Saturday, August 24, 2019

ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্ব[PDF]



 

আলহামদুলিল্লাহ, "ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্ব" পিডিএফ করা হয়ে গেছে। পেইজ সংখ্যা ৪৬৯। প্রশংসা আল্লাহর, তিনি এমন এক কাজের তাওফিক দিয়েছেন যেই অবস্থানে দাঁড়িয়ে খুব সম্ভবত সুপ্রচলিত ভাষাগুলোর মধ্যে একটিতেও এত বৃহৎ আকারের কিছু লেখা হয়নি। এটাকে যদি কখনো হার্ডকপিতেও রূপান্তর করা হয়,এতে কোন কমার্শিয়াল পারপাজ থাকবে না, বিইযনিল্লাহ। এটা শুধুই আল্লাহ আযযা ওয়াযালের জন্য।
সাইজঃ৩৮মেগাবাইট


https://archive.org/details/20191115_20191115_0610
.
Direct Link:
https://ia601409.us.archive.org/8/items/20191115_20191115_0610/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%A6%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87%20%E0%A6%B8%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%20%28%E0%A7%A8%E0%A7%9F%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3%29.pdf


অথবা


মিডিয়াফায়ারঃ http://www.mediafire.com/file/rwc2xi5wn3uhbno/Islamer_dristite_sristitatta_2nd_Edition.pdf/file

অথবা

গুগল ড্রাইভঃ
https://drive.google.com/file/d/1-Eevtnkn4Ccj5IWZaORn8vQvdVJjObt3/view?usp=drivesdk








পুরাতন(প্রথম) সংস্করণ


ডাউনলোড লিংকঃ
https://archive.org/details/islamerdristitesrishtitatta

সরাসরি ডাউনলোড লিংকঃ
https://ia601401.us.archive.org/9/items/islamerdristitesrishtitatta/Islamer%20dristite%20srishtitatta.pdf
.

.
ফেইসবুক গ্রুপে ও আরো দু এক জায়গায় আপলোড করা হবে ইনশাআল্লাহ। কেউ অবিকৃত অবস্থায় নিজের মত অন্যত্র আপলোড করে প্রচার করলে দোষনীয় কিছু মনে করব না। এই পিডিএফ কপি বা আর্টিকেল গুলো এমন কারো কাছে না দেওয়াই ভাল যারা বিজ্ঞান এবং বৈজ্ঞানিক তত্ত্বে 'কুরআন সুন্নাহর চেয়ে' বেশি বিশ্বাস ও আস্থা রাখে। বিজ্ঞানকে একরকম axiom হিসেবে ধরে। আরেকটি কথা, গায়রে আলিম হিসেবে আমি নিজেকে ইসলামী বই লেখার যোগ্য বলে মনে করিনা। এক্ষেত্রে আমি একজন কম্পাইলারের কাজ করেছি। নিজের কোন মনগড়া মত বা যুক্তিকে প্রতিষ্ঠা বা ব্যাখ্যার চেষ্টা করিনি বরং রাসূল(সা), সাহাবী আজমাঈনদের কথা ও আকিদা এবং আল্লাহর কথা গুলোকে কিছুটা গুছিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র, এজন্য মুফাসসিরীনদের কিতাবাদি খুব ব্যবহার করেছি, পড়লেই বুঝতে পারবেন।
.
ডাউনলোডে সমস্যা হলে কমেন্টে জানানোর অনুরোধ থাকলো। যারা হার্ডকপি পছন্দ করেন তারা চাইলে এই পিডিএফ ডকুমেন্টটিকে অবিকৃত অবস্থায় কোন অংশ বাদ না দিয়ে প্রিন্ট করে নিতে পারেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে। এতে কোন আপত্তি নেই। এই পিডিএফ দিয়ে বা প্রিন্টেড হার্ডকপি দিয়ে অনলাইন কিংবা অফলাইনে "যেকোন ধরনের" অর্থনৈতিক লাভবান হবার উদ্দেশ্যে ব্যবহারকে সম্পূর্ন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। আমি যেখানে বিনামূল্যেই পুরোটা দিচ্ছি,সেখানে এরকম চেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয় কর্ম হবে। সেই সাথে এই ডকুমেন্ট কন্টেন্টকে কোনভাবে বিকৃত/পরিবর্তন করে প্রচারকেও কঠোরভাবে নিষেধ করি। আমি জানিনা একে ভবিষ্যতে কখনো হার্ডকপি বই আকারে প্রকাশ করব কিনা। করলেও এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক স্বার্থকে উপেক্ষা করা হবে,বিইযনিল্লাহ। আমি জ্ঞানগত বিষয় নিয়ে ব্যবসা করা বা কমার্শিয়াল উদ্দেশ্য সাধনকে ঘৃণা করি। এটা আমার ব্যক্তিগত চিন্তাধারা।

Monday, August 19, 2019

১২.ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্ব

পর্ব-১২





আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা ঋতুবৈচিত্র্য সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন গরম ও শৈত্যের। আধুনিক বিজ্ঞান গরম বা শৈত্যের কারন হিসেবে দেখায় কাল্পনিক গোলক পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণের সময় সূর্যালোকের পথ,দূরত্ব ইত্যাদিতে পরিবর্তন আসাকে। অর্থাৎ (অপ)বিজ্ঞানীদের কাল্পনিক সৌরজগতের যেকোন কাল্পনিক গ্রহে উত্তাপ বা উষ্ণ আবহাওয়া এবং শৈত্য সম্পূর্নভাবে সূর্যের উপর নির্ভর করে। আমরা নাকি সূর্যের জন্যই গরম বা ঠান্ডা অনুভব করি। কিন্তু আল্লাহর রাসূল(সাঃ) এ ব্যপারে কি বলেছেন?  
حدثنا أبو اليمان، أخبرنا شعيب، عن الزهري، قال حدثني أبو سلمة بن عبد الرحمن، أنه سمع أبا هريرة ـ رضى الله عنه ـ يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اشتكت النار إلى ربها، فقالت رب أكل بعضي بعضا، فأذن لها بنفسين نفس في الشتاء ونفس في الصيف، فأشد ما تجدون في الحر، وأشد ما تجدون من الزمهرير ‏"‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘জাহান্নাম তার রবের নিকট অভিযোগ করে বলেছে, হে রব! আমার এক অংশ অপর অংশকে খেয়ে ফেলেছে। তখন তিনি তাকে দু’টি নিঃশ্বাস ফেলার অনুমতি প্রদান করেন। একটি নিঃশ্বাস শীতকালে আর একটি নিঃশ্বাস গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরমের তীব্রতা এবং শীতের তীব্রতা পেয়ে থাক।’
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩২৬০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


وحدثني عمرو بن سواد، وحرملة بن يحيى، - واللفظ لحرملة - أخبرنا ابن وهب، أخبرني يونس، عن ابن شهاب، قال حدثني أبو سلمة بن عبد الرحمن، أنه سمع أبا هريرة، يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اشتكت النار إلى ربها فقالت يا رب أكل بعضي بعضا ‏.‏ فأذن لها بنفسين نفس في الشتاء ونفس في الصيف فهو أشد ما تجدون من الحر وأشد ما تجدون من الزمهرير ‏"‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জাহান্নাম তার প্রভু আল্লাহর কাছে এ বলে ফরিয়াদ করল যে, তার এক অংশ আরেক অংশকে খেয়ে ফেলছে। সুতরাং আল্লাহ তা’আলা জাহান্নামকে দু’বার শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুমতি দিলেন। একবার শীতকালে এবং আরেক বার গ্রীস্মকালে। তোমরা যে প্রচন্ড গরমের অনুভব করে থাকো তা এ কারণেই। (ই.ফা.১২৭৫, ই.সে.১২৮৮)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১২৮৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


وحدثني حرملة بن يحيى، حدثنا عبد الله بن وهب، أخبرنا حيوة، قال حدثني يزيد بن عبد الله بن أسامة بن الهاد، عن محمد بن إبراهيم، عن أبي سلمة، عن أبي هريرة، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ قالت النار رب أكل بعضي بعضا فأذن لي أتنفس ‏.‏ فأذن لها بنفسين نفس في الشتاء ونفس في الصيف فما وجدتم من برد أو زمهرير فمن نفس جهنم وما وجدتم من حر أو حرور فمن نفس جهنم ‏"‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ  (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জাহান্নাম অভিযোগ করে আল্লাহর কাছে বলল, হে আমার প্রভু! আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলছে। সুতরাং আমাকে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের অনুমতি দিন। তাই আল্লাহ তা’আলা তাকে দুবার শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুমতি দান করলেন। একবার শীত মৌসুমে আরেকবার গ্রীষ্ম মৌসুমে। তোমরা শীতকালে যে ঠান্ডা অনুভব করে থাকো তা জাহান্নামের শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণ। আবার যে গরমে বা প্রচন্ড উত্তাপ অনুভব করে থাকো তাও জাহান্নামের শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে। (ই.ফা.১২৭৭, ই.সে.১২৯০)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১২৯০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

حدثنا أبو بكر بن أبي شيبة، حدثنا عبد الله بن إدريس، عن الأعمش، عن أبي صالح، عن أبي هريرة، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ اشتكت النار إلى ربها فقالت يا رب أكل بعضي بعضا ‏.‏ فجعل لها نفسين نفس في الشتاء ونفس في الصيف فشدة ما تجدون من البرد من زمهريرها وشدة ما تجدون من الحر من سمومها ‏"‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)  বলেছেনঃ জাহান্নাম তার প্রভুর নিকট অভিযোগ করে বললো, হে আমার রব! আমার একাংশ অপরাংশকে গ্রাস করেছে। তখন আল্লাহ তাকে দু’বার নিঃশ্বাস নেয়ার অনুমতি দিলেনঃ একটি শীতকালে অপরটি গ্রীষ্মকালে। তোমরা দুনিয়াতে যে ঠাণ্ডা অনুভব করো তা হলো জাহান্নামের হিম শীতলতা থেকে এবং যে গরম অনুভব করো তা হলো জাহান্নামের আগুনের উষ্ণতা থেকে।[৩৬৫১]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
ফুটনোটঃ
[৩৬৪৯] [সহীহুল বুখারী ৫৩৭, ৩২৬০, মুসলিম ৬১৫, তিরমিযী ১৫৭, ২৫৯২, নাসায়ী ৫০০, আবূ দাঊদ ৪০২, আহমাদ ৭০৯০, ৭২০৫, ৭৪২৪, ৭৫৫৮, ৭৬৬৫, ৭৭৭০, ২৭৪৪৩, ৮৩৭৮, ৮৬৮৩, ৮৮৬১, ৮৮৮১, ৮৯৩৯, ২৭৪৯৪, ৯৬৩৯, ১০১২৮, ১০১৬০, ১০২১৪, ১১১০৪, মুয়াত্তা' মালিক ২৮২৯, দারিমী ১২০৭, ২৮৪৫। সহীহাহ ১৪৫৭।]

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪৩১৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



আধুনিক বিজ্ঞানের হাজারো কুফরি তত্ত্বের একটি বিবর্তনবাদ।  বিবর্তনবাদ মূলত একটি অকাল্ট
কন্সেপ্ট যেটাকে মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানেও সঞ্চালিত হয়েছে সাধারণ জনগণের আকিদাকে কুফরের অন্ধকার দ্বারা আচ্ছন্ন করার উদ্দেশ্যে। এই তত্ত্ব এমন বিশ্বাসব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠিত করে যাতে ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনকে অগ্রাহ্য করা হয়। অর্থাৎ কোন কিছুই বুদ্ধিপ্রদীপ্ত স্বত্ত্বা কর্তৃক সৃষ্টি নয় বরং সবই প্রাকৃতিক উন্নয়নমুখী বিবর্তন। সমস্ত প্রানী একক অর্গ্যানিজম থেকে এসেছে। মানুষ হয়েছে ছোট্ট ব্যাকটেরিয়া বা কীট বা এরকম প্রানী থেকে। এরপরে হাজার হাজার বছর পর ধীরে ধীরে মাছ জাতীয় প্রানী, মাছ থেকে সরীসৃপ জাতীয় প্রানী, এরপরে বানর, ধীরে ধীরে নিয়ানডার্থাল এরপরে লক্ষ লক্ষ বছর পর হোমোসেপিয়েন্স বা বর্তমান পূর্ণাঙ্গ মানুষ। বিবর্তনবাদ অনুযায়ী কোন প্রানী কালের পরিক্রমায় ক্রমশ উন্নততর হতে থাকে। সমস্ত কিছুই পরিবর্তনশীল। এরা এক ফর্ম থেকে অন্য ফর্মে মাইগ্রেট করে। ধরুন সাপ থেকে হাজার বছর পর অন্য কোন প্রজাতির প্রানীরও উদ্ভব হতে পারে। গরু থেকে নতুন কোন আকৃতির প্রানী, মানুষও তেমনি অন্যকোন প্রানীতে শিফট করতে পারে অথবা আকৃতি বা দৈহিক গঠন পরিবর্তন হয়ে ভিন্ন কিছুতে রুপান্তর হতে পারে। অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা প্রতিটি প্রানীকে আলাদাভাবে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ বলেনঃ
سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ
পবিত্র তিনি যিনি যমীন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, তাদেরই মানুষকে এবং যা তারা জানে না, তার প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন[৩৬:৩৬]

وَمِن كُلِّ شَيْءٍ خَلَقْنَا زَوْجَيْنِ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ
আমি প্রত্যেক বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, যাতে তোমরা হৃদয়ঙ্গম কর[আয যারিয়াতঃ৪৯]

وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا
আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি[৭৮:৮]

فَاطِرُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ جَعَلَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا وَمِنَ الْأَنْعَامِ أَزْوَاجًا يَذْرَؤُكُمْ فِيهِ لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ البَصِيرُ
তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুস্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন[৪২:১১]


সুতরাং একক অর্গ্যানিজম থেকে ধীরে ধীরে হাজার প্রজাতি বা শ্রেনীর প্রানী সৃষ্টির তত্ত্ব সম্পূর্ন মিথ্যা এবং সুস্পষ্ট কুফর। যেহেতু আল্লাহ এক প্রজাতির প্রানী থেকে অন্য প্রজাতির প্রানীতে রূপান্তরের কোন পথ করেন নি, তাই নূহ(আঃ) এর সময়কার মহাপ্লাবনের সময় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা তাকে প্রত্যেক প্রজাতির প্রানীর একটি করে জোড়া নৌকায় তুলবার আদেশ দিয়েছেন।আল্লাহ বলেনঃ

فَأَوْحَيْنَا إِلَيْهِ أَنِ اصْنَعِ الْفُلْكَ بِأَعْيُنِنَا وَوَحْيِنَا فَإِذَا جَاء أَمْرُنَا وَفَارَ التَّنُّورُ فَاسْلُكْ فِيهَا مِن كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ وَأَهْلَكَ إِلَّا مَن سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ مِنْهُمْ وَلَا تُخَاطِبْنِي فِي الَّذِينَ ظَلَمُوا إِنَّهُم مُّغْرَقُونَ
অতঃপর আমি তার কাছে আদেশ প্রেরণ করলাম যে, তুমি আমার দৃষ্টির সামনে এবং আমার নির্দেশে নৌকা তৈরী কর। এরপর যখন আমার আদেশ আসে এবং চুল্লী প্লাবিত হয়, তখন নৌকায় তুলে নাও, প্রত্যেক জীবের এক এক জোড়া এবং তোমার পরিবারবর্গকে, তাদের মধ্যে যাদের বিপক্ষে পূর্বে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তাদের ছাড়া। এবং তুমি জালেমদের সম্পর্কে আমাকে কিছু বলো না। নিশ্চয় তারা নিমজ্জত হবে।[২৩:২৭]

