Tuesday, November 27, 2018

৪.ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্ব[যমীনের প্রান্তসীমা]

পর্ব-৪

যমীনের প্রান্তসীমা-মানচিত্রের বাইরের অদেখা জগৎ




জমিনের প্রান্তসীমা নিয়ে অনেক কৌতূহল। অনেকেই প্রশ্ন করেন জমিনের প্রান্তভাগে কই(?), সেখান থেকে পানি পড়ে যায় না কেন। এ বিষয়টি নিয়েই হলিউড অনেকবার ব্যাঙ্গ করে ফিল্ম তৈরি করেছে[৭]। মেইনস্ট্রিম পপুলার এফই মডেল অনুযায়ী জমিনের প্রান্তভাগে চারদিকে সুউচ্চ বরফের প্রাচীর আছে। জমিনের প্রান্তভাগকে কেন্দ্র করে আরো কয়েকটা মডেল তৈরি হয়েছে। যেমন পন্ড আর্থ হাইপোথেসিস, ইনফিনিট প্লেইন ইত্যাদি। পপুলার ম্যাপ(এ্যায্যিমুথ্যাল একুইডিস্ট্যান্ট প্রজেকশন) অনুযায়ী সাউথ পোলই সারা পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে। আমরা পূর্ববর্তী আর্টিকেলগুলোয় দেখিয়েছি এটা ত্রুটিপূর্ণ মডেল।





১৯৪৭ সালে অপারেশন হাইজাম্পে এডমিরাল রিচার্ড বার্ড মেরু অঞ্চল থেকে ফিরে এসে বলেন[৮], সেখানে তিনি সুবিশাল বিস্তীর্ণ ভূমি দেখতে পান। তিনি যতদূর দেখেছেন সেটা নাকি প্রায় আরেকটি আমেরিকার সমান। অন্যান্য বিমানের সাথে তার বিমানটি রওনা করলেও হঠাৎ করে রাডার থেকে হারিয়ে যায়।
এডমিরাল বার্ড বরফ ঢাকা এলাকা পেরিয়ে নতুন বিস্তৃত ভূমি,জঙ্গল দেখতে পান। সেখান থেকে সূর্যকে আর দেখা যাচ্ছিল না। তাপমাত্রা প্রায় ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস,অর্থাৎ মেরু অঞ্চলের শীতের প্রকোপ নেই। নিচে হাতির ন্যায় কিছু প্রানী তার চোখে পড়ে পরে প্লেনের এ্যালটিটিউড কমিয়ে দেখেন সেগুলো ম্যামথের(অতিকায় হস্তিবিশেষ) দল। 
এরপরে আরো সামনে সুবিশাল 'সবুজ' রঙের পাহাড়ের সারি দেখতে পান। এরপরে হঠাৎ তিনি কিছু ডিস্ক এর মত আকৃতির এয়ারক্রাফটদের দেখতে পান, যারা তার সাথে চলছে। অর্থাৎ তিনি কথিত এলিয়েনদের[৯] কবলে পড়েন। এরমধ্যে সে তার বিমানের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেন। তারা সুবিশাল উন্নত শহরে প্রবেশ করে। তিনি ওদের মধ্যে স্বস্তিকা চিহ্নের ব্যবহার দেখেন। অবতরন করানোর পরে তাকে স্বর্ণকেশী একজন লোকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। উনি তাদের নেতা। তাকে নর্ডিক-জার্মাইক উচ্চারণে অভ্যর্থনা জানানো হয়। তাকে বলা হয় তারা অনেক বছর যাবৎ মানবজাতিকে অবজার্ভ করছে। 
তারা পারমানবিক বোমার ব্যবহার দেখে শঙ্কিত। এবং কিছু করার প্রয়োজনীয়তার কথা জানায়। বার্ড তার সাথেই কেন সাক্ষাৎ করছে জিজ্ঞেসা করলে তারা বলে এখানে শুধু তাকেই পছন্দ করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে বার্ড ছিলেন একজন ফ্রিম্যাসন। অতএব কথিত এলিয়েন(শয়তানদের) পছন্দের হওয়াটাই স্বাভাবিক। এরপরে, আলাপন শেষে বার্ডকে বিদায় দেওয়া হয়। তিনি বিমানসহ সুস্থভাবে ফিরে আসে। এদিকে বেজ থেকে রেস্কিউ মিশন পরিচালনা শুরু হয়, কারন অপারেশন হাই জাম্পে অনেকেই হারিয়ে যায়। বার্ড যখন সতীর্থদের তার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে, তারা তাকে এ বিষয়টি গোপন রাখতে বলে। কিন্তু তিনি তার ব্যক্তিগত ডায়েরীতে এসব ঘটনা লিখে যান[2]। ১৯৯৬ সালে ডায়েরীটা প্রকাশিত হয়। 
ঠিক একইভাবে তাকে এন্টার্কটিকায় অভিযানে প্রেরন করা হয়। তিনি জমিনের নিচের জগতে প্রবেশের কথা লেখেন। তার এই অভিজ্ঞতার বর্ননা 'হলো আর্থ থিওরির' সুবিশাল দলিলে পরিনত হয়। প্যাগান মিস্টিকরা একে আগার্থা, আগার্থি,সাম্বালা ইত্যাদি নাম দিয়েছে। উল্লেখ্য, কিছু হাদিসে নিচের জমিনগুলোয় জ্বীন জাতির বসবাসের বর্ননা পাওয়া যায়।বার্ডের এই অভিযান সবচেয়ে জনপ্রিয় সমতল জমিনের মডেলটির বিরুদ্ধে যায়। কেন না AE(Azimuthal Equidistant projection) অনুযায়ী নর্থপোল পৃথিবীর মাঝে অবস্থিত। অপরদিকে প্রতিষ্ঠিত গ্লোবিউলার আর্থ মডেলকেও ভুল প্রমান করে।
এটা সত্য যে এন্টার্কটিকায় এন্টার্কটিক ট্রিইটি নামের সামরিক সংগঠনটি অবস্থান করছে। অনুমতি বিনা সেখানে যাওয়া নিষিদ্ধ। কেউ গেলে গ্রেফতার হবার অনেক রিপোর্ট রয়েছে। তাছাড়া সেটা নোফ্লাইং জোনের আওতাভুক্ত। মেইনস্ট্রিম এফইমডেল পন্থীরা বলে এন্টার্কটিক ট্রিইটি আরো অনেক স্থলভাগের অস্তিত্ব ম্যাপ থেকে আড়াল করে রেখেছে। এটা বিশ্বকে অনেক ছোট এবং সীমাবদ্ধ বলে প্রচার করার কাজে সাহায্য করছে।
নিচের চিত্রের মত প্রাচীন বৌদ্ধ মুশরিকদের থেকে সহস্র বছরের পুরোনো একটা ম্যাপ পাওয়া যায় যেটা সাতটি মহাদেশের বাইরেও আরো অনেকগুলো মহাদেশ মানচিত্রেদেখা যায়।


বৌদ্ধ,হিন্দু,তাও ইত্যাদি প্যাগান দর্শনপন্থীরা সাধারনত শয়তানের কাছে থেকেই এসব তথ্য পায় যা সত্যমিথ্যা মিশ্রিত অথবা অধিকাংশ সময়েই পুরোপুরিভাবে মিথ্যা। এরকম আরো প্রমানহীন ম্যাপ রয়েছে। সেসবে সূর্য চন্দ্রকে একাধিক পাওয়া যায়, তাছাড়া এর কক্ষপথটিরও কুরআন হাদিসে কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। নিচের এই ছবিটির ব্যপারে একটা সত্য তথ্য হচ্ছে এটাকে ফেসবুক থেকে দীর্ঘ একটা সময় পর্যন্ত নিষিদ্ধ করে রাখে। কেউই এডিট না করে সরাসরি আপলোড করতে পারতো না।



ছয় মহাদেশ এর বাহিরে আরো অনেক ল্যান্ড ম্যাস আড়াল করে রাখার এই অভিযোগ আজকে অনেক বেশি আলোচিত। হয়ত এটা একদম অসত্য নয়। কেননা বাদশাহ যুলকারনাঈন উদয়াচল,অস্তাচলে পৌছেছিলেন। সেখানে তিনি অদ্ভুত কিছু মনুষ্য জাতির সাথে সাক্ষাতও করেছিলেন। এমনকি ইয়াজুজ ওয়া মাজুজ সম্প্রদায় অধ্যুষিত অঞ্চলের কাছেও পৌছেছিলেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা তার পবিত্র কালামে মাজীদে ইরশাদ করেন, "
وَيَسْأَلُونَكَ عَن ذِي الْقَرْنَيْنِ قُلْ سَأَتْلُو عَلَيْكُم مِّنْهُ ذِكْرًا
إِنَّا مَكَّنَّا لَهُ فِي الْأَرْضِ وَآتَيْنَاهُ مِن كُلِّ شَيْءٍ سَبَبًا

فَأَتْبَعَ سَبَبًا
حَتَّى إِذَا بَلَغَ مَغْرِبَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَغْرُبُ فِي عَيْنٍ حَمِئَةٍ وَوَجَدَ عِندَهَا قَوْمًا قُلْنَا يَا ذَا الْقَرْنَيْنِ إِمَّا أَن تُعَذِّبَ وَإِمَّا أَن تَتَّخِذَ فِيهِمْ حُسْنًا
قَالَ أَمَّا مَن ظَلَمَ فَسَوْفَ نُعَذِّبُهُ ثُمَّ يُرَدُّ إِلَى رَبِّهِ فَيُعَذِّبُهُ عَذَابًا نُّكْرًا
وَأَمَّا مَنْ آمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَلَهُ جَزَاء الْحُسْنَى وَسَنَقُولُ لَهُ مِنْ أَمْرِنَا يُسْرًا
ثُمَّ أَتْبَعَ سَبَبًا
حَتَّى إِذَا بَلَغَ مَطْلِعَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَطْلُعُ عَلَى قَوْمٍ لَّمْ نَجْعَل لَّهُم مِّن دُونِهَا سِتْرًا
كَذَلِكَ وَقَدْ أَحَطْنَا بِمَا لَدَيْهِ خُبْرًا
ثُمَّ أَتْبَعَ سَبَبًا
حَتَّى إِذَا بَلَغَ بَيْنَ السَّدَّيْنِ وَجَدَ مِن دُونِهِمَا قَوْمًا لَّا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ قَوْلًا
قَالُوا يَا ذَا الْقَرْنَيْنِ إِنَّ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ فَهَلْ نَجْعَلُ لَكَ خَرْجًا عَلَى أَن تَجْعَلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ سَدًّا
قَالَ مَا مَكَّنِّي فِيهِ رَبِّي خَيْرٌ فَأَعِينُونِي بِقُوَّةٍ أَجْعَلْ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُمْ رَدْمًا
آتُونِي زُبَرَ الْحَدِيدِ حَتَّى إِذَا سَاوَى بَيْنَ الصَّدَفَيْنِ قَالَ انفُخُوا حَتَّى إِذَا جَعَلَهُ نَارًا قَالَ آتُونِي أُفْرِغْ عَلَيْهِ قِطْرًا
فَمَا اسْطَاعُوا أَن يَظْهَرُوهُ وَمَا اسْتَطَاعُوا لَهُ نَقْبًا
قَالَ هَذَا رَحْمَةٌ مِّن رَّبِّي فَإِذَا جَاء وَعْدُ رَبِّي جَعَلَهُ دَكَّاء وَكَانَ وَعْدُ رَبِّي حَقًّا
 وَتَرَكْنَا بَعْضَهُمْ يَوْمَئِذٍ يَمُوجُ فِي بَعْضٍ وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَجَمَعْنَاهُمْ جَمْعًا
"তারা আপনাকে যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুনঃ আমি তোমাদের কাছে তাঁর কিছু অবস্থা বর্ণনা করব।আমি তাকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম এবং প্রত্যেক বিষয়ের কার্যোপকরণ দান করেছিলাম।
অতঃপর তিনি এক কার্যোপকরণ অবলম্বন করলেন। অবশেষে তিনি যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে যুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন। তিনি বললেনঃ যে কেউ সীমালঙ্ঘনকারী হবে আমি তাকে শাস্তি দেব। অতঃপর তিনি তাঁর পালনকর্তার কাছে ফিরে যাবেন। তিনি তাকে কঠোর শাস্তি দেবেন।
এবং যে বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে তার জন্য প্রতিদান রয়েছে কল্যাণ এবং আমার কাজে তাকে সহজ নির্দেশ দেব। অতঃপর তিনি এক উপায় অবলম্বন করলেন। অবশেষে তিনি যখন সূর্যের উদয়াচলে পৌছলেন, তখন তিনি তাকে এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদয় হতে দেখলেন, যাদের জন্যে সূর্যতাপ থেকে আত্নরক্ষার কোন আড়াল আমি সৃষ্টি করিনি। প্রকৃত ঘটনা এমনিই। তার বৃত্তান্ত আমি সম্যক অবগত আছি। আবার তিনি এক পথ ধরলেন। অবশেষে যখন তিনি দুই পর্বত প্রচীরের মধ্যস্থলে পৌছলেন, তখন তিনি সেখানে এক জাতিকে পেলেন, যারা তাঁর কথা একেবারেই বুঝতে পারছিল না। তারা বললঃ হে যুলকারনাইন, ইয়াজুজ ও মাজুজ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। আপনি বললে আমরা আপনার জন্যে কিছু কর ধার্য করব এই শর্তে যে, আপনি আমাদের ও তাদের মধ্যে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন। 
তিনি বললেনঃ আমার পালনকর্তা আমাকে যে সামর্থø দিয়েছেন, তাই যথেষ্ট। অতএব, তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য কর। আমি তোমাদের ও তাদের মধ্যে একটি সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মাণ করে দেব। তোমরা আমাকে লোহার পাত এনে দাও। অবশেষে যখন পাহাড়ের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান পূর্ণ হয়ে গেল, তখন তিনি বললেনঃ তোমরা হাঁপরে দম দিতে থাক। অবশেষে যখন তা আগুনে পরিণত হল, তখন তিনি বললেনঃ তোমরা গলিত তামা নিয়ে এস, আমি তা এর উপরে ঢেলে দেই। অতঃপর ইয়াজুজ ও মাজুজ তার উপরে আরোহণ করতে পারল না এবং তা ভেদ করতে ও সক্ষম হল না। যুলকারনাইন বললেনঃ এটা আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ। যখন আমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত সময় আসবে, তখন তিনি একে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবেন এবং আমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুতি সত্য। আমি সেদিন তাদেরকে দলে দলে তরঙ্গের আকারে ছেড়ে দেব এবং শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে। অতঃপর আমি তাদের সবাইকে একত্রিত করে আনব।" [সূরা কাহফঃ৮৩-৯৯]

