Thursday, January 28, 2021

বিশেষ দ্রষ্টব্য - ৫

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ 

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, গত একমাস ধরে লক্ষ্য করছি অনেকেই "ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্ব" পিডিএফটি ডাউনলোড এর জন্য আমার পূর্বব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত এক গুগল ড্রাইভে এক্সেসের জন্য রিকোয়েস্ট করছেন। অথচ সেখান থেকে ফাইল অপসারন করা হয়েছিল এবং যথাস্থানে[১] লিংক আপডেট করা হয়েছিল। এরপরেও আপনাদের অনেকে পুরাতন লিংক কোথায় পাচ্ছেন বুঝতে পারছিনা। যদি কোন ভাই যদি পুরাতন লিংক সংরক্ষন করে থাকেন, সেটা চেক করে দেখবেন এবং ডিলিট করে দিবেন। কাউকে লিংক দেবার আগে এটা দেখা জরুরী, সেই লিংক কাজ করছে কিনা। যারা পুরাতন গুগল ড্রাইভে পারমিশন রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছেন তাদের সুবিধার্থে নিচে লিংক দিয়ে দিলাম[২]। যদি কোন ডকুমেন্ট এর লিংক না কাজ করে, তবে তা সরাসরি কমেন্টে জানালে ইহসান হয়। 


______________________________________________

Friday, January 22, 2021

কুরআন যখন আযাবের দলিল!

 আল্লাহ আযযা ওয়াযাল কুরআনকে নাযিল করেছেন আমাদের জীবনাচরণ আকিদা কর্মের সীমারেখা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে। এতে ব্যক্তিগত সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয় জীবনে অবশ্য পালনীয় এমন কোন কিছুই নেই যা  গুপ্তাবস্থায় আছে। এতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন তাগুতকে বর্জন করতে, কুফর করতে। তাওহীদের আরকান সুস্পষ্ট। এরপরেও মুসলিমরা কেন কিসের কনফিউশনে ভোগে জানিনা। আল্লাহ কুফফারদের প্রতি আমাদের আচরণ কেমন হবে তা কি জানিয়ে দেন নি!? আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে বাদ দিয়ে যারা নিজেদের খেয়াল খুশিমত বিধান রচনা করে, তাদের পরিচয় কি আল্লাহ স্পষ্ট করেন নি!? তিনি কি আমাদেরকে তাদের সাথে করনীয় আচরণকে বলে দেন নি!? 


বালা ওয়াল্লাহ!  দিয়েছেন! এ সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর বানী এত স্পষ্ট যে তা বুঝতে তাফসীর কিংবা মুফাসসিরীনের শরণাপন্ন হতে হয়না। রহমানের আয়াতে কোন বক্রতা নেই। এতদসত্ত্বেও আপনি দেখবেন কুরআন পাঠকারীর অভাব নেই কিন্তু আল্লাহর এই শাশ্বত বানী অন্তঃকরণে ধারন করেছে এমন ব্যক্তির খুব অভাব। যারা তাওহিদুল আমালির সাথে সরাসরি যুক্ত এদের সংখ্যা আরো আরো কম! এরা সবাই আল্লাহর হুকুমকে নিজেদের সুবিধামত কাঁটছাট করে অনুসরণকারী! অবস্থাটা এমন যেন লোকেরা কুরআনকে সুর দিয়ে দিয়ে বাহ্যিক ভক্তি ও সম্মান দিয়ে পাঠ করছে, কিন্তু এর সরল অর্থ পড়েও বোঝেনা। এরা তাগুতের বিষয়গুলোকে জোরে জোরে তিলাওয়াত করছে, আল ওয়ালা আল বারা'র আয়াত গুলো পড়ছে, কিন্তু হৃদয় দিয়ে মানছেনা। শুধু মুখেই বলছে। অন্তঃকরণে তালাবন্ধ এসকল পাঠকারীদের জন্য কি কুরআন কোন কল্যাণ বয়ে আনবে? 

