Wednesday, October 30, 2019

১৩.বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান[আইজ্যাক নিউটন]

বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?
The Occult Origins of mainstream Physics and Astronomy

পর্ব-১৩





আইজ্যাক নিউটন(১৬৪২-১৭২৬):
আধুনিক বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তারকারী কিংবদন্তী যে ব্যক্তিটি, তিনি স্যার আইজ্যাক নিউটন। প্রথমেই স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, নিউটনের জীবদ্দশায় "বিজ্ঞান" শব্দটি ছিল না। তখন ছিল Natural Philosophy। এজন্য নিউটনের নামের পূর্বে "বিজ্ঞানী" শব্দযোগ কতটা সঠিক সেটা ভাববার অবকাশ আছে।


Sir Isaac Newton PRS (25 December 1642 – 20 March 1726/27[a]) was an Englishmathematician, physicist, astronomer,theologian, and author (described in his own day as a "natural philosopher") who is widely recognised as one of the most influential scientists of all time, and a key figure in thescientific revolution.(উইকিপিডিয়া)

তার আসল পরিচয় প্রকাশের পূর্বে আমাদের দেশের সাধারন লোকেদের তার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা উল্লেখের প্রয়োজন আছে।আমাদের দেশে নিউটনকে গ্রাম্য মূর্খ সমাজেও এত সম্মান করা হয় যে তার এ অমুসলিম নামটিও অনেক মুসলিমকে রাখতে দেখেছি। তার প্রতি সকলের এরূপ দৃষ্টিভঙ্গি যে নিউটনের কল্যাণেই বিজ্ঞানের এহেন অগ্রগতি, নিউটন যা করেছিল সবই খাটি পবিত্র বিজ্ঞান এবং এই জ্ঞান শিক্ষাতে কোন দোষ নেই। আমাদের দেশের জনৈক ব্যক্তি "প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ" নামের একটি বই প্রকাশ করেন। তার এ বইটি ইসলামিক কমিউনিটির মধ্যে চরম সুখ্যাতি লাভ করে। এমনকি চরমোনাই পীর ছাহেব পর্যন্ত তার বইটা পড়বার জন্য সকলকে উদাত্ত আহব্বান করে।
তিনি 'প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২" নামের বইতে নিউটনকে তাওহীদে বিশ্বাসী বা একেশ্বরবাদী সত্যিকারের খ্রিষ্টান বলে উল্লেখ করেন। নিউটনের প্রতি কাল্পনিক চরিত্র সাজিদের মাধ্যমে চরম ভক্তি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। এমনকি শেষের দিকে এও বলেন যে "নিউটনের ঈশ্বর-ধারণার সাথে আমাদের ধারনার খুব কম পার্থক্য রয়েছে"। লেখক নিউটনের ইলাহকে আল্লাহ বানিয়ে দিয়েছেন। এর পূর্বে একজন "খাঁটি খ্রিষ্টান" হিসেবেও উল্লেখ করেন। চলুন তার লেখাগুলো সরাসরি দেখা যাকঃ





প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদের লেখক শুরুতেই বলেছেন তার লেখার খণ্ডাংশ শিক্ষা,গবেষণা বা সচেতনতার উদ্দেশ্যে কোন ব্লগে প্রকাশ করা হলে তা কোন দোষনীয় কিছু হবে না। তিনি বলেনঃ

আমি তার লেখাকে গবেষণা এবং সচেতনতার জন্য প্রকাশ করছি, আশাকরি তিনি রাগান্বিত হবেন না। এবার মূল আলোচনায় আসা যাক। প্রথমেই বলে রাখি, নিউটন যাকে মা'বুদ বলেছেন তিনি Omnipresent, অর্থাৎ সর্বত্র বিরাজমান, সেটা অত্র বইয়ের কথিত প্রথম নীতিতে উল্লেখ করা কোটেশনে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে লেখক সাহেব এর অনুবাদে "Omnipresent" এর অর্থটি না উল্লেখ করে এড়িয়ে গেছেন। তিনি(আরিফ আজাদ) সম্ভবত ইসলামের আকিদার সাথে সাংঘর্ষিক কথাগুলো লুকিয়ে ইসলামের সাথে সংগত বিষয়গুলোকে রেখেছেন। নিউটনিয়ান ঈশ্বর সর্বত্রবিরাজমান। আল্লাহর অস্তিত্ব সর্বত্রবিরাজমান নয়। নিউটনিয়ান ঈশ্বরের সর্বত্রবিরাজমান ঈশ্বরের ধারনাটি পাওয়া যায় 'ভিন্ন রকমের' একত্ববাদে বিশ্বাসীদের মধ্যে। ভিন্নরকম কিরূপ!? সর্বব্যাপী বিরাজমান ঐ ঈশ্বরের বিশ্বাস এরকম যে সৃষ্টি ও স্রষ্টার অস্তিত্ব এক, অর্থাৎ Unity of existence।  আরবিতে বলা হয় ওয়াহদাতুল উজুদের আকিদা। একদম খুলে বললে আল ইত্তেহাদ। ইংরেজিতে যাকে pandeism,panentheism, panpsychism,pantheism অথবা monism(non dualism) বলে ডাকা হয়।এই আকিদা বা বিশ্বাস মুসলিম নামধারী যাদের মধ্যে পাওয়া যায়, তাদেরকে প্রশ্ন করে দেখুন তারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে কিনা, তারা ঈমানের গভীরতা প্রদর্শনে আল্লাহর প্রতি ইশকের আতিশয্যে বাঁশে চড়ে, অজ্ঞানও হয়ে দেখাবে। অথচ এদের ধারণার মা'বুদ আর ইব্রাহীমের(আঃ) মা'বুদের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। এই "সর্বত্রবিরাজমান ঈশ্বরের" ধারণাটিকে খুজে পাওয়া যায় প্রত্যেক প্রাচীন অভিশপ্ত যাদুকরদের মাঝে,অভিশপ্ত দার্শনিকদের মাঝে, বিভিন্ন গুপ্ত সংগঠন বা বাতেনিয়্যাহদের মধ্যে, বিভিন্ন অকাল্ট(যাদু),মিস্টিক্যাল শাস্ত্রের মাঝে। সুফি বা পীরদের থেকে এই কুফরি ধারণা ওই একই বিশ্বাসগত স্রোতধারা থেকে চলে আসে। এখন প্রশ্ন আসে, তাহলে নিউটন কি যাদুকর ছিল বা যাদুবিদ্যার সাথে কোনরকম সম্পৃক্ততা ছিল?
জ্বি, তিনি শুধুমাত্র ন্যাচারাল ফিলসফারই ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন যাদুকর এবং সেই সাথে উচ্চপদস্থ ফ্রিম্যাসন বা রোজিক্রুশিয়ান(বাতেনিয়্যাহ বা গুপ্ত সংগঠন) সদস্য!! আজকে তাকে বিজ্ঞানী বলা হয় তার তত্ত্বগুলোকে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব বলা হয়, অথচ সেসব ছিল যাদুচর্চা থেকে উদ্ভুত বিভিন্ন নিষিদ্ধ বিদ্যার তত্ত্ব। একারনেই নিউটন একেশ্বরবাদের কথা বলেছেন যিনি কিনা সর্বত্রবিরাজমান। মাসূনীরা(freemason) "এক ঈশ্বরের" কথা বলে যাকে বলা হয় Great architect of the universe(GAOTU), তিনি এমনই এক ঈশ্বর, যাকে বোঝানো হয়  রা,বা'ল,বুদ্ধ,বিষ্ণু,কৃষ্ণ,মসীহ যিশু, আল্লাহ এমনকি লুসিফার(শয়তান)। তাকে মাসূনীরা(ফ্রিম্যাসন) গোপনে Jahbulon শব্দ দিয়েও ডাকে। এখন দেখার বিষয় খ্রিষ্ট ধর্ম অধ্যয়ন করে জনাব নিউটন তার বাতেনিয়্যাহ ফের্কার ধারনা বা বিশ্বাসের সাথে সঙ্গতি আনয়নের উদ্দেশ্যে ত্রিতত্ত্ববাদকে বর্জন করেছেন কিনা। এজন্য তাকে  antitrinitarian বা Arian খ্রিষ্টান অথবা "খাঁটি খ্রিষ্টান" বলা ভুল, কারন তিনি খ্রিস্ট ধর্মের কিছু মৌলিক বিশ্বাসকে অস্বীকার করতেন, যেমন জ্বীন, শয়তানকে, আত্মাকে। এজন্য অনেক ইতিহাসবিদ ধর্মতত্ত্ববিদরা তাকে আদৌ খ্রিস্টানদের কোন শ্রেণীতে ফেলতে চান না। সর্বোপরি নিউটন বিবলিক্যাল কিতাবাদি অধ্যয়ন করেছেন খ্রিস্ট ধর্মে বিশ্বাসের বশে নয়, বরং কিছু গুপ্ত বা বাতেনি তথ্য গ্রহনের উদ্দেশ্যে। তিনি এজন্য শুধু বাইবেলই না কাব্বালাহ নিয়েও ব্যাপক পড়াশোনা করে। উদ্দেশ্য শুধুই গুপ্তঅধিবিদ্যা এবং সাজারাতুল খুলদের(শয়তানের প্রতিশ্রুতিঃঅনন্ত জীবন প্রদায়ী বৃক্ষের) সন্ধান। যেহেতু বাইবেল বা গস্পেল নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন,খ্রিষ্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং যেহেতু এটা প্রতিষ্ঠিত ও অধিক অনুসারীদের ধর্ম, এজন্য তার সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাসের স্বীকৃতি দেখে অনেকে খ্রিস্টধর্মের কাতারে ফেলে। অন্যদিকে তার আমরণ মাসূনী বা গুপ্ত সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা এবং যাদুচর্চার বিষয়গুলোকে অন্ধকারে ঢেকে রাখা হয়, যুক্তিবাদী বৈজ্ঞানিক পরিচয়ে প্রশ্ন ওঠার ভয়ে। এদিকে পরাজিত মনের এবং ওয়াহহানের রোগে রোগাক্রান্ত মুসলিম লেখকগণ নিষিদ্ধ অপবিদ্যা দ্বারা মোহাবিষ্ট হয়ে প্রতিনিয়ত যাদুশাস্ত্র থেকে আহরিত কুফরি তত্ত্ব গুলোকে ইসলামের সাথে সমন্বয় ঘটায়। এরা নিকৃষ্ট কুফফারদের মুখে ঈশ্বর বা মা'বুদের অস্তিত্বের স্বীকৃতি পেলেই দৌড়ঝাঁপ দিয়ে, কোন মা'বুদের কথা বলছে সে বাছবিচার ছাড়াই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে মুসলিমদের মধ্যে জ্ঞানহীন এবং বিচারশক্তিহীন সুবিশাল জনগোষ্ঠীকে চরম বিভ্রান্তি এবং গোমরাহির দিকে ধাবিত করে। ইতোপূর্বে আলোচ্য লেখকের মিচিও কাকু নামের জনৈক অপবিজ্ঞানীর কুফরি বিশ্বাসকে ইসলামাইজেশন নিয়ে লিখেছিলাম। সেটা কিছুকাল আনপাবলিশড অবস্থায় রাখি এই ভেবে যে, হয়ত তিনি ইখলাসের সাথে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার জন্যই কাজ করছিলেন, হয়ত এই ত্রুটি গুলো শোধরাবেন। কিন্তু পরবর্তী মালাউন নিউটনের আকিদাকে ইসলামাইজেশন করে বই প্রকাশ করায় খুব অবাক হই, অতঃপর আজ দেখছি এই ফিতনা আরো প্রকট আকার ধারন করেছে, এ সমস্ত অপবিজ্ঞানকে ইসলামাইজ করা ভ্রান্তিপূর্ন বই পড়ে প্রাক্টিসিং মুসলিমরাও বিভিন্ন সংশয়ে পড়ছেন, কেউ বা নাস্তিকই হয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় আগের সেই আনপাবলিশড আর্টিকেলটিকে পুনঃপ্রকাশের প্রয়োজনীয়তাবোধ করি[১]।

উপরে দেখতে পারছেন, জনাব আরিফ সাহেবের প্রকাশিত কিতাবে 'নিউটন আবার ইল্যুমিনাতির সদস্য নয়তো' প্রশ্ন তুলে কৌতুক করেছেন। আইরনিক্যাল ব্যপার হচ্ছে এই মহান দার্শনিক আইজ্যাক নিউটন একাধারে  মাসূনী(Freemason) এবং Rosicrucian! শুধু কি তাই(!), কাব্বালা এবং হার্মেটিক যাদুবিদ্যার একনিষ্ঠ অনুসারী এবং বাস্তবে এর চর্চাকারীও[২১]।এখন প্রশ্ন চলে আসে,ঐ লেখক কোন ঈশ্বরের বিশ্বাসের সাথে আল্লাহকে মিলিয়ে  সেদিকে দাওয়াত দিচ্ছেন!? নিউটনের দুটি গুপ্তসংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা; তার মতাদর্শ এবং ইব্রাহীমের দ্বীনের সাথে পার্থক্য দ্বার করায়। তাহলে উল্লিখিত কিতাব নিউটনের মাসূনী আকিদাকে ইসলামাইজ করে কোন উপাস্যের দিকে আহব্বান করছে!? সেই ম্যাসনিক বা রোজিক্রুশিয়ান গড!? The Great Architect Of The Universe!? ফ্রিম্যাসন সদস্যরা কি ইব্রাহীমের (আঃ) রবকে মা'বুদ বলে উপাসনা করে(?) নাকি ইসলামি পরিভাষার দাজ্জাল নামের আসন্ন সৃষ্টিকর্তা বা রুবুবিয়্যাতের দাবিকারী এক অভিশপ্ত স্বত্ত্বার উপাসনা করে!?
নিশ্চিতভাবে বলা যায় মাসূনী ও রোজিক্রশিয়ানদের উপাস্য এবং ইব্রাহীম(আ) এর উপাস্য এক নয়।

লেখক তো স্পষ্টভাবে লিখেছেন নিউটনের ঈশ্বরের আকিদা ও মুসলিমদের রবের ব্যপারে আকিদায় খুব একটা তফাৎ নেই! তাহলে তিনি ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে (ওয়া আল্লাহু আ'লাম) কোন রবের দিকে আহব্বান করেন!! মা'আযাল্লাহ!

উপরে 'ওয়াহহানের' ব্যাধিতে আক্রান্ত হবার কথা বলেছি, আপনি কি জানেন এই লোকগুলো শুধু ক্বিতালকে অপছন্দ করেই ক্ষান্ত নয়, এ যামানায় আল্লাহ আযযা ওয়া জালের সবচেয়ে প্রিয় বান্দাদেরকে সর্বনিকৃষ্ট সৃষ্টি হিসেবে দেখে। যে লেখকের কথা বলছি, তিনি ইমাম আনোয়ার আল আওলাকীদেরকে(রহিমাহুল্লাহু তা'য়ালা) কিলাবূন নার মনে করেন। ওয়াল্লাহি,একান্ত চরম মূর্খ না হলে এই দৃষ্টিভঙ্গি রহমানের পক্ষাবলম্বী কোন বান্দার হতে পারেনা, এই দৃষ্টিভঙ্গি সুস্পষ্টভাবে দাজ্জাল এবং তার অনুসারীদের। আমাদের কাছে স্পষ্ট যে তার লেখাগুলো অমার্জনীয় ভ্রান্তিতে পরিপূর্ণ এবং সবকিছু কেমন যেন নিউটনিয়ান ঈশ্বরের দিকেই চলে যায়।যাইহোক, আমরা জানি না তার বা তার সমমনাদের অন্তরে কি আছে না আছে। আমরা জানিনা তারা এসব ভ্রান্তি intentionally করছেন নাকি অনিচ্ছাকৃতভাবেই করছেন। আমরা জানি না, এ সকল দাঈ'গন উম্মাহর মধ্যে ইচ্ছে করেই মু'তাযিলা কাদারিয়া আকিদার বীজ বপন করছে নাকি সম্পূর্ণ  অনিচ্ছাকৃতভাবে। আল্লাহ বলেন, إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ অর্থাৎ "তিনি তো অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক অবগত"। সুতরাং, আমরা শুধুমাত্র এই অপবৈজ্ঞানিক ফিতনার ব্যপারে উম্মাহকে যার যার অবস্থান থেকে সতর্ক করতে পারি। যারা এইসব কুফরি আকিদা এবং নিষিদ্ধ অভিশপ্ত চিন্তাধারাকে ইসলামের সাথে সমন্বয় করছেন তাদেরকে সতর্ক এবং তাদের ভ্রান্তিগুলোকে প্রকাশ করতে পারি এবং ওইসব দাঈ ও আলিমরা যদি এগুলো অনিচ্ছাকৃতভাবে করেন, তাদের জন্য রহমানের কাছে দু'আ করতে পারি যেন তিনি তাদেরকে হক্কের দিকে পরিচালিত করেন।
আর যদি এসব কর্মকাণ্ড যদি ইচ্ছাকৃত হয় তবে আল্লাহ তাবারাকা তা'য়ালা যেন উম্মাহকে তাদের ফিতনাহ থেকে হেফাজত করেন এবং অবশ্যই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা উত্তম হিসাব গ্রহনকারী। এবার আসুন কথিত (অপ)বিজ্ঞানী নিউটনের ব্যপারে বিস্তারিত আলোচনায়।

নিউটনের আসল পরিচয় আমরা আজও জানি না। এগুলো আসলে প্রকাশ করলে বিজ্ঞানের origins ও rationality তে প্রশ্ন তৈরি হয়। এজন্য বিগত শতাব্দীকাল ধরে তার ব্যপারে সত্যকে আড়ালে রাখা হয়েছে। তার আসল পরিচয় খুব বেশি দিন হয়নি প্রকাশ হয়েছে।১৯৩৬ সালে নিউটনের লেখা অজস্র বই, কাগজ পত্র নিলামে ওঠে, জন মেনার্ড কিনস নামের এক ধনাঢ্য ব্রিটিশ ইকোনোমিস্ট সেসব জিনিসগুলোকে কিনে নেয়।
In 1936, a descendant offered the papers for sale at Sotheby's.[139] The collection was broken up and sold for a total of about £9,000.[140] John Maynard Keynes was one of about three dozen bidders who obtained part of the collection at auction. Keynes went on to reassemble an estimated half of Newton's collection of papers on alchemy before donating his collection to Cambridge University in 1946.[উইকিপিডিয়া]

 নিউটনের অধিকাংশ লেখাগুলোই ছিল দুর্বোধ্য কোডিং দ্বারা এনক্রিপ্ট করা।সেগুলো সাধারন মানুষের পাঠোদ্ধার সম্ভব না। যেগুলো সাধারন ভাষায় প্রকাশ করা তাও বিভিন্ন রূপক আর কাব্যিক ছন্দে লেখা। জন মেনার্ড প্রায় ৬ বছর ধরে নিউটনের লিখিত বিভিন্ন নিবন্ধ অনুচ্ছেদ গুলো পাঠোদ্ধারের চেষ্টা করে সফল হন। এতে নিউটনের আরেক রূপ বিশ্ববাসীর কাছে প্রকাশিত হয়। সেটা এই যে, উনি মোটেও বিজ্ঞানী বলতে যা বোঝায় তা ছিলেন না, বরং একজন খাটি অকাল্টিস্ট বা যাদুকর!
জন মেনার্ড কিন্স বলেনঃ "Newton was not the first of the age of reason: He was the last of the magicians."[উইকিপিডিয়া]

বিস্তারিতঃ https://wikipedia.org/wiki/Isaac_Newtons_occult_studies


একদম শৈশবে নিউটন পিতাকে হারায়, পিতার মৃত্যুর পর নিউটনের শিশুকালেই তার মা এক লোককে বিয়ে করে। মায়ের এ বিবাহ নিউটন একদমই মেনে নিতে পারেনি। তার মধ্যে মা ও তার সৎ পিতার প্রতি প্রচণ্ড ঘৃনা জন্মায়, কৈশোর বয়সে একবার তাদের উভয়কে আগুনে জ্বালিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিলেন বলে নিউটন স্বীকার করেন। নিউটন শিশুকাল থেকেই অন্তর্মুখী প্রকৃতির ছিলেন, শিশুকালেই তিনি সানডায়ালসহ বেশ কিছু জিনিসের ডিজাইন করে ফেলেন।

শিক্ষাজীবনে নিউটন একা একাই কাটান। গম্ভীর ভাবুক প্রকৃতির নিউটন খুব কমই ঘর থেকে বের হতেন,তার এক বন্ধু মাঝেমাঝে আসতো,তার সাথেও তেমন ঘনিষ্ঠতা ছিল না। নিউটন সারাক্ষণ ডুবে থাকতেন mysticism, esoteric philosophy নিয়ে। সেদিকেই তার আকর্ষণ।সারাদিন ঘরের এক কোণে বসে বিভিন্ন occult text(যাদুশাস্ত্র) নিয়ে অনুসন্ধান ছিল তার দৈনন্দিন কাজ।  তিনি প্রাচীন যাদুশাস্ত্র এবং ধর্মশাস্ত্র উভয় সংগ্রহ করতেন গুপ্তবিদ্যা অর্জনের জন্য। রেনেসাঁ পরবর্তী সময়ে যাদুশাস্ত্রের প্রতুলতার জন্য সেসব সংগ্রহে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি।
তিনি ভাবতেন বাইবেলের মধ্যেও কোন না কোন বাতেনি জ্ঞান থাকতে পারে। এজন্য দীর্ঘ একটা সময় বাইবেলের বিভিন্ন অনুবাদ নিয়ে গবেষণা করেন।এজন্য অনেক মানুষ তাকে ধর্মভীরু খ্রিষ্টান বানিয়ে ফেলেছে। শুধু বাইবেলই না, তিনি সোলাইমান(আ:) সিংহাসনের স্থানের ব্যপারেও অনেক গবেষণা করে, উদ্দেশ্য শুধুই কিছু অধিবিদ্যা অর্জন, কিছু বাতেনি বিদ্যা হাসিল, মিস্টিক্যাল ইনিসিয়েশন লাভ,আর যাদুকরদের চিরাচরিত উদ্দেশ্যঃ প্রকৃতির কার্যনীতির ব্যপারে জ্ঞান লাভ। এজন্য এমনকি প্রাচীন বহু প্যাগান মন্দিরের নির্মাণশৈলী, জ্যামিতিক নকশা নিয়েও গবেষণা করেছেন। উইকিপিডিয়াতেও এসেছেঃ
Newton spent a great deal of time trying to discover hidden messages within the Bible.

In addition to scripture, Newton also relied upon various ancient and contemporary sources while studying the temple. He believed that many ancient sources were endowed with sacred wisdom[6] and that theproportions of many of their temples were in themselves sacred. This belief would lead Newton to examine many architectural works of Hellenistic Greece, as well as Romansources such as Vitruvius, in a search for their occult knowledge.

Newton felt that just as the writings of ancient philosophers, scholars, and Biblical figures contained within them unknown sacred wisdom, the same was true of their architecture. He believed that these men had hidden their knowledge in a complex code of symbolic and mathematical language that, when deciphered, would reveal an unknown knowledge of how nature works.[উইকিপিডিয়া]

এজন্য কেউ যদি মনে করে, তিনি খ্রিষ্টান ধর্মের প্রতি অনুরাগ বা ভক্তির দরুন ধর্মশাস্ত্র নিয়ে গবেষণা করতেন, তবে নিঃসন্দেহে এরূপ ধারনাকারী ব্যক্তি নিতান্ত অজ্ঞ। ইহুদি রহস্যবাদ ও যাদুবিদ্যা কাব্বালাহ,
বায়তুল মুকাদ্দাস নিয়ে আগ্রহ তার কথিত খ্রিষ্টান পরিচয়কে প্রশ্নের মুখে ফেলে।

 নিউটনের হৃদয় বক্রতা ও কুফর দ্বারা পরিপূর্ন ছিল। তিনি প্রচলিত খ্রিষ্টান ধর্মকে সঠিক মনে করতেন না। তিনি ত্রিতত্ত্ববাদকে অগ্রহণযোগ্য মনে করতেন। তার ননট্রিনিটারিয়ান বিশ্বাস দেখে অনেক বায়োগ্রাফার, স্কলারগন মনে করতেন তিনি খ্রিষ্টান নন বরং Deist।  ডেইজম হচ্ছে এমন বিশ্বাস ব্যবস্থা যেখানে একজন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের স্বীকৃতি দেওয়া হয়, এরকমটা ধারনা করা হয় যে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন বটে কিন্তু এখন তিনি আসমান যমীনের নিয়ন্ত্রন করছেন না, তিনি দুনিয়ার সম্পর্কে এমনকি বেখবর(নাউজুবিল্লাহ), কিন্তু সমস্যা হচ্ছে নিউটনের ঈশ্বর সম্পর্কে আকিদা হলো, ঈশ্বর প্রতিনিয়ত পৃথিবীকে পরিচালনায় ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ(ডিভাইন ইন্টারভেনশান) করতেন। Leibniz কিছুটা আক্রমণ করেই নিউটনের ব্যপারে তার এক বন্ধুকে চিঠিতে লেখেঃ
"Sir Isaac Newton and his followers have also a very odd opinion concerning the work of God. According to their doctrine, God Almighty wants to wind up his watch from time to time: otherwise it would cease to move. He had not, it seems, sufficient foresight to make it a perpetual motion."[উইকিপিডিয়া]

নিউটন যতই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের কথা বলুক না কেন, ত্রিশ বছরে পা দেওয়ার সময় পর্যন্ত নিজেকে বাহ্যিকভাবে সমাজে খ্রিষ্টান পরিচয় দিলেও তিনি তার অন্তরের আসল বিশ্বাস কখনোই খোলাখুলি প্রকাশ করেন নি। আগে তাকে অনেকে একেশ্বরবাদী খ্রিষ্টান হিসেবে চিহ্নিত করত, কিন্তু সাম্প্রতিককালে তার আসল মুখোশ উন্মোচিত হলে heretic বলা হয়। তিনি খ্রিস্ট ধর্মের বিশ্বাস তো লালন করতেনই না, উপরন্তু ব্রুনো, গ্যালিলিওদের ন্যায়ই হেরেটিক ছিলেন। এ ধারনা খোদ ইতিহাসবিদরাই করেন। তিনি হয়ত কঠিন শাস্তির ভয়েই আসল বিশ্বাসকে প্রকাশ করেন নি। এজন্য তাকেও নিকোডেমাইটদের কাতারে ফেলা হয় যারা লাঞ্ছিত হবার ভয়ে বিশ্বাস ও চিন্তাধারাকে ঢেকে রাখে।
Although born into an Anglican family, by his thirties Newton held a Christian faith that, had it been made public, would not have been considered orthodox by mainstream Christianity;[113] in recent times he has been described as a heretic.

Like many contemporaries (e.g., Thomas Aikenhead) he lived with the threat of severe punishment if he had been open about his religious beliefs. Heresy was a crime that could have been punishable by the loss of all property and status or even death (see, e.g., the Blasphemy Act 1697). Because of his secrecy over his religious beliefs, Newton has been described as a Nicodemite.[9]

Historian Stephen D. Snobelen says, "Isaac Newton was a heretic. But ... he never made a public declaration of his private faith—which the orthodox would have deemed extremely radical. He hid his faith so well that scholars are still unravelling his personal beliefs."[114][উইকিপিডিয়া]

যারা তাকে ননট্রিনিটারিয়ান আরিয়ান খ্রিষ্টান বলে দাবি করত,তারা একদমই ভুল করেছে কেননা তিনি শয়তানের বা জ্বীনদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতেন না। তিনি খ্রিষ্টীয় অর্থোডক্স বিশ্বাসঃ আত্মার অমরত্বেও অবিশ্বাস করতেন।
As well as being antitrinitarian, Newton allegedly rejected the orthodox doctrines of the immortal soul,[9] a personal devil and literal demons.[9][উইকিপিডিয়া]

তিনি এক ঈশ্বরে বিশ্বাসের কথা বলেতেন। শোনা যায় তার এই বিশ্বাস কিছুদিন সর্বেশ্বরবাদী দার্শনিকদের বিপাকে ফেলে। কিন্তু তার ঈশ্বর monism এর ঈশ্বরের ধারনার অনুরূপ সর্বত্র বিদ্যমান(উপরে আগেই উল্লেখ করেছি)। নিউটনের সৃষ্টিকর্তার ব্যপারে বিখ্যাত উক্তি হচ্ছেঃ
"This most beautiful system of the sun, planets, and comets, could only proceed from the counsel and dominion of an intelligent Being. [...] This Being governs all things, not as the soul of the world, but as Lord over all; and on account of his dominion he is wont to be called "Lord God" παντοκρατωρ [pantokratōr], or "Universal Ruler". [...] The Supreme God is a Being eternal, infinite, [and] absolutely perfect"
Sir Isaac Newton

এখন প্রশ্ন আসে এই ইউনিভার্সাল শাসক কাকে বোঝানো হয়েছে! ইব্রাহীমের(আঃ) রব নাকি অন্য কেউ? এটা বুঝতে লেখার শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নিউটনের ধর্মতাত্ত্বিক লেখনী এবং বিবলিক্যাল কিতাবাদিতে অনুসন্ধান সংক্রান্ত সবকিছু ১৬৭০ থেকে ১৬৯০ এর মধ্যে সংঘটিত হয়।
Newton did not publish any of his works of biblical study during his lifetime.[3][58] All of Newton's writings on corruption in biblical scripture and the church took place after the late 1670s and prior to the middle of 1690.[উইকিপিডিয়া]

বাইবেল এর পাশাপাশি নিউটন আরো কিছুর মধ্যে ডুবে থাকতেন, তা হচ্ছে যাদুশাস্ত্র। তিনি হার্মেটিক, কাব্বালিস্টিক, পিথাগোরিয়ান-প্লেটনিক সমস্ত যাদুবিদ্যা সংক্রান্ত লেখনী নিয়ে গভীরভাবে ডুবে থাকেন। এরপরে শিক্ষাজীবনের একটা পর্যায়ে বাস্তব পর্যায়ে সরাসরি যাদুচর্চার দিকে হাটেন। তিনি হার্মেটিসিজমের অন্তর্ভুক্ত  আলকেমি চর্চাশুরু করেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে কোন ধরনের খ্রিষ্টান নিষিদ্ধ বিদ্যা নিয়ে পড়ে থাকে এবং যাদুচর্চায় মনোনিবেশ করে!? তিনি corpus hermeticum নিয়ে গভীর গবেষণা চালান। এমনকি হার্মেটিক শাস্ত্র অনুবাদ পর্যন্ত করেন(ডানের ছবিতে দ্রষ্টব্য)। আজ পর্যন্ত এ সংক্রান্ত অনেক শয়তানি যাদুশাস্ত্রের গবেষণা অপ্রকাশিত অবস্থায় আছে। উইকিপিডিয়ায় এসেছেঃ
Isaac Newton placed great faith in the concept of an unadulterated, pure, ancient doctrine, which he studied vigorously to aid his understanding of the physical world.[17]Many of Newton's manuscripts—most of which are still unpublished[17]—detail his thorough study of the Corpus Hermeticum, writings said to have been transmitted from ancient times, in which the secrets and techniques of influencing the stars and the forces of nature were revealed, i.e. As Above, So Below.[উইকিপিডিয়া]

নিউটনের সময় বিজ্ঞান ছিলই না, ছিল ন্যাচারাল ফিলসফি। আজকের কথিত র‍্যাশনাল বিজ্ঞানের জন্য নিউটন কাজ করতেন না বরং কাজ করতে যাদুবিদ্যা নিয়ে। তার মূল লক্ষ্যই ছিল প্রাচীন ব্যবিলনিয়ান কুফরি যাদুবিদ্যাকে পুনরুজ্জীবিত করা। উইকিপিডিয়াতে একই কথা এসেছেঃ
Newton's scientific work may have been of lesser personal importance to him, as he placed emphasis on rediscovering the occult wisdom of the ancients.


নিউটন ছিল একজন প্রসিদ্ধ আলকেমিস্ট। আলকেমির প্রতি তিনি এত বেশি মাত্রায় আবিষ্ট ছিলেন যে বলা যায়, তার লিখিত ১০ মিলিয়ন শব্দের ১ মিলিয়ন ছিল আলকেমির উপর। এর অধিকাংশই ছিল হার্মেটিক দর্শনকেন্দ্রিক এবং সেসব স্তরের পর স্তর allegory ও imagery দ্বারা ভরা দুর্বোধ্য বাক্য। একবার নিউটনের ব্যক্তিগত আলকেমির ল্যাবে আগুন লাগে, এতে করে তার অনেক অকাল্ট নলেজের ডকুমেন্টস নস্ট হয়ে যায়। নিউটনের মৃত্যুর সময় তার আলকেমির উপর করা কর্মগুলোকে প্রকাশের অযোগ্য ঘোষণা দিয়ে দীর্ঘকাল ঢেকে রাখা হয়। অবশিষ্ট টিকে থাকা প্রকাশযোগ্য নিউটনের আলকেমিকে কেমিস্ট্রি নাম দিয়ে ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। রহস্যের বিষয় হচ্ছে অধিকাংশ নিউটনের যাদুবিদ্যায় করা ডকুমেন্ট গুলো ইজরাইলে চলে গেছে!
Of an estimated ten million words of writing in Newton's papers, about one million deal with alchemy. Many of Newton's writings on alchemy are copies of other manuscripts, with his own annotations.[91] Alchemical texts mix artisanal knowledge with philosophical speculation, often hidden behind layers of wordplay, allegory, and imagery to protect craft secrets.[138] Some of the content contained in Newton's papers could have been considered heretical by the church.

Much of Newton's writing on alchemy may have been lost in a fire in his laboratory, so the true extent of his work in this area may have been larger than is currently known.

At the time of Newton's death this material was considered "unfit to publish" by Newton's estate, and consequently fell into obscurity until their somewhat sensational reemergence in 1936.[9]

All of Newton's known writings on alchemy are currently being put online in a project undertaken by Indiana University: "The Chymistry of Isaac Newton"[142] and summarised in a book.[উইকিপিডিয়া]

তার ওইসব কার্যক্রম এজন্যই প্রকাশ অযোগ্য বলা হয়েছিল, যাতে করে তার বিদ্যা ও বইপত্র সাধারন মানুষের হজমে অসুবিধা না হয়। অর্থাৎ উদাহরণস্বরূপ বিষকে উপাদেয় খাদ্য বলে জনগণের মধ্যে প্রবেশ করানোর প্রক্রিয়া বলা যায়। ভাল কোন লোকই যাদুকরদের থেকে জ্ঞান অর্জন করতে চাইবে না। এজন্য পরিচয় গোপন রাখার মধ্যে অভিশপ্ত কাফিররা কল্যান খুজে পেয়েছিল।

তার আলকেমির উপর গবেষণার মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য  ছিল সৃষ্টির সাবস্টেনশিয়াল পরিবর্তন অর্থাৎ সেই পরশ পাথরের অন্বেষণ যার দ্বারা লোহাকে স্বর্ণে রূপান্তর করা যায় এবং অপর উদ্দেশ্য ছিল শয়তানের দেওয়া সাজারাতুল খুলদের(tree of life) সেই প্রাচীন প্রতিশ্রুতিকে খুজে বেড়ানো, অনন্তজীবন প্রদায়ী অমৃতের(Elixir of life) অনুসন্ধান। সে তার জীবদ্দশায় চার্চের শাস্তির ভয়ে সব ধরনের নিষিদ্ধ বিদ্যাকে প্রকাশ করা থেকে দূরে রাখে।
Newton's writings suggest that one of the main goals of his alchemy may have been the discovery of the philosopher's stone (a material believed to turn base metals into gold), and perhaps to a lesser extent, the discovery of the highly coveted Elixir of Life.

Due to the threat of punishment and the potential scrutiny he feared from his peers within the scientific community, Newton may have deliberately left his work on alchemical subjects unpublished.(উইকিপিডিয়া)


অকাল্ট মিস্টিসিজম থেকে গৃহীত নিউটনিয়ান অকাল্ট বিদ্যা বা তত্ত্বকে পরবর্তীতে জ্ঞান বিজ্ঞানের মূল কেন্দ্রে পরিণত হয়।১৬৮৭ সালে তার প্রিন্সিপিয়া ম্যাথম্যাটিকা পূর্ন নামঃ 'প্রাকৃতিক দর্শনে গাণিতিক নীতি' প্রকাশিত হয়। এটা অপবিজ্ঞানের মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এটাই ক্ল্যাসিক্যাল নিউটনিয়ান মেকানিক্সের মূল ভিত্তি। এটাকে আজ সায়েন্টিফিক কিতাব ভাবা হতে পারে অথচ দেখছেন, বইয়ের নামেই ন্যাচারাল ফিলসফি উল্লেখ করা আছে!এই বইসহ তার সমস্ত তত্ত্বে যাদুশাস্ত্রের প্রত্যক্ষ প্রভাব আছে। তিনি মূলত যাদুবিদ্যারই বিভিন্ন নীতি তত্ত্বকে প্রকাশ করেন। অতঃপর তাকে বিজ্ঞান হিসেবে গ্রহন এবং মর্যাদা দেওয়া হয়। তিনি আসমানি বস্তুসমূহের সঞ্চালনের ব্যপারেও অদৃশ্য যাদুকরী শক্তির(gravity) অস্তিত্বে বিশ্বাস করতেন যার বলে সবকিছু সচল আছে ভাবতেন। অর্থাৎ সবকিছুই তার অকাল্ট ফিলসফি থেকে নিয়ে আসা।এই অকাল্ট বেজড প্রিন্সিপিয়া কিতাবে তিনি গতির সূত্র প্রকাশ করেন, যা আজ আমাদের প্রায় সকলেরই মুখস্ত।
It was Newton's conception of the universe based upon natural and rationally understandable laws that became one of the seeds for Enlightenment ideology.

His book Philosophiæ Naturalis Principia Mathematica(Mathematical Principles of Natural Philosophy), first published in 1687, laid the foundations of classical mechanics.

Many of the discoveries and mathematical formula found within Newton's Philosophiæ Naturalis Principia Mathematica can be linked, often very directly, to his occult and alchemical studies. Much of his research into the movement of heavenly bodies was influenced by his belief that there are invisible, occult forces at work in the orbits of celestial bodies.

The Principia was published on 5 July 1687 with encouragement and financial help fromEdmond Halley. In this work, Newton stated the three universal laws of motion.

As a spiritual man, and as an alchemist, Newton was determined that the motion of heavenly bodies was motivated by invisible forces, that natural phenomena were motivated by forces spiritual, not merely physical.[15]

Determining that many of Newton's acclaimed scientific discoveries were influenced by his research of the occult and obscure has not been the simplest of tasks. Newton did not always record his chemical experiments in the most transparent way. Alchemists were notorious for veiling their writings in impenetrable jargon, and Newton made matters even worse by inventing symbols and systems of his own. That is part of the reason why, despite Newton's reputation, many of his manuscripts have still not been properly edited and interpreted. "They are in a state of considerable disorder," Newman says.[উইকিপিডিয়া]

একটা বিষয় হচ্ছে, এসব সূত্রের অধিকাংশ বিষয় মানুষের সাধারন সহজাত বিচার বুদ্ধি দ্বারা উপলব্ধিযোগ্য। যেমন ধরুন, আপনি জানেন যে কোন বস্তুকে ধাক্কা না দেওয়া হলে তা স্থির অবস্থায় থাকবে, ধাক্কা দিলে তা চলতে থাকবে। না থামালে চলতে থাকবে, গতি লাভ না করলে গতি ক্রমশ হ্রাস পাবে। বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার এর ওপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যেদিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনও সেদিকে ঘটে৷... ইত্যাদি বিষয়গুলো তো সূত্রে এনকোড করবার প্রয়োজনীয়তা খুজে পাইনা যেহেতু এসব একদমই observation এবং common sense এর বিষয়। এসব তুচ্ছ পর্যবেক্ষনভিত্তিক সাধারন জ্ঞানকে মহাবিদ্যা হিসেবে পূজো করে অবশেষে ব্যক্তিপূজার(অন্ধ অনুসরন ও ভক্তশ্রদ্ধা) দিকে যাওয়া চরম মূর্খলোকেদের কাজ।


নিউটন আলো/অপটিক্স নিয়ে অনেক ব্যাখ্যা দিয়ে ন্যাচারাল ফিলসফারদের মধ্যে সমাদৃত হন। তিনি যাদুবিদ্যায় দূরবর্তী কোন বস্তুতে পরিবর্তন(action at distance) ঘটানোর ব্যাখ্যায় গুপ্ত ঐন্দ্রজালিক শক্তির সর্বত্রব্যাপী বিরাজমানতার তত্ত্ব নিয়ে আসেন। প্রথম দিকে তিনি কঠোরভাবে সমালোচিত হন সরাসরি প্র‍্যাক্টিক্যাল যাদুবিদ্যার তত্ত্বকে নগ্নভাবে ন্যাচারাল র‍্যাশনাল ফিলসফিতে আনার জন্য। নিউটন রেনে ডেকার্টের মেক্যানিক্যাল ক্লক ইউনিভার্সের(সমস্ত আসমানি বস্তু ঘড়ির পেনিয়াম ও ক্ষুদ্র গিয়ারের ন্যায় ক্লক সিস্টেমে যান্ত্রিকভাবে পরিচালিত বলে ধারনা) ব্যাখ্যাকে মেনে নেন নি, তিনি তার পরিবর্তে আরো একটু রহস্যঘন ব্যাখ্যাকে দ্বার করান। তিনি সেই ঐন্দ্রজালিক গুহ্য শক্তিকে সমস্ত বস্তুর আবর্তন, জোয়ারভাটা, আকর্ষন-বিকর্ষণ এবং বর্তুলাকার পৃথিবীতে সমস্ত বস্তুকে ধারণের ব্যাখ্যায় নিয়ে আসেন। এর নাম দেওয়া হয় Gravity!  তিনি এই গ্রাভিটির নীতিকে আসমান যমীনের সর্বত্র একই নীতিতে উত্থাপন করেন।

এভাবে নিউটন অকাল্ট ফিলসফি থেকে আসা পিথাগোরিয়ান কাব্বালিস্টিক কস্মোলজিকে আরো সুদৃঢ় করতে, আরো যৌক্তিক প্রমাণ করতে একটি occult force field কে নিয়ে আসেন। এর দ্বারা যাদুশাস্ত্র থেকে নেয়া কেপলার-কোপার্নিকাসদের অপূর্ণাঙ্গ যুক্তিহীন সূর্যকেন্দ্রিক মহাকাশতত্ত্বকে যুক্তিযুক্ত এবং সব কিছুকে ব্যাখ্যার আওতায় নিয়ে এসে হেলিওসেন্ট্রিক তত্ত্বে অবশিষ্ট সন্দেহকে দূরীভূত করেন।
তিনি যদি অকাল্ট বিশ্বাস অনুযায়ী শূন্য স্থানের(ভ্যাকুয়াম) মধ্যে একটা occult force field এর অস্তিত্বের কথা না ভাবতেন যা দূরবর্তী জিনিসে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে, তবে হয়ত নিউটনের গ্র‍্যাভিটির আবিষ্কার হতো না। উইকিপিডিয়া ঠিক একই কথাই বলে!-
In his Hypothesis of Light of 1675, Newtonposited the existence of the ether to transmit forces between particles. The contact with the Cambridge Platonist philosopher Henry Morerevived his interest in alchemy.[53] He replaced the ether with occult forces based onHermetic ideas of attraction and repulsion between particles. John Maynard Keynes, who acquired many of Newton's writings on alchemy, stated that "Newton was not the first of the age of reason: He was the last of the magicians."[54] Newton's interest in alchemy cannot be isolated from his contributions to science.[53] This was at a time when there was no clear distinction between alchemy and science. Had he not relied on the occult idea of action at a distance, across a vacuum, he might not have developed his theory of gravity.

In 1679, Newton returned to his work on celestial mechanics by considering gravitation and its effect on the orbits of planets with reference to Kepler's laws of planetary motion.

Newton's postulate of an invisible force able to act over vast distances led to him being criticised for introducing "occult agencies" into science.[63] Later, in the second edition of the Principia (1713), Newton firmly rejected such criticisms in a concluding General Scholium, writing that it was enough that the phenomena implied a gravitational attraction, as they did; but they did not so far indicate its cause, and it was both unnecessary and improper to frame hypotheses of things that were not implied by the phenomena. (Here Newton used what became his famous expression "hypotheses non-fingo"[64]).

Newton used his mathematical description of gravity to prove Kepler's laws of planetary motion, account for tides, the trajectories of comets, the precession of the equinoxes and other phenomena, eradicating doubt about the Solar System's heliocentricity. He demonstrated that the motion of objects on Earth and celestial bodies could be accounted for by the same principles. Newton's inference that the Earth is an oblate spheroid was later confirmed by the geodetic measurements ofMaupertuis, La Condamine, and others, convincing most European scientists of the superiority of Newtonian mechanics over earlier systems.[উইকিপিডিয়া]


তিনি হার্মেটিক শাস্ত্রের পাশাপাশি কাব্বালিস্টিক অপবিদ্যা নিয়েও ডুবে ছিলেন। ইহুদীদের শাস্ত্রগুলোয় তিনি অপবিদ্যার অন্বেষণ করতেন।এজন্য এমনকি হিব্রু ভাষা থেকে কিছু কিতাবের অনুবাদও করেছিলেন। ইহুদীরা যেখানে তৃতীয় মন্দির নির্মাণের জন্য অপেক্ষা করছে সে স্থানটি নিয়ে তার চরম কৌতূহল ছিল। তিনি সোলাইমান(আঃ) এর দরবার নিয়ে গভীর গবেষণা চালিয়েছেন। এতে ব্যবহৃত বিশুদ্ধ জ্যামিতি নিয়ে ঘেটেছেন। একটা পুরো চ্যাপ্টার এসব নিয়ে লিখেছেন। তিনি আসলে এসব নির্মাণের জ্যামিতিক নকশার সাথে রহস্যবাদী বাতেনি ব্যাখ্যার যোগসূত্র তৈরির চেষ্টা করেছেন।

Newton extensively studied and wrote about the Temple of Solomon, dedicating an entire chapter of The Chronology of Ancient Kingdoms Amended to his observations of the temple. Newton's primary source for information was the description of the structure given within 1 Kings of the Hebrew Bible, which he translated himself from Hebrew.[19]

As a Bible scholar, Newton was initially interested in the sacred geometry of Solomon's Temple, such as golden sections,conic sections, spirals, orthographic projection, and other harmonious constructions, but he also believed that the dimensions and proportions represented more.

Newton believed that the temple was designed by King Solomon with privileged eyes and divine guidance. To Newton, the geometry of the temple represented more than a mathematical blueprint, it also provided a time-frame chronology of Hebrew history.[23] It was for this reason that he included a chapter devoted to the temple within The Chronology of Ancient Kingdoms Amended, a section which initially may seem unrelated to the historical nature of the book as a whole.[উইকিপিডিয়া]


যে ব্যক্তি ব্যবিলনিয়ান কাব্বালাহ এবং অন্যান্য মিশরীয় যাদুশাস্ত্র নিয়ে ডুবে ছিল স্বভাবতই যে হযরত সোলাইমান (আঃ) দরবার ও সিংহাসন নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করবে, কেননা এর সাথে যাদুবিদ্যার একটি শক্ত যোগসূত্র আছে তা আপনারা ভাল করেই জানেন।
একদিকে নিষিদ্ধ অপবিদ্যার চর্চা অন্যদিকে গুপ্ত-বাতেনি ব্যাখ্যা খুজতে বিবলিক্যাল টেক্সট গুলো নিয়ে নিবিড় অধ্যয়ন করে তিনি বলেন যে, ২০৬০ সালে শেষযুগের মহাযুদ্ধ সংঘটিত হবে।২০৬০ সালের আগে পৃথিবী ধ্বংস হবেনা। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এ খবর প্রকাশের পর ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। University of kings college এর প্রফেসর Stephen Snobelen বলেনঃ"যদি নিউটনের এই ক্যালকুলেশন সঠিক হয়, তাহলে আমরা ওই সময়ের খুব নিকটে আছি,এ ধরনের গননা এটাই নির্দেশ করছে।"
একটা বিষয় লক্ষণীয় যে, যখন কোন মুসলিম আলিমরা পৃথিবী ধ্বংসের নিকটবর্তিতার কথা বলেন, আনুমানিক সময় উল্লেখ করেন কিংবা শেষ সময়ের আলামতগুলোকে বর্ননা করেন, তার কথাগুলোকে আমলে নেওয়া হয় না। আজ অধিকাংশ মুসলিম এসবকে বাজে  কথা বলে উড়িয়ে দিতে চায়, কিন্তু আপনি দেখবেন এরাই নিউটনের মত জঘন্য মালউন(অভিশপ্ত) অপবিজ্ঞানীর কথাকে গভীর তাৎপর্যবাহী হিসেবে বিবেচনা করবে।
In a manuscript from 1704, Newton describes his attempts to extract scientific information from the Bible and estimates that the world would end no earlier than 2060. In predicting this, he said, "This I mention not to assert when the time of the end shall be, but to put a stop to the rash conjectures of fanciful men who are frequently predicting the time of the end, and by doing so bring the sacred prophesies into discredit as often as their predictions fail."[উইকিপিডিয়া]


যাদুকর নিউটন ২০৬০ সালে পৃথিবীতে বিপর্যয়কর কিছুর ভবিষ্যদ্বাণী করেন বাইবেল ও কাব্বালাহ শাস্ত্র অধ্যয়ন করে। তিনি কিন্তু সেটাকেই শেষ বলেন নি। বরং সেটা হবে New beginning!
তিনি হয়ত ধ্বংস-বিধ্বস্ত পৃথিবীকে নতুন পৃথিবী দ্বারা পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেন। পৃথিবীতে এক স্বর্গীয় স্বপ্নরাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন। দুনিয়াটা হবে কিংডম অব গড! পৃথিবী হবে ঐশ্বরিক শান্তির প্রণোদনায় উদ্বেলিত স্বর্গলোক। উইকিপিডিয়াতেও এসেছেঃ
Newton may not have been referring to the post 2060 event as a destructive act resulting in the annihilation of the globe and its inhabitants, but rather one in which he believed the world, as he saw it, was to be replaced with a new one based upon a transition to an era of divinely inspired peace. In Christian and Islamic theology this concept is often referred to as The Second Coming ofJesus Christ and the establishment of TheKingdom of God on Earth. In a separate manuscript,[30] Isaac Newton paraphrases Revelation 21 and 22 and relates the post 2060 events by writing:

A new heaven & new earth. New Jerusalem comes down from heaven prepared as a Bride adorned for her husband. The marriage supper. God dwells with men wipes away all tears from their eyes, gives them of ye fountain of living water & creates all thin things new saying, It is done. The glory & felicity of the New Jerusalem is represented by a building of Gold & Gemms enlightened by the glory of God & yeLamb & watered by ye river of Paradise on ye banks of which grows the tree of life. Into this city the kings of the earth do bring their glory & that of the nations & the saints reign for ever & ever.[উইকিপিডিয়া]

এখন প্রশ্ন হচ্ছে একজন কাব্বালিস্ট যাদুকর কোন স্বর্গরাজ্যের কথা বলেছেন! আপনাদের কি মনে হয় একজন ধার্মিক লেবাসে থাকা যাদুকর mystic কার তত্ত্বাবধানে দুনিয়ায় স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখবে? কার আগমনের কথা বলবে? আপনার কি মনে হয় আদৌ সে ঈসা(আ) এর প্রতীক্ষা করছেন!? বিবলিক্যাল ঈসা(আ) এর আগমনবানী গুলো তো আজকের ইহুদীরাও ব্যবহার করে তাদের মসীহের অপেক্ষায়। তারা কি ঈসা রুহুল্লাহর অপেক্ষা করছে!?

এর উত্তর পাওয়া যায়, তার আরো একটি পরিচয়ের মধ্যে। তিনি ছিলেন একাধিক বাত্যেনিয়্যাহ(secret society) সংগঠনের সদস্য। তিনি ১৬৭২ সালে এমএ ডিগ্রি নেওয়ার পর রয়্যাল সোসাইটির সদস্য হন।ফ্রিম্যাসন ফ্রান্সিস বেকনের রয়্যাল সোসাইটিতে সাধারনত প্রত্যেক সদস্যই ফ্রিম্যাসনের সাথে সংযুক্ত ছিল। ওটা আসলে ফ্রিম্যাসন পরিচালিত ন্যাচারাল ফিলসফির(যাদুবিদ্যা) গবেষণা সংগঠন। আজকের বিজ্ঞান এর হাত ধরেই আসে। রানী এ্যান ১৭০৫ সালে নিউটনকে নাইট(knight) উপাধি দান করেন। বেকনের পরে নিউটনই এ উপাধি লাভ করেন।পরবর্তীতে রয়্যাল সোসাইটির সদস্য থেকে প্রেসিডেন্ট(১৭০৩-১৭২৭) নির্বাচিত হন আইজ্যাক নিউটন।
 He was knighted by Queen Anne in 1705 and spent the last three decades of his life in London, serving as Warden (1696–1700) and Master(1700–1727) of the Royal Mint, as well as president of the Royal Society (1703-1727).

Newton was the second scientist to be knighted, after SirFrancis Bacon.

Newton was made President of the Royal Society in 1703 and an associate of the French Académie des Sciences.[উইকিপিডিয়া]

যেহেতু মাসূনীদের রয়্যাল সোসাইটিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তাই এ কথা চোখ বন্ধ করে বলা যায় তিনি একজন ৩৩ডিগ্রি মাস্টারম্যাসন ছিলেন[১৯]। তাছাড়া তিনি ১৭১৭ সালে ফ্রিম্যাসনদের "লজ অব ইংল্যান্ড" প্রতিষ্ঠাকারীদের একজন। কিছু ম্যাসনিক বিল্ডিং গুলো তার সম্মানেও উৎসর্গ করা হয়।
Isaac Newton has often been associated with various secret societies and fraternal orders throughout history.

 In particular, Isaac Newton is believed to have been a 33-degree Scottish Rite Freemason since he was one of the 1717 founders of the Lodge of England,[33] and by virtue of the number of masonic buildings have been dedicated in his honour.[34]

Regardless of his own membership status, Newton was a known associate of many individuals who themselves have often been labeled as members of various esoteric groups.

Considering the nature and legality of alchemical practices during his lifetime, as well as his possession of various materials and manuscripts pertaining to alchemical research, Newton may very well have been a member of a group of like minded thinkers and colleagues. The organized level of this group (if in fact any existed), the level of their secrecy, as well as the depth of Newton's involvement within them, remains unclear.[উইকিপিডিয়া]

ফ্রিম্যাসনের পাশাপাশি আরেকটি নিকৃষ্ট occult society এর সাথে নিউটনের সম্পর্ক ছিল। সেটা Rosicrucian movement[২০]। তিনি নিজেই বিভিন্ন লেখায় এর সাথে তার সম্পর্কের স্বীকৃতি দিয়েছেন। নিউটনের আলকেমি চর্চায় ঝোঁক,অমরত্বের অমৃতরসের সন্ধান প্রভৃতি রোজিক্রুশিয়ানিজম দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হবার ফসল। আলকেমি নিয়ে নিউটনের কাছে এত বই ছিল, যাকে বিশ্বেরই একটা  সমৃদ্ধ আলকেমিক্যাল লাইব্রেরি বলা যেত। তার কাছে প্রায় ১৬৯টি বই ছিল শুধু আলকেমির উপর। তার ভবিষ্যদ্বাণীর সাথে রোজিত্রুশিয়ান সদস্যদের সাথে শয়তান জ্বীনদের সাথে যোগাযোগ বা চ্যানেলিং এর একটা সংযোগও রয়েছে।Rosicrucian রা অন্য সকল mystery school এর ন্যায় ধ্যান বা যোগসাধনা করে[৬], সুতরাং এটা খুবই স্বাভাবিক যে অন্য সকল যাদুকর mystic 'দের ন্যায় নিউটনও যে ধ্যানের ও চেতনার ওপারে[১৮] পাড়ি জমাতেন। তিনি ধ্যানের সাথে সত্য জ্ঞান অর্জনের সম্পর্কের ব্যপারে বলেনঃ “Truth is the offspring of silence and meditation.” এর ভাবার্থ, সত্য হচ্ছে নীরবতা এবং ধ্যানের ফসল, সুতরাং ধ্যানের মাধ্যমেই সত্য জ্ঞান লাভ করা যায়।  Rosicrucian'রা নিউটনের মতই খ্রিষ্ট ধার্মিকতার ভান ধরে ভেতরে অকাল্ট ফিলসফি লালন করে। এরা হার্মেটিক শাস্ত্রের অনুসরন করে বলে সৃষ্টিকর্তার ব্যপারে অনেকটা সর্বেশ্বরবাদী বিশ্বাস রাখে, অর্থাৎ omnipresent God/ Demiurge ইত্যাদি[১৭]।এজন্যই নিউটন ও এই সংগঠনগুলোর চিন্তাধারায় এত সাদৃশ্য। নিউটন নিজেই এই অকাল্ট মিস্ট্রি স্কুল(রোজাই ক্রুশো-Rosicrucian Order) এবং সিক্রেটসোসাইটির সদস্য হিসেবেই দাবি করেন! অন্যদিকে এই সিক্রেট সোসাইটিও তদ্রুপ দাবি করে! উইকিপিডিয়াতেই আছেঃ
Perhaps the movement which most influenced Isaac Newton was Rosicrucianism.[37] Although the Rosicrucian movement had caused a great deal of excitement within Europe's scholarly community during the early seventeenth century, by the time Newton had reached maturity the movement had become less sensationalized. However, the Rosicrucian movement still would have a profound influence upon Newton, particularly in regard to his alchemical work and philosophical thought.

The Rosicrucian belief in being specially chosen for the ability to communicate with angels or spirits is echoed in Newton's prophetic beliefs. Additionally, the Rosicrucians proclaimed to have the ability to live forever through the use of the elixir vitaeand the ability to produce limitless amounts of time and gold from the use of thephilosopher's stone, which they claimed to have in their possession. Like Newton, the Rosicrucians were deeply religious, avowedly Christian, anti-Catholic, and highly politicised. Isaac Newton would have a deep interest in not just their alchemical pursuits, but also their belief in esoteric truths of the ancient past and the belief in enlightened individuals with the ability to gain insight into nature, the physical universe, and the spiritual realm.[37]

At the time of his death, Isaac Newton had 169 books on the topic of alchemy in his personal library, and was believed to have considerably more books on this topic during his Cambridge years, though he may have sold them before moving to London in 1696. For its time, his was considered one of the finest alchemical libraries in the world. In his library, Newton left behind a heavily annotated personal copy of The Fame and Confession of the Fraternity R.C., by Thomas Vaughan which represents an English translation of The Rosicrucian Manifestos. Newton also possessed copies of Themis Aurea andSymbola Aurea Mensae Duodecium by the learned alchemist Michael Maier, both of which are significant early books about the Rosicrucian movement. These books were also extensively annotated by Newton.[37]

The Ancient & Mystical Order Rosae Crucis has always claimed Newton as a frater.[38] During his own life, Newton was openly 'accused' of being a Rosicrucian, as were many members of The Royal Society.[উইকিপিডিয়া]


একজন ম্যাসনিক ফ্রাটারের বা মাসূনির বিশ্বাস কি আমরা জানি? ফ্রিম্যাসনে অন্তভুর্ক্তির জন্যই নূন্যতম মৌলিক যোগ্যতাসমূহের একটি হচ্ছে আপনাকে একজন মা'বুদে বিশ্বাসী হতে হবে অর্থাৎ একেশ্বরবাদী হতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, সেই ইলাহ বা উপাস্য কি ইব্রাহীম(আঃ),ঈসা(আঃ),মূসা(আঃ) এর রব নাকি অন্য কেউ!? আপনারা দেখেছেন যে যাদুকর এবং ফ্রিম্যাসন নিউটনও এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করত,সেই সাথে কাব্বালার অনুসরন এবং সুলাইমান(আঃ) এর দরবার নিয়েও তার ছিল অনেক কৌতূহল! সুলাইমান (আঃ) শয়তান জ্বীনদেরকে ম্যাসন(মিস্ত্রি) হিসেবে ব্যবহার করতেন নির্মাণের জন্য, সেসবের সুক্ষ্ম নকশায় ছিল নিউটনের প্রবল আকর্ষন, সে বিশ্বাস বা আশা করত ২০৬০ এর পর যুদ্ধ বিগ্রহ ও ধ্বংসের পর নতুন পৃথিবীতে শান্তি সমৃদ্ধি দ্বারা ভরে যাবে। কার হাত ধরে? কে এই স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা করবে? যাদুকর-কাব্বালিস্ট-ফ্রিম্যাসন নিউটন কার আশা করেছিলেন? ঈসা(আঃ)(?) নাকি তাগুত দাজ্জালের? এটা তো আজ দিবালোকের মত প্রকাশ্য বিষয় যে ফ্রিম্যাসনিক সোসাইটি ইহুদীদের মসীহের আবির্ভাবের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উইকিপিডিয়াতে এসেছেঃ
Many Islamic anti-Masonic arguments are closely tied to both antisemitism and Anti-Zionism, though other criticisms are made such as linking Freemasonry to Al-Masih ad-Dajjal (the false Messiah in Islamic Scripture).[110][111] Some Muslim anti-Masons argue that Freemasonry promotes the interests of the Jews around the world and that one of its aims is to destroy the Al-Aqsa Mosque in order to rebuild the Temple of Solomon in Jerusalem.[112] In article 28 of its Covenant, Hamas states that Freemasonry,Rotary, and other similar groups "work in the interest of Zionism and according to its instructions ..."[উইকিপিডিয়া]

উইকিপিডিয়ার এই তথ্যটি আসলেই সত্য। মাসূনী এবং তাদের সমমনা অন্যান্য প্রাচীন সংগঠনগুলোর লক্ষ্য এই একটাই। দাজ্জ্বালের আগমন উপযোগী শক্ত মঞ্চ নির্মাণ। আশা করি বুঝতে পারছেন নিউটনের একত্ববাদী উপাস্যের পরিচয়। কাব্বালিস্ট - যাদুকর নিউটনের 'দ্য গ্রেট আর্কিটেক্ট অব দ্যা ইউনিভার্স' এর বিষয়টা আরো একটু পরিষ্কারভাবে উল্লেখ আবশ্যক। ফ্রি ম্যাসনদেরকে অবশ্যই  মৌলিক বিশ্বাসরূপে একেশ্বরবাদে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। উইকিপিডিয়াতে এসেছেঃ
 A belief in a supreme being and scripture is a condition of membership.(উইকিপিডিয়া)
অর্থাৎ ফ্রিম্যাসন এবং অন্যান্য সিক্রেট সোসাইটিগুলো একজন মহাশক্তিধর স্বত্ত্বায় বিশ্বাস করে,যার জন্য তারা জেরুজালেমে ৩য় মন্দির তৈরিতে কাজ করছে, বেকনিয়ান 'সলোমানিক হাউজ'(occult knowledge এর উপর প্রতিষ্ঠিত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) নির্মাণ করেছে দেশে দেশে। ফ্রিম্যাসনরা যে মহাশক্তিশালী স্বত্ত্বায় বিশ্বাসী তাকে তারা "Great architect of the universe"[১৬] বলে ডাকে। সংক্ষেপে G.A.O.T.U বলে। তাদের মতে এই স্বত্ত্বা একাধারে "রা,কৃষ্ণ,যিশু,আল্লাহ, জেহোভা,বা'ল,লুসিফার, বিষ্ণু, বুদ্ধ" এরা সবাই! এটাকে canopy deity বলা হয়।
ফ্রিম্যাসনদের মতে এই উপাস্য কোন ধর্মের পার্সোনাল গড না। বরং সকল ধর্মের সকল মতের উপাস্য। ম্যাসনদের মতে, একজন ম্যাসন তার(ওই এক স্বত্ত্বার) উপাসনার দ্বারা একাধারে জেহোভা,কৃষ্ণ, রা, বুদ্ধ,যিশু, আল্লাহর উপাসনা করে।এই কথাই বলেছেন এ্যালেন রবার্টঃ
"আপনি জানেন যে ফ্রিম্যাসনারীতে সৃষ্টিকর্তাকে বলা হয় "দ্য গ্রেট আর্কিটেক্ট অব দ্য ইউনিভার্স"(G.A.O.T.U)। এটা ফ্রিম্যাসনদের সৃষ্টিকর্তার বিশেষ নাম,কারন তিনি সার্বজনীন। তিনি ধর্মীয় প্রভেদ নির্বিশেষে সকল মানবের রব। সকল জ্ঞানী লোকেরা তার কর্তৃত্বের ব্যপারে জানে। তার প্রতি একান্ত ভক্তি অর্চনায়, একজন মাসূনী জেহোভা,মুহাম্মদ, আল্লাহ,যিশু অথবা তার নিজের পছন্দের দেবতার প্রতি প্রার্থনা করে।ম্যাসনিক লজ গুলোয় একজন মাসূনী G.A.O.T.U এর মধ্যে তার নিজ দেবতার নামকে খুজে পাবে।"

[Page 6, The Craft and Its Symbols by Allen E. Roberts]


ফ্রিম্যাসনদের মতে এই স্বত্ত্বার অপার ভালবাসার দরুন তিনিই যিশুখিষ্টের দেহধারণ করেছিলেন এবং সেই যিশু মৃত্যুবরণ করেছে আমাদেরই পাপের জন্য, আবারো জেগে উঠবেন এবং তার অনুসারীদেরকে একত্রিত করার জন্য আসবেন। তিনি এমনই মহান স্বত্ত্বা যার মাঝে ইসলাম এবং হিন্দুধর্ম কিংবা অন্য সব ধর্মের উপাস্যরা একাকার হয়ে আছে। তার ইবাদত করলে সবার ইবাদত করা হবে। যে কেউ যার যার ধর্মানুযায়ী যাকেই ডাকুক না কেন এই মহাশক্তিধর স্বত্ত্বাকেই[supreme being] ডাকা হবে।
উনি সকলের পিতা! ফ্রিম্যাসনরা বিশ্বাস করে, খ্রিষ্টানরা যে ঈসা(আ) এর ইবাদত করে,এরকমটা উচিত নয়। উনি তাদের মতে অন্যান্য ধর্মগুরুদের মত একজন, উনিই যে একমাত্র মুক্তির পথ এরকম ভাবা ঠিক না, ট্রিনিটি ভুল। ঈসা(আ) এর নাম ধরে ধরে ডাকাটা একদমই 'আনম্যাসনিক' শোনা যায়। সুতরাং যিশুখ্রিস্টের ইবাদত করা বা পিতা-পুত্র-পবিত্র আত্মার ধারনা ফ্রিম্যাসন অনুযায়ী ভুল।[২]

তো ফ্রিম্যাসনদের এই গ্রেট আর্কিটেক্ট অব দ্যা ইউনিভার্স (মাসূনীদের উপাস্য)এর একটা গোপন নাম আছে। সেটা হচ্ছে Jahbulon! ১৯৮৭ সালে  লেখক স্টিফেন নাইটের(Stephen knight) এক ব্যাখ্যায় দেখানো হয়েছে যে এই ফ্রিম্যাসনিক গড হচ্ছে দাজ্জাল বা দাজ্জালের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। একই কথা বলেন ডেভিড পিডকক নামের এক ব্যক্তি। এটা উইকিপিডিয়াতেই আছেঃ
Jahbulon or Jabulon (Hebrew : יהבעלאון ,romanized : Yahb'elon ) is a word which is allegedly used in some rituals of Royal Arch Masonry , and derivations thereof.Non-Masonic authors have alleged that it is a Masonic name for God , and even the name of a unique "Masonic God"

The interpretation by Knight also contributes to an assertion, which emerged in 1987, that there is a link between Freemasonry and the Dajjal, a Muslim equivalent of the Antichrist . A reference by David Misa Pidcock, a British convert, has been widely propagated on the Internet following the September 11 attacks in 2001. [24] The Muslim group, Mission Islam, states on their website that based on Knight's interpretation, "Freemasons secretly worship a Devil-God, known as JAHBULON."[৩][উইকিপিডিয়া]


মাসূনীদের কিছু বইতে তাদের পূজনীয় এই উপাস্যের ব্যাপারে বলা হয়েছেঃ
Monotheism is the sole dogma of Freemasonry. Belief in one God is required of every initiate, but his conception of the Supreme Being is left to his own interpretation. Freemasonry is not concerned with theological distinctions. This is the basis of our universality.
[Grand Lodge of Indiana, Indiana Monitor & Freemason's Guide , 1993 Edition, page 41][৪]

ফ্রিম্যাসন যদি দাজ্জালের অর্চনা করে, তাহলে শয়তান অবশ্যই তাদের কাছে পরম পূজনীয় হবার কথা। জ্বি, ৩৩ডিগ্রি ফ্রি ম্যাসনদের অনেকেই শয়তানকে দেবত্ব(ডিভিনিটি) দিয়ে উক্তি করেছেন। শয়তানের পথ অনুসরনের কথা সরাসরি বলেছেন। ৩৩ডিগ্রি ম্যাসন এ্যালবার্ট পাইক বলেনঃ
"লুসিফার হচ্ছে আলোবহনকারী! বিস্ময়কর এবং রহস্যময় নামটি দেওয়া হয়েছে অন্ধকারের আত্মাটিকে। লুসিফার হচ্ছে সকালের পুত্র! এটা সেই(স্বত্ত্বা), যিনি আলো বহন করে,তিনি কোন অসহিষ্ণু,অন্ধ নিস্তেজ, কামুক বা স্বার্থপর কাউকে দীপ্তিময় করবেন?(তাই)কোন সন্দেহ করো না!"
[Albert Pike (33º Freemason)
Morals and Dogma of the ancient and Accepted Scottish Rite of Freemasonry
pg. 321]

এতটুকুতেই অবাক হচ্ছেন!? এখনো কিছুই দেখেন নি। শুনলে অবাক হবেন যে তিনি সরাসরিই শয়তানকে দেবত্ব দিয়েছেন। অর্থাৎ শয়তান হচ্ছে ওদের একজন উপাস্য। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, শয়তানের মতবাদই একমাত্র সঠিক মতবাদ! ম্যাসনিক ধর্ম শয়তানি মতাদর্শের পবিত্রতা রক্ষা করছে!এরপরে
তিনি সরাসরি সৃষ্টিকর্তার সাথে বিদ্বেষ পোষণ করেছেন।
তিনি বলেছেনঃ
"জনগণকে আমাদের যা বলতে হবে তা হ'ল আমরা কোনও দেবতার উপাসনা করি, কিন্তু এটি এমন এক দেবতা যাকে কুসংস্কার ছাড়াই উপাসনা করা হয়।সার্বভৌম গ্র্যান্ড ইন্সপেক্টর জেনারেল,আপনার কাছে আমরা এটি বলছি এবং আপনি এটি 32 তম, 31 তম এবং 30 তম ডিগ্রির সতীর্থভাইদের কাছে পুনরাবৃত্তি করতে পারেন - আমাদের সবাইকে ম্যাসনিক ধর্মটির উচ্চতর ডিগ্রির শিক্ষার করা(প্রচার) উচিত, লুসিফেরিয়ান মতবাদের বিশুদ্ধতা বজায় রাখা উচিত। যদি লুসিফার দেবতা না হতেন তবে অ্যাদোনায়( אֲדֹנָי = রব / আল্লাহ) যার কাজগুলি মানুষের প্রতি নিষ্ঠুরতা, বিশ্বাসঘাতকতা এবং ঘৃণা, বিজ্ঞানের প্রতি বর্বরতা এবং ঘৃণা প্রমাণ করে, অ্যাদোনায়(সৃষ্টিকর্তা)  এবং তাঁর পূজারীরা(এখানে ফেরেশতা বা সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধিদের বোঝানো হয়েছে) কি তাকে অধঃপতিত করত?
হ্যাঁ, লুসিফার হচ্ছেন দেবতা এবং দুর্ভাগ্যক্রমে অ্যাদোনায় হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা(God), কারণ চিরন্তন বিধিটি হল, ছায়া ব্যতীত কোনও আলো নেই, কদর্যতা ছাড়া কোনও সৌন্দর্য নেই, কালো ছাড়া কোনও সাদা নেই, এজন্য কেবল দুজন পরম দেবতা হিসাবে থাকতে পারে। আলোর জন্য তার ফয়েল হিসাবে পরিবেশন করার জন্য অন্ধকারের প্রয়োজনীয়তা আছে যেমন, একইভাবে মূর্তিকে দাঁড় করানোর জন্য স্তম্ভমূল(pedestal) প্রয়োজনীয় এবং গতিশীল যন্ত্রের(থামার) জন্য ব্রেক।
সুতরাং এজন্য, শয়তানবাদি মতবাদটি প্রচলিত মতবিরুদ্ধ, এবং সত্য ও খাঁটি দর্শনের  ধর্ম হ'ল লুসিফারের প্রতি বিশ্বাস, অ্যাদোনায়(সৃষ্টিকর্তা) এর সমকক্ষ, তবে লুসিফার(যিনি) আলোর দেবতা এবং ভাল দেবতা, তিনি আদোনায়(Adonay- সৃষ্টিকর্তার) বিরুদ্ধে মানবতার পক্ষে সংগ্রাম করছেন, যিনি (সৃষ্টিকর্তা) অন্ধকারের দেবতা এবং মন্দ।"

[Recorded by A.C. De La Rive La Femme et L'enfant dans La Franc-Maconnerie Universelle, pg. 588.Cited from ‘The question of freemasonry " (2nd edition 1986 by Edward Decker pp12-14)]

এই হচ্ছে মাসূনীদের(ফ্রিম্যাসনের) আসল আকিদা বা বিশ্বাস। ওদের কাছে আল্লাহ হচ্ছে অন্ধকারের রব,ওদের  (অপ)বিজ্ঞানের শত্রু, এজন্য ওরা শয়তানকে আল্লাহর সমকক্ষতা আরোপ করে(নাউজুবিল্লাহ)। শয়তানের পক্ষপাতিত্বের ব্যাখ্যা বুঝতে ফিরে যেতে হবে আদম-হাওয়া ও নিষিদ্ধ বৃক্ষের ঘটনায়। শয়তান আমাদের আদি পিতামাতাক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রি অব লাইফ(সাজারাতুল খুলদের) এমন জ্ঞানের আধার যার দ্বারা অনন্তরাজ্যের সন্ধান পেতে পারে, এমনকিছুর যার দ্বারা তারা এঞ্জেলিক light being এ পরিবর্ধিত হতে পারে। অথচ ওই বৃক্ষের নিকটে যাবার ব্যপারে আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা ছিল। শয়তান যখন তাদেরকে প্ররোচিত করে সফল হয় তখন তাদের দুনিয়ায় প্রেরণের মাধ্যমে অপবিদ্যা এবং শয়তানের প্রতিশ্রুতিকে পূর্ন করবার একটা দুয়ার উন্মোচিত হয়।
এজন্য theistic satanist এবং মাসূনীরা শয়তানকে লুসিফার(light bringer: আলো আনয়নকারী) বলে। তারা লুসিফার বা শয়তানের প্রতি কৃতজ্ঞ এজন্য যে, তার জন্যই আল্লাহর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানের(জান্নাতের) অজ্ঞ অবস্থা থেকে বের হয়ে মুক্ত অপবিদ্যা চর্চার দ্বার প্রসারিত হয়েছে(পৃথিবীতে আসবার দ্বারা)।তাদের মতে, শয়তান জ্ঞানের আলো দিয়েছে। ফ্রিম্যাসন এবং শয়তানের পূজারীদের একটা শাখার বিশ্বাস এরূপ যে শয়তানের পক্ষটিও মহাশক্তিধর এবং কোনভাবে আল্লাহর শক্তির বিরুদ্ধে লড়ে পরাজিত করা কিংবা তার নিয়ন্ত্রন বা কর্তৃত্ব এড়ানো সম্ভব(নাউজুবিল্লাহ)। অবাধ্য এই মালাউনগুলোর (থেইস্টিক স্যাটানিস্ট) মধ্যে আরেকটা শাখা নিশ্চিত বিশ্বাস করে যে তারা এই লুসিফার বা শয়তানের সাথে জাহান্নামে যাবে এবং তারা এর ব্যপারে গর্বিত। এরা গর্বের সাথে জাহান্নামের সেনাবাহিনীতে অন্যদেরকেও আহব্বান জানায়! জীবিত অবস্থায় যতভাবে আল্লাহর অবাধ্যতা আর বিদ্রোহ করতে পারে তাতেই এদের সাফল্য!

এখানে ফ্রিম্যাসনদের একটা বিষয় লক্ষণীয় যে, এরা আল্লাহকে অথবা শয়তানকে সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা বলে স্বীকৃতি দেয় না(শয়তানকে তারা ভাল দেবতা বলে এবং আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা জানলেও মানে না) বরং তারা অপর এক মহাশক্তিধর স্বত্ত্বার কথা বলে এবং তার পূজা করে যাকে The Great architect of the universe  বা Jahbulon শব্দে ডাকে। এজন্য ফ্রিম্যাসন একরকমের মনোথেইজম (একেশ্বরবাদের) প্রচার করে। এখানে তাদের উপাস্য বা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ নয় বরং অন্য কেউ। সেই স্বত্ত্বা অবশ্যই ইবলিসের তথা তাদের নিকট ভাল যে দেবতা, তার পক্ষপাতি হবে। আমরা যারা আল্লাহর প্রতিনিধি, তাদের কাছে ওই কথিত সুপ্রীম স্বত্ত্বার পরিচয় সুস্পষ্ট।  সে দাজ্জাল ছাড়া আর কেউ নয়। পাঈক নিজেই স্বীকার করেছে যে তাদের এই ফ্রিম্যাসনিক মতবাদ সম্পূর্ন শয়তানি(লুসিফেরিয়ান) মতবাদ। এবার আশা করি বুঝতে পারছেন নিউটন কোন পথের পথিক। চিনতে পারছেন নিউটনের ঈশ্বরকে! বুঝতে পারছেন তিনি কোন স্বর্গরাজ্যের আশা করেছেন ২০৬০ সালের পর।

অপর আরেক বিখ্যাত মাস্টার ম্যাসন ম্যানলি পি. হল বলেনঃ
When the Mason learns that the key to the warrior on the block is the proper application ofthe dynamo of living power, he has learned the mystery of his Craft. The seething energies of Lucifer are in his hands and before he may step onward and upward, he must prove his ability to properly handle energy, (emphasis mine).

[Manly P. Hall, The Lost Keys of Freemasonry, p. 124.]

সিক্রেট সোসাইটি ফ্রিম্যাসনের গোপনীয়তার পরিচয় দিতে গিয়ে পাঈক বলেন, এটি মিস্টিসিজম: আলকেমি কিংবা হার্মেটিসিজমের মতই একটি mystery religion। এটা অনেক রককের অপব্যাখ্যার আড়ালে ঢাকা, যাতে অযোগ্য লোকেরা ম্যাসনিক সিক্রেট সম্পর্কে কিছু না জানে। অতএব, নিউটনের সর্বত্র বিরাজমান অথচ একেশ্বরবাদী বিশ্বাসের আদর্শ সাংঘর্ষিক নাহ(যেহেতু হার্মেটিক চিন্তাধারা এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ)। Pike ইহুদী মুসলিমদের মধ্যের চূড়ান্ত যুদ্ধের কথাও ভবিষ্যদ্বানী করেন,যেটা ডানের ছবিতে দেখছেন।
এ্যালবার্ট পাঈক বলেনঃ "ফ্রিম্যাসনারি হচ্ছে হার্মেটিসিজম ও আলকেমি প্রভৃতি রহস্যবাদী ধর্মের অনুরূপ যা এর গোপনীয়তা অনুসারী বিজ্ঞ, গুরুজন ও নির্বাচিত ব্যক্তি ছাড়া লুকিয়ে রাখা হয় এবং এর বিভিন্ন প্রতীকের ব্যপারে বিচিত্র ভুয়া ব্যাখ্যা প্রচার করে সাধারনদেরকে (কৌতূহলিদেরকে) প্রতারিত করা হয়,যারা প্রতারিত হবারই যোগ্য। এর দ্বারা সত্যকে আরো গোপন করা হয় যেটা হচ্ছে আলো। সেটা তাদের থেকে এবং তাদেরকে এই আলো থেকে দূরে রাখা হয়। সত্য তাদের জন্য না যারা এটা গ্রহনের জন্য অনুপযুক্ত, যারা এটাকে বিকৃত করতে পারে।[…] সত্যকে অবশ্যই গুপ্ত রাখতে হবে, এবং সাধারন জনগনের (বুদ্ধিবৃত্তিক)  ত্রুটিপূর্নতার অনুপাতে তাদের জন্য ঐরূপ(ত্রুটিপূর্ণ) শিক্ষার দরকার।"

[Albert Pike, Morals and Dogma of the Ancient and Accepted Scottish Rite of Freemasonry, p. 321, 19th Degree of Grand Pontiff. See also: http://www.cuttingedge.org/free11.html.]


ম্যানলি পলমার হল অন্যত্র বলেন, সত্যিকারের মাসূনী কোন ধর্মের মধ্যে নিজেকে আটকে রাখেনা, তার মধ্যে সার্বজনীনতা চলে আসে যার জন্য ঈসা(আ),মুহম্মদ(সাঃ),গৌতম বুদ্ধ প্রভৃতি নামগুলো(একক পথ হিসেবে) অনেক সংকীর্ণ মনে হয়। এজন্য সে এক প্রকারের একত্ববাদের(non duality) অনুভূতি নিয়ে সব ধরনের মন্দিরে মাথা নোয়ায়, হোক সেটা গির্জা, মসজিদ কিংবা মন্দির কিংবা অন্যকোন তীর্থস্থান। অর্থাৎ একরকমের অসাম্প্রদায়িক চেতনা থাকতে হবে, যে মতবাদের পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশের খোদ শাসক! যাইহোক, ম্যানলি পি. হল বলেনঃ
«The true Mason is not creed-bound. He realizes with the divine illumination of his lodge that as a Mason his religion must be universal: Christ, Buddha or Mohammed, the name means little, for he recognizes only the light and not the bearer. He worships at every shrine, bows before every altar, whether in temple, mosque or cathedral, realizing with his truer understanding the oneness of all spiritual truth.»


[– The Lost Keys of Freemasonry, Manley Palmer Hall]


সুতরাং বুঝতে পারছেন মাসূনীদের বিশ্বাসব্যবস্থা অনেকটা সিনক্রেটিক অর্থাৎ অনেক কিছুর সংমিশ্রণ। এরা নিজেদের মনোথেইস্টিক(একত্ববাদী) বলে দাবি করে, সেই একত্ববাদ এক umbrella deity কে বোঝানো হয়, যিনি কিনা তাদের ভাষায় Great architect of the universe, গুপ্তনাম জাহবুলন। অন্যদিকে এরা আল্লাহর প্রতি বিদ্রোহ করে শয়তানের উপর দেবত্ব(deification) আরোপ করছে। এরা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে জানলেও ঘৃণা করে, কারন আল্লাহ মানুষকে তার উপর ভরসা করতে বলেছেন, নিষিদ্ধ বিদ্যার দিকে যেতে নিষেধ করেছেন। এজন্য তাদের কাছে তিনি অজ্ঞতা এবং নিরক্ষরতার মা'বুদ(যেটা এলবার্ট পাইক স্পষ্টভাবে বলেছেন)।এরা আল্লাহর আসল সম্মান বা স্বীকৃতি কোনটাই দেয় না, বরং আল্লাহকে বাদ দিয়ে সৃষ্টিজগতের আর্কিটেক্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয় অন্য কোন স্বত্ত্বাকে(দাজ্জালকে)। তাদের ওই স্বত্ত্বা সর্বত্রই বিরাজমান হার্মেটিক বিশ্বাস অনুযায়ী। অর্থাৎ যাদুশাস্ত্রভিত্তিক প্যান্থেইস্টিক(সর্বেশ্বরবাদী) দর্শনটি তাদের বিশ্বাসব্যবস্থার সাথে সঙ্গত(Coherent)। উপরেই পড়েছেন ম্যাসনগুরু পাঈক সাহেব স্বয়ং বলেছেন ফ্রিম্যাসন আলকেমি কিংবা হার্মেটিক মিস্ট্রিক্যাল ট্রেডিশানেরই অনুরূপ। হার্মেটিক, বৈদিক কিংবা কাব্বালিস্টিক ট্রেডিশন অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা হচ্ছে universal collective consciousness যা সকল বস্তুর ভিত্তিমূলে রয়েছে। আরেক শয়তানি organization: theosophical society এর নেতাদের বিশ্বাস অনুযায়ী এ All pervading - omnipresent existence ম্যাটেরিয়ালাইজড হতে পারে। অর্থাৎ তখন তাকে monotheistic god এর বিশ্বাসের সাথে সংযোগ ঘটানো যায়। উপরে knight এর ব্যাখ্যা সহ একাধিক ব্যাখ্যা উল্লেখ করেছি যা এই স্বত্ত্বাকে দাজ্জাল বলেই চিহ্নিত করে।


এবার আসুন, আরেকটু ভেতরে যাওয়া যাক। যদি ফ্রিম্যাসন সত্যিই দাজ্জালেরই পূজা করে, তাহলে দাজ্জ্বালের অপেক্ষায় অপেক্ষমান ইহুদী জাতির ন্যায় তাদের কাছেও জেরুজালেম, আল আকসা মসজিদ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারাও স্বভাবতই চাইবে মসজিদুল আকসা ভেঙ্গে দাজ্জালের জন্য মন্দির নির্মাণ করতে। ইহুদীদের ন্যায় তাদের মিশনও অভিন্ন হবার কথা। তাই না?

বস্তুত,এটা সত্য যে মাসূনীদের লক্ষ্য ইহুদীদের থেকে পার্থক্যহীন। এদের কাছে সুলাইমান(আ) এর গড়া স্থাপত্যকলা খুবই বিশেষ কিছু,এটা নাকি তাদের আধ্যাত্মিক ঘর! ইহুদীদের অনুরূপ তাদেরও মূল লক্ষ্য বায়তুল আকসা ভেঙ্গে তাদের উপাস্যের জন্য তৃতীয় মন্দির নির্মাণ!
জন ওয়েসলি কেল্কনার(John Wesley kelchner) The Holy Bible: The Great Light in Masonry, King James Version, Temple Illustrated Edition এর মধ্যে বলেনঃ "সলোমনের টেম্পল প্রত্যেক মাসূনীর আধ্যাত্মিক ঘর"!
[Masonic Holy Bible, Temple Illustrated Edition, A.J. Holman Co., 1968, p. 11-14.]


অন্যত্র বলেনঃ
"রাজা সলোমনের মন্দিরের ঐতিহ্য এবং নান্দনিকতা ম্যাসনদের কাছে গুরুত্বের দিক দিয়ে অত্যুৎকৃষ্ট।  এই মন্দির হচ্ছে ম্যাসনারির জন্য অসামান্য প্রতীক, এবং এই মন্দির নির্মাণের কিংবদন্তি ঘটনা ম্যাসনিক নিয়মকানুনের মৌলিক ভিত্তি এবং সেই সাথে জীবনাচরণের জন্য।"

[The Holy Bible: The Great Light In Masonry, King James Version, Temple Illustrated Edition, A.J. Holman Company, 1968, Foreward entitled, “The Bible and King Solomon’s Temple in Masonry”, by John Wesley Kelchner.]



John Wesley Kelchner in the Temple Illustrated Version (KJV) takes the “building up” a step further by indicating that there are so many minute details associated with the Temple that all that is needed is for someone with vision to come along and rebuild the temple.
It is known to every reader of the Bible and student of Solomon’s days, that an amazingly detailed description of the Temple and its associated structures has been carried down from the mists of antiquity by the Scriptures. Lineal measurements, materials employed, and ornamental detail are so graphically presented that restoration of the Temple, at any time within a score of centuries past, awaited only the coming of a man with the vision to recognize its historic value, and the imagination to undertake the task.

[Foreword, The Bible and King Solomon’s Temple in Masonry”, by John Wesley Kelchner, 1968, A. J. Holman Company][৫]



ফ্রিম্যাসনারির Encyclopaedia তে Albert Mackey, MD, 33rd এবং Charles T. McClenachan, 33rd
বলেন যে জেরুজালেমের মসজিদুল আকসা বা তাদের ভাষায় সলোমানিক টেম্পল ম্যাসনারিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিসঃ
"সমস্ত বস্তু গুলো, যা ম্যাসনিক সিম্বলিজমের বিদ্যাকে গঠন করে এর মধ্যে ম্যাসনদের সবচেয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সবচেয়ে বেশি লালিত, তাৎপর্যপূর্ন জিনিসটি হলো জেরুজালেম এর টেম্পল(মসজিদুল আকসা)। এই মসজিদকে আধ্যাত্মিকায়ন প্রথম কাজ, যেটা ফ্রিম্যাসনরীর প্রতীকগুলোর সবচেয়ে লক্ষণীয়, পরিব্যাপক[…] মাসূনীরা তাদের সবকিছু নির্ভর করে এই (সলোমনের)টেম্পলকে কেন্দ্র করে। সব ধরনের রিচুয়াল গুলো এই পবিত্র দালান এবং এর স্থাপত্যের কিংবদন্তীদেরকে ঘিরে(উদ্দেশ্য করে) করা হয়, এই প্রক্রিয়া"
[Encyclopaedia of Freemasonry, by Albert Mackey, MD, 33rd and Charles T. McClenachan, 33rd Revised Edition, by Edward L. Hawkins, 30th and William J. Hughan, 32nd, Volume II, M-Z, published by The Masonic History Company, Chicago, New York, London, 1873, A.G. Mackey, 1927, by the Masonic History Company.]


অন্যত্র বলা হয়েছে, "মাসূনীদের সর্ববৃহদাকার ক্র‍্যাফট হিসেবে দেখা হয় প্রথম মন্দিরটিকে, যে জ্ঞানের দ্বারা সুলাইমান দ্বার করিয়েছিল,এটা জীবনের প্রতীক; মাসূনীদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সত্যের অনুসন্ধান, তারা এই মন্দিরটিকে সত্যের আধাররূপে স্থাপনার জন্য জন্য পরিচালিত করে।"
[Ibid. p. 774.]

আজকের আলোচ্য বিষয় গুপ্ত সংগঠন ফ্রিম্যাসনকে ঘিরে না হলেও এদের ব্যপারে অনেক কিছু চলে আসছে। মাসূনীদের সাথে সুলাইমান(আ) এর নির্মিত মসজিদের প্রতি এত আকর্ষনের সাথে সংযোগ আছে সুলাইমান(আ) এর যুগে বন্দীকৃত শয়তানদের দিয়ে এই ভবন নির্মাণের ঘটনা। ফ্রিম্যাসনের Mason(রাজমিস্ত্রি/নির্মাণ স্থপতি) শব্দটি মূলত এই ঘটনা থেকেই নেওয়া।
A New Encyclopedia of Freemasonry এবং Cognate Instituted Mysteries: The Rites, Literature and History,তে এ্যাডওয়ার্ড ওয়েইটি বলেন: “ম্যাসনারির উচ্চতর শ্রেনীতে আমরা জেরুজালেমে আরেকটি মন্দির নির্মাণের গুপ্ত অভিপ্রায়ের কথা শুনতে পাই",আমরা এজন্য দেখি মন্দির পুনঃনির্মাণের পরিকল্পনা  এবং তারা অপেক্ষা করছে একজন লোকের জন্য যিনি এই কাজটি সম্পাদনের দায়িত্বগ্রহন করবেন।

[Edward Waite, p. 486-7, “A New Encyclopedia of Freemasonry and of Cognate Instituted Mysteries: The Rites, Literature and History”, Volume II, reprinted in 1970 by Weathervane Books.]


অতএব দেখতে পাচ্ছেন, ইহুদী ও মাসূনীরা একই উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং ইহুদীদের সাথে অবশ্যই মাসূনীদের গভীর সম্পর্ক থাকবে। এ কথা অনুমান করাই যায় যে, মাসূনীদের প্রতিষ্ঠায় ইহুদিদের ভূমিকা থাকার কথা এবং এরা একে অপরকে সাহায্য করছে।

সত্যিই তাই,
ফ্রিম্যাসন ও ইয়াহুদি একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত, একে অপরের সহায়ক! বলা যায়, ফ্রিম্যাসন তৈরির পেছনে ইহুদিরা ছিল।  ফ্রিম্যাসনিক বিশ্বাস ব্যবস্থা বা মাসূনীদের আকিদা, কর্মপন্থা সব কিছুই আগাগোড়া ইহুদীদের অনুসরণে বানানো! র‍্যাবাই আইজ্যাক ওয়াইজ বলেনঃ
"ফ্রিম্যাসনারী হচ্ছে ইহুদীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত,যার ইতিহাস,পদমর্যাদা, অফিশিয়াল নিয়োগদান,পাসওয়ার্ড এবং ব্যাখ্যাসমূহের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব ইহুদীদের।"
— Rabbi Isaac Wise (of B’nai B’rith, quoted in Israelite of America, Aug 3, 1866)


শুধু এই একটিই না, ইহুদী ও ফ্রিম্যাসন উভয় প্রান্ত থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে পারস্পারিক নির্ভরশীলতার  (ইন্টারডিপেন্ডেন্সি) testimony পাওয়া যায়ঃ
"ফ্রিম্যাসনরী হচ্ছে ইহুদীবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত। মাসূনীদের আচারবিধির আর কি-ই-বা বাকি থাকে, যখন ইহুদীবাদি মতবাদকে বাদ দেওয়া হয়?"
«The Jewish Tribune». New York, 29. okt. 1925.


"মাসূনীদের প্রথম কমান্ডমেন্ট অবশ্যই ইহুদীজাতিকে কীর্তন করা, যা ঐশ্বরিক বিষয়াদি অপরিবর্তিত রেখে গোপন রাখা হয়েছে।"
[Cabala/Talmud]
Freemason magazine «Le Symbolisme», Revue mac. 1928[১৩]



মাসূনীদেরকে ইহুদীরা প্রস্তুত করে ইজরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। অর্থাৎ এই সিক্রেট সোসাইটি অইহুদী পরিবেশে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইহুদীদের স্বার্থে কাজ করা একটা বড় হাতিয়ার।ইজরাইলি লেখক এবং রিপোর্টার Barry Chamish ইজরাইল রাষ্ট্র গঠনে মাসূনীদের হস্তক্ষেপের ব্যপারে নিঃসংশয়ে বলেনঃ"যদি ব্রিটিশ ফ্রিম্যাসনারি না থাকতো, তাহলে হয়ত আজ ইজরাইল নামের আধুনিক রাষ্ট্রটি হত না।"

[Retrieved December 13, 2010 from: http://www.rense.com/general28/brit.htm.][১৪]



তারমানে ফ্রিম্যাসন হচ্ছে ইহুদীদের সৃষ্ট অইহুদী পরিবেশে দাজ্জালের arrival এর মঞ্চ নির্মাণের এজেন্ডা। ইহুদীদের থিংকট্যাংক ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী। এরা সিক্রেট সোসাইটির আদর্শ অনুযায়ী সামনে থেকে কিছু করে না বরং সবকিছু পেছন থেকে করে। কেউ একজন বলেছিলেন যে, "ফ্রিম্যাসন হচ্ছে অইহুদীদের(Gentiles) ইহুদীবাদ।" সেই রেনেসাঁ থেকে শুরু করে রয়্যাল সোসাইটি সব ক্ষেত্রেই Forbidden Occult কে বৈধতাদানে এবং গুপ্তবিদ্যা সংরক্ষনে মাসূনীরা প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করেছে। এখন বলার অপেক্ষা রাখেনা, রয়্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ফ্রিম্যাসন জনাব আইজ্যাক নিউটনের মতাদর্শ চিন্তাধারা কি ছিল।
এজন্যই তিনি বিশ্বাস করতেন,"দ্য গ্রেট আর্কিটেক্ট অব দ্য ইউনিভার্সে", একজন "ইউনিভার্সাল রুলার" এ, তিনি আবার omnipresent! এজন্যই তিনি হার্মেটিক-আলকেমি চর্চাও করতেন অন্যদিকে বাইবেল,তাওরাত-তালমুদ-জোহার ঘাটতেন  কাব্বালিস্টিক বাতেনি বিদ্যার অন্বেষণে। মাসূনী ছিলেন বলেই চিরাচরিত বৈশিষ্ট্যানুযায়ী আল আকসা মসজিদের(Temple of Solomon) প্রতি ছিল বিশেষ দৃষ্টি। তিনি বাইবেল ঘেটে সৃষ্টিকর্তার ব্যপারে যা বলতেন সেটা কখনোই মিল্লাতে ইব্রাহীমের ইলাহকে নির্দেশ করে করতেন না, বরং মাসূনীদের(ফ্রিম্যাসন) উপাস্যকে 'বাইবেলসম্মত' করবার উদ্দেশ্যে ত্রিতত্ত্ববিরোধী বিশ্বাসের কথা লিখে গেছেন। অর্থাৎ সহজভাবে বললে, আজ যেমনি মুসলিমরা অপবিজ্ঞানের কুফরি তত্ত্বকে 'ইসলামাইজ'(ইসলামসম্মতকরন) করতে দেখেন,ঠিক তেমনি নিউটন ম্যাসনিক শয়তানি আকিদাকে বাইবেলের সাথে মেশাতে গিয়ে একইভাবে সাংঘর্ষিক প্রচলিত বিশ্বাসগুলোকে বাদ দিতে গিয়ে ত্রিতত্ত্ববাদবিরোধী হয়েছিলেন। এজন্যই নিউটনের 'ধর্মীয় বিশ্বাসে' শয়তানের কন্সেপ্ট নেই। কেউ শয়তানের পক্ষপাতিত্ব করলে তার বিরুদ্ধে কিভাবে যেতে পারে, বলুন!

উপরে দেখিয়েছি মাসূনীদের ইহুদীপ্রীতির বিবরণ। নিউটনের মধ্যে এটা একটু বেশিই ছিল। তিনি বিভিন্ন র‍্যাবাঈনাইক(ইহুদী র‍্যাবাঈদের) লেখা যেমন (Aramaic Version) Esther, Vayikra Rabba এবং Sa'adia HaGaon, Ibn Ezra, Rashi, Sifra, R. Aharon ibn Hayyim; Seder Ma'amadot (daily sacrifices সম্পর্কে)  Bartinurah এবং Talmudic প্রবন্ধ 'from the Babylonian and Jerusalem Talmud in Latin'  প্রমুখ থেকে বিভিন্ন মন্তব্য উল্লেখ করেন। তাছাড়া তিনি তার পাণ্ডুলিপিতে  “On Maimonides,” টাইটেলের লেখনীতে Maimonides এর Mishneh Torah থেকে ল্যাটিন অনুবাদ উল্লেখ করেন বহু জায়গায়[৮]।

নিউটনের কিতাবাদির সংগ্রাহক জন মেনার্ড় কিন্স নিউটনের ঈশ্বরের ধারনার ব্যপারে বলেনঃ "নিউটন ইহুদীবাদী একেশ্বরবাদি চিন্তার ছিলেন ইহুদিদের মাইমনিডিস ফের্কার অনুসরনে"[৭]। নিউটন ছিলেন  কাব্বালাহ একনিষ্ঠ অনুসারী। তার সমস্ত চিন্তাধারা বলা যায় কাব্বালাহ কেন্দ্রিক।

পদার্থবিদ মিচিও কাকু বলেন, "জনাব আইজ্যাক মিস্টিক্যাল টেক্সটগুলোয় প্রবেশ করেছিলেন, (প্রবেশ করেছিলেন)কাব্বালার কিতাবাদিতে"।

কাব্বালিস্ট র‍্যাবাঈ মিকাঈল লেইটম্যানকে প্রশ্ন করা হয়ঃ"আপনি নিউটনকে কতটা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেন?" উত্তরে তিনি বলেনঃ"নিউটন ছিলেন একজন কাব্বালিস্ট। তিনি ছিলেন সেসব বিশেষ ব্যক্তিদের অন্যতম যাদের সাথে উপরের জগতের সাথে যোগাযোগ ছিল। এবং তাদের উর্দ্ধজগতের সাথে এই সংযোগের মাধ্যমে আমাদের এই জগতের অনেক বিষয়ে (উপরের জগত থেকে) সংশোধিত হয়।আমাদের অবশ্যই বোঝা উচিত যে, এই ধরনের ব্যক্তিদের ব্যপারে আমরা খুব কমই জানি। আমরা সাধারণত যা জানি তা প্রকৃতপক্ষে সত্য বা সঠিক নয়।যাইহোক, আমি মনে করি আমরা ঐ সময়টিকে কাছে টেনে আনছি যখন মানবজাতি প্রস্তুত হবে এবং মহান কাব্বালিস্ট আইজ্যাক নিউটনের ব্যপারে সব কিছু আবিষ্কার করবে একদম উপরিস্থিত শেকড় থেকে।"[৯]
টাইমস অব ইজরাইলে Aron Heller বলেনঃ আইজ্যাক নিউটন ছিলেন "ইহুদী দর্শন, রহস্যবাদ, কাব্বালাহ এবং তালমূদের" শিষ্য।

সারাহ ড্রাই বলেন, ইয়াহুদা শালোম মোশে নামের জনৈক ইহুদী "নিউটনের লিখিত পুস্তকাদি ক্রয়ের চেষ্টা করেন এবং তার স্ত্রী Ethel কে ২৮ শে জুলাই চিঠিতে জানায়, 'আমি এসব অর্জন করতে পেরে শিহরিত। সে বাইবেলের ব্যপারে, ইহুদী ও কাব্বালার ব্যপারে এবং সব ধরনের ইহুদীদের প্রশ্নের ব্যপারে ব্যাপকাকারে লিখেছেন।"

Levy-Rubin বলেনঃ
"তিনি(নিউটন) ইহুদীদের প্রতি গভীর আগ্রহী ছিলেন এবং আমরা ইহুদীদের প্রতি তার লেখায় কোন ধরনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পাইনি।"... "তিনি বলেছেন যে ইহুদীরা সর্বশেষে তাদের ভূমিতে(জেরুজালেমে) ফিরে যাবে"।[১০]

অতএব,কাব্বালিস্ট মাসূনী নিউটন যে কিসের প্রত্যাশা করতেন সেটা খুব স্পষ্ট। এবার তার দেওয়া যুগান্তকারী তত্ত্ব গ্রাভিটির বিষয়ে যাওয়া যাক। প্রথমদিকে নিউটন যাদুবিদ্যার ফিফথ ইলিমেন্ট ইথারের স্বীকৃতি দিতেন ,পরবর্তীতে যাদুবিদ্যায় দূরবর্তী বস্তুতে প্রভাব বিস্তারের(Action at a distance) ব্যাখ্যায় ইথারকে বাদ  দিয়ে এর স্থানে আরো উচ্চমাত্রার যাদুকরী ব্যাখ্যা হিসেবে থিওরি অব গ্রাভিটিকে প্রতিষ্ঠা করেন। এই Gravity' র অরিজিন কি!? গাছের নিচে বসে থাকা নিউটনের মাথায় আপেল পতনের ঘটনাটি ব্যাপকভাবে লোকমুখে প্রচলিত আছে। এই ঘটনা সম্ভবত সত্য নয়, সাম্প্রতিক অধিকাংশ স্কলার, বিজ্ঞানীরা এ ঘটনাকে সত্য বলে স্বীকৃতি দেয়না। এই ঘটনাটি হয়ত একটি রূপক। বিভিন্ন অকাল্ট ট্রেডিশন ও গুপ্তসংগঠনগুলো বিবলিক্যাল গার্ডেন অব ইডেনের ঘটনার বাতেনি ব্যাখ্যায় শয়তান,আদম হাওয়ার ঘটনাকে রূপক মনে করে। এদিক দিয়ে দেখলে বলা যায়, নিউটন নিষিদ্ধফলযুক্ত(ফ্রুট অব লাইফ) অনন্তজীবন প্রদায়ী বৃক্ষের(Tree of life -সাজারাতুল খুলদের) কাছে গিয়েছিল, আপেলকেই খ্রিষ্টান ট্রেডিশনে ওই ফল বলা হয়। নিউটনের সামনে ওই নিষিদ্ধ জ্ঞানের ফল পড়লে যুগান্তকারী গ্রাভিটি থিওরিটি নিউটনের মাথায় আসে। সুতরাং এখানে ট্রি অব লাইফ, ফ্রুট অব লাইফ, ফরবিডেন নলেজ সবকিছুই বিদ্যমান। মাসূনী ও স্যাটানিস্টদের অনেক শাখা এরকমই এ্যালিগোরিক্যাল আকিদা রাখে। এই ঘটনা যেহেতু বাস্তব না বরং রূপক তাহলে দেখা দরকার নিউটনের এই তত্ত্বের উৎস কোথায়। যদি আসল ঘটনার সাথে প্রচলিত আপেল পতনের ঘটনার মিল পাওয়া যায়, তাহলে সেটা অবশ্যই অসাধারন রূপক।

নিউটন সত্যিই tree of life এর কাছে গিয়েছিল। তবে এই ট্রি অব লাইফ জান্নাতে নয়, সরাসরি শয়তানের দেওয়া বিদ্যা।শয়তান এখানে নামও পরিবর্তন ঘটায় নি।যাইহোক, নিউটন সেখান থেকে জ্ঞান আহরণ করে গ্রাভিটি তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠা করে।

নিউটন গ্র‍্যাভিটি সংক্রান্ত থিওরির উৎস হচ্ছে যাদুবিদ্যার শক্তিশালী ট্রেডিশান কাব্বালাহ! Kabbala: Or True Science of Light (1883) এর লেখক S. Pancoast নিউটনের গ্র‍্যাভিটির আবিষ্কারকে প্রশংসা করে বলেন,"নিশ্চয়ই নিউটনিয়ান দর্শনের অনেককিছু আমরা অতীতে দেখতে পাই যার ফলে আমরা সন্দেহহীন যে উনি কাব্বালিস্টিক বিদ্যার প্রাচীন খনিতে বিচরন করেছেন, এবং সেখান থেকে সূত্র ধরে বিশাল বিশাল তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন।" তিনি অন্যত্র বলেন,"তিনি(পিথাগোরাস) কখনো প্রকাশ্যে নিজের জ্ঞান ও বিশ্বাসকে প্রকাশের অনুমতি দিতেন না,কিন্তু তার সাগরেদদেরকে অনেক গোপনীয়তার শর্তে তার দর্শনের বিস্ময়কর বিষয়াদির শিক্ষা দিতেন। পিথাগোরাস তার জ্ঞানকে প্রকাশ করাকে নিষেধ করতেন কারন এটা হয়ত আকর্ষণ ও বিকর্ষণের নীতিকে প্রকাশ করে দেবে,যেটা গুপ্ত নিভৃত আবাসের গঠনকে গোপন করে রেখেছে। প্রায় এক হাজার বছর পর, নিউটন কাব্বালাহ অধ্যয়নের মাধ্যমে এই ফোর্সকে(শক্তিকে) আবিষ্কার করে।"

The Kabbalah & Magic of Angels এর লেখক Migene Gonzalex-Wippler বলেন, গ্রাভিটি "হচ্ছে ট্রি অব লাইফের(সাজারাতুল খুলদের) ৬ষ্ঠ স্ফিয়ার Tiphareth এর সমকক্ষ।"

লেখক Edward Hendrie বলেন, “গ্রাভিটি শুধু মাত্র এক ইহুদী দেবতা Ein Sof এরই আরোপ নয়, বরং এটা মূলত স্বীয় অধিকার অনুযায়ী কাব্বালার একটি দেবতা।"[১১]

পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কাব্বালা একাডেমি- ইজরাইলের বেনেঈ বারুচ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান র‍্যাবাঈ মিকাঈল বলেন:"ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত একটি বই- জোহার(kabbalah Denudata) নিউটনের লাইব্রেরীতে পাওয়া গেছে যা বর্তমানে ক্যাম্ব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে নেওয়া হয়েছে।The Religion of Isaac Newton বইটিতে Frank E. Manuel লিখেছেন “আইজ্যাক নিউটন বিশ্বাস করতেন মূসা সব ধরনের বৈজ্ঞানিক গুপ্তরহস্য ধারন করতেন।" ডঃ সেথ প্যানকস্ট বলেন, "নিউটনের কাব্বালাহ অধ্যয়ন  ফিজিক্যাল 'ল সমূহের(গ্রাভিটি এবং রিপালসান ফোর্স) আবিষ্কারের দিকে চালিত করে।"[১২]


সুতরাং, নিউটনের গ্র‍্যাভিটেশনাল তত্ত্বের উৎস কাব্বালার ট্রি অব লাইফের সাথে বিবলিক্যাল প্রেক্ষাপটে জান্নাতুন আদনের সাজারাতুল খুলদ বা আপেল বৃক্ষের এবং এর উপর বানানো গাছের নিচে বসা নিউটনের উপর আপেল পতনের ঘটনার অপূর্ব সামঞ্জস্য আছে। অসাধারণ রূপক।যাদুশাস্ত্র এর ট্রেডিশান কাব্বালাহ উৎসারিত তত্ত্ব গ্রাভিটি যে উচ্চমানের magical force তাতে কোন সন্দেহ নেই। প্রাচীন আরেক ম্যাজিক্যাল ইলিমেন্ট Aether এর বদলে নতুন নামে মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানে যাদুবিদ্যার বিশ্বাসকে প্রবিষ্ট করবার উদ্দেশ্যেই গ্রাভিটিকে আনা হয়। শুধুমাত্র কাব্বালাহ নয়, গ্রাভিটির ব্যপারে হার্মেটিক যাদুবিদ্যা চর্চা নিউটনকে এ(গ্রাভিটির) বিষয়ে গভীরভাবে ভাবতে সাহায্য করে।
Colombia University এর পামেলা স্মিথ বলেন,"নিউটন আলকেমিকে অনুসরণ করতেন কারন এটা তাকে প্রকৃতির Active principal এর ব্যপারে সুক্ষ্ম অন্তর্দৃষ্টি দিত, গ্রাভিটি ছিল একটা অকাল্ট(যাদুকরী) ফোর্স। কারন এর কোন ব্যাখ্যা ছিল না। নিউটন বিশ্বাস করতেন  এই গ্রাভিটি হচ্ছে অন্যতম active principle বা এর মধ্যে অন্যতম ফোর্স(শক্তি)। তো এই দিক থেকে ভাবলে বলা যায় যে,নিউটনের আলকেমি চর্চা তাকে গ্রাভিটির ব্যপারে উপলব্ধি তৈরি করে।" এজন্যই নিউটন এই ম্যাজিক্যাল ফোর্স গ্রাভিটির ব্যপারে তৎকালীন সময়ে প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছিলেন।আজ যাদুবিদ্যাকে জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দুতে বসানো হয়েছে। গ্রাভিটির উপর এমনভাবে নির্ভরশীল যে এটাকে বাদ দিলে আধুনিক অপবিজ্ঞান ও অপবৈজ্ঞানিক তত্ত্বগুলো সবকিছু ভেঙ্গে পড়বে। এটাকে কেন্দ্র করেই সকল তত্ত্ব গড়ে উঠছে। অর্থাৎ যাদুশাস্ত্র সবকিছুর কেন্দ্রে বসে গেছে বৈজ্ঞানিক বৈধ বিদ্যার নামে। আজ কেউ গ্রাভিটিকে বাদ দেওয়ার কথা ভাবতেও পারেনা, নামধারী মুসলিমরাও চরমভাবে আসন্ন মসীহের ফাঁদে আটকা পড়ে গেছে। এদের কাছে গ্রাভিটির বিরুদ্ধে বলেই দেখুন,দেখুন তাদের প্রতিক্রিয়া কিরূপ! একজন কাব্বালিস্ট-ফ্রিম্যাসনের দেওয়া যাদুকরি দর্শনকে কেনই-বা আজ অন্য সকল অপবিদ্যার(বিজ্ঞানের) কেন্দ্রে বসানো হয়েছে!? সেটা  দাজ্জালের অপেক্ষায় পথ চেয়ে থাকা ইহুদী র‍্যাবাঈ বিলি ফিলিপ্সের মুখ থেকেই শুনুন।

তিনি নিউটনের কাব্বালাহ উৎসারিত তত্ত্বের প্রশংসা এবং দাজ্জালের নিকটভবিষ্যতে আগমনের আশা ব্যক্ত করে বলেন," প্রায় ৩০০ বছর জনগনের থেকে লুক্কায়িত অবস্থায় থাকার পর, নিউটনের গুপ্তবাদি লেখনী গুলোকে প্রকাশ করা হয়। এখানে, নিউটনের নিজের হাতের লেখায় আপনি দেখতে পাবেন তিনি জোহার, র‍্যাবাঈ শিমন, র‍্যাবাই আকিভার ব্যপারে লিখেছেন, তিনি এমনকি হিব্রুও লেখেন। নিউটন কাব্বালাহ দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিল, যেমনটা সায়েন্টিফিক বিপ্লবের সময়ের অন্য সব পদার্থবিদরাও প্রভাবিত ছিলেন। শীঘ্রই আমরা বইপত্র এবং ডকুমেন্টারি পাব(প্রকাশ করব) যা আসল ঘটনাকে প্রকাশ করবে। যেহেতু ভিলনার জিনিয়াস(Elijah ben Solomon) খ্যাত  মহান কাব্বালিস্ট কিছু শতাব্দী আগে লিখেছেন; যখন কাব্বালাহ এবং বিজ্ঞান একত্রিত হবে মানবজাতির জন্য, মসীহ আবির্ভূত হবেন এবং পৃথিবীতে (তার প্রতিষ্ঠিত) স্বর্গরাজ্যটি হবে আমাদের।"

তাহলে এবার আশাকরি বুঝতে পারছেন, ইহুদীদের জেরুজালেমে ফিরে যাওয়া, ২০৬০ এর মহাযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত স্বর্গরাজ্যের দ্বারা এই মাসূনী অপবিজ্ঞানী কি বুঝিয়েছেন! আপনি কি জানেন, নিউটনের গবেষণা ও যাদুচর্চার ডকুমেন্ট গুলো এখন কোথায়!? একজন ফ্রিম্যাসন ও জেন্টাইল কাব্বালিস্টের অপবিজ্ঞানচর্চার ডকুমেন্টস ও লেখনীগুলোর নিরাপদ ঠিকানা কোথায় হতে পারে!?
সহজ উত্তর-
মাসূনীদের পবিত্রভূমি এবং দাজ্জালের অনুসারীদের আবাসস্থল ইজরাইলে। দাজ্জালের অপেক্ষাকারী ইহুদীরাই ভাল করে একজন কাব্বালাহ এবং সর্বপরি দাজ্জালের রূহানী সাগরেদের কর্মের মর্যাদা বুঝবে। এজন্যই নিউটনের অধিকাংশ ডকুমেন্টগুলো আব্রাহাম ইয়াহুদা মোশে নামের এক ইহুদী সংগ্রহ করতে চলে আসে। জন মেনার্ড কিন্সের সংগ্রহগুলোও জনাব ইয়াহুদা সাহেব ইহুদীদের পবিত্রভূমিতে নিয়ে আসেন।

আজ অধিকাংশই জেরুজালেমের Jewish National and University লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে। ২০০৭ সালে জনসাধারণ এর দেখার জন্য উন্মুক্ত করা হয়,ইজরাইলের ন্যাশনাল লাইব্রেরি কর্তৃক অনলাইনেও তার আলকেমিক্যাল চর্চার অরিজিনাল ডকুমেন্ট গুলোর প্রায় ৭৫০০ পেইজকে স্ক্যান করে প্রকাশ করে। এর মধ্যে নিউটনের ২০৬০ সালের মহাযুদ্ধ বা শেষ সময়ের ভবিষ্যদ্বাণীর বিবরণও আছে। উইকিপিডিয়াতে এসেছেঃ
Much of the Keynes collection later passed to eccentric document collector Abraham Yahuda, who was himself a vigorous collector of Isaac Newton's original manuscripts.

Many of the documents collected by Keynes and Yahuda are now in the Jewish National and University Library in Jerusalem.

Yahuda’s collection was bequeathed to the National Library of Israel in 1969, years after his death. In 2007, the library exhibited the papers for the first time and now they are available for all to see online.

Now Israel’s national library, an unlikely owner of a vast trove of Newton’s writings, has digitized his theological collection — some 7,500 pages in Newton’s own handwriting — and put it online. Among the yellowed texts are Newton’s famous prediction of the apocalypse in 2060.

In addition, The Jewish National and University Library has published a number of high-quality scanned images of various Newton documents.

The two documents detailing this prediction are currently housed within the Jewish National and University Library in Jerusalem.[উইকিপিডিয়া]


কাব্বালা আর আলকেমির একনিষ্ঠ সাধকপুরুষ, অপবিজ্ঞান সম্রাট আইজ্যাক নিউটনের মৃত্যুটাও হয় সম্ভবত শয়তানের Tree of life এর অমরত্বের প্রতিশ্রুতিকে বিশ্বাস করতে গিয়ে। আলকেমির দ্বারা শুধুমাত্র লোহাকে স্বর্ণে পরিণত করাই নয়, মানবীয় শারীরিক-আত্মিক অমরত্ব লাভ অথবা দীর্ঘায়ু লাভের জন্যও elixir of life(spiritual alchemy) এর অন্বেষণ করা হয়। Tree of life(কাব্বালাহ) এর অনুসারী নিউটন হয়ত শেষ পর্যন্ত নিজের শরীরের উপরেই পরীক্ষা চালান শয়তানের ওয়াদাহকে সত্য মনে করে। এটাই তার জীবনের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। প্রমাণস্বরূপ, তার মৃত্যুর পরে চুলে প্রচুর পরিমাণে পারদ পাওয়া যায়। উইকিপিডিয়ায় এসেছেঃ
After his death, Newton's hair was examined and found to contain mercury, probably resulting from his alchemical pursuits.Mercury poisoning could explain Newton's eccentricity in late life.[উইকিপিডিয়া]


নিউটনকে আজ ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয় যা সে ছিল না। আজ সর্বত্র দেখানো হয় যে সে ছিল মহানবিজ্ঞানী অথচ আদৌ তা নয়। বরং তার আসল পরিচয় একজন নিকৃষ্ট বাতেনিয়্যাহ ফের্কাভুক্ত যাদুকর। তার নামে আজ যা বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আছে তার প্রায় সবটাই যাদুবিদ্যার অংশ কিংবা যাদুশাস্ত্র উৎসারিত তত্ত্ব। Poor Superman(1951) এর মর্টন ওপারলি নামের চরিত্রটির দ্বারা ফিকশন লেখক fritz Leiber নিউটনের ব্যপারে বলেন,"সকলে নিউটনের ব্যপারে জানে যে সে একজন মহান বিজ্ঞানী। খুব কম লোকই মনে করেন যে তিনি তার জীবনের অর্ধেকটাই কাটান আলকেমি নিয়ে পরশপাথরের সন্ধানে। এটাই ছিল সেই নূড়ি পাথর যা সে সমুদ্রের তীরে খুঁজতে ছিলেন।"[উইকিপিডিয়া]

নিউটনকে আজকের বিজ্ঞানীরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। ২০০৫ সালে করা ব্রিটেনের রয়্যাল সোসাইটির মেম্বারদের মধ্যে এক সমীক্ষা করা হয় যেখানে প্রশ্ন করা হয়, আইনস্টাইন ও নিউটনের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ। রয়্যাল সোসাইটির বিজ্ঞানীগন নিউটনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে অবশ্য আরেকটি সার্ভেতে নিউটনের উপর আইনস্টাইনকে তোলা হয়। কিন্তু ফিজিক্সওয়েব নামের ওয়েবসাইট পদার্থবিদদের অংশগ্রহণে করা সমীক্ষায় শ্রেষ্ঠত্বের দিক দিয়ে নিউটন আবারো প্রথম স্থান লাভ করেন।
Newton remains influential to today's scientists, as demonstrated by a 2005 survey of members of Britain's Royal Society (formerly headed by Newton) asking who had the greater effect on the history of science, Newton or Einstein. Royal Society scientists deemed Newton to have made the greater overall contribution

In 1999, an opinion poll of 100 of today's leading physicists voted Einstein the "greatest physicist ever;" with Newton the runner-up, while a parallel survey of rank-and-file physicists by the site PhysicsWeb gave the top spot to Newton.[উইকিপিডিয়া]


শয়তানের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির রূপক রূপ(কাব্বালার) ট্রি অব লাইফ থেকে নেওয়া গ্রাভিটি নামের occult force এর pioneer জনাব আইজ্যাক নিউটনের[১৫] আকিদা, সংগঠন, বিদ্যা এবং তার উৎসের ব্যপারটি এখন সুস্পষ্ট। আমরা যে মাসূনীদের(Masonry) শিক্ষা দ্বারা কতটা প্রভাবিত সেটা আচ করা যায় যখন কাউকে নিউটনের বিরুদ্ধে বলা হয়। অজ্ঞতা এবং অন্তরের ব্যাধির প্রকাশ ঘটে ওইসব কিতাবে, যেখানে নিউটনদের সৃষ্টিকর্তার ধারণাকে মিল্লাতে ইব্রাহীমের(আ) বিশ্বাসের সাথে সমন্বয় করা হয়। কাফিরদের বাতেনিয়্যাহ ফের্কাভুক্ত গুপ্তসংগঠনের সাথে জড়িত এক যাদুকরকে কত সহজেই আমরা জ্ঞানবিজ্ঞানের আদর্শ হিসেবে গ্রহন করেছি! এ আর্টিকেলের প্রথম দিকে যে ব্যক্তির কিতাবের ব্যপারে বলেছি তিনি কি ধরনের বিশ্বাস প্রচার করছেন, কতটা উপকার করছেন উম্মাহর জন্য তা ভাবার অবকাশ আছে। এ ধরনের নিন্মমানের কিতাবাদি যাদের আকিদায় কলুষতার বীজ প্রবেশ করেনি,তাদেরকেও বিভ্রান্ত করছে। অজান্তেই কাদারিয়্যাহ, মু'তাযিলা,মুরজিয়াহ ইত্যাদি আকিদার দিকে ভিড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা কিভাবে ওই মানের যাদুকরের চিন্তাদর্শ গ্রহন করি যে বা যারা ইহুদীদের মিথ্যা মসীহের(দাজ্জালের) কাজ করছে, শয়তানকে মিত্ররূপে গ্রহন করেছে(!), যেখানে কাফিরদের থেকে আসা সংবাদকেও আল্লাহ আযযা ওয়াযাল যাচাই করতে বলেছেন! আপনারা কি ইহুদী র‍্যাবাঈদের স্বীকৃতির ব্যপারে দেখেন না!? দাজ্জালের অনুসারীদের কাছে তার গবেষণাপত্রগুলোর সংরক্ষন দেখেন না!? আমরা প্রতিষ্ঠিত  (অপ)বিজ্ঞানের ব্যপারে প্রশ্ন তুলি না, সেটাকে স্বতঃসিদ্ধ সত্য হিসেবে গ্রহন করে নিয়েছি। অথচ এটা শয়তান ও মসীহ দাজ্জালের অন্যতম ফাঁদ ও শক্তিশালী হাতিয়ার। এস্ট্রলজি বা জ্যোতিষশাস্ত্র ছিল আদি বিজ্ঞান, যেখানে আল্লাহর রাসূল(সাঃ) এই বিদ্যা অর্জনকে কুফরি বলেছেন,এটাকে সরাসরি যাদুবিদ্যার শাখায় ফেলেছেন, সেখানে আমরা কি করে এমন কোন লোকের বিদ্যাকে অনুসরণ করতে পারি যিনি একাধারে যাদুকর এবং দাজ্জাল ও তার অনুসারী জাতির অনুসারী! এখানেই শেষ না, এই যাদুকর তার অর্জিত জ্ঞান গ্রহন করেছে হার্মেটিক ও কাব্বালার মত উচ্চমাত্রার খাটি যাদুশাস্ত্র থেকে। আমি জানি না মুসলিম হিসেবে আল্লাহকে ভয় করে আমরা এসব বিদ্যাকে কিভাবে বৈধতা দেই,সম্মানের ও জ্ঞানের বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করি, অথচ যাদুর সাথে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানকেই(এস্ট্রলজি) কুফর সাব্যস্ত হয়েছে। যাইহোক, University of Kentucky এর প্রফেসর James force বলেন, "আমরা নিউটনের (কথা) অবাক লাগে কারন আমরাই নিউটনকে এমন নিউটন হিসেবে বানিয়ে নিয়েছি,যিনি আদৌ তা ছিলেন না। আমরা নিউটনকে যুক্তিবাদী আলোকিত ব্যক্তিত্ব মনে করি, কিন্তু এমনটা নিউটন আদৌ ছিল না।"

ইউনিভার্সিটি অব কেম্ব্রিজের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর(হিস্টোরি অব ফিলসফি অব সায়েন্স) Simon Schaffer বলেন,"নিউটনের মতাদর্শের ব্যপারে বর্তমান ব্যাখ্যাগুলো নিউটন নিজের ব্যপারে যা ভাবতেন তার চেয়ে অনেক দূরের কিছু"।

আধুনিক ইউরোপিয়ান বিজ্ঞানের ইতিহাস বিশেষজ্ঞ Colombia University এর প্রফেসর পামেলা স্মিথ বলেন,"এক দিকে আমরা নিউটনকে মাপছি একজন বিজ্ঞানী হিসেবে কিন্তু ওদিকে তিনি এমন কিছু(যাদুবিদ্যা) নিয়ে ছিলেন যাকে আজ আমরা সুডো সায়েন্স বলি"

যেসব অভিশপ্ত কাফির এই লেখা পড়ছে, তাদের কাছেও প্রশ্ন, তাদের পরম অহংকারের বিশ্বাস ব্যবস্থা তথা সায়েন্সের origins তারা কেন ঢেকে রাখে(?), অপবিজ্ঞান হয়ে যাবার ভয়ে!? আপনাদের চোখে সুডোসাইন্স যা, সেগুলোই আপনাদের বৈজ্ঞানিক আদর্শের গোঁড়া, সেটাই ছিল আপনাদের আদি এবং সাম্প্রতিক শীর্ষস্থানীয় শিক্ষকদের(অপবিজ্ঞানীদের) গভীর বিদ্যার উৎস! যদিও অনেক rational চিন্তাদর্শন লালন করার বুলি আওড়ান, আপনাদের চিন্তাধারাই তো চরম irrational, জোর করে rationalise করা হয়েছে। যে সৃষ্টিতত্ত্বকে বিজ্ঞানের নামে প্রচার করেন, সেগুলো সুস্পষ্ট mysticism! এই  বিশ্বাসব্যবস্থার শুরুটা একদমই অন্ধ - যুক্তিহীন অনুসরণের উপর প্রতিষ্ঠিত। কিসের অনুসরণ?
উত্তর হচ্ছে যাদুশাস্ত্র এবং যাদুকরদের যাদুশাস্ত্র নির্ভর বিশ্বাসব্যবস্থার উপর। গোড়ায় বিজ্ঞানের 'ব'ও ছিল না। ব্রুনো,  কোপার্নিকাসরা কেন হেলিওসেন্ট্রিক তত্ত্বের কথা বলেছেন? কারন, হার্মিস শিখিয়েছে, পিথাগোরাস শিখিয়েছে, কাব্বালা শিখিয়েছে। এখানে পর্যবেক্ষন, পরীক্ষনের কিছুই ছিল না। নিউটন কেন একই পথে হেটেছে?  কারন, তার হাতে আসা শয়তানি শাস্ত্র এরই শিক্ষা দিয়েছে, তার অনুরূপ সবাই একই পথে হেটেছে, ফলে তিনি এই 'অন্ধ বিশ্বাস'কে যৌক্তিক করবার উদ্দেশ্যে গ্রাভিটি নামের মিস্টিক্যাল ফোর্সকে টেনে নিয়ে আসেন, তাও সেই একই আলকেমিক্যাল-কাব্বালিস্টিক স্ট্যান্ডার্ড থেকে। আপনাদের ideology এর hierarchy'র একদম উপরে আছে শয়তান। যতই শয়তানের অস্তিত্বকে অস্বীকার করেন না কেন, আপনাদের রুহানি উস্তাদগন তাদের থেকেই এসব শিখে আপনাদেরকে শিখিয়েছেন। এখন এই সুডোসায়েন্স নিয়ে আপনাদের সে-কি গর্ব! নিজেদের যারা নাস্তিক বলে গর্ববোধ করেন, এরা আসলে প্রচণ্ড রকমের নির্বোধ। শয়তান যাদের জন্য বিশ্বাস অবিশ্বাসের সিলেবাস ডিজাইন করে, অতঃপর তারা নির্ধারিত মিথ্যা বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে নিজেকে নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে তৃপ্তিবোধ করে,এদের চেয়ে নির্বোধ আর কারা!? এরাই আবার মিল্লাতে ইব্রাহিমের আকিদা বিশ্বাস নিয়ে উপহাস করে, অথচ ওদের চিন্তাধারাই বাস্তবিকভাবে উপহাসযোগ্য।








রেফাঃ
[১]
https://aadiaat.blogspot.com/2019/07/blog-post.html

[২]
https://www.gotquestions.org/free-masonry.html

[৩]
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Jahbulon

[৪]
www.formermasons.org/issues/the_masonic_view_of_God.php

[৫]
https://www.cuttingedge.org/news/n1643.cfm
https://israelect.com/reference/JackMohr/jm078a.htm#-%20TABLE%20OF%20CONTENTS

[৬]
www.arosicrucianspeaks.com/medtek1.htm

[৭]
https://www.aish.com/jw/s/Sir-Isaac-Newton-and-Judaism.html

[৮]
https://m.jpost.com/Israel-News/Newtons-Temple-596350

[৯]
https://laitman.com/2016/03/the-kabbalist-sir-isaac-newton/

[১০]
https://www.timesofisrael.com/sir-isaacs-jewish-writings-enter-the-21st-century/
https://jewishcurrents.org/july-5-sir-isaac-newton-and-the-jews/

[১১]
https://ourwayisthehighway.wordpress.com/2017/08/15/show-me-your-papers-isaac-newtons-secret-confessions-the-kabbalah-does-not-exist-in-flat-earth-reflections-in-flat-earth-from-quebec/

১২]
https://laitman.com/2008/03/isaac-newton-and-kabbalah/

[১৩]
https://www.riksavisen.no/freemasons-jews-and-king-salomos-third-temple/

[১৪]
https://www.douglashamp.com/freemasons-the-third-temple-and-the-antichrist/

[১৫]
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Isaac_Newton
https://wikipedia.org/wiki/Eschatology

[১৬]
wikipedia.org/wiki/Great_Architect_of_the_Universe

[১৭]
wikipedia.org/wiki/The_Rosicrucian_Cosmo-Conception
wikipedia.org/wiki/Demiurge

[১৮]
https://aadiaat.blogspot.com/2019/07/altered-state-of-consciousness.html

[১৯]
https://www.universalfreemasonry.org/en/famous-freemasons/isaac-newton
www.freemasons-freemasonry.com/book_bauer.html

[২০]
https://www.rosicrucian.org/podcast/sir-isaac-newton-mystic-and-alchemist-staff-of-the-rosicrucian-research-library/

[২১]
https://ultraculture.org/blog/2016/06/13/isaac-newton-occult-research/
https://www.ancient-origins.net/history/sir-isaac-newton-s-secret-quest-god-engine-0010245
www.southbrunswickchabad.com/page.asp?pageID=%7BEFCC0F2F-5A38-4247-9ADF-D588BFF0E91

এবং  Newton's Dark Secrets.PBS By NOVA.
https://www.pbs.org/wgbh/nova/newton/



বিগত পর্বগুলোর লিংকঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/documentary-article-series_10.html




[চলবে ইনশাআল্লাহ...]