১৮:৮৬ নং আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেন, "অবশেষে তিনি(যুলকারনাঈন) যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে যুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন।"
কাব্বালিস্টিক বর্ননার পৃথিবীর গ্লোবিউলার মডেলে সূর্যের উদয়াচল অস্তাচলের চিন্তা একদমই অর্থহীন।

বরং সে অনুযায়ী সূর্য ৯৩ মিলিয়ন দূরে অবস্থান করছে যার চারদিকে দুনিয়া ঘুরপাক খায়!
একটি বিষয় হলো পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যকার এই দূরত্বের হিসাবটি বিভিন্ন যুগে পরিবর্তন হয়েছে।  এর দ্বারা প্রমান হয় হেলিওসেন্ট্রিক থিওরি অনুমান নির্ভর প্রমানহীন ধারনা বৈ কিছু নয়। অতএব, সত্য হচ্ছে সূর্য সত্যিই জমিনের কর্দমাক্ত জলাশয়ে অস্ত যায়[১], যেমনটা কুরআনেই আছে। ইবনে কাসির রহঃ বিশ্বাস করতেন সূর্য চতুর্থ আসমানে। এজন্য তার তাফসিরে গেলে সামান্য আপত্তি পেতে পারেন। কিন্তু তিনি তার আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া কিতাবে কুরআনের বর্ননানুযায়ী প্রথম আসমানে থাকবার সম্ভাবনাও উল্লেখ করেন। তাছাড়া সাহাবীদের কথা গুলো চতুর্থ আসমানে সূর্যের অবস্থানের মতামতের বিরুদ্ধে যায়। তারা স্পষ্টভাবে সূর্যের কর্দমাক্ত জলাশয়ে অস্তগমনের কথা বর্ননা করেছেন। আর এটা সমতল জমিন ছাড়া অসম্ভব।


অথচ আজকের অপবিজ্ঞান[১১] এবং অপবিদ্যা, যাদুশাস্ত্রের ভ্রান্ত মেটাফিজিক্স দ্বারা উম্মাহ এতটাই প্রভাবিত যে সেসবই আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে, এমনকি সেসবকে কুরআন সুন্নাহ দ্বারা ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করে। মা'আযাল্লাহ!নিচের চিত্রটি লক্ষ করুন,আশা করি বুঝতে বাকি রইবে না যে ,এই পরিবর্তনশীল স্ফেরিক্যাল গ্লোব মডেলটি মূর্খ ছাড়া আর কারও বিশ্বাস করার কথা না। এটা কাফিরদের তামাশা আর ট্রোল ছাড়া কিছু না। ওদের গোলাকার পৃথিবী প্রতি বছর রূপ বদলায়।


অস্তাচলের নিকটে অবস্থানকারী সম্প্রদায়ের ব্যপারে ইবনে কাসির(রহ.) অসাধারণ কিছু আনেন যার অস্তিত্ব প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত পৃথিবীর ম্যাপ ও মডেলে অনুপস্থিত।

১৮:৯০,৯১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, "অবশেষে তিনি(যুলকারনাইন) যখন সূর্যের উদয়াচলে পৌছলেন, তখন তিনি তাকে এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদয় হতে দেখলেন, যাদের জন্যে সূর্যতাপ থেকে আত্নরক্ষার কোন আড়াল আমি সৃষ্টি করিনি। প্রকৃত ঘটনা এমনিই। তার বৃত্তান্ত আমি সম্যক অবগত আছি"
 
প্রকৃত ঘটনা যে এমনই সেটা আমরা বিশ্বাস করি, কিন্তু আফসোস, আজকের মর্ডানিস্ট মুসলিমরা তা বিশ্বাস করে না। আজ এরা কাফিরদের মনগড়া ও যাদুশাস্ত্রের কুফরি কথা সমূহে বিশ্বাস স্থাপন করেছে। আজ ওরা বিশ্বাস করে না জমিন সমতল এবং আসমান জমিনের উপর গম্বুজাকৃতির ছাদ, যাদেরকে ছয় দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে কাসির রহিমাহুল্লাহর তাফসিরে কিছু অদ্ভুত মনুষ্যজাতির বর্ননা এসেছে যারা সূর্যের উদয়াচলে বাস করে। এদের শারীরিক গড়নের অস্বাভাবিকতার বর্ননা শুনে অনেকের কাছেই কিছুটা অবিশ্বাস্য মনে হবে। আপনি এখনি গুগলে Ostrich people[১২] লিখে সার্চ দিন। এরা এখনো বসবাস করে।পা তিন আংগুল বিশিষ্ট উটপাখির মত। এছাড়া প্রাচীন ইতিহাসের অনেক জায়গায় কুকুরের মাথাবিশিষ্ট মানুষের বর্ননা পাওয়া যায় যাদেরকে Cynocephaly [১৩] বলা হয়। এছাড়া পিগমি বিশ্বের সবচেয়ে খর্বকায় জাতি। এসব আল্লাহরই বৈচিত্রময় সৃষ্টি। সুতরাং নিচের বর্ননা খুব বেশি অস্বাভাবিক লাগার কথা না।

আজকের কথিত বিজ্ঞানের উৎকর্ষের যুগে বলা হয় স্ফেরিক্যাল(গোলাকৃতি) পৃথিবীর সর্বত্রই আজ হাতের মুঠোয়। গোটা পৃথিবীর ম্যাপ দেখানো হয়। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশাল জিওগ্রাফিক্যাল ম্যাপ টাঙানো হয়। ওদের দেখানো 'আংশিক' ম্যাপে উদয়াচল, অস্তাচলের অস্তিত্ব নেই। ইয়াজুজ ওয়া মাজুজদের দেশটাকেও পাওয়া যায় না, এজন্য কখনো ইহুদীদেরকে কখনো খ্রিষ্টানদেরকে,কখনো মোঙ্গলদেরকে ইয়াজুজ মাজুজ বানিয়ে ফেলা হয়। আর এডমিরাল বার্ডের দেখা আর্কটিকের ওপারে আমেরিকার চেয়েও বড় স্থলভাগ এবং সবুজ পর্বতসারি?!যেখানে সূর্যের উদয়াচল ও অস্তাচলেরই ম্যাপ নেই সেখানে ওটার প্রশ্ন করা অমূলক। সূরা তালাক্কের শেষ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনু কাসির বিস্ময়কর এক হাদিস উল্লেখ করেনঃ


এবার বলুন পশ্চিমের ওই শুভ্র স্থলভাগের ম্যাপটি কি প্রতিষ্ঠিত ভ্রান্ত স্ফেরিক্যাল আর্থের দেখানো সীমাবদ্ধ ম্যাপ অনুযায়ী কোথাও রয়েছে যেখানে সূর্যের পথ চল্লিশ দিনের? এটা প্রমান করে আমাদের চেনাজানা প্রচলিত ম্যাপের বাইরে উত্তর, দক্ষিন, পূর্ব,পশ্চিমে আরো অনেক কিছুই আছে যার অনেককিছুই আল্লাহ যুলকারনাঈনকে দেখিয়েছিলেন।
জনপ্রিয় এ্যাযিমুথাল এক্যুইডিস্ট্যান্ট ম্যাপ অনুযায়ী চারদিকে বরফের সুউচ্চ দেওয়াল দিয়ে পৃথিবী ঘেরা। তাদের ম্যাপ অনুযায়ী জমিনের প্রান্তসীমার ব্যপারে স্পষ্ট কিছু পাওয়া যায় না। জমিনের প্রান্তভাগের বিষয়টিকে বিদ্রুপ করে অনেক ছবি ভিডিও অনলাইনে রয়েছে। আগে একটা সময়ে গুগলে সার্চ দিলে নিচের ছবির মত অনেক বিদ্রুপাত্মক ছবি আসতো।

আমেরিকার ৪২% জনসংখ্যা ক্রিয়েশনিজমে বিশ্বাসের পাশাপাশি এখন সমতল পৃথিবীতেও বিশ্বাস করা শুরু করেছে। এজন‌্য এখন সার্চ দিলে বিদ্রুপাত্মক ছবির জায়গায় নিচের ছবির মত আল বিরুনীর AE Model এর ছবি আসে।



মুসলিম মাত্রই প্রত্যেকেরই উচিত অদেখা জগতের ব্যপারে কুরআন ও হাদিসের উপর নির্ভর করা। হাদিসে এ ব্যপারে সুস্পষ্ট তথ্য রয়েছে। জমিনের প্রান্তসীমা ক্কাফ নামক সবুজ পাহাড়ের সারি দ্বারা বেষ্টিত। আসমান ওর উপরেই মিলিত হয়েছে। সুতরাং জ্বীন ও মানুষের মধ্যে কেউই জমিনের প্রান্তসীমা অতিক্রম করতে পারে না আল্লাহর সাহায্য ছাড়া।

ইমাম ইবনে জারীর তাবারি(রহ.) এ সম্পর্কে উল্লেখ করেন,
 "Allah created the mountain Qaf all around the Earth. It is called stake of the Earth, asit is said in the Quran, 'And the mountains as pegs?' This world is in the middle of the mountain of Qaf as the finger is in the middle of the ring. No man can reach there, for he needs to spend four months in the darkness, In this mountain there is no sun, no moon no stars and it is so blue that the azure colour of the sky is the brightness of the mountain Qaf that reflects on the sky, and it appears this colour, If this was not so, the sky would not be blue. All the mountains that are seen in this world are from the mountain Qaf. ..."[৪]

ইবনে আব্বাস(রাঃ) এর কথিত[৬] তাফসীরে সূরা ক্কাফের প্রথম আয়াতের ব্যখ্যায় বলা হয়ঃ


ইমাম ইবনে কাসির রহিমাহুল্লাহ তার তাফসিরে সর্বত্র সমতল জমিনের সপক্ষে অবস্থান করলেও ক্কাফ পর্বতের বিষয়টিতে আসা হাদিসের মতনে তার সন্দেহ তৈরি হয়। এ ব্যপারের বর্ননাটি তার জ্ঞান ও বিবেক বিরোধী মনে হয়, এজন্য তার পূর্ববর্তী আলিমগন এ ব্যপারে আসা এ হাদিস ও ব্যাখ্যাকে গ্রহন করলেও তিনি সন্দেহ করেছেন। আমার কাছে এ হাদিস ও ব্যাখ্যাটিকে বর্তমান সময়ে সমতল জমিনের পক্ষে বলা কাফিরদের বরফের বেষ্টনীর ব্যাখ্যার চেয়ে অধিকতর বিশ্বাসযোগ্য,যৌক্তিক এবং নির্ভরযোগ্য মনে হয়। পূর্ববর্তী অসংখ্য আলিম,মুফাসসীরীন এর সপক্ষে বলেছেন।


ইবনে আবি আল দুনিয়া এবং আবু আল শাইখ, হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ননা করেনঃ 
“Allah has created a mountain called Qaf which surrounds the world, and whose roots stem from the rock on which the earth rests. Whenever Allah wants to shake a town He orders that mountain to shake the root that belongs to that town. That is why earthquakes occur in some places exclusively of others.”


আব্দুল্লাহ ইবনে বুরাইদা থেকে ইবনে মুনাযির, আবু আল শাইখ, আজহামা,আল হাকিম, ইবনে মারদুআহ প্রত্যেকেই সূরাতুল ক্কাফের প্রথম(৫০:১) আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ
“It is a mountain of emerald surrounding the world, on which rest the two sides of the sky.”

ইমাম সুয়ূতি(রহঃ) al-Durr al-Manthur এ বলেন মুজাহিদ(রঃ) থেকে আব্দুর রাজ্জাক বর্ননা করেন যে, “Qaf is a mountain surrounding the world.”

