পর্ব-১০
দিবা রাত্রি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার অনন্য এক নিদর্শন। আল্লাহ দিনকে কর্মের জন্য এবং রাত্রিকে করেছেন নিদ্রার সময়।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেনঃ
وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ آيَتَيْنِ فَمَحَوْنَا آيَةَ اللَّيْلِ وَجَعَلْنَا آيَةَ النَّهَارِ مُبْصِرَةً لِتَبْتَغُواْ فَضْلاً مِّن رَّبِّكُمْ وَلِتَعْلَمُواْ عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ وَكُلَّ شَيْءٍ فَصَّلْنَاهُ تَفْصِيلاً
আমি রাত্রি ও দিনকে দুটি নিদর্শন করেছি। অতঃপর নিস্প্রভ করে দিয়েছি রাতের নিদর্শন এবং দিনের নিদর্শনকে দেখার উপযোগী করেছি, যাতে তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অনুগ্রহ অন্বেষণ কর এবং যাতে তোমরা স্থির করতে পার বছরসমূহের গণনা ও হিসাব এবং আমি সব বিষয়কে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করেছি
(১৭:১২)
وَهُوَ الَّذِي جَعَلَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ خِلْفَةً لِّمَنْ أَرَادَ أَن يَذَّكَّرَ أَوْ أَرَادَ شُكُورًا
যারা অনুসন্ধানপ্রিয় অথবা যারা কৃতজ্ঞতাপ্রিয় তাদের জন্যে তিনি রাত্রি ও দিবস সৃষ্টি করেছেন পরিবর্তনশীলরূপে (২৫:৬১)
وَهُوَ الَّذِي مَدَّ الأَرْضَ وَجَعَلَ فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنْهَارًا وَمِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ جَعَلَ فِيهَا زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
তিনিই ভুমন্ডলকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পাহাড় পর্বত ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফলের মধ্যে দু’দু প্রকার সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন। এতে তাদের জন্যে নিদর্শণ রয়েছে, যারা চিন্তা করে
(১৩:৩)
وَسَخَّرَ لَكُمُ اللَّيْلَ وَالْنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالْنُّجُومُ مُسَخَّرَاتٌ بِأَمْرِهِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ
তিনিই তোমাদের কাজে নিয়োজিত করেছেন রাত্রি, দিন, সূর্য এবং চন্দ্রকে। তারকাসমূহ তাঁরই বিধানের কর্মে নিয়োজিত রয়েছে। নিশ্চয়ই এতে বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে
(১৬:১২)
إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَاخْتِلاَفِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لآيَاتٍ لِّأُوْلِي الألْبَابِ
নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন লোকদের জন্যে
(৩:১৯০)
وَهُوَ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ وَلَهُ اخْتِلَافُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
তিনিই প্রাণ দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান এবং দিবা-রাত্রির বিবর্তন তাঁরই কাজ, তবু ও কি তোমরা বুঝবে না?
(২৩:৮০)
يُقَلِّبُ اللَّهُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَعِبْرَةً لِّأُوْلِي الْأَبْصَارِ
আল্লাহ দিন ও রাত্রির পরিবর্তন ঘটান। এতে অর্ন্তদৃষ্টি-সম্পন্নগণের জন্যে চিন্তার উপকরণ রয়েছে
(২৪:৪৪)
وَهُوَ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ اللَّيْلَ لِبَاسًا وَالنَّوْمَ سُبَاتًا وَجَعَلَ النَّهَارَ نُشُورًا
তিনিই তো তোমাদের জন্যে রাত্রিকে করেছেন আবরণ, নিদ্রাকে বিশ্রাম এবং দিনকে করেছেন বাইরে গমনের জন্যে
(২৫:৪৭)
আল্লাহ রাত ও দিনের মধ্যে কোনটিকে আগে সৃষ্টি করেন তা নিয়ে আলিমদের মধ্যে মতানৈক্য আছে। একদল বলেন, দিনের সৃষ্টির পূর্বে রাত ছিল,অপর একদল আলিমদের মত সবার প্রথমে দিন বা রাত কোনটিই ছিল না,শুধু ছিল আল্লাহর নূরের আলো। তাদের কেউ কেউ বলেন আল্লাহর সর্বপ্রথম সৃষ্টি হচ্ছে আলো এবং আঁধার। তাদের মতে পানি,আরশ,কলম সব কিছুর মধ্যে আল্লাহ আলো আঁধারকে সর্বপ্রথম সৃষ্টি করেন।
আঁধারে পূর্বে আলো ছিল,
According to 'Ali b. Sahl-al-Hasan b. Bi1a1420 -Hammad b. Salamah -Abu 'Abd al-Salam al-Zubayr421-Ayyub b. 'Abdallah al-Fihri 22 -Ibn Masud: With your Lord there is neither night nor day. The light of the heavens comes from the light of His face. The measure of each of those days of yours is twelve hours with Him.
[History of Imam Tabari]
ইবনে আব্বাস(রাঃ) এবং কতিপয় প্রাচীন আলিমদের মতে সৃষ্টিজগতের প্রথমে রাত্রি বা আধার ছিল। কারন আসমান ও যমীনসমূহ ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল।
Ibn Bashshar-'Abd al-Rahman (b. Mahdi)-Sufyan (al-Thawri)- his father B -'Ikrimah-Ibn 'Abbas: Asked whether the night existed before the day, (Ibn 'Abbas?) replied: Don't you see! When the heavens and the earth weie compressed, 409 was there anything but darkness between them? This is meant for you to realize that the night existed before the day.
