আধুনিক যুগে এই দর্শন আরো গভীরভাবে সর্বত্র প্রোথিত হয়েছে।
Cosmic pluralism was a corollary to notions of infinity and the purported multitude of life-bearing worlds were more akin to parallel universes (either contemporaneously in space or infinitely recurring in time) than to different solar systems. After Anaximander opened the door to an infinite universe, a strong pluralist stance was adopted by the atomists , notably
Leucippus, Democritus , and Epicurus .
Eventually the Ptolemaic-Aristotelian system was challenged and pluralism reasserted, first tentatively by scholastics and then more seriously by followers of Copernicus .
(উইকিপিডিয়া)
.
Cosmic Pluralism(many worlds/parallel universe/planetary system) এন্যাক্সিম্যান্ডারের থেকে প্রকাশিত হবার পরে সেটা পরমাণুবাদী যাদুকর/দার্শনিকদের মধ্যে লিউকিপাস,ডেমোক্রিটাস, ইপিকিউরাসগন গভীরভাবে গ্রহন করেন। এবং কেপলার, কোপার্নিকাসের অনুসারী থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সকল পরমানু (অপ)বিজ্ঞানীদের,দার্শনিক,লেখকদের মধ্যে এর শতভাগ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
Thinkers such as Johannes Kepler were willing to admit the possibility of pluralism without truly supporting it.
(উইকিপিডিয়া)
.
ব্যবিলনীয়ান এস্ট্রোথিওলজিঃপ্যান্থেইজম প্রচারের জন্য শাস্তিপ্রাপ্ত ব্রুনোর লেখনীতেও pluralism এর স্বীকৃতি পাওয়া যায়।
Giordano Bruno introduced in his works the idea of multiple worlds instantiating the infinite possibilities of a pristine, indivisible One. Bruno (from the mouth of his character Philotheo) in his De l'infinito universo et mondi (1584) claims that "innumerable celestial bodies, stars, globes, suns and earths may be sensibly perceived therein by us and an infinite number of them may be inferred by our own reason." [7]
(উইকিপিডিয়া)
.
আগেই উল্লেখ করেছিলাম, pluralism এর বিশ্বাস প্রাচীন ও মধ্য যুগে সাধারন মানুষের আজকের মত পৌছায় নি। তখন শুধুমাত্র দার্শনিক/ ন্যাচারাল ফিলসফার, যাদুকর,জ্যোতিষীদের বাহিরে এতে খুব বেশি লোক বিশ্বাস রাখত না। বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের(1543-1600) যুগে সাধারন জনগনের মাঝে এ অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ প্রবেশ করানোর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রচারণা শুরু হয়।
During the Scientific Revolution and the later
Enlightenment , cosmic pluralism became a mainstream possibility. Bernard Le Bovier de Fontenelle 's Entretiens sur la pluralité des mondes ( Conversations on the Plurality of Worlds) of 1686 was an important work from this period, speculating on pluralism and describing the new Copernican cosmology. [9] Pluralism was also championed by philosophers such as John Locke, astronomers such as William Herschel and even politicians, including John Adams and Benjamin Franklin .
(উইকিপিডিয়া)
.
অবশেষে অনেক চেষ্টার পরে pluralistic আকিদা সাধারন মানুষের কাছে স্বাভাবিক করা হয় এবং তা সাধারণ বিশ্বাসে পরিনত হয় উনিশ শতকে।
In the late nineteenth and twentieth centuries the term "cosmic pluralism" became largely archaic as knowledge diversified and the speculation on extraterrestrial life focused on particular bodies and observations.
(উইকিপিডিয়া)
অতঃপর এখন তা(pluralism) কথিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আজ মঙ্গল, বুধ,বৃহস্পতি, শুক্র নক্ষত্রদেরকে আমরা এন্যাক্সিম্যান্ডারের(সর্বোপরি কাব্বালিস্টিক কস্মোলজি) অনুসরনে গ্রহজগত বলে বিশ্বাস করি এবং কোটি কোটি,বিলিয়ন বিলিয়ন গ্রহজগতের অস্তিত্বে বিশ্বাস করি!
আজকের মুসলিমদের অধিকাংশই কস্মোলজিক্যাল প্লুরালিজমের বাহিরে চিন্তাই করতেই পারে না।
.
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Frank_Drake
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Cosmic_pluralism
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Apeiron_(cosmology)
.
চিন্তা করুন, বাবেল শহরের ইহুদী যাদুকরদের(এস্ট্রলজার) থেকে পিথাগোরাস এস্ট্রোনমিকাল আইডিয়া(গোলাকৃতি পৃথিবীর তত্ত্ব) নিয়ে আসেন(হার্মিপাস,এরিস্টোক্সাস,জোসেফাস,এরিস্টোবুলাস প্রমুখদের মত অনুযায়ী), আর এন্যাক্সিম্যান্ডার সেখান থেকেই 'পৃথিবীর বাহিরের মিলিয়ন বিলিয়ন নক্ষত্র এবং গ্রহ এবং মাল্টিভার্সের'(কস্মিক প্লুরালিজম) তত্ত্ব নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করেন। হাজার বছর পরে একই মতাদর্শের ন্যাচারাল ফিলসফারদের(কেপলার/কোপার্নিকাস/নিউটন) প্রচেষ্টায় আজ এই ব্যবিলনীয়ান অকাল্ট বিলিফ সাইন্সের মোড়কে প্রতিষ্ঠিত।
মাল্টিভার্স তত্ত্বটি তো ইন্ডিয়ান বৈদিক শাস্ত্রেও রয়েছে। এটা খুবই প্রত্যাশিত, যেহেতু আকিদা-দর্শন ও তত্ত্বের জন্মস্থান অভিন্ন। মাল্টিভার্স বা many world theory আজকের কোয়ান্টাম ফিজিক্সেরও গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব।
.
প্রকৃতির দার্শনিক তথা প্রকৃতি পূজারী ইপিকিউরাস ঐশ্বরিক শক্তির নিষ্ক্রিয়তা এবং মানুষকে মৃত্যুর পরের পুনরুত্থান হবে না বলে অভয় দিত
