এক ভাই প্রশ্ন করেছেন,
"বর্তমানের কসমোলজিস্টরা হিন্দু কসমোলজির এতো প্রসংসা করে কেন(?) ,আর গুরুদের সাথে সাইন্টিস্টদের এতো ভালো সম্পর্ক কেন!"
শুধু হিন্দুত্ববাদী বৈদিক শাস্ত্রই না, ওরা বৌদ্ধধর্মকেও এস্ট্রোফিজিক্সে র আইডিয়াল স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে দেখে। কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর প্রায় পুরোটাই হিন্দু শাস্ত্র থেকে নেওয়া। এর কারন কি?
কারন কোনদিনই কেউ বুঝবে না যদি সে অকাল্ট ফিলসফি/ মিস্টিসিজম এর ব্যপারে কিছুই না জানে। আর সে যদি না জানে এই সায়েন্সের অরিজিন কি, কি ছিল আর কি হয়েছে তাহলেও বুঝতে পারবে না।
হিন্দু পৌত্তলিকতা আসলে পূর্বাঞ্চলীয় রহস্যবাদের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা পৌত্তলিকতার ধর্ম। মক্কায় ইসলাম অবতীর্ণ হবার সময় পূর্ব অবস্থাকে দ্য ম্যাসেজ ফিল্মে দেখানো হয়। সেখানে কোন এক বিদ্বান পৌত্তলিককে মূর্তি পূজার কারন জিজ্ঞেসা করলে সে উত্তরে বলে, আমরা আসলে একটা প্রতীকি রূপ দিয়ে পূজা করি যা শক্তির আধার।
একই ধারনা ভারতীয় মুশরিকদের। নিন্ম বর্নের নমঃশূদ্ররা হয়ত বিভিন্ন মূর্তিদেরকে কোনরূপ পার্সোনিফিকেশন ছাড়াই পূজা করে, কিন্তু একটু জ্ঞানী শিক্ষিত মুশরিকরা মূর্তিদেরকে পার্সোনিফাইড ন্যাচারাল ফোর্সেস বা 'ল হিসেবে দেখে। একই দৃষ্টিভঙ্গি বিজ্ঞানীদেরও ওদের কস্মোজেনেসিসে(স ৃষ্টিতত্ত্বে) ব্রহ্ম, বিষ্ণু,শিবের ভূমিকা আরো উচু স্তরের কুফরি আকিদার বার্তারই এক্সোটেরিক রিলিজিয়াস ভার্সন। যখন বিষ্ণু ঘুমিয়ে পড়ে, তার নাভি দিয়ে ব্রহ্মার জন্ম হয়। বিষ্ণুর স্বপ্নীল মায়াজালই হচ্ছে আমাদের রিয়ালিটি। আর যখন বিষ্ণুর ঘুম ভাঙ্গে, তার স্বপ্নও ভাঙ্গে, আমাদের ইউনিভার্সও ধ্বংস হয় শিবের ধ্বংস নৃত্যে। আবারো ব্রহ্মা আসে সৃষ্টির পুনঃজন্মের জন্য, এভাবেই অনন্তকাল চলতে থাকবে(ইনফিনিট লুপ)। ফিজিসিস্টগন মেটাফোরিক্যাল অকাল্ট মিনিংটাই নিয়েছেন। তারা লার্জ হাইড্রন কোলাইডারে পার্টিকেলকে ভাঙতে ভাঙ্গতে শেষ সীমানায় নিয়ে যান, এই উদ্দেশ্যে যে তারা হয়ত ব্রহ্মাকে পাবে, যে পুনঃসৃষ্টির কাজ করবে। এজন্যই শিবমূর্তিকে রিসার্চ ল্যাবের সামনে সসম্মানে রাখা আছে। তারা শিব-ব্রহ্মার ইন্ট্যার্যাকশ্ যন মাইক্রোস্কোপিক এবং ম্যাক্রোস্কোপিক উভয় পার্স্পেক্টিভেই দেখেন।