According to al-Hasan b. Yahya410 -'Abd al-Razzag41 -(Sufyan) al-Thawri-his father-'Ikrimah-Ibn 'Abbas: The night is before the day. Then he said: "The two were compressed, and We then split them apart."412
[History Of Tabari Vol:1]
এটা মানতে কোন অসুবিধা নেই যে সর্বপ্রথম সৃষ্টিজগতে অন্ধকার বিদ্যমান ছিল। ইবনে আব্বাস(রাঃ) ও ইবনে মাসুদ(রাঃ) এর বর্ননার হাদিসটির মধ্যে কোন সাংঘর্ষিকতা নেই, কারন হয়ত ইবনে আব্বাস(রাঃ) আসমান যমীনের মধ্যস্থিত অবস্থার প্রেক্ষাপটে এমনটা বলেছেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আসমান যমীনের মধ্যে জ্যোতি তথা দিবালোকের উন্মেষ ঘটান যমীন ও আসমানকে সৃষ্টির পর। অথচ তখনও যমীনকে সমতলে বিস্তৃত করা হয়নি, পাহাড়গুলোকেও স্থাপন করা হয়নি,চাঁদ-সূর্যকেও সৃষ্টি করা হয়নি। যেমনটা আল্লাহ বলেনঃ
أَأَنتُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمِ السَّمَاء بَنَاهَا
তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন?
رَفَعَ سَمْكَهَا فَسَوَّاهَا
তিনি একে উচ্চ করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন।
وَأَغْطَشَ لَيْلَهَا وَأَخْرَجَ ضُحَاهَا
এবং তিনি ওর রাতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করেছেন এবং ওর জ্যোতি বিনির্গত করেছেন।
وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا
পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন
أَخْرَجَ مِنْهَا مَاءهَا وَمَرْعَاهَا
তিনি এর মধ্য থেকে এর পানি ও ঘাম নির্গত করেছেন,
وَالْجِبَالَ أَرْسَاهَا
পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন(৭৯:২৮-৩২)
এটা প্রমান করে, দিন চাঁদ ও সূর্যের থেকে স্বাধীন।আলো ও আধারের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহই। হয়ত আল্লাহ রাতকে দিনের পূর্বে সৃষ্টি করেছেন, অর্থাৎ দিনের আলোর পূর্বে রাত সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ বলেনঃ
الْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَجَعَلَ الظُّلُمَاتِ وَالنُّورَ ثُمَّ الَّذِينَ كَفَرُواْ بِرَبِّهِم يَعْدِلُونَ
সর্ববিধ প্রশংসা আল্লাহরই জন্য যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন এবং অন্ধকার ও আলোর উদ্ভব করেছেন। তথাপি কাফেররা স্বীয় পালনকর্তার সাথে অন্যান্যকে সমতুল্য স্থির করে।
(৬:১)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আসমানের নিচে জ্যোতি বিনির্গত করেন বুধবারে বা চতুর্থ দিনে। সেটা শুধুই আসমান ও যমীন সৃষ্টির পর। যমীনে পর্বত প্রোথিতকরন এবং সূর্য-চন্দ্র, নক্ষত্রমালা সৃষ্টির বহু আগেই দিবালোকের ব্যবস্থা করেন।
This we were told by Hannad b. al-Sari-Abu Bakr b. 'Ayyash-Abu Sa'd al-Baqqal-'Ikrimah Ibn 'Abbas-the Prophet. As transmitted by Abu Hurayrah, the Prophet said: God created light on Wednesday.426
This I was told by al-Qasim b. Bishr and al-Husayn b. 'Ali-IIajjaj b. Muhammad-Ibn Jurayj Ismail b. Umayyah-Ayyub b. Khalid-'Abdallah b. Rafi'-Abu Hurayrah-the Prophet: God created light on Wednesday.
He created the light on Wednesday. I was told this by al-Qasim b. Bishr b. Ma'ruf and al-Husayn b. 'All al-Suda'i-Hajjaj-Ibn Surayj-Ismail b. Umayyah-Ayyub b. Khalid-Abdallah b. Rafi', the mawla of Umm Salamah-Abu Hurayrah-the Prophet.
[History of imam Tabari]
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বৃহস্পতিবার উপরে উত্থিত ধুম্রকুঞ্জ থেকে সলিড আসমানে পরিনত করে স্তরে স্তরে সজ্জিত করেন।
Thursday: He created on it the heavens, which were compressed but then were split,373 as I was told by Musa b. Harun- 'Amr b. Hammad-Asbat-al-Suddi-Abu Malik and Abu Salih Ibn 'Abbas. Also (al-Suddi)-Murrah al-Hamdani-'Abdallah b. Masud and some (other) companions of the Prophet (commenting on): "Then He stretched out straight toward heaven, which was smokei374 -that smoke came from the water 's breathing- and made it into one heaven . Then He split ( this one heaven) into seven heavens on two days, Thursday and Friday.
According to al-Muthanna-Abu Salih ('Abdallah b. Silih) -Abu Ma'shar-Sa'id b. Abi Said-'Abdallah b. Salim: God created the heavens on Thursday and Friday, and He finished in the last hour of Friday, in which He created Adam in haste. This is the hour in which the Hour will come.
[History of Imam Tabari]
যেহেতু বৃহস্পতিবার আসমানকে সাত স্তরে সুসজ্জিত করা হয় সেহেতু চাঁদ সূর্য নক্ষত্রদের অস্তিত্ব এর আগে কল্পনা করা যায় না। শুক্রবারের শেষ প্রহরে তিনঘন্টা বাকি থাকতে চাঁদ সূর্য নক্ষত্র সৃষ্টি করা হয়। সুতরাং ছয়দিনের প্রায় শেষ ৩ দিন অর্থাৎ বুধবার থেকে সূর্যোদয় ছাড়াই রাত দিন আবর্তিত হয়।
As transmitted on (Ibn 'Abbas') authority, (the Prophet) said: God created the sun, the moon, the stars, and the angels on Friday, until three hours remained of it.