, এবং তিনি রিয়েলিটিতে (তৎকালীন বিশ্বাস অনুযায়ী) ঐশ্বরিক শক্তির হস্তক্ষেপহীনতার ব্যপারেও অভয় দিতেন, তেমনি এন্যাক্সিম্যান্ডারও বিভিন্ন দুর্যোগ এবং অদ্ভুত ঘটনাগুলোকে স্রেফ প্রাকৃতিক শক্তি হিসেবে বুঝিয়েছেন। তিনিও প্রচার করতেন যে, এতে ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ বা শাস্তি বলে কোন তাৎপর্য নেই।
.
Anaximander attributed some phenomena, such as thunder and lightning , to the intervention of elements, rather than to divine causes. [45](উইকিপিডিয়া)
.
সেই থেকেই (অপ)বিজ্ঞানের সবকিছুতে মেকানিক্যাল ইন্টারপ্রেটেশন ট্রেডিশন চালু হয়, এজন্য আজও সর্বত্র দুর্যোগ দুর্দশাকে সাধারন তাৎপর্যহীন সাধারণ প্রাকৃতিক বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, স্থানীয় মানবরচিত বিধান প্রতিষ্ঠাকারী শাসকদের আজ দুর্যোগ মোকাবিলা করার প্রস্তুতি গ্রহনের ঘোষনা দিতেও শোনা যায়! ইন্না লিল্লাহ!!
.
Biological Evolution এর কথা ভাবলেই ডরউইনের ছবি আমাদের কল্পনায় ভেসে ওঠে। অথচ তার জন্মের হাজার বছর আগেই এন্যাক্সিম্যান্ডার বিবর্তনবাদের কথা বলেছেন।
he claimed that animals sprang out of the sea long ago.
(উইকিপিডিয়া)
.
The 3rd century Roman writer Censorinus reports:
Anaximander of Miletus considered that from warmed up water and earth emerged either fish or entirely fishlike animals. Inside these animals, men took form and embryos were held prisoners until puberty; only then, after these animals burst open, could men and women come out, now able to feed themselves.
(উইকিপিডিয়া)
.
অতএব বানর থেকে মানবে রূপান্তরের থিওরি/হাইপোথেসিস নতুন কিছু নয়, বরং অনেক প্রাচীন ম্যাজিক্যাল অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ।
শয়তানের অনুগত যাদুকর কাফেররা গোটা সৃষ্টিতত্ত্বকে পালটে ফেলতে চায়। তারা যেহেতু সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করে, তাই তার হস্তক্ষেপ ছাড়াই প্রানের সৃষ্টি এবং হাজারো প্রজাতির ভিন্নতা সৃষ্টির ব্যাখ্যা দিতে বিকল্প কুফরি এবং মিথ্যা সৃষ্টিতত্ত্বকে দাড় করাতে চেষ্টা করে। এর শুরু হয়েছিল বাবেল শহরের শয়তানদের দ্বারা অতঃপর আজকে তা শক্তিশালী একটি মেইন্সট্রিম(অপ)বৈজ্ঞানিক মতবাদ!
.
বিবর্তনবাদ তত্ত্বটির দেখা মেলে বাবেল শহরের কবি Gilgamesh এর কবিতায়। বাবেল শহরের এই কুফরি মতবাদ এর পরে ন্যাচারাল ফিলসফারঃএন্যাক্সিম্যান্ডারের ও যাদুকর এম্পিডোক্লিসের মুখে শোনা যায়, অতঃপর এই অকাল্ট বিলিফ সমস্ত অকাল্টিস্ট এবং সিক্রেট সোসাইটি গুলোয় সঞ্চালিত হয়। চার্লস ডরউইনের দাদা(Erasmus Darwin) ছিলেন একজন ফ্রিম্যাসন। স্বাভাবিকভাবেই তিনি এই ব্যবিলনীয়ান প্রাচীন occult worldview অনুযায়ী বিবর্তনবাদী হবার কথা, বস্তুত ছিলেনও তাই। আর তার থেকেই তার নাতি চার্লস ডারউইন evolution/natural selection গ্রহন করে মডার্ন সাইন্সে নিয়ে আসেন।
তেমনিভাবে cosmological evolution শুরু হয় Bigbang এর মাধ্যমে। এক বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত ছিল সব কিছু এরপরে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে ছড়িয়ে পড়ে এবং তৈরি হয় অজস্র জগত, গ্রহ, নক্ষত্র(cosmic plurality)। মহাবিশ্ব আজও সম্প্রসারিত হচ্ছে বিগব্যাং এর পর থেকে, একদিন সম্প্রসারণ বন্ধ হয়ে সংকোচন শুরু হবে এবং আবারো সৃষ্টির শুরুর পর্যায়ের ন্যায় সবকিছু ইনিশিয়াল সিঙ্গুলারিটিতে চলে আসবে। এরই বর্ননা দিয়েছিলেন এন্যাক্সিম্যান্ডার, ঈসা(আ) এর জন্মেরও শত শত বছর আগে। এই অকাল্ট ফিলসফি আজকের সাইন্স/এস্ট্রোফিজিক্স/এস্ট্রোনমি!! লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!
.
আজকে বিজ্ঞানপন্থীদের বিশ্বাসকে র‍্যাশনালাইজ করার পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এই বিবর্তনবাদ। দুঃখের বিষয় আজকে একটি বিশেষ শ্রেনীর মুসলিমদেরকেও বিবর্তনবাদের একটা অংশকে সমর্থন করতে দেখা যায়।
.
একটা অদ্ভুত ব্যাপার হলো, আলোচ্য যাদুকর এবং ন্যাচারাল ফিলসফারদের মতবাদ গুলো শুনলে সহজেই অনুধাবন করা যায়, সেসব মূলত প্রোটো-সাইন্টিফিক থিওরি। আর এসব তারা গ্রহন করেছেন ব্যবিলন ও ইজিপশিয়ান ম্যাজাইদের(যাদুকর) থেকে। তৎকালীন ব্যবিলন ছিল আজকের প্রচলিত সাইন্সের(ন্যাচারাল ফিলসফির) প্রাণকেন্দ্র। সমস্ত অকাল্টিজমের গোড়া খুজলে ব্যবিলনকে পাওয়া যায়। সেখানে এ সকল sacred knowledge এর ধারক বাহক ছিল স্থানীয় জ্যোতিষী,যাদুকর। যাদের অধিকাংশই ছিল ইহুদী। ইতিহাসে সকল অপবিজ্ঞানের মূল কেন্দ্র হিসেবে ব্যবিলন শহরকে পাওয়া গেলেও কিভাবে এর শুরু হয়েছিল বা Babylonian Jew'রা কোথা থেকে পেয়েছিল তার উল্লেখ (সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব কুরআন ছাড়া) কোথাও পাওয়া যায় না।
তারা এ সকল অপবিদ্যা,এস্ট্রলজি,বিকৃত এস্ট্রোনমি ও কুফরি দর্শনগুলো(আকিদা), লাভ করেছিল শয়তান জ্বীনদের থেকে। 'তারা(ইহুদীরা) ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত।'[২:১০২]
.
এজন্য স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্যগুলো কোন ইতিহাসের পাতায় রাখার কথা নয়,নতুবা অধিকাংশ সাধারন মানুষই তো সেসব মতবাদগুলোকে গ্রহন করবে না। তবে আজকের পদার্থবিজ্ঞানীগন একদম চেপে রাখছেন নাহ, বলেই ফেলছেন এই আধুনিক এস্ট্রোফিজিক্স/কস্মোলজি সবই কাব্বালার প্রতিফলন! লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!!
_______________________________[চলবে ইনশাআল্লাহ ]

