Saturday, April 13, 2019

৬.ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্ব[আসমান]

পর্ব-৬ 

-গম্বুজাকৃতির আসমান-

সুউচ্চ জমাট ঢেউ ও সুরক্ষিত মজবুত ছাদ




আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা পৃথিবীর উপর স্তম্ভবিহীন ছাদ হিসেবে আসমানকে সৃষ্টি করেছেন। আসমানের সংখ্যা ৭ টি। একটি অপরের উপর। অর্থাৎ মোট সাতটি স্তর। আল্লাহ পবিত্র কুরআন মাজীদে ইরশাদ করেনঃ
هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي الأَرْضِ جَمِيعاً ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاء فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত।[সূরা বাকারা ২৯]

وَبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًا
নির্মান করেছি তোমাদের মাথার উপর মজবুত সপ্ত-আকাশ[নাবা ১২]


উপরিউক্ত হাদিসে ৫০০ বছরের দূরত্বের কথা উল্লেখ থাকলেও অপর এক হাদিসে ৭১, ৭২ বা ৭৩ বছরের দূরত্বের কথা বলা হয়েছে।

حدثنا محمد بن يحيى، حدثنا محمد بن الصباح، حدثنا الوليد بن أبي ثور الهمداني، عن سماك، عن عبد الله بن عميرة، عن الأحنف بن قيس، عن العباس بن عبد المطلب، قال كنت بالبطحاء في عصابة وفيهم رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ فمرت به سحابة فنظر إليها فقال ‏"‏ ما تسمون هذه ‏"‏ ‏.‏ قالوا السحاب ‏.‏ قال ‏"‏ والمزن ‏"‏ ‏.‏ قالوا والمزن ‏.‏ قال ‏"‏ والعنان ‏"‏ ‏.‏ قال أبو بكر قالوا والعنان ‏.‏ قال ‏"‏ كم ترون بينكم وبين السماء ‏"‏ ‏.‏ قالوا لا ندري ‏.‏ قال ‏"‏ فإن بينكم وبينها إما واحدا أو اثنين أو ثلاثا وسبعين سنة والسماء فوقها كذلك ‏"‏ ‏.‏ حتى عد سبع سماوات ‏"‏ ثم فوق السماء السابعة بحر بين أعلاه وأسفله كما بين سماء إلى سماء ثم فوق ذلك ثمانية أوعال بين أظلافهن وركبهن كما بين سماء إلى سماء ثم على ظهورهن العرش بين أعلاه وأسفله كما بين سماء إلى سماء ثم الله فوق ذلك تبارك وتعالى ‏"‏ ‏.

আব্বাস বিন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
আমি বাতহা নামক স্থানে একদল লোকের সাথে ছিলাম এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও তাদের সাথে ছিলেন। তখন একখণ্ড মেঘ তাকে অতিক্রম করে। তিনি মেঘখণ্ডের দিকে তাকিয়ে বলেন, তোমরা এটাকে কী নামে অভিহিত করো? তারা বলেন, মেঘ। তিনি বলেন, এবং মুয্‌ন। তারা বলেন, মুয্‌নও বটে। তিনি বলেন, আনানও। আবু বাক্‌র (রাঃ) বলেন, তারা সবাই বললেন, আনানও বটে। তিনি বলেন, তোমাদের ও আস'মানের মাঝে তোমরা কত দূরত্ব মনে করো? তারা বলেন, আমরা অবগত নই। তিনি বলেন, তোমাদের ও আসমা'নের মাঝে ৭১ বা ৭২ বা ৭৩ বছরের দূরত্ব রয়েছে। এক আসমান থেকে তার ঊর্ধ্বের আস'মানের দূরত্বও তদ্রূপ। এভাবে তিনি সাত আস'মানের সংখ্যা গণনা করেন। অতঃপর সপ্তম আকাশের উপর একটি সমুদ্র আছে যার শীর্ষভাগ ও নিম্নভাগের মধ্যকার ব্যবধান (গভীরতা) দু' আস'মানের মধ্যকার দুরত্বের সমান। তার উপর রয়েছেন আটজন ফেরেশ্‌তা, যাদের পায়ের পাতা ও হাঁটুর মধ্যকার ব্যবধান দু' আসমা'নের মধ্যকার দুরত্বের সমান। তাদের পিঠের উপরে আল্লাহ্‌র আরশ অবস্থিত, যার উপর ও নিচের ব্যবধান (উচ্চতা) দু' আসমা'নের মধ্যকার দুরত্বের সমান। তার উপরে রয়েছেন বরকতময় মহান আল্লাহ্। [১৯১]


সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৯৩


আসমানের এই দূরত্বের ইউনিট কি অথবা কোন মাধ্যমের উপর ভিত্তি করে বলা সে ব্যপারে কোন সুস্পষ্ট দলিল পাওয়া যায় না। হয়ত ভিন্ন ভিন্ন গতিতে উর্দ্ধোলোক গমনের গতির হিসাবে এরূপ ভিন্ন ভিন্ন সময়কাল ধরা হয়েছে, এসব ব্যপারে একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন।

Narrated Al-Abbas ibn AbdulMuttalib: I was sitting in al-Batha with a company among whom the Apostle of Allah (peace be upon him) was sitting, when a cloud passed above them. The Apostle of Allah (peace be upon him) looked at it and said: What do you call this?
They said: Sahab.
He said: And muzn? They said: And muzn. He said: And anan? They said: And anan. AbuDawud said: I am not quite confident about the word anan. He asked: Do you know the distance between Heaven and Earth? They replied: We do not know. He then said: The distance between them is seventy-one, seventy-two, or seventy-three years. The heaven which is above it is at a similar distance (going on till he counted seven heavens). Above the seventh heaven there is a sea, the distance between whose surface and bottom is like that between one heaven and the next. Above that there are eight mountain goats the distance between whose hoofs and haunches is like the distance between one heaven and the next. Then Allah, the Blessed and the Exalted, is above that.

   আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা এই সাত আসমানকে পৃথিবী সৃষ্টির পর সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ বলেনঃ

قُلْ أَئِنَّكُمْ لَتَكْفُرُونَ بِالَّذِي خَلَقَ الْأَرْضَ فِي يَوْمَيْنِ وَتَجْعَلُونَ لَهُ أَندَادًا ذَلِكَ رَبُّ الْعَالَمِينَ
  وَجَعَلَ فِيهَا رَوَاسِيَ مِن فَوْقِهَا وَبَارَكَ فِيهَا وَقَدَّرَ فِيهَا أَقْوَاتَهَا فِي أَرْبَعَةِ أَيَّامٍ سَوَاء لِّلسَّائِلِينَ
  ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاء وَهِيَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَلِلْأَرْضِ اِئْتِيَا طَوْعًا أَوْ كَرْهًا قَالَتَا أَتَيْنَا طَائِعِينَ
  فَقَضَاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ فِي يَوْمَيْنِ وَأَوْحَى فِي كُلِّ سَمَاء أَمْرَهَا وَزَيَّنَّا السَّمَاء الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ وَحِفْظًا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ
বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা

[হা-মীম সিজদাহ 9-12]

এ বিষয়ে আমরা প্রথম ও ২য় পর্বে বিশদ আলোচনা করেছি, যার জন্য পুনরাবৃত্তি নিষ্প্রয়োজন মনে করি। আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে এ বিষয়টি একদম সাংঘর্ষিক। কাফিরদের কথিত বিজ্ঞান অনুযায়ী বিগব্যাং এর অনেক পরে মহাশূন্য সৃষ্টির কোটি কোটি বিলিয়ন ট্রিলিয়ন বছর পর পৃথিবী সৃষ্টি হয়। এই দলিলই আধুনিক বৈজ্ঞানিক মিথ্যাচার এবং আল্লাহ প্রদত্ত হক্ক ইল্মের মাঝে পার্থক্য দ্বার করিয়ে দেয়। কাফিরদের কথা মহাশূন্য নামক আকাশ সৃষ্টি হয় সবার আগে, আর আল্লাহ বলেন, আকাশ সৃষ্টি হয় দুনিয়া সৃষ্টির পরে। এখানেই স্পষ্ট হয় উভয় পরস্পর সাংঘর্ষিক বৈপরীত্যপূর্ন স্বতন্ত্র সৃষ্টিতত্ত্ব।

২০১২ সাল, ক্রো৭৭৭ চ্যানেলের এডমিন তার ক্যামেরায় চাদের উপর অদ্ভুত তরঙ্গের প্রবহমানতা প্রত্যক্ষ করেন।।তিনিই সর্বপ্রথম বিষয়টি নিয়ে হইচই ফেলেন। প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে তার ক্যামেরার ত্রুটি মনে করা হলেও অন্যান্য ক্যামেরাতেও একই ফলাফলের জন্য সে ধারনা পরিবর্তিত হয়। পরবর্তীকালে বিশ্বের হাজারো শার্প আইড লোকেরা একই ফেনোমেনা তাদের ক্যামেরাতে লক্ষ্য করেন। একে নাম দেওয়া হয় 'Lunar Wave'[১]। বিষয়টি এরূপ যে, চাদকে জুম করে স্থিরভাবে লক্ষ্য করলে একরকমের ঢেউয়ের প্রবহমানতাকে দেখা যায়। সেসব ঢেউ চাদের উপরে আড়াআড়িভাবে বহমান।দেখলে মনে হবে, সেখানে পানির একটি স্তরের উপরে চাদের অবস্থান। সেই লিকুইডের তরঙ্গের জন্য এবং চাদের মৃদুমন্দ শীতল আলোয় জমিনে দাঁড়িয়েই লুনার সার্ফেসে তরঙ্গ বইতে দেখা যায়। ঢেউ গুলো চাদের সার্কুলার স্ফেরয়েড আকৃতিকে বেষ্টন করে হচ্ছে না, অর্থাৎ এই সুক্ষ্ম ঢেউ গুলো বক্র নয়। বরং হোরাইজন্টাল। সুতরাং পুরো আকাশ জুড়েই এরূপ হচ্ছে, যা প্রখর দিবালোকে দর্শনযোগ্য নয়।
এই ফেনোমেনাকে কেন্দ্র করে 'হলোগ্রাম সান-মুন'সহ অনেকগুলো উদ্ভট এবং হাস্যকর কন্সপাইরেসি থিওরিও গজিয়েছিল। যাহোক, সেদিকে যাচ্ছিনা।
এ ব্যাপারে মেইনস্ট্রিম সাইন্স কমিউনিটি থেকে কোন রেস্পন্স নেই। অধিকাংশই এর অস্তিত্বেরই স্বীকৃতি দিতে চায় না।

শুধু এটাই না, রাতের আকাশে চাদকে জুম লেন্সড ক্যামেরা দ্বারা জুম করলে চাদকে মনে হয় যেন একটি পানির স্তরের ভেতর দিয়ে দেখা যায়। একইভাবে কথিত গ্রহ ও তারকারাজিদেরকে যখন ক্যামেরায় ও টেলিস্কোপে জুম করা হয়, দেখে মনে হয় যেন সেসব পানির স্তরের ভেতর দিয়ে দেখা যায়। সমুদ্রের পানির নিচে গিয়ে সূর্যকে যেভাবে কাঁপতে দেখা যায় ঠিক সেরকম। কথিত গ্রহের ব্যপারে যেসব কথা শেখানো হয় সেসব সুস্পষ্টভাবে মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়[১]। এ বিষয়গুলো এতটুকুন ধারনা দেয় যে, হয়ত আমাদেরকে আকাশ বলতে যা শেখানো হয়(ইনফিনিট ভ্যাকুয়াম স্পেস/মহাশূন্য) তা সত্য নয়। হয়ত আমাদের মাথার উপর সুবিশাল পানির স্তর আছে। এবং আকাশ আদৌ মহাশূন্য নয়, বরং সুরক্ষিত জমাট তরঙ্গায়িত মজবুত ছাদ। তারকারাজি, সেই পানির তরঙ্গে সন্তরনশীল।
এবার আসুন আসমানের ব্যপারে কুরআন সুন্নাহ কি বলে?

ইমাম আহমদ(র) বর্ননা করেন যে,আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেন, "একদিন আমরা রাসূল(সাঃ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, এ সময়ে একখণ্ড মেঘ অতিক্রম করলে তিনি বললেনঃতোমরা কি জান এগুলো কি? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূল(সঃ)ই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ "এগুলো হচ্ছে মেঘমালা।পৃথিবীর দিক-দিগন্তপ থেকে এগুলোকে হাকিয়ে নেওয়া হয় অকৃতজ্ঞ আল্লাহর বান্দাদের নিকট যারা তাকে ডাকে না। " তোমরা কি জান তোমাদের উর্দ্ধদেশে এটা কি? " আমরা বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূল(সঃ) অধিকতর জ্ঞাত। এটি হচ্ছে সুউচ্চ জমাট ঢেঊ,এবং সুরক্ষিত ছাদ.... "
*ইমাম তিরমিযী(রঃ) সহ একাধিক আলিম এ হাদিসটি বর্ননা করেছেন।
(আল বিদায়া ওয়ান নিয়াহা,প্রথম খন্ড পৃঃ৭২-৭৩ দ্রষ্টব্য)

আকাশ সম্পর্কে এক হক্কপন্থী আলিমের অসাধারণ বক্তব্য-
"অনেক বিজ্ঞানীরা বলে, আকাশ বলতে কি (?) মহাশূন্য,মহাশূন্য শূন্যের শূন্য। এই আসমান বলতে অন্য কিছু নাই। কিন্তু কুরআন কি বলছে শুনুন। কুরআন বলছেঃ وَبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًا (আন নাবাঃ১২)
-আমি তোমাদের মাথার উপরে সাতটা কঠিন আসমানের স্তর রেখেছি।
সূরা মুলকের ৩নং আয়াতে আছেঃ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا

সূরা নূহের ১৫ নং আয়াতে আছে, أَلَمْ تَرَوْا كَيْفَ خَلَقَ اللَّهُ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا -
 তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ কিভাবে সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন।
সাত আসমান, শুধু সাত আসমান আছে তা(ই) না, সাত আসমান কি কি দিয়ে তৈরি সেইগুলো পর্যন্ত তাফসীরের কিতাবে আছে। প্রত্যেকটা আসমান আল্লাহ কি দিয়ে তৈরি করেছেন, আল্লাহু আকবর। আল্লাহর রাসূল(সাঃ) হাদিসে সবগুলো পরিষ্কার করে দিয়েছেন। প্রথম আসমান সম্পর্কে দুই রকম রেওয়ায়ত আছে। আল্লাহর রাসূল(সঃ) বলছেন, প্রথম আসমানটা মওজুন মাগফুফুন। প্রথম আসমানটা হচ্ছে মওজুন মাগফুফুন,পানি দিয়ে তৈরি। পানি।। এজন্য পানি যখন দূরের থেকে দেখা যায় তখন কি দেখা যায়? নীল দেখা যায়। আমরা যখন প্লেনে চড়ি,সাগরের উপর দিয়ে যখন প্লেনগুলো যায়,নিচে কি দেখা যায়? নীল (রঙ) দেখা যায়। নীল আকাশের মতই দেখা যায়। এজন্য প্রথম আসমান পানি দিয়ে তৈরি, বরফ হতে পারে। আরেক রেওয়ায়ত আসছে, 'মিন জুজাজাতিন', কাচের তৈরি।
প্রথম আসমানটা? কাচের তৈরি। এই প্রথম আসমান পর্যন্ত গিয়ে আল্লাহর রাসূল(সা) থামলেন।"[২]


শাইখুল হাদিস মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানি(হাফিঃ)


[উল্লেখ্য,শায়খ জসীমউদ্দিন রহমানি (হাফি) এর সাথে আর্টিকেলটির মূল বক্তব্য ও  ননরিলিজিয়াস কোন ডকুমেন্ট এর ব্যপারে বিশ্বাসগত সংশ্লিষ্টতা নাও থাকতে পারে]

সুতরাং সুস্পষ্টভাবে দেখছেন বলা হচ্ছে আকাশ বলতে সীমাহীন শূন্যতা নয় বরং এক সমুন্নত তরঙ্গায়িত পানি/কাচের ছাদকে বোঝায়। আর লুনার ওয়েভ ফেনোমেনন এ সকল ইসলাম ভিত্তিক অদৃশ্যজগতের তথ্যকে সত্যায়ন করতঃ দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে।
দুর্বল বর্ননার হাদিসগুলোতে আসমানের যে তরঙ্গ বা উর্মিমালার বর্ননা পাওয়া যাচ্ছে, সেটাকে আমরা রিয়েলিটিতেই স্পষ্টভাবে ক্যামেরার ফ্রেমে দেখছি।
হেনেসী কমার্শিয়ালে চমৎকার ভিডিওটির লিংক না দিলেই নয়,যেখানে আসমানকে পানিপূর্ন ছাদ হিসেবে দেখানো হয়েছে যা মেইনস্ট্রিম কস্মোলজি ও সাইন্টিফিক তথ্যের সম্পূর্ন বিপরীত। দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=30xqqjosCLQ

কাফেররা কুফরি করতেই পছন্দ করে। এজন্য তারা ভিডিও কমার্শিয়ালটির ০.৪৬ সেকেন্ডে দেখিয়েছে যে আকাশভেদ করে অন্যত্র বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব।
অথচ আল্লাহ বলেন,
 "হে জিন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা  অতিক্রম করতে পারবে না"(৫৫:৩৩)
[আয়াতটি কিয়ামত পরবর্তী বিচার দিবসকে নির্দেশ করে, যার জন্য সন্দেহবাদী মোডারেট ইসলামিস্টরা বলে,' এরূপ এনক্লোজড ব্যবস্থাপনা বিচার দিবসের জন্য শুধু প্রযোজ্য' , এজন্য তারা আউটার স্পেস-হেলিওসেন্ট্রিক বিলিফকে ইসলাম দ্বারা জাস্টিফাই করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা বিজ্ঞানকে ঠিক রাখতে গিয়ে বস্তুত ভ্রান্তির জালে আটকা পড়ছেন।
যেহেতু আল্লাহ বলেন,"
সেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে নেব, যেমন গুটানো হয় লিখিত কাগজপত্র। যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। আমার ওয়াদা নিশ্চিত, আমাকে তা পূর্ণ করতেই হবে"(২১:১০৪)।
 অর্থাৎ কিয়ামতে সব ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও বিচার দিবসে তিনি আবারো একইভাবে প্রথমবারের ন্যায় সৃষ্টি করবেন। যেহেতু সূরা আর রহমানের ৩৩ নং আয়াতে বিচার দিবসে পালিয়ে আসমান,যমীন ভেদ করে যাবার পথ নেই বলে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন,এবং এখানে সূরা ২১ এর ১০৪ নং আয়াতে পুনরায় কিয়ামত পূর্বের ন্যায় একইভাবে সৃষ্টি করবেন বলেছেন, সেহেতু এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে কিয়ামতপূর্বেও আসমানজমিন এনক্লোজড ছিল যার একই পুনরাবৃত্তি ঘটানো হবে বিচারদিবসে। অতএব বুঝতেই পারছেন, মোডারেট ইসলামিস্টরা মিথ্যাকে শুদ্ধ করতে গিয়ে আরো বড় গলদ করে বসছে!(আসমানের দরজা যে বন্ধ, তা নিয়ে সামনে বিস্তারিত আসছে)]

আমরা ইতোপূর্বে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছি যে আসমান পানি বা স্ফটিকের ছাদ। নিচের আয়াতে চাঁদ সূর্যের ব্যপারে সাতার কাটার বিষয়টি পুরো ব্যাপারটির তথ্যশিকলকে আরো শক্তিশালী করে।
আল্লাহ বলেনঃ
"সূর্যের পক্ষে সম্ভব না চন্দ্রের নাগাল পাওয়া এবং রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে সাঁতার কাটে"(৩৬:৪০)


এরূপ হওয়াটা স্বাভাবিক যে, চাঁদ সূর্য পানিপূর্ন আসমানে সন্তরনরত। এ বিষয়ে অসংখ্য হাদিস রয়েছে,যা পরবর্তী পর্ব গুলোয় নিয়ে আসা হবে, ইনশাআল্লাহ।
এরূপ ধারনা করা হচ্ছে যে গোটা পৃথিবী-আসমানকে পানি ঘিরে রেখেছে[৩]। পূর্বোল্লিখিত পর্বে দেওয়া অনেক কুরআন সুন্নাহর দলিল এ কথাই বলে।

জনৈক প্রফেসর সাবমেরিনে করে সমুদ্রপৃষ্ঠে গিয়ে এক অদ্ভুত আন্ডারওয়াটার লেকের সন্ধ্যান পেয়েছেন, যা ভেদ করে নিচে যাওয়া যায় না।। উলটো সাবমেরিনকে ধাক্কা দিয়ে উপরের দিকে ঠেলে দেয়[৪]।
খুব সম্ভবত আসমানও ঠিক একই ভাবে জমাট পানির প্রাচীর স্বরূপ অর্থাৎ হাদিসে উল্লিখিত 'জমাট ঢেউ/তরঙ্গ'।