حَتَّى إِذَا جَاء أَمْرُنَا وَفَارَ التَّنُّورُ قُلْنَا احْمِلْ فِيهَا مِن كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ وَأَهْلَكَ إِلاَّ مَن سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ وَمَنْ آمَنَ وَمَا آمَنَ مَعَهُ إِلاَّ قَلِيلٌ
অবশেষে যখন আমার হুকুম এসে পৌঁছাল এবং ভুপৃষ্ঠ উচ্ছসিত হয়ে উঠল, আমি বললামঃ সর্বপ্রকার জোড়ার দুটি করে এবং যাদের উপরে পূর্বেই হুকুম হয়ে গেছে তাদের বাদি দিয়ে, আপনার পরিজনবর্গ ও সকল ঈমানদারগণকে নৌকায় তুলে নিন। বলাবাহুল্য অতি অল্পসংখ্যক লোকই তাঁর সাথে ঈমান এনেছিল।[১১:৪০]


সুতরাং এই বিবর্তনবাদের শয়তানি মতবাদের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। আল্লাহ সর্বপ্রথম মানুষ তৈরি করে আদম আলাইহিসালামকে। তাকে সৃষ্টি করা হয় সরাসরি শুকনো ঠনঠনে মাটি দ্বারা। অতঃপর তার থেকে মা হাওয়াকে(আঃ) সৃষ্টি করেন। এরপর থেকে এ যুগল থেকে আল্লাহ মানব সন্তানকে সরাসরি সৃষ্টি করেন বীর্যের মাধ্যমে। এই প্রক্রিয়া এখন পর্যন্ত অব্যাহত। এরপরেও মানুষ মিথ্যা বিষয়ে(যেমনঃবিবর্তনবাদ এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কুফরি তত্ত্ব) বিশ্বাস করে এবং আল্লাহর অনুগ্রহকে অস্বীকার করে।
আল্লাহ বলেনঃ
وَلَقَدْ خَلَقْنَا الإِنسَانَ مِن صَلْصَالٍ مِّنْ حَمَإٍ مَّسْنُونٍ
আমি মানবকে পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুস্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছি[১৫:২৬]

قَالَ لَهُ صَاحِبُهُ وَهُوَ يُحَاوِرُهُ أَكَفَرْتَ بِالَّذِي خَلَقَكَ مِن تُرَابٍ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍ ثُمَّ سَوَّاكَ رَجُلًا
তার সঙ্গী তাকে কথা প্রসঙ্গে বললঃ তুমি তাঁকে অস্বীকার করছ, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর বীর্য থেকে, অতঃপর র্পূনাঙ্গ করেছেন তোমাকে মানবাকৃতিতে?[১৮:৩৭]


وَاللّهُ جَعَلَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا وَجَعَلَ لَكُم مِّنْ أَزْوَاجِكُم بَنِينَ وَحَفَدَةً وَرَزَقَكُم مِّنَ الطَّيِّبَاتِ أَفَبِالْبَاطِلِ يُؤْمِنُونَ وَبِنِعْمَتِ اللّهِ هُمْ يَكْفُرُونَ
আল্লাহ তোমাদের জন্যে তোমাদেরই শ্রেণী থেকে জোড়া পয়দা করেছেন এবং তোমাদের যুগল থেকে তোমাদেরকে পুত্র ও পৌত্রাদি দিয়েছেন এবং তোমাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ দান করেছেন। অতএব তারা কি মিথ্যা বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অস্বীকার করে?[১৬:৭২]



সুতরাং বিবর্তনবাদ অনুযায়ী বানর থেকে মানব সৃষ্টির কথা অবাস্তব কল্পনা ছাড়া কিছু না। বিবর্তনবাদ অনুযায়ী তো শুরুর দিকে মানুষ ভাষাহীন অসভ্য গুহাবাসী ছিল। অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আদি মানব মানবীকে সৃষ্টির শুরুতেই পোষাকের ব্যবস্থা করেছেন, যা শয়তান অনাবৃত করার রাস্তা করে দেয়। আল্লাহ বলেনঃ

يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِي سَوْءَاتِكُمْ وَرِيشًا وَلِبَاسُ التَّقْوَىَ ذَلِكَ خَيْرٌ ذَلِكَ مِنْ آيَاتِ اللّهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ
হে বনী-আদম আমি তোমাদের জন্যে পোশাক অবর্তীণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবর্তীণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং পরহেযগারীর পোশাক, এটি সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর কুদরতেরঅন্যতম নিদর্শন, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।

  يَا بَنِي آدَمَ لاَ يَفْتِنَنَّكُمُ الشَّيْطَانُ كَمَا أَخْرَجَ أَبَوَيْكُم مِّنَ الْجَنَّةِ يَنزِعُ عَنْهُمَا لِبَاسَهُمَا لِيُرِيَهُمَا سَوْءَاتِهِمَا إِنَّهُ يَرَاكُمْ هُوَ وَقَبِيلُهُ مِنْ حَيْثُ لاَ تَرَوْنَهُمْ إِنَّا جَعَلْنَا الشَّيَاطِينَ أَوْلِيَاء لِلَّذِينَ لاَ يُؤْمِنُونَ
হে বনী-আদম শয়তান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত না করে; যেমন সে তোমাদের পিতামাতাকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছে এমতাবস্থায় যে, তাদের পোশাক তাদের থেকে খুলিয়ে দিয়েছি-যাতে তাদেরকে লজ্জাস্থান দেখিয়ে দেয়। সে এবং তার দলবল তোমাদেরকে দেখে, যেখান থেকে তোমরা তাদেরকে দেখ না। আমি শয়তানদেরকে তাদের বন্ধু করে দিয়েছি, , যারা বিশ্বাস স্থাপন করে না।[৭:২৬-২৭]


আল্লাহ স্বয়ং পিতা আদমকে(আঃ) ভাষা ও বিবিধ বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছেন। তাকে এমনকি এমন সব জ্ঞানও আল্লাহ তাকে দিয়েছেন যা ফেরেশতাদের কাছেও অজানা। আল্লাহ বলেনঃ

وَعَلَّمَ آدَمَ الأَسْمَاء كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلاَئِكَةِ فَقَالَ أَنبِئُونِي بِأَسْمَاء هَـؤُلاء إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
আর আল্লাহ তা’আলা শিখালেন আদমকে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীর নাম। তারপর সে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীকে ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। অতঃপর বললেন, আমাকে তোমরা এগুলোর নাম বলে দাও, যদি তোমরা সত্য হয়ে থাক।

  قَالُواْ سُبْحَانَكَ لاَ عِلْمَ لَنَا إِلاَّ مَا عَلَّمْتَنَا إِنَّكَ أَنتَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ
তারা বলল, তুমি পবিত্র! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে তুমি যা আমাদিগকে শিখিয়েছ (সেগুলো ব্যতীত) নিশ্চয় তুমিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা।

  قَالَ يَا آدَمُ أَنبِئْهُم بِأَسْمَآئِهِمْ فَلَمَّا أَنبَأَهُمْ بِأَسْمَآئِهِمْ قَالَ أَلَمْ أَقُل لَّكُمْ إِنِّي أَعْلَمُ غَيْبَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَأَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا كُنتُمْ تَكْتُمُونَ
তিনি বললেন, হে আদম, ফেরেশতাদেরকে বলে দাও এসবের নাম। তারপর যখন তিনি বলে দিলেন সে সবের নাম, তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, আমি আসমান ও যমীনের যাবতীয় গোপন বিষয় সম্পর্কে খুব ভাল করেই অবগত রয়েছি? এবং সেসব বিষয়ও জানি যা তোমরা প্রকাশ কর, আর যা তোমরা গোপন কর![২:৩১-৩৩]

সুতরাং এটা প্রমাণ করে বিবর্তনবাদ অনুযায়ী শুরুর দিকে পোষাক ও ভাষাহীন অসভ্য প্রানীতুল্য মানবজাতির গুহায় বসবাস এবং আগুন জ্বালানোর শিক্ষার মাধ্যমে সভ্যতার বিকাশের গল্প; যা আজ শিক্ষাব্যবস্থায় প্রচলিত আছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা এবং ইসলামের আকিদার সাথে সাংঘর্ষিক।
আল্লাহ প্রথম মানবকেই পরিপূর্ণ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং সভ্যতার পরিপূর্ণ জ্ঞান দানের পরেই দুনিয়ায় প্রেরণ করেন। আল্লাহ সর্বপ্রথম মানব হযরত আদম(আঃ) কে উত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেন। তার উচ্চতা ছিল ৬০ হাত।
حدثني عبد الله بن محمد، حدثنا عبد الرزاق، عن معمر، عن همام، عن أبي هريرة رضي الله عنه32] ، فزادوه: ورحمة الله، فكل من يدخل الجنة على صورة آدم، فلم يزل الخلق ينقص حتى الآن "

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী‎ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ তা’আলা আদম (‘আঃ)-কে সৃষ্টি করলেন। তাঁর দেহের দৈর্ঘ্য ছিল ষাট হাত। অতঃপর তিনি (আল্লাহ) তাঁকে (আদমকে) বললেন, যাও। ঐ ফেরেশতা দলের প্রতি সালাম কর এবং তাঁরা তোমার সালামের জওয়াব কিভাবে দেয় তা মনোযোগ দিয়ে শোন। কারণ সেটাই হবে তোমার এবং তোমার সন্তানদের সালামের রীতি। অতঃপর আদম (‘আঃ) (ফেরেশতাদের) বললেন, “আস্‌সালামু ‘আলাইকুম”। ফেরেশতামন্ডলী তার উত্তরে “আস্‌সালামু ‘আলাইকা ওয়া রহ্‌মাতুল্লাহ” বললেন। ফেরেশতারা সালামের জওয়াবে “ওয়া রহ্‌মাতুল্লাহ” শব্দটি বাড়িয়ে বললেন। যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন তারা আদম (‘আঃ)–এর আকৃতি বিশিষ্ট হবেন। তবে আদম সন্তানের দেহের দৈর্ঘ্য সর্বদা কমতে কমতে বর্তমান পরিমাপে এসেছে।

(৬২২৭, মুসলিম ৫১/১১ হাঃ ২৮৪১, আহমাদ ৮১৭৭) (আ.প্র. ৩০৮০, ই.ফা. ৩০৮৮)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৩২৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


حدثنا عبد الله بن محمد قال: حدثنا عبد الرزاق قال: أخبرنا معمر، عن همام، عن أبي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: " خلق الله آدم صلى الله عليه وسلم على صورته، وطوله ستون ذراعا، ثم قال: اذهب، فسلم على أولئك - نفر من الملائكة جلوس - فاستمع ما يحيونك به فإنها تحيتك وتحية ذريتك، فقال: السلام عليكم، فقالوا: السلام عليك ورحمة الله، فزادوه: ورحمة الله، فكل من يدخل الجنة على صورته، فلم يزل ينقص الخلق حتى الآن "

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাঃ) বলেনঃ আল্লাহ তাআলা আদম (আবু দাউদ)-কে সৃষ্টি করলেন। তাঁর উচ্চতা ছিল ষাট হাত। আল্লাহ তাআলা তাঁকে বলেন, যাও, উপবিষ্ট ঐ ফেরেশতার দলকে সালাম দাও এবং তারা তোমার সালামের কি জবাব দেয় তা মনোযোগ সহকারে শোনো। কেননা এটাই হবে তোমার ও তোমার সন্তানদের সালাম (সম্ভাষণ)। আদম (আঃ) গিয়ে বলেন, আসসালামু আলাইকুম (আপনাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক)। ফেরেশতাগণ জবাব দিলেন, আসসালামু আলাইকা ওয়া রহমাতুল্লাহ (আপনার উপরও শান্তি ও আল্লাহর রহমাত বর্ষিত হোক)। ফেরেশতাগণ “ওয়া রহমাতুল্লাহি” বাড়িয়ে বলেন। যে ব্যক্তি বেহেশতে যাবে সেই হবে আদম (আবু দাউদ)-এর আকৃতি বিশিষ্ট। তখন থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত মানুষের দেহাবয়ব (উচ্চতাবারানী) ক্রমাগত হ্রাস পেয়ে আসছে।

(বুখারী, মুসলিম)
আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ৯৮৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


عن أبي هريرة ( عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «خلق الله آدم على صورته طوله ستون ذراعا، فلما خلقه قال: اذهب فسلم على أولئك النفر من الملائكة جلوس، فاستمع ما يحيونك؛ فإنها تحيتك وتحية ذريتك, فقال: السلام عليكم, فقالوا: السلام عليك ورحمة الله، فزادوه ورحمة الله، فكل من يدخل الجنة على صورة آدم فلم يزل الخلق ينقص بعد حتى الآن» .
( خ, م ) صحيح

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “আল্লাহ তা‘আলা আদমকে তার আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন, তার দৈর্ঘ্য ছিল ষাট হাত, তিনি তাকে সৃষ্টি করে বলেনঃ যাও সেখানে বসে থাকা ফেরেশতাদের দলকে সালাম কর, খেয়াল করে শোন তারা তোমাকে কি অভিবাদন জানায়, কারণ তা-ই হচ্ছে তোমার ও তোমার সন্তানের অভিবাদন। তিনি বললেনঃ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ তারা বললঃ السَّلَامُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ তারা অতিরিক্ত বলল। সুতরাং যে কেউ জান্নাতে যাবে সে আদমের আকৃতিতে যাবে, আর তারপর থেকে মানুষ ছোট হওয়া আরম্ভ করছে, এখন পর্যন্ত তা হচ্ছে”। [বুখারি ও মুসলিম] হাদীসটি সহিহ।

সহিহ হাদিসে কুদসি, হাদিস নং ১২৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


সুতরাং হাদিস থেকে স্পষ্ট হলো যে, আল্লাহ মানুষকে শুরুতে (পরিপূর্ন)বৃহৎ আকৃতিতে সৃষ্টি করেন। এই ক্রমধারা দীর্ঘকাল পর্যন্ত থাকবার পর থেকে মানুষ ক্রমাগত ছোট হতে হতে এখন মানুষের উচ্চতা ৫/৬ ফুটে পৌছেছে। শুধু তাই নয় সুবিশাল দেহের আদীম সেই মানুষ জ্ঞান বুদ্ধিতেও আজকের তুলনায় উন্নত ছিল(সে আলোচনা সামনে আসছে)। সুতরাং সবকিছু ক্রমশ অধঃপতনের দিকে এসেছে। এটা বিবর্তনবাদের ঠিক উলটো। বিবর্তনবাদ অনুযায়ী সবকিছু ক্রমশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে উন্নয়নমুখী।
প্রত্যেক প্রানী বা বস্তু সবকিছু ক্রমশ বিকশিত হচ্ছে কমপ্লেক্স ও এ্যাডভান্স হচ্ছে। শূন্য থেকে মলিকিউল, এরপরে অনুন্নত অর্গ্যানিক বস্তু, এরপরে সুক্ষ প্রানী → মৎস্যজাতীয় প্রানী→সরীসৃপ →স্তন্যপায়ী→বানর→মানুষ→……।  সেই নিয়ানডার্থাল থেকে হোমোসেপিয়েন্স, ভাষাহীন লজ্জাহীন গুহাবাসী থেকে কথিত সভ্যতা ও উৎকর্ষের চরমে পৌঁছানো আজকের মানুষ।