Abu Bakr b. 'Ayyash-Abu Said (!) al-Baggal-`Ikrimah-Ibn 'Abbas-the Prophet: On Thursday He created heaven. On Friday He created the stars, the sun, the moon,[…]
[History of Imam Tabari]
ইমাম ইবনে জারির তাবারি রহিমাহুল্লাহ এ ব্যপারে আসা হাদিসের ব্যপারে বলেনঃ
Abu Ja'far (al-Tabari) says: Regarding this, the correct statement, in our opinion, is the one of those who said : God created the earth on Sunday. He created the heaven on Thursday, and He created the stars and the sun and the moon on Friday. (We consider it correct) because of the soundness of the report mentioned by us earlier on the authority of Ibn 'Abbas from the Messenger of God. The tradition transmitted to us on the authority of Ibn 'Abbas is not impossible .[……]
[History of Imam Tabari]
এই হাদিস গুলো প্রমান করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আসমান যমীনে সর্বপ্রথম অন্ধকারের সৃষ্টি করেন এবং এরপরে আলো সৃষ্টি করেন। চতুর্থদিনে এতে জ্যোতিবিনির্গত করেন। অতঃপর সৃষ্টিকার্য সমাপ্তের শেষ প্রহরে সূর্য, চন্দ্র ও তারকারাজি সৃষ্টি করেন। অর্থাৎ সূর্যের সৃষ্টির পূর্বে প্রায় ৩০০০ বছরের মত সময় যাবৎ দিবারাত্রি আবর্তিত হত। এতে এটা সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় প্রভাত রশ্মির উন্মেষে সূর্যের ভূমিকা নেই, যেটা হেলিওসেন্ট্রিক প্যাগান কস্মোলজি শিক্ষা দেয়। দিবা-রাত্রি সূর্যের থেকে স্বাধীন। প্রায় ৩০০০ হাজার বছর এজন্যই বলছি যে আল্লাহর সৃষ্টিকার্যের ছয়দিনের একদিন=আমাদের হিসাবের ১০০০ বছর। সুতরাং বুধ থেকে শুক্র পর্যন্ত প্রায় ৩০০০ বছর।
According to Ibn Humayd-Hakkam392 -'Anbasah393 -Simak394 -'Ikrimah-Ibn 'Abbas, commenting on: God "created the heavens and the earth in six days"395 -of which each day is like "one thousand years of your counting."396
[History of Imam Tabari]
অতএব,দিনরাত্রি আল্লাহর স্বতন্ত্র বিস্ময়কর সৃষ্টি। দিবারাত্রি সূর্য-চন্দ্রের ন্যায় ফালাকে আবর্তন করে। চন্দ্র সূর্যের আগে যেতে পারে না, দিন রাত্রির আগে যেতে পারে না, প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে সন্তরন করছে।আল্লাহ বলেনঃ
لَا الشَّمْسُ يَنبَغِي لَهَا أَن تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে(৩৬:৪০)
আল্লাহ অন্যত্র বলেনঃ
وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।
(২১:৩৩)
আমরা গত পর্বে চন্দ্র সূর্যের সমান্তরাল অবস্থানে থেকে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ফালাকে আবর্তনের কথা উল্লেখ করেছিলাম। উপরের আয়াত দুটি এর কথাই বলে। বিষয়টা শুধু চাঁদ সূর্য নয় দিবা-রাত্রির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। দিন রাত্রিও চাঁদ সূর্যের মত একে অন্যের পিছনে সন্তরণরত। আল্লাহ বলেনঃ
إِنَّ رَبَّكُمُ اللّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُهُ حَثِيثًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُومَ مُسَخَّرَاتٍ بِأَمْرِهِ أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ تَبَارَكَ اللّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ
নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশের উপর অধিষ্টিত হয়েছেন। তিনি পরিয়ে দেন রাতের উপর দিনকে এমতাবস্থায় যে, দিন দৌড়ে রাতের পিছনে আসে। তিনি সৃষ্টি করেছেন সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্র দৌড় স্বীয় আদেশের অনুগামী। শুনে রেখ, তাঁরই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা। আল্লাহ, বরকতময় যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক।(৭:৫৪)
আয়াতে উল্লিখিত চাঁদ সূর্য, দিন রাত্রিকে একে অন্যের উপর নির্ভরশীলতা প্রমানের অনেকে বৃথা চেষ্টা চালাবেন,তাদেরকে বলি, চাদের সাথে রাতের এবং সূর্যের উপর দিনের নির্ভরশীলতা বোঝানো হলে ক্রমধারা এরূপ হত যেঃ চাঁদ-সূর্য এবং রাত্রি-দিন অথবা দিন-রাত্রি এবং সূর্য-চন্দ্র। কিন্তু আল্লাহ ক্রমধারা বজায় রাখেন নি। অর্থাৎ এর মানে দাঁড়ায় সবগুলি একে অন্যের থেকে স্বাধীন। দিন-রাত্রির সমান্তরালে(একের পিছনে আরেকটির) আবর্তনের দৃশ্য পর্যবেক্ষণযোগ্য। দিন রাত্রির পাশাপাশি অবস্থানের দৃশ্য একটি সমুদ্রে অবস্থানকারী জাহাজ থেকে কেউ একজন ধারন করে। এতে স্পষ্টভাবে দেখা যায় একদিকে দিনের গোধূলির আলো অন্যদিকে রাতের নিকষ আঁধারের চাদর। প্রচলিত বিজ্ঞানে এর ব্যাখ্যা নেই। তবে কুরআন সুন্নাহ ফেনোমেনার মূল কারন সম্পর্কে বলে। দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=xdBR3tDXyVw
আল্লাহই দিন ও রাত্রিকে একটিকে অন্যটির মধ্যে প্রবিষ্ট করেন। আল্লাহ বলেনঃ
تُولِجُ اللَّيْلَ فِي الْنَّهَارِ وَتُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الَمَيَّتَ مِنَ الْحَيِّ وَتَرْزُقُ مَن تَشَاء بِغَيْرِ حِسَابٍ
তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দাও। আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করে আন এবং মৃতকে জীবিতের ভেতর থেকে বের কর। আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান কর
(৩:২৭)
يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَهُوَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করেন রাত্রিতে। তিনি অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কেও সম্যক জ্ঞাত
(৫৭:৬)
ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَأَنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ
এটা এ জন্যে যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিনের মধ্যে এবং দিনকে রাত্রির মধ্য দাখিল করে দেন এবং আল্লাহ সবকিছু শোনেন, দেখেন
(২২:৬১)
يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي لِأَجَلٍ مُّسَمًّى ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ لَهُ الْمُلْكُ وَالَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِهِ مَا يَمْلِكُونَ مِن قِطْمِيرٍ
তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন। তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকটি আবর্তন করে এক নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত। ইনি আল্লাহ; তোমাদের পালনকর্তা, সাম্রাজ্য তাঁরই। তাঁর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা তুচ্ছ খেজুর আঁটিরও অধিকারী নয়
(৩৫:১৩)
وَآيَةٌ لَّهُمْ اللَّيْلُ نَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَإِذَا هُم مُّظْلِمُونَ
তাদের জন্যে এক নিদর্শন রাত্রি, আমি তা থেকে দিনকে অপসারিত করি, তখনই তারা অন্ধকারে থেকে যায়
(৩৬:৩৭)
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي إِلَى أَجَلٍ مُّسَمًّى وَأَنَّ اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন? তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে। তুমি কি আরও দেখ না যে, তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন?(৩১:২৯)
يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَهُوَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করেন রাত্রিতে। তিনি অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কেও সম্যক জ্ঞাত(৫৭:৬)
خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ يُكَوِّرُ اللَّيْلَ عَلَى النَّهَارِ وَيُكَوِّرُ النَّهَارَ عَلَى اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي لِأَجَلٍ مُسَمًّى أَلَا هُوَ الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ
তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল(৩৯:৫)
তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল(৩৯:৫)
এটা সেই আয়াত যেটা দ্বারা আলিমদের একদল কাফিরদের বলা গোলাকৃতি পৃথিবীর অসত্য ধারনাকে সত্যায়ন করতে দলিল বানিয়ে নিয়েছে। অথচ এই আয়াতে পৃথিবীর আকৃতির ব্যপারে কিছুই বলে না। যেটা বলে সেটা দিবা রাত্রির আবর্তন।
শাইখ ইবনে উসাইমীন(রহঃ) বলেনঃ
The earth is round, based on the evidence of the Qur’an, reality, and scientific views. The evidence of the Qur’an is the verse in which Allah, may He be exalted, says (interpretation of the meaning):
“He created the heavens and earth for a true purpose; He wraps the night around [yukawwir] the day and the day around the night”[az-Zumar 39:5].
The word yukawwir (translated here as “wraps around” means to make something round, like a turban. It is well-known that night and day follow one another on earth, which implies that the Earth is round, because if you wrap one thing around another thing, and the thing that it is wrapped around is the Earth, then Earth must be round.
ইবনে উসাইমীন (রহঃ) যে সাইন্সের অনুসরন করেছেন সেটা তিনি প্রথমেই স্পষ্ট করেই বলেছেন। এই বিজ্ঞান ঘেষা বিশ্বাসকে ভ্যালিড করতে কুরআনের সূরা যুমারের ৫ নং আয়াতকে ব্যবহার করেছেন। তার যুক্তি হচ্ছে Yukawwir শব্দটি দ্বারা কোনরূপ বর্তুলাকৃতিকে(sphericity) নির্দেশ করে। যদিও এখানে যমীনের ব্যপারে কিছুই বলা হচ্ছে না, তিনি জোড় করে যমীনের দিকে চাপিয়ে দিচ্ছেন।
“He created the heavens and earth for a true purpose; He wraps the night around [yukawwir] the day and the day around the night”[az-Zumar 39:5].
The word yukawwir (translated here as “wraps around” means to make something round, like a turban. It is well-known that night and day follow one another on earth, which implies that the Earth is round, because if you wrap one thing around another thing, and the thing that it is wrapped around is the Earth, then Earth must be round.
Fataawa Noor ‘ala ad-Darb