তারকারাজির মিটিমিটি প্রজ্বালনও বলে দেয়, আসমান পানি দ্বারা পরিপূর্ণ। ইতোপূর্বে বিস্তারিতভাবে আর্টিকেল প্রকাশ করেছি এ বিষয়ে যে, নক্ষত্ররাজির মধ্যে গ্রহ বলতে যা বোঝায় তার অস্তিত্ব নেই। বরং সবই আসমানে গাঁথা বাতিস্বরূপ(তাফসির ইবনে কাসিরেও এরূপ এসেছে যে, আসমানের গায়ে নক্ষত্রসমূহ গাঁথা)।

ক্লোজআপ ফুটেজেও সবগুলোকে প্রবল কম্পনের সাথে মিটিমিটি জ্বলতে দেখা যায়, যেমনি আমরা খালি চোখেই প্রত্যক্ষ করে থাকি। কখনো পুকুরে বা নদীতে ডুব দিয়ে সূর্যের দিকে তাকিয়ে দেখেছেন? সূর্য ওই অবস্থায় ঐরূপ দেখতে যেমনটি তারকাদের দেখা যায়। অর্থাৎ অবশ্যই একটা পানির স্তরের নিচে থেকে আলোকে যেমনি দেখায় তারকারা ঐরূপ[৫]।

ক'দিন আগে নিচে প্রদত্ত লিংকের ফুটেজটি দেখে বিস্মিত হই। একটি রকেট আসমান পানে যেতে থাকে এবং এক পর্যায়ে আকাশে প্রবল ঢেউ সৃষ্টিপূর্বক থেমে যায় অথবা রকেটটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ভিডিওটি দেখলে এরূপ মনে হবে যেন রকেটটি লিকুইড কোন স্তরে আছড়ে পড়েছে।
রিপল গুলোকে গভীরভাবে দেখলে বুঝবেন এটাকে বিস্ফোরন পরবর্তী শকওয়েভ বলা যায় না। কারন একটি বিস্ফোরণ পরবর্তী শকওয়েভ প্রধানত একটি হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে যায়। কিন্তু ভিডিওটিতে রকেটটির বিস্ফোরন পরবর্তীতে উদ্ভূত রিপল বা তরঙ্গ/ঢেউ শকওয়েভ থেকে একদম ভিন্ন। বরং এই ঢেউ একদম পানির ন্যায়। তবে অত্যন্ত ঘন লিকুইডের। পানিতে কিছুর পতনে যেমনি একাধিক রিপল তৈরি হয়।যেন সত্যিই পানিতে ভারী কিছু আছড়ে পড়েছে। হাত থেকে ছোট পাথর কনা স্থির জলাশয়ে ফেললে এরকম একাধিক রিপল ইফেক্ট তৈরি হয়। তবে আসমানের এই পানির সার্ফেসটেনশন অত্যন্ত শক্তিশালী অনেকটা দুর্ভেদ্য। আল্লাহু আ'লাম, হয়ত রকেটটি পানির তৈরি মজবুত সুউচ্চ ছাদেই আছড়ে পড়ে।[৬]

 গত কয়েক বছর আগে একটি হাই অলটিটিউড হিলিয়াম বেলুনে ক্যামেরা লাগিয়ে উপরে পাঠানো হয়েছিল। সেটা হঠাৎ যেন শক্ত কিছুতে সশব্দে ধাক্কা খেয়ে ক্র‍্যাচিং এর শব্দ করছে। দেখে মনে হয় কিছু একটা এটাকে আর উপরে যেতে দিচ্ছে না।যেন ক্যামেরাসমেত বেলুন ইনভিজিবল কোন শিল্ডে বারবার ঘর্ষিত হচ্ছে।[৭]

এছাড়া, অপেশাদার বেসামরিক রকেট স্পেস এক্স সংগঠনটি একটি ড্রোন রকেট আসমান পানে সোজাসুজি প্রেরন করে। আপনারা জানেন যে রকেট গুলো ২০ মাইল পার হতে না হতেই নাক বাঁকিয়ে ধীরে ধীরে হোরাইজন্টালভাবে যেতে শুরু করে। অর্থাৎ কোন রকেটই সোজাসুজিভাবে আসমানে পাঠানো হয়না। স্পেস এক্সের এই রকেটটি ৭৩ মাইল পর্যন্ত উচুতে গিয়ে পৌছায়, এবং সলিড কোন কিছুতে সশব্দে আঘাত হেনে উর্দ্ধমুখী গতি শূন্যতে গিয়ে যমীনে ফিরে আসে[৮]।

 এর পূর্বে ৭২ মাইলের উচ্চতায়ও কোন বিমান, বেলুন বা অন্যকিছু পৌছায়নি, উইকিপিডিয়ার হাইয়েস্ট এলিভেশন রেকর্ডের ডেটা অনুযায়ী। অর্থাৎ সেদিক দিয়ে বলা যায়, এই ড্রোন রকেট বিগত রেকর্ডসমূহ ভাঙ্গে। এই রকেট যাতে ধাক্কা খায়, সেটা আসমান কিনা, আল্লাহই ভাল জানেন। অনেকের কাছে এটা অবিশ্বাস্য লাগবে, কেননা হাদিসে ৫০০ বছর বা ৭৩ বছরের পথের উল্লেখ পাওয়া যায়। তাদের বক্তব্য এরূপ যে, কোন জিনিস সর্ব নিন্ম গতিতেও যদি সঞ্চালিত হয়, তবে সেটা ৫০০ বছর সময়ের অনেক পূর্বেই ৭৩ মাইলে গিয়ে পৌছবে। একটা বিষয় হচ্ছে, আসমান গম্বুজাকৃতির বা উল্টানো কনকেইভ শেইপড। এর কার্ভাচার আছে, সমতল যমীনের সব স্থান থেকেই আসমান একই দূরত্বে হবে না। যমীনের প্রান্তসীমার দিকে বা আসমানের শেষ সীমার দিকে যমীন থেকে এর দূরত্ব খুব কম হবে। আবার মাঝের দিকে আসমানের উচ্চতা বা দূরত্ব অনেক বেশি হবে।
Tanwir al Miqbas এর 50:41 আয়াতের ব্যাখ্যায় এসেছে,
(And listen on) O Muhammad, so that you can hear the description of it; it is also said that this means: strive, O Muhammad, for the day when the angel blows the Trumpet (the day when the crier crieth from a near place) close to heaven, from the dome of Jerusalem, which is the closest spot on earth to heaven by about 12 miles; and it is also said this means: from a close distance from which they can hear from beneath their feet.

অর্থাৎ জেরুজালেম থেকে আসমান সর্বাধিক নিকটতম, যার দূরত্ব যমীনের উপরে ১২ মাইল! [ওয়া আল্লাহু আ'লাম]।  এর দ্বারা পৃথিবীর ম্যাপের ব্যপারে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়, এসবের সুস্পষ্ট উত্তর আল্লাহই ভাল জানেন। এর দ্বারা একটা বিষয় স্পষ্ট হয় যে, ৭৩ মাইল উপরেই এ্যামেচার দ্রোন রকেটের ধাক্কা লাগার বস্তু আসমান হতেই পারে। ১২ মাইলের তুলনায় ৭৩ মাইল অনেক বেশি। আমরা জানিনা ৭৩ বছরের পথ  অথবা ৫০০ বছরের পথ কিসের ভিত্তিতে। এসবের ব্যপারে আল্লাহই ভাল জানেন।

উপোরোল্লিখিত শাইখের বর্নিত হাদিসে
দু রকম বর্ননা পাওয়া যাচ্ছে। ১. আসমান পানির তৈরি, ২.কাচের তৈরি। এমনটা হওয়া অসম্ভব নয় যে আসমানের প্রথম আবরনটি স্ফটিক কাচ জাতীয় কিছু দ্বারা নির্মিত,এবং উপরে পানি দ্বারা পূর্ন। যেমনটা কাফেররা বিদ্রুপ করে দেখিয়েছে সিম্পসন কার্টুনে[৯]।

অতএব দেখা যাচ্ছে হাদিস গুলোর মধ্যে সাংঘর্ষিকতা নেই, জ্ঞানগতসীমাবদ্ধতার জন্যই আমরা আপাতদৃষ্টিতে অনেক কিছুতে কন্ট্রাডিকশন খুজে পাই। বরং প্রতিটি হাদিস একটু আধটু অতিরিক্ত তথ্য দেয়।
এবার রিয়েলিটিতে আসুন। স্কাই স্টোনের নাম শুনেছেন? নীল বর্ণের রহস্যময় অদ্ভুত পাথর। এর নাম দেওয়া হয়েছে আসমানী পাথর বা স্কাই স্টোন।
আফ্রিকার একটি দেশে এর সর্বপ্রথম দেখা মেলে। কিছু গবেষক এটা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে গবেষনায়। তারা এ পাথর বা স্ফটিক বিশ্লেষনে ৭৭% অক্সিজেন পান! ৭৭ সংখ্যাটা ইন্টারেস্টিং বিশেষ কারনে। যাহোক, অন্য একটি অজানা পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে যা দুনিয়াতে কখনো পাওয়া যায় নি। গবেষকরা ওই পদার্থের ব্যপারে কিছুই জানেন না।[১০]

এসব অদ্ভুত তথ্য গলাধঃকরণের ক্ষেত্রে মূল সমস্যাটা অন্যখানে।
আমাদের মধ্যে অধিকাংশ লোকের মাথায় 'আউটার স্পেস,ইনফিনিট এভার এক্সপ্যান্ডিং ইউনিভার্স এবং মহাশূন্য- আসমান মানেই শূন্য' ইত্যাদি এমনভাবে মস্তিষ্কে জায়গা করে নিয়েছে যে, এর বিকল্প অন্য কিছু আমরা ভাবতেও অক্ষম। আমরা আজ এতটাই চিন্তাশক্তিহীন ব্রেইনওয়াশড যে কল্পনাই করতে পারি না আসমান ছাদের ন্যায় কিছু। এরূপ ব্রেইনওয়াশিং এর ক্রেডিট পাবার যোগ্য হলিউড আর টিভি। কেন সেটা ভাল করেই জানেন। বই পত্র যতটা না মনে দাগ কাটতে পারে, তার চেয়েও গভীর দাগ কাটে, মুভি আর ভিডিও। ওরা যা দেখায় তার কোন গ্রহণযোগ্য প্রমান নেই। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মহান প্রতিপালক তার প্রেরিত সর্বশেষ আসমানি কিতাবে স্পষ্টভাবে বলেনঃ
وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ
এবং[শপথ] সমুন্নত ছাদের,(আত ত্বূরঃ৫)

আল্লাহ বলেনঃ
وَجَعَلْنَا السَّمَاء سَقْفًا مَّحْفُوظًا وَهُمْ عَنْ آيَاتِهَا مُعْرِضُونَ
আমি আকাশকে সুরক্ষিত ছাদ করেছি; অথচ তারা আমার আকাশস্থ নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে[২১:৩২]

সুতরাং,এটা স্পষ্ট যে আসমান অবশ্যই "শূন্য", "বায়ূমন্ডলের স্তর" বা এ জাতীয় কিছু নয়, বরং এটা সুবিশাল মজবুত ছাদ।

প্রচলিত এবং প্রতিষ্ঠিত অপবিজ্ঞান আমাদেরকে আকাশ বলতে উন্মুক্ত-অসীম ভ্যাকুয়াম স্পেসকে বোঝায় যার বিস্তার শুরু হয়েছে 'বিগব্যাঙ' নামের যাদুশাস্ত্রের অনুসারী, তথা কাব্বালিস্টদের স্ক্রিপচার(জোহার)থেকে নেওয়া কাল্পনিক কুফরভিত্তিক ঘটনা থেকে। এ বিজ্ঞানের ভাষায় আসমান বলতে আদৌ নিরেট কিছুকে বোঝায় না। বরং তাদের ভাষায় 'মহাশূন্যের' অসীম শূন্যতাই আসমান।।এ ব্যপারে পাঠকরা উত্তম জানেন।

অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা স্পষ্টভাবে একে যমীনের উপর ছাদ বলেছেন। এটা আদৌ শূন্য/স্পেস জাতীয় কিছু নয় বরং সলিড মজবুত ছাদ। বাস্তবিক পর্যবেক্ষনেও এটাই সত্য বলে দেখা যায়, যে ফেনোমেননগুলো উপরেই উল্লেখ করেছি।
আল্লাহ বলেনঃ
"যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে..."[2.22]

وَجَعَلْنَا السَّمَاء سَقْفًا مَّحْفُوظًا وَهُمْ عَنْ آيَاتِهَا مُعْرِضُونَ
আমি আকাশকে সুরক্ষিত ছাদ করেছি; অথচ তারা আমার আকাশস্থ নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে[২১:৩২]

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা এর সৃষ্ট এই ফিজিক্যাল ডোম ফার্মামেন্ট(গম্বুজাকৃতির আকাশ) এর ফিজিক্যালিটির ব্যপারে কোন সন্দেহই থাকে না যখন আল্লাহ বলেনঃ

ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀ ﻛُﺸِﻄَﺖْ
যখন আকাশের আবরণ অপসারিত হবে(৮১:১১)

প্রিকোপার্নিকান কস্মোলজি অনুযায়ী বাস্তব আকাশ কোন শূন্য/অসীম কিছু নয় বরং তা ত্রুটি(ফাটল/ছিদ্র)হীন সলিড স্তম্ভবিহীন ভেঙ্গেপড়বার যোগ্য মজবুত ছাদ।
আল্লাহ বলেন-
وَبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًا
নির্মান করেছি তোমাদের মাথার উপর মজবুত সপ্ত-আকাশ। [সূরা নাবাঃ১২]

আল্লাহ বলেনঃ
"তারা কি তাদের সামনের ও পশ্চাতের আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিলক্ষ্য করে না? আমি ইচ্ছা করলে তাদের সহ ভূমি ধসিয়ে দেব অথবা আকাশের কোন খন্ড তাদের উপর পতিত করব। আল্লাহ অভিমুখী প্রত্যেক বান্দার জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।" (সূরা সাবা ৯)

রহমান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা এখানে আকাশের খন্ডাংশের পতনের কথা এনে আরো ভালভাবে ক্ল্যারিফাই করেছেন। বস্তুত আসমান ছাদ বিশেষ, যদিও মোডারেট ও মর্ডানিস্ট মুসলিমরা কাফিরদের সাথে গলা মিলিয়ে উল্টোটা বলতেই পছন্দ করে। আল্লাহ যা বলেছেন, সেটা আধুনিক (অপ)বিজ্ঞানের সাথে অতিমাত্রায় সাংঘর্ষিক এবং একদমই বিপরীত। আপনি কি বিশ্বাস করেন, আপনার আশপাশের ফাকাস্থান বা শূন্যস্থান আপনার উপর ভেঙে পড়তে পারে!!? আপনি কি বিশ্বাস করেন, ভ্যাকুয়াম স্পেস বা কথিত মহাশূন্যের শূন্যস্থান ভেঙ্গে পড়ার মত অবান্তর কথা জগত সমূহের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলতে পারেন?! বরং সত্য হচ্ছে কাফিররা সম্পূর্ন বিপরীত ও অসত্য কস্মোলজি ও কস্মোজেনেসিসের কথা মানুষকে শেখায় যা আজ মুসলিমরাও আকড়ে ধরেছে, আফসোস!
আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে কাসির(রহঃ) বলেনঃ


আল্লাহ আসমানের ভঙ্গুরতার ব্যপারে আরো বলেনঃ
আকাশ উপর থেকে ফেটে পড়ার উপক্রম হয় আর তখন ফেরেশতাগণ তাদের পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করে এবং পৃথিবীবাসীদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে। শুনে রাখ, আল্লাহই ক্ষমাশীল, পরম করুনাময়।(সূরা শূরা ০৫)

একমাত্র আকাশ হিসেবে সলিড সিলিংই ভেঙ্গে পড়বার উপক্রম হতে পারে,শূন্য অসীম ভ্যাকুয়াম স্পেস নয়।
ইবনে কাসির রহঃ বলেনঃ

আল্লাহ বলেনঃ
تَكَادُ السَّمَاوَاتُ يَتَفَطَّرْنَ مِنْهُ وَتَنشَقُّ الْأَرْضُ وَتَخِرُّ الْجِبَالُ هَدًّا
90
হয় তো এর কারণেই এখনই নভোমন্ডল ফেটে পড়বে, পৃথিবী খন্ড-বিখন্ড হবে এবং পর্বতমালা চূর্ণ-বিচুর্ণ হবে।[১৯:৯০]

আল্লাহ বলেনঃ
অথবা আপনি যেমন বলে থাকেন, তেমনিভাবে আমাদের উপর আসমানকে খন্ড-বিখন্ড করে ফেলে দেবেন অথবা আল্লাহ ও ফেরেশতাদেরকে আমাদের সামনে নিয়ে আসবেন।(সূরা বনী ইসরাইলঃ৯২)
ইমাম ইবনে কাসির(রহঃ) এ আয়াতের ব্যখ্যায় বলেনঃ


فَأَسْقِطْ عَلَيْنَا كِسَفًا مِّنَ السَّمَاء إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
অতএব, যদি সত্যবাদী হও, তবে আকাশের কোন টুকরো আমাদের উপর ফেলে দাও(শু'আরাঃ ১৮৭)

বিজ্ঞানপন্থী মোডারেট/মর্ডানিস্ট ফিতনাবাজরা এত শক্তিশালী কুরআনিক দলিল পেয়ে বলবে, ' হ্যা আমরা স্বীকার করি আসমান সলিড, কিন্তু উহা এখনো কেউ দেখেনি, বিজ্ঞানও আবিষ্কার করেনি, কারন ওটা ধরাছোঁয়ার সবার বাইরে।' ওরা হাদিসের দলিলও দেবে এই বলে যে আসমান ৫০০ বছরের পথ দূরে অবস্থিত,সেটা ধরাছোঁয়ার বাহিরে আছে দেখা তো দূরের কথা।কিন্তু আল্লাহ রহমানের আয়াতগুলো দ্ব্যর্থহীনভাবে বলে, ভূমিতে দাড়িয়েই যে কারও দ্বারা উপরিস্থিত আসমানকে দেখা সম্ভব। অর্থাৎ আমরা মাথার উপরে নীল যে আকাশকে দেখি। যা কুরআন সুন্নাহর বর্ণনানুযায়ী নিরেট এবং মজবুত। এর সাথে ইবনে কাসীর(রঃ) এবং ইবনে জারীর তাবারী(রঃ) সহ সাহাবীগনও(রাযি.) একমত পোষন করেন। যদিও মোডারেটরা এটা মানতে চায় না।

মোডারেট ভন্ডরা যেহেতু বিজ্ঞানকে বাচানোর জন্য বলে যে এই ভঙ্গুর আসমান আমাদের দৃষ্টিসীমার বাহিরে এবং বিজ্ঞানীরাও এখনো আবিষ্কার করেনি, তাদের সেক্ষেত্রে জবাব কি হবে (?)যখন আল্লাহ বলছেন,তিনি আসমানকে স্থির রাখেন পৃথিবীর উপর যেন তার আদেশব্যতিত পতিত না হয়! অর্থাৎ আকাশ যেন শুধু জমিন বা বিস্তৃত শয্যাক্ষেত্রের উপরেই ছাদের ন্যায় রয়েছে।অর্থাৎ সম্পূর্ন পৃথিবীকেন্দ্রিক(জিওসেন্ট্রিক)

আল্লাহ বলেনঃ
"..তিনি আকাশ স্থির রাখেন, যাতে তাঁর আদেশ ব্যতীত ভূপৃষ্টে পতিত না হয়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি করুণাশীল, দয়াবান" (সূরা হাজ্জ্ব ৬৫)

মানুষের প্রতি করুনাশীল সৃষ্টিকর্তা দুনিয়ার ছাদকে স্থির অবস্থায় রাখেন যেন তা পৃথিবীর উপরে ভেঙ্গে না পড়ে, একবার এটা হেলিওসেন্ট্রিক মেইনস্ট্রিম কস্মোলজির সাথে মিলিয়ে ভাবার চেষ্টা করুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সম্পূর্ন ভিন্ন আসমানের কথা বলেছেন, যা কাফিরদের গড়া মেইনস্ট্রিম কস্মোলজির বিপরীত । মেইনস্ট্রিম পার্স্পেক্টিভ থেকে এটা কিভাবে চিন্তা করা যায়? ধরুন কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরের সুবিশাল আকাশকে বালির কনার সদৃশ পৃথিবীর উপর ভেঙ্গে পড়ে!! এরূপ বর্ননা একদমই মেইনস্ট্রিম এস্ট্রোনমির ক্ষেত্রে নিতান্তই হাস্যকর। নিশ্চয়ই এটা অকাট্য দলিল যে আকাশ সলীড/নিরেট জমিনের উপর ছাদবিশেষ। আল্লাহ বলেন, তিনি আসমানকে জমিনের উপর স্থির রাখেন। যদি এরূপ চিন্তা করেন যে আল্লাহ আমাদের আশপাশের ফাকা-শূন্যস্থান এবং ভ্যাকুয়াম আউটার স্পেসকে স্থির রাখেন যেন তা মানুষের উপর পতিত না হয়, তবে সেটা মেইনস্ট্রিম শয়তানি কস্মোলজিক্যাল থিওরির সাথেই সাংঘর্ষিক এবং অযৌক্তিক!
ইবনে কাসির রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ


মেইনস্টিম মিথ্যা এস্ট্রোনোমিকাল আইডিয়ার সাথে কুরআনের নিচের আয়াতটি কিভাবে কম্বাইন করে প্রচার করবেন?
তারা যদি আকাশের কোন খন্ডকে পতিত হতে দেখে, তবে বলে এটা তো পুঞ্জীভুত মেঘ।(সূরা আত ত্বূর ৪৪)

মোডারেটরা ও মর্ডানিস্টরা যেহেতু কুফফারদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মেইনস্ট্রিম মহাকাশ ব্যবস্থায় বিশ্বাসী,এবং যেহেতু তারা কুফফারদের বলা আকাশ ও কুরআনে বর্নিত আকাশের মধ্যে সমন্বয় করে দাবি করে যে, সলিড আসমান হয়ত আছে তবে তা ধরা ছোয়া ও দৃষ্টিসীমার বাইরে, সেহেতু উপরের আয়াতের উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন করলে, কিভাবে তূলনামূলকভাবে বালির কণার চেয়েও ক্ষুদ্র এবং মহাশূন্যে ভেসে বেরানো দুনিয়ার উপরে মিলিয়ন বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের সুবিশাল আকাশের খণ্ডাংশ ভেঙ্গে পড়ে অথচ কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই কাফেররা ইহা দেখে বলে পুঞ্জিভূত মেঘ!/? ইমাম ইবনে কাসির রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ

সুতরাং সত্য হচ্ছে ভঙ্গুর আসমান, যা জমিনের উপরে দৃষ্টিসীমার মাঝেই স্তম্ভ ছাড়াই আল্লাহর আদেশে বিদ্যমান, যাকে আমরা মেঘমুক্ত আকাশে নীলবর্নের দেখতে পাই। আর এটা যে আমাদের দৃষ্টিসীমার ভেতরেই,সেটা আল্লাহই স্বয়ং বলেছেনঃ

"তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টিতে কোন তফাত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টিফেরাও; কোন ফাটল দেখতে পাও কি?"[সূরা মুলকঃ৩]

আয়াতের ব্যখ্যায় ইবনে কাসির (রহঃ) বলেনঃ

আল্লাহ বলেনঃ
আল্লাহ, যিনি উর্ধ্বদেশে স্থাপন করেছেন আকাশমন্ডলীকে স্তম্ভ ব্যতীত। তোমরা সেগুলো দেখ....(১৩:২)

আল্লাহ বলেন:
"তারা কি তাদের উপরস্থিত আকাশের পানে দৃষ্টিপাত করে না আমি কিভাবে তা নির্মাণ করেছি এবং সুশোভিত করেছি? তাতে কোন ছিদ্রও নেই"[সূরা ক্কাফ ৬]
ইবনে কাসির(রহঃ) বলেনঃ

তাছাড়া, Tanwir Al Miqbas এ আল আকসা থেকে প্রথম আসমানের দূরত্ব উল্লেখ আছে মাত্র ১২ মাইল(যমীনের সবচেয়ে নিকতম), এতে প্রমান হয় আসমান আমাদের দৃষ্টিসীমার মাঝেই রয়েছে। আমরা সেই ত্রুটিহীন নীল আসমানি মজবুত ছাদকেই খালি চোখে দেখি।

আকাশের কোন অংশ ভেঙ্গে পড়ার আয়াত জিওসেন্ট্রিক বিশ্ব ব্যবস্থাকে দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রমান করে।
আকাশের physical solidness এর প্রমান মেলে কিয়ামত সংক্রান্ত আয়াতেঃ

আল্লাহ বলেনঃ
يَوْمَ تَمُورُ السَّمَاء مَوْرًا
সেদিন আকাশ প্রকম্পিত হবে প্রবলভাবে।(সূরা ত্বূর ৯)

ভূমিকম্পের ন্যায় আকাশের প্রকম্পন নিরেট আকাশের অস্তিত্বের পক্ষে সাক্ষ্য দেয়।

আল্লাহ বলেনঃ
وَإِذَا السَّمَاء فُرِجَتْ
যখন আকাশ ছিদ্রযুক্ত হবে(সূরা মুরসালাতঃ৯)

আল্লাহ এখনকার নিশ্ছিদ্র ও ত্রুটিহীন আবদ্ধ আকাশকে কিয়ামতের সময়ে বিপরীতরূপ করবেন। যারা আজ কাফিরদের বৈপরীত্যপূর্ন আকিদাকে সত্য বলে অর্থাৎ যারা আকাশের নিরেট অস্তিত্ব অস্বীকার করে, তারা সে সময় উপস্থিত থাকলে সত্যিই বিস্মিত হবে।
জানি না, সে অবস্থায় তারা কোন লজিক দিত!

আল্লাহ বলেনঃ
"এবং আকাশ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে শক্তিহীন হয়ে পড়বে।"
[সুরা হাককাহ্, আয়াত ১৬]

"যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে সেদিন ওটা লাল চামড়ার মত রক্তবর্ণ ধারণ করবে;"[সুরা রহমান, আয়াত ৩৭]

"সেদিন আকাশ হবে গলিত রুপার মত,"[সুরা মাআরিজ, আয়াত ০৮]

'সেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে নেব, যেমন গুটানো হয় লিখিত কাগজপত্র। যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। আমার ওয়াদা নিশ্চিত, আমাকে তা পূর্ণ করতেই হবে'(২১ঃ১০৪)

আকাশ নিরেট ম্যাটেরিয়াল সলিড ছাদ বিশেষ যা অবশেষে কাগজের ন্যায় গুটিয়ে নেওয়া হবে। এটা অত্যন্ত স্পষ্ট প্রমান! অথচ ওরা এরপরেও মিথ্যাকে সত্য প্রমান করতে বিতর্ক করতে থাকবে।



এক হাদিসে এসেছেঃ
حدثنا مسدد، سمع يحيى بن سعيد، عن سفيان، حدثني منصور، وسليمان، عن إبراهيم، عن عبيدة، عن عبد الله، أن يهوديا، جاء إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا محمد إن الله يمسك السموات على إصبع والأرضين على إصبع، والجبال على إصبع، والشجر على إصبع، والخلائق على إصبع، ثم يقول أنا الملك‏.‏ فضحك رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى بدت نواجذه ثم قرأ ‏{‏وما قدروا الله حق قدره‏}‏‏.‏ قال يحيى بن سعيد وزاد فيه فضيل بن عياض عن منصور عن إبراهيم عن عبيدة عن عبد الله فضحك رسول الله صلى الله عليه وسلم تعجبا وتصديقا له‏.‏

আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
যে, এক ইয়াহূদী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর কাছে এসে বলল, হে মুহাম্মদ! আল্লাহ্ ক্বিয়ামাতের দিনে আসমানগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, যমীনগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, পর্বতগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, গাছগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর এবং বাকী সৃষ্টিকে এক আঙ্গুলের ওপর তুলে বলবেন, বাদশাহ্ একমাত্র আমিই। এতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেসে দিলেন। এমনকি তাঁর মাড়ির দাঁত পর্যন্ত প্রকাশিত হল। তারপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ তারা আল্লাহ্ তা’আলার যথোচিত মর্যাদা উপলব্ধি দেয়নি।
ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ বলেন, এ বর্ণনায় একটু যোগ করেছেন ফুদায়ল ইব্‌নু আয়ায... আবিদাহ (রহঃ) সূত্রে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে যে, এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিস্মিত হয়ে তার সমর্থনে হেসে দিলেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০৯)



সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭৪১৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



আল্লাহ এখানে কাগজের সাথে তুলনা করে গুটিয়ে নেওয়ার বিষয়টি দ্বারা সুস্পষ্ট করলেন এর ফিজিক্যাল সলিড এক্সিস্টেন্সের ব্যপারটি। তাহলে কি 'সজ্ঞানে' কাব্বালার অনুসরণকারী আজকের মুসলিমরা বলতে চায় ওদের বিশ্বস্ত কাফিরদের বলা অস্তিত্বহীন সীমাহীন 'শূন্যের শূন্য মহাশূন্য'কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা কাগজের ন্যায় ভাঁজ করবেন!(?) নাকি বায়ুরস্তরকে ভাঁজ করবেন!? কত বড় উদ্ভট বিকৃত ধারনা! মনে রাখবেন ওরা তারা, যারা বিগব্যাং এর মত কুফরি(কাব্বালিস্টিক- tzim tzum) কস্মোজেনেসিসকেও ইসলামাইজড করে! ওরা এবার বলতে শুরু করবে যে আল্লাহর এসকল বর্ননা গুলো রূপক! অর্থাৎ আর যাই হোক কাব্বালিস্টিক এস্ট্রোলজিক্যাল কস্মোলজিকে ছাড়বে না। আমরা যতদিন আকাশকে গম্বুজাকৃতির ছাদ বলেছি, ততদিন ওদেরকে চরম বিরুদ্ধাচারন করতে দেখেছেন। ওদের লেখক গুরুজনেরাও রহমানের আয়াত ব্যবহার করে এতদিন কাফেরদের সাথে তাল মিলিয়ে ইনফিনিট এম্পটি স্পেসকে প্রমানের চেষ্টা করেছে, ওরা বলেছে উহা এটমোস্ফিয়ার, সলিড ফিজিক্যাল আসমান বা ছাদ কখনোই নয়।
প্রমানস্বরূপ এই লিংকে গিয়ে দেখুন, নাস্তিক মুর্তাদরা যখন কাফেরদের নৌকায়(allegory) ওঠা মুসলিমদের প্রশ্ন করে, 'তোমরা এই নৌকায় কেন?' এর উত্তরে কত সুন্দরভাবে কাব্বালিস্টিক কস্মোলজি অবলম্বনের যুক্তি দেয় দেখুনঃ http://islamicnewblogad
dress.blogspot.com/2016/12/meaning-sky-as-tentdome-in-quran.html

কিন্তু এখন সুর হালকা পালটেছে, কারন কাফেরদের সুরে চলতে হবে যে...!

পশ্চিমা কাফিরদের মধ্যে জিওসেন্ট্রিক মডেলে বিশ্বাসীদের মধ্যে এই কথা প্রচলিত আছে যে, অপারেশন হাই জাম্পের পরে, বিশ্বের অর্থ-রাজনৈতিক ও মতাদর্শ নিয়ন্ত্রণকারী কাফিররা যখন নিশ্চিত হয়েছে যে উপরে মজবুত ছাদ বিদ্যমান, তখন ওরা আকাশে নিউক্স ফাটিয়ে আকাশ ভাঙার চেষ্টাও চালায়। শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও সত্য। এই অপারেশনের কোড নেমঃ Operation Fishbowl। এতে ওরা ব্যর্থ হয়। কিন্তু কল্পনা এবং কম্পিউটার এর মধ্যে সীমাবদ্ধ এই ভুয়া কস্মোলজির প্রোপাগান্ডা অব্যাহত রেখেছে কস্মোলজিক্যাল মিস্টিসিজমে ডুবিয়ে রাখার জন্য। চন্দ্র অভিযান সহ অনেক নাটক জনগনকে হজম করানো হয়েছে। ওরা এখন না স্বীকার করে পারছে না উপরের আচ্ছাদনের বাধাকে। একে নাম দিয়েছে ভ্যান এ্যালেন বেল্ট।

কি আর করা বলুন! কাব্বালিস্টিক কস্মোলজিতে বিশ্বাসী নবধারার মুসলিমগনের অদেখা জগতের ব্যপারে কাফিরদের উপর অগাধ বিশ্বাস আর আস্থা থেকে তো বেরোনো যাবে না। কাফের মুশরিকরা যা বলে সেগুলোকে যেকোনভাবেই ইসলামীকরন করতেই হবে। তাই না?! করেছেনও। একাজে নিয়োজিত নতুন ধারার মুসলিম ভাইবোনদের গুরুরা একাজে পিছিয়ে থাকেন না। গিয়ে দেখে আসুন, এতদিন এদেরকে দেখেছেন যে ২:২২ নং এর বর্ননায় আসা গম্বুজাকৃতি ছাদকে স্বীকারই করতে চাইত না। এমনকি সাহাবীদের(রাঃ) ব্যাখ্যার রেফারেন্স দিলেও অস্বীকার করত, অথচ আজ কাফেরদের ভ্যান এল্যেন বেল্টের বর্ননাকে সংগতিপূর্ণ করতে ডোম কন্সেপ্টকে এডমিট করে। কিন্তু 'খিচুড়ি কন্সেপ্ট' রেখেই। পড়ুনঃ
https://www.islamweb.net/en/article/193468/the-well-guarded-sky-a-miracle-of-the-quran
এখন বলতেছে,ভ্যান এলেন বেল্টই গম্বুজাকৃতির ছাদ যা স্পেসের বিভিন্ন বস্তু প্রবেশে বাধা দেয়! আচ্ছা, স্ফেরিক্যাল পৃথিবীর চারপাশে তাহলে কয়টা গম্বুজাকৃতি ছাদ আছে যা স্ফেরিক্যাল শেপকে বেষ্টন করে?! এ প্রশ্ন এ জন্যই আসছে কেননা, গোলাকার বলকে একটি মাত্র গম্বুজাকৃতির বেষ্টনী দ্বারা চারদিক দিয়ে বেষ্টন করা সম্ভব না।

এরকমই প্যারাডক্সিক্যাল প্রশ্ন তৈরি হবে এবং হতে থাকবে যতক্ষন, অর্ধেক কাফিরদের বিদ্যা এবং অর্ধেক আল্লাহ প্রদত্ত আসমানি শিক্ষার মাঝে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা চলবে।
এই আর্টিকেলেই সুরক্ষিত ছাদের নানান মনগড়া সুডোসাইন্স চাটা ব্যাখ্যা দিয়েছে। এমনকি পবিত্র কুরআনের অলৌকিকতা সত্যায়নে Dr Hugh Ross এর মত কাফেরের কথার রেফারেন্স আনতেও ভুল করেনি। খানিকটা কপি করে দিলাম:
"In fact, the Earth has the highest density of any of the planets in our Solar System. This large nickel-iron core is responsible for our large magnetic field. This magnetic field produces the Van-Allen radiation shield, which protects the Earth from radiation bombardment. If this shield were not present, life would not be possible on Earth. The only other rocky planet to have any magnetic field is Mercury—but its field strength is 100 times less than the Earth's. Even Venus, our sister planet, has no magnetic field. The Van-Allen radiation shield is a design unique to the Earth. (The Incredible Design of the Earth and our Solar System)"

২২:৬৫ এরও মনগড়া অদ্ভুত ব্যাখ্যাও দিলো যার সাথে আয়াতের কোন সম্পর্কই নেই। আয়াতে আছে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আকাশের পতন রোধ করেন আর ওরা বানিয়েছে উল্কা/ অন্যান্য পদার্থ পতন থেকে আল্লাহ দুনিয়াকে বাচায়!!! এদের অপব্যাখ্যা এতই নিন্মমানে পৌছেছে যে মানুষকে গাধা, আর গাধাকে মানুষ সাব্যস্ত করবার মতন অবস্থা তৈরি হয়েছে। আউজুবিল্লাহ!

প্রদত্ত প্রথম লিংকে দেখেছেন কিভাবে প্রগতিশীল মর্ডান ঘরানার মুসলিমগন গম্বুজাকৃতির আসমানকে অস্বীকার করেছে। এরপরে দেখেছেন কাফেরদের কথাকে ইসলামাইজড করতে গিয়ে কিরূপে ডোম ফার্মামেন্টেরই করাপ্টেড ব্যাখ্যা দিয়েছে ওই এটমোস্ফিয়রিক লেয়ারের এক্সপ্ল্যানেশনকে কেন্দ্র করেই। এবার দেখুন অভিশপ্ত শিয়াদের বিভ্রান্তি। । স্বয়ং এক কাফের ওদের ওয়েবে প্রশ্ন করে কোণঠাসা করে দিচ্ছে। একজন তো এম্পটি স্পেসকে কুরআন এর সাথে কম্প্যাটিবল করতে এক অভিনব যুক্তি দিল। বলল, সারা স্পেসই তো এটমিক উপাদান দ্বারা ভরা। সেসব তো সাবএটমিক লেভেলে ফিজিক্যাল এন্টিটিই, সে হিসেবে ভ্যাকুয়াম এম্পটি স্পেস বা আকাশ হচ্ছে সলিড ছাদ। মোটকথা বায়ুমন্ডলের স্তরই হচ্ছে আসমানগুলোর ৭ স্তর। পড়ুনঃ
https://www.shiachat.com/forum/topic/234968269-quran-thinks-the-sky-a-phyical-object/

ইসলামিকবোর্ড[১৭] ওয়েবসাইটে প্রশ্ন করা হয় আসমান গম্বুজসদৃশ এবং নিকটবর্তী কিনা। উত্তরে হলিউডের সায়েন্স ফিকশন ফিল্ম, ওয়ার্মহোল, পোর্টাল,  স্পেস টাইম কন্টিনিউয়াম ইত্যাদি নানা কুফফারদের তত্ত্ব আনা হয় কুরআন সুন্নাহর দলিলের ব্যাখ্যায়! আর গম্বুজাকৃতির আসমান কিনা সেটাকে অবজারভারের পার্স্পেক্টিভ হিসেবে বলা হয়।

এভাবেই নসের বিপরীতে কাফিরদের তত্ত্বের সাথে কম্প্যাটিবল চিন্তাকে গ্রহন করা হয়।
অর্থাৎ যেভাবেই হোক কাফেরদের প্রদর্শিত রাস্তায় চলতে হবে, এটাই তাদের কাছে sacred knowledge! কাফেরদের ট্রোল পরিবর্তিত হলে ওরাও সাথে সাথে এডাপ্ট করে নেয়,আর বলে 'বিজ্ঞানময় কুরআন'! লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ! ওদের একটা যুক্তি হচ্ছে বিজ্ঞান বিকশিত হচ্ছে, আর এটা যত দিনই যাবে কুরআনকেই সত্যায়ন করবে! কুরআনের দুর্বোধ্য ব্যখ্যাতীত বিষয়গুলোকেও ভবিষ্যতে ব্যাখ্যা করবে! এরা এ কথাও বলে, সাহাবীদের আসমান জমিন সংক্রান্ত বিশ্বাস প্রাচীন জিওসেন্ট্রিক, কেননা তাদের কাছে উন্নত প্রযুক্তি ছিল না, স্যাটেলাইট আবিষ্কৃত হয়নি,নবী(স) ছিলেন নিরক্ষর, এজন্য আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে দেখা মহাকাশ বিজ্ঞানের ব্যপারে তারা জ্ঞানহীন ছিল!! নাউজুবিল্লাহ!! আমরা নির্বোধদের কে বলি, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা কি আল্লাহর রাসূল(সাঃ) সপ্ত আসমান ছাড়িয়ে মিরাজে আল্লাহর কাছে নেন নি! তিনি কি তাকে অদেখা জগতের ব্যপারে কিছুই দেখান নি! তিনি কি সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যপারে ভুল এবং মিথ্যা শিক্ষা দিয়েছিলেন রাসূল(সা) কে?! এবং আজ যা কাফিররা বলছে তা সত্য!!? আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা নিজেই তো আসমান ভেঙ্গে পড়ার কথা কুরআন মাজীদেই ইরশাদ করেছেন। অন্তরে ব্যাধিগ্রস্ত এসকল মুসলিম কি বলবে; আল্লাহও ভুল করেছেন!? নাউজুবিল্লাহ।
আমরা হালকা প্রদর্শন করেছি প্রতিষ্ঠিত সাইন্সের কোর টিচিং। আপনার কি মনে হয়, কিছু কুফরি দর্শন(Natural philosophy) ও আকিদা কুরআন এর পবিত্র আয়াতগুলোকে সত্যায়ন করবে!? এরূপ চিন্তাশীলরা কতটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি মূর্খ!! যেখানে কাফেররা চায় এমন কিছু, যা শুধু কুরআনই নয়, আগের কিতাবগুলোকেও অসত্য প্রমান করবে, সেখানে কি করে ওই আশা করতে পারে!! মা'আযাল্লাহ!!