ইমাম বাগাভী(র) তার তাফসির মা'আলিম আল তানজিলে ইকরিমা ও যাহহাক (রঃ) থেকে বর্ননা করেন, 
Qaf is a mountain of green emerald surrounding the world the way a wall surrounds a garden. The sky’s sides rest over it, hence its blue color.”[৫]

অর্থাৎ, যেভাবে দেওয়াল বাগানকে চারদিকে ঘিরে রাখে, তেমনি ক্কাফ নামের সবুজ পর্বতসারি পৃথিবীর প্রান্তভাগকে ঘিরে রেখেছে। গম্বুজাকৃতির আসমানের দুই প্রান্তভাগ এর উপরিভাগে স্পর্শ করেছে। সুতরাং এই enclosed system থেকে বের হবার পথ নেই।
এত কিছু দেখবার পরেও আজকের মুসলিমরা অদেখা সৃষ্টির ব্যপারে কাফিরদের চিন্তাধারার ইত্তেবা করে। ওরা এ বিষয়গুলোকে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করে। জিওসেন্ট্রিক বিশ্বব্যবস্থা নিয়ে বিদ্রুপ করতে ভোলে না কিন্তু এদিকে শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্র[১০] নিঃসৃত অপবিদ্যায় নির্ভর করতে মোটেও লজ্জাবোধ করে না। এদের কতক আবার অনলাইনে বাহ্যত অনেক দ্বীনদার। কিন্তু এমন সব কথাও বলে ফেলে যেটা রাসূল(সাঃ) ও সাহাবীদের পর্যন্তও গড়ায়। বস্তুত, এই প্রবণতা মু'তাযিলা ও নিকৃষ্টতম মুরজিয়াদের মাঝেই পাওয়া যায়।
ওয়া আল্লাহু আ’লাম



রেফা:

Friday, June 29, 2018

আপনি কি শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রে বিশ্বাসী?

পৃথিবীর সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যপারে আজকের বিজ্ঞান যা বলে তার শেকড় অনুসন্ধান করতে থাকলে অবশেষে প্রাচীন ব্যবিলনের নাম চলে আসে। আর সেখানে গজিয়ে ওঠা শাস্ত্রসমূহে কস্মোলজির ভিত্তিমূল পাওয়া যায়। সেটা পৃথিবীর স্ফেরসিটি বা গোলাকৃতির তত্ত্ব। এর সাথে বিগব্যাং, বিবর্তনবাদ,ইনফিনিটি,প্লুরালিটি প্রভৃতি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। প্রাচীন বাবেল শহরের ইহুদীদের কাছে এ সকল শাস্ত্র গচ্ছিত ছিল।

ইজরাইলে অবস্থিত পৃথিবীর সর্ববৃহত্তম কাব্বালা ইন্সটিটিউট এর চেয়ারম্যান র‍্যবাই মিকাঈল লেইটম্যানকে কাব্বালার অরিজিন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "কাব্বালার জন্ম বাবেল শহরে। কাব্বালার ব্যপারে অনেক ভুল ধারনা প্রচলিত আছে, যেমনঃএটা যাদুশাস্ত্র। এটা ভুল ধারনা। অনেক বছর যাবৎ এটা লুকায়িত ছিল তাই এরূপ ধারনা হয়েছে। কাব্বালা হচ্ছে সাইন্স।....."

যাইহোক, পুনর্জন্মবাদী যাদুকর পিথাগোরাস ব্যবিলন সফরে গিয়ে গুপ্ত জ্ঞান লাভ করে ফেরেন। প্যাগান যাদুকর এবং ইহুদীদের থাকা পাওয়া অপবিদ্যা নিজের নামে দেশে ফিরে প্রচার শুরু করেন। ইতিহাসবেত্তা হেরোডোটাসও এমনকি একথা বলেন।
Hermippus পিথাগোরাস এর ব্যপারে বলতেন, "imitation of the doctrines of the Jews and the Thracians, which he transferred to his own philosophy."

Josephus একথা জোর দিয়ে বলেন, "For it is truly affirmed of Pythagoras that he took a great many of the laws of the Jews into his own philosophy."

এরিস্টটলের শিষ্য এরিস্টোক্সাস বলেন, পিথাগোরাস তার মৌলিক জ্ঞান লাভ করেন 'পূর্বদিক'(ইরাকের বাবেল শহর) থেকে।
এছাড়াও এরিস্টোবুলাসসহ অনেকেই অভিন্ন তথ্য প্রদান করেন।

পিথাগোরাসকেই সর্বপ্রথম পৃথিবীর গোলাকার তত্ত্বের কথক ও প্রচারক বলা হয়।
ফ্রিম্যাসনের মহাগুরু এলবার্ট পাঈক বলেনঃ"পিথাগোরাস যে মহাকাশবিজ্ঞান শিখিয়েছে তা মূলত জ্যোতিষশাস্ত্র(এস্ট্রোলজি): তার সংখ্যাতত্ত্বের বিজ্ঞান কাব্বালার নীতিমালার উপরে প্রতিষ্ঠিত। সবকিছুই সংখ্যার পর্দা দ্বারা ঢাকা।"

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُسَدَّدٌ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنِ اقْتَبَسَ عِلْمًا مِنَ النُّجُومِ اقْتَبَسَ شُعْبَةً مِنَ السِّحْرِ زَادَ مَا زَادَ ‏"‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জ্যোতিষীর জ্ঞান শিক্ষা করলো সে যাদু বিদ্যার একটা শাখা শিক্ষা করলো। তা যতো বৃদ্ধি পাবে যাদুবিদ্যাও ততো বাড়বে।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৯০৫
হাদিসের মান: হাসান হাদিস

সুতরাং পিথাগোরাস বাবেল শহরের যাদুবিদ্যার একটি শাখাকে শিখিয়েছে astronomy এর নামে। অর্থাৎ পৃথিবীর আকার সংক্রান্ত বিষয়টি। এসব ছিল কাব্বালার নীতিমালার উপর প্রতিষ্ঠিত। এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে বাবেল শহরে শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্র কাব্বালায় যে পৃথিবীর বিকৃত গোলাকৃতির ব্যপারটি ছিল। কাব্বালিস্টিক অরিজিনের সুস্পষ্ট দলিল আজও বিদ্যমান। কাব্বালা শিক্ষক র‍্যাবাই বিলি ফিলিপ্স বলেনঃ
'প্রাচীনকালে কাব্বালাকে বলা হত যাদুবিদ্যা।কাব্বালা এমন সব ধারনার ব্যপারে বলেছে যা শুধু কয়েক শতাব্দী বেশি এগিয়েই নয় বরং হাজার বছরের এগিয়ে, উদাহরণ স্বরূপ, জোহার(কাব্বালার কিতাব) ২০০০ বছর আগে বলেছে যা কিনা কলম্বাসের চেয়েও ১৫০০ বছর আগে, জোহার গোলাকৃতি(বর্তুলাকার) পৃথিবীর কথা বলেছেঃ
"গোটা দুনিয়াটা উদগত হয়েছে বলের ন্যায় গোলাকৃতিতে, এতে কিছু লোক উপরে এবং কিছু লোক নিচের দিকে রয়েছে।"
_জোহার
(কাব্বালা)'!!!

সরাসরি দলিলঃ
וּבְסִפְרָא דְּרַב הַמְנוּנָא סָבָא, פָּרִישׁ יַתִּיר, דְּהָא כָּל יִשׁוּבָא מִתְגַּלְגְּלָא בְּעִגוּלָא כַּכַּדּוּר, אִלֵּין לְתַתָּא, וְאִלֵּין לְעֵילָּא, וְכָל אִינּוּן בִּרְיָין מְשַׁנְיָין בְּחֶזְוַוְייהוּ מִשִׁנוּיָא דַּאֲוִירָא. כְּפוּם כָּל אֲתַר וַאֲתַר, וְקַיְימִין בְּקִיּוּמַיְיהוּ כִּשְׁאָר בְּנֵי נָשָׁא.

English: Rav Hamnuna Saba (the elder) explains further in his book that the entire inhabited land rolls around like a ball, so that some are up and some are down. TO WIT, THE CREATURES AROUND THE GLOBE ARE OPPOSITE EACH OTHER AND THE SEVEN SECTIONS OF THE GLOBE ARE SEVEN LANDS. (The Seven Continents) All of the creatures OF SIX OF THE LANDS are different in their appearance according to the difference in the atmosphere in each place, and they live like any other man.

[English Zohar Vayikra Volume 14 vs. 141]


וְעַל דָּא אִית אֲתַר בְּיִשּׁוּבָא, כַּד נָהִיר לְאִלֵּין, חָשִׁיךְ לְאִלֵּין, לְאִלֵּין יְמָמָא, וּלְאִלֵּין לֵילְיָא. וְאִית אֲתַר דְּכוּלֵיהּ יְמָמָא, וְלָא אִשְׁתְּכַח בֵּיהּ לֵילְיָא, בַּר בְּשַׁעֲתָא חֲדָא זְעֵירָא. וְהַאי דְּאָמַר בְּסִפְרֵי קַדְמָאֵי, וּבְסִפְרָא דְּאָדָם הָרִאשׁוֹן הָכִי הוּא.

English: There is an inhabited place, so that when there is light on some - ON THAT SIDE OF THE GLOBE - it is dark for others ON THE OTHER SIDE OF THE WORLD. THUS when it is day for one group, it is night for the others. There is an inhabited place where there is day only and no night, save for a little while. (Antarctica)[১]

[English Zohar Vayikra Volume 14 vs. 142]


" The world is as round as a ball. When the sun comes out in the east, it goes in a circle until it reaches below the earth, and then it becomes evening. At that time, it gradually descends by circles of certain steps, descending and circling the whole earth and the whole world.

 When the sun comes down and is covered by it, it grows dark upon us and lights up to those who are dwelling below us, those who are on the other side of the earth, below our feet. And so it grows dark on one side and shines on the other side, below it, following the world and circle of the earth, round and round.”[২]

[New zohar, beresheet:619-620]



“That the world is round, as it is said in the Jerusalem Talmud of Alexander of Macedon, who rose up and up until he saw the world as a ball and the sea as a bowl; ‘the sea’ is the ocean which surrounds the whole world.”[৩]

[Tosafot on tractate Avodah Zarah 41a, s.v.k’kadur]



অতএব, এটা দিবালোকের মত স্পষ্ট যে আজকের এস্ট্রোনমি/এস্ট্রোফিজিক্স শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রের বিকৃত কথা ছাড়া আর কিছু নয়। শয়তান সবসময় ফিতরাতকে বিকৃত করতে পছন্দ করে। আল্লাহ যা বলেন তার বিপরীতটাই বলবে। রাসূল(সাঃ) ও তার সাহাবাগন তাওহীদের(একত্ববাদ) কথা বললে, শয়তান শেখাবে ইত্তেহাদের কুফরি কথা।ও এমন এক কস্মোলজি আবৃত্তি করবে যা থেকে সৃষ্টিকর্তার কর্তৃত্ব এবং অবশেষে তার অস্তিত্বকেই অস্বীকার করা যায়। সেই কুফরি শাস্ত্রেরই অনুসরন করে ব্যবিলনের ইহুদীরা। আল্লাহ আযযা ওয়াযাল বলেনঃ
"তারা(ইহুদীরা) ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত,সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত। তারা উভয়ই একথা না বলে কাউকে শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষার জন্য; কাজেই তুমি কাফের হয়ো না.... ।"[২:১০২]

সুতরাং বুঝতেই পারছেন শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রকেই আজ সাইন্স বলে শেখানো হয়। জগদ্বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী মিচিও কাকু বলেন,"আমি একজন পদার্থবিজ্ঞানী। আমি এটা বলতে পছন্দ করি যে,আমি এলবার্ট আইনস্টাইন, নিলস বোরের মত দানবের(মহাবিজ্ঞানীদের) পদচিহ্নে হাটি। আমি কোন দার্শনিক নই। এটা বরং আশ্চর্যজনক যে, আধুনিক মহাকাশ বিজ্ঞান, যা আমরা স্যাটেলাইট দ্বারা পাই তা যেন জোহার এবং প্রাচীন কাব্বালিস্টিক শাস্ত্রের ভুতুড়ে প্রতিফলন।"

মা'আযাল্লাহ!! কাফিররা শয়তানি কুফরি শাস্ত্রকে বিজ্ঞানের মোড়কে শেখাচ্ছে, এর সকল প্রাচীন শিক্ষকরাই ছিল শয়তানের একান্ত অনুগত গোলাম। এরপরে আজ সেটাকে নাম(কাব্বালা) ধরেও জানিয়ে দিচ্ছে। এরপরেও কিছু মুসলিম জেনেশুনেও এই শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রের অনুসরন করেই পছন্দ করে। তারা এমনকি যুক্তি দিয়ে বৈধ করতেও চেষ্টা করে। এরা কাফেরদের কুফরি শাস্ত্রের কথা গুলোকে রহমানের আয়াতগুলোকে অপব্যবহার করে সত্যায়ন করতেও চেষ্টা করে। ইন্না লিল্লাহ। এভাবে(রূপকার্থে) মদ ও মধুকে মিলিয়ে দাওয়াতি কাজও চালায়। দুটিকে একাকার করে দেয়! আমরা যখন ওদের সতর্ক করি, তখন জঙ্গী, কাফেরদের দালাল ট্যাগ সহ অনেক কিছুই লাভ করি। আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও রিপোর্ট করা হয়।