আমরা উপরে দলিলগুলোকে উল্লেখ করেছি যে দিবারাত্রি আসমানের ফালাকে সন্তরনশীল(21:33)। হাদিসে যে আধাঁরের পর্দা সঞ্চালনের কথা এসেছে সেটাও আসমানের তরঙ্গের সাথে সংশ্লিষ্ট। অর্থাৎ দিবারাত্রির আলো আঁধার আসমানের সাথে সম্পর্কিত। আমরা বিগত পর্বগুলোয় আসমানের গম্বুজাকৃতির ব্যপারে আসা শারঈ দলিল গুলো উল্লেখ করেছি। গম্বুজাকৃতি বা ডোম স্ট্রাকচার একটি সেমি স্ফেরিক্যাল স্ট্র্যাকচার। অর্থাৎ অর্ধবর্তুলাকার। এই অর্ধবর্তুলাকার ছাদে দিন রাত্রির আলো-আঁধারি একে অপরকে মুড়িয়ে(wrapping) দেয় বা আচ্ছাদিত করে। Vaulted Dome shaped আসমানের কার্ভাচারের উপরে দিন রাত্রির আচ্ছাদনের বর্ননার জন্য সবচেয়ে যথার্থ শব্দ Yukawwir(Wrap), যেটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা এ আয়াতে ব্যবহার করেছেন। এখানে যমীনের সাথে কোনরূপ সম্পর্কই নেই। এজন্য এই আয়াতকে পৃথিবী গোলাকার হবার সম্ভাব্য দলিল হিসেবেও গ্রহন করার বিষয়টি খুব অবাক করে। তারা আসমান বাদ দিয়ে যমীনকে মনে করেছে, যদিও যমীনের সাথে এর দূরতম সম্পর্কও নেই। এই আয়াতটিকে দলিল হিসেবে শুধু উসাইমীন(রহঃ) একা নন, তার পূর্বে ইবনে হাযমও নিয়েছেন। বিস্তারিতঃ
আল্লাহ যেরূপে আলোকে ভিন্নভাবে সৃষ্টি করেছেন তদ্রুপ অন্ধকারকেও। সুদীর্ঘ এক হাদিসে রাত্রি আবর্তনের ব্যপারে বর্ননা এসেছে। ফেরেশতারা একটা সুবিশাল আধারের পর্দাকে আসমানের তরঙ্গের ভেতরের কক্ষপথে টেনে নিয়ে যায়। অতঃপর যার উপর দিয়ে সেটা অতিক্রম করে তাকে সে আচ্ছন্ন করে। ফেরেশতারা সেই পর্দাকে যমীনের উপর দুই প্রান্তে গিয়ে টেনে পূর্ব থেকে পশ্চিমে নিয়ে যায়। এভাবে প্রতিদিন রাত হয়। কিয়ামত পর্যন্ত নির্ধারিত সংখ্যক আধারের চাদর পশ্চিমে পৌছানোর কাজে রত থাকবে। হাদিসটিঃ
Ibn 'Abbas said that 'Ali b. Abi Talib said to the Messenger of God: You are like my father and my mother! [………] He continued. In the east, God places a veil of darkness on the
seventh ocean according to the number of nights from the day God created this world until the day when this world will be cut off.At sunset, an angel entrusted with the night comes and grabs a handful of the veil's darkness. He then moves toward the west,all the time gradually releasing some of the darkness through the interstices of his fingers, watching out for the twilight. When the twilight has disappeared, the angel releases all the darkness. He then spreads out his two wings. They reach the two sides of the earth and the two rims of heaven and pass outside in the air as far as God wishes. The angel drives the darkness of the night with his wings, praising and sanctifying God with prayer, until he reaches the west. When he has reached the west, morning dawns from the east. The angel puts together his wings, then puts together the parts of the darkness one by one in his palms, then grabs in one palm as much of the darkness as he had taken from the veil (of darkness) in the east, and places it in the west on the seventh ocean. From there comes the darkness of the night. When the veil is transported (completely) from east to west, [70] the Trumpet is blown, and this world comes to its end. The luminosity of the day comes from the east, and the darkness of the night comes from that veil . The sun and the moon always continue this way from rising to setting, and on to their being raised to the highest, seventh heaven and their being held underneath the Throne[……]
[History of Imam Tabari]
অতএব এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে রাত্রির আধাঁর আল্লাহরই স্বতন্ত্র সৃষ্টি। হয়ত এজন্যই বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা রাতকে আচ্ছন্নকারী আবরণ বলেছেন। আল্লাহ বলেনঃ
وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ لِبَاسًا
রাত্রিকে করেছি আবরণ।(৭৮:১০)
আল্লাহ অন্যত্র বলেনঃ
وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى
শপথ রাত্রির, যখন সে আচ্ছন্ন করে,
وَالنَّهَارِ إِذَا تَجَلَّى
শপথ দিনের, যখন সে আলোকিত হয় (৯২:১-২)
অন্ধকারকে যেরূপে আল্লাহ যমীনের উপর ছড়িয়ে দেন। হয়ত আলোর ক্ষেত্রেও তদ্রুপ কিছু একটা ঘটে। আল্লাহ ভাল জানেন। পশ্চিমের অর্থোডক্স ইহুদী ও খ্রিষ্টানদের স্বল্পসংখ্যক বিশ্বাস করে দিনের আলো তৈরি হয় একটি বিশেষ গ্যাসের কারনে।দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=3GZhj9BbIXc
ওদের কাছে এ বিশ্বাসের দলিল হচ্ছে বিকৃত তাওরাতের প্রথম দিকের কিছু ভার্স। এগুলো হচ্ছে ইহুদীদের নিকট আসা সৃষ্টিতত্ত্বের জ্ঞানের উৎস যা তারা আল্লাহর রাসূল(সাঃ) এর জীবদ্দশায় তার নব্যুয়তের সত্যয়নের পরীক্ষায় ব্যবহার করত। তারা আল্লাহর রাসূল(সাঃ) বর্ননার সাথে সাদৃশ্যতা পেয়ে আল্লাহর রাসূল(সাঃ) এর কথার সত্যতার স্বীকৃতি দিত। এখান থেকেই কিতাব বিকৃত করে ওরা sabbath এর প্রথা চালু করে।