আমরা এতক্ষন আসমান নামের সলিড ছাদের অস্তিত্বের ব্যপারে উল্লেখ করেছি। আমরা এও বলেছি যে, আসমান যমীনের উপর গম্বুজাকৃতির ছাদ। এ কথার দলিল খুঁজতে, আমরা অবশ্যই সাহাবীদের(রাযি.) দ্বারস্থ হব। তারা ছিলেন হক্কের মাপকাঠি। আল্লাহ বলেনঃ

الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الأَرْضَ فِرَاشاً وَالسَّمَاء بِنَاء
অর্থাৎ, "যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন"(২:২২)

সাহাবীগনের আসমানের ব্যপারে আকিদা বা বিশ্বাস হচ্ছে, আসমান যমীনের উপর গম্বুজাকৃতির ছাদ।

"হযরত ইবনে আব্বাস(রাঃ), হযরত ইবনে মাসউদ(রাঃ) ও কয়েকজন সাহাবী থেকে বর্নিত আছে যে, তারা وَالسَّمَاء بِنَاء এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেছেন, যমীনের উপর আকাশের ছাদ হচ্ছে গম্বুজের আকৃতি সাদৃশ্য। আর তা হচ্ছে যমীনের ছাদ বিশেষ।


কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্নিত আছে যে তিনি আল্লাহর বানী وَالسَّمَاء بِنَاء এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, অর্থাৎ আকাশকে তোমার জন্য ছাদ করেছেন।"

...................[তাফসীর ইবনে জারীর তাবারী ২:২২ দ্রষ্টব্য]

English:
حَدَّثَنِي مُوسَى بْن هَارُونَ , قَالَ : حَدَّثَنَا عَمْرو بْن حَمَّاد , قَالَ : حَدَّثَنَا أَسْبَاط , عَنْ السُّدِّيّ فِي خَبَر ذَكَرَهُ , عَنْ أَبِي مَالِك , وَعَنْ أَبِي صَالِح , عَنْ ابْن عَبَّاس , وَعَنْ مُرَّة , عَنْ ابْن مَسْعُود وَعَنْ نَاس مِنْ أَصْحَاب النَّبِيّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : { وَالسَّمَاء بِنَاء } , فَبِنَاء السَّمَاء عَلَى الْأَرْض كَهَيْئَةِ الْقُبَّة , وَهِيَ سَقْف عَلَى الْأَرْض .وَحَدَّثَنَا بِشْر بْن مُعَاذ , قَالَ : حَدَّثَنَا يَزِيد , عَنْ سَعِيد , عَنْ قَتَادَةَ فِي قَوْل اللَّه { وَالسَّمَاء بِنَاء } قَالَ : جَعَلَ السَّمَاء سَقْفًا لَك .
Musa ibn Harun narrated and said that Amru ibn Hammad narrated and said that Asbath narrated from al-Suddi in the report mentioned, from Abu Malik, and from Abu Salih, from ibn 'Abbas and from Murrah, from ibn Masud and from people of the companions of the prophet (peace and blessings be upon him):
"...and the sky a canopy..." The canopy of the sky over the earth is in the form of a dome, and it is a roof over the earth. And Bishr bin Mu'az narrated and said from Yazid from Sa'id from Qatada in the words of Allah "...and the sky a canopy..." He says he makes the sky your roof.

অর্থাৎ আমরা যে এই আসমানকে গম্বুজ সদৃশ বলছি, এটা আমাদের মনগড়া কিছু নয়, বরং সরাসরি সাহাবীদের(রাঃ) আকিদা(বিশ্বাস)।

অন্যত্র আল্লাহ বলেনঃ

ﭐﻟﻠَّﻪُ ﭐﻟَّﺬِﻯ ﺟَﻌَﻞَ ﻟَﻜُﻢُ ﭐﻟْﺄَﺭْﺽَ ﻗَﺮَﺍﺭًﺍ ﻭَﭐﻟﺴَّﻤَﺎٓﺀَ ﺑِﻨَﺎٓﺀً ﻭَﺻَﻮَّﺭَﻛُﻢْ ﻓَﺄَﺣْﺴَﻦَ ﺻُﻮَﺭَﻛُﻢْ ﻭَﺭَﺯَﻗَﻜُﻢ ﻣِّﻦَ ﭐﻟﻄَّﻴِّﺒَٰﺖِۚ ﺫَٰﻟِﻜُﻢُ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﺭَﺑُّﻜُﻢْۖ ﻓَﺘَﺒَﺎﺭَﻙَ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﺭَﺏُّ ﭐﻟْﻌَٰﻠَﻤِﻴﻦَ

It is Allah who has created the earth as a place for you to live and the sky as a dome above you. He has shaped you in the best form and provided you with pure sustenance . This is Allah, your Lord. Blessed is Allah, the Lord of the worlds.[40:64]

Tafsir Ibn kather 40:64


আল্লাহ বলেনঃ
"আল্লাহ, যিনি উর্ধ্বদেশে স্থাপন করেছেন আকাশমন্ডলীকে স্তম্ভ ব্যতীত।(রাদঃ২)

স্তম্ভকে সাধারণত সলিড কিছুকে ধারন করতে ব্যবহার করা হয়, স্তম্ভের প্রশ্ন তখনই আসে যখন কোন মজবুত প্রকাণ্ড স্ট্রাকচারকে উপরে ধরে রাখার প্রয়োজন পরে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার গম্বুজাকৃতির আকাশকে স্তম্ভের সাহায্য ছাড়াই সৃষ্টি করেছেন। মোডারেটদের এক যুক্তিওয়ালা 'মহাজ্ঞানী' বলেন,সমতল যমীনের উপর গম্বুজাকৃতির আসমান এ আয়াতে এসে সাংঘর্ষিক হয়! তার বক্তব্য, গম্বুজের সার্কুলার প্রান্তসীমা তো যমীনকে স্পর্শ করে,তাহলে স্তম্ভ বিনা কি করে হয়!! এজন্য তিনি সাহাবীদের ব্যাখ্যাটি বর্জন করেন। উপরন্তু হাদিসটির বর্ননার বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন! তার উস্তাদ ন্যাক সাহেব বলেন, ইবনে জারীর(র) কোন মুফাসসির নন বরং উনি ইতিহাসবিদ! তিনি নাকি তার তাফসীরে(তাবারী) সকল আয়াতের সম্পর্কে ভুল শুদ্ধ -সত্য মিথ্যা 'ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ' সব রকমের বক্তব্য এনেছেন!!![১১]

অথচ তাফসীর তাবারির বিশুদ্ধতা, নির্ভরযোগ্য সনদ,সন্দেহজনক- দুর্বল সোর্স বর্জন,সরাসরি সাহাবি,তাবেইন, তাবে তাবেঈনদের থেকে বর্ননা ও ব্যাখ্যা গ্রহন এবং বিদাতহীন তাফসীরের জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া(র),ইবনে খুজাইমা, ইমাম আত তাহাবী(র), ইবনে হাজার আল আস্কালানী(র),আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়ূতী(র)সহ প্রমুখ উলামা, মুহাদ্দিসিন ও মুফাসসিরীন।
বিস্তারিত দেখুনঃ https://islamqa.info/en/43778
এ বিষয়টা মোডারেট/মর্ডানিস্টদের মুখোশ খুলে দেয়।
মোডারেটরা ইমাম ইবনু জারীর তাবারী(রঃ) এর জন্য একটু বিব্রত হয় কারন তিনি সরাসরি সাহাবীদের থেকে নির্ভরযোগ্য বিশুদ্ধ হাদিসগুলো এনেছেন যা ভন্ডদের ভণ্ডামির বিরুদ্ধে যায় এবং উহা কুফফারদের কথার বিপরীতে থাকে। এজন্যই তাদের কাছে তিনি এলার্জিক।

গম্বুজাকৃতির আসমানের বিশ্বাসের বিষয়টি শুধু সাহাবীদেরই নয়। অতীতের জমহূর আলিম, মুফাসসীরগনও এটাই বিশ্বাস করতেন। তারা একেই কুরআন সুন্নাহর সাথে সঙ্গতিপূর্ন বলে উল্লেখ করেছেন। যারা বলতে চায়, গম্বুজাকৃতির আসমান স্তম্ভবিহীন আসমানের আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক(!) এরা বস্তুত, সাহাবী(রাঃ), মুফাসসীরীন ও গ্রীক দর্শন আরবে প্রবেশ পূর্ব জমহূর উলামাদের চেয়েও বেশি বোঝেন! আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।

"আইয়াস ইবনু মুআ'বিয়া (রঃ) বলেন, আসমান যমীনের উপর গম্বুজের ন্যায় রয়েছে। অর্থাৎ তাতে কোন স্তম্ভ নেই। এই উক্তিটিই কুরআন কারীমের বাক্যরীতিরও যোগ্যও বটে এবং.... وَيُمْسِكُ السَّمَاء أَن تَقَعَ عَلَى الْأَرْضِ(২২:৬৫) এই আয়াত দ্বারাও এটাই প্রতীয়মান হয়।সুতরাং
تَرَوْنَهَ এই কথা দ্বারা আকাশে স্তম্ভ না থাকার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আসমান বিনা স্তম্ভে এই পরিমান উচুতে রয়েছে এবং তোমরা তা সচক্ষে অবলোকন করছ। এটা মহামহিমান্বিত আল্লাহর ব্যাপক ক্ষমতার একটি নিদর্শন। " 
[তাফসীর ইবনে কাসিরঃপারা ১৩। পৃঃ ২৫৬]

অতএব, স্পষ্টত দেখছেন সাহাবীদের(রাঃ) থেকে আসা আয়াতের ব্যাখ্যা তথা হাদিস এবং পরবর্তী প্রাচীন আলেম উলামাগনের স্বীকৃতি। যার জন্য ইবনে কাসীরও(র) উল্লেখ করেন "...আসমান যমীনের উপর গম্বুজের ন্যায় রয়েছে। অর্থাৎ তাতে কোন স্তম্ভ নেই। এই উক্তিটিই কুরআন কারীমের বাক্যরীতিরও যোগ্যও বটে "। অর্থাৎ ইবনে কাসির(রহঃ) গম্বুজাকৃতির আসমানের বিষয়টিকে সমর্থন করেছেন। সুতরাং দেখছেন মোডারেটরা কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা যেন সাহাবী ও মুফাসসীরোনের চেয়েও বেশি বোঝে! মা'আযাল্লাহ! গম্বুজাকৃতির আসমান জমিনের প্রান্তসীমায় কিরূপ অবস্থায় আছে সেসম্পর্কে আমরা বেখবর, আর যেটা বিস্তারিত বলা হয়নি সেসম্পর্কে জানতেও খুব বেশি আগ্রহবোধ করিনা। আমরা শুনেছি এবং বিশ্বাস করেছি। ৪র্থ পর্বের শেষদিকে ক্কাফ পর্বত ও আসমানের ব্যপারে কিছু আলোচনা গত হয়েছে।



আসমান দুর্ভেদ্য সুরক্ষিত ছাদ, যার দরজা বন্ধঃ

এই মজবুত আসমানি গম্বুজাকৃতির ছাদটি সুরক্ষিত বেষ্টনী। কোন কিছুই আল্লাহর অনুমতিতে ফেরেশতাদের দুয়ার খোলা ছাড়া উপরে যেতে পারে না। এটা আমরা মিরাজের হাদিসগুলোয় ভালভাবেই দেখি।প্রত্যেক আসমানে প্রহরী ফেরেশতারা আল্লাহর অনুমতি নিয়ে আসমানের দুয়ার গুলো খোলে। আল্লাহ বলেনঃ

ﻭَﺟَﻌَﻠْﻦَﺍ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀ ﺳَﻘْﻔًﺎ ﻣَّﺤْﻔُﻮﻇًﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﻋَﻦْ ﺁﻳَﺎﺗِﻬَﺎ ﻣُﻌْﺮِﺿُﻮﻥَ
"আমি আকাশকে সুরক্ষিত ছাদ করেছি; অথচ তারা আমার আকাশস্থ নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে" (আম্বিয়াঃ৩২)

21:32 (Y. Ali) And We have made the heavens as a canopy well guarded: yet do they turn away from the Signs which these things (point to)!


শয়তান জ্বীনরাও এটা ভেদ করতে অক্ষম। তারা উপরে গিয়ে আসমানি বার্তা গ্রহন করতে গেলেও মহা সংকটে পড়ে। আল্লাহ ওদের সম্পর্কে বলেনঃ

ﻭَﺃَﻧَّﺎ ﻟَﻤَﺴْﻨَﺎ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀ ﻓَﻮَﺟَﺪْﻧَﺎﻫَﺎ ﻣُﻠِﺌَﺖْ ﺣَﺮَﺳًﺎ ﺷَﺪِﻳﺪًﺍ ﻭَﺷُﻬُﺒًﺎ
ﻭَﺃَﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻧَﻘْﻌُﺪُ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﻣَﻘَﺎﻋِﺪَ ﻟِﻠﺴَّﻤْﻊِ ﻓَﻤَﻦ ﻳَﺴْﺘَﻤِﻊِ ﺍﻟْﺂﻥَ ﻳَﺠِﺪْ ﻟَﻪُ ﺷِﻬَﺎﺑًﺎ ﺭَّﺻَﺪًﺍ
আমরা আকাশ পর্যবেক্ষণ করছি, অতঃপর দেখতে পেয়েছি যে, কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিন্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ।আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শ্রবণার্থে বসতাম। এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে জলন্ত উল্কাপিন্ড ওঁৎ পেতে থাকতে দেখে(সূরা জ্বীনঃ৮-৯)



আল্লাহ বলেনঃ
وَحَفِظْنَاهَا مِن كُلِّ شَيْطَانٍ رَّجِيمٍ
আমি আকাশকে প্রত্যেক বিতাড়িত শয়তান থেকে নিরাপদ করে দিয়েছি(হিজরঃ১৭)


আসমানে দরজা বা পথের অস্তিত্বের দলিলঃ
وَالسَّمَاء ذَاتِ الْحُبُكِ
পথবিশিষ্ট আকাশের কসম[আয যারিয়াতঃ০৭]


আসমানের দরজা উন্মুক্ত করা হবে হাশরের ময়দানে, যখন মালাইকাগন সারিবদ্ধ ভাবে যমীনে অবতরণ করবেন। আল্লাহ বলেনঃ

وَفُتِحَتِ السَّمَاء فَكَانَتْ أَبْوَابًا
আকাশ উন্মুক্ত করা হবে; তাতে বহু দরজা সৃষ্টি হবে(সূরা নাবা ১৯)



আকাশ উন্মুক্ত করা হবে, অর্থাৎ এখন তা বন্ধ। কিয়ামতের দিন বহু দরজাবিশিষ্ট হওয়া আসমানের নিরেটভাবকে সত্যায়ন করে।
আল্লাহ বলেন:

وَيَوْمَ تَشَقَّقُ السَّمَاء بِالْغَمَامِ وَنُزِّلَ الْمَلَائِكَةُ تَنزِيلًا
সেদিন আকাশ মেঘমালাসহ বিদীর্ণ হবে এবং সেদিন ফেরেশতাদের নামিয়ে দেয়া হবে,(ফুরকানঃ২৫)


এর দ্বারা প্রমান হয় যে, আসমানের দুয়ার বন্ধ। কিয়ামতের দিন আসমানকে বিদীর্ণ করে বহু দরজার সৃষ্টি করা হবে, যার মাধ্যমে ফেরেশতাগন অবতরণ করবেন যমীনে। ইমাম ইবনে কাসির বলেনঃ












আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা কাফিরদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি যদি আসমানের দুয়ারগুলো খুলেও দেন যাতে তারা আরোহন করতে পারে, এরপরেও ওরা কুফরি করবে। আল্লাহ বলেনঃ

وَلَوْ فَتَحْنَا عَلَيْهِم بَابًا مِّنَ السَّمَاء فَظَلُّواْ فِيهِ يَعْرُجُونَ
যদি আমি ওদের সামনে আকাশের কোন দরজাও খুলে দেই আর তাতে ওরা দিনভর আরোহণ ও করতে থাকে [হিজরঃ১৪]


সুতরাং আসমানের দুয়ার সমূহ বন্ধ।
আল্লাহ বলেনঃ

إِنَّ الَّذِينَ كَذَّبُواْ بِآيَاتِنَا وَاسْتَكْبَرُواْ عَنْهَا لاَ تُفَتَّحُ لَهُمْ أَبْوَابُ السَّمَاء وَلاَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُجْرِمِينَ
নিশ্চয়ই যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছে এবং এগুলো থেকে অহংকার করেছে, তাদের জন্যে আকাশের দ্বার উম্মুক্ত করা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। যে পর্যন্ত না সূচের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করে। আমি এমনিভাবে পাপীদেরকে শাস্তি প্রদান করি(আরাফঃ৪০)




এবার আসুন দেখা যাক হাদিসে কি এসেছে...
হযরত ইবনু আব্বাস(রাঃ) থেকে বর্নিত আছে যে একটি লোক জিজ্ঞেস যে, "হে আল্লাহর রাসূল(সঃ)! এই আকাশ কি?" তিনি উত্তরে বলেন,"এটা হচ্ছে ঢেউ, যা তোমাদের হতে বন্ধ রাখা হয়েছে।"

হাদিসটি মুসানাদে ইবনে আবি হাতিমে বর্নিত হয়েছে।
(তাফসীর ইবনে কাসীর-পারা ১৭-সূরা আম্বিয়া এর তাফসীর দ্রষ্টব্য)





সুতরাং স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন, এটা আদৌ আমাদের মনগড়া উক্তি নয়। বরং হাদিসেও এ কথাই আছে।

নূহ (আ) এর সময় মহাপ্লাবন সৃষ্টির সময় আসমানের দরজা খুলে দিয়ে ছিলেন, এতে আসমানি সমুদ্রের পানি দ্বারা যমীনে মহাপ্লাবনের সৃষ্টি হয়েছিল। আল্লাহ বলেনঃ
فَفَتَحْنَا أَبْوَابَ السَّمَاء بِمَاء مُّنْهَمِرٍ
তখন আমি খুলে দিলাম আকাশের দ্বার প্রবল বারিবর্ষণের মাধ্যমে[৫৪:১১]




আসমানের দুয়ার যেখানে বন্ধ, সেখানে কাফিররা রকেটের মাধ্যমে কথিত মহাশূন্যে যাওয়াকে কিভাবে দেখায়?
উত্তর হচ্ছে, হলিউডের বেইজমেন্টে। কম্পিউটারের গ্রাফিক্স ও থিয়েটারে। এগুলো সবই নাটক। আমরা তো জিওসেন্ট্রিক কস্মোলজির শেষ পর্বে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছিলাম, এই রকেটের আবিষ্কারকের আকিদা-বিশ্বাস এবং কর্মকাণ্ড গুলোকে। বস্তুত, ওরা কাল্পনিক মহাকাশে যাবার কথা ছড়িয়ে আল্লাহর সৃষ্ট কনফাইন্ডমেন্টকে ভার্চুয়ালি ডিফাই করতে চায়। অর্থাৎ আল্লাহ যে ক্ষমতা দেন নি, সেটা করে দেখাবার দৃষ্টতা। আমরা আজ ওদের কার্যকলাপে বিশ্বাস করি এবং দ্বীনের সাথে সমন্বয়সাধন ঘটাই!

