পর্ব-৭
-আসমান ও পৃথিবী স্থির-
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আসমান ও জমিনকে স্থির করেছেন। উর্দ্ধলোকের গম্বুজাকৃতির সুবিশাল এই ছাদকে যেমনি আল্লাহ স্থির রেখেছেন ,তেমনিভাবে সমতলে বিছানো এই পৃথিবীকেও স্থির করেছেন। বাস্তবিকপক্ষেও আসমান জমিন স্থির। এখন পর্যন্ত পৃথিবীর গতি কোন পরীক্ষণেই প্রমাণিত নয়। এ পর্যন্ত চারটি পরীক্ষনের[Michelson-Morely experiment, Michelson-Gale experiment, Airy's failure, The Sagnac experiment] প্রতিটির ফলাফলই স্থির-নিশ্চল পৃথিবীর অনূকুলে। আমরা কেউ সামান্যতম গতি বা ঘূর্নন কোন কিছুই অনুভব করিনা।
মহান আল্লাহ কুরআনে স্থির আসমান ও জমিনের কথা সুস্পষ্টভাবে বলেনঃ
إِنَّ اللَّهَ يُمْسِكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ أَن تَزُولَا وَلَئِن زَالَتَا إِنْ أَمْسَكَهُمَا مِنْ أَحَدٍ مِّن بَعْدِهِ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا
"নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? তিনি সহনশীল, ক্ষমাশীল।"[৩৫:৪১ ]
এবার আসুন দেখা যাক উল্লিখিত আয়াতের ব্যপারে ইবনে কাসীর রহিমাহুল্লাহ কি বলেছেনঃ
উপরিউক্ত ছবিতে স্পষ্ট দেখছেন ইবনে কাসীর (র) দুনিয়ার নিশ্চলতা ও স্থবিরতা জোড় দিয়ে বলেছেন। আকাশকে দুনিয়ার উপর পতন রোধের কথা বলে স্পষ্ট করেছেন জিওস্টেশনারী ফ্লাট এনক্লোজড পৃথিবীকে এবং সলিড ছাদ স্বরূপ আকাশকে অর্থাৎ আল্লাহই আসমানকে সমতল যমীনের উপর পতন হওয়া থেকে রক্ষা করছেন। একইভাবে দুনিয়াকেও স্থির ও নিশ্চল করে রেখেছেন।
সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যপারে আল্লাহর দেওয়া বর্ননার অপব্যাখ্যাকারীদের একদল এ আয়াত সম্পর্কে বলে, এখানে আসমান যমীনের স্থবিরতা বোঝানো হয়নি। তারা পক্ষীকুলকে আসমানে স্থির রাখার আয়াতটির দলিল দেয়। যেখানে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেনঃ
أَلَمْ يَرَوْاْ إِلَى الطَّيْرِ مُسَخَّرَاتٍ فِي جَوِّ السَّمَاء مَا يُمْسِكُهُنَّ إِلاَّ اللّهُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
তারা কি উড়ন্ত পাখীকে দেখে না? এগুলো আকাশের অন্তরীক্ষে আজ্ঞাধীন রয়েছে। আল্লাহ ছাড়া কেউ এগুলোকে আগলে রাখে না। নিশ্চয় এতে বিশ্বাসীদের জন্যে নিদর্শনবলী রয়েছে[আন নাহলঃ৭৯]
যেমনটা স্ক্রিনশটে দেখতে পাচ্ছেনঃ
বস্তুত, এরা নিজেদের আকলকে নসের উপরে প্রাধান্য দেয়। নিজেদের ক্ষুদ্র ইল্ম কে সাহাবীদের Understanding কে অতিক্রম করার চেষ্টা করে। ওরা বলতে চায় এর দ্বারা স্থবিরতা/নিশ্চলতা বোঝানো হয়নি।অথচ আলোচ্য আয়াতটিকে [৩৫:৪১] সাহাবীগন(রাঃ) ঘূর্নন বা আবর্তনকে খন্ডন করতে ব্যবহার করেছেন[সুবহানআল্লাহ]। হাদিসটি নিন্মরূপঃ
ইংরেজিঃ
There has been recorded a statement/saying of k'ab in the presense [sic] of syedna Abdullah bin Masood, the man who keeps the secrets of messenger of Allah (pbuh) and syedna Huzaifa bin Alyaman (r.a.). This statement of K'ab is "The heaven revolves". However, both Syedna Abdullah bin Masood (r.a.) and syedna Huzaifa bin Alyaman (r.a.) said agreeably that "K'ab said incorrect, and undoubtedly Allah has withheld the heaven and the earth least they move. And Abdullah Bin Masood (r.a.) supporting this statement added that Allah's commandment is enough for us, and they (Heavens & Earth) do not move. This statement has been narrated by Saeed bin Mansoor (r.a.) and Abd bin Hameed son of Jareer, son of Almanzer (r.a.) and they narrated it with reference of Hafiz bin Abd ibne Hameed (r.a.).[Fiq-hus- Sahaba Baad-Al- Khulfa-e-Alarba]
