Thursday, September 19, 2019

১১.বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?

বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?
The Occult Origins Of Mainstream Physics And Astronomy

পর্বঃ১১





প্লেটোর পর তার শিষ্য এরিস্টটল প্রাকৃতিক দর্শনকে(natural philosophy) বিজ্ঞানে রূপ দান করেন। তিনি ফিজিক্স,মেটাফিজিক্স, বায়োলজি,জুওলজি,নিউমেরোলজি,ম্যাথম্যাটিকস প্রভৃতিতে আলাদাভাবে অবদান রাখেন। যদিও তিনি কাব্বালা এবং হার্মেটিক যাদুশাস্ত্রের অনুসরণ করেন অন্যান্যদের মত(আলেকজান্ডার এর শিক্ষক থাকাকালে হার্মেটিক লাইব্রেরীও খুলেছিলেন), কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে তিনি নিজস্ব পর্যবেক্ষণের দ্বারা কিছু তত্ত্ব উত্থাপন করেন যা কিছুটা  যাদুশাস্ত্রের জ্ঞানের বিপরীতেও চলে যায়। যেমন কাব্বালাসহ মিস্টিক্যাল ট্রেডিশনগুলো হেলিওসেণ্ট্রিক কস্মোলজির ধারণা দেয়, কিন্তু তিনি জিওসেন্ট্রিক এস্ট্রনমির সপক্ষে থেকেছেন। তাছাড়া চাঁদকে মসৃণ বস্তু বলেছেন যা রেনেসাঁ বিপ্লবের পরবর্তীতে কথিত বিজ্ঞানীদের ধারণার বিপরীতে যায়। এছাড়া তিনি 5th elements হিসেবে ইথারকে ধরেছেন। তিনি বলতেন স্পেস ইথার দ্বারা পরিপূর্ন, স্পেস তার মতে ভ্যাকুয়াম অবস্থায় থাকতে পারেনা। তার এই বিশ্বাস রেনেসাঁ পরবর্তী যাদুশাস্ত্রের বিপ্লবের পর অকাল্টিস্টদের ডিজাইনকৃত occult worldview এর বিরুদ্ধে যায়। এ সমস্ত কারনে রেনেসাঁর পর এরিস্টটলিয়ান ফিজিক্স খুব একটা জনপ্রিয়তা থাকেনা। গতির সূত্রটিও আধুনিক অকাল্ট ডিরাইভড সূত্রের সাথে মেলে না। কিন্তু রেনেসাঁর পূর্বে মধ্যযুগীয় বিজ্ঞান এবং আরবের বিজ্ঞান তথা প্রাকৃতিক দর্শনের আদর্শ হিসেবে এরিস্টটল বহুদিন পর্যন্ত অধিষ্ঠিত ছিল। এ্যারিস্টোটলের অনুসরণ খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৩০০ বছর থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী ২৩০০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এত দীর্ঘ সময় যাবৎ কোন বিজ্ঞানীর অনুসরণ এরিস্টটলের ২য় আর কেউ নেই। কিন্তু বিংশ শতকের শুরু থেকে তিনি খুবই সমালোচিত হতে থাকেন। বিশেষ করে টলেমিয়ান জিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমিতে বিশ্বাসের জন্য বেশি সমালোচিত হন।
 দার্শনিক Bertrand Russell বলেন, "almost every serious intellectual advance has had to begin with an attack on some Aristotelian doctrine".[উইকিপিডিয়া ]
এরপরেও এরিস্টটলের যুক্তিবিদ্যা, এথিক্স, পলিটিক্স অনেক আধুনিক দার্শনিক গ্রহন করেন। জিওলজিতে তার অবদানকে এখনো অনেকে স্বীকার করে।


এরিস্টটল পরবর্তী হেলেনিস্টিক ওই পিরিয়ডে যাদুশাস্ত্রগুলো ছিল জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু। সেসব শাস্ত্রের প্রাচুর্য বা সমৃদ্ধির জন্য সবার ঝোঁক আরো বেশি ছিল।
The Hellenistic period (roughly the last three centuries BCE) is characterized by an avid interest in magic, though this may simply be because from this period a greater abundance of texts, both literary and some from actual practitioners, in Greek and in Latin remains.[উইকিপিডিয়া]


এরিস্টটলের মৃত্যুর ৩২২ বছর পর হযরত ঈসা(আ) আসেন। তখন এবং ঈসা(আ) এর চলে যাবার পর নাসারাদের অবস্থা ভাল ছিল না। গ্রীক-রোমান সম্রাজ্যের অধীনে থাকা খ্রিষ্টানদের উপর চালানো হত অবর্ণনীয় নির্যাতন। আমরা অনেকেই আজ আরাকান ফিলিস্তিনের অসহায় মুসলিমদের দেখে মনে করি শুধুমাত্র মুসলিমদের উপরেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা দুঃখ দুর্দশা রেখেছেন। খ্রিষ্টানদের উপর যখন নির্যাতন গনহত্যা চলত তখনও যমীনে কুরআনের আলো আসেনি। খ্রিষ্টানদেরকে ওই সময় স্টেডিয়ামের মধ্যে ক্ষুধার্ত সিংহের দ্বারা খাইয়ে বিনোদনের খোরাক করত তৎকালীন রোমান পৌত্তলিকরা। তাছাড়া খ্রিষ্টধর্ম প্রচার ছিল নিষিদ্ধ, দ্বীন প্রচারকারীদেরকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করত, আগুনে জ্বালিয়ে দিত। এজন্য খ্রিষ্ট ধর্মের প্রচারক আলিমরা লুকিয়ে লুকিয়ে ধর্ম প্রচারের কাজ করত। তখনও ত্রিতত্ত্ববাদের উত্থান ঘটেনি অর্থাৎ তখনকার খ্রিষ্টানরা তাওহীদের দ্বীনের উপর ছিল। পৌত্তলিকদের ছিল মূর্তিপূজা এবং যাদুশাস্ত্র। সেসব ব্যবিলনিয়ান বিদ্যার অনুসরণ তখন ভালরূপেই চলছিল। নাসারাদের উপর নির্যাতন চলে ৩১৩ সাল পর্যন্ত। এরপরে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেন। সম্রাট কন্সটানটাইন খ্রিস্ট ধর্মগ্রহন করলে রোমান সম্রাজ্যে খ্রিষ্টান নিপীড়ন পুরোপুরি বন্ধ হয়। খোলা হয় anti pagan act। সহস্রাধিক পৌত্তলিক যাদুকরদের হত্যা করা হয়। এরপরে কনস্টানটাইনের মৌলবাদী পুত্র কনস্টানটিয়াস সিংহাসনে বসলে যাদুশাস্ত্রের অনুসারী প্যাগানদের উপর দুর্ভাগ্যের কালো মেঘ ছেয়ে যায়। শুরু হয় যাদুকরদের উপর আগ্রাসন। পৌত্তলিকদের মন্দির তীর্থস্থানগুলোকে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। যাদুশাস্ত্র পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। মুশরিকদের ধর্মকর্মকে নিষিদ্ধ করা হয়।
The first anti-pagan laws by the Christian state started with Constantine's son Constantius II,[4][5] who was an opponent of paganism; he ordered the closing of all pagan temples, forbade pagan sacrifices under pain of death,[2] and removed the traditional Altar of Victory from the Senate.[উইকিপিডিয়া]


যাদুকরদের ধরে ধরে যন্ত্রণাদায়ক নির্যাতন এবং হত্যা ব্যাপকহারে শুরু হয় ৭৮৫  সালে। যাদুকরদের যাদুবিদ্যার অজস্র কিতাবাদি ধ্বংস করা হয়। এর আগে থেকেই আলেকজান্দ্রিয়ার বিখ্যাত যাদুশাস্ত্রের লাইব্রেরী অনেকটাই ধ্বংস করে ফেলা হয়। পিথাগোরিয়ান-প্লেটোনিক বিশ্বদর্শন, শাস্ত্র, বিদ্যা এবং তত্ত্বসমূহ যেখানে প্রকাশ্যে গর্বের সাথে এতদিন প্রচারিত হত, চারদিকে প্রসার লাভ করেছিল,জ্ঞান-বিজ্ঞানের পরম আরাধ্যের স্থান দখল করে ছিল, সেসব হয়ে গেল পালিয়ে বেড়ানো সামান্যকিছু সংখ্যকদের মধ্যে লুকিয়ে রাখা বিষয়।


অর্থোডক্স  খ্রিষ্টানরা যাদুকরদের উপর এত বেশি চড়াও হবার একটি কারন ছিল যে, তারা(যাদুকররা) বলত সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য পেতে কোন ধর্মের প্রয়োজন নেই, সমস্ত সৃষ্টি স্রষ্টার সাথে এক(Monism - ওয়াহদাতুল উজুদ) ত্রিনীটিতে বিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা নেই, সকলেই সৃষ্টিকর্তার স্বত্তারই অংশ(ততদিনে Trinity এর কুফরি আকিদা খ্রিষ্টানরা বানিয়ে নেয়),পুনরুত্থান দিবস বলে কিছু নেই কিন্তু  মানুষের পুনর্জন্ম হয়। যাদুকর বা পিথাগোরিয়ান দার্শনিক/মুনী-ঋষিরা চরম ত্রাসের মুখে সমস্ত যাদুবিদ্যার কিতাবাদি লুকিয়ে ফেলে,নিজেরাও গুহা-বনজঙ্গলমুখী হয়। ওই সময়ে যাদুকররা তাদের নিষিদ্ধ বিদ্যাগুলোকে লুকিয়ে ফেলা বা গোপন করবার জন্য ওইসমস্ত শাস্ত্রকে বলা হয় অকাল্ট(Occult) বা গুপ্ত/লুক্কায়িত শাস্ত্র। আরবিতে 'কুফর' শব্দটিরও প্রায় একইরকম অর্থ। সেটার অর্থও ঢেকে রাখা,গোপন করা।

এভাবে দীর্ঘ একটা সময় যাবৎ যাদুশাস্ত্র এবং যাদুশাস্ত্র নির্ভর বিশ্বাসব্যবস্থার উপর কালো পর্দা স্থায়ী হয়। Apostle Paul, Ephesian দের যাদুকরদের শাস্ত্রসমূহকে পুড়িয়ে ফেলতে উৎসাহিত করতেন।
হ্যান্স ডাইটার বেটজ বলেনঃ
"As a result of these acts of suppression, the magicians and their literature went underground. The papyri themselves testify to this by the constantly recurring admonition to keep the books secret. [..] The religious beliefs and practices of most people were identical with some form of magic, and the neat distinctions we make today between approved and disapproved forms of religion-calling the former "religion" and "church" and the latter "magic" and "cult" - did not exist in antiquity except among a few intellectuals. It is known that philosophers of theNeo-pythagorean and neoplatonic schools, as well as Gnostic and Hermetic groups, used magical books and hence must have possessed copies. But most of their material vanished and what we have left are their quotations."[উইকিপিডিয়া]

[Betz, Hans Dieter (1992). The Greek Magical Papyri in Translation, Including the Demotic Spells, Volume 1]


মধ্যযুগের শুরুতে যাদুকরদের সাজা ছিল না। ৭৮৫ সালে জার্মানির কাউন্সিল যাদুকরদের বিশ্বাস ও সমস্ত কর্মকাণ্ডকে বাতিল ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সম্রাট Charlemagne এটাকে বৈধতা দেন।প্রথম দিকে অর্থোডক্স খ্রিষ্টানরা যাদুকে কুসংস্কার বলত। ৯ম ১০ম শতকে এটাকে heresy বলত। মধ্যযুগের শেষে যাদুচর্চার প্রচলন কিছুটা বেড়ে যায়, তখন যাদুকরদেরকে শয়তানের বন্ধু হিসেবে দেখা হত। তখনই শুরু হয় witch hunt! ডাকিনীবিদ্যা চর্চাকারীদেরকে খুঁজে খুঁজে ধরে হত্যা করা হত।
উইকিপিডিয়াতেও উল্লেখ আছে-
Witch hunts among early Protestants which lasted about 200 years, and in some countries, particularly in North-Western Europe, thousands of people were accused of witchcraft and sentenced to death.(উইকিপিডিয়া)

The Inquisition within the Roman Catholic Church had conducted trials against supposed witches in the 13th century, but these trials were to punish heresy, of which belief in witchcraft was merely one variety.[5]Inquisitorial courts only became systematically involved in the witch-hunt during the 15th century: in the case of theMadonna Oriente, the Inquisition of Milan was not sure what to do with two women who in 1384 and in 1390 confessed to have participated in a type of white magic.
(উইকিপিডিয়া)


যাদুকরদের ব্যপারে মার্টিন লুথারের মত তৎকালীন খ্রিষ্টান পাদ্রীদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অত্যন্ত কঠোর। তারা যাদুবিদ্যার ব্যপারে একদম ক্ষমাহীন ছিল। এমনকি তারা যাদুকরদের ব্যপারে সহমর্মিতা,দয়া প্রদর্শন করতেও নিষেধ করত।
Martin Luther shared some of the views about witchcraft that were common in his time.[7]When interpreting Exodus 22:18,[8] he stated that, with the help of the devil, witches could steal milk merely by thinking of a cow.[9] In hisSmall Catechism, he taught that witchcraft was a sin against the second commandment[10] and prescribed the Biblical penalty for it in a "table talk"(উইকিপিডিয়া)

On 25 August 1538, there was much discussion about witches and sorceresses who poisoned chicken eggs in the nests, or poisoned milk and butter. Doctor Luther said: "One should show no mercy to these [women]; I would burn them myself, for we read in the Law that the priests were the ones to begin the stoning of criminals."[
উইকিপিডিয়া][২]