এই অকাল্ট কস্মোজেনেসিস একেক ট্রেডিশনে একেকরকম। প্রাচীন ইজিপ্ট/গ্রীক/ ব্যবিলন সব জায়গায় একই রকম ছিল ভিন্ন ভিন্ন কন্টেক্সট আর সেটিংএ। হিন্দু ধর্মের এসব এসোটেরিক ম্যাসেজ অনেক পুরাতন আর কালারফুল,কনভিন্ সিং। অর্থাৎ সায়েন্স তথা ন্যাচারাল ফিলসফি যে ম্যাসেজ ক্যারি করে সেটা হিন্দুধর্মে অক্ষত অবস্থায় বিদ্যমান। এজন্য বিজ্ঞানীদের কাছে ইস্টার্ন মিস্টিসিজম এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট কিতাবাদি বাইবেলস্বরূপ। হিন্দুত্ববাদ-বৌ দ্ধ ইত্যাদি আস্তিক নাস্তিক স্কুল অব থট দর্শন ছাড়া কিছুই নয়। আরো অনেক দর্শনের শ্রেণীবিভাগ ছিল সেসবের অনেকগুলোই কালের পরিক্রমায় হারিয়ে গেছে। বিশেষিকা ট্রেডিশান তো অনু পরমানু পরমমহান পরমআত্মা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলত। সেসব অবশ্য হিন্দু স্ক্রিপচারগুলোয় ও আছে। সুতরাং মূল বিষয় হচ্ছে একটা মিস্ট্রি স্কুল(Science) যদি অন্য আরেক প্রাচীন মিস্ট্রি স্কুলের প্রতি বিমুগ্ধতায় ভোগে তাহলে এতে খুব বেশি বিস্মিত হবার কিছু দেখি না। মিস্টিসিজম স্যাটানিক চ্যান্টিং ছাড়া আর কিছু না। এখানে যা আছে সেটা হচ্ছে ইব্রাহীমের(আঃ) দ্বীনের সবকিছুর বিপরীত কুফরভিত্তিক বিকল্পপথ। কস্মোলজি থেকে শুরু করে সবকিছুরই এক্সপ্ল্যানেশন আর অলটারনেটিভ অরিজিন আছে। এস্ট্রোলজিক্যাল নলেজ হচ্ছে এমন একটি মিস্টিক্যাল সায়েন্স যেটা সকল অকাল্ট ফিলসফিরই কোর টেনেট। হিন্দুত্ববাদ সম্পূর্ণভাবে এর উপর নির্ভরশীল। অথচ আমাদের আব্রাহামিক[আদম- মুহম্মদ(স)] রিলিজিয়াস ট্রেডিশনে এটা শয়তানি কাজ এবং নিষিদ্ধ যাদুবিদ্যারই শাখা।
অর্থাৎ একটা স্রোত গিয়েছে একত্ববাদের দিকে। আরেকটা স্রোত গিয়েছে বহুত্ববাদী পৌত্তলিকতার দিকে। এই পলিথেইস্টিক স্ট্রিমে পৌত্তলিকতা থেকে শুরু করে প্রকৃতিপূজা, আত্মপূজা, শয়তানের পূজা সবকিছু একাকার হয়ে আছে। ইসলামের মাঝে যারা সেই একই মিস্টিক্যাল কুফরি আকিদা ইসলামাইজ করে ঢুকিয়েছে এরা হচ্ছে শিয়া এবং সুফিরা। আজকের পীরদের অধিকাংশই মালাউন। কিন্তু অন্ধ অনুসারীদের অধিকাংশকে তাকফির করা যায় না। সবচেয়ে বড় আইরোনিক্যাল ব্যপার হচ্ছে সহীহ আকিদার দাবিদার প্রায় সবাই কোন না কোন ভাবে মেইনস্ট্রিম স্যাটানিক অলটারনেটিভ কস্মোলজি এবং কস্মোজেনেসিসে বিশ্বাসী। এদের মধ্যে আবার কতক উচ্চ শিক্ষিত। এদেরকে দেখলেই সবচেয়ে বেশি বিচলিত হই। এদের মধ্যে অনেক বড় বড় দাঈ আছেন যারা এসবই ইসলামাইজ করে কিতাব প্রকাশ করেন। তাদের কাছে কোন ব্যাখ্যাই নেই যে কেন এরকম করছে। হয়ত ইগো এখানে অনেক বড় একটা ব্যপার। ওয়া আল্লাহু আ'লাম।
"বর্তমানের কসমোলজিস্টরা হিন্দু কসমোলজির এতো প্রসংসা করে কেন(?) ,আর গুরুদের সাথে সাইন্টিস্টদের এতো ভালো সম্পর্ক কেন!"