অতএব এ যেন দুটি আলাদা জ্ঞানগত ধারা। এর একটির শিক্ষা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই। সবকিছু স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজে নিজে সৃষ্টি হয়েছে। সবকিছু নিজেই নিজের সৃষ্টিকর্তা। অন্যদিকে জ্ঞানের অপর ধারাটি বলে সবকিছুই এক মহান স্বত্ত্বা কর্তৃক সৃষ্ট। তিনিই সবকিছুর স্রষ্টা ও প্রতিপালক। সবকিছু একা একা সৃষ্টি হবার স্রষ্টাহীন জ্ঞানগত ধারাটিকে মহান সৃষ্টিকর্তা কুফর সাব্যস্ত করেন। এ চিন্তাধারা মূলত শয়তানের থেকেই আগত। অতীতের পৌত্তলিকরাও সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে অবিশ্বাস করত না। তারাও বিশ্বাস করত আসমান, যমীনের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ। বৃষ্টিদানকারীও আল্লাহ বলে বিশ্বাস করত। তাদের অবিশ্বাস ছিল পুনরুত্থান দিবসে। তারা মূর্তি বানিয়ে পূজা করত এই আশায় যাতে সেগুলো আল্লাহর কাছে তাদের ব্যপারে সুপারিশ করে। তারা আল্লাহর সিফতের ব্যপারে সংকীর্ণ ধারনা রাখত।
 অতএব  বিবর্তনবাদী চিন্তাধারা এমনই এ্যাডভান্স কুফর যা মূলধারার প্রাচীন মুশরিকদের মধ্যেও প্রচলিত ছিল না। এটা শুধুমাত্র যাদুকরদের আকিদায় প্রচলিত ছিল এবং এখন শয়তান তা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দিয়েছে। প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার, যিনি এই স্রষ্টাহীন 'আপনাআপনি নিজে নিজেই' সবকিছু সৃষ্টির আল্টিমেট কুফরি তত্ত্বের ব্যপারে কুরআনে উল্লেখ করতে বাদ রাখেন নি। আল্লাহ বলেনঃ
أَمْ خُلِقُوا مِنْ غَيْرِ شَيْءٍ أَمْ هُمُ الْخَالِقُونَ
  أَمْ خَلَقُوا السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بَل لَّا يُوقِنُونَ
তারা কি আপনা-আপনিই সৃজিত হয়ে গেছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা? না তারা নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছে? বরং তারা বিশ্বাস করে না।[৫২:৩৫-৩৬]

বিগব্যাং তথা কস্মোলজিক্যাল এভ্যুলুশ্যন[২০] এবং গোটা Evolutionary Cosmogenesis প্রতিষ্ঠা শুধু এই জন্য যে সেটা স্রষ্টাবিহীন বিকল্প কুফরি সৃষ্টিতত্ত্বে বিশ্বাসের দরজা খুলে দেয়। এত কিছু শুধুই অলটারনেটিভ বিলিফ সিস্টেম প্রতিষ্ঠার জন্য। এই বিবর্তনবাদি দর্শনের মূল কথা হচ্ছে সবকিছুই আপনা আপনিই সৃজিত হয়েছে ,সকল বস্তু নিজেই নিজের স্রষ্টা এবং আরো গভীর শিক্ষা হচ্ছে সমস্ত বস্তুই একে অপরের Co-Creator(Pantheism), সহজভাবে বললে এই কাফিররা বলতে চায় তারাই নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে। এরূপ আকিদা তৈরির আসল কারন হচ্ছেঃ এরা কাফির। তাই সৃষ্টিকর্তাকে বাদ দিয়ে Reality এর Origin নিয়ে Alternative theory বানিয়ে নিয়েছে যেখানে সব কিছুই আপনাআপনি সৃষ্টি হয়,সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন নেই। এজন্য আল্লাহ এ আয়াতেই শেষে বলে দিয়েছেন। "বরং তারা বিশ্বাস করে না"(৫২:৩৬)। এটাই আসল ব্যাপার।
বিবর্তনবাদ অনুযায়ী ক্ষুদ্র থেকে সমস্ত জিনিস বিবর্তিত বিবর্ধিত অর্থাৎ মানুষ ক্ষুদ্র কোষ থেকে ধীরে ধীরে বড় হয়ে আজকের ৫-৬ ফুট উচ্চতার দৈহিক আকৃতি লাভ করেছে। আর অন্যদিকে বাস্তবতা হচ্ছে আল্লাহ প্রথম মানুষকেই সৃষ্টি করেছেন ৬০ কিউবিটের বৃহৎ বলিষ্ঠ আকৃতি দিয়ে। তখনকার যুগের মানুষ শুধু দৈর্ঘ্যের দিক দিয়েই বড় ছিল না, তাদের আয়ুষ্কালও অত্যন্ত দীর্ঘ ছিল। এক একজন মানুষ হাজার বছরের হায়াত পেয়েছে যেখানে অধিকাংশ মানুষ আজ  ১০০ বছরই পার করতে পারেনা। আদম(আঃ) ৯৩০ বছর বেচেছিলেন। নূহ(আঃ) ৯৫০ বছর,শুয়াইব(আঃ) ৮৮২ বছর হায়াত লাভ করেন।

অতীতের দানবীয় আকৃতির মানুষের প্রমাণস্বরূপ আজ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদেহী মানব কঙ্কালের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। সেই সাথে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে দাঁড়িয়ে আছে তাদের নির্মিত মেগালিথিক স্ট্রাকচার,মনুমেন্ট, মন্দির,সুউচ্চ প্রাসাদ। এমনকি তাদের সুবৃহৎ পায়ের ছাপও পাওয়া গিয়েছে যা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে বিবর্তনবাদ বা ইভ্যলুশ্যন একেবারেই মিথ্যা। যেহেতু বৃহদাকার মানব কঙ্কাল বিবর্তনবাদী চিন্তাধারাকে মিথ্যা প্রমাণ করে,তাই স্মিথসোনিয়ানের মত হাজারো প্রতিষ্ঠান Evolutionary chronology কে টিকিয়ে রাখতে হাজার হাজার দীর্ঘদেহী মনুষ্য কঙ্কাল ধ্বংস করেছে এবং এর সকল তথ্য গুম করেছে।
তেল,গ্যাস, কয়লা উত্তোলনসহ বিভিন্ন খননকার্যে সহস্রাধিক দানবাকৃতির মানব কঙ্কাল পাওয়া গেছে, যার প্রায় সবই সরকারী হস্তক্ষেপে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। কারন এই তথ্যের সাথে জড়িয়ে আছে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার পাঠ্যপুস্তকসহ গোটা পৃথিবীর ব্যপারে মানুষের ধারনাগত দৃষ্টিভঙ্গি, যা কাফির মুশরিকরা বহু বছরের চেষ্টায় ঢেলে সাজিয়েছে। তারা কখনোই এই সুদীর্ঘ চেষ্টার ফসলকে নস্ট হতে দেবে না।

২০০০ সালে তেল কোম্পানি Aramco দক্ষিন-পূর্ব সৌদি আরবে তেল খননকালে মাটির নিচে প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার সুবিশাল মানব কঙ্কাল আবিষ্কার করে। খবর পেয়ে সৌদি পুলিশ চলে আসে এবং সাধারণ মানুষকে সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে, দুএকটা ছবি যা তোলা হয়েছিলো তাও জব্দ করে। এই মানব কঙ্কালকে পুলিশ কর্তৃপক্ষ কি করে তার আর জানা যায়নি[২]

এরকম হাজারো দীর্ঘদেহী মানব কঙ্কালের অস্তিত্বের সহস্র রেকর্ড রয়েছে সারাবিশ্ব জুড়ে আমেরিকার ওহিও, শিকাগো,ক্যালিফোর্নিয়া, ডেথভ্যালি,টেক্সাসসহ অনেক অঞ্চলে জায়ান্ট স্কেলিটন উদ্ধারের রেকর্ড পাওয়া যায়।
আমেরিকান এ সকল লম্বা মানুষদের কঙ্কালগুলো অধিকাংশই ৮ ফুট উচ্চতার। এছাড়া মেক্সিকো,চীন দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে, আফ্রিকা এমনকি ভারতেও লম্বা মানুষের স্কেলিটন পাওয়া গিয়েছে[৩]। এদের অধিকাংশই ২০/৩০ ফুট মাটির নিচে দেখা যায়। এদের উচ্চতা ৮ ফুট থেকে ১৫ ফুট। কিছু কিছু কঙ্কালের হাতের আঙ্গুল সংখ্যা ছয়টি, এদের চোয়ালও দুইপাটি বিশিষ্ট!

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিত্যাক্ত নির্জন অঞ্চলে থাকা উচু মাটির ডিবিকে লোকমুখে প্রাচীন লম্বা দানবাকার মানুষের কবর বলে প্রচলিত আছে।
ডেভিড হ্যাচার্ড চিলড্রাস একজন ম্যাভারিক আর্কিওলজিস্ট যিনি আমেরিকান জায়ান্ট লোকগল্পের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ নিয়ে ঘাটাঘাটি করেছেন, তিনি বলেন," আমেরিকার মিডওয়েস্টের বেশ কিছু উচু ডিবি খনন করা হয়েছিল ১৮৫০ এর দিকে, তখন অনেক দীর্ঘদেহী স্কেলিটন উদ্ধার করা হয় যাদের উচ্চতা সাতের উপর। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে তাদের কারো কারো দুইসারির চোয়াল এবং ৬ টি করে  আঙ্গুল ছিল।"

১৯১২ সালে, নেভাডার লাভলকের এক প্রত্যন্ত বিচ্ছিন্ন পরিত্যাক্ত গুহার কাছে এক লোক সারের জন্য ব্যাটগুয়ানো নেওয়ার উদ্দেশ্যে আসে, গুহার ভেতরে বিস্ময় অপেক্ষা করছিল, সে ভেতরে এসে দেখে প্রচুর ব্যাটগুয়ানো, মাছ ধরার সরঞ্জামাদি এর পরে অদূরেই লালচুল ওয়ালা দীর্ঘদেহী মানুষের মমী। পরবর্তীতে এখান থেকে প্রায় ৬০ টি মমি ও কঙ্কাল উদ্ধার করা হয় যাদের উচ্চতা ৭-১০ ফুট। কিন্তু এগুলো কি করা হয়েছে তার সন্ধান আর কোথাও মেলেনা[৪]।
গত দুইশত বছরে পাওয়া জায়ান্ট স্কেলিটন গুলো বের করবার পরে রহস্যজনকভাবে সেসব হারিয়ে গেলেও ওই সময়কার পত্রিকায় আসা জায়ান্ট স্কেলিটনের খবর এখনো খুজে পাওয়া যায়। নিচে কিছু লম্বা মানুষের কঙ্কাল উদ্ধারের রেকর্ডঃ
- From records and sources all over the world.
Giant Skeletons: In his book, The Natural and Aboriginal History of Tennessee, author John Haywood describes "very large" bones in stone graves found in Williamson County, Tennessee, in 1821. In White County, Tennessee, an "ancient fortification" contained skeletons of gigantic stature averaging at least 7 feet in length.

Giant skeletons were found in the mid-1800s near Rutland and Rodman, New York. J.N. DeHart, M.D. found vertebrae "larger than those of the present type" in Wisconsin mounds in 1876. W.H.R. Lykins uncovered skull bones "of great size and thickness" in mounds of Kansas City area in 1877.

George W. Hill, M.D., dug out a skeleton "of unusual size" in a mound of Ashland County, Ohio. In 1879, a nine-foot, eight-inch skeleton was
excavated from a mound near Brewersville, Indiana (Indianapolis News, Nov 10, 1975).

A six foot, six inch skeleton was found in a Utah mound. This was at least a foot taller than the average Indian height in the area, and these natives- what few there were of them -were not mound builders.

"A skeleton which is reported to have been of enormous dimensions" was found in a clay coffin, with a sandstone slab containing hieroglyphics, during mound explorations by a Dr Everhart near Zanesville, Ohio. (American Antiquarian, v3, 1880, pg61).

In an old book entitled "History And Antiquities Of Allerdale," there is an account of a giant found in Cumberland, England, at an unknown date in the middle ages. Called "A True Report of Hugh Hodson, of Thorneway," it states: "The said gyant was buried four yards deep in the ground, which is now a corn field. He was four yards and a half long, and was in complete armor; his sword and battle-axe lying by him....his teeth were six inches long, and two inches broad...." The bones of a twelve foot tall man were dug up in 1833 by a group of soldiers at Lompock Rancho, California. The skeleton was
surrounded by giant weapons, and the skull featured a double row of teeth. Yet another giant was unearthed in 1891, when workmen in Crittenden, Arizona excavated a huge stone coffin that had evidently once held the body of a man 12 feet tall. A carving on the granite case indicated that he had six toes.

The skeleton of a huge man was uncovered at the Beckley farm, Lake Koronis, Minnesota; while at Moose Island and Pine City, bones of other giants came to light. (St. Paul Globe, Aug. 12, 1896).



Ten skeletons "of both sexes and of gigantic size" were taken from a mound at Warren, Minnesota, 1883. (St. Paul Pioneer Press, May 23, 1883) A skeleton 7 feet 6 inches long was found in a massive stone structure that was likened to a temple chamber within a mound in Kanawha County, West Virginia, in 1884. (American Antiquarian, v6, 1884 133f. Cyrus Thomas, Report on Mound Explorations of the Bureau of Ethnology, 12th Annual Report, Smithsonian Bureau of Ethnology, 1890-91).


A large mound near Gasterville, Pennsylvania, contained a vault in which was found a skeleton measuring 7 feet 2 inches. Inscriptions were carved on the vault. (American Antiquarian, v7, 1885, 52f).

In 1885, miners discovered the mummified remains of woman measuring 6 feet 8 inches tall holding an infant. The mummies were found in a cave behind a wall of rock in the Yosemite Valley.

In Minnesota, 1888, were discovered remains of seven skeletons 7 to 8 feet tall. (St. Paul Pioneer Press, June 29, 1888).


A mound near Toledo, Ohio, held 20 skeletons, seated and facing east with jaws and teeth "twice as large as those of present day people," and besides each was a large bowl with "curiously wrought hieroglyphic figures." (Chicago Record, Oct. 24, 1895; cited by Ron G. Dobbins, NEARA Journal, v13, fall 1978).

In 1911, several red-haired mummies ranging from 6 and a half feet to 8 feet tall were discovered in a cave in Lovelock, Nevada. In February and June of 1931, large skeletons were found in the Humboldt lake bed near Lovelock, Nevada. The first of these two skeletons found
measured 8 1/2 feet tall and appeared to have been wrapped in a gum-covered fabric similiar to the Egyptian manner. The second skeleton was almost 10 feet long. (Review - Miner, June 19, 1931).


A 7 foot 7 inch skeleton was reported to have been found on the Friedman ranch, near Lovelock, Nevada, in 1939.(Review - Miner, Sept. 29, 1939) In 1965, a skeleton measuring 8 feet 9 inches was found buried under a rock ledge along the Holly Creek in east-central Kentucky.

AUSTRALIAN GIANTS:
There was a race or group of people found in Australia called "meganthropus" by anthropologists. These people were of very large size--estimated between 7 to 12 feet tall, depending on what source you read. These people were found with mega tool artifacts, so their humaness is difficult to question. Four jaw fragments and thousands of teeth have been found in China of "gigantopithecus blacki"--named after the discover. Based on the size of the teeth and deep jaws, its size has been estimated at around 10 feet and as tall as 12 feet, 1200 pounds.

PROOF OF AUSTRALIAN GIANTS:
In old river gravels near Bathurst, NSW, huge stone artifacts -- clubs, pounders, adzes, chisels, knives and hand axes -- all of tremendous weight, lie scattered over a wide area. These weigh anything from 8, 10, 15, to 21 and 25 pounds, implements which only men of tremendous proportions could possibly have made and used. Estimates for the actual size of these men range from 10 to 12 feet tall and over, weighing from 500 to 600 lbs. A fossicker searching the Winburndale River north of Bathurst discovered a large quartzitised fossil human molar tooth, far too big for any normal modern man. A similar find was made near Dubbo, N.S.W.

Prospectors working in the Bathurst district in the 1930's frequently reported coming across numerous large human footprints fossilised in shoals of red jasper.