মডার্ন ইউরোপের শুরু থেকে অর্থাৎ ১৪৫০ থেকে ১৭৫০ সাল পর্যন্ত মাত্র ৩০০ বছরে উইচহান্টিং এ হত্যা করা হয় প্রায় ১০ লক্ষ যাদুকর[Wikipedia]!!
ইংল্যান্ড, জার্মানি,ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড,নরওয়ে,ফিনল্যান্ড  কোথাও যাদুকরদের উপর আগ্রাসন নিপীড়ন থেকে মুক্ত ছিল না।
In Denmark, the burning of witches increased following the reformation of 1536. Christian IV of Denmark, in particular, encouraged this practice, and hundreds of people were convicted of witchcraft and burnt. In the district of Finnmark, northern Norway, severe witchcraft trials took place during the period 1600–1692.[49] A memorial of international format, Steilneset Memorial, has been built to commemorate the victims of the Finnmark witchcraft trials.[50] In England, the Witchcraft Act of 1542 regulated the penalties for witchcraft. In the North Berwick witch trials in Scotland, over 70 people were accused of witchcraft on account of bad weather whenJames VI of Scotland, who shared the Danish king's interest in witch trials, sailed to Denmark in 1590 to meet his betrothed Anne of Denmark. The Pendle witch trials of 1612 are among the most famous witch trials in English history.[উইকিপিডিয়া]

In England, witch-hunting would reach its apex in 1644 to 1647 due to the efforts of Matthew Hopkins.[উইকিপিডিয়া]


তৎকালীন সময়ে অনেক যাদুকরদের একসাথে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হত। কোন কোন সময় ১০০জনকেও একসাথে হত্যা করা হয়েছিল। খ্রিষ্টানরা তাওহীদ সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করে কাফির হয়ে গেলে আল্লাহ দুনিয়াতে ইসলামের আলো পৌছান। দ্বীন পরিপূর্নতা লাভ করে। ৬৪২ সালের দিকে আলেকজান্দ্রিয়া মুসলিম সেনাবাহিনীর দখলে যায়। এরকমটা শোনা যায় যে খলিফা উমার(রাঃ) এর নির্দেশে আলেকজান্দ্রিয়ার প্যাগানদের যাদুশাস্ত্রের লাইব্রেরীর বিপুল ক্ষয়ক্ষতি করা হয়। হযরত উমার(রাঃ) এরূপ বলেছেন বলে শোনা যায় যে,"যদি ওই বইগুলো কুরআনের অনুকূলে থাকে তবে সেসব আমাদের প্রয়োজন নেই, আর যদি কুরআনের বিরোধিতা করে তবে ধ্বংস করে ফেলো"!

In AD 642, Alexandria was captured by the Muslim army of 'Amr ibn al-'As. Several later Arabic sources describe the library's destruction by the order of Caliph Omar.[118][119] Bar-Hebraeus, writing in the thirteenth century, quotes Omar as saying toYaḥyā al-Naḥwī: "If those books are in agreement with the Quran, we have no need of them; and if these are opposed to the Quran, destroy them."[উইকিপিডিয়া]

সুতরাং দেখা যাচ্ছে হক্কের পথে যারা ছিল তাদের কুফরি শাস্ত্রের ব্যপারে অবস্থান। কিন্তু যাদের অন্তরে ব্যাধি ছিল, তারা ঠিকই কুফরি যাদুশাস্ত্রগুলোকে গ্রহন করে নিয়েছিল।

অনেক যুদ্ধ-সংঘাতের পর যমীনের বুকে ইসলামিক শক্তির উত্থান ঘটে এবং মুসলিমদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের পরিধি বাড়তে থাকে। মুসলিমরা যখন মিশর ও পূর্বাঞ্চল ইরাক প্রবেশ করলো, তারা সেখানে তাদের কাছে বহু অপরিচিত রহস্যময় কিতাবাদি উদ্ধার করলো। ইজিপ্ট বা মিশর ছিল বাবেল শহরের অনুরূপ যাদুবিদ্যার আরেকস্বর্গভূমি। যে বইগুলোকে মুসলিমরা সংগ্রহ করে সেগুলো ছিল খ্রিষ্টান আগ্রাসন পরবর্তীতে টিকে থাকা যাদুশাস্ত্রের ধ্বংসবাশেষ। সেসব কিতাবগুলোর অধিকাংশই যাদুবিদ্যার হার্মেটিক শাস্ত্র। এগুলো আরবরা অনুবাদ করে পরবর্তীতে এসবে উৎকর্ষ সাধনের পর ইউরোপীয়দের কাছে আবারো পৌঁছায়।
Arabic logicians had inherited Greek ideas after they had invaded and conquered Egypt and the Levant. Their translations and commentaries on these ideas worked their way through the Arab West into Spain and Sicily, which became important centers for this transmission of ideas.[উইকিপিডিয়া]

এটা সত্য কথা যে, যাদের কাছেই গ্রেসিয়ান অকাল্ট  ফিলসফিক্যাল এবং ম্যাজিক্যাল শাস্ত্রগুলো ছিল তারাই জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাধনায় প্রসিদ্ধি লাভ করে।যতদিন এসব বাবেল ও মিশরে ছিল, বাবেল মিশর ছিল জ্ঞানবিজ্ঞানের জন্য প্রসিদ্ধ শহর। পিথাগোরাসরা সেখানে যেত গুহ্যজ্ঞানের সন্ধানে। এরপরে খ্রিষ্টান পূর্ব রোমান ও গ্রীকদের দখলে যখন ছিল, ততদিন ওরা প্রসিদ্ধ ছিল। এরপরে যখন সেসব আরবে পৌছায়, আরব হয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু। পরবর্তীতে আরবদের থেকে যখন রেনেসাঁর সময় আবারো পশ্চিমে চলে যায় ওরা সেসবের প্রত্যক্ষ অনুসরনে আবারো জ্ঞান-বিজ্ঞানে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে এবং সেই ধারা অব্যাহত আছে।
The Byzantine Empire initially provided the medieval Islamic world with ancient and early Medieval Greek texts on astronomy, mathematics and philosophy for translation into Arabic as the Byzantine Empire was the leading center of scientific scholarship in the region at the beginning of the Middle Ages. Later as the Caliphate and other medieval Islamic cultures became the leading centers of scientific knowledge(উইকিপিডিয়া)


যাদুশাস্ত্রের এবং গ্রীক কুফরি দর্শনের কিতাবাদি বাইজেন্টাইনদের থেকে উমাইয়্যাদের সময়ই সংগ্রহ শুরু হয়, আব্বাসিয়া খিলাফতের সময় পর্যন্ত অব্যহত থাকে। আব্বাসিয়্যাহ খিলাফতের সময় সেসমস্ত কিতাবাদি অনুবাদ শুরু হয়। খলিফা মনসুর এ কাজে অনেক বড় ভূমিকা পালন করেন। তার নির্দেশে বাগদাদে গ্রীক,পারস্য ভাষার বিভিন্ন যাদুশাস্ত্র ও কুফরি দর্শনের কিতাবের লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয়। তার নির্দেশে সেসমস্ত কিতাব আরবিতে অনুবাদও শুরু হয়। ষষ্ঠ শতকে পারসিয়ান রাজা অনেক গ্রীক কিতাবাদি পারস্যে নিয়ে আসেন। আরবরা সেগুলোও হাতে পেয়ে যায়। খলিফা মানসুরের পর খলিফা মামুনও যাদু্ ও দর্শনশাস্ত্র অনুবাদে গুরুত্বারোপ করেন।
The main period of translation was during Abbasid rule. The 2nd Abbasid Caliph al-Mansur moved the capital from Damascus to Baghdad.[20] Here he founded the great library with texts containing Greek Classical texts. Al-Mansur ordered this rich fund of world literature translated into Arabic. Under al-Mansur and by his orders, translations were made from Greek, Syriac, and Persian, the Syriac and Persian books being themselves translations from Greek or Sanskrit.21[উইকিপিডিয়া]

The 6th-century King of Persia, Anushirvan (Chosroes I) the Just, had introduced many Greek ideas into his kingdom.[22] Aided by this knowledge and juxtaposition of beliefs, the Abbasids considered it valuable to look at Islam with Greek eyes, and to look at the Greeks with Islamic eyes.[19] Abbasid philosophers also pressed the idea that Islam had from the very beginning stressed the gathering of knowledge as important to the religion. These new lines of thought allowed the work of amassing and translating Greek ideas to expand as it never before had
[উইকিপিডিয়া]

The Caliph al-Mansur was the patron who did most to attract the Nestorian physicians to the city of Baghdad which he had founded, and he was also a prince who did much to encourage those who set themselves to prepare Arabic translations of Greek, Syriac, and Persian works. Still more important was the patronage given by the Caliph al-Ma'mun, who in A.H. 217 (= A.D. 832) founded a school at Baghdad, suggested no doubt by the Nestorians and Zoroastrian schools already existing, and this he called the Bayt al-Hikmaor "House of Wisdom", and this he placed under the guidance of Yahya ibn Masawaih (d. A.H. 243 = A.D. 857), who was an author both in Syriac and Arabic, and learned also in the use of Greek. His medical treatise on "Fevers" was long in repute and was afterwards translated into Latin and into Hebrew[উইকিপিডিয়া]


যখন সেইসব গ্রীক নিওপ্লেটনিক,পিথাগোরিয়ান, ব্যবিলনিয়ান-হার্মেটিক কিতাবাদি অনুবাদ হয়ে গেল, আরব ভূখণ্ডে নতুন ফিতনার জন্ম নিলো। গ্রীক দর্শন এবং যাদুবিদ্যা, বিশেষ করে হার্মেটিক টেক্সটের অনুসরন শুরু হয়ে গেল। ইতোপূর্বে বিগত পর্বগুলোয় দেখিয়েছি পিথাগোরাস, প্লেটোদের বিশ্বাস, কর্ম, ও জ্ঞানের উৎসগুলো কি ছিল। সেসমস্ত কিতাবাদির অনুসরনের ফলে ব্যাধিগ্রস্ত দুরাত্মার লোকগুলো আল্লাহর সাথে অবাধ্যতার রাস্তা পেয়ে গেল। এরা আলকেমি, জ্যোতিষশাস্ত্র, নিউমেরোলজিসহ সমস্ত নিষিদ্ধ বিদ্যাগুলো চর্চা শুরু করে দিল। পিথাগোরাস/প্লেটোদের Unity of existence(monism) বা ওয়াহদাতুল উজুদ,হুলুল এবং ইত্তেহাদের আকিদা আরবরা গ্রহন করলো। যাদুকরদের যেসমস্ত কুফরি আকিদাগুলো ইসলাম পূর্ব মুশরিকদের মধ্যেও ছিল না, সেগুলোকে ধারন করা শুরু করলো। জন্ম হলো বাতেনিয়্যাহ ফের্কার। সুফিজমের নামে যাদুশাস্ত্র থেকে আসা আকিদাগত কুফর ও শিরকের বীজ ইবনে আরাবিদের সহযোগীতায় সর্বত্র ছড়াতে লাগলো। আল কিন্দিকে বলা হতো আরবে দর্শনের জনক। তিনি গ্রীক পিথাগোরিয়ান কুফরি আকিদা এবং ন্যাচারাল ফিলসফিকে ইসলামাইজ করবার জন্য বিশাল ভূমিকা পালন করেন। এ সকল পণ্ডিতগন গ্রীক দর্শন শিক্ষার অপরিহার্যতার কথা প্রচার করেন, জ্ঞান এবং বিদ্যার আধার হিসেবে দেখিয়ে যাদুশাস্ত্রের দিকে লোকেদের আহব্বান করে। তৈরি হয় মু'তাযিলা আশ'আরি ফির্কা। আল কিন্দির পর আর রাযি.,আল ফারাবি এই কুফরের পথে হাটেন। আল কিন্দি এরিস্টটলিয়ান দর্শন এবং আর রাযি. ছিলেন প্লেটোনিক চিন্তাদর্শনের অনুসারী।
আল ফারাবি ছিল নিওপ্লেটনিজমের অনুসারী এবং প্রচারক। এদের পর ইবনে সিনা শয়তানি আকিদার প্রচার শুরু করে। ইমাম গাজ্জালি(রহ) পর্যন্ত এই যাদুবিদ্যার অন্ধকার পথে হাটা শুরু করেন, পরবর্তীতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা হিদায়াত করেন। এরপরে তাওবা করে তিনিই সেসবের বিরুদ্ধে কথা বলেন, ইবনে সিনাদের তাকফির করেন। তখন সেসব ব্যবিলনিয়ান কুফরি শাস্ত্রের অনুসরনের ফলে এত ধৃষ্টতা তৈরি হয় যে ওরা ইসলামের বিরুদ্ধেই কিতাবাদি লেখা শুরু করে। বিভিন্ন আকিদা খণ্ডন করা শুরু করে। মোট কথা, এক মহাফিতনার সময় পার করছিল মুসলিমরা। তবে সবসময়ই হক্কপন্থী আলিমরা ছিলেন। তারা সেসমস্ত যাদুশাস্ত্রের অনুসরনের বিরোধিতা করে গেছেন, তাদের সব যুক্তিকে খণ্ডন করেছেন,কুফরের চর্চাকারীদের তাকফির করেছেন। এই লম্বা ইতিহাস নিয়ে আলাদা বই লেখাও সম্ভব। উইকিপিডিয়াতেও একইরকম তথ্য এসেছে-


Al-Kindi (Alkindus), a famous logician and prominent figure in the House of Wisdom, is unanimously hailed as the "father of Islamic or Arabic philosophy". His synthesis of Greek philosophy with Islamic beliefs met with much opposition, and at one point he was flogged by those opposed to his ideas. He argued that one could accept the Koran and other sacred texts, and work from that point to determine truth. Whenever he ran into an impasse, he would abandon the Greek ideas in favor of the Islamic faith.[22][28] He is considered to be largely responsible for pulling the Arab world out of a mystic and theological way of thinking into a more rationalistic mode.[28]Previous to al-Kindi, for example, on the question of how the immaterial God of the Koran could sit on a throne in the same book, one theologist had said, “The sitting is known, its modality is unknown. Belief in it is a necessity, and raising questions regarding it is a heresy.” Few of al-Kindi's writings have survived, making it difficult to judge his work directly, but it is clear from what exists that he carefully worked to present his ideas in a way acceptable to other Muslims.