সুতরাং, একটি সুস্পষ্ট সহীহ হাদিস দেখছেন যেটা আকাশের ব্যপারে পরিষ্কার ধারনা দিয়েছে। এ আয়াতকে ঘূর্নাবর্তনকে খন্ডন করতে শুধু সাহাবী(রাঃ) একাই করেননি বরং ইমাম মালিক(রহঃ) পর্যন্ত করেছেন। আমরাও আসমান ও পৃথিবীর ঘূর্নাবর্তনের ধারনাকে খন্ডন করতে সাহাবীদের(রাঃ) অনুসরনে এ আয়াতকে দলিল হিসেবে ব্যবহার করি। এ আয়াতে আসমানের পাশাপাশি আল্লাহ পৃথিবীকে স্থির রাখার কথাও বলেন। এতে প্রমান হয় আসমান ও যমীন উভয়ই স্থির ও নিশ্চল। এটাই সাহাবীদের(রাঃ) বিশুদ্ধ আকিদা বা বিশ্বাস। হযরত উমার (রাঃ) যখন কোন কিছুকে বিশ্বাস করানোর জন্য কসম করতেন তখন বলতেন, "সেই মহান সত্ত্বার শপথ দিয়ে বলছি যার আদেশে আকাশ ও পৃথিবী স্থির রয়েছে"
উপরে এক অপব্যাখ্যাকারীর স্ক্রিনশটে দেখছেন, সূরা ইয়াসিনের ৪০ নম্বর আয়াতকে যমীনের ঘূর্নন-আবর্তনের দলিল বানিয়ে নিয়েছে যা শুধু অপব্যাখ্যাই না বরং সুস্পষ্ট মিথ্যাচার। এ নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে, সামনেও আসছে।
আল্লাহ আযযা ওয়াজাল এই গম্বুজাকৃতির আসমানকে যমিনের উপর স্থিরভাবে রেখেছেন,যেরূপে পৃথিবীকেও স্থির ও নিশ্চল করেছেন।
আল্লাহ বলেনঃ
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ سَخَّرَ لَكُم مَّا فِي الْأَرْضِ وَالْفُلْكَ تَجْرِي فِي الْبَحْرِ بِأَمْرِهِ وَيُمْسِكُ السَّمَاء أَن تَقَعَ عَلَى الْأَرْضِ إِلَّا بِإِذْنِهِ إِنَّ اللَّهَ بِالنَّاسِ لَرَؤُوفٌ رَّحِيمٌ
তুমি কি দেখ না যে, ভূপৃষ্টে যা আছে এবং সমুদ্রে চলমান নৌকা তৎসমুদয়কে আল্লাহ নিজ আদেশে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন এবং তিনি আকাশ স্থির রাখেন, যাতে তাঁর আদেশ ব্যতীত ভূপৃষ্টে পতিত না হয়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি করুণাশীল, দয়াবান[আল হাজ্জ্বঃ৬৫]
আল্লাহ বলেনঃ
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা অন্যত্র বলেনঃ
اللَّهُ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ قَرَارًا وَالسَّمَاءَ بِنَاءً وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْ وَرَزَقَكُم مِّنَ الطَّيِّبَاتِ ذَٰلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ فَتَبَارَكَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ
আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে স্থিতিশীল করেছেন এবং আসমানকে করেছেন ছাদ। আর তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দিয়েছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতিকে সুন্দর করেছেন এবং তিনি পবিত্র বস্তু থেকে তোমাদেরকে রিয্ক দান করেছেন। তিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। সুতরাং সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ কত বরকতময়;[৪০:৬৪]
এখানে ব্যবহৃত قَرَارًا শব্দের অর্থ স্থির/স্থিতিশীল /দৃঢ়/অনঢ়/বসবাসযোগ্য/stable/firm abode।
"নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? তিনি সহনশীল, ক্ষমাশীল।"[৩৫:৪১
এবার আসুন দেখা যাক উল্লিখিত আয়াতের ব্যপারে ইবনে কাসীর রহিমাহুল্লাহ কি বলেছেনঃ
উপরিউক্ত ছবিতে স্পষ্ট দেখছেন ইবনে কাসীর (র) দুনিয়ার নিশ্চলতা ও স্থবিরতা জোড় দিয়ে বলেছেন। আকাশকে দুনিয়ার উপর পতন রোধের কথা বলে স্পষ্ট করেছেন জিওস্টেশনারী ফ্লাট এনক্লোজড পৃথিবীকে এবং সলিড ছাদ স্বরূপ আকাশকে অর্থাৎ আল্লাহই আসমানকে সমতল যমীনের উপর পতন হওয়া থেকে রক্ষা করছেন। একইভাবে দুনিয়াকেও স্থির ও নিশ্চল করে রেখেছেন।
সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যপারে আল্লাহর দেওয়া বর্ননার অপব্যাখ্যাকারীদের একদল এ আয়াত সম্পর্কে বলে, এখানে আসমান যমীনের স্থবিরতা বোঝানো হয়নি। তারা পক্ষীকুলকে আসমানে স্থির রাখার আয়াতটির দলিল দেয়। যেখানে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেনঃ
أَلَمْ يَرَوْاْ إِلَى الطَّيْرِ مُسَخَّرَاتٍ فِي جَوِّ السَّمَاء مَا يُمْسِكُهُنَّ إِلاَّ اللّهُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
তারা কি উড়ন্ত পাখীকে দেখে না? এগুলো আকাশের অন্তরীক্ষে আজ্ঞাধীন রয়েছে। আল্লাহ ছাড়া কেউ এগুলোকে আগলে রাখে না। নিশ্চয় এতে বিশ্বাসীদের জন্যে নিদর্শনবলী রয়েছে[আন নাহলঃ৭৯]
যেমনটা স্ক্রিনশটে দেখতে পাচ্ছেনঃ
বস্তুত, এরা নিজেদের আকলকে নসের উপরে প্রাধান্য দেয়। নিজেদের ক্ষুদ্র ইল্ম কে সাহাবীদের Understanding কে অতিক্রম করার চেষ্টা করে। ওরা বলতে চায় এর দ্বারা স্থবিরতা/নিশ্চলতা বোঝানো হয়নি।অথচ আলোচ্য আয়াতটিকে [৩৫:৪১] সাহাবীগন(রাঃ) ঘূর্নন বা আবর্তনকে খন্ডন করতে ব্যবহার করেছেন[সুবহানআল্লাহ]। হাদিসটি নিন্মরূপঃ
ইংরেজিঃ
There has been recorded a statement/saying of k'ab in the presense [sic] of syedna Abdullah bin Masood, the man who keeps the secrets of messenger of Allah (pbuh) and syedna Huzaifa bin Alyaman (r.a.). This statement of K'ab is "The heaven revolves". However, both Syedna Abdullah bin Masood (r.a.) and syedna Huzaifa bin Alyaman (r.a.) said agreeably that "K'ab said incorrect, and undoubtedly Allah has withheld the heaven and the earth least they move. And Abdullah Bin Masood (r.a.) supporting this statement added that Allah's commandment is enough for us, and they (Heavens & Earth) do not move. This statement has been narrated by Saeed bin Mansoor (r.a.) and Abd bin Hameed son of Jareer, son of Almanzer (r.a.) and they narrated it with reference of Hafiz bin Abd ibne Hameed (r.a.).[Fiq-hus- Sahaba Baad-Al- Khulfa-e-Alarba]
সুতরাং, একটি সুস্পষ্ট সহীহ হাদিস দেখছেন যেটা আকাশের ব্যপারে পরিষ্কার ধারনা দিয়েছে। এ আয়াতকে ঘূর্নাবর্তনকে খন্ডন করতে শুধু সাহাবী(রাঃ) একাই করেননি বরং ইমাম মালিক(রহঃ) পর্যন্ত করেছেন। আমরাও আসমান ও পৃথিবীর ঘূর্নাবর্তনের ধারনাকে খন্ডন করতে সাহাবীদের(রাঃ) অনুসরনে এ আয়াতকে দলিল হিসেবে ব্যবহার করি। এ আয়াতে আসমানের পাশাপাশি আল্লাহ পৃথিবীকে স্থির রাখার কথাও বলেন। এতে প্রমান হয় আসমান ও যমীন উভয়ই স্থির ও নিশ্চল। এটাই সাহাবীদের(রাঃ) বিশুদ্ধ আকিদা বা বিশ্বাস। হযরত উমার (রাঃ) যখন কোন কিছুকে বিশ্বাস করানোর জন্য কসম করতেন তখন বলতেন, "সেই মহান সত্ত্বার শপথ দিয়ে বলছি যার আদেশে আকাশ ও পৃথিবী স্থির রয়েছে"
Source : ihadis.com |
উপরে এক অপব্যাখ্যাকারীর স্ক্রিনশটে দেখছেন, সূরা ইয়াসিনের ৪০ নম্বর আয়াতকে যমীনের ঘূর্নন-আবর্তনের দলিল বানিয়ে নিয়েছে যা শুধু অপব্যাখ্যাই না বরং সুস্পষ্ট মিথ্যাচার। এ নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে, সামনেও আসছে।
আল্লাহ আযযা ওয়াজাল এই গম্বুজাকৃতির আসমানকে যমিনের উপর স্থিরভাবে রেখেছেন,যেরূপে পৃথিবীকেও স্থির ও নিশ্চল করেছেন।
আল্লাহ বলেনঃ
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ سَخَّرَ لَكُم مَّا فِي الْأَرْضِ وَالْفُلْكَ تَجْرِي فِي الْبَحْرِ بِأَمْرِهِ وَيُمْسِكُ السَّمَاء أَن تَقَعَ عَلَى الْأَرْضِ إِلَّا بِإِذْنِهِ إِنَّ اللَّهَ بِالنَّاسِ لَرَؤُوفٌ رَّحِيمٌ
তুমি কি দেখ না যে, ভূপৃষ্টে যা আছে এবং সমুদ্রে চলমান নৌকা তৎসমুদয়কে আল্লাহ নিজ আদেশে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন এবং তিনি আকাশ স্থির রাখেন, যাতে তাঁর আদেশ ব্যতীত ভূপৃষ্টে পতিত না হয়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি করুণাশীল, দয়াবান[আল হাজ্জ্বঃ৬৫]
আল্লাহ বলেনঃ
أَمَّن جَعَلَ الْأَرْضَ قَرَارًا
বল তো কে পৃথিবীকে বাসোপযোগী করেছেন [আন নামলঃ৬১]