মুহতারাম শাইখুল হাদিস আবু ইমরান[দাঃবা] আমাদেরকে বলছিলেন, এইসকল পাঠকারীদের জন্য কুরআন পাঠ করেও না মান্য করার জন্য দলিল হয়ে যাবে, তাদের আযাবের সাক্ষী হিসেবে থাকবে। 


হে আখ্যি,গুটিকয়েক গারীব আলিম উমারার মুখে জানবার পরেও তাওহিদের পূর্নস্বীকৃতি না দিয়ে এরকম কুরআন পড়ে লাভ কি যা কেবল আযাবই বৃদ্ধি করে? কুফফারদের সাথে কম্প্রোমাইজকারী দা'ঈ কিংবা আলিম[!] রব্বে ক্বারীমের ওই আয়াত গুলোকে প্রচার করে লাভ কি যা কেবল তার আযাবকেই বৃদ্ধি করে!? তাওহীদের আরকানগুলোকে যারা মানেনা, যারা কালেমার অর্থকে যারা অপূর্ণাঙ্গ ভাবে মানে, এদের ঈমানের অবস্থা কি অনেকটা এরকম নয় যে; কোন ব্যক্তি ওযূ ছাড়াই সারাজীবন স্বলাত পড়লো? 

তাই, হে আমার ভাই আগে পূর্নাঙ্গভাবে ইসলামে প্রবেশ করে আমল করার মধ্যে কল্যাণ আছে। সুবিধামত কিছু অংশকে মানলাম আর কিছু অংশ অস্বীকার করলাম, এরকম কোন সুযোগ নেই আখ্যি! 

আল্লাহ বলেন,‘...তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখো আর কিছু অংশ অস্বীকার করো? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তা করে, দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া তাদের কী প্রতিদান হতে পারে! আর কিয়ামতের দিন তাদের কঠিন আজাবে নিক্ষেপ করা হবে। তোমরা যা করো, আল্লাহ সে সম্পর্কে গাফিল নন।’ 

(সুরা : বাকারা, আয়াত : ৮৫)

 


Monday, January 4, 2021

পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না


بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وآله وصحبه ومن والاه


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। দরূদ ও সালাম আল্লাহর রাসূলের উপর এবং তার পরিবারবর্গ, সাহাবা ও যারা তার সাথে বন্ধুত্ব রাখে তাদের উপর।


শত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেকের ওপরই ফরয; এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেন,


إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُم بُنْيَانٌ مَّرْصُوصٌ


“নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন; যারা তাঁর পথে যুদ্ধ করে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায়।”-  (সূরা সফ: ৪)


কুফরী শক্তির বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে যারা নিরন্তর নিরলসভাবে পরিশ্রম করেন। তাঁদের অন্যতম ছিলেন শায়খ উসামা বিন লাদেন রহ.। তিনিই যুগের হোবল আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্যে উম্মাহকে এক করার চেষ্টা করেন।


এর উজ্জ্বল উদাহরণ হচ্ছে, তাঁর উল্লেখযোগ্য উদ্ভাসিত রাজনৈতিক কৌশল তিনি ইমারাতে ইসলামিয়ার অধীনে বায়আত দিয়েছেন এবং বিশ্বের সমস্ত মুসলমানদের এ বায়আত দেয়ার জন্যেই আহ্বান করেছেন।


এটি এমন এক ইমারাহ, যার প্রশংসা করেছেন শায়খ হামুদ বিন উকলা রহ., শায়খ সুলামান আল-উলওয়ান ও আলী আল-খুদাইর (আল্লাহ তাঁদেরকে মুক্ত করুন), সেনাধ্যক্ষ শায়খ আবু হাফস রহ., শায়খ আবু মুসআব আয-যারকাভী রহ., শায়খ আবু হামযা আল-মুহাজির রহ., শায়খ আবুল লাইছ আল-লিবী, শায়খ আতিয়াতুল্লাহ আল-লিবী, শায়খ আবু ইয়াহইয়া আল-লিবী রাহিমাহুমুল্লাহ, শায়খ নাসির আল-ওয়াহশী রহ., শায়খ মুখতার আবু যুবায়ের রহ., শায়খ আবু মুহাম্মাদ আত-তুরকিস্তানী রহ., শায়খ আবু কাতাদা আল-ফিলিস্তিনী, শায়খ আবু মুহাম্মদ আল-মাকদিসী, শায়খ হানী আস-সিবায়ী, শায়খ তারেক আব্দুল হালীম সহ অন্যান্য ওলামায়ে কেরাম ও নেতৃত্বশীলগণ এবং দাওয়াত ও জিহাদের ময়দানের বিশিষ্টব্যক্তিগণ।


