রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতার যে প্রক্রিয়া চলছে এটা মূলত কুফরি মানবরচিত সংবিধানেরই আসল রূপ। এটা এমন একটা সংবিধান যেখানে প্রণেতা ইচ্ছা করলো একটা আইন তৈরি করলো, আবার মন চাইলো, একটা আইন বাদ দিলো। এখানে নিকৃষ্ট কুকর্মকেও নীতিসিদ্ধ করা যায় আবার ভাল কাজকেও নিষিদ্ধ করা যায়।
আজ যারা রাষ্ট্রধর্ম সংবিধান থেকে বাদ দেয়ার ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদ করছে তারা এরকম প্রতিবাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মানবরচিত কুফরি সংবিধানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করছে।ব্যপারটা এরকম-'যতদিন কুফরি সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ছিল ততদিন কুফরি সংবিধানের অনুগত ছিলাম,এখন সরকারের এই সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানাচ্ছি, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখুন তাহলে আবারো কুফরি কন্সটিটিউশানের অনুগত হয়ে থাকব।'
এরকম চিন্তাধারা কতটা নির্বুদ্ধিতার সেটা একটা উদাহরণে স্পষ্ট হয়ঃ ধরুন, মদের বোতলে যদি বিসমিল্লাহ্ কিংবা হালাল শব্দ লেখা থাকে এবং পরবর্তীতে মদ কোম্পানি সিদ্ধান্ত নেয় যে, ঐ হালাল বা বিসমিল্লাহ সিল বাদ দিয়ে দিবে, এতে মদ প্রস্তুরকারক কোম্পানি মূলত খারাপ কিছু করছেনা বরং এর দ্বারা মদের আসল পরিচয়ের ব্যপারে তৈরি করা মিথ্যা ইসলামাইজেশন এর ইল্যুশন তুলে ফেলছে।মদের বোতলে ইসলামিক টার্ম ব্যবহার করে যে অবমাননা করে আসছিল সেটাকে বন্ধ করতে যাচ্ছে। সুতরাং মুরতাদ মুরাদ টাকলাদের এরকম সিদ্ধান্ত বা কথার বিরুদ্ধে মিটিং মিছিল না করে তাগুতি সংবিধানের বিরুদ্ধে ই'দাদ গ্রহন সমীচীন এবং বুদ্ধিমানের কাজ। তারা কুফরি সংবিধান থেকে আল্লাহর নাম বাদ দিচ্ছে। ধরে নিন একদল যাদুকর কাফির তাদের কুফরি কালাম থেকে আল্লাহর নাম বাদ দিচ্ছে। ইতোপূর্বে সংবিধানের ১৫ তম সংশোধনীতে "আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের" স্থলে 'ধর্মনিরপেক্ষতা' মূলনীতি প্রতিস্থাপন করে। তারা বলছে এর মাধ্যমে তারা ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফেরত যাচ্ছে। এখানে প্রশ্ন আসে, পাকিস্তান এর বিরুদ্ধে ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধটি কি তাহলে ধর্মহীন রাষ্ট্র গঠনের জন্য হয়েছিল?? উত্তর পাবেন নিচে প্রদত্ত ভিডিওতে। আমি অনুরোধ করব সিরিজের সবগুলো ভিডিও দেখার জন্য।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার ইস্যুটি ক্ষমতাসীন তাগুত সরকারের ইসলামবিদ্বেষী সেন্টিমেন্ট থেকেই এসেছে। সুতরাং সকল দাঈ,আলিম এবং অনলাইনে ইসলামিক ভিডিও নির্মাতাদের উচিত ইস্যুটাকে তুলে ধরে তাগুতের ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাবকে তুলে ধরে এদেরকে হটানোর জন্য ই'দাদ ওয়াল জিহাদের জরুরত বুঝিয়ে দাওয়াহ অব্যাহত রাখা।