ইহুদীদের তাওরাতে উল্লিখিত এ ভার্সগুলো ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্বের সাথে প্রায় শতভাগ সঙ্গতিপূর্ণ। এটা এরূপ যেন গোটা বিষয়টার সারমর্ম একত্রে দেওয়া। সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যপারে আসা কুরআন ও সুন্নাহর সকল দলিল সামনে রাখলে দেখলে মনে হবে, এটা যেন তাওরাতে আসা সৃষ্টিতত্ত্বের কথাই পুনরায় বলছে। আমরা বিগত পর্বগুলোয় যার আলোচনা বিশদভাবে করছি, সেটাই যেন ওখানে আছে। তাওরাতে এই ভার্সগুলো নিন্মরূপঃ
בְּרֵאשִׁית[Bereshit:1-19]
তাওরাতের সাথে সৃষ্টিতত্ত্বের এই সাদৃশ্যতা খুবই স্বাভাবিক,ইহুদীরা যখন আল্লাহর রাসূল(সাঃ) কে এ ব্যপারে প্রশ্ন করছিল,তখন তারা তাদের কিতাবের সাথে সাদৃশ্যতা পেয়ে সত্যতার স্বীকৃতি দিচ্ছিল। আমরা বিকৃত তাওরাতেও দেখতে পাচ্ছি যে , আল্লাহ আসমান যমীন সৃষ্টির পরই আলো আধারের সৃষ্টি করেন এবং পরবর্তীতে বুধবার(চতুর্থদিনে) আবারো দিনরাত্রিকে সৃষ্টি করেন। এটা দিবালোককে সূর্যের থেকে স্বাধীন সাব্যস্ত করে।আল্লাহ আলো আধার, দিন রাত্রি আসমানে সূর্যের সৃষ্টির আগেই সৃষ্টি করেছিলেন। ওয়া আল্লাহু আ'লাম।
আসমানে প্রভাতের(দিবালোকের শুরু) গোধূলির আলো আল্লাহর স্বতন্ত্র সৃষ্টি। বিষয়টা পর্যবেক্ষনযোগ্য।প্রত্যুষের আলোকপ্রভা পুরা আকাশের হোরাইজনে বিস্তৃত থাকে। শুধু পূর্বেই না পশ্চিম দিকের দৃষ্টিসীমার শেষ পর্যন্ত সেটা লক্ষ্য করা যায়,যদিও এ অবস্থার প্রায় আধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা পর সূর্য উদিত হয়।দিবালোকের স্বাতন্ত্র্য অনুভব করা যায় সূর্যগ্রহনের সময় এবং ঘন মেঘাচ্ছন্ন বৃষ্টিমুখর দিনে। সূর্য সম্পূর্ণভাবে ঢাকা পড়ে, এমনকি আসমানের যে অংশে সূর্যের অবস্থান, সেখানের সাথে বিপরীত দিকের আলোকজ্জলতা একই রকমের থাকে।এটা প্রমান করে দিবালোকের স্বতন্ত্র আলো সূর্যের চেয়ে অধিক বিস্তৃত। সূর্য তো সামান্য মেঘের আড়ালেই ঢাকা পড়ে যায়। অধিকন্তু সূর্যের আলো লোকাল।এরকম অনেক প্রমান আছে যে সূর্যের ঠিক নিচের মেঘের উপর সার্কুলার হটস্পট দেখা যায়(এসব নিয়ে 'জিওসেন্ট্রিক কস্মোলজিতে' আলোচনা গত হয়েছে)। সূর্যের ন্যায় চাঁদও মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়ে আলোসহ হারিয়ে যায়।তখন ঘুটঘুটে অন্ধকারে চাদের সামান্য আলোও মেঘের আশপাশ থেকে দেখা দেখা যায় না।যেন চাঁদ ওঠেই নি। পূর্নিমার চাঁদের আলোকেও মেঘলা আকাশ ঢেকে দিয়ে অন্ধকার করে দেয়,তখন অন্ধকার ছাড়া কিছুই থাকেনা কারন রাত্রির আবরন সর্বত্র বিরাজ করে কিন্তু দিনের বেলায় ঘন মেঘের আড়ালে প্রখর সূর্য ঢাকা পড়লেও দিবসের আলো রাত্রির ন্যায় অন্ধকার হতে দেয় না,নূন্যতম গোধূলি/সুবহে সাদিকের ন্যায় আলো টিকে থাকে। সূর্যকে আল্লাহ মূলত হিসাবের জন্য সৃষ্টি করেছেন। দিন সৃষ্টি এর কাজ নয়, তবে দিবালোক আরো প্রখর এবং উজ্জ্বল করে সূর্যরশ্মি। আল্লাহ বলেনঃ
فَالِقُ الإِصْبَاحِ وَجَعَلَ اللَّيْلَ سَكَنًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ حُسْبَانًا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ
তিনি প্রভাত রশ্মির উন্মেষক। তিনি রাত্রিকে আরামদায়ক করেছেন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে হিসেবের জন্য রেখেছেন। এটি পরাক্রান্ত, মহাজ্ঞানীর নির্ধারণ(৬:৯৬)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বিভিন্ন স্থানে দিন ও রাত্রির শপথ করেছেন, যেগুলো দিবারাত্রিকে স্বতন্ত্র সৃষ্টি হিসেবে নির্দেশ করে। আল্লাহ বলেনঃ
وَالضُّحَى
শপথ পূর্বাহ্নের,
وَاللَّيْلِ إِذَا سَجَى
শপথ রাত্রির যখন তা গভীর হয়(৯৩:১-২),
وَاللَّيْلِ إِذَا عَسْعَسَ
শপথ নিশাবসান ও
وَالصُّبْحِ إِذَا تَنَفَّسَ
প্রভাত আগমন কালের(৮১:১৭-১৮)
وَاللَّيْلِ إِذْ أَدْبَرَ
শপথ রাত্রির যখন তার অবসান হয়,
وَالصُّبْحِ إِذَا أَسْفَرَ
শপথ প্রভাতকালের যখন তা আলোকোদ্ভাসিত হয়
(৭৪:৩৩-৩৪)
আল্লাহ চাইলেই এই দিন বা রাত্রিকে কিয়ামত পর্যন্ত বর্ধিত করতে পারেন। রাতকে এরূপ কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী করলে নরওয়ে, সাইবেরিয়ার মত মধ্যরাতে সূর্য দেখার ঘটনা ঘটতে পারে। তেমনি দিনকে কিয়ামত পর্যন্ত লম্বা করলে হয় চাঁদ সূর্যকে নিয়মিত আবর্তিত হতে দেখা যাবে কিন্তু সূর্যাস্তের পরেও গোধূলির আলো বিদ্যমান থাকবে। ওয়া আল্লাহু আ'লাম।আল্লাহ বলেনঃ
قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِن جَعَلَ اللَّهُ عَلَيْكُمُ اللَّيْلَ سَرْمَدًا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ مَنْ إِلَهٌ غَيْرُ اللَّهِ يَأْتِيكُم بِضِيَاء أَفَلَا تَسْمَعُونَ
বলুন, ভেবে দেখ তো, আল্লাহ যদি রাত্রিকে কেয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করেন, তবে আল্লাহ ব্যতীত এমন উপাস্য কে আছে, যে তোমাদেরকে আলোক দান করতে পারে? তোমরা কি তবুও কর্ণপাত করবে না?
قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِن جَعَلَ اللَّهُ عَلَيْكُمُ النَّهَارَ سَرْمَدًا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ مَنْ إِلَهٌ غَيْرُ اللَّهِ يَأْتِيكُم بِلَيْلٍ تَسْكُنُونَ فِيهِ أَفَلَا تُبْصِرُونَ
বলুন, ভেবে দেখ তো, আল্লাহ যদি দিনকে কেয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করেন, তবে আল্লাহ ব্যতীত এমন উপাস্য কে আছে যে, তোমাদেরকে রাত্রি দান করতে পারে, যাতে তোমরা বিশ্রাম করবে ? তোমরা কি তবুও ভেবে দেখবে না ?
وَمِن رَّحْمَتِهِ جَعَلَ لَكُمُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ لِتَسْكُنُوا فِيهِ وَلِتَبْتَغُوا مِن فَضْلِهِ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
তিনিই স্বীয় রহমতে তোমাদের জন্যে রাত ও দিন করেছেন, যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম গ্রহণ কর ও তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর(২৮:৭১-৭৩)
বলুন, ভেবে দেখ তো, আল্লাহ যদি রাত্রিকে কেয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করেন, তবে আল্লাহ ব্যতীত এমন উপাস্য কে আছে, যে তোমাদেরকে আলোক দান করতে পারে? তোমরা কি তবুও কর্ণপাত করবে না?
قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِن جَعَلَ اللَّهُ عَلَيْكُمُ النَّهَارَ سَرْمَدًا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ مَنْ إِلَهٌ غَيْرُ اللَّهِ يَأْتِيكُم بِلَيْلٍ تَسْكُنُونَ فِيهِ أَفَلَا تُبْصِرُونَ
বলুন, ভেবে দেখ তো, আল্লাহ যদি দিনকে কেয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করেন, তবে আল্লাহ ব্যতীত এমন উপাস্য কে আছে যে, তোমাদেরকে রাত্রি দান করতে পারে, যাতে তোমরা বিশ্রাম করবে ? তোমরা কি তবুও ভেবে দেখবে না ?
وَمِن رَّحْمَتِهِ جَعَلَ لَكُمُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ لِتَسْكُنُوا فِيهِ وَلِتَبْتَغُوا مِن فَضْلِهِ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
তিনিই স্বীয় রহমতে তোমাদের জন্যে রাত ও দিন করেছেন, যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম গ্রহণ কর ও তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর(২৮:৭১-৭৩)
আমাদের নিচেও আরো ছয়টি আমাদের পৃথিবীর ন্যায় ছয়টি সমতলে বিস্তৃত স্তর আছে। প্রত্যেকটিতে মাখলুক রয়েছে। সেখানে হয়ত চাঁদ সূর্য নেই, যেহেতু এমন কোন দলিল পাওয়া যায় না যেটা চাঁদ সূর্যকে একাধিক বলে। হয়ত নিচের যমীনগুলোতেও দিবারাত্রির আবর্তন ঘটে অথবা সেখানে আল্লাহ স্থায়ী গোধূলির আলোর(twilight) ব্যবস্থা রেখেছেন। ওয়া আল্লাহু আ'লাম।
আজকের সৌরজগত ভিত্তিক বিবর্তনবাদী সৃষ্টিতত্ত্ব আমাদেরকে শেখায় দিনরাত্রি পৃথিবীর ঘূর্ননের কারনে সূর্যের আড়ালে চলে যাবার দরুন ঘটছে। এ কারনে অনেক মুসলিম অপবিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিকতা দেখতে পেয়ে প্রশ্ন করে। কিন্তু তাদের প্রশ্নের জবাব সেইভাবেই সায়েন্টিফিক স্ট্যান্ডার্ড ঠিক রেখে দেওয়া হয়। কোন এক মুসলিম প্রশ্ন করে,'কেন কুরআনে রাতকে পর্দার ন্যায় টানার কথা আল্লাহ বলেছেন , যেখানে রাত্রিকে পৃথিবীর ঘূর্ননের দরুন হওয়া স্পেসের অন্ধকার বলা হয়?'
সেখানে অনেক মুসলিম বিচিত্র সায়েন্টিফিক উত্তর দিয়েছে। আপনারা দেখতে ভুলবেন না।
https://www.quora.com/Why-does-Quran-say-that-night-is-a-veil-pulled-over-day-by-Allah-when-night-is-just-the-darkness-of-space-as-seen-from-the-earth-due-its-rotation
আমি জানি আজকের এই পর্ব এমন একটি বিষয় নিয়ে লেখা যেটার সপক্ষে স্পষ্টভাবে সুদ্দি রহিমাহুল্লাহসহ আরো দু একজন আলিম/মুফাসসীরিন ছাড়া আর কেউ তেমন কিছু বলেন নি। কিন্তু আমাদের কাছে কুরআন সুন্নাহর সুস্পষ্ট দলিল আছে যা উপরে উল্লেখ করেছি। আমরা ঐ সমস্ত সম্মানিত আলিমদের ব্যপারে সচেতন যারা কিছু বিষয়ে অনুমান নির্ভর সামান্য ভিন্নমত পোষন করেছেন। এসব তথ্য সম্পূর্ন গায়েবের বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট, এর ব্যপারে আল্লাহই উত্তম জানেন। আল্লাহ যা আমাদের জানিয়েছেন এখানে তাই প্রকাশের চেষ্টা মাত্র। তাই এ বিষয়ে যেকোনরূপ ভুল ত্রুটির জন্য আল্লাহ আযযা ওয়াযালের নিকট বিনীত ক্ষমা প্রার্থনা করি।