ওরা আমাদের কাছে শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রের বিপক্ষে সুস্পষ্ট সহীহ হাদিস বা কুরআনের আয়াতের দলিল চায়, নতুবা তারা এই অপবিদ্যার শাস্ত্রকে আঁকড়ে ধরে থাকবে,যেমনি ইহুদীরা করেছে। কিবলাধারী ইহুদী ছাড়া এরূপ চিন্তা আর কাদের হতে পারে! অথচ সুস্পষ্ট শয়তানি কাব্বালিস্টিক শাস্ত্রের বিপক্ষে একটিও যদি দলিল কুরআন সুন্নাহ এ না থাকে, এরপরেও সে শাস্ত্রের কোন কিছুই কস্মিনকালেও মুসলিমদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ কুরআন ও হাদিসের সমস্ত বর্ননা কাব্বালিস্টিক কস্মোলজি ও কস্মোজেনেসিসের বিপরীতে। এবং এ ব্যপারে সুস্পষ্ট দলিল রয়েছে।

হক্কের মাপকাঠি তথা সাহাবীদের (রাযি.) জামাতের আকিদা ও শিক্ষাও ছিল কাব্বালিস্টিক ওয়ার্ল্ডভিউ বিপরীত মেরুর। আর সেসব ঠিক তাই যার ব্যপারে আমরা বলি। কিছু অন্তরে রোগগ্রস্ত লোক, বরেণ্য আলিম ও উলামাদের রেফারেন্স নিয়ে আসে, এই আশায় যদি কাব্বালিস্টিক কস্মোলজিকে সত্যায়ন করা যায়। তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলি, প্রাচীন যুগ থেকে আজ পর্যন্ত যত আলিমগন অসচেতনভাবে এর সপক্ষে কিছু বলেছেন আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সত্যিকারের আলিমরা সাধারনত তাদের ব্যক্তিগত মত প্রকাশের সাথে সাহাবাদের জামাতের অনুসরনের দিকে রিডায়্রেক্ট করতেন। ইমাম আবু হানিফাও(রহঃ) এরূপ করেছিলেন। অপবিজ্ঞানের সপক্ষে যায় এরূপ কারও কথা যদি আল্লাহ ও তার রাসূল(ﷺ) এবং সাহাবী (রাযিঃ) এর কথা ও বিশ্বাসের সাথে সংঘর্ষ তৈরি করে, তবে তা অনুসরণযোগ্যতা হারায়। যারা এরূপ বলতেন, তারা অধিকাংশই এসব ব্যপারে গভীরভাবে না জেনেই কুরআন-সুন্নাহর বাহিরে গিয়ে যাদুশাস্ত্রের সপক্ষে বলেন। কেউবা তৎকালীন পরিস্থিতির স্বীকার। কেউবা দাওয়াতের স্বার্থে হিকমাহ অবলম্বন করতে গিয়ে....! আল্লাহ তাদের ব্যপারে সর্বোত্তম জানেন। অতএব তাদের কোন ঐরূপ কোন বক্তব্য বা মতামত কোন কিছুই প্রমান করে না।এজন্য

আমাদের দ্বারা কাব্বালিস্টিক 'এস্ট্রলজি'কে প্রমোট করে এমন কোন কিছুরই নূন্যতম মূল্যায়নও করা হয়না।
কাব্বালিস্টিক এস্ট্রনমির পক্ষে তাদের কোন প্রকার যুক্তির কোনরূপ গ্রহণযোগ্যতা নেই। অধিকন্তু, গোল পৃথিবীবসহ অন্য সকল এস্ট্রোনমির নামে যা কাফেররা দেখায়, সেসবের অধিকাংশই মিথ্যা। অধিকাংশই কম্পিউটার জেনারেটেড এনিমেশন এবং ফটোশপ দ্বারা বানানো ছবি। সত্য তো ঠিক তাই যা আল্লাহ ও তার রাসূল(সাঃ) বলেছেন।
আল্লাহ আসমান ও জমিনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। জমিনকে করেছেন শয্যাক্ষেত্র স্বরূপ এবং আসমানকে করেছেন জমিনের উপর গম্বুজের ন্যায় সুউচ্চ ছাদ।

Cosmological distortion কোন superficial ব্যপার নয়। বরং এর সাথে অনেকগুলো বিষয় জড়িত। ওরা কুফফারদের কথা গুলো দ্বারা রহমানের আয়াতের সত্যায়নের হীন অপচেষ্টা চালায়। রহমানের পবিত্র আয়াতগুলো দ্বারা শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রকে সত্যায়ন করার হীন অপচেষ্টা চালায়। খুব শীঘ্রই অপবিজ্ঞানের কোন গ্রহণযোগ্যতাই থাকবে না(ইনশাআল্লাহ)। সত্য ও মিথ্যার মাঝামাঝি বলে কোন কিছু রাখা হবে না। বিইযনিল্লাহ। শুধু অপেক্ষা করুন।

পরিশেষে প্রশ্ন থাকলো,আপনি কি বাবেল শহরের শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রকে পছন্দ করেন, নাকি আল্লাহ ও রাসূল(ﷺ) এর নিদর্শন ও নির্দেশনাবলী সম্বলিত শাস্ত্রকে?


রেফাঃ
[১]https://kabbalah.com/en/master-kabbalists/the-land-is-a-ball

[২]http://www.kabbalah.info/eng/content/view/frame/86376?/eng/content/view/full/86376&main

[৩]http://daatemet.org.il/en/torah-science-ethics/scientific-errors-in-torah/what-the-sages-knew-about-the-shape-of-the-earth/

Friday, June 1, 2018

৪.বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?

বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?

Occult Origin of Mainstream physics and Astronomy [পর্বঃ৪]






বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষে পৌছেছে ১০০ বছরও পার হয় নি। আর এই বিজ্ঞানের অফিশিয়াল অগ্রযাত্রাও শুরু খুব আগের নয়। রেনেসাঁ পিরিয়ড থেকেই হঠাৎ করে অন্ধকার যুগ থেকে বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত হওয়ার যাত্রা শুরু হয়। যেন কোন এক অদৃশ্য অস্পৃশ্য পরশ পাথরের স্পর্শে রাতারাতি সবকিছুতে আমূল পরিবর্তন আসে। কি সেই জিনিস! সেই পরশপাথর ছিল দীর্ঘদিন ঢেকে রাখা মিশরীয় থোথ/ বা গ্রীক হার্মিস ট্রিসম্যাজিস্টাসের কিছু নিষিদ্ধ গুপ্তজ্ঞানের কিতাব। যা আজ হার্মেটিসিজম বলে পরিচিত। একে কেন্দ্র করেই আজকের আলোচনা।

Hermeticism:

Hermeticism সবচেয়ে জনপ্রিয় Western occult Esoteric tradition। এটা Sorcery/magick এর প্যাকেজ। এস্ট্রলজি,আলকেমি, যাদু-উইচক্র্যাফট,দর্শন সব আছে এতে। পাশ্চাত্যের যাদুকররা এই নিষিদ্ধ বিদ্যার চর্চা করেই নিজেদের যাদুবিদ্যাকে শাণিত করেন। হার্মেটিক শব্দের আক্ষরিক অর্থ অকাল্ট /গোপন করা/ বা 'কুফর'! " the term "hermetic" is also equivalent to "occult" or hidden.[21]"[Wikipedia]

হার্মেটিসিজমের জনক হার্মিস ট্রিসম্যাজিস্টাস আজ গ্রীক দেবতা বলে পরিচিত।
 https://en.m.wikipedia.org/wiki/Hermes_Trismegistus

 বলা হয়, হার্মিস হার্মেটিক গুপ্ত জ্ঞান পেয়েছেন মেডিটেটিভ প্র‍্যাকটিস থেকে। অনেকে এই ব্যপারে একমত যে মিশরীয় প্যাগানিজমে হোরাসের পুত্র যাদুবিদ্যার দেবতা থোথই(Thoth) হচ্ছে হার্মিস।"According to Geza Vermes, Hermeticism was a Hellenistic mysticism contemporaneous with the Fourth Gospel, and Hermes Tresmegistos was "the Hellenized reincarnation of the Egyptian deity Thoth, the source of wisdom, who was believed to deify man through knowledge (gnosis)."[উইকিপিডিয়া]

আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে Hermetism বা hermeticisim কে অনেকেই ধর্মের কাতারে ফেলে পালন করে।
Tobias Churton, Professor of Western Esotericism at the University of Exeter, states, "The Hermetic tradition was both moderate and flexible, offering a tolerant philosophical religion, a religion of the (omnipresent) mind, a purified perception of God, the cosmos, and the self, and much positive encouragement for the spiritual seeker, all of which the student could take anywhere."[55] Lutheran Bishop James Heiser recently evaluated the writings of Marsilio Ficino and Giovanni Pico della Mirandola as an attempted "Hermetic Reformation".[56](Wikipedia)

ধারনা করা হয় হার্মিস সত্যিই মিশর অথবা ব্যবিলনিয়ান প্রাচীন যাদুকর ছিলেন। তাকে "Thrice Great" বা ট্রিসম্যাজিস্টাস নামেও ডাকা হয়। তিনি যাদুবিদ্যা,জ্যোতির্বিদ্যা ও আলকেমিশাস্ত্র তিনটি বিষয়ে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন।
 "An account of how Hermes Trismegistus received the name "Thrice Great" is derived from the Emerald Tablet of Hermes Trismegistus, wherein it is stated that he knew the three parts of the wisdom of the whole universe.[13] The three parts of the wisdom are alchemy, astrology, and theurgy."[Wikipedia]

হার্মেটিক নলেজের প্রচলনের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় অনেক প্রাচীন লেখক-দার্শনিকরা হার্মেটিক বিদ্যার সাথে পরিচিত ছিল। আইয়ামব্লিকাস,প্লুটার্ক,পরফিরি প্রভৃতি গ্রীক দার্শনিক-সাহিত্যিকরা তাদের যুগেই হার্মেটিসিজমের সাথে পরিচিত ছিলেন।বর্তমানে টিকে থাকা প্রাচীন হার্মেটিক যাদুশাস্ত্রের কিতাবের মধ্যে Corpus Hermeticum,এমারেল্ড ট্যাব্লেট অন্যতম। তবে এর শেকড় প্রাচীন মিশরে।

 "In 1945, Hermetic texts were found near the Egyptian town Nag Hammadi. One of these texts had the form of a conversation between Hermes and Asclepius. A second text (titled On the Ogdoad and Ennead) told of the Hermetic mystery schools. It was written in the Coptic language, the latest and final form in which the Egyptian language was written.[31]
"[উইকিপিডিয়া]

http://tvtropes.org/pmwiki/pmwiki.php/Main/HermeticMagic

http://www.hermeticfellowship.org/HFHermeticism.html

Hermetic Belief & knowledge:
……………………………………………………

হার্মেটিক বিশ্বাস ব্যবস্থার সাথে অন্যান্য এসোটেরিক মিস্টিক্যাল ট্রেডিশনের(কাব্বালা,ইস্টার্ন মিস্টিসিজম ইত্যাদি) থেকে খুব বেশি পার্থক্য নেই। ওরাও সর্বেশ্বরবাদ, পুনঃজন্মবাদ এবং অন্যান্য প্রায় সকল আধ্যাত্মিক সাধনায় সাদৃশ্য রয়েছে।
1908 সালে এক অজ্ঞাত লেখক দ্য কিবালিয়ন নামে একটি বই পাবলিশ করা হয় যাতে দাবি করা হয় হার্মিসের শিক্ষার এসেন্স বর্নিত হয়েছে। বইটিতে হার্মিসের প্রাচীন বইগুলো অবলম্বনে সাতটি হার্মেটিক প্রিন্সিপ্যাল উল্লেখ করা হয়।
১. Principle of Mentalism
২. Principle of Correspondence
৩. Principle of Vibration
৪. Principle of Polarity
৫. Principle of Rhythm
৬. Principle of Cause and Effect
৭. Principle of Gender

প্রিন্সিপ্যাল অব মেন্টালিজম হচ্ছে সৃষ্টি স্রষ্টার অভিন্ন অস্তিত্বের বিশ্বাস। অর্থাৎ আরবিতে যাকে ওয়াহদাতুল উজুদ বলে,যা সুফি পীরপন্থীদের অফিশিয়াল আকিদা। এটা বলে, রিয়েলিটি হচ্ছে একটি ম্যাসিভ মাইন্ডের কল্পনা অথবা রিয়েলিটি হচ্ছে কালেক্টিভ কনসাসনেস,জাইগ্যান্টিক মাইন্ড
https://m.youtube.com/watch?v=Yui-v8ykSk8

এসব নিয়ে গত পর্বগুলোয় বিশদ আলোচনা হয়েছিল। প্রিন্সিপ্যাল অব ভাইব্রেশন দ্বারা বোঝায় সকল এনার্জি পার্টিকেলই ভাইব্রেশনরত। এনার্জির এই ভাইব্রেশনের তারতম্যই একেক ম্যাটারের একেক শেপে রূপ দেয়। https://m.youtube.com/watch?v=c0YDaXjppr8

এই মিস্টিক্যাল কন্সেপ্টটিও আগে আলোচনা করেছি ব্যাপকভাবে। হার্মেটিসিস্টরা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করে ওয়াহদাতুল উজুদের আকিদাকে। ওরা বলে, যাদুবিদ্যায় অধিকতর সাফল্য পেতে মেন্টালিজমের প্রিন্সিপ্যাল অবশ্যই মানতে হবে।
এটা সুস্পষ্ট হচ্ছে যে, বর্তমান 'নিউথট' এর অনুসারী গ্লোবাল Mystics দের এনার্জি-ভাইব্রেশনের তত্ত্বের শেকড় গ্রেসীয়-ইজিপশিয়ান যাদুবিদ্যার শাস্ত্রে ছিলো। আজ তারই প্রচারণা চলছে।