After Al-Kindi, several philosophers argued more radical views, some of whom even rejected revelation, most notably the Persian logician, Al-Razi or “Rhazes.” Considered one of the most original thinkers among the Persian philosophers[by whom?], he challenged both Islamic and Greek ideas in a rationalist manner. Also, where Al-Kindi had focused on Aristotle, Al-Rhazi focused on Plato, introducing his ideas as a contrast.[28]

After Al-Kindi, Al-Farabi (Alpharabius) introduced Neoplatonism through his knowledge of the Hellenistic culture of Alexandria. Unlike Al-Kindi or Al-Rhazi, Al-Farabi was hesitant to express his own feelings on issues of religion and philosophy, choosing rather to speak only through the words of the various philosophies he came across.[28]

Decades after Al-Farabi, Ibn Sina (Avicenna) compiled the ideas of many Muslim philosophers of the previous centuries and established a new school which is known as Avicennism.[22][28] After this period, Greek philosophy went into a decline in the Islamic world. Theologians such as Al-Ghazali argued that many realms of logic only worked in theory, not in reality.[28] His ideas would later influence Western European religious ideas.[22] In response to Al-Ghazali's The Incoherence of the Philosophers, theAndalusian philosopher Ibn Rushd (Averroes), the most famous commentator on Aristotle and founder of Averroism, wrote a refutation entitled The Incoherence of the Incoherence.

By 1200, when philosophy was again revived in the Islamic world, Al-Kindi and Al-Farabi were no longer remembered, while Ibn Sina'scompilation work still was.[29] Ibn Sina, otherwise known as Avicenna, would later heavily influence European philosophical, theological and scientific thought, becoming known as “the most famous scientist of Islam” to many Western historians [উইকিপিডিয়া]


১৩ শতকে ইবনে সিনার নামে কুফরি আকিদা এবং যাদুচর্চার উত্থান ঘটে। ইবনে সিনা পরবর্তীতে রেনেসাঁর সময় কাফিরদের কাছে খুবই প্রশংসিত ছিল। যারাই শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরন করেছে তাদের খুব অল্পই ঈমান নিয়ে সেসব থেকে বের হতে পেরেছিল। গ্রীক/পারসিয়ান/ইন্ডিয়ান জ্যোতিষবিদ্যা,দর্শন ও যাদুশাস্ত্র আরবে প্রবেশ এবং অনুবাদের আগ পর্যন্ত আরবের সকলে বিশ্বাস করত যমীন সমতলে বিস্তৃত, আসমান গম্বুজাকৃতির ছাদ, আল্লাহ হচ্ছেন আসমান ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা, এই আকিদা আরব মূর্তিপূজারীরাও অস্বীকার করত না। পৃথিবীর অবস্থান আকৃতি নিয়ে বিতর্ক করবার মত প্রতিদ্বন্দ্বী তত্ত্বের অস্তিত্বই সাধারন মানুষের মধ্যে ছিল না। সাহাবী এবং আল্লাহর রাসূল(সাঃ) এর বলা সমস্ত হাদিস এবং কুরআনের আয়াতগুলো এরই উপর প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু ভারতীয়, টলেমিয়ান ও পিথাগোরিয়ান জ্যোতিষশাস্ত্রের (অ)কল্যানে আরবের সাধারন মানুষের চিন্তায় পরিবর্তন এবং প্রভাব আসা শুরু হয়। তখনকার গণিতজ্ঞ, বিদ্বান আলকেমিস্ট-জ্যোতিষী যাদুকরগন পৃথিবীর ও যমীনের ব্যপারে পিথাগোরিয়ান তত্ত্ব প্রচার করা শুরু করলে সাধারণ মানুষ প্রথম দিকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়। অনেক আলিমরাও সৃষ্টিতত্ত্ব এবং আসমান যমীনের প্রকৃতির ব্যপারে তৎকালীন বিজ্ঞান বা ইল্মুল কালামের দ্বারা প্রভাবিত হন। যার জন্য ইবনে হাযম এমনকি ইবনে তাইমিয়া(রহঃ) পর্যন্ত যমীনের ব্যপারে বক্রতার ধারনা দিতে শুরু করেন। আইরনিক্যালি তাদেরই অনেকে আবার গ্রীক দর্শনের ফিতনার বিরুদ্ধে বলেছেন।

 গ্রেসিয়ান নিওপ্লেটনিক এবং এ্যারিস্টটলিয়ান ন্যাচারাল ফিলসফি এবং হার্মেটিক যাদুশাস্ত্র থেকে ধারকৃত আকিদাগুলোর মধ্যে যেটা আজও সমাদৃত সেটা হচ্ছে ওয়াহদাতুল উজুদ(Monism/another interpretation of pantheism) ও ইত্তেহাদের(pantheism) আকিদা। এই সর্বেশ্বরবাদি বিশ্বাসের শিক্ষা হার্মেটিক gnosis'ও দেয়। বিগত পর্বগুলোয় বিস্তারিত আলোচনা করেছি যে এই কুফরি আকিদা গুলো যাদুশাস্ত্র এবং জ্যোতিষশাস্ত্র থেকে উৎসারিত। এছাড়া ওয়াহদাতুল উজুদ(monism) এর সর্বেশ্বরবাদী আকিদা হার্মেটিক যাদুশাস্ত্রের অন্যতম মৌলিক শিক্ষা। এর প্রিস্কা থিওলজিয়া এর মধ্যে বলা আছে সমস্ত ধর্ম গুলো একই প্রাচীন প্যাগান(mystery school) শেকড়ের উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রথম হার্মেটিক নীতিই হচ্ছে ওয়াহদাতুল উজুদ বা মনিজম, এর প্রথম শিক্ষা হচ্ছে সমস্ত সৃষ্টি স্রষ্টার সাথে এক অস্তিত্বে একাকার হয়ে আছে। প্রাচীন যাদুকরগনের অপবৈজ্ঞানিক শাস্ত্র গুলো বাস্তবতা(reality) এবং এর সমগ্র নীতির(laws) ব্যপারে জ্ঞানদানের পাশাপাশি মেটাফিজিক্যাল(origins of existence) বিশ্বাস তথা সৃষ্টি জগতের উৎপত্তি এবং এর অরিজিন এবং একেই(যাদুশাস্ত্রকে) কেন্দ্র করে জীবন-বিশ্ব দর্শন এবং বিশ্বাস ব্যবস্থাকে তৈরি করত।
পাশাপাশি চেতনার ওপারে(Altered state of consciousness) গিয়ে শয়তানের থেকেও এই আকিদা বা বিশ্বাস ব্যবস্থা গ্রহন করত, যার দরুন এরূপ জঘন্য আকিদা বা বিশ্বাসের জন্ম হয়েছে। ওয়াহদাতুল উজুদ বা ইত্তেহাদের বিশ্বাস দ্বারা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার অস্তিত্বকে একরকম বাদ দেওয়া হয়। তাছাড়া একে যৌক্তিকভাবে সম্পূর্ন অপ্রয়োজনীয় করা হয়। এজন্য অনেক আলিমরা এ আকিদার ব্যপারে এরূপ বলেন যে এই আকিদা ফেরাউন/হামানদের বিশ্বাসের চেয়েও নিকৃষ্ট কুফরি বিশ্বাস। যাদুকরদের মতে বাবেল শহর থেকে আসা জ্যোতিষশাস্ত্র থেকেই এই আকিদার জন্ম। আল্লাহর রাসূল(সা) এই জ্যোতিষশাস্ত্রের অপবিজ্ঞানকে যাদুবিদ্যারই অন্তর্ভুক্ত বলেছিলেন। আজকে সুফিবাদের নামে মারেফতের নামে বাতেনি ইল্মের নামে এই কুফরের বীজ; বিদ'আতি বেলেরভীরা শক্তভাবে বহন করছে। দেওবন্দের অনেক বড় ইমামদের মধ্যেও এই আকিদা সঞ্চালিত আছে, তবে এরা যুক্তি ব্যবহার করে এ কুফরি আকিদাকে সহীহ আকিদা সাব্যস্ত করতে চায়,অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা এটাকে গোপন রাখে। অনেক দেওবন্দী আলিমও এর ব্যপারে ভাল জ্ঞান রাখে না। এজন্য দেওবন্দি আলিমদেরকে এ আকিদার জন্য ঢালাওভাবে তাকফির বা মুশরিক বলা নিন্দনীয় কাজ, এমনকি আহমদ রেজা বেলেরভীর আওয়াম অনুসারী; পীর মাজার পন্থীদেরকেও তাকফির করা যায় না। যেহেতু পাঠকরা এ আকিদার অরিজিনসহ বিস্তারিত জানেন, আমার মনে হয়না কোন অপব্যাখ্যা বিষয়গুলোকে আবারো অস্পষ্ট করতে পারে। সুফিপন্থীদেরকে আজকের আধুনিক যাদুকররা ভালবাসে, ফেসবুকের বিভিন্ন প্যাগানিজম ও উইচক্র্যাফটের গ্রুপে এই সকল সুফিপন্থী এবং তাদের প্রাচীন উস্তাযগন অনেক সমাদৃত। যেমন নিচের ছবিগুলো ভাল করে লক্ষ্য করুনঃ


উপরের ছবি দ্বারা সহজেই বুঝতে পারছেন, এই কথিত সুফিদের প্রাচীন শিক্ষকরা অর্থাৎ ইবনে আরাবিদের সমসাময়িক সুফি বুজুর্গগন ছিলেন অভিশপ্ত যাদুকর, এদের বাতেনি বিদ্যাগুলো সবই হার্মেটিক কিংবা কাব্বালার উপর ভিত্তি করে দ্বার করানো। যাহোক,আমি এরকম যাদুকর কাফিরদেরও দেখেছি যারা তাদের রিলিজিয়াস ভিউতে "সুফিবাদ" লিখে রেখেছে! মুসলিমদের মধ্যে এরূপ অনেক মূর্খ আছে যারা আল ইত্তেহাদ, ওয়াহদাতুল উজুদ, হুলুল, ফানাফিল্লাহ,বাকাফিল্লাহ প্রভৃতি মারেফতি আরবি শব্দ দেখে সম্মান প্রদর্শন করে, হক্ক ভাবতেও শুরু করে। অথচ সবই গ্রীক,পারসিয়ান বিচিত্র ভাষায় আসা শয়তানি আকিদারই আরবি অনুবাদ। মুসলিমদের মধ্যে সঞ্চালনের জন্য আরবিতে অনুবাদ করা হয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে, অনেক মুসলিম আজ এসবকেই হক্ক ভেবে অনুসরন করে। এই ওয়াহদাতুল উজুদ, ইত্তেহাদের শয়তানি আকিদা আসে যাদুশাস্ত্র, মানব ও জ্বীন শয়তানদের থেকে যা আজ মুসলিমদের মধ্যেও প্রবেশ করেছে। এটাই মূলত অপবিজ্ঞানের মূল আকিদাগত শয়তানি বার্তা। আজকের বিজ্ঞানও এরই কথা বলে।


আরবে গ্রীক মিস্টিক্যাল টেক্সট প্রবেশের পর কিছু মুসলিমরা কালাম শাস্ত্রের নামে সেসব চর্চার জন্য এই যুক্তি দ্বার করায় যে তারা এই সব জ্ঞান নিয়ে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ব্যপারে নাস্তিক মুর্তাদদের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে খন্ডন করবে, তর্ক বিতর্কে হারাবে। এর দ্বারা আশআরি, মু'তাযিলা চিন্তাধারার জন্ম হয়। এই ফিতনার জন্ম তখনই এবং এই ভ্রান্ত চিন্তাধারার স্রোত আজ পর্যন্ত প্রবহমান। আপনি আজ একদল মুসলিমদেরকে পাবেন যারা ইসলামের গ্রহণযোগ্যতা যুক্তি দ্বারা প্রমান করতে চায়। কাফির মুর্তাদদের কাছে দাওয়াহ এবং অন্তরে সংশয়ের ব্যাধিতে আক্রান্ত মুসলিমদের ঈমানে দৃঢ়তা আনয়নে বিভিন্ন যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করে, এজন্য তারা প্রচলিত (অপ)বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে।
এরা বিজ্ঞানকে সত্যের মাপকাঠি হিসেবে দ্বার করায়, কাফিরদের কুফরি শাস্ত্রগুলোকে(অপবিজ্ঞান) সত্যের স্কেল হিসেবে নিয়ে তা দিয়ে কুরআন সুন্নাহকে মাপার ধৃষ্টতা দেখায়। এরপরে বিজ্ঞানের সাথে ইসলামের সামঞ্জস্যশীলতা বিভিন্ন যুক্তি তর্কের মাধ্যমে উপস্থাপন করে ইসলামের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করে, কাফিরদের কাছে 'বিজ্ঞানসম্মত ধর্মের' সার্টিফিকেট পেতে চায়। নাস্তিকদেরকে এর দ্বারা ইসলাম গ্রহনের আহব্বান করে। সংশয়বাদী মুসলিমদের সংশয় বিলোপনের চেষ্টা করে। তারা একদিকে যেভাবে আধুনিক বিজ্ঞানের মাপকাঠিতে ইসলামকে যাচাই বা বিচার করে তেমনি বিপরীতে কুরআন সুন্নাহর বিভিন্ন দলিলের বাজে ব্যাখ্যা দিয়ে বলতে চায়,'এই বিজ্ঞানের কথা কুরআনেই বলা হয়েছে, কুরআন থেকেই বিজ্ঞান হয়েছে...'!  গভীরভাবে ভেবে দেখুন এটা কতটা গোমরাহিপূর্ন চিন্তাধারা! যেই কুফরি তত্ত্ব বা বিদ্যা শয়তানের থেকে এসেছে, সেসবকে কুরআনে আছে বা কুরআন থেকে এসেছে বলা কত বড় মূর্খতা এবং অজ্ঞতা! একইভাবে এই শয়তানি অপবিদ্যা অপবিজ্ঞানকে সত্যের মাপকাঠি বানিয়ে ইসলামকে বিচার করা এবং গ্রহণযোগ্যতা তৈরিও চরম গোমরাহি। ইতিহাস আমাদেরকে বলে এই গোমরাহি নতুন কিছু নয়, বরং অনেক অনেক পুরোনো। এদের পূর্বসূরীরাও একই কাজ করেছিল। গ্রীক-ব্যবিলনিয়ান ও ইজিপশিয়ান যাদুশাস্ত্রের কুফরি মতবাদ এবং অপবিদ্যাকে ওরাও গ্রহন করে নিয়েছিল, অতঃপর একইভাবে অনেক বিদাতি যুক্তিতর্ক দ্বার করিয়ে দ্বীনের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির চেষ্টা করত।
অনেকে এই পথে চলতে চলতে অবশেষে কাফিরই হয়ে গিয়েছে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আজও হচ্ছে। জেনারেলে পড়াশুনা করে ক'দিন ইসলাম নিয়ে ঘাটাঘাটি করে বিরাট ফক্কিহ - মুজতাহিদ মনে করছে, অতঃপর দাওয়াতের নামে ইসলাম ও (অপ)বিজ্ঞানকে মিলিয়ে যুক্তি দিয়ে দ্বীন মানানোর জন্য বই রচনা করে ফেলছে অতঃপর বইগুলো হচ্ছে মু'তাযিলা, কাদারিয়াসহ অনেক বাতিল ফির্কার আকিদার সংমিশ্রনে জগাখিচুড়ি। এরা তাকদীরের ব্যপারে কাদারিয়ার সম্প্রদায়ের চিন্তাধারা নিয়ে আসছে, অন্যদিকে অনেক অভিশপ্ত মালউন অপবিজ্ঞানীদের স্তুতি এমনভাবে গাইছে যেন এরা অনেক বড় বড় একেকজন তাওহীদে বিশ্বাসী বুজুর্গ!! একই চিত্র আরবের ওই সময়টাতে পাওয়া গিয়েছে, গ্রীক অপবিদ্যা গ্রহনকারী লোকগুলো একপর্যায়ে বলা শুরু করেছিল যে, 'দার্শনিকদের সম্মান নবীগনেরও উপরে'! নাউজুবিল্লাহ!