৭.বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?

বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?

Occult Origin of Mainstream physics and Astronomy [পর্বঃ ৭]

ব্যবিলনিয়ান প্যাগান-এস্ট্রোথিওলজি, ম্যাজিক্যাল(occult) ওয়ার্ল্ড ভিউ এবং সর্সারি প্রাচীন মিশর থেকে যাদুকরদের শিষ্যত্ব বরণ করার মাধ্যমে অর্জন করে পিথাগোরাস গ্রীসে ফিরে গ্রীসকে অপবিদ্যা এবং অপবিজ্ঞানের বিশাল কেন্দ্রে পরিণত করেন। আমাদের কাছে অপবিদ্যা হলেও সেটা কাফেরদের কাছে জ্ঞান ও বিজ্ঞান। বস্তুত তৎকালীন সমস্ত কাফেরদের কাছে Astro-theological/Astrological occultism এর সুডো সাইন্সই ছিল মহাবিজ্ঞান, যার গোড়াপত্তন ঘটে ব্যবিলনে জ্বীন-শয়তানদের দ্বারা। এর বিরোধিতাই করেছেন আল্লাহর রাসূল ﷺ, সাহাবা (রাযি.) এবং তাদের পরবর্তী সত্যিকারের আলিম, 'উলামাগন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, দাজ্জালের নিকটবর্তী সময়ে এসে আমরা সেই প্রাচীন কথিত 'এস্ট্রোলজিক্যাল' সাইন্সের এডভান্স ভার্সন মেইনস্ট্রিম সাইন্টিজমকে গ্রহন/প্রমোশন এমনকি কুরআন হাদিসের সাথেও কম্প্যাটিবল করছি, এর ব্যপারে গভীরভাবে না জেনেই।
আজ মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞান তথা কুফফারদের ন্যাচারাল ফিলসফির আরো বেশি উন্নত করা হয়েছে, আজ এই প্রাচীন এস্ট্রোথিওলজিকে একরকম ভ্রান্তবিজ্ঞান হিসেবে উপস্থাপন করে আরো হার্ডকোর যাদুশাস্ত্রের কুফরি তত্ত্বের দিকে নিয়ে গিয়েছে। ওরা সাময়িকভাবে(১৯ শতকের পর থেকে) এজন্যই ভ্রান্ত সাব্যস্ত করেছিল যে সেটা নিয়ে অর্থোডক্স খ্রিষ্টান/মুসলিমদের আপত্তি ছিল। এটাকে বর্জনের দ্বারা নতুন ম্যাথডে ক্রমান্বয়ে Hegelian Dialectic নীতি অনুসরণ করে সেই প্রাচীন মিষ্টিসিজমের দিকে আবারো ডাইভার্ট করেছে। উপর দিক দিয়ে লম্বা একটা সময়ব্যাপী এস্ট্রোলজিকে(জ্যোতিষবিদ্যা) ভ্রান্ত বলে রাখলেও এর এর নিগূঢ় কুফরি তত্ত্বকেই(গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাব) সাইন্টিফিক সাব্যস্ত করছে, যেটা আবারো এস্ট্রলজিকেই ফিরিয়ে আনছে। এজন্য আগে থেকেই মেইনষ্ট্রিম বিজ্ঞানীগন বলা শুরু করছেন যে 'আমরা স্টারডাস্ট', 'নক্ষত্ররা আমাদের পূর্বপুরুষ' ইত্যাদি ইত্যাদি... । এসব বিষয় আর্টিকেল সিরিজের শেষ দিকে নিয়ে আসা হবে ইনশাআল্লাহ।



যাহোক, পিথাগোরাস ছিলেন 'ফিলোসফিয়ার' প্রবর্তক। এসব নিয়ে গত পর্বে আলোচনা হয়েছে। তার চেষ্টাতেই দর্শনশাস্ত্রে সিদ্ধি অর্জনের জন্য অফিসিয়াল স্ট্রাকচার তৈরি হয়। অনেক নতুন প্রফেশনাল দার্শনিক তৈরি হতে শুরু হয়।
তিনি ছিলেন ব্যবিলনিয়ান ফিলসফি বা মিস্টিসিজম দ্বারা প্রভাবিত। যা প্রচার করতেন সেটা বস্তুত ব্যবিলনিয়ান অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ এবং ওর্ফিক মিস্টিসিজম।
তবে তার আগেও ব্যবিলনিয়ান মিস্ট্রি স্কুল তথা যাদুবিদ্যা, ব্যবিলনিয়ান এস্ট্রলজি ও এস্ট্রোনমি দ্বারা প্রভাবিত কথিত জ্ঞানী বিদ্বান ছিলেন। যেমন Thales । তিনি ছিলেন একজন বনিক। ব্যবসায় কার্যে ব্যবিলনে পাড়ি জমাতেন। তিনি ঠিক সেসব অঞ্চলে ভ্রমন করতেন যেখানে ইহুদী পণ্ডিতগন থাকতেন। তাদের সহায়তায় তিনি পিরামিডের উচ্চতা,ভূমি পরিমাপ প্রভৃতি জ্যামিতিক জ্ঞান অর্জন করেন।

যেমনটা উইকিপিডিয়াতে এসেছে।
'Influences:

Babylonian astronomy,Ancient Egyptian mathematics,Ancient Egyptian religion'!