তাঁরা কোন অতি উৎসাহ বা ভয়ের বশবর্তী হয়ে এ ইমারাহ’র প্রশংসা করেননি; বরং তাঁদের প্রশংসা ছিল সত্যের প্রতি সাক্ষ্যদান; এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে উম্মতে মুসলিমার এক কাতারে একতাবদ্ধ হওয়ার লক্ষ্যেই পদক্ষেপ।


এটি সে ইমারাহ; যা সৎকাজের আদেশ দেয়, মন্দ কাজ হতে নিষেধ করে, শরীয়ত অনুযায়ী বিচার-ফয়সালা করে, মুহাজির ও দুর্বলদের আশ্রয় প্রদান করে, তন্ত্র-মন্ত্র নামক মূর্তিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়, সীমালঙ্ঘনকারী ক্রুসেডারদেরকে সমুচিত জওয়াব দেয়।


তাই আমার মুসলিম ও মুজাহিদ ভাইদের আহ্বান করছি, বিশেষ করে আফগানিস্তানের ভাইদেরকে আহ্বান করছি, আপনারা এই ইমারাহ’র পাশে সমবেত হোন। মুজাহিদদেরকে বিচ্ছিন্ন করার জন্যে হীন চেষ্টার প্রতি আপনারা মোটেও সাড়া দেবেন না। যারা এমন অপচেষ্টায় লিপ্ত; তাদের কাজই প্রমাণ করে, তারা ইসলামের শত্রু বৈ ভিন্ন কিছু নয়।


মুজাহিদদেরকে বিচ্ছিন্ন করার এ হীন অপচেষ্টায় প্রথমে আসে জামাআতু ইবরাহীম আল-বদরীর নাম। যারা হলো নিকৃষ্ট খারেজীদের উদাহরণ। অনবরত মুসলিম জনসাধারণ ও মুজাহিদদেরকে তাকফীর করাই যাদের বৈশিষ্ট্য। এমনকি তারা সৎকর্মের কারণেও মুসলমান ভাইদের প্রতি কুফরের অপবাদ চাপায়। 

উদাহরণ চাইলে, বলা যায়, শহীদ ভাই আবু সাঈদ আল-হাদরামী রহ. এর কথা। তাকে তাকফীর করা হয়, কেননা তিনি জায়শুল হুর এর কাছ থেকে জিহাদের ওপর বায়আত নেন।


জামাআতু ইবরাহীম আল-বদরী (বাগদাদি) আল-কায়েদার নেতৃত্বশীলকে পর্যন্ত তাকফীর করে। কারণ কী? তারা দাওয়াতের ক্ষেত্রে কখনো কখনো নরম কথাও বলে। এ জামাআতের আরো কিছু বৈশিষ্ট্য হলো, শরীয়তের আলোকে বিচার-ফয়সালা থেকে পলায়ন করা, মিথ্যা রটানো, অপবাদ আরোপ করা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা।


এত কিছুর ওপর তারা ঘোষণা দিল, যারা তাদের বিরুদ্ধে যাবে, চাই সে শরীয়তের আলোকে বিচার প্রার্থণা করুক না কেন; সে কাফের, তার স্ত্রী ব্যাভিচারিণী! এ যেন তারা নবুওয়তের দাবী করছে, যারাই তাদের বিরুদ্ধে যায়; তারাই কাফের!


আল-কায়েদাকে তাকফীর করার যথোপযুক্ত একটি কারণ বর্ণনার জন্যে তাদেরকে বহু বার আহ্বান করা সত্ত্বেও এ পর্যন্ত তারা কোন প্রকার জবাব দেয়নি। আজও আমরা তাদেরকে, তাদের নেতা ইবরাহীম আল-বদরীকে আহ্বান করছি- আমাদেরকে তাকফীর করার কারণগুলো বর্ণনা করে দাপ্তরিকভাবে বিবৃতি প্রদান করুন। যে কারণগুলো হতে হবে অকাট্য এবং সুদৃঢ়।


আমাদের বারবার বলা সত্ত্বেও তারা আজ পর্যন্ত এটা বলেনি যে, সে সব লোক কারা? যারা তাকে নেতা হিসেবে ঘোষণা দেয়। তাকে খলীফার আসনে বসায়। আমরা আজও ইবরাহীম আল-বদরীর কাছে জানতে চাইবো, যারা তাকে খলীফার আসনে বসিয়েছে, তাকে বায়আত দিয়েছে; কে তারা?