ওই যুগের ন্যায় বর্তমান সময়ের এ সকল লেখকগনের কিতাব অল্প সময়ের মধ্যে খুব জনপ্রিয়তা পায়, কিন্তু অল্পকিছুদিনের মধ্যেই ফিতনায় পরিনত হয়। মূর্খ জ্ঞানহীন জাহিল প্রকৃতির মুসলিমরা জগাখিচুড়ি আকিদা গ্রহন করে, সংশয়বাদী মুসলিমরা অল্প কিছুদিনের জন্য স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও পরিবর্তনশীল অপবিজ্ঞান যখন কোন একটা তত্ত্বকে ভুল বলে নতুন কিছুর দিকে হাটে তখন যুক্তিতে ভরা সেসব বইগুলোর content কোনরূপ খণ্ডন ছাড়াই বাতিল হয়ে যায়। এদিকে সংশয়বাদী অজ্ঞেয়বাদী অন্তরে রোগেভরা মুসলিমরা যখন এরকম অবস্থা দেখে তারা ওইসমস্ত লেখকদের কারনেই তাদের অজ্ঞতার চোখে শারঈ দলিলের দুর্বলতা অযৌক্তিকতা খুজে পায়। তাছাড়া ওইসব বইয়ে ব্যবহৃত বৈজ্ঞানিক থিওরিগুলোর অসাড়তা যেসব সংশয়বাদী মুনাফিকদের জানা থাকে, তারা সেসব থিওরি দ্বারা কুরআনকে সত্যায়নের চেষ্টা দেখে জমে থাকা সংশয় আরো বেড়ে যায়। অতঃপর হয়ে যায় মুর্তাদ! এরকম একটা ঘটনা গতকালকেই একটা শুনেছি[৩]। এরকমটাও হয় যে প্রশ্নগুলো সংশয়বাদী মুসলিম করে থাকে সেসব যারা জানে না, ওইসব বইয়ের মাধ্যমে জানতে পেরে নতুন ভাবে সংশয়ের ফাঁদে পড়বার সুযোগ পায়। সবার ব্যাখ্যা বা যুক্তি সবার মনমত হয় না, এভাবেই নতুন আরেক ফিতনায় নিপতিত হয়। আমি এরকম কথা একাধিক লোকের থেকে জেনেছি। অনেকে এই ভয়েই ওইসব অসাড় যুক্তিভরা বইয়ের থেকে দূরে থাকে। যেমন দেখুন-


Source:Facebook



আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার স্বত্ত্বাগত অস্তিত্ব এবং অন্যান্য অজস্র গায়েবের বিষয় মানবীয় চিন্তাভাবনায় আনা যেকোন যুক্তির উর্ধ্বে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা যুক্তি দ্বারা ঈমান বা বিশ্বাস আনয়নকে পছন্দ করেন না। আল্লাহ নিঃশর্তে গায়েবের বিষয়ে ঈমানকে পছন্দ করেন। যুক্তিবাদী অপবিজ্ঞানপন্থী নিওমুতাযিলা চিন্তাধারীদের অবস্থান সূরা বাকারার শুরুর আয়াত দ্বারাই খণ্ডিত হয়। আল্লাহ বলেনঃ

الم
  ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
  الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ
  والَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِالآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ

আলিফ লাম মীম।এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করেএবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে।[২:১-৪]


আল্লাহ সুস্পষ্টভাবে বলছেন এই কিতাবে সন্দেহ সংশয়ের অবকাশ নেই, এটা তাদের জন্য যারা পরহেজগার, গায়েবের বিষয়ে বিনা যুক্তিতে নিঃশর্তে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং পরকালের ব্যপারে নিশ্চিতভাবে বিশ্বাসকারী।
যারা অবিশ্বাসই করে, যারা সন্দেহপোষন করে, তাদেরকে কুরআনের দলিলের অপব্যাখ্যা এবং কুফরি তত্ত্বগুলোর সাথে কুরআন সুন্নাহর দলিলগুলোর খাপ খাইয়ে বিশ্বাস করানোর চেষ্টা কতটা সমীচীন সেটা ভাববার অবকাশ আছে। যারা (অপ)বৈজ্ঞানিক তত্ত্বসমূহের দ্বারা মোহাবিষ্ট এরা অধিকাংশই তাদের অনুসৃত পরম পূজনীয় বিজ্ঞানের origin ও development এর ইতিহাসের ব্যপারে অজ্ঞ। এই মূর্খরাই বিভিন্ন স্থানে লিখে থাকে যে,'আধুনিক বিজ্ঞান 'মুসলিমদের' থেকেই এসেছে। গ্রাভিটি, অমুক তমুক থিওরি অমুক মুসলিম মধ্যযুগে আবিষ্কার করেছিল, অমুক পশ্চিমা বিজ্ঞানী অমুক মুসলিমের থেকে শিখে নিজের নামে চালাচ্ছে...।' এরা ইবনে সিনা, আল ফারাবি, রুশদ,হাইয়্যানদের কথা গর্বের সাথে প্রচার করে। এই সমস্ত অজ্ঞ লোকগুলো জানে না যাদের কথা বলছে তারা আদৌ মুসলিম কিনা, এরা আরবি নাম দেখেই মুসলিম বানিয়ে ফেলছে। এরা তাও জানেনা, অমুক আরব গণিতবিদ/আলকেমিস্ট কোন বিদ্যার অনুসরণ করে এত পাণ্ডিত্য অর্জন করেছে। অধিকাংশই জানলেও মু'তাযিলাদের ন্যায় যুক্তি দিয়ে অনুসরণের বৈধতা দ্বার করানোর চেষ্টা করে। এরা আপনাকে বলবে পশ্চিমা সাদাচামড়ার কাফিররা তাদেরকে অনুসরন করে উন্নত হয়েছে, সেখানে আমরা তাদের বিদ্যা অনুসরন করলে সমস্যাটা কোথায়!? এরা অনেকে স্বপ্ন দেখে কাফিরদের ন্যায় জ্ঞান-বিজ্ঞানে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে কাফিরদেরকে intellectually dominate করার। হোক সেটা যাদুশাস্ত্র-ফরবিডেন নলেজ! তাতে কি যায় আসে! এদের মধ্যে শাসনব্যবস্থায় কাফিরদের অনুসরনে গনতন্ত্রের প্রতিও ভক্তি দেখবেন, এরা এর দ্বারা শান্তিপূর্নভাবে ক্ষমতায় গিয়ে ইসলামিক সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখে। একদিকে গনতন্ত্র, অন্যদিকে শয়তানি শাস্ত্র উৎসারিত বিদ্যা; উভয়ের সংযোগে কাফিরদের সাথে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিদ্বন্দ্বী  প্রগতিশীল আধুনিক ইসলাম অধ্যুষিত সুন্দর স্বপ্নিল সমাজ ব্যবস্থার স্বপ্ন।  মূল সমস্যাটা হচ্ছে হৃদয়ের বক্রতা এবং ব্যাধি! স্বভাবতই ব্যাধিগ্রস্ত লোকেরা ব্যাধিগ্রস্তদের বক্র পথকেই পছন্দ করবে।

প্রত্যেক যুগেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা হক্কের উপর অবিচল সামান্যকিছু আলিমদেরকে রাখেন। যখন আরবে আরবে যাদুশাস্ত্রের প্রবেশ ঘটে তখনও একদল আলিম ছিলেন যারা সেসব যাদুশাস্ত্রের চর্চার বিরোধিতা করতেন, সতর্ক করতেন, এমনকি কুফরি আকিদার প্রচারকারী কথিত 'মুসলিম দার্শনিক'দের তাকফিরও করতেন। অধিকাংশ কথিত মুসলিম দার্শনিকরা ছিল শিয়া এবং অনুরূপ বাতিল ফির্কার অনুসারী। সম্ভবত তাদের বাতিল মতাদর্শগুলো শয়তানি শাস্ত্রের অনুসরনে সহযোগী ভূমিকা পালন করে। এরা অবশ্যই কোন ভাল মুসলিম ছিল না। আজ পর্যন্ত অনেক আলিম সেসব বিদ্যার চর্চাকে হারাম এবং তৎকালীন কালাম শাস্ত্রের অনুসারীদের কাফির সাব্যস্ত করেছেন।

ইমাম যাহাবি বলেনঃ"ইবনে সিনার 'আশ-শিফা' সহ অন্যান্য কিতাব এবং এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা সহ্য করার মত নয়।
ইমাম গাযালি তার 'আল মুনকিয মিনাজ জলাল' কিতাবে ইবনে সিনা ও আল ফারাবিকে কাফির বলেছেন!"
[সিয়ারু আলামিন নুবালা (ইমাম যাহাবি)
খণ্ড- তের, পৃষ্ঠা- দুইশ]

৫ম পর্বে বিষয়গুলো আলোচনা হলেও আবারো দলিলগুলো প্রাসঙ্গিকতার জন্য আনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। উনিশ শতকের পূর্বে বর্তমান বিজ্ঞানকে 'Natural Philosophy' নামে ডাকা হত। এটা ফিলোসফিরই অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপরে 'বিজ্ঞান' বা 'সায়েন্স' নাম দেওয়া হয় যাতে করে সব শ্রেণী ধর্মমতের লোকেদের কাছে কৌশলে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ মুজাহিদীনকে যদি হঠাৎ করে 'জঙ্গি' শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা হয় এবং স্থায়ীভাবে নাম বদলে এই নামেই ডাকা হয়, বিশেষ গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের জন্য সেটা বিশেষ সুবিধা ও সন্তুষ্টির কারন, তেমনি 'ন্যাচারাল ফিলসফি' শব্দটিকে 'science' শব্দ দ্বারা বদলে স্থায়ীভাবে ডাকার মধ্যেও তদ্রুপ বিশেষ গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের বিশেষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সহজ হয়।

অধিকাংশ বরেণ্য আলিম-উলামাদের মতামত হচ্ছে ফিলসফি বা দর্শনশাস্ত্র নিষিদ্ধবিদ্যার অন্তর্ভুক্ত এবং এটা শিক্ষা করা হারাম।

The majority of fuqaha’ have stated that it is haraam to study philosophy. Among their comments on that are the following:
1 – Ibn Nujaym (Hanafi) said in al-Ashbaah wa’l-Nazaa’im : Acquiring knowledge may be an individual obligation, which is as much as one needs for religious commitment to be sound; or it may be a communal obligation, which is in addition to the previous and is done for the benefit of others; or it may be recommended, which is studying fiqh and ‘ilm al-qalb (purification of the heart) in depth; or it may be haraam, which is learning philosophy, magic (sleight of hand), astrology, geomancy, natural science and witchcraft. End quote from al-Ashbaah wa’l-Nazaa’ir ma’a Sharhiha: Ghamaz ‘Ayoon al-Basaa’ir by al-Hamawi (4/125).

2 – al-Dardeer (Maaliki) said in al-Sharh al-Kabeer , discussing the kind of knowledge which is a communal obligation: Such as studying sharee’ah, which is not an individual obligation, and which includes fiqh, tafseer, hadeeth and ‘aqeedah, and things that help with that such as (Arabic) grammar and literature, tafseer, mathematics and usool al-fiqh – not philosophy, astrology or ‘ilm al-kalaam, according to the most sound opinion.

Al-Dasooqi said in Haashiyah (2/174): His phrase “according to the most sound opinion” means that it is forbidden to read the books of al-Baaji, Ibn al-‘Arabi and ‘Iyaad, unlike the one who says that it is essential to learn it in order to understand ‘aqeedah and basic religious issues. But al-Ghazaali said that the one who has knowledge of ‘ilm al-kalaam knows nothing of religious beliefs except the beliefs that the common people share, but they are distinguished by their ability to argue and debate.