.
Later scholastic thinkers would maintain that in his choice of water Thales was influenced by Babylonian or Chaldean religion,
(উইকিপিডিয়া)

.
তিনি ছিলেন একজন ন্যাচারিস্ট বা প্রকৃতি পূজারী। তাছাড়া রিডাকশনিজমও তার দর্শনে অন্তর্ভুক্ত ছিল। সবকিছুর ওয়াননেসে(মনিজম/প্যান্থেইজম) বিশ্বাসী ছিলেন। তাকেও আধুনিক বিজ্ঞানের অগ্রদূত বলা হয়। তাছাড়া তিনি ছিলেন গ্রীক সপ্তর্ষির একজন।
.
Thales is recognized for breaking from the use of mythology to explain the world and the universe, and instead explaining natural objects and phenomena by theories and hypotheses, in a precursor to modern science. [উইকিপিডিয়া]

.
Thales একজন বস্তুবাদী, প্রকৃতিবাদী এবং দেহতত্ত্ববাদী ছিলেন। এরিস্টটল তাকে পদার্থবিদও বলতেন।
.
The most natural epithets of Thales are "materialist" and "naturalist", which are based on ousia and physis. The Catholic Encyclopedia notes that Aristotle called him a physiologist, with the meaning "student of nature."[51] On the other hand, he would have qualified as an early physicist, as did Aristotle. They studied corpora, "bodies", the medieval descendants of substances.
(উইকিপিডিয়া)

.
Thales সর্বপ্রথম পিরামিডের উচ্চতার হিসাব বের করেন। তিনি মনে করতেন প্রকৃতির সকল বস্তুই জীবন্ত এবং আত্মাযুক্ত। পানিকে বলতেন primal substance।
তিনি ব্যবিলনিয়ান জ্যোতিষীদের সহযোগীতায় খ্রিষ্টপূর্ব ৫৮৫ তে Eclipse prediction এ সফল হয়েছিলেন।
বাবেল শহর থেকে ফিরে তিনি Monism(Everything is one) এর শিক্ষা দেওয়া শুরু করেন। তার দ্বারাই গ্রীসে ব্যবিলনিয়ান(Judaic) এস্ট্রোনোমিকাল আইডিয়া,জ্যামিতিক জ্ঞান, ম্যাথম্যাটিকস, পরিমাপের ইউনিট,সময়ের একক সমূহ চলে আসে।
.
Thales পিথাগোরাসকে ম্যাজিয়ানদের কাছে বাবেল শহরের যাদুবিদ্যা/মতবাদ এবং গনিত শিক্ষার জন্য মিশর ভ্রমনের উপদেশ দিয়েছিলেন।
.
Thales had a profound influence on other Greek thinkers and therefore on Western history. Some believe Anaximander was a pupil of Thales. Early sources report that one of Anaximander's more famous pupils, Pythagoras, visited Thales as a young man, and that Thales advised him to travel to Egypt to further his philosophical and mathematical studies.
[উইকিপিডিয়া]

এরপরের দর্শন সম্রাট পিথাগোরাস। তিনিও বণিক ছিলেন। Babylonia, Judah তে বানিজ্য কাজে যেতেন। অতঃপর Thales এর মত বিপুল বাবেল শহরের গুপ্তজ্ঞান নিয়ে ফিরতেন। তাছাড়া মিশরীয় যাদুকর ক্যালডিয় ম্যজিয়ানদের শিষ্যত্বও বরন করেছিলেন। বিস্তারিত পড়ুনঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_40.html

পিথাগোরাস হোক বা Thales অথবা Anaximander, প্রত্যেক গ্রীক ফিলসফারগনই বাহ্যত কিছুটা মতাদর্শগত পার্থক্য দেখালেও তারা প্রত্যেকেই একই আদর্শের উপরে অটল ছিলেন। তাদের হাতের সাইন্টিফিক ডেভেলপমেন্ট যেন এক সুতোয় গাথা। তারা সকলেই ন্যাচারালিজম-Monism ভিত্তিক অকাল্ট ফিলসফিকে বিভিন্নভাবে ডেভেলপ করেছেন এবং প্রচার করতেন।
যেমনটা John Burnet (1892) থেকে পাওয়া যায়ঃ

Lastly, we have one admitted instance of a philosophic guild, that of the Pythagoreans. And it will be found that the hypothesis, if it is to be called by that name, of a regular organisation of scientific activity will alone explain all the facts. The development of doctrine in the hands of Thales, Anaximander, and Anaximenes, for instance, can only be understood as the elaboration of a single idea in a school with a continuous tradition.
(উইকিপিডিয়া)
.
পিথাগোরাসের ব্যপারে তেত্রিশ ডিগ্রি ফ্রিম্যাসন ম্যানলি পি হল বলেনঃ
“Pythagoras was one of the first teachers to establish a community wherein all the members were of mutual assistance to one another in the common attainment of the higher sciences. He also introduced the discipline of retrospection as essential to the development of the spiritual mind. Pythagoreanism may be summarized as a system of metaphysical speculation concerning the relationships between numbers and the causal agencies of existence.” -Manly P. Hall

.
বিখ্যাত ইতিহাসবেত্তা Herodotus খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০ সালে বাবেল শহর সফর করে আসেন, তিনি নিশ্চয়তার সাথে বলেন, গ্রীক মহাকাশ বিজ্ঞান পুরোটাই বাবেল শহর থেকে আহরণ করা। অন্যান্য অনেক ইতিহাসবিদদের ন্যায় হেরোডোটাস এ কথা স্বীকার করেন যে গ্রীক জ্ঞান বিজ্ঞান এসেছে বাবেল শহরের ইহুদীদের থেকে। Hermippus পিথাগোরাস এর ব্যপারে বলতেন, "imitation of the doctrines of the Jews and the Thracians, which he transferred to his own philosophy."
.
Josephus একথা জোর দিয়ে বলেন, "For it is truly affirmed of Pythagoras that he took a great many of the laws of the Jews into his own philosophy."
.
এরিস্টটলের শিষ্য এরিস্টোক্সাস বলেন, পিথাগোরাস তার মৌলিক জ্ঞান লাভ করেন 'পূর্বদিক'(ইরাকের বাবেল শহর) থেকে।