তাদের অতীতে অর্জিত যোগ্যতাই বা কী? তাদের বৈশিষ্ট্য কী? তাদের বিষয়ে স্পষ্ট করতে হবে, যারা সাদ্দামের বাহিনীতে (বাথ পার্টিতে) ছিল, বিশেষ করে যারা ছিল সাদ্দামের গোয়েন্দা বিভাগে। কোন অধিকারে তাদেরকে উম্মতে মুসলিমার নিয়ন্ত্রণে বসানো হয়েছে?


হে মুসলিম ও মুজাহিদ ভাইগণ! বিশেষ করে আফগানের ভাইয়েরা! ইমারাতে ইসলামিয়া তার আমীর, দায়িত্বশীল ও সেনাদের নিয়ে চৌদ্দ বছরেরও বেশি সময় ধরে, একমাত্র রবের ওপর ভরসা করে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে ক্রুসেডারদের হামলার প্রতিরোধ করে আসছে। 

তাদের দেয়া এমন অসংখ্য কোরবানীর পর নব্য খারেজীদের আবির্ভাব ঘটেছে, তাদেরকে কাফের বলার জন্যে!


বলে কী? তালেবান তাগুতের গোয়েন্দা দল! তাহলে বলো, আমেরিকার বিমানগুলো কেন তাদের গোয়েন্দাদের ওপর হামলা করবে? আমেরিকার গোয়েন্দা দল কী আমেরিকাকে মৃত্যুর ঘাটে নিয়ে যাবে? নিজেদেরকে লাঞ্ছনার শেষ দেখিয়ে ছাড়বে? তাগুত গোয়েন্দা দল কি মুরতাদ সরকারকে হত্যা করবে? আফগানিস্তানকে তাদের ফাসাদ থেকে মুক্ত করবে?


তাই আমি সতর্ক করছি, ইবরাহীম আল-বদরীর অপরাধগুলো জেনেও যারা তাকে বায়আত  দেবে; তারা তার এ সবকর্মে তার সমান সাহায্যকারী।


সে তাদের মতোই শরীয়তের বিচার-ফয়সালা থেকে পালানোর ব্যাপারে তাদের সঙ্গী। মুসলমানদেরকে তাকফীর করা, ক্রুসেডারদেরকে প্রতিহতকারী মুজাহিদদেরকে বিচ্ছিন্ন করা, তাদেরকে মিথ্যা অপবাদ দেয়া, মুজাহিদদের পূত স্ত্রীদেরকে কযফ তথা ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া, যারা শরীয়তের আলোকে বিচার-ফয়সালা করতে চায় তাঁদেরকে হত্যা করা, তাঁরা তাদের অনুগত না হলে তাঁদেরকে হত্যার হুমকি দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের সমান অংশীদার। তাদের অংশীদার তাদের সকল অপরাধে। বিচার দিনের জন্যে তারা যেন জবাব তৈরি করে রাখে।


সবশেষে, সকল প্রশংসা মহান রব্বুল আলামীনের। শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক আমাদের নেতা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি এর ওপর। তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবীদের ওপর। আস-সালামু আলাইকুম ও রহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু।



_শায়খ আইমান আয-যাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহ)

ইস্তিকামাহ্* (দৃঢ়চিত্ততা/মানসিক অবিচলতা)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্*, 

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্* রাব্বুল ‘আলামীনের জন্য।

 দরূদ ও সালাম অবতীর্ণ হোক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর সঙ্গী-সাথীদের উপর। 

ইবনুল কাইয়্যিমের রঃ মতে, কোন কাজ ইস্তিকামাহ্* তথা দৃঢ়চিত্ততা বা মানসিক অবিচলতার সাথে সম্পন্ন করতে চাইলে নিম্নোক্ত পাঁচটি শর্ত পূরণ করা জরুরীঃ 