শুধু হিন্দুত্ববাদী বৈদিক শাস্ত্রই না, ওরা বৌদ্ধধর্মকেও এস্ট্রোফিজিক্সে
কারন কোনদিনই কেউ বুঝবে না যদি সে অকাল্ট ফিলসফি/
হিন্দু পৌত্তলিকতা আসলে পূর্বাঞ্চলীয় রহস্যবাদের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা পৌত্তলিকতার ধর্ম। মক্কায় ইসলাম অবতীর্ণ হবার সময় পূর্ব অবস্থাকে দ্য ম্যাসেজ ফিল্মে দেখানো হয়। সেখানে কোন এক বিদ্বান পৌত্তলিককে মূর্তি পূজার কারন জিজ্ঞেসা করলে সে উত্তরে বলে, আমরা আসলে একটা প্রতীকি রূপ দিয়ে পূজা করি যা শক্তির আধার।
একই ধারনা ভারতীয় মুশরিকদের। নিন্ম বর্নের নমঃশূদ্ররা হয়ত বিভিন্ন মূর্তিদেরকে কোনরূপ পার্সোনিফিকেশন ছাড়াই পূজা করে, কিন্তু একটু জ্ঞানী শিক্ষিত মুশরিকরা মূর্তিদেরকে পার্সোনিফাইড ন্যাচারাল ফোর্সেস বা 'ল হিসেবে দেখে। একই দৃষ্টিভঙ্গি বিজ্ঞানীদেরও ওদের কস্মোজেনেসিসে(স
এই অকাল্ট কস্মোজেনেসিস একেক ট্রেডিশনে একেকরকম। প্রাচীন ইজিপ্ট/গ্রীক/
অর্থাৎ একটা স্রোত গিয়েছে একত্ববাদের দিকে। আরেকটা স্রোত গিয়েছে বহুত্ববাদী পৌত্তলিকতার দিকে। এই পলিথেইস্টিক স্ট্রিমে পৌত্তলিকতা থেকে শুরু করে প্রকৃতিপূজা, আত্মপূজা, শয়তানের পূজা সবকিছু একাকার হয়ে আছে। ইসলামের মাঝে যারা সেই একই মিস্টিক্যাল কুফরি আকিদা ইসলামাইজ করে ঢুকিয়েছে এরা হচ্ছে শিয়া এবং সুফিরা। আজকের পীরদের অধিকাংশই মালাউন। কিন্তু অন্ধ অনুসারীদের অধিকাংশকে তাকফির করা যায় না। সবচেয়ে বড় আইরোনিক্যাল ব্যপার হচ্ছে সহীহ আকিদার দাবিদার প্রায় সবাই কোন না কোন ভাবে মেইনস্ট্রিম স্যাটানিক অলটারনেটিভ কস্মোলজি এবং কস্মোজেনেসিসে বিশ্বাসী। এদের মধ্যে আবার কতক উচ্চ শিক্ষিত। এদেরকে দেখলেই সবচেয়ে বেশি বিচলিত হই। এদের মধ্যে অনেক বড় বড় দাঈ আছেন যারা এসবই ইসলামাইজ করে কিতাব প্রকাশ করেন। তাদের কাছে কোন ব্যাখ্যাই নেই যে কেন এরকম করছে। হয়ত ইগো এখানে অনেক বড় একটা ব্যপার। ওয়া আল্লাহু আ'লাম।
0 Comments:
Post a Comment