Atomism:
এরপরে ব্যাবিলন সফর থেকে ফের‍ত আসা দার্শনিক গন গ্রীসে পরমাণুবাদের দর্শন চালু করেন।
"Atomism (from Greek ἄτομον, atomon , i.e. "uncuttable", "indivisible" [1][2][3] ) is a natural philosophy that developed in several ancient traditions. The atomists theorized that nature consists of two fundamental principles: atom and void. "[উইকিপিডিয়া]
.
একই উৎস(ব্যবিলন) থেকে ভারতেও চলে যায়। যার ফলে আমরা আজও ভগবত পুরাণে পরমানুর পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ননা পাই। এই আলোচনা ৩য় পর্বে গত হয়েছেঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/04/blog-post_44.html

ভারতে অনুপ্রবেশকারী আর্যদের অরিজিন নিয়ে অন্যতম শক্তিশালী ইতিহাস সক্রান্ত মতামত হচ্ছে- ব্যাবিলনের শাসকদের একটি দল ভারতে খ্রিষ্টপূর্ব ১৭০০ সালের দিকে বা তারও আগে আসা শুরু করে। এদের অনেকে ব্যবিলনীয় সভ্যতা দ্বারা প্রভাবিত ইরান-ইরাকের বিভিন্ন এলাকা থেকেও চলে আসে। হিন্দুদেরই একটা দল শক্তভাবে দাবি করে ওই বাবেল শহরের শাসকগোষ্ঠী তথা অনুপ্রবেশকারীদের ভাষা ছিল সংস্কৃত! তারা বলে থাকে, উত্তর ভারতীয় হিন্দুদের পূর্বসূরিরা ব্যবিলনীয়ান ছিলেন। এই আর্যগনই ছিল ব্যবিলনীয়ান মিত্তানি বংশধর। এজন্য ভারতীয় এবং ব্যবিলনীয়ান ও গ্রেসিয়ান(গ্রীক) এস্ট্রোনমি, এস্ট্রলজি, ম্যাথম্যাটিকস ইত্যাদি দিকগুলোয় পার্থক্য পাওয়া যায় না। কারন সেসব বাবেল শহর থেকেই এসেছে।
পড়ুনঃ
http://www.merinews.com/article/indias-babylon-connection/147891.shtml
.
https://scroll.in/article/699603/golden-age-of-indian-mathematics-was-inspired-by-babylon-and-greece-amartya-sen
.
http://penelope.uchicago.edu/Thayer/E/Journals/ISIS/54/2/Astronomy_and_Astrology_in_India_and_Iran*.html
.
http://zeenews.india.com/news/sci-tech/ancient-india-exchanged-ideas-with-babylon-greece-rome-amartya-sen_1525452.html
.
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Indo-Aryan_migration

বৌদ্ধদের মাঝেও এ ব্যবিলনীয়ান এটোমিক নলেজ পৌছেছিল।
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Rupa-kalapa

যাহোক গ্রীক প্রসঙ্গে ফেরা যাক।
Leucippus কে Atomism এর প্রবর্তকদের একজন হিসেবে ধরা হয়।
Aristotle and his student Theophrastus , however, explicitly credit Leucippus with the invention of Atomism.[উইকিপিডিয়া]
.
বাকি সকলের ন্যায় তিনিও বাবেল শহর থেকে যাবতীয় জ্ঞান লাভ করেন।
বর্তমানে ডেমোক্রিটাসকে এটোমিজমের আদি গুরু হিসেবে গন্য করা হলেও মূলত এই জ্ঞান ডেমোক্রিটাসের গুরুজী Leucippus এর থেকেই সূত্রপাত বলে দাবি করা হয়। ডেমোক্রিটাস জন্মগ্রহণ করেন Thrace এর Abdera শহরে। স্মরন করা প্রয়োজন যে, Hermippus বিবৃত করেছিলেন Pythagoras তার মৌলিক শিক্ষা অর্জন করেছিলেন ওই Thracians এবং Jewsদের থেকে। থ্রেশিয়ানগন কোথা থেকে জ্ঞান আহরন করেছিলেন? জ্বি, ইহুদীদের মত বাবেল শহর থেকে। অর্থাৎ সবকিছুই ঘুরেফিরে ব্যবিলনিয়ান শেকড়।
.
Chambers Biographical Dictionary'তে পাওয়া যায়ঃ "[Democritus] traveled in the East, showed ceaseless industry in collecting the works of other philosophers." । অর্থাৎ অন্যান্য দার্শনিকদের জ্ঞান সংগ্রহ করার জন্য তিনিও পূর্বে(ব্যবিলনে) ভ্রমন করেন।
.
ডেমোক্রিটাসের চিন্তাগুলোর অধিকাংশই গুরু Leucippus থেকে নেওয়া। Most sources say that Democritus followed in the tradition of Leucippus and that they carried on the scientific rationalist philosophy associated with Miletus. Both were thoroughly
materialist , believing everything to be the result of natural laws. (উইকিপিডিয়া)

.
ডেমোক্রিটাসকে অনেকে আধুনিক বিজ্ঞানের পিতা বলে থাকে(সূত্রঃউইকিপিডিয়া)। তিনি ব্যবিলন, মিশর এমন কি ভারত পর্যন্ত ভ্রমন করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। তিনি তার ভ্রমনের অভিজ্ঞতায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকার কথাও নিজেই বলেছেন। তিনি মিশরীয় গাণিতিক শিক্ষার প্রশংসা করেছেন। ক্যালডীয় যাদুকরদের সহচর্যে থেকেও বিশেষ জ্ঞান(এক শ্রেণীর বিজ্ঞান) অর্জন করেন।
.
It is known that he wrote on Babylon and
Meroe; he visited Egypt , and Diodorus Siculus states that he lived there for five years. [15] He himself declared[16] that among his contemporaries none had made greater journeys, seen more countries, and met more scholars than himself. He particularly mentions the Egyptian mathematicians , whose knowledge he praises. Theophrastus , too, spoke of him as a man who had seen many countries. [17] During his travels, according to Diogenes Laërtius, he became acquainted with the Chaldean magi. " Ostanes", one of the magi accompanying Xerxes , was also said to have taught him. [18][উইকিপিডিয়া]
.
অতঃপর ব্যবিলনীয়ান প্রাকৃতিক দর্শন বা সেসময়ের ফিজিক্স নিয়ে ফিরে এসেই 'ন্যাচারাল ফিলসফি' শিক্ষা দেওয়া শুরু করেন। "After returning to his native land he occupied himself with natural philosophy "[উইকিপিডিয়া]
ন্যাচারাল ফিলসফি কি জিনিস তার আলোচনা পূর্বে গত হয়েছে।