3 – Zakariya al-Ansaari (Shaafa’i) said in
Asna al-Mataalib (4/182): As for learning philosophy, magic (sleight of hand), astrology, geomancy, natural science and witchcraft, it is haraam. End quote.[islamqa.info]

আলহামদুলিল্লাহ যাকারিয়্যা আল আনসারি(রহঃ) স্পষ্টভাবে 'ন্যাচারাল ফিলোসফি'কে আলাদাভাবে হারাম করেছেন।

4 – al-Bahooti (Hanbali) said in Kashshaaf al-Qinaa’ (3/34): The opposite of shar’i knowledge is knowledge that is haraam or makrooh. Haraam knowledge is like ‘ilm al-kalaam in which they argue on the basis of pure reason or speak in a manner that contradicts sound, unambiguous reports. If they speak on the basis of reports only or on the basis of texts and rational thought that is in accordance with them, then this is the basis of religion and the way of ahl al-sunnah. This is what is meant by the words of Shaykh Taqiy al-Deen. In his commentary he explains that even better. [Haraam knowledge also includes] philosophy, magic (sleight of hand), astrology and geomancy, as well as alchemy and natural sciences. End quote.[islamqa.info]

এরিস্টটল বলতেন ফিলোসফারগন নবীগনের চেয়েও উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন(নাউজুবিল্লাহ),আর এর সাথে আল ফারাবিও একমত ছিলেন!
In Aristotle’s view, the philosopher is of a higher status than a prophet, because the prophet understands things by means of imagination whereas the philosopher understands things by means of reason and contemplation. In their view, imagination is of a lower status than contemplation. Al-Faraabi agreed with Aristotle in viewing the philosopher as being of higher status than a prophet.[islamqa.info]


ইমাম শাফে'ঈ বলেন : The people did not become ignorant and begin to differ until they abandoned Arabic terminology and adopted the terminology of Aristotle.[islamqa.info][৪]


এবার আসুন দেখি ন্যাচারাল ফিলসফির তথা যাদুর ব্যপারে হাদিসে কিরূপ বক্তব্য পাওয়া যায়। আরবে গ্রীক যেসব যাদুশাস্ত্র প্রবেশ করে তা প্রধানত হার্মেটিক ট্রেডিশন(আলকেমি),  Gnosis। আলকেমির ব্যপারে অনেকের ধারনা এর দ্বারা শুধুই স্বর্ণে রুপান্তরের চেষ্টা করা হত, কিন্তু এটাই মূল কাজ না।
এটাকে ছোট একটা Alchemical experiment এর অংশ ধরা যায়। আলকেমির মূল লক্ষ্য হচ্ছে যাদুকরদের physical perfection, immortality(অমরত্ব),  physical transmutation,anti aging এবং spiritual transcendence!  অর্থাৎ যাদুকরদের থিওরিটিক্যাল বা তাত্ত্বিক বিশ্বাসের বিষয়গুলোকে বস্তুজগতে বাস্তবে ঘটানোর চেষ্টা। নিজেদেরকে অতিমানবে রূপান্তর, দীর্ঘায়ু লাভ, অন্য dimension গুলোয় নিজেদেরকে পৌছানোর জন্য উপযুক্ত করবার জন্য ফিজিক্যাল ট্র‍্যান্সমিউটেশনের চেষ্টা। ধরুন,জ্বীন জাতি যে মাত্রায় বসবাস করে সেখানে পৌছানোর জন্য শরীরকে তৈরি করে নেওয়া। হার্মেটিক ট্রেডিশনের মধ্যে জ্যোতিষশাস্ত্রেরও অন্তর্ভুক্তি রয়েছে। প্রত্যেক আরব দার্শনিক, যারাই সেসব বিদেশী কিতাবাদি গ্রহন করেছে তাদের প্রায় প্রত্যেকেই জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসরণ করত। এটা তাদের প্রাথমিক বিজ্ঞানের মত ছিল। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) জ্যোতিষশাস্ত্রকে যাদুবিদ্যারই একটি শাখা বলেছেন।

حدثنا أبو بكر بن أبي شيبة، ومسدد، - المعنى - قالا حدثنا يحيى، عن عبيد الله بن الأخنس، عن الوليد بن عبد الله، عن يوسف بن ماهك، عن ابن عباس، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ من اقتبس علما من النجوم اقتبس شعبة من السحر زاد ما زاد ‏"‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জ্যোতিষীর জ্ঞান শিক্ষা করলো সে যাদু বিদ্যার একটা শাখা শিক্ষা করলো। তা যতো বৃদ্ধি পাবে যাদুবিদ্যাও ততো বাড়বে।


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৯০৫
হাদিসের মান: হাসান হাদিস


যাদুকররা প্রকৃতির নিয়মনীতি(physics) ভালভাবে জানার চেষ্টা করে এবং এরা নিজেদের নফসের চরম অভিপ্রায়ের দ্বারা সেসব নীতির পরিবর্তন ঘটিয়ে নিজের উদ্দেশ্য বা কার্য হাসিল করে। যাদুকররা আল্লাহর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রন যেসব সৃষ্টির নীতিতে সেসবে নিজের ইচ্ছা প্রয়োগ করে, নিজেদেরকে আকিদাগতভাবে ইলাহের আসনে বসিয়ে পরিবর্তনের চেষ্টা করে। এটা আল্লাহর উপর ভরসা করে দু'আ করার বিপরীত কার্য।যাদুকরা হচ্ছে ঈমান বিধ্বংসী বিষয়ের একটি। যাদু করবার পূর্বে অবশ্য কাফির হতে হয়, প্রকৃতির সমস্ত নীতির সাথে ইগো বা আমিত্বকে বিলীন করবার জন্য(আপনি না বুঝলেও যাদুকররা এই বাক্যগুলোর অর্থ বুঝবে)। এজন্য Monism বা ওয়াহদাতুল উজুদের আকিদা তাদের জন্য অপরিহার্য। যাদুকরদের ব্যপারে হাদিসে কিরূপ আচরণের হুকুম এসেছে?

মুহাম্মাদ ইব্নু আবদির রহমান ইব্নু সা’দ ইব্নু যুরারাহ (র) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তাঁর কাছে রেওয়ায়াত পৌঁছেছে যে, উম্মুল মু’মিনীন হাফসা (রা) এক দাসীকে হত্যা করেছিলেন, যে দাসী তাঁর উপর জাদু করেছিল। এর পূর্বে তিনি উহাকে মুদাব্বার করে ছিলেন। পরে তাকে হত্যা করলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
মালিক (র) বলেন, যে জাদু জানে এবং জাদু করে, তাকে হত্যা করাই উচিত।


মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ১৫৭১



عن بجالة بن عبدة أنه قال أتانا كتاب عمر قبل موته بسنة أن اقتلوا كل ساحر وساحرة.
বাজালাহ ইবনু আবাদাহ থেকে বর্ণিতঃ:
ওমর (রাঃ) মুসলিম গভর্নরদের কাছে পাঠানো নির্দেশনামায় বলেছিলেন, ‘তোমরা প্রত্যেক যাদুকর পুরুষ এবং যাদুকর নারীকে হত্যা কর’ (বুখারী, বায়হাক্বী, আল-কাবায়ির ২৬ পৃঃ)।

ঊপদেশ, হাদিস নং ১৫৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


সুতরাং সুস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যাদুবিদ্যা শিক্ষা করা এবং এর চর্চা করা মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাবার মতই গর্হিত কার্য। অতীতের খ্রিষ্টানদেরকে দিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা যাদুকরদের সাথে অবশ্যই উত্তম আচরণ করেছিলেন। হাদিসগুলোয় নির্দেশনা পাওয়া যায় যাদুকরদের সাথে কিরূপ করা উচিত ছিল এবং বর্তমান যাদুশাস্ত্র নির্ভর বিদ্যার এবং সেসব বিদ্যার mechanical প্রায়োগিক ব্যবহারের স্থানগুলোয় কি করা উচিত। এই শার'ঈ হুকুম সঠিকভাবে প্রাচীনকাল থেকেই পালন করা হলে এবং আজ পর্যন্ত এটা বলবৎ হলে অবশ্যই কাফিরদের সাথে ওইসব বিদ্যার অনুসরণ করে বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষ সাধনের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বীতার প্রশ্নই ওঠে না। আফসোসের বিষয় আজ মুসলিম উম্মাহ যাদু শাস্ত্রের ব্যপারে মু'তাযিলাদের চিন্তাধারা লালন করে। এদের কাছে supernatural sorcery বলে কিছু নেই। Reality এর Law manifestation,manipulation কে হালাল বৈজ্ঞানিক বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করেছে। অন্যদিকে শয়তান জ্বীনের possession কে একমাত্র যাদুর প্রভাবের অন্তর্ভুক্ত করেছে,মা'আযাল্লাহ! এই ফিতনাও শুরু হয় ইবনে সিনা, জাবির ইবনে হাইয়্যান, আল ফারাবি, কিন্দিদের থেকে। এরাই সর্বপ্রথম যাদুশাস্ত্রকে স্বতঃসিদ্ধ বৈধ বিদ্যা বা বিজ্ঞান হিসেবে নিয়ে চর্চা শুরু করে। আজও এই চিন্তাধারার স্রোত প্রবহমান। অধিকাংশ মুসলিমরা আজ একই বিশ্বাস বা আকিদা লালন করে, অথচ এদিকে ঠিকই নিজেদের আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি রাখছে।[৫]


ইবনে সিনা, ইবনে রুশদদের মৃত্যুর পর রেখে যাওয়া কুফরি শাস্ত্রগুলোর উপর ভিত্তি করে সুফিবাদের নামে ইবনে আরাবি, রুমিরা মোটামুটিভাবে বিখ্যাত হয়। কিন্তু আলকেমিক্যাল হার্মেটিক যাদুচর্চাগুলোর প্রসার ও জনপ্রিয়তা প্রকাশ্যে ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ততদিনে পশ্চিমারা আবারো ওইসব কিতাবাদি নিজেদের ভাষায় অনুবাদ করা শুরু করে।
The Scholastic philosophers and theologians of the Middle Ages such as Aquinas later called Averroes “The Commentator,” andMichael the Scot translated several of Averroes' works within fifty years of the Arab's death. However, Averroes' reception in Western Europe contrasted with his ultimate rejection by Arabs in Spain.[33] Soon after Averroes, Greek ideas in the Arab world were largely opposed by those who disliked anything not “truly Arab.”[উইকিপিডিয়া][৬]




রেনেসাঁ[The Occult Resurgence] 




এরপরে ক্রুসেড যুদ্ধে খ্রিষ্টানরা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা থেকে যাদুশাস্ত্রের কিতাবাদি সাথে করে ইউরোপে নিয়ে যায়। এ কাজে নাইট টেম্পলারদের[১৪] ভূমিকাও ছিল।
শোনা যায় এরা আল আকসা মসজিদ সংলগ্ন স্থান থেকে ওইসমস্ত নিষিদ্ধ যাদুবিদ্যার কিতাবাদির অংশবিশেষ সংগ্রহ করে যা হযরত সুলাইমান(আঃ) মাটিতে পুঁতে রাখেন। বাইজান্টাইন সম্রাজ্যের পতনের সাথে সাথে  পশ্চিমা দেশগুলোয় আরবিতে অনুবাদিত অকাল্ট টেক্সট গুলোকে অনুবাদ করা শুরু হয়। শুরু হয় ১৫০০ বছর খ্রিষ্টান অধ্যুষিত অঞ্চলে নিষিদ্ধ লুক্কায়িত শাস্ত্রগুলোর পুনঃজাগরন। যে যুগে এসব পুনর্জীবিত হয় সেটাকে নাম দেওয়া হয় রেনেসাঁ[৮] যুগ(অকাল্ট নলেজের পুনঃজাগরনের যুগ)। সমাজের জ্ঞানীগুণী, উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে গ্রীকদর্শন এবং যাদুশাস্ত্রগুলো খুবই গ্রহণযোগ্যতা পেতে শুরু করে। এ সময়টাকে যাদুশাস্ত্রের পুনঃবিপ্লবের যুগ বলা হয়। তখনই হিউম্যানিজমের (মানবতাবাদের আড়ালে নাস্তিকতা বা সর্বেশ্বরবাদ/মানুষকে deification)  জাগরন[৭] শুরু হয়, যেটা আজ পর্যন্ত চলছে। Humanism, Pantheism(সর্বেশ্বরবাদ/আল ইত্তেহাদ), atheism, Monism(ওয়াহদাতুল উজুদ) এগুলো সবই একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। সেসময় এই humanism এর দর্শন হার্মেটিক ও গ্রীক দর্শনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। এগুলোর বিবর্ধিত রূপ আজকের থিওসফিক্যাল সোসাইটি এবং নিউএজ মুভমেন্ট[১৫]।

The Renaissance began in the 14th century inFlorence, Italy.[8] Various theories have been proposed to account for its origins and characteristics, focusing on a variety of factors including the social and civic peculiarities of Florence at the time: its political structure, the patronage of its dominant family, the Medici,[9][10] and the migration of Greek scholars and their texts to Italy following the Fall of Constantinople to the Ottoman Turks.

AsRenaissance occultism gained traction among the educated classes, the belief in witchcraft, which in the medieval period had been part of the folk religion of the uneducated rural population at best, was incorporated into an increasingly comprehensive theology of Satan as the ultimate source of all maleficium.