Even more impressive were fossil deposits found by naturalist Rex Gilroy around Bathurst. He excavated from a depth of 6 feet (2 m) below the surface a fossil lower back molar tooth measuring 67 mm. in length by 50mm. x 42 mm. across the crown. If his measurements are correct, the owner would have been at least 25 ft. tall, weighing well over 1,000 lbs!

At Gympie, Queensland, a farmer, Keith Walker, was ploughing his field when he turned up the large fragment of the back portion of a jaw which still possessed the hollow for a missing lower back molar tooth. This is now in Rex GiIroy's possession. The owner of the tooth would have stood at 10 feet tall.

In the Megalong Valley in the Blue Mountains NSW, a Mr P. Holman found in ironstone protruding from a creek bank the deeply impressed print of a large human-like foot. The print was that of the instep, with all 5 toes clearly shown. This footprint measures 7 inches across the toes. Had the footprint been complete it would have been at least 2 feet (60 cm in length, appropriate to a 12 foot human. However, the largest footprint found on the Blue Mountains must have belonged to a man 20 feet tall!

A set of 3 huge footprints was discovered near Mulgoa, south of Penrith, N.S.W. These prints, each measuring 2 ft long and 7 inches across the toes, are 6 ft. apart, indicating the stride of the 12 ft. giant who left them. These prints were preserved by volcanic lava and ash flows which "occurred millions of years" before man is supposed to have appeared on the Australian continent (if one is to believe the evolutionary theory): Noel Reeves found monstrous footprints near Kempsey, N.S.W. in sandstone beds on the Upper Macleay River. One print shows toe 4 inches (10cm) long and the total toe-span is 10 inches (25cm) - suggesting that the owner of the print may have been 17 feet tall.

MORE GIANT RECORDS:
A living giant was sighted in the little village of Buffalo Mills,
Pennsylvania, on August 19, 1973. A man at least nine feet tall strode down the main street of the village, dressed in strange clothing, which appeared to be made of some sort of shimmering material. He gazed at the startled townspeople in a dark, penetrating way and then loped off casually into oblivion.

OTHER GIANT EVIDENCES:
In July, 1877, four prospectors were looking for gold and silver
outcroppings in a desolate, hilly area near the head of Spring Valley, not far from Eureka, Nevada.

Scanning the rocks, one of the men spotted something peculiar projecting from a high ledge. Climbing up to get a better look, the prospector was surprised to find a human leg bone and knee cap sticking out of solid rock. He called to his companions, and together they dislodged the oddity with picks. Realizing they had a most unusual find, the men brought it into Eureka, where it was placed on display.

The stone in which the bones were embedded was a hard, dark red quartzite, and the bones themselves were almost black with carbonization - indicative of great age. When the surrounding stone was carefully chipped away, the specimen was found to be composed of a leg bone broken off four inches above the knee, the knee cap and joint, the lower leg bones, and the complete bones of the foot. Several medical doctors examined the remains, and were
convinced that anatomically they had indeed once belonged to a human being, and a very modern-looking one.
But an intriguing aspect of the bones was their size: from knee to heel they measured 39 inches. Their owner in life had thus stood over 12 feet tall. Compounding the mystery further was the fact that the rock in which the bones were found was dated geologically to the era of the dinosaurs, the Jurassic - over 185 million years old. The local papers ran several stories on the marvelous find, and two museums sent investigators to see if any more of the skeleton could be located. Unfortunately, nothing else but the leg and foot existed in the rock." Strange Relics from the Depths of the Earth--Jochmans

EVEN MORE RECORDS OF GIANTS:
In 1936 Larson Kohl, the German paleontologist and anthropologist, found the bones of gigantic men on the shore of Lake Elyasi in Central Africa. Other giant skeletons were later found in Hava, the Transvaal and China. The evidence for the existence of giants is incontrovertible. "A scientifically assured fact," says Dr. Louis Burkhalter.

1. Large bones in stone graves in Williamson County and White County, Tennessee. Discovered in the early 1800s, the average stature of these giants was 7 feet tall.
2. Giant skeletons found in the mid-1800s in New York state near Rutland and Rodman.
3. In 1833, soldiers digging at Lompock Rancho, California, discovered a male skeleton 12 feet tall. The skeleton was surrounded by caved shells, stone axes, other artifacts. The skeleton had double rows of upper and lower teeth. Unfortunately, this body was secretly buried because the local Indians became upset about the remains.
4. A giant skull and vertebrae found in Wisconsin and Kansas City.
5. A giant found off the California Coast on Santa Rosa Island in the 1800s was distinguished by its double rows of teeth.
6. A 9-foot, 8-inch skeleton was excavated from a mount near Brewersville, Indiana, in 1879.
7. Skeletons of "enormous dimensions" were found in mounds near Zanesville, Ohio, and Warren, Minnesota, in the 1880s.
8. In Clearwater Minnesota, the skeletons of seven giants were found in mounds. These had receding foreheads and complete double dentition.

9. At Le Crescent, Wisconsin, mounds were found to contain giant bones. Five miles north near Dresbach, the bones of people over 8 feet tall were found.
10. In 1888 seven skeletons ranging from seven to 8 feet tall were
discovered.
11. Near Toledo, Ohio, 20 skeletons were discovered with jaws and teeth "twice as large as those of present day people." The account also noted that odd hieroglyphics were found with the bodies.
12. Miners in Lovelock Cave, California, discovered a very tall, red-haired mummy In 1911
13. This mummy eventually went to a fraternal lodge where it was used for "initiation purposes."
14. In 1931, skeletons from 8 ½ to 10 feet long were found in the Humbolt lake bed in California.

15. In 1932, Ellis Wright found human tracks in the gypsum rock at White Sands, New Mexico. His discovery was later backed up by Fred Arthur, Supervisor of the Lincoln National Park and others who reported that each footprint was 22 inches long and from 8 to 10 inches wide. They were certain the prints were human in origin due to the outline of the perfect prints coupled with a readily apparent instep.
16. During World War II, author Ivan T. Sanderson tells of how his crew was bulldozing through sedimentary rock when it stumbled upon what appeared to be a graveyard. In it were crania that measured from 22 to 24 inches from base to crown nearly three times as large as an adult human skull. Had the creatures to whom these skulls belonged been properly proportioned, they undoubtedly would have been at least 12 feet tall or taller.
17. In 1947 a local newspaper reported the discovery of nine-foot-tall
skeletons by amateur archeologists working in Death Valley.
18. The archeologists involved also claimed to have found what appeared to be the bones of tigers and dinosaurs with the human remains.
19. The Catalina Islands, off California, are the home of dwarf mammoth bones that were once roasted in ancient fire pits. These were roasted and eaten by human-like creatures who were giants with double rows of teeth.
[বিঃদ্রঃ চিত্রে দেওয়া দীর্ঘকায় স্কেলিটনগুলোর কোন কোনটিতে ফটোশপের ভূমিকা থাকতে পারে]



শুধুমাত্র লম্বা মানুষের হাড়,স্কেলিটনই নয় তাদের প্রস্তরীভূত(petrified) পায়ের ছাপও আজকের দিন পর্যন্ত টিকে আছে। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে এত বড় পায়ের ছাপও পাওয়া গিয়েছে যেগুলো দৈর্ঘ্যে প্রায় আজকের যুগের একজন মানুষের সমান! তিনফুট, চার ও পাচফুটেরও বেশি দীর্ঘ পায়ের ছাপ আজ পর্যন্ত টিকে আছে। ভারতের lepakshi মন্দিরে প্রায় ৩ ফুট দৈর্ঘ্যের  পায়ের ছাপ রয়েছে। হিন্দু-মুশরিকরা এখন এসব দীর্ঘদেহী মানুষের উপর দেবত্ব আরোপ করে। এজন্য কোথাও বিশাল আকৃতির পায়ের ছাপ মিললেই শুরু হয়ে যায় সেটাকে ঘিরে পূজা অর্চনা, এমন কি মন্দির পর্যন্ত নির্মিত হয়। মুশরিকরা তো বড় গাছ দেখলেও পূজা শুরু করে দেয়!

এছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ২.৫-৫ ফুট দীর্ঘ পায়ের ছাপের দেখা মিলেছে। আর্কিওলজিস্ট মিকাঈল টেলিঙ্গার দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত ৪ ফুটেরও বেশি লম্বা পায়ের ছাপের কাছে পৌছান যেটা ১৯৩১ সালে এক কৃষক শিকারের সময় আবিষ্কার করেন। টেলিঙ্গারের ওই ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হয়[৫]। এছাড়াও জায়ান্ট হিউম্যানের লম্বা আঙ্গুল এবং ফসিলও তিনি প্রকাশ করেছেন[৬]

এরূপ কথা প্রচলিত আছে যে হযরত আদম(আ) পৃথিবীতে সর্বপ্রথম শ্রীলংকায় অবতরণ করেন(এ ব্যপারে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক কোন দলিল নেই)। শ্রীলংকার আদমচূড়া(Adams peak) নামের পাহাড়ের উপরে ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য এবং ২ ফুড় ৬ ইঞ্চি প্রস্থের সুবিশাল পায়ের ছাপ রয়েছে যেটাকে অনেক খ্রিষ্টান ও মুসলিমরা আদম (আঃ) এর প্রথম অবতরণের ফলে সৃষ্ট পদচিহ্ন বলে দাবি করে। স্থানীয় বৌদ্ধরা এর নাম দিয়েছে শ্রীপদ। বৌদ্ধরা একে বুদ্ধের পায়ের ছাপ এবং হিন্দুরা একে শিবের পায়ের ছাপ মনে করে বিভিন্নভাবে ভক্তি প্রদর্শন এবং পূজা করে [৭]।





আদমচূড়া পর্বতের সুবিশাল পায়ের ছাপ আদম(আ) না কার, সেটা আলোচ্য বিষয় নয় বরং মূল বিষয় হচ্ছে এর আকৃতি। স্বাভাবিকভাবে এটা অনুমেয় এই পদযুগলের অধিকারী দেহ কত সুবিশাল হতে পারে! আগেই উল্লেখ করেছি মুশরিকদের শাস্ত্র যেহেতু ক্রিয়েশনিজমের
বিরুদ্ধে অবস্থান করে, এরা জায়ান্ট হিউম্যান রেসের ফসিল ও পদচিহ্নগুলোর উপর দেবত্ব আরোপ করে। এরা বলে এটা আমাদের অমুক দেবতার পায়ের ছাপ। অবশ্য প্রাচীন যুগে এই দীর্ঘদেহী মানুষের মধ্যে অত্যাচারীরা খর্বাকৃতির মানুষদের উপর গোলামি চাপিয়ে দিতো। এজন্য সেসময়কার খর্বাকার মুশরিকদের মধ্যে জায়ান্ট হিউম্যানের মধ্যে দেবতুল্য প্রভুত্বের ধারনা ছিল যার জন্য হয়ত আজকে টিকে থাকা জায়ান্ট মানুষদের সাক্ষ্যপ্রমাণগুলোকে দেবদেবীর উপর আরোপ করে[৮]।
এ ব্যপারে আল্লাহ ভাল জানেন।
[বিঃদ্রঃ এখানে এরূপ বলছিনা যে মুশরিকদের দেবতা মানেই প্রাচীন দীর্ঘাকার মানুষ]

আজ দীর্ঘদেহী সেইসব দৈত্যাকার শক্তিশালী জাতি বেচে নেই কিন্তু টিকে আছে তাদের তৈরি সুউচ্চ স্থাপত্য, স্তম্ভ, ইমারত এবং মন্দির। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেগালিথিক জাইগ্যান্টিক স্ট্রাকচারের নির্মাতাদেরকে বিবর্তনবাদী আর্কিওলজি খুজে না পেলেও সেগুলোর বিশালতা এবং স্থাপত্য নৈপূন্য খুব সহজেই তাদের পরিচয় বলে দেয়।








পিরামিড









পিরামিড স্ট্র‍্যাকচার শুধু যে মিশরেই রয়েছে, তা নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে পিরামিডগুলোকে নির্মাণ করা হয়েছিল। পৃথিবীর এক সমান্তরাল রেখায় কিছু তারকাদের অবস্থান বরাবর সেগুলোকে নির্মাণ করা হয়। পিরামিড আছে মিশরে,চীন, বলিভিয়া, পেরু,গুয়েতেমালা, সুদান, স্পেন, রোম,ইরাক,
মেক্সিকোতে, এমনকি আমাজন জঙ্গলে ও সমুদ্রের নিচেও পিরামিডের সন্ধান পাওয়া গেছে।
বলা হয় পিরামিড গুলো মমি বা মৃতদেহ সংরক্ষণ বা কবর হিসেবে ব্যবহার হয়। কিন্তু হয়ত এর মূল উদ্দেশ্য অন্য কিছু। পিরামিড গুলো নিয়ে এই যুগে সবচেয়ে বেশি উন্মাদনা চলছে ইউটিউব সহ সব সোস্যাল নেটওয়ার্কে, অধিকাংশ মানুষের ধারনা এগুলো নির্মিত হয়েছিল ইলেক্ট্রিসিটি বা পাওয়ার হাউজ হিসেবে। অনেক মানুষ এর সপক্ষে দলিল প্রমাণ ও যুক্তিও দ্বার করায়। কিন্তু আসলে পিরামিড গুলোর রহস্যময় অবস্থানের সাথে তারকার সম্পর্ক এবং জটিল গাণিতিক ও জ্যামেতিক হিসাবের উপরে ভিত্তি করে নির্মাণের ব্যপারটি নির্দেশ করে, হয়ত পিরামিড দ্বারা ম্যাজিক্যাল রিচ্যুয়াল,ন্যাচারাল ম্যাজিক্যাল ফোর্স ম্যানিপুলেট করার উদ্দেশ্যে নির্মাণ হয়েছিল। হতে পারে এটা স্পিরিচুয়াল জগতের গেইটওয়ে হিসেবেও কাজ করে অর্থাৎ বিভিন্ন অকাল্ট কমিউনিটির মতানুযায়ী এগুলো পৃথিবীতে অন্য ডিমেনশনের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে স্পিরিচুয়াল এনার্জি ব্যালেন্স রক্ষা করে। সহজ ভাষায় বুঝাতে গেলে বলব, শয়তানের জগতের সাথে আমাদের ত্রিমাত্রিক জগতের মধ্যে সংযোগ এবং যোগাযোগের দরজা তৈরিতে এবং সংরক্ষণে ভূমিকা পালন করে।
পিরামিড গুলোর অবস্থানগুলো চিহ্নিত করে রেখা টানলে একটা circumnavigation তৈরি হবে। ঠিক এই একই রেখার ব্যপারে হলিউডের Drag me to the hell ফিল্মে বলে এই রেখার অবস্থানগুলো শয়তানের জন্য স্পিরিচুয়াল গেইটওয়ে হিসেবে কাজ করে[৯]।পিরামিড গুলো ড্রাগন্স ট্রায়াঙ্গল এবং ডেভিলস ট্রায়াঙ্গল বরাবর রয়েছে। পিরামিড গুলোর আকৃতিও হাইপার ডিমেনশনাল ফিজিক্সে খুব গুরুত্বপূর্ণ, অকাল্ট ফিলসফিতে বিশ্বাসী পশ্চিমারা এই জিওমেট্রিক শেইপকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে, এই শেইপের স্ট্র‍্যাকচার তৈরি করে তার নিচে ধ্যান বা ঘুমে 'চেতনার ওপারে', এ্যাস্ট্রাল প্রোজেকশান, লুসিড ড্রিমিং ইত্যাদি তে খুব দ্রুত পৌঁছানো সহজ হয়।
যাদুশাস্ত্রভিত্তিক প্যাগান দর্শনে বিশ্বাসী পশ্চিমারা এও বিশ্বাস করে পিরামিড যত সংখ্যায় বাড়বে ততই তাদের জন্য পজেটিভ এনার্জির পরিধি বাড়বে,রেডিয়েশন কমবে এজন্য তারা হঠাৎ করে পিরামিডের আকৃতিতে ক্রিস্টাল এবং অর্গোনাইট গিফটিং প্রজেক্টও হাতে নিয়েছিল[১০]। ক্রিস্টাল ম্যাজিক অনুযায়ী অবিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে ক্রিস্টালে প্রকৃতির মৌলিক প্রাণশক্তি আছে। তাছাড়া Dr. Wilhelm Reich এর দ্বারা প্রকৃতিতে অর্গন নামের মৌলিক এনার্জি ফিল্ডের অস্তিত্বের বিশ্বাস তত্ত্ব ও স্বীকৃতির উপর ভিত্তি করে পিরামিডের ডিজাইনে অর্গোনাইট নামের কিছু প্রোডাক্ট বের করেছে যা কিনা তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী প্রকৃতিতে ওই অর্গন ফোর্স ফিল্ডের বা এনার্জির সঞ্চালন ত্বরান্বিত করে বলে প্রচারণা চালানো হয়[১১]।
অর্থাৎ সেই পিরামিডেই প্রত্যাবর্তন। ওরা পিরামিড দ্বারা সর্বত্র ভরে দিতে চায়। যদি পিরামিড শেইপড স্ট্রাকচার স্পিরিচুয়াল ডিমেনশান এবং আমাদের ত্রিমাত্রিক জগতের মাঝে এনার্জি ফ্লো এর ভারসাম্য রাখে, (শয়তান জ্বীনের জন্য)একটা পথ তৈরি করে বা তাতে সহায়তা করে, তাহলে বলার অপেক্ষা রাখে না কেন ওরা সারা বিশ্বে পিরামিড দিয়ে ঢেকে দিতে চায়। পিরামিডে এমনিতেই অর্গন জাতীয় রহস্যময় যাদুকরি প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাব বেশি বলে প্রচার হয়, অতএব ভিন্ন ধরনের বিকল্প যাদুকরি infinite শক্তির ব্যবস্থার সম্ভাবনাকে তারা কাজে লাগাতে চায়। এজন্য ইতোমধ্যে পিরামিড দ্বারা অবসেজড লোকেদের মধ্যে ইতোমধ্যে এর দ্বারা শক্তি উৎপাদনের কল্পনা জল্পনা আর চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে[১২]। পিরামিড দ্বারা স্পেকুলেটেড শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ইতোমধ্যে এলিয়েন টেকনোলজির অন্তর্ভুক্ত বলা হচ্ছে। এক পিরামিড এন্থুজিয়াস্ট বলেন, এই পিরামিড দ্বারা শক্তি উৎপাদন সম্ভব বলে এলিয়েনরা(শয়তানরা) জানিয়েছে। এখনো সেসব প্রকাশ করবে না যেহেতু তাদের(এলিয়েন/শয়তানদের) মতে এখনো সে সময় আসেনি।