ডেমোক্রিটাস যে পরমানুবাদের কথা প্রচার করেন সেটা ছিল 'Materialism' এর ভিত্তিপ্রস্তর। একে নিষ্পাপ বস্তুবাদ বলা ভুল, বরং সেটা ছিল Materialistic monism অর্থাৎ 'একঅস্তিত্ব' (ওয়াহদাতুল উজুদ) তত্ত্বের যৌক্তিক(rational) রূপ। সেই গুরু ও সাগরেদ এটোমিক থিওরি আনেন একটি মতানৈক্য পুনর্মিলনের জন্য। ডেমোক্রিটাস ছিলেন পার্মেনেডিসের সর্বেশ্বরবাদী বা 'এক অস্তিত্ববাদ'(Monism) দর্শনের পক্ষে, যেমনি উইকিপিডিয়াতেও আছেঃ

In the 5th century BCE, Leucippus and his pupil
Democritus proposed that all matter was composed of small indivisible particles called atoms, in order to reconcile two conflicting schools of thought on the nature of reality. [11]
[12] On one side was Heraclitus , who believed that the nature of all existence is change. On the other side was Parmenides , who believed instead that all change is illusion.
Parmenides denied the existence of motion, change and void. He believed all existence to be a single, all-encompassing and unchanging mass (a concept known as monism), and that change and motion were mere illusions. Democritus accepted most of Parmenides' arguments, except for the idea that change is an illusion. [উইকিপিডিয়া]
.
পারমেনিডিস নিজে ছিলেন পিথাগোরারিয়ান। তার জীবনাচরণও সেরকম ছিল। পিথাগোরিয়ান কস্মোলজির বর্ননা পাওয়া যায় এই দার্শনিক কবির কবিতায়ঃ
Bright in the night with the gift of his light,
Round the earth she is erring,
Evermore letting her gaze
Turn towards Helios' rays[Wikipedia]
.

Popper বলেনঃ
So what was really new in Parmenides was his axiomatic-deductive method, which Leucippus and
Democritus turned into a hypothetical-deductive method, and thus made part of scientific methodology.[উইকিপিডিয়া]
সুতরাং পারমেনিডিস অবশ্যই সাইন্টিফিক মেথডলজিতে প্রভাবশালী একজন।
.
বিস্তারিতঃ
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Parmenides
.
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Atomism


Epicurus আরেক এটোমিস্ট দার্শনিক।
তিনি ডেমোক্রিটাসের ব্যবিলনিয়ান চিন্তা-দর্শন ও শিক্ষা দ্বারা প্রভাবিত ছিলেনঃ
Epicurus's teachings were heavily influenced by those of earlier philosophers, particularly
Democritus.[উইকিপিডিয়া]
.
তিনিও ডেমোক্রিটাসের পারমানবিক জ্ঞানেরই প্রচার করতেনঃ Like Democritus, he was an atomist, believing that the fundamental constituents of the world were indivisible little bits of matter ( atoms ; Greek: ἄτομος atom os, "indivisible") flying through empty space (Greek: κενόν kenon ). Everything that occurs is the result of the atoms colliding, rebounding, and becoming entangled with one another. [উইকিপিডিয়া]

.
তিনিই প্রথম দার্শনিক যিনি তৎকালীন মুশরিক জনগণকে দেবতাদের ভয় করতে নিষেধ করতেন। তিনি মৃত্যুর ব্যপারেও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে নিষেধ করতেন। কারন তার মতে মৃত্যুর পরে কিছু নেই। মৃত মানুষ সকল প্রকার অনুভূতি থেকে মুক্তি পায়। তাই একে ভয় করার কিছু নেই। যেহেতু তিনি এটোমিস্ট ছিলেন তাই বস্তুবাদী চিন্তার ব্যাপক প্রভাব ছিল।
পরমানুবিদগন বিভিন্ন দেবতাদের নাম বলতেন, তারা সেসবকে সুপারন্যাচারাল ডেইটি হিসেবে দেখত না, বরং ফিজিক্স ও ন্যাচারাল বিভিন্ন ফোর্সেরই পার্সোনিফিকেশন রূপে নিতেন। তারা মুশরিকদের কে বোঝাতেন যে এই রিয়েলিটি কোন সুপারন্যাচারাল স্বত্ত্বার সৃষ্ট নয় বরং অনন্ত অবিনশ্বর পরমানু কণার কিছু নীতির উপর নির্ভর করে সৃষ্ট। দেবতাদের অস্তিত্ব যদিও থাকেও, মহাবিশ্বজগতে তাদের কোন প্রভাব বা কর্তৃত্ব কিছুই নেই। কেমন যেন স্টিফেন হকিংয়ের মত কথা! তাই না?
রোমান পরমানু-দার্শনিক এবং কবি লিউক্রিটিয়াস তার কবিতায় ডেমোক্রিটাসের পরমাণুকেন্দ্রীক চিন্তাধারাকে উপস্থাপন করেন।
.
To the Greek philosopher Epicurus , the unhappiness and degradation of humans arose largely from the dread which they entertained of the power of the deities , from terror of their wrath. This wrath was supposed to be displayed by the misfortunes inflicted in this life and by the everlasting tortures that were the lot of the guilty in a future state (or, where these feelings were not strongly developed, from a vague dread of gloom and misery after death). Epicurus thus made it his mission to remove these fears, and thus to establish tranquility in the minds of his readers. To do this, Epicurus invoked the atomism of
Democritus to demonstrate that the material universe was formed not by a Supreme Being , but by the mixing of elemental particles that had existed from all eternity governed by certain simple laws. (উইকিপিডিয়া)

.
বিস্তারিতঃ https/en.m.wikipedia.org/wiki/Epicurus
.
https/en.m.wikipedia.org/wiki/On_the_Nature_of_Things

.
আরেকজন সিক্রেটিস পূর্ব দার্শনিক এবং mystic Heraclitus। হয়ত গ্রীক জ্ঞানবাদী এই লোকগুলোর মাঝে ইনিই সবচেয়ে দুর্বোধ্য দর্শনের প্রচার করতেন। তিনি সময় ও রিয়েলিটির মিস্টিক্যাল ব্যাখ্যা দিতেন। অনেকে একে আজকের কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানের সাথে সংযোগ করেন। তিনিও অন্যান্যদের মত Monism এর আকিদা প্রচার করতেন।
.
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Heraclitus

.