বিস্তারিত দেখুনঃ https://en.m.wikipedia.org/wiki/The_Kybalion

ভাইব্রেশন ও ফ্রিকোয়েন্সি
https://m.youtube.com/watch?v=_aeeNMk04l0

https://m.youtube.com/watch?v=vqM3TE5TDw8

everything is vibrating:
https://m.youtube.com/watch?v=0XZG2dWxsT8

7 hermetic principlesঃ
https://m.youtube.com/watch?v=c0YDaXjppr8

how apply hermetic principle
https://m.youtube.com/watch?v=iEGlZinHfMc

https://m.youtube.com/watch?v=A2sukRtdwGE

manifest what you want
https://m.youtube.com/watch?v=SMIgyryyjak

https://m.youtube.com/watch?v=i7d5q31oIXc

law of polarity
https://m.youtube.com/watch?v=bbJlNtI_GH0

becoming magician kabbalah hermeticim
https://m.youtube.com/watch?v=713Cvql35Ss

https://m.youtube.com/watch?v=uSv3UfRgcVg

Hermetic & alchemical teaching :
https://m.youtube.com/watch?v=ZJZFeIPoswY

hermetic ট্রেডিশনের অনুসারীরা কস্মিক কনসাসনেস অর্জনের কথা বলে, যে লক্ষ্যে তারা সকল সাধনা চালায়। হ্যা, এটা ঠিক সেটাই যার উপর ভারতীয় আধ্যাত্মিক সাধনা ও যাদুবিদ্যা গড়ে উঠেছে। এটা ঠিক সেই 'কস্মিক রিলিজিয়াস ফিলিং' যেটা এলবার্ট আইনস্টাইন সাহেব অনুভব করতেন। ঐ একই জিনিস যাকে নেইল ডিগ্র‍্যাস টাইসন 'কস্মিক পার্স্পেক্টিভ' শব্দ দ্বারা কথায় কথায় প্রকাশ করে থাকেন।একই ধ্যানকেন্দ্রিক সাধনা যা সকল এসোটেরিক পথে রয়েছে।

দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=f9qfcCQBEK8

https://m.youtube.com/watch?v=8ny_XCBIffI

হার্মেটিসিজম অনুযায়ী মহাবিশ্বের সমস্ত জ্ঞানকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। জ্ঞান এই তিনের মাঝেই সীমাবদ্ধ।
১.আলকেমি
২.এস্ট্রলজি(জ্যোতিষবিদ্যা)
৩.যাদুবিদ্যা(ম্যাজিক/সর্সারি)

আলকেমি শুধু লোহাকে সোনায় রুপান্তরের প্রসেসই না বরং 'এতে রুহানি একটা ব্যপার আছে'! কোটেড কথাটা এক সুফিপন্থী ভাইয়ের। উনি মিথ্যা বলেন নি। আসলেই আছে। আর এই আলকেমিক্যাল রুহানি ব্যপারের সর্বশেষ লক্ষ্য হচ্ছে Become one with God বা ফানাফিল্লাহ(বস্তুত ফানাফিশাইত্বন)!

"Alchemy is not merely the changing of lead into gold.[40] It is an investigation into the spiritual constitution, or life, of matter and material existence through an application of the mysteries of birth, death, and resurrection. Furthermore, alchemy is seen as the "key" to theurgy,[46] the ultimate goal of which is to become united with higher counterparts, leading to the attainment of Divine Consciousness."[Wikipedia]।

যাদুবিদ্যা আর যাদুবিদ্যার শাখা জ্যোতির্বিদ্যার ব্যপারে কিছুই বলবার নেই।সেসব একদমই স্পষ্ট কুফর। সুতরাং সুস্পষ্টভাবে দেখতে পারছেন, হার্মেটিক নলেজের তিনটি বেসিক বিষয়বস্তু।

হার্মেটিক আকিদানুযায়ী সমস্ত জিনিস চারটি ক্লাসিকাল ইলিমেন্ট(পানি,বায়ু,পৃথিবী এবং আগুন) দ্বারা গঠিত।
যাদুবিদ্যার ইলিমেন্ট অনুযায়ী এ আকিদা স্বভাবতই থাকবার কথা।

ঈসা (আ) আসমানে গমনের পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন
খ্রিস্টানরা হার্মেটিক নলেজকে 'ফরবিডেন নলেজের' কাতারে ফেলে এর বিরুদ্ধে চড়াও হয়। তখন অনেক যাদুকর, ডাকিনীরা ওদের নির্মম নিধনের স্বীকার হয়। তাদেরকে পুড়িয়ে হত্যা করা হত। ওই সময়ে এই মিস্টিক্যাল ট্রেডিশন গুপ্ত বিষয়ে পরিনত হয়। অকাল্ট নলেজ বলে সম্বোধন করা শুরু হয় তখন থেকে। খ্রিস্টানদের নিপীড়নের জন্য হার্মেটিক সাহিত্যিকঃ পরফিরি, আইয়ামব্লিকাসরা খ্রিষ্টধর্মের বিরুদ্ধে অনেক লেখালিখি করে। প্রত্যেক গ্রীক দার্শনিক হার্মেটিক জ্ঞান দ্বারা প্রভাবিত ছিল।

Great library Alexandria তে হার্মেটিক কিতাব গুলোর কিছু সংরক্ষণ করা হয়েছিল। এই লাইব্রেরী ধ্বংস হবার জন্য অধিকাংশ শাস্ত্রই বিলুপ্ত হয়ে যায়। টিকে থাকা কিছু কিতাবের মধ্যে আছে কর্পাস হার্মেটিকাম,এমারেল্ট ট্যাবলেট আরো দু একটি। খ্রিষ্টান সভ্যতা আনুমানিক ৩১২ সাল থেকে ৬০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত হার্মেটিক অকাল্টিজমের উপর অত্যাচার চালিয়ে যায়। এর পরে ইসলামিক পরাশক্তির জাগরণে, ৬০০ খ্রিষ্টাব্দের পরে গ্রীকদের থেকে হার্মেটিক শাস্ত্রগুলো মুসলিমরা হাতে চলে আসে। আরব এসবের ব্যপারে একদমই অন্ধকারে ছিল। তারা কৌতূহলপ্রবণ হয়ে সেসব কিতাব আরবি ভাষায় অনুবাদ করে।

 সর্বপ্রথম এমারেল্ড ট্যাবলেটের অনুবাদ করে জাবির ইবনে হাইয়্যান। এরপরে যা শুরু হয় আপনারা ভাল করেই জানেন। গ্রীক এস্ট্রোনমি মুসলিমদের উপরে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। তৈরি হয় ওয়াহদাতুল উজুদ(সৃষ্টি স্রষ্টার এক অস্তিত্বের আকিদা),সুফিবাদ। আলকেমির চর্চা করে ও ইতিহাসে নাম লেখায় নামধারী মুসলিমরা।জ্ঞান-বিজ্ঞানে তৎকালীন সময় চরম উৎকর্ষে পৌছায়। "During the Middle Ages and the Renaissance the Hermetica enjoyed great prestige and were popular among alchemists"(Wikipedia)

পড়ুনঃ http://henrybayman.com/hermeticism-and-sufism/

জাবির ইবনে হাইয়ান, ইবনে সিনা, ইবনে আরাবি, আল কিন্দিরা এখনো ইতিহাসে লেজেন্ড। তারা আলেমসমাজের একটা দল সবসময়ই গ্রেসিয়ান চিন্তার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছেন। আরব এস্ট্রোনমিতেও কঠিন প্রভাব ফেলে গ্রীক এস্ট্রনমি(বস্তুত-এস্ট্রলজি)। সেটা ভালভাবে বোঝা যায় ইমাম ইবনে কাসির(রঃ) এর কিতাবগুলো পড়লে। এমনকি গ্রীক সেলেস্টিয়াল অবজেক্টগুলোর ভাস্কর্যও নির্মিত হয়।

 গ্রীকরা যাদুকর(কথিত বিজ্ঞানী) পিথাগোরাসের কল্যাণে বহু আগেই বিশ্বাস করত যে পৃথিবী গোলাকার। সেই প্রভাব আরবে রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে। যেখানে 'পৃথিবী গোলাকার নাকি সমতল' এরূপ কোন প্রশ্নই কখনো ওঠে নি, যেখানকার মানুষ অনাদিকাল থেকে কোনরূপ প্রশ্ন ছাড়াই সমতল জিওসেন্ট্রিক কস্মোলজিতে বিশ্বাস করত,সেই ভূমিতে স্ফেরিক্যাল মডেল ও ফ্ল্যাট মডেলের প্রশ্ন তৈরি হয়। ভূতত্ত্ববিদগন তখন স্ফেরিক্যাল আর্থের কথা বলতেন। এমনকি আলেমরাই গোল/সমতলের প্রশ্নে সচেতনভাবে চিন্তা করার অবকাশ পান, এতে করে একদল আলেম কুরআন সুন্নাহ এর আক্ষরিক সরল অর্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন এবং দলিলের মধ্যে অসাংঘর্ষিকতা বজায় থাকে এবং প্রাচীন ঐতিহ্যগত বিশ্বাসের উপর থেকে সমতল মডেলকে কামড় দিয়ে ধরে রাখলেন।

 অন্য দিকে আলেমদের অপর একটি পক্ষ অজান্তেই পীথাগোরিয়ান চিন্তায় প্রভাবিত হয়ে সেটার ফেভারে থেকে সেই পিথাগোরিয়ান ম্যাজিক্যাল বিলিফ কে কেন্দ্র করে সবকিছু চিন্তা করতে থাকেন, তখন কুরআন-সুন্নাহর দলিলগুলোতে যুক্তি এবং নিজস্ব আকল দ্বারা বিবেচনা করে স্ফেরিক্যাল মডেলের পক্ষে চলে গেলেন। তবে মজার বিষয় হলো, যারা যাদুকর পিথাগোরিয়ান স্ফেরিকাল মডেলকে পছন্দ করলেন,তাদের বলা অন্যান্য এস্ট্রোনোমিকাল ডেস্ক্রিপশনগুলো পরবর্তীতে স্ট্যাবলিশড এস্ট্রোনোমিকাল সিস্টেমের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থানে চলে যায়। আমার ব্যক্তিগত মত যে, তাদের আগমন আরও পরে হলে সেসময়কার স্ট্যাবলিশড এস্ট্রোনোমিকাল স্ট্যান্ডার্ড এর পাশেই থাকতেন। ওয়াল্লাহু আলাম। সুতরাং বলতেই হয় যে, হার্মেটিক গুপ্ত বিদ্যা কেমন যেন পরশ পাথর! সেটা যাদের কাছে যায় তারাই জ্ঞান-বিজ্ঞানে চরম শিখরে পৌছে যায়।

সে সময় আরবে হার্মিসের বিদ্যানুরাগী আলকেমি, জ্যোতিষবিদ্যার চর্চাকারীরা বলতে শুরু করে, এই হার্মিসই (থ্রাইস গ্রেট) নাকি ইদ্রিস আলাইহিসালাম! (নাউজুবিল্লাহ)। এই দাবিকারীরা অধিকাংশই মূলত শিয়া,সুফি ফের্কাভুক্ত ছিল। ইদ্রিস আলাইহিসালাম এর নাম ভাঙ্গিয়ে যাদুবিদ্যাকে হালাল হিসেবে প্রচার করত তারা, ইহুদীরা যেমনি সুলাইমান(আ) এর নাম ভাঙ্গিয়ে কাব্বালা যাদুবিদ্যার অনুসরণ করত,এরাও তেমনি করত।

পাশ্চাত্যে এই গুপ্তবিদ্যা ১৪৬০ সালের আগপর্যন্ত অপ্রকাশিত থাকে।
ততদিন পর্যন্ত ওরা অন্ধকার যুগেই ছিল।তখন পর্যন্ত রসায়ন,আকাশবিদ্যায় মুসলিম নামধারীদের নাম জ্বলজ্বল করত।
"After centuries of falling out of favor, Hermeticism was reintroduced to the West when, in 1460, a man named Leonardo de Candia Pistoia[25] brought the Corpus Hermeticum to Pistoia"[উইকিপিডিয়া]

এরপরে রেনেসাঁ যুগে আবারো পাশ্চাত্যে সেসব বিদ্যার চর্চা শুরু হয়।
উদার নামধারী খ্রিষ্টান শাসকগোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় আবারো গুপ্তজ্ঞান প্রকাশ্যে জেগে ওঠে। রসায়ন, মহাকাশবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞানে সমৃদ্ধি শুরু হয়। হার্মেটিক প্রিন্সিপ্যাল গুলোর একটিঃ "As above so below" থেকে মহাকাশ গবেষকরা আউটার স্পেসের(মহাশূন্যের) ধারনা পায়। অর্থাৎ, উপরে যেমনি আকাশ নিচেও আকাশ। সেই সাথে ম্যাক্রোকোজম, মাইক্রোকোজমের বিদ্যাও উন্নত হতে শুরু হয়।

আধুনিক আকাশবিজ্ঞান,রসায়নশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা যার কল্যানে এত উৎকর্ষে পৌছেছে সেটা হার্মিস ট্রিসম্যাগিস্টাসেরই অবদান। রেনেসাঁ- রিফর্মেশন পিরিয়ডে পাশ্চাত্যে দর্শন, বিজ্ঞান,সাহিত্যেও হার্মেটিক বিপ্লব ঘটে। মানুষের মধ্যে এই নিষিদ্ধ বিদ্যা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
কবি সাহিত্যিকরাও মিস্টিক্যাল কাব্য-সাহিত্য রচনা শুরু করে। W.B Yeats,ফ্রান্সিস বেকন'রা হার্মেটিসিজম দ্বারা প্রভাবিত হয়।