একাধিকবার শীর্ষস্থানীয় স্পেস এজেন্সিঃনাসার কর্মচারীদের মুখ থেকে বের হয়ে গেছে যে তারা এখন পর্যন্ত 'লো আর্থ অরবিট'ই অতিক্রম করতে পারেনি[১২]। লো আর্থ অরবিট কাফেরদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী পৃথিবী উপর ৯৯ মাইল থেকে ১২০০ মাইল রেঞ্জের আওতায়। ওরা যদি দুনিয়া ছেড়েই বের হতে না পারে, তাহলে চন্দ্রবিজয়(ওদের হিসাবে চাঁদ ২৩৮০০০ মাইল দূরে) কি করে হলো! তাও একবার না, ছয় বার!! জি, হলিউড বেজমেন্টে সবকিছুই হয়! ওদের হলিউডের অভিনয়কে সত্য শেখাতে মুসলিমদের মধ্যেও সার্কুলেট করা হয় নেইল আর্মস্ট্রং চাদকে দ্বিখণ্ডিত করার নিদর্শন প্রত্যক্ষ করেন! এও শোনা যায়, তিনি নাকি ইসলামও গ্রহন করেন!!
যখন চন্দ্রগমনকারীদের বসিয়ে সাক্ষাতকার নেওয়া হচ্ছিল, তখন অলড্রিন, আর্মস্ট্রংদের মুখের অবস্থা দেখেছেন?
এদের কাছে একদল খ্রিষ্টান গিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে গস্পেল ছুয়ে চাদে যাবার সত্যতাকে শপথ করে বলতে বলে, তখন তো একজন ভোঁ দৌড় দিয়ে পলায়ন করে, আরেকজন ক্যামেরা বন্ধ করতে বলে। আরেকজন ঝগড়া করে কিল ঘুষি শুরু করে দেয়। ভণ্ডামি কাহাকে বলে! এই দৃশ্যগুলো সবই ধারন করা হয়েছে।[১৩]
ওদের বিশেষঅজ্ঞরা বলছেন, তারা ভ্যান এলেন বেল্টে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। এই বেল্ট অতিক্রম করতে তারা অরিয়ন নামের মহাকাশযান তৈরি করছে। চন্দ্রাভিযানে নাকি মহাকাশযানে ফয়েল জাতীয় শিল্ড ব্যবহার করা হয়েছিল। এরা আজকে ২০১৮ তে এসে বলছে, আমাদের হাতে ওই প্রযুক্তি নেই যা দিয়ে চাদে যাওয়া হয়েছিল। আমরা উহা ধ্বংস করে দিয়েছি।[১৪]

আজকে যেমন কস্মিক প্লুরালিজমের ফসল এলিয়েনদের অস্তিত্বে বিশ্বাস আনার জন্য সিনেমা,গল্প,ম্যাগাজিন তৈরি হয়, তেমনি চাদে যাবার নাটক তৈরির সময়েও মানুষের মনে এর সম্ভাবনার বিশ্বাস আনতে মিডিয়াতে অনেক কিছু দেখানো হয়।[১৫]

আজকে 'মঙ্গল নক্ষত্রে' মানুষ যাবার ভুয়া কন্সেপ্টের উপরে হলিউড অনেক ব্যস্ত আছে।অথচ আসমানি তরঙ্গায়িত ছাদ মানুষের জন্য বন্ধ। যদি একদম সোজা আসমান পানে কোন রকেট বা ড্রোন পাঠানো হয়, সেটার ক্ষেত্রে ঐরূপ ফলাফলই হবে যেরূপ সিভিলিয়ান স্পেস এক্স এর রকেটের ক্ষেত্রে হয়েছিল।
অথচ কাফিররা প্রচার করে ওরা চাঁদ মঙ্গল এবং আসমানের সর্বত্র জয় করে নিয়েছে। ওদের রোবট সর্বত্র গমন করে! বস্তুত, ওরা মিথ্যাবাদী বৈ আর কিছু নয়। উপরিউক্ত দলিলসমূহ ওদের সকল শয়তানি কর্মকান্ডের গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাস যোগ্যতা শূন্য বিন্দুতে নিয়ে যায়।

আসমানে যেহেতু ওদের কোনই কর্তৃত্ব নেই সেহেতু রহমান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেনঃ

أَمْ لَهُم مُّلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا فَلْيَرْتَقُوا فِي الْأَسْبَابِ
নাকি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর উপর তাদের সাম্রাজ্য রয়েছে? থাকলে তাদের আকাশে আরোহণ করা উচিত রশি ঝুলিয়ে[ছোয়াদঃ১০]



কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যপারে তৈরি অসাধারন গ্র‍্যাফিক্যাল ডেপিকশান তৈরি করেছিলেন আব্দুল্লাহ নামের এক আলজেরীয় ভাই। লিংকঃ
https://m.youtube.com/channel/UCN_2XY-OXjwhwaYKKrFhdwg


এত কিছু জানবার পরেও একদল লোক থাকবেই, যারা রহমানের কালামের সরল অর্থ এবং সমগ্র নসের প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে কাফিরদের কল্পনা,শয়তানের কথা ও কম্পিউটারে বানানো ইমেজ/এনিমেশনে বিশ্বাস করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে।

বিভ্রান্তি এবং ফিতনা সেখান থেকেই হয় যেখানে নসের তুলনায় আকল আর নফসকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আরবে গ্রীক এস্ট্রোনমি পৌছানোর পরবর্তীতে আলিমদের মধ্যে যারাই জ্যোতির্বিবিদের সাথে ইসলামিক সৃষ্টিব্যবস্থাকে মেলাতে গেছেন তাদেরকে দেখবেন বিনা দলিলে নিজের যুক্তিনির্ভর আকলকে প্রাধান্য দিয়ে নসের বিপরীতার্থক অর্থকে নিয়ে ভিন্ন মতাদর্শের প্রতিষ্ঠা এমনকি ইজমায় রূপায়ন পর্যন্ত করেছেন। ইবনে হাজম, ইবনুল মুনীর প্রমুখ আলিমগন বলেন, আলিমগনের মধ্যে ঐক্যমত্য রয়েছে যে আসমান গোল বলের ন্যায়![১৬] তাদের দলিল হচ্ছেঃ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ।
অর্থাৎ তারা ফালাক্কের কথা উল্লেখ পেয়ে আসমানের বর্তুলাকারের কল্পনা করেছেন। সেটাকেই প্রাধান্য এবং প্রচার করেছেন। তাদের কয়েকজন একই কাজ পৃথিবীর ক্ষেত্রেও করেছেন।

অথচ অন্যদিকে কাতাদা(রঃ),মুজাহিদ(রঃ), মুয়াবিয়্যাহ(রঃ) প্রমুখ জমহূর আলিম উলামাগন আসমানকে বলেছেন যমীনের উপর গম্বুজাকৃতির ছাদ। একই কথা পাওয়া যায় একাধিক সাহাবীদের(রাঃ) থেকে। এমতাবস্থায় আমরা নসের দিকে প্রত্যাবর্তনে উৎসাহিত করি।

কাফিররা আল্লাহকে যথার্থরূপে বোঝেনি। ওরা আল্লাহর ব্যপারে বিচিত্র কুফরি দর্শনকেন্দ্রিক কথা বলে। Monism, Naturalism এর Pantheistic আকিদায় সৃষ্টিকর্তার ব্যপারে কুফরি কথা বলে। ওরা এতেই ক্ষান্ত নয়, ওরা আসমান যমীনের ব্যপারে বিকৃত ধারনা প্রচার করে। ওরা আসমান বলতে মহাশূন্য/ভ্যাকুয়ামকে বোঝায়, অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা কেয়ামতের দিন মাথার উপরের আসমানকে কাগজের ন্যায় ভাঁজ করে ডান হাতে রাখবেন। বস্তুত, কাফিররা মহান সৃষ্টিকর্তা এবং তার সৃষ্টির ব্যপারে যে বিকৃত কথা বলে তা থেকে রহমান আল্লাহ ও তার সৃষ্টি পবিত্র। আজকের পথহারা উম্মাহর অধিকাংশই এই সহজ বিষয়টা বোঝেনা, বুঝতেও চায় না।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেন,
"তারা আল্লাহকে যথার্থরূপে বোঝেনি। কেয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোতে এবং আসমান সমূহ ভাঁজ করা অবস্থায় থাকবে তাঁর ডান হাতে। তিনি পবিত্র। আর এরা যাকে শরীক করে, তা থেকে তিনি অনেক উর্ধ্বে"।(সূরা যুমার ৬৭)







ওয়া আল্লাহু আ'লাম









[চলবে ইনশাআল্লাহ …]





টিকাঃ


[১]
https://m.youtube.com/watch?v=33fuxFI6rJg

[২]
https://m.youtube.com/watch?v=0NRKFrzD1aA

[৩]
https://m.youtube.com/watch?v=Q-SlysdKk7Y

https://m.youtube.com/watch?v=xMp49IYBhO4

[৪]
https://m.youtube.com/watch?v=NEVW_9EVjFE

[৫]
https://m.youtube.com/watch?v=kmO2IKFiN_Q

[৬]
https://m.youtube.com/watch?v=rp7lYL-4PfE

[৭]
https://m.youtube.com/watch?v=lF3aTc95PFE

[৮]
https://m.youtube.com/watch?v=IAcp3BFBYw4

[৯]
https://m.youtube.com/watch?v=s1hD8c--BKo

[১০]
https://m.youtube.com/watch?v=S2UU1ozBmm0

Tuesday, April 9, 2019

৫.ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্ব[পাহাড় ও পর্বত]

পর্ব-৫


আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা পাহাড়কে যমীনের উপর সৃষ্টি করেছেন পেরেক রূপে। কোন কাগজ বা তক্তাকে পেরেক দ্বারা আটকে দেওয়া হলে যেরূপে সেটা স্থিরভাবে থাকে, কোন দিকে হেলে পড়ার সম্ভাবনা থেকে রক্ষা করে, তেমনি পাহাড় পর্বত আমাদের সমতল পৃথিবীকে কোন দিকে হেলে পড়াকে প্রতিরোধ করে।


আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেন,

أَلَمْ نَجْعَلِ الْأَرْضَ مِهَادًا
  وَالْجِبَالَ أَوْتَادًا
আমি কি করিনি ভূমিকে বিছানা
এবং পর্বতমালাকে পেরেক?[সূরা নাবাঃ ৬-৭]

وَجَعَلْنَا فِي الْأَرْضِ رَوَاسِيَ أَن تَمِيدَ بِهِمْ وَجَعَلْنَا فِيهَا فِجَاجًا سُبُلًا لَعَلَّهُمْ يَهْتَدُونَ
31
আমি পৃথিবীতে ভারী বোঝা রেখে দিয়েছি যাতে তাদেরকে নিয়ে পৃথিবী ঝুঁকে না পড়ে এবং তাতে প্রশস্ত পথ রেখেছি, যাতে তারা পথ প্রাপ্ত হয়।[২১:৩১]

خَلَقَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا وَأَلْقَى فِي الْأَرْضِ رَوَاسِيَ أَن تَمِيدَ بِكُمْ وَبَثَّ فِيهَا مِن كُلِّ دَابَّةٍ وَأَنزَلْنَا مِنَ السَّمَاء مَاء فَأَنبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍ كَرِيمٍ
তিনি খুঁটি ব্যতীত আকাশমন্ডলী সৃষ্টি করেছেন; তোমরা তা দেখছ। তিনি পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন পর্বতমালা, যাতে পৃথিবী তোমাদেরকে নিয়ে ঢলে না পড়ে এবং এতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সর্বপ্রকার জন্তু। আমি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছি, অতঃপর তাতে উদগত করেছি সর্বপ্রকার কল্যাণকর উদ্ভিদরাজি।[সূরা লোকমান:১০]

আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে কাসির(রহঃ) বলেন,







وَأَلْقَى فِي الأَرْضِ رَوَاسِيَ أَن تَمِيدَ بِكُمْ وَأَنْهَارًا وَسُبُلاً لَّعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ
15
এবং তিনি পৃথিবীর উপর বোঝা রেখেছেন যে, কখনো যেন তা তোমাদেরকে নিয়ে হেলে-দুলে না পড়ে এবং নদী ও পথ তৈরী করেছেন, যাতে তোমরা পথ প্রদর্শিত হও[16:15]

আল্লাহ আরো বলেনঃ

وَجَعَلَ فِيهَا رَوَاسِيَ مِن فَوْقِهَا وَبَارَكَ فِيهَا وَقَدَّرَ فِيهَا أَقْوَاتَهَا فِي أَرْبَعَةِ أَيَّامٍ سَوَاء لِّلسَّائِلِينَ
তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।[হা মীম সিজদাহ -১০]

وَالْجِبَالَ أَرْسَاهَا
পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন [আন নাযিয়াত ৩২]











আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আরো বলেনঃ
أَمَّن جَعَلَ الْأَرْضَ قَرَارًا وَجَعَلَ خِلَالَهَا أَنْهَارًا وَجَعَلَ لَهَا رَوَاسِيَ وَجَعَلَ بَيْنَ الْبَحْرَيْنِ حَاجِزًا أَإِلَهٌ مَّعَ اللَّهِ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ
বল তো কে পৃথিবীকে বাসোপযোগী(Fixed abode) করেছেন এবং তার মাঝে মাঝে নদ-নদী প্রবাহিত করেছেন এবং তাকে(পৃথিবীকে) স্থিত রাখার জন্যে পর্বত স্থাপন করেছেন এবং দুই সমুদ্রের মাঝখানে অন্তরায় রেখেছেন। অতএব, আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? বরং তাদের অধিকাংশই জানে না
[আন নামল ৬১]





[Tafsir ibn kather 27:61] 


সুতরাং দেখতেই পাচ্ছেন ইমাম ইবনে কাসির রহিমাহুল্লাহ এই বিছানাসদৃশ সমতল পৃথিবীকে সুস্পষ্টভাবে স্থির বলছেন। এটা বস্তুত তার কথা নয়, বরং স্বয়ং রহমান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার কথা।

পর্বতসমূহ সমতল যমীনের উপর উঁচুনিচু অবস্থার সৃষ্টি করেছে। কিয়ামতের দিন এসকল পর্বতগুলোকে ধ্বংস করে ধূলিকণার ন্যায় উড়িয়ে দেওয়া হবে, যমীন এতে প্রবলভাবে প্রকম্পিত[৯৯:১] হবে। পাহাড়পর্বতগুলোকে ধূলিসাৎ করে এই বন্ধুরতা দূর করে যমীনকে সমতল উন্মুক্ত প্রান্তরে পরিনত করা হবে। যেমনটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেনঃ

وَإِذَا الْجِبَالُ سُيِّرَتْ
03
যখন পর্বতমালা অপসারিত হবে,[তাকভীরঃ৩]

وَسُيِّرَتِ الْجِبَالُ فَكَانَتْ سَرَابًا
20
এবং পর্বতমালা চালিত হয়ে মরীচিকা হয়ে যাবে[নাবা-২০]

وَيَوْمَ نُسَيِّرُ الْجِبَالَ وَتَرَى الْأَرْضَ بَارِزَةً وَحَشَرْنَاهُمْ فَلَمْ نُغَادِرْ مِنْهُمْ أَحَدًا
47
যেদিন আমি পর্বতসমূহকে পরিচালনা করব এবং আপনি পৃথিবীকে দেখবেন একটি উম্মুক্ত প্রান্তর এবং আমি মানুষকে একত্রিত করব অতঃপর তাদের কাউকে ছাড়ব না।[১৮:৪৭]

৩য় পর্বের শেষভাগে এ সংক্রান্ত আলোচনা গত হয়েছে। ৪র্থ পর্বে ক্কাফ পাহাড়ের ব্যপারে আলোচনাও গত হয়েছে।
বস্তুত, পাহাড় পর্বত পৃথিবীর নিশ্চলতা, স্থবিরতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উপরিউক্ত দলিল গুলো এর প্রমান। এসকল দলিল দ্বারা এও প্রমান হয় যে এই পৃথিবী সমতলে বিছানো যমীন বিশেষ যাকে স্থিত রাখার জন্য পর্বতগুলোকে প্রোথিত হয়েছে।

একলোক Geology বিষয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি বিজ্ঞান উদ্ভুত (অপ)বিদ্যা এবং কুরআনের জ্ঞানের মধ্যে সাংঘর্ষিকতা লক্ষ্য করেন। কুরআনে বলা হচ্ছে পাহাড় পর্বত সমূহ যমীনকে স্থির রাখে, আর বিজ্ঞান বলছে টেকটনিক প্লেট গুলো ঘুরছে। তিনি islamqa.info তে প্রশ্ন করেছেনঃ
does the Quran and sunnahever say or mention that mountains are inmoving or unshakable? Because I study geology and we know mountains move with the movement of tectonic plates but it is very small and unnoticed by humans. Also if Quran and sunnah never say this why do so many mufaseereen and scholars say this?

উত্তরে শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ (হাফিঃ) অপবিজ্ঞান এবং কুরআন সুন্নাহর মধ্যে আপোষ করে জবাব দেন।পড়ুনঃ
https://islamqa.info/en/answers/223428/allah-created-the-mountains-stable-to-stabilise-the-earth-and-prevent-it-from-moving-and-shaking



[চলবে ইনশাআল্লাহ]


বিগত পর্বগুলোঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2019/03/article-series_85.html

Thursday, April 4, 2019

৩.ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্ব[পৃথিবী]

পর্ব-৩



 গত পর্বের আলোচ্য বিষয়বস্তুর দ্বারা সত্য ও মিথ্যা উভয় সৃষ্টিতত্ত্বের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য তৈরি হয়ে গেছে এবং দীর্ঘদিনের বিতর্কের অবসান ঘটানো হয়েছে। সত্যিকারের সৃষ্টিতত্ত্ব আর মানব ও জ্বীন শয়তানের শেখানো মিথ্যা সৃষ্টিতত্ত্বের মধ্যে আসা পৃথিবী বা যমীনের আকৃতিগত পার্থক্য নিয়ে আলোচনা বা বিশ্লেষণ নিষ্প্রোয়োজন বলে মনে করি, এরপরেও কুরআন সুন্নাহে যমীনের ব্যপারে যেসমস্ত তথ্য আছে সেসব উল্লেখের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করি, এ নিয়েই আজকের পর্ব।



পৃথিবী কি শূন্য স্পিরিট লেভেলে সমতল? আমরা যমীনের ব্যপারে পূর্ববর্তী অধিকাংশ আর্টিকেলেই "সমতল" শব্দটি ব্যবহার করি। অথচ পৃথিবী বন্ধুরতা বিহীন একদম সমতল নয়। সমুদ্র, হৃদ, নদী, পাহাড় পর্বত, মালভূমি, মরুভূমির দরুন পৃথিবীর আকৃতিকে একদম সমতল বলা যায় না, বরং পৃথিবীর আকৃতির প্রকৃতির জন্য উত্তম শব্দ হবে- সমতলে বিছানো, বিস্তৃত প্রশস্ত  বিছানা বা শয্যা। এই সামান্য বক্রতা বা বন্ধুরতা খুব শীঘ্রই বিলীন করা হবে, ঐদিন যেদিন শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়া হবে। আসমান সমূহকে ভেঙ্গে ফেলা হবে এবং দস্তরখানার ন্যায় গুটিয়ে নেওয়া হবে,পাহাড় সমূহ ধূলিকণার ন্যায় বিক্ষিপ্ত হবে। ওইদিন যমীনে বন্ধুরতা বা উঁচুনিচু বলে কিছুই থাকবে না। সকলেই ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান হবে। বিশ্বাসীরা মাটিকে শুভ্র রুটির ন্যায় পাবে।

আমরা শুধুমাত্র বর্তমানে কাফির ও শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্র নির্ভর বিদ্যা উৎসারিত বিকল্প কুফরি কস্মোজেনেসিসের স্ফেরিক্যাল(গোলাকার) হেলিওসেন্ট্রিক পৃথিবীর সাথে চরম পার্থক্য দ্বার করাতে সমতলে বিস্তৃত শয্যাক্ষেত্র না বলে সরাসরি 'সমতল পৃথিবী' বলে থাকি। প্রাচীন বিজ্ঞ মুফাসসীরীনের কেউ কেউ আমাদের ন্যায় এরূপ বলেছেন।

আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা পৃথিবীর আকৃতি ও সৃষ্টিগত ব্যপারে একেবারে সহজ এবং নির্ভুল সত্য শব্দগুলোকেই ব্যবহার করেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা কুরআনে যমীনকে বিছানা সদৃশ বলেছেন এবং বলেছেন একে তিনি সমতলে বিছিয়েছেন। এবং বিচার দিবসে এই যমীনের উপর বন্ধুরতা সৃষ্টিকারী পর্বতগুলোকে ধ্বংস করে ফেলবেন, ওইরূপ সমতলতা সৃষ্টি করবেন, যাতে কেউ আড়াল করবার সামান্য কিছুও পাবে না।


আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেনঃ

الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الأَرْضَ فِرَاشاً وَالسَّمَاء بِنَاء وَأَنزَلَ مِنَ السَّمَاء مَاء فَأَخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقاً لَّكُمْ فَلاَ تَجْعَلُواْ لِلّهِ أَندَاداً وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য পৃথিবীকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে। অতএব, আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাকেও সমকক্ষ করো না। বস্তুতঃ এসব তোমরা জান। [২:২২]



আল্লাহ বলেনঃ

وَالأَرْضَ مَدَدْنَاهَا وَأَلْقَيْنَا فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ شَيْءٍ مَّوْزُونٍ
আমি যমীনকে বিস্তৃত করেছি এবং তার উপর পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে প্রত্যেক বস্তু সুপরিমিতভাবে উৎপন্ন করেছি।(১৫:১৯)

الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ مَهْدًا وَسَلَكَ لَكُمْ فِيهَا سُبُلًا وَأَنزَلَ مِنَ السَّمَاء مَاء فَأَخْرَجْنَا بِهِ أَزْوَاجًا مِّن نَّبَاتٍ شَتَّى
তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে শয্যা করেছেন এবং তাতে চলার পথ করেছেন, আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তা দ্বারা আমি বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি।(২০:৫৩)

الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ مَهْدًا وَجَعَلَ لَكُمْ فِيهَا سُبُلًا لَّعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ
যিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে করেছেন বিছানা এবং তাতে তোমাদের জন্যে করেছেন পথ, যাতে তোমরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পার।(৪৩:১০)

وَالْأَرْضَ مَدَدْنَاهَا وَأَلْقَيْنَا فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ
আমি পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছি, তাতে পর্বতমালার ভার স্থাপন করেছি এবং তাতে সর্বপ্রকার নয়নাভিরাম উদ্ভিদ উদগত করেছি(৫০:০৭)

وَالْأَرْضَ فَرَشْنٰهَا فَنِعْمَ الْمٰهِدُونَ
আর আমি যমীনকে বিছিয়ে দিয়েছি। আমি কতইনা সুন্দর বিছানা প্রস্তুতকারী!(৫১:৪৮)

وَاللَّهُ جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ بِسَاطًا
আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্যে যমীনকে করেছেন বিছানা।(৭১:১৯)
NA
أَلَمْ نَجْعَلِ الْأَرْضَ مِهَادًا
আমি কি করিনি যমীনকে বিছানা  (৭৮:৬)

وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا
পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন।(৭৯:৩০)