প্রাচীন যুগের এইসব স্থাপত্যকর্ম নির্মাতাদের বিভিন্ন জ্ঞানগত সমৃদ্ধিকে প্রকাশ করে, তাদের গাণিতিক, জ্যামিতিক অগাধ জ্ঞান ছিল সেটা সুনিশ্চিত। আবিদো মন্দিরের নিচে যে অকাল্ট জিওমেট্রিক বিদ্যার ছাপ পাওয়া যায় তাতে অবিশ্বাস করার কিছু পাই না যে ওরা বিকল্প শক্তি উৎপাদনের প্ল্যান্ট হিসেবে গ্রহন করেনি।। অর্থাৎ এরা হয়ত ম্যাজিক্যাল বিদ্যা বা তত্ত্বকে মেক্যানিক্যাল পর্যায়ে নেওয়ার বিদ্যাও রাখতো। ফিজিক্স আজকে যেসব বিদ্যাকে নতুন করে দেখাচ্ছে, যেগুলো তাদের কাছে সাধারণ বিজ্ঞান, সুতরাং আজকের বিদ্যুতনির্ভর ডিজিটাল প্রযুক্তিতে তারা হয়ত আমাদের চেয়ে এ্যাডভান্স ছিল না, কিন্তু জ্ঞানগত দিক দিয়ে আজকের স্বীকৃত বুদ্ধি আর বিদ্যার চেয়েও তাদের জ্ঞান-বিদ্যা গভীর এবং উন্নত ছিল। প্রাচীন যুগের অকাল্ট সায়েন্স নির্ভর প্রযুক্তি এবং আজকের প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, হয়ত তাদের প্রযুক্তি বেশি মাত্রায় holistic ছিল। সেসব প্রযুক্তি প্রাকৃতিক নীতি এবং শক্তির সাথে harmonic ছিল, কিন্তু আজকের ডিজিটাল প্রযুক্তি natural forces এর সাথে collide/collision এর দ্বারা শক্তি উৎপাদন করে। অর্থাৎ তাদের কাছে ম্যাজিক্যাল ফোর্স ব্যাবহার করে শক্তি উৎপাদনের বিদ্যা ও জ্ঞান থাকতে পারে(আল্লাহ ভাল জানেন)। আজকের বিজ্ঞান ঠিক এর বিপরীতে হেটেছে এবং পুনরায় ম্যাজিক ও মিস্টিসিজমের দিকে প্রত্যাবর্তন করছে তাদের মসীহের নিয়ন্ত্রনে এবং প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে দুনিয়াতে সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাসকে বিলুপ্ত করে স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য।


পিরামিডগুলো এমন সব স্থাপত্য যার ব্যপারে আজকের উন্নত প্রযুক্তি হাতে বিজ্ঞানী ও আর্কিওলজিস্টগন এক বাক্যে বলে এসব আমাদের নিকট বিদ্যমান কোন প্রযুক্তি দ্বারা নির্মান সম্ভব না। এর কারন হচ্ছে নির্মানে ব্যবহৃত সুবিশাল মেগালিথিক স্ট্রাকচার। এক একটা পাথরের ওজন ৯০০ টনেরও বেশি। কিছু কিছু পাথর এত বিশাল যে সেগুলোর ওজন কত হতে পারে তা অজানা। এত বড় পাথর বহন এবং তা দিয়ে ইমারত নির্মানের প্রযুক্তি আসলে আমাদের নেই।
তাছাড়া পিরামিডে ব্যবহৃত অসাধারণ জিওমেট্রিক প্রোপোর্শনে এত বড় স্ট্রাকচার দ্বার করানো দুঃসাধ্য ব্যপার। বিবর্তনবাদী আর্কিওলজিস্টরা যেহেতু সাধারণভাবে এসব স্থাপত্যের ব্যাখ্যা করতে পারে না, তাই এরা এলিয়েন বা বহির্জগতের প্রানী এবং তাদের দেওয়া উন্নত প্রযুক্তিকে(alien technology) এর পেছনে দ্বার করায়। কিন্তু সত্য হলো এসব সুবিশাল স্তম্ভ ও স্থাপত্যকর্ম প্রাচীন দীর্ঘাকার মানুষদের কাজ। যে পাথরগুলো আজকের সবচেয়ে বেশি ভারী বোঝা বহনে সক্ষম ক্রেনেও বহন সম্ভব না সেসব দীর্ঘাকার শক্তিশালী কওমের কাছে বহনে দুঃসাধ্যের কিছু ছিল না। তাদের কাছে এগুলো ইট স্বরূপ। মিশরীয় হায়ারোগ্লিপ্সে তাদের বহন প্রক্রিয়া দেখতে পাচ্ছেন।
একটা বড় মিথ্যা ইতিহাস সমাজে প্রচলিত আছে, বলা হয় পিরামিড গুলো ফেরাউনদের দ্বারা নির্মিত।এরা তো ফিরাউন বলতে বংশপরম্পরায় মিশরীয় শাসকদেরকে বুঝিয়ে সত্যিকারের ইতিহাস লুকায়, সত্য হচ্ছে ফেরাউন একজন মাত্র ব্যক্তির নাম ছিল[২১]। পিরামিড গুলো কখনোই ফেরাউনের স্থাপত্যকীর্তির মধ্যে ছিল না, বরং ফেরাউনের নির্মিত সকল ইমারত, দালানকোঠাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা ধ্বংস করেছেন।আল্লাহ বলেনঃ
ْ وَدَمَّرْنَا مَا كَانَ يَصْنَعُ فِرْعَوْنُ وَقَوْمُهُ وَمَا كَانُواْ يَعْرِشُونَ

 আর ধ্বংস করে দিয়েছি সে সবকিছু যা তৈরী করেছিল ফেরাউন ও তার সম্প্রদায় এবং ধ্বংস করেছি যা কিছু তারা সুউচ্চ নির্মাণ করেছিল।[৭:১৩৭]

সুতরাং এই স্থাপত্য কাদের দ্বারা নির্মিত? হতে পারে দীর্ঘাকার শক্তিশালি আদ জাতি অথবা এরূপ দীর্ঘদেহী কোন কওমের নির্মিত।দৈত্যাকার শক্তিশালী আদ জাতির দৈহিক বলিষ্ঠতা এবং দীর্ঘাকৃতির ব্যপারে আল্লাহই উল্লেখ করেন। আল্লাহ বলেনঃ
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ
 إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ
  الَّتِي لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِي الْبِلَادِ
আপনি কি লক্ষ্য করেননি, আপনার পালনকর্তা আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিলেন,যাদের দৈহিক গঠন স্তম্ভ ও খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ ছিল এবং যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোন লোক সৃজিত হয়নি।[সূরা ফাজরঃ৬-৮]
আল্লাহ বলেনঃ

أَوَعَجِبْتُمْ أَن جَاءكُمْ ذِكْرٌ مِّن رَّبِّكُمْ عَلَى رَجُلٍ مِّنكُمْ لِيُنذِرَكُمْ وَاذكُرُواْ إِذْ جَعَلَكُمْ خُلَفَاء مِن بَعْدِ قَوْمِ نُوحٍ وَزَادَكُمْ فِي الْخَلْقِ بَسْطَةً فَاذْكُرُواْ آلاء اللّهِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
তোমরা কি আশ্চর্য্যবোধ করছ যে, তোমাদের কাছে তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের মধ্য থেকেই একজনের বাচনিক উপদেশ এসেছে যাতে সে তোমাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করে। তোমরা স্মরণ কর, যখন আল্লাহ তোমাদেরকে কওমে নূহের পর সর্দার করেছেন এবং তোমাদের দেহের বিস্তৃতি বেশী করেছেন। তোমরা আল্লাহর নেয়ামতসমূহ স্মরণ কর-যাতে তোমাদের মঙ্গল হয়।[আরফঃ৬৯]


মিশরীয় obelisk[১৩] স্তম্ভগুলো আজও দাঁড়িয়ে আছে। হায়্রোগ্লিপ্সে খোদিত ছবিতে দেখা যায় সেগুলো নির্মাণ কৌশল। এই স্তম্ভ গুলোর চেয়ে এর প্রতিষ্ঠাতাদের শারীরিক উচ্চতা অনেক বেশি। উপরের ছবিতেই দেখতে পারছেন। এসব স্তম্ভের উচ্চতা কোন কোনটি ১০০ ফুটেরও বেশি। অতএব বুঝতেই পারছেন প্রাচীন মানুষের দৈর্ঘ্য এবং শক্তি। সেই সাথে বুঝতে পারছেন আদ জাতির দেহ সত্যিই সম্ভের ন্যায় লম্বা ছিল। আদ জাতিও উচু স্থান সমূহে উচু স্তম্ভ, ফলক নির্মান করত বিনা কারনে। তারা এমনভাবে বড় বড় দালানকোঠা নির্মাণ করত,যেন তাতে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ বলেনঃ
أَتَبْنُونَ بِكُلِّ رِيعٍ آيَةً تَعْبَثُونَ
  وَتَتَّخِذُونَ مَصَانِعَ لَعَلَّكُمْ تَخْلُدُونَ
তোমরা কি প্রতিটি উচ্চস্থানে অযথা নিদর্শন নির্মান করছ?এবং বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করছ, যেন তোমরা চিরকাল থাকবে।[শু'আরাঃ১২৮-১২৯]
















Petra : The lost city
সামূদ জাতির শহর







দানবাকৃতির আদ জাতির পর আল্লাহ সামূদ জাতিকে স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন। কুরআনে আল্লাহ এদের শৌর্যবীর্যের কথা না বললেও এদের স্থাপত্যকর্মে নৈপুন্যের কথা বলেছেন। এরা পাহাড় কেটে গৃহ নির্মাণ করত। তারা পাহাড়ি উপত্যকার ভেতরে পাথর কেটে সুবিশাল কক্ষ তৈরি করত।  আল্লাহ বলেনঃ

وَثَمُودَ الَّذِينَ جَابُوا الصَّخْرَ بِالْوَادِ
এবং সামুদ গোত্রের সাথে, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল।[সূরা আল ফাজরঃ০৯]

وَكَانُواْ يَنْحِتُونَ مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا آمِنِينَ  
তারা পাহাড়ে নিশ্চিন্তে ঘর খোদাই করত।[ সূরা হিজরঃ৮২]

এরাও যে দীর্ঘদেহী ছিল সেটা তাদের নির্মিত গৃহের দিকে তাকালে স্পষ্ট বোঝা যায়। তাদের বসতি ছিল এই ধ্বংসপ্রাপ্ত পেট্রা নগরীতে। তৎকালীন সময় সামূদ জাতির শহর ছিল সবচেয়ে উন্নত এবং সমৃদ্ধ শহর। জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্রভূমি। কুরআনে উল্লিখিত সকল ধ্বংসপ্রাপ্ত অভিশপ্ত শহর বন্দর এবং জাতি গুলো তৎকালীন সময়ে তেমনই ছিল যেমনভাবে আজ আমাদের মানসিকভাবে পরাজিত উম্মাহ আমেরিকা,চীন, রাশিয়ার দিকে তাকায়। আল্লাহ এই জাতিকে ধ্বংস করেছেন একটি মাত্র বিকট শব্দের মাধ্যমে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা এদের স্থাপত্যকর্মকে টিকিয়ে রেখেছেন আজকের যমীনে ঘুরে বেড়ানো অহংকারী অত্যাচারীদের শিক্ষা গ্রহনের জন্য।

ছবিতে দেখতে পারছেন এদের সুবিশাল গৃহ বা প্রাসাদসমূহকে। এদের ঘরের সামনে উটগুলোকেও ক্ষুদ্র মনে হয়,মানুষকে মনে হয় পিঁপড়ে।  হাজার বছর আগেও তাদের গৃহ গুলো কত রাজকীয় কারুকার্যে সজ্জিত ছিল! এরা অবশ্যই আজকের যুগের স্থাপত্যকলার জ্ঞানের চেয়ে উন্নত জ্ঞান রাখত যার জন্য পাহাড়ি পাথর কেটে ঘর/প্রাসাদ নির্মানের মত দুঃসাধ্য কাজ সহজ ছিল। এক আর্কিওলজিস্ট অবাক হয়ে বলেন,তাদের দালানকোঠা নির্মানের পদ্ধতিটা বিস্ময়কর, এরা আগে উপরের দিক দিয়ে নির্মাণকাজ শুরু করে এরপরে নিচের দিকটা করে যেটা আজকের স্থাপত্য নীতির বিপরীত।

অভিশপ্ত সামুদ জাতির নির্মিত এসব সুবিশাল সুউচ্চ গৃহগুলো দেখলে তাদের দৈহিক গড়নের ব্যপারে আঁচ করা যায়। এদের গৃহের দরজাগুলোয় পাশাপাশি ২০জন দাড়ালেও পুরোপুরি আটকে যাবে না। দরজার উচ্চতা আনুমানিক ৪০-৫০ ফুট। হয়ত সামুদ জাতি আদ জাতির ন্যায় অতবেশি দীর্ঘকায় ছিল না কিন্তু এরপরেও আজকের প্রেক্ষাপটে অতিকায়। আল্লাহ ভাল জানেন।