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে কাসির রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা অন্যত্র বলেনঃ
اللَّهُ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ قَرَارًا وَالسَّمَاءَ بِنَاءً وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْ وَرَزَقَكُم مِّنَ الطَّيِّبَاتِ ذَٰلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ فَتَبَارَكَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ
আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে স্থিতিশীল করেছেন এবং আসমানকে করেছেন ছাদ। আর তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দিয়েছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতিকে সুন্দর করেছেন এবং তিনি পবিত্র বস্তু থেকে তোমাদেরকে রিয্ক দান করেছেন। তিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। সুতরাং সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ কত বরকতময়;[৪০:৬৪]
এখানে ব্যবহৃত قَرَارًا শব্দের অর্থ স্থির/স্থিতিশীল /দৃঢ়/অনঢ়/বসবাসযোগ্য/stable/firm abode।
সূরা রূমের ২৫ নং আয়াতে বলেনঃ
وَمِنْ آيَاتِهِ أَن تَقُومَ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ بِأَمْرِهِ ثُمَّ إِذَا دَعَاكُمْ دَعْوَةً مِّنَ الْأَرْضِ إِذَا أَنتُمْ تَخْرُجُونَ
তাঁর নিদর্শনের মধ্যে হল এই যে, আকাশ ও পৃথিবী তাঁর হুকুমেই দাঁড়িয়ে আছে। অতঃপর তিনি যখন তোমাদেরকে মাটি থেকে উঠার জন্য ডাক দেবেন একটি ডাক, তখন তোমরা উঠে আসবে।[৩০:২৫]
تَقُومَ শব্দটি দ্বারা স্থিতি / দাঁড়ানো/নিশ্চলতা বোঝায়।
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে কাসির রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ
English - Tafsir ibn kathir
وَمِنْ ايَاتِهِ أَن تَقُومَ السَّمَاء وَالاَْرْضُ بِأَمْرِهِ
And among His signs is that the heaven and the earth stand by His command.
This is like the Ayat:
He withholds the heaven from falling on the earth except by His leave. (22:65)
إِنَّ اللَّهَ يُمْسِكُ السَّمَـوَتِ وَالاٌّرْضَ أَن تَزُولَا
Verily, Allah grasps the heavens and the earth lest they should move away from their places. (35:41)
Whenever Umar bin Al-Khattab, may Allah be pleased with him, swore an emphatic oath, he would say,"No, by the One by Whose command the heaven and the earth stand," i.e., they stand firm by His command to them and His subjugation of them. Then, when the Day of Resurrection comes, the Day when the earth will be exchanged with another earth
সুতরাং আশা করি সুস্পষ্টভাবে দেখছেন যে শরী'আতের দলিল গুলো সরাসরিভাবে পৃথিবী ও আকাশকে স্থির ও নিশ্চল বলে। প্রকৃতপক্ষে এটাই সত্য। এটাই ছিল সালাফের আকিদা বা বিশ্বাস। আপনারা সাহাবীদের থেকে আসা হাদিসগুলোও দেখেছেন। এ সকল আয়াত দ্বারা প্রাচীন ফকীহ ও মুফাসসীরিন আকাশ বা পৃথিবীর ঘূর্ণাবর্তন বা মোশনকে খণ্ডন করতেন।
শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) পৃথিবীর স্থবিরত্ব নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন। তিনি সূর্যকেন্দ্রিক মহাকাশ ব্যবস্থাকে খন্ডন করেন শরীআতের দলিল দ্বারা। এবং প্রমান করেন পৃথিবী স্থির ও নিশ্চল। পৃথিবী নয়, বরং সূর্যই পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। ফাতাওয়া আরকানুল ইসলামের খানিকটা নিন্মরূপঃ
"মান্যবর শায়খ উত্তরে বলেন যে, শরীয়তের প্রকাশ্য দলীলগুলো প্রমাণ করে যে, সূর্যই পৃথিবীর চতুর্দিকে ঘুরে। এই ঘুরার কারণেই পৃথিবীতে দিবা-রাত্রির আগমণ ঘটে। আমাদের হাতে এই দলীলগুলোর চেয়ে বেশী শক্তিশালী এমন কোন দলীল নাই, যার মাধ্যমে আমরা সূর্য ঘূরার দলীলগুলোকে ব্যাখ্যা করতে পারি।........