[১] কাজটি হতে হবে কেবলমাত্র এবং শুধুমাত্র আল্লাহ্* রাব্বুল ‘আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে। আর এই বিষয়টি নিয়্যতের পরিশুদ্ধতার সাথে সম্পৃক্ত। এটিই হল “ইখ্*লাস” বা নিয়্যতের পরিশুদ্ধতা। 

[২] অর্জিত জ্ঞান (‘ইল্*ম) হবে কাজটির ভিত্তি। অর্থাৎ, জেনে ও বুঝে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। কারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে সম্পাদিত কর্ম মানুষের মানসিক নিশ্চয়তা বিধান করে। 

[৩] নির্ধারিত পদ্ধতি মেনেই ইবাদত করতে হবে। শব্দগত অর্থেই “ইবাদত” মানে হল “মেনে চলা”, “আনুগত্য করা” ইত্যাদি। আর তাই ইবাদত বা আনুগত্য করতে হবে ইবাদতের নির্ধারিত পদ্ধতির আনুগত্য করার মাধ্যমেই। [৪] কাজটি করতে হবে যথাসম্ভব সর্বোত্তমভাবে এবং আন্তরিকতার সহিত। ইবাদতে অনাগ্রহ বা অনীহা দুর্বল ঈমানের অন্যতম প্রধান লক্ষন। 

[৫] কোন কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে কাজটির আইনী বৈধতা আছে কিনা তাও বিবেচ্য বিষয়। আইনী বৈধতা নেই এমন কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। 

সুলুক (আচরন বা শিষ্টাচার) বিষয়ক অন্যান্য বিশেষজ্ঞগণ ইস্তিকামাহ্* (দৃঢ়চিত্ততা বা মানসিক অবিচলতা) অর্জনের ক্ষেত্রে আরো কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করার উপদেশ দিয়েছেনঃ 

[১] চূড়ান্ত পরিণতি তথা আখিরাতে বিচার দিবসের কথা ভেবে সদায় সতর্ক থাকাঃ পরকাল ভিত্তিক এই মানসিক সচেতনতার সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে যাতে করে তা মানুষকে বেশী বেশী সৎকর্মের ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলে। প্রতি মুহূর্তেই নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে যে একজন মানুষের মৃত্যুর সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায় তার আখিরাতের জীবন। 

একজন সালাফ [রাসূল (সা) এর পরবর্তী যুগে ইসলামের প্রথম দিকের তিনটি প্রজন্ম-সাহাবীগণ,তাবীঈগণ এবং তাবে-তাবেঈগণই হলেন সালাফ] বলেনঃ

“আপনি যদি জানেন যে আপনি সকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন তাহলে বিকালের অপেক্ষা করবেন না আর যদি জানেন যে বিকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন তাহলে পরবর্তী সকালের অপেক্ষা করবেন না।”

[২] অঙ্গীকার বা মুশারাতাহঃ একজন মানুষকে অঙ্গীকার করতে হবে যে তিনি দৃঢ় বা অবিচল হবেন এবং ইসলামের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে যথাসম্ভব সঠিক ও উত্তমভাবে কাজ করবেন। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আজকের দিনে অনেক মুসলমান এ ধরনের অঙ্গীকার করার ব্যাপারে বড়ই উদাসীন। 

[৩] উক্ত অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া বা মুজাহাদাহঃ কিছু সংখ্যক মুসলমান আছে যারা অঙ্গীকার করে কিন্তু সেই অঙ্গীকারকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে সচেষ্ট হয় না। 

[৪] নিয়মিতভাবে নিজের কাজকর্মের পর্যালোচনা তথা মুরাকাবাহঃ অঙ্গীকার বা প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়ে কখনই কোন মিথ্যা অজুহাত দাঁড় করিয়ে আত্মপ্রসাদে ভোগা চলবে না। এক্ষেত্রে নিজের প্রতি সৎ হতে হবে। 

[৫] নিজের কাছেই জবাবদিহি করা বা মুহাসাবাহঃ এ ধাপটি দু’বার প্রয়োগ করতে হবে। 

প্রথমত,কোন কিছু শুরু করার আগে নিশ্চিত করতে হবে এ কাজে আল্লাহ্* রাব্বুল ‘আলামীন খুশি হবেন কিনা অর্থাৎ কাজটা আল্লাহ্*র ওয়াস্তে করা হচ্ছে কিনা। এক্ষেত্রে এটা উপলব্ধি করা খুবই জরুরী যে কাজটি আল্লাহ্* রাব্বুল ‘আলামীন তথা ইসলামের নির্ধারিত নিয়ম মেনেই করতে হবে। 