"Many writers, including Lactantius, Cyprian of Carthage,[8]Augustine,[9]Marsilio Ficino, Giovanni Pico della Mirandola, Giordano Bruno, Campanella, Sir Thomas Browne, and Ralph Waldo Emerson, considered Hermes Trismegistus to be a wise pagan prophet who foresaw the coming of Christianity."[Wikipedia]

যাদের হাতে বিজ্ঞানের ইমারত বিনির্মিত তাদের সিংহভাগই ছিলেন হার্মেটিক যাদুবিদ্যার নিষিদ্ধ জ্ঞান দ্বারা প্রভাবিত।
"Much of the importance of Hermeticism arises from its connection with the development of science during the time from 1300 to 1600 AD. The prominence that it gave to the idea of influencing or controlling nature led many scientists to look to magic and its allied arts (e.g., alchemy, astrology) which, it was thought, could put Nature to the test by means of experiments. Consequently, it was the practical aspects of Hermetic writings that attracted the attention of scientists."[Wikipedia]

এমনকি যার কথা মোতাবেক মেইনস্ট্রিম ক্লাসিক্যাল ফিজিক্স(নিউটোনিয়ান মেকানিক্স) চলছে, তিনিও হার্মেটিক যাদুবিদ্যায় ডুবে ছিলেন। জ্বি আমি আইজ্যাক নিউটন সাহেবের কথা বলছি। "Many of Newton's manuscripts—most of which are still unpublished[17]—detail his thorough study of the Corpus Hermeticum, writings said to have been transmitted from ancient times, in which the secrets and techniques of influencing the stars and the forces of nature were revealed, i.e. As Above, So Below."[Wikipedia]

সুতরাং প্রচলিত বিজ্ঞানের অরিজিন সম্পর্কে আশা করি আঁচ করতে পারছেন। সেসব আলোচনা পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে আসছে ইনশাআল্লাহ।

বর্তমান সাইন্টিফিক নোশন হার্মেটিক অকাল্টিজমের উপরে জন্ম গ্রহন করলেও হঠাৎ করে অকাল্টিজম এবং সুপারন্যাচারাল বিষয়গুলোকে এভোয়েড করতে শুরু করে। অর্থাৎ, দুইটি চ্যানেল তৈরি হয়। একদিকে র‍্যাশোনাল সাইন্টিফিক মোড়কে 'মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞান' যদিও যাদুশাস্ত্রের উপর দাঁড়ানো। আরেকদিকে হার্মেটিক ফাউন্ডেশন এর উপর গড়ে ওঠে Freemasons, Rosicrucians, Hermetic Order of the Golden Dawn, Thelema, neo paganism, and Wicca,Ordo templi orientis(oto),Hermetic Qabala,New thought, New age ইত্যাদি নামের গুপ্তসংগঠন, যারা নিজেদের অকাল্ট বিলিফ ও প্রাকটিসের ব্যপারে এপোলোজেটিক না। এলিস্টার ক্রোওলিরা থেলেমা, ওটিওর ফান্ডামেন্টাল নলেজ এই হার্মেটিক মিস্ট্রি থেকেই নিয়েছিলেন। এইচপি ব্লাভাস্তকি ইস্টার্ন যাদুবিদ্যার পাশাপাশি এই হার্মেটিক কিতাবাদি দ্বারাও প্রভাবিত ছিলেন।

পড়ুনঃ
https://spacedoutscientist.com/2015/06/01/hermeticism-the-nexus-between-science-philosophy-and-spirit/

http://www.newdawnmagazine.com/Reviews/occultism-magick/the-forbidden-universe-the-occult-origins-of-science-and-the-search-for-the-mind-of-god/

http://www.academia.edu/7072076/The_Influence_of_Renaissance_Hermeticism_on_the_Scientific_Revolution

https://medium.com/hermetic-satanism/on-occultism-58a78b43f5e6

https://www.newdawnmagazine.com/articles/from-ancient-egypt-to-modern-science-the-forgotten-link

https://spacedoutscientist.com/2015/05/16/alchemy-how-a-tradition-spanning-millennia-became-modern-chemistry/

https://ultraculture.org/blog/2016/04/19/hermetic-initiates-magick-study-reality/

http://thespiritscience.net/2016/09/07/amazing-discovery-hermeticism-explained-by-cutting-edge-physics-breakthrough/

https://spiritsciencecentral.com/hermeticism-history-science/

আমরা অনেকেই 'ফ্রিম্যাসন,ইল্যুমিনাতি ইত্যাদি শব্দের সাথে পরিচিত। এদের ব্যপারে নেতিবাচক প্রচারণাও দেখে থাকি। কিন্তু এসব গুপ্তসংগঠন গুলোর বিলিফ সিস্টেম বা আকিদা কি তা সম্পর্কে অজ্ঞাত। এরা সবাই হার্মেটিক এসোটেরিক ট্রেডিশনের দ্বারা প্রভাবিত এবং নির্মিত । সকল ফ্রিম্যাসনরা হার্মেটিক প্রিন্সিপ্যালগুলো মেনে চলেন।
"Many Hermetic, or Hermetically influenced, groups exist today. Most of them are derived from Rosicrucianism, Freemasonry, or the Golden Dawn"[Wikipedia]

'Hermetic Order of Golden Dawn' সংগঠনটি তৈরি করে তিন ফ্রিম্যাসন। "The three founders, William Robert Woodman, William Wynn Westcott, and Samuel Liddell Mathers, were Freemasons."[Wikipedia]

Golden Dawn একদমই ফ্রিম্যাসনিক স্টাইলের সংগঠন যার মূল শিক্ষাই হলো যাদুবিদ্যা।
"Hermetic Order of Golden Dawn Known as a magical order, the Hermetic Order of the Golden Dawn was active in Great Britain and focused its practices on theurgy and spiritual development. Many present-day concepts of ritual and magic that are at the centre of contemporary traditions, such as Wicca[1][2]and Thelema, were inspired by the Golden Dawn, which became one of the largest single influences on 20th-century Western occultism.["
.
"The Golden Dawn system was based on hierarchy and initiation like the Masonic Lodges; however women were admitted on an equal basis with men. The "Golden Dawn" was the first of three Orders, although all three are often collectively referred to as the "Golden Dawn". The First Order taught esoteric philosophy based on the Hermetic Qabalah and personal development through study and awareness of the four Classical Elements as well as the basics of astrology, tarot divination, and geomancy. The Second or "Inner" Order, the Rosae Rubeae et Aureae Crucis (the Ruby Rose and Cross of Gold), taught magic, including scrying, astral travel, and alchemy. The Third Order was that of the "Secret Chiefs", who were said to be highly skilled; they supposedly directed the activities of the lower two orders by spirit communication with the Chiefs of the Second Order."

বিস্তারিতঃ
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Hermetic_Order_of_the_Golden_Dawn

প্রাচীন হার্মেটিক স্কুল গুলোর সাথে ফ্রিম্যাসনের খুব বেশি পার্থক্য নেই। Pre-common Era তে ফ্রিম্যাসনের মত হার্মেটিক সিক্রেট সোসাইটি ছিল। Gilles Quispel বলেন, "It is now completely certain that there existed before and after the beginning of the Christian era in Alexandria a secret society, akin to a Masonic lodge.[উইকিপিডিয়া]
সুতরাং বলা যেতে পারে যে প্রাচীন হার্মেটিক স্কুল/শ্রিন আজকের ফ্রিম্যাসন ও ম্যাসনিক লজ। যারা এখনো সারাবিশ্বে হার্মেটিক প্যাগান নিষিদ্ধ অপবিদ্যার দৌরাত্ম কি বিশ্বাস করতে পারছেন না, তারা জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর পতাকার দিকে তাকিয়ে দেখুন(Staff of Asclepius)। মেডিকেল ও বিজনেসের অফিশিয়াল সিম্বলের দিকে তাকিয়ে দেখুন। কি দেখছেন? ডিএনএ এর ন্যায় প্যাঁচানো সাপ! জ্বি এটাকে বলা হয় কাডুসিয়াস বা স্ট্যাফ অব হার্মিস।
না বুঝলে পড়ুনঃ
 https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=324937487963450&id=282165055574027

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Caduceus

https://m.youtube.com/watch?v=KjZvzDaDqvo

https://m.wikipedia.org/wiki/Hermeticism

________________________________[চলবে ইনশাআল্লাহ]
চেষ্টা করেছি যথাসম্ভব সংক্ষেপে আর্টিকেলটি শেষ করতে। ইচ্ছা ছিল আরো দুটি বিষয় এখানে টানবো। কিন্ত ফেসবুুকের বেধে দেওয়া সর্বোচ্চ শব্দসীমা অতিক্রম করায় সম্ভব হচ্ছে না। ইনশাআল্লাহ সামনে আরো অনেক কিছুই আসছে যা আজকের কট্টর বিজ্ঞানপন্থী মুসলিম দাবিদার ভাইবোনদেরকে বিব্রত অথবা লজ্জিত করবে। জ্ঞান ও অপবিজ্ঞান(pseudo science) এর মধ্যে পার্থক্য আরো স্পষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ। উপরে যেসব দলিল প্রমান এবং ইতিহাসকেন্দ্রিক তথ্য প্রমান আনা হয়েছে, সেসব দ্ব্যর্থহীন এবং অখণ্ডনীয়। আমি আগের পর্বগুলোতে তর্ককারীদের যেমন কোন রেস্পন্স পাইনি তেমনি এবারো পাব বলে আশা করি না। আগেরবারের ন্যায় বলবো উপরে আনিত কিছু রেফারেন্স, লিংকের কন্টেন্ট অনেক সেন্সেটিভ যা বিদ্যমান দুর্বল আকিদা চিন্তাকে পাল্টে কুফরের দিকে চালিত করতে পারে। তাই এসব ভালকরে বুঝতে চাওয়া থেকে সাবধান করছি, মনে রাখবেন আরবের প্রথমে যাদের হাতে এই নিষিদ্ধ শাস্ত্র পৌছায়, তারা সেসব স্রেফ কৌতূহলে পড়ে পথভ্রষ্ট হয়ে যায়।

Friday, April 27, 2018

৩.বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?

বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?
The Occult Origins of Mainstream physics and Astronomy:[পর্বঃ৩]



    আজ ৩য় পর্বেও আমরা পূর্বের ন্যায় আংশিকভাবে প্যাগান ধর্ম/সংগঠন নিয়ে আলোচনা করব ও ধীরে ধীরে "বৈজ্ঞানিক" অরিজিনের শেকড়ে ফিরব, সেই সাথে Global Scientific illumination এর মহান পথিকৃৎদের নিয়ে আলোচনা করব। ইনশাআল্লাহ।

Eastern Occult Tradition:
Occult philosophy গুলোতে সবচেয়ে এডভ্যান্স হচ্ছে Eastern occultism বা Eastern Mysticism। গ্লোবাল প্যাগান রিভাইভালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পূর্বাঞ্চলীয় আধ্যাত্মবাদ। বলা যায়, পশ্চিমা প্যাগানিজমের চালিকাশক্তিই এই পূর্বাঞ্চলীয় মিস্টিসিজম। খোদ আমেরিকায় ইস্টার্ন অকাল্টিজমের প্রভাব লক্ষ্য করবার মত। আমেরিকায় সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় সুবিস্তীর্ণ অঞ্চলকে ভারতবর্ষ থেকে আগত বহু সাধু-গুরুজীদের জন্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের গুপ্তদর্শন প্রচারের জন্য। জাতিসংঘ এবং মার্কিন সরকারের নিবিড় পৃষ্ঠপোষকতায় আজ আমেরিকার প্রতি চার জনে একজন নাগরিক ভারতীয় অকাল্ট স্পিরিচুয়ালিস্টিক ওয়ার্ল্ডভিউ লালন করে। সেখানকার স্কুল কলেজে বাধ্যতামূলক ইয়োগা শিক্ষাও চালু করেছিল সরকার। বর্তমানে ব্যাঙের ছাতার মত আমেরিকার এখানে সেখানে মেডিটেশন-ইয়োগা ট্রেনিং সেন্টার গড়ে উঠেছে।

ক্যাথলিক খ্রিষ্টানরা সবচেয়ে বেশি ইস্টার্ন স্পিরিচুয়ালিজমের ফাদে পড়েছে। টেলিভিশন প্রোগ্রামে তো করছেই, এমনকি হলিউডের ক্যারেক্টারদের দ্বারাও প্রোমোট করা হচ্ছে। আমি অবাক হয়েছিলাম 'ডেথ রেস থ্রি' এর হিরো Luke Goss এর পিঠে 'Om' সিম্বল দেখে।