এভাবেই বস্তুবাদের অবিচ্ছেদ্য অংশঃ আজকের পরমানুবিদ্যা সেই বাবেল শহর এবং মিশরীয় ম্যাজাইদের থেকে ভারতের বেদ এবং গ্রীক দার্শনিকদের হাতে আসে, অতঃপর এই সৃষ্টিজগতের অকাল্ট নলেজ ১৭শতকে আবারো অন্য সকল যাদুবিদ্যা চর্চার পুনঃজাগরনের সাথে শুরু হয়। রেনে ডেসকার্টিস,রবার্ট বয়েল,পিয়েরে গাসেন্ডি,গ্যালিলিও গ্যালিলি প্রভৃতি অকাল্টিস্ট(তৎকালীন জ্যোতিষী/বিজ্ঞানী) ইপিকিউরিয়ান(গ্রীক) এ্যাটোমিজমের প্রতি তখন ঝুকে পড়েন। অতঃপর ১৮০৮ সালের পর থেকে জন ডালটন
উহাকে পদার্থবিজ্ঞানের অবিচ্ছেদ্য মৌলিক জ্ঞান হিসেবে স্বীকৃতি দান পূর্বক প্রকাশ করতে শুরু করেন। পৃষ্ঠপোষকতায় তার পেছনে ছিল ফ্রিম্যাসনিক রয়্যাল সোসাইটি। আজ সেটা "ফিজিক্স"!

.
আজ প্রি-সক্রেটিক কিছু দার্শনিক/(প্রাচীন)বিজ্ঞানীদের(ন্যাচারাল ফিলসফার) কয়েকজনকে নিয়ে আসলাম। অনেকে কিছুটা বিব্রত হচ্ছেন সারাক্ষন দার্শনিকদেরকে নিয়ে আলোচনার জন্য। তারা কি জানেনা ওদের(দার্শনিকদের) 'প্রাকৃতিক দর্শন'ই তো আজকের 'সাইন্স'! উনিশ শতক পর্যন্ত এই বিজ্ঞানকে ন্যাচারাল ফিলসফিই বলেই ডাকা হত।
.
অতএব, যাদুকরদের ম্যাজিক্যাল ওয়ার্ল্ডভিউ বা দর্শনকে বিজ্ঞান নামে রিপ্যাকেজ করে সামনে আনা হয়েছে। কখনো সেটা ফিজিক্স কখনো বা এস্ট্রোনমি! আজকে বিজ্ঞানী তথা ন্যাচারাল ফিলসফারগন এই বিষয়টিকে সত্যায়ন করছেন,সেসব সামনের পর্বগুলোতে আনা হবে ইনশাআল্লাহ। প্রি-সক্রেটিক অকাল্ট ন্যাচারাল ফিলসফির সকল শিক্ষাগুলো সরাসরি যাদুশাস্ত্রের সাথে গভীরভাবে মেশানো ছিল। যেমনি উইকিপিডিয়াও উল্লেখ করেছেঃ
.
Pre-Socratic philosophers in Ancient Greek culture brought natural philosophy a step closer to direct inquiry about cause and effect in nature between 600 and 400 BC, although an element of magic and mythology remained(উইকিপিডিয়া)

.

এ সকল মহান গ্রীক দার্শনিকগন যে দর্শন বা মতবিশ্বাসের প্রচার করতেন তার মূলই ছিল সর্বেশ্বরবাদ। এ আকিদা অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা কোন ভিন্ন স্বত্ত্বা নন, বরং সকল প্রাকৃতিক law এবং force এর pervasive manifestation । অর্থাৎ সহজ কথায়,তাদের কাছে সৃষ্টিকর্তা বলতে সকল প্রাকৃতিক নীতি ও শক্তি এবং উপাদানেরই পরিব্যাপক বিকাশ (নাউজুবিল্লাহ)। এজন্য আরবে যখন গ্রীক দর্শন প্রবেশ করে,অনেকে আত্মশুদ্ধির নামে ইসলামে এই আকিদাকেই মূল tenet রূপে শিক্ষা দেয়। কুফরের মূল অভিশপ্ত বাবেল শহরের কুফরি মতবিশ্বাস গুলো খ্রিষ্টপূর্ব ১৭০০ সালের দিকে কিছু সম্ভ্রান্ত ব্যবিলনিয়ানদের(আর্য) ভারতবর্ষে অনুপ্রবেশের দ্বারা ভারতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং দর্শন/মেটাফিজিক্সের প্রভূত উন্নতি সাধন হয়। একই উৎস তথা Judaic Babylon(ব্যবিলনিয়ান ইহুদী) এথেন্স এর বিজ্ঞান-দর্শনকে কথিত 'সমৃদ্ধির' দিকে নিয়ে যায়। এ কারনেই Monism(সৃষ্টি স্রষ্ট্রার এক অস্তিত্ব - ওয়াহদাতুল উজুদ) আকিদাটি ভারতবর্ষ এবং গ্রীসের দর্শন বা ধর্মতত্ত্বে মিলবে। জুডাইক ব্যবিলনিয়ান যাদুশাস্ত্রেরই(Occult mysticism) প্রিন্সিপ্যাল এবং মতাদর্শ গুলো গ্রীস-ভারতের তৎকালীন সাইন্স হয়ে যায়। অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে, কি ছিল বাবেল শহরে?
এর উত্তর ঐশী গ্রন্থ কুরআনেই আল্লাহ আযযা ওয়াযাল দিয়েছেনঃ
.