The intellectual basis of the Renaissance was its version of humanism, derived from the concept of Roman Humanitas and the rediscovery of classical Greek philosophy, such as that of Protagoras, who said that "Man is the measure of all things." [উইকিপিডিয়া]

Two noteworthy trends in Renaissance humanism were Renaissance Neo-Platonism and Hermeticism, which through the works of figures like Nicholas of Kues, Giordano Bruno,Cornelius Agrippa, Campanella and Pico della Mirandola sometimes came close to constituting a new religion itself. Of these two, Hermeticism has had great continuing influence in Western thought, while the former mostly dissipated as an intellectual trend, leading to movements in Western esotericismsuch as Theosophy and New Age thinking.[18]The "Yates thesis" of Frances Yates holds that before falling out of favour, esoteric Renaissance thought introduced several concepts that were useful for the development of scientific method, though this remains a matter of controversy.[উইকিপিডিয়া]



রেনেসাঁয়[১২] আবারো যাদুবিদ্যার প্রসার বাড়লে চার্চকর্তৃক  আবারো উইচ হান্ট চালু হয়। এর অনেক আগে থেকে থমাস এ্যাকুইনাসের মত পাদ্রীদের মধ্যেও আড়ালে আবডালে Gnostic দর্শন চর্চা শুরু হয়।
In the revival of neo-Platonism Renaissance humanists did not reject Christianity; quite the contrary, many of the Renaissance's greatest works were devoted to it, and the Church patronized many works of Renaissance art..[উইকিপিডিয়া]


রেনেসাঁর সময় আজকের বিজ্ঞান,আর্ট(i.e: occult),আধ্যাত্মিকতা সব কিছু একই ছিল। তখন যাদুশাস্ত্র থেকে আধুনিক কস্মোলজির বিভিন্ন ধারনা(মহাশূন্য এবং সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগৎ) গ্রহন শুরু হয়, টলেমি ও এরিস্টটল এর বিদ্যা থেকে দূরে সরে যাওয়া শুরু হয়।
Science and art were intermingled in the early Renaissance, with polymath artists such as Leonardo da Vinci making observational drawings of anatomy and nature.

The rediscovery of ancient texts and the invention of printing democratized learning and allowed a faster propagation of more widely distributed ideas. In the first period of the Italian Renaissance, humanists favoured the study of humanities over natural philosophy or applied mathematics, and their reverence for classical sources further enshrined the Aristotelian and Ptolemaic views of the universe. Writing around 1450,Nicholas Cusanus anticipated the heliocentric worldview of Copernicus, but in a philosophical fashion.[উইকিপিডিয়া][১০]


যাদুবিদ্যার ইতিহাস এবং যাদুকরদের নিয়ে লেখা বিভিন্ন বইয়ের লেখক যেমনঃ Christine Payne Tovler, Richard Kaczynski, David A. Shugarts, James Wasserman,Dan Brustein এর এক সাক্ষাতভিত্তিক ডকুমেন্টারিতে নিন্মলিখিত ইতিহাস উঠে আসেঃ
'যারা প্রাচীন গুপ্তবিদ্যাকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে কাজ করেছেন তাদের একজন ১৪৯৩ তে জন্মানো জার্মান ফিজিশিয়ান প্যারাসালসাস। তিনি চিকিৎসক হলেও আলকেমি চর্চায় মন দিয়েছিলেন। এরপরে দীর্ঘ একটা সময় জ্যোতিষশাস্ত্র এর উপর সময় দেন। তিনি তখন ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে বেড়ান বিক্ষিপ্ত অকাল্ট নলেজগুলো একত্রিত করার উদ্দেশ্যে। তিনি অসংখ্য যাদুকর, ডাকিনীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। তার মিনারেল এবং কেমিকেলের উপর করা এক্সপেরিমেন্টগুলো আধুনিক ওষুধপথ্যের ভিত্তি স্থাপন করে।

পরবর্তী শতাব্দীতে আরো অনেক কিছু অকাল্ট কিতাবাদি থেকে সমাজে চলে আসে যা পলিটিক্যাল এবং ধর্মব্যবস্থার বিপরীতে চলে যায়।

মার্সিলিনো ফিচিনো তার পৃষ্ঠপোষক কসিমো ডি মেডিচিকে সাথে নিয়ে ইতালিতে ১৫ শতকে অকাল্ট শাস্ত্রের উপর কাজ শুরু করেন। তিনি প্রথমেই মিশরীয় যাদুশাস্ত্র হার্মেটিক শাস্ত্রগুলো অনুবাদ করা শুরু করেন। বলা হয় বই গুলো হার্মিস ট্রিস্মাজিস্টাস নামের এক লোকের থেকে আসা। হার্মিসকে মাঝেমধ্যে মিশরের যাদুবিদ্যার দেবতা(যাদুশিক্ষার শয়তান) থোথ এর অন্যনাম বলা হয়। তিনি প্রায় হার্মেটিক ১২ টি কিতাব পান। সেগুলোকে পরবর্তীতে হার্মেটিকাম নামে ডাকা হয়। এসব কিতাবে মূল বিষয় ছিল, কিভাবে চেতনাকে বিস্তৃত করে সিদ্ধিলাভ(enlightenment) করা যায়, বিভাবে স্রষ্টার সমতুল্য অনুভব করা যায়(সুফিবাদের ওয়াহদাতুল উজুদ নির্ভর ফানাফিশাইত্বন)। কিতাবগুলোর মধ্যে একটার নাম ছিল এমারেল্ড ট্যাবলেট(Emerald Tablet), যেটা রেনেসাঁর সময়কার অকাল্টিস্টদের(অপবিজ্ঞানীদের) কাছে বাইবেলের(ভক্তিপূর্ন কিতাব) ন্যায় হয়ে যায়।
সেটায় ১৩-১৪ লাইনবিশিষ্ট বিশেষ অংশের শুরুতেই আছে,"As above, so below"। এখান থেকেই আধুনিক আকাশবিজ্ঞানের ধারনার ভিত্তিমূল রচিত হয়। (এটা থেকে বোঝানো হয়, যেরূপ উপরে তদ্রুপ নিন্মে অর্থাৎ পৃথিবীর নিচেও ঠিক এরকমই আছে অর্থাৎ স্ফেরিক্যাল পৃথিবী অপরদিকেও মানুষ থাকে, উপরে যেমন তারকা পৃথিবীর নিচের দিকে অপরপাশেও এরকম আকাশ ও তারকা আছে। অর্থাৎ স্পেসের বিশ্বাস এখান থেকেই আসা।) রেনেসাঁর সময় হার্মেটিকামের দ্বারা নতুন প্রজন্মের অকাল্টিস্ট(যাদুকর/নিষিদ্ধ শাস্ত্রের অনুসারী) তৈরি হয়, যারা আবারো বিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব(বিশ্বাসব্যবস্থা), যাদুবিদ্যা,গণিত সবকিছুকে এক সুতোয় বাধতে চেয়েছিলেন। এদের একজন ছিলেন জন ডি(John Dee)। জন ডি'কে পিথাগোরাসের মত অনুসরন ও সম্মান করা হত গুপ্তবিজ্ঞানের জন্য। জন ডি প্যারাসালসাসের পথ অনুসরন করে। তিনিও যাদুবিদ্যাগুলোকে পরীক্ষানিরীক্ষার দিকে নিয়ে যান, যা তাকে পরবর্তীতে মেধাবী ক্রিপ্টোগ্রাফার, গণিতবিদ এবং নেভিগেশনবিদ্যার পথিকৃৎ হিসেবে সমাদৃত হন। ডি ছিলেন রানী এলিজাবেথের ব্যক্তিগত কোর্ট জ্যোতিষী। ১৫৫৮ সালে রানী এলিজাবেথ যখন ইংল্যান্ডের সিংহাসনে বসেন, তিনি তাকে কোর্টের জ্যোতিষীর পদ প্রদান করেন। এতে তার প্রভাব প্রতিপত্তি বহু দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। তিনি তাছাড়া একজন গুপ্তচরের দায়িত্বও ছিলেন। তাকে দিয়ে তৎকালীন চার্চের ক্ষমতা সরিয়ে প্রটেস্টান্ট খ্রিষ্টানিটির প্রসারে ব্যবহার করা হত। জন ডি এর চেষ্টা এবং কুইন এলিজাবেথের সহযোগীতায় আলকেমিকে রাজ্যে বৈধ বিদ্যার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আলকেমি শুরুতে ছিল প্রাচীন মিশরের বিদ্যা। কিন্তু রেনেসার বিজ্ঞানীদের সহায়তায় একে নতুন মাত্রায় উন্নীত করা হয়। এটাকেই পরবর্তীতে নতুন নাম 'কেমিস্ট্রি' দেওয়া হয়।
আলকেমি থেকে কেমিস্ট্রি। বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞানে আমরা যাই করিনা কেন সবকিছুই developed হয় আলকেমিদের হাতে।
অবজারভেশন বা পর্যবেক্ষন এবং বর্তমান সায়েন্টিফিক ম্যাথড(বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি) আলকেমিরই সন্তান। আলকেমিস্টরা আবিষ্কার করে ফসফরাস, জিংক, এ্যালকোহল শোধন, অসুস্থতার পেছনের জিবানুর অস্তিত্ব এবং এমনকি কিভাবে রক্ত সারাদেহে সঞ্চালিত হয় সে জ্ঞানও তাদের থেকে আসে।
ডি এর আলকেমির পাশাপাশি আকর্ষন ছিল ভবিষ্যদ্বাণীর বিদ্যায়। তিনি বিশ্বাস করতেন তিনি এমন কোন বৈজ্ঞানিক উপায় ব্যবহার করতে পারেন যার দ্বারা অতিপ্রাকৃত স্বত্ত্বাগুলোর(শয়তান/জ্বিন) সাথে যোগাযোগ করা যায়।প্রাচীন সময় ট্যারটের দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণীর প্রচলন ছিল কিন্তু জনডি এর পদ্ধতিটা ছিল স্ক্রাইং। এটা হচ্ছে কাচের গোলকে তাকিয়ে থেকে তা থেকে অতিপ্রাকৃত বার্তা গ্রহন। এসবকাজে এডওয়ার্ড ক্যালি অনেক সাহায্য করেন। এর মাধ্যমে তারা নতুন একটা ভাষা শিক্ষা করেন, একে নাম দেওয়া হয় ইনকিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ(Enoch: ইদ্রিস)।( এরা আসলে সুলাইমান(আঃ) এর মত হযরত ইদ্রিস(আঃ) কেও যাদুবিদ্যার সাথে যুক্ত করেছে।) চ্যানেলিং বা শয়তানের সাথে ওইভাবে যোগাযোগের দ্বারা শেখা ওই ভাষায় নিজস্ব শব্দভাণ্ডার, গ্রামার সবই ছিল। এডওয়ার্ড ক্যালি ও জন ডি তাদের এইভাবে শয়তানের সাথে যোগাযোগের খবরকে নতুন আবিষ্কার হিসেবে ইউরোপে গিয়ে প্রচার করতে গিয়ে মৌলবাদী খ্রিষ্টানদের দ্বারা বিপদে পড়ে। ডি ইংল্যান্ডে গিয়ে আবিষ্কার করেন তার লাইব্রেরী ও অকাল্ট সায়েন্স ল্যাবকে জনগন হামলা করে একেবারে গুড়িয়ে দিয়েছে। রেনেসাঁর সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী জন ডি এরপরে যাদুকর সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে বন্দিত্ব বরন করেন। জন ডি এর কারাবন্দীর পর গনহারে আবারো যাদুকরদের ধরপাকড় শুরু হয়। শুরু হয় উইচ হান্টিং। প্রায় ৪০০০০ যাদুকরদেরকে ১৪-১৬ শতকে হত্যা করা হয়। তখন অকাল্ট বিজ্ঞানের ধারকরা তাদের (গুপ্তবিদ্যাকে বাচিয়ে রাখতে) গোপনীয়তা বজায় রাখতে "Secret Society" গঠন শুরু করে। এরকমই সিক্রেট সোসাইটির অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ফ্রিম্যাসন এবং রোজাক্রুশানিজম। (অজ্ঞতার জন্য আজকে সবকিছুর জন্য শুধুমাত্র ফ্রিম্যাসন নামের সিক্রেট সোসাইটিকেই সমস্ত কিছুর দায় দেওয়া হয়। অথচ সিক্রেট সোসাইটি মানে ওই একটাই নয়।) সিক্রেট সোসাইটি গুলো আবারো ইউরোপে বেশ বিস্তৃতি লাভ শুরু করে।১৭০০ শতকের Age of Enlightenment এর জন্য কারিগরের ভূমিকা পালন করে এই সিক্রেট সোসাইটি। এমনকি আমেরিকার গনতন্ত্র স্থাপনেও এই সিক্রেট সোসাইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।'[৯]

রেনেসাঁর সময় মার্সিলিনো ফিচিনোদের জীবদ্দশায় তার পাশাপাশি আরো কিছু মহান ব্যক্তিরা এই যাদুশাস্ত্রের অনুসরন করেন, তাদের মধ্যে আছেন গ্যালিলিও,ফ্রান্সিস বেকন,নিকোলাস কোপার্নিকাস, জোহানেস কেপলার, লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি এবং স্যার আইজ্যাক নিউটন! তাদের নিয়ে বিশদ আলোচনা সামনে আসছে।

রেনেসাঁ যুগের পর কাফির খ্রিষ্টানদের হৃদয়কে আল্লাহ আরো বক্র করে দেন, এরা যাদুকরদের হত্যা বন্ধ করে। যাদুশাস্ত্রগুলোকে ধবংসের বদলে পৃষ্ঠপোষকতা শুরু করে। সিক্রেট সোসাইটিগুলো হয়ত তখনকার মৌলবাদী খ্রিষ্টানদের ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে সেকুলার উদারচেতা খ্রিষ্টানদেরকে ক্ষমতায় বসানো শুরু করে। খ্রিষ্টানরা যাদুকরদের বিদ্যাগুলোকে সম্মান দেওয়ার মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেনি, তারা ওয়াহদাতুল উজুদ ও হুলুলের আকিদা অর্থাৎ Gnostic শিক্ষায় দীক্ষিত হতে শুরু করে। এরা অনেকে পুনর্জন্মবাদকেও বিশ্বাস শুরু করে।
The Church sponsored great Renaissance artists like Michelangelo and
Leonardo da Vinci, who created some of the world's most famous artworks.