.......সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হওয়ার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, সূর্য পৃথিবীর উপরে ঘুরছে এবং তার এ ঘুরার মাধ্যমেই উদয়-অস্ত সংঘটিত হচ্ছে।
১০) অসংখ্য হাদীসের মাধ্যমে জানা যায় যে, উদয় হওয়া, অস্ত যাওয়া এবং ঢলে যাওয়া এ কাজগুলো সূর্যের সাথে সম্পৃক্ত। এগুলো সূর্য থেকে প্রকাশিত হওয়া খুবই সুস্পষ্ট। পৃথিবী হতে নয়। হয়তো এ ব্যাপারে আরো দলীল-প্রমাণ রয়েছে। সেগুলো আমার এ মুহূর্তে মনে আসছেনা। তবে আমি যা উল্লেখ করলাম, এ বিষয়টির দ্বার উম্মুক্ত করবে এবং আমি যা উদ্দেশ্য করেছি, তা পূরণে যথেষ্ট হবে। আল্লাহর তাওফীক চাচ্ছি!"
বিস্তারিতঃhttps://salafibd.wordpress.com/2010/11/22/সূর্য-ঘুরে-না-পৃথিবী/
https://www.hadithbd.com/showqa.php?d=548
http://www.ibnothaimeen.com/all/noor/article_6463.shtml
https://aadiaat.blogspot.com/2017/11/blog-post_5.html
শাইখ আব্দুল আজিজ ইবনে বাজ রহিমাহুল্লাহ বিশ্বাস করতেন পৃথিবী স্থির এবং সূর্যই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। হেলিওসেন্ট্রিক মডেলকে তিনি সরাসরি কুফরি সাব্যস্ত করেন।তিনি সেসমস্ত লোকেদেরকে তাকফির করেন যারা কোপার্নিকান কস্মোলজিতে বিশ্বাস করে। তিনি সেসকল লোকেদের মৃত্যুদন্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন। যেহেতু, তা কুরআন সুন্নাহর বিপরীতের মত। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ অবস্থানে অটল থাকেন।
তার এরূপ বিশ্বাসের জন্য অনেকরকমের সমালোচনা এবং চাপ আসতে থাকে। কাফিররা মুসলিমদের মধ্যে কোন খুঁত খুজে পাবার জন্য সবসময় সজাগ থাকে, ওরা এজন্য এ বিষয়টি প্রচারমাধ্যমে অনেক প্রচারণা চালায়। ইবনে বাজ চাপ ও সমালোচনার মুখে ফতওয়ায় সংস্করণে বাধ্য হলে তার পূর্ববর্তী প্রকাশনার সমস্ত ডকুমেন্ট সৌদি সরকারের নিয়ন্ত্রনে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয় বলে শোনা যায়। আজ শুধু সেগুলোর নামই পাওয়া যায়। কিন্তু কোথাও সেসবের প্রথম পাবলিকেশন মেলে না।
১৯৯৫ সালের ২২ফেব্রুয়ারী দ্য নিউ নিয়র্ক টাইমসে (p. A-14.) "Muslim Edicts take on New Force" টাইটেলে তার কথিত সমতল পৃথিবীতে বিশ্বাসের বিষয়টির সমালোচনা হয়।[2]
"The Demon-haunted World" তে বিজ্ঞানী Carl Sagan বলেনঃ "In 1993, the supreme religious authority of Saudi Arabia, Sheik Abdel-Aziz ibn Baaz, issued a edict, or fatwah, declaring that the world is flat. Anyone of the round persuasion does not believe in God and should be punished."