আজ কাফিররা যমীনে মু'মিনদের উপর সারা পৃথিবীতে নির্যাতন করছে। আজ উম্মাহ মানসিকভাবে পরাজিত হয়ে গেছে। আমেরিকা,ইংল্যান্ড,রাশিয়া,চীন ইত্যাদি দেশগুলোকে অপরাজেয় এবং দুর্দমনীয় মনে করছে অথচ এদের চেয়েও শক্তিশালী জাতিগুলোকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা ধবংস করেছেন। এমন প্রতাপশালী কওমগুলোকে ধবংস করেছেন যাদের ৫০ জনও যদি আমেরিকার উপর দিয়ে দৌড়ে যায়,তবে সন্ধ্যা হবার আগেই আমেরিকার অর্ধেক ঘরবাড়ি এবং সমগ্র শক্তি ধবংস হয়ে যাবে। যে সকল ধবংসপ্রাপ্ত অভিশপ্ত জাতির কথা আল্লাহ উল্লেখ করেছেন, এরা সকলেই তাদের যুগ সমূহে সবচেয়ে শক্তিধর এবং অত্যাচারী। এমনকি এরা আজকের যেকোন কওমের চেয়েও শক্তিধর ছিল।










বালবেক মন্দির(Temple Baalbek)










বা'আল দেবতার জন্য নির্মিত হয়েছিল বালবেক মন্দির।লেবাননে অবস্থিত এই মন্দিরটি পৃথিবীর প্রাচীনতম স্থাপত্যকর্ম। এটি সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম। অনেকে মনে করে এটা ৬-৯ হাজার বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয়েছিল। অনেকে বলে এটি মাত্র দুইহাজার বছর আগে নির্মিত। স্থানীয়দের লোকমুখে প্রচলিত আছে এই মন্দিরকে নমরুদ দানবাকৃতির মানুষদের দিয়ে নির্মাণ করায়। এর প্রকৃত নির্মাতা যারাই হোক না কেন, এই নির্মাণকর্ম আদৌ সাধারন কারও নয়। আজকের যুগের মানুষ যারা সেখানে পর্যটনের উদ্দেশ্যে যায় তাদের আকৃতি ওই বিশাল মন্দিরের তুলনায় পিপড়ের মত। এরা তো উচ্চতায় মন্দিরের পিলার সমূহের base কেই অতিক্রম করে না। মেগালিথিক স্টোন ব্লক দ্বারা নির্মিত স্ট্র‍্যাকচারগুলো আধুনিক কোন যন্ত্র দ্বারাই বহন যোগ্য নয়[১৫]।

প্রাচীন যুগের মুশরিকরা কত কিছুই করেছে এদের কাল্পনিক মিথ্যা দেবতাদের জন্য। যে বা'আলের পূজা তারা করত তার কথা কুরআনেও আল্লাহ বলেছেনঃ

وَإِنَّ إِلْيَاسَ لَمِنْ الْمُرْسَلِينَ
 إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَلَا تَتَّقُونَ
 أَتَدْعُونَ بَعْلًا وَتَذَرُونَ أَحْسَنَ الْخَالِقِينَ
নিশ্চয়ই ইলিয়াস ছিল রসূল। যখন সে তার সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি ভয় কর না ? তোমরা কি বা’আল দেবতার এবাদত করবে এবং সর্বোত্তম স্রষ্টাকে পরিত্যাগ করবে। [আস সাফফাতঃ১২৩-১২৫]

ধারনা করা হয় আমাদের দেশের বাউল সম্প্রদায় এই যৌনাচার এবং প্রজননের দেবতা বা'আল এরই অনুসারী এবং ওই মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত। কালক্রমে এই বা’আল লোকধর্মই পরবর্তীতে বাউল লোকধর্মে পরিণত হয়েছে এবং লোকনিরুক্তি অনুসারে বাউল শব্দটি বা’আল>বাওল>বাউল এভাবে পরিবর্তিত হয়ে এসেছে।[১৪]।


অতএব, এটা এটা খুব স্পষ্ট যে পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেগালিথিক জাইগ্যান্টিক স্ট্রাকচারগুলো দীর্ঘকায় মানব জাতিরই গড়া। আমেরিকান লেখক,চল ব্র‍্যাড স্টেইগার বলেন," আজ পৃথিবীতে আমরা যেসব প্রাচীন শহর দেখি যেমন দক্ষিন আমেরিকার মাচুপিছু, টিওবোনাকো, শাসেহুমাং..আমি মনে করি সেগুলোর দালানকোঠার স্থাপত্য কারিগর আদি দীর্ঘদেহী  মানুষগুলো, যারা  ৫০০ টন, ২৫০ টন ওজনের সুবিশাল বিল্ডিং ব্লক গুলো দিয়ে সেগুলো নির্মান করে।"

এ্যলবিয়ন লেখক জেনিফার ওয়েস্টউড বলেন," ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম জায়ান্ট হিউম্যানদের বসতি ছিল"। তার মতে স্টোনহেঞ্জও দানবাকার মানুষদের কাজ।

Giant Finger on the hand of Michael tellinger
আমেরিকান জার্নালিস্ট এবং লেখক জিম মার্স বলেন," আর্কিওলজির তখন খুব বড় দিন চলছিল, প্রত্যেকেই চেষ্টা করত কিছু খুজে দেখার, সবচেয়ে মজার বিষয় যে এই জায়ান্ট মানুষ এবং তাদের মমিকৃত মৃতদেহ,জীবাশ্ম-ফসিল এবং হাড় শুধুমাত্র পৃথিবীর কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলেই পাওয়া যাচ্ছিল বলে আপনি দেখাতে পারবেন না, বরং তাদের পাওয়া যাচ্ছিল ইতালিতে, মধ্যপ্রাচ্যে, আমেরিকায়। এরপরেও আপনি যদি এরকম কিছু লিখার চেষ্টা করেন ,যে জায়ান্ট হিউম্যান বা দীর্ঘদেহী মানবের বিষয় গুলো কোনরূপ ধাপ্পাবাজি বা অপব্যাখ্যা বা এরকমকিছু , তবে অবশ্যই বলব আপনি এখনো বিপুল সাক্ষ্যপ্রমাণের থেকে পিছিয়ে আছেন যেগুলো স্পষ্ট ভাবে বলে, কোন একটা সময়ে পৃথিবীতে এই জায়ান্ট বিং বা দানবাকার মানুষরা বসবাস করেছে।"

পাঁচ ছয় হাজার বছর আগে শুধু মানুষই যে দীর্ঘকায় ছিল এমন নয়, তৎকালীন সময়ে গাছপালা, পশুপাখি এমনকি কীটপতঙ্গও অতিকায় বৃহৎ ছিল। সেই দিক দিয়ে ভাবলে আজকের যুগে কোথাও আসল বনজঙ্গলের সামান্যভাগও অবশিষ্ট নেই। এমনটা হতে পারে মহাপ্লাবনের পূর্বে যমীনের গাছপালা ঐরূপ সুবিশাল আকৃতির ছিল। এর সাক্ষ্যপ্রমাণ বহন করে আজকের অনেক পেট্রিফাইড গাছের নিন্মভাগ(কথিত পাহাড়সমূহ) । মনোযোগের সাথে দেখলে অনেক কথিত পাহাড়ের সাথে কর্তিত গাছের শেকড়/গুঁড়ির(tree stamp) সাথে সাদৃশ্য খুজে পাবেন। অনেক মরুর বুকে বিশাল এলাকাজুড়ে থাকা গাছের শেকড়ভাগের ন্যায় দাঁড়িয়ে থাকা কথিত পাহাড় ও টিলা গুলো আসলে একসময়ের দৈত্যাকার গাছ। আমরা আজ এদের কে পাহাড় ভেবে ভুল করছি। এরা হয়ত কোন কোনটি হাজার ফুট দীর্ঘ ছিল। কিছু কিছু পাহাড়ের তো বাকলগুলোও এখনো স্পষ্ট রয়ে গেছে। নিচে এরকম কিছু ছবি দেওয়া হলোঃ








































এই গাছ গুলো হয়ত নূহ(আ) এর সময়কার মহাপ্লাবনে অথবা অন্য কোন কারনে ধবংস হয়ে যায় অথবা প্রাচীনকালেই অতিকায় জাতিরা কেটে ফেলে। আজও সামান্য কিছু অতিকায় গাছ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এদেরকেও কেটে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু প্রাচীন দৈত্যাকার গাছগুলোর তুলনায় এসব গাছ অনেক ছোট।




এসব সুবিশাল বৃক্ষগুলো জান্নাতের গাছ গুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়, যেগুলোর ছায়ায় কোন অশ্ব আরোহী শত বছর উর্দ্ধশ্বাসে ছুটলেও তার ছায়া অতিক্রম করতে পারবে না।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَشَجَرَةً يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي ظِلِّهَا مِائَةَ سَنَةٍ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَأَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতে এক বিশাল গাছ আছে, যার ছায়াতলে যে কোন যাত্রী একশত বছর ধরে চলতে থাকবে (কিন্তু তা অতিক্রম করে যেতে পারবে না)।
সহীহ : বুখারী (৩২৫২)।
আনাস ও আবূ সা'ঈদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ 'ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস 


আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জান্নাতে এমন একটি বৃক্ষ আছে, যার ছায়ায় একজন আরোহী একশ’ বছর পর্যন্ত সফর করতে থাকবে। (ই.ফা. ৬৮৭৫, ই.সে. ৬৯৩২)
সহিহ মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস



ডক্টর কার্ল বও মনে করেন পরিবেশগত আনুকূল্যতা(favorable atmospheric condition) প্রাচীনযুগের সবকিছু অতিকায় হবার পেছনে রয়েছে। তিনি বলেনঃ " অপটিক্যাল জেনেটিক এক্সপ্রেশন মানে  অর্গ্যানিজম গুলোর সবচেয়ে ভাল ডিএনএ প্রকাশ পায় পরিবেশগত আনুকূল্যতার দরুন। বর্নিত পরিবেশগত আনুকূল্যতার জন্য গাছপালা এবং প্রানীদেহ আজকের তুলনায় আগে অনেক বড় আকারের হত এবং দীর্ঘজীবী হত। এটা ঠিক তাই ,যা আমরা ফসিল রেকর্ডে জিওলজ্যিক কলামে দেখতে পাই। গাছপালা এবং সকল জীবন্ত বস্তু অধিকতর বড় হত,আমরা এখন যে প্রানীগুলো দেখি তা ৮ বা ৯ ফুট উচু হয় যা ছিল পূর্বে ১৬-২০ দীর্ঘ। আমরা এখন যে সকল কীটপতঙ্গ দেখি যেমন ফড়িং, যেগুলোর আজ প্রায় ৪ ইঞ্চি পাখার দৈর্ঘ্য, কিন্তু এক সময় এর পাখা ৫ ফুট পর্যন্ত দীর্ঘ ছিল,যা ফসিল রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে। সব কিছু বড় বড় ছিল। পৃথিবীর আসল পরিবেশগত অবস্থার ব্যপারে আগ্রহী হবার পরে ৩৫ বছর টানা গবেষণার পর আমি এই গোটা ব্যপারটিকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ গ্রহন করি। এর জন্য আমার ইঞ্জিনিয়ারদের সহযোগীতায় কৃত্রিম বায়োস্ফিয়ার তৈরি করি যেটাতে এ্যাটমোস্ফিয়োরিক প্রেশার দ্বিগুণ করি,এটাতে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এনার্জি, অক্সিজেনের লেভেলও বাড়ানো হয়(toxicity 'র লেভেলের আগ পর্যন্ত)। এতে আল্ট্রাভায়োলেট রে রেডিয়েশন একদম শূন্যতে আনা করা হয়। এবং এতে যে পরীক্ষা চালানো হয় তা খুবই সন্তোষজনক। আমাদের কন্ট্রোল্ড সায়েন্টিফিক এক্সপেরিমেন্টে, আমরা বায়োলজিক্যাল সিস্টেমের উপর পালস ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডের ইফেক্ট পরিমাপ করেছি। আমরা এখানে যে মাছ রেখেছি তার বয়স দেড় বছর। এর দৈর্ঘ্য স্বাভাবিক ভাবে প্রায় ১০ ইঞ্চির মত হবে। কিন্তু এখানে(কৃত্রিম বায়োস্ফিয়ারে) নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ ইঞ্চি। আমরা খুব দ্রুত গতিতে জায়ান্টিজম  তৈরিতে সফল হয়েছি।"

হোয়াইটম্যান্স ইন্সটিটিউট অব সায়েন্সের বিজ্ঞানী ডক্টর মার্ভিন এ্যান্টেলম্যান বলেন," আমি এই মতামত পোষণ করি যে প্রাচীন যুগের মানুষরা ভাল পরিবেশগত কারনে শুধু মাত্র লম্বা জীবনই পেতনা শুধু তারা অনেক লম্বাও ছিল।"

হযরত মূসা (আ) যখন ইহুদীদের নিয়ে পবিত্রভূমির কাছে পৌছান, তখন সেখানে দানবাকার অতিকায় এক সম্প্রদায়কে দেখতে পান। তাদের সেখানে শুধু মানুষই না, গাছপালা ফলমূলও দৈত্যাকার ছিল যার বর্ননা হাদিসে এসেছে। অতএব অতিকায় মানবজাতির পাশাপাশি অতিকায় দৈত্যাকার গাছপালা এবং পশুপাখির যে বর্ননা দিয়েছি তা সত্য। এটা ফসিল রেকর্ডেও পাওয়া যায়।

মূসা(আ) এর নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে ঐ জায়ান্ট কওমের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নির্দেশ এলে, ইহুদীরা ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে জিহাদে অস্বীকৃতি জানায়। আল্লাহ বলেনঃ
يَا قَوْمِ ادْخُلُوا الأَرْضَ المُقَدَّسَةَ الَّتِي كَتَبَ اللّهُ لَكُمْ وَلاَ تَرْتَدُّوا عَلَى أَدْبَارِكُمْ فَتَنقَلِبُوا خَاسِرِينَ
  قَالُوا يَا مُوسَى إِنَّ فِيهَا قَوْمًا جَبَّارِينَ وَإِنَّا لَن نَّدْخُلَهَا حَتَّىَ يَخْرُجُواْ مِنْهَا فَإِن يَخْرُجُواْ مِنْهَا فَإِنَّا دَاخِلُونَ
’  قَالَ رَجُلاَنِ مِنَ الَّذِينَ يَخَافُونَ أَنْعَمَ اللّهُ عَلَيْهِمَا ادْخُلُواْ عَلَيْهِمُ الْبَابَ فَإِذَا دَخَلْتُمُوهُ فَإِنَّكُمْ غَالِبُونَ وَعَلَى اللّهِ فَتَوَكَّلُواْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
قَالُواْ يَا مُوسَى إِنَّا لَن نَّدْخُلَهَا أَبَدًا مَّا دَامُواْ فِيهَا فَاذْهَبْ أَنتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلا إِنَّا هَاهُنَا قَاعِدُونَ
 قَالَ رَبِّ إِنِّي لا أَمْلِكُ إِلاَّ نَفْسِي وَأَخِي فَافْرُقْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقَوْمِ الْفَاسِقِينَ
  قَالَ فَإِنَّهَا مُحَرَّمَةٌ عَلَيْهِمْ أَرْبَعِينَ سَنَةً يَتِيهُونَ فِي الأَرْضِ فَلاَ تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْفَاسِقِينَ

হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভুমিতে প্রবেশ কর, যা আল্লাহ তোমাদের জন্যে নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং পেছন দিকে প্রত্যাবর্তন করো না। অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে।তারা বললঃ হে মূসা, সেখানে একটি প্রবল পরাক্রান্ত জাতি রয়েছে। আমরা কখনও সেখানে যাব না, যে পর্যন্ত না তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়। তারা যদি সেখান থেকে বের হয়ে যায় তবে নিশ্চিতই আমরা প্রবেশ করব।খোদাভীরুদের মধ্য থেকে দু’ব্যক্তি বলল, যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছিলেনঃ তোমরা তাদের উপর আক্রমণ করে দরজায় প্রবেশ কর। অতঃপর তোমরা যখন তাতে পবেশ করবে, তখন তোমরাই জয়ী হবে। আর আল্লাহর উপর ভরসা কর যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।
তারা বললঃ হে মূসা, আমরা জীবনেও কখনো সেখানে যাব না, যতক্ষণ তারা সেখানে থাকবে। অতএব, আপনি ও আপনার পালনকর্তাই যান এবং উভয়ে যুদ্ধ করে নিন। আমরা তো এখানেই বসলাম। মূসা বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমি শুধু নিজের উপর ও নিজের ভাইয়ের উপর ক্ষমতা রাখি। অতএব, আপনি আমাদের মধ্যে ও এ অবাধ্য সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ করুন।বললেনঃ এ দেশ চল্লিশ বছর পর্যন্ত তাদের জন্যে হারাম করা হল। তারা ভুপৃষ্ঠে উদভ্রান্ত হয়ে ফিরবে। অতএব, আপনি অবাধ্য সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করবেন না। [সূরাতুল মায়েদা]




সুতরাং পাঁচ,ছয় হাজার বছর পূর্বে, এমনকি মূসা(আ) এর যুগেও তাদের পাশাপাশি দীর্ঘকায় জাতির বসতি ছিল। সমস্ত লিভিং অর্গ্যানিজম সেখানে ঐরূপ অতিকায় ছিল। আজকের ক্ষুদ্র আঙ্গুর ফলও এত বড় ছিল যে তা একজনের জন্য যথেষ্ট। তাদের ফলের ঝুড়িতেই ফলের সাথে অনেক জনকে নেওয়া যেত। এই সাক্ষ্যপ্রমাণসমূহ বিবর্তনবাদী চিন্তার বিপরীতের। আমাদের দেশীয় বিবর্তনবাদী মুক্তমনারা আদম(আ) এর উচ্চতা এবং প্রাচীন দীর্ঘাকৃতির মানুষের অস্তিত্বে অবিশ্বাস করে, এদের কাছে এটা এজন্যই অগ্রহণযোগ্য যে, এটা বিবর্তনবাদের সাথে সাংঘর্ষিক[১৬]।বিবর্তনবাদের এই শয়তানি কন্সেপ্টের গোড়া খুজতে থাকলে মিলবে অকাল্ট মিস্ট্রি স্কুল। এসেছে বাবেল অথবা মিশর থেকে। এগুলো সন্দেহাতীতভাবে হায়ার ডাইমেনশনাল এন্টিটির(শয়তান) কথা বৈ কিছু নয়। ইতোপূর্বে এ নিয়ে ইতোপূর্বে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম[১]। বিবর্তনবাদের লক্ষ্য আল্লাহর উপর এবং আল্লাহর থেকে আসা সকল কিতাবের জ্ঞানের ব্যপারে অবিশ্বাস সৃষ্টি। এই বিবর্তনবাদ শুধু প্রানের বিকাশের সাথেই সম্পর্কযুক্ত না বরং এর গোটা আসমান যমীন এবং গোটা অস্তিত্বের উৎপত্তি ও বিকাশের সাথে সম্পর্কযুক্ত। ওরা যে বিগব্যাং নির্ভর সৃষ্টিতত্ত্বের কথা বলে সেটা হচ্ছে Cosmological Evolution! অর্থাৎ কোনরূপ সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন ও হস্তক্ষেপ ছাড়াই আসমান-যমীন একা একাই শূন্য থেকে সৃষ্টি ও বিকশিত হবার কল্পনা!
বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস এই পৃথিবী ও সমস্ত সৃষ্টির বয়স বিলিয়ন ট্রিলিয়ন বছর। বানর থেকে মানুষ হবার গল্পই লক্ষ লক্ষ বছরের হিসাব। অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আসমান যমীনকে সৃষ্টি করেন ৬দিনে(পৃথিবীর ৬০০০ বছর) এবং আদম(আঃ) থেকে আজ পর্যন্ত এর বয়স ৭০০০ বছর গড়ায় নি।

ইবনু আববাস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,الدُّنْيَا جُمُعَةٌ مِنْ جُمَعِ الْآخِرَةِ سَبْعَةُ آلَافِ سَنَةٍ وَقَدْ مَضَى سِتَّةُ آلَافِ وَمِائَةُ سَنَةٍ- ‘দুনিয়া হ’ল আখেরাতের জুম‘আ সমূহের মধ্যে একটি জুম‘আর সমতুল্য। আর তা হ’ল সাত হাযার বছর।
[তারীখু ত্বাবারী ১/১০, ১৬ ; ইবনু আবী হাতেম হা/১৩৯৮৭, ১৮৪৩৪; শাওকানী, ফাৎহুল কাদীর ৩/৫৪৫; রওযাতুল মুহাদ্দিছীন হা/২৬৪৪।]

যাহহাক বিন যিম্ল আল-জুহানী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا صَلَّى الصُّبْحَ... فَإِذَا أَنَا بِكَ يَا رَسُولَ اللهِ عَلَى مِنْبَرٍ فِيهِ سَبْعَ دَرَجَاتٍ، وَأَنْتَ فِي أَعْلَاهَا دَرَجَةً،... وَأَمَّا الْمِنْبَرُ الَّذِي رَأَيْتَ فِيهِ سَبْعَ دَرَجَاتٍ وَأَنَا فِي أَعْلَى دَرَجَةٍ، فَالدُّنْيَا سَبْعَةُ آلَافِ سَنَةٍ وَأَنَا فِي آخِرِهَا أَلْفًا-
‘রাসূল (ছাঃ) ফজর ছালাতের পর ছাহাবীদেরকে তাদের রাতে দেখা স্বপ্ন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন। আমি স্বপ্নে দেখলাম... হে আল্লাহর রাসূল! আপনি একটি মিম্বারের উপর আছেন যার সাতটি স্তর ছিল। আর আপনি সর্বোচ্চ স্তরে আরোহন করেছেন।... এর ব্যাখ্যায় রাসূল (ছাঃ) বললেন, এর অর্থ হ’ল দুনিয়ার বয়স সাত হাযার বছর আর আমি সপ্তম সহস্রাব্দে পদার্পণ করছি’
[ত্বাবারাণী কাবীর হা/৮১৪৬; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/১১৭৭২; বায়হাকী, দালায়েলুল নবুঅত হা/২৯৬০; সুহায়লী, আর-রওযুল উনুফ ৪/২৩০।]

 ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন,
أَنَّ الْيَهُودَ كَانُوا يَقُولُونَ مُدَّةُ الدُّنْيَا سَبْعَةُ آلَافِ سَنَةٍ، وَإِنَّمَا نُعَذَّبُ بِكُلِّ أَلْفِ سَنَةٍ مِنْ أَيَّامِ الدُّنْيَا يَوْمًا وَاحِدًا فِي النَّارِ، وَإِنَّمَا هِيَ سَبْعَةُ أَيَّامٍ مَعْدُودَةٍ، ثُمَّ يَنْقَطِعُ الْعَذَابُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ فِي ذَلِكَ: وَقالُوا: لَنْ تَمَسَّنَا النَّارُ-
‘ইহূদীরা বলত, পৃথিবীর মেয়াদকাল সাত হাযার বছর। পৃথিবীর দিনসমূহের তুলনায় প্রতি হাযারে আমাদেরকে একদিন জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে। আর তা নির্দিষ্ট সাতদিন। এরপর শাস্তি মওকূফ হয়ে যাবে। এর প্রতিবাদে আললাহ তা‘আলা নাযিল করেন, ‘আর তারা বলে, আমাদের আগুন কখনো স্পর্শ করবে না’...।
[বাকারাহ ১/৮০; মু‘জামুল কাবীর হা/১১১৬০; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/১০৮৩৬; রওযাতুল মুহাদ্দিছীন হা/২১৯৪; সুহায়লী, আর-রওযুল উনুফ ৪/২৩০; বর্ণনাটি বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থেও রয়েছে।]

মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন জনৈক নওমুসলিম আহলে কিতাব থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,إن الله تَعَالَى خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ، {وَإِنَّ يَوْمًا عِنْدَ رَبِّكَ كَأَلْفِ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ} وَجَعَلَ أَجَلَ الدُّنْيَا سِتَّةَ أَيَّامٍ، وَجَعَلَ السَّاعَةَ فِي الْيَوْمِ السَّابِعِ، {وَإِنَّ يَوْمًا عِنْدَ رَبِّكَ كَأَلْفِ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ}، فَقَدْ مَضَتِ السِّتَّةُ الْأَيَّامُ، وَأَنْتُمْ فِي الْيَوْمِ السَّابِعِ- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা আসমান ও যমীন ছয়দিনে সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি দুনিয়ার বয়স ছয় দিন নির্ধারণ করেছেন এবং ক্বিয়ামত সপ্তম দিনে ধার্য করেছেন। ‘তোমার প্রতিপালকের কাছে একটি দিন তোমাদের গণনার এক হাযার বছরের সমান’ (হজ্জ ২২/৪৭)। এর মধ্যে ছয় দিন অতিবাহিত হয়েছে এবং তোমরা সপ্তম দিনে অবস্থান করছ।
[তাফসীরে ইবনু আবী হাতেম হা/১৩৯৮৮; তাফসীরে ইবনু কাছীর ৫/৪৪০; তারীখুল খামীস ১/৩৪; দুররুল মানছূর ৬/৬৩।]

ওছমান বিন যায়দাহ হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, كَانَ كُرْزٌ مُجْتَهِدًا فِي الْعِبَادَةِ، فَقِيلَ لَهُ: أَلَا تُرِيحُ نَفْسَكَ سَاعَةً؟ فَقَالَ: كَمْ بَلَغَكُمْ عُمَرُ الدُّنْيَا؟ قَالُوا: سَبْعَةُ آلَافِ سَنَةٍ. قَالَ: فَكَمْ بَلَغَكُمْ مِقْدَارُ يَوْمِ الْقِيَامَةِ؟ قَالُوا: خَمْسِينَ أَلْفِ سَنَةٍ. قَالَ: أَفَيَعْجَزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَعْمَلَ سُبْعَ يَوْمٍ حَتَّى يَأْمَنَ مِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ؟ ‘কুরয ইবাদতে মশগূল থাকতেন। তাকে বলা হ’ল, আপনি কি কিছু সময় নিজেকে বিশ্রাম দিবেন না? তিনি বললেন, পৃথিবীর বয়স সম্পর্কে তোমাদের নিকট কি সংবাদ পেঁŠছেছে? তারা বলল, সাত হাযার বছর। তিনি বললেন, ক্বিয়ামতের দিনের পরিমাণ সম্পর্কে কি সংবাদ পেয়েছ? তারা বলল, পঞ্চাশ হাযার বছর। তিনি বললেন, তোমাদের কেউ কি দিনের এক সপ্তাংশ সময় আমল করতে সক্ষম হবে, যাতে সে ঐ দিনে নিরাপত্তা লাভ করবে?’।
[আল-মুজালাসা হা/৯১৭; সাখাভী, আল-মাক্বাছিদুল হাসানাহ হা/১২৪৩; সুয়ূতী, আল-হাভী লিল ফাতাওয়া ২/১০৭; ইহ্ইয়াউ ঊলূমিদ্দীন ৭/৬৯।]

আনাস বিন মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন,مَنْ قَضَى حَاجَةَ الْمُسْلِمِ فِي اللهِ كَتَبَ اللهُ لَهُ عُمُرَ الدُّنْيَا سَبْعَةَ آلَافِ سَنَةٍ، صِيَامُ نَهَارِهِ وَقِيَامُ لَيْلِهِ ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করার জন্য মুসলমানের কোন প্রয়োজন পূরণ করবে, আল্লাহ তার আমলনামায় পৃথিবীর বয়স সাত হাযার বছরের সমপরিমাণ দিনে ছিয়াম ও রাতে ক্বিয়াম করার ছওয়াব লিখে দিবেন’।
[ইবনু আসাকির ২৩/১৩৩; আল-হাভী ২/১০৫।]

আনাস বিন মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,عُمْرُ الدُّنْيَا سَبْعَةُ أَيَّامٍ مِنْ أَيَّامِ الْآخِرَةِ قَالَ اللهُ تَعَالَى: (وَإِنَّ يَوْمًا عِنْدَ رَبِّكَ كَأَلْفِ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّوْنَ) আখেরাতের দিনগুলোর তুলনায় পৃথিবীর বয়স সাত দিন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমার প্রতিপালকের নিকট একটি দিন তোমাদের গণনার এক হাযার বছরের সমান’।
[ হজ্জ ২২/৪৭)-(তারীখে জুরজান ১/১৪০; ফালাকী, আল-ফাওয়ায়েদ ২/৮৮ ; আল-হাভী ২/১০৫।]

ইবনু আববাস থেকে বর্ণিত একটি বর্ণনায় রয়েছে যে,الدّنْيَا سَبْعَةُ أَيّامٍ كُلّ يَوْمٍ أَلْفُ سَنَةٍ وَبُعِثَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْهَا ‘দুনিয়া সাতদিন। প্রতিদিন এক হাজার বছরের সমান। আর রাসূল (ছাঃ)-কে  প্রেরণ করা হয়েছে এর শেষদিনে’।
[সুয়ূতী, আল-লাআ’লিল মাছনূ‘আ ২/৩৬৯; সুহায়লী, আর-রওযুল উনুফ ৪/২৩৮; উমদাতুল ক্বারী ৫/৫২-৫৩।]

[৭০০০ বছর,মুসলিম উম্মাহর ১৫০০ বছর প্রভৃতি হাদিসকে ব্যবহার করে নানারূপ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে কিয়ামতের সময় সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তোলা জ্ঞানী মুসলিমের কাজ না। নিঃসন্দেহে কিয়ামতসংক্রান্ত সমস্ত(গায়েবের) জ্ঞান শুধুমাত্র আল্লাহর কাছেই রয়েছে। আল্লাহ বলেনঃ
يَسْأَلُكَ النَّاسُ عَنِ السَّاعَةِ قُلْ إِنَّمَا عِلْمُهَا عِندَ اللَّهِ وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ السَّاعَةَ تَكُونُ قَرِيبًا  
লোকেরা আপনাকে কেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুন, এর জ্ঞান আল্লাহর কাছেই। আপনি কি করে জানবেন যে সম্ভবতঃ কেয়ামত নিকটেই।

وَلِلّهِ غَيْبُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَا أَمْرُ السَّاعَةِ إِلاَّ كَلَمْحِ الْبَصَرِ أَوْ هُوَ أَقْرَبُ إِنَّ اللّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ  
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের গোপন রহস্য আল্লাহর কাছেই রয়েছে। কিয়ামতের ব্যাপারটি তো এমন, যেমন চোখের পলক অথবা তার চাইতেও নিকটবর্তী। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান।]

