Wednesday, April 7, 2021

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন জ্ঞান যেটা

 দ্বীন ইসলামকে নিয়ে সর্বত্র করাপশন চলছে। প্রত্যেকেই যে যার মত করে কবি সাহিত্যিক আর দার্শনিকদের মত ইসলাম নিয়ে নিয়ে লিখছে। হাজারো বই ছাপছে, পত্রিকায় কলামিস্টরাও পিছিয়ে নেই,আর সোস্যাল নেটওয়ার্ক-ব্লগ-অনলাইনে তো আরো কঠিন অবস্থা!বিশেষত ফেসবুক!  এখানে একেকজন বিরাট শাইখুল ইসলাম। এখানে কেউ পশ্চিমা সভ্যতাকে বানাচ্ছে ইয়াজুজ-মাজুজ, কেউ বলছে আদম আলাইহিসালাম প্রথম মানুষ নয়, কেউ 'ট্রু ইসলাম' প্রিচ করছে হাদিসকে রিজেক্ট করে, নিজের হাতে দ্বীনের সমস্ত কার্যাবলী রচনা করে ট্রুথ সিকারদের আহব্বান করছে,কেউ বা প্রমান করছে ইসলামী শরীয়ত স্ট্যাবলিস বলতে শুধু হাতে গোনা কিছু ল প্রতিষ্ঠা বোঝায় আর যা কিছু নৈতিক তাই হালাল!!,  কেউ প্রচার করছে ছহীহ আকিদা যদিও কাফেরদের আনুগত্য ফরজ বলে এবং কাফেরদের সাথে আপোষে চলতে বলে, কেউ প্রমান করছে পীরদের এবং কবরকে সেজদা দেওয়া জায়েজ, তাবিজ কবচ হালাল, পীরের কাছে বায়াত ফরজ,কেউ বা কুরআন কে মহাবৈজ্ঞানিক বুক প্রামানে ব্যস্ত এবং দাবি করছে শয়তানের পূজক কথিত সাইন্টিস্টরা যা বলেছে সেসব কুরআনেও আল্লাহ বলেছেন....এরকম হাজারো মতাদর্শের প্রচার আর ছড়াছড়ি ফেসবুকে।  সবার হাতে ফেসবুক আসলে যা হয়। সবাই কিন্তু কুরআন ব্যবহার করেই বিচিত্র দর্শন প্রচার করছে। সবাই প্রমান হিসেবে  নানা কায়দায় আয়াত গুলোকে সাজিয়ে প্রমান করছে।দিনদিন এ ফিতনা প্রকট হচ্ছে। এমতাবস্থায় কিছু শ্রেনীর লোকরা ফেসবুক থেকে দ্বীনী ইলম তালাশ করতে গিয়ে ফাদে পড়ছে অথবা একরকমের এনিগমার মধ্যে পড়ছে।

একদম খালি মস্তকে দ্বীনী ইলম অর্জন করার জন্য ফেসবুক একদম খারাপ স্থান। কারন খালি ব্রেইনে যে যা ইচ্ছা প্রোগ্রাম ইন্সটল আনইন্সটল করে বিভ্রান্তিতে ফেলবে। আর বাতিলের দৌরাত্ম্যই বেশি। এজন্য বিশুদ্ধ তাওহীদের জ্ঞান অর্জন সবার আগে প্রয়োজন। কিয়ামত পর্যন্ত যে কোন কিছুর সত্য মিথ্যা পরখকরনে পরিপূর্ণ তাওহীদের উপর জ্ঞান সার্বজনীন শক্তিশালী মাপকাঠি। তার যত বাতিল পথ আছে কোনটিই তাওহীদের উপরে প্রতিষ্ঠিত নয়। আর সত্যিকারের একত্ববাদী হন,তাগুতকে বর্জন করে আল্লাহর উপর ইমান আনুন,  হাতে অস্ত্র থাকতে হবে না, মানুষ এমনিতেই জঙ্গী বলবে! বিগত অগণিত সভ্যতায়ও এরকমটিই ছিল। আর নবী রাসূলগনদের যুগে যুগে এজন্যই প্রেরন করা হয়েছে, যেন মানুষ তাগুত থেকে নিরাপদে থাকে এবং আল্লাহর ইবাদত করে[১]।

.

সুতরাং প্রত্যেকেরই ওইভাবে আল্লাহর কাছে আত্মসমার্পন করা উচিৎ যেভাবে সাহাবীগন নবী (সা) এর নির্দেশ মেনে করেছিলেন।

.

[১]وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولاً أَنِ اعْبُدُواْ اللّهَ وَاجْتَنِبُواْ الطَّاغُوتَ فَمِنْهُم مَّنْ هَدَى اللّهُ وَمِنْهُم مَّنْ حَقَّتْ عَلَيْهِ الضَّلالَةُ فَسِيرُواْ فِي الأَرْضِ فَانظُرُواْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذِّبِينَ

'আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং তাগুত থেকে নিরাপদ থাক। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে আল্লাহ হেদায়েত করেছেন এবং কিছু সংখ্যকের জন্যে বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে গেল। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ মিথ্যারোপকারীদের কিরূপ পরিণতি হয়েছে।'

4 Comments:

  1. জাযাকাল্লাহু খইরন

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওয়া আংতুম ফা জাঝাকুমুল্লাহু খইর

      Delete
  2. জাযাকাল্লাহ খাইরান 💖

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওয়া আংতুম ফা জাঝাকুমুল্লাহু খইর।

      Delete