১৯৬৬ সালের প্রথম প্রকাশে তিনি বলেন, "পৃথিবী স্থির আবাস্থল, যা আল্লাহ বিস্তৃত করেছেন মানবজাতির জন্য এবং করেছেন একে শয্যাস্বরূপ, একে পাহাড়পর্বত দ্বারা স্থির রাখা হয়েছে যাতে নড়াচড়া না করে", এটা উল্লেখের পর তাকে মিশরীয় জার্নালিস্টগন খুব বিদ্রুপ এবং উপহাস করে প্রাচীন বিশ্বাস ধারনের জন্য। বাদশা ফয়সাল অনেক রাগান্বিত হয়েছিলেন। ১৯৮২ সালে তিনি Al-adilla al-naqliyya wa al-ḥissiyya ʿala imkān al-ṣuʾūd ila al-kawākib wa ʾala jarayān al-shams wa al-qamar wa sukūn al-arḍ ("Treatise on the textual and rational proofs of the rotation of the sun and the motionlessness of the earth and the possibility of ascension to other planets") নামের আরেকটি বই প্রকাশ করেন। এতে তিনি ১৯৬৬ সালের ফতওয়াকে আবারো উল্লেখ করেন এবং জোড় দিয়ে উল্লেখ করেন যে সূর্যই আবর্তন করে পৃথিবীকে। পৃথিবী স্থির।
তিনি বলেনঃ
I only deemed it lawful to kill whoever claims that the sun is static (thābita la jāriya) and refuses to repent of this after clarification. This is because denying the circulation of the sun constitutes a denial of Allah (Glorified be He), His Great Book, and His Honorable Messenger. It is well established in the Din (religion of Islam) by way of decisive evidence and Ijma` (consensus) of scholars that whoever denies Allah, His Messenger or His Book is a Kafir (disbeliever) and their blood and wealth become violable. It is the duty of the responsible authority to ask them to repent of this; either they repent or be executed. Thanks to Allah that this issue is not debatable among scholars.
ইবনে বাজ(রহ) ১৯৮৫ সালে যুবরাজ সুলতান বিন সালমানের আস সৌদ স্পেস ফিরে পৃথিবীর কথিত আবর্তন দেখার কথা প্রকাশের পর কিছুটা নমনীয় হবার কথা জনশ্রুতিতে আছে।
পরের প্রকাশিত আর্টিকেলে বলেনঃ
I did not declare those who believe that the earth rotates to be infidels, nor those who believe that the sun moving around itself, but I do so for those who say that the sun is static and does not move (thābita la jāriya), which is in my last article. Whoever says so being an infidel is obvious from the Quran and the Sunnah, because God almighty says: 'And the sun runs on (tajri) to a term appointed for it' ... As for saying that the Sun is fixed in one position but still moving around itself, ..., I did not deal with this issue in my first article, nor have I declared as infidel anyone who says so.
ইবনে বাজ(রহঃ) পৃথিবীর স্থবিরতা ও নিশ্চলতাকে প্রমান করতে গিয়ে যা প্রকাশ করেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, Jiryan Al-Shams Wa Al-Qammar Wa-Sukoon Al-Arz[Motion of the Sun and Moon, and Stationarity of the Earth], এবং Evidence that the Earth is Standing Still নামের বই ও অনুচ্ছেদ।
Ibn Bāz(rh) বলেন:
"পৃথিবীর ঘূর্নন এবং গতিকে অবশ্যই আমি বাতিল সাব্যস্ত করি এবং আমি এর ভ্রান্তিকে দলিল প্রমান দ্বারা স্পষ্ট করেছি, আমি তাদেরকে মুর্তাদ বলছিলা যারা এর সপক্ষে বলে। কিন্তু আমি তাদেরকে মুর্তাদ ঘোষনা করছি যারা বলে,সূর্য গতিহীন, কেননা এটা সুস্পষ্টভাবে কুরআনের এবং বিশুদ্ধ হাদিসের বিরুদ্ধে যায়।"(Majmū Fatāwā Ibn Bāz 9/228)[১]
১৯৬৬ সালে যখন বিন বায ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনার ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন তিনি রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিন্দামূলক একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। সেই নিবন্ধে তিনি বলেন যে রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয় 'পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে' এইরূপ মিথ্যা তথ্য শিক্ষা দিচ্ছে।
লেখক রবার্ট লেসি বিন বাযের একটি ফতোয়া উল্লেখ করে বলেন,আমেরিকানরা চাঁদে অবতরণ করেছে এই তথ্যের ওপর তিনি মুসলিমদের আহবান জানিয়ে বলেন, "আমরা অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করব যখন কাফের এবং ফাসেকরা আমাদের কোন তথ্য জানাবে। আমরা তাদের বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোন কিছুই করব না যতক্ষন না মুসলিমরা নির্ভর করতে পারে এমন তথ্যসূত্র পাই।"
ইবনে বাজের পৃথিবীর স্থবিরতা নিয়ে লিখা কিতাবঃ Textual and rational proofs of the rotation of the sun and the motionlessness of the earth and the possibility of ascension to other planets এর লিংকঃ
http://www.archive.org/download/Hassouni_5/Eladillaennaklia-ibnBaz.pdf
শাইখ সালিহ আল ফওজানকে প্রশ্ন করা হয়
"সূর্য কি পৃথিবীর চারদিকে আবর্তন করে?"