আফসোসের বিষয় হচ্ছে এ যুগের মানুষ আল্লাহ, যিনি আসমান ও যমীন এবং সমস্ত আলামের মালিক সেই মহান প্রতিপালকের বলা সত্যিকারে সৃষ্টিতত্ত্বকে অবিশ্বাস করে। এ অবস্থা আজ অধিকাংশই কালেমা পড়া মুসলিমদেরও অবস্থা। এই সৃষ্টিতত্ত্ব সংক্রান্ত দলিলভিত্তিক আর্টিকেল সিরিজ ব্যাধিহীন পবিত্র হৃদয়ের মুত্তাকী বান্দার জ্ঞানের জন্য উপকারী যারা রহমান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার সৃষ্টি নিয়ে তাদাব্বুর করে। কলুষিত হৃদয়ের বান্দাদের জন্য এটা ক্ষতির কারনও হতে পারে যেহেতু তারা অপবৈজ্ঞানিক চিন্তাধারাকে সত্য বলে মেনে নিয়েছে এবং কাফিরদের কথায় অন্ধভাবে বিশ্বাস স্থাপন করেছে। এখন হক্ক বিষয়ও ফিতনার কারন হতে পারে। কুরআন-সুন্নাহর কস্মোলজিক্যাল বিষয় এ পর্যন্ত অনেক মুসলিমের(ফাসিক/মুনাফিকের) এ্যাপোস্টেসির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। এরকম অজস্র মুর্তাদ ঘুরছে যারা শুধুমাত্র অপবিজ্ঞানের সাথে সত্যিকারের জ্ঞানের রশ্মি কুরআনের বৈসাদৃশ্যতা দেখে কাফির হয়ে গেছে। এজন্য এসব আমভাবে যার তার কাছে প্রচার এবং এর কোন কিছুকে রেফারেন্স করে অহেতুক তর্ক বিতর্ক এড়ানোর জন্য সকলের কাছে অনুরোধ করি।
বিগত পর্বগুলোর লিংকঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2019/03/article-series_85.html
আজকের সৌরজগত ভিত্তিক বিবর্তনবাদী সৃষ্টিতত্ত্ব আমাদেরকে শেখায় দিনরাত্রি পৃথিবীর ঘূর্ননের কারনে সূর্যের আড়ালে চলে যাবার দরুন ঘটছে। এ কারনে অনেক মুসলিম অপবিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিকতা দেখতে পেয়ে প্রশ্ন করে। কিন্তু তাদের প্রশ্নের জবাব সেইভাবেই সায়েন্টিফিক স্ট্যান্ডার্ড ঠিক রেখে দেওয়া হয়। কোন এক মুসলিম প্রশ্ন করে,'কেন কুরআনে রাতকে পর্দার ন্যায় টানার কথা আল্লাহ বলেছেন , যেখানে রাত্রিকে পৃথিবীর ঘূর্ননের দরুন হওয়া স্পেসের অন্ধকার বলা হয়?'
সেখানে অনেক মুসলিম বিচিত্র সায়েন্টিফিক উত্তর দিয়েছে। আপনারা দেখতে ভুলবেন না।
আমি জানি আজকের এই পর্ব এমন একটি বিষয় নিয়ে লেখা যেটার সপক্ষে স্পষ্টভাবে সুদ্দি রহিমাহুল্লাহসহ আরো দু একজন আলিম/মুফাসসীরিন ছাড়া আর কেউ তেমন কিছু বলেন নি। কিন্তু আমাদের কাছে কুরআন সুন্নাহর সুস্পষ্ট দলিল আছে যা উপরে উল্লেখ করেছি। আমরা ঐ সমস্ত সম্মানিত আলিমদের ব্যপারে সচেতন যারা কিছু বিষয়ে অনুমান নির্ভর সামান্য ভিন্নমত পোষন করেছেন। এসব তথ্য সম্পূর্ন গায়েবের বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট, এর ব্যপারে আল্লাহই উত্তম জানেন। আল্লাহ যা আমাদের জানিয়েছেন এখানে তাই প্রকাশের চেষ্টা মাত্র। তাই এ বিষয়ে যেকোনরূপ ভুল ত্রুটির জন্য আল্লাহ আযযা ওয়াযালের নিকট বিনীত ক্ষমা প্রার্থনা করি।
আফসোসের বিষয় হচ্ছে এ যুগের মানুষ আল্লাহ, যিনি আসমান ও যমীন এবং সমস্ত আলামের মালিক সেই মহান প্রতিপালকের বলা সত্যিকারে সৃষ্টিতত্ত্বকে অবিশ্বাস করে। এ অবস্থা আজ অধিকাংশই কালেমা পড়া মুসলিমদেরও অবস্থা। এই সৃষ্টিতত্ত্ব সংক্রান্ত দলিলভিত্তিক আর্টিকেল সিরিজ ব্যাধিহীন পবিত্র হৃদয়ের মুত্তাকী বান্দার জ্ঞানের জন্য উপকারী যারা রহমান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার সৃষ্টি নিয়ে তাদাব্বুর করে। কলুষিত হৃদয়ের বান্দাদের জন্য এটা ক্ষতির কারনও হতে পারে যেহেতু তারা অপবৈজ্ঞানিক চিন্তাধারাকে সত্য বলে মেনে নিয়েছে এবং কাফিরদের কথায় অন্ধভাবে বিশ্বাস স্থাপন করেছে। এখন হক্ক বিষয়ও ফিতনার কারন হতে পারে। কুরআন-সুন্নাহর কস্মোলজিক্যাল বিষয় এ পর্যন্ত অনেক মুসলিমের(ফাসিক/মুনাফিকের) এ্যাপোস্টেসির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। এরকম অজস্র মুর্তাদ ঘুরছে যারা শুধুমাত্র অপবিজ্ঞানের সাথে সত্যিকারের জ্ঞানের রশ্মি কুরআনের বৈসাদৃশ্যতা দেখে কাফির হয়ে গেছে। এজন্য এসব আমভাবে যার তার কাছে প্রচার এবং এর কোন কিছুকে রেফারেন্স করে অহেতুক তর্ক বিতর্ক এড়ানোর জন্য সকলের কাছে অনুরোধ করি।
ওয়া আল্লাহু আ'লাম
[চলবে ইনশাআল্লাহ…]
বিগত পর্বগুলোর লিংকঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2019/03/article-series_85.html