Reincarnation was accepted by most of Gnostic Christian sects such as Valentinianism and Basilidians , but denied by the proto-orthodox one.

The study of the occult arts remained widespread in the universities across Europe up until the Disenchantment period of the 17th Century.[citation needed] At the peak of thewitch trials, there was a certain danger to be associated with witchcraft or sorcery, and most learned authors take pains to clearly renounce the practice of forbidden arts. Thus, Agrippa while admitting that natural magic is the highest form of natural philosophy unambiguously rejects all forms ofceremonial magic (goetia or necromancy). Indeed, the keen interest taken by intellectual circles in occult topics provided one driving force that enabled the witchhunts to endure beyond the Renaissance and into the 18th century.[citation needed] As the intellectual mainstream in the early 18th century ceased to believe in witchcraft, the witch trials soon subsided[উইকিপিডিয়া]






Age Of Enlightenment[অপবৈজ্ঞানিক বিপ্লব]





এরপরে রেনেসাঁ যুগের শেষে ১৭০০ সালে মিশর-ব্যবিলনিয়ান(হার্মেটিক/কাব্বালা) যাদুশাস্ত্রের অপবিদ্যা থেকে আহরিত (অপ)বিদ্যার দ্বারা (অপ)বৈজ্ঞানিক বিপ্লব সংঘটিত হয়। এই নবযুগকে বলা হয় Age Of Enlightenment। রেনেসাঁ যুগ ছিল অপবিদ্যার পুনবিপ্লবের যুগ, সেটা বিকশিত হয়ে পরিপূর্নতা লাভের যুগকে নামকরণ করা হয় Enlightenment এর যুগ। অর্থাৎ কুফরি অপবিদ্যা দ্বারা সিদ্ধ হবার যুগ, অপবিদ্যার আলো দ্বারা আলোকিত হবার যুগ! এ যুগকে Scientific Revolution নামেও ডাকা হয় বর্তমানে। এই যুগের সবচেয়ে বৈপ্লবিক ধারনাগত পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিষ্ঠিত মহাকাশব্যবস্থাকে পালটে প্রাচীন প্যাগান বিশ্বাসকে গ্রহন। অর্থাৎ টলেমিয়ান ধারনা থেকে বের হয়ে যাদুশাস্ত্র উৎসারিত আকিদা:সৌরকেন্দ্রিক আকাশব্যবস্থাকে বিশ্বাসের আসনে বসানো,সমতল পৃথিবীর বিশ্বাস থেকে বের হয়ে যাদুকর পিথাগোরাসের spherical পৃথিবীর বিশ্বাসকে গ্রহন। এজন্য কোপার্নিকাসের হার্মেটিক শাস্ত্রের উপর ভিত্তি করে লেখা একটি বই প্রকাশের সময় থেকে এই Age of enlightenment বা scientific revolution[১৩] এর যুগ শুরু হয় বলে অনেকে মনে করে। এই (অপ)বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের দ্বারা প্রাচীন যাদুকর ও প্যাগান ফিলসফারদের(পিথাগোরিয়ান) আকিদাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়।
আবারো যাদুশাস্ত্র উৎসারিত মহাকাশতত্ত্বকে বিশ্বাসের আসনে বসানো হয়। কাব্বালিস্টিক কিতাব জোহারেও পৃথিবীর বর্তুলাকারের বর্ননা এসেছে। হাইপাথিয়াসহ আরো প্যাগান যাদুবিদ্যার অনুসারী দার্শনিকরা সূর্যকেন্দ্রিক পৃথিবীর কথা বলেছেন। তাছাড়া হার্মেটিক শাস্ত্রগুলোও সরাসরি হেলিওসেন্ট্রিক কস্মোলজির শিক্ষা দেয়, যেখান থেকে কোপার্নিকাস সরাসরি গ্রহন করেছিলেন(দলিল প্রমাণ সামনে আসছে)।  (অপ)বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের জোয়ারকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায় ওই সময়কার গুপ্তসংগঠন(secret society) ফ্রিম্যাসনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত সংগঠন রয়্যাল সোসাইটির প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এই Royal Society তে ছিলেন ফ্রান্সিস বেকন ও নিউটনের মত যাদুকর/intellectual গন। বেকন এবং নিউটন উভয়ই ছিল ফ্রিম্যাসন(Freemason)!

The Scientific Revolution took place in Europe towards the end of the Renaissance period and continued through the late 18th century, influencing the intellectual social movement known as the Enlightenment.

The Scientific Revolution is traditionally assumed to start with the Copernican Revolution (initiated in 1543) and to be complete in the "grand synthesis" of Isaac Newton's 1687 Principia. Much of the change of attitude came from Francis Bacon whose "confident and emphatic announcement" in the modern progress of science inspired the creation of scientific societies such as theRoyal Society, and Galileo who championedCopernicus and developed the science of motion.

While its dates are debated, the publication in 1543 of Nicolas Copernicus's De revolutionibus orbium coelestium (On the Revolutions of the Heavenly Spheres) is often cited as marking the beginning of the Scientific Revolution.[উইকিপিডিয়া]


বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের প্রথম দিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল প্রাচীন occult শাস্ত্র গুলোতে থেকে (নিষিদ্ধ)জ্ঞানকে পুনরুদ্ধার করা। এই কাজের সমাপ্তি হয় ওইসব শাস্ত্র গুলো থেকে উৎসারিত বিদ্যার উপর লেখা গ্যালিলিও, নিউটনদের নতুন ধরনের মহাকাশতত্ত্বের ব্যপারে গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে। সেসময় পৃথিবীর গতি, সৌরকেন্দ্রিকতার পাশাপাশি গ্রাভিটিকেও আবিষ্কার করা হয়। গ্রাভিটিকে তৎকালীন সাধারন magical force বলে আখ্যাদানের ভয়ে নিউটন সেসব একটু দেরীতে প্রকাশ করে। কারন যাদুশাস্ত্রের বিদ্যাগুলো সাধারন জনগনের মধ্যে স্বাভাবিকীকরনের(নর্মালাইজেশন) একটা বিষয় ছিল।

The beginning of the Scientific Revolution, the Scientific Renaissance, was focused on the recovery of the knowledge of the ancients; this is generally considered to have ended in 1632 with publication of Galileo's Dialogue Concerning the Two Chief World Systems.[8] The completion of the Scientific Revolution is attributed to the "grand synthesis" of Isaac Newton's 1687Principia. The work formulated the laws of motion and universal gravitation thereby completing the synthesis of a new cosmology.

Great advances in science have been termed "revolutions" since the 18th century. In 1747,Clairaut wrote that "Newton was said in his own life to have created a revolution".[উইকিপিডিয়া]



এখন যেভাবে ওই যুগের সাথে 'সায়েন্স' বা বিজ্ঞান শব্দটিকে ব্যবহার করে বলা হচ্ছে 'বৈজ্ঞানিক বিপ্লব(scientific revolution)', এই বিজ্ঞান শব্দটি তখনো ছিল না। তখন তারা একে ন্যাচারাল ফিলসফি এবং প্রাচীন অকাল্ট জ্ঞানের বিপ্লব বলা হত। উনিশ শতকে 'বিজ্ঞান' বা সায়েন্স শব্দটি তৈরি করার পর বিংশ শতকে এসে ওই যুগকে সায়েন্টিফিক রেভুল্যুশন এর যুগ নাম দেওয়া হয়েছে।
তৎকালীন সময়ে মৌলিক পরিবর্তন চলে আসে গাণিতিক, পদার্থবিদ্যা,মহাকাশতত্ত্ব,জীববিদ্যায়। কিন্তু তখনও এসব বিদ্যাকে প্রাচীন নাম 'ন্যাচারাল ফিলসফি' বলেই ডাকা হত। বিজ্ঞান(science) শব্দটির আবিষ্কার আরো অনেক পরে(এ বিষয়টা নিয়ে ৫ম পর্বে আলোচনা করেছি)। তখন সবকিছু দ্রুত বদলে যেতে শুরু করে। নিষিদ্ধবিদ্যার নবজাগরণে যেরূপে ওইসময় হয়েছে ওইরূপ আর কোন যুগেই হয়নি। হঠাৎ করে মানুষ উন্নয়নের আলো দেখতে পায়। এতে করে ন্যাচারাল ফিলসফারদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি জনগনের পালটে যেতে শুরু করে। অধিকাংশের মধ্যে যাদুবিদ্যার ব্যপারে সংকীর্ণ মনোভাব কমতে শুরু করে।
In the 20th century, Alexandre Koyréintroduced the term "scientific revolution", centering his analysis on Galileo. The term was popularized by Butterfield in his Origins of Modern Science.

The period saw a fundamental transformation in scientific ideas across mathematics, physics, astronomy, and biology in institutions supporting scientific investigation and in the more widely held picture of the universe. The Scientific Revolution led to the establishment of several modern sciences. In 1984, Joseph Ben-David wrote:
"Rapid accumulation of knowledge, which has characterized the development of science since the 17th century, had never occurred before that time. The new kind of scientific activity emerged only in a few countries of Western Europe, and it was restricted to that small area for about two hundred years. (Since the 19th century, scientific knowledge has been assimilated by the rest of the world)".[উইকিপিডিয়া]

যাদুশাস্ত্রের বিপ্লবের পর বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সাথে সাথে মানুষের ধ্যানধারণা ও বিশ্বদর্শনে আসা হঠাৎ পরিবর্তনের ব্যপারে ওইসময়কার অনেক লেখক, ইতিহাসবিদ বলেন। তাদের মধ্যে এমনকি কবি John Donne আছেন।
Many contemporary writers and modern historians claim that there was a revolutionary change in world view. In 1611 the English poet, John Donne, wrote:

[The] new Philosophy calls all in doubt,
The Element of fire is quite put out;
The Sun is lost, and th'earth, and no man's wit
Can well direct him where to look for it.[উইকিপিডিয়া]



সায়েন্টিফিক রেভুল্যুশনের যুগে কথিত বিজ্ঞানের বিপ্লব টি ছিল আসলে প্রাচীন যাদুশাস্ত্রগুলোর পরিবর্ধন এবং পুনঃপ্রতিষ্ঠা। পাশ্চাত্যের এই অকাল্ট বিদ্যার পুনরুত্থানে মধ্যযুগের আরব দার্শনিকদের(যাদুকর) অবদান অনস্বীকার্য। আলকেমিক্যাল বিদ্যার উপরেই নিউটনরা অনেক কাজ করে নতুন রূপ দান করে। তেমনি কোপার্নিকাস, কেপলাররা গ্রীক যাদুকর এবং মিশরীয় যাদুবিদ্যার দেবতা Thoth এর শাস্ত্রকে বর্ধিত করে হেলিওসেন্ট্রিক এস্ট্রনমিকে সমৃদ্ধ এবং পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে। অর্থাৎ সেই প্রাচীন অকাল্ট প্যাগান ওয়ার্ল্ডভিউ এর আবারো রিভাইভাল হয়। প্রথমেই বলেছি ওই সময়ে এরিস্টটলের নিজস্ব অবজারভেশনের উপর দ্বার করনো বিদ্যায় ত্রুটি ধরা শুরু করে তাকে বর্জন করা হয় এবং অনুসরণ করা হয় সরাসরি খাটি যাদুশাস্ত্রকে।
এ কথা সরাসরি উইকিপিডিয়াতেও এসেছেঃ
It is also true that many of the important figures of the Scientific Revolution shared in the general Renaissance respect for ancient learning and cited ancient pedigrees for their innovations. Nicolaus Copernicus (1473–1543),[25] Galileo Galilei (1564–1642),[1][2][3][26]Kepler (1571–1630)[27] and Newton (1642–1727),[28] all traced different ancient and medieval ancestries for the heliocentric system.

It is important to note that ancient precedent existed for alternative theories and developments which prefigured later discoveries in the area of physics and mechanics; but in light of the limited number of works to survive translation in a period when many books were lost to warfare, such developments remained obscure for centuries and are traditionally held to have had little effect on the re-discovery of such phenomena; whereas the invention of theprinting press made the wide dissemination of such incremental advances of knowledge commonplace. Meanwhile, however, significant progress in geometry, mathematics, and astronomy was made in medieval times.