উত্তরে শাইখ বলেন, "এ ব্যপারে কোন সন্দেহই নেই। কুরআন বলে যে, 'সূর্য সন্তরন করে' তা স্বত্ত্বেও ওরা বলে যে সূর্য এক স্থানে দাঁড়িয়ে আছে এবং পৃথিবীই ঘুরছে। এটা কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক। কোন মুসলিম কুরআনকে অবজ্ঞা করে আধুনিক থিওরি গুলোকে গ্রহন করতে পারে না। একজন মুসলিম অবশ্যই কুরআনকে অনুসরণ করতে বাধ্য।"[৩]
"Someone is asking whether the Earth moves or whether it is fixed in place. Does it move or remain fixed? The truth, as described by our scholars Imam Ibn Baz and Sheikh Saleh Al-Fawzan, is that the Earth is fixed and does not move. This is in keeping with the text, and it makes sense as well. But some people, like that Massari, ridicule the fatwa by Sheikh Abd Al-Saleh Al-Fawzan. He is a man of logic and should be taken seriously. In any case, the Earth is fixed, as said by Allah: "Lest it should shift with you" [Quran 31:10]. Allah said that it is the sun that revolves: "And the sun runs towards its stopping point" [Quran 36:38]. Allah said about the sun and the moon: "Each in an orbit swimming" [Quran 21:33]. Allah said: "Abraham said: Indeed, Allah brings up the sun from the east, so bring it up from the west" [Quran 2:258]. This is some of the evidence.
There is ample evidence that it is the sun that revolves around the Earth. As for evidence based on reason... The [Westerners] present all kinds of theories, but we Muslims also have theories and brains.
First, let's say that we go from here to Sharjah Airport and take a plane to China. Are you with me? Concentrate now. Let's say that this is the Earth, and let's assume that it is turning... If we take an international flight from Sharjah to China... You say that the Earth is turning, right? If the plane stopped in mid-air, wouldn't China come to it? Am I right or not? If the Earth really does turn - China should come to the plane.
Now, let's assume that the Earth revolves the other way - the plane will never catch up with China no matter how long it flies. Since China is also revolving, you will never get there.
Secondly, Allah talked about the [celestial] house[Baitul Ma'mur] frequented [by angels]. This house is located in the seventh heaven. The Prophet Muhammad said that if it fell from the sky, it would fall on the Kaaba. But if the Earth revolves, it would not fall on the Kaaba. It would fall in the ocean or somewhere on dry land. This proves that the Earth is fixed in place.
If the [celestial] house falls it will fall straight on the Kabaa, and this proves that the Earth is fixed. People, we cannot turn just anyone who makes statements into a star. We must resort to our immutable texts and our religious scholarship. Some in the West talk about the scientific inimitability of the Quran, saying: "If all this was mentioned in the Quran 1,400 years ago, how come you Muslims did not discover it yourselves?"
The [Americans] say that they landed on the moon, but they never set foot or laid their eyes on it. They produced it all in Hollywood or I don't know where. They said that they had gone to the moon and we just took their word for it."[...][৪]
সৌদি সালাফি আলিমদের এটা প্রায় একটা ট্রেডিশনাল বিশ্বাস যে, পৃথিবী স্থির। এর সপক্ষে আরো উল্লেখযোগ্য আলিমদের মধ্যে আছেন Abdul karim al-hemid.