وَاتَّبَعُواْ مَا تَتْلُواْ الشَّيَاطِينُ عَلَى مُلْكِ سُلَيْمَانَ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَـكِنَّ الشَّيْاطِينَ كَفَرُواْ يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ وَمَا أُنزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوتَ وَمَارُوتَ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّى يَقُولاَ إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلاَ تَكْفُرْ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِ بَيْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهِ وَمَا هُم بِضَآرِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ بِإِذْنِ اللّهِ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمْ وَلاَ يَنفَعُهُمْ وَلَقَدْ عَلِمُواْ لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الآخِرَةِ مِنْ خَلاَقٍ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْاْ بِهِ أَنفُسَهُمْ لَوْ كَانُواْ يَعْلَمُونَ

.
তারা(ইহুদীরা) ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত। তারা উভয়ই একথা না বলে কাউকে শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষার জন্য; কাজেই তুমি কাফের হয়ো না। অতঃপর তারা তাদের কাছ থেকে এমন জাদু শিখত, যা দ্বারা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তদ্দ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না। যা তাদের ক্ষতি করে এবং উপকার না করে, তারা তাই শিখে। তারা ভালরূপে জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোন অংশ নেই। যার বিনিময়ে তারা আত্নবিক্রয় করেছে, তা খুবই মন্দ যদি তারা জানত[২:১০২]
.
ব্যবিলনের ইহুদীগনের জ্ঞান বিজ্ঞানের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল জাদুবিদ্যা এবং শয়তানের কুফরি কথা(i.e:Recital,spell, incantations,philosophical worldview,belief system etc.)। এদের থেকেই পিথাগোরাসগন সেই বিশেষ জ্ঞান আহরণ করেছিলেন। গত পর্বে উইকিপিডিয়ার রেফারেন্সেই পিথাগোরাসের যাদুশাস্ত্র শিক্ষা-চর্চার কিছু তথ্য এনেছিলাম। তিনি ছিলেন ফ্রিম্যাসনিক অকাল্ট সোসাইটি গুলোর প্রাচীন পিতা। তার পুনঃজন্মবাদ,মিউজিক্যাল কন্ট্রিবিউশন, পিথাগোরিয়ান সলিড, Spherical Earth model ইত্যাদি এর সমূদয় বিষয়গুলো ছিলো ব্যবিলনের শয়তান জ্বীন ও মানুষের আবৃত্ত মতাদর্শ/ফিলসফি/আকিদা/ওয়ার্ল্ডভিউ/প্র‍্যাক্টিস/কগনিশন। অর্থাৎ তার(পিথাগোরাসের) আনিত আসমান-জমিনের তথ্য গুলো ছিল অভিশপ্ত বাবেল শহরের জ্যোতিষশাস্ত্রেরই অংশ। তিনি বাবেল ও মিশর ঘুরে যাদুশাস্ত্র নিয়ে গ্রীসে ফেরেন সেটাকে তার শিষ্য এবং অনুসারীদের(পিথাগোরিয়ানস) মধ্যে ছড়িয়ে দেন। তার অনুসারীরা এ সকল কুফরি ম্যাজিক্যাল ওয়ার্ল্ডভিউগুলো দর্শনের অন্তর্ভুক্ত করেন। সকল গ্রীক জ্যোতিষী ব্যবিলনিয়ান এস্ট্রোনমির উপরেই চিন্তা-গবেষনা করেন। অতঃপর তার কিছুটা যখন আরবে পৌছায় শিয়া মুতাজিলারা তো ভালভাবে এর পুরোটা গ্রহন করেই, পাশাপাশি ইবনে হাজমের(রহ.) এর মত আলেমরাও সেখান থেকে এস্ট্রোনোমিকাল আইডিয়া অজ্ঞাত কারনে গ্রহন করেন অথবা এর দ্বারা প্রভাবিত হন। আজকের মুসলিমরা তাদের রেফারেন্সই প্রদান করে প্রতিষ্ঠিত ব্যবিলনীয়ান এস্ট্রোনমির প্রতি বিশ্বাস এবং সম্মান প্রদর্শন করে। এবং সেই সাথে এর গ্রহণযোগ্যতায় কোন প্রশ্ন তোলে না। অথচ আসমান জমিনের বর্ননায় কুরআন ও আল্লাহর রাসূল ﷺ এবং সাহাবীগনের(রাযি.) কথা ছিল সেসবের সম্পূর্ন বিপরীত। আজ কুরআনের আয়াতগুলোকে বাবেল শহরের জ্যোতিষবিদ্যার সাথেই তারা খাপ খাওয়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকে।

.
আজকের ইহুদীরা তাদের সকল ম্যাজিক্যাল প্রাক্টিস,ইন্টারপ্রিটেশন, বিলিফ সিস্টেমগুলোকে কাব্বালার ছায়াতলে গুছিয়ে এনেছে। আজকের বিজ্ঞানীগন এই যাদুশাস্ত্রকেই নাম ধরে বলছেন,মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞান যেন সেই যাদুশাস্ত্রেরই প্রতিফলন। তেমনি ইসরাইলে অবস্থিত ইহুদীদের সর্ববৃহৎ কাব্বালা ইন্সটিটিউট এর চেয়ারম্যানও বলছেন, 'যদি আমরা সাধারণভাবে যেভাবে কোন কিছু দেখি তা থেকে বের হই, তাহলে আমরা ওই সত্য কেন্দ্রবিন্দুতে এসে পৌছবো, যা কাব্বালিস্টগন(ইহুদী যাদুকরগন) আমাদের বলে থাকে,যা (সাধারনের)আমাদের কাছে কিছুটা অদ্ভুত; ওই বিজ্ঞানীগন যারা কোয়ান্টাম ফিজিক্স গবেষণা করেন,তারা কেন (কাব্বালিস্টদের মত) আজ এই একই উপলব্ধিতে পৌঁছেছেন(?)...."
.
প্রিয় পাঠক,এতে অবাক হবার কিছু নেই।
ওরা একে অন্যকে সত্যায়ন করছে। সত্য কথাই বলছে। ওরা আজ বিজ্ঞানের মোড়কে সর্সারি এবং ম্যাজিক্যাল কুফরি থিওলজির শিক্ষা দেয়, তা আজ অকপটেই স্বীকার করছে। সামনে আমরা এসব ব্যপারে দলিল প্রমানের সাথে আরো বিস্তারিত জানব,ইনশাআল্লাহ

.
তথ্যসূত্রঃ
http://www.hebrewhistory.info/factpapers/fp016_science.htm
.
https://www.ancient.eu/Greek_Philosophy/
.
http://www.spaceandmotion.com/Greek-Philosophy-Philosophers.htm
.
https://explorable.com/ancient-physics
.
http://www.ancient-origins.net/human-origins-science/ancient-babylonian-use-pythagorean-theorem-and-its-three-dimensions-005199

.
https://www.ancient.eu/Greek_Philosophy/
.
http://www.hebrewhistory.info/factpapers/fp016_science.htm
.
এবং উইকিপিডিয়া।

_______________________________[চলবে ইনশাআল্লাহ ]