The Scientific Revolution was built upon the foundation of ancient Greek learning and science in the Middle Ages, as it had been elaborated and further developed byRoman/Byzantine science and medieval Islamic science.[6]

The "Aristotelian tradition" was still an important intellectual framework in the 17th century, although by that time natural philosophers had moved away from much of it.Key scientific ideas dating back to classical antiquity had changed drastically over the years, and in many cases been discredited.[উইকিপিডিয়া]


সে সময়ে ন্যাচারাল ফিলসফার বা যাদুকরগন(scientist) যাদুশাস্ত্রভিত্তিক আকিদাকে সাধারন জনগণের মধ্যে সঞ্চালনের জন্য আরেকটি বিশাল পরিবর্তন আনেন। আগেরকার ন্যাচারাল ফিলসফিতে আধ্যাত্মিকতার একটা অংশ ছিল। অকাল্ট সৃষ্টিতত্ত্বকে আকিদা বা বিশ্বাসের আসনে বসালে সেটাকে ঘিরে সর্বেশ্বরবাদী বা প্যাগান বিশ্বাসগত মেটাফিজিক্যাল থিওরি, বিজ্ঞান বা ন্যাচারাল ফিলসফিতে অবিচ্ছেদ্যভাবে সংযুক্ত ছিল। এখানেই পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়। নিউটন, কোপার্নিকাসরা বস্তুজগতের ব্যপারে মেক্যানিক্যাল ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেন। এতে করে স্পিরিচুয়ালিটি এবং ন্যাচারাল ফিলসফি বাহ্যত আলাদা করে ফেলা হয়। এতে করে খ্রিষ্টান মুসলিমসহ সমস্ত ধর্ম মতাদর্শ তাদের চিন্তাধারা বা natural philosophy কে স্বতঃসিদ্ধ বৈধ বিদ্যা বা জ্ঞান হিসেবে গ্রহন করা শুরু করে। যখন থেকে spirituality কে বাদ দেওয়া হয় তখন থেকে Reductionism বা materialism(বস্তুবাদ) এর উত্থান ঘটে। মানুষের চিন্তাধারা বস্তুজগৎকে কেন্দ্র করে শুরু হয়। এতে করে নাস্তিকতার জন্ম হয়। আগের যাদুশাস্ত্রের প্যান্থেইস্টিক ওয়ার্ল্ডভিউ-টিও ছিল এই নাস্তিকতার মুদ্রারই অপর পিঠ। পার্থক্য হচ্ছে Pagan Pantheism বা Monism এর প্রাচীন শয়তানী আকিদায় সবকিছুর উপর deify(ঐশ্বরিকতা) করা হয়। এতে করে প্রাচীন ন্যাচারাল ফিলসফিতে মানবকে ডিভাইন-পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ স্বত্ত্বা হিসেবে দেখা হত,এনলাইটমেন্ট এবং জন্ম মৃত্যুর সাইকেল থেকে মুক্তি জীবনের লক্ষ্য হিসেবে ছিল,কিন্তু আধুনিক ন্যাচারাল ফিলোসফি অনুযায়ী মানুষকে অসীম মহাশূন্যের ক্ষুদ্র ধুলিকণার মত পৃথিবীর বুকে ছোট্ট মাংস চামড়ার মূল্যহীন এবং উদ্দেশ্যহীন প্রকোষ্ঠ হিসেবে দেখা হয়। জীবনের কোন মানে নেই। এটা হচ্ছে ন্যাচারাল ফিলসফি থেকে spiritualistic worldview বাদ দেওয়ার ফসল। এখান থেকেই এক্সিস্টেনশিয়ালিজম, কার্পিডিয়েম মতাদর্শ, ভোগবাদ(Epicurism) এবং পুঁজিবাদের এর উত্থান। Natural Philosophy কে নতুন শব্দের মোড়কে আবৃত করা হয়। একে নাম দেওয়া হয় 'Science'(বিস্তারিত পড়ুন ৫ম পর্বে)।

এরই মধ্যে কোপার্নিকান হেলিওসেন্ট্রিক কস্মোলজি ক্যাথলিকদের জেসাস সোসাইটি(জেসুইট অর্ডার) গ্রহন এবং ব্যাপক প্রচার শুরু করে। খুব শীঘ্রই জেসুইটদের প্রভাব অধ্যুষিত অঞ্চলগুলো সমতল পৃথিবীর বিশ্বাসকে বাদ দিয়ে বর্তুলাকার সূর্যকেন্দ্রিক আকাশবিজ্ঞানকে গ্রহন করে।ইউরোপের বাইরের কিছু কিছু অঞ্চল অবশ্য তাদের প্রচার প্রচারণা মেনে নিতে অস্বীকার করে,কিন্তু পরবর্তীতে অনেক চাপের মুখ গ্রহন করতে বাধ্য হয়। এই জেসুইটের পেছনে ছিল সিক্রেট সোসাইটি (Freemason)[১১]।  আসলে সিক্রেট সোসাইটিগুলো খুবই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। এরা অকাল্ট ফিলোসফিকে আবারো পুনর্জাগরন ঘটিয়ে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে সেই হাতিয়ারকেই ব্যবহার করেছে, যেটা একটা সময়ে অকাল্টিজমের বিরুদ্ধে প্রবল আঘাত করেছিল। অর্থাৎ সেই খ্রিষ্টান প্রিস্টদেরকেই ব্যবহার করেছে। ওরা সেই কাঁটা দিয়েই কাঁটা তুলেছে।

অপবিজ্ঞানকে যখন 'বিজ্ঞান' শব্দ দ্বারা সবাইকে খাওয়ানো হলো তখন চরম ম্যাটেরিয়ালিজম বা বস্তুবাদী চেতনার উত্থান ঘটলো। আকাশ ও পৃথিবীর ব্যপারে সৃষ্টিজগতের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এই প্রথমবারই যাদুশাস্ত্র ভিত্তিক অসত্য তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠা করা হলো, এরপরে বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দেখানো হলো যে পিথাগোরাস, হাইপাথিয়া ও হার্মেটিক-কাব্বালায় বলা যাদুশাস্ত্রের বর্নিত অদেখা জগতের বিবরণই সত্য। তাওরাত ইঞ্জিল কুরআন যা বলে তা পুরোনো দিনের উপকথা। এতে বর্নিত সৃষ্টিতত্ত্ব মিথ্যা। এক বিজ্ঞান প্রিচার সরাসরি বলেন, "৬দিনের সৃষ্টিতত্ত্ব  এর অবাস্তব কল্পকথায় আপনারা এতে বিশ্বাস করেন ভাল কথা,কিন্তু আপনাদের সন্তানদের এসব শেখাবেন না, কারন তাদেরকে আমাদের প্রয়োজন"!


এরপরে মিথ্যা নাটকের দ্বারা আসমান জয় করে বুঝানো হয়েছে আসমানের ব্যপারে ভয়ের কিছু নেই, উপরে কেউই নেই। সত্যিই এক নভোচারী এ কথাই বলেছেন(সেটা উপরের ছবিতে দেখছেন)। আকাশ ও পৃথিবীর ব্যপারে ধারনা পাল্টানোর পর আরেকটি অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ বা বিশ্বাস ব্যবস্থাকে পরিচিত করা হয় এবং পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেটা ছিল বিবর্তনবাদ। বিবর্তনবাদ যাদুকরদের খুবই প্রাচীন কুফরি আকিদা। সেই বাবেলের গিলগেমিশের কাব্য থেকে গ্রীক যাদুকর, এরপরে সরাসরি সায়েন্টিফিক theory! আকাশ-পৃথিবীর সৃষ্টির ব্যপারেও এরপরে যাদুশাস্ত্রের প্যাগান বিশ্বাস বা কুফরি ওয়ার্ল্ডভিউ প্রতিষ্ঠা করা হয়। চলে আসে বিগব্যাং! এটা হচ্ছে cosmological evolution! অর্থাৎ আসমান-যমীন ও প্রান সৃষ্টিতে কোনকিছুরই হাত নেই, সবই আপনাআপনিই সৃষ্ট! বিখ্যাত ম্যাটেরিয়ালিস্ট পদার্থবিজ্ঞানী বিল ডকিংস বলেনঃ"যদি কাউকে পান যে বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করেনা,সে হচ্ছে নির্বোধ, মূর্খ। তাকে জনসমক্ষে বিদ্রুপ করুন, উপহাস করুন!" 

মুসলিম, খ্রিষ্টানদের অধিকাংশই এই ম্যাটেরিয়ালিস্টিক বিবর্তনবাদী বিগব্যাং কস্মোলজির অপবিজ্ঞানকে সত্য হিসেবে গ্রহন করে ধর্মের সাথে এভাবে মিশিয়েছে যে,এরা বলে বিগব্যাং এর আগে আল্লাহ ছিলেন, তিনিই বিগব্যাং এর দ্বারা মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। এভাবে (অপ)বৈজ্ঞানিক থিওরিকে ধর্মের সাথে মেশানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। কিন্তু আপনি কি মনে করেন(?) অকাল্টিজমের উপর দাঁড়ানো এই অপবিজ্ঞান সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসের এই পথ অনন্তকাল খোলা রাখবে!? তারা তো অল্প কয়েক শতকের জন্য আধ্যাত্মিকতা এবং দর্শনকে আলাদা রেখেছে সমস্ত মানুষের মধ্যে সেটা সঞ্চালনের জন্য। সকলের গ্রহণযোগ্যতা লাভের জন্য। সেটা তারা ইতোমধ্যে পেয়ে গেছে। এবার আবারো অকাল্টিজমের প্রত্যাবর্তনের পালা। এই প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া গত দুইশত বছরের বেশি সময় ধরে শুরু হয়ে গেছে। এবার যাদুকরদের কুফরি আকিদা পুরোপুরিভাবে গ্রহন করানোর সময় হয়ে গেছে। পিথাগোরাসদের যুগে যাদুবিদ্যা ছিল তার যুগের কথিত বিজ্ঞান বা ন্যাচারাল ফিলসফারদের মধ্যে সীমাবদ্ধ,সেসব কখনোই সাধারন গনমানুষের বিশ্বাসের বিষয় হয়নি,আওয়াম জনগনের আকিদায় স্থান পায়নি। কিন্তু এবার নাইট টেম্পলার, ফ্রিম্যাসনদের চেষ্টায় নিউটন, গ্যালিলিওদের আন্তরিক শ্রমের দ্বারা যাদুশাস্ত্র থেকে 'বিজ্ঞান' প্রতিষ্ঠার দ্বারা সবার বিশ্বাসের স্থানে কৌশলে বসানো হয়েছে। এবার occult worldview আওয়াম সাধারনের আকিদায় কৌশলে বসানোর পালা। এতে করে বৈজ্ঞানিকভাবেই যৌক্তিক ভাবেই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাসের নূন্যতম দুয়ারটিও রাখা হবে না। আপনি আর বলতে পারবেন না বিগব্যাং আল্লাহ ঘটিয়েছে বা তার পূর্বে আল্লাহ ছিল। ওরা যাদুকরদের অভিশপ্ত আকিদাকেই গ্রহন করাবে। বাবেলের সেই অপবিদ্যায় ফেরানোর জন্য গত ২০০ বছরের চেষ্টার পর সেই কাজ আজ একদম শেষভাগে। দাজ্জ্বালকে রবের আসনে বসানোর জন্যই এত কিছু করা, তার আসার সময় ঘনিয়ে এসেছে। আজ যারা যাদুশাস্ত্র ভিত্তিক সায়েন্টিফিক থিওরিগুলোকে অর্ধেকটা দেখেই ইসলামাইজ করছে তারা নিকট ভবিষ্যতে কোথায় যাবে সেটা দেখবার বিষয়।

আজকের বিজ্ঞান আবারো প্রাচীন প্লেটোনিক পিথাগোরিয়ান যাদুশাস্ত্রের বিশ্বদর্শনের পথে ফিরে এসেছে। যাদুবিদ্যাকে পরম আরাধ্য বিজ্ঞানরূপে পূজা করবার এ যুগে চার-পাঁচশ বছর আগেও যাদেরকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হত, সেই যাদুকরদের হত্যা করাকে মানব অধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং অত্যন্ত গর্হিত কাজ বলে কুফফারসংঘ(জাতিসংঘ) স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে। উইকিপিডিয়াতে এসেছেঃ
Witch-hunts in modern times are continuously reported by the UNHCR of the UNO as a massive violation of human rights.[উইকিপিডিয়া]

সুতরাং আজ দেখলেন কিরূপে মিশর ব্যবিলনের নিষিদ্ধ বিদ্যা এবং সেগুলোতে উল্লিখিত ফিজিক্স ও এস্ট্রোনমি অর্থাৎ ন্যাচারাল ফিলসফি বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, লুকায়িত বিদ্যাসমূহ প্রকাশ্যে সমাদৃত হয়। ম্যাটেরিয়ালিস্টিক মেক্যানিক্যাল রিডাকশনিজম সবসময়ই সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসের ব্যপারে অস্বীকারের দর্শনই প্রচার করেছে। সেটার চূড়ান্ত ও প্রকৃত রূপ হিসেবে স্রষ্টার অস্তিত্বের ব্যপারে বিশ্বাসের যৌক্তিক দুয়ারটিও এবার বন্ধ করবার পালা। অর্থাৎ এই যাদুবিদ্যা উৎসারিত অপবিজ্ঞান আসলে কখনোই ভাল কোন দর্শনের শিক্ষা দেয় নি। সৃষ্টিকর্তার সাথে বিদ্রোহ করা যাদুশাস্ত্র গুলো থেকে আসলে সেটা আশাও করা যায় না।

[আজকের আলোচিত বিষয়গুলো এত বিশাল ঘটনাপূর্ণ যে সেসবের যেকোন একটির উপরেই আলাদাভাবে বই রচনা করা সম্ভব। এই সুবিশাল ঘটনাপ্রবাহ একদম সংক্ষিপ্তভাবে আজকের পর্বে বর্ননা করেছি। বলা যেতে পারে আজকের ১১তম পর্বের দ্বারা "বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান" আর্টিকেল সিরিজের শিরোনাম সমাপ্ত হলো। সামনে বিখ্যাত (অপ)বিজ্ঞানীদের নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু ইনশাআল্লাহ।]







Ref:

[১]
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Persecution_of_pagans_in_the_late_Roman_Empire
https://www.learnreligions.com/what-is-persecution-700685


[২]
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Christian_views_on_magic
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Witch-hunt
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Witch_trials_in_the_early_modern_period
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Religion_in_ancient_Rome#Transition_to_Christian_hegemony
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Persecution_of_pagans_in_the_late_Roman_Empire


[৩]
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=409260446396654&id=359439831378716


[৪]
https://islamqa.info/en/88184


[৫]
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_24.html
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_68.html


[৬]
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Transmission_of_the_Greek_Classics


[৭]
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Renaissance_humanism


[৮]
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Renaissance


[৯]
https://m.youtube.com/watch?v=wtXN1IYoVTk


[১০]
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Renaissance
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Renaissance_magic
https://spacedoutscientist.com/2015/06/01/hermeticism-the-nexus-between-science-philosophy-and-spirit/


[১১]
https://www.truerestoration.org/the-suppression-of-the-jesuits/


[১২]
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Renaissance_magic


[১৩]
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Scientific_Revolution



[১৪]
https://crusaderhistory.wordpress.com/2017/07/31/knights-templar-the-occult/
http://www.knightstemplarorder.org/templar-treasure/



[১৫]
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Renaissance_humanism


[১৬]
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Alchemy_and_chemistry_in_the_medieval_Islamic_world



বিগত পর্বগুলোঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/documentary-article-series_10.html


[চলবে ইনশাআল্লাহ...]

0 Comments:

Post a Comment