সুতরাং পৃথিবী সৃষ্টির লক্ষকোটি বছরের বিবর্তনবাদী হিসাব একদম অসত্য। ওরা যা বলে তা ইসলামের শিক্ষা ও আকিদার বিপরীত। শরী'আতে এর কোন গ্রহণযোগ্যতা না থাকলেও একদল মুসলিম ঠিকই প্রচলিত অপবিজ্ঞানের সাথে আপোষে গিয়ে এরূপ বলে যে, 'আদম(আ) শুধু আল্লাহর সৃষ্টি কিন্তু অন্য সকল সৃষ্টি বিবর্তনের ফসল'। ইতোপূর্বে আয়াতগুলো উল্লেখ করেছি যাতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা সরাসরি সমস্ত প্রানীদেরকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টির কথা বলেছেন। ওই অপবিজ্ঞানঘেষা এ্যাপোলোজেটিক মুসলিমরাই বিবর্তনবাদী কুফরি থিওরিগুলোর সাথে সাংঘর্ষিকতা দূর করতে শার'ঈ দলিলগুলোর যেগুলো বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক সেসবের মধ্যে দুর্বলতা খুঁজে খুঁজে বাদ দিতে চেষ্টা করে। এরা তারাই যারা ৭ হাজার বছরের পৃথিবীকে অবিশ্বাস করে, ৬ হাজার বছরে(৬ দিনে) সৃষ্ট আসমান যমীনের (অপবিজ্ঞান ঘেঁষা)বিকৃত রূপ উপস্থাপন করে এবং প্রচার করে।
অথচ এরা যে বিবর্তনবাদের সমর্থন করে, যে অপবিদ্যার সামনে মাথানত করে সে শিক্ষার ধারকদের কাছে যখন ডারউইনিয়ান এভ্যুল্যুশনের পর্যবেক্ষণযোগ্য সাক্ষ্যপ্রমাণ চেয়ে প্রশ্ন করা হয়, এদের থেকে কোন উত্তরই পাওয়া যায় না। এক খ্রিষ্টধর্মের প্রিচার ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা এবং ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়ার বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর এবং শিক্ষার্থীদেরকে প্রশ্ন করে বিবর্তনবাদের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ চেয়ে। তাদের কারো কাছেই কোন উত্তর ছিল না। অবশেষে তারা স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় যে বিবর্তনবাদ হচ্ছে সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাস করবার জন্য বিকল্প বিশ্বাস ব্যবস্থা। এক শিক্ষার্থী সরাসরি বলেই দিয়েছে,"ধার্মিক লোকেরা যেভাবে সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে, আমিও তেমনি বিবর্তনবাদি বিশেষজ্ঞদের কথা এবং লেখায় বিশ্বাস স্থাপন করি!" অপর আরেক শিক্ষার্থী স্বীকৃতি দেয় যে, "এটা একটা প্রমাণ বিহীন অন্ধবিশ্বাস"।  তাদের কারো কাছেই এমন কোন প্রমাণ নেই যে কোন প্রানী এক জাত থেকে অন্য প্রজাতিতে রূপান্তর হয়েছে। বস্তুত দুনিয়াতে এমন কোন পর্যবেক্ষণযোগ্য বৈজ্ঞানিক অথবা ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই[১৭]। মূল ব্যপার হচ্ছে এরা কাফির সম্প্রদায়,এরা যেকোনরূপে আল্লাহকে অস্বীকার করবে, প্রয়োজনে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে হলেও। এজন্যই আর্কিওলজিক্যাল, ম্যাথম্যাটিক্যাল[১৯] অবজারভেবল সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকা স্বত্ত্বেও দুরাচারী কাফিররা অবিশ্বাস করে। এজন্যই বিবর্তনবাদের মিথ্যাচার প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া ঠেকাতে স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউট হাজারো দীর্ঘকায় মানব কঙ্কাল ধ্বংস করেছে[১৮]।

মুসলিমদের মধ্যে অন্তরে যাদের রোগ আছে তারাই এদের সান্নিধ্যের কামনা করে,এদের সঙ্গে আপোষ করে, গায়েবের ব্যপারে শার'ঈ আকিদাগুলোকে কুফরের চাকায় ঘোরায়,সত্যকে মানতে পারে না। এই পর্বভিত্তিক আর্টিকেল সিরিজের অন্যতম উদ্দেশ্য এই বিকৃতিকে সুস্পষ্টভাবে দেখানো, সত্য ও মিথ্যাকে আলাদা করা,আকিদাগত বিচ্যুতির ব্যপারে সতর্ক করা। আল্লাহ যাদের বক্ষকে সত্যকে ধারণ করবার উপযোগী করে সৃষ্টি করেছেন তারা অবশ্যই কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক সৃষ্টিতত্ত্বকে গ্রহন করবে এবং শয়তানের থেকে আসা কুফরি সৃষ্টিতত্ত্বকে বর্জন করবে।




আত-তাফাক্কুর ফি খলকিল্লাহ
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা


তাফাক্কুর ফি খলকিল্লাহ বা আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা ফিকির করা অত্যন্ত ফযিলত পূর্ণ ইবাদত। অন্তরের অসংখ্য ইবাদতের মধ্যে এটা অত্যন্ত ফযিলতপূর্ন ইবাদত।

ইমাম বায়হাকী রহিমাহুল্লাহ সহিহ সনদে বর্ননা করেছেন, হযরত আবু দারদা (রাঃ) বলেন,'অল্প সময়ের চিন্তা ফিকির একরাত জেগে নামাজ পড়ার থেকে উত্তম'।

সালাফগন তাফাক্কুরের প্রতি অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন।ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রহিমাহুল্লাহ বলেন,'আল্লাহর নিয়ামত নিয়ে চিন্তাভাবনা করা শ্রেষ্ঠ ইবাদতগুলোর মধ্যে অন্যতম।'

 একজন আদর্শ মু'মিনের হৃদয় সবসময় জাগ্রত থাকে। আসমান ও যমীনের প্রতিটি সৃষ্টিতে আল্লাহর নিদর্শন ছড়িয়ে আছে। প্রতিটি বস্তুতে দয়াময় আল্লাহর অস্তিত্বের সাক্ষ্য রয়েছে, তার নিয়ন্ত্রন এবং তার নিপুণ জ্ঞানের নিদর্শন রয়েছে। আল্লাহ বলেনঃ
وَهُوَ الَّذِي مَدَّ الأَرْضَ وَجَعَلَ فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنْهَارًا وَمِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ جَعَلَ فِيهَا زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
তিনিই ভুমন্ডলকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পাহাড় পর্বত ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফলের মধ্যে দু’দু প্রকার সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন। এতে তাদের জন্যে নিদর্শণ রয়েছে, যারা চিন্তা করে[রা'দ ৩]

إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَاخْتِلاَفِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَالْفُلْكِ الَّتِي تَجْرِي فِي الْبَحْرِ بِمَا يَنفَعُ النَّاسَ وَمَا أَنزَلَ اللّهُ مِنَ السَّمَاء مِن مَّاء فَأَحْيَا بِهِ الأرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَبَثَّ فِيهَا مِن كُلِّ دَآبَّةٍ وَتَصْرِيفِ الرِّيَاحِ وَالسَّحَابِ الْمُسَخِّرِ بَيْنَ السَّمَاء وَالأَرْضِ لآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ
নিশ্চয়ই আসমান ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের বিবর্তনে এবং নদীতে নৌকাসমূহের চলাচলে মানুষের জন্য কল্যাণ রয়েছে। আর আল্লাহ তা’ আলা আকাশ থেকে যে পানি নাযিল করেছেন, তদ্দ্বারা মৃত যমীনকে সজীব করে তুলেছেন এবং তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সবরকম জীব-জন্তু। আর আবহাওয়া পরিবর্তনে এবং মেঘমালার যা তাঁরই হুকুমের অধীনে আসমান ও যমীনের মাঝে বিচরণ করে, নিশ্চয়ই সে সমস্ত বিষয়ের মাঝে নিদর্শন রয়েছে বুদ্ধিমান সম্প্রদায়ের জন্যে[বাকারা:১৬৪]

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা তার একত্ব, ক্ষমতা প্রকাশের পূর্বে অজস্র আয়াতে আসমান যমীন,চাঁদ-সূর্য ও  নক্ষত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। এগুলো সবই আল্লাহর নিদর্শন। জ্ঞানীরাই এসকল নিদর্শন বা সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করে। আল্লাহর প্রতিটা সৃষ্টি এরূপ নিদর্শনস্বরূপ যা মানুষকে আল্লাহর কথা এবং তার সাথে পুনরুত্থান দিবসে সাক্ষাতের কথা মনে করিয়ে দেয় এবং সে ব্যপারে বিশ্বাসকে দৃঢ় করে। আল্লাহ বলেনঃ
اللّهُ الَّذِي رَفَعَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي لأَجَلٍ مُّسَمًّى يُدَبِّرُ الأَمْرَ يُفَصِّلُ الآيَاتِ لَعَلَّكُم بِلِقَاء رَبِّكُمْ تُوقِنُونَ
আল্লাহ, যিনি উর্ধ্বদেশে স্থাপন করেছেন আকাশমন্ডলীকে স্তম্ভ ব্যতীত। তোমরা সেগুলো দেখ। অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এবং সূর্য ও চন্দ্রকে কর্মে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকে নির্দিষ্ট সময় মোতাবেক আবর্তন করে। তিনি সকল বিষয় পরিচালনা করেন, নিদর্শনসমূহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা স্বীয় পালনকর্তার সাথে সাক্ষাত সম্বন্ধে নিশ্চিত বিশ্বাসী হও[সূরা রা'দ ২]


বিবর্তনবাদী বিজ্ঞান অনুযায়ী সমস্ত সৃষ্টি একরকম এ্যাক্সিডেন্টের দ্বারা সৃষ্টি। এতে কোন তাৎপর্য নেই। অথচ আল্লাহ এতে গভীর তাৎপর্যের কথা বলেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আসমান ও যমীনকে অনর্থক সৃষ্টি করেন নি। এগুলো কোন তাৎপর্যহীন অনর্থক সৃষ্টি না যেমনটা বিবর্তনবাদী বিজ্ঞান বলে থাকে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা পছন্দ করেন এসব নিয়ে তার বান্দারা গভীর চিন্তাভাবনা করুক। দুঃখজনক ব্যপার হচ্ছে আজকের প্রচলিত এবং প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান আল্লাহর সৃষ্টির ব্যপারে চরম বিকৃত ধারনা দেয়,নিঃসন্দেহে সে বিকৃত অপবিদ্যাভিত্তিক চিন্তাগবেষণা একদমই নিরর্থক। একইভাবে কাফিরদের ভিত্তিহীন কুফরি দর্শনকেন্দ্রিক ধারনার উপর ভিত্তি করে চিন্তাগবেষণাও অর্থহীন এবং নিতান্ত মূর্খদের কাজ। একমাত্র জ্ঞানী ব্যক্তিরাই আল্লাহর সৃষ্টির ব্যপারে সঠিক ধারনা করে এবং সে ব্যপারে চিন্তা-গবেষণার ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করেনা। রহমানের বান্দারা দাঁড়ানো,বৈঠকে ও শায়িত সর্বাবস্থায় সত্যিকারের সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যপারে চিন্তা ও গবেষণা করে। আসমান ও যমীনের বিভিন্ন নিদর্শনের ব্যপারে চিন্তাভাবনা করে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেনঃ
الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىَ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষযে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও[আল ইমরানঃ১৯১]


রেফঃ

[১]
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/documentary-article-series_10.html

[২]
http://www.sydhav.no/giants/saudi_arabia.htm
http://objectiveministries.org/creation/news.html#8-2-2004%20
https://www.bibliotecapleyades.net/sumer_anunnaki/anunnaki/anu_11.htm
https://answersingenesis.org/creationism/arguments-to-avoid/were-giant-skeletons-found-in-the-desert/

[৩]
https://www.independent.co.uk/news/science/archaeology/skeletons-china-giants-5000-year-old-archaeologists-discovered-jiaojia-jinan-shandong-a7824326.html
http://www.wondersandmarvels.com/2016/07/ancient-romans-excavate-a-giant-skeleton-in-morocco.html
https://www.gaia.com/article/giant-skeletons-have-been-found-buried-in-mounds-across-america

[৪]
https://skeptoid.com/episodes/4390
https://strangesounds.org/2019/06/red-haired-cannibal-giant-lovelock-cave-video.html
http://earthmysterynews.com/2017/03/28/the-ancient-giants-of-nevada-and-the-mystery-of-lovelock-cave/
https://www.ancient-origins.net/myths-legends-americas/lovelock-cave-tale-giants-or-giant-tale-fiction-003060

[৫]
https://michaeltellinger.com/todays-trip-to-giant-footprint/
https://m.youtube.com/watch?v=dRuxw-nZoJw

[৬]
https://michaeltellinger.com/fossilized-giants-found-in-south-africa/
https://michaeltellinger.com/giants-in-history/

[৭]
https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%AE_%E0%A6%9A%E0%A7%82%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE
http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/jamesbondbd/28896872
https://www.islamiclandmarks.com/various/adams-peak
http://sripada.org/adams-peak-ascent.htm
http://www.mysrilankaholidays.com/adams-peak-history.html
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Adam%27s_Peak

[৮]
http://ramubangalore.blogspot.com/2013/02/footprints-of-bheema-near-bangalore.html

[৯]
https://m.youtube.com/watch?v=1Qisl-4Bx6Y

[১০]
https://m.youtube.com/watch?v=KMfcGxWiz3c
https://m.youtube.com/watch?v=m0QE90hAg1U

[১১]
https://m.youtube.com/watch?v=mFQZZsTba2Q
https://m.youtube.com/watch?v=r0-xY3Gb1Vk
https://m.youtube.com/watch?v=Wegrsx8dw4I
https://m.youtube.com/watch?v=W7VXSzMsqHQ
https://m.youtube.com/watch?v=opZuu08EiEQ
https://m.youtube.com/watch?v=j5fYsfDwtmI

[১২]
https://m.youtube.com/watch?v=CV1czPLeiEw
https://m.youtube.com/watch?v=oeACqqOX5TU
https://m.youtube.com/watch?v=TeEyEJ88CBg
https://m.youtube.com/watch?v=q4WpVLfc4q8

[১৩]
https://www.ancient.eu/Egyptian_Obelisk/

[১৪]
https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80:%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A6%A6_%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2/%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%98%E0%A6%B0
http://www.al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=4&textid=2221
http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/chirag/29706171
http://iqbalahmed42024.blogspot.com/2017/05/blog-post.html?m=1

[১৫]
https://www.newyorker.com/tech/elements/baalbek-myth-megalith
https://maptia.com/martaprzybyl/stories/the-legends-of-baalbek
https://www.ancient-origins.net/opinion-guest-authors/forgotten-stones-baalbek-lebanon-001865
https://www.ancient-origins.net/ancient-places-asia/monumental-baalbek-largest-building-blocks-earth-00656
https://www.middleeasteye.net/discover/baalbek-lebanon-ruins-tour

[১৬]
https://blog.mukto-mona.com/2011/09/25/19004/

[১৭]
https://m.youtube.com/watch?v=U0u3-2CGOMQ

[১৮]
https://www.gaia.com/article/this-conspiracy-claims-the-smithsonian-destroys-giant-skeletons
https://newsinstact.com/earth/smithsonian-confess-the-destruction-of-giant-skeletons-and-evidences/amp/
https://www.disclose.tv/smithsonian-museum-ordered-large-scale-cover-up-of-giant-nephilim-skeletons-314715

[১৯]
https://m.youtube.com/watch?v=noj4phMT9OE

[২০]
https://www.cfa.harvard.edu/~ejchaisson/cosmic_evolution/docs/splash.html
https://www.space.com/13352-universe-history-future-cosmos-special-report.html
https://www.universetoday.com/54756/what-is-the-big-bang-theory/

[২১]
https://www.youtube.com/watch?v=aGzGH6MgCHI
https://www.youtube.com/watch?v=1_vnQqKufMk
https://www.youtube.com/watch?v=frB_A8nvMvs
https://www.youtube.com/watch?v=DtJkZ387a34




বিগত পর্বগুলোঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2019/03/article-series_85.html







ওয়া আল্লাহু আ'লাম



وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ



[সমাপ্ত]