Sheikh Ibn Jebrin , and sheikh Abu bakr al-jazaari, Sheikh Twegri,Sheikh Yehia haggouri, Allama Obaid Al Jabri প্রমুখ।[৫]
সুতরাং, এ বিষয়টা সুস্পষ্ট যে কুরআন সুন্নাহ আমাদেরকে কি বলছে। সেই সালাফ থেকে পরবর্তী প্রাচীন উলামা,মুফাসিরীন এবং আজকের শীর্ষস্থানীয় আলিম। অথচ আজ কথিত বিজ্ঞান আমাদের বলে ,গোলাকৃতি পৃথিবী প্রচন্ড গতিতে[ ৬৬.৬mph] নিজে তো ঘুরছেই সাথে সূর্য্যের চারদিকেও ঘুরছে এমনকি সেটা সূর্যসমেত অসীমতার দিকে ধাবমান। আর আকাশ হচ্ছে শূন্যের শূন্য অবারিত সীমাহীনতা। বস্তুত এসব অপ্রমাণিত মিথ্যা ছাড়া কিছুই নয়। আল্লাহ তো ঐ ভ্রান্ত বিজ্ঞানের ঠিক বিপরীতটাই বললেন যে ভ্রান্ত বিজ্ঞানের শিক্ষা ওরা শয়তানের কাছে থেকে লাভ করেছে।নিশ্চয়ই পৃথিবী ও আকাশ স্থির।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আসমানকেও স্থির বলেন। আজকের বিজ্ঞান অনুযায়ী Vacuum emptiness কে স্থির রাখার বিষয়টি কুরআনের পার্স্পেক্টিভে অর্থহীন। এতে প্রমান হয় আসমান সলিড ছাদস্বরূপ যাকে আল্লাহ বিনা স্তম্ভে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। তিনিই একে স্থির রাখেন যাতে পৃথিবীতে পতিত না হয়।
আল্লাহ মিথ্যাচারীদের দেওয়া তথ্যের ব্যপারে সচেতন থাকতে বলেছেন। সেখানে কাফিরদের ব্যপারে কিরূপ সচেতন হওয়া প্রয়োজন! আল্লাহ বলেনঃ
”হে মু’মিনগণ! কোনো ফাসিক্ব যদি তোমাদের কাছে কোনো খবর নিয়ে আসে, তাহলে তার সত্যতা যাচাই করে লও..." (সুরা হুজুরাতঃ৬)
ইবনে বাজ(রহ) চাদের যাবার খবরে কাফির ফাসিকদের কথা গ্রহনের ব্যপারে উম্মাহকে সচেতন করেছিলেন। কিন্তু উম্মাহ তো আজ কাফিরদের তৈরি কস্মোলজিক্যাল প্যাগানিজমকে সম্পূর্নভাবে গ্রহন করে নিয়েছে। এক দ্বীনি ওয়েবপেজে পড়লাম, জিওসেন্ট্রিক কস্মোলজিতে বিশ্বাস করাটা বাধ্যতামূলক নয়[৬]। অথচ কোপার্নিকান হেলিওসেন্ট্রিক প্যাগান থিওরামে বিশ্বাস স্থাপনকারীদেরকেই ইবনে বাজের (রহ) এর মত আলিম তাকফির এবং হত্যার দাবি তুলেছিলেন।
আমাদের হাতে সুস্পষ্ট কুরআনের নির্দেশনা হাদিসের বর্ননা রয়েছে, যার আলোচনা উপরে গত হয়েছে, এরপরে আলিমদের রেফারেন্স দেওয়া নিষ্প্রয়োজন ছিল, এরপরেও আলিম উলামাগনের ফাতাওয়া ও কথা গুলোকে এ জন্য উল্লেখ করেছি যাতে এ বিষয়ে কোনরূপ সংশয় না থাকে। একটা বিষয় উল্লেখ্য যে, আমরা যে জিওসেন্ট্রিক কস্মোলজির কথা বলি সেটার সাথে উল্লিখিত আলিমদের বিশ্বাসগত সামান্য কিছুটা পার্থক্য আছে, যা সামনে কোন দিন আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। সালামা নামের এক মিশরীয় মুসলিম ভাই জিওসেন্ট্রিক কস্মোলজি নিয়ে ব্যপক লেখালিখি করেন[৭], মজার বিষয় হচ্ছে তিনিও আধুনিক কস্মোলজির অরিজিন হিসেবে জিউইস কাব্বালিস্টিক মিস্টিক্যাল ট্রেডিশনকে উল্লেখ করেন, যেমনটা পূর্বের অজস্র আর্টিকেলে উল্লেখ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ এ পথে আমি একদম একা নই। তার ফেইসবুক গ্রুপে ঘুরে আসতে পারেনঃ facebook.com/groups/358254744358614
পরিশেষে, শাইখ ইবনে বাজের(রহ) সাথে গলা মিলিয়ে বলি, কোপার্নিকান হেলিওসেন্ট্রিক থিওরি অবশ্যই কুফরি থিওরি। একে অবশ্যই আমরা বাতিল সাব্যস্ত করি থিওরেটিক্যাল, হিস্টোরিক্যাল ও থিওলজিক্যাল পার্স্পেক্টিভ থেকে। তবে শাইখের মত এতে বিশ্বাসীদেরকে ঢালাওভাবে তাকফির করিনা। আমরা কাফিরদের মনগড়া কুফরি কথাগুলোকে খন্ডন করতে শরী'আতের দলিলগুলো নিয়ে আসছি এবং ভবিষ্যতের আসব(বিইযনিল্লাহ)। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা যাকে (জান্নাত বা জাহান্নামের জন্য)যে মর্যাদা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন সে সেঅনুযায়ী ঐ বিশ্বাসের(ইডিওলজির) দিকেই ধাবিত হবে। আমরা কেউই কাউকে জোড় করে কোন কিছুতে বিশ্বাস স্থাপন বা অবিশ্বাস করাতে পারিনা যদি না আল্লাহ আযযা ওয়াযাল চান। আমাদের কাজ তো শুধুই রহমানের কথা গুলোকে প্রকাশ করা।
وَمَا عَلَيْنَا إِلاَّ الْبَلاَغُ الْمُبِينُ
[চলবে ইনশাআল্লাহ..]
0 Comments:
Post a Comment