দ্বিতীয়ত, কাজটি শেষ হওয়ার পর ভুল-ত্রুটি যাচাই করে দেখা,যে উদ্দেশ্য করা হয়েছে সেটা অর্জিত হয়েছে কিনা তা বিচার করা। যেটুকু সাফল্য পাওয়া গেছে তাতে সন্তুষ্ট না থেকে আরো ভাল করা যেত কিনা সেটা খতিয়ে দেখা। 

[৬] কাজটি সম্পন্ন হলে নিখুঁতভাবে করতে না পারার জন্য নিজেকে দোষারোপ করাঃ ভবিষ্যতে আরো ভালো করার প্রত্যয়ে আত্ম-নিন্দাকে একটি ইতিবাচক গুণ হিসেবে নেয়া যায়। এমনটি করতে পারলে তা আমাদের কর্ম সম্পাদনের দক্ষতা উন্নতির জন্য পরবর্তীতে নিয়মিতভাবে আরও অঙ্গীকার করার সুযোগ করে দেবে। 

[৭] উন্নতির জন্য ঐকান্তিক প্রচেষ্টা বা তাহসিনঃ আমরা প্রত্যহ যে কাজগুলো করি যেমনঃ দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড,মহৎ কাজ,ইবাদত ইত্যাদি প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আমাদেরকে উন্নতি সাধনের জন্য চেষ্টা করতে হবে। 

[৮] আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীনের প্রতি বিনয়ী হওয়াঃ আল্লাহ্* রাব্বুল আলামীনের ক্ষমা, নির্দেশনা ও সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে; বুঝতে হবে তিনি ব্যতীত উৎকৃষ্ট, নিখুঁত এবং মহান আর কেউ নেই। উপরোক্ত শর্ত/ধাপগুলো দুনিয়াবী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ইবাদত এবং অন্যান্য ধর্মীয় ভাল কাজে প্রয়োগযোগ্য মনে করতে হবে। সূত্রঃ ইমাম নাওয়াবি (রাহিমাহুল্লাহ্*) এর ৪০ টি হাদিসের এর একটি ব্যাখ্যা।


ডকুমেন্ট সোর্সঃ একিউ

মরুর সিংহ খ্যাত শহীদ উমর মুখতার রহিমাহুল্লাহ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

ওমর ইবনে মুখতার ইবনে ওমর আল মানফী (রহ.) ১৮৫৮ ঈসায়ী “বারকার” অন্তর্বতী জাবালে আখাদ্বারে” অবস্থিত বুত্বনান এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পরিপূর্ণ ধর্মীয় পরিবেশে বেড়ে উঠেন । তিনি ছিলেন খুবই আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন ব্যক্তি এবং কোরআন সুন্নাহর আদর্শে আদর্শবান।


শৈশবেই তিনি পিতৃহারা হন। হজ্জের সফরে তাঁর পিতার মৃত্যু হয়েছিল। পিতার মৃত্যুর পর শাইখ হুসাইন আল গারইয়ানীর তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত হন তিনি। নিজ মেধা ও বিচক্ষণতায় শৈশবেই সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। তাঁর মেধার কারণে জাগবুব কলেজের শিক্ষক মণ্ডলী তাকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। তিনি জাগবুব কলেজে আট বছর পড়াশোনা করে উস্তাদদের কাছ থেকে শরিয়তের বিভিন্ন ইলম অর্জনে নিজেকে সিক্ত ও পরিতৃপ্ত করেন।

 

তিনি ছিলেন মাঝারী উচ্চতা ও ঘন দাড়ি বিশিষ্ট। তাঁর ঠোটে সর্বদা মুচকি হাঁসি লেগে থাকতো। চেহারায় ছিল গাম্ভীর্যের ছাপ। তাঁর কথা ছিল খুবই ভারসাম্যপূর্ণ-আবেগময় যা শুনতে মানুষ কখনো বিরক্তিবোধ করতো না। তাঁর কথায় আঞ্চলিক টান ছিল। আওয়াজ ছিল খুব উঁচু ও স্পষ্ট।