এটা বর্তমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটা ট্রেন্ড। কেউ হাতে, কেউ বুকে, কেউবা পিঠে এরকম ইস্টার্ন Esoteric symbol এর উল্কি/ট্যাটো করে থাকে। ইস্টার্ন মিস্টিসিজম বলতে মেইনস্ট্রিম বৌদ্ধ,হিন্দু,জৈন,বৈষ্ণবদের বোঝায়। আমরা যখনই সর্বেশ্বরবাদ(monism) ও পুনঃজন্মবাদের আকিদার কথা শুনি তখন প্রথমেই মনে হিন্দুবৌদ্ধদের কথা চলে আসে। অথচ এটা শুধু তাদের একার বিশ্বাসই না, বরং পৃথিবীর সকল প্রান্তের সকল প্যাগানদের এবং সকল গুপ্তজ্ঞানবাদী দার্শনিকদের মধ্যে অভিন্নভাবে বিদ্যমান। সেজন্য পূর্বাঞ্চলীয় কুফরি মতাদর্শগুলোকে সাধারন ধর্মের কাতারে রাখা ভুল।

এগুলো মূলত Ancient Indian philosophical school of thought! এদের যারা বৈদিক ডোমিনিয়ন মানে তাদেরকে আস্তিক বলে আর যারা বেদকে মূল হিসেবে মানে না তাদেরকে নাস্তিক স্কুল অব থট বলা হয়। বৌদ্ধ,জৈন মতবাদ 'নাস্তিক' শাখাভুক্ত। উভয়ের মাঝেই অকাল্ট ট্রেডিশন হিসেবে 'তন্ত্র'কে মান্য করা হয়।'তন্ত্র' ইস্টার্ন মিস্টিসিজম বা অকাল্ট ফিলোসফির প্রধান পথ। আপনারা জানেন তান্ত্রিকরা যাদুবিদ্যায় সিদ্ধহস্ত। অনেক হিন্দু তন্ত্রকে দূরে ঠেলে দিতে চায় কিন্তু ভারতের সব মতবাদই আসলে একে অপরের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে।কেউ তান্ত্রিক ট্রেডিশন বাদ দিয়ে ষড়চক্রের উন্নয়ন সাধনায় সিদ্ধিলাভ করতে পারবে না কেননা সেটা তন্ত্র থেকেই এসেছে।

বেদ প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞান বিজ্ঞান ও দর্শনের মূল শাস্ত্র। বেদ লেখা হত কথিত মূনীঋষিদের দ্বারা। তারা ধ্যানের মাধ্যমে Altered State of Consciousness এ গিয়ে উচ্চতর ডাইমেনশনে থাকা স্পিরিচুয়াল স্বত্ত্বাদের থেকে অনেক জ্ঞান আহরন করতেন। পরবর্তীতে সেগুলো কিতাবে লিপিবদ্ধ করা হয় (স্মৃতি/শ্রুতি ভাগে) পবিত্রশাস্ত্র হিসেবে।
"The Veda, for orthodox Indian theologians, are considered revelations seen by ancient sages after intense meditation, and texts that have been more carefully preserved since ancient times."(Wikipedia)

তাছাড়া লেফট হ্যান্ড পাথের (বামপন্থার) সাথেও ইস্টার্ন মিস্টিসিজমের সুদৃঢ় সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে এথিস্টিক স্যাটানিজম এবং অকাল্ট এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন সেক্ট অব দ্য হর্ন গডের প্রধান Thomas LeRoy বলেন, হিন্দুধর্ম বামপন্থার একটি অন্যতম পথ। শিবকেও তিনি গ্লোরিফাই করেন একটি ভিডিওতে। তার পেজ লিংকঃ m.facebook.com/TheSectOfTheHornedGod

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Left-hand_path_and_right-hand_path

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Vedanta

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Āstika_and_nāstika

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Śramaṇa

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Veda

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Tantra

বেদকে সর্বাধিক প্রাচীন গ্রন্থ গুলোর একটি হিসেবে ধরা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব সর্বোচ্চ ১৭০০ বছর আগে বেদ লিপিবদ্ধ হয়। হিন্দুত্ববাদীদের একটা ভ্রান্ত অহমিকা হচ্ছে নিজেদেরকে সবচেয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী বলে দাবি। এটা সত্য যে ওদের প্যাগান মতাদর্শ সর্বাধিক সময় ধরে একই ভাবে টিকে আছে, তাই বলে এই নয় যে সেটাই সবচেয়ে প্রাচীন 'ধর্ম'। নতুবা, হরপ্পার প্রাচীন সভ্যতার সময় হিন্দুত্ববাদ কোথায় ছিল(?)! আগেই উল্লেখ করেছি ইন্ডিয়ান ফিলোসফি কোন রিলিজিয়াস ট্রেডিশন না।বরং ইস্টার্ন অকাল্ট ফিলোসফিক্যাল ট্রেডিশন। সুতরাং ওদের জন্য এটা দাবি করা যৌক্তিক যে, ইন্ডিয়ান অকাল্টিজমই(কুফর) সর্বপ্রাচীনতম occult বা কুফরের মূল।

এজন্যই, আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) বলেন যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের নিকট ইয়ামানের লোকেরা উপস্থিত হয়েছে। তারা নম্রচিত্ত ও কোমল হৃদয়ের অধিকারী। ঈমান ইয়ামানীদের মধ্যে এবং হিকমাত ইয়ামানীদের। আর কুফরের উৎস হচ্ছে পূর্ব দিকে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কুফরীর মূল পূর্বদিকে, গর্ব এবং অহংকার ঘোড়া এবং উটের মালিকদের মধ্যে এবং বেদুইনদের মধ্যে যারা তাদের উটের পাল নিয়ে ব্যস্ত থাকে, আর শান্তি বকরির পালের মালিকদের মধ্যে।’ (৩৪৯৯, ৪৩৮৮, ৪৩৮৯, ৪৩৯০) (মুসলিম ১/২১ হাঃ ৫২, আহমাদ ৯৪১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

কাফেরদের মহান নেতা দাজ্জালেরও পূর্বদিকে থাকাই অধিকতর যুক্তিযুক্ত।

......রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ "তামীমদারীর বর্ণনাটি আমাকে বিমোহিত করেছে। যেহেতু তা সামঞ্জস্যপূর্ণ আমার ঐ বর্ণনার, যা আমি তোমাদেরকে দাজ্জাল, মাদীনা ও মক্কা সম্পর্কে ইতিপূর্বে বলেছি। তিনি আরো বললেন, সিরিয়া সাগরে অথবা ইয়ামান সাগরে বরং পূর্বদিকে রয়েছে, পূর্বদিকে রয়েছে, পূর্বদিকে রয়েছে। এসময় তিনি তার হাত দ্বারা পূর্ব দিকে ইশারাও করলেন। বর্ণনাকারী ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) বলেন, এ হাদীস আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুখস্থ করেছি।"(সহীহ মুসলিম)

বেদের মূল জ্ঞানের অংশ উপনিষদ।
উপনিষদেই আধ্যাত্মবাদের মূল আলোচনা করা হয়েছে।বেদের মূল প্রানকেন্দ্র উপনিষদ। তান্ত্রিক এসোটেরিক ট্রেডিশন থেকে এসেছে ষড়চক্র ও দেহতত্ত্ববাদী নানা সাধনা রিচুয়াল। সেসবের উপর ভিত্তি করেই ধ্যান-ইয়োগা(যোগসাধনা) করা হয়। আপনারা অবগত যে প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষ যাদুবিদ্যার জ্ঞানের জন্য বিখ্যাত। যারাই যাদুবিদ্যা,গুপ্তজ্ঞানের খোজে ছুটেছেন তারা ভারতে একবার হলেও এসেছেন। আধুনিক ওয়েস্টার্ন এসোটেরিক পাথের এক জননী ম্যাডাম এইচ.পি ব্লাভাস্তস্কি ভারত ও তিব্বতের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরেছেন এবং অনেক যাদুকর তান্ত্রিকদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন, এরপরে তিনি নিজেই থিওসফিক্যাল সোসাইটি গঠন করেন।

গোটা বৈদিক শাস্ত্র যাদুবিদ্যা/ spell casting এর শিক্ষা দেয়। দেখুনঃ

http://astrologyfutureeye.com/mantra-108

http://www.vedanta-occult-spells.com/karma-in-hinduism.html

http://www.vedanta-occult-spells.com/spell-caster.html

http://www.vedanta-occult-spells.com

https://baalkadmon.com/portfolio-item/vedic-magick/

https://vicdicara.wordpress.com/2017/01/24/magic-spells-from-atharva-veda/

মন্ত্র বা Spell casting খুবই সাধারণ একটা ব্যপার এই পূর্বাঞ্চলের প্যাগান 'ধর্মচক্রে'।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Mantra

"Mantras come in many forms, including ṛc (verses from the Rigveda for example) and sāman (musical chants from the Sāmaveda for example).[3][7] They are typically melodic, mathematically structured meters, believed to be resonant with numinous qualities. At its simplest, the word ॐ (Aum, Om) serves as a mantra. In more sophisticated forms, mantras are melodic phrases with spiritual interpretations such as a human longing for truth, reality, light, immortality, peace, love, knowledge, and action.[3][12] Some mantras have no literal meaning, yet are musically uplifting and spiritually meaningful."(Wikipedia)

আগেই আপনাদেরকে বলেছিলাম মিস্টিকদের কথিত রিয়েলিটি=ইল্যুশন বা মায়া তত্ত্ব সর্বপ্রথম এসেছে এই ইন্ডিয়ান প্যাগানিজম থেকে।
বৌদ্ধ ও হিন্দুদের কিছু গ্রন্থে এর ব্যপারে উল্লেখ আছে।

বিস্তারিত দেখুনঃ https://en.m.wikipedia.org/wiki/Maya_(illusion)

Monier William এর মতে মায়া হলো- "wisdom and extraordinary power" in an earlier older language, but from the Vedic period onwards, the word came to mean "illusion, unreality, deception, fraud, trick, sorcery, witchcraft and magic".(Wikipedia)

ইস্টার্ন অকাল্ট বিলিফ সিস্টেম আমাদের ফ্রিকোয়েন্সি ও ভাইব্রেশনের দ্বারা প্রকৃতির গঠনের কথা বলে, যে বিশ্বাস সকল মিস্টিকদের মধ্যে বিদ্যমান।। "Creation consists of vibrations at various frequencies and amplitudes giving rise to the phenomena of the world."(Wikipedia)

এস্ট্রলজি বা জ্যোতিষশাস্ত্র যা ইসলামী শারী'আ যাদু বিদ্যার একটি শাখা হিসেবে সাব্যস্ত করে সেটাও পূর্বাঞ্চলের অকাল্টিজমের মৌলিক বিষয়। "The foundation of Hindu astrology is the notion of bandhu of the Vedas, (scriptures), which is the connection between the microcosm and the macrocosm."
(উইকিপিডিয়া)

"Jyotiṣa is one of the Vedāṅga, the six auxiliary disciplines used to support Vedic rituals."(উইকিপিডিয়া)

"The Vedāṅga Jyotiṣa, or Jyotiṣavedāṅga (Devanagari वेदाङ्ग ज्योतिष) is one of earliest known Indian texts on astronomy and astrology (Jyotisha).[1] The present form of the text is dated to the 700 BCE to final centuries BCE, but it is based on a tradition reaching back to about 1400 BCE."
(উইকিপিডিয়া)

বিস্তারিতঃ
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Vedanga
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Vedanga_Jyotisha

অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে যাদুবিদ্যার শাখাভুক্ত জ্যোতিষশাস্ত্র পূর্বাঞ্চলীয় 'আস্তিক ট্রেডিশনে'রই অবিচ্ছেদ্য বিষয়। তাহলে 'নাস্তিক দর্শনের' অন্তর্ভুক্ত বৌদ্ধ/জৈন/ Cārvāka/ Ājīvika গুলোর কি অবস্থা!/? আপনারা জানেন বৌদ্ধমত সবচেয়ে বেশি স্পিরিচুয়াল। এদের মধ্যে যোগসাধনা,যাদু-তন্ত্র-মন্ত্র, আধ্যাত্মিক এনলাইটমেন্টের মনোযোগ বেশি। আপনারা ভাল করেই জানেন বৌদ্ধদের কালচক্রতন্ত্রে কি উল্লেখ আছে।
জ্যোতিষশাস্ত্রের ব্যপারে আল্লাহর রাসূল(সা) কি বলেন?

ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন, ﻣَﻦِ ﺍﻗْﺘَﺒَﺲَ ﻋِﻠْﻤًﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨُّﺠُﻮﻡِ ﺍﻗْﺘَﺒَﺲَ ﺷُﻌْﺒَﺔً ﻣِﻦَ ﺍﻟﺴِّﺤْﺮِ ...
‘যে ব্যক্তি জ্যোতির্বিদ্যা থেকে কিছু অংশ শিখল সে মূলতঃ যাদুবিদ্যারই কিছু অংশ শিখল। এ (জ্যোতির্বিদ্যা) যত বাড়বে যাদুবিদ্যাও তত বাড়বে’।(আবূদাঊদ হা/৩৯০৭; ইবনু মাজাহ হা/৩৮৫৮, সনদ হাসান)

কুফরের মূল কেন্দ্র পূর্বাঞ্চলের প্রাচীন এস্ট্রোনোমিকাল আইডিয়া এতটাই ইনফ্লুয়েন্সিয়াল ছিল যে তা গ্রীস পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিল। যাদুবিদ্যা ও অন্যান্য নিষিদ্ধ জ্ঞানের অন্যতম চর্চাকেন্দ্র গ্রীসেও ভারতবর্ষের অপবিদ্যা প্রভাবিত করে।
"Indian astronomy also influenced Greek astronomy beginning in the 4th century BCE[6][7][8] and through the early centuries of the Common Era, for example by the Yavanajataka[6] and the Romaka Siddhanta, a Sanskrit translation of a Greek text disseminated from the 2nd century"(Wikipedia)

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Indian_astronomy
ভারতীয়দের বিশ্বাস তারা প্রাচীনকাল থেকেই ওদের ধর্মীয়শাস্ত্র থেকে জানতো যে পৃথিবী বর্তুলাকার। তবে একদম বলের ন্যায় গোলাকার নয়। স্ফেরিক্যাল আকৃতির জন্য সবচেয়ে বড় প্রমান সংস্কৃত "ভূগোল" শব্দটি।
দেখুনঃ
https://hinduism.stackexchange.com/questions/12365/what-is-the-shape-of-earth-according-to-hindu-scriptures

শুধু গ্রীসেই নয় ইউরোপেও জেসুইট মিশোনারীর সহযোগীতায় ভারতীয় আকাশবিদ্যা পৌছে যায়।
জেসুইট মিশোনারীদের নিয়ে সামনে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।

"Some scholars have suggested that knowledge of the results of the Kerala school of astronomy and mathematics may have been transmitted to Europe through the trade route from Kerala by traders and Jesuit missionaries.[51] Kerala was in continuous contact with China, Arabia and Europe".
(উইকিপিডিয়া)

সবচেয়ে অবাক করে হিন্দুশাস্ত্রে সর্বপ্রথম 'পরমানুর' ব্যাপারে সংজ্ঞা। যার উপর গোটা পদার্থবিদ্যা দাঁড়িয়ে আছে সেটার ব্যপারে সর্বপ্রথম বর্ননা পাওয়া যায়:
caramaH sad-visheShANAm aneko .asaMyutaH sadA |
paramANuH sa viGYeyo nR^iNAm aikya bhramo yataH || 3.11.1

The material manifestation’s ultimate particle, which is indivisible and not formed into a body, is called the atom. It exists always as an invisible identity, even after the dissolution of all forms. The material body is but a combination of such atoms, but it is misunderstood by the common man.

sata eva padArthasya svarUpAvasthitasya yat |
kaivalyaM parama-mahAn avisheSho nirantaraH | |3.11.2

Atoms are the ultimate state of the manifest universe. When they stay in their own forms without forming different bodies, they are called the unlimited oneness. There are certainly different bodies in physical forms, but the atoms themselves form the complete manifestation.
The Parama-Mahan is still more subtler than Paramanu.
The Parama Mahan is unique, has no difference, no spacing and leaves behind nothing.
However, majority of Hydrogen atoms have only electrons and protons, but no neutrons.

evaM kAlo .apy anumitaH saukShmye sthaulye ca sattama |
saMsthAna-bhuktyA bhagavAn avyakto vyakta-bhug vibhuH || 3.11.3

In the same way time also has its discrete divisions, which comprise its gross form and this can be measured by the movement and combination of particles; viShNu is that which is unmanifest, existing in movement and in potential.

sa kAlaH paramANur vai yo bhu~nkte paramANutAm |
sato .avisheSha-bhug yas tu sa kAlaH paramo mahAn || 3.11.4

Those discrete units of time, which are verily further indivisible, correspond to the time required by a paramANu to cover the space equivalent to a paramANu; this is verily the primal, supreme time.

aNur dvau paramANU syAt trasareNus trayaH smRtaH |
jAlArka-rashmy-avagataH kham evAnupatan agAt || 3.11.5

Two paramANus are combine to form an aNu, and 3 combine to form a trasareNu; the rays of light emerging from a mesh can make these [trasareNus] move up in empty space.
[ভগবত পুরান]

ব্যাখ্যা-
Bhagavata states that the Paramanus never join each other, only by coming close together they produce an illusion of a solid matter, which has specific properties. It is now accepted by the science that an atom of an element has some specific properties but its Subatomic particles have no such properties.

Its is now proved by the science that the subatomic particles are not really joined to each other, they are far away from each other. Proton of an atom is at a distance of 40,000 [forty thousand] times the diameter of it from its Electron.
Bhagavata Purana has correlated the matter with the time, just like the space-time continuam of the modern science. Time is unmanifested (Avyakta), but it enjoys the manifest world (Vyaktabhuk). It comes into existence in a special way, so it is called as ‘ Vibhu’. The finest unit of time is named as Paramanu, which equals to a millionth of a second. To be precise, a Paramanu of time is 0.000032 seconds, according to the Bhagavata.

The theory of the Paramanus proposed by the Bhagavata is now accepted by the modern science, but the ‘Parama Mahan’ is not yet accepted by the science. A Paramanu keeps behind some ‘ thing ’, if broken ; but the Parama Mahan will not keep any ‘thing ’ behind, except itself. That Unique thing is called as ‘ Kaivalya’ ( nirvana/salvation/moksha ), which is the unique, ultimate Reality.
Vishnu Sahasranama (written in the Shanti Parva of the Mahabharata) gives the meaning of Vishnu as : Veveshti Vyaapnoti iti Vishnuh – That which pervades everywhere is Vishnu.
It is known that atoms don’t exist independently and they exist as molecules, which are spread everywhere to make up the matter appear in different shapes and forms.

Siva is described in Tantra books as the one who is in Anu-Poorva sthiti (pre-atomic stage).
In pre-atomic stage, an unstable atom has an excess electron or proton and this means, Siva exists in the form of atomic energy which flows, and these atoms makeup molecules, which ultimately appears like matter.
This clearly explains the line ‘Sivaya Vishnu Roopaya, Siva Roopaya Vishnave | Sivascha hridayam Vishnor, Vishnascha hridayam Sivaha ||’
Ancient literature like Lakshmi Tantra also suggests that Paramatma , the Supersoul in the heart of everyone through whom all Avatars come to material universe, is lying on that Milk ocean (Milky Way/Galaxy). So Paramatma is in every atom and heart of all souls in 8400000 kinds(species) of material bodies, with two souls in each heart called jivaatma and Paramatma

তথ্যসূত্রঃ
https://www.booksfact.com/puranas/atomic-molecular-knowledge-in-bhagavata-purana.html

ভগবত পুরানকে মাঝেমধ্যে 'পঞ্চম বেদ' বলেও অভিহিত করা হয়।
"The Bhagavata is widely recognized as the best-known and most influential of the Puranas and, along with the Itihasa and other puranas, is sometimes referred to as the "Fifth Veda".(উইকিপিডিয়া)

Kaṇāda Kashyapa এর প্রবর্তিত একটি বৈদিক ফিলোসফি Vaisheshika। এতে এটমিক কন্সেপ্টকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়েছে।

"Vaisheshika school is known for its insights in naturalism,[4][5] it is a form of atomism in natural philosophy.[6] It postulated that all objects in the physical universe are reducible to paramāṇu (atoms), and one's experiences are derived from the interplay of substance (a function of atoms, their number and their spatial arrangements), quality, activity, commonness, particularity and inherence."

"According to the Vaiśeṣika school, the trasareṇu are the smallest mahat (perceivable) particles and defined as tryaṇukas (triads). These are made of three parts, each of which are defined as dvyaṇuka (dyad). The dvyaṇukas are conceived as made of two parts, each of which are defined as paramāṇu (atom). The paramāṇus (atoms) are indivisible and eternal, they can neither be created nor destroyed.[31] Each paramāṇu (atom) possesses its own distinct viśeṣa (individuality)."
The measure of the partless atoms is known as parimaṇḍala parimāṇa. It is eternal and it cannot generate the measure of any other substance. Its measure is its own absolutely.

যাদুবিদ্যার ক্লাসিক্যাল ইলিমেন্টস(পানি বায়ু পৃথিবী আগুন) এই এটমিক দর্শন espouse করে।
"Vaisheshika espouses a form of atomism, that the reality is composed of four substances (earth, water, air, fire). Each of these four are of two types, explains Ganeri,[6]atomic (paramāṇu) and composite. An atom is that which is indestructible (anitya), indivisible, and has a special kind of dimension, called “small” (aṇu). A composite is that which is divisible into atoms. Whatever human beings perceive is composite, and even the smallest perceptible thing, namely, a fleck of dust, has parts, which are therefore invisible.[6]

 The Vaiśeṣikas visualized the smallest composite thing as a “triad” (tryaṇuka) with three parts, each part with a “dyad” (dyaṇuka). Vaiśeṣikas believed that a dyad has two parts, each of which is an atom. Size, form, truths and everything that human beings experience as a whole is a function of atoms, their number and their spatial arrangements.
Vaisheshika postulated that what one experiences is derived from dravya (substance: a function of atoms, their number and their spatial arrangements), guna (quality), karma (activity), samanya (commonness), vishesha (particularity) and samavaya (inherence, inseparable connectedness of everything)."

তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Vaisheshika

সুতরাং হয়ত অবাক হচ্ছেন আজকের এডভ্যান্স অনু-পরমানুবিদ্যা ৩১০০BCE তে লেখা(ভগবত পুরান) পূর্বাঞ্চলীয় প্যাগানধর্মীয় গ্রন্থ ও দর্শনশাস্ত্রে দেখে। এ কথাও স্পষ্ট হচ্ছে সর্বেশ্বরবাদী ভারতীয় কথিত ধর্ম গুলো যেসব দেব-দেবতার পূজা করে সেসব মূলত প্রকৃতির মৌলিক বিল্ডিং ব্লকেরই পার্সোনিফিকেশন। এজন্য ভগবত পুরানে উপরে বর্নিত বিষ্ণু সর্বত্র বিরাজমান, অনুপ্রভাস্থিতিকে(প্রি এটোমিক স্টেজ)শিব,পরমআত্মা লক্ষ্মী। সুতরাং এটা শক্তিশালী মনিস্টিক ফিলোসফি। মূর্খ হিন্দুরা প্রকৃতির নিগূঢ় অবস্থাকেই দেব দেবীদের বিচিত্র আকার বানিয়ে পূজা করছে। আর জ্ঞানীর মত বৌদ্ধরা কস্মিক ধর্মের স্বাদ আস্বাদন করছে যোগসাধনায় সিদ্ধির দ্বারা। এদের কেউ স্বামী বিবেকান্দ হয়, কেউ হয় যিদ্দুকৃষ্ণমূর্তি কেউবা হয় রজনীশ। ওরা Oneness এর সাথে একাকার হবার জন্য সাধনা করে যায়! এজন্য ওরা আগেই জানে যে এই পৃথিবীর বস্তুর সলিডনেস শুধুই মরীচিকা।

 পরমানুই রিয়েলিটিতে কঠিন অথবা সুক্ষ্ম বস্তুর ইল্যুশন তৈরি করে। এই পূর্বদিকের গুপ্তজ্ঞানের উপর দাঁড়িয়ে শিক্ষিত যাদুকর-অকাল্টিস্টরা বলে রিয়েলিটি হচ্ছে মায়া বা ইল্যুশন,কনসাসনেসের কথা বলে, ফ্রিকোয়েন্সি, ভাইব্রেশন ও এনার্জির কথা বলে,বলে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা, বলে -কি করে ব্যক্তি নিজেই রিয়েলিটি ম্যানিপুলেট করতে পারে তার ইচ্ছা ও কল্পনা এবং চিন্তার দ্বারা(ল অব এট্রাকশন),বলে পর্যবেক্ষকের উপরই রিয়েলিটি(পরিবর্তন) নির্ভর করে।। আমরা দেখছি, পারমানবিক বিদ্যার প্রথম শেকড় পাওয়া যায় এই ইস্টার্ন অকাল্ট মিস্টিসিজমে।বস্তুত, এই বিদ্যা এক মহা-অন্ধকার পথের, যাকে আজ মানুষ মূর্খতা অথবা কুফরির দরুন মহাআলোর(জ্ঞান-বিজ্ঞানের) পথ মনে করে। সুপ্রাচীন কুফরি যাদুবিদ্যার জ্ঞান ভান্ডারে বর্নিত প্রকৃতির সৃষ্টি রহস্যের বর্ননাই আজকের প্রতিষ্ঠিত স্বতঃসিদ্ধ ফিজিক্স!!

কখনো কি ভেবেছেন, কেন পার্টিকেল ফিজিক্স রিসার্চ ল্যাব - CERN এর সামনেই শিবমূর্তি(উপরের ছবিতে)বসানো?!
[সার্নের ব্যপারে যারা মোটেই জানেন না তাদেরকে বলি, সার্ন হচ্ছে ইউরোপীয় পরমানু গবেষনা ল্যাবরেটরি। এটাই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পার্টিকেল ফিজিক্সের গবেষনা ল্যাব। ২২ টি দেশ সংযুক্ত এবং মজার বিষয় হচ্ছে ইজরাইল অ-ইউরোপিয়ান দেশ হলেও পূর্ন মেম্বারশিপ পায়। জাতিসংঘও এর সাথে যুক্ত আছে। (তথ্যসূত্রঃউইকিপিডিয়া)
বিস্তারিতঃ https://en.m.wikipedia.org/wiki/CERN ]

এজন্যই দার্শনিক, লেখক ও ইতিহাসবেত্তা ভলটেয়ার ইস্টার্ন অকাল্টিজমের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কিতাব 'বেদের' ব্যপারে বলেন,"The Veda was the most precious gift for which the West had ever been indebted to the East."(Wikipedia)

এখানেই শেষ নয়, বেদ-উপনিষদের স্তুতিগান আমরা সামনের আলোচনায় আরো বড় বড় মুখ থেকে দেখতে পাবো ।
....................................................[চলবে ইনশাআল্লাহ ]