وَالْأَرْضِ وَمَا طَحَاهَا
শপথ পৃথিবীর এবং যিনি তা বিস্তৃত করেছেন, তাঁর(৯১:৬)


উপরিউক্ত আয়াত সমূহে ব্যবহৃত  ﻓِﺮَٰﺷًﺎ ﻣَﺪَﺩْ ﺑِﺴَﺎﻃًﺎ ﺩَﺣَﻯٰﻬَﺂ  শব্দ গুলো দ্বারা বিছানো, বিস্তৃতকরন, ছড়ানো, প্রশস্তকরন, কার্পেট বা বিছানার ন্যায় বিস্তৃত করা বোঝায়। আসমান সৃষ্টির পূর্বের unformed যমীনকে পানির উপর সমতলে কার্পেটের ন্যায় বিছানো হয়। এরপর এর উপর গম্বুজের ন্যায় সাত আসমানকে স্থাপন করা হয়(আসমানের ব্যপারে সামনের পর্বগুলোতে দলিলের ইমারত আসছে ইনশাআল্লাহ)৷ যেহেতু এই যমীনকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আসমান সৃষ্টির পূর্বে করেছেন সুতরাং প্রচলিত মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ভ্রান্ত কথার নূন্যতম গ্রহনযোগ্যতার স্থানটিকেও হারায়। এর দ্বারা বিগব্যাং ও হেলিওসেন্ট্রিক স্ফেরিক্যাল আর্থের প্লুরালিস্টিক কস্মোলজি ভ্রান্ত সাব্যস্ত হয়। এমতাবস্থায়, সমতল পৃথিবীর ব্যপারটি গোলাকার তত্ত্বের পাশে রেখে তুলনামূলক আলোচনাও করা উচিত নয়, যেহেতু এর পুরো গ্রাউন্ডই ভুয়া। আপনি যদি বিজ্ঞানপন্থী হন, কোনভাবে মানবেন যে, এই কথিত গোল দুনিয়া, বিগব্যাং এর দ্বারা মহাশূন্য সৃষ্টি হবার আগেই অস্তিত্ব ছিল!? কখনোই মানতে চাইবেন না, এজন্য অপব্যাখ্যার আশ্রয় নিয়ে হক্ক ও বাতিলের সমন্বয়ের কথা ভাবেন, কিন্তু কুরআন হাদিসের যে অকাট্য দলিল গুলো সেটার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়, সেগুলোকে গোপন করেন!  যেটা সত্য, সেটাকে আজ অধিকাংশ মানুষই অবিশ্বাস করে,অথচ এটাই সত্য।

৭৯:৩০ আয়াতের যে শব্দটি দ্বারা নব্যুয়তের দাবিদার এক  কাফির যেভাবে দুনিয়াকে উটপাখির ডিম বানিয়েছে সে আয়াতের ব্যাখ্যাতেই আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ূতি(রহঃ) বলেনঃ
and after that He spread out the earth
He made it flat for it had been created before the heaven but without having been spread out;
Al-Jalalayn-79:30

Tanwir Al Miqbas এ,
(And after that He spread the earth) even then He spread it on the water ; it is also said: 2,000 years after that He spread it on the water,
[79:30]

অর্থাৎ যে আয়াত ধরে আজকের মানুষ অপব্যাখ্যা করে যমীনকে গোল বলছে, সে আয়াতের ব্যাখ্যাতেই প্রাচীন মুফাসসীরগন যমীনকে সমতল বলেছেন। সুতরাং অপব্যাখ্যার প্রকৃতি কতটা ভয়াবহ তা অনুধাবন করতে পারছেন।  দাহাহা সংক্রান্ত আলোচনা গতপর্বেই শেষ হয়েছে।

উপরিউক্ত আয়াতসমূহের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনে কাসির(রহঃ) বলেনঃ








অতঃপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা পৃথিবীর আকৃতিগত সমতলতা আরো স্পষ্ট করে প্রকাশ করে বলেনঃ

وَإِلَى الْأَرْضِ كَيْفَ سُطِحَتْ
এবং পৃথিবীর দিকে যে, তা কিভাবে সমতল বিছানো হয়েছে?(৮৮:২০)

আরবি ﺳَﻄَّﺢَ শব্দটির অর্থ কোন কিছুকে সমতল বিছানো। এর দ্বারা জিওমেট্রিক ফ্ল্যাটনেসকে বোঝানো হয়।

সুতিহাতের মূল হচ্ছে সাতাহা, অর্থাৎ সমতল।
পূর্ববর্তী আয়াত গুলোতে যমীনকে বিছানোর কথা, বিস্তৃত ও প্রশস্ত করার কথা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেছেন। এবং এ আয়াতে বিস্তৃতকরন, প্রশস্তকরন বিছাবার প্রকৃতির ব্যপারে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন।

আরবিতে,
পৃথিবী সমতল=الارض المسطح
যেমনটা ট্রান্সলেটরেও দেখছেন।

 আরব সমতল বিশ্বব্যবস্থায় বিশ্বাসীরা তাদের গ্রুপের নাম দিয়েছে مجتمع الارض المسطحة [ক]। সাধারন আরবিভাষী মুসলিমদের মধ্যে যারা পশ্চিমা কাফির মুশরিকদের আকিদাকে ইসলামাইজ করতে তর্ক বিতর্কে লিপ্ত হয় তাদেরকে মোটেও ভাল চোখে দেখা হয় না। আমাদের মত অনারব ভাষাভাষীদের মধ্যে ওইরূপ পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের  মুসলিমদেরকে বেশ আধুনিক, প্রগতিশীল ও প্রজ্ঞাবান হিসেবে দেখা হয়, আরবিভাষীদের মধ্যে ব্যপারটি উলটো। কারন ওরা ভাল করেই জানে কুরআনে কি আছে, ওরা সে ভাষাতেই কথা বলে, এজন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় আরবিভাষীদের মধ্যে যারা ওইরূপ আকিদা রাখে তাদের মধ্যে নড়বড়ে থিওলজিক্যাল বিশ্বাসগত অবস্থান দেখা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এদেরকে এগনস্টিক হিসেবে পাওয়া যায়। ওরা যেহেতু পাশ্চাত্যের শিক্ষা দ্বারা ব্রেইনওয়াশড এজন্য কুরআনের উপর বিশ্বাস আনতে পারে না। অর্থাৎ ওদের মধ্যে হক্ক বাতিলের সীমানা আযমদের চেয়ে স্পষ্ট।

 অপব্যাখ্যাকারীরা এরূপ ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করে যে এ আয়াতে আল্লাহ কোন ক্ষুদ্র জমির অংশ, কোন ছোট অঞ্চল বা ভূখণ্ড অথবা দেশকে বুঝিয়েছেন। অথচ পূর্ববর্তী এবং এ আয়াতসমূহে  কালেক্টিভভাবে গোটা আসমান ও যমীনকে নির্দেশ করে বলা। কিন্তু তাদের (অপ)ব্যাখ্যা অনুযায়ী যেহেতু যমীনের  ক্ষুদ্র অংশের কথা বলা হয় সেরূপে আসমান নির্দেশক শব্দের দ্বারাও আসমানের ক্ষুদ্র অংশের কথা বোঝানোর কথা!!!
অপব্যাখ্যাকারীদের উদ্দেশ্য মেইনস্ট্রিম পাশ্চাত্যের আকিদার সাথে মেলানো, এজন্য যদি সুস্পষ্ট বিকৃত কিছুও বানিয়ে ফেলে, তাতেও তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই।

চলুন, এবার দেখা যাক প্রাচীন বরেণ্য মুফাসসীরীনের থেকে কি ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
সূরা গাশিয়াহর ২০ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় জালালুদ্দিন সুয়ূতি রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ

কথিত[খ] ইবনে আব্বাস(রাঃ) এর তাফসীরে পাওয়া যায়ঃ
(Allah it is Who hath created seven heavens) one above the other like a dome, (and of the earth the like thereof) seven earths but they are flat. (The commandment cometh down among them slowly) He says: He sends the angels down from heaven with revelation, Scripture and calamities, (that ye may know) and acknowledge (that Allah is Able to do all things) relating to the dwellers of the heavens and the earths, (and that Allah surroundeth all things in knowledge) and that His knowledge encompasses everything'. And of the surah in which Banning is mentioned, which is all Medinan and consists of 13 verses, 249 words
and 1,060 letters
 [৬৫:১২]

অর্থাৎ যেটা আমরা বলে থাকি, সেটাই বলা হচ্ছে। সাতটি  যমীন সমতল একের উপর আরেকটি।  আর আসমানগুলো একটির উপর আরেকটি গম্বুজের ন্যায় সাতটি ছাদ।
আর আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ূতি(রঃ) তো ৮৮:২০ এর ব্যাখ্যায় খুবই স্পষ্ট বলে দিলেন, ইল্মুল হায়া'গন যেরূপ বলে থাকেন যে যমীন গোলাকার, ওইরূপ নয়। বরং ইসলামী শরীয়াহ পৃথিবী সমতল। তিনি এও বলেন যে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের(Ahl Al-hay'a) যারা বলে এটি গোলাকার তা নিতান্তই ভুল।


ইবনে জারীর তাবারি(রহঃ) বলেন,



ইমাম কুরতুবি তার তাফসিরে বলেনঃ

তাফসির আতিয়্যাহ তে 88:20 এর ব্যাখ্যায় এসেছে,
"আল্লাহ আজ্জাওয়াজাল বলেন ﺑﺴﺎﻃﺎ অর্থাত বিছানো। যা জমীনকে সমতল বুঝায়, গোলাকার নয়।
যদি গোলাকার হত তবে পানি জমিনে লেগে থাকত না। এছাড়াও ﺳﺒﻞ পথ এবং ﻓﺠﺎﺝ অর্থ প্রশস্ত বুঝায় যা সমতল জমীন নির্দেশ করে। (তাফসীর নূহ)
হারুন রাশীদ ﺳﻄﺤﺖ কে ﻁ এর উপর তাশদীদ দিয়ে পড়েছেন, এবং এটাও সঠিক নিয়ম, যা আয়াতের মাধ্যমে বুঝা যায় জমীন ﺳﻄﺢ /ﻣﺴﻄﻮﺣﺔ (সমতল)"



সুতরাং আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, আমরা যে সমতল পৃথিবীর কথা বলি এটা আমাদের মনগড়া কিছু নয়। বরং সুস্পষ্টভাবে দেখছেন, আমাদের সপক্ষে আছে কুরআন-হাদিস, সমগ্র সাহাবীগন এবং হাফেজ ইবনে কাসির(রহঃ), ইমাম আবু জাফর ইবনে জারীর তাবারি(রহঃ), মুজাহিদ(রহঃ),কাতাদা(রহঃ), ইবনে মুয়াবিয়্যাহ(রহঃ), জালালুদ্দিন সুয়ূতি(রহঃ), ইমাম কুরতুবির(রহঃ) মত প্রাচীন জগৎশ্রেষ্ঠ আলিম ও মুফাসসীর।আমরা ঠিক ১৪০০ বছর আগের সাহাবিদের আকিদাই আবারো পুনরুজ্জীবিত করছি এবং সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যপারে কাফিরদের বিশ্বাস বা আকিদাকে ভ্রান্ত এবং মিথ্যা সাব্যস্ত করছি। যেখানে আমাদের পাশে স্বয়ং রহমানের সুস্পষ্ট আয়াত গুলো এবং সাহাবা আজমাঈনের বিশ্বাস বা আকিদার বর্ননা আমাদের কাছে আছে, সেখানে তাদের মতের বিপরীতের যেকোন লোকের মতামতই আমাদের কাছে মূল্যহীন এবং সেসব নূন্যতম মূল্যায়ন ও জাস্টিফিকেশানের যোগ্যতা রাখে না,যেহেতু কাফিরদের বিশ্বাস বা আকিদাগুলো আমরা ইসলামের সাথে সমন্বয় করতে পারিনা। যদি অন্তরের রোগ বিহীন কোন আল্লাহ ভীরু ব্যক্তির সম্মুখে সৃষ্টিতত্ত্ব সংক্রান্ত সমস্ত কুরআন সুন্নাহর দলিল, আসার ও প্রাচীন আলিম-মুফাসসীরীনের ব্যাখ্যা গুলো রাখা হয়, নিশ্চয়ই তিনি আমাদের সাথে এ বিষয়ে দ্বিমত করবেন নাহ।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা যমীনকে পানির উপর রেখেছেন,প্রত্যেক যমীনের নিচে পানির সুবিশাল স্তর বা সাগর, এর নিচে আরেকটা যমীন। এভাবে মোট সাতটা। আর সাতটি যমীন একের নিচে আরেকটা দ্বীপের ন্যায়।

According to Muhammad b. Sahl b. 'Askar-Isma'il b. 'Abd al-Karim-Wahb, mentioning some of his majesty (as being described as follows): The heavens and the earth and the oceans are in the haykal , and the haykal is in the Footstool. God's feet are upon the Footstool. He carries the Footstool. It became like a sandal on His feet. When Wahb was asked: What is the haykal ? He replied: Something on the heavens' extremities that surrounds the earth and the oceans like ropes that are used to fasten a tent. And when Wahb was asked how earths are (constituted), he replied: They are seven earths that are flat and islands. Between each two earths, there is an ocean . All that is surrounded by the (surrounding) ocean, and the haykal is behind the ocean. (Ibid., pp. 207-208; bold emphasis ours)
[ইবনে জারির তাবারীর ইতিহাস]


Tanwir al Miqbas এর 88:20 এর ব্যাখ্যায় এসেছে,
(And the earth, how it is spread) over water? All these are signs for them


সুতরাং এরপরেও কি আর কোন সংশয় থাকতে পারে? সুস্পষ্ট দলিল দেখছেন, যেখানে আমাদের পৃথিবী এবং অন্য ছয় যমীনকে সরাসরি সমতল এবং আরো স্পষ্ট ভাবে বোঝাবার জন্য দ্বীপসদৃশ বলা হচ্ছে।আমরা জানি, কিছুলোককে যত কিছুই দেখানো হোক না কেন, কিছুতেই বিশ্বাস করবে না কারন সে আন্তরিকভাবে কাফিরদের মিথ্যা তত্ত্বকে অন্তরে গেঁথে নিয়েছে। আমরা জানি এসমস্ত দলিল তাদেরকে বিচলিত করে, তাদের যদি সুযোগ থাকতো তাহলে কুরআনের আয়াতগুলোকেও কাটছাঁট করে সংযোজন বিয়োজন করে নিত(নাউজুবিল্লাহ), এই কাজটিই করেছিল মুর্তাদ ভন্ড নবী রাশাদ খলিফা। সে কুরআনকে কাটছাঁট করে নিজের মত করে বানিয়ে নিয়েছিল, আজ যারা বিজ্ঞানমনস্ক মুসলিম তারা তারই উদ্ভাবিত মিথ্যা অনুবাদকে গ্রহন এবং প্রচার করছে, কেউ সজ্ঞানে কেউ বা না জেনেই।

আমাদের এই সমতল দ্বীপ সদৃশ যমীনের নিচের পানির স্তরটি হয়ত ২য় যমীনের ছাদ। হয়ত, আমাদের জমিনের উপরে জমাট ঢেঊ ছাদের ন্যায় রয়েছে, আমাদের যমীনের নিচের সমুদ্রের নিন্মভাগটিও হতে পারে ২য় যমীনের জমাট ছাদ। ওয়া আল্লাহু আ'লাম।
এরিক নামের এক বায়োলজির প্রফেসর গবেষণা প্রজেক্টে ছোট সাবমেরিনে সমুদ্রের নিচে গিয়ে সমুদ্রের নিচের মাটিতে আরেকটা হ্রদের মত জমাট পানি আবিষ্কার করেন। তিনি সাবমেরিন নিয়ে বার বার ওটার নিচে যেতে চেষ্টা করেন,যতই চেষ্টা করে ততবারই জমাট পানি ধাক্কা দিয়ে সাবমেরিনকে উপরে পাঠিয়ে দেয়[চ]। এর বিষয়ে আজকের বিজ্ঞানও খুব কম জানে, কিছু ধারনা অনুমান ছাড়া। আজ পর্যন্ত মাটি খুড়েঁ ৭ মাইলের বেশি যেতে সক্ষম হয়নি। ৭ এর নিচে আর যাওয়া যায় না। সমুদ্রের গভীরতম অংশও ৭ মাইলের বেশি না। অথচ অপবিজ্ঞানীরা চেয়ারটেবিলে বসে ম্যাথ আর উপরে বসে কিছু অনুমান নির্ভর সুডো পরীক্ষনের দ্বারা জমিনের নিচের গঠনতত্ত্ব সম্পর্কে কত কিছুই না বলে! ক্রাস্ট,ম্যান্টেল, আউটার কোর,ইনার কোর..আরো কত কি! অথচ এসব কিছুই unobservable hypothesis । এগুলোকেই শাশ্বত সত্য বলে মানা হয়।

৭টি যমীনকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা রেখেছেন নূনের পৃষ্ঠদেশে। এ ব্যপারে অসংখ্য হাদিস আছে। পূর্বের পর্বগুলোতেও খানিকটা আলোচনা গত হয়েছে। এরপরেও এ সংক্রান্ত আরও কিছু হাদিস নিচে দেওয়া হলো:


According to Ibn al-Muthanna-Ibn Abi 'Adi-Shu'bah Sulayman (al-A'mash ?)-Abu Zabyan-Ibn 'Abbas: The first (thing) created by God is the Pen. It proceeded to (write) whatever is going to be. (God) then lifted up the water vapor, and the heavens were created from it. Then He created the fish, and the earth was spread out on its back. The fish moved, with the result that the earth was shaken up. It was steadied by means of the mountains, for the mountains indeed proudly (tower) over the earth. So he said, and he recited: "Nun. By the Pen and what they write."353 I was told the same by Tamim b. al-Muntasir-Ishaq (b. Ytzsuf)-Sharik (b.'Abdallah al-Nakha'i)-al-A'mash-Abu Zabyan or Mujahid354 -Ibn 'Abbas, with the exception, however, that he# said: And the heavens were split off from it (instead of: were created).
According to Ibn Bashshar-Yahya355 -Sufyan-Sulayman (al A'mash ?)-Abu Zabyan-Ibn 'Abbas: The first (thing) created by God is the Pen. God said: Write!, whereupon the Pen asked: What shall I write? God replied: Write what is predestined! He continued. And (the Pen) proceeded to (write) whatever is predestined and going to be from that day on to the Coming of the Hour. Then God created the fish. He lifted up the water vapor, and heaven was split off from it, and the earth was spread out upon the back of the fish. The fish became agitated, and as a result, the earth was shaken up. It was steadied by means of the mountains, he continued, for they proudly (tower) over the the earth. According to Ibn Humayd-Jarir (b. 'Abd al-Hamid)-'Ata' b. al-Sa'ib-Abu al-DOA Muslim b. Subayh-Ibn 'Abbas: The first thing created by God is the Pen. God said to it: Write!, and it wrote whatever is going to be until the Coming of the Hour. Then God created the fish upon the water. Then he heaped up the earth upon it.356

ইবনে জারির তাবারির এ হাদিস সংক্রান্ত মন্তব‌্য: 
This reportedly is a sound tradition as transmitted on the authority of Ibn 'Abbas and on the authority of others in the sense commented upon and explained and does not contradict anything transmitted by us from him on this subject.

Should someone357 ask: What comment on his authority and that of others proves the soundness of what you have transmitted to us in this sense on his authority? he should be referred to what I have been told by Musa b. Harun al-Hamdani and others-Amr b. Hammad-Asbat b. Nasr-al-Suddi-Abu Malik and Abu Salih Ibn 'Abbas. Also (al-Suddi)-Murrah al-Hamdani-Abdallah b. Masud and some (other) companions of the Messenger of God (commenting on): "He is the One Who created for you all that is on earth. Then He stretched out straight toward the heaven and fashioned it into seven heavens."358 God's Throne was upon the water. He had not created anything except what He created before# the water.359 When He wanted to create the creation, He brought forth smoke from the water. The smoke rose above the water and [5o] hovered loftily over it. He therefore called it "heaven. 00 Then He dried out the water, and thus made it one earth. He split it and made it into seven earths on Sunday and Monday. He created the earth upon a (big) fish (hut), that being the fish ( nun) mentioned by God in the Qur'an: "Nun. By the Pen."361 The fish was in the water. The water was upon the back of a (small) rock. The rock was upon the back of an angel. The angel was upon a (big) rock. The (big) rock-the one mentioned by Lugman3 2 -was in the wind, neither in heaven nor on earth. The fish moved and became agitated . As a result, the earth quaked, whereupon He firmly, anchored the mountains on it, and it was stable. The mountains proudly (tower) over the earth. This is stated in God's word that He made for the earth "firmly anchored (mountains), lest it shake you up."363 
Abu Ja'far (al-Tabari) says: The statement of those mentioned by me that God brought forth smoke from the water when He wanted to create the heavens and earth; that the smoke hovered loftily over it, by which is meant that it was high over the water, since everything that is high above another thing is its "heaven"; that He then dried out the water and made it one earth, indicates that God created heaven unfashioned before the earth and then created the earth. If it is as they say, it is not impossible that God stirred up smoke from the water and raised it high over the water, so that it became a heaven for it. Then He dried out the water, and the smoke that hovered loftily over it became an earth. But God did not spread it out and did not decree that it contain the food it provides, nor did He bring forth from it its water and its pasture, until He stretched out straight toward the heaven which was the smoke stirring from the water and rising high above it, and He fashioned it into seven heavens. Then He spread out the earth which was water and dried the water out. Then He split the earth, making it into seven earths, and decreed that it contain the amount of food it provides and "brought forth from it its water and its pasture, and the mountains He anchored firmly," as God says.'" Thus, everything transmitted by us concerning this subject on the authority of Ibn 'Abbas has a sound meaning.


Narrated by Al-Walid Ibn Muslim, narrated by Malik Ibn Ans, narrated by Sumay son of Abu Bakir, narrated by Abu Salih Al-Samaan, narrated by Abu Hurayrah who related that he heard the prophet - peace be upon him – say, "The first thing Allah created was the pen, then He created the ‘Nun’ which is an inkwell. This is what Allah stated (in sura 68:1) ‘Nun and the Pen.’ And He said to it, ‘Write’. So the pen wrote all that will be until judgment day. Then Allah created the Nun (the whale) above the waters AND HE PRESSED THE EARTH INTO ITS BACK. He (Allah) then said to the pen ‘Write.’ The pen asked ‘What shall I write?’ Allah replied, ‘Write what was and what will be until judgment day; whether deed, reward, consequence and punishment- until judgment day.’ Thus the pen wrote what shall be until judgment day. Allah then placed a seal over the pen and it will not talk until judgment day. Then Allah created the mind and said, ‘By my Glory, I will establish you in those whom you love and I will take you away from those whom you despise.’"
Mujahid related that ‘Nun’ is the whale that is underneath the seventh earth. He stated that the ‘Pen’ is what was used to write ‘Al-Thikir’ (The Remembrance - Quran). Likewise, it was also narrated by Mukatil, Murrah Al-Hamdani, Ata’ Al-Kharasani, Al Suddi and Al-Kalbi who all said, "Nun is the whale upon which all the earths are placed."
Narrated by Abu Thabyan, narrated by Ibn Abbas who said, "The first thing that Allah created was the Pen which wrote all that shall be. Then water vapor began to rise, out of which the heavens were created. Then (Allah) created Nun (the whale) and flattened the earth on its back. When the earth began to lean, it was reinforced with mountains, which are on its surface." Then Ibn Abbas read the verse (Sura 68:1) ‘Nun and the Pen.’
Al-Kalbi and Mukatil stated that the name (of the whale) is ‘Al-Bahmout.’ Al-Rajis said, "Why do I see you all silent and the Lord my God created Al-Bahmout?"
Abu Yakthan and Al-Waqidi stated that the name (of the whale) is ‘Leotha’; Whereas Kab stated that its name is ‘Lo-tho-tha’ or ‘Bil-Ha-motha.’ Kab said, "Satan crept up to the whale, on whom the seven earths are placed, and whispered into its heart saying, ‘Do you realize what is on your back, Oh Lo-tho-tha of beasts and plants and humans and others? If you are annoyed with them, you can throw them all off your back.’ So Lo-tho-tha intended to do what was suggested (by Satan) but Allah sent the whale a reptile that crawled through into its blowhole and reached its brain. The whale then cried to Allah –may He be glorified and honored – and He gave permission for the reptile to exit (the whale)." Kab continued and said, "By Allah, the whale stares at the reptile and the reptile stares at the whale, and if the whale intends to do (what Satan suggested) the reptile would return to the place it was before." 


Someone might say: If it is as you have described, namely, that God created the earth before the heaven, then what is the meaning of the statement of Ibn ‘Abbas told all of you by Wasil b. ‘Abd al-A‘la al-Asadi- Muhammad b. Fudayl- al-A‘mash- Abu Zabyan- Ibn ‘Abbas: The first thing God created is the Pen. God then said to it: Write!, whereupon the Pen asked: What shall I write, my lord! God replied: Write what is predestined! He continued: And the Pen proceeded to (write) whatever is predestined and gong to be to the Coming of the Hour. God then lifted up the water vapor and split the heavens off from it.Then God created THE FISH (nun), AND THE EARTH WAS SPREAD OUT UPON ITS BACK. The fish became agitated, with the result that the earth was shaken up. It was steadied BY MEANS OF THE MOUNTAINS, for they indeed proudly (tower) over the earth.
I was told about the same by Wasil - Waki’ - al-A‘mash - Abu Zabyan - Ibn ‘Abbas.
According to Ibn al-Muthanna - Ibn Abi ‘Adi - Shu‘bah - Sulayman (al-A‘mash?) - Abu Zabyan - Ibn ‘Abbas: The first (thing) created by God is the Pen. It proceeded to (write) whatever is going to be. (God) then lifted up the water vapor, and the heavens were created from it. Then He created the fish, and the earth was spread out on its back. The fish moved, with the result that the earth was shaken up. It was steadied by means of the mountains, for the mountains indeed proudly (tower) over the earth. So he said, and he recited: "Nun. By the Pen and what they write."
I was told the same by Tamim b. al-Muntasir - Ishaq (b. Yusuf) - Sharik (b. ‘Abdallah al-Nakha‘i) - al-A‘mash - Abu Zabyan or Mujahid - Ibn ‘Abbas, with the exception, however, that he said: And the heavens were split off from it (instead of: were created).
According to Ibn Bashshar - Yahya - Sufyan - Sulayman (al-A‘mash?) - Abu Zabyan - Ibn ‘Abbas: The first (thing) created by God is the Pen. God said: Write!, whereupon the Pen asked: What shall I write? God replied: Write what is predestined! He continued. And (the Pen) proceeded to (write) whatever is predestined and going to be from that day on to the Coming of the Hour. Then God created the fish. He lifted up the water vapor, and heaven was split off from it, and the earth was spread out upon the back of the fish. The fish became agitated, and as a result, the earth was shaken up. It was steadied by means of the mountains, he continued, for they proudly (tower) over the earth.
According to Ibn Humayd - Jarir (b. ‘Abd al-Hamid) - ‘Ata’ b. al-Sa’ib - Abu al-Duha Muslim b. Subayh - Ibn ‘Abbas: The first thing created by God is the Pen. God said to it: Write!, and it wrote whatever is going to be until the Coming of the Hour. Then God created the fish. Then he heaped up the earth upon it.

This reportedly IS A SOUND TRADITION AS TRANSMITTED ON THE AUTHORITY OF IBN ‘ABBAS and on the authority of others in the sense commented upon and explained and does not contradict anything transmitted by us from him on this subject.
Should someone ask: What comment on his authority and that of others proves the soundness of what you have transmitted to us in this sense on his authority? He should be referred to what I have been told by Musa b. Harun al-Hamdani - ‘Abdallah b. Mas‘ud and some (other) companions of the Messenger of God (commenting on): "He is the One Who created for you all that is on earth. Then He stretched out straight toward the heaven and fashioned it into seven heavens." God’s throne was upon the water. He had not created anything except what He created before the water. When He wanted to create the creation, He brought forth smoke from the water. The smoke rose above the water and hovered loftily over it. He therefore called it "heaven." Then He dried out the water, and thus made it one earth. He split it AND MADE IT INTO SEVEN EARTHS on Sunday and Monday. He created the earth UPON A (big) FISH (hut), THAT BEING THE FISH (nun) MENTIONED BY GOD IN THE QUR’AN: "Nun. By the Pen." The fish was in the water. The water was UPON THE BACK OF A (small) ROCK. The rock was UPON THE BACK OF AN ANGEL. The angel was UPON A (big) ROCK. The big rock - THE ONE MENTIONED BY LUQMAN - WAS IN THE WIND, neither in heaven nor on the earth. The fish moved and became agitated. As a result, the earth quacked, whereupon He firmly, anchored the mountains on it, and it was stable. This is stated in God’s word that He made for the earth "firmly anchored (mountains), lest it should shake you up."
(The History of Al-Tabari: General Introduction..) 

It was said that "Nun" refers to A GREAT WHALE that rides on the currents of the waters of the great ocean AND ON ITS BACK IT CARRIES THE SEVEN EARTHS, as was stated by Imam Abu Jafar Ibn Jarir. Narrated by Ibn Bashar, narrated by Yahya, narrated by Sufyan Al-Thuri, narrated by Sulayman Al-Amash, narrated by Abu Thubian, narrated by Ibn Abbas who related, "The first thing that Allah created was the pen and He said to it ‘Write’. The pen asked, ‘What shall I write?’ Allah said, ‘Write (the) fate (of everything).’ So the pen wrote everything that shall be from that moment until judgment day.

Then Allah created the "Nun" and He caused steam to rise out of which the heavens were created AND THE EARTH WAS THEN LAID FLAT ON THE NUN’S BACK. Then the Nun became nervous and (as a result) the earth began to sway, but (Allah) fastened (the earth) with mountains lest the earth should move ...
It was narrated by Ibn Jarir, narrated by Ibn Hamid, narrated by Ata’a, narrated by Abu Al-Dahee, narrated by Ibn Abbas who stated, "The first thing my Lord created, may He be Exalted and Glorified, was the pen and He said to it, ‘Write.’ So the pen wrote all that will be until judgment day. Then Allah created the Nun (the whale) above the waters AND HE PRESSED THE EARTH INTO ITS BACK.

Al Tabarani narrated the same hadith above (from the prophet Muhammad) who narrated from Abu Habib Zaid Al-Mahdi Al Marouzi, narrated by Sa’id Ibn Yaqub Al-Talqani, narrated by Mu’amal Ibn Ismail, narrated by Hamad Ibn Zaid, narrated by Ata’a Ibn Al Sa’ib, narrated by Abu Al Dahee Muslim Ibn Subaih, narrated by Ibn Abbas who stated that the prophet – may peace and blessing be upon him and his family - said, "The first things Allah created were the pen and the whale and He said to the pen ‘Write.’ The pen asked, ‘What shall I write?’ Allah replied, ‘Everything that shall be until judgment day.’ Then He said ‘Nun. By the Pen and by what they write.’ So Nun is the whale and al-Qalam is the pen" ...

Ibn Abu Nujaih stated that Ibrahim Ibn Abu Bakir was informed by Mujahid who said, "It was said that Nun is the great whale WHO IS UNDERNEATH THE SEVEN EARTHS."

Furthermore, Al-Baghawy – may Allah rest his soul - and a group of commentators stated that on the back of this whale there is a great rock whose thickness is greater than the width of the heavens and the earth and above this rock is A BULL THAT HAS FORTY THOUSAND HORNS. On the body of this bull are placed the seven earths and all that they contain, and Allah knows best
[History of ibn jarir tabari]


আল্লাহ যেভাবে সাত আসমান নির্মান করেন তদ্রুপ সাত যমীন। আজকের বিজ্ঞান অনুযায়ী একটু চিন্তা করুন, কাউকে যদি এই পৃথিবীর ভূমিতে ঢোকানো হতে থাকে,একপর্যায়ে সে গোল পৃথিবীর অপরদিক দিক দিয়ে ফুড়েঁ মহাশূন্যের শূন্যতার আকাশে চলে যাবে।।  কিন্তু হাদিসে রাসূল(সা) বলছেন ,কাউকে চাপ দেওয়া হলে সে সর্বশেষে ৭ম জমিনে গিয়ে পৌছাবে। এক একটা যমিনের লেয়ার শেষ হবার সাথে সাথে অপর জমিন। হাদিস অনুযায়ী আমাদের সমতলে বিছানো পৃথিবীর নিচে পানির অতল সমুদ্ররূপ স্তর।এর নিচেই পরের জমিন। একজমিন থেকে অপর জমিন ৭০০ বা ৫০০ বছরের পথ। আসমান ও যমীনগুলো একের সাথে আরেকটি সংযুক্ত একটি ১৪ তলা বিশিষ্ট অট্টালিকা সদৃশ। সবগুলো পরস্পর সংযুক্ত, যারা পৃথিবীকে গ্রহ বলে জানে,তাদের নিকট প্রশ্ন,এখন কথিত স্যাটেলাইটের সিজিআই ইমেজে পৃথিবীর সাথে সংযুক্ত অন্য কোন গ্রহকে তো দেখা যায় না যেখানে কোন লোককে চাপ দিয়ে সে, সেখানে পৌছাবে বা কোন দড়ি লটকে দিয়ে গর্ত করতে থাকলে সেখানে পৌছাবে। বরং গোলাকৃতির এই কাল্পনিক গ্রহের আশেপাশে শূন্যতা বা ভ্যাকুয়াম ছাড়া কিছুই নাই। পৃথিবীকে নূনের পৃষ্ঠদেশে সমতলে বিছানো হয়েছে। আজকের কথিত স্যাটেলাইট দিয়ে কখনো গোল পৃথিবীর নিন্মদেশে বৃহদাকার সে মৎস্যকে দেখা গিয়েছে? ওরা শতশত আলোকবর্ষ দূরে কি আছে তাও জানে। অর্থাৎ সবদিক দিয়েই হেলিওসেন্ট্রিক স্ফেরিক্যাল আর্থ থিওরি কুরআন সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক এবং একদমই বিপরীত মেরুর।
অথচ একদল মুসলিমদেরকে দেখবেন এসব বিপরীত তত্ত্বগুলোকে ইসলামের সাথে যতটা পারে সমন্বয় করতে,এরাই ৭ যমীনের ব্যাখ্যায় বলে, এগুলো গোলাকার পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তর, যেমন ক্রাস্ট, ম্যান্টেল,ইনার-আউটার কোর। সমস্যার বিষয় হচ্ছে অপবিজ্ঞানীদের এসব কাল্পনিক তত্ত্ব বার বার পরিবর্তন হয়। পৃথিবীর ভেতরকার স্বীকৃত স্তরগুলো ৪ অথবা ৫ টি। এরপরেও মডারেট ও মর্ডানিস্টরা সামঞ্জস্যহীন অনুমান নির্ভর ভুয়া তত্ত্বের সাথে আপোষ করে চলতে ৭ জমিনের দলিল ৪ বা ৫ স্তরের মাটির উপর আরোপ করে। মা'আযাল্লাহ!



পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছেঃ

اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الْأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا
আল্লাহ সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং যমীনও সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর আদেশ অবতীর্ণ হয়, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভূত।[৬৫:১২]

এ আয়াত দ্বারা এটাও বোঝা যায় নিচের যমীনগুলোয় আমাদের এ যমীনের ন্যায় প্রানীজগত রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের ব্যপারে কৌতূহল জাগ্রত হয়। কিছু দুর্বল হাদিসে এবং আলিমদের বর্ননায় ওই সমস্ত যমীনে জ্বীন ও বিচিত্র প্রানীর কথা এসেছে। কিছু হাদিসে মানুষের মত কওমের বসবাসের ব্যপারেও বর্ননা এসেছে।

১২০০ শতকের কিছু আগের ঘটনা৷ ইংল্যান্ডের Woolpit গ্রামের কৃষকরা জমি চাষ,খননের সময় দুজন বাচ্চা ছেলেমেয়েকে পায়। ওরা ছিল ভাইবোন। ছেলেটি তার বোনের চেয়ে বয়সে ছোট ছিল।
তাদের পড়নে ছিল অজানা বস্তু নির্মিত পোশাক এবং উভয়ের গায়ের রঙ সবুজ। তারা অজানা কোন এক ভাষায় কথা বলছিল যা গ্রামবাসী বুঝতে পারছিল না। এরা ছিল ক্ষুধার্ত অথচ কোন কিছুই খাওয়ানো যায় নি। অবশেষে একমাত্র শিমের বীচি খেতে পছন্দ করলো, শিমের বীচি খেয়ে মাসখানেক বেচে থাকলো৷
শিশুছেলেটা দুনিয়ার আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিল এবং অবশেষে মারা যায়। ওর বোনটি বেচেছিল, ধীরে ধীরে রুটিসহ পার্থিব আহারে অভ্যস্ত হয়ে গেল। সেই সাথে দিন দিন গায়ের সবুজ রঙও পরিবর্তন হয়ে স্বাভাবিক মানুষের মত হয়ে গেলো। ধীরে ধীরে ইংরেজি ভাষা আয়ত্ব করলো। ভাষা শিখবার পরে তাকে তার অতীতের ঠিকানার ব্যপারে প্রশ্ন করলে বলে, তারা "সেন্ট মার্টিনের যমীনের" অধিবাসী।  তাদের জগতে সবার গায়ের রঙ সবুজ। সেখানে কোন সূর্য নেই।
সারাবছর সবসময় একইরকম গোধূলির আলো(Twilight), দুনিয়ায় যেমনটা সূর্যাস্তের পর আর সূর্যোদয়ের আগে হালকা আলো থাকে। তারা দুজন তাদের গবাদিপশুর দেখাশোনা করছিল, এর একটা একটা গুহার ভেতর ঢুকে পড়ে। সেটাকে খুজতে তারা দুজন গুহায় প্রবেশ করে এবং অন্ধকারে পথ হারিয়ে যায়। তারা দিনের পর দিন চলতে থাকে যতক্ষন না দূরের আলো চোখে পরে। এরপরে সূর্যের প্রখর আলোয় উভয় জ্ঞান হারায়। এবং কৃষক গ্রামবাসীরা খননের সময় উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ভীন জগতের বেচে থাকা শিশু মেয়েটা ধীরে ধীরে বড় হয় এমনকি বিয়েও করে বলে শোনা যায়। এই ঘটনাকে অনেক ইতিহাসবিদ নানাভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেও বিফলে গেছেন।অনেক রকমের ব্যাখ্যা প্রচলিত আছে। একদল গবেষক এই ঘটনাকে নিছক বানোয়াট কিচ্ছা বলে উড়িয়ে দিতেও পিছপা হয়নি। আজও পর্যন্ত এটা ব্যাখ্যাতীত ঘটনার তালিকায় আছে। এরা ২য় জমিনের অধিবাসী কিনা আল্লাহু আ'লাম।

মাটির নিচের উন্নত সভ্যতার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে আমাজনের আদিবাসী এবং রেড ইন্ডিয়ানরা। এদের অনেকে কিছু সুড়ঙ্গ পথের প্রহরী বলেও প্রচলিত আছে। তারা যমীনের নিচের উন্নত প্রানীদের উপাসনা করে। তাদের ভাষায় ওরা অর্ধেক হিউম্যানয়েড হাফ সার্পেন্ট। অর্থাৎ সোজা কথায় খুব সম্ভবত শয়তান জ্বীন।

দক্ষিন আমেরিকা, মিশর,তিব্বতেও সাবটেরানিয়ান ওয়ার্ল্ডে যাবার সুড়ঙ্গ আছে বলে অনেকের ধারনা। বৌদ্ধদের ভাষায় পৃথিবীর নিচের জগতের নাম আগার্থা/সাম্ভালা। নাৎসি এডলফ হিটলার চরমভাবে এন্টি সেমেটিক এসোটেরিক ধর্মচক্র দ্বারা প্রভাবিত ছিল,নিজেদেরকে আর্য জাতি ভাবতো। এরকম কিছু তথ্য প্রমানও আছে যে নাৎসি জার্মানিরা উত্তরমেরুতে কথিত আগার্থা বা মাটির নিচের জগতে যাবার রাস্তা পেয়েছিল এমনকি তারা সেখানে প্রবেশও করে [ঙ।। এসমস্ত ফ্যাব্রিকেটেড তথ্য প্রমানের উপর ভর করে স্ফেরিক্যাল আর্থ মডেল ভিত্তিক যে এসোটেরিক ফিলসিফি ভিত্তিক থিওরি গড়ে ওঠে তাকে নাম দেওয়া হয় Hollow Earth Theory।  এই তত্ত্ব অনুযায়ী কাল্পনিক গোল পৃথিবীর দক্ষিন ও উত্তর মেরুতে সুবিশাল এন্ট্র‍্যান্স আছে ইনার আর্থে যাবার। তাদের শয়তান প্রদত্ত তথ্য ভিত্তিক স্পেকুলেশন হচ্ছে আটলান্টিয়ান সভ্যতা ধ্বংসের সময় একদল আগার্থায় চলে যায়৷ লেমুরিয়ান/হাইপারবোরিয়ান /আটলানটিয়ান প্রভৃতি কথিত রুট রেস মূলত শয়তান জ্বীনের পূর্ববর্তী জাতি তথা ইবলিসের বংশধর বৈ কিছু নয়(ওয়া আল্লাহু আ'লাম)৷ হলো আর্থ থিওরিস্ট এবং তিব্বতিয় বৌদ্ধদের বিশ্বাস অদূর ভবিষ্যতে যখন মহান শাসক তথা শেষ অবতার আত্মপ্রকাশ করবেন, তখন আমাদের এইসব কথিত পূর্বপুরুষরা(শয়তানজ্বীন) মাটির উপর চলে আসবে। তাদেরকে লাইট ওয়ার্কার্স নামেও ডাকা হয়। সাবটেরানিয়ান ওয়ার্ল্ডের সমর্থনে কোন প্রকার সায়েন্টিফিক ডকুমেন্টস তুলে ধরা থেকে বিরত থাকছি, এ স্বভাবটা বরং (অপ)বিজ্ঞানমনা মুসলিমদের মধ্যে বিদ্যমান।