 

২৯ সেপ্টেম্বর ১৯১১ ঈসায়ী ইতালি লিবিয়া দখল করতে তাদের নৌবাহিনী প্রেরণ করে। শহীদ ওমর মুখতার (রহ.) তাদের প্রতিরোধ করতে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করেন। একের পর এক গেরিলা হামলা চালিয়ে তাদেরকে নাজেহাল করে ছাড়েন। ফলে তিনি ইতালির মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। তাদের পত্রিকাগুলোতে জোরেশোরে তাঁকে নিয়ে লেখালেখি শুরু হয়। ইতিমধ্যে ওমর মুখতার ও তাঁর সহযোদ্ধাদের হাতে ধারাবাহিক পরাজয়ের ফলে চারজন ইতালীয় শাসকের ক্ষমতার পালাবদল হয়। ফলে ওমর মুখতার (রহ.) ইতালিয়ানদের দুঃস্বপ্নে পরিণত হন।

 

এদিকে ওমর মুখতারের একের পর এক বিজয়ে ইউরোপে ইতালীয়দের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তাই, ওমর মুখতার ও তাঁর সঙ্গীদের রুখতে ফ্যাসিস্ট মসোলিনী নিজেই এগিয়ে আসে।

সে  যুদ্ধাপরাধী গ্ৰাজিয়ানিকে লিবিয়া অভিমুখে প্রেরণ করে। সে সেখানে এমন সব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে থাকে যার নজির তৎকালীন বিশ্বে ছিল না। সে মিসর-লিবিয়া সীমান্তে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ  কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে, যেন মিশর থেকে লিবিয়ার মুজাহিদদের কাছে কোন সাহায্য আসতে না পারে। এমন পরিস্থিতিতে শহীদ ওমর মুখতার (রহ.) বাকী মুজাহিদগণকে নিয়ে লিবিয়ার উত্তপ্ত মরুভূমিতে ঘাঁটি স্থাপন করেন । তাঁদেরকে ধাওয়া করতে আসা আগ্ৰাসী বাহিনীর জন্য মরুভূমিকে মরণ ফাঁদে পরিণত করা হয়। ফলে লিবিয়া ভূখণ্ড ইতালীয়দের জন্য অগ্নিশিখার রূপ ধারণ করে।

 

শহীদ ওমর মুখতার (রহ.) নিজের জীবনের সময়টাকে দুইভাগে ভাগ করে নিয়েছিলেন। তিনি দিনের বেলা জিহাদ করতেন আর রাতের বেলা ইবাদত বন্দেগীতে কাটিয়ে দিতেন। প্রচণ্ড যুদ্ধের দিনগুলোতেও প্রতি সপ্তাহে তিনি একবার কোরআন শরীফ খতম করতেন। সাধারণত দৈনিক মাত্র দুই বা তিন ঘন্টা ঘুমাতেন।

একদিন হযরত ওমর মুখতার ঘোড়ায় চড়ে মরুভূমিতে পথ চলছিলেন। এমতাবস্থায় তাঁর উপর আক্রমণ করা হয়। তাঁর ঘোড়া আহত হয়। তিনি মরুভূমির উত্তপ্ত বালির উপর ছিটকে পড়েন এবং গুরুতরভাবে আহত হন। হামাগুড়ি দিয়ে একটু একটু করে সামনে অগ্ৰসর হতে থাকেন। এবং এক জনবসতিতে পৌঁছাতে সক্ষম হন।

 

১১ সেপ্টেম্বর ১৯৩১ ঈসায়ী, শহীদ ওমর মুখতার (রহ.) লিবিয়ার উপকূলে একটি এলাকায় অবস্থা করছিলেন। সে সময় ইতালীয়রা তাঁকে অবরোধ করে ফেলে এবং বন্দী করে।

১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৩১ ঈসায়ী, সন্ধ্যা পাঁচটার সময় মিথ্যা অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তড়িঘড়ি করে তাঁর  ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ের পূর্বেই ইতালীয় সৈন্যরা ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে রেখেছিল। রায় ঘোষণার পরের দিন ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৩১ ঈসায়ী, বুধবার সকালের মধ্যে ফাঁসির রায় কার্যকর করার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়। এই লক্ষ্যে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর সকল সদস্য এবং দেশের সকল কয়েদি ও হাজতির পাশাপাশি আরো বিশ‌ হাজার অধিবাসীকে ফাঁসির মঞ্চের চারপাশে জড়ো করা হয়।

১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৩১ ঈসায়ী, সকাল ৯টার সময় হাতে বেড়ি পড়া অবস্থায় ওমর ইবনে মুখতারকে জল্লাদের হাতে সোপর্দ করা হয়। ফাঁসির মঞ্চে উঠানোর পর আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে জঙ্গি বিমান মহড়া দিতে থাকে।  শহীদ ওমর মুখতার (রহ.) এর কাছাকাছি যারা ছিলেন তাদের অনেকে বলেছেন,

ফাঁসির মঞ্চে উঠানোর পর  তিনি মৃদু আওয়াজে নামাজের আযানের মতো আযান দিচ্ছিলেন।” আবার অনেকে বলেছেন, তিনি বিড়বিড় করে কোরআনের সূরা ফজরের শেষ আয়াতগুলো পড়তেছিলেন-

يا أليتها النفس المطلمئنة. ارجعى الى ربك راضية مرضية. فادخلى في عبادى. وادخلى جنتى.

“হে  পবিত্র আত্মা! তুমি তোমার রবের নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তুর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং প্রবেশ কর আমার জান্নাতে। (সূরা আল ফজর)

সর্বশেষ , কালিমা শাহাদাত পড়তে পড়তে শাহাদাত বরণ করেন।

اشهد أن لا اله الا الله و اشهد ان محمدا عبده و رسوله

 

তাঁর জীবনের কিছু দিক

 

শহীদ ওমর মুখতার (রহ.) সম্পর্কে বর্ণিত আছে- তিনি  এক কাফেলার সাথে বনের মধ্য দিয়ে সুদান যাচ্ছিলেন। কাফেলার  একজন কাছাকাছি একটি ক্ষুধার্ত সিংহ থাকার বিষয় নিশ্চিত করে। কাফেলার লোকজন প্রস্তাব করল যে, এটির হামলা থেকে বাঁচতে এর সামনে একটি উট ছেড়ে দেয়া হোক। এতেই সিংহ সন্তুষ্ট হয়ে যাবে। ওমর মুখতার তাদের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বললেন- দুর্বলের পক্ষ থেকে সবলকে ঘোষ দেয়ার প্রথা মানবসমাজে বাতিল করা হয়েছে। সুতরাং একটি হিংস্র প্রাণীর ক্ষেত্রে এটি কী করে বৈধ হতে পারে!!

ওমর মুখতার বললেন, আল্লাহর কসম! এতে লাঞ্চনা ও অপমানের গন্ধ রয়েছে।  আল্লাহর কসম! এটি যদি আমাদের উপর আক্রমণ করতে আসে, তাহলে তলোয়ারের আঘাতে একে দ্বিখণ্ডিত করা হবে। এর সামান্য পর আচমকা  সিংহটি  সামনে এসে আক্রমণ করতে উদ্যত হল।  ওমর বিন মুখতারও প্রস্তুত ছিলেন। তিনি তরবারি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। সুকৌশলে তিনি এটিকে হত্যা করলেন। অন্যান্য কাফেলাকে দেখানোর জন্য এর চামড়া উঁচুতে ঝুলিয়ে তারপর আবার যাত্রা শুরু করলেন।

পরবর্তীতে যখনই এ ঘটনাটি  তাকে বলা হতো, তখন তিনি বলতেন-

وما رميت اذ رميت ولكن الله رمى…

যখন তুমি নিক্ষেপ করতে চেয়েছিলে, তখন কিন্তু তুমি নিক্ষেপ করনি। বরং আল্লাহ তা’আলাই নিক্ষেপ করেছেন। (সূরা আনফাল)

তাঁর উপাধী:

শহীদ ওমর মুখতারের উপাধী ছিল-

শাইখুল মুজাহিদীন ,শাইখুশ শুহাদা এবং

আসাদুস সাহরা বা মরুর সিংহ।






ডকুমেন্ট সোর্সঃ AQ