কুরআন হাদিসে আসমানের দুয়ার বন্ধের যে সমস্ত দলিল রয়েছে, ওইরূপ এক যমীনের সাথে অন্য যমীনের প্রবেশ দুয়ার বন্ধ কিনা সে ব্যপারে কোন রূপ ইঙ্গিত কোথাও পাই নি। এরূপ অসম্ভব না যে যমীনগুলোর প্রবেশ পথ রয়েছে, সেখানকার কাফির জ্বীনদের সাথে আমাদের যমীনের কাফিররাও একত্রে কাজ করাটাও অসম্ভব নয়।।বরং এরিয়া ৫১ সহ কাফিরদের বিচিত্র রহস্যময় প্রতিষ্ঠান আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাথে সম্পৃক্ততার টেস্টিমোনি  পাওয়া যায়[ঘ]। হলিউড এ বিষয়টাকেও ছাড়েনি৷ ডিজনির মোয়ানা অ্যানিমেশন মুভিটি ছিল পুরোপুরি সমতল পৃথিবীর ধারনা কেন্দ্রিক। ইজিপশিয়ান প্রাচীন জিওসেন্ট্রিক কস্মোলজির ধারনা অনুযায়ী আকাশের প্রকৃতি Maui ক্যারেক্টারটির পেটে ট্যাটো অঙ্কিত দেখানো হয়েছে। এ্যানিমেটেড এ ফিল্মের এক পর্যায়ে মাউই এবং মোয়ানাকে আমাদের যমীনের নিচের যমীনটিতে যাওয়া দেখায়।তারা বাস্তবতার সাথে মিল রেখে ২য় যমীনের উপরে সমুদ্রের পানির ছাদকে রেখেছে! দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=E19n0bLAbDw

একইভাবে ২০০৮ সালের Journey to the Center of the Earth ফিল্মেও যমীনের নিচের জগৎকে কাহিনীর মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রাখা হয়েছে। সেখানকার সূর্যহীন জগতে প্রানীদের মধ্যে বায়োলুমিনেসেন্সকে দেখানো হয়, যেমনটা অবতার ফিল্মের ঘোড়া এবং গাছপালা-উদ্ভিদ,প্রানীদের মধ্যে দেখিয়েছে। স্বল্প আলোতে বাস্তবেও নিচের জমিনগুলোয় ওরকম কিনা, আল্লাহই ভাল জানেন। তবে গভীর সমুদ্রের অন্ধকারের মাছের মধ্যে বায়োলুমিনেসেন্টের বৈশিষ্ট্যটা অনেক বেশি পাওয়া যায়।

যাহোক, এই ফিল্মের শেষের দিকে দেখায় ট্রেভর শীনকে আরেক অদ্ভুত যমীন নিয়ে লেখা একটি বই হাতে দিয়ে যাবার প্রস্তাব করে। বইটির নাম Atlantis: The Antediluvian World ,লেখক Ignatius L. Donnelly। এই ফিল্মের নামে আরো একটা ফিল্ম তৈরি হয়েছে একই কাহিনী নিয়ে, বৈসাদৃশ্য হচ্ছে এটায় নিচের যমীনে বসবাসকারী রেড ইন্ডিয়ানদেরকে দেখানো হয়েছে।

নিচের যমীনগুলোর বাসিন্দাদের ব্যপারে হাদিসে কি আছে?

এছাড়া হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানি(রহঃ) যমীনের মাখলুক সংক্রান্ত এ হাদিসগুলোকে জ্যোতির্বিদদের ভ্রান্ত অনুমান নির্ভর বিশ্বাসকে খন্ডন করতে ব্যবহার করেন।

এ হাদিসটিকে নিজের মনগড়া কোনরূপ ব্যাখ্যা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়, কেননা নিজের সীমাবদ্ধ খেয়াল দ্বারা ব্যাখ্যা করতে গেলে এমন সব প্রশ্ন তৈরি হবে যা মনে বিচিত্র সংশয় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে। ওয়া আল্লাহু আ'লাম।
অপর একটি বিস্ময়কর হাদিস:
Kaab al-Ahbar said: When God wished to create the dry land, He commanded the wind to churn up the waters. When they had become turbulent and foamy, wave swelled and gave off vapor. Then God commanded the foam to solidify, and it became dry. In to days He created the dry land on the face of the waters, as He hath said: Say, do ye indeed disbelieve in him who created the earth in two days? (41:9). Then He commanded these waves to be still, and they formed the mountains, which He used as pegs to hold down the earth, as He hath saidAnd we placed stable mountains on the earth lest it should move with them (21:31). Were it not for the mountains, the earth would not have been stable enough for its inhabitantsThe veins of these mountains are connected with the veins of Mount Qaf, which is the range that surrounds the earth.
Then God created the seven seas. The first is called Baytush and surrounds the earth from behind Mount Qaf. Behind it is a sea called Asamm, behind which is a sea called Qaynas, behind which is a sea called Sakin, behind which is a sea called Mughallib, behind which is a sea called Muannis, behind which is a sea called Baki, which is the last. These are the seven seas, and each of them surrounds the sea before it. The rest of the seas, in which are creatures whose number only God knows, are like gulfs to these seven. God created sustenance for all these creatures on the fourth day, as He hath said: And he provided therein the food of the creatures designed to be the inhabitants thereof, in four days; equally, for those who ask (41:10).
There are seven earths. The first is called Ramaka, beneath which is the Barren Wind, which can be bridled by no fewer than seventy thousand angels. With this wind God destroyed the people of Ad. The inhabitants of Ramaka are a nation called Muwashshim, upon whom is everlasting torment and divine retribution. The second earth is called Khalada, wherein are the implements of torture for the inhabitants of Hell. There dwells a nation called Tamis, whose food is their own flesh and whose drink is their own blood. The third earth is called Arqa, wherein dwell mulelike eagles with spearlike tails. On each tail are three hundred and sixty poisonous quills. Were even one quill placed on the face of the earth, the entire universe would pass away.The inhabitants thereof are a nation called Qays, who eat dirt and drink mothers' milk. The fourth earth is called Haraba, wherein dwell the snakes of Hell, which are as large as mountainsEach snake has fangs like tall palm trees, and if they were to strike the hugest mountain with their fangs it would be leveled to the groundThe inhabitants of this earth are a nation called Jilla, and they have no eyes, hands or feet but have wings like bats and die only of old age. The fifth earth is called Maltham, wherein stones of sulphur hang around the necks of infidelsWhen the fire is kindled the fuel is placed on their breasts, and the flames leap up onto their faces, as He hath saidThe fire whose fuel is men and stones (2:24), and Fire shall cover their faces (14:50). The inhabitants are a nation called Hajla, who are numerous and who eat each other. The sixth earth is called Sijjin. Here are the registers of the people of Hell, and their works are vile, as He hath said: Verily the register of the actions of the wicked is surely Sijjin(83:7). Herein dwells a nation called Qatat, who are shaped like birds and worship God truly. The seventh earth is called Ajiba and is the habitation of Iblis. There dwells a nation called Khasum, who are BLACK and short, with claws like lions. It is they who will be given dominion over Gog and Magog, who will be destroyed by them.
And the earth was tossed about with its inhabitants like a ship, so God sent down an angel of extreme magnitude and strength and ordered him to slip beneath the earth and bear it up on his shouldersHe stretched forth one of his hands to the East and the other to the West and took hold of the earth from end to endHowever, there was no foothold for him, so God created from an emerald a square rock, in the middle of which were seven thousand holes. In each hole was a sea, the description of which is known only to God. And He commanded the rock to settle beneath the angel's feet. The rock, however, had no support, so God created a great bull with forty thousand heads, eyes, ears, nostrils, mouths, tongues and legs and commanded it to bear the rock on its back and on its hornsThe name of the bull is al-Rayyan. As the bull had no place to rest its feet, God created a huge fish, upon whom no one may gaze at because it is so enormous and has so many eyesIt is even said that if all the seas were placed on one of its gills, they would be like a mustard seed in the desertThis fish God commanded to be a foothold for the bull, and it was doneThe name of this fish is BehemothThen He made its resting place the waters, beneath which is the air, and beneath the air is the Darkness, which is for all the earths. There, beneath the Darkness, the knowledge of created things ends.
 (Muhammad ibn 'Abd Allah al-Kisa'i, Tales of the Prophets-Qisas al-anbiya, trans. Wheeler M. Thackston Jr. [Great Books of the Islamic World, Inc., Distributed by Kazi Publications; Chicago, IL 1997], pp. 8-10)

এই হাদিসের মাধ্যমে গোটা সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যপারে সুস্পষ্ট ধারনা লাভ করা যায়। এতে পরিষ্কার বর্ননা আছে যে আল্লাহ জাল্লা জালুল্লাহ কিভাবে পানির অতল সমুদ্রের উপর পৃথিবীকে সমতলে বিছিয়েছেন, কিরূপে স্তরে স্তরে সাত যমীন সৃষ্টি করেছেন। যদিও হাদিসগুলোর মান অত্যন্ত দুর্বল, এগুলো কুরআন সুন্নাহর সমস্ত বর্ননার সাথে সংগতিপূর্ন।  এগুলো আমাদেরকে অদেখা জগতের ব্যপারে অতিরিক্ত তথ্য দেয় ,যা কাফিরদের কুফরি তত্ত্বের চেয়ে সহস্রগুন উত্তম। 

যমীনের ব্যপারে বিচিত্র অপব্যাখ্যা প্রচলিত আছে। উপরেই উল্লেখ করেছি, কিছু লোক যমীন বা আর্দ বলতে কোন মহাদেশ বা ভূখন্ডকে বোঝায় বলে প্রমান করতে চেষ্টা করে। এর দ্বারা তারা গোটা দুনিয়ার সমতলতাকে এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করে। এরকম চেষ্টা প্রাচীন যুগ থেকেই শুরু যেদিন থেকে বিশেষ করে গ্রীক স্ফেরিক্যাল আর্থভিত্তিক কস্মোলজি আরবে প্রবেশ করে। ইমাম ইবনে কাসির রহিমাহুল্লাহ এদের অপব্যাখ্যা এবং কুরআন হাদিসের সরল সাধারণ অর্থের বিপরীতে যাওয়া বলে উল্লেখ করেছেন।

বস্তুত, এরকমটা আজ খুব প্রচলিত হয়ে গিয়েছে।  ইবনু কাসির রহিমাহুল্লাহকে আল্লাহ বাচিয়ে রাখলে অবশ্যই এটা নিয়ে অনেক কিছুই বলতেন,কারন ফিতনা আগের চেয়ে আজ বহুগুন বেশি , কেননা তাকে গ্রীক জ্যোতির্বিজ্ঞানের আগ্রাসন এবং কুরআন সুন্নাহ পরিপন্থী বিষয়গুলো নিয়ে অনেকবার বলতে দেখা গেছে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা পর্বতকে স্থাপন করেন, সমতল বিছানা সদৃশ যমীনের উপর পেরেক হিসেবে। এই কীলক সদৃশ পর্বতগুলো পানির উপর সৃষ্ট যমীনকে স্থির নিশ্চল করে রাখে(সামনে বিস্তারিত দলিলভিত্তিক আলোচনা আসছে, বিইযনিল্লাহ),এর দরুন যমীন কোন একদিকে হেলে পড়ে না। কিয়ামতের দিন এদেরকে ধ্বংস করে বিক্ষিপ্ত ধূলার ন্যায় উড়িয়ে দেওয়া হবে। পৃথিবী প্রচন্ডভাবে কাঁপবে। আল্লাহ পাহাড়-পর্বত ধ্বংসের মাধ্যমে যমীনকে উন্মুক্ত মসৃন সমতল প্রান্তরে রূপান্তর করবেন। পর্বতের জন্য যে সমতল জমিনের উপর বক্রতা উঁচুনিচু ছিল সেটা আর থাকবে না।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেনঃ

وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْجِبَالِ فَقُلْ يَنسِفُهَا رَبِّي نَسْفًا
  فَيَذَرُهَا قَاعًا صَفْصَفًا
  لَا تَرَى فِيهَا عِوَجًا وَلَا أَمْتًا
তারা আপনাকে পাহাড় সম্পর্কে প্রশ্ন করা। অতএব, আপনি বলুনঃ আমার পালনকর্তা পহাড়সমূহকে সমূলে উৎপাটন করে বিক্ষিপ্ত করে দিবেন।
অতঃপর পৃথিবীকে মসৃণ সমতলভূমি করে ছাড়বেন।তুমি তাতে মোড় ও টিলা দেখবে না[২০:১০৫-১০৭]


وَيَوْمَ نُسَيِّرُ الْجِبَالَ وَتَرَى الْأَرْضَ بَارِزَةً وَحَشَرْنَاهُمْ فَلَمْ نُغَادِرْ مِنْهُمْ أَحَدًا
যেদিন আমি পর্বতসমূহকে পরিচালনা করব এবং আপনি পৃথিবীকে দেখবেন একটি উম্মুক্ত প্রান্তর এবং আমি মানুষকে একত্রিত করব অতঃপর তাদের কাউকে ছাড়ব না।(১৮:৪৭)

আয়াতদ্বয়ের ব্যাখ্যায় ইবনে কাসির রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ

এ আয়াত গুলো দ্বারাও প্রতীয়মান হয় পৃথিবীকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা সমতলে বিছিয়েছিলেন, অতঃপর যমীনের উপর বক্রতা বা বন্ধুরতা সৃষ্টিকারী পর্বত পাহাড়কে চূর্ণ করে যমীনকে পরিপূর্ণ সমতল প্রান্তরে পরিনত করবেন।

আজ আপনারা কুরআন সুন্নাহ,মুফাসসীরীনের থেকে একদম সুস্পষ্ট দলিলগুলো পাঠ করেছেন। শুধু উপরোল্লিখিত এ দলিলগুলোই নয়, কুরআন হাদিসের সমস্ত এস্ট্রোনোমিকাল ডেস্ক্রিপশান(আসমান,চাঁদ সূর্য,দিন-রাত্রি,নক্ষত্র প্রভৃতি) সমতল পৃথিবীকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থার সাথে হার্মোনি তৈরি করে কোনরূপ সাংঘর্ষিকতা ছাড়াই। ওইসকল দলিল গুলো মেইনস্ট্রিম কস্মোলজিক্যাল মডেলের সাথে স্পষ্ট সাংঘর্ষিক। আমরা পূর্বে থেকেই বলে আসছি, যে সমস্ত আলিম ও দাঈ পৃথিবীকে নানান যুক্তি তর্কের দ্বারা কাফির জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারনার সাথে মিলিয়ে কুরআন সুন্নাহর সরল বর্ননার বিপরীতে গিয়ে মত ব্যক্ত করেছেন,ফতওয়া বা ইজমা তৈরি করেছেন ,তাদের সাথে আমরা কোনরূপ বিদ্বেষ পোষন করিনা। যদি কেউ এরূপ(বিদ্বেষভাব পোষণ) করে, তবে সে অবশ্যই ফিতনা সৃষ্টিকারী। তাদের কর্মকাণ্ড থেকে আমরা একদমই মুক্ত। আমরা অবগত আছি ইবনে তাইমিয়া(রহ) সহ আজ পর্যন্ত আরো অজস্র আলিম কুরআন সুন্নাহর সুস্পষ্ট দলিল ছাড়াই যমীনের আকৃতিগত বিপরীত ধারনাগত মতামত প্রকাশ করে গিয়েছেন। আপনি শুনলে অবাক হবেন ইবনে তাইমিয়া রহিমাহুল্লাহ এও জোড়ালো ভাবে বলেছেন, তার সময়ের ম্যাপ অনুযায়ী কাল্পনিক গ্লোব মডেলের উলটো দিকে কোন মানুষ বাস করে না। আধুনিক বিজ্ঞান আমাদেরকে যা বলছে তার সাথে শাইখের কথা মেলালে তার উক্তিটি আজকের গোল যমীনের মডেল অনুযায়ী ত্রুটিপূর্ণ সাব্যস্ত হবে,এক শ্রেনীর কাফিররা তো এটা নিয়ে হাসি তামাশাও করে। এজন্য কোন আলিমের কথাকে ত্রুটির উর্ধ্বে ভাবলে ভুল হবার আশংকা থাকে। একমাত্র কুরআনকেই ত্রুটির উর্ধ্বে পাবেন। আমাদের উচিৎ কুরআন সুন্নাহ এবং সাহাবীদের আকিদার অনুসরণ করা। নতুন কিছুর নয়।
আজ একদল লোকেদের দেখবেন, যারা এরকম প্রশ্ন করে যে, 'ইবনে তাইমিয়া, ত্বকী উসমানী, সালিহ আল মুনাজ্জিদ... এরা তো পৃথিবীকে গ্লোব বলেছেন, তারা কি ফাসিক নাকি কাফির,তারা কি কুফরি আকিদা রাখতেন, তারা কি কুফরি শিক্ষা দিয়েছেন, তারা কি কম বুঝেছিলেন...?' আমরা এরূপ প্রশ্নকারীদেরকে সোজাভাষায় ফিতনাবাজ ও মূর্খ বলি এবং এদেরকে এড়িয়ে চলতে পছন্দ করি।
যেসকল আলিম কুরআন সুন্নাহ ছেড়ে নিজ মতামত ও কুরআনের শব্দের দূরবর্তী অর্থের যুক্তিমূলক ব্যবহারের দ্বারা উলটো পথে হেটেছেন, তারা হয়ত পরিবর্তনশীল যুগের(তৎকালীন আধুনিক) ধ্যানধারণার সাথে সমন্বয় সাধন এবং তাল মেলানোর জন্য এরকমটা করেছেন, অথবা শুধুই অনিচ্ছাকৃত অবচেতনে গ্রীক জ্যোতির্বিজ্ঞান দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। কেউ হয়ত দাওয়াতের স্বার্থে বা পরিস্থিতির চাপে এরকম করেছেন অথবা এ কস্মোলজিক্যাল প্যাগানিজম কিরূপ ভয়াবহ কুফরি আকিদার জন্মদানকারী সে ব্যপারে যথেষ্ট তথ্য পায়নি যেমনটা আজ আমরা ইন্টারনেট এবং অপবৈজ্ঞানিক বইপত্রের কল্যানে পাচ্ছি। ওয়া আল্লাহু আ'লাম। ব্যক্তিগতভাবে,তাদের ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুল গুলোকে এতটা গুরুতর পর্যায়ের দেখিনা যে তাদেরকে তাকফির করতে হবে, বা নাম ধরে ধরে ফাসেক বা অন্য কিছু বলতে হবে, কিছুকিছু ক্ষেত্রে তাদের ভুলগুলোকেও আমি সমর্থন করি!

  আমরা শুধু কুরআন হাদিস,সাহাবী ও তাফসির বিশারদগনের কথাগুলোকে অবিকৃতভাবে তুলে ধরছি এবং ভবিষ্যতেও প্রকাশ করব, যার ভাল লাগবে সে সাহাবীদের বিশ্বাসকে গ্রহন করবে, যার ভাল লাগবে না সে সবকিছু জেনেবুঝেও কাফিরদের বিশ্বাস তথা দর্শনকে আরো ভালভাবে আঁকড়ে ধরবে। বস্তুত, (তাকদীর অনুযায়ী) যাকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে,সে সেদিকেই ধাবিত হবে।


ওয়া আল্লাহু আ'লাম 

[চলবে ইনশাআল্লাহ]










বিগত পর্বগুলোঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2019/03/article-series_85.html

জিওসেন্ট্রিক কস্মোলজিঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2019/01/documentary-article-series_16.html


বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?:
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/documentary-article-series_10.html



টিকাঃ
[ক] https://m.facebook.com/groups/190773661428877

[খ] তাফসিরে ইবনে আব্বাস এর গ্রহনযোগ্যতার মাত্রা দুর্বলতার ব্যপারে অবগত হবার পরেও পূর্বোল্লিখিত একটি কারনে সেখান থেকে কিছু রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে।

[গ]
http://universeinsideyou.net/inner-earth/

https://www.ancient-origins.net/unexplained-phenomena/green-children-woolpit-12th-century-legend-visitors-another-world-002347?

https://www.ancient-code.com/the-forbidden-land-of-agartha-the-secrets-of-the-inner-earth/?

https://esoterx.com/2016/07/10/going-green-the-subterranean-kingdom-of-saint-martins-land/?


[ঘ]
https://m.youtube.com/watch?v=aztFGGaD8w8
https://m.youtube.com/watch?v=QL86Da0qu6A
https://m.youtube.com/watch?v=dvPetkrUg7M

[ঙ]
https://www.gaia.com/article/hollow-earth-theory-is-the-subterranean-civilization-of-agartha-real

https://gizmodo.com/earths-underworld-is-real-and-scientists-just-mapped-it-1819677313

[চ]
https://m.youtube.com/watch?v=NEVW_9EVjFE
https://m.youtube.com/watch?v